বইশালা
আপনার পছন্দের গুরুত্বটা আমাদের কাছে মূখ্য ;
আমন্ত্রণ অসীমের পথে,
পড়া শুরু হোক বইশালার সাথে।
আপনার প্রয়োজনীয় বইগুলো দ্রুত এবং সহজমূল্যে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর বইশালা।
আমার এই বইটি আনঅফিশিয়ালি নিষিদ্ধ করেছিল বিগত রেজিম।
বইটি প্রথম বেরিয়েছিল ২০২১ এর বইমেলায়। করোনার কারণে সেবার মেলা হয়েছিল ১৮ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল। যদ্দুর মনে পড়ে, মেলার চতুর্থ দিন বিকেলে বইটি স্টলে ঢুকেছিল।
পরদিন সকালেই অদৃশ্য এক চাপে বইটির বিক্রি বন্ধ করতে হয়। শুধু তাই নয়, প্রথম মুদ্রণের ৬০০ কপি বই পুড়িয়ে ফেলতে বাধ্য করা হয়।
রাষ্ট্র আমার বইকে ভয় পাচ্ছে, বিক্রি বন্ধ করে পুড়িয়ে ফেলছে, এই 'আনন্দের' সংবাদটা তখন আপনাদের বলতে পর্যন্ত পারিনি। বইয়ের মতো আমার কথা বলাটাও নিষিদ্ধ ছিল।
সময়টা ছিল ঘোলাটে। কদিন আগেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক লেখক মুশতাক আহমেদকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে নির্যাতন করে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সময় ত্যাড়ামি করলে হয়তো আমার ঠিকানা হতো আয়না ঘর।
তাই নীরবে অপেক্ষা করে গেছি শুধু।
অবশেষে, তিন বছরের অদৃশ্য নিষেধাজ্ঞা শেষে, প্রতিটি অক্ষর, প্রতিটি দাঁড়িকমা অপরিবর্তিত রেখে, আজ প্রকাশিত হলো 'বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ'। এই দিনটির জন্য আমি আর আমার স্ত্রী প্রতিটি নিঃশ্বাস দিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। শেষমেশ বুক থেকে জগদ্দল পাথরের ভার অপসারিত হলো।
আমার প্রিয় ১৪ টি গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ। বইয়ের অধিকাংশ গল্পই প্রবলভাবে রাজনৈতিক। যারা কখনো আমার লেখা পড়েননি, কেন রাষ্ট্র একটি বইকে ভয় পায়, অন্তত তা জানার কৌতূহল থেকেও বইটি পড়তে পারেন।
আপনারা পড়লেই আমার আনন্দ।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ
সাব্বির জাদিদ
প্রকাশক : ঐতিহ্য
প্রচ্ছদ : রাজীব দত্ত
ধরন : গল্পগ্রন্থ
মুদ্রিত মূল্য : ২৩০ টাকা।
বইশালা মূল্য: ১৭২ টাকা।
কবি, সাহিত্যিক, লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক সহ সকলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বিবৃতি–
আজ বা আগামীতে যারা ছাত্রদের বিরুদ্ধে এবং এখন যারা চুপ করে থাকবেন, তাদেরকে স্বজ্ঞানে জানাতে চাই যে, ভবিষ্যতে আপনাদের বই প্রচারে আমরা কোনো প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করব না এবং কোনো প্রকার সাহিত্য সম্পর্কিত ক্যাম্পেইন, লাইভ বা ইভেন্টেও তাঁদের উপস্থিতি আমরা আশা করছি না। বইমেলা বা বই প্রকাশের সময়ে আমরা তাঁদের সর্বোচ্চ এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করব।
"Grave of the Firelies" but in reality.
অবশেষে রকমারি থেকেও জাফর ইকবালের বই ব্যান করা হয়েছে।
আগামী মেলায় যে প্রকাশনী ষাড়ের বই বের করবে- আমরা সে প্রকাশনী কেও বইশালা থেকে ব্যান করবো।
যারা ৪টা সিঙ্গারা আর ১টা সেভেন আপের বোতলে নিজেদের কে বেঁচে দিয়েছেন- দয়া করে আমাদের থেকে কখনোই বই কিনবেন না।
এই পোস্টটা সামনে পড়লে আমাদের আনফলো করে দিয়েন।
ইট’স লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার।
আগে দেখতাম জাফর ইকবাল বইমেলায় আসতেন, মৌমাছির চাকের মতো তাকে ঘিরে ধরত অসংখ্য ছেলেমেয়ে।
আমি চাই পরের বইমেলাতে জাফর ইকবাল আসবেন এবং একটা মানুষও তার দিকে ফিরেও তাকাবে না...
