Tiny Tales With Ananya
Nearby public figures
Chapainawabganj
Rajshahi, Nawabganj
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Tiny Tales With Ananya, Rajshahi Court, Rajshahi.
একটা আপুর ব্লগ দেখছিলাম। আপু না বলে আন্টি বলাই ভালো কারন তিনি একটু মধ্য বয়স্ক। যাই হোক ভিডিওতে তিনি খুব কান্নাকাটি করছিলেন প্রথম থেকেই। পুরোটা দেখার পর জানলাম তার দুই ছেলে বিয়ের পর বউ নিয়ে আলাদা সংসার পেতেছে এই জন্য তিনি কষ্ট পাচ্ছেন। উনি অবশ্য এটার কারনও খুব সুন্দর এবং সুস্পষ্ট ভাবে বলেছেন ভিডিওর শেষে। আসলে উনাদের বাসাটা খুব ছোট, দুই ছেলের দুই বউ সহ এতজন মানুষ থাকার মত অবস্থা না। এই কারনে উনি নিজেই তাদের থাকার আলাদা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন আর তাছাড়া তার ছেলেদের সামর্থ্য আছে আালাদা থাকার। মহিলা তার ছেলের বউদের খুবই ভালোবাসে,ছেলের বউরাও শাশুড়ীকে খুব মেনে চলে। আর যেহেতু একসাথে থাকা হয়না তাই রোজ মায়ের সাথে ছেলেদের দেখাটাও হয়না। ছেলেরা সময় সুযোগ বুঝে মা-বাবার সাথে দেখা করে। তো ঠিক আছে এখানে আমি নেগেটিভ কিছু দেখলাম না। যেহেতু এতটা বছর কখনোই ছেলেদের ছেড়ে তিনি থাকেননি তাই কষ্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক। তিনি শুধু এটুকুই শেয়ার করেছেন।
তো এর পরে কমেন্ট সেকশন এ ঢুকলাম স্বভাব বশত!
লোকজন তার ছেলের বউদের পারলে ধুয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। ছেলের বউদের উচিৎ হয়নি শশুর-শাশুরী ছেড়ে আলাদা সংসার পাতার। তারাই ইন্ধন যুগিয়েছে আালাদা হওয়ার জন্য, কষ্ট করে কেন একসাথে থাকলো না ইত্যাদি, ইত্যাদি।
এখানে যারা এ ধরনের কমেন্ট করেছে তারা ৯০%ই মেয়ে। নিজে মেয়ে হয়েও আরেকজন মেয়েকে বিনা কারনে অপমান করে গেলো। যেখানে কেউ কাউকে চিনেও না। আবার কিছু আলগা পিরিত দেখানো লোকজন ও আছে দেখলাম যারা ছেলের মায়ের একা থাকার কষ্ট মেনে নিতেই পারছে না।
আাপনারা কেনো এভাবে মানুষকে জাজ করেন? ছেলের মা-বাবার ছেলেকে জন্ম দিতে,মানুষ করতে খুব কষ্ট হয় আর মেয়ের মা-বাবার কোনো কষ্টই নাই তাইনা। মনে হয় মেয়ের বাপ-মা তাদের মেয়ে গুলাকে ডাষ্টবিন থেকে কুড়িয়ে নিয়ে আসে। বিয়ের পরও নিজের কলিজার টুকরাগুলোকে অচেনা অজানা একদল মানুষের সাথে দিয়ে দিতে হয় শর্তহীন ভাবে সেখানেও তাদের কোনো কষ্ট হয়না বোধহয়। একজন ছেলের মা একা থাকার কষ্ট আপনারা মেনে নিতে পারেন না মেয়ের মা-বাবার কষ্ট বুঝেন আপনারা!?
