ত্রৈমাসিক অগ্রসর বিক্রমপুর
ত্রৈমাসিক অগ্রসর বিক্রমপুর' মূলত বিক?
ত্রৈমাসিক অগ্রসর বিক্রমপুর' মূলত বিক্রমপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতিবিষয়ক সাময়িকী। আগামী সংখ্যার জন্য উপর্যুক্ত যে কোনো বিষয়ে আপনার অপ্রকাশিত লেখাটি নিচের যে কোনো ইমেইলে অথবা ডাক ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন।
Bikrampur Museum- বিক্রমপুর জাদুঘর এর বিষয়ে Rokib Shaon এর Google পর্যালোচনা ★★★★☆ "বিক্রমপুর মিউজিয়াম মুন্সীগঞ্জে। কেউ আড়িয়াল বিল কিংবা শ্রীনগরের অন্য কোন দর্শনীয় স্থান ঘুরতে এলে এই মিউজি....
বিক্রমপুরের অতীত ঐতিহ্য ও প্রত্ন নিদর্শনাদি সংরক্ষণ করা সর্বোপরি প্রদর্শনের জন্য 'অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন' মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার রাড়িখাল ইউনিয়ন এর উত্তর বালাশুর গ্রামের (ভাগ্যকুলের) সাবেক জমিদার যদুনাথ রায়ের ১৯৬৫ সাল থেকে পরিত্যক্ত বাড়িতে “ বিক্রমপুর জাদুঘর-BIKRAMPUR MUSEUM প্রতিষ্ঠা করে। সরকারকে বছরে প্রায় আড়াই লাখ টাকা লীজের টাকা পরিশোধ করে (বাড়ির জমি, দিঘি, মন্দির সহ সমস্ত কিছুর জন্য) জাদুঘরটি পরিচালনা করে আসছে।
** ২০১০ সালের ২৯ মে জাদুঘর ভবনটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এম.পি।
উদ্ধোধন:
**** ২০১৩ সালের ২৮ মে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “বিক্রমপুর জাদুঘর" শুভ উদ্বোধন করেন।
** ২০১৪ সালের ২০ জুন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি জাদুঘরটির দ্বারোদঘাটন করেন। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছে অনুযায়ী বাংলাদেশে একমাত্র নৌকা জাদুঘর ( Boat Museum) উদ্ধোধন করেন জাদুঘর এর সামনের দিঘিতে।
জমিদার যদুনাথ রায়ের এ বাড়ির স্মৃতি রক্ষার্থে প্রায় সাড়ে ১৩ একর জায়গা জুড়ে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও সরকারি অর্থায়নে ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছে জাদুঘর, গেস্ট হাউজ, থিমপার্ক।
তিনতলা ভবনের এ জাদুঘরে প্রবেশ করতেই দু’পাশে দুটি বড় মাটির পাতিল বা মটকা দেখতে পাবেন।
মোট ৭টি গ্যালারিতে রাখা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সব নির্দশন।
নিচতলার বাম পাশের গ্যালারি যদুনাথ রায়ের নামে। এ গ্যালারিতে বিক্রমপুরের প্রাচীন মানচিত্র, বিক্রমপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া পোড়া মাটির নল, মাটিরপাত্র, পোড়া মাটির খেলনাসহ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভিন্ন নিদর্শন আছে।
নিচতলার ডান পাশের গ্যালারিটি স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে। এ গ্যালারিতে আছে ব্যাসাল্ট পাথরের বাটি, গামলা, পাথরের থালা, পোড়া মাটির ইট, টালি, বিক্রমপুরের নানা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার ছবিসহ বিভিন্ন নিদর্শন।
দ্বিতীয় তলার বাম পাশের মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারিতে আছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছবি, ইতিহাস, দলিল, বই ও বিভিন্ন নমুনা। আর ডান পাশের গ্যালারিতে আছে বিক্রমপুরে জন্ম নেয়া মনীষীদের জীবন ও কর্মের বৃত্তান্ত। আরও আছে কাগজ আবিষ্কারের আগে প্রাচীন আমলে ভূর্জ গাছের বাকলে লেখার স্থান।
তৃতীয় তলায় তালপাতায় লেখা পুঁথি, কাঠের সিন্দুক, আদি আমলের মুদ্রা, তাঁতের চরকা, পোড়া মাটির মূর্তি, সিরামিকের থালাসহ প্রাচীন আমলে স্থানীয় মানুষদের ব্যবহার্য বিভিন্ন নিদর্শন।
মাটি খুঁড়ে পাওয়া ১০০০ বছর আগের বিক্রমপুরের হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস
অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রায় দেড় হাজার বছর আগের বৌদ্ধনগরী সহ বেশ কিছু প্রত্ননিদর্শন সন্ধান পায় মাটি খুঁড়ে বিভিন্ন পর্যায়ে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ বছরের মধ্যে বিভিন্ন সভ্যতা গড়ে উঠেছে তার প্রমান করে মাটির নিচে প্রাচীন নগরসভ্যতার আবিষ্কার। ২০১২ সালে রামপালের রঘুরামপুরে বৌদ্ধবিহার আবিষ্কার, টঙ্গিবাড়ীর নাটেশ্বরে এক থেকে দেড় হাজার বছরের পুরোনো একটি বৌদ্ধনগরী আবিষ্কার করা হয়েছে। মাটি খুঁড়ে পাওয়া বিক্রমপুরের হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস ঐতিহ্য একটি গ্যালারীতে নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে। রঘুরামপুর ও নাটেশ্বর থেকে প্রাপ্ত কিছু মহামূল্যবান নির্দশন এই গ্যালারীতে স্হান পেয়েছে। এসব নির্দশন বিক্রমপুরের অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্যবহন করছে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে প্রায় ৩ মিটার গভীর পর্যন্ত মানব বসতির চিহ্ন পাওয়া যায়। বিক্রমপুরের হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতা মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল এতদিন।