আজ থেকে বইশালা তে জাফর ইকবালের সমস্ত বই বিক্রি ও প্রমোশন থেকে বিরত থাকবে এবং অতীতে উনার বই বিক্রি ও প্রমোশনের জন্য আমরা লজ্জ্বিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।
যে শহরে গল্প লেখা বারণ
গল্পটি গড়ে ওঠে নিশ্চিন্তপুর নামক এক মফস্বল শহর কে কেন্দ্র করে যেখানে অপরাধ হয় না বললেই চলে।সেজন্যই সেখানকার মানুষ এসব অপরাধের ব্যাপারে একেবারেই নিশ্চিন্ত কিন্তু এই নিশ্চিন্তপুর এর মানুষকে একজন মানুষ...উহু একজন নয় একের অধিক (যাদের মূল পরিকল্পনাকারী একজন) মিলে অনিশ্চিত করে তোলে। তারা যেন একটি সিরিয়াল কিলার ধর্মী অবাস্তব থ্রিলার উপন্যাসকে বাস্তব রূপে জনজীবনে মঞ্চায়ন করে।
একজন দক্ষ পুলিশ অফিসার কে রীতিমত নাকানি-চুবানি দেয়ার মাধ্যমে খুনি খুন করতে থাকে।পুলিশ অফিসার তার সর্বাত্মক চেষ্টা করেও খুনির নাগাল পায় না।আর পেলেও প্রমাণ করতে পারে না।
কিন্তু আসল খুনি কে? শেষ পর্যন্ত কেসটির সমাধান কী উপায়ে করে পুলিশ অফিসার? এই শহরে কেন গল্প লেখা বারণ? জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।
আর বই পড়তে হলে এখনই কিনে ফেলুন৷ অর্ডার করতে ইনবক্স করুন।
#পিতামহ
কখনো তেতে-ওঠা মরুবালুতে খালি গায়ে দাঁড়িয়ে, কখনো-বা রোদ-ঝলসানো দুপুরে দ্রুতগামী অশ্বের খটখট খুরের আঘাতে বালিঝড় উড়িয়ে ইতিহাস ছুটে গেছে নানান প্রান্তে। ছুটে গেছে সুদূর ইয়েমেনে। আবরাহার চতুরতার ফাঁদে আটকে পড়ে আবার ফিরে এসেছে মক্কার উপকণ্ঠে, এক বেদুইন পল্লিতে।
মনে কি হয়নি যে, এই একটি চরিত্রের হাত ধরেই বারবার ঘুরে গেছে ইতিহাসের বাঁক?
এভাবেই ধীরে ধীরে, জীবনের কাছে হেরে যাওয়া এক দিকভ্রান্ত পথিকের হাত ধরে নানান প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছে জাহেলি আরবের অন্ধকারাচ্ছন্ন ইতিহাস---বিস্তৃত পরিসরের যে ইতিহাসের নির্মম-করুণ-মায়াবী-হৃদয়ছোঁয়া আখ্যানপর্বগুলো এই উপন্যাসে ধারণ করেছেন লেখক সাব্বির জাদিদ। তবে পুরো উপন্যাসের সার্বক্ষণিক কেন্দ্রীয় চরিত্রে থেকেছেন মক্কার সর্বজন শ্রদ্ধেয় নগরপিতা আব্দুল মোত্তালিব।
এর মধ্যে মরুভূমির বালির ভেতর মেয়েদের জীবন্ত পুঁতে ফেলা, তালহার ক্রীতদাস হয়ে ওঠার নির্মম গল্প, অবলম্বনহীন একটি পরিবারের নিদারুণ অসহায়ত্ব, স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে আবদুল মোত্তালিব কর্তৃক জমজম আবিষ্কারের পর কোরাইশ নেতাদের ক্ষমতা-দখলের নগ্ন লালসা, গোত্রীয় দাঙ্গা, ক্রীতদাসের সাথে মালিকের মেয়ের এক অদ্ভুত সুন্দর অসম প্রেম, হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ-- সব মিলিয়ে কত কত লোমহর্ষক গল্পের পাণ্ডুলিপি জমিয়ে ফেলেছে পৃথিবী নামক এই গ্রহ।
'যে জীবন ফরিঙের' পর্বটা পড়তে পড়তে দেখি নিজের অজান্তেই চোখদুটো ভিজে উঠেছে। যুবক কায়েস, আবদুল মোত্তালিব যাকে দাসের হাট থেকে কিনে এনেছিলেন, আজাদ হওয়ার পর পৃথিবীতে তার কেউ নেই বলে মুক্তির আনন্দ-সংবাদ জানানোর জন্য চাঁদ-ওঠা এক রাতে বন্ধু তালহার বাড়ির সামনে গিয়ে বসে থাকে। তালহাদের দরজার কড়া নাড়বে-কি-নাড়বে না, এক ধরনের দ্বিধা-জড়তা-সংকোচ ওকে ঘিরে ধরে।এই মধ্যরাতে ঘুম ভাঙিয়ে দিলে ওরা আবার বিরক্ত হবে না তো! পরক্ষণে ভাবে, আমার মুক্তির সংবাদে এদের কী এসে যায়!
আহ, ফরিঙের ঠোঁটে বয়ে বেড়ানো কী এক নির্মম জীবন!
'কুমারিত্বের পরীক্ষা' পর্বটা পড়ে খুব হাসি পেয়েছে।যুগপৎভাবে খারাপও লেগেছে খুব । হায় রে অন্ধকারাচ্ছন্ন জাহেলিয়াত।
বহুবছর ধরে এত এত সংঘাত, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর দাঙ্গা-হাঙ্গামা বয়ে যাওয়ার পর জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণায় ভরে ওঠে পোড়-খাওয়া তালহার মন। এইসব নষ্ট দিনের জন্য সে আর বাঁচতে চায় না। আলোকিত এক নতুন পৃথিবীর জন্য
তালহার মন বড় আকুপাকু করে ওঠে। সে অপেক্ষায় থাকে একজন মহাপুরুষের, যিনি এসে এই অস্থির পৃথিবীর চাকা ঘুরিয়ে দেবেন ভিন্নদিকে, শান্তির সুশীতল ছায়ায় হবে মানুষের আশ্রয়।
সে তাই হাত থেকে একদিন তলোয়ারটা ছুড়ে ফেলে দেয়।লেখক লিখেছেন, 'তালহা
বহুদিনের সাক্ষী তলোয়ারটা ছুড়ে মারল ঝরনার পানির ভেতর। ঝপাৎ করে একটা শব্দ হলো। তারপর হারিয়ে গেল পানির তলদেশে। তলোয়ারটা বহুমানুষের রক্ত ঝরিয়েছে। আজ ওকে ডুবে যেতে দেখে প্রশান্তি লাগল তালহার। আর কোনোদিন অস্ত্র ধরব না-- মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল ও। অচিরেই ও এমন জায়গায় চলে যাবে, যেখানে রক্তপাত হয় না। আসলেই কি আছে তেমন কোনো পৃথিবী?
