Dr. Md. Afraem Hossain Seam
Dr. Md. Afraem Hossain Seam,
MBBS (SZMC)
FCPS Part-1 (Medicine)
Medical Officer
INMAS, PABNA
BAEC
ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো নিয়ে প্যানিকড হবেন না। সরকারি ডোজ মিস হয়ে গেলে আপনি দোকান থেকে কিনেও খাওয়াতে পারবেন।
বাজারে যেটা পাওয়া যায়, তার নাম Cap Retinol Forte 50000. মেয়াদ দেখে কিনবেন।
এক বছরের নীচের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দুটো, একবছরের পর থেকে পাচ বছর পর্যন্ত চারটি। ক্যাপসুল ফুটা করে ভেতরের তরল মুখের ভিতরে দিতে হবে।
দুটো ক্যাপসুল সরকারি একটা নীল ক্যাপসুল এবং চারটি ক্যাপসুল সরকারি একটা লাল ক্যাপসুলের সমতুল্য।
পাচ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিটি শিশুকে ৬ মাস অন্তর ভিটামিন-এ খাওয়ান। গত ৬ মাসের মাঝে ভিটামিন-এ খেয়েছে কিনা, নিশ্চিত হয়ে নিবেন। বিশেষ ক্ষেত্রে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন।
ডা: খন্দকার মোবাশ্বের আহমেদ
নবজাতক, শিশু কিশোর, শিশু পুষ্টি ও শিশু গ্যাস্ট্রোলিভার বিশেষজ্ঞ।
সহকারী অধ্যাপক, পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি এন্ড নিউট্রিশন।
বি:দ্র: আপনারা চাইলে জনস্বার্থে এই পোষ্ট কপি করে শেয়ার করতে পারেন।
A major change from BCPS ❤️
From Jan'24,
🔥Pass marks will be 210 out of 300 (70%) for clinical subjects and 180 out of 300(60%) for basic & para-clinical science
•FCPS Part-I examination will be held in 1 (One) day instead of 3 (Three) days
•3 (three) papers will be converted into 1 (one) paper
•The duration of the examination: 4 hours
•Total number of questions: 150 (Multiple True False-75 & Single Best Answer-75)
একজন ডাক্তার কি যে কাউকে চিকিৎসা দিতে বাধ্য?
অবশ্যই না... তাহলে কখন একজন ডাক্তার রুগীকে
চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করতে পারে?
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডাক্তারদের এসব
অধিকার সবার জানা দরকার-
১. ডাক্তার যদি নিজেই সুস্থ না থাকে।
২. পূর্বে সেই রোগ সম্পর্কে যদি তিক্ত
অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে ডাক্তার চাইলে এমন
রোগের নতুন রুগীকে চিকিৎসা নাও দিতে
পারেন।
৩. নিজের কর্মঘণ্টা ও কর্মস্থলের বাহিরে। বাহিরে
তিনি চাইলে রুগী দেখতেও পারেন, নাও পারেন।
৪. রুগীর বাড়ি গিয়ে রুগীকে দেখার কোন
বাধ্যবাধকতা ডাক্তারের নেই।
৫. অনেক সময় ইমার্জেন্সি মুহূর্তে একজন
রুগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয় মানবিকতা বিচার করে।
তবে এর মানে এই নয় যে সেই রুগীকে ডাক্তার
তার নিজস্ব রুগী হিসেবে গ্রহন করে নিয়েছেন
এবং পরবর্তীতে তিনিই সেই রুগীর চিকিৎসা চালিয়ে
যাবেন। তিনি চাইলে প্রাথমিক ম্যানেজ করার পর
সেই রুগীকে অন্য হাসপাতাল কিংবা ডাক্তারের
কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন।
৬. প্রাইভেটভাবে দেখালে ডাক্তারের ফি যদি না
দেয় কিংবা তিনি যেভাবে চিকিৎসা দিতে চান সেটা যদি
রুগী মেনে না নেয়, তাহলে একজন ডাক্তার
চাইলে সেই রুগীকে চিকিৎসা নাও দিতে পারেন।
৭. যদি একজন ডাক্তার মনে করেন যে তিনি সেই
রোগের চিকিৎসা দিতে পারবেন না কিংবা চিকিৎসা
দেওয়ার মত প্রয়োজনীয় সুবিধা, যন্ত্রপাতি, ওষুধ,
স্টাফ ইত্যাদি তার কাছে নেই, তাহলে তিনি চাইলেই
রুগীকে সেখানে চিকিৎসা না দিয়ে উপযুক্ত জায়গায়
রেফার করে দিয়ে পাঠাতে পারেন।
৮. রুগী যদি ডাক্তারের সাথে দুর্ব্যবহার করে
(মানসিক সমস্যা ছাড়া)।
৯. যদি ডাক্তারের নিজের কিংবা পরিবারের ক্ষতি কিংবা জীবননাশের আশংকা থাকে।
১০. চিকিৎসা প্রদানকালীন সময়ে জীবনের
নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে।
১১. রুগী নিজেই যদি ক্ষতিকর কোন ওষুধ চায়।
#তথ্যসুত্র- Medical law and ethics
Congratulations to all those who have passed FCPS Part 1 July'23, specially to my beloved batchmates and seniors
Surgery is winner in this session 🏆
From 21 to 611🔥🔥
Surgery 611
Medicine 455
Gynaecology 129
Paediatrics 45
Total 1358**
আজ দারুণ একটা ঘটনা ঘটলো। সম্ভবত চিকিৎসক জীবনে এমন ঘটনা আমার জীবনে আর কোনোদিন ঘটেনি বা ঘটবে না।
ছেলেকে নিয়ে গুলশান দুই-র আজাদ জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে গিয়েছি। নামাজ শেষে বের হবো, দেখি মসজিদের করিডোরে বেশ বড়সড় একটা জটলা।
চেয়ারে একজন বয়স্ক মানুষ বসে আছেন। তাঁর মাথা নীচের দিকে ঝুলে বুকের সাথে লেগে যাচ্ছে। তিনি নিজেকে ধরে রাখতে পারছেন না। আশপাশে অনেকেই তাকে জিজ্ঞেস করছে, 'কী হয়েছে...'