বছরের এই সময় দর্শনার্থীর ভিড় জমে এখানে। প্রতিদিন শত শত দর্শক আসছে জাদুঘর পরির্দশন করতে। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে জাদুঘর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন হয়ে থাকে।
সাপ্তাহিক ছুটি:
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে সপ্তাহের বাকি ৬ দিন জাদুঘরটি সর্বসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত থাকে।
আমাদের প্রিয় বিক্রমপুরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, লোকজীবন, শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং অগ্রসর বিক্রমপুর আন্দোলনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে চাই। আমরা আলোর পথযাত্রী। আলোকিত এবং দেশহিতব্রতে উজ্জীবিত মানুষ গড়ে তোলার বহুমুখী কর্মকাণ্ডে আমরা আমাদের ক্ষুদ্রশক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করতে চাই। চলার পথে আমরা আপনাদের পরামর্শ, মতামত ও সহযোগিতা কামনা করছি।
সুধী আমরা আপনার সহযোগিতা চাই: ------=====************====-------
ব্রিটিশ আমল থেকে ব্যবহার্য জিনিসপত্র যেগুলো হয়তো আপনাদের কারো কারো বাড়িতে খুঁজে পাবেন, পূর্বপুরুষের ব্যবহার্য সামগ্রী এছাড়াও বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন দেশ ও সাম্রাজ্যের কয়েন, নোট, যন্ত্রপাতি, ঘরের আসবাব, প্রাচীন তৈজসপত্র, পাথর বা অন্যান্য ধাতু/চীনা মাটি ও মাটির নির্মিত থালা, বাসন, ব্যবহার্য সামগ্রী, কৃষি যন্ত্রপাতি, পুরাতন খাট পালং, চেয়ার, টেবিল, আলমারী, পুঁথি-পত্র, বই তালপাতায় বা হাতে বানানো কাগজে হাতে লেখা প্রাচীন গ্রন্থ এসব আপনার সংগ্রহে আছে বা পরে আছে আপনার বাড়িতে! এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার্য জামা-কাপড়, বই-পত্র অন্যান্য সামগ্রী এবং নৌ জাদুঘরের জন্য নৌকা দান করলে জাদুঘরটি সমৃদ্ধ হবে। আপনার দানকৃত বস্তূটিও অক্ষয় হয়ে থাকবে, সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় আঞ্চলিক জাদুঘর 'বিক্রমপুর জাদুঘর' দেশের মধ্যে একটি উচ্চমানের সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে উঠুক এটা আমাদের একান্ত কামনা।
আমরা চাই আপনিও আমাদের প্রচেষ্টার সহযাত্রী হোন - সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। এই 'বিক্রমপুর জাদুঘর'-এ প্রত্ন ও সাংস্কৃতিক সামগ্রী দান করে আপনিও হতে পারেন জাদুঘর গড়ে তোলার গর্বিত অংশীদার।
উল্লেখ্য যে আমরা প্রতিটি বস্তুর প্রাপ্তির পাকা রশিদ বা দান পত্রের কাগজ দিয়ে থাকি এবং প্রদর্শনীতে দাতার নাম, তাহার পিতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং সংগ্রাহকের নাম ঠিকানাও থাকে। দর্শনার্থী দেখে যেন তৃপ্তি পায় আমরা তাই করি আপনার দান অক্ষয় থাকুক তাই বলছি পুরাতন জিনিস অযন্তে অবহেলায় ফেলে না রেখে আমাদের খবর দিন আমরা গিয়ে নিয়ে আসবো বা সংগ্রহ করবো।
শুভেচ্ছান্তে,
নাছির উদ্দিন আহমেদ জুয়েল
কিউরেটর,
বিক্রমপুর জাদুঘর
মোবাইল/হোয়াটসঅ্যাপ
+ 01711-362913
ই-মেইল: [email protected]
[email protected]
ঠিকানা:
বিক্রমপুর জাদুঘর কমপ্লেক্স
( #বিক্রমপুর_জাদুঘর, #গেস্ট_হাউজ, #নৌকা_জাদুঘর এবং #শহীদ_মুনীর_আজাদ_পাঠাগার
(ভাগ্যকুলের সাবেক জমিদার যদুনাথ রায়ের বাড়ি)
গ্রাম: উত্তর বালাসুর, ইউনিয়ন: রাড়িখাল, উপজেলা: শ্রীনগর, জেলা: মুন্সিগঞ্জ।
ভিজিট করুন ❁ লাইক দিন ❁ফ্রেন্ডস ইনভাইট করুন ❁ শেয়ার করুন ❁ রিভিউ দিন ❁কমেন্ট করুন
✔︎Our page:
https://www.facebook.com/BikrampurMuseum?mibextid=ZbWKwL
https://facebook.com/BikrampurMuseum
https://facebook.com/AgrasharBikrampurFoundation
https://facebook.com/AgrasharBikrampurMagazine
https://facebook.com/BikrampurBihar
✔︎ Our YouTube Channel: https://youtube.com/channel/UCzCiIDrot2rbwmJuG8Uvi_w
✔︎ Our E-mail: [email protected], [email protected]
✔︎ Our Website: https://agrashar-bikrampur.org
✓গুগল ম্যাপ-এ ঘুরে আসুন বিক্রমপুর জাদুঘর
Bikrampur Museum
https://maps.app.goo.gl/1Cm7QUsMcFQobnJR8
#বিক্রমপুর_জাদুঘর
#বিক্রমপুর
#অগ্রসর_বিক্রমপুর_ফাউন্ডেশন
প্রধান কার্যালয়
#বঙ্গীয়_গ্রন্হ_জাদুঘর এবং
#আব্দুল_জব্বার_খান_মুক্ত_মঞ্চ
কনকসার, লৌহজং, বিক্রমপুর, মুন্সিগঞ্জ।
গেস্ট হাউজ
বিক্রমপুর জাদুঘর
অগ্রসর বিক্রমপুর ও লায়ন্স ক্লাবের দিনব্যাপী ফ্রি মেডিক্যাল পথরেখা অনলাইন : জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন এবং লায়ন্স ক্লাব অব মুন্সীগঞ্জ কিংসের যৌথ আয়োজ...
