Anisha Nusrat
লেখা-লেখিটা আমার পেশা নয়,,,,
বরং মন এবং মস্তিস্কের
এক কোণে লুকিয়ে থাকা
অগন্তুক এক নেশা,,||
#শেষকথা
খুব করে বেড়েছে বাতাসের বেগ। আমি গুটি গুটি পায়ে হেটে চলেছি বারংবার ছাদের এ প্রান্ত হতে ও প্রান্ত । কিছুক্ষণ আগেই মাত্র বৃষ্টি পড়া শেষ হয়েছে। ছাদে এখনো জমে আছে পায়ের পাতা ডাকা পানি। হাতে আমার ছোট একটা বাটন ফোন, তাতে রিং হচ্ছে অবিরাম।তবে আমি যাকে কল দিয়েছি সে ধরছে না। তবুও আমি ক্ষ্যান্ত নই , কল দিয়েই যাচ্ছি ।আজ একবার কথা বলতেই হবে আমার তার সাথে। এরই মধ্যে আমার চোখ গেলো নিচের দিকে, আমার পায়ের চার পাশের পানি গুলো খুব করে লালচে বর্ণ ধারণ করেছে এবার একটু দাঁড়িয়ে তার কারণ বোঝার চেষ্টা করলাম । দেখি আমি দাঁড়া-তেই আমার ডান পায়ের চারি-পাশের পানি আরো বেশি লালচে বর্ণ ধারণ করতে শুরু করলো।পা হালকা উঁচু করে দেখি, আঙ্গুল বরাবর নিচে পায়ের পাতা কেটে গেছে অনেক খানি। তার থেকেই অনবরত ঝরছে রক্ত। কিন্তু আমি যে কোনো ব্যথা অনুভব করতে পারছিনা । সারা শরীর জুড়ে শুধু মনের ছটফটানি আর কিছুক্ষণ পর পর হার্ট-বিট থেমে যাওয়ার মতো কষ্ট ছাড়া। অবশেষে ফোনের ওপাশ থেকে ভেসে এলো, "হ্যালো !"
পায়ের এমন করুন পরিস্থিতির প্রতি তখন আর খেয়াল নেই আমার। চটজলদি ফোনটা কানের কাছে নিয়ে বললাম, "হ্যা, কেমন আছিস?"
আমার কন্ঠস্বর শুনেই বোধয় সে চিনে ফেললো আমায়।বললো,"তুই?"
" হুম আমি। কেমন আছিস?"
"ভালো। তুই?"
"এইতো আছি বেশ।"
"ওহ্, শুনে অন্য রকম এক প্রশান্তি পেলাম।"
নির্বাক দুজনেই । শত কথা বলার ছিলো। এই মুহূর্তে কোনটা রেখে যে কোনটা বলবো তার সমাধান কেউই যেনো পাচ্ছিনা খুঁজে। অবশেষে আমি নিরবতা ভেঙ্গে, "তোর হাসবেন্ড কেমন আছে ?"
"হুম ভালো।"
কন্ঠস্বর পাল্টে গেলো আমার,"কথাটা তাহলে সত্যিই?"
সে শুধু হুম বললো । শুনেই যেনো আর দাঁড়াতে পারছিলাম না আমি। কলিজাটা বোধহয় এক্ষুনি খুলে চলে আসবে হাতে। সে আর থাকতে চায়না অন্দরে।পা দু'টোও আমার কাঁপছে বাতাসের সাথে কয়েক খানি বেড়ে গেছে শ্বাস-প্রশ্বাসও।
"শুনলাম একসাথে নাকি চলে যাবি ডুবাই?"
"হুম।"
"কবে?"
"এই সেপ্টেম্বরে ।"
"ওহ্ ভালো তো।বেশ ভালো। আমারও খুব শখ ছিল তোকে নিয়ে ডুবাই ঘোরার । আর এখন দেখ তুই একেবারের জন্য চলে যাচ্ছিস ।"
"হুম।"
"তুই কি বিরক্ত হচ্ছিস?"
"আমি কি বলেছি?"
"তা না, তবে আমার মনে হচ্ছে। কেননা অন্য সব সময় এমন হতো তুই বলতি আর আমি নির্বাক হয়ে শুনতাম। আর আজ!"
