Dr. T.A Juhany
MBBS,MPH,MCGP(Medicine)
CCD(Diabetology,BIRDEM)
Resident Physician
Square Medical Center
BSCIC,Pabna.
General Physician,Diabetologist & Public Health Specialist.
Free medical camp at Juhany Health Care
চিকেনপক্স হলে গোসল করা যাবে??
হ্যা/না
কিডনি ভালো রাখার উপায় :
🕹নিয়মিত ব্যায়াম করুন
🕹ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুন
🕹রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে রাখুন
🕹পরিমিত আহার করুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন
🕹ধুমপান ও মদ্যপান পরিহার করুন
🕹অপ্রয়োজনীয় ওষুধ যেমন ব্যথানাশক ও এন্টিবায়োটিক সেবন বন্ধ করুন
🕹নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করান
🕹পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করুন
🕹অতিরিক্ত লবন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
🕹স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করুন
DR.T.A.JUHANY
ঠান্ডায় নাক বন্ধ থাকলে করণীয়:
১. স্যালাইন ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করতে পারেন
২. যথেষ্ট পানি পান করুন
৩. নাক ঝেড়ে ফেলুন, সর্দি আটকে রাখবেন না
৪. নাক এবং কপালে গরম সেঁক দিন, তবে ত্বক যেন পুড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন
৫. গরম চা এবং স্যুপ পান করুন
৬.ভিটামিন-সি জাতীয় ফল যেমন লেবু,কমলা,আমলকি,পেয়ারা ইনফেকশন ও নাক বন্ধের সমস্যায় খুব উপকারী । লেবুর রস, এক গ্লাস পানি ও এক চা চামচ মধু সকালে খেলে এই সমস্যা অনেকটা কাটবে।
৭. ঝাঁঝালো মেনথল মলম ব্যবহার করুন
৮. গরম পানিতে লবন মিশিয়ে গড়গড়া করুন
৯. কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন
১০.ভাপ নিয়ে নাক পরিষ্কার করতে পারেন। দিনে অন্তত দুবার গরম পানির ভেপার (বাষ্প) নিতে হবে। গরম পানিতে মেনথলের দানা মিশিয়ে চোখ বন্ধ করে ভেপার বা ইনহেলেশন নাক দিয়ে টেনে নিন অথবা Solution ব্যবহার করতে পারেন এতে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস নাক থেকে সহজেই দূর হবে।
১১. আপনার নাক যদি অ্যালার্জির কারণে বন্ধ হয়ে থাকে তাহলে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন, তবে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলে তারপর।
DR.T.A.JUHANY
2023
???
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ফলে আগামী বিশ বছরে ক্যানসারের থেকেও বেশি মানুষ মারা যাবে!!
হার্ট এটাক পরবর্তী প্রতিটা মিনিট গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট এটাকের পর যতো দ্রুততার সাথে রক্তনালীতে ব্লক ছুটানো যাবে- রোগী বেঁচে যাবার সম্ভাবনা ততো বেশি। ঔষধ দিয়ে সবসময় ব্লক ছুটানো যাবেনা। প্রয়োজন হতে পারে এনজিওগ্রাম করে রক্তনালীর ব্লক ছুটিয়ে স্টেন্টিং করা যেটাকে আমরা হার্টে রিং পড়ানো বলি।
ডায়াবেটিস এর পেশেন্ট কিংবা বয়স্ক পেশেন্টদের হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে ব্যাথা নাও থাকতে পারে, ECG চেঞ্জ +trop-I raised দেখে ডায়াগনোসিস করে PCI করতে হবে, বুকে ব্যাথা না থাকলেই PCI করা লাগবেনা বলে কোনো গাইড লাইনে বলা নাই।
কোনো old aged পেশেন্ট এর ECG চেঞ্জ আসলো, MI ডায়াগনোসিস হলো, কিন্ত তার বুকে ব্যাথা নাই, তাই বলে তাকে কনজার্ভেটিভ চিকিৎসা দিয়ে রেখে দিলে clot remove না করলে তথা Thrombolysis না করলে তার রিপিটেড ম্যাসিভ MI হতে পারে।
বিবেকের তাড়নায় ডাক্তার তুমি পার পাবেনা।বিবেকের দংশন সর্প বিষের চেয়েও বিষাক্ত।এই বিষক্রিয়া একবার শুরু হলে আর থামানো যাবে না।এই বিষক্রিয়া তোমাকে জীবিত রেখে তিলে তিলে শেষ করবে।এই পেশার চেয়ে সেনসিটিভ পেশা আর হতে পারে না।
DR.T.A.JUHANY
RESIDENT PHYSICIAN
SQUARE MEDICAL CENTER
জ্বর হলে প্রতিদিন স্যালাইন পানি খান ।
DR.T.A.JUHANY
ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার সঠিক নিয়ম:
ইসুবগুলের ভুষি রাতের খাবারের পরে অনেকক্ষণ ভিজিয়ে না রেখে পানি দিয়ে গুলিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলতে হয়।
ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ ও চিকিৎসা:
হঠাৎ করে কোনো এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আপনার মুখ একদিকে বেঁকে গেছে! কুলি করতে গেলে পানি ঠোঁট বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে, চোখ বন্ধ করতে পারছেন না! কী ভয়ংকর অনুভূতি হবে তখন, তাই না? ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ কী, এই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না! চলুন আজ এই রোগ সম্পর্কিত কিছু তথ্য জেনে নেই।
ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস
এটা এক ধরনের প্যারালাইসিস। আমাদের সপ্তম ক্রেনিয়াল নার্ভটিকে ফেসিয়াল নার্ভ বলে। যখন এটি আংশিক বা সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে যায়, তখন তাকে ফেসিয়াল পলসি বা ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বলে।
ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস এর কারণ:
ভাইরাল ইনফেকশন
মধ্য কর্ণে ইনফেকশন
ঠান্ডাজনিত কারণ
আঘাতজনিত ও মস্তিষ্কের স্ট্রোকজনিত কারণ
ফেসিয়াল টিউমার
কানের অপারেশন পরবর্তী ফেসিয়াল নার্ভ ইনজুরি ইত্যাদি।
লক্ষণগুলো কী কী?
এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মুখ সাধারণত একদিকে বাঁকা হয়ে যায়। রোগীর মুখের যে পাশ আক্রান্ত হয়েছে, সে পাশের চোখ বন্ধ হয় না এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে।
কুলি করতে গেলে পানি গড়িয়ে পড়ে যায়
গালের মাংসপেশি ঝুলে যেতে পারে
খাবার চিবাতে ও গিলতে কষ্ট হয়
মুখের হাসি বেঁকে যায়
লালা ঝরতে থাকে
জিভ শুকিয়ে যায়।
চিকিৎসা:
এর চিকিৎসা রোগের কারণের উপর নির্ভর করে। কী কারণে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস হয়েছে, তার উপর নির্ভর করে মেডিসিন দেওয়া হয়ে থাকে।সাধারণত এই রোগের জন্য স্টেরয়েড মেডিসিন ব্যবহার করা হয়। ‘ড্রাই আই’ প্রতিরোধ করার জন্য আই ড্রপ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া চোখ একেবারে বন্ধ না হলে ঘুমানোর সময় সার্জিক্যাল টেপ দিয়ে চোখ বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ঘরোয়া চিকিৎসা:
১। ফেসিয়াল ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে।
২। চোখের জ্বালা-পোড়া এবং ব্যথা কমাতে নরম টাওয়াল উষ্ণ পানিতে ভিজিয়ে চোখে সেঁক দেওয়া যায়।
৩। একটা গ্লাসে অল্প পানি নিয়ে তার ভেতর স্ট্র দিয়ে বুদবুদ তুলবেন। এতে ঠোঁটের চারপাশের মাংসপেশী শক্তিশালী হবে, পানি পান করার সময় আর গাল বেয়ে পড়ে যাবে না।
৪। কথা বলুন, এতে করে কথা বলার জড়তা কমে আসবে।
৫। রিল্যাক্স থাকার চেষ্টা করবেন। ব্রেথিং এক্সারসাইজ, ইয়োগা এগুলো আপনাকে রিল্যাক্স থাকতে সাহায্য করবে।
(Vedio taken with the permission of patient)
Dr.T.A.JUHANY
RESIDENT PHYSICIAN
SQUARE MEDICAL CENTER.
পাকা আম খেলে ঘুম আসে এটা আমরা অনেকেই লক্ষ করে থাকব। তাহলে কী এমন থাকে পাকা আমে যার কারণে এটি এতটা ঘুমের উদ্রেক করে?
প্রথমত, পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপ্টোফ্যান। এটি এমন একটি রাসায়নিক উপাদান যা দ্রুত ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আসে। এতে আরও আছে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন বি-১২, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম।
ভিটামিন বি-৬ মেলাটোনিনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মেলাটোনিন এমন একটি প্রাকৃতিক হরমোন যা 'Circadian Rhythm' বজায় রাখে। আর এই 'Circadian Rhythm' হল একটি প্রাকৃতিক এবং অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া যা ঘুম-জাগ্রত চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে পুনরাবৃত্তি করে।
আবার আমে থাকা ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ু উত্তেজনা হ্রাস করে এবং পেশী শিথিল করে। পটাশিয়ামও প্রাকৃতিক পেশী শিথিল-কারী হিসেবে পরিচিত।
মূলত এসব কারণেই পাকা আম খেলে আমাদের ঘুম চলে আসে।
-যাদের রাতে ঘুম না হওয়ার সমস্যা রয়েছে তারা রাতের খাবারে ১/২ কাপ আম খেতে পারেন।
.T.A.JUHANY
ঈদ মানেই যেমন খুশি, আনন্দ ও সুন্দর জমকালো জামাকাপড় পরা, ঠিক তেমনি ভোজনরসিকদের জন্য এই রোজার ঈদ অনেক আনন্দের। খাবারের তালিকায় থাকে পোলাও, বিরিয়ানি, গরুর গোশতের ভুনা, মুরগির রোস্ট, খাসির রেজালা, ভারি নাস্তা ও হরেক রকমের মিষ্টিজাতীয় খাবার; কিন্তু শুধু খেলেই কি হবে?
অতিরিক্ত খেলে হয়ে যেতে পারে বদহজম এবং ওজন অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করে ঈদের খাবার খেতে হবে।
১. যেহেতু ঈদের সময় সবার বাড়িতে প্রচুর দাওয়াত থাকে এবং এই দাওয়াত এড়িয়ে চলা কোনোভাবেই সম্ভব নয়, তাই অতিরিক্ত খাওয়ার পরে টক দই খেয়ে নেবেন। এতে সহজে খাবার হজম হবে।
২. খাওয়ার সময় কোন খাবার অতিরিক্ত খাবেন না। এক প্লেট পোলাও নিয়ে মোটামুটি সবকিছু খাবেন পরিমিতভাবে। তবে যদি লাল মাংস খাওয়া হয় তবে চর্বি কাটানোর জন্য সহনীয় কুসুম গরম লেবু পানি অথবা গ্রিন টি পান করবেন যেন চর্বি কেটে যায়।
৩. আপনার শরীরের ক্যালরি চাহিদা অনুযায়ী যেদিন প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়ে যাবে, সেদিন হাঁটার মাধ্যমে ও ব্যায়ামের মাধ্যমে অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন করবেন।
৪. যাদের ওজন অতিরিক্ত বেশি তারা খাবার খাওয়ার অন্ততপক্ষে ১৫ মিনিট আগে একটু পেট ভরে পানি পান করবেন। তাহলে বেশি ভারি খাবার খাওয়ার চাহিদা থাকবে না।
৫. খাবারের লিস্টে প্রতিদিন বেশি করে শাকসবজি এবং টকজাতীয় ফল খাবেন যেন দেহে অতিরিক্ত চর্বি না জমে।
৬. অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৭. যেদিন দাওয়াত থাকবে একবেলার খাবার হালকা রাখুন। তবে রাতে ভারি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
৮. যাদের দেহে কোলেস্টেরল বেশি তারা অতিরিক্ত তেল-মসলা জাতীয় খাবার এবং লাল মাংস থেকে বিরত থাকুন। ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলবেন।
৯. যেহেতু এই সময়ে গরমকাল তাই বেশি করে পানি পান করুন, যেন শরীর ডি-হাইড্রেটেড না হয়ে যায়।
১০. এই সময়ে ছুটি থাকে, তাই ঘরে বসে থাকলেও অল্প জায়গায় হাঁটার অভ্যাস করুন।
১১. ভারি জাতীয় খাবার খাওয়া হচ্ছে বলেই যে সোডা জাতীয় খাবার, কার্বোনেটেড বেভারেজ ইত্যাদি খাবেন, তা কিন্তু নয়। এগুলো এড়িয়ে চলবেন।
উপরোক্ত নিয়মাবলি অনুসরণ করলেই আশা করি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবেন এবং আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন। আশা করি সবার ঈদ অনেক আনন্দময় এবং পবিত্র হবে।
Dr.T.A.JUHANY
EID MUBARAK ❤️
কুরআন শরীফে আল্লাহপাক বলেনঃ
'হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেজগারী অর্জন করতে পারো ।' (সূরা বাকারাঃ১৮৩)
তাই যারা আল্লাহর আদেশ মেনে রোজা রাখে তারা আধ্যাত্বিক ও দৈহিক উপকার অর্জন করতে পারে । রোজা রাখলে ১০টির বেশী দৈহিক উপকার হয় ।
১. রোজা Detoxification উন্নত করেঃ
Processed খাদ্যে অনেক additive মিশ্রিত থাকে এবং চর্বি হিসেবে জমা হয় । দীর্ঘ রমজান মাসে রোজার কারণে সেই চর্বি দগ্ধ হয়। লিভার, কিডনী এবং অন্যান্য অর্গান এই সম্পন্ন Detoxification করে ।
2.রোজা পরিপাকতন্ত্রকে বিশ্রাম দেয়ঃ
রোজার কারণে সারাদিন যেহেতু পরিপাকতন্ত্রের পরিপাক করতে হয় না এবং কোন পরিপাক এনজাইম ক্ষরণ হয় না এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পরিপাকতন্ত্র বিশ্রাম পায় । ইফতারীর পর পুনরায় পুরদমে পরিপাক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে । তাই কাজের মান বেড়ে যায় এবং হজমও ভাল হয় ।
৩. রোজা রক্তচাপ কমায়ঃ
রোজাই একমাত্র পদ্ধতি যা ওষূধ বিহিন রক্তচাপ কমায় । রোজা থাকা কালীন শরীরে জমানো চর্বিদগ্ধ হয় এবং শক্তি সরবরাহ করে । চর্বি কমলে রক্তের ঘনত্ব কমে এবং রক্তচাপও কমে ।
৪. রক্তের সুগার কমায়ঃ
রোজা থাকলে শরীরে জমাকৃত গ্লুকোজ দগ্ধ হয়ে শক্তিতে রপান্তরিত হয় । তাতে ইনসুলিন হরমোন কম নিঃসৃত হয় । Pancreas তাতে বিশ্রাম নিতে পারে । ইফতারের পর কার্বোহাইড্রেট (ভাত, রুটি, আলু, সবজি ) খেলে Pancreas থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত হয় এবং ইনসুলিন ভালোভাবে কাজ করতে পারে । তার ফলে ব্লাড সুগার কমে ।
৫. রোজা ওজন কমায়ঃ
রোজা থাকলে ওজন কমে । কারণ রোজা থাকলে শরীরে জমাকৃত চর্বি শক্তিতে রূপান্তরিত হয় । তাতে জমাকৃত চর্বি কমে যায় । তাই ওজনও কমে ।
৬. রোজা স্বাস্হ্য সম্মত খাদ্যের প্রেরণাঃ
সুন্নত হিসাবে খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙা হয় । খেজুর একটি উত্তম স্বাস্হ্যসম্মত খাদ্য । প্রতিটি খেজুরে ৩১ গ্রাম শর্করা, সুগার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি আছে, যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী । যেমনঃ পটাশিয়াম হার্টবিট কমায় । তাছাড়া খেজুরে আছে Natural Fibre যা পেটের জন্য খুবই ভালো এবং কোষ্ঠ কাঠিন্য রোধ করে ।
৭.রোজা Inflammation এবং Allergy কমায়ঃ
Rheumatoid Arthritis, Psoriasis ভালো হয় । Healing Process ত্বরান্বিত করে । তাই Inflammatory Bowel Diseases ভাল হয় ।
৮. রোজা নেশা প্রশমিত করে এবং কান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে:
কেহ ধুমপান করে, কেহ চা বা কফি পান করে । রোজার কারণে এইসব বদ অভ্যাস দূর হয় । যা স্বাস্হের পক্ষে খুবই ভালো এবং কান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৯. রোজা মেদ কমায়
আল্লাহপাক আমাদেরকে রোজা রাখার মাধ্যমে দৈহিক ও আধ্যাত্বিক উন্নতি দান করুন । আমিন ।
Dr.T.A.JUHANY
জলবসন্ত কি?কেন হয়?প্রতিরোধ এবং প্রতিকার কি?
বসন্ত আসে শুধু ঋতু হিসেবে নয়, রোগ হিসেবেও। অর্থাৎ পক্স। আর এই মরসুমেই তার দাপাদাপি বাড়ে। রোগটা কেন ও কী ভাবে হয়, প্রতিরোধ কী, হলেই বা কী করণীয়, কী ভাবে সেরে ওঠা যায় দ্রুত, সে সব নিয়েই থাকল পরামর্শ।
👉বসন্ত মানে ঠিক কোন ধরনের পক্স?
এখন পক্স বলতে মূলত চিকেনপক্স বা জলবসন্তকেই বোঝানো হয়। ত্বকের উপর জলফোস্কার মতো র্যাশ বেরোয় বলেই এই নাম। ভ্যারিসেলা ভাইরাস এ রোগের কারণ।
👉বসন্ত কি ছোঁয়াচে?
হ্যাঁ, মারাত্মক ছোঁয়াচে। ভাইরাসটা শরীরে ঢুকলে অসুখটার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ৩-৭ দিনের মধ্যে। এই সময়ে অজান্তেই সংক্রমণটা ছড়ায়। তার পর জ্বর আসে ও র্যাশ বেরোয়। র্যাশ থেকে খোসা পড়ে যাওয়ার সময় পর্যন্ত রোগটা ছোঁয়াচে।
👉পক্স কি শুধু বসন্তকালেই হয়?
মূলত তা-ই হতো এককালে। সে জন্যই রোগটার নাম বাংলায় বসন্ত। তবে বেশ কয়েক দশক দেখা যাচ্ছে, বছরের যে কোনও সময়েই হতে পারে এ সংক্রমণ। তবে শীত পড়ার পর থেকে প্রকোপ বাড়ে। এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চে তা সবচেয়ে বেশি হয়।
👉পক্স একবার হলে আর কি হয় না?
কথাটা অনেকটাই সত্যি, তবে পুরোটা নয়। একবার পক্স হয়ে গেলে শরীরে ভ্যারিসেলা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায় পাকাপাকি। খুব কম কয়েক জনের ক্ষেত্রে ফের পক্স হয় বটে। তবে রোগের তীব্রতা সাধারণত বেশি হয় না তাঁদের ক্ষেত্রে। কিন্তু বড় বয়সে পক্স হলে অনেকেরই বেশ বাড়াবাড়ি হয়। নিউমোনিয়া থেকে শুরু করে এনকেফ্যালাইটিস— সবই হতে পারে।
👉জলবসন্ত থেকে বাঁচার কোনও উপায় আছে কি?
ভ্যারিসেলা ভ্যাকসিন নিয়ে নিলে অনেকটাই সুরক্ষা মেলে। এর পরেও কারও পক্স হলে, তার তীব্রতা খুবই কম হয়। তবে একবার চিকেনপক্স হয়ে গেলে এ প্রতিষেধকের আর দরকার নেই৷ বাড়িতে কারও চিকেনপক্স হলে, সে বছর আর প্রতিষেধক নিয়ে লাভ না-ও হতে পারে।
এমনিতে এই ভ্যাকসিন নেওয়া যায় ১৫ মাস বয়সের পর যে কোনও সময়ে৷ একদম ছোটদের ক্ষেত্রে ১৫-১৮ মাস বয়সে প্রথম ডোজ আর ৪-৬ বছর বয়সে দ্বিতীয় ডোজ। বয়স ৭ বছরের বেশি হলে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ৬-৮ সপ্তাহের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
👉🙆🙆বসন্তের চিকিৎসা কী?
করোনার মতোই আইসোলেশন জরুরি। যাতে অসুখটা না ছড়ায়। ঘরবন্দি থেকে বিশ্রাম নেওয়া সবচেয়ে উপকারী। এর চিকিৎসা বরাবর উপসর্গভিত্তিক করা হয়।
জ্বর সামলাতে প্যারাসিটামল আর র্যাশের চুলকানি সামলাতে কখনও কখনও অ্যান্টি-অ্যালার্জিক। তবে আজকাল অ্যাসাইক্লোভির অ্যান্টিভাইরাল ওষুধও দেওয়া হয়। এতে দ্রুত রোগটা বাগে আসে, জটিলতার আশঙ্কা কমে।
ভ্যারিসেলা আদতে হার্পিস গোত্রের একটি ভাইরাস (টাইপ-৩)। অনেক সময়ে পক্স সেরে গেলেও কিছু ভাইরাস স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে লুকিয়ে বেঁচে থাকে। এ থেকে পরে হার্পিস হতে পারে। অ্যান্টিভাইরাল থেরাপিতে সে আশঙ্কাও কমে। একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও কমে।
ডা.তাহান-আল-জুহানি
আবাসিক চিকিৎসক
স্কয়ার মেডিকেল সেন্টার।
ইনসুলিন হরমোনের ঘাটতিজনিত বিশেষ রোগ ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিক রোগীদের জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসে নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস রোগ নিয়ে সবার মাঝেই সাধারণ কিছু প্রশ্ন রয়েছে। এর মধ্যে বহুল জিজ্ঞাস্য কিছু প্রশ্ন হলো
ডায়াবেটিস কি ছোঁয়াচে? না, ডায়াবেটিস কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। জিনগতসহ পরিবেশগত বিভিন্ন কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে।
ডায়াবেটিস কি বয়স্কদের রোগ? টাইপ-১ ডায়াবেটিস ৩০ বছর বয়সের আগেই এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস সাধারণত ৪০ বছরের পর হয়। এছাড়া গর্ভাবস্থাতেও অনেকের ক্ষেত্রে এবং অগ্ন্যাশয়জনিত বিবিধ রোগের কারণেও ডায়াবেটিস হতে পারে।
মিষ্টি বেশি খেলে কি ডায়াবেটিস হয়? সরাসরি মিষ্টি খাওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিসের কোনো যোগসূত্র নেই। মিষ্টি বেশি না খেলেও ডায়াবেটিস হতে পারে। পারিবারিক ইতিহাস, ওজন বৃদ্ধি, অস্বাস্থ্যকর খাবার, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ইত্যাদি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। মিষ্টি খাবারে ক্যালরি বেশি থাকায় ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। তাই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
শ্বেতসারজাতীয় খাবার কি ক্ষতিকর? না, ক্ষতিকর নয়, বরং কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সবিশিষ্ট শ্বেতসার জাতীয় খাবার যেমনÑ ফলমূল, আঁশযুক্ত শাকসবজি, গম ইত্যাদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই স্বাস্থ্যসম্মত। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে শ্বেতসারের ভূমিকা অনেক বেশি।
মিষ্টিজাতীয় সব খাবার ত্যাগ করতে হবে? এটি সম্পূর্ণ সত্যি নয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি মিষ্টান্ন খেতে চাইলে বিভিন্ন উপায়ে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। যেমন-মিষ্টিজাতীয় খাবার তৈরিতে সুক্রালোজ, স্টিভিয়া পাতা ইত্যাদি কৃত্রিম মিষ্টিকারক ব্যবহার করা যেতে পারে। মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলেও তা পরিমাণ কমিয়ে আনুন। বেশি খাওয়া গেলে একটু ব্যায়াম করে নিন। অর্থাৎ নিয়ন্ত্রিত মিষ্টিজাতীয় খাবার গ্রহণ করাই শ্রেয়।
কোনো ফল খাওয়া যাবে কি না? ফলে অঁাঁশ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে; কিন্তু ফলে শর্করাও থাকে, যাকে অবশ্যই খাদ্যতালিকার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। ডায়াবেটিস হলে পছন্দের সব খাবার পরিহার করতে হবে এটিও সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা পছন্দের খাবার অবশ্যই খেতে পারবেন, তবে তা তৈরিতে সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে, যেমন খাবারে তেলের পরিমাণ কমিয়ে আনা ইত্যাদি।
ইনসুলিন কি শেষ চিকিৎসা? ইনসুলিন দেওয়া মানে অবস্থা খুব জটিল এমন নয়। ইনসুলিন একজন ডায়াবেটিস রোগীর জীবনে যেকোনো সময় লাগতে পারে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়, যেকোনো বড় অস্ত্রোপচারের আগে-পরে, কোনো গুরুতর রোগে হাসপাতালে থাকাকালীন বা মারাত্মক কোনো সংক্রমণের সময়, কিডনি বা
যকৃতের জটিলতায় ইনসুলিনই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ চিকিৎসা। এছাড়া কোনো কারণে রক্তে শর্করা অনেক বেড়ে গেলেও ইনসুলিন দরকার হয়।
Dr.T.A.JUHANY
COVID-19 এবং সামাজিক কুসংস্কার
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি কি?
ডায়াবেটিসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চোখ সংক্রান্ত নানান জটিলতা সৃষ্টি হওয়াকেই ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি বলা হয়। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রক্তে অধিক মাত্রার শর্করার জন্য রেটিনার রক্তবাহী নালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এইজন্যই চোখ সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুতর জটিলতার সূত্রপাত।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি কতটা প্রচলিত?
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিতে আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর প্রায় ৪২ মিলিয়ান মানুষ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিতে ভোগেন।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি কি মারাত্মক?
হ্যাঁ। এইক্ষেত্রে লক্ষণ প্রকাশ পায় না বলে এটা খুবই মারাত্মক। রেটিনার রক্তবাহী নালীর বার বার হওয়া ক্ষতি থেকে চোখের গুরুতর সমস্যা হতে পারে এবং চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কি কারণে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি হয়?
ডায়াবেটিস গুরুতর আকার ধারণ করলে, গ্লূকোজের অধিক মাত্রা রেটিনার ক্ষুদ্র রক্তবাহী নালিকে আটকে দেয়। পরিণতি রেটিনায় রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং রেটিনায় নতুন রক্তবাহি নালী তৈরি হয়। এইসব নতুনভাবে তৈরি হওয়া রক্তবাহী নালী যথেষ্ট মজবুত হয় না এবং লিকেজ হয়। চোখে এই রক্তপাতের কারণে গুরুতর অবস্থার সৃষ্টি হয়, কারণ স্কার টিস্যু তৈরি হয় এবং এইসব নতুনভাবে তৈরি হওয়া রক্তবাহী নালী রেটিনার ক্ষতি করে এবং এইজন্যে রেটিনা বিচ্যুত হয়ে গিয়ে অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির লক্ষণ ও উপসর্গ কি?
অনেকক্ষেত্রে, প্রাথমিক ধাপে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির কোন লক্ষণ ও উপসর্গ প্রকাশ পায় না। রোগ ধীরে ধীরে বেড়ে উঠলে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির কারণে চোখের ক্ষতি হয় এবং নিম্নলিখিত লক্ষণ ও উপসর্গ প্রকাশ পায়ঃ
লক্ষণঃ
১. চোখ ফুলে যায় ও লাল হয়ে যায়
উপসর্গঃ
১. স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা হয় কিংবা দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায়
২. চোখের সামনে ঘুর্নায়মান গাঢ় স্পট আসে
৩. স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তিতে ব্যাঘাত ঘটে
৪. বর্নান্ধতা
৫. দৃষ্টিশক্তিতে আচমকা গাঢ় এম্পটি দাগ দেখা যায়
৬. আস্তে আস্তে দৃষ্টিশক্তি লোপ পায়
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি কীভাবে ডায়াগনিসিস করা হয়?
সাধারণত, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি রোগ নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া হয়ঃ
ডায়ালেটেড আই পরীক্ষা- চোখের নির্দিষ্ট ড্রপ দিয়ে চোখের তারাকে প্রসারিত করা হয়। কোন ধরণের অস্বাভাবিকতা আছে কি না সেটা দেখার জন্য বিস্তৃত পরীক্ষা করা হয়।
ফ্লুরোসেইন অ্যাঞ্জিওগ্রাফি- চোখের পরীক্ষার অংশ হিসেবে এটা করা হয়। চোখের ভেতরের অংশের পরিষ্কার ছবির জন্য ডাই ব্যবহার করা হয়, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালী দেখা যায়।
ওপটিক্যাল কোহারেন্স টোমোগ্রাফি (ওসিটি)- এই টেস্ট রেটিনার আড়াআড়ি ছবি তোলে। রেটিনা কতটা পুরু সেটা পরীক্ষা করে রেটিনা থেকে তরল ছিদ্রপথে বেরিয়েছে কি না সেটা দেখা হয়।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির চিকিৎসা কি?
রোগের গভীরতার ওপর চিকিৎসা কৌশল নির্ভর করে। অধিকাংশক্ষেত্রে, মেডিক্যাল থেরাপি সহ রক্তে শর্করার মাত্রার যথাযথ নিয়ন্ত্রণ করলে রোগ নিরাময় সম্ভব। যদিও অ্যাডভান্স ও গুরুতর ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সার্জিকাল চিকিৎসা করা হয়ঃ
ফোকাল লেজার ট্রিটমেন্ট বা ফটোকোয়াগুলেশান (লেজার চিকিৎসা, রক্তবাহী নালির ছিদ্র মেরামতি করে কিছুটা পর্যন্ত আবছা দৃষ্টি ঠিক করে)
স্ক্যাটার লেজার ট্রিটমেন্ট বা প্যান রেটিনাল ফটোকোয়াগুলেশান (এই লেজার চিকিৎসা, ক্ষতিগ্রস্ত রক্তবাহী নালিকে সঙ্কুচিত করে রেটিনা থেকে হওয়া রক্তপাত প্রতিরোধ করে)
ভিট্রেক্টোমি (এই প্রক্রিয়ায় চোখের মাঝখান ও রেটিনা থেকে রক্ত ও খুঁতযুক্ত টিস্যু ছিদ্রপথে বের করে)
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির চিকিৎসার প্রধান সমস্যা হল সঠিক ও যথাযথ মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট। সম্পূর্ন নিরাময় করতে পারে এমন ওষুধ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। সার্জারি সাময়িকভাবে সমস্যা ঠিক করে কিন্তু চোখের দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত পরিবর্তী সমস্যা আটকাতে পারে না। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার সঠিক ও যথাযথ নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই সমস্যা এড়াতে পারে।
কীভাবে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির প্রতিরোধ করা যায়?
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির প্রতিরোধ যথেষ্ট জটিল ও কষ্টকর হলেও অসম্ভব নয়। রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রার সঠিক নিয়ন্ত্রণের সাথে নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করালে সহজেই ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিম্নলিখিত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যায়ঃ
১. যথাযথ খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার সাথে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার সঠিক পরিকল্পনা।
২. নিয়মিত ভিত্তিতে কার্যকারীভাবে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার নিয়ন্ত্রণ।
৩. খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চা সহ রক্তচাপ ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ।
৪. ধূমপান ও মদ্যপান ছেড়ে দিন।
৫. দৃষ্টিশক্তিতে আচমকা বদল হলে তখনই খেয়াল করুন।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি থেকে কি অন্ধ হয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে?
গুরুতর ও অ্যাডভ্যান্স ক্ষেত্রে, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি থেকে রেটিনাল ডিটাচমেন্ট ও চোখের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। এইজন্য দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি নষ্ট হতে পারে।
ডায়াবেটিসের জন্য কি ক্যাটারাক্ট হতে পারে?
হ্যাঁ। রক্তে শর্করার অধিক মাত্রা স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি করতে পারে এবং ক্যাটারাক্ট হতেও পারে। সুস্থ লোকদের তুলনায় ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ক্যাটারাক্ট হবার সম্ভবনা ৬০% বেশী। অ্যাকোয়াস হিউমারের মধ্যে অত্যাধিক গ্লুকোজ জমার জন্য চোখের লেন্সের দৃষ্টিশক্তির স্বচ্ছতা নষ্ট হয়ে যায় এবং এইকারনে চোখের লেন্স অস্বচ্ছ হয়ে যায়। এইজন্য ধীরে ধীরে ক্যাটারাক্ট হতে পারে ও দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Dr.T.A.JUHANY
ডায়াবেটিস থাকলে স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা ৬ গুণ বেশি বেড়ে যায়۔۔۔۔
ডায়াবেটিস থাকলে অন্ধত্ব হবার সম্ভাবনা ২৫ গুণ বেশি বেড়ে যায়
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
IK Road
Ishurdi
6620
চর কদিমপাড়া, ছিলিমপুর বাজার, ঈশ্বরদী, পাবনা।
Ishurdi, 6620
আদি হোমিও রিসার্চ এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার / Adi Homeo Research and Treatment Centre
Airport Road, GokulnogorI, Shwardi, , Pabna
Ishurdi, 6620
Be kind upon poors
Ishwardi
Ishurdi, 6620
ONLINE HOMEOPATHIC TREATMENT CELL 008801822816885
B. S. R. I Market, Alhaj More, Pabna Road
Ishurdi, 6620
Dr. Faridul Islam Shohag D.H.M.S (Dhaka) P.D.T (Homeopathic Medicine) M.P.H (Nutrition)