উপন্যাসের শেষের দিকে এত-এত চমক অপেক্ষা করিছল, কে জানত। আহ, হামামা! আবরাহার ভাতিজি সেই অবলা হামামা! কাবাঘর ভাঙতে এসে আসমানি পাখিদের দ্বারা আবরাহার বাহিনির ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর হামামাকে নিয়ে কী এক করুণ দৃশ্যের অবতারণা হলো। পড়তে পড়তে বারবার বুক মুচড়ে উঠেছে। চোখ ভেঙে গলগল করে বেরিয়ে এসেছে উষ্ণ জলের ধারা।
তারপর যে এক চাঁদ-রাতের আবছা আলোয় মরুর ঠাণ্ডা বালির বুকে মন মুচড়ে-দেয়া আরো একটি চমক বসে থাকবে, আমার পাঠক-মনের অভ্যন্তরে এর জন্য কি আগে থেকেই খুব গোপনে লুকিয়ে থাকা একটি প্রতীক্ষা ছিল না ? হয়তো..!
পুরো উপন্যাসটাই ছিল হাজার বছর আগের ইতিহাসের অলিতেগলিতে ছুটে বেড়ানো এক সুদীর্ঘ জার্নি।কিছু কিছু দৃশ্যপটে চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারিনি। দাঙ্গা-হাঙ্গামার সেই ভয়ংকর ময়দানগুলো কী যে রুদ্ধশ্বাসে পাড়ি দিতে হয়েছে!
শেষমেশ সেই প্রতীক্ষিত মহামানবের আগমনের সময়ে এসে লেখক এই আখ্যানের ইতি টেনেছেন। সেখানে তিনি পাঠক-মনের কৌতূহল আরো চাঙা করে তুলেছেন। সারাজীবন একটুখানি সুখের ছায়া খুঁজে বেড়ানো পোড়-খাওয়া এই তালহা
কি সেই শান্তিদূতের পরম নির্ভরতার হাতে নিজের হাতটা রাখতে পেরেছিল?
পড়তে বসে বারবার মনে হয়েছে, এক দারুণ অ্যাডভেঞ্চার কিংবা ফ্যান্টাসির জগতে ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছি। না, জাদুবাস্তবতা নয়, বাস্তবতার জাদুই ছিল সেখানে এতোটা প্রবল।
ইতিহাসের বর্ণনাকারীগণ সাধারণত দুই শ্রেণির হয়ে থাকেন। এক, ধারাবাহিকভাবে শুধু ইতিহাসটাই বলে যান। দ্বিতীয় শ্রেণির ইতিহাসবেত্তাগণ ইতিহাস বর্ণনার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনাপরম্পরাকে একসাথে মিলিয়ে ফলাফল বের করেন।
সাব্বির জাদিদ যদিও ইতিহাস আশ্রয় করে উপন্যাসই লিখেছেন, তবু কেন জানি মনে হয়েছে, মাঝেমাঝে তিনি দ্বিতীয় শ্রেণির এই কাজটি খুব সূক্ষ্মভাবে করেছেন।
সাব্বির জাদিদের কথক ভঙ্গিটি অসাধারণ। চমৎকার তার চরিত্র-চিত্রণ আর নির্মাণ-কৌশল। গল্পের প্রথম পঙক্তিতেই পাঠককে মনোযোগী করে তোলার এক জাদুময়ী ক্ষমতা আছে তাঁর। তিনি খুব নিটোল-কোমল-মুচমুচে শব্দগুচ্ছ দ্বারা গড়ে তোলেন বাক্যের দৃষ্টিনন্দন সব প্রাসাদ। উদাহরণ দেয়া যাক, পিতামহ থেকে উদ্ধৃত করছি, 'বর্শার আঘাতে তার কপাল, ভ্রু, নাকের মাঝখানে লম্বালম্বি এক ক্ষতের সৃষ্টি হলো। ছাগলের পেটের চামড়া ছাড়ানোর সময় ছুরির আগা দিয়ে একটুখানি কেটে দুপাশে টান দিলে চামড়া যেভাবে দুইভাগ হয়ে যায়, আবরাহার মুখের চামড়াও দুইভাগ হয়ে দুইপাশে সরে গেল। অবশ্য রক্তের স্রোতে মুখমণ্ডলের পরিবর্তিত এই মানচিত্র তৎক্ষণাৎ দৃশ্যমান হলো না'। 'তালহার কল্পনার সুতো ছিঁড়ে যায় কারো পদশব্দে।'
উপর্যুক্ত বাক্যগুলো থেকেই টের পাওয়া যায় সাব্বির জাদিদের সূক্ষ্ম-নিখুঁত বাক্যের বুনন।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে। যুগে যুগে পৃথিবী নামক এই গ্রহটির ভেতর পূর্ব-যুগের ইতিহাসের সেই একইরকম বিষয়াবলির পুনরাবৃত্তির ঘটে চলেছে।
অর্ডার করতে ইনবক্স করুন /কল করুন -
01980412316
আস্ত একটা শতবর্ষী গাছ স্থানান্তর করতে দেখেছেন কখনো!?