"নাহ অমন কিছু না।"
আমি একটু হেসে বললাম,"অমন কিছু হলেও আমার সাথে আর কিছুক্ষণ থেকে যা। কেননা একাই তো আমাদের শেষ কথা।"
"হুম।"
"অন্য বার সব সময় আমি হুম হুম করতাম আর তুই খুব রাগ করতি হুম বললে । বলতি, হুম হুম করছিস কেনো শুধু? আবার কখনো কখনো আমি হুম বললে তুই বিরক্ত হয়ে বলতি হুম ওয়ান। আবার আমি বলতাম হুম টু । কিন্তু থ্রিটা কখনো তুই বলতি না।আমি বললেও রাগ করতি । বলতি, আমাদের দুজনের মাঝে থ্রি কেন?"
"নাওয়াফ!" ভাঙ্গা ভাঙ্গা কিছুটা কান্না জড়ানো কন্ঠে বলে উঠলো সে।আমি বললাম,
"হুম বলনা..। তুই তো জানিস যে তুই কথা বলা ভালোবাসিস্ আর আমি শুনতে।"
আমার চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে অনবরত। অতঃপর তাকে একটু ক্ষেন্ত দিয়ে,
"আগে আমি যখন শুনতাম যে ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে সবশেষে কিছু প্রশ্ন উত্তর নেয়া বাকি থাকে মানে বাকি রেখে দেয়।সেটা মানুষ কেনো করতো তা আমার বুঝে আসতো না।তবে আজ খুব করে টের পাচ্ছি। তুমি বিহীন যেমন এই আমি হয়ে গেলাম, তেমনই সেই প্রশ্ন গুলোও যেনো উত্তর বিহীনই রয়ে যেতে চাইছে।তবে একটা প্রশ্নের উত্তর না পেলে যেনো বাঁচতে পারবেনা!"
"হুম! বল কি তা?"
"যদি এভাবে চলেই যাবি তো, কাছে এসেছিলি কেনো?এতটা মায়ায় জরিয়ে ছিলিস্ কেনো ? কেনো শিখিয়ে ছিলিস্ বাসতে ভালো?আমিতো প্রথমে যাইনি তোর কাছে, তুই তো এসেছিলি আমার বুকে । বলনা.., যদি মনটাই ছিলো করার তো কেনো এসেছিলি আমার সবটাতে ?
কিছুক্ষণের এক নিশ্চুপ পরিবেশের ইতি টেনে অঝোর কান্না জড়ানো কন্ঠে সে,"ভালোবাসি বলে।"
"তাই যদি হয় তাহলে কেন এমন অগোচরে,যাচ্ছিস চলে আমায় একা করে?"
আর কোনো কথা নেই তার মুখে। কেঁদেই চলেছে চোখের বুকে নদী এঁকে।অতঃপর আবারো পুরোনো স্মৃতি হাতড়ে আমি বলতে লাগলাম,"মাত্র একটা বছর সময়ই তো চেয়ে ছিলাম সব মেনেজ করতে তোর কাছে। তা বুঝি খুব বেশি হয়ে গিয়েছিল তোর ভালোবাসার কাছে?"
নির্বাক কেঁদেই যাচ্ছি দুজনে।আমি বুঝতে পারছি ঢের,সে আমায় অনেক কিছু চাইছে বলতে। কিন্তু পারছে না, কোনো এক অজানা সুতোয় বাঁধা সে। তার কান্না গুলো আর সহ্য হচ্ছে না আমার,তাই তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, শেষ বারের মত কিছু বলবি কি আর আমায়? ফোন টা যে অন্য কারোর,হাতে আর বেশি সময় নেই আমার। "
সে যেনো আরো ভেঙ্গে পরলো অঝোর কান্নায় । আমার মনের আকাশের ঘন কালো মেঘ সরিয়ে, সোনালী রবির আলো ফোটানোর বৃথা চেষ্টা করে, চোখের নদীতে পাথর চাপা দিয়ে,
"মনে রাখবো আমি তোকে সারা জীবনই । খুশি যখন তোর এটাতে তো আমি না হয় চোখের জল রাখবোই লুকিয়ে। সুখের দিনে মনে না রাখলেও আমায় চলবে,তবে দুঃখের দিনে অন্তত আমায় যাশ না প্লিজ ভুলে। এটাই আমার শেষ ফরিয়াদ তোর তরে।যদিও বেঁচে থাকবো তোকে ছাড়া তবুও ভেতর থেকে হয়েই যাবো নিঃশেষ।যত দিন না মরে যাই আমি এখন থেকে উদ্দেশ্য থাকবে শুধু তার গণনা বিশেষ।শেষান্তরে ছিলো বলার এইটুকুই।দুয়া থাকবে আমার যেনো পরম সুখে থাকিস তুই। আল্লাহ হাফেজ! বাই!"
