Deener Daoyat/দীনের দাওয়াত

“ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ,
দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা কিছু আছে,তার থেকে উওম”!🕋

মুসলিম ৭২৫

💕সুবহানআল্লাহ💕

"শীঘ্রই তোমার রব তোমাকে এতো দিবেন যে, তুমি খুশি হয়ে যাবে"🌸

-সূরা দ্বোহা, আয়াত ০৫

নিশ্চয়ই নারীদের ছলনা অতি ভয়ানক"

(সূরা ইউসুফ- ২৮)📖

- শুনেছি প্রশ্ন ফাঁস হলে নাকি রেজাল্ট ভালো হয়!
- কিন্তু আল্লাহ তো কবরের প্রশ্ন অনেক আগেই ফাঁস করে দিয়েছেন,পারবেন তো পাশ করতে.?

স্ত্রীর প্রশংসা করা সুন্নাত। রাসূল (ﷺ) খাদিজা (রা.)-এর ভালোবাসার প্রশংসা করতেন।
(বুখারী ৫২২৯)

মুনাফিকের জ্ঞান তার কথাবার্তার মাঝে,মু'মিনের জ্ঞান তার কাজের মাঝে।

◾আবদুল্লাহ ইবনে আল - মু'তাজ

আল্লাহুম্মা আইন্নি আলা জিকরিকা ওয়া শোকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে তোমার জিকির করার সুযোগ দাও। তোমার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের সুযোগ দাও।

❝প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয় যদি সে তাড়াহুড়ো না করে!❞🖤

(বুখারি : ৬৩৪০ )

মানসিক অশান্তি থেকে মুক্ত থাকতে মহান আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুলের বিকল্প নেই।

কেননা তিনিই বলেছেন- ❝যে মহান আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল বা ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট!❞

(সুরা তালাক : আয়াত ৩)📖

রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন— মুমিন তো সেই ব্যক্তি, যার অন্তর নেক কাজে খুশি হয় আর পাপকাজে কষ্ট অনুভব করে।

[সহীহুল জামে : ৬২৯৪]

"সবর কর, যতক্ষণ না আল্লাহ ফয়সালা করেন। আর তিনিই উত্তম ফয়সালাকারী।"

[সূরা ইউনূসঃ ১০৯]

হে আল্লাহ্‌!
আমি আশ্রয় চাচ্ছি বার্ধক্যের চরম পর্যায় থেকে, দুনিয়ার ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে এবং কবরের আজাব হতে! আমীন!
(বুখারি: ৫৮৮৮)।

নবী (ﷺ) বলেছেন, “মানুষ এমনও কথা বলে, যাতে সে কোনো ক্ষতি আছে বলে মনেই করে না; অথচ তার দরুন সে ৭০ বছরের পথ জাহান্নামে অধঃপতিত হয়।”

(তিরমিযী: ২৩১৪, ইবনে মাজাহ: ৩৯৭০, হাকেম, সিলসিলাহ সহীহাহ: ৫৪০)

লোকমুখে প্রসিদ্ধ, আলী রা.-কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আলী! তুমি পাঁচটি কাজ না করে ঘুমাবে না। কাজ পাঁচটি হল :

১. চার হাজার দিনার ছদকা দিয়ে ঘুমাবে।

২. এক খতম কুরআন তিলাওয়াত করে ঘুমাবে।

৩. জান্নাতের মূল্য দিয়ে ঘুমাবে।

৪. দু’ ব্যক্তির মাঝের বিবাদ মিটিয়ে ঘুমাবে।

৫. একটি হজ্ব আদায় করে ঘুমাবে।

এ কথা শুনে আলী রা. বললেন, আল্লাহর রাসূল! এ তো আমার জন্য দুঃসাধ্য কাজ। আমি কীভাবে এগুলো করতে পারি?