গাছ কাটতে দেখেছেন, গাছ পুড়তে দেখেছেন, গাছ ঝড়ে ভাঙতে দেখেছেন, কিন্তু বিনা প্রয়োজনে গাছ না কেটে আস্ত গাছ স্থানান্তর করতে দেখেছেন! হ্যাঁ পৃথিবীর সবচেয়ে ইকো ফ্রেন্ডলি দেশ জাপানে, এভাবেই আস্ত গাছ স্থানান্তর করে ভিন্ন জায়গায় রোপণ করতে দেখা যায়, এই স্থানান্তর খরচ কিন্তু সেই গাছের চেয়েও পারিপার্শ্বিক দিক থেকে১০০ গুন বেশি মনে হলেও এর সুদুরপ্রসারি ফলাফল কিন্তু টাকার অংকে স্বল্প, একটা গাছ বড় করতে যে পরিমাণ সময় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়তে হয়,তাতে করে নতুন চারা লাগিয়ে বড় করতে করতে নতুন প্রজন্ম চলে আসবে, তাই বাড়ি তৈরি করতে, রাস্তা তৈরি করতে, কিংবা যেকোনো প্রয়োজনে গাছ না কেটে বরং সেই গাছই ভিন্ন জায়গায় রোপণ করে, দক্ষিণ কোরিয়াতেও বিনা প্রয়োজনে গাছ কাটা নিষেধ, মানুষ হ-ত্যা-র চেয়েও কোন অংশে কম অ-পরাধ নয়
সংগৃহীত।
গুরুজী সেই কবেই বলে গেছেনঃ
অতীতের কোন বাপ-দাদা কবে
করেছিল কোন যুদ্ধ জয়,
মার খাই আর তাহারই ফখর
করি হরদম জগৎময়।
তাকাইয়া আছি মূঢ় ক্লীবদল
মেহেদি আসিবে কবে কখন,
মোদের বদলে লড়িবে সে-ই যে,
আমরা ঘুমায়ে দেখি স্বপন!
যত গুঁতো খাই, বলি, ‘আরও আরও,
দাদা রে আমার বড়োই সুখ!
মেরে নাও দাদা দুটো দিন আরও
আসিছে মেহেদি আগন্তুক!’
মেহেদি আসুক না আসুক, তবে
আমরা হয়েছি মেহেদি-লাল
মার খেয়ে খেয়ে খুন ঝরে ঝরে –
করেছে শত্রু হাসির হাল!
কবিতার নাম- জীবনে যাহারা বাঁচিল না।
কবি- কাজী নজরুল ইসলাম।
৪০ টা ছোট হরর গল্প ( সংগৃহীত)
১। আমি আমার খাটের নিচে একটি লাশ পেলাম। ব্যাপারটা অদ্ভুত, কারণ আমি দুটো লাশ লুকিয়ে রেখেছিলাম!
২।আমার ফোনের গ্যালারিতে ঘুমন্ত আমি'র একটা ছবি আছে। অথচ আমি একা থাকি!
৩।শেষ যেটি দেখলাম তা হল, ঘড়িতে ১২.০৭ বাজছে আর ভয়ংকর সেই মেয়েটি তার লম্বা নখগুলো আমার বুকের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়েছে, আর অন্য হাত দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরেছে। আমি চিৎকার দিয়ে জেগে উঠে কিছুটা স্বস্তি পেলাম, "স্বপ্ন ছিল"। কিন্তু ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলাম ১২.০৬ বাজছে, সঙ্গে সঙ্গে দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম!
৪।কাচে নক করার শব্দ শুনতে পাচ্ছি অনেকক্ষণ ধরে। জানালা গুলো ভাল করে চেক করে দেখলাম। ভাল করে শুনতে গিয়ে বুঝলাম আওয়াজটা ড্রেসিং টেবিলের আয়না থেকে আসছে।
৫।তুলির মা ছাদ থেকে ডাক দিলেন, "কাপড়গুলো নিয়ে যা, বৃষ্টি আসছে!" তুলি ছাদের দিকে যেতেই তার মা খপ করে হাত ধরে ফেললেন। ভয়ার্ত গলায় বললেন, "ছাদে যাস না, ডাকটা আমিও শুনেছি!"
৬।জাফর সাহেব তার মেয়ে মিতুকে গুড নাইট জানিয়ে চলে যাওয়ার সময় মিতু বলল,বাবা আমার খুব ভয় করছে, খাটের নিচে ভুত লুকিয়ে আছে। জাফর সাহেব মুচকি হাসলেন,মেয়ের ভয় ভাঙানোর জন্যে খাটের নিচে তাকিয়ে দেখলেন অবিকল তার মেয়ের মত একটি মেয়ে বসে আছে,নিচ থেকে মেয়েটি বলল,বাবা,খাটের উপর কে জানি শুয়ে আছে!
৭। আমার বিড়ালটা সব সময় আমার দিকে এক নজরে অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে থাকতো। একদিন আমি ভালো করে লক্ষ্য করলাম, আসলে সে আমার দিকে নয়। আমার মাথার ঠিক পিছনে কারো দিকে তাকিয়ে থাকে।
৮। এখন মাঝরাত। পুরো বাড়িতে আজ একা আমি। হঠাৎ ছোট বাচ্চার কান্নার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। কিন্তু আমার বাড়িতে তো কোনো ছোট বাচ্চা নেই!
৯। পৃথিবীর সর্বশেষ মানুষটি তার রুমে বসে আছে। হঠাৎ দরজায় কে যেন নক করলো!
১০। রাত তখন পৌনে ২টা। আপনি নিজের ঘরে ঘুমিয়ে আছেন। হঠাৎ আপনার বাবা-মা আপনাকে ঘুম থেকে ডেকে বললো যে আপনাদের এক আত্মীয় নাকি হঠাৎ অসুস্হ্য হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন। এখন আপনার বাবা-মাকেও হাসপাতালে যেতে হবে। এরপর তারা আপনাকে বাড়িতে একা রেখেই হাসপাতালে চলে গেলেন। আপনি তাদের বিদায় দিয়ে ঘরে তালা দিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই একা বাড়িতে রইলেন। যেই ঘুমাতে যাবেন হঠাৎ আপনার বাবা-মায়ের ঘরে আলো দেখে আপনি আলো নিভাতে তাদের ঘরে গেলেন। গিয়ে দেখলেন যে আপনার বাবা ঘরেই ঘুমিয়ে রয়েছেন। আপনি ঘরে ঢুকতেই তারা আপনার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে রইলো। কিন্তু আপনার বাবা-মা তো মাত্রই আপনাকে ঘরে একা রেখে হাসপাতালে চলে গিয়েছে। তাহলে খাটে যারা শুয়ে আপনার দিকে তাকিয়ে আছে তারা কারা!!
