খাঁটির খোঁজে-Khatir Khoje
খাঁটির খোঁজে থাকা মানুষের আস্থায় আমাদের সকল পন্য নিজস্ব তত্বাবধানে তৈরী করে থাকি। তাই মানের নিশ্চয়তা দিচ্ছি শতভাগ।
কানাডার বেগমপাড়ার এক ছেলেকে প্রশ্ন করলাম, ‘তোমার বাবা কোথায়?’
ছেলেটি বললো, ‘বাবা তো এখন স্বর্গবাসী।’
চেহারা মলিন করে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না..’ পর্যন্ত পড়তেই ছেলেটি আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো, “বাবা মারা যান নাই। বাবা এখন স্বর্গবাসী মানে বাবা এখন বাংলাদেশে আছেন”
- (Abu Sayeed Ahamed)
মানুষজন সব কিছুকে স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছে,হাসি তামাশার খোরাক হিসেবেই নিচ্ছে। নীতিনির্ধারকরা উন্মাদের মত কথা বলতে উৎসাহী হবে না কেন!
জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়লো। অনলাইনে দেখলাম,লক্ষ লক্ষ মানুষ সাইকেলের মত প্যাডেল লাগিয়ে বাইক চালানো এক লোকের ভিডিও কি আনন্দভরেই না শেয়ার করলো! মনে হচ্ছে যেন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় তারা আনন্দফূর্তির মহা উছিলা খুঁজে পেয়েছে!
দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষজন যখন অসহনীয় কষ্টে ভুগছে তখন নীতিনির্ধারকদের একজন বলে দিলেন,জনগ্ণ নাকি বেহেশতে আছে!
সর্বক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে লাগামহীন দূর্ণীতির বোঝা জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়ার পরেও জনগণ জান্নাতে আছে এমন মোকারি টাইপের কথাবার্তা শুনে মুখে থুতু আসার কথা,ঘৃণাভরে থুতু নিক্ষেপ করার কথা। অথচ, মানুষজন যেন আনন্দে মেতে উঠেছে,কি নিদারুণ সস্তা কৌতুকে মেতে উঠেছে!
দয়া করে জনগণের কষ্টের সাথে মোকারি করা বন্ধ করেন, সন্তা কৌতুক বন্ধ করেন। পারলে প্রতিবাদ করেন,না হয় চুপ থাকেন।
চোখ খুলে দেখেন,মানুষের সাথে মিশে দেখেন সৎ উপায়ে উপার্জন করা একজন মানুষের দিন কিভাবে কাটছে,সে মানুষটার সংসার কিভাবে চলছে।
,©Wahid zaman
ঈদ মুবারাক
আজকের ল্যাংড়া আমের নামানো হচ্ছে
চলছে ল্যাংড়া আমের সময়
Alhamdulillah
লক্ষনাভোগ আম লখনা নামেই বেশি পরিচিত। লক্ষণভোগ আমের আঁশ খুবই কম। এর রং ও গন্ধ অসাধারন। খোসা কিছুটা মোটা হলেও আটি পাতলা। এই আম অগ্রিম প্রজাতির আম হওয়ায় আমের মৌসুমের শুরুতেই পাওয়া যায়। এটা অতুলনীয় মিষ্টি স্বাদযুক্ত এবং সুগন্ধ। লক্ষণভোগ আম পাকার পরেও ৬-৮ দিন ভাল থাকে। এই আমটি ওজনে ১৫০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। ১০০% ক্ষতিকর কেমিক্যাল মুক্ত রাজশাহীর আম।
কাঁচা অবস্থাতে হালকা সবুজ এবং পাকলে টকটকে হলুদ রং ধারণ করে। এটি ছোট থেকে মাঝারি আকারের হয়। এর শাঁস লালচে হলুদ ও একটু শক্ত হয়। অত্যন্ত সুগন্ধযুক্ত এ আমটি খেতে মিষ্টি হয়। রাজশাহীর চারঘাট ও পুটিয়া, নাটর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে এই আম বেশি চাষ হয়। এর অপর নাম বারি আম-২।
আমের সিজনে ভাত রুটি বাদ দিয়ে খালি আম খাই। দিন নাই রাত নাই যখন তখন আম!