ঢাকার কাছেই ঘুরে আসতে পারেন বিক্রমপুর জাদুঘর
=====
এক পাশে বয়ে গেছে প্রমত্বা পদ্মা আর অন্য প্রান্তে নয়নাভিরাম আড়িয়ল বিল। আর এ বিলের ধারেই গড়ে তুলেছিলেন যদুনাথ রায় বাহাদুর তার জমিদার বাড়ি।
মনোমুগ্ধকর পুরানো বাড়িটিতে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে একই রকম দেখতে কারুকাজ সজ্জিত মুখোমুখি দুটি জরাজীর্ণ প্রাসাদ। কাচারী ঘর, দূর্গা মন্দির, লক্ষীমন্দির। বিভিন্ন প্রজাতির দূর্লভ সব ফুল ও ফলজ গাছগাছালি।
এক সময় এ বাড়িতে পূর্নিমা তিথীতে খুব ঘটা করে পালন হতো রাশ উৎসব। বাড়িটির চারপাশ এক সময় রাতের আধাঁরে বিলের মাঝে আলোয় জলমল করত। প্রথা বিরোধী লেখক, ভাষা বিজ্ঞানী ড. হুমায়ূন আজাদ তার লেখা এক প্রবন্ধ গ্রন্থে এ বাড়িটিকে প্যারিস শহরের সাথে তুলনা করে লিখেছেন, বিলের ধারে প্যারিস শহর।
চির সবুজ গাছ গাছালিতে ঢাকা পাখিদের কিচিমিচির আওয়াজ জাগিয়ে তুলে বাড়ির চারপাশ। তার মাঝে বিশাল বিশাল পুকুর। পুকুরের চারিপাশেই শ্বেতপাথরে নির্মান করা শানবাঁধানো ঘাট। ঘাটের চারপাশের সিঁড়িগুলো পুকুরের মাঝখানে এসে একত্রে মিলিত হয়েছে।
পুকুরগুলো খুব গভীর যার কারনে সব সময়ই থাকে অথৈ জল। পুকুরগুলোর পাশ ঘিরেই অনেকগুলো বাড়ী আছে কিছু বাড়ীতে লোকজন থাকলেও কিছু বাড়ী আছে এখনো পরিত্যক্ত। জমিদার যদুনাথ রায়ের এ বাড়িটির স্মৃতি রক্ষার্থে প্রায় সারে ১৩ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিক্রমপুর জাদুঘর।
অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যোগে ও সরকারি অর্থায়ণে নির্মান করা হয়েছে জাদুঘর, গেস্ট হাউজ, থ্রীমপার্ক।
২০১৩ সালের ২৮ মে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
জাদুঘরের প্রথম তলায় দুইটি গ্যালারি করা হয়েছে। গ্যালারি দুইটির নাম করন করা হয়েছে জমিদার যদুনাথ রায় ও বিজ্ঞানী স্যার জগদ্বীশ চন্দ্র বসুর নামে। আর দ্বিতীয় তলার গ্যালারিটি মুক্তিযোদ্ধা গ্যালারি নামে নাম করন করা হয়েছে।
"বিক্রমপুর জাদুঘর" বিক্রমপুরের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা উপাদান ধারণ করে আছে। বায়ান্নর রক্ত-সিঁড়ি পেরিয়ে বাঙালি জাতির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঁকের নাম একাত্তর। এই একাত্তরেই বাঙালি জাতি তার এক নদী রক্ত ঢেলে দিয়ে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার সূর্যকে এনেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বিজড়িত বস্ত্তগুলো নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে (প্রদর্শিত হচ্ছে) মুক্তিযোদ্ধা গ্যালারী।
বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রায় আড়াই হাজার বছরের। অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে বিক্রমপুরের ঐতিহ্যের অনুসন্ধানে মাটি খুঁড়ে মিলেছে মুন্সিগঞ্জ এর রামপালের রঘুরামপুর বৌদ্ধ বিহার এবং টঙ্গিবাড়ী উপজেলার নাটেশ্বর বৌদ্ধ মন্দির কমপ্লেক্স এ আবিষ্কৃত বেশ কিছু নিদর্শনে; যা শোভা পাচ্ছে বিক্রমপুর জাদুঘর -এ। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরেও রয়েছে এই বাংলা অঞ্চলের হাজার বছরের ঐতিহ্যিক নিদর্শন। এসব নিদর্শন নানা ধরনের।___
জনজীবন, নৌকা, মৃৎশিল্প, পোড়ামাটির নিদর্শন, মূর্তি, কয়েন, অলংকার, হাতির দাঁতের শিল্পকর্ম, প্রাকৃতিক সম্পদ, খাদ্যদ্রব্য, পশুপাখি, জীবজন্তু, গাছপালা, অস্ত্রশস্ত্র, ধাতব শিল্পকর্ম, পুতুল, বাদ্যযন্ত্র, পোশাক, নকশিকাঁথা, কাঠের শিল্পকর্ম, পাণ্ডুলিপি ইত্যাদি।
বাড়িটিতে ঢুকেই পুকুরে দেখতে পাবেন বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী নৌকা। তার মধ্যে সাম্পান নৌকা ও দেখতে পাবেন পুকুরে ভাসানো। এটি নৌকা জাদুঘরের প্রতীকী।
আসুন একবার ঘুরে আসি ঘরের স্বনির্কটে মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়ীখাল গ্রামে অবস্থিত জমিদার যদুনাথ রায়ের বাড়ি। যেখানে নির্মান করা হয়েছে বিক্রমপুর জাদুঘর। বিক্রমপুর সমন্ধে অনেক অজানা তথ্য হয়তো এ জাদুঘরে ভ্রমনে এসে জানতে পারেন।
ঢাকা গুলিস্তান থেকে বালাশুরের উদ্দেশে আরাম বাস ছাড়ে কিছুক্ষন পরপর ভাড়া ৬৫ টাকা এছাড়া পোস্তগোলা থেকেও সেবা পরিবহনে করে যেতে পারেন। সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘন্টা। বালাশুর নেমে রিক্সায় যাওয়া যাবে জমিদার যদুনাথ রায়ের বাড়ি অথাৎ বিক্রমপুর জাদুঘর। ভাড়া লাগবে ২০ টাকা।
শীতকালীন সময় খোলা থাকে শনিবার থেকে বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পযর্ন্ত। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটি আর শুক্রবার ২টা থেকে ৫টা পযর্ন্ত খোলা থাকে। কোন প্রবেশ মূল্য নেই।
বিক্রমপুরের রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এক সময় পূর্ব বঙ্গ বা সমতটের রাজধানী ছিল বিক্রমপুর। আর এ মাটিতেই জম্মগ্রহন করেছেন অনেক মনীষী। বিক্রমপুরের মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছে হাজার বছর আগের নৌকা, কাঠের ভাস্কর্য, পাথরের ভাস্কর্য, টেরাকোটাসহ অসংখ্য অমূল্য প্রত্নস্ত্ত।
এসব অতীত ঐতিহ্য সংরক্ষন করা সর্বোপরি প্রদর্শনের জন্য অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন বিক্রমপুর জাদুঘর। আমরা আলোর পথযাত্রী এ শ্লোগান কে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনটি এ অঞ্চলে কাজ করে যাচ্ছে।
যা যা পাচ্ছেনঃ
• তিন তলা বিশিষ্ট এসি গেষ্ট হাউস
• কার পার্কিং সুবিধা
• অডিটোরিয়াম/ কনফারেন্স রুম
•শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বেডরুম,আধুনিক সুযোগ সম্বলিত ওয়াশরুম
• খেলার মাঠ
• ওপেন স্টেজ
• ২টি বিশাল বিশাল দিঘি
• ৪টি শান বাঁধানো পুকুর ঘাট
• জমিদারীর কাচারী ঘর
• ইউরোপিয়ানদের জন্য গেস্ট হাউস
• ভাগ্যকূলের জমিদার যদুনাথ রায়ের মুখিমুখি ২টি ভবন এবং অন্যান্য স্হাপনা
• তিন তলা বিশিষ্ট বিক্রমপুর জাদুঘর
• নৌকা জাদুঘর
• উন্মুক্ত জাদুঘর
• আরো দেখা যাবে কাচারি ঘর ও নানা প্রজাতির দূর্লভ সব ফুল ও ফলজ গাছ গাছালি।
** নিঃসন্দেহে ছবি তোলার জন্য একটি মনোরম পরিবেশ। আপনার ভ্যাকেশনের সময়গুলো ব্যস্ত শহর থেকে নিকট দূরেই সবুজের মাঝে বিক্রমপুর জাদুঘর ও গেষ্ট হাউস পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হাস্যোজ্জ্বল সময় উপহার দেয়ার জন্যই আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস। মনোরম পরিবেশে পরিবার-পরিজন নিয়ে আছে জমিদার বাড়িতে উপভোগ করার পর্যাপ্ত আয়োজন।
∆ আশেপাশের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান
* স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর বাড়ি
* অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ এর বাড়ি
* আড়িয়াল বিল
* ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি
এ জাদুঘর চত্বরের আয়তন সাড়ে ১৩ একর। ইট পাথরের এই শহরের যান্ত্রিকতা থেকে দূরে পালিয়ে সপরিবারে/ সবান্ধব কিছুটা সময় নিজেদের মতো প্রকৃতির কাছাকাছি উপভোগ করতে চাইলে আজই চলে আসুন।
সুধী আমরা আপনার সহযোগিতা চাই:
------=====***************====-------
প্রাচীন তৈজসপত্র, পাথর বা অন্যান্য ধাতু/চীনা মাটি ও মাটির নির্মিত থালা, বাসন, অতীত যুগের ব্যবহার্য সামগ্রী, কৃষি যন্ত্রপাতি, পুরাতন খাট পালং, চেয়ার, টেবিল, আলমারি, পুঁথি-পত্র, বই তালপাতায় বা হাতে বানানো কাগজে হাতে লেখা প্রাচীন গ্রন্থ, নৌকা, মৃৎশিল্প, পোড়ামাটির নিদর্শন, মূর্তি, কয়েন, অলংকার, হাতির দাঁতের শিল্পকর্ম, প্রাকৃতিক সম্পদ, ধাতব শিল্পকর্ম, পুতুল, বাদ্যযন্ত্র, পোশাক, নকশিকাঁথা, কাঠের শিল্পকর্ম,পাণ্ডুলিপি ইত্যাদি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বিজড়িত বস্তুগুলো নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে (প্রদর্শিত হচ্ছে) মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি।এই মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারির জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার্য জামা-কাপড়, বই-পত্র অন্যান্য সামগ্রী এবং নৌ জাদুঘরের জন্য নৌকা দান করলে জাদুঘরটি সমৃদ্ধ হবে। সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় বিক্রমপুর জাদুঘর দেশের মধ্যে একটি উচ্চমানের সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে উঠুক এটা আমাদের একান্ত কামনা। আমরা চাই আপনিও আমাদের প্রচেষ্টার সহযাত্রী হোন - সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। এই 'বিক্রমপুর জাদুঘর'-এ প্রত্ন ও প্রাচীন সামগ্রী দান করে আপনিও হতে পারেন জাদুঘর গড়ে তোলার গর্বিত অংশীদার।
উল্লেখ্য যে আমরা প্রতিটি বস্তুর প্রাপ্তির পাকা রশিদ বা দানপত্রের কাগজ দিয়ে থাকি এবং প্রদর্শনীতে দাতার নাম, তাহার পিতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং সংগ্রাহকের নাম ঠিকানাও থাকে। দর্শনার্থী দেখে যেন তৃপ্তি পায় আমরা তাই করি আপনার দান অক্ষয় থাকুক। তাই বলছি পুরাতন জিনিস অযত্নে অবহেলায় ফেলে না রেখে আমাদের খবর দিন আমরা গিয়ে নিয়ে আসবো বা সংগ্রহ করবো।
এবার আসা যাক এই জমিদার বাড়ি নিয়ে কিছু কথা___
রাজা সীতানাথ রায়ের দুই পুত্র যদুনাথ রায় এবং প্রিয়নাথ রায়। চল্লিশের দশকে পদ্মার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আড়িয়ল বিলের কিনারে মনোরম ডুয়েল প্রাসাদ গড়ে তুলেছিলেন। যদুনাথ রায়ের বর্তমানের বাড়িখাল ইউনিয়নের উত্তর বালাশুরে (সে সময় ভাগ্যকুল নামে পরিচিত ছিল) হুবহু একই ধরণের দুটি ত্রিতল ভবন নির্মাণ করেন। যার একটি ছিলো জমিদার যদুনাথ রায়ের। আর অন্যটি ছিলো তারই ছোট ভাই প্রিয়নাথ রায়ের। বিশালাকৃতির দিঘি খনন করেন, নাট মন্দির ও দূর্গামন্দির স্থাপন করেন।
পূর্বধারের ভবনে থাকতেন যদুনাথ রায় এবং পশ্চিমধারের ভবনে থাকতেন প্রিয়নাথ রায়।
তার তিন ছেলে যথাক্রমেঃ মেঘনাদ রায়, শরতচন্দ্র রায় ও সতীশচন্দ্র রায়।
এই বাড়িতে তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিলেন, ছিল সোয়ারেজ লাইন, বিশালাকৃতির দুটি দিঘি ছিল, বাড়ি জুড়ে ছিল বহুরকমের ফুল ও ফলের গাছ। খাপড়াওয়ার্ড খ্যাত লেখক আব্দুস শহীদ তার ‘কারাস্মৃতি’ গ্রন্থে ফুল বাগানের বর্ণনা দিয়েছেন। এখনো বাহারী নাগলিঙ্গম, বিশালাকৃতির কাঠবাদাম, বোম্বে লিচু, সুমিষ্ট আম গাছ রয়েছে। অশোক গাছটিতে এখনো ফুল ফুটলে মনে হয় ভোরে সূর্য উকি দিয়েছে। পুকুর ছিল মাছে পরিপূর্ণ, আলাদাভাবে কূপে ছিল রঙিন মাছ।
ড. হুমায়ুন আজাদ এই বাড়িটিকে নিয়ে তার ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না গ্রন্থে লিখেছেন- বিলের ধারে প্যারিস শহর।
ইট পাথরের এই শহরের যান্ত্রিকতা থেকে দূরে পালিয়ে সপরিবারে/ সবান্ধব কিছুটা সময় নিজেদের মতো প্রকৃতির কাছাকাছি উপভোগ করতে চাইলে আজই চলে আসুন।
"বিক্রমপুর জাদুঘর"
Bikrampur Museum
(যদুনাথ রায়ের বাড়ি)
বলাশুর, শ্রীনগর, বিক্রমপুর, মুন্সিগঞ্জ।
পরিচালনায়- অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়: কনকসার, লৌহজং, বিক্রমপুর, মুন্সিগঞ্জ।
ঢাকাস্থ কার্যালয়: আলেয়া হাউস, বাড়ি # ৩৬, সড়ক # ০২, ধানমন্ডি, ঢাকা।
যোগাযোগ করুন:-
কিউরেটর: নাছির উদ্দিন আহমেদ জুয়েল।
মোবাইল: ০১৭১১৩৬২৯১৩
ইমেইল:
[email protected]
[email protected]
ভিজিট করুন ❁ লাইক দিন ❁ফ্রেন্ডস ইনভাইট করুন ❁ শেয়ার করুন ❁ রিভিউ দিন ❁কমেন্ট করুন
✔︎Our page:
https://www.facebook.com/BikrampurMuseum?mibextid=ZbWKwL
https://facebook.com/BikrampurMuseum
