Ved Gyan
For better vedic knowledge
say something about my art 😊
HG NaruGopal Prabhu in our Anandi Namhatta Sangha.
29/02/2024
নমস্কার 🙏
সনাতন ধর্মে প্রতিটি মানুষকে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্যই ঈশ্বর আমাদের একই বিধান দিয়েছেন। পবিত্র বেদ এ কোন পর্দা প্রথার উল্লেখ নেই। আর ঋগ্বেদ এ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ, পরিচ্ছেদ ও নেই। রয়েছে মণ্ডল, সূক্ত, মন্ত্র।
অধঃ পশ্যস্ব মোপরি সন্তরাং পাদকৌ হর ।
মা তে কশপ্লকৌ দৃশন্ত্স্ত্রী হি ব্রহ্মা বভূবিথ ॥
=[ঋগ্বেদ ৮.৩৩.১৯]=
▫️অনুবাদ: হে পুরুষ ও নারী! তোমাদের দৃষ্টি সবসময় হোক ভদ্র ও অবনত। তোমাদের চলন হোক সংযত ,দেহ হোক পোষাকে আবৃত, নগ্নতা হোক পরিত্যজ্য।▫️
এখানে ঈশ্বর যা নির্দেশ দিয়েছেন তা পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য এসেছে, নারী কে যে রূপ পোশাকে আবৃত ও নগ্নতা পরিত্যজ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন,তদ্রূপ পুরুষের জন্য পোশাকে আবৃত থাকতে এবং নগ্নতা পরিত্যাগ করতে বলেছেন।
এটি তো সনাতন ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব,এখানে নারী পুরুষের কোন বৈষম্য নেই।
এবার চলুন মর্যাদা পুরুষত্তম শ্রীরাম মা সীতার কাহিনী নিয়ে রচিত ইতিহাস গ্রন্হ রামায়ণে কি বলা হয়েছে তা দেখে নেই শ্রীরাম আসলে কি বলেছেন?
❣️ শুধুমাত্র পোশাক নয়, চরিত্রই নারীর মূল আবরণ ❣️
"ন গৃহাণি ন বস্ত্রাণি ন প্রাকারাস্ত্তিরক্রিয়া।
নৈদ্দৃশ্য রাজসৎকারা বৃত্তমাবরণং স্ক্রিয়া।।"
(বাল্মিকী রামায়ণ ৬.১১৪.২৭)
অনুবাদঃ গৃহদ্বারা নয়, পোশাক নয়, কোনো প্রকার আবদ্ধ দেয়ালে লোকচক্ষু থেকে আবৃত থাকা নয়, নয় কোনো রাজ আভিজাত্য, চরিত্রই একজন নারীর প্রকৃত আবরণ।
✍️✍️✍️
পত্নির প্রতি স্বামীর ব্যবহার:
मम॒ त्वा दो॑षणि॒श्रिषं॑ कृ॒णोमि॑ हृदय॒श्रिष॑म्। यथा॒ मम॒ क्रता॒वसो॒ मम॑ चि॒त्तमु॒पाय॑सि ॥
মম ত্বা দোষণিশ্রিষং কৃণোমি হৃদয়শ্রিষম্।
যথা মম কৃতাবসো মম চিত্তমুপায়সি।।
অর্থঃ-আমি তোমায় নিজের বাহু এবং হৃদয়ে আশ্রয় গ্রহণকারী করেছি। যেন তুমি আমার সকল কার্যে আমার সাথে সাথে চলো। দূরে যেও না।
অথর্ববেদঃ ৬/৯/২
यथे॒मे द्यावा॑पृथि॒वी स॒द्यः प॒र्येति॒ सूर्यः॑। ए॒वा पर्ये॑मि ते॒ मनो॒ यथा॒ मां का॒मिन्यसो॒ यथा॒ मन्नाप॑गा॒ असः॑ ॥
যথেমে দ্যাবাপৃথিবী সদ্যঃ পর্যেতি সূর্যঃ।
এবা পর্যেমি তে মনো যথা মাম্ কামিন্যসো যথা মন্
