Fi Amanillah

চট্টগ্রাম বোর্ডের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত একজন নূরানী শিক্ষক লাগবে, মানসম্পন্ন হাদিয়া দেওয়া হবে লোকেশন নরসিংদী জেলা মনোহরদী ফোন 01757740938

মীরজাফর জাফর ইকবালের তথ্যবল মানুষ বানর থেকে আসে নাই আমার মনে হয় মানুষ ভোলা থেকে এসেছে?

আজ থেকে চল্লিশ বছর আগের মাহফিলের পোস্টার।।
আল্লাহ তায়ালা তিনাদেরকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম নসিব করুক,
যিনারা জিবিত আছেন তিনাদেরকে সুস্থতার হায়াত দান করুক, আমিন। সাথে সাথে ফি আমানিল্লাহ পেইজটি ফলো করে রাখুন ফলো করে রাখুন

আমরা কিছুদিন থেকে লক্ষ্য করছি যে, ৯০% মুসলিমদের দেশ আমার বাংলাদেশে ষষ্ঠ শ্রেণি ও সপ্তম শ্রেণীতে ডারউইনের নাস্তিক মনা কুফরী মতবাদ কে জাতীয় শিক্ষা সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে, দ্রুত সংশোধনের আহ্বান জানাচ্ছি।

একটি মতবাদ নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে তা হলো মানুষ বানর থেকে নাকি মানুষ থেকে মানুষ হয়েছে।

ডারউইনের কুফরি মতবাদ হল মানুষ বানর থেকে পর্যায়ক্রমে মানুষ হয়েছে আর তার এই দাবীকে অনেক বিজ্ঞানী খন্ডন করেছেন তাই আমরা তার দাবিকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় আজ খন্ডন করব না।

আমরা দেখব আমাদের কুরআনে আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টির ব্যাপারে কি বলেছেন।

আদি পিতা আদম (আ.)-এর সৃষ্টি নিয়ে বিভিন্ন বস্তুবাদী গবেষক, দার্শনিক নানা বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন। যেমন—আদি মানব সম্প্রদায় বানর ছিল! কালের আবর্তনে পর্যায়ক্রমে বানর থেকে মানবে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বর্তমান যুগে কি বিশ্বের কোথাও একটি বানর মানবে রূপান্তরিত হয়ে জীবন যাপন করছে? কিংবা কোনো বানরের গর্ভ থেকে মানব সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে ও বেঁচে আছে? এর জবাব হলো নেতিবাচক। এটা সকলের জানা। আদি মানব কী বস্তু থেকে সৃষ্টি তা মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে মহান আল্লাহ স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন যে ‘কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা।’ (সুরা সাজদাহ, আয়াত : ৭),

অন্য আয়াতে এসেছে, ‘ মাটির মতো শুষ্ক মাটি থেকে (মানুষকে) সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা আর-রহমান, আয়াত : ১৪)

আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা সোয়াদ, আয়াত : ৭৫)

আদম (আ.) মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি। কিন্তু মা হাওয়া (আ.) কী দিয়ে সৃষ্টি—সে সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘অতঃপর তিনি তার (আদম) থেকে তার যুগল (হাওয়াকে) সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ৬)

আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি তার (আদম) থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন আর বিস্তার করেছেন তাদের দুইজন থেকে অগণিত নারী-পুরুষ।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১)।

অন্যত্র বলেন, ‘তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনীকে, তোমাদের জন্যই সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা রুম, আয়াত : ২১)

মহান আল্লাহ আদম (আ.)-এর পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে মা হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন। এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নারী জাতিকে পাঁজরের বাঁকা হাড় দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের মধ্যে একেবারে ওপরের হাড়টি অধিক বাঁকা। যদি তা সোজা করতে যাও, ভেঙে ফেলবে। আর যদি তা ছেড়ে দাও, তবে সব সময় বাঁকাই থাকবে। সুতরাং তোমরা নারীর সঙ্গে উত্তম ও উপদেশমূলক কথাবার্তা বলবে।’ (বুখারি হাদিস : ৩০৮৫)

পৃথিবীতে প্রথম মানব আদম (আ.) মাটি থেকে এবং প্রথম মানবী হাওয়া (আ.) আদমের পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি। এতদ্ব্যতীত সকল মানব-মানবী এক ফোঁটা অপবিত্র তরল পদার্থ (বীর্য) থেকে অদ্যাবধি সৃষ্টি হয়ে চলেছে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর আমি তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, জমাট বাঁধা রক্ত থেকে, এরপর পূর্ণ আকৃতি ও অপূর্ণ আকৃতি বিশিষ্ট গোশতপিণ্ড থেকে, তোমাদের কাছে ব্যক্ত করি।’ (সুরা হজ্জ, আয়াত : ৫)

এভাবে আজও মানব বংশবিস্তার অব্যাহত আছে বিবাহ-বন্ধন ও স্বামী-স্ত্রীর মিলন ব্যবস্থার মাধ্যমে, যাতে মহান আল্লাহর মহৎ উদ্দেশ্য সফল হয়।

আল্লাহ তাআলা আরো জানিয়েছেন, মানুষকে তিনি সৃষ্টি করেছেন এক নর ও এক নারী থেকে। সুতরাং সকল মানুষ - শত বৈচিত্র্য সত্ত্বেও - একই বংশের, একই মা-বাবার সন্তান। আর আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি হল তাকওয়া।

সূরা হুজুরাতের বিখ্যাত আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন

يَاأَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ

হে মানুষ! আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে; পরে তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পার।



তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সেই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকী। নিশ্চয় আল্লাহ সকল কিছু জানেন, সমস্ত খবর রাখেন।

-সূরা হুজুরাত ৪৯ : ১৩

আমি এই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সকল সচেতন ও দায়িত্বশীল অভিভাবকদের কে অনুরোধ করছি আপনারা ঈমানি দায়িত্ব পালনের জন্য হলেও এই কুফরি মতবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল কে এই কুফুরি মতবাদ থেকে হেফাজত করুন আমিন।

তাওহিদের দাঈদের চামড়া মোটা হয়। এতটাই মোটা যে, জালিমের শত জুলুমও তা ভেদ করে কলবে থাকা ঈমান তক পৌঁছুতে পারে না। শারীরিক নির্যাতনই যেখানে অকার্যকর, সেখানে মানসিক নির্যাতন আর কতটুকুই বা প্রভাব বিস্তার করতে পারে! ইতরদের শেষ পুঁজি গালি। সর্বযুগে এই পুঁজি ব্যবহার করে দাঈদের দমানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু যারা নিজেকে সঁপে দিয়েছে মহান রবের সমীপে, তারা নিন্দুকের নিন্দাকে কবেই বা পরোয়া করেছিল! কাফেলা আপন গতিতে এগোতে থাকবে আর চতুষ্পদ দাঁতাল স্বভাব অনুসারে চেঁচিয়েই যাবে।

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ সফল হোক।

সহজ সরল বন্ধু ঠান্ডা পানিতে পরে গেছে দেখে, সে বন্ধুকে বাচানোর জন্য ঠান্ডা জলে সামান্য গরম জল ঢেলে সাহায্য করার ভান করছিল। কিন্তু সে চাইলেই আপনাকে ওখান থেকে তুলে নিতে পারতো। কিছু লোক প্রয়োজনের সময় আপনার সাথে থাকার ভান করে কিন্তু তারা আসলে আপনাকে ডুবতে দেখে আনন্দ পায়।
উনি সেটাই করছেন । তাই আসল বন্ধু নির্বাচন করুন। দরকার হলে একা থাকুন। ডুবে যাবেন প্রতারিত হবেন না।
®কালেক্টেড

#২য় পর্বে কোন ইজতেমা হবেনা ৷ বরং ওলামা বিদ্বেষীদের মিলনমেলা হবে 😭 নবীর ওয়ারিস(আলেম) বিদ্বেষী মানে ইসলাম বিদ্বেষী!✅
#যারা ১ম পর্বে যেতে পারেন নাই🏃 ২য় পর্বে গিয়ে নিজের ঈমানকে প্রশ্নবিদ্ধ না করার অনুরোধ রইলো।
হাদিসটি মনে রাখবেন,,,,
""" যার সাথে যার মোহাব্বত, তার সাথে তার কিয়ামত""
আর নিঃসন্দেহ কিয়ামতের দিন আলেমরাই বিজয়ী হবে।
(উবায়দী)

কোনো ভালো ঘরের সন্তান'রা চিল্লাচিল্লি করে, আতশবাজি ফাটিয়ে মানুষের ঘুম নষ্ট করতে পারে না !! রব তাদেরকে হেদায়েত দান করুন।

“ফূর্তি ও অনুষ্ঠান সবকিছুতেই আতশবাজির মহামারি কিংবা আগুনের ব্যবহার থেকে মুসলমানদের মুক্ত হওয়া উচিত। এই ভয়ংকর অপচয় ও অনুচিত সংস্কৃতি মুসলমানদের জন্য কিছুতেই অনুসরণযোগ্য ও পালনযোগ্য হতে পারে না।
ধ্বংসাত্মক অপচয়ের মধ্যে মুসলিম কোনো সমাজের কোনো গৌরব ফুটে ওঠার কোনো অবকাশ নেই।

একইসঙ্গে অন্য ধর্মের অনুসারীদের জন্যও আতশবাজির মতো অনুষ্ঠানে, যেটি কোটি কোটি ‘টাকা’ আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো অপচয়ে না যাওয়ার পরামর্শ আমরা দেব। কারণ শাশ্বত মানবিক ক্ষেত্রগুলোর ক্ষয় ও ক্ষতি সবার জন্যই সমান বিনাশ নিয়ে আসে। আমাদের দেশের জনগণ এবং সরকারের প্রতিও আমাদের একই আহ্বান থাকবে।“

- মুফতি আবুল হাসান আবদুল্লাহ
মাসিক আল কাউসার, ফেব্রুয়ারি ২০১৬