দ্বীনি কথন - M.Jarif
প্রচার কর যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়।
[ বুখারী :- ৩৪৬১ ]
___তারপর এমন কেউ এসে জুটবে!
যে সালাত পড়ে না! কুর'আন পড়েনা! আল্লাহ এবং তার রাসূলের মোহাব্বতে যার চোখ ভেঁজে না! ইলমের প্রতি যার কোনো পিপাসা নেই।
হারাম থেকে নিজেকে হিফাজত করতে জানে না, তারবিয়্যাহ জানে না!
বাচ্চাদের নিয়ে মিউজিক শোনে! মা-বাবা'র দ্বায়িত্ব নিয়ে যে মাথা গামায় না!
রাতের আকাশ দেখে না, ভোরের বাতাস যার গায়ে লাগে না, বৃষ্টি পছন্দ করে না, পাহাড় পছন্দ করে না, ফুল ভালোবাসে না, বই পড়ার মতো যার সবর নেই! ঘন্টার পর ঘন্টা কুর'আন তাদাব্বুর করতে তার ধৈর্য কুলায় না!
কথায় কাজে যার হারামের আবাস, আপনার কথায় কাজেকর্মে যে বিরক্ত প্রকাশ করে !
তখন দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে কেটে যাবে পুরো জিন্দেগী!!
[ এমন কেউ জীবনে না আসুক যে রব্ব কে ভুলে গেছে ]
আমি বললাম, আমি একাকীত্ব অনুভব করছি।
আল্লাহ বলেন, আমি তোমার গলার ধমনী হতেও অধিক কাছে।
(সূরা-ক্বাফ:১৬)
কুরআনের ৪ টি মোটিভেশনাল শব্দ খুবই উপকারী।
ছোট্ট কিন্তু ব্যাপক অর্থবোধক।
"লা তাহযান"
অতীত নিয়ে কখনো হতাশ হবেন না।
"লা তাখাফ"
ভবিষ্যত নিয়ে কখনো দুশ্চিন্তা করবেন না। তা ন্যাস্ত করে দিতে হবে আল্লাহর কাছে।
" লা তাগদাব"
জীবনে চলার পথে বিভিন্ন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ের সম্মুখীন হতে হবে। রাগ করবেন না।
" লা তাসখাত"
আল্লাহর কোন ফয়সালার প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন না।
কোরআনের বর্ণনায় আদর্শ মুসলমানের ১০ গুণ
====================================
কোরআনের শিক্ষা মুমিন জীবনের সবচেয়ে বড় অবলম্বন। কোরআনজুড়ে মুমিনের জন্য আছে জীবন চলার অসংখ্য পাথেয়। তন্মধ্য থেকে ১০টি বিশেষ পাথেয় বর্ণনা করা হলো।
১. আল্লাহভীতি : তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিন জীবনে সর্বোত্তম পাথেয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা উত্তম কাজের যা কিছু করো আল্লাহ তা জানেন এবং তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কোরো। তাকওয়াই (আল্লাহভীতি) শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরা, তোমরা আমাকে ভয় কোরো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯৭)
২. ইখলাস বা নিষ্ঠা : শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোনো কাজ করাকে ইখলাস বা নিষ্ঠা বলা হয়। কোরআনে ইখলাস অর্জনের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত করতে এবং নামাজ আদায় করতে ও জাকাত দিতে। এটাই সঠিক দ্বিন।’ (সুরা বাইয়িনাহ, আয়াত : ৫)
৩. আল্লাহর ওপর ভরসা : আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভর করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা পূরণ করবেনই; আল্লাহ সব কিছুর জন্য স্থির করেছেন নির্দিষ্ট মাত্রা।’ (সুরা তালাক, আয়াত : ৩)
৪. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ : ফরজ ইবাদতগুলো যথাযথ পালন করা মুমিনের জন্য আবশ্যক। বিশেষত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নামাজের প্রতি যত্নবান হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী নামাজের প্রতি। এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৩৮)
৫. ভালো কাজে লিপ্ত থাকা : ভালো কাজে লিপ্ত থাকার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ভালো কাজ কোরো, যেন তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৭৭)
৬. হালাল উপার্জনে সচেষ্ট হওয়া : অবৈধ উপার্জন আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে অন্যতম বাধা। তাই মুমিন হালাল উপার্জনে সচেষ্ট থাকবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করবে, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা জুমা, আয়াত : ১০)
৭. অসহায়দের সাহায্য করা : অসহায় মানুষদের সাহায্য করলে আল্লাহ অত্যন্ত খুশি হন। পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ অসহায় মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এবং তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে আছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতের অধিকার।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ১৯)