যখন মেয়ের মা-বাবা হবেন তখন বুঝবেন। আর আলাদা থাকা নিয়ে এত জলঘোলা কেন করেন সব সময়??? আপনারা তো সব সময় সব কিছুর মধ্যে ধর্ম টেনে আনেন। ইসলাম কি বলে জানেন না? এই লিখাটা পরে নিবেন। নাহলে নিজে থেকে ইন্টারনেটে সার্চ করে জেনে নিবেন বিষয়টা।
"শ্বশুরবাড়ির সম্পর্ক— আবহমানকাল থেকে চলমান। আর বউ-শাশুড়ীর ব্যাপারটা যেনো আল্লাহ তায়ালার কুদরাতেরই একটি বহিঃপ্রকাশ। আজ যিনি কণ্যা কাল তিনি বধু। পরশু তিনিই হয়ে যান পরম মমতাময়ী মা। কিছুদিন যেতে না যেতেই তিনি আরেকজন নারীর মা হিসেবে আবির্ভূত হন। সমাজ যাকে শাশুড়ী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। মানবসভ্যতার শুরু থেকেই এই ব্যবস্থা। কালের ঘুর্ণাবর্তে এতে ব্যাত্যয় ঘটেনি। ব্যাপারটা নিয়ে নতুন ও আলাদা করে পরিচয় দিতে হয় না। তবে সমাজে সমস্যাটা যেখানে সৃষ্টি হয় সেটা হলো, শ্বশুর-শাশুড়ির সেবা করা কি স্ত্রীর দায়িত্ব? এই এই প্রশ্নটা এজন্যই সৃষ্টি হয়েছে যে, বর্তমানে অধিকাংশ মানুষের মাঝে স্বার্থপরতা, জুলুম, অন্যের ক্ষতিসাধনের মনসিকতা তৈরী হয়েছে। প্রত্যেকেই নিজের প্রাপ্তি ও অধিকার সম্পর্কে সচেতনতার দাবী করেন। কিন্তু অন্যের পাওনা-দেনার ব্যাপ্যারে ধোড়াই কেয়ার করেন!! ভাবখানা এমন “নিজের বেলায় ষোল আনা-পরের বেলায় শুন্য আনা”।
وَمَا تَوْفِيقِي إِلَّا بِاللَّهِ ۚ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْهِ أُنِيبُ
পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য:
দেখুন সুরা বানিইসরাইল, আয়াত:23-24
وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا 23 وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرً 24
অর্থ : তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। তাদের সামনে ভালবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বান্দাদের স্বীয় ইবাদাতের সাথে সাথে পিতামাতার সাথে সদাচরণ এবং তাদের জন্য দোয়া করতে নির্দেশ দিয়েছে। এই আয়াত ছাড়া আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমের সুরা নিসা-এর ৩৬ নং আয়াত, সুরা লোকমান ১৪ নং আয়াত, সুরা আনকাবুত ৮ নং আয়াত, সুরা নূহ এর ২৮ নং আয়াতে এবং বুখারি মুসলিমের হাদিসসহ অসংখ্য হাদিসে রাসূলুল্লাহ সা. সন্তাতকে পিতামাতার খেদমত এবং তাদের সাথে সদ্ব্যহারের আদেশ ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। ইসলাম এক্ষেত্রে বিষয়গুলো সন্তনের ওপরই সীমাবদ্ধ রেখেছে।কুরআন হাদিসের কোথাও পুত্রবধুকে শশুর-শাশুড়ী, ননদ-দেবর কিংবা স্বামীর আত্মীয়দের সেবাযত্ন করা বা তাদের কাজে সহেযোগিতা করার ব্যাপারে নির্দেশনা অবতীর্ণ হয়নি।
কিন্তু বর্তমান সমাজে বিষয়টাকে এমনভাবে দেখা হয় যে, যেন এটা তার অপরিহার্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। বরং এটিই যেন তার প্রধান দায়িত্ব! বিভিন্ন পরিবারের অবস্থা তো এমন যে, ছেলের জন্য বউ আনা হয় কেবল শ্বশুর-শাশুড়ির সেবার জন্য। এমনকি কোনো স্ত্রী যদি শারীরিকভাবে কর্মঠ না হয় কিংবা অনভিজ্ঞ হয় এই অজুহাতে তাকে শশুর বাড়ীর লোকজনের কটু কথা শোনতে হয়। ইসলামের সঙ্গে এসবের কোনো সম্পর্ক নেই। মা-বাবার সেবা-শুশ্রূষা করা সন্তানের দায়িত্ব— কোনোভাবেই পুত্রবধূর নয়। (আল-বাহরুর রায়েক : ৪/১৯৩; কিফায়াতুল মুফতি : ৫/২৩০)
গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, পুত্রবধু ও শ্বশুর-শাশুড়ির সম্পর্ক এবং প্রাপ্তিগুলো কখনো একপক্ষীয় নয় বরং দ্বিপাক্ষিক। শশুর-শাশুড়ীকে এখানে নিজেদের কর্তব্য ও অধিকারের সীমারেখা সম্পর্কে অনুভব থাকতে হবে। তাদের এটা অনুধাবন করতে হবে যে, আমাদের সকল পাওনা-দেনা আমাদের সন্তানের সাথে।স্বামীর মা-বাবার খেদমতের প্রয়োজন দেখা দিলে, স্বামী নিজ কর্তব্যে তাদের সেবা-যত্ন করবেন। নিজে না পারলে প্রয়োজনে পারিশ্রমিক দিয়ে লোক ঠিক করে নিবেন।
তাহলে কি স্ত্রী শশুর-শাশুড়ী কিংবা তার আত্মীয়-স্বজনকে দূরে ঠেলে দিবে? তার কোনো করণীয় নেই?