১১। রাত তখন ১১টা বাজে। আপনি আপনার বাড়িতে একা রয়েছেন। আপনার বাবা-মা এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছে। কিছুক্ষনের মধ্যেই তাদের ফেরার কথা। হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো। আপনি স্বাভাবিক ভাবেই দরজাটা খুললেন। খুলে দেখলেন আপনার বাবা-মা এসেছে। তারা কেনো যেনো আপনার দিকে রাগান্বীত দৃষ্টিতে তাকিয়ে
আপনার সাথে কোন কথা না বলেই তারাহুরা করে তাদের ঘরে ঢুকে গেলো।আপনি তাদের ব্যবহারে কিছুটা অবাক হলেন। এরপর আপনি দরজা লাগিয়ে যেই ঘরে ঢুকবেন। হঠাৎ আপনার মায়ের নাম্বার থেকে আপনার মোবাইলে একটা কল আসলো। আপনি বেশ অবাক হলেন। আরে! আপনার মাতো মাত্রই ঘরে ঢুকলেন। তাহলে আপনার মায়ের নাম্বার থেকে কে কল দিলো?!! কৌতুহল বসতই কলটা ধরতে ওপাশ থেকে আপনার মায়ের কন্ঠে শুনতে পেলেন , -বাবা, আজ আমরা বাড়িতে ফিরতে পারবো না। রাতে মনে হয় আত্মীয়ের বাড়িতেই থাকতে হবে। ফ্রিজে খাবার রাখা আছে গরম করে খেয়ে নিস।
আপনিতো মায়ের কন্ঠে এই কথা শুনে পুরোই অবাক হয়ে গেলেন। আপনার মা কিভাবে কল দিয়ে কথা বলতে পারে! আপনার বাবা-মাতো মাত্রই ঘরে ঢুকলো। আপনি ভয়ে কলটা কেটে দ্রুত আপনার ঘরে গেলেন বাবা-মাকে খুজতে। কিন্তু আপনি পুরো বাড়ি খুজেও কাউকে পেলেন না। তাহলে একটু আগে কলিং বেল চেপে যারা আপনার ঘরে ঢুকেছিলো তারা কারা ছিলো!!
১২। মাঝরাত। আপনি বাম দিকে ঘুরে শুয়ে রয়েছেন। হঠাৎ আপনার ঘুম ভেঙে গেলো। ঘুম থেকে উঠে দেখলেন রোজ যে আপনার সাথে ঘুমায় সে আপনার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে। আপনি কিছুটা অবাক হয়ে তার মাথায় হাত বুলাতেই সে ঘুমিয়ে পড়লো। এরপর আপনি ডান দিকে ঘুরে যেই ঘুমাতে গেলেন দেখলেন যে আপনার ডান দিকেই যে রোজ আপনার সাথে ঘুমায় সে ঘুমিয়ে আছে। হঠাৎ
আপনার মনে পড়লো। আরে !সেতো রোজ আপনার ডান দিকেই ঘুমায়। তাহলে কিছুক্ষন আগে আপনার বাম দিকে যার মাথায় আপনি হাত বুলিয়েছিলেন সে কে ছিলো!!!
১৩। রাত তখন ১০ টা। আপনি ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে প্রচুর মশা আপনাকে কামড়াচ্ছিলো। এরপর রোজকার মতো আপনার মা এসে আপনার ঘরে মশারী টানিয়ে দিয়ে চলে গেলো। জাওয়ার আগে গম্ভীর ভাবে আপনাকে বলে গেলো, -বেশিরাত পর্যন্ত মোবাইল চালিয়ো না বাবা। মাথা কাটা যাবে। . . আপনার মা ঘর থেকে বেরিয়ে জাওয়ার পর হঠাৎ আপনার মনে পড়লো। আরে! মা এখন বাড়িতে কিভাবে? মা-বাবাতো ২ দিন ধরে নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছে! এখনতো বাড়িতে আপনি একা! তাহলে একটু আগে যে আপনার ঘরের মশারী টানিয়ে গেলো সে কে?! এরপর আপনি পুরো বাড়ি খুজে আর কাউকে পেলেন না। ঘরে আপনার মশারী ঠিকই টানানো আছে।
১৪। আপনার বাড়ির ওয়াশরুম ঘরের বাহিরে বারান্দার পাশে। রাত তখন ১২ টা। আপনি ওয়াশরুমে গেলেন হাত মুখ ধুয়ে আসতে। ওয়াশরুমে ঢুকেই দেখলেন আপনার বাবা দাত ব্রাশ করছেন। আপনি কিছুটা অবাক হলেন কারণ বাবা এতো রাতে কখনোই দাত ব্রাশ করেন না। তারপরে আবার আপনার বাবার চোখ বেশ লাল দেখাচ্ছে। প্রথমে অবাক হলেও পরে ব্যাপারটা স্বাভাবিক ভাবেই নিলেন কারণ যাই হোক আপনার বাবাইতো। এরপর আপনি আপনার হাত মুখ ধুতে লাগলেন। বাবার দিকে হঠাৎ তাকিয়ে দেখলেন আপনার বাবা বড় বড় চোখ করে আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। আপনি কিছুটা ভয় পেয়ে গেলেন। বাবা এমন করছে কেনো??! ভয়ে বাবার সাথে কোনো কথা না বলেই আপনি ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আপনার
বাবা-মায়ের ঘুমানোর ঘরে গেলেন আপনার মাকে ডাকার জন্য। আপনি যেই ঘরে ঢুকলেন দেখলেন আপনার বাবা-মা দুজনেই ঘুমিয়ে আছে। তাহলে কিছুক্ষন আগে যাকে ওয়াশরুমে দেখলেন সে কে ছিলো?!! দৌড়ে ওয়াশরুমে গেলেন। গিয়ে দেখলেন সেখানে কেউ নেই। আপনার বাবার ব্রাঁশটা তখনো ভেজা!
