Messrs Sarker Pharmacy
চিকিৎসা জনিত বা ওষুধের জন্য যে কোন কারনে আমাদের কে ফোন করুন।
শুভ হালখাতা ৮ জুন ২০২৩ ইং
ল্যামপিক স্ক্রিন ডিজিজ (L*D) চিকিৎসায় সর্বাধিক ব্যবহৃত ঔষধ। মূলত দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণে এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন হিসেবে ডেজা এসপি (Dexa sp) ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি ব্যবহারের ফলে দ্রুত ঘা শুকিয়ে যায়। এছাড়া সংক্রমণ বাড়তে দেয় না। অপরদিকে পিংক স্প্রে ক্ষতস্থান টি তে দিনে দুই থেকে তিনবার স্প্রে করলে দ্রুত ঘা শুকিয়ে যায়। দ্রুত ঘা শুকানোর ফলে এবং ঘা এর উপরে আবরণ সৃষ্টির ফলে এক গরু থেকে আরেক গরুতে সংক্রামণ কমে যায়।
★★প্রশ্ন-১ঃ গরু মোটাতাজাকরণে ব্রয়লার ফিড ব্যবহারে মাংস কি দ্রুত বৃদ্ধি হয়? ধারনা কি সত্যি?
ইহা কি লাভজনক?
🗣️উত্তরঃ
এক কথায় উত্তর হলো- না।
একটু বুজিয়ে বলি-
খামারী যখন গরু মোটাতাজাকরণ করার জন্য ব্রয়লারের খাবার কিনতে দোকানে আসে তখন সেই খামারীকে আমি ১টি প্রশ্ন করি-
🗣️ক) ব্রয়লারের খাবার আপনি কেন গরুকে খাওয়াবেন?
উত্তরে বলেন- এই খাবার খেয়ে ব্রয়লার ৩০-৩৫ দিনে প্রায় ২ কেজি হয়। এই খাবারে এমন কোন মেডিসিন আছে যেটি গরুকে খাওয়ালেও খুবই দ্রুত মাংস আসবে।
-তখন খামারীকে বলি এই খাবার দেশি মুরগীকে খাওয়ালে কি ৩০-৩৫ দিনে ২ কেজি হবে??
তখন তিনি তার ভুল ধারনাটি বুজতে পারেন।
🗣️★এছাড়াও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি দিয়ে আলোচনা করছি-
🗣️যুক্তি-১ঃ
দুইটি ফিডের রেশন ফরমুলেশন সম্পুর্ণ ভিন্ন। গরু-মোটাতাজাকরনের ফিড ও ব্রয়লারের ফিডের রেশনে অনেক পার্থক্য আছে।
🗣️যুক্তি-২ঃ
হজম প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে ব্রয়লার ফিডের পুষ্টি উপাদান ও ফিডের সাইজ তৈরি করা হয় ঠিক তেমনি গরুর হজম প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে পুষ্টি উপাদান ও ফিডের সাইজ তৈরি করা হয়।
🗣️যুক্তি-৩ঃ
গরুর হজম প্রক্রিয়া হলো মাইক্রোবিয়াল। এর পাকস্থলি ব্রয়লারের মত নয় বরং চার চেম্বার বিশিষ্ট কম্পাউন্ড পাকস্থলি।
এরা জাবরকাটা প্রানী। সেলুলোজ থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি তৈরি করে যাহা Volatile Fatty Acid (VFA) হয়ে রুমিনাল ওয়ালে শোষিত হয়।
ব্রয়লার ফিড সাধারনত স্টার্চ খাদ্য উপাদান সমনন্বয়ে তৈরি হয় ফলে যখন সরাসরি গরুকে (ওজন অনুপাতে) খাওয়ানো হবে তখন তা গাজন প্রক্রিয়ায় রুমেনে ল্যাকটিক এসিড তৈরি করবে ফলে রুমিনাল PH এর তারতম্য ঘটে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়ে ব্লট (Frothy Gas) হয়ে গরু মারাও যেতে পারে।
🗣️যুক্তি-৪ঃ
ব্রয়লারের রক্ত আমাশার কন্ট্রোল করার জন্য ফিডে এন্টি কক্সিডিয়াল ড্রাগ ব্যবহার হয়। এতে ফিড ফরমুলেশনে খরচ হয়। যাহা গরুর জন্য অপ্রয়োজনীয় ও গরুতে ক্ষতি করে।
🗣️যুক্তি-৫ঃ
দাম অনুপাতেও আপনি ঠকছেন! ১ কেজি ব্রয়লার ফিডের দাম ৬৮-৬৯/- টাকা (প্রোটিন ২১%, বিপাকীয় শক্তি ২৯৫০ কিলোক্যালরি/কেজি)। গরুকে খাওয়াচ্ছে দিনে ১ পোয়া থেকে ২ পোয়া। না হচ্ছে প্রোটিনের চাহিদা পুরন; না হচ্ছে এনার্জির ঘাটতি পুরন।
অন্যদিকে ক্যাটল ফিডের (মোটাতাজা) মুল্য প্রতি কেজি ৫৫-৫৬/- টাকা প্রতি কেজি (প্রোটিন- ১৯-২০% ও বিপাকীয় শক্তি ২৭০০ কিলোক্যালরি/কেজি)। আপনি নির্ভয়ে প্রতি ৭৫ কেজি লাইভ ওজনের জন্য ১ কেজি ক্যাটল ফিড খাওয়াতে পারবেন। ওজন অনুযায়ী ৩/৪ কেজি ফিড দিনে খাওয়ালেও কোন সমস্যা নেই। ওজন অনুপাতে সঠিক পরিমান ফিড প্রদান করলে বাড়তি খোলা দানাদার খাবারের প্রয়োজন নেই।
(প্রতি সপ্তাহেই গরুর ওজন মেপে নিন, তাহলেই নিজের ভুল ধারনা থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন)
.....................
সবাইকে বিজয়াদশমীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿🌻🌿
ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু
পথে যদি পিছিয়ে পড়ি কভু,
এই -- যে হিয়া থরো থরো
কাঁপে আজি এমনতর
এই বেদনা, ক্ষমা করো,
ক্ষমা করো, ক্ষমা করো প্রভু ।
🌿🌻🌿শারদীয় শুভেচ্ছা 🌿🌻🌿
★বর্তমান সময়ে গরু মোটাতাজাকরণে প্রকল্পে লাভ করতে চাইলে যা যা করণীয়?
🗣️ আমাদের দেশে গরু মোটাতাজাকরণ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছোট-মাঝারী খামার ছাড়াও এখন বড় বড় শিল্পগোষ্ঠী ও বড় বড় খামার করছেন। দুঃখের বিষয় হলো- "গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্প" বা "স্বল্প সময়ে গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্প" এই টার্ম টি সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা না থাকায় অনেকেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষমাত্রায় পৌন্ছাতে পারছেন না।
"গরু মোটাতাজাকরণ" প্রকল্প হতে হবে ৪-৬ মাস (সর্বোচ্চ)।
★কি কি বিষয়ে ভুল করছেন না নিম্নে তুলে ধরলাম-
১) সঠিক বয়সের গরু নির্বাচন বিষয়ে ধারনা না থাকা-
১৮ থেকে ৩৬ মাস বয়সী গরু নির্বাচন করা উত্তম। যদি বয়স বুঝতে অসুবিধে হয় তাহলে ২ দাতঁ থেকে ৪ দাতেঁর গরু উত্তম (২৪ মাস থেকে ৩৬ মাস)
২) সঠিক ডোজে কৃমিনাশক প্রদান খুবই জরুরী। পাশাপাশি প্রয়োবায়োটিক, লিভারটনিক ও রুচির ঔষুধ অবশ্যই দিতে হবে।
৩) সঠিক নিয়মে ভ্যাকসিনেশন গুলো করিয়ে নিতে হবে। বিশেষ করে এলএসডি ও এফএমডি।
৪) সর্বক্ষণ পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। শারীরিক লাইভ ওজনে ১০% পানি নিশ্চিত করতে হবে।
৫) স্বল্প সময়ে গরু মোটাতাজাকরণে ড্রাইমেটারের হিসেব করতে হবে ৩.৫%। যদিও নরমাল রেন্জ হলো ৩%। অর্থাৎ ০.৫% ড্রাইমেটার খাবার মোটাতাজাকরণে বৃদ্ধি করতে হবে
৬) গরুর শারীরিক ওজন বৃদ্ধি'র সাথে সাথে খাবারের রেশিও বৃদ্ধি করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে ১ দিন ওজন নিতে হবে।
৭) দিনের খাবার কমপক্ষে ৩ বার ভাগ করে দিতে হবে। সকালে ৪০%, দুপুরে ২০% বিকেল ৪০% খাবার সরবরাহ করতে হবে।
৮) ব্যালেন্স রেশন খাবার,ঘাস ও খড়ের পাশাপাশি দেওয়া হলে প্রতি লাইভ ওজন ১০০ কেজির জন্য ১ কেজি।
কিন্তু গরু মোটাতাজাকরণে ইহা ১ কেজি ৩৫০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ১ কেজি ৬৭০ গ্রাম খাওয়াতে হবে।
৯) গো-খাদ্য,ঘাস ও খড় পরিমান মত দিতে হবে। বেশি খাবার দিলে বা খাবার চাড়িতে দিয়ে রাখলে/ তাহা দ্রুত শেষ না হলে এবং চাড়িতে পড়ে থাকলে খাবার (ড্রাইমেটার) কমিয়ে আনতে হবে; যাহাতে খাবার সারাদিন পড়ে না থাকে। ইহা গরুর খাবারের আগ্রকে কমিয়ে ফেলে।
১০) খাবার হিসেবের ড্রাইমেটার অনুযায়ী খাবার না দিয়ে কম প্রদান করা হলে লাভের তুলনায় ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বেশি বৃদ্ধি পাবে।
★মোটাতাজাকরণের গরুতে ওজন অনুপাতে খাবার না দেওয়া হলে বা কম প্রদান করে ওজন কমে যাবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
১১) সর্বোপরি দানাদার পিলেট ফিড শুকনো খাওয়ানো উত্তম।
বাংলাদেশে এই প্রথম Albatross Agrobased (pvt) Ltd. বাজারে নিয়ে এলো
Vitamin D3, Biotin ও Calcium Gluconate-এর সমন্বয়ে একটি অনন্য প্রোডাক্ট
ALBA D-VIT+
উপাদানঃ
প্রতি মি.লি. Alba D-Vit+ এ আছে
ভিটামিন ডি৩ : ২০০০০০ আই ইউ
ক্যালসিয়াম গ্লুকোনেট: ১০ মি.গ্রা
বায়োটিন : ০.০১৩ মি.গ্রা
ভিটামিন ডি৩- এর কাজঃ
১. ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের বিপাকে সাহায্য করে।
২. প্রানিদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩. গাভির মিল্ক ফিভার বা দুগ্ধ জ্বর প্রতিরোধ করে।
৪. প্রানির অস্টিওমেলাসিয়া ও রিকেটস্ রোগ হতে পরিত্রানে সাহায্য করে।
৫. গাভীর দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৬. প্রাপ্তবয়স্ক প্রানির প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৭. প্রানির দৈহিক বৃদ্ধি ও ওজন বাড়িয়ে দেয়।
৮. প্রানির হাড়, হাটু ও পায়ের হুক সন্ধি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
৯. গর্ভবতী প্রানির পেটের বাচ্চার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ক্যালসিয়াম গ্লুকোনেটের কাজঃ
১. রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
২. মিল্ক ফিভার ও হাইপোক্যালসিমিয়া রোগ প্রতিরোধ করে।
৩. হাড়কে শক্তিশালী করে।
৪. অস্টিওপোরোসিস, অস্টিওমেলাসিয়া, রিকেটস্ ও টিটানি রোগ প্রতিরোধ করে।
৫. স্নায়ুকোষ, পেশি ও হাড়ের সঠিক কাজ করতে সাহায্য করে।
৬. দৈহিক ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৭. দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
৮. গর্ভবতী গাভীর পেটের বাছুরের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৯. রক্তে আয়নিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বায়োটিন-এর কাজঃ
১. প্রাণিদেহে শক্তি উৎপাদনে বায়োটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২. প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্যের বিপাকে সাহায্যকারী এনজাইমকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।
৩. বায়োটিন প্রানির শিং ও ক্ষুরকে শক্তিশালী করে। এর ফলে শিং ও ক্ষুর ভাঙ্গার প্রবনতা কমে যায়।
৪. বায়োটিন লোমের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৫. গর্ভবতী প্রাণির বাচ্চার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৬. গাভীর দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৭. কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
প্রয়োগবিধিঃ
গবাদি প্রাণির ক্ষেত্রেঃ
চিকিৎসায়-
প্রথম দুই দিন ৫০-১০০ মি.লি করে দিনে ২ বার এবং
পরের ২ দিন ৪০-৭০ মি.লি করে দিনে ২ বার খাওয়াতে হবে।
প্রতিরোধে-
কিটোসিস ও মিল্কফিভার রোগ প্রতিরোধে গাভীর বাচ্চা প্রসবের পরের ১০ দিন ৫০-১০০ মি.লি করে দিনে ১ বার করে খাওয়াতে হবে।
অথবা
রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার্য।
পোল্ট্রির ক্ষেত্রেঃ
১ মি.লি প্রতি ২ লিটার খাবার পানির সাথে ৩-৫ দিন।
অথবা
রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার্য।
সংরক্ষণঃ
ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে। আলো ও শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
প্যাক সাইজঃ ৪০০ মি.লি
উৎপাদন ও বাজারজাতকরণেঃ
Albatross Agrobased (pvt) Ltd.
South Nataipara, Bogura, Bangladesh
Messrs Sarker Pharmacy
★★ গরুর খাবার গ্রহণ ও হজম প্রক্রিয়া: (১ম পর্ব)
★মাঠ পর্যায়ে খামারীদের কিছু প্রশ্ন-
🗣️দানাদার খাবার শুকনো খাওয়াবো না পানিতে গুলিয়ে খাওয়াবো?
🗣️গরুকে পানি কতটুকু খাওয়াবো?
🗣️গরু কে ঘাস, খড়, সাইলেজ খাবারগুলো কিভাবে খাওয়াবো? কি পরিমানে খাওয়াবো?
🗣️গরুকে দিনে কতসময় ধরে খাবার খাওয়াবো?
🗣️গরু জাবর কাটার সময় মুখ দিয়ে খাবার পড়ে যায়?
🗣️গরুকে কতটুকু সময় বিশ্রাম দিবো?
🗣️চাল ভাঙ্গা অর্ধসিদ্ধ করে খাওয়ানো যাবে কি না?
🗣️গরুর হজমশক্তি কেন ভাল হয় না?
🗣️গরু প্রচুর খায় কিন্তু স্বাস্থ্য/মাংস ভাল হয় না?
এমন আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
মনে রাখবেন- খাবার হজম প্রক্রিয়া যদি ঠিক থাকে তাহলে খামারে বিনিয়োগ কখনই ঝুকিঁতে পড়বে না।
★গরুর খাবার গ্রহন ও হজমপ্রক্রিয়ায় সহযোগী কি কি অঙ্গ নিয়ে গঠিত সেটি আলোচনা করা হবে।
★একটি প্রাপ্ত বয়স্ক গরুর খাদ্য গ্রহন ও হজমযন্ত্র (The Digestive Tract of the adult cow) গঠিত-
১। মুখ (Mouth)
২। খাদ্যনালী (Esophagus)
৩। চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট পাকস্থালী (Four Compartment Stomach)
- রুমেন (Rumen)
- রেটিকুলাম (Reticulum)
- ওমেজাম (Omasum)
- এবোমেজাম (Abomasum)
৪। ক্ষুদ্রান্ত ( Small Intestine)
ক্ষুদ্রান্ত তিনটি পার্ট নিয়ে গঠিত-
- ডিওডেনাম (Duodenum)
- জেজুনাম (Jejunum)
- ইলিয়াম (Ileum)
৫। বৃহদন্ত্র (Large Intestine)
বৃহদন্ত্র তিনটি পার্ট নিয়ে গঠিত-
- সিকাম (Cecum)
- কোলন (Colon)
- মলদ্বার(Rectum)
(চলমান....)
বাংলাদেশের প্রচলিত গবাদি প্রাণীতে ব্যবহৃত কিছু কৃমিনাশক। কৃমিনাশক কেন খাওয়াবেন? যেহেতু গবাদি প্রাণী ঘাস বা খড়ের সাথে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্যারাসাইটিন গ্রহণ করছে ফলে পেটের মধ্যে ও কলিজার মধ্যে এবং চামড়ার নিচে নতুন নতুন বিভিন্ন প্রজাতির কৃমি জন্মনিচ্ছে। আপনি যদি নির্দিষ্ট সময় পরপর আপনার গবাদি প্রাণীকে কৃমিনাশক প্রয়োগ করে থাকেন তাহলে আপনার গবাদি পশুর রোগ বালাই কম হবে। এছাড়া খাদ্য রূপান্তরের হার বৃদ্ধি পাবে। ফলে আপনি যাই খাওয়ান না কেন সেটা তার শরীরে দ্রুত উন্নতি করবে। অপরদিকে পেটের কৃমি বা কলিজা কৃমি বা অন্যান্য পরজীবী যদি শরীরে থাকে তাহলে এই খাদ্যের থেকে তৈরি অধিকাংশ শক্তি তারাই খেয়ে ফেলে। ফলে আপনার গবাদী প্রাণীটি খাদ্য থেকে সম্পূর্ণ ভিটামিন মিনারেল নিতে পারে না। এতে যেমন আপনার খাদ্যের অপচয় হয় তেমনি গবাদি প্রাণী ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকে। তাই নির্দিষ্ট সময় পরপর গবাদি প্রাণীকে কৃমিনাশ বোলাস বা ইনজেকশন প্রয়োগ করে কৃমি মুক্ত রাখুন।
ইচ্ছা শক্তিই আসল শক্তি!
মূলধন নাই!
জায়গা নাই!
এইটা নাই! ঐটা নাই!
এটা দেখার পর যদি ব্যবসা করার আগ্রহ না আসে তবে আপনার আসলে ইচ্ছা নাই। এই ছবিটা থেকে অনেক কিছু শিখার আছে। ছবিটা দেখার পর আর কোনো এক্সকিউজ চলে না। ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়!!!
""বেশি খাবে
বেশি বাড়বে""
একটি নতুন প্রডাক্ট(Maxi-Meat) তৈরি করেছে এখন আসুন জেনে নেই সেইটার বিস্তারিত কিছু বিষয়।
প্রডাক্টের বিস্তারিত জানার আগে আমাদের জানা দরকার, আমরা প্রতিদিন যে খাদ্য গ্রহন করি তা মুলত ৬ টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
১। শর্করা(Carbohydrate)
২। আমিষ( Protein)
৩। স্নেহ(Fat)
৪। ভিটামিন(Vitamins)
৫। খনিজ(Minerals)
৬। পানি(Water)
প্রতিটি প্রাণী দেহে প্রতিদিন পরিমাণ মত খাদ্য উপাদান গুলির প্রয়োজন হয় তাই প্রতিদিন খাদ্য গ্রহন করতে হয়, কিন্তু আমরা গরুকে যে পরিমান খাদ্য দিয়ে থাকি তাতে করে সেটার দৈহিক চাহিদার পরিমান মত হয় না। এবং যে সকল খাদ্য তাদের খেতে দেয়া হয় তার মধ্যে ৭০ ভাগ খাদ্য হজম করার মত এনজাইম শরীরে তৈরি হয়, বাকী ৩০ ভাগ খাদ্য পায়খানার সাথে বের হয়ে যায়। বিধায় সেই প্রাণী সঠিক ভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। স্বাস্থ্য ভালো থাকে না।
এই সকল কথা চিন্তা করে কোম্পানি
বাজারে এনেছে Maxi-Meat
এতে আছে
১। প্রটিনঃ- যা শরীরে সরাসরি মাংস তৈরি করে, ফলে শরীর তাজা থাকে।
২। মিনারেলসঃ- যা শরীরের খনিজ ঘাটতি পুরন করে বিধায় শরীর চকচকে থাকে, এবং খাদ্য গ্রহনের আগ্রহ বজায় থাকে।
৩। এমাইনো এসিডঃ- এইটা হচ্ছে প্রটিনের ক্ষুদ্র অংশ। এটার কাজ দ্রুত মাংসের উৎপাদন বাড়ানো।
৪। ভুট্রার অংশঃ- যা শরীরের শর্করার ঘাটতি পুরন করবে ফলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
৫। ভিটামিনসঃ- প্রতিদিনের শরীর গঠনে ভিটামিন এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশী। সেই সকল প্রয়োজন মিটাতে ভিটামিন কাজ করবে।
৬। এনজাইমঃ- এটির কাজ হচ্ছে খাদ্য সমুহকে ভেঙ্গে ছোট করে দেয়া, যাতে হজমে সহজ হয়।এক এক এনজাইম এক এক ধরণের খাদ্যবস্তুর উপর কাজ করে। শর্করা জাতীয় খাবারের উপর অ্যামাইলেজ, মলটেজ। প্রোটিন জাতীয় খাবারের উপর ট্রিপসিন, প্রোটিয়েজ। চর্বির উপর লাইপেজ। খড়, ঘাস জাতীয় খাবারের উপর সেলুলেজ। খাদ্য গ্রহণ ছাড়াও আমাদের কোষ বিভাজনের ক্ষেত্রেও এনজাইমের ভূমিকা রয়েছে।
৭। প্রোবায়োটিকঃ- এটি শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
৮। প্রিবায়োটিকসঃ- এটি প্রোবায়োটিক এর খাবার হিসেবে ব্যবহার হয়। পাশাপাশি প্রোবায়োটিক এর বংশ বিস্তারে সহায়তা করে।
৯। ইয়েটসঃ- এটি প্রোবায়োটিক এর বংশবিস্তার বজায় রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি খাদ্যের পচনে সহায়তা করে।
এই প্রডাক্টটি কতটা প্রয়োজনীয় প্রডাক্ট তা হয়তো এতোক্ষনে বুঝে গেছেন।
এইটা নিয়মিত খাওয়ানোর ফলে স্বাস্থ্যের ব্যাপক উন্নতি ঘটবে। এইটার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই।
যে কোনো প্রানীকে খাওয়ানো যাবে।
উপকারিতাঃ-
১। শরীরের দৈনিক পুষ্টি চাহিদা পুরন করবে।
২। শরীরে মাংসের উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়াবে।
৩। মাংসের উৎপাদন খরচ কমাবে।
৪। দুধের উৎপাদন বাড়াবে।
ডোজঃ-
🧿গরুঃ-
♦️মোটাতাজা করনেঃ- ১০০গ্রাম প্রতিদিন(৫০গ্রাম দুইবেলা)।
♦️দুধের উৎপাদন বাড়ানোঃ- ৭০-৮০গ্রাম প্রতিদিন।
🧿ছাগলঃ-২০-৩০গ্রাম প্রতিদিন।
🧿মুরগীঃ- ৫গ্রাম প্রতি কেজি খাদ্যের সহিত।
🧿মাছঃ- ৩গ্রাম প্রতি কেজি খাদ্যে।
বিঃদ্রঃ আপনারা অবশ্যই ভালো ভাবে পড়ে নিজে বুঝে নিবেন।
মেসার্স সরকার ফার্মেসী ..........
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Mirzapur Bazar, Chatmohar
Pabna
6640
Opening Hours
Monday | 08:00 - 22:00 |
Tuesday | 08:00 - 22:00 |
Wednesday | 08:00 - 22:00 |
Thursday | 08:00 - 22:00 |
Friday | 08:00 - 22:00 |
Saturday | 08:00 - 22:00 |
Sunday | 08:00 - 22:00 |