উত্তর। না, সে শশুর-শাশুড়ীকে দূরে ঠেলে দিবে না। বরং তার অবশ্যই কিছু করণীয় আছে। তার হৃদয়ে শশুর-শাশুড়ীর পরিচয় জানা থাকতে হবে। তার এই অনুভূতি থাকতে হবে যে এরা আমার জীবনসঙ্গী স্বামীর জন্মদাতা পিতা এবং গর্বধারীণী মাতা।যেভাবে আমিও কোনো বাবা-মায়ের সন্তান। এভাবে আমার স্বামীও এদেরই সন্তান। কাজেই আমার হৃদয়ে যেভাবে আমার পিতামাতার প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা-ভালোবাসা রয়েছে এমনিভাবে তাঁরও একটি হৃদয় আছে যেখানে তার পিতা-মাতা বসবাস করেন। স্ত্রীকে সবথেকে বেশী যে জিনিসটি খেয়াল রাখতে হবে যে, আজকে যেভাবে তাঁরা আমার খেদমতের মুখাপেক্ষী হয়েছেন, বেঁচে থাকলে আমাকেও একদিন শাশুড়ী হতে হবে। আজ যদি আমি তাদের খেতমতে নিজেকে ধন্য করি তাহলে কাল আমি কিছুটা হলেও খেদমত লাভের আশা করতে পারব।
ইসলাম ও নৈতিকতার দাবী:
ইসলাম ও নৈতিকতাবোধের দাবি এটা যে, স্ত্রী স্বামীর বাবা-মাকে নিজের মা-বাবার মতো সম্মান দেবেন। তাদের প্রতি সমীহের চোখে দেখবেন। মনেপ্রাণে তাদের ভালোবাসবেন। তাদের সেবা-যত্নকে নিজের জন্য পরম সৌভাগ্য মনে করবেন। অনুরূপ শ্বশুর-শাশুড়িরও কর্তব্য হলো- পুত্রবধূকে নিজের মেয়ের মতো আদর ও মমতায় আবদ্ধ করা। তার সুখ, আনন্দ ও সুবিধার প্রতি সবিশেষ মনোযোগ দেওয়া।
কিন্তু শশুর-শাশুড়ী যদি পুত্রবধুর ওপর জুলুম করে?