ছবিটা রাত ২ টার দিকে তোলা। ভাবা যায় এগ্লা! 🤭
আমাদের পেজের -
#হিমসাগর আম🥭
আম মিষ্টি ও টক স্বাদের মিশ্রণযুক্ত একটি রসালো ফল, যা উদ্ভিদতত্ত্বে ড্রুপ (Drupe) নামে পরিচিত। আম বাংলাদেশ তথা বিশ্বের অন্যতম প্রধান সুমিষ্ট ও জনপ্রিয় ফল। পাক-ভারত উপমহাদেশে আমকে ফলের রাজা বলা হয়। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অনেক আগে থেকেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়ে আসছে। বৃটিশ ভারতের বাঙালা প্রদেশে তথা বর্তমান বাংলাদেশে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হতো। সে গৌরব বর্তমানে অতীত, আম আমাদের দেশে মৌসুমি অর্থকরী ফল হিসেবে গুরুত্ব পেলেও একে শিল্পজাত পণ্য হিসেবে প্রক্রিয়াজাতকরণের কার্যকর গবেষণা অদ্যাবধি নেয়া হয়নি।
এর ফলে দীর্ঘমেয়াদে যেমন আমকে বিভিন্ন স্বাদে ভোগ করা যাচ্ছে না, ঠিক তেমনি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এই ফলের অনুকূল সম্ভাবনাকে আমরা কাজে লাগাতে অব্যাহতভাবে ব্যর্থ হচ্ছি। আমের জমির পরিমাণ ও উৎপাদনের মধ্যে তারতম্যের কারণ মূলত কার্যকর গবেষণার অভাব এবং জলবায়ু ও পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার কুফল। ভারতের ফারাক্কা বাঁধের অভিশপ্ত প্রভাব বাংলাদেশে উত্তরাঞ্চলে মরুকরণের যে প্রভাব ফেলেছে, আমাদের আম ফলও কম বেশি তার কুপ্রভাবের শিকার। জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে পুষ্টির অভাব মেটানো, কর্মসংস্থান তথা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাজারজাতকরণ এবং গুদামজাত করে দীর্ঘমেয়াদি বিপণন প্রক্রিয়া গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক, অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানসহ শিল্পোউদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে আম শিল্পের বিকাশ ঘটবে।
শুক্রবার ছুটির দিন তো কি হয়েছে। আম পাড়া কিন্তু বন্ধ নেই।
যে গাছের আম পাকা শুরু হয় একরাত অপেক্ষা করলেই বিপদ। ঝড়ের কোন ভরসা নাই। একবার ঝড় শুরু হলে প্রচুর আম ঝড়ে পড়ে যাবে।
তাছাড়া রৌদ্রজ্বল দিন ছাড়া আম পাড়া যায় না। তাই ছুটির দিন হিসেব না করে সেরা আম নিশ্চিত করার জন্য পারফেক্ট দিন হিসেব করতে হয়।
এখন চলছে হিমসাগর ডেলিভারি।
পেজে মেসেজ দিন অথবা 01303034576 কল করে সরাসরি কথা বলুন।
ফলের রাজা আম। গ্রীষ্মের সবচেয়ে লোভনীয় স্বাদ লুকিয়ে আমেই। কাঁচা থেকে পাকা, আমের প্রতি ভালোবাসা সব বয়সের মানুষের। যেমন তার গন্ধ, তেমন তার স্বাদ। আর নামগুলোও অদ্ভুত। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন আমগুলোর নাম এমন অদ্ভুত হল কেন? এমন নামকরণের কারণ কী?
হিমসাগর-- হিমসাগর পশ্চিমবঙ্গের একটি বিখ্যাত আম। বাংলাদেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরা জেলাতেও এই আমের চাষ হয়। এই আমের মিষ্টি সুগন্ধ ও স্বাদ পৃথিবীর অন্যান্য আমের থেকে ভিন্ন। তাই সারা পৃথিবীতে স্বাদ ও গন্ধের জন্য এই আম বাণিজ্যিক ভাবে প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয়। হিমসাগর আম এতই জনপ্রিয় যে, এই আমকে আমের রাজা বলা হয়। এই আমের ভিতরের রং হলুদ-কমলা এবং কোন আঁশ নেই। প্রচুর পরিমাণে চাষের কারণেই এর নাম সম্ভবত সাগরের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশে উৎপন্ন অল্পসংখ্যক অতি উৎকৃষ্ট জাতের আমের মধ্যে হিমসাগর স্থান শীর্ষে। ল্যাংড়া, হিমসাগর ও গোপালভোগ—এই তিনটি আমের জাতকে আমভক্ত বাঙালি গুণ-মানের বিচারে শীর্ষে রেখেছেন। কোন আমটি সর্বশ্রেষ্ঠ, এর বিচার হয়নি, হবেও না কোনো দিন। কারণ, এই তিনটি আমের ভক্তের দল প্রায় সমান তিন শিবিরে বিভক্ত। কাজেই অনন্তকালব্যাপী চলতে থাকবে সর্বশ্রেষ্ঠ আম নির্বাচনের প্রতিযোগিতা, কিন্তু ফলাফল আসবে না কোনো দিনও।