-Anisha Nusrat (গল্প পাখি)
রিশার গমনের পথ এক দৃষ্টি কোণে গেঁথে সে আনমনে তেই বিড়বিড় করে যাচ্ছে বলে:-
তোমার মায়ায় নিশ্ব্য করে আমায়,,🙍
ফেলে যাচ্ছো চলে মাঝরাস্তায় ?? 💔
তাও রইলো দোয়া নিশ্ব্য এ ভাষায়,,🤲
সর্বদাই যেনো সুখ করে খেলা
তোমার পারায়..।।💌🥺
-AnishAnisha NusrataAnisha Nusrat্প পাখি )
ইস্ যদি কেউ আলগোছে কাছে এসে কানে কানে এমন করে বলতো 🤗🫠
অদিতি অশান্ত মনে,মলিন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
হঠাৎ পেছন থেকে কারো আওয়াজ ভেসে এলো তার কানে,
এই যে আপনার মনটা কি কোনো কারণ বশত অশান্ত ? খুব করে বুঝি কাঁদতে ইচ্ছে করছে ?
কিছু একটা আবছায়া মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে অন্ধকারে তার থেকে কিছুটা দূরত্বে । অদিতি তৃকোণ দৃষ্টিতে হাজারো প্রশ্ন চোখে এঁকে তাকালো সে দিকে। ঠিক সে সময় আবারো সেখান থেকে আওয়াজ আসতে লাগলো,
নির্জন একটা জানালার পাশে যাও
যেখানে বেশ খানিক জুরে
অসমাপ্ত আকাশের রং আকা
অতঃপর শুন্যতায় খুঁজে হলেও
বাতাসের পরশে হারিয়ে যাও
তারপর এক দীর্ঘ শ্বাস।
এমন এক দীর্ঘ শ্বাস যার সাথে
ভেতরের কিছুটা ভার বের হয়ে আসে
তারপর চাঁদের দিকে তাকিয়ে
জিজ্ঞাসা করো তাকে
"আচ্ছা চাঁদ আমার থেকে দুখীও কি
কেউ আছে এ জগতে?"
তারপর শরীরের সমস্ত ভার
ছেড়ে দাও বিছানায়
চোখ জোড়া বন্ধ করে থাকো খুঁজতে
তোমার থেকেও দুখী মানুষগুলোকে
দেখবে অন্তরের অন্তস্থল থেকে
বেরিয়ে আসবে, "আলহামদুলিল্লাহ"
- Anisha Nusrat (গল্প পাখি )
সত্যিই জীবনটা একটা কিউবের মতো
আমরা মেলানোর চেষ্টা করি যতো
যায় হয়ে এলো-মেলো ততো
তবে শুধু একটাই পার্থক্য
কিউব টা সর্বদাই কালারিং
আর জীবনটা কখনো কখনো
হয়ে যায় রং হীন
-Anisha Nusrat ( গল্প পাখি )
অতৃপ্ত অনুভূতি কন্ঠে জরিয়ে, চোঁখের বুকে নদী এঁকে, রায়হান আবীরকে সম্ভদনে যাচ্ছে বলে :-
কী করে বিশ্বাস করবো ভাই,,🥺
আমার জীবনে সে আর নাই..।।😔
যে মানুষটার ডাকে একটু সময়ের জন্য সারা না দিলে পাগল পারা হয়ে খুঁজতো,,😥
আমার একটু কিছু হলে অর্ধ রাত জেগে নামাজে বসে কাঁদতো..।।😭
আমি একটু রাগ করে চোখের আড়াল হলে যার চোখ অশ্রু ধারায় ভাসতো,,😣
যতক্ষণ না আমায় কাছে পেতো..।।🫂
আর সে আমায় একা ফেলে,,😟
কীভাবে গেছে চলে..??🤔😭😭
-Anisha Nusrat (গল্প পাখি )
#নিয়তি
নিয়তি পার্ট 2
কারো ধারনা নিয়তি আসলে সমগ্র মানুষের কর্ম -ফলের একটি বাই-প্রোজেক্ট,,চক্রাকারে এটা মানুষের কর্মকান্ডে আর জীবন-যাপনে প্রভাব ফেলে..|এভাবেই নিয়তির খেলা অব্যহত আছে পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে আর তা মানব সভ্যতার অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত চলতেই থাকবে..|
-Anisha Nusrat ( গল্প পাখি )
#নিয়তি
নিয়তি পার্ট 1
লোক মুখে এই নিয়তি শব্দটার নানান রকম প্রচলন রয়েছে নানান ভাবে...|||
কেউ বলে., নিয়তি একেক জনের জিবন একেক রকম করে দেয়..|
আবার কেউ এই নির্দিষ্ট করে দেয়া নিয়তিতে বিশ্বাষই করেনা..|
তবে এই জিনিসটা আসলে কী..?? সত্যিকার অর্থে এটা কি মানুষ নিজে সৃষ্টি করে..?? নাকি সমাজ,রাষ্ট্রে বসবাসরত সব মানুষের অজ্ঞাতসরে এটার জম্ম হয়..??