নাপগা অসঃ।।
অর্থঃ- সূর্য যেভাবে পৃথিবী আদি সকল গ্রহদের সংব্যাপ্ত করে ঠিক ওইভাবেই আমি আমার প্রণব দিয়ে তোমার মনকে আর্কষিত করি। যেনো তুমি আমার প্রতি কামনাযুক্ত হয়ে আমার পাশে থাকো। দূরে যেও না।
অথর্ববেদঃ৬/৮/৩
পতির প্রতি পত্নির ব্যবহার:
अ॒हं व॑दामि॒ नेत्त्वं स॒भाया॒मह॒ त्वं वद॑। ममेदस॒स्त्वं केव॑लो॒ नान्यासां॑ की॒र्तया॑श्च॒न ॥
অহং বদামি নৈত্বং সভায়ামহ ত্বং বদ।
মমদেসস্ত্বং কেবলো নান্যাসদং কীর্তায়াশ্চন।।
অর্থাৎ: আমি ঈশ্বরকে সাক্ষী করে সভার মাঝে বলছি "তুমি আমার ছাড়া আর কারো হবে না" এখন তুমিও যেনো অন্য কোনো স্ত্রীর না হও।
অথবা,
এই সভামধ্যে প্রতিজ্ঞা করছি তুমি শুধু আমার হবে,অন্য দ্বিতীয় কারো কথা বলা তো দূরে থাক চিন্তাও করবেনা।
[অথর্ববেদ ৭.৩৮.৪]
বেদে কি বৈজ্ঞানিক ভুল আছে?
বিধর্মীদের জন্য জবাব...
ছোট বেলা থেকেই আমাদের শিখানো হয়েছে যে Gravity এর আবিষ্কারক একজন ইংরেজ...নাম Issac Newton... কিন্তু তার জন্মের অনেক বছর আগেই এক হিন্দু পন্ডিত Gravity এর আবিষ্কার করেছিল তা কেউ বলে নি....কিন্তু সত্য কোনো দিন লুকিয়ে থাকে না.....
📒গগনমুপৈতি শিখিশিখা ক্ষিপ্তমপি ক্ষিতিমুপৈতি গুরু
কিঞ্চিত্।
যদ্বদিহ মানবানামসুরাণাং তদ্ব্দেবাধঃ৷।
পঞ্চসিদ্ধান্তিকাঃ (অধ্যায় ১৩ শ্লোক ৪)
বিঃ দ্রঃ [এই শ্লোকে gravity সম্পর্কে বলা হয়েছে....কোনো বিশেষ কারণে এর সম্পূর্ণ অর্থ এখানে দিবো না...কিন্তু কিছুটা দিবো...]
অর্থাৎঃ কোনো গুরুবস্তু (ওজনশালী বস্তুকে) যখন গগনের দিকে (আকাশে) নিক্ষেপ করা হয় তখন পৃথিবী সেটাকে তার প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারাই নিজের দিকে আকর্ষিত করে।
📒 আদিত্যো হ বৈ বাহ্যঃ প্রাণ উদয়ত্যেষ হ্যেনং চাক্ষুষং প্রাণমনুগৃহ্ণানঃ। পৃথিব্যাং যা দেবতা সৈষা পুরুষস্য অপানমবষ্টভ্যান্তরা যদাকাশঃ স সমানো বায়ুর্ব্যানঃ ।। ৮।।
অর্থাৎঃ আদিত্যই সেই প্রাণ যে চক্ষুর প্রাণে অনুগ্রহ করে উদিত হয়। পৃথিবীতে যেই দেবতা আছে সেই পুরুষের অপানকে আকর্ষণ করে আছে। সেই দুইয়ের মাঝে যে আকাশ আছে তা সমান আর বায়ুই ব্যান।
প্রশ্নোপনিষদঃ প্রশ্ন ৩, শ্লোক ৮
🔖🔖বিঃ দ্রঃ এখানে যেই নামগুলো ব্যবহার করা হয়েছে তা সবগুলোই গৌণিক নাম। যেমনঃ প্রাণ। এখানে প্রাণ মানে সেই প্রাণ না যার কারণে আমরা বেঁচে আছি। এখানে প্রাণ হলো একটা element..... যেমন আমরা বলি Atomic particles, Sub-Atomic Particles..... ঠিক তেমনই এখানে প্রাণ ও একটা এলিমেন্ট.....