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন-

(১) ঘুমের সময় চার বার সূরা ফাতেহা পাঠ করলে তোমার আমলনামায় চার হাজার দিনার ছদকা করার সওয়াব লেখা হবে।

(২) তিন বার কুলহুওয়াল্লাহ সূরা পড়লে তোমার আমলনামায় এক খতম কুরআন পড়ার সওয়াব লেখা হবে।

(৩) তিন বার দরূদ শরীফ পাঠ করলে জান্নাতের মূল্য আদায় হয়ে যাবে।

(৪) দশবার ইসতেগফার পড়লে বিবাদ মিটানোর সওয়াব লাভ হবে।

(৫) চার বার কালেমায়ে তামজীদ পাঠ করলে এক হজ্বের সওয়াব পাওয়া যাবে।

একথা শুনে আলী রা. বললেন, আল্লাহর রাসূল! আমি প্রতিদিনই এই আমল করে ঘুমাবো- ইনশাআল্লাহ!

🔸একটি ভিত্তিহীন বর্ণনা : হে আলী! পাঁচটি কাজ না করে ঘুমাবে না...হাদিসের কোনো গ্রন্থে এমন কোনো আজব বর্ননা নেই।

এ কথাগুলো আমাদের দেশে চাররঙা পোস্টার আকারে পাওয়া যায়। কোনো কোনো বাড়ির দেওয়ালেও লাগানোও দেখা যায়।
হাদীসের নির্ভরযোগ্য কোনো কিতাবে এ বর্ণনা নেই। এটি আরব-অনারব সকলের মাঝেই প্রসিদ্ধ। কিন্তু এর দালীলীক কোনো ভিত্তি নেই। এ ধরনের ভিত্তিহীন বর্ণনা প্রচার করা গুনাহের কাজ।

🔹অনেকে আবার আলী রা. এর নামেও নানা ধরনের ভাবুক কথা জ্ঞান বাক্য হিসেবে প্রচার করে থাকেন। সাহাবিদের রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাঈন এর নামে বলা কথারও দলীল দিতে হবে কারন তাঁদের কথা ও কাজ শরীয়াতের গুরুত্বপূর্ণ দালায়েল। এরকম মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

উল্লেখ্য, সূরা ফাতিহা, সূরা ইখলাস, দরূদ শরীফ, ইসতেগফার ইত্যাদির ফযীলত সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। সেসব ফযীলতসমূহই মানুষের মাঝে প্রচার করা উচিত।

-ফাতাওয়াল লাজনাদ দায়েমা ৩৭৮৯১, শায়েখ ছালেহ আলউছাইমিন রাহিমাহুল্লাহ ।(মাসিক আল-কাউসার এ প্রকাশিত)

ইমাম হাসান আল-বাসরীকে একবার এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো: "আপনি কি ঈমানদার?"

হাসান আল-বাসরী (র.) বললেন:

"ঈমান দুরকমের হতে পারে। যদি তুমি জানতে চাও যে আল্লাহ্‌র ওপর, তার ফেরেশতাদের ওপর, তার কিতাবসমূহের ওপর, তার রাসূলদের ওপর, জান্নাত ও জাহান্নামের ওপর, পুনরূত্থান ও শেষ বিচারের ওপর আমি ঈমান রাখি কিনা - তবে অবশ্যই আমি ঈমানদার।

কিন্তু তোমার প্রশ্ন যদি হয়ে থাকে আল্লাহ্‌র এই কথার ব্যাপারে - 'ঈমানদার তো কেবল তারাই যাদের হৃদয় গলে যায় যখন আল্লাহ্‌র কথা আসে এবং যখন তার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমানকে আরও বৃদ্ধি করে আর তারা তাদের রবের ওপরই শুধু ভরসা রাখে।' [সূরাঃআনফাল আয়াত-২] - তাহলে আল্লাহ্‌র দোহাই, আমি জানি না আমি ঈমানদারদের মধ্যে পড়ি কিনা।

ভুল নিজের দেখুন এবং সেটি সংশোধন করার চেষ্টা করুন।গুন অন্যের দেখুন এবং সেটি নিজের মধ্যে আনার চেষ্টা করুন।🌻

মাওলানা তারিক জামিল

"যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা মুলক নিয়মিত আমল করবে, তার কবরের আজাব মাফ করে দেওয়া হবে।"

-তিরমিজী 💞

একজন মুসলিম নারী যখন হিজাব পড়েন, তিনি আসলে একটি বস্ত্রখন্ড নয়, কুরআন কারীমের একটি আয়াত দ্বারাই মূলত নিজেকে আবৃত করেন।

- শায়খ আতিক উল্লাহ (হাফি.)