উপরে আমরা পুত্রবধু থেকে শশুর-শাশুড়ীর প্রাপ্তির সীমারেখা উল্লেখ করেছি।সুতরাং জুলুম-নির্যাতন করা তো দূরের বিষয়-যদি কোনো শাশুড়ী উক্ত সীমা অতিক্রম করেন এবং পুত্রবধু ওই সংসারে (শশুর-শাশুড়ীর সাথে) থাকতে রাজী না হয় তাহলে স্বামীর জন্য আবশ্যক হলো, স্ত্রীকে আলাদা বাসস্থানে ব্যবস্থা করে দেওয়া। কেননা, ইসলামী শরিয়ত স্ত্রী জন্য স্বামীর ওপর যে হকগুলো আবশ্যক করেছে তার মধ্যে অন্যতম হক হলো, বাসস্থানের হক। স্বামীর কর্তব্য হলো, যদি স্ত্রী দাবী করে এবং এতেই সে সাচ্ছ্যন্দবোধ করে আর স্বামীরও সামর্থ্য থাকে তবে স্ত্রীর জন্য নিজের সামাজিক অবস্থা অনুযায়ী পৃথক বাড়ী বা বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যেখানে স্বামীর বাবা, মা, ভাই, বোন থাকবে না। আর স্বামীর যদি পৃথক বাড়ির সামর্থ্য না থাকে সেক্ষেত্রে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য হলো, অন্তত একই বাড়ির এক অংশে একটা পৃথক কামরা, রান্না ঘর ও বাথরুমের ব্যবস্থা করা যেটাতে স্বামীর বাবা, মা, ভাই, বোন বা অন্য কারও অধিকার থাকবে না। কেননা স্বামীকে নিয়ে নিরিবিলি ও একান্তে বসবাস করা এটা শরিয়ত কর্তৃক স্ত্রীর অধিকার। এই অধিকার খর্ব করার কারও জন্য জায়েজ নাই। চাই সে স্বামী নিজেই হোক কিংবা তার পরিবারস্থ কোনো মানুষ হোক। কোনো স্বামী যদি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও স্ত্রীর এই অধিকার ক্ষুণ্ণ করে তাহলে তাকে হাশরের ময়দানে আল্লাহ তায়ালার আদালতে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
সঠিকটা জানবেন সঠিকটা ছড়াবেন। সমাজটা এমনিতেই মিথ্যা দিয়ে ভরপুর আর মনগড়া ইতিহাস ছড়াবেন না।
"ম্যাজিস্ট্রেট: তুমি চুরি করেছো??
চোর: না হুজুর। আমি শুধু কবি গুরুর নির্দেশ পালন করেছি।
ম্যাজিস্ট্রেট: তার মানে??
চোর: গতকাল মাঝরাতে একটা গান ভেসে এলো,"*আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে*।"
ভাবলাম আমিই বা বসে থাকি কেনো?? আমিও যাই, তাই বেড়িয়ে পড়লাম।
ম্যাজিস্ট্রেট: তারপর??
চোর: একটি বাড়ি থেকে আওয়াজ এলো- *এসো এসো আমার ঘরে এসো আমার ঘরে*। সাথে সাথে ঢুকে পড়লাম।
ম্যাজিস্ট্রেট: বলো কি!!
চোর: ঘরে ঢুকেই শুনলাম- *ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে*। বেশ আনন্দ পেলাম। বুঝলাম, আমাকে স্বাগত জানাচ্ছে। এদিক ওদিক তাকিয়ে কি করবো ভাবছি, তখন শুনতে পেলাম- *এবার উজাড় করে লও হে আমার যা কিছু সম্বল*।
কবিগুরুর আদেশ তো আর অমান্য করা যায় না! সব মালপত্র একজায়গায় জড়ো করে বেঁধে ফেললাম। সঙ্গে সঙ্গে কানে ভেসে এলো- *আজি দখিন দুয়ার খোলা*।
পেছনের দরজা দিয়ে যখন বেড়িয়ে পড়লাম তখন বেরসিক পুলিশ এসে আমাকে ধরলো। আমি কত বোঝাবার চেষ্টা করলাম- আমি চুরি করিনি, শুধু রবীন্দ্রনাথের নির্দেশ পালন করেছি!!
ওরা বোধহয় রবীন্দ্রনাথের নামই শোনে নি, সোজা আপনার কাছে নিয়ে এসেছে।
ম্যাজিস্ট্রেট: ঠিক আছে, তোমাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিলাম। এই বিষয়ে তোমার রবীন্দ্রনাথ কিছু বলেছেন??
চোর: *এ পথে আমি যে গেছি বারেবার, ভুলিনি তো একদিনও*।
ম্যাজিস্ট্রেট: জেলে যখন থাকবে, তখন তুমি রবীন্দ্রনাথকে কি বলবে??
চোর: *ভেঙে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে*??"
