Ride with Rahul

বাঙ্গালীদের কে চেনা বড় দায়🤣 যে মোজো কে বাঙ্গালিরা মাথায় তুলে রাখছিলো তারাই আবার আজকে মোজোকে বয়কট ডাক দিচ্ছে। এই বাঙ্গালির মাথায় কি আসলে কোন গিলু আছে? এতো দিন বুঝতে পারে নাই যে এই মজো বাঙ্গালীর ইমোশন নিয়ে মাথার উপর কাঠাল ভাঙ্গি খাইছে। বাঙ্গালী তোরা মানুষ হ আগে🤣🤣🤣

এক দুঃসাহসিক বয়কোটের বাস্তব গল্প।

আমি চট্টগ্রাম জব করি।আমি ভারতীয় পন্য বয়কোট করেছি।যেহেতু আমি এক কথার মানুষ,তাই আমার বাড়ি থেকে চট্টগ্রামে বাসে যেতে হয়। আমার বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম ৩৫০ কিমি।দুইটা বাস চলে আমাদের পথে চট্টগ্রাম যেতে।শ্যামলী বাস ভারতীয় পন্য তাই মানুষের মুখে শুনে বয়কোট করলাম।তাহলে এখন যাবো কি করে।বিকল্প পথে যেতে হবে,তাই ট্রেনে যাবার জন্য রওনা দিলাম।বাসে গেলে ১০ ঘন্টা লাগে।তাই ট্রেনে চরে ২০ ঘন্টা পর চট্টগ্রাম পৌছালাম।কোন রকম একটা লক্কোর ঝক্কোর বাসে করে কালুর ঘাট এলাম,,,যদিও সেখানে সিএনজি ছিল,কিন্তু চরলাম না,কারন সিএনজি হলো ভারতের বাজাজ কোম্পানির মাল।তারপর কালুর ঘাট থেকে চুয়েট যেতে হবে,কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই রোডে সিএনজি ছাড়া কোন যানবাহন চলে না।কালুরঘাট থেকে চুয়েট প্রায় ১৫ কিমি পথ হবে।এখন আমি কি করি।পেটে খুদাও লেগেছে,একেতে রোজার মাস,, দোকান পাট ও বন্ধ।খাওয়ার কোন উপায় নাই।এদিকে ২২ ঘন্টা জার্নি করে শরির টা দুর্বল লাগছে।এখনও ১৫ কিমি যেতে হবে।এখন যাবো কিসে,সিএনজি ছাড়া উপায় নাই।কিন্তু বয়কোট যেহেতু করেছি শপথ নিয়েছি।সিএনজি তে গেলে ৪০ টাকা ভাড়া নেই।কোন উপায় না দেখে ক্লান্ত শরিরে হাটা শুরু করলাম।৫ মাইল হাটার পর একটা রিক্সা পেলাম তাকে বললাম আপনি চুয়েট যাবেন,তিনি বললেন না আমি নজুমিয়া হাট যাবো,তার মানে তিনি ২ কিমি যাবেন,বললাম আমি যাবো কত ভাড়া তিনি বললেন ১০০ টাকা দিতে হবে।আমি বললাম ৫০ দিবো।সে যখন মেনে নিলো না তখন ১০০ টাকা দিয়ে ২ কিমি গেলাম,,এখন ৮ কিমি পথ বাকি।।হাতের পাশ দিয়ে মিনিটে মিনিটে সিএনজি যাচ্ছে তবুও তাতে উঠছি না,কারন বয়কোট ভারত।তারপর আবার হাটা শুরু করলাম ২ মাইল হাটলাম,, এদিকে খুদায় আমার অবস্থা খুব খারাপ।তারা আবার একটা রিক্সা পেলাম তাকে অনুরোধ করলাম চুয়েটে নিয়ে যেতে,, সে রাজি হলো কিন্তু তাকে ৩০০ টাকা দিতে হবে ৬ কিমি নিয়ে যেতে।কোন উপায় না পেয়ে রাজি হয়ে গেলাম ২৬ ঘন্টা পার চুয়েট পৌচ্ছালাম।৫০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা দিয়ে।যাক তারপর ও মনে শান্তি যে ১০ ঘন্টার পথ ২৬ ঘন্টা পর পৌছালাম।তবুও বয়কোট ভারত।

কিন্তু আমি আমার বন্ধুর কাছে অনুপেরণা পেয়ে ভারত বয়কোট করলাম।কারন আমার বন্ধু সব সময় ফেসবুকে ভারত বয়কোট পোষ্ট করা ছাড়া একগ্লাস পানিও খাইনা,,প্রতিদিন ১০/১২ টা পোষ্ট করে বয়কোটের।আমি ও তার কথা বিশ্বাস করে বয়কোট করলাম, ৫০ টাকার ভাড়া ৫০০ দিলাম,১০ ঘন্টার পথ ২৬ ঘন্টায় এলাম।তাতেও দুঃখ নেই।।মনে শান্তি অনুভব করলাম ভারত বয়কোট তো করতে পেয়েছি।

কিন্তু বুক ফেটে কান্না তখনই এলো একটা জিনিস দেখে,,সেটা হলো আমার যে বন্ধু প্রতিদিন ১০/১২ টা ভারত বয়কোট পোষ্ট করে,বয়কোট ছাড়া একগ্লাস পানিও খায় না।সেই বন্ধু ভারতের বাজাজ মটর সাইকেল করে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।এবং আমার সাথে দেখা হলো,সেই সেই পালসার বাইকে করে সে বসে আমাকে বলছে বন্ধু কেমন আছিস।
এই দুঃখ কাকে বলি।
তারপর থেকে বুঝলাম যারা বয়কোট বলে সাধারন মানুষকে ঠকাচ্ছে।আর নিজেরা তলে তলে ভারতে পন্য ব্যবহার করছে।।

কি কপাল আমার!!!

ঈদ মুবারাক।Today's Best Photo
❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️

















life is booring without Bike🥰🥰

Going for peace 😍😍