-Anisha Nusrat ( গল্প পাখি )
#আবদ্ধ আমি
এই অন্ধ কোঠার বন্ধ দার খুলে আজ অনেক দিন পর বাড়ির বাহিরে পা বারালাম,,এত দিন পর হঠাৎ এভাবে আমায় বাহিরে দেখে সবাই যেনো ভুত দেখার মতো চমকাচ্ছে | সবাই এখানে আমায় ভালোভাবে ট্রিথ করলেও কেনো জানি আমার একটুও ভালো লাগছিলো না,,তাই কিছুক্ষণ হাটা-হাটি করে পা বারালাম ছাদের উদ্দেশ্য | ছাদে উঠে কিছুটা হলেও একটু আসস্থ বোধ করতে লাগলাম | আজ সকালে বৃষ্টি হয়ে ছিলো যার আভাস এখনো ঠান্ডা বাতাসে সংমিশ্রিত | শ্বাষ-প্রশ্বাষে খেলছিলো বাতাসের মিষ্টতা আশে-পাশে তাকাতেই আমার চোখ পরলো একজোরা কাপল এর উপর,তবে সিনিয়র কাপল মানে টুসটুসে দুজন বুড়ো-বুড়ি একসাথে বসে,দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিলো | তাদের দেখে আমার অতিতের একটা স্মৃতি মনে পরে গেলো,আমাদের বিয়ের দুমাস পরের কথা :-
আমি আর তৃশা সাজেক গিয়েছিলাম বেড়াতে সারা দিন ঘুরা-ঘুরি শেষে হোটেলে উঠলাম প্রায় সারে আটটা নাগাদ | দুজনেই বেশ ক্লান্ত | আমি রুমে ডুকেই খাটে আধ শোয়া হয়ে চোখ বুঝলাম আর ওহ্ গেলো ফ্রেস হতে | হঠাৎ ওর উৎসুক ডাকে আমার চোখ খুললো | কখন যে ঘুমিয়ে পরে ছিলাম বুঝতেই পারিনি | উঠে বসতেই তৃশা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো বারান্দায় বারান্দার নিচে রাস্তার দিকে ইশারা করতেই আমি লক্ষ করলাম,একটা বৃদ্ধ লোক তার বৃদ্ধ স্ত্রীকে স্বযতনে কোলে তুলে হেটে যাচ্ছে দৃশ্যটা সত্যিই অসম্ভব সুন্দর ছিলো অমাবস্যার রাতে ট্রাম-লাইনের আলোতে যেনো চাদঁর মতো চমকাচ্ছিলো এই জোরা তৃশ্য বেশ উৎসুক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে অতপর ঘুরে দাড়ালো আমার দিকে আমার বুকে মাথা রেখে আমার শার্টের বুতাম খোটাতে খোটাতে বললো,"তুমিও এমন করে থাকবে তো আমার সারা জীবন পাশে...?"
তারপর আমিও তাকে আরো শক্ত করে বুকে জরিয়ে বললাম হুম
তবে আমি রাখতে পারিনি তোকে দেয়া সে কথা,,থাকতে পারিনি তার পাশে,,সেখান থেকে ফেরার পথে এক ভয়ংকর এক্রিডেন্ট এ তাকে হারিয়ে ফেলেছি ||
তুমি আমায় ক্ষমা করে দিও আমি তোমায় বাচাঁতে পারিনি শত চেষ্টার পরও আমি পারিনি তোমায় আমার বুকে আগলে রাখতে আমি হেরে গেছি নিয়তির কাছে আমি পারিনি আমার কথা রাখতে...||
Anisha Nusrat
#অন্তিমকিছুকথা
তাহসান....!!!!