https://facebook.com/AgrasharBikrampurFoundation
https://facebook.com/AgrasharBikrampurMagazine
https://facebook.com/BikrampurBihar
✔︎ Our YouTube Channel: https://youtube.com/channel/UCzCiIDrot2rbwmJuG8Uvi_w
✔︎ Our E-mail: [email protected], [email protected]
✔︎ Our Website: https://agrashar-bikrampur.org
✓গুগল ম্যাপ-এ ঘুরে আসুন বিক্রমপুর জাদুঘর
Bikrampur Museum
https://maps.app.goo.gl/1Cm7QUsMcFQobnJR8
অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন সদস্য সাংবাদিক রাশেদ আহমেদ এর তথ্যচিত্র_
বঙ্গবন্ধু কেমন গণতন্ত্র চেয়েছিলেন? কেমন সমাজন্ত্র? কেনো বলেছিলেন বিদেশ থেকে হাওলাত করে সমাজতন্ত্র হয়না। শোষকদের রক্ষা করার জন্য যে গণতন্ত্র তাতে আমরা বিশ্বাস করিনা। কি ব্যাখ্যা দিয়েছেন ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে? কেমন প্রশাসন,বিচার বিভাগ,সেনাবাহিনী গড়তে চেয়েছিলেন? সমবায় ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা কেমন ছিল? তার ভাষণে মুক্তির কথা আছে, সেই মুক্তির ব্যপ্তি কতোখানি? বলেছিলেন ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে আমি আঘাত হানতে চাই।
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু চলমান ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বাকশালের মাধ্যমে। যে ব্যবস্থা ছিল গরিবের রাজনৈতিক,সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নেয়া এক সাম্যবাদী ব্যবস্থা্। চেয়েছিলেন পুজিঁবাদী,ভোগবাদী,ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক দাসত্বযুক্ত সমাজব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে। কেন্দ্র থেকে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে ক্ষমতার মধ্যে আনতে। ......বঙ্গবন্ধুর মতবাদ নিয়েই এই তথ্যচিত্র মুজিববাদ।
® রাসেদ আহমেদ।
মুজিববাদ I Mujibbaad "মুজিববাদ"গ্রন্থনা ও গবেষণা: রাশেদ আহমেদভিডিও সম্পাদনা: মেহেফুজুল হাসান সজীববঙ্গবন্ধু কেমন গণতন্ত্র চেয়েছিলেন? ....
অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন সদস্য সাংবাদিক রাশেদ আহমেদ এর তথ্যচিত্র_
বঙ্গবন্ধুঃ ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব | Maasranga News » Subscribe to Watch more Maasranga News: https://www.youtube.com/MaasrangaNews» Read more Maasranga news: www.maasranga.tv ...
তথ্য চিত্রটি বিক্রমপুরের আলোকিত মানুষ অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন সম্মানিত সদস্য সাংবাদিক রাশেদ আহমেদ করেছেন দেখার আমন্ত্রণ রইল_
বঙ্গবন্ধুর গায়ে ১৮টি বুলেট লেগেছিল। একটি গুলি তলপেট দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৯ টি গুলি বুকের একটু নিচ দিয়ে চক্রাকারে ঢুকেছে তবে বের হয়নি। বা হাতের তর্জনীতে একটি গুলি লাগে, আঙুলটি প্রায় ছিন্ন ও থেতলে যায়। দুই বাহুর উপরিভাগে দুটি গুলি, আরেকটি সম্ভবত ডান হাতের তালুতে লাগে। দুই পায়ে চারটি মিলিয়ে মোট ১৮টি বুলেট তার শরীর ভেদ করেছিল। তাছাড়া দুপায়ের গোড়ালির দুটি রগই কাটা ছিল। বঙ্গবন্ধুর মুখে কোন গুলির চিহ্ন ছিলোনা। মুখমন্ডল আগের মতো দৃঢ়তা নিয়েই ছিলো। পরনে চেক লুঙ্গি, গায়ে গেঞ্জি আর সাদা পাঞ্জাবি ছিল। ১৫ আগস্টের পরদিন লন্ডনের বিখ্যাত পত্রিকা দ্যা ডেইলি টেলিগ্রাম একটি শিরোনাম করেছিলো “ এই করুন মৃত্যুই যদি মুজিবের ভাগ্যে ছিলো তাহলে বাংলাদেশ সৃষ্টির কোন প্রয়োজন ছিলোনা”।
এই প্রজন্মকে বলি, কালো ফ্রেমের চশমা পড়া হিমালয়টিকে ভালো করে অনুধাবন করতে। তার জীবনের ১৩টা বছর জেলে কেটেছে শুধুই বাঙালি জাতির মুক্তির জন্যে। তোমাদের কোন দল করতে হবে না, একাত্তরে যেতে হবে না। কিন্তু তোমাদের মুজিবে এসে থামতে হবে। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটির দিকে গভীরভাবে তাকাতে হবে। কারণ এই বাড়িটিই বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু।
@ রাসেদ আহমেদ।
Roktakto 15 August | রক্তাক্ত ১৫ই আগস্ট । Maasranga News Our Official page: https://www.facebook.com/MaasrangaTelevisionOur YouTube Channels:https://www.youtube.com/MaasrangaTVOfficial https://www.youtube....
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী আজ।
এই তথ্যচিত্র টি করেছেন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন এর সম্মানিত সদস্য সাংবাদিক রাশেদ আহমেদ।দেখার আমন্ত্রণ রইলো _
******
"মুজিববাদ"
গ্রন্থনা ও গবেষণা: রাশেদ আহমেদ
ভিডিও সম্পাদনা: মেহেফুজুল হাসান সজীব
বঙ্গবন্ধু কেমন গণতন্ত্র চেয়েছিলেন? কেমন সমাজন্ত্র? কেনো বলেছিলেন বিদেশ থেকে হাওলাত করে সমাজতন্ত্র হয়না। শোষকদের রক্ষা করার জন্য যে গণতন্ত্র তাতে আমরা বিশ্বাস করিনা। কি ব্যাখ্যা দিয়েছেন ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে? কেমন প্রশাসন,বিচার বিভাগ,সেনাবাহিনী গড়তে চেয়েছিলেন? সমবায় ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা কি ছিল? তার ভাষণে মুক্তির কথা আছে, সেই মুক্তির ব্যপ্তি কতোখানি? বলেছিলেন ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে আমি আঘাত হানতে চাই।......বঙ্গবন্ধুর মতবাদ নিয়েই তথ্যচিত্র মুজিববাদ।
মুজিববাদ I Mujibbaad "মুজিববাদ"গ্রন্থনা ও গবেষণা: রাশেদ আহমেদভিডিও সম্পাদনা: মেহেফুজুল হাসান সজীববঙ্গবন্ধু কেমন গণতন্ত্র চেয়েছিলেন? ....
মুন্সিগঞ্জের নাটেশ্বর গ্রামে মাটির নিচে লুকানো প্রাচীন এক বৌদ্ধ নগরী || History of Nateshwar মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার সোনারঙ ইউনিয়নের নাটেশ্বর গ্রামের মাটির নিচে সন্ধান মিলেছে হাজার বছরেরও বেশি পু....
Membership Application Form [Agrashar Bikrampur Foundation]
Website LInk : t.ly/B6sI or
Google Form: t.ly/6EgD
অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সদস্য হওয়ার জন্য অনলাইনে গুগলের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই সদস্য ফরম পূরণ করতে পারেন। আমরা চাই আপনি আমাদের সহযাত্রী হোন।
সদস্য হিসেবে যুক্ত হতে গুগল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করুন।
https://docs.google.com/spreadsheets/d/1fmM4ZEQj1nkVvp-VggHRt_JcX5UCKoY4zsYGqQfKC_Y/edit?usp=drivesdk
Link Not Found - T.LY URL Shortener, Custom Domain & Short Link Management Free URL shortener to create short URLs to track, brand, and share short links in one simple click
প্রকাশিত হলো ড. নূহ উল আলম লেনিন সম্মাননাগ্রন্থ 'পান্থজনের কথা'
======= ================
ড. নূহ উল আলম লেনিন, যিনি একাধারে কবি, গবেষক, প্রাবন্ধিক, রাজনীতিক, সমাজচিন্তক, সুস্থ সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক, সমাজ সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ক সংগঠন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন-এর স্বপ্নদ্রষ্টা সভাপতি, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য-- এই মানুষটি বহু গুণ ও বহুমাত্রিক প্রতিভার সমন্বয়ে এক নক্ষত্রপ্রতিম আলোকিত ব্যক্তিত্ব। তিনি আলোকের অভিযাত্রী।
বর্তমানে তিনি জীবনের ৭৭তম সোপানে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমরা চেয়েছিলাম এই বিরলপ্রজ মানুষটির ৭৫ বছর পূর্তিতে একটি সম্মাননা গ্রন্থ প্রকাশ করবো। কিন্তু ২০২১ এর প্রথমার্ধ করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ এবং নূহ উল আলম লেনিনের অসুস্থতার কারণে এই কর্মসূচিটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। অবশেষে গত এক বছরের প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ এই গ্রন্থটি আলোর মুখ দেখলো।
৫০৬ পৃষ্ঠার রয়াল সাইজের এই বইটি সুসম্পাদিত এবং সুমূদ্রিত। সমাজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এখানে লিখেছেন। নানা আলোয় বর্ণিত হয়েছে নূহ উল আলমের লেনিনের চরিত্রের নানা দিক। মোট ১০৬ জনের লেখা এখানে সন্নিবেশিত হয়েছে। রয়েছে লেনিনের রাজনৈতিক ও কর্মজীবনের নানা রকম দুর্লভ গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান ছবি।
বইটির প্রধান সম্পাদক ড. গওহর রিজভী। সম্পাদক মাহবুব জামান, নির্বাহী সম্পাদক ঝর্না রহমান।
প্রচ্ছদ এঁকেছেন কবি তারিক সুজাত,
নূহ উল আলম লেনিনের স্কেচ এঁকেছেন শিল্পী মাসুক হেলাল,
প্রকাশক অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন প্রকাশনা বিভাগ।
মূল্য ১৫০০ টাকা।
** সম্মাননাগ্রন্থটি প্রকাশনায় যারা সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন তাঁহাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
পাখির চোখে দেখা "বিক্রমপুর জাদুঘর" ।
(গুগল থেকে নেওয়া ছবি)
বিক্রমপুর জাদুঘর
Location:
বালাসুর, শ্রীনগর, বিক্রমপুর।
গুগল ম্যাপ-এ ঘুরে আসুন বিক্রমপুর জাদুঘর
Bikrampur Museum
https://maps.app.goo.gl/1Cm7QUsMcFQobnJR8
আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন
https://www.facebook.com/BikrampurMuseum?mibextid=ZbWKwL
সুধী, শুভেচ্ছা নেবেন।
আমাদের প্রিয় বিক্রমপুরের রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস। প্রাচীন পূর্ববঙ্গ বা সমতটের রাজধানী হিসেবে বিক্রমপুরের খ্যাতি কমপক্ষে ১২০০-১৫০০ বছরের। বিক্রমপুরের মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছে হাজার বছর আগের নৌকা, কাঠের ভাস্কর্য, পাথরের ভাস্কর্য, টেরাকোটাসহ অসংখ্য অমূল্য প্রত্নবস্তু। এ ছাড়াও বিক্রমপুরের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন অনেক মনীষী। বিক্রমপুরের এইসব অতীত ইতিহাস, ঐতিহ্য, লোকজীবন, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও প্রত্ন নিদর্শনাদি সংরক্ষণ করা সর্বোপরি প্রদর্শনের জন্য 'অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন' মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার রাড়িখাল ইউনিয়ন এর উত্তর বালাসুর গ্রামের জমিদার যদুনাথ রায়ের ১৯৬৫ সাল থেকে পরিত্যক্ত বাড়িতে “বিক্রমপুর জাদুঘর” (Bikrampur Museum) প্রতিষ্ঠা করে। সরকারকে বছরে প্রায় আড়াই লাখ টাকা লিজের অর্থ পরিশোধ করে (বাড়ির জমি, দিঘি, মন্দির সহ সমস্ত কিছুর জন্য) জাদুঘরটি পরিচালনা করে আসছে।
** ২০১০ সালের ২৯ মে জাদুঘর ভবনটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এম.পি।
**** ২০১৩ সালের ২৮ মে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'বিক্রমপুর জাদুঘর'-এর শুভ উদ্বোধন করেন।
** ২০১৪ সালের ২০ জুন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি জাদুঘরটির দ্বারোদঘাটন করেন। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছে অনুযায়ী বাংলাদেশে একমাত্র "নৌকা জাদুঘর" ( Boat Museum) উদ্বোধন করেন।
প্রায় সাড়ে ১৩ একর জায়গা জুড়ে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও সরকারি অর্থায়নে ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছে জাদুঘর এবং গেস্ট হাউজ। আমরা আলোর পথযাত্রী! আলোকিত এবং দেশহিতব্রতে উজ্জীবিত মানুষ গড়ে তোলার বহুমুখী কর্মকাণ্ডে আমরা আমাদের ক্ষুদ্রশক্তি নিয়ে দুই যুগ পার করেছি। চলার পথে আমরা আপনাদের পরামর্শ, মতামত ও সহযোগিতা কামনা করছি। আপনিও আমাদের সহযাত্রী হোন।
ঘুরে আসুন বিক্রমপুর জাদুঘর:-
শত ব্যস্ততার শহরে একটু খোলামেলা জায়গায় দম ফেলার যেন ফুসরত নেই। কাজের ফাঁকে একটু ছুটি পেলেই তাই অনেকেই ছোটেন একটু বিনোদনের জন্য কিংবা ছুটির দিনে নিরিবিলি পরিবেশে ঘুরে বেড়াতে, প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিতে রাজধানীর খুব কাছেই বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস ওয়েতে (ঢাকা-মাওয়া হাইওয়েতে) মাত্র ৫০ মিনিটে পৌঁছে যাবেন ভাগ্যকূল জমিদার বাড়ি "বিক্রমপুর জাদুঘর"। বালাসুর চৌরাস্তা থেকে ডানে ঢুকে যাবেন বিলের ধারে প্যারিস শহর জমিদার যদুনাথ রায়ের পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন নামের একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলেছে তিন তলা বিশিষ্ট এই "বিক্রমপুর জাদুঘর" এবং একই প্রাঙ্গণে তিন তলা বিশিষ্ট একটি 'গেস্ট হাউস'।
তিনতলা ভবনের এ জাদুঘরে প্রবেশ করতেই দু’পাশে দুটি বড় মাটির পাতিল বা মটকা দেখতে পাবেন।
মোট ৭টি গ্যালারিতে রাখা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সব নির্দশন।
নিচতলার বাম পাশের গ্যালারি যদুনাথ রায়ের নামে। এ গ্যালারিতে বিক্রমপুরের প্রাচীন মানচিত্র, বিক্রমপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া মাটিরপাত্র, পোড়া মাটির খেলনাসহ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভিন্ন নিদর্শন আছে।
নিচতলার ডান পাশের গ্যালারিটি স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে। এ গ্যালারিতে আছে ব্যাসাল্ট পাথরের বাটি, গামলা, পাথরের থালা, পোড়া মাটির ইট, টালি ইত্যাদি এছাড়া বিক্রমপুরের নানা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার ছবিসহ বিভিন্ন নিদর্শন।
দ্বিতীয় তলার বাম পাশের মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারিতে আছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছবি, ইতিহাস, দলিল, বই ও বিভিন্ন নমুনা। আর ডান পাশের গ্যালারিতে আছে বিক্রমপুরে জন্ম নেয়া মনীষীদের জীবন ও কর্মের বৃত্তান্ত। আরও আছে কাগজ আবিষ্কারের আগে প্রাচীন আমলে যে ভূর্জ গাছের বাকলে লেখা হতো সেই ভূর্জ গাছের বাকল।
তৃতীয় তলায় তালপাতায় লেখা পুঁথি, পুরাতন খাট পালং, চেয়ার, টেবিল, আলমারী,কাঠের সিন্দুক, আদি আমলের মুদ্রা, তাঁতের চরকা, পোড়া মাটির মূর্তি, সিরামিকের থালাসহ প্রাচীন আমলে স্থানীয় মানুষদের ব্যবহার্য বিভিন্ন নিদর্শন।
মাটি খুঁড়ে পাওয়া ১০০০ বছর আগের বিক্রমপুরের হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস
বিক্রমপুরের হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতা মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল এতদিন। তা এখন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রায় দেড় হাজার বছর আগের বৌদ্ধনগরী সহ বেশ কিছু প্রত্ননিদর্শন সন্ধান পায় মাটি খুঁড়ে বিভিন্ন পর্যায়ে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ বছরের মধ্যে বিভিন্ন সভ্যতা গড়ে উঠেছে তার প্রমান করে মাটির নিচে প্রাচীন নগরসভ্যতার আবিষ্কার। ২০১২ সালে রামপালের রঘুরামপুরে বৌদ্ধবিহার আবিষ্কার, টঙ্গিবাড়ীর নাটেশ্বরে এক থেকে দেড় হাজার বছরের পুরোনো একটি বৌদ্ধনগরী আবিষ্কার করা হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে প্রায় ৩ মিটার গভীর পর্যন্ত মানব বসতির চিহ্ন পাওয়া যায়।
মাটি খুঁড়ে পাওয়া বিক্রমপুরের হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস ঐতিহ্যর নিদর্শন নিয়ে একটি গ্যালারীতে নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে। রঘুরামপুর ও নাটেশ্বর থেকে প্রাপ্ত কিছু মহামূল্যবান নির্দশন এই গ্যালারিতে স্হান পেয়েছে। এসব নির্দশন বিক্রমপুরের অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করছে।
প্রতিদিন শত শত দর্শক আসছে জাদুঘর পরির্দশন করতে। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে জাদুঘর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন হয়ে থাকে।
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে সপ্তাহের বাকি ৬ দিন জাদুঘরটি সর্বসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত থাকে।
যা যা পাচ্ছেনঃ
• তিন তলা বিশিষ্ট এসি গেষ্ট হাউস
• কার পার্কিং সুবিধা
• অডিটোরিয়াম/ কনফারেন্স রুম
•শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বেডরুম,আধুনিক সুযোগ সম্বলিত ওয়াশরুম
• খেলার মাঠ
• ওপেন স্টেজ
• ২টি বিশাল বিশাল দিঘি
• ৪টি শান বাঁধানো পুকুর ঘাট
• জমিদারীর কাচারী ঘর
• ইউরোপিয়ানদের জন্য গেস্ট হাউস
• ভাগ্যকূলের জমিদার যদুনাথ রায়ের মুখিমুখি ২টি ভবন এবং অন্যান্য স্হাপনা
• তিন তলা বিশিষ্ট বিক্রমপুর জাদুঘর
• নৌকা জাদুঘর
• উন্মুক্ত জাদুঘর
• আরো দেখা যাবে কাচারি ঘর ও নানা প্রজাতির দূর্লভ সব ফুল ও ফলজ গাছ গাছালি।
** নিঃসন্দেহে ছবি তোলার জন্য একটি মনোরম পরিবেশ। আপনার ভ্যাকেশনের সময়গুলো ব্যস্ত শহর থেকে নিকট দূরেই সবুজের মাঝে বিক্রমপুর জাদুঘর ও গেষ্ট হাউস পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হাস্যোজ্জ্বল সময় উপহার দেয়ার জন্যই আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস। মনোরম পরিবেশে পরিবার-পরিজন নিয়ে আছে জমিদার বাড়িতে উপভোগ করার পর্যাপ্ত আয়োজন।
∆ আশেপাশের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান
* স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর বাড়ি
* অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ এর বাড়ি
* আড়িয়াল বিল
* ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি
এ জাদুঘর চত্বরের আয়তন সাড়ে ১৩ একর। ইট পাথরের এই শহরের যান্ত্রিকতা থেকে দূরে পালিয়ে সপরিবারে/ সবান্ধব কিছুটা সময় নিজেদের মতো প্রকৃতির কাছাকাছি উপভোগ করতে চাইলে আজই চলে আসুন।
সুধী আমরা আপনার সহযোগিতা চাই:
------=====***************====-------
প্রাচীন তৈজসপত্র, পাথর বা অন্যান্য ধাতু/চীনা মাটি ও মাটির নির্মিত থালা, বাসন, অতীত যুগের ব্যবহার্য সামগ্রী, কৃষি যন্ত্রপাতি, পুরাতন খাট পালং, চেয়ার, টেবিল, আলমারি, পুঁথি-পত্র, বই তালপাতায় বা হাতে বানানো কাগজে হাতে লেখা প্রাচীন গ্রন্থ, নৌকা, মৃৎশিল্প, পোড়ামাটির নিদর্শন, মূর্তি, কয়েন, অলংকার, হাতির দাঁতের শিল্পকর্ম, প্রাকৃতিক সম্পদ, ধাতব শিল্পকর্ম, পুতুল, বাদ্যযন্ত্র, পোশাক, নকশিকাঁথা, কাঠের শিল্পকর্ম,পাণ্ডুলিপি ইত্যাদি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বিজড়িত বস্তুগুলো নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে (প্রদর্শিত হচ্ছে) মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি।এই মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারির জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের ছবি, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার্য জামা-কাপড়, বই-পত্র অন্যান্য সামগ্রী এবং নৌ জাদুঘরের জন্য নৌকা দান করলে জাদুঘরটি সমৃদ্ধ হবে। সকলের সমবেত প্রচেষ্টায় বিক্রমপুর জাদুঘর দেশের মধ্যে একটি উচ্চমানের সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা হিসেবে গড়ে উঠুক এটা আমাদের একান্ত কামনা। আমরা চাই আপনিও আমাদের প্রচেষ্টার সহযাত্রী হোন - সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। এই 'বিক্রমপুর জাদুঘর'-এ প্রত্ন ও প্রাচীন সামগ্রী দান করে আপনিও হতে পারেন জাদুঘর গড়ে তোলার গর্বিত অংশীদার।
উল্লেখ্য যে আমরা প্রতিটি বস্তুর প্রাপ্তির পাকা রশিদ বা দানপত্রের কাগজ দিয়ে থাকি এবং প্রদর্শনীতে দাতার নাম, তাহার পিতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং সংগ্রাহকের নাম ঠিকানাও থাকে। দর্শনার্থী দেখে যেন তৃপ্তি পায় আমরা তাই করি আপনার দান অক্ষয় থাকুক। তাই বলছি পুরাতন জিনিস অযত্নে অবহেলায় ফেলে না রেখে আমাদের খবর দিন আমরা গিয়ে নিয়ে আসবো বা সংগ্রহ করবো।
এবার আসা যাক এই জমিদার বাড়ি নিয়ে কিছু কথা___
রাজা সীতানাথ রায়ের দুই পুত্র যদুনাথ রায় এবং প্রিয়নাথ রায়। চল্লিশের দশকে পদ্মার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আড়িয়ল বিলের কিনারে মনোরম ডুয়েল প্রাসাদ গড়ে তুলেছিলেন। যদুনাথ রায়ের বর্তমানের বাড়িখাল ইউনিয়নের উত্তর বালাশুরে (সে সময় ভাগ্যকুল নামে পরিচিত ছিল) হুবহু একই ধরণের দুটি ত্রিতল ভবন নির্মাণ করেন। যার একটি ছিলো জমিদার যদুনাথ রায়ের। আর অন্যটি ছিলো তারই ছোট ভাই প্রিয়নাথ রায়ের। বিশালাকৃতির দিঘি খনন করেন, নাট মন্দির ও দূর্গামন্দির স্থাপন করেন।
পূর্বধারের ভবনে থাকতেন যদুনাথ রায় এবং পশ্চিমধারের ভবনে থাকতেন প্রিয়নাথ রায়।
তার তিন ছেলে যথাক্রমেঃ মেঘনাদ রায়, শরতচন্দ্র রায় ও সতীশচন্দ্র রায়।
এই বাড়িতে তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিলেন, ছিল সোয়ারেজ লাইন, বিশালাকৃতির দুটি দিঘি ছিল, বাড়ি জুড়ে ছিল বহুরকমের ফুল ও ফলের গাছ। খাপড়াওয়ার্ড খ্যাত লেখক আব্দুস শহীদ তার ‘কারাস্মৃতি’ গ্রন্থে ফুল বাগানের বর্ণনা দিয়েছেন। এখনো বাহারী নাগলিঙ্গম, বিশালাকৃতির কাঠবাদাম, বোম্বে লিচু, সুমিষ্ট আম গাছ রয়েছে। অশোক গাছটিতে এখনো ফুল ফুটলে মনে হয় ভোরে সূর্য উকি দিয়েছে। পুকুর ছিল মাছে পরিপূর্ণ, আলাদাভাবে কূপে ছিল রঙিন মাছ।
ড. হুমায়ুন আজাদ এই বাড়িটিকে নিয়ে তার ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না গ্রন্থে লিখেছেন- বিলের ধারে প্যারিস শহর।
ইট পাথরের এই শহরের যান্ত্রিকতা থেকে দূরে পালিয়ে সপরিবারে/ সবান্ধব কিছুটা সময় নিজেদের মতো প্রকৃতির কাছাকাছি উপভোগ করতে চাইলে আজই চলে আসুন।
"বিক্রমপুর জাদুঘর"
Bikrampur Museum
(যদুনাথ রায়ের বাড়ি)
বলাশুর, শ্রীনগর, বিক্রমপুর, মুন্সিগঞ্জ।
পরিচালনায়- অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়: কনকসার, লৌহজং, বিক্রমপুর, মুন্সিগঞ্জ।
ঢাকাস্থ কার্যালয়: আলেয়া হাউস, বাড়ি # ৩৬, সড়ক # ০২, ধানমন্ডি, ঢাকা।
যোগাযোগ করুন:-
কিউরেটর: নাছির উদ্দিন আহমেদ জুয়েল।
মোবাইল: ০১৭১১৩৬২৯১৩
ইমেইল:
[email protected]
[email protected]
ভিজিট করুন ❁ লাইক দিন ❁ফ্রেন্ডস ইনভাইট করুন ❁ শেয়ার করুন ❁ রিভিউ দিন ❁কমেন্ট করুন
✔︎Our page:
https://www.facebook.com/BikrampurMuseum?mibextid=ZbWKwL
https://facebook.com/BikrampurMuseum
https://facebook.com/AgrasharBikrampurFoundation
https://facebook.com/AgrasharBikrampurMagazine
https://facebook.com/BikrampurBihar
✔︎ Our YouTube Channel: https://youtube.com/channel/UCzCiIDrot2rbwmJuG8Uvi_w
✔︎ Our E-mail: [email protected], [email protected]
✔︎ Our Website: https://agrashar-bikrampur.org
✓গুগল ম্যাপ-এ ঘুরে আসুন বিক্রমপুর জাদুঘর
Bikrampur Museum
https://maps.app.goo.gl/1Cm7QUsMcFQobnJR8
#অগ্রসর_বিক্রমপুর_ফাউন্ডেশন
প্রধান কার্যালয়
#বঙ্গীয়_গ্রন্হ_জাদুঘর এবং
#আব্দুল_জব্বার_খান_মুক্ত_মঞ্চ
কনকসার, লৌহজং, বিক্রমপুর, মুন্সিগঞ্জ।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Munshiganj
Bikrampur
Munshiganj, 1553
বাধাহীন মুক্ত জীবন চাই >>>
Munshiganj, 1500
This is the cannel of online marketing and how to make money. Everybody like this page and learn how to make money.