১৫। গভীর রাত। আপনি গভীর ঘুমে মগ্ন। হঠাৎ খাটের নিচে কারো হাড় কামড়ে খাওয়ার শব্দ শুনে আপনার ঘুম ভেঙে গেলো। আপনি রুমে একা রয়েছেন। কৌতুহল বসতই খাটের নিচে কিসের শব্দ হচ্ছে তা দেখতে খাটের নিচে গেলেন। গিয়ে দেখলেন সেখানে কিছুই নেই। শব্দটা মাটির নিচে থেকে আসছে কিনা শুনতে ফ্লোরে কান পাতলেন!! কিন্তু নিচে আর কোনো শব্দই শুনতে পেলেন না।
হঠাৎ আপনার কানে খাটের উপর থেকে কারো রক্ত চুসে খাওয়ার শব্দ ভেসে আসতে লাগলো!!
১৬। আমার মেয়ে মাঝরাতে চিৎকার করে কেঁদে চলছিল। কান্না থামাতে আমি তার কবরের কাছে গেলাম আর তাকে থামতে বললাম,
BUT তাতে কোনো লাভই হল না।"
১৭। গ্রামের লোকেরা বলাবলি করে, জংগলে নাকি ভূত থাকে! ব্যাপারটা আমার কাছে হাস্যকর লাগে। কারণ জংগলে আমি ছাড়া আর কেউই থাকে না।
১৮। অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার সময়, রাস্তার এক ভিক্ষুক আমার পথ রোধ করে পেপার পড়তে দিল। পেপারের দিকে তাকিয়ে দেখলামঃ সেটাতে আগামীকালের তারিখ দেওয়া। আরও ইন্টারেস্টিং ব্যপারঃ পেপারের হেডলাইনে ভিক্ষুকের হাতে আমার খুন হওয়ার খবর!!
১৯। মেকাপ ঠিক করতে আয়নার দিকে তাকাতেই শাহানা লক্ষ্য করলো, আয়নাতে ওনার কোন প্রতিচ্ছবি নেই।
২০ । অনেক বছর পর মেহেদীর সাথে দেখা। চুটিয়ে গল্প হল অনেকক্ষণ। রাতে খাবার টেবিলে ছোট ভাইকে মেহেদীর সাথে দেখা হওয়ার ব্যপারটা জানানোর পর, ছোট ভাই ভয় পেয়ে ভীত কন্ঠে বললোঃ মেহেদী ভাইতো ৫ বছর আগে রোড এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছে।
২১। গত কয়েকদিন থেকেই এলাকা থেকে শিশু নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। মা বাবারা শিশুদের এখন একা ছাড়ে না বললেই চলে।এদিকে আমি খিদায় মরে যাচ্ছি।কোথা থেকে এখন শিশুদের যোগাড় করব?
২২। আদিব আজ তার বান্ধবীর সাথে রাত কাটাবে বলে দারুণ এক্সাইটেড। সে জানে না যে এর আগে আরও চৌদ্দজন তার সেই বান্ধবীর সাথে রাত কাটিয়েছে এবং তার পরেরদিনই তাদের রক্তশুন্য লাশ পাওয়া গেছে।
২৩। গত দশ বছর ধরে রোজ আমার স্ত্রী মল্লিকা আমাকে ঘুম থেকে তুলে নাস্তা করিয়ে অফিসের জন্য তৈরি করে দেয়।আজও দিয়েছে।তিনদিন আগে ছিল তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী।
২৪। রাত দেড়টার সময় নাকিসুড়ে কান্নার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল। কান্নার উৎস ছিলো আলমারির ড্রয়ার।
২৫। মা বাবাকে কি করে বলি যে ওটা আমার প্রতিবিম্ব। আমি আয়নাতে বন্দি হয়ে আছি।
২৬। গায়ে এত দামি পারফিউম মেখে চলি।তবুও কাকগুলো ঠিকই মৃত লাশের গন্ধ চিনে ফেলে।
২৭। বিড়ালটাকে একবাটি দুধ খেতে দিয়ে ভাবতে লাগলাম বন্ধ ঘরের ভেতর কি করে বিড়ালটা এল।
২৮। আমি যখন গাড়ি চালাই তখন পেছনের সিটে রক্তাক্ত, থ্যাঁতলানো একটা কুকুরকে দেখি।গাড়িচাপা দিয়ে মেরে ফেলার পর থেকে আমার পিছনে লেগে আছে সেটা।
২৯। মা আমার মশারিটা টাঙিয়ে লাইট নিভিয়ে গেলেন।অথচ আমি বাড়িতে একা।
৩০। আমি হাসপাতালের মর্গের পাহারাদার। কাজটা মোটেই বিরক্তিকর না।সারা রাত লাশদের সাথে গল্প করেই কাটিয়ে দেই।সারাদিন কাঠ হয়ে পড়ে থাকলেও রাত বারটার পরে একেকটা মহা বাচাল হয়ে যায়।
৩১।বেডরুমের দরজা ভেঙে দেখি ভেতরে কেউ নেই। অথচ দরজা জানালা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।
৩২। আমার দাঁড়ি আছে কিন্তু আয়নায় আমার প্রতিবিম্ব ক্লিনশেভ্ড।
৩৩। গন্তব্যে পৌঁছে রিকশার ভাড়া দিতে গিয়ে দেখি রিকশা চালকের মাথা নেই।