৮. অন্যায়ের প্রতিবাদ করা : ইসলাম সমাজের অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ করতে শেখায়। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ঈমানের দাবি। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে; তোমরা ভালো কাজের নির্দেশ দান করো, অসৎ কাজে নিষেধ করো এবং আল্লাহতে বিশ্বাস করো।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)
৯. দ্বিনের দাওয়াত দেওয়া : দ্বিনের পথে আহ্বান করা প্রতিটি মুমিনের দায়িত্ব। রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি আয়াত জানা থাকলেও তা অন্যের কাছে পৌঁছে দিতে বলেছেন। আর কোরআনের নির্দেশ হলো, ‘তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান কোরো প্রজ্ঞা ও সদুপদেশ দ্বারা।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ১২৫)
১০. বেশি বেশি দোয়া করা : দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। মুমিন সর্বাবস্থায় বিনীত হয়ে আল্লাহর অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। বিশেষত গভীর রাতে আল্লাহর প্রার্থনা করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা রাতের সামান্য অংশই অতিবাহিত করত নিদ্রায়, রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করত।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ১৭-১৮)
নেককার স্ত্রী সুন্দর প্রজাপতির মতো,
ইমান ও তাকওয়া দিয়ে বোনা জালের অধিকারী পুরুষদের হাতেই এই প্রজাপতি ধরা দেয়।
- শাইখ আতিক উল্লাহ (হাফিঃ)
শয়তান থেকে বেঁচে থাকতে;
১. ইখলাস (ইখলাস মানে সব কাজ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করা)। -সুরা সোয়াদ : ৮২
২. খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা। -সহিহ মুসলিম : ২০১৮
৩. ঘরে প্রবেশের সময় বিসমিল্লাহ বলা। -সহিহ মুসলিম : ২০১৮
৪. ওয়াশরুমে প্রবেশের আগে দোয়া পড়া। -সহিহ বোখারি : ৪৫১১
৫. ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দোয়া পড়া। -আবু দাউদ : ৫০৯৫
৬. নামাজের কাতারের মধ্যখানে ফাঁকা বন্ধ করে দাঁড়ানো। -সুনানে আবু দাউদ : ৬৬৫
৭. হাই উঠলে হাত দ্বারা মুখ বন্ধ করা। -সহিহ বোখারি : ৬২২৬
৮. সন্ধ্যার সময় ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করা ও বাচ্চাদের আটকে রাখা। -সহিহ বোখারি : ৫১৪৮
৯. একবার/দশবার/এক শ’ বার পড়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদির। -সহিহ বোখারি : ৬৪৩
১০. সবসময় আল্লাহর আশ্রয় কামনা করা। -সুরা আরাফ : ২০০
(চেষ্টা করব উল্লেখিত দুআটি ছবি আকারে দিয়ে দিতে ইন শা আল্লাহ)
খাবারের সুন্নাহ ও শিষ্টাচার 🌼
জিলহজ্জের প্রথম দশকের দশটি আমল:-
১.বেশি পরিমাণে আল্লাহকে স্বরন করা।(সুরা হজ্জ ২৮)
২.নেক আমল ও ভালো কাজের প্রতি বিশেষভাবে যত্নবান হওয়া।(বোখারী, মুসলিম)
৩.অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় পাপের পথ পরিহারে সচেষ্ট থাকা।(বূখারী,মুসলিম)
৪.সামার্থবান হলে হজ্জ করা।
৫.কুরবানী করা।
৬.কুরবানিচ্ছুক ব্যক্তি এই দশ দিনে চুল নখ কর্তন না করা।(মুসলিম)
৭.অধিক পরিমাণে তাকবিরে তাহমিদ ও তাহলীল পাঠ করা।যথা-আল্লাহু আকবর,আল্লাহু আকবর,লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ। (বুখারী)
৮.আইয়ামে তাশরীক তথা আরাফার দিন ফজর থেকে ১৩জিলহজ্জ আছর পর্যন্ত প্রতি নামাজের পর উক্ত তাকবির পাঠ করা।(বুখারী)
৯.প্রথম নয়দিন রোজা রাখা।আরাফার দিন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। (আবু দাউদ,মুসলিম)
১০.ইদের দিনের সুন্নাহ সমূহ পালন করা।
--শায়েখ আহমাদুল্লাহ
জীবনভর চারটি কাজ কখনো ত্যাগ করবেন না:
● কখনো আল্লাহর শুকরিয়া আদায় থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন না; নাহলে তিঁনি আর বাড়িয়ে দিবেন না।
"যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো; তাহলে বাড়িয়ে দিবো।" (সুরা ইব্রাহিম, ৬)
● কখনো আল্লাহর স্মরণ থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন না; নাহলে তিঁনি আপনাকে আর স্মরণ করবেন না।
"আমাকে স্মরণ করো; আমিও তোমাদের স্মরণ করবো।" [সুরা বাকারা, ১৫২]
● কখনো দুয়া করা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন না; নাহলে তিঁনি বিপদে আর আপনার সাড়া দিবেন না।
"আমার কাছে দুয়া করো; আমি সাড়া দিবো।" [সুরা গাফির, ৬০]
● কখনো ক্ষমা চাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন না; নাহলে তিঁনি আর নাজাত/মুক্তি দিবেন না।
"আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থীদের তিঁনি আযাব দেন না অর্থাৎ মুক্তি দেন।" [সুরা আনফাল, ৩৩]
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
(Y) শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !
■ তাওবা । হ্যাঁ, তাওবাকারীদেরকে আল্লাহ ভালোবাসেন ।
إنّ الله يحب التوابين
নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালোবাসেন। (বাকারা:২২২)
তবে তাওবার কিছু শর্ত আছে।
ক. সম্পূর্ণরূপে গুনাহ থেকে বিযুক্ত হওয়া।
খ. পূর্বেকৃত গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া।
গ. আর গুনাহ না করার দৃঢ় সংকল্প করা।
ঘ. অন্যের হক আত্মসাতের গুনাহ হলে, তা ফেরত দেয়া।
বই: আই লাভ কুরআন
~ (মুহাম্মাদ আতিক উল্লাহ)
বিষয়টা স্পষ্ট — যে আপনার কাছে অন্যের সমালোচনায় করছে; সে অন্যের ধারে আপনার সমালোচনা করবে। তাই গিবতকারীকে এড়িয়ে চলুন।
— আদিব সালেহ
হঠাৎ করেই একদিন দেখবেন আপনার অশ্রুসিক্ত দোয়া গুলো কবুল হয়ে গেছে !
সেদিন ফিসফিস করে বলে উঠবেন; হে আমার রব আপনাকে ডেকে আমি কখনো নিরাশ হইনি!
[সূরা মারইয়াম ১৯:৪] 🧡
দিনের ২৪টা ঘন্টা পেয়ে ও নিজেকে ই সময় দেয়া হলো না, রবের অসংখ্য নিয়ামত কাজে লাগালো হলো না; না হলো শুকরিয়া। তুমি কি পারবা নিজেকে নিজের প্রতি এই জুলুমের উত্তর দিতে?💔
🍀হজরত আবু বারজাহ আল আসলামি নাজলাহ বিন উবাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ‘কিয়ামতের দিন বান্দা (চারটি) প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত দুই পা সরাতে পারবে না।
১. কোন কাজে জীবন ব্যয় করেছে,
২. ইলম অনুসারে কেমন আমল করেছে,
৩. কোন খাত থেকে সম্পদ উপার্জন করেছে এবং কোথায় তা ব্যয় করেছে,
৪. নিজের যৌবনকে কোন কাজে বরবাদ করেছে।’
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৪১৭)
মাসয়ালাঃ দাড়ি কাটা কবিরাহ গুনাহ। প্রকাশ্যে কবিরা গুনাহকারী ফাসেক। ফাসেককে সম্মান, করা সালাম দেয়ার অনুমতি নাই। প্রকাশ্যে কবিরা গুনাহকারী রাসূল ﷺ এর সুন্নাহ বিরোধী ব্যক্তির ছবিতে লাইক লাভ রিয়েক্ট দেয়ার অর্থ তার এই গুনাহের ও ফাসেকী জীবনের উপর আমি সন্তুষ্ট। তাই ভালোবাসা বুঝে শুনে দেখানো উচিত। যাকে তাকে ভালোবাসা মুমিনের কাজ না।
1
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Website
Address
Mymensingh
আবেগ দিয়ে উপন্যাস লেখা সম্ভব🖤 আর আবেগ+বিবেগ সমান রাখতে পারলেই মানুষের জীবন সুন্দর ❤️