শীতের এই কুয়াশা ঢাকা সকালে উনমু্ক্ত পার্কের এক কোণায় বসে আছে সে..,,হালকা হালকা তুশার ফোটায়..,,ডিপ কালো চাদর জরিয়ে গায়..,,আনমনে ভেবে যাচ্ছে বসে একাকিত্তের ছায়ায়..,, কাপা কাপা ঠোঁটে বিরবিরিয়ে বলে যাচ্ছে তার অন্তিম কিছু কথা :-
সেই তুশার আচ্ছন্ন দিনে
আমি তোমায় দেখে ছিলাম
তুমি তোমার হাসি মাখা মুখে
আমায় বিদায় জানিয়ে ছিলে
কিন্তু আমি তোমায় চিনতে পারিনি
তোমার হাসির কারণটিও বুঝতে পারিনি
জানতে পারিনি সেই হাসিতে
কতটা কষ্ট লুকিয়ে ছিলো
- Anisha Nusrat (গল্প পাখি)
#সেইলকেট
হাসিব...!!!
তখন রাত প্রায় সারে 12টা !! সারা কলেজ আর কলেজ হোস্টেল সব ঘুম আচ্ছাদনে নিশ্চুপ থাকলেও কিছু কিছু রুমে এখনো ছেলেরা একত্রে আড্ডা দিচ্ছে ,পরশু সেমিস্টারের শেষ পরিক্ষা | সবার বেশ কিছু দিন বন্ধ কলেজ ঐ উপলক্ষে কতেক রাত জুরে চলছে খুশির আল্লাদ উৎযাপন | হাসিবদের রুমের অবস্থাও তাই তবে সবাই আল্লাদের তালে মাতাল থাকলেও হাসিব গভীর ভাবনার সাগরে ডুবে ভরাক্রান্ত মনে খোলা জানালার পাশে মৃদু চাঁদের আলো ও হাওয়ার জরাজরি গায়ে মেখে বসে আছে |
তার এক বন্ধুর দৃষ্টি তার দিকে পরতেই তাকে উদ্দেশ্য করে খিল্লী উড়িয়ে বললো,, " কিরে দেবদাস..!!! এমন মুখ লটকিয়ে বসে আছিস কেনো ? এতিম এতিম লাগছে,, আহারে কী এতিমস পোলাপান !! তা কবে থেকে হলি এতিম..? " বলেই হেসে ফেললো |
বাকিরাও তার হাসিতে যোগদান করে আরো কতেক কথার মজলিস বসিয়ে আনন্দে মেতে উঠলো | তবে হাসিব সুধু এক পলক তাকিয়ে টানা এক দীর্ঘশ্বাষ ফেলে আবার মুখ ঘুরালো চাঁদের দিকে |
এবার চাঁদের দিকে অপলক তাকিয়ে তার মন জবানের দুয়ার খুলে বিরবিরিয়ে বলতে লাগলো,," জানো চাঁদ ! তাদের প্রশ্নর উত্তরে আমার খুব জোরে বলতে ইচ্ছে করছিলো : " হে আমি এতিম ! হয়ে গিয়েছি এতিম ! সেটা অবশ্য বাহ্যিক ভাবে আমরা যে এতিম বুঝি ঐটা নয় বরং ভালোবাসার এতিম | আজ থেকে আরো দু বছর আগেই গিয়েছি ভালোবাসার এতিম, যখন সে আমার চোখের সামনে দিয়েই আমায় একা রেখে চলে গিয়েছিলো কোনো এক অজানা গন্তব্বের ঠিকানায় | আজ সেই একই দিন, একই ক্ষণ, একই রাত..., তবে আর নেই আমার হাতে তার হাত...| আমার পরিয়ে দেয়া তার গলার ঐ লকেটটাই হলো আমার বিরহের শেষ সাথি..., তবুও আজও কেন এই মন বলে শুধু তাকেই ভালোবাসি...|
- Anisha Nusrat (গল্প পাখি)
This is for you
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Address
Narayanganj