কথা কি ক্লিয়ার নাকি ভেজাল আছে?😁
প্রতিটি মেয়েদের সংসার হলে একটা আলাদা সংসার সাজাতে দেওয়া উচিত❤️❤️
মায়ের সংসার, শাশুড়ীর সংসার দেখতে দেখতে একটা মেয়ের আর সংসার হয়ে উঠে না। সে হয়ে উঠে আরেক মা না হয় আরেক শাশুড়ী। কিন্তু ঘরের বউদের আর কোন সংসার হয় না। এভাবেই বছর ঘুরে চলে সাইকেল।
কেন কেউ চায় না এভাবে জানি না।
কিন্তু ইন শা আল্লাহ আমার ছেলের যখনই বিয়ে হবে তখনই আলাদা করে দিবো। খুব কাছেই রাখবো কিন্তু সব আলাদা সংসার হবে। মেয়েটা তার রুম,তার পছন্দের কিছু কর্নার, বারান্দা,রান্নাঘর থেকে সব কিছু নিজের হাতে সাজাবে। যেখানে কেউ কিছু বলার সাহস রাখবে না। আর আমার ছেলেকেও সে মাইন্ড রাখতে দিবো না, যে মা বাবার পাশে কে থাকবে। আমাদের পাশে আল্লাহ আছেন ঠিক সবার পাশে যেভাবে আছেন। দিন শেষ এ সবাই একা। তাই ভালো মানুষ গড়ে দিয়ে যে যার মত একা থাকুক। কেন আমাদের অন্যের লাইফে ইন্টারফায়ার করা লাগবে। কেন আমাদের অন্যের উপর ডিপেন্ডেবল’ হতে হবে। যে যার সঙ্গি নিয়ে থাকুক। কবরে আপনার আমার একা যেতে হবে। তাই আমল করুন, মানুষের সাথে ভালো ব্যাবহার করুন, অন্যের থেকে আশা ছেড়ে দিন। আপনি আপনার দ্বায়িত্ব পালন করে যান। দিন শেষ এ আপনার কোন অভিযোগ থাকবে না। আর কেউ আপনার প্রতিও অভিযোগ রাখবে না। বিশ্বাস করুন এভাবেই জীবন অনেক সহজ। আপনি যেমন অন্যের স্বপ্ন পূরণে বাধা দিবেন না, ঠিক আপনার স্বপ্ন পূরণে সময় লাগবে না।
Call me ক্ষ্যাত কিন্তু,পাটা মাখা ভাত আমার অনেক পছন্দ ❤️
নিউজ ফিড জুড়ে শুধু বার্বির পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে। আামার ভাই কোনো বার্বি ডল/ফল ছিলো না। কাপড় দিয়ে বানানো পুতুল দিয়ে আমরা খেলতাম।
জামা কাপড় বানানোর পর যে টুকরো গুলো বেচে যেতো সেগুলো একটু সাইজ করে নিলেই হয়ে যেত পুতুলের ড্রেস। আম্মুর ফেলে দেয়া কাচের চুরি, পুথির মালার খুলে যাওয়া টুকরো, ভাঙা কানের দুল, এগুলো দিয়ে হত পুতুলের গয়না।
নায়ক নায়িকার নামে নাম রাখতাম পুতুলের। জুতোর বক্স গুলো বানাতাম ঘর। অনেক বায়না করার পর মা পুতুলের জন্য ছোট ছোট সাইজের বালিশ, কোলবালিশ, তোসক এগুলো বানিয়ে দিত।
আমাদের ১০/১২ জনের পুরো একটা সার্কেল ছিলো পুতুল খেলার। এই পুতুল গুলোর আাবার বিয়ে দিতাম।
মা তখন প্যারাস্যুট এর কৌটায় চার আনা, আট আনা জমা করত ফকির দের দেয়ার জন্য। চুপ করে সেখান থেকে কয়েকটা আট আনা নিয়ে পুতুলের বিয়ের আয়োজন করতাম। আয়োজন বলতে ছিলো চানাচুর, বাটা বিস্কুট এই টইপের আরো কিছু আইটেম। তখন এক টাকায় চারটা লজেন্স পাওয়া যেত বিভিন্ন রঙের। এগুলো হত বিয়ের মিষ্টি।
পুতুলের বিয়ে বলতে তখন আমাদের কাছে বিশাল বড়সড় কিছু ছিলো। যখন বিয়ে দিতাম আশে পাশের সব লাটকি ভেটকি জমে যেত বিয়ে দেখার জন্য। আামাদের মধ্যে যে একটু বয়সে বড় সে হত বিয়ের কাজি।
যৌতুক হিসেবে দেয়া হত এক বক্স জামা কাপড় আর গয়না।
আহা কি রঙিন দিন ছিলো! 😌
খুব উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তার গল্প।
তাঁর অতি সাধারণ জীবন যাপন আমাকে অবাক করতো। একদিন জিজ্ঞেস করলাম:
-স্যার, আপনি এতো সাধারণ জীবন বেছে নিলেন কেন? আপনার তো অনেক ক্ষমতা!