মহর্ষি ব্রহ্মগুপ্ত (৫৯৮-৬৬৫)
আইজেক্ নিউটন ( ১৬৪৩-১৭২৭)
নিউটন জন্মের প্রায় হাজার বছর আগেই Gravity এর আবিষ্কার হয়েছিল....
নিচে সব প্রমাণ....কেপশনসহ পড়ুন...
Hanuman power status 💪💪🥶🤯
Krishna Power status 😎😎
প্রশ্নঃ- সনাতন ধর্মই কি জাতিবাদের কারণ?
উত্তরঃ-
🕉️ব্রাহ্মণো স্য মুখমাসীদ্ বাহু রাজন্যঃ কৃতঃ।
উরু তদস্য যদ্বৈশ্যঃ পদ্ভ্যাং শুদ্রো অজায়ত ।। ১১।।
📙অর্থাৎঃ-বিরাট পুরুষ (নারায়ন) এর মুখ থেকে ব্রাহ্মণ (জ্ঞানীজন) উৎপন্ন হয়, ক্ষত্রিয় ওনার শরীরে বিদ্যমান বাহুদ্বয়ের সমান। বৈশ্য (পৌষণ শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি) উনার উরুর এবং শুদ্র (সেবাধর্মী ব্যক্তি) উনার পা থেকে উৎপন্ন হয়।
যজুর্বেদঃ- ৩১ অধ্যায় (পুরুষ সুক্তম্)/ শ্লোক ১১
এই শ্লোকে বলা হয়েছে যে, ঈশ্বরের মুখ থেকে ব্রাহ্মণ, বাহু থেকে ক্ষত্রিয়, উরু থেকে বৈশ্য আর পা থেকে শুদ্রের আবির্ভাব হয়।
এখন জাতিবাদী ব্যক্তিরা সনাতনীদের আলাদা করার জন্য বলবে যে, "এখানে এতো ভেদভাব কেনো? ব্রাহ্মণ হয়েছে মুখ থেকে আর শুদ্র হয়েছে পা থেকে? ছিঃ"।
কিন্তু এখানে সত্যটা এমন নয়। আগে বা কখনো সনাতন ধর্মে জাতিবাদ ছিলো না। এখানে বর্ণের কথা বলা হয়েছে। এবং আদিতে এর ব্যবহার হতো যজ্ঞ কার্যে।
যেমনঃ 📒যারা যজ্ঞ মন্ত্রের জ্ঞানী ব্যক্তি তারা যজ্ঞ করতো–ব্রাহ্মণ
📒যারা যজ্ঞ স্থলের সুরক্ষা করতো তারা– ক্ষত্রিয়
📒যারা যজ্ঞের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম
সংগ্রহের জন্য অর্থ জোগার বা আর্থিক
সহযোগিতা করতো তারা–বৈশ্য
📒 আর যারা যজ্ঞ স্থলের সৌন্দয্য বা পরিচ্ছন্নতা
বজায় রাখতো তারা –শুদ্র
এর প্রমাণ রামায়ণ কালে পাওয়া যায়, যখন বিশ্বামিত্র মুনি উনার যজ্ঞের সুরক্ষার জন্য রাজা দশরথের কাছে থেকে ভগবান রামকে নিতে এসেছিলেন। পরবর্তীতে এই ব্যবস্থা মন্দিরের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়। কিন্তু মধ্যকালে কিছু বিকৃত বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিরা সনাতন ধর্মকে নষ্ট করার ব্যর্থ চেষ্টায় এই বর্ণবাদকে জাতিবাদে রুপান্তর করায় সফল হয়।কারণ আমাদের মানুষ এখন লেখা-পড়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা এখন জাগতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজের ধর্মকে So called Myth বলে মনে করে। তাই আমরা এখন নিজেদের ধর্মকেই ভালো করে জানি না।
হরে কৃষ্ণ🙏
পরমাণুর খোজ আর পারমাণবিক সময়ের আবিষ্কারঃ
সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জানতে হলে পড়ুন🙏
🕉️এবং কালো_প্যনুমিতঃ সৌক্ষ্ম্যে স্থৌল্যে চ সত্তম।
সংস্থানভুক্ত্যা ভগবানব্যক্তো ব্যক্তভুগ্বিভুঃ ।।৩।।
📒অর্থাৎঃ- পরমাণু-সমন্বিত শরীরের গতিবিধির মাপ অনুসারে কালের গণনা করা যায়। কাল সর্বশক্তিমান পরমেশ্বর ভগবান হরির শক্তি, যিনি জড়জগতের অগোচর হলেও সমস্ত পদার্থের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করেন।
🕉️স কালঃ পরমাণুর্বৈ যো ভুঙ্ক্তে পরমাণুতাম্।
সতো_বিশেষভুগ্যস্তু স কালঃ পরমো মহান্ ।। ৪৷।
📒অর্থাৎঃ- পরমাণুর আয়তনকে অতিক্রম করে যেটুকু সময়, সেই অনুসারে পারমাণবিক কালের আয়তনকে মাপা হয়। যে কাল সমগ্র পরমাণুর সামগ্রিক অব্যক্ত সমষ্টিকে আবৃত করে, তাকে বলা হয় পরম-মহৎ কাল।
🕉️অণুর্দ্বৌ পরমাণু স্যাভ্রসরেণুস্ত্রয়ঃ স্মৃতঃ।
জালার্করশ্ম্যবগতঃ খমেবানুপতন্নগাৎ ।। ৫।।
📒অর্থাৎঃ- স্থূল কালের গণনা নিম্নলিখিতভাবে করা হয়– দুইটি পরমাণুতে একটি অণু, এবং তিনটি অণুতে একটি ত্রসরেণু। গবাক্ষের মধ্যে দিয়ে গৃহে প্রবিষ্ট সূর্য রশ্মির মধ্যে এই প্রসারণ দেখা যায়। স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে, ত্রসরেণু ঊর্ধ্বগামী হয়ে আকাশের দিকে যাচ্ছে।
🕉️ত্রসরেণুত্রিকং ভুঙ্ক্তে যঃ কালঃ স ত্রুটিঃ স্মৃতঃ।
শতভাগস্তু বেধঃ স্যাত্তৈস্ত্রিভিস্তু লবঃ স্মৃতঃ ।। ৬।।
📒অর্থাৎঃ- তিনটি ত্রসরেণু সংযুক্ত হতে যতটুকু সময় লাগে তাকে বলা হয় ত্রুটি, একশত ত্রুটি পরিমিত কালকে বলা হয় বেধ। তিনটি বেধের মিলনে এক লব হয়।
🕉️নিমেষস্ত্রিলবো জ্ঞেয় আম্নাতন্তে ত্রয়ঃ ক্ষণঃ।
ক্ষণান্ পঞ্চ বিদুঃ কাষ্ঠাং লঘু তা দশ পঞ্চ চ ।। ৭।।
📒অর্থাৎঃ- তিন লব পরিমিত কালে এক নিমেষ হয়, তিন নিমেষে এক ক্ষণ হয়, এবং পঞ্চ ক্ষণে এক কাষ্ঠা এবং পঞ্চদশ কাষ্ঠায় এক লঘু হয়।
🕉️লঘূনি বৈ সমাম্নাতা দশ পঞ্চ চ নাড়িকা।
তে দ্বে মুহূর্তঃ প্রহরঃ ষড়্য়ামঃ সপ্ত বা নৃণাম্ ।। ৮।।
📒অর্থাৎঃ- পনের লঘুতে এক নাড়িকা হয়, যাকে এক দণ্ডও বলা হয়। দুই দন্ডে এক মুহূর্ত হয় এবং ছয় অথবা সাত দন্ডে মানুষের গণনা অনুসারে দিন অথবা রাত্রির এক-চতুর্থাংশ বা এক প্রহর হয়।
শ্রীমদ্ ভাগবতম্ এর ৩য় স্কন্দের ১১ অধ্যায়ের ৪-৮ শ্লোক
এইখানে আপনারা দেখতেই পারছে যে,
📖প্রথমত: পরমাণুর কথা বলা হয়েছে প্রায় ৫৩০০ বছর আগেই....কারণ এই ভাগবতম্ ৫৩০০ বছর আগে লিখা হয়েছিল।
📖দ্বিতীয়ত: একটা পরমাণুর গতিবিধি লক্ষ্য করে সময় গণনা করা হতো আমাদের সনাতন ধর্মে।