হিমসাগর আম আশু জাতের। আমটির আকৃতি মাঝারি। দেখতে অনেকটা গোলাকার। একেকটির ওজন গড়ে ২৬৩ গ্রাম। হিমসাগর আমের বোঁটা বেশ মোটা এবং শক্ত। ত্বক মসৃণ, পাকলে ঊর্ধ্বাংশ অর্থাৎ বোঁটার আশপাশে হলুদ রং ধারণ করে। আমের মধ্যাংশ থেকে নিম্নাংশ হালকা সবুজ।
গোপালভোগ আমের গাছ ফাকা হতে শুরু করেছে। কারন এই আম শেষের দিকে চলে এসেছে। পাকা শুরু হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই ফুরিয়ে যায়।
এখন শেষ সময় তাই প্রতিটা আমই পরিপূর্ণ পুষ্ট আর কড়া মিষ্টি। একটা একটা করে যত্ন করে পেড়ে ছোট সাইজ বাছাই করে বড় আমগুলো প্যাকিং করে সম্মানিত ক্রেতার জন্য পাঠাই।
এর পরেই আসছে হিমসাগর আর আম্রপালী।
"খাঁটির খোঁজে থাকা মানুষের আস্থায়"- খাঁটির খোঁজে পেজ।
Happy Shopping!
গোপালভোগ এর সময় কিন্ত প্রায় শেষ, জানেন তো?
গোপালভোগ আম-আমি রাজা ল্যাংড়া আমের পরেই গোপালভোগের স্থান। এই আমটি আকার গোলাকার এবং ওজনে ২০০ থেকে ৫০০ গ্রামের মধ্যে হয়। উন্নত প্রজাতির আম মৌসুমের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পাওয়া যায়। অসাধারণ রং অতুলনীয় মিষ্টি স্বাদ গন্ধ যুক্ত আমের খোসা একটু মোটা হয় যদিও পুরুষ আর পাওয়া যায় এই আমি আঁটি পাতলা হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু অঞ্চলে এই গোপালভোগ উন্নত মানের আমের ফলন পাওয়া যায়।
💢💢লিচুর মৌসুম! 💢💢
গাছে গাছে পাকতে শুরু করেছে লিচু। সেইসঙ্গে বাজারেও উঠেছে লিচু। গ্রীষ্মের এই রসালো ফল খুব কম সময়ের জন্য আসে। স্বাদ ও গন্ধের জন্য লিচু অনেকের কাছেই প্রিয়। শুধু স্বাদই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই ফল। নানা অসুখ থেকে দূরে রাখে লিচু। চলুন জেনে নেওয়া যাক লিচুর উপকারিতাগুলো—
👉হজমের জন্য ভালো
লিচু হজমের জন্য ভালো। লিচুতে ফাইবার ও প্রচুর পানি থাকে; যা হজমের জন্য দারুণ কাজ করে। গরমে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে পেটকে স্বস্তিতে রাখে।
👉হাড় ভালো রাখে
লিচুতে থাকে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং কপার। যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিচু খেলে হাড়ের ভঙ্গুরতা কমে। সঙ্গে হ্রাস পায় অস্টিওপোরোসিস ও ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনা। তাই হাড় ভালো রাখতে খেতে পারেন সুমিষ্ট এই ফল।
👉কিডনির জন্য উপকারী
কিডনি ভালো রাখতে খাবারের দিকে নজর রাখা জরুরি। লিচুতে পর্যাপ্ত পানি এবং পটাসিয়াম থাকায়, কিডনিতে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এই ফল ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্বও কমায়। যে কারণে কমে কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি।
আরো উপকারিতা জানব পরের পোষ্ট এ💌💌
আজকের দিনটা অনেক ব্যস্ততার মধ্যে। আলহামদুলিল্লাহ আজকের অর্ডার কমপ্লিট করে পাঠালাম।
হিমসাগর
বাংলাদেশে অতি উৎকৃষ্ট জাতের মধ্যে হিমসাগরের অবস্থান প্রায় শীর্ষে। হিমসাগর আম জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাকতে শুরু করে এবং পুরো জুন মাস বাজারে পাওয়া যায়। হিমসাগর জাতটি আশু বলা যেতে পারে; পাশাপাশি মধ্য মৌসুমি জাতের আম হিসেবেও গণ্য করা যায় একে।