আমিও দাঁড়ালাম। কথা বলার চেষ্টা করলাম। তিনি একটা দুইটা কথা বলছেন। আবার মাথা নীচের দিকে ঝুলে যাচ্ছে তাঁর। পুরোপুরি জ্ঞানে নেই তিনি। গায়ে হাত দিয়ে দেখি তিনি ঘেমে একাকার অবস্থা।
আশপাশের মানুষজনকে নিজের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে পালসে হাত দিয়ে দেখি পালস একদম ফিবল, ইনফ্যাক্ট আমি রেডিয়াল পালস ঠিকমতো ফিল করতে পারছিলাম না। তিনি ড্রাইভারের সাথে মসজিদে গিয়েছিলেন। ড্রাইভারকে পাওয়া গেলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দিলাম।
কথা বলতে বলতেই তিনি প্রায় পুরো অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে ধরাধরি করে মসজিদের ফ্লোরে শুইয়ে দেই, ক্যারোটিডে হাত দিয়ে দেখি এবসেন্ট।
সিপিআর দেবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি, ঠিক এমন সময়েই একজন ইয়াং ছেলে বলল স্যার আমি আই সি ইউ-তে কাজ করি, আমি চেস্ট কম্প্রেশন দিচ্ছি।
মাথার কাছে গিয়ে মাউথ টু মাউথ ব্রেথ দিতে আরম্ভ করলাম। ছেলেটি গুড কোয়ালিটি চেস্ট কম্প্রেশন দিচ্ছে। বিএলএস গাইডলাইন অনুযায়ী সিপিআর দেয়ার প্রায় ২.৩০ মিনিটের মধ্যে ক্যারোটিড ফিরে এলো।
আশপাশে তখন অনেক মানুষ। তীব্র উত্তেজনা নিয়ে আমাদের দেখছে।
বারবার ক্যারোটিড চেক করে দেখলাম রিদম নরমাল।
তাঁকে তার গাড়িতে তুলে দিয়ে কাছাকাছি ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললাম।
আমি আর ছেলে বাসায় ফিরে এলাম। বাসায় এসে ইউনাইটেড হাসপাতালের ইমার্জেন্সীতে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, এমন একজন রোগী গিয়েছে কি না!
তারা জানলো, এমন একজন রোগী তাদের কাছে গিয়েছে, রোগী স্ট্যাবল এবং তিনি ওপথ্যালমোলোজিস্ট।
আমার খুব ভালো লাগলো। নিজের প্রফেশনের একজনের পাশে এভাবে দাঁড়াতে পেরে।
শ'খানেক মানুষের কেউ আমাদের দিকে তেড়ে আসেনি, ভিডিও টিডিও করেছে কি না জানি না। সবাই খুব সাপোর্টিভ ছিলো।
বাসায় এসেই ছেলে তার মাকে পুরো ঘটনা জানালো। বাবাকে এভাবে একজনের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করতে দেখে সে আপ্লুত। এতোদিন পর সে ইচ্ছা প্রকাশ করলো, সে-ও বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়!
আশরাফ জুয়েল,
চিকিৎসক ও কথাসাহিত্যিক,
কনসালটেন্ট, আই সি ইউ ও ইমার্জেন্সী, বি আর বি হাসপাতাল।
সামাজিক কোন অনুষ্ঠানে ১০০ জনের জন্য সবচেয়ে দামী সব খাবারের আয়োজন করে ৫০০ জনকে দাওয়াত দিলে এর পরিণাম কি হতে পারে!!
যেই ১০০ জন ভালো খাবার খেলো তাদের মধ্যে অল্প কিছু মানুষ আপনার সুনাম করবে বাকি ৪০০ জন এমন মাত্রায় বদনাম করবে যে আপনি ভুলেই যাবেন ১০০ জন অতিথি খাবার খেয়েছে।
এটা হচ্ছে বাংলাদেশের বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালের চিত্র । সক্ষমতা ১০০ জনের থাকলেও রোগী আসে ৫০০ জন, বিনিময়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য প্রশাসনের কপালে থাকে শুধুমাত্র বদনাম। মাঝে মাঝে ভুলেই যাই আসলেই কি চিকিৎসা হয় হাসপাতালে!!!
সদর হাসপাতালে সকাল থেকে অনেকগুলো অপারেশন হলো , হয়তো আরো অনেকের অপারেশন দরকার ছিলো কিন্ত সক্ষমতার কয়েকগুন বেশি করেও এর বেশি করা সম্ভব হয়নি। বাকিদের কাছে আমাদের এই পরিশ্রম মূল্যহীন।
লেখাঃ ডাঃ আবু তাহের স্যার।
NESCO Rajshahi has published Load Shedding schedule
Check the link for details
http://nesco.gov.bd/sites/default/files/files/nesco.portal.gov.bd/notices/6b120ec7_8eb5_4265_a207_06a9aff507f5/2022-07-18-17-42-bf0c6fb8b5c144ed5158c85fd7d4ba67.pdf
Internship Ending Ceremony...
দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আবারও ঊর্ধোমুখি। সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হোন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
নিজেকে ও সমাজকে সুস্থ রাখুন।
Davidson's Principles and Practice of Medicine, 24th Edition Full Pdf
Link in 1st Comment
ডায়রিয়া,বা পাতলা পায়খানা অসংখ্য শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। খাবার স্যালাইন খান, সুস্থ থাকুন। বিশেষ করে শিশুদের ডায়রিয়ায় ৯৫%+ ক্ষেত্রে স্যালাইন খেলেই সুস্থ হয়।
হাফলিটার পানি + এক প্যাকেট স্যালাইন।
না কম, না বেশি।
া_নারী_থেকে_পুরুষ_হওয়া
গত কয়েকদিন আগে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে লাভলী আক্তার নামের একটা বালিকা হঠাৎ ছেলেতে রূপান্তরিত হয়ে আবদুল্লাহ জিসান নাম ধারণ করেছে বলে প্রায় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা ছোটবেলা থেকেই এরকম আরো ঘটনা শুনেছি এবং এগুলো অলৌকিক কিছু বা ভুয়া কিছু ভেবেই ধরে নিয়েছি। শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীতে ১৯৭০ সালের আগে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে তেমন রিসার্চ হয়নি। এই অলৌকিক জিনিসের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করতে আজ একটু দীর্ঘ লেখা লিখছি। ব্যপারটা মেডিকেলিয় হলেও আমি যথাসাধ্য সর্বসাধারণের উপযোগী করে লেখার চেষ্টা করবো।
১৯৭০ সাল, পূর্বপাকিস্তানে তখনো ইতিহাসের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়টি হয়নি। নিউইয়র্কের কর্নেল মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডাঃ জুলিয়ান ইম্পেরাতো ম্যাকগিনলে সাহেবের সহকারী ওনাকে ডোমিনিকান রিপাবলিক নামক দেশের একটা নিভৃত গ্রামের এক অদ্ভুত তথ্য দিলেন। সেই গ্রামে অনেক বালিকা ১২-১৩ বছরের দিকে ছেলেতে রূপান্তরিত হচ্ছে। ডাঃ ম্যাকগিনলে সাহেব এই খবরের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পাত্তাড়ি গুটিয়ে ডোমিনিকান রিপাবলিকে এসে পৌঁছুলেন দিন কয়েকের ভেতরে। সেই গ্রামে গিয়ে দেখলেন ব্যপারটা আসলেই সত্য। তিনি শুনলেন যে এই ঘটনা সেই গ্রামে নতুন কিছু নয়। এই ধরনের রূপান্তরিত বাচ্চাদের গ্রামবাসী নামের শেষে গুয়েভেদোজ (Guevedoce) টাইটেল লাগিয়ে দেয়। Guevedoce শব্দ ইংরেজি করলে হয় P***s at twelve অর্থাৎ “১২ তে পুংলিঙ্গ”। সেই থেকে আজো বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই Guevedoce দ্বারা এইরকম রূপান্তরিতদের বোঝানো হয়। ডাঃ ম্যাকগিনলে পরবর্তী ৩ বছর সেখানে থেকে গেলেন ও একের পর এক গবেষণা চালাতে লাগলেন। ১৯৭৪ সালে বিশ্ববিখ্যাত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি Merck & Co. এর হেড অফ রিসার্চ Roy vegelos এর সাথে মিলিত ভাবে রূপান্তরের ম্যাকানিজম আবিষ্কার করেন ও সেই গ্রামবাসীকে এই রূপান্তরের পরবর্তী কিছু জটিলতা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য Finasteride নামক অষুধ আবিষ্কার করেন।
এবারে ইতিহাস ছেড়ে কার্যকারণে আসি। নন মেডিকেল পাঠকের জন্য কয়েকটি শব্দ আগে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
১) প্রাইমারি সেক্স ক্যারেক্টারঃ-
এটা হল মায়ের পেটের ভেতরে ছেলে ও মেয়েদের আলাদা ভাবে তৈরি হওয়া বৈশিষ্ট্য। এটা প্রধানত লিঙ্গের আকৃতি ও গঠনকেই বোঝানো হয়। নাহয় জন্মের পরে শুধুমাত্র লিঙ্গ ছাড়া ছেলে বা মেয়ে কিনা সেটা আলাদা করার উপায় থাকেনা। লিঙ্গ ছাড়াও প্রাইমারি সেক্স ক্যারেক্টারে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ, ছেলে বা মেয়েদের আলাদা মানসিকতা-চলাফেরা-খেলার স্বভাব- বাচনভঙ্গি-পোশাক নির্বাচন- বিপরীত লিঙ্গের অভিভাবকের সাথে আচরণ ইত্যাদিও অন্তর্ভুক্ত।