তিনি হাসলেন। তারপর কয়েকটি কথা বললেন:
১. চাকরির শুরুতে বেশ কয়েক বছর ক্ষমতার উত্তাপ বেশ উপভোগ করতাম। বাড়তি খাতির বেশ আনন্দ দিতো- পরিবার আত্মীয়স্বজনদের সামনে ভাব নিতে সুবিধা হতো।
২. কয়েকটি অভিজাত ক্লাবের সদস্য ছিলাম। তাও চাকরির কারণে- নরমালি এসব ক্লাবের সদস্য হতে হলে ত্রিশ/চল্লিশ লাখ টাকা লাগে।
৩. বিমানবন্দরে ভিআইপি সুযোগ নিতাম-গর্বে মাথা উঁচু করে গটগট করে র্যাম্প কারে প্লেনের গোড়ায় নামতাম। প্লেনে ভিআইপি সিটে বসতাম।
৪. ডাক্তারের কাছে গেলে সিরিয়াল ভেঙ্গে চেম্বারে ঢুকে যেতাম। আগেই খবর দেয়া থাকতো- সবাই অপেক্ষা করতো কখন আমি পৌঁছাব!
৫. বিশাল গাড়ির ঠান্ডা হাওয়ায় বসে ভাবতাম, এই না হলে চাকরি!
তারপর একদিন অফিস শেষে বাড়ি ফেরার সময় দেখলাম আমার এক অতি ক্ষমতাবান রিটায়ার্ড বস হোটেল শেরাটনের সামনে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। হাতে আধময়লা একটি ফাইল। কেউ তার দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। দুম করে মাথায় কয়েকটি প্রশ্ন এলো:
১. চাকরির বাড়তি খাতির ক'দিনের জন্য?
২. অভিজাত ক্লাবের মেম্বারশিপ ক'দিনের জন্য?
৩. ভিআইপি সুবিধা ক'দিনের জন্য?
৪. ডাক্তার কতদিন সিরিয়াল ভেঙ্গে আমাকে দেখবেন?
৫. বিশাল গাড়ির ঠান্ডা বাতাস ক'দিনের জন্য?
উত্তর একটাই- যতদিন চাকরি আছে ততদিন। তারপর আমি নো বডি। তাহলে এই যে এত আরামে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি- রিটায়ার করার পর তো এসব হারানোর কারণেই হার্ট অ্যাটাক করবে। পরদিন থেকে বাড়তি খাতির নেয়া বাদ দিলাম। সব ক্লাবের মেম্বারশিপ বাদ দিলাম। ভিআইপি সুবিধা বাদ দিলাম। সিরিয়াল ভেঙ্গে ডাক্তার দেখানো বাদ দিলাম। অফিসে আসাযাওয়া ছাড়া সরকারি গাড়ি ব্যবহার বাদ দিলাম।
না; আমি কোনো মহামানবের কাজ করিনি। নিজের ভুল বুঝে অস্বাভাবিক আচরণ থেকে স্বাভাবিক আচরণে ফিরে আসলাম মাত্র।
ফলাফল-
আগে রিটায়ারমেন্টকে ভয় পেতাম- এখন মনে হয় সময়ের কিছু আগে অবসর নিয়ে নিলে খারাপ হয়না। কেমন যেন নিজেকে মুক্ত মুক্ত মনে হয়।
তাঁর কথাগুলো আমার মগজে ছোটোখাঁটো একটি বিস্ফোরণ ঘটালো। পরিবর্তনের বিস্ফোরণ।
সংগৃহীত
কাসুন্দি দিয়ে পাট শাক আর সাদা ভাত।জীবনে খুব অল্পতে সুখী থাকা যায়।
আলহামদুলিল্লাহ্।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Address
Rajshahi Court
Rajshahi
6201
Silkcity, Rajshahi
Rajshahi, 6100
If u Love others they will Love u ......... If u cheat others They will Kick u.....
'chompok' Seroil, Motpukur (west Road)
Rajshahi, 6100
I have been working on small paper for quite some time. Perhaps there wasn't much opportunity to work on large canvas. Hence to satisfy my urge I have done these works.
University Of Rajshahi
Rajshahi
Asst. Professor Dept. of Finance & Banking University of Rajshahi