হিমসাগর আমের গাছের আকৃতি মাঝারি। একটি হিমসাগর আমের গাছ ১২ বছর বয়সী হলে পূর্ণাঙ্গভাবে ফল দিতে সক্ষম হয়। ফলন মাঝারি এবং অনিয়মিত। হিমসাগর আম পূর্ণতাপ্রাপ্ত হলে এর গড়ন বুকের দিকটা গোলাকার এবং অবতল বা সাইনাস থেকে সামান্য লম্বাটে আকার নিয়ে শীর্ষদেশ গোলাকৃতির হয়ে থাকে। পরিপক্ব হিমসাগর আমের রং হালকা সবুজ। পাকার পরেও সবুজ থেকে যায়। ত্বক মসৃণ, খোসা পাতলা। আমটির ঠোঁট নেই। হিমসাগর অত্যন্ত উৎকৃষ্ট স্বাদের সুগন্ধযুক্ত আম। শাঁস নরম এবং আঁশবিহীন। শাঁস কমলা রঙের। আমটির খাবারের উপযোগী অংশ ৬৭ দশমিক ৫ ভাগ। হিমসাগর আম সুমিষ্ট। টিএসএস বা মিষ্টতার পরিমাণ শতকরা ২২ দশমিক ৮৪ ভাগ। পরিপক্ব আম সংগ্রহ করার পর আট দিন পর্যন্ত ঘরে রাখা যায়। ফলটির গড় ওজন ২১৯ গ্রাম। লম্বায় ৮ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফলের বোঁটা বেশ শক্ত বলে ঝোড়ো হাওয়া সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। ক্ষীরশাপাতি আমের সঙ্গে হিমসাগর আমের বেশ কিছুটা সাদৃশ্য থাকার কারণে এই আমকে অনেকেই ক্ষীরশাপাতি মনে করে ভুল করে থাকেন। আবার ক্ষীরশাপাতি আমকে হিমসাগর নামে বিক্রি করা হয়। ক্ষীরশাপাতি ও হিমসাগর আমকে আলাদা করা সহজ হবে রঙের পার্থক্য দেখে। পাকার পর ক্ষীরশাপাতি আমের ওপরের অংশ হলুদ রং ধারণ করবে। এ ক্ষেত্রে হিমসাগর আম পাকার পরেও সবুজাভ হালকা হলুদ রঙের হবে।
আমটির চাহিদা বাংলাদেশের সর্বত্রই। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় হিমসাগর আমের চাষ খুব কম। এই জাতের চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায়, মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলায়, সাতক্ষীরা জেলার সদর, দেবহাটা, কলারোয়া ও তালা উপজেলা এলাকায়। উল্লিখিত এলাকার আমবাগান থেকে ভরা মৌসুমে ট্রাকবোঝাই হিমসাগর আম ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল জেলার বাজারগুলোয় চলে আসে। ঢাকার বাজারে এ সময় হিমসাগর আমের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি।
চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা এবং ভারতের নদীয়া জেলায় উৎপাদিত হিমসাগর আমের সঙ্গে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলায় উৎপাদিত শাদওয়ালা বা শাদৌলা নামের অতি উৎকৃষ্ট জাতের আমের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। একই কথা ক্ষীরশাপাতির ক্ষেত্রেও বলা যায়। মুর্শিদাবাদের নবাব শাদৌলা আমের সবচেয়ে বড় সমঝদার ছিলেন বলে জানা যায়।
সবাইকে শুভ রাত্রি জানিয়ে আমি ঘুমের রাজ্যে গেলাম।
আর হ্যাঁ লিচু কিন্ত চলে এসেছে। তাই দেরি না করে খাওয়া শুরু করে দেন 😝😝
অবশেষে রাজশাহী প্রশাসন প্রকাশ করল আমের সময়সূচি। তবে এই সময়সূচি যথেষ্ট মাত্রায় অসামঞ্জস্যপূর্ন হয়েছে অন্য অঞ্চলের সাথে। চাপাই নবাবগঞ্জ এবং অন্য জায়গার প্রশাসন আবার আলাদা ভাবে তাদের জন্য সময় নির্ধারণ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই খবর আপনাদের জেনে কি লাভ?
এমন হওয়া সম্ভব যে চাপাই এর আর আগে যাচ্ছে আর অন্য জায়গায় আম যারা নিবেন তাদের অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছু দিন। এতে হতে পারে আপনাদের সাথে আমার বা আমার মত যারা আম নিয়ে আছেন তাদের সাথে ভূল বোঝাবুঝি হতে পারে। তাই আগেই জানিয়ে দিলাম।
আসুন আজকে জানি হিমসাগর কে!!