⭕ "নিজের পরিবার পরিজনকে নামায পড়ার হুকুম দাও এবং নিজেও তা নিয়মিত পালন করতে থাকো।
(সূরা, ত্ব-হা ২০/১৩২)

⭕ "বান্দা যতক্ষণ ওযু অবস্থায় সালাতের স্থানে থাকে, ততক্ষণ ফেরেশতারা বলতে থাকে" হে আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করো!🖤✨

~ (সহিহ বুখারী-৪৪৫)

⭕ অপরাধীদের 'কে জিজ্ঞেস করা হবে " কিসে তোমাদের'কে জাহান্নামে নিয়ে আসছে? তারা বলবে, আমরা নামাজ আদায়কারী লোকদের মাঝে শামিল ছিলাম না। 💢

( সুরা,মুদ্দাসসির-৪৩)

⭕ নামাজ এবং আমল করার জন্য দরকার একটা সুন্দর ওযু।আমাদের ওযুই যদি ঠিকভাবে না হয় তাহলে কোনো আমলই গ্রহন যোগ্য হবেনা।তাই আগে খুশুখুযুর সহিত ওযু করতে হবে।
ওযুর সময় খেলায় রাখতে হবে কোনো সুন্নত বা ফরজ নিয়ম ছুটে না যায়।
হে আল্লাহ এই দিকটা আমাদের সকলকে সুন্দর করে বুজার জন্য দান করুন।আমিন।🤲🤲

রাসুল ﷺ বলেছেন,
"পানি পান করানোর চাইতে বেশী নেকি আর কোন সদকাতে নেই!

[বায়হাকী: ৩১০৫]

সবর কর, যতক্ষন না আল্লাহ ফায়সালা করেন, আর তিনিই উত্তম ফায়সালা কারী।🖤

__সূরা ইউনুস, আয়াত-১০৯

যে ব্যক্তি আযানের
জবাব দেয় তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব।..🖤🌸🤍

[মুসলিম-৩৮৫]

আমি তো কাছেই আছি কেউ যখন আমাকে ডাকে,তখনই আমি তার ডাকে সাড়া দেই!...💓🌸

[সূরা বাকারাহ-১৮৬]

"নিয়মিত অল্প আমল মহান আল্লাহর নিকট অনেক পছন্দনীয়।"...💓

[বুখারী-৬৪৬৪]

আপনি আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ঠিক করুন,
দুনিয়ার সকল প্রশান্তি আপনার চারপাশে ছেয়ে যাবে! ❤️

"ঐ দেহ বেহেশতে যাবে না, যা হারাম খাবার থেকে উৎপন্ন হয়েছে।দোযখের আগুনই তার অধিক উপযোগী!"

[সহীহ ইবনে হিব্বান:১৭২৩,৪৫১৪]

জান্নাতের ঘ্রাণ চল্লিশ বছরের দুরত্ব হতে
পাওয়া যাবে।....😘🥀

[বুখারীঃ৩১৬৬]

মৃত্যুর পরে গুনাহে জারিয়া চালু রয়েছে। আর আমার কবরে এর শাস্তি কিয়ামত পর্যন্ত চলতেই থাকবে । সময়ই পেলাম না গুনাহের খাতা গুলো বন্ধ করতে।

★ সুদী ব্যাংকের একাউন্টটা বন্ধ করতে পারলাম না। মৃত্যুর পরেও আল্লাহ ও তার রাসূলের(ﷺ) সাথে যুদ্ধ চলতেই থাকবে।

★ বেপর্দা পিকটা ফেবু থেকে সরাতে পারলাম না। এখনো দেখে সবাই মজা নিচ্ছে। হাজারো যুবক গুনাহগার হচ্ছে। আমার গুনাহের খাতায় ও সম পরিমাণ গুনাহ যোগ হচ্ছে।

★ কত বন্ধু বান্ধবকে খারাপ জায়গার পথ দেখালাম। আমার একজনের কারনে কত যুবক যুবতী ঐ খারাপ পথে পা বাড়াল হিসাব নেই। তাদের গুনাহের বোঝা আমার মৃত্যুর পরেও থেমে নেই।