২) সেকেন্ডারি সেক্স ক্যারেক্টারঃ-
এটা হলো ১২-১৩ বছর বয়সে যৌন অঙ্গ থেকে থেকে দ্বিতীয় দফায় আমাদের রক্তে পুরুষালি বা মেয়েলি হরমোন নিঃসরণ শুরু হবার ফলে সৃষ্ট শারীরিক পরিবর্তন । এটা খুবই প্রকট। ছেলেদের স্বর ভারী ও মোটা হয়, মেয়েদের হয় কোমল ও চিকন এছাড়া ছেলেদের শুক্রাণু সৃষ্টি, ছেলে ও মেয়ের আলাদা লিঙ্গের আকৃতি ও স্তন পরিবর্তন, শরীরের নতুন স্থানে লোম গজানো, মাংশপেশি ও হাড়ের গঠনে পরিবর্তন, উচ্চতা-রক্তের ঘনত্ব-চরিত্র-মানসিকতা ইত্যাদি প্রকটভাবে পরিবর্তিত হতে থাকে এই সময়। একে সুন্দর বাংলায় বয়ঃসন্ধিকাল বলে।
৩) টেস্টোস্টেরনঃ-
এটা পুরুষের যৌন হরমোন। এর কারণে একটা মানুষ পুরুষ হয়ে উঠে মায়ের পেট থেকে। এই টেস্টোস্টেরন দুই দফায় নিঃসরণ হয়। প্রথমবার হয় আমাদের মা যখন ৮ সপ্তাহ বা ২ মাসের গর্ভবতী ছিলেন তখন। সেই প্রথম দফার নিঃসরণের কারনে আমরা মেয়ে থেকে ছেলে হয়েছি। নাহয় সব মানুষই প্রথমে নারীর বৈশিষ্ট্য নিয়েই বড় হতে থাকে। টেস্টোস্টেরন প্রথমবার নিঃসরণের কারণে আমাদের ছেলেদের লিঙ্গটি মেয়েদের চেয়ে আলাদা হয়ে গঠিত হয় মায়ের গর্ভতেই। এই হরমোন আবার দ্বিতীয় দফায় নিঃসরণ হয়েছে ১২ বছর বয়সে আমাদের অন্ডকোষ থেকে একটু পরিবর্তিত রূপে। এর কারণেই আজ দুই ধরণের লিঙ্গের মানুষ আমার লেখা পড়তে পারছে। ধন্যবাদ টেস্টোস্টেরন কে।
এবারে মেডিকেলিয় কথায় ঢুকি।
আমাদের কোষের ২৩ সেট ক্রোমোজোমের ভেতরে ২য় সেটে SRD5A2 নামের একটা জিন আছে। এই জিনের কাজ হলো একটা এনজাইম বানানো। এই এনজাইমের দীর্ঘ একটা নাম আছেঃ 3-oxo-5α-steroid 4-dehydrogenase 2 এই লম্বা নামের পরিবর্তে একে 5α-reductase type 2 বা 5αR2 নামেও ডাকা যাবে,নো প্রবলেম। এই এনজাইম হলো টেস্টোস্টেরনের শিক্ষক। শিক্ষক যেভাবে আমাদের দ্বিতীয়বার মানুষ বানায় সেভাবে এই এনজাইম কাঁচা Testosterone কে পাকা ও কর্মক্ষম Dihydrotestosterone (DHT) বানিয়ে দেয় ।এই ঘটনাটি হয় মায়ের পেটে ২ মাস বয়সে। এই DHT হরমোনই ছেলে সন্তানের প্রাইমারি সেক্স ক্যারেক্টার গুলো সৃষ্টি করে ধীরে ধীরে।
অনেকের এই SRD5A2 জিনে একটু পরিবর্তন বা মিউটেশন হয়ে যায়। এর ফলে সে 5αR2 এনজাইমও বানাতে পারেনা যার ফলে DHT ও সৃষ্টি হয়না। তাই বাচ্চাটির বাইরের লিঙ্গ আর ছেলে হিসেবে বাড়ে না। আগে যেভাবে মেয়ের প্রাইমারি সেক্স ক্যারেক্টার নিয়ে বড় হচ্ছিল বলেছিলাম সেভাবেই হতে থাকে। কিন্তু শরীরের ভেতরে অপরিণত অবস্থায় অন্ডকোষ অবস্থান করে। এই বাচ্চা জন্মের পরে সবাই পায়ের মাঝে একটা স্পষ্ট স্ত্রীলিঙ্গই দেখতে পাবে তাকালে। কোনরকম জেনেটিক বা হরমোনাল পরীক্ষা না করালে কোন ডাক্তার বা বিজ্ঞানীরো সাধ্য নেই যে এই বাচ্চাকে পুরুষ বলে স্বীকৃতি দিবে। (কিছু ক্ষেত্রে মেয়ে ছেলের মিক্স করা আকৃতির অদ্ভুত যৌনাঙ্গ দেখা যায় যেমন অত্যন্ত ক্ষুদ্র পেনিস/ছিদ্রবিহীন পেনিস/অন্ডকোষ বিহীন পেনিস/ যোনিপথের উপরে অবস্থিত পেনিস ইত্যাদি। এটাকে ambiguous genitalia বলা হয় তখন)। কিন্তু সিনেমা এখনো যে বাকি সেটা কেউ জানেনা। এই বাচ্চা ২ নাম্বার ক্রোমোজমের গোলমালের কারণে মেয়ে হিসেবে জন্ম নিলেও তার ২৩ নাম্বার ক্রোমজমে ছোট্ট একটা Y ক্রোমোজম লুকিয়ে আছে সেটা কেউ আর বুঝে না। কারণ Y ক্রোমোজোম এখনো তার ফাইনাল কারিশমা দেখায়ইনি।