বাংলাদেশে অতি উৎকৃষ্ট জাতের মধ্যে হিমসাগরের অবস্থান প্রায় শীর্ষে। হিমসাগর আম জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাকতে শুরু করে এবং পুরো জুন মাস বাজারে পাওয়া যায়। হিমসাগর জাতটি আশু বলা যেতে পারে; পাশাপাশি মধ্য মৌসুমি জাতের আম হিসেবেও গণ্য করা যায় একে।
হিমসাগর আমের গাছের আকৃতি মাঝারি। একটি হিমসাগর আমের গাছ ১২ বছর বয়সী হলে পূর্ণাঙ্গভাবে ফল দিতে সক্ষম হয়। ফলন মাঝারি এবং অনিয়মিত। হিমসাগর আম পূর্ণতাপ্রাপ্ত হলে এর গড়ন বুকের দিকটা গোলাকার এবং অবতল বা সাইনাস থেকে সামান্য লম্বাটে আকার নিয়ে শীর্ষদেশ গোলাকৃতির হয়ে থাকে। পরিপক্ব হিমসাগর আমের রং হালকা সবুজ। পাকার পরেও সবুজ থেকে যায়। ত্বক মসৃণ, খোসা পাতলা। আমটির ঠোঁট নেই। হিমসাগর অত্যন্ত উৎকৃষ্ট স্বাদের সুগন্ধযুক্ত আম। শাঁস নরম এবং আঁশবিহীন। শাঁস কমলা রঙের। আমটির খাবারের উপযোগী অংশ ৬৭ দশমিক ৫ ভাগ। হিমসাগর আম সুমিষ্ট। টিএসএস বা মিষ্টতার পরিমাণ শতকরা ২২ দশমিক ৮৪ ভাগ। পরিপক্ব আম সংগ্রহ করার পর আট দিন পর্যন্ত ঘরে রাখা যায়। ফলটির গড় ওজন ২১৯ গ্রাম। লম্বায় ৮ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফলের বোঁটা বেশ শক্ত বলে ঝোড়ো হাওয়া সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। ক্ষীরশাপাতি আমের সঙ্গে হিমসাগর আমের বেশ কিছুটা সাদৃশ্য থাকার কারণে এই আমকে অনেকেই ক্ষীরশাপাতি মনে করে ভুল করে থাকেন। আবার ক্ষীরশাপাতি আমকে হিমসাগর নামে বিক্রি করা হয়। ক্ষীরশাপাতি ও হিমসাগর আমকে আলাদা করা সহজ হবে রঙের পার্থক্য দেখে। পাকার পর ক্ষীরশাপাতি আমের ওপরের অংশ হলুদ রং ধারণ করবে। এ ক্ষেত্রে হিমসাগর আম পাকার পরেও সবুজাভ হালকা হলুদ রঙের হবে।
আমটির চাহিদা বাংলাদেশের সর্বত্রই। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় হিমসাগর আমের চাষ খুব কম। এই জাতের চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায়, মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলায়, সাতক্ষীরা জেলার সদর, দেবহাটা, কলারোয়া ও তালা উপজেলা এলাকায়। উল্লিখিত এলাকার আমবাগান থেকে ভরা মৌসুমে ট্রাকবোঝাই হিমসাগর আম ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল জেলার বাজারগুলোয় চলে আসে। ঢাকার বাজারে এ সময় হিমসাগর আমের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি।
চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা এবং ভারতের নদীয়া জেলায় উৎপাদিত হিমসাগর আমের সঙ্গে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলায় উৎপাদিত শাদওয়ালা বা শাদৌলা নামের অতি উৎকৃষ্ট জাতের আমের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। একই কথা ক্ষীরশাপাতির ক্ষেত্রেও বলা যায়। মুর্শিদাবাদের নবাব শাদৌলা আমের সবচেয়ে বড় সমঝদার ছিলেন বলে জানা যায়।
🎯 সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নিতে পারবেন।
যা যা থাকছে আমাদের কাছে-
=> গোপালভোগ
=> হিমসাগর
=≥ ক্ষিরসাপাত
=> ল্যাংড়া
=> আম্রপালি
=> ফজলি
=> লখনা
লিচুর মধ্যে থাকবে
=> চায়না-3 লিচু
=> বোম্বাই লিচু
বিস্তারিত ইনশা আল্লাহ্ পরের পোষ্টে ❤️❤️❤️
আজকে সারাদিন অনেক একটিভ থাকার প্লান নিয়ে দিন শুরু করেছিলাম। কিন্তু কেন জানি আমার ফেসবুক সারাদিন খুব বেশি সমস্যা করেছে। মিনিটের পর মিনিট পার হচ্ছে কিন্তু আমার নিউজ ফিড কোনভাবে লোড হচ্ছিল না। এই ঝামেলা নিয়ে সারা দিন কোনো রকমে পোস্ট এবং কমেন্টের রিপ্লাই করেছি।
আপনারা কি কেউ এই সমস্যা ফেস করেছেন?