★ কত জনের টাকা মেরে খেলাম। রিক্সাওয়ালা, বাসওয়ালা, শিক্ষক, কর্মচারী হিসাব নেই। কত মানুষকে কষ্ট দিলাম। আমার কথার কারণে কত মানুষ কষ্ট পেল নিজেও জানিনা। কারো কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পেলাম না। সবাই হাশরের ময়দানে আমার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিবে। সবার প্রাপ্য সেদিন বুঝিয়ে দিতে হবে।

★ মোবাইলে গান শুনছি, মুভি দেখছি, হারাম রিলেশনে আছি। ওয়াচিং মুভি, লিসেনিং সং, ইন এ রিলেশনশিপ ইত্যাদি ফেসবুকে জানিয়ে দিলাম। হাজার হাজার মানুষ আমার গুনাহের সাক্ষী। মৃত্যুর পরেও এই গুনাহ বন্ধ নেয়।

★ সমাজে শিরক বিদায়াত চালু করলাম। আমার মৃত্যুর পরেও এই ধারা চালু থাকল। যত মানুষ আমার মৃত্যুর পরে এইসব কাজ করবে আমার গুনাহের খাতায় এর পার্সেন্টেজ চলে আসবে।

★ কারো গীবত করলাম, ফেসবুকে আরেক ভাইকে ছোট করলাম। আমার গীবতের সাক্ষী বানালাম হাজারজনকে। তার কাছে ক্ষমা চাওয়া হলনা। আমার গুনাহের খাতা কিন্ত বন্ধ নেই।

★ আমার করা খারাপ পোস্টটি ফেসবুকে থেকে গেল। সময় পেলাম না পোস্টটি সরাতে এর আগেই মৃত্যু হাজির। হাজার হাজার মানুষ আমার করা পোস্টের কারনে গুনাহগার হচ্ছে। তাদের সমপরিমাণ গুনাহ আমিও ভোগ করছি।

"যে ব্যাক্তি তওবা করে ফিরে আসে, আল্লাহ তা'য়ালা তার পূর্বের গুনাহ্ গুলোকে নেকী দারা পূর্ণ করে দেন।"

[সূরা:ফুরকান-৭০]

-সুবহানআল্লাহ-

স্বামী স্ত্রী উভয়ে নেককার হলে দুজনে জান্নাতে এক সাথে থাকবে!

[সূরা"যুখরুফ:-৭০]

একজন ক্ষুর্ধাতকে আহার করানো
হাজারটা মসজিদ নির্মাণের চেয়ে উত্তম।
জালাল উদ্দিন রুমি।

দুরুদ, দুআ, ইসতেগফার।
মূলমন্ত্র—জীবন বদলে দেবার💟

-রাসূল (ﷺ) বলেছেন, মানুষকে হাসানোর জন্য যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলে [ তার জন্য ধ্বংস __তার জন্য ধ্বংস __তার জন্য ধ্বংস ]

[আবু দাউদ : ৪৯৯০]

কুরআনের ৪ টি মোটিভেশনাল শব্দ খুবই উপকারী।
ছোট্ট কিন্তু ব্যাপক অর্থবোধক।

"লা তাহযান"
অতীত নিয়ে কখনো হতাশ হবেন না।

"লা তাখাফ"
ভবিষ্যত নিয়ে কখনো দুশ্চিন্তা করবেন না। তা ন্যাস্ত করে দিতে হবে আল্লাহর কাছে।

" লা তাগদাব"
জীবনে চলার পথে বিভিন্ন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ের সম্মুখীন হতে হবে। রাগ করবেন না।

" লা তাসখাত"
আল্লাহর কোন ফয়সালার প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন না।

আমার 'মা' আমার ব্যক্তিগত চাঁদ!🖤

দোয়া কবুল হচ্ছে না?

-সূরা ফাতিহা এবং সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়ে দোয়া করুন, আল্লাহ তা'য়ালার কাছে আপনি যা কিছু প্রার্থনা করবেন তা প্রধান করা হবে। 🖤

[-সহিহ মুসলিম ১৭৬২]📖✅

আমি জিন ও মানুষকে কেবল আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি।
সূরা আয- যারিয়াতঃ৫৬