হরে কৃষ্ণ
প্রলয় একটা খুবই পরিচিত শব্দ। আজ এটা নিয়েই আলোচনা। সনাতনী মানে আমাদের শাস্ত্র মতে প্রলয় তিন রকমের হয় বা তিনটি Time line এ হয়। যেমনঃ একটি মহাযুগ শেষে একবার করে প্রলয় হয়। একটি কল্প শেষে একবার করে প্রলয় হয়। আবার ব্রহ্মার মৃত্যুতে একবার প্রলয় হয় (যার দ্বারা সমাপ্তি ঘটে)।
এখন, এক মহাযুগ হলো চারটি যুগের সমষ্টি।
সত্যযুগ=১৭,২৮,০০০ বছর
ত্রেতাযুগ= ১২,৯৬,০০০ বছর
দ্বাপরযুগ=৮,৬৪,০০০ বছর
কলিযুগ= ৪,৩২,০০০ বছর
সুতরাং, এক মহাযুগ=৪৩,২০,০০০ বছর।
আর একটা কল্পে এই রকম ১০০০ মহাযুগ থাকে।
তাহলে ১ কল্প= (৪৩,২০,০০০×১০০০)
=৪,৩২,০০,০০,০০০ বছর
আর এক কল্প হলো ব্রহ্মার ১২ ঘন্টা। তাই একটা সম্পূর্ণ দিন
=(৪,৩২,০০,০০,০০০×২)
=৮,৬৪,০০,০০,০০০ বছর (মানব সময়)
আর ব্রহ্মলোকে ৩৬০ দিনে ১ বছর হয়।
সুতরাং, ১ বছর= (৮,৬৪,০০,০০,০০০×৩৬০)বছর
= ৩,১১০,৪০০,০০০,০০০ বছর (মানব সময়)
ব্রহ্মার বয়সসীমা ১০০ বছরের হয়( তাঁর Dimention ও তাঁর Time line এ )
তাহলে ব্রহ্মার বয়স = (৩,১১০,৪০০,০০০,০০০×১০০) বছর
=৩১১,০৪০,০০০,০০০,০০০ বছর (মানব সময়)
তা এখন আমাদের শাস্ত্রমতে, এক মহাযুগ মানে, ৪৩,২০,০০০ বছর পর পর একবার করে প্রলয় হয়। এক কল্প মানে, ৪,৩২,০০,০০,০০০ বছর পর পর একবার করে মহাপ্রলয় হয়। আর ৩১১,০৪০,০০০,০০০,০০০ বছর পর এই ব্রহ্মান্ডের সব কিছু শেষ হয়ে যায়। মানে সমাপ্তি।
এখন দেখতে হবে যে কত বছর পর প্রলয় হবে, কত বছর পর মহাপ্রলয় হবে, আর কত বছর পর সমাপ্তি হবে।
ইতিমধ্যে বলা হয়েছে যে, কলিযুগের বয়স ৪,৩২,০০০ বছর। আর এই যুগের শুরু হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের গোলোক গমনের মাধ্যমে।যা হয়েছিল ৩১০২ BC( Before Christ) এর ১৭ ফেব্রুয়ারীতে( দ্বারকা কার্বন ডেটিং অনুযায়ী)। তার মানে কলিযুগের বর্তমান বয়স ৫,১২২ বছর ১০ মাস ১৩ দিন। তার মানে প্রলয় হতে এখনো
= (৪,৩২,০০০- ৫,১২২ বছর ১০ মাস ১৩ দিন)
= ৪,২৬,৮৭৮ বছর ১ মাস ১৮ দিন বাকি (মানব সময়ানুযায়ী)
এখন, মহাপ্রলয় কবে হবে তা দেখিঃ
আগেই বলা হয়েছে যে ব্রহ্মার ১ দিন সমান ১০০০ মহাযুগ। ভাগবতম্ ও বেদানুযায়ী ব্রহ্মার ৫০ বছর পূর্ণ হয়ে প্রথম দিনের ২৮ তম মহাযুগ চলছে। আরেকটা বিষয়, ব্রহ্মা ১২ ঘন্টা জাগ্রত থাকে আর ১২ ঘন্টা ব্রহ্মনিদ্রায় থাকে। আর ব্রহ্মা যখন ব্রহ্মনিদ্রায় থাকে তখনই মহাপ্রলয় হয়। পরে ঘুম থেকে উঠে সবকিছু update করতে ৬ মহাযুগ লাগে। যা ব্রহ্মার মাত্র ৪ মিনিট ৩২ সেকেন্ড। মানে ৪.৩২ মিনিটের মধ্যে সবকিছু সৃষ্টি হয় আর ঠিক একই সময় লাগে তা update করতে। আবার বিষয়ে ফিরে যাই, মানে দিনের ১০০০ মহাযুগের মধ্যে ২৭ তম মহাযুগ শেষ হয়ে গেছে।
২৭ মহাযুগ=( ৪৩,২০,০০০×২৭) বছর
= ১১৬,৬৪০,০০০ বছর
২৮ তম মহাযুগের ৩টি যুগ অতিবাহিত হয়েছে
( সত্যযুগ+ত্রেতাযুগ+দ্বাপরযুগ)
=(১৭,২৮,০০০+১২,৯৬,০০০+৮,৬৪,০০০) বছর
=৩৮,৮৮,০০০ বছর অতিবাহিত হয়েছে।
আর কলিযুগের হয়েছে ৫,১২২ বছর ১০ মাস ১৩ দিন
তার মানে ১ কল্পের মোট সময় অতিবাহিত হয়েছে
=(২৭টি মহাযুগের সমষ্টি +৩টি যুগের সমষ্টি + কলিযুগের বয়স)
=(১১৬,৬৪০,০০০+৩,৮৮৮,০০০+৫,১২২ বছর ১০ মাস ১৩ দিন)
=১২০,৫৩৩,১২২ বছর ১০ মাস ১৩ দিন (মানব সময়)
সুতরাং মহাপ্রলয় হবেঃ
(১ কল্প-অতিবাহিত সময়)
=(৪,৩২০,০০০,০০০-১২০,৫৩৩,১২২ বছর ১০ মাস ১৩ দিন)
=৪,১৯৯,৪৬৬,৮৭৮ বছর ১ মাস ১৮ দিন পরে মহাপ্রলয় সংগঠিত হবে।
এখন দেখি সমাপ্তি কবে ঘটবে।
ব্রহ্মার আয়ু ১০০ বছর (তার dimension এবং time line এর মধ্যে)।
তার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে।
তার ৫০ বছর মানব সময়ে হবেঃ-
১ বছর=৩৬০ দিন (ব্রহ্মার সম্পুর্ন দিন)
৫০ বছর= ১৮,০০০ দিন (ব্রহ্মার সম্পূর্ণ দিন)
১ সম্পূর্ণ দিন= ২০০০ মহাযুগ (মানব সময়)
ব্রহ্মার বয়সঃ-
=(১৮,০০০ দিন×২০০০ মহাযুগ×৪৩,২০,০০০ বছর)
=১৫৫,৫২০,০০০,০০০,০০০ মানব বর্ষ
যোগ প্রথম দিনের অতিবাহিত সময়
=(১৫৫,৫২০,০০০,০০০,০০০+১২০,৫৩৩,১২২ বছর ১০ মাস ১৩ দিন)
=১৫৫,৫২০,১২০,৫৩৩,১২২ বছর ১০ মাস ১৩ দিন (মানব সময়)।
এর মানে সমাপ্তি ঘটার জন্য এখনো
=(৩১১,০৪০,০০০,০০০,০০০-১৫৫,৫২০,১২০,৫৩৩,১২২ বছর ১০ মাস
১৩ দিন)
=১৫৫,৫১৯,৮৭৯,৪৬৬,৮৭৮ বছর ১ মাস ১৮ দিন বাকি।
বৈদিক ক্যালকুলেশন অনুযায়ীঃ-
প্রলয় হবে ৪২৬,৮৭৮ বছর ১ মাস ১৮ দিন পর
মহাপ্রলয় হবে ৪,১৯৯,৪৬৬,৮৭৮ বছর ১ মাস ১৮ দিন পর
আর সমাপ্তি ঘটবে ১৫৫,৫১৯,৮৭৯,৪৬৬,৮৭৮ বছর ১ মাস ১৮ দিন পরে। তাই COOL হয়ে হরে কৃষ্ণ মন্ত্র জপ করুন আর সুখী হউন।
এটা হলো বৈদিক জ্ঞান। এটা আমাদের বৈদিক ক্যালকুলেশন। আমি গর্বিত আমি সনাতনী।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏হরে কৃষ্ণ🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
জল বা পানি সম্পর্কে বৈদিক জ্ঞানঃ-
আপো ভদ্রা ঘৃতমিদাপ আসন্ন্ অগ্নীষোমৌ ইত্তাঃ ।
তীব্রো রসো মধুপৃচামরংগম আ মা প্রাণেন সহ বর্চসা গমেত্ ।।
অনুবাদঃ- নিশ্চিতভাবে জল কল্যানকারী আর ঘৃত ( তুলনায়ঃ তেজ প্রদায়ক )। এই জলকে অগ্নি আর সোম মিলে পুষ্ট বা পূর্ণ করে। ঐ জল মধুরতায় পূর্ণ তথা তৃপ্তিদায়ক তীব্র রস আমাদের প্রাণ তথা বর্চস ( আশির্বাদ ) এর সহিত প্রাপ্ত হোক।
( অথর্ববেদ ৩/১৩/৫ )
এইখানে বলা হয়েছে যে, অগ্নি ও সোম মিলে পুষ্ট বা পূর্ণ করে। আর আমরা জানি জল বা পানি হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন এর অনু দ্বারা গঠিত হয় বা পূর্ণ হয়। হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন হলো আজকের ভাষা। কিন্তু ১,৯৬,০৮,৫৩,১২২ বছর পূর্বে যখন বেদ হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন এর সম্পর্কে বলেছিল তখন সেই সময়ের ভাষানুযায়ীই বলেছিল। আর তখন তাদের অগ্নি আর সোম তত্ত্ব নামেই পরিচিতি ছিল। আর কেন এই নাম তা আমরা জানব।
আমরা জানি যে সূর্য খুব উত্তপ্ত আর...খুবই উত্তপ্ত। আর সূর্যের এই তাপ ও আলোর কারণেই সব গ্রহ বেঁচে আছে। সেই সূর্যের মধ্যে প্রায় ৭৩% ই হাইড্রোজেন আর এই হাইড্রোজেন আনবিক শক্তির দ্বারা হিলিয়ামে পরিণত হয় এবং সূর্যে প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে। আর তাপের প্রাথমিক উৎস হলো আগুন বা অগ্নি। তাই বেদে মধ্যে ১,৯৬,০৮,৫৩,১২২ বছর আগে হাইড্রোজেনকে অগ্নি তত্ত্ব বলা হয়েছে। আর এই হাইড্রোজেনের অনু জলের মধ্যেও আছে। তাই বেদে হাইড্রোজেনকে বলা হয়েছে অগ্নি তত্ত্ব আর অক্সিজেনকে বলা হয়েছে সোম।
।। এটা বৈদিক জ্ঞান ।।
।। হরে কৃষ্ণ ।।
বেদে পানির বাষ্পীভবনঃ-
অমূর্য়া উপ সূর্যে যাভির্বা সূর্যঃ সহ।
তা নো হিন্বন্ত্বধ্বরম্।।
অনুবাদঃ- সূর্যের সম্পর্কে এসে পবিত্র বা বিশুদ্ধ হওয়া বাষ্পীকৃত জল, ওর শক্তির সাথে পর্জন্য-বর্ষার রূপে আমাদের সৎকর্ম বৃদ্ধি করুক আর যজ্ঞ সফল করুক।
( অথর্ববেদঃ ১/৪/২)
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Telephone
Website
Address
Narsingdi
আমাদের এই পেজটা শুধু ইসলামিক ভিডিও এর জন্যে কেউ ইসলামিক ভিডিও ছাড়া কোনো কিছু শেয়ার করবেন না
Narsingdi
ইসলামের শাশ্বতবাণী সবার কাছে পৌছাতে পেইজে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার দিয়ে সহযোগিতা করতে আহবান করছি।
Narsingdi
আলহামদুলিল্লাহ ♥ ইনশাআল্লাহ, সহিহ পদ্ধতিতে হজ্জ ও উমরাহ করার প্রয়াসে... we are in an attempt to perf
Narsingdi, 1630
হে প্রশান্ত আত্মা ! তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। সূরা ফজর আঃ27-28