এই বাচ্চা বাইরে মেয়ে ও ভেতরে সুপ্ত ছেলে নিয়ে বড় হতে থাকবে। যখন ১২ বছরে পদার্পন করবে তখন Y ক্রোমোজোমের সিগন্যাল অনুসারে শরীরের ভেতরের অপরিণত অণ্ডকোষ এর “লিডিগ কোষ” থেকে হঠাৎ প্রচুর পরিমাণে অক্সিডাইজড টেস্টোস্টেরন বের হতে থাকবে। সে সময় আর DHT এর প্রয়োজন হয়না। মনে রাখতে হবে DHT এর কাজ শুধু প্রাইমারি সেক্স ক্যারেক্টারে সৃষ্টিতে ও পরবর্তীতে প্রয়োজনে এটি ল্যাবরেটরিতে আলাদাভাবে বানানো যায় কিছু রোগের চিকিৎসার জন্য। যাহোক, টেস্টোস্টেরন বের হবার সাথে সাথেই দ্রুত আবার পুরুষের স্বভাব সৃষ্টি হতে থাকে। স্ত্রীলিঙ্গের ক্লিটোরিস বা ভগাংকুর নামের অংশটি হঠাৎ খুব দ্রুত লম্বা হয়ে পুরুষের শিশ্নের মত হয়ে যায় আর ভেতর থেকে অন্ডকোষ বেরিয়ে আসে পরিপক্ক হয়ে। হঠাৎ মেয়ের দাঁড়ি গোঁফ গজাতে থাকে, কন্ঠ পালটে যায়, স্তন ছোট হয়ে আসে। এসব ঘটনা দুয়েক মাসের ভেতরেই হতে পারে। তবে ১২-১৩ বছর পরে এটাকে আকস্মিক ঘটনা বলাই যায়। এই রূপান্তরিত ছেলে পরবর্তী জীবন ছেলে হিসেবেই কাটাবে। ধীরেধীরে পুরুষ হয়ে উঠাকে virilization বলা হয়। এই virilization এর বিভিন্ন স্টেজ নিয়ে সুইস চিকিৎসক আন্দ্রে প্রাডা একটা স্কেল আবিষ্কার করেছেন সেটাকে প্রাডার স্কেল বলা হয়। আমি সেই স্কেলের ছবি যুক্ত করেছি। লিঙ্গ পরিবর্তনের স্টেজ গুলো বুঝতে পারবেন সেটা দেখে।
এই হলো মেয়ে থেকে ছেলে হয়ে যাবার রহস্য। কিন্তু DHT তৈরি না হবার কারনে মায়ের পেটে সেই মেয়েরূপী পুরুষের প্রস্রাবের থলির নিচে লাগানো প্রোস্টেট গ্রন্থি নামক অঙ্গটি ভালো ভাবে তৈরি হয়না এবং ১২ বছর বয়সেও অন্য অঙ্গের সাথে প্রোস্টেট ঠিকমত বাড়ে না তাই রূপান্তরিত ছেলেটির প্রস্রাবের সময় অসুবিধার সৃষ্টি হয় এর কারণেই সেই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি Merck & Co. ফিনাস্টেরাইড নামক অষুধটি বানিয়েছিল। এই অষুধের কাজ প্রোস্টেট গ্রন্থিকে ভালভাবে কাজ করতে দিয়ে প্রস্রাব করা সহজ করা।
Guevedoce অবস্থা কে মেডিকেলে কিছু জটিল নামে ডাকা হয়। যেমন
১) familial incomplete male pseudohermaphroditism type 2
২) Male pseudohermaphroditism due to 5-alpha reductase deficiency
৩) pseudovaginal perineoscrotal hypohypospadiasroid (PPHS)
৪) 5-alpha-reductase-deficiency
রহস্যাবৃত এই রূপান্তর নিয়ে আশা করি আমাদের আর দ্বিধা থাকবেনা।
©ডাঃ আসির মোসাদ্দেক সাকিব
রাখে আল্লাহ!! মারে কে?
এই কথাটার মর্ম গতকাল রাতে আবার বুঝতে পারলাম, নতুন করে। আমাদের গাইনী ইউনিট ১ এ এক রোগী আসলো ৫ মাসের গর্ভবতী, রক্ত এবং পানি ভাঙ্গা নিয়ে। এ ছাড়া উনারা আর কোনো হিস্টোরি দেন নি। আমরা আমাদের মত থ্রেটেন্ড এ্যাবর্শন চিন্তা করে ট্রিটমেন্ট চালু করি। পরের দিকে দেখি পেশেন্ট শকে যাচ্ছে!! তারমানে কোথাও ইন্টারনাল ব্লিডিং হচ্ছে !? USG রিপোর্ট আসলে দেখি IUD সাথে রাপচার্ড ইউটেরাস!! পেশেন্ট পার্টিকে আবার ধরা হলো। এবার জানা গেলো এক নতুন কাহিনী!!
তাদের ভাষ্যমতে:-
তারা কোনো এক কোয়াক এর কাছে ৫ মাসে বাচ্চা নষ্ট করতে গিয়েছিলেন। কোয়াক কী একটা জিনিস ঢুকালো, এবং তারপর থেকে রোগীর এই অবস্থা। পরে কন্ট্রোল করতে না পেরে রোগীকে তারা হাসপাতালে নিয়ে আসলেন।
রাত তখন ১০ টা।
বুঝতে পারলাম যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে, রাপচার্ড ইউটেরাস!! তা না হলে রোগী বাঁচবে না!! কিন্তু ভিতরের ঘটনা ছিল আরো ভয়াবহ!! অ্যানি আপু অর্ডার দিয়ে ওটি রেডি কর। ব্লাড ডিমান্ড দাও। এনেসথেসিয়া তে দেখি ইকবাল স্যার। সাথে সাথে ছুটে আসলো আরবী আপু, সিফাতি আপু এবং ইউনিট ২ থেকে সুরভী আপু। আমরা উভয় ইউনিটের চিকিৎসকেরা তখন একসাথে,এক টেবিলে।
ওপেন করার পর দেখা গেল, শুধু রক্ত!! রক্ত আর রক্ত!! ইন্টারনাল ইলিয়াক আর্টারির ব্রাঞ্চ গুলো সব লেসেরেটেড!!
