Ecomerch
Nearby shops
Dhaka
Shekhertek/6
No Road, Dhaka
2nd & 3rd Floor, Dhaka
Dhaka 1207
Mohammadpur, Dhaka
Mohammadpur, Dhaka
ঢাকা, Dhaka
Mohammadpur, Dhaka
Dhaka 1207
Mohammadpur, Dhaka
Mohammadpur, Dhaka
Mohammadpur, Dhaka
Dhaka 1207
Mohammadpur, Dhaka
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Ecomerch, Shopping & retail, Muhammadpur.
করোনাকালীন বিধিনিষেধের কারনে। রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর খুব বাজে প্রভাব পড়েছে। যথেষ্ঠ পরিমান ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি না থাকায় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখাও সম্ভব হচ্ছে না। ৪,৫১,৬৬২ রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষা ব্যবস্থার উপর করোনার প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে মুল রিপোর্টটি পড়ে দেখতে পারেন। নিচে লিংক দিয়ে দিলাম।
In Bangladesh 🇧🇩, prior to the outbreak of , 694 thousand Rohingya children and youth were reported to be in need of education support as they could not access formal education and relied on informal learning centers.👧🧒
The closure of learning centers and the move towards remote learning modalities throughout the pandemic have exacerbated these inequalities and amplified challenges in accessing .
As a result, in early 2021, 61% of caregivers across refugee camps have reported that their children had no access to any learning modalities and 90% reported that their children are unable to access the internet to continue their education.🚸
Learn more about the impact of COVID-19 on Rohingya children in ➡: https://bit.ly/3dS43eJ
According to the April 2021 COVID-19 Situational Analysis report for Bangladesh 🇧🇩.
On March 22, a massive fire broke out in Cox´s Bazar refugee camp in Bangladesh 🇧🇩. The incident affected nearly 88,000 individuals while leaving an estimated 45,000 temporarily displaced due to 10,100 shelters having been damaged. According to government sources, the fire led to 11 deaths with more than 500 injured.
🔥The fire impacted heavily on almost all humanitarian service delivery. Temporary relocation of the affected population made the camps even more congested, putting people at risk of disease outbreak including .
Learn more about the fire incident in Cox’s Bazar by reading the March 2021 COVID-19 situation analysis report ➡: https://bit.ly/2SjR79t
Flower Maze
The Flower Maze
Device: Nikon D3200
Charukola, Dhaka University
13-02-2014
ভবঘুরের খেরো খাতা....... ১১
রাজ ধনেশের দেশ ক্রিস্তংয়ে
ক্রিস্তং এর দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে, ক্রিস্তং এর বনের বুক চিরে গাইড ডং মুরং সহ হেঁটে চলছি চুড়ার দিকে। চাঁদের গাড়ির রাস্তা থেকে ট্রেকিং এর রাস্তায় ঢুকতেই আর কোন পথের চিহ্ন নেই, গভীর বন, কিছু কিছু জায়গায় সূর্যের আলোও প্রবেশ করে না। এখন আমরা বেশিরভাগ সময় উপরের দিকে উঠছি। তার পরও ব্যাগ না থাকায় ও ছায়া থাকায় ট্রেকিং করতে কষ্ট কম হচ্ছিলো। গাছ কাটা দেখতে ও ছবি তুলতে অনেকটা সময় নষ্ট করে ফেলেছি তাই দ্রুত পা ফেলে উঠে যাচ্ছিলাম পাহাড়ের ধার ধরে। নামার সময় নামছিলাম দৌড় দিয়ে।
যত সামনে যাচ্ছি বন তত ঘন হচ্ছে। পথের চিহ্নতো নেইই, ঘন জঙ্গলে গাছের ডাল ও লতায় পা আটকে যাচ্ছিলো। ডং দা আমাদেরকে নিয়ে যাচ্ছিল আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যের পথে। একটা বিষয় আমাকে স্বস্থি দিচ্ছিলো যে এই দিকটাতে কাঠ চোরাকারবারীদের কালো থাবা এখনো পড়েনি। আমরা আশা করাছিলামি এদিকটায় রাজ ধনেশের দেখা মিললেও মিলতে পারে। রাজ ধনেশের বসবাস গহিন বনে। ধনেশ দারুন ভাবে স্থান কালের উপর নির্ভর করে । একটি জোড়া একই এলাকায় আজীবন থাকে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানুষ সৃষ্ট দুর্যোগের কারণে অনেক সময় বাধ্য হয়ে বাসা বদল করে। ডং মুরং জানালো কয়েকটা ধনেশের জোড়া ক্রিস্তংয়ের চুড়ার আশপাশে এখনো আছে। কাঠ চোরাকারবারীদের থাবা বনের যতো গভিরে বিস্তৃত হচ্ছে ধনেশপাখিগুলো ততো গভিরে চলে যাচ্ছে। আমরা চুড়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছি আর উপরের দিকে লক্ষ্য রাখছি যদি রাজ ধনেশের দেখা পাই?
রাজ ধনেশ খুজতে যেয়ে আরা লক্ষ্যই করিনি যে, আমরা কোন একটা প্রাণীর পায়ের ছাপ অনুসরণ করে অগ্রসর হচ্ছি। ডং দাকে জিজ্ঞেস করতেই বললো চিতা বাঘের পায়ের ছাপ এগুলো। আরো বললো বাঘটা ক্ষুধার্ত। মাঝে মাঝে পথের মধ্যে বড় বড় আঁচড়ের চিহ্ন, যেনো চিতা তার রাগ প্রকাশ করেছে। চিতাবাঘ যখন খুব ক্ষুধার্ত থাকে তখন সে এভাবেই আচর কাটে। ডং দা আমাদেরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মনে হচ্ছে আমারা যেন চিতাবাঘটিকেই অনুসরণ করছি।