End of Ramadan !
May Allah accept all our fasting and forgive us for our never ending sin ...
May everyone hold on their Iman till next Ramadan ❣️
বাংলাদেশে উৎকৃষ্ট জাতের আমগুলোর মধ্যে গোপালভোগ অন্যতম। এ আমটি একটু লম্বা ও অনেকটাই গোলাকার হয়। এর বোটা শক্ত, পাকার সময় বোটার আশেপাশে হলুদাভ বর্ণ ধারণ করে, অন্য অংশ কালচে সবুজ থেকে যায়। আমটির আঁশ নেই। আমটি খেতে খুবই মিষ্টি হয়।
মাঘের শুরুতে মুকুল আসে এবং জোষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি সময়ে পাঁকতে শুরু করে। কাঁচা অবস্থাই হালকা সবুজ এবং পাকলে হলুদ বর্ণের হয়। এটি আঁশ বিহীন অত্ত্যন্ত সুস্বাদু আম। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই আম পাকতে শুরু করে। আমটি খুব অল্প দিন বাজারে থাকে। দেশের প্রায় সব জেলাতে গোপালভোগ আম জন্মে। তবে রাজশাহী, নাটোর, চপাইনবাবগঞ্জে উৎকৃষ্ট মানের গোপালভোগ জন্মে।
রাজশাহীকে আমি বলি এক্সট্রিম শহর। এই শহরের আমের স্বাদ যেমন বেশি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক বেশি, আছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন অনেক উদাহরন দেয়া যায়। তো যখন এত কিছু বেশি বেশি দিচ্ছে সেই সাথে গরমটা একটু বেশি না দিলে হয়?
আর এই গরমের কারণে প্রতিদিন ঝরে যাচ্ছে এই রকম কচি আম গুলো।
বেশ কয়েক দিন গ্রুপে সময় দিতে পারছি না। আসলে বাসার কাজ শুরু করেছি সেই কারণে সেখানেই থাকা লাগছে। তাই বলে আপনারা কিন্তু রাজশাহীর আ মকে ভুলে যেয়েন না।
আমের রূপ সৌন্দর্য নিয়ে সবাই মুগ্ধ। আম যেমন স্বাদের ঠিক তেমন দেখতেও।
দেখেন তো এই সৌন্দর্য কেমন লাগে?
হিমসাগর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি বিখ্যাত আম। এছাড়া বাংলাদেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরা জেলাতেও এই আমের চাষ হয়। এই আমের মিষ্টি সুগন্ধ ও স্বাদ পৃথিবীর অন্যান্য আমের থেকে ভিন্ন। তাই সারা পৃথিবীতে স্বাদ ও গন্ধের জন্য এই আম বাণিজ্যিক ভাবে বহুল পরিমানে চাষ করা হয়। হিমসাগর আম এতোই জনপ্রিয় যে , এই আমকে আমের রাজা বলা হয়। এই আমের ভিতরের রং হলুদ ও কমলা(রং) এবং কোন আঁশ নেই।
হিমসাগর আম জুন মাসে গাছে পাকতে শুরু করে এবং জুনের শেষের দিকে পূর্ণ বাজারজাত করা হয়। এই আম ভারতের নদীয়া , মুর্শিদাবাদ , মালদহ এবং হুগলীতে চাষ করা হয়।
একটি স্বাভাবিক আমের ওজন ২৫০ থেকে ৩৫০ গ্রাম হয়ে থাকে যার ৭৭ শতাংশই হল আম বাকি ২৩ শতাংশ আমের আটি। এই উৎকর্ষতাই এই আমের বৈশিষ্ট্য। হিমসাগর আমের স্বাদ অন্যান্য জনপ্রিয় আম আল্পফন্স ও ল্যাংড়া আমের থেকে ভাল। এই আমকে ভালবেসে একশোরও ওপর লেখক কবিতা লিখেছেন। ভারত ও বাঙলায় এই আম ছাড়া গ্রীষ্মকাল ভাবাই যায় না।
রাজশাহীর আম রেডী হচ্ছে। প্রতিদিন বাড়ছে একটু করে আর বাড়াচ্ছে আসা। রাজশাহী তে আমরা যারা বাস কোটি আমের সময় আসলে নাম্বার বিজি পাবেন এটা খুব অস্বাভাবিক না। আর কোন সময় কেউ ফোন না দিলেও এই সময়ে............
যাই হোক, এই ভরসা ধরে রাখার চেষ্টা করছি সবসময়।
আসসালামু আলাইকুম!
কেমন আছেন সবাই?
এত বেশি ব্যস্ততা আর রোজা পার করে ইফতার পরে আর এনার্জি পাচ্ছি না। কিন্ত তাই বলে রাজশাহীর আমের কথা তো আর ভুলে গেলে চলবে না।
কি বলেন?
আসসালামু আলাইকুম,
সবাইকে জানিয়ে রাখছি পবিত্র মাহে রমজানের অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। পবিত্র কুরআনে ঘোষিত রমজান মাস হচ্ছে ১২ টি মাসের মধ্যে সর্বোত্তম মাস। কারন এই মাসে আল্লাহর জন্য সবাই রোজা রাখে। সংযমের মাস, ধৈর্যের মাস, শান্তি- সম্প্রীতি, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাস এই রমজান মাস বা রোযার মাস। এ মাসের আমল মহান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় এবং আল্লাহ এই মাসে কবর আযাব পর্যন্ত থামিয়ে দেন।
তাই আমাদের উচিত আগে থেকেই রমজান মাসের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। নিজেরা প্রস্তুতি গ্রহণ করার সাথে সাথে অন্যদেরকেও স্মরণ করিয়ে দিতে পারি রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে। আগেই বলে নেই পবিত্র রমজানের সংবাদ আগে দেওয়ার অনেক ফজিলত রয়েছে। আল্লাহ খুশি হোন। তাই রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দিয়ে আপনি কিন্তু সওয়াবের ভাগীদারও হচ্ছেন।
মধুমাস মানে রসে মাখামাখি করে আম খাওয়ার দিন। হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, খিরসাপাতি; নামেই যেন অর্ধেক প্রশান্তি। এরপরও যাদের গপাগপ আম খাওয়া চাই, তাদের জন্য একগাদা কারণ হাজির করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্যান্সার যোদ্ধা
কোয়েরসেটিন, ফাইসেটিন, আইসোকোয়েরসেটিন, অ্যাস্ট্রাগ্যালিন, গ্যালিক অ্যাসিড ও মিথাইল গ্যালেট নামের কঠিন নামওয়ালা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো আছে আমে। স্তন ক্যান্সার থেকে শুরু করে কোলন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে এগুলো বেশ কাজের।
কোলেস্টেরল ঠিকঠাক
উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি, ফাইবার ও প্যাকটিন থাকায় রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা রাখে রসালো আম।
ত্বকের জন্য
ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আম। বিশেষ করে ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এটি।
অ্যালকালাইন লেভেল
আমে আছে টারটারিক অ্যাসিড ও ম্যালিক অ্যাসিড। আছে সাইট্রিক অ্যাসিডও। শরীরের অ্যালকালি নামের রাসায়নিকের ভারসাম্য ঠিক রাখে এটি।
আম ভারতের জাতীয় ফল। এটি বাংলাদেশেরও জাতীয় গাছ। ভারতে, আমের ফলন ও বেচাকেনা মার্চ-মে মাসে হয় এবং এসকল খবর বার্ষিক সংবাদ সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতির সাথে আমের চিরাচরিত সম্পর্ক রয়েছে। মৌর্য সম্রাট অশোকের নির্দেশে সাম্রাজ্যের রাস্তাগুলোতে ফলদ এবং ছায়া বহনকারী গাছ লাগানোর বিষয়ে তাঁর নির্দেশাবলীতে উল্লেখ রয়েছে:
"রাস্তায় বট-গাছগুলো আমার দ্বারা রোপিত হয়েছিল, যাতে তারা গবাদি পশু এবং পুরুষদের ছায়া সরবরাহ করতে পারে, (এবং) আমের চারা রোপণ করা হয়েছিল।"
মধ্যযুগীয় ভারতে, ইন্দো-পার্সিয়ান কবি আমির খসরু আমকে"নাঘজা তারিন মেওয়া হিন্দুস্তান" - "হিন্দুস্তানের সবচেয়ে সুন্দর ফল" বলে অভিহিত করেছিলেন। দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির দরবারে আম খাওয়া হতো এবং মুঘল সাম্রাজ্যে ফলকে বিশেষভাবে পছন্দ করা হত: বাবর তাঁরবাবরনামায় আমের প্রশংসা করেছিলেন, শের শাহ সুরি মুঘল সম্রাট হুমায়ূনের বিরুদ্ধে তাঁর বিজয়ের পরে চাউসা জাতটির উদ্বোধন করেছিলেন।।
উদ্যানচর্চায় মুঘল পৃষ্ঠপোষকতার ফলে বিখ্যাত তোতাপুরী জাত, যা ইরান এবং মধ্য এশিয়ায় রপ্তানি করা প্রথম জাত ছিল, সেটি সহ হাজার হাজার আমের জাতের কলম করা শুরু হয়েছিল। বলা হয় আকবর (১৫৫৬-১৬০৫) বিহারের দ্বারভাঙ্গার লাখি বাগে ১০০, ০০০ গাছসমৃদ্ধ একটি আম বাগান করেছেন।জাহাঙ্গীর ও শাহজাহান লাহোর ও দিল্লিতে আমের বাগানে করার এবং আমের তৈরি মিষ্টান্ন বানানোর আদেশ দেন।
জেনেটিক বিশ্লেষণ এবং মেঘালয়ের দামালগিরির কাছে পাওয়া প্যালিওসিন যুগের আম গাছের পাতার জীবাশ্মের সঙ্গে আধুনিক আম তুলনা করে জানা যায় আম গণের উৎপত্তি ছিল ভারতীয় এবং এশীয় মহাদেশীয় প্লেটের সংযোগস্থলে, ভারতীয় উপমহাদেশে, প্রায় ৬০ মিলিয়ন বছর আগে। সম্ভবত ২০০০ খ্রিস্টপূর্বের প্রথম দিকে ভারতে আম চাষ করা হত। খ্রিস্টপূর্ব ৪০০-৫০০ অবধি আমকে পূর্ব এশিয়ায় আনা হয়েছিল, ১৪ ই শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে সোয়াহিলি উপকূলে আম পাওয়া যেত এবং ১৫ শতকে ফিলিপাইনে এবং ১৬শ শতাব্দীতে পর্তুগিজ পরিব্রাজকরা ব্রাজিলে আম নিয়ে এসেছিলেন।
মালাবার অঞ্চলের ডাচ কমান্ডার হেন্ডরিক ভ্যান রিডি তাঁর ১৬৭৮ সালের হর্টাস মালাবারিকাসে গ্রন্থে অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন উদ্ভিদ হিসেবে আমের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন।[৬০] যখন ১৭শ শতাব্দীতে আমেরিকান উপনিবেশগুলোতে প্রথম আম আমদানি করা হয়েছিল, তখন সংরক্ষণের অভাবে এগুলোর আচার বানাতে হয়েছিল। অন্যান্য ফলগুলোরও আচার বানানো হয়েছিল এবং সেগুলো "আম" এর নামেই পরিচিত ছিল, বিশেষত বেল মরিচ এবং ১৮শ শতাব্দীতে, "ম্যাংগো" শব্দটি ক্রিয়াপদে পরিণত হয়েছিল যার অর্থ ছিল "আচার বানানো"।
আম একটি বিবেচনা করা হয় বিবর্তনীয় কালবৈষম্য হিসেবে (একযুগের বস্তু, ব্যক্তি, ঘটনা ইত্যাদিকে ভুল করে অন্য যুগের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা), যেখানে বিলুপ্ত বিবর্তনীয় জীবের মাধ্যমে বীজ ছড়িয়ে পড়ে- যেমনভাবে হয়েছিল প্রাণীজগতের স্তন্যপায়ীরা।
আমের স্বাদ প্রধানত টারপিন, ফিউরানোন, ল্যাকটোন এবং অ্যাস্টার শ্রেণির বিভিন্ন উদ্বায়ী জৈব রাসায়নিক উপাদানের মিশ্রণে সৃষ্ট। বিভিন্ন জাতের আমে বিভিন্ন ধরনের উদ্বায়ী রাসায়নিক পদার্থ বা একই ধরনের তবে বিভিন্ন পরিমাণের উদ্বায়ী রাসায়নিক পদার্থ থেকে স্বাদ সৃষ্টি হয়।
সাধারণভাবে, নয়াবিশ্বে আমের জাতগুলো বেশিরভাগই δ-3-carene, একটি মনোটারপিন ফ্লেভারযুক্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ; অন্যদিকে, অন্যান্য মনোটারপিনের উচ্চ ঘনত্ব যেমন (Z)-ocimene এবং myrcene, পাশাপাশি ল্যাকটোন এবং ফিউরানোনসের উপস্থিতি প্রাচীন বিশ্বের জাতের অনন্য বৈশিষ্ট্য। ভারতে 'আলফানসো' অন্যতম জনপ্রিয় জাত। 'আলফানসো' আমের মধ্যে ল্যাকটোনস এবং ফিউরানোনগুলো পাকার সময় সংশ্লেষিত হয়; যেখানে টারপিনস এবং অন্যