SUMON RARI
~মানুষ বেচে থাকে মানুষের কর্মে~ Education:
Weight Loss Foods : ওজন কমানোর ৫ খাবার অনেকের জন্যই এখন ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এর বড় কারণ হলো জীবনযাপনের ধরন। খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্ত....
মঠবাড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে,
মোটরসাইকেল মার্কার মতবিনিময় সভায়।
মিলন মাহমুদ বাচ্চু মামা🏍️✌️💞
১টি বড় গাছ ৪-জন মানুষের অক্সিজেন সাপ্লাই দিতে পারে।
ভারতে ১-জন মানুষের জন্যে প্রায় ২৮টি গাছ আছে, যুক্তরাজ্যে মাথাপিছু গাছের সংখ্যা ৪৩টি, চীনে ১৩০টি, ইথিওপিয়ায় ১৪৩টি, স্কটল্যান্ডে ৪০০টি, আমেরিকায় ৬৯৯টি, অস্ট্রেলিয়ায় ১২৬৯টি, ব্রাজিলে ১৪৯৪টি, কানাডায় ১০,১৬৩টি, আর রাশিয়ায় প্রত্যেক নাগরিকের জন্যে আছে ৬,৬১৪টি গাছ !
বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্যে মাথাপিছু কয়টি গাছ আছে তা বাংলাদেশের কেউ জানে না । কারণ যাদের জানানোর কথা তারাও জানে না ! কেউ বাংলাদেশে কতটি গাছ আছে জানেন কি? তবে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৬,০০,০০০ গাছ কেটে ফেলা হয়, এই ভয়ংকর তথ্যটি ইন্টারনেট থেকে জানা গেলেও- আমার মনে হয় এই সংখ্যা আরো বহুগুণ বেশি ! ©️
জানি কয়জন? আর মনে রাখি কজন!🤔
দরজা খুললেন লতা মঙ্গেশকর স্বয়ং। মুখে সেই চিরপরিচিত মিষ্টি হাসি। রিনিঝিনি কিন্নর কন্ঠে শুধালেন, “ভালো আছো? কেন এসেছো?” “আমরা বাংলাদেশের জন্য ফান্ড কালেক্ট করছি। শরনার্থী এবং আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা হবে এই ফান্ড থেকে। আপনারও সাহায্য চাই দিদি।”
মৃন্ময়ীকে বসিয়ে রেখে ভেতরে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর। বেরিয়ে আসলেন চেক বই হাতে। গুটিগুটি হাতে চেক লিখে এগিয়ে ধরলেন। অংকের ঘরে চোখ পড়তে কিছুটা চমকেই উঠলেন মৃন্ময়ী বোস। এক লক্ষ রুপি। ১৯৭১ সালে এক লক্ষ রুপি মানে কম টাকা ছিল না।
কিন্তু আরও বিস্ময় অপেক্ষা করছে মৃন্ময়ী বোসের জন্য। নিজের গাওয়া কিছু বিখ্যাত গানের রয়ালিটি লতা মঙ্গেশকর সেদিন লিখে দিয়েছিলেন ফান্ডের নামে। যতদিন মুক্তিযুদ্ধ চলবে ততদিন এই সব গান থেকে প্রাপ্ত অর্থ জমা হবে ফান্ডে। বাংলাদেশের ফান্ডে।
এখানেও শেষ নয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্থাপনেও অর্থ সাহায্য করেছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে অজন্তা শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্লেনে চেপে বিভিন্ন স্থানে গান পরিবেশন করে বাঙালি রিফিউজিদের জন্য তহবিলও সংগ্রহ করেছিলেন এই কিংবদন্তী। পাশাপাশি গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাপী গনসচেতনতা। ২০১৯ সালে করা এক টুইট বার্তায় সেসব দিনের কথা স্মরন করেছিলেন তিনি।
একাত্তরের বন্ধু-স্বজন,
ভালোবাসা, শ্রদ্ধাঞ্জলি ও কৃতজ্ঞতা রইলো।
©️
আল্লাহ বলেন, আমি ৬টি জিনিসকে লুকিয়ে রেখেছি ৬টি স্থানে। কিন্তু মানুষ তা খুঁজে বেড়ায় ভিন্ন জায়গায়।
১. আমি দ্বীন ইসলামকে রেখেছি ক্ষুধা, দারিদ্রতা ও ধৈর্যের মধ্যে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে উদরপূর্তি ও দুনিয়ার স্বচ্ছলতার মধ্যে।
২. আমি সম্মান রেখেছি শেষ রাতের ইবাদতে, কিন্তু মানুষ খোঁজে, শাসক ও ক্ষমতাবানের সাহচর্যে।
৩. আমি সুখ স্বাচ্ছন্দ্য রেখেছি জান্নাতে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে দুনিয়াতে।
৪. আমি বড়ত্ব রেখেছি বিনয় ও নম্রে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে অহংকারে।
৫. আমি ধনী হওয়া রেখেছি অল্প তুষ্টিতে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে লোভ- লালসার মধ্যে।
৬. আমি দোয়া কবুল হওয়াকে নিহিত রেখেছি হালাল উপার্জনের মধ্যে, কিন্তু মানুষ তা খোঁজে হারাম উপার্জনে।
"আম্মাকে যখন বললাম আমি যুদ্ধে যাচ্ছি, আম্মা বলল, যুদ্ধে যাবি ভালো কথা, তোর আব্বাকে বলে যা। আব্বা ছিলেন সরকারী চাকরজীবী, ভয়ে ভয়ে তাকে বললাম যুদ্ধে যাওয়ার কথা, উনি বললেন, যুদ্ধে যাবি যা, তবে দেশ স্বাধীন না করে ফিরবি না। আব্বার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম, একটা সালাম দিয়ে যুদ্ধে চলে যাই"।
বাংলা পপ সংগীতের অবিসংবাদিত সম্রাট বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরু আজম খান জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি...
যেসব দেশে সপ্তাহে সবচেয়ে কম ও বেশি কাজ করতে হয়, বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়?
যে ৫টি দেশে সপ্তাহে সবচেয়ে কম সময় কাজ করতে হয়
১. ভানুয়াতু: দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুতে প্রতি সপ্তাহে একজন চাকরিজীবীকে গড়ে ২৪ ঘণ্টা ৭ মিনিট কাজ করতে হয়
২. কিরিবাতি: মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে এই সংখ্যা ২৭ ঘণ্টা ৩ মিনিট প্রতি সপ্তাহে
৩. মোজাম্বিক: দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার উপকূলীয় রাষ্ট্র মোজাম্বিক। ভারত মহাসাগরের পাড়ের এই দেশে গড়ে একজন চাকরিজীবীকে প্রতি সপ্তাহে ২৮ ঘণ্টা ৬ মিনিট কাজ করতে হয়
৪. রুয়ান্ডা: মধ্য আফ্রিকার রুয়ান্ডায় সপ্তাহপ্রতি ২৮ ঘণ্টা ৮ মিনিট
৫. অস্ট্রিয়া: ইউরোপের সুন্দর দেশ অস্ট্রিয়ায় একজন চাকরিজীবী প্রতি সপ্তাহে গড়ে ২৯ ঘণ্টা ৫ মিনিট কাজ করেন
যে ৫টি দেশে সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি সময় কাজ করতে হয়
৫. কঙ্গো: মধ্য আফ্রিকার এই দেশের চাকরিজীবীদের প্রতি সপ্তাহে কাজ করতে হয় ৪৮ ঘণ্টা ৬ মিনিট করে
এ তো গেল সপ্তাহপ্রতি সবচেয়ে কম ও সবচেয়ে বেশি কর্মঘণ্টার ১০টি দেশের ফিরিস্তি। বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়?
আপনি কত ঘন্টা কাজ করেন?
সরকারী অফিস গুলোতে একটি সংস্কৃতি আছে। নাম DFA সংস্কৃতি। ড্রাফটস ফর এপ্রুভাল।
ধরুন আমি একজন সরকারী অফিসের সহকারী পরিচালক। তো আমি জানুয়ারী ১০ তারিখে একটা চিঠির লিখলাম। সেই চিঠিটা অফিসের প্রধান স্বাক্ষর করবেন।
এবার আমার কাজ হচ্ছে, চিঠির ড্রাফট লিখে স্বাক্ষর করে সেটি উপ-পরিচালককে দিতে হবে। ধরুন আমি লিখেছি- “আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে / বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”।
উপ-পরিচালক ভাবলেন, নদী ছোট হবে কেন? নদী সরু হবে। নদী হবে বালিকার মতো উচ্ছল। আর এখানে জল হবে কেন? হবে পানি। তিনি দুটো কারেকশন আনলেন। “আমাদের সরু নদী চলে বাঁকে বাঁকে / বৈশাখ মাসে তার হাটু পানি থাকে।– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এটা লিখে তিনি সহকারী পরিচালককে ফেরত দিলেন। সহকারী পরিচালক আবার প্রিন্ট দিয়ে স্বাক্ষর করে উপ-পরিচালকে দিলেন। উপ-পরিচালক স্বাক্ষর করে এবার পাঠালেন যুগ্ম পরিচালক কে । তিনি আরেকটু স্মার্ট ভাবলেন। এখন বাংলা সন চলে না। বৈশাখ মাস না লিখে তিনি কেটে লিখলেন এপ্রিল মাস। আর 'হাঁটু পানি' কেটে তিনি লিখলেন- অল্প পানি থাকে। তার কাটাকাটির পর লাইন দাড়ালো, “আমাদের গ্রামের ছোট নদী বহে বাঁকে বাঁকে/ এপ্রিল মাসে তাতে অল্প পানি থাকে। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।”
যথারীতি প্রিন্ট আবার নিচে গড়াল। এর পর আবার প্রিন্ট হলো। সহকারী পরিচালক, উপপরিচালক, যুগ্ম পরিচালক স্বাক্ষর করে পাঠালেন সিনিয়র যুগ্ম পরিচালককে। সিনিয়র সাহেব ভাবলেন, সবই তো ঠিক আছে। কই কাটা যায়? তিনি ভাবলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামটা যুতসই হচ্ছে না। এটা কেটে দেয়া যায়। আরো কিছু নিজের মত কাঁটছাট করলেন।
এবার যা দাঁড়ালো-
“আমাদের গ্রামের ছোট নদী বহে অক্র বক্র /
এপ্রিল মাসে তাতে দেখি অল্প পানি চক্র-
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠক্র।”
এই অসাধারণ ড্রাফটস আবার প্রিন্টের জন্য নিচে গড়ালো। প্রিন্ট হলো। আবার স্বাক্ষর হতে হতে উপরে গেলো। এরপর এই ড্রাফট গেলো, অফিস প্রধানের হাতে। তিনি কিছুক্ষন দেখলেন। হাসলেন। তিনি এই লাইনগুলো জানেন। অফিস প্রধান হলে অনেক জিনিস জানতে হয়। তিনি শেষ কাটাকাটি করে ড্রাফট চূড়ান্ত করলেন। তিনি ড্রাফট সংশোধন করলেনঃ
“আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে/ বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
স্বাক্ষর করে তারিখ লিখলেন । ২০/০১/২০২০
দশ দিন চলে গেছে এই মহা গুরুত্বপূর্ণ কাজে!!!
(সংগৃহীত)
৪ঠা জুন ১৯৪৭ ডেইলি হেরাল্ডের প্রথম পাতায় এই ম্যাপটা ছাপা হয়েছিলো। কীভাবে ভারত ভাগ হতে পারে তার একটা রিপ্রেজেন্টেশন ছিলো এই ম্যাপটা। তখনো পার্টিশনে কোন অংশ কোথায় যাবে তা পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি।
অবিভক্ত বাংলা, আর পাঞ্জাব তখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। সিলেট, বেলুচিস্তান, সিন্ধ আর নর্থ ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রভিন্স সিদ্ধান্ত নেয়নি যে তারা ভারত নাকি পাকিস্তানে যাবে। প্রিন্সলি স্টেটগুলো যেমন ছিলো তেমনই থাকবে, সিদ্ধান্ত ছিলো তাই।
এখানে বলে রাখি প্রিন্সলি স্টেট কী !!
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান যখন স্বাধীন হয়, তখন উপমহাদেশে ২ ধরনের অঞ্চল ছিল।
১. সরাসরি ব্রিটিশ শাসনাধীন অঞ্চল, যেমন বাংলা।
২. ব্রিটিশদের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ প্রায় স্বাধীন রাজ্য সমুহ। এদেরকে প্রিন্সলি স্টেট বলা হত।
রাজ্য গুলো ব্রিটিশদের নির্দিষ্ট পরিমান কর দিত, প্রায় স্বাধীনতা ভোগ করত। প্রতিটি রাজ্য ব্রিটিশদের সাথে আলাদা আলাদা চুক্তিতে আবদ্ধ ছিল, শর্তেরও ভিন্নতা ছিল।
এ ধরনের রাজ্যের সংখ্যা ছিল ৫৬৫ টি। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য নেপাল, ভূটান, সিকিম, হায়দ্রাবাদ, ত্রিপুরা, কাশ্মীর, জুনাগড়, কোচবিহার ইত্যাদি। এর মধ্যে নেপাল ও ভূটান স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকে আছে।ব্রিটিশরা ভারত ত্যাগের পর কিছুকাল স্বাধীন ছিল হায়দ্রাবাদ ও কাশ্মীরসহ অনেকগুলো রাজ্য
ভারত নিতান্তই আজকের ভারতের অর্ধেকের মতো ভুমির অধিকারী ছিলো। কিন্তু ভারত প্রথমেই চুক্তির শর্ত ভেঙ্গে প্রিন্সলি স্টেটগুলোকে গ্রাস করে।
প্রথমে করা হয় হায়দারাবাদ, তারপরে একে একে সবগুলো। কোথাও প্রলোভন দেখিয়ে, কোথাও ভাতা দিয়ে, কোথাও শক্তি প্রয়োগ করে আর কোথাও চাতুরী করে। এই গ্রাস করার সর্বশেষ ঘটনা ছিলো কাশ্মীর।
আজকের ইতিহাসে প্রিন্সলি স্টেটগুলোকে চুক্তি ভেঙ্গে গ্রাস করার ঘটনাগুলো একেবারেই মুছে দেয়া হয়েছে।
Collected from
ইতিহাসের পাঠশালা
"সব ক`টা জানালা খুলে দাও না,
আমি গাইবো গাইবো বিজয়েরই গান......."।
লক্ষ শহীদের আত্বত্যাগে অর্জিত এই মহান বিজয় দিবসে সকল বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র ও গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
#রাজনীতি
#রাজাপুর
#কাঠালিয়া
#ঝালকাঠি
👉ইতিহাস 🤔
বখতিয়ার খিলজির সমাধি... (গঙ্গারামপুর )
যিনি বাংলার লক্ষণ সেনকে পরাস্ত করে প্রথম বাংলা দখল করেন।
বাংলা ও বিহার অঞ্চলে প্রথম মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন তুর্কি সেনাপতি ও বীর যোদ্ধা ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি। তিনি ছিলেন তুর্কি জাতিভুক্ত খিলজি বংশের সন্তান। বখতিয়ার খিলজির পূর্বপুরুষ আফগানিস্তানের গরমশির অঞ্চলে বাস করতেন। অল্প বয়সে তিনি ভাগ্যান্বেষণে বের হন এবং বহু দরবার ঘুরে অযোধ্যার শাসক হুসামুদ্দিনের সেনাবাহিনীতে থিতু হন।
হুসামুদ্দিন তাঁকে ‘ভগবত’ ও ‘ভিউলা’ নামক দুটি পরগনার জায়গির দান করেন। এর পরই তাঁর জীবনধারা বদলে যায় এবং নিজেকে একজন শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ পান।
একজন যোগ্য শাসক ও সেনাপতি হিসেবে বখতিয়ার খিলজির সুনাম ছড়িয়ে পড়লে দিল্লির শাসক কুতুবুদ্দিন আইবেকের সুদৃষ্টি লাভ করেন এবং তাঁর আনুগত্য স্বীকারের বিনিময়ে বিহার অভিযানের অনুমতি পান। বিহার বিজয়ের পর বখতিয়ার খিলজির ক্ষমতা ও সামর্থ্য আরো সংহত হয়।
তিনি বিশাল এক বাহিনী গঠন করেন এবং ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা লক্ষ্মণ সেনের শাসনাধীন বাংলার নদীয়া জয় করেন। আকস্মিক আক্রমণে রাজা লক্ষ্মণ সেন প্রধান রাজধানী বিক্রমপুর পালিয়ে যান। এভাবেই বাংলার মাটিতে মুসলিম শাসনের সূচনা হয়।
এরপর তিনি ধীরে ধীরে লক্ষ্মণাবতী, গৌড়সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গ বিজয় করেন।
লক্ষ্মণাবতীর নাম পরিবর্তন করে লখনৌতি করে তাকে রাজধানী ঘোষণা করেন। ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খিলজি তিব্বত অভিযানে বের হন। কিন্তু উপজাতিদের বিশ্বাসঘাতকতা ও কূটকৌশলের কাছে পরাস্ত হন। এতে তাঁর সেনাদলের বৃহদাংশ ধ্বংস হয়ে যায়। তিব্বত বিপর্যয়ের পর ব্যর্থতার গ্লানি ও শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং দেবকোটে (বর্তমান দিনাজপুর) ফিরে আসেন।
এখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে কেউ কেউ বলেন মীর মর্দানের হাতে নিহত হন।
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি ইতিহাসের পাতায় যতটা উচ্চারিত, যতটা চর্চিত, যতটা স্মরিত; ঠিক ততটাই অবহেলিত ও অজ্ঞাত বখতিয়ারের সমাধিস্থল। বখতিয়ার খিলজির কবর যে এখনো চিহ্নিত আছে তা-ও হয়তো বহু মানুষের জানা নেই। বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা বখতিয়ার খিলজি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ঘুমিয়ে আছেন। জেলার গঙ্গারামপুর থানায় পীরপালে এখনো টিকে আছে তাঁর সমাধিসৌধ।
অযত্নে-অবহেলায় ধ্বংসের মুখে বখতিয়ার খিলজির সমাধিসৌধও। সমাধিস্থলে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে বারো দুয়ারি ও দীঘির ঘাট এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। ধসে গেছে সমাধিসৌধের দেয়ালের একাংশ। ধারণা করা হয়, বারো দুয়ারি নামে চিহ্নিত স্থাপনাটি মূলত একটি মসজিদ ছিল। মসজিদের মুসল্লি ও কবর জিয়ারতকারীদের অজুর জন্য পাথর বাঁধানো ঘাট তৈরি করা হয়েছিল। সমাধি ও বারো দুয়ারি পাথরের দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল। তবে ব্রিটিশ সার্ভেয়ার স্যার ফ্রান্সিস বুকানন হামিল্টন, যিনি ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে উত্তরবঙ্গ ও বিহারের জরিপকাজে নিযুক্ত হন। তিনি বখতিয়ার খিলজির সমাধির বিবরণ দেওয়ার সময় বারো দুয়ারির ভেতরে একটি কবর আছে বলে উল্লেখ করেছেন। স্যার হামিল্টনের ধারণা বারো দুয়ারির কবরটিই বখতিয়ার খিলজির এবং এখনো টিকে থাকা কবরটি বখতিয়ারের সহচর পীর বাহাউদ্দিনের। অবশ্য সমাধিসৌধের সামনে টানানো বতর্মান নামফলকে স্যার হামিল্টনের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং টিকে থাকা সৌধটিকেই বখতিয়ারের বলে দাবি করা হয়েছে।
বর্তমানে কালের নিয়মে বখতিয়ার খিলজির সমাধি অবহেলার পাত্র হলেও স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে তিনি ‘দেবতুল্য’। কথিত আছে বখতিয়ার খিলজি মাটিতে শুয়ে আছেন বলে পীরপালের মানুষরা খাট বা চৌকিতে ঘুমায় না। তারা অনেকাংশে শত শত বছর ধরে মাটিতেই ঘুমিয়ে আসছে।
পৃথিবীর অতি বুদ্ধিমান পাখি কাক। পবিত্র কোরআনে কাকের বুদ্ধিমত্তার কথা স্পষ্টভাবে বিবৃত হয়েছে। আদম (আ.)-এর সন্তান কাবিলকে আল্লাহ একটি ছোট কাকের মাধ্যমে দাফনের পদ্ধতি শিক্ষা দেন। সেই ঘটনায় সাধারণ কোনো পাখির কথা উল্লেখ না করে সুনির্দিষ্টভাবে কাকের কথা উল্লেখ করা থেকে বোঝা যায়, অন্য পাখির তুলনায় কাকের বুদ্ধিমত্তা বেশি। আধুনিক গবেষণায়ও অন্য পাখির তুলনায় কাকের বুদ্ধিমত্তার কথা প্রমাণিত হয়েছে।
আদম (আ.)-এর সন্তান কাবিল কর্তৃক হাবিলকে হত্যার ঘটনা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের সর্বপ্রথম হত্যাকা-। এই ঘটনার আগে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটার কারণে কাবিল জানতেন না কীভাবে মৃতদেহ দাফন করতে হয়। তাই তাকে দাফনের পদ্ধতি শেখানোর জন্য আল্লাহ একটি কাক পাঠান। সেই ঘটনার অবতারণা করে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এরপর তার আত্মা তাকে ভ্রাতৃহত্যায় প্ররোচিত করল। তাই সে তাকে হত্যা করল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দলে অন্তর্ভুক্ত হলো। তারপর আল্লাহ একটি কাক পাঠালেন। সেই কাক মাটি খুঁড়তে লাগল, সে ভাইয়ের লাশ কীভাবে গোপন করবে তা দেখানোর জন্য। সে বলল, ধিক আমাকে! আমি এই কাকের মতোও হতে পারলাম না, যাতে ভাইয়ের লাশ গোপন করতে পারি। এই বলে সে অনুতাপ করতে লাগল। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৩০-৩১)
‘দি সায়েন্টিফিক আমেরিকান ম্যাগাজিন’-এ প্রকাশিত কানাডার ভার্মন্ট বিশ^বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী বার্ন্ড হেনরিচ এবং স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রোস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী থমাস বুগনিয়ারের এক যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, কাকের ব্যতিক্রমী মানসিক দক্ষতা রয়েছে। কাক যুক্তি ব্যবহার করে সমস্যা সমাধান করে এবং অনেক ক্ষেত্রে তাদের বুদ্ধিমত্তা বানরকেও ছাড়িয়ে যায়। গবেষণার ক্ষেত্রে কাক আগে করেনি এমন কিছু জটিল কাজ তাকে দেওয়া হয়েছিল। তবুও সমস্যার সৃজনশীল ও যৌক্তিক সমাধান খুঁজে বের করতে তারা বারবার সফল হয়েছে। এটুকুই নয়, বরং কোনো রকম ভুল ছাড়াই প্রথম প্রচেষ্টাই তারা সফল হয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখানো হয়, কাক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য সমাধান যাচাই, কার্যকর সমাধান নির্বাচন এবং প্রথমবারেই নির্ভুল প্রয়োগ করার ক্ষমতা রাখে যা অনেক সময় সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণীও করতে পারে না।
একটি পরীক্ষায় দেখা যায়, কাক মাছ ধরার জন্য একখন্ড সোজা তার ব্যবহার করে একটি ফাঁদ বা বড়শি তৈরি করেছে। অন্য একটি পরীক্ষায় দেখা যায়, একটি লম্বা নলের ভেতরে অল্প একটু পানিতে খাবার ভাসমান আছে, কাকটি প্রথমে চঞ্চুর সাহায্যে নলের গভীরতা পরিমাপ করল, এরপর এটি পানির উচ্চতা যথেষ্ট পরিমাণ বাড়িয়ে খাবার তার চঞ্চুর নাগালে আনতে একেবারে নির্ভুল সংখ্যক ছোট ছোট নুড়ি পাথর ফেলল।
এই পরীক্ষার ভিডিওটি দেখে আমি (লেখক) নিজেই মানুষের মধ্যে একটা ছোট পরিসরে পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিই। বিভিন্ন বয়সের মানুষের সামনে ভিডিওটি প্লে করলাম এবং কাকের বুদ্ধিদীপ্ত সমাধান শো করার আগেই তা অফ করে দর্শকদের কাছে জানতে চাইলাম, ‘কাকের স্থানে আপনি হলে কী করতেন?’ সবার উত্তর ছিল, ‘নলটি ধীরে ধীরে উপুড় করে খাবারসহ পানি বের করার সময় খাবারটি খপ করে ধরে ফেলব।’ কিন্তু তারা যখন দেখল, কাক পানি ফেলে দেওয়ার সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করেনি, বরং পানি অপচয় করে পরিবেশের কোনো ধরনের ক্ষতিসাধন ছাড়াই খাবারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করে, তখন তারা মুগ্ধ ও বিনীত হলো যেমনটি করেছিল আদম (আ.)-এর পুত্র কাবিল।
জাপানের একটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, কাকের পক্ষে সাধারণভাবে খোলা সম্ভব নয় এমন শক্ত খোলসের বাদাম তারা প্রথমে উঁচু গাছ থেকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে ভাঙত এবং পরে সেগুলো খেত। এরপর তারা দ্রুতগতির গাড়ি চলাচলের রাস্তায় বাদামগুলো ছুঁড়ে ফেলত, যা আগের চেয়েও কম সময়ে ভেঙে যেত। দ্রুতগতির যানবাহনের ঝুঁকি এড়াতে তারা সেই পদ্ধতিতে আরও পরিবর্তন আনলো। গাড়িগুলো থামানোর জন্য তারা ট্রাফিক লাইট লাল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে শেখলো। এরপর লাইটের দিকে দৃষ্টি রেখে তারা গাছের ডাল থেকে দ্রুততার সঙ্গে খাবার ছিনিয়ে নেমে আসত এবং যত দ্রুত সম্ভব লাইট পরিবর্তন হওয়ার আগেই নিরাপদে উড়ে যেত।
কাকের সামাজিক বুদ্ধিমত্তাও দেখার মতো। তারা শিকারকে ফাঁদে ফেলে হত্যা করার জন্য দলগঠন করতে সক্ষম। দলের দুটি কাক শিকারের পালানোর পথ বন্ধ করার জন্য মাটিতে উড়ে বেড়ায় আর বাকিরা আক্রমণে অংশ নেয়। তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলেন, এই আচরণ থেকে ধারণা করা যায়, তারা একে অপরের এবং টার্গেট প্রাণীর মনস্তত্ত্ব বুঝতে সক্ষম, যেটি ‘থিউরি অব মাইন্ড’ নামে পরিচিত। এমনকি তারা পরীক্ষার সময় তাদের দেওয়া সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্যও দল গঠন করতে পারে। আয়নায় নিজেকে শনাক্ত করার ক্ষমতাও তাদের রয়েছে।
তাদের অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার আরেকটি পরিচয় হলো, তারা মরুভূমি কী পাহাড়, পৃথিবীর সবধরনের আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। কঠিনতম মুহূর্তেও তারা খাবার খুঁজতে পারে। তারা যেতে পারে না এমন জায়গাতেও, কখন কীভাবে কোন প্রাণীকে ব্যবহার করে খাবার আনতে হয়, তাও তাদের আয়ত্তে রয়েছে। জীববিজ্ঞানী থমাস বুগনিয়ার বলেন, ‘বুদ্ধিমত্তা বিবেচনায় কাক দুই বছরের বাচ্চার সমান।’
কাক সামাজিক জীবনকে বেশ গুরুত্ব দেয়। তাদের রয়েছে বৃহত্তর সংঘবদ্ধ জীবনযাপন। তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সাময়িক ঠুকরাঠুকরি হলেও কখনো মরণপণ লড়াইয়ে প্রবৃত্ত হয় না। তারা একমাত্র তাদের পরিবারের জন্য বিপজ্জনক শত্রুর বিরুদ্ধেই মরণপণ লড়াই করে।
প্রশ্ন জাগতে পারে, অন্য পাখিরাও তো কাকের চেয়ে কম বুদ্ধি নিয়ে সুন্দর জীবনযাপন করছে। তাহলে কাককে এত বুদ্ধিমত্তা দানের কারণ কী হতে পারে? তার উত্তরে বলতে চাই, পবিত্র কোরআন বুদ্ধিমান পাখি কাককে মানুষের পরামর্শদাতা হিসেবে দেখিয়ে জ্ঞানের এক বিশাল দরজা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। কাক পরিবেশের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যৌক্তিক চিন্তা, সৃজনশীল সমস্যা সমাধান, কৌশলগত পরিকল্পনা, দলবদ্ধভাবে কাজ করা এবং কার্যকর সম্পদ ব্যবস্থাপনার ভালো প্রশিক্ষক। মানুষে মানুষে খুনোখুনিতে লিপ্ত
রক্তখেকোদের জন্যও কাকের জীবনে রয়েছে বিরাট শিক্ষা।
লেখক : মিসরের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও টেলিভিশন উপস্থাপক। ‘অ্যাবাউট ইসলাম’ থেকে প্রবন্ধটির সংক্ষিপ্ত অনুবাদ করেছেন আসরারুল হক
মেসি যখন তার অষ্টম ব্যালন ডি'অর হাতে নিলেন তখন দ্রগবা সবাই কে বললেন মেসিকে দাঁড়িয়ে সম্মান করতে। এই সম্মান শুধু ফুটবল রাজার জন্য মানায়🏆👑💝
মাঝে মাঝে ভাবি ক্ষমতা তুই কি রঙের??
👉সমকামিতার বিরুদ্ধে একটি কঠোর আইন পাস করে উগান্ডা। এতে সমকামিতায় জড়িত প্রমাণ পেলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সমকামিতা-বিরোধী এই আইন পাস হওয়ার পর ওয়াশিংটন জানায়, তারা আফ্রিকান দেশটিকে আগোয়া চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে।
👉অথচ দেশের ইসলামী কিছু দল সেই আমেরিকার কাধেই ভর করে🤔🤔
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Rajapur Upazila
Rajapur
8410
Rajapur
Lots of people say your school days are the best days of your life, but what do you like about your
Sadar Road
Rajapur, 8510
এটি পড়াশুনা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিভিন্নস্থানে ঘোরাঘুরি নিয়ে ভিডিও আপলোড এর পেইজ।