এরকম কেমনে হলো? পরে বোঝা গেলো, ওই কোয়াক যখন বাচ্চা নস্ট করার জন্য D&C করেছিল, তখন কিউরেট, ইউটেরাস ফুটো করে, ভিতরে ঢুকে গিয়ে এই বাজে অবস্থার সৃষ্টি করেছিল। এত গুলো ব্রাঞ্চ ছেড়া এবং প্রচুর রক্তপাতের কারণে কিছু ঠিক মত দেখাই যাচ্ছে না। কোনো মতেই রিপেয়ার করা সম্ভব হচ্ছে না। ছুটে এসে ওটি তে উপস্থিত হলেন নফসি আপু। এই দিকে প্রচুর রক্তপাতে রোগী পুরো ঝুঁকিপূ্র্ণ। বিপি পাওয়া যাচ্ছে না, পালস হলো ২০০। ব্লাড পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ধানীতে ব্লাড দিল আমাদেরই দুইজন জুনিয়র। একে একে ১৪ ব্যাগ ব্লাড দেওয়া হলো। সর্বমোট ৫ টা চ্যানেল ওপেন করা হলো শরীরে। যখন রোগীর এরকম যায় যায় অবস্থা, তখন সবাই হতাশ হয়ে পড়লো। ইকবাল স্যার তার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছিল। এবার ছুটে আসলেন মাহবুব স্যার। এসে বললেন, আল্লাহ ভরসা! হাল ছাড়বো না। যতক্ষণ পর্যন্ত মনিটর বিপ বিপ শব্দ করছে তার মানে রোগী বেচে আছে!! রোগী যুদ্ধ করছে, আমরা ও আমাদের সাধ্যমত চেস্টা করবো। বিপি মেশিন খুলে নেওয়া হলো। আমরা সার্জন রা মনিটরের দিকে আর নজর দিবো না। এনেসথেসিয়া স্যারেরা সব দেখছেন।
ওদিকে রক্তপাত তখনও বন্ধ হয়নি। এ ধরনের রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ভাস্কুলার সার্জন দরকার। বগুড়াতে তো ভাস্কুলার সার্জন নেই। সার্জন সিদ্ধান্ত নিলেন আরো ওপেন করবেন। ইন্টারনাল ইলিয়াক আর্টারি রিপেয়ার করবেন। কিন্তু সেটাতেও ব্যার্থ হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন, এখন যদি কিছু না করা হয় রোগী এমনিতেও মরবে। উনি রোগীকে আরো ওপেন করে কমন ইলিয়াক আর্টারি রিপেয়ারের সিদ্ধান্ত নিলেন এবং সফল হলেন! ৬ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস যুদ্ধের পর আসতে আস্তে স্ট্যাবল হলো পেশেন্ট। আবার বিপি ঠিক ঠাক হলো। অতঃপর আইসিইউতে পাঠানো হলো রোগীটিকে।
Now patient is completely stable conscious, oriented,urine output is satisfactory needs no ventilatory support.
** এত বড় ঘটনাটি শুধুমাত্র এইজন্য ই শেয়ার করা, অপারেশন শেষে স্যার বলেছিলেন, যদি এই পুরো অপারেশনের কাহিনী ভিডিও করা যেত, তাহলে সাধারণ মানুষ বুঝতো কি পরিমান ডেডিকেশন আর ধৈর্যের সাথে ডাক্তারেরা যুদ্ধ করে!! ভিডিও তো করা সম্ভব হয় নি, কিন্তু আসা করি এই সংক্ষিপ্ত ঘটনায় একটু হলেও আন্দাজ করা যায়, এই পুরো টিমের কষ্ট এবং পরিশ্রমের কাব্য। আমি আমার শজিমেকের শ্রদ্ধেয় স্যার, ম্যাডাম, সিনিয়র এবং জুনিয়রদের নিয়ে গর্বিত **
Dr. Sayem
গতবছরও ঠিক আগষ্ট মাসেই কোভিড ১৯ এর সংক্রমন কমতে শুরু করেছিল। ধরে নেয়া যায় এবার দ্বিতীয় ওয়েভ শেষ হতে ১৫ দিন থেকে ১ মাস হয়তো লাগবে৷
নতুন কোন ভ্যারিয়েন্ট না আসা পর্যন্ত এই বছর হয়তো তৃতীয় ওয়েভ আর আসবেনা। আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলে আসলেও তা দূর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কারন ততদিনে বেশীরভাগ মানুষ ভ্যাক্সিন বা ন্যাচারাল ইনফেকশনের প্রভাবে ইমিউনিটি অর্জন করে ফেলবে৷
তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় কোন প্রকার ঢিলেমি দিলে চলবেনা।
আল্লাহ আমাদের সহায় হউন।
ডা নুসরাত সুলতানা
সহকারী অধ্যাপক
ভাইরোলজী বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ
Congratulations
https://www.dhakatribune.com/bangladesh/2021/08/24/bangladesh-ranks-first-in-the-world-for-breastfeeding
Bangladesh ranks first in the world for breastfeeding India stands at 79, Nepal at 39 and Maldives at 19
The latest data from Bangladesh reveals the COVID-19 disease severity is at least 3 fold reduced in the fully vaccinated group compared to the unvaccinated. The death rate reduction was 10 fold in the vaccinated group.
করোনা চিকিৎসার জন্য কোন হসপিটালে, কি কি, ও কয়টা বেড খালি রয়েছে সেটা এখন থেকে সব সময় আপডেট পাবেন। এই লিংকেঃ https://covidhospitalsbd.com/
এর মাধ্যমে যদি ১ জন মানুষেরও জীবন বাঁচে, তাহলেই আমরা সার্থক।
COVID Hospitals BD This app provides COVID Hospitals available beds information in Bangladesh.
Stay Safe ❤️
#গুরুত্বপূর্ণ_তথ্য
গতকাল ফেসবুকে একটি ভিডিওতে দেখলাম একজন ব্যক্তি না জানার কারণেই বলবো একসাথে তিনটি ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ভ্যাকসিন নিয়ে এমন অনেক বিষয়ই এখনো আমাদের অনেকের মাঝেই অজানা।
এজন্য ভ্যাকসিন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ারের প্রয়োজনীয়তা মনে করছি, যেটি আমরা ইরানে ভ্যাকসিন দেবার ক্ষেত্রে ফলো করছি এবং জনগণকে এ নিয়ে সচেতন করতে মিডিয়াও কাজ করছে।
বিষয়টি নিয়ে দুইটি প্রশ্ন আসতে পারে।
প্রথমত, ভ্যাকসিন নেবার সময় যদি আপনার পিসিআর টেস্ট পজিটিভ হয় সে সময় আপনার ভ্যাকসিন নেয়া উচিত হবে কি?
দ্বিতীয়ত, আপনি ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন এবং দ্বিতীয় ডোজ নেবার ঠিক আগ মুহুর্তে করোনা পজিটিভ হয়েছে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন কি?
এবার উত্তরে আসা যাক, যাদের করোনা পিসিআর টেস্ট পজেটিভ অথবা দ্বিতীয় ডোজ নেবার সময় পজিটিভ হয়েছে সবারক্ষেত্রেই উচিত হবে কমপক্ষে ৬ সপ্তাহ ভ্যাকসিন নেবার ক্ষেত্রে বিলম্ব করা।
এছাড়াও এমনও হতে পারে যাদের মাঝে করোনার উপসর্গ রয়েছে যেমন জ্বর, শুকনো কাশি, ক্লান্তিভাব, গলা ব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি তাদেরও ভ্যাকসিন নেয়া উচিত হবেনা সে সময়। কেউ ভ্যাকসিন নিতে চাইলে পিসিআর টেস্ট নেগেটিভ হলে তারপরে নিতে পারেন।
আরেকটি বিষয়, যদি পরিবারের কোন সদস্যের করোনা টেস্ট পজিটিভ হয় এবং অন্য কোন সদস্য যদি ভ্যাকসিন নিতে চান তার ক্ষেত্রেও উচিত হবে ভ্যাকসিন নেবার আগে করোনা টেস্ট দেয়া এবং নেগেটিভ হলে সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেয়া।
এই সময় বিলম্বের কারণ হচ্ছে, করোনা পজিটিভ থাকা অবস্থায় কেউ ভ্যাকসিন নিলে ভ্যাকসিনের সর্বোচ্চ প্রভাব ইমিউন সিস্টেমে পড়ার সম্ভাবনা কম। এবং এর ফলে শরীরে উৎপাদিত অ্যান্টিবডি উৎপাদনও কম হবে।
কামরুজ্জামান নাবিল
শিক্ষার্থী, ডক্টর অব মেডিসিন, ইস্পাহান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইরান
১২-১৯ জুলাই চমেক এ ভর্তি হওয়া ২৬৫ জন করোনা রোগির মাঝে ২ ডোজ টিকা পাওয়া রোগি ছিলো মাত্র ১ জন,
১ ডোজ টিকা পাওয়া রোগি ছিলো শুধু ৫ জন! যাদের ৫ জনই স্ট্যাবল।
( সূত্রঃ আজকের আজাদী)
এখন আপনি যদি যেকোনো ব্র্যান্ডের এক ডোজ হলেও টীকা পেয়ে থাকেন আপনি ভাগ্যবান।
দুই ডোজ টীকা নিয়েছেন এর মানে আপনি কতটা ভাগ্যবান সেটা আপনি নিজেও জানেন না।
টীকা দিবেন না হাসপাতাল এর বিল দিবেন না জান দিবেন সিদ্ধান্ত আপনার।
And remember
The best vaccine brand is the one which is available near you....
courtesy- Dr. zahid
”তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম”
অর্থাৎ আল্লাহ আমাদের এবং আপনার (ইবাদত-বন্দেগী) কবুল করুক।
ঈদ মোবারক 🌙
পরিস্থিতি খুব কঠিন। এই পরিস্থিতিতে অকারণে panic না করে কয়েকটি কথা মনে রাখুন।
1. Covid রোগীর গায়ে হাত দিলেই Covid ছড়ায় না...
এটি এক প্রকার Droplet infection. একমাত্র তার হাঁচি, কাশি বা কথা বলার সময়েই লালার সূক্ষ্ম কণিকার মাধ্যমে ভাইরাস তার শরীর থেকে বেরোতে পারে। এবং তাও আপনার গায়ে লাগলে, পিঠে লাগলে, এমনকি তা খাবারের সঙ্গে আপনার পেটে গেলেও আপনি আক্রান্ত হবেন না। ভাইরাস একমাত্র আপনার শ্বাসনালীর মাধ্যমে ফুসফুসে গেলেই সংক্রমণ সম্ভব।
তাই কোনো Covid রোগী মাথা ঘুরে পরে গেলে তাকে তুলতে গেলে আপনারও Covid হয়ে যাবে না। বিপদে পাশে থাকুন। তবেই আপনারও বিপদে মানুষকে পাশে পাবেন। শুধু মনে রাখবেন নাকে বা মুখে হাত দেবেন না। ভয় করলে Covid রোগীর সংস্পর্শে আসার পর হাত Alcohol Sanitizer দিয়ে Sanitise করে ফেলুন বা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খুব ভয় করলে পরনের পোশাক কেচে ফেলুন এবং স্নান করে নিন।
2. Covid হলেই মানুষ মরে না, এটি কোনো মারন ব্যাধি নয়। এর Death Rate দুই শতাংশেরও কম। কিন্তু Covid রোগী isolation-এ থেকে প্রচণ্ড ভাবে মানসিক ভাবেও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তার immunity বা অনাক্রমনতা কমে যায়। তাই রোগীকে সহজপাচ্য পুষ্টিকর খাবার দিন এবং পরিচিতদের Covid হলে call করে, Video call করে, একসঙ্গে online games খেলে, movie suggest করে তাকে মাতিয়ে রাখুন।
3. বাড়িতে Covid Patient না থাকলে বাড়ির মধ্যে Mask পরে থাকবেন না। ঘর থেকে না বেরোলে মনের বিকার ঘটা এবং immunity কমে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই বিকেলবেলা রাস্তায় না, বাগান থাকলে সেখানে বা না থাকলে ছাদে একটু হেঁটে ও শরীর চর্চা করে আসুন। এতে ঘরে বসে বসে ওবেসিটির সম্ভাবনাও কমবে। (মনে রাখবেন শুধুমাত্র immunity boosting খাবার খেয়ে আদৌ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে না, প্রকৃতির সংস্পর্শে না এলে কখনোই বাড়বে না।) শরীরচর্চা করা বা নির্জন ছাদে হাঁটার সময় মাস্ক পড়বেন না। সাবধানতা অবলম্বনের এক দারুণ অস্ত্র Mask. কিন্তু এর Overuse করবেন না তথা বিনা কারণে (যেমন গাড়ি চালানোর সময় Helmet এর ভিতরে) পড়বেন না। এতে এমনিতেই আপনার শরীরে Oxygen এর ঘাটতি দেখা দেবে।
4. Oximeter থাকলে বিনা কারণে ঘন ঘন Saturation check করবেন না। এতে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বেন। একমাত্র জ্বর কিংবা অসুস্থ হলে check করবেন। 95 অবধি saturation খুব স্বাভাবিক। তাছাড়াও এই পরিস্থিতিতে Mask ব্যবহারের ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম দেখানোও একদমই অস্বাভাবিক না। Panic করবেন না।
5. রোগ না হয়ে থাকলে আগে থেকে ভয় পেয়ে ওষুধ কিনে বা অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে মজুত করে রাখবেন না। এও এক প্রকার কালোবাজারি। এতে যাদের প্রয়োজন তারা পাচ্ছেন না। দাম বেড়ে যাচ্ছে। after all সমগ্র মানবজাতির ক্ষতি করবেন না একা হাতে।
6. কোভিড সংক্রান্ত কোনো রকম সমস্যা হলেই নিকটবর্তী হাসপাতালে যান। সেখানে তৎক্ষণাৎ বেড না পেলেও আপনাকে Oxygen দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এবং Rapid Test করানো হবে।
7. কাপড়ের মাস্ক পরা, না পরা সমান। N95 এবং Sanitizer এখন essential commodities. তাই এদের দাম এখন বেঁধে দেওয়া। N95 এবং Sanitizer ব্যবহার করুন। Office-এ বা বাইরে থাকলে কিছুক্ষণ অন্তর হাত Sanitise করুন। একটু হাত ঘষে ফেলার মতো একটি ক্ষুদ্র অভ্যেস যদি আপনার জীবন বাঁচিয়ে দিতে পারে তাহলে তা করবেন না কেনো?
এ বিষয়ে Face Shield - ও একটি দারুণ সুরক্ষা প্রদানকরী বস্তু। ব্যবহার করতে পারেন।
8. Covid Virus এর কিন্তু ডানা নেই, উড়ে উড়ে ছড়ায় না এই রোগ। তাই প্রতিবেশীর বাড়িতে Covid হলে একদমই panic করবেন না। বরং তাকে সাহায্য করুন। ওষুধ, খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস ঘরের দরজায় পৌঁছে দিন। এতে আপনার Covid হবে না। ভয় করলে Mask, Face Shield, হাতে rubber gloves use করতে পারেন।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাবধানতা অবলম্বন করুন। কিন্তু তাই বলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর থেকে সরে আসবেন না। মনে রাখবেন তাদের বিপদের আপনি দাঁড়ালে একদিন আপনার বিপদেও তারা দাঁড়াবে।
আর এটুকুতেই ভয় পাওয়ার আগে মনে রাখবেন ডাক্তার এবং নার্সরা হাজার হাজার কোভিড রোগীকে নিয়ে কাজ করছেন। তারা কিন্তু সবাই সংক্রমিত হয়ে যাচ্ছেন না। তাই আপনার প্রতিবেশী, বন্ধু, আত্মীয় বা পরিচিত কেউ আক্রান্ত হলে যতোটুকু সম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
আবারও বলছি, সময়টা খুব কঠিন। মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে। এখন আপনি হেলাফেলা করলে আপনার জীবন বা আপনার পরিবারের মানুষদের জীবনও কিন্তু হেলাফেলা হয়ে যেতে পারে।
তাই নিজের যত্ন নিন।
মানুষের পাশে থাকুন।
সাবধানে থাকুন।
[সংগৃহীত]
১৫ থেকে ২২ জুলাই লকডাউন শিথিল, ঈদের পর ফের কঠোর ঈদুল আজহা সামনে রেখে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউনের মেয়াদ ২২ জুলাই পর্যন্ত এক সপ্তাহ বাড়িয়ে শর্তসাপেক্ষ...
দীর্ঘ দিন কিটো ডায়েট করলেঃ
১. সামগ্রিক মৃত্যুর ঝুঁকি ৩২% বেশি
২.হৃদরোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ৫১% বেশি
৩. স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ৫০% বেশি
৪. ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি ৩৫% বেশি
( ইউরোপীয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিওলজি এর জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণার ফলাফল।)
তাই বি এম আই কন্ট্রোল এ রাখতে সুষম খাবার ও পরিশ্রমের বিকল্প নাই।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the practice
Website
Address
Opening Hours
Monday | 09:00 - 22:00 |
Tuesday | 09:00 - 22:00 |
Wednesday | 09:00 - 22:00 |
Thursday | 09:00 - 22:00 |
Saturday | 09:00 - 22:00 |
Sunday | 09:00 - 22:00 |
Jhawtola Mor, Laxmipur
Rajshahi
DR. M A RAKIB AZAD MBBS - (ShSMC, Dhaka) ; CCVD; CCD- BIRDEM DMU & Doppler - (USG- CMUD)
Rajshahi
Buttock injection, im injection, iv injection, cannula push, injection video, injection tips Etc
সাহেব বাজার
Rajshahi, 6100
জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধি ডাক্তারগণের যৌথ প্রচেষ্টা ও পরামর্শের মাধ্যমে সুচিকিৎসা প্রদান।
Ghospara More
Rajshahi, 6000
I have complete my Bds degree from Rajshahi medical college in 2013. Then i have join as a dental s
Rajshahi
সঠিক পরামর্শ, আন্তরিকতা ও উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা আমাদের একমাত্র লক্ষ্য