৩৪। পাশের বাসার প্রতিবেশিরা আজ সকালেই চায়ের দাওয়াত দিয়ে গেল। অথচ তাদের বাড়ি বিশ বছর ধরে তালাবদ্ধ
৩৫। মা বাড়ি ফিরার দশ মিনিট পর ফোন দিয়ে জানায় সে আজকে বাড়ি ফিরবে না।
৩৬।বাড়ি ফেরার সময় মামার সাথে দেখা।কথা বলে চলে আসার সময় মনে পড়ল মামা তো গত সপ্তাহে মারা গেছেন।
৩৭। আমার মেয়েটা এসে বলল বাড়ির কাজের লোক মফিজ তাকে এইমাত্র বলল ভুতে বিশ্বাস করতে।কিন্তু মফিজ দেশের বাড়ি থেকে এখনো ফিরেনি।
৩৮।সবগুলো পরীক্ষা খুবই ভয়াবহ রকমের হয়েছে। আজ রেজাল্টের দিন।শিক্ষক আমাকে রেজাল্ট দেয়ার জন্য ডাকছেন।
৩৯।ঘন্টা ধরে রাফির সাথে বসে দাবা খেলছিলাম। খেলাটা বেশ জমে উঠেছে। কে জিতবে বলা মুশকিল। এমন সময়ে হঠাৎ ক্রিং ক্রিং শব্দ করে টেলিফোন বেজে উঠলো । রিসিভার হাতে নিতেই আরিফের গলা শুনতে পেলাম -আমান,কই তুই? -বাসায়। কি হয়েছে রে? -রাফি গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছে !স্পট ডেড । জলদি হাসপাতালে আয়। ফোনটা নামিয়ে রাখলাম ।বুকের ভেতরটা ভয়ে কেঁপে উঠলো। রাফি মারা গেছে । তাহলে ওটা কে? আমার সামনে বসে আছে কিভাবে? অপরদিক থেকে তখন কেবল আওয়াজ এল -আমান,খেলাটা শেষ করে যা !
৪০। তোর মাকে আমিই মেরেছিলাম ! বলতে গেলে মারতে বাধ্য হয়েছিলাম। কথাগুলো শুনে আমি থমকে গিয়েছি। এতদিন জানতাম মা এক্সিডেন্টে মারা গেছে। আজ এসব শুনে অসহায় দৃষ্টিতে তাকানো ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই । ছোট্ট করে জিজ্ঞাসা করলাম শুধু -কেন মেরেছিলে? -বলি দিয়েছিলাম । শয়তানের জন্য উৎসর্গ করেছি তোর মাকে। আমার চোখ দুটো মনে হয় ঝিলিক দিয়ে উঠল। গতরাতে যা খুঁজছিলাম তা পেয়ে গেছি। পৈশাচিক হাসি দিয়ে বাবার দিকে এগোতে লাগলাম। আমিও শয়তানের পূজারী ! প্রথম বলিদানটা তাহলে পেয়েই গেলাম !
অর্ডার করতে ইনবক্স করুন।
'আমাকে খুঁজবে প্রভাতের প্রথম সূর্যকিরণে। যদি না পাও, খুঁজবে সন্ধায়, যখন সূর্য ডুবি ডুবি করেও ডুবছে না। সাবধান! মধ্যাহ্নে আমাকে কখনো অনুসন্ধান করবে না।'
একটা লজ্জার কথা বলি৷ ছবিতে থাকা বইটি এক ভাইয়া তার এক্স মারিয়ার জন্য অর্ডার করেছে গিফট করবে।
বইটি প্রকাশনীতে কিনতে গেলাম পাশে সিনিয়র কিছু ভাইব্রাদার ছিলো। লজ্জায় আর বইয়ের নামটা বলতে পারলাম না দোকানদার কে। বারবার বলতেছি ভাই মারিয়ার বইটি আছে? বলদ দোকানদার তাও বুঝেনা, বলতেছে কিসের মারিয়া কার মারিয়া, অবশেষে লজ্জার মাথা খেয়ে বললাম মারিয়ার ব্লাউজ আছে? এটা শুনে পাশের বড় ভাইরা সবাই হা করে তাকিয়ে আছে আমি তাড়াতাড়ি করে বইটি নিয়ে চলে এসেছি। 🙂
বই নিয়ে এসে আর এক বিপদ, এই বই রাখতে হয় লুকিয়ে কেউ দেখলেই বলে কিরে মারিয়ার ব্লাউজটা একটু দে আমরাও পড়ি। 😑
~সংগ্রহীত
এই বছর হজ্জ করতে গিয়ে মারা গেছেন ৩৫ জন বাংলাদেশি ! আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতবাসী করুক। আমিন।
আহমদ ছফা’র ১০টি বেস্ট সেলার বই
১. যদ্যপি আমার গুরু
২. গাভী বিত্তান্ত
৩. ওঙ্কার
৪. পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ
৫. সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাস
৬. সূর্য তুমি সাথী
৭. অলাতচক্র
৮. বাঙালি মুসলমানের মন
৯. সাম্প্রতিক বিবেচনা: বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস
১০. অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী
** অর্ডার করতে ইনবক্সে আপনার ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিন।
একজন হুমায়ূন আহমেদ, যাকে ভালোবাসে এই বাংলার প্রতিটি বই প্রেমী!
🌿মিসির আলী সমগ্র ১,২
🌿হিমু সমগ্র ১,২
😐
রাসেল ভাইপারের বিস্তার নিয়ে ফেসবুক-ইউটিউব থেকে শুরু করে মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে পর্যন্ত যে ধরনের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ছে, তা নিঃসন্দেহ আতংকজনক। বিশেষ করে দেশের কৃষকদের জন্য। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষের এখুনি সুস্পষ্ট বিবৃতি প্রদান এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ। নাহলে এটি মানুষের প্রাণহানি থেকে শুরু করে দেশের সামগ্রিক কৃষিক্ষেত্রের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি ডেকে আনবে। সঙ্গে নানাবিধ গুজব ছড়িয়ে পড়ারও আশংকা রয়েছে। যার পরিণাম হবে আরও ভয়ংকর। বছর তিনেক আগে 'প্রিয়তম অসুখ সে' উপন্যাসটি লেখার সময় গল্পের প্রয়োজনে রাসেল ভাইপারের বিষয়ে বিস্তারিত লিখতে হয়েছিল। আর লিখতে গিয়ে পড়াশোনাও করতে হয়েছিল বিস্তর। সেই পড়াশোনা করতে গিয়ে রাসেল ভাইপার সম্পর্কে যে তথ্য পেয়েছিলাম, তাতে রীতিমতো গা শিউরে উঠেছিল। সেখান থেকে খানিকটা উদ্ধৃত করছি-
‘এইটার নাম কী?’ জিজ্ঞেস করল রাশু।
‘রাসেল ভাইপার।’
‘ইংলিশ সাপ?’
‘বাংলা নামও আছে।’
‘কী নাম?’
‘চন্দ্রবোড়া।’
‘বিষ আছে?’
জামশেদ হাসলেন, ‘বিষ না থাকলে এই সাপে আমাদের কাজ কী?’
‘অল্প বিষ, না বেশি বিষ?’
‘পৃথিবীর অন্যতম বিষধর সাপ এটা। অনেকেই মনে করেন, বিশ্বে যত সাপ আছে তার মধ্যে ছোবল মারার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে দ্রুতগতির। এক সেকেন্ডের ষোল ভাগের এক ভাগ সময়ে ছোবল মারতে পারে এটা। এর বিষ দাঁত পৃথিবীতে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ।’
রাশু ভয়ার্ত চোখে তাকায়। জামশেদের হাতে একটা প্ল্যাস্টিকের বড় বোতল। মুখ খোলা। সেই বোতলের ভেতর বাদামী ফুঁটকিওয়ালা সাপটাকে দেখলেই আতঙ্কে হিম হয়ে আসে শরীর। এতো দূর থেকেও তার তীব্র হিসহিস শব্দ শোনা যাচ্ছে।
জামশেদ বললেন, ‘এর মূল খাবার ইঁদুর, টিকটিকি। এটা এতোটাই বিষাক্ত যে তাৎক্ষণিক মৃত্যু ছাড়াও এর বিষে শরীরের মাংস পচে গিয়ে বা রক্ত জমাট বেঁধে মানুষের মৃত্যু হয়। এমনকি অঙ্গহানিও হয়। বেশ কিছুদিন এটা বাংলাদেশে দেখা যায়নি। এখন আবার দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে পদ্মা নদীর আশেপাশের এলাকায়।’
উল্লেখ্য - এবছর থেকে মানিকগঞ্জ, দোহার, মুন্সিগঞ্জ এমনকি ঢাকাসহ দেশের প্রায় ২৫ টির মতো জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এই সাপ। যেহেতু ইঁদুর এদের প্রধান খাবার সেহেতু ফসলি জমিতে এর বিস্তার সবচেয়ে বেশি। যা দেশের কৃষি ও কৃষকদের জন্য ভয়াবহ অশনী। বিষয়টি নিয়ে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে, অন্য সাপ যখন মানুষের উপস্থিতি বা পায়ের শব্দে পালিয়ে যায়, রাসেল ভাইপার সেখানে পালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে বরং আক্রমনাত্মক হয়ে ছুটে আসে এবং চোখের পলকে ছোবল বসায়। সুতরাং এখুনি সময় এ বিষয়ে সরকারি তরফে স্পষ্ট নির্দেশনা, সঠিক তথ্য সরবরাহ , সচেতনতা বৃদ্ধি, নিয়মিত বিবৃতি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ...
©সাদাত হোসাইন।
প্রিয় পাঠক!
ছবির বইগুলো প্রতিটি পাওয়া যাচ্ছে বিশাল অফারে!!
❣️
ধর্ম চর্চা নিয়ে গল্প করতে করতে হুট করে এক নতুন ধর্মের আবর্তন হয়। এই ধর্মে উঠে আসে একজন নতুন নবী দাবিদার এবং তার ধর্মের ইতিহাস৷ বাংলাদেশেও রয়েছে এই ধর্মের উল্লেখযোগ্য অনুসারী।
এই বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাতায় পাবেন এই ধর্মের উৎপত্তি, ক্রমধারা এবং তাদের যাপিত জীবনের গল্প, কাজী ম্যাকের রোমাঞ্চকর এই বইটি খুলে দিবে আপনার ভাবনার দুয়ার।
আমন্ত্রণ অসীমের পথে।
★বইঃ বাহাইজম (এক ইরানী নবীর উত্থান)
লেখকঃ কাজী ম্যাক
প্রচ্ছদ মূল্যঃ ৩০০ টাকা
বিক্রয় মূল্য : ১৮০ টাকা। (ফ্রী ডেলিভারি)
অর্ডার করতে আপনার ঠিকানা এবং ফোন নম্বর ইনবক্স করুন।
🙂
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Mirpur
1216
387/A, 1st Colony, Mirpur-1, Dhaka
Mirpur, 1216
A place for any kind of Books. Different than all. "এখানে সকল ধরনের বই পাওয়া যায়। সবার থেকে আলাদা"- খিদমত.কম।
Dhaka
Mirpur, 1216
খুব সহজেই সকল ধরনের ইসলামিক বই তাফসীর কুরআন ও হাদীস সংগ্রহ করতে পারবেন আমাদের থেকে।
Mirpur
"দ্বীনি জ্ঞান শিক্ষা করা ফরজ " ইসলামিক সকল প্রকার বই পাইকারি এবং খুচরা বিক্রি করা হয়❤️
House: 1363, Road: 7, Avenue: 3, Mirpur DOHS, Dhaka
Mirpur, 1216
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।
Mirpur
This is a virtual bookshop, Most probably with the largest Book inventory. Just let us know which kin