কিছু সামনে যেতেই দেখি চিতাবাঘের বিষ্ঠা। দেখে ডং দা বললো দেখুন দেখুন চিতাবাঘ পায়খানা করেছে খুব বেশি হলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগে, ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন ভিতরে হরিণের লোম দেখা যাচ্ছে। অথ্যাৎ শেষবার চিতাটা একটা হরিণ শিকার করেছে। ভয়ে আমাদের আত্মা শুকিয়ে গেল। আমরা একটি ক্ষুধার্ত চিতা বাঘকে অনুসরণ করে ক্রিস্তং এর চুড়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছি যে কিনা এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগেও এই জায়গায় ছিল।
যাই হোক উপায় নেই, আমাদের সামনে অগ্রসর হতেই হবে। সবার হাতে লাঠি থাকলেও হাসান ভাইয়ের হাতে লাঠি নেই, তাই সে লাঠি কেটে নিল, এমন ভাব লাঠি দিয়ে চিতাবাঘ কাবু করে ফেলবে। রাস্তার ঘন জঙ্গল অচেনা পথ, পথ হারানোর ভয়, সবশেষে চিতা বাঘের ভয় পেরিয়ে যখন আমরা চুড়ায় পৌঁছাই অজানা এক ভালো লাগা আমাদেরকে ছুঁয়ে গেল। প্রথমে বসলাম পূর্ববর্তী ক্রিস্তং বিজয়ীদের সামিট নোট নিয়ে। পেয়ে গেলাম ব্যাকপ্যাকার্স খ্যাত লিজেন্ড ট্রেকার জাফর ইকবাল,তানভীর হোসাইন, নাজমুল হাসানের মতো ট্রেকারের সামিট নোট। প্রত্যেকেই সামিট নোটে তাদের সামিটের তারিখ, সময় ও দলে সদস্যদের নাম লিখে রেখেছেন। অনেকে লিখে গেছেন তাদের দীর্ঘ চলার পথে পাওয়া অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ, আনন্দ, কষ্ট, ভালোলাগা, ভালোবাসার কথা। লিজেন্ডদের পাশাপাশি প্রিয় কিছু ট্রেকারদের সামিট নোটও পেলাম। তাদের মধ্য সেতু দাস ও তানিস্ক অন্যতম। বর্তমান ট্রেকারদের মাঝে সেতু দাস একটি পরিচিত নাম। বিশেষ করে বলতেই হয় টিম দুর্জয় খ্যাত তানিস্ক এর কথা। এই বয়সে ওরা যেভাবে বাংলাদেশের পাহাড়ের আনাচে কানাচে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অচিরেই তারা সবার দৃষ্টিতে চলে আসবে এ আমি নিশ্চিত।
এরপর আসলো আমাদের সামিট নোট লেখার পালা। আগের মতোই সামিট নোট লিখতে বসলেন কিরন ভাই। এই ফাকে আমরা সংগে থাকা শুকনো খাবার খেয়ে পানি খেয়ে নিলাম। এরপর সামিট নোটগুলো আবার বোতলে ভরে ঝুলিয়ে দিলাম। ভাবতে ভাল লাগছিল যে এইসব লিজেন্ড ও প্রিয় পর্বতারোহীদের সামিট নোটের সাথে আমাদের সামিট নোটগুলোও স্থান পাবে ক্রিস্তং এর চুড়ায় বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ। পরবর্তীতে অন্য কোন পর্বতারোহীর দল হয়তো আমাদের এই সামিট নোটগুলো বের করে বোঝার চেষ্টা করবেন নোটের পিছনে লুকিয়ে থাকা গল্পগুলো।
পাহাড়ের চুড়া থেকে আমাদের গাইড ডং মুরং দেখাতে থাকলো কোন পাহাড় কোন দিকে, কোন পাড়া কোন দিকে, কোন পাড়ায় কোন রাস্তায় যেতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। ঘন ঝোপের মধ্য থেকে আশপাশের দৃশ্য ক্যমেরাবন্দী করে আমরা অতি দ্রুততার সহিত খ্যামচং পাড়ার দিকে পা বাড়ালাম।
শাহ জামাল চৌধুরী রেয়ার
২২শে মার্চ ২০১৯
খ্যামচং পাড়া, আলিকদম, বান্দরবান।
রাজ ধনেশের দেশ ক্রিস্তংয়ে - ভালো সংবাদ ক্রিস্তং এর দীর্ঘশ্বাস বুকে নিয়ে, ক্রিস্তং এর বনের বুক চিরে গাইড ডং মুরং সহ হেঁটে চলছি চুড়ার দিকে। চাঁদের গাড়ির রা...
ভবোঘুরের থেরো খাতা ...........১০
রাজ ধনেশের বনে শকুনের কালো থাবা
গাইড ডং মুরং সহ আমরা বেরিয়ে পড়লাম ক্রিস তং এর পথে। আমাদের সকলের ভিতরেই এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করছিল, কারণ অনেকদিন থেকেই আমরা শুনে আসছি বাংলাদেশের অন্যতম এক্সাইটিং ট্রেকিং রুট হচ্ছে ক্রিসতং। আমরা অপেক্ষা করছিলাম বেশ কিছু অজানা ভালো লাগার, নতুন কিছু চ্যালেঞ্জের, নতুন কিছু দেখার। কিছুদুর এগুতেই বুঝতে পারলাম কেন ক্রিসতংকে অন্যতম এক্সাইটেড ট্রেকিং রুট বলা হয়। আমি বাংলাদেশের যতগুলো ঘন প্রাকৃতিক বন দেখেছি, কোনোটাতেই ক্রিসতং এর মতো এতো বিশাল বিশাল বৃক্ষ দেখিনি, এক একটি বৃক্ষ যে কত বছরের পুরনো তা বলা মুশকিল।
পাহাড়ের ঢালে বিশাল বিশাল বৃক্ষ, আর ঘন জঙ্গল, কিছু কিছু যায়গায় সুর্যের আলোও প্রবেশ করে না। মানুষের চলাচল নেই, কেমন যেন গা ছমছমে পরিবেশ।আমরা হাটছিলাম আর মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। এই ঘন জঙ্গলের ভিতর এক একবার পাহাড়ের নিচে নামা, আবার পরক্ষনেই উপরে ওঠা। আমাদের এক্সাইটমেন্ট এত বেশি ছিল যে আমরা নামার সময় দৌড় দিয়ে নেমে ওই গতিতেই উপরে ওঠার চেষ্টা করছিলাম। কিরণ ভাই বলছিল আপনারা কিন্তু বেশি তাড়াহুড়া করছেন, একটু ধীরেসুস্থে যাই। কিন্তু আমাদেরকে মুগ্ধতার ঘোর যেন কাটছেই না। ডং দার কাছে জানতে পারলাম এই বনে এখনো অনেক প্রাণী আছে মাঝে মাঝে চোখে পড়ে চিতা বাঘ, ভাল্লুক. হরিণ, বানর, সাপ, ময়ূর সহ আরো অনেক পশু পাখি। সবথেকে বড় কথা হচ্ছে এখানে দেখা যায় রাজ ধনেশ। রাজ ধনেশ প্রকৃতির এক অপরূপ শোভা। সৌন্দর্যের প্রতীক। এদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অঙ্গ হচ্ছে লম্বা ঠোঁট। সারা দেহে সাদা-কালো ও হলুদ রংয়ের নয়নাভিরাম ছোপ। মানুষের মতোই এদের চোখের পাতার নিচে চুল রয়েছে। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম পাখিদের একটি। এর ঠোঁটের মাথা থেকে লেজের শেষ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৯৫ থেকে ১০৫ সেন্টিমিটার, অর্থাৎ এরা আকৃতিতে শকুনের চেয়েও অনেক বড়। রাজ ধনেশের বসবাস গহিন বনে। ধনেশ দারুণ ভাবে স্থান কালের উপর নির্ভর করে । একটি জোড়া একই এলাকায় আজীবন থাকে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানুষ সৃষ্ট দুর্যোগের কারণে অনেক সময় বাধ্য হয়ে বাসা বদল করে। বাংলাদেশে এটি বিরল এবং প্রায় বিলীন পাখী। একসময় সম্ভবত সব মিশ্র চিরসবুজ বনেই রাজ ধনেশ বাস করতো। এখন বাংলাদেশে ক্রিস্তং ছাড়া অন্য কোন বনে চোখে পরে না। বাংলাদেশ ছাড়ারাও নেপাল, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় রাজ ধনেশ পাওয়া যায়।
আমাদের ঘোর কাটতে বেশি সময় লাগল না, এর জন্য আমরা মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। বনের একটু ভিতরে ঢুকতেই আমরা কিছু কাটা গাছ দেখতে পেলাম। ডং দা কে জিজ্ঞেস করতেই জানতে পারলাম কে বা কারা গাছ কেটে কেটে চান্দের গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছে। কেওকারাডাং এর কথা মনে পরে গেল, এমনি ভাবে গাছ কাটতে কাটতে কেওকারাডাং এর বৃক্ষরাজি ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে। আমরা যারা কেওকারাডাং ট্রেকিং করেছি, তারা দেখেছি পুরো পাহাড়ে কোন গাছ নেই একদম ন্যাড়া পাহাড়, ওই পাহাড়ও একদিন পরিপূর্ণ ছিল বড় বড় বৃক্ষে। আর কেওকারাডাং এর চান্দের গাড়ির রাস্তাও তৈরী করেছিল কাঠ চোরাকারবারীরা।
ক্রিস্তং এর গাহাড়েও কাঠ চোরাকারবারীদের অশুভ থাবা পরেছে। কান পাতলেই বিভিন্ন দিক থেকে গাছ কাটার শব্দ আসছিল। চান্দের গাড়ির পথ দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতেই আমাদের বিস্ময়ের সীমা রইল না, এই খাড়া রাস্তা মাঝে মধ্যে কাঠের ভাঙ্গা ব্রীজ, এর মধ্য দিয়ে কাঠ বোঝাই গাড়িগুলো কিভাবে যায়, আসে সৃষ্টিকর্তাই জানে। হাসান ভাইয়ের কাছে জানা গেল গাড়ি চালাতে তিন জন ড্রাইভার লাগে।
গভীর বনে ঠুকতেই দেখলাম গাছ কাটার উৎসব শুরু হয়ে গেছে। বনের নিস্তদ্ধতা ভেঙ্গে বেশকিছু শ্রমিক করাত, দা, কুঠার নিয়ে ঝাপিয়ে পরেছে বৃক্ষরাজির বুকে, বিরাট বিরাট বৃক্ষের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে নিপুন দক্ষতায়। একটু এগিয়ে জিজ্ঞেস করতেই জানা গেল, তারা আছে ১০ জন, মূলত এসেছে কক্সবাজার, উখিয়া, চকরিয়া এইসব অঞ্চল থেকে। সকলেই থাকে খ্যামচং বা পারাও পাড়াতে। সভাবত মনে প্রশ্ন জাগে গভীর জঙ্গলে এরা কারা, জিজ্ঞেস করলাম আপনাদের কারা এখানে পাঠিয়েছে, এইসব কাঠ যায় কোথায়? আমাদের সঙ্গে কথা না বাড়িয়ে ওরা নিজের কাজে মন দেয়, শরীরী ভাষায় বুঝিয়ে দেয় এসব প্রশ্ন করে কোন লাভ নেই বরং সমস্যা হতে পারে, আমরাও ঝামেলা এড়িয়ে হাঁটতে শুরু করি।
একসময় গাছ কাটার শব্দ বাতাসে মিলিয়ে যায়, কিন্তু আমি আকাশে কান পাতলেই শুনতে পাই ক্রিস্তং এর কান্না। মনের মধ্যে একটি প্রশ্ন, কারা এই অশুভ শক্তি, একের পর এক বন নিধন করে চলছে। কেউ কি দেখার নেই, কিছুই কি করার নেই,। এই লোভী, অমানুষ ও মহাশক্তিধর অশুরের কাছে কি আমাদের বন, আমাদের জঙ্গল, আমাদের প্রকৃতি, আমাদের জীব বৈচিত্র, আমরা, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম, আমাদের মানবতা জিম্মি? তাহলে পরবর্তীতে কোন একদিন ক্রিস্তং অভিযাত্রীদের কাছে গাইডরা গল্প করবে, একদা এই পাহাড়ের বুকে বিরাট বিরাট গাছ ছিল, ছিল ঘন জঙ্গল যেখানে সুর্যের আলো প্রবেশ করত না, ছিল চিতা বাঘ, হরিণ, ভাল্লুক. অজগর সাপ, ময়ুর, বানরসহ অনেক প্রাণী। বাংলাদেশে একমাত্র এখানেই দেখা যেতো রাজ ধনেশ।
পুনশ্চঃ সুন্দরবনকে রক্ষা করার জন্য যেরকম আন্দোলন, রোডর্মাচ, টকশো দেখি, ক্রিস্তং নিয়ে দেখিনা কেন? হয়তো গাহাড় নিয়ে বেশী কথা বলতে মানা .........
২২শে মার্চ ২০১৯
ক্রিস্তং, আলিকদম, বান্দরবান।
রাজ ধনেশের বনে শকুনের কালো থাবা - ভালো সংবাদ গাইড ডং মুরং সহ আমরা বেরিয়ে পড়লাম ক্রিস তং এর পথে। আমাদের সকলের ভিতরেই এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করছিল, কারণ অনেকদিন...
ভবোঘুরের খেরো খাতা --------- ৯
রংরাং থেকে নেমে এলাম খ্যামচং পাড়ায়
আলীকদমের ছোট্ট ছবির মত সুন্দর একটি পাড়া, খ্যামচং পাড়া, অনেকে বলে পারাও পাড়া। পাহাড়ের ঢালে এগারোটি পরিবার, সকলেই মুরং। পাহাড়ের উপর থেকে তাকালে আপনাকে মুগ্ধ হয়ে দাড়িয়ে যেতেই হবে। নিজের অজান্তেই আংগুল চলে যাবে ক্যামেরার সাটারে। অনেকক্ষন ট্রেকিং করার পর ছবির মতো এমন একটা পাহাড়ি একটা গ্রাম দেখলে যেকারোই মন আনন্দে নেচে উঠতে বাধ্য, প্রথমত এমন সুন্দর একটা দৃশ্যর ভালোলাগা আর দ্বিতীয়ত কঠিন ট্রেকিংএর আপাত পরিসমাপ্তিতে। ক্রিস্তং রংরাং (অনেকে বলে রুংরাং) এর পথে ট্রেকিং এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পানির উৎসের স্বল্পতা, পথে কোন দোকান না থাকা ও এক পাড়া থেকে আর এক পাড়ার দুরত্ব। ফলশ্রুতিতে পানি ও খাবার বহন করার কারনে ব্যাগের ওজন বেশী থাকে। আর কিছুক্ষন পরপর প্রশ্ন আর কতদুর? আর কয়টি পাহাড় পার হতে হবে? আর কতক্ষন লাগবে? এই অবস্থায় একটা পাড়ায় পৌছাতে পারা মানে বিশ্রামের সুযোগ, গোসলের সযোগ, ইচ্ছামতো পানি পানের সুযোগ এবং রান্না করে খাওয়ার সুযোগ। সবচেয়ে বড় স্বস্থি হচ্ছে লক্ষের দিকে আর এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার।
খ্যামচং পাড়ার শুরুতেই একটি নোটিশ বোর্ডে নির্দেশনা চোখে পরলো, বাংলায় এবং তাদের স্থানীয় ভাষায় লেখা, “সবাই অনুরোধ করছি, দয়া করে এই পাড়ায় প্রবেশ করলে মদ, গাজা, ইয়াবা, আফিন ইত্যাদি নিয়ে আসা যাবে না। যদি এসব দ্রব্য প্রবেশ করলে ৫,০০০ টাকা জরিমানা দিতে বাধ্য হতে হবে।” নির্দেশনা পেড়িয়ে কাঠের একটা অনাড়ম্বন প্রধান ফটক পেড়িয়ে পাড়ার মধ্যে ঢুকে পড়লাম ধীরে ধীরে। ল্যাং মুরং এর পিছু পিছু আমরা আসলাম ডং মুরং এর ঘরের সামনে। পাড়ার একদম শেষ মাথায় ডং মুরং এর ঘর। বেশ বড় একটা ঘড়, ঢোকার মুখেই ছোট একটা বারান্দা। ঘরের বাম পাশে আর একটা বড় খোলা বারান্দা। বারান্দার রেলিংএ বসে থাকা একটা বন মোরগ স্বভাবসুলভ ডাকে আমাদেরকে স্বাগত জানালো। সিড়ি দিয়ে মাচায় উঠে বারান্দা পেড়িয়ে আমরা ঘরে ঢুকে পরলাম। বড় একটা ঘড়, অন্যান্য মুরং ঘরের মতো এক পাশে রান্নার ব্যবস্থা। একপাশে দেওয়ালে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঝুলিয়ে রাখা। এই ঘরের ভিতর দিয়ে পাশের ছোট ঘরটাতে যাওয়ার দরজা। দরজার পাশেই কলাপাতায় মোড়ানো তিনটি প্যাকেট। ছাদে ঝুলিয়ে রাখা বিভিন্ন আকারের বিভিন্ন ধরনের ঝুড়ি। ঘরের আর একপাশে বিছানা বালিশ গুছিয়ে রাখা, দেওয়ালে কাপড়চোপড় ঝুলিয়ে রাখা। এইপাশে আমরা আমাদের ব্যাগ রেখেই শরীর এলিয়ে দিলাম মেঝেতে।
এরপর আমরা বের হলাম ফ্রেস হবার জন্য, গোসল করতে হবে। মনে হচ্ছে কত যুগ গোসল করি না। আবারও নীচে নামতে হবে ছরায়। কি আর করার পাহার বেয়ে নীচে নামা শুরু করলাম। সেখানে যে আমাদের জন্য আর এক বিশ্বয় অপেক্ষা করছিল তা কে জানত? পাহাডড়ের পাথর এর মধ্যে একটা গর্ত উপরে একটা ছাউনি দেওয়া যাতে ময়লা পাতা নোংরা পানির মধ্যে না পরতে পারে। এই গর্তের মধ্যে কোথায় থেকে পানি আসতেছে এটি আসলে এক বিরাট বিস্ময়। এর আগে আমরা ম্যনিয়াং পাড়ায় দেখেছি, কিন্তু এটা সম্পুর্ন আলাদা। সৃষ্টিকর্তা যেন এই পাহাড়ী জনপদের মানুষদের বেঁচে থাকার জন্য এই ধরনের বিস্ময়কর সব পানির উৎসব দিয়ে রেখেছেন এই পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায়।
পাড়ার লোকজন সেখানে কেউ পানি সংগ্রহ করছে, কেউবা গোসল করছে, আমাদের দেখে তারা আমাদেরকে আগে গোসল করার জন্য জায়গা ছেড়ে দিল। শীতল পানিতে গোসল করে আমরা আমাদের সব ক্লান্তি দুর করলাম। সকলে ফ্রেশ হয়ে বোতলে খাবার পানি সংগ্রহ করে আমরা আবার উপরে উঠে আসলাম ডং দার ঘরে। তখন একটার মতো বাজে, ডং দার সাথে কথা হলো ২:৩০ থেকে তিনটার মধ্যে আমরা রওনা দিব ক্রিস তং এর উদ্দেশ্য, এবার আমাদের সঙ্গে গাইড হিসেবে থাকবেন ডং দা নিজেই। তাহলে এক-দেড় ঘণ্টার মধ্যে আমাদের খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিতে হবে, আবারো রান্নার দায়িত্ব নিলেন আমাদের রন্ধন রাজ হাসান ভাই তাকে সর্বাত্মক সাহায্য করছেন উসাই মারমা। অল্প সময়ে রান্না করতে হবে তাই সিদ্ধান্ত হল খিচুড়ি রান্না হবে। আমাদের রেডি খিচুড়ি মিক্স আছে, রান্না শুরু হয়ে গেল আর আমি ক্যামেরা নিয়ে চলে গেলাম খোলা বারান্দায়।
বিরাট বড় একটা খোলা বারান্দা, প্রায় থাকার ঘরটার সমান। মুরংদের সব ঘরের সংগেই আপনি এমন খোলা বারান্দা দেখতে পাবেন। ডং মুরং এর বারান্দা থেকে পুরো পাড়াটাই দেখা যায়। কোথাও কোন নোংরা বা আবর্জনা চোখে পড়লো না। পুরো গ্রামটাই পাহারের ঢালে হওয়ায় প্রত্যেকটা ঘরের মাচার একটা পাশ মাটির কাছাকাছি হলেও অপর পাশটা বেশ উচু। খোলা বারান্দা থেকে পাড়া দেখা শেষ করে বেরিয়ে পড়লাম খ্যামচং পাড়া দেখতে। হাটছিলাম ও মুগ্ধ নয়নে দেখছিলাম। আগেই বলেছি, মনে হয় শিল্পীর তুলিতে আঁকা একটি গ্রাম, যেখানে শিল্পী পাহাড়ের খাচে থাচে বসিয়ে দিয়েছেনে এক একটি করে ঘর। মুগ্ধতার ঘোর কাটলো একদল শিশুর হাসির শব্দে।
পাশের মাঠেই একদল ছোট ছোট বাচ্চা খেলছে, আমাকে দেখতেই দৌড় দিয়ে আড়ালে চলে গেল। ভাব জমানোর চেষ্টা করলাম কাজ হলো না, আড়াল থেকে মাথা বের করে থিল খিল হাসি। একদিকে দেখলাম তিন-চারটা ছেলে একটা ঠেলা গাড়ি নিয়ে খেলছে, অদ্ভুত সুন্দর একটা গাড়ি। ছবি তোলার চেষ্টা করতেই দ্রুত তারা টানা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেল। পাশেই গাছের নিচে একটা বসার যায়গা, সেখানে বসে মাউথ অর্গান বের করে বাজানো শুরু করলাম, এক এক করে বের হতে শুরু করলো শিশুগুলো। ওরা মন্দিরা ও অন্যান্য যন্ত্র আমার কাছ থেকে নিয়ে যোগ দিল। কিন্তু যখনি মোবাইল বের করে ছবি তুলতে গেছি সব ফেলে দে দৌড়।
আমি ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম আর মুগ্ধ হচ্ছিলাম, পাহাড়ের খাচে খটে ঘর তুলেছে ১১টি পরিবার। বেশিরভাগ ঘড় বাশ, কাঠ ও ছনের তৈরী। অল্পকিছু ঘড়ে টিনের চাল। এরা বাশের কাজ খুব ভালো করে। কত নিপুণভাবে তারা তাদের নিজের ঘর গুলো তৈরি করেছে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। এক একটা ঘর এক একটা বাড়ি, বিশাল বারান্দা আছে, রান্নার ব্যবস্থা আছে শোবার ঘরেরই এক কোনায়। দরকারি সব জিনিস এর মাঝেই সাজিয়ে রেখেছে নিপুন দক্ষতায়। প্রতিটি পরিবার গশু পালন কওে, বেশির ভাগই শুকর ও গরু। কিছু কিছু পরিবার গয়াল, মুরগি এমনকি কবুতরও পালন করে। প্রতিটি পরিবার তাদের খাদ্যের জন্য নির্ভর করে জুম চাষের উপর। পুরো পাড়া ঘুরে দেখতে দেখতে প্রায় এক ঘন্টার মতো লাগল। ডং দার ঘরে এসে দেখি রান্না শেষ, এখন খাওয়ার পালা। খাওয়া শেষে ডং মুরং এর বারান্দা থেকে তাকিয়ে দেখছিলাম এক পাশে ছোট্ট সুন্দর একটি গ্রাম আর এক পাশে বীরদর্পে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে রং রাং। কি যে অপরূপ সৌন্দর্য তা চোখে না দেখলে বর্ণনা করা সম্ভব না। কিরণ ভাইএর ডাকে ঘরে আসলাম, আমাদের বের হতে হবে, আমাদের লক্ষ্য ক্রিস তং....
২২শে মার্চ ২০১৯
খ্যামচং পাড়া, আলিকদম, বান্দরবান।
রংরাং থেকে নেমে এলাম খ্যামচং পাড়ায় - ভালো সংবাদ আলীকদমের ছোট্ট ছবির মত সুন্দর একটি পাড়া, খ্যামচং পাড়া, অনেকে বলে পারাও পাড়া। পাহাড়ের ঢালে এগারোটি পরিবার, সকলেই মু...
In Bangladesh 🇧🇩, survey results across camps in Cox’s Bazar show that 78% of school-aged children from the refugee community are currently not studying, of which 50% are a consequence of COVID-19. On the other hand, 70% of host community children are out of school, with 52% related issues stemming from the pandemic.
🚸 School dropouts have long-lasting implications on child and youth growth while resulting in higher levels of early marriages and pregnancies. In 2021, this continues to be a growing concern.
Learn more about the impacts of COVID-19 on education in Cox’s Bazar ➡: https://bit.ly/3uFhqor
ভবোঘুরের খেরো খাতা ----- ৮
খ্যামচং এর পথে ..
যতই বেলা বারছিল, সুর্যের তাপ ততই বারছিল। আমরা খাওয়া শেষ করে বিশ্রাম নিয়ে
রংরাং থেকে আমরা যাত্রা করলাম খ্যামচং পাড়ার দিকে। আবারো খাড়া পাহাড়ের ধার বেয়ে নিচে নেমে আসা। চুড়া থেকে নিচে নেমে প্রথমেই আমরা যে যার ব্যাগ নিয়ে নেই। ব্যাগ পিঠে চাপাতেই ট্রেকিং এর কষ্ট দিগুন হয়ে গেল, এক একটি ব্যাগের ওজন ৩০ থেকে ৩৫ কেজি, মাসল ক্রাস্প নিয়ে এতো ভাড়ি ব্যাগ নিয়ে হাটাটা আমার জন্য বেশ কঠিন ছিলো। প্রথম বিশ্রামের সময় উসাই এর ব্যাগটা হাতে নিয়ে ওজন পরীক্ষা করে দেখলাম। ওর ব্যাগের সাইজ ছোট ও ওজনে কিছুটৃ কম, আমি দেরী না করে উসাই এর সাথে ব্যাগ পরিবর্তন করে নিলাম। মাসল ক্রাম্পের রুগী হিসেবে এই সুযোগটা আমি নিতেই পারি।
সূর্য মাথার উপর উঠে গিয়েছে, রোদের তেজ ও বেশ ভালই, ঘন জঙ্গল হলেও সুর্যের তাপ ভালোই বোঝা যাচ্ছিলো। তার উপর গাছের ডাল ও লতায় পা আটকে যাচ্ছিলো। ঘন জঙ্গলের মধ্যে পথ চিনিয়ে চিনিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাচ্চিলো ল্যাং মুরং। এই পথে লোকজনের চলাচল কম থাকায় পায়ে চলার রাস্তা স্পষ্ট না। মাঝে মাঝেই সন্দেহ হচ্ছিলো ঠিক পথে আছি তো? সব মিলে ট্রেকিং করতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছিলো। তাই সুযোগ পেলেই কিছুক্ষণ পরপরই বিশ্রাম আর সংগে যা আছে সেখান থেকে হালকা খানাপিনা।
কিছুদুর সামনে যেতেই এক অপরুপ সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করে দিলো। চারিদিক যেন লাল রঙে ছেয়ে গেছে, বনের মধ্যে এত সুন্দর লাল ফুল, মনে হচ্ছে কেউ যেন বনের মধ্যে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। সকলে এগিয়ে গেলেও আমি থেমে গেলাম। এই পাগল করা বুনো সৌন্দর্য্য আমাকে আর এগুতে দিচ্ছিলো না। নাম জানি না, চিনি না, সবগুলো ফুলই আমার অচেনা। একটা ফুল কিছুটা পারিজা ফুলের মতো। পারিজা নামটা রবিন্দ্রনাথের দেওয়া, স্থানীয় নাম সম্ভবত মান্দা বা মাদার। হতেপারে এই ফুলগুলো পারিজার পাহাড়ী জাত। পরে গাইড ল্যাং মুরং কে ফুলগুলোর নাম জানতে চাইলাম। পাহাড়ে মনে হয় কোন ফুলের নাম হয় না, সবই হয় জংলি ফুল নাহয় পাহাড়ী ফুল। বীর বাহাদুর থেকে লেং মুরং পর্যন্ত কেউই জংলি বৃত্তটা ভাঙতে পারল না। এই পাহাড়ি ফুলগুলো অচেনা হলেও এর সৌন্দর্য্য যেন কত দিনের চেনা, কত আপন। এর মাঝে এক চৌম্বকীয় শক্তি আছে যা আপনার দৃষ্টি ওর দিকে নিবদ্ধ করে রাখতে বাধ্য করবে। আর এই লাল ফুলগুলো থেকে লাল রঙ বের হয়ে এসে গাছপালা, বন, পাহাড়, এমনকি দুপুরের সোনলী রোদকেও যেন লাল রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে।
হাসান ভাইয়ের ডাকে সম্বিত ফিরল, আমাদের দল অনেক সামনে চলে গিয়েছে, দ্রুত লয়ে পা চালিয়ে দলের সাথে যোগ দেই। খ্যামচং পাড়ার পথে বিরাট বড় বড় গাছ আর ঘন জঙ্গল থাকলেও, মাঝে মাঝেই বেশ ফাকা পাহাড় পার হতে হচ্ছিল। আমরা যারা দুপুর রোদে খাড়া পাহারে ট্রেকিং এ অভ্যস্থ নই তাদের জন্য ব্যাপারটা এত সহজ ছিল না। পাহাড়ের কড়া রোদ আমাদের ক্লান্ত করে দিচ্ছিল অতি দ্রুত, তারপরও আমরা দ্রুত হাঁটছি আমাদের গন্তব্যে।
ঘড়িতে তখন সম্ভবত ১২ টা ১৫, দূরে সবুজ টিনের একটি ঘর দেখা যায়, আমরা বুঝতে পারি খ্যামচং পাড়া আর বেশি দুরে নেই।
শাহ জামাল চৌধুরী রেয়ার
২২শে মার্চ, ২০১৯
খ্যামচং পাড়া, আলীকদম, বান্দরবান।
খ্যামচং এর পথে - ভালো সংবাদ যতই বেলা বারছিল, সুর্যের তাপ ততই বারছিল। আমরা খাওয়া শেষ করে বিশ্রাম নিয়ে রংরাং থেকে আমরা যাত্রা করলাম খ্যামচং পাড়....
District wise vaccination initiatives
Bangladesh 🇧🇩 launched the nationwide vaccination initiative on February 7. The vaccines are applied in 46 vaccination centers in the capital with around 1,000 centers across the country.
Bangladesh received 9 million doses of the AstraZeneca-Oxford University vaccine, with 6 million doses distributed nationwide. Until the end of February, 3,110,525 (52%) vaccine doses were utilized.
Learn more about the nationwide vaccination initiative in Bangladesh ➡: https://bit.ly/3wjkfgD
ভালোসংবাদে ভবোঘুরের খেরো খাতা - ৭
রংরাং এর চুড়ায় ভবোঘুরের দল
সকাল ০৭ টা ১৫, সূর্য সবেমাত্র দুই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে উকি দিচ্ছে, দুই ঘন্টারও বেশি সময়ের এক্সট্রিম ট্রেকিং শেষে, ভবোঘুরর দল শেষ পর্যন্ত রংরাং সামিট করলো। রংরাং এর চ‚ড়ায় উঠে প্রত্যেকের চোখে মুখে স্বস্থির হাসি আর শারিরিক ভাষায় পাহাড় জয়ের আনন্দ খেলা করছিল। হোক না ১৮তম বা ২০তম, আরও একটি প্রায় ৩০০০ ফুট (২৭৯৫ ফুট) উচু চুড়া থেকে বাংলাদেশের আপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারায় সকলে নিজেদেরকে ভাগ্যবান মনে করছিলো। বিশেষ করে রংরাং আর ক্রিস্তং এ সামিট করার ব্যাপারটাই আলাদা। এমন ঘন বন আর পশুপাখী সমৃদ্ধ পাহাড় রংরাং আর ক্রিস্তং ছাড়া হাতে গোনা কয়েকটা আছে। আমাদের গাইড ল্যাং দা চুড়া থেকে দেখাতে থাকলেন কোন পাহাড় কোন দিকে, কোন পাড়া কোন দিকে, আমরা কোন পথে ফিরবো ইত্যাদি ইত্যাদি। উপর থেকে প্রায় ১০০০ ফুট নিচের খ্যামচং পাড়া দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ের ধার ঘেসে ছোট্ট একটা গ্রাম। পাহাড়ের এক পাশ থেকে সকালের সুর্য আলো ফেলেছে। উপর থেকে পাড়ার অর্ধেকটা অলোকিত আর বাকী অর্ধেকটা গাড় ছায়ায় আবৃত মনে হচ্ছিলো। খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করলে আলোকিত অংশে মানুষের ক্রিয়াকলাপ ও চলাচল দৃষ্টিগোচর হয় আর গাড় কালো ছায়া অপর অংশটাকে রহস্যময় করে রেখেছে। সুর্য যতো উপরে উঠছিলো গাড় ছায়ায় রহস্য ভেদ করে পুরো পাড়াটাই সমানভাবে দৃষ্টিগোচর হচ্ছিলো। কে যে কি অপরুপ লাগছিল তা এই খেরো খাতায় লিপিবদ্ধ করা আমার কম্ম নয়।
এইসব পাহাড়ের চুড়ায় উঠলেই দেখবেন সামিট পয়েন্টে বোতল ভর্তি সামিট নোট প্রথমেই আমরা বসলাম, প‚র্বে যারা সামিট করেছে তাদের সামিট নোটগুলো নিয়ে। বেশকিছু পরিচিত মুখও পেয়ে গেলাম, পেয়ে গেলাম কিছু লিজেন্ড পর্বতারোহীদের সামিট নোটও। প্রত্যেকেই সামিট নোটে তাদের সামিটের তারিখ, সময় ও দলে সদস্যদের নাম লিখে রেখেছেন। অনেকে লিখে গেছেন তাদের দীর্ঘ চলার পথে পাওয়া অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ, আনন্দ, কষ্ট, ভালোলাগা, ভালোবাসার কথা। এখানেই খুজে পাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স না পাওয়া সাত বন্ধুর রক্তমাখা সামিট নোট। যেখানে উঠে এসেছে তাদের দুঃখ, কষ্ঠ, পথ হাড়িয়ে ফেলা, দল ছুট হয়ে যাওয়া, বন্ধুকে হাড়িয়ে ফেলা, এ্যাডভেঞ্চার অনেক কিছু। শুধু এই সামিট নোটটা নিয়েই হতে পারে একটি গল্প, একটি উপন্যাস, তার গল্প আর এক দিন হবে। এইরকম অসংখ্য সামিট নোটে আমরা হাড়িয়ে যাচ্ছিলাম অসংখ্য পর্বতারোহীর দুঃশাহসিক অভিযানে। আমরা এক এক করে দেখছিলাম আর উপলদ্ধি করছিলাম সামিট নোটগুলোগুলোতে লুকিয়ে আছে কত পর্বতারোহীর ঘাম, রক্ত, তাদের প্রচেষ্টা, ভালোবাসা .......।
আমরা রংরাং এর চুড়া থেকে আসপাশের গ্রাম ও পাহাড়গুলি দেখছিলাম। যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। পাহাড়ের উপর থেকে ছবির মতো সুন্দর গ্রামগুলো দেখে ভাবছিলাম আমাদের দেশটা এতো সুন্দর!!! আর নিজের মতো করে ক্যামেরাবন্দী করে রাখার চেষ্টা করছিলাম পাখির চোখে দেখা আমাদের এই দেশটা। কিছুতেই মন ভরছে না। মনের ক্যমেরায় তোলা ছবিগুলো যে তার চেয়ে অনেক বেশী সূন্দর!!!
এখন আমাদের সামিট নোট লেখার পালা, কিরণ ভাই বসলেন সামিট নোট লিখতে। এদিকে ক্ষুধায় আমাদের যায় যায় অবস্থা, আমাদের রাধুনীরাজ হাসান ভাই রান্নার আয়োজন শুরু করলেন। আজকের মেনু স্যুপ উইথ নুডলস্। হাসান ভাই বাঁশ কেটে দ্রæততার সহিত চুলা বানিয়ে ফেললেন, সঙ্গে পাতিল তো ছিলই। আর ফাঁকিবাজ আমি বসে গেলাম ছবি আকতে।
সামিট নোট লেখা শেষে সামিট নোট গুলো যতœসহকারে ভাজ করে বোতলের মধ্যে ঝুলিযয়ে রাখলাম। ভাবতে ভাল লাগছিল যে এইসব লিজেন্ড পর্বতারোহীদের সামিট নোটের সাথে আমাদের সামিট নোটগুলোও স্থান পাবে রংরাং এর চুড়ায় বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ। পরবর্তীতে অন্য কোন পর্বতারোহীর দলগুলো হয়ত আমাদের এই সামিট নোটগুলো বের করে বোঝার চেষ্টা করবেন নোটের পিছনে লুকিয়ে থাকা আনন্দ, ভালোবাসা, শ্রম......
রান্না শেষ হতেই হাসান ভাই তাড়া দিচ্ছিলো তাড়াতাড়ি খাওয়ার জন্য, আমাদের পেটেও ছুচো দৌড়াচ্ছিলো। আমরা দ্রæত খাওয়ার জন্য আসলাম। হাসান ভাই কলা পাতায় করে পরিবেশণ করলেন সুস্বাদু চিকেন কর্ন স্যুপ উইথ নুডল্স। এই ট্যুরের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সুস্বাদু খাবার খুব তৃপ্তি সহকারে খেলাম আমরা। আমরা খাওয়া শেষ করে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। যতই বেলা বাড়ছিল, সুর্যের তাপ ততই বাড়ছিল। আমাদের গাইড ল্যাং মুরং তাড়া দিল, চলেন তাড়াতাড়ি যাই, তাছাড়া পথে গরমে কষ্ট পাবেন।
২১শে মার্চ ২০১৯।
রংরাং, আলীকদম, বান্দরবান।
রংরাং এর চুড়ায় ভবঘুরের দল - ভালো সংবাদ সকাল ০৭ টা ১৫, সূর্য সবেমাত্র দুই পাহাড়ের মাঝ দিয়ে উকি দিচ্ছে, দুই ঘন্টারও বেশি সময়ের এক্সট্রিম ট্রেকিং শেষে, ভবোঘ.....
লুসাই একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। তারা পূর্ব বাংলাদেশ, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং মায়ানমারে বসবাস করে। তারা নিজেদের মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর বংশধর বলে পরিচয় দেয়। তাদের অধিকাংশই পাহাড়ে জুম চাষ করে। লুসাই পাহাড়ের নামেই তাদের নামকরণ হয়েছে। লুসাইদের চাকমারা ‘কুগী’, মারমারা ‘লাঙ্গী’ ও ত্রিপুরারা ‘শিকাম’ নামে অভিহিত করে।
কিংবদন্তী অনুসারে চীন দেশের রাজা চিনলুং তাঁর বাবার সাথে মতের অমিল থাকার কারণে তাঁর অনুসারিদের নিয়ে বার্মায় (মিয়ানমার) চলে আসেন এবং সেখানে গ্রাম তৈরি করে বসতি স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে উক্ত রাজার বংশধররা চিনহিলস, মনিপুর, কাছাড়, মিজোরাম, সাতিকাং (চিটাগাং) অঞ্চলে প্রায় দুশত বছর রাজত্ব করেন। এই রাজার উত্তরসূরী যাম্হুয়াকার রাজত্বকালে তাঁরা বঙ্গ দেশের রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলায় ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৯৯ সালে সরকারী আদম শুমারী অনুযায়ী বাংলাদেশে লুসাই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১০৯৮জন। এছাড়াও ভারতের মিজোরামে অনেক লুসাইয়ের বসবাস রয়েছে। অতীতে লুসাইরা যার যার গ্রামে একেক নিয়মে দেবদেবীর পূজা করতো। পরে লুসাইদের মধ্যে খ্রিস্টানধর্ম বিস্তার লাভ করে। বর্তমানে শতভাগ লুসাই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
আজ ১৯ নভেম্বর - বিশ্ব নারী উদ্যোক্তা দিবস।
সকল নারী উদ্যোক্তাদের eCoMerch এর পক্ষ্য থেকে জানাচ্ছি বিশ্ব নারী উদ্যোক্তা দিবসের শুভেচ্ছা।
eCoMerch এর সংগে থাকুন, এক সাথে সকলে মিলে সামনে এগিয়ে যাবার প্রত্যাশা রাখি সবসময়।।
******** হিমালয়ান পিংক সল্ট ********
খামারের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।
রক সল্ট বা হিমালয়ান পিংক সল্ট গরুকে চেটে খাওয়ার জন্য দেওয়া হয়। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া এদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হিমালয়ান পিংক সল্ট দারুণ ভাবে সহায়তা করে। গরু বা অন্যান্য প্রাণী যখন হিমালয়ান পিংক সল্ট চাটতে থাকে তখন প্রানীর লালার নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়। এতে প্রাণীর হজম সহ সকল শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। এতে গরু অধিক সুস্থ ও অধিক উৎপাদনশীল হয়।
এই রক সল্ট থেকে ৮৪ টি অর্গানিক বা জৈব মিনারেল পাওয়া যায়।
যা প্রানীর শরীরের মিনারেলের অভাব পুরোন করে।
✓হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
✓খাবার গ্রহনের রুচি বৃদ্ধি করে।
✓গরুর প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করে।
✓দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
✓মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
✓দেখতে সুন্দর ও চকচকে করে।
খাওয়ানোর নিয়মঃ
✓গরুর বিশ্রামের জায়গায় এটি রেখে দেওয়া যেতে পারে – চেটে খাওয়ার জন্য।
✓প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে দিনে ১-২ বার চাটার সুজগ দিন।
✓এছাড়া গরুর দানাদার খাদ্যেও ব্যবহার করা যায়।
ভালো প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে ফটোগ্রাফি বক্স গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। কারন সব সময় প্রোডাক্ট নিয়ে আউটডোরের ন্যাচারাল আলোতে ফটোগ্রাফি করা সম্ভব হয় না। আর ইনডোরে ফটোগ্রাফি করার সময়, ইনসাফিশিয়েন্ট আলো ও ব্যাকগ্রাউন্ডের কারনে সবসময় সমস্যায় পড়তে হয়। ফটোগ্রাফি বক্স ব্যবহার করলে এই সমস্যাগুলো থাকে না। এবং পোস্ট প্রসেসিং কস্ট ও হ্যাসেল অনেকটাই কমে যায়।
https://facebook.com/events/s/deshicraft-presents-product-ph/339890883816310/?ti=cl
আসসালামু আলাইকুম
Promotion
প্রমোশন বা প্রচার বলতে কোনো পণ্য, পরিসেবা, ব্র্যান্ড বা প্রথিষ্ঠানের পণ্য, সেবা, লক্ষ্য ইত্যাদি ভোক্তাদের জানাতে, বোঝাতে বা মটিভেট করতে ব্যবহৃত কোনো ধরণের মার্কেটিং যোগাযোগকে বোঝায়।
প্রচারের লক্ষ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, আগ্রহ তৈরি করা, বিক্রয় বৃদ্ধি করা বা ব্র্যান্ডের আনুগত্য তৈরি করা।
Boosting
বুস্টিং এমন প্রমোশনের এমন এক্টা পার্ট নির্দিষ্ট পন্য বা পোস্ট, বা এক্টিভিটি কাস্টমারদের নজরে নিয়ে আসে।
পেইজের ক্ষেত্রে প্রমোশন ও বুস্টিংয়ের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে- পেইজকে একদল নির্দিষ্ট দর্শকের কাছে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রচার করাই হচ্ছে প্রোমোট।
আর বুস্টিং হয়ে থাকে নির্দিষ্ট কোন পোস্টের। পেইজের কোন পোস্টকে নির্দিষ্ট বয়সের, জেন্ডারের, লোকেশনের বা পেশার মানুষদের কাছে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তুলে ধরাই হচ্ছে বুস্টিং।।
প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি কর্মশালা।
সকলের জন্য উম্মুক্ত।
যৌথভাবে আয়োজন করবে দেশীক্রাফট ও eCoMerch.
স্পন্সরঃ Bengal Hiking, e-chitrokor, ও Quick Tour.
কর্মশালা শেষে অংশগ্রহনকারীদের নিয়ে হবে প্রডাক্ট ফটোগ্রাফি কন্টেস্ট।
পুরষ্কার হিসেবে থাকবে প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফির জন্য পোর্টেবল মিনি স্টুডিও ও ফটোগ্রাফির বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট। আর বিশেষ পুরষ্কার হিসেবে থাকছে, ই-চিত্রকরের পক্ষ থেকে লোগো / ব্যানার, eCoMerch এর পক্ষ থেকে কক্সবাজারে ফটো সাফারি, বেংগল হাইকিং এর পক্ষ থেকে বিচ ট্রেকিং ও কুইক ট্যুর এর পক্ষ থেকে দুই রাত থ্রি ষ্টার হোটেলে রাত্রি যাপন।
দেশীক্রাফট ও eCoMerch Community থেকে ১০ জন করে ২০ জন কর্মশালায় অংশগ্রহন করতে পারবে।
রেজিষ্টেশন শুরুঃ ২০শে আগষ্ট ২০২০, চলবে ২৮শে আগষ্ট ২০২০ পর্যন্ত।
প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি কর্মশালা - ২৮শে আগষ্ট।
রেজিষ্টেশনের পুর্বে যা করতে হবেঃ
১. দেশীক্রাফট বা/এবং eCoMerch গ্রুপে প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি রিলেটেড এক্টা পোস্ট দিতে হবে গ্রুপে। দুই গ্রুপেই দিলে আলাদা ছবি দিতে হবে।
২. পোস্টটি নিজ টাইমলাইনে শেয়ার দিতে হবে।
৩. কম্পক্ষে ২০ টি গ্রুপ, পেজ, বা প্রোফাইলে শেয়ার দিতে হবে।
৪. কমপক্ষে ১০০০ জনকে ইনভাইট করতে হবে।
৫. এর পর রেজিষ্টেশন সম্পন্ন করতে হবে।
৬. পোস্টে উল্লেখ করতে হবে।
রেজিষ্ট্রেশনকৃত দের মধ্য থেকে কমেন্ট, রিয়াকশন, শেয়ার ও জাজ দের মার্কসের বিত্তিতে দেশীক্রাফট থেকে ১০ জন ও eComerch Community থেকে ১০ জন মোট ২০ জন কে সেলেক্ট করে ট্রেইনিং দেওয়া হবে।
ট্রেইনিং শেষে অংশগ্রহনকারাইদে নিয়ে থাকবে প্রোফাক্ট ফটোগ্রাফি কম্পিটিশন।
লোগোঃ
একটি লোগো হল কোন একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠানের সিম্বল বা প্রতীক যেটির মাধ্যমে সেই নির্দিষ্ট কোম্পানির পরিচয় বহন করে।
মাঝে মাঝে লোগো সিম্বল অফ স্টাটাস, সিম্বল অফ কোয়ালিটি বা সিম্বল অফ ট্রাস্ট হয়ে যায়। অনেক সময় জাস্ট একটা লোগোর উপস্থিতির কারনে পণ্যের মুল্য বা বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। আমরা দেখেছি একটি প্রথিষ্ঠানের ব্রান্ড বা লোগো বিলিওন ডলারে বিক্রি হতে। আবার সেই সংগে দেখেছি ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ ও পুরোনো ইমেজ থেকে বের হয়ে নতুন ভাবে ক্রেতাদের সামনে হাজির হবার জন্য লোগো পরিবর্তন করতে। অনেকেই হয়তো মনে করতে পারবেন ইউনিলিভার / লিভার ব্রাদার্সের বাজার ও মার্কেট ইমেজ যখন বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে হুমকির মুখে তখন কোম্পানিটি তাদের পলিসি, স্ট্রটেজির পাশাপাশি তাদের লোগো পরিবর্তন করে কিভাবে বাজারে ঘুরে দাড়িয়েছিলো। সেটা ইউনিলিভারের কর্মকর্তা হিসেবে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠানকেও আমরা লোগো পরিবর্তন করে তাদের ইমেজ ও ব্রান্ড এক্সেপট্যান্স পুনুরুদ্ধার করতে দেখেছি। গ্রামীণ ফোন, সিটি ব্যাংক, রবি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এন সি সি ব্যাংক সহ অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের মধ্যে অন্যতম। গ্লোবাল কোম্পানিগুলোর মধ্যে বি এম ডাব্লিউ, কোকাকোলা, পেপসি, সেল, ম্যাকডোনাল্ড, ডেল, ইয়াহু, গুগল, মাইক্রোসফট, জেনারেল ইলেকট্রনিকস, এ্যাপল সহ অনেক কোম্পানিকেই দেখেছি বহুবার লোগো পরিবর্তন করতে।
তাহলে আমরা বুঝতে পারছি লোগো একটা প্রঠিষ্ঠানের বাজার, ইমেজ ও ব্রান্ডিং এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই যেনোতেনোভাবে আপনার প্রঠিষ্ঠানের লোগো তৈরী না করে প্রতিষ্ঠানের পন্য বা সেবার ধরন, বাজার ও ক্রেতার কথা মাথায় রেখে আকর্ষনীয় ও অর্থবহ লোগো তৈরী করুন। দরকার হলে প্রফেশনাল লোগো ডিজাইনারদের দিয়ে লোগো তৈরী করুন। দেখা গেছে লোগো ডিজাইনের জন্য ব্যয় করা অর্থের পরিমানের চেয়ে এখান থেকে পাওয়া সুবিধার পরিমান অনেক গুন বেশী।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Telephone
Website
Address
Muhammadpur
1207
Mohammadpur Housing Society , Dhaka
Muhammadpur, 1207
Please be connect with us and grab your necessary products staying at home.
House # 16/a, 1 Ring Road, Mohammadpur
Muhammadpur, 1207
The 18th Feb of 2009 EASY’S first starts fashion design house journey by its 1st showroom at 14/21
Plot: 08, Main Road(40 Feet), Mohammadpur Future Town, Bosila
Muhammadpur
Afiq Mart-Trusted Online Fashion House in Bangladesh. Our Listed Product is- 1. Clothes - Panjabi, Sharee, T-shirts, Gaown, Three-piece. 2. Leather- Bag, Wallet, Shoes. 3. Gadgets...
House:20, Road: 7
Muhammadpur, 1213
Online retailer has started its journey with the slogan “Anytime, Anything, Anywhere” where symbolized as 24x7 online store, e-commerce platform in Bangladesh Visit us Link @ https...
Address: House No # 18/4 (2nd Floor), Ring Road, Tikkapara, Block-F, Mohammadpur, Dhaka
Muhammadpur, 1207
Actually Customer Satisfaction is Our passion. We will work until your satisfaction.100% GUARANTEED! My goal is to exceed client expectations and ensure they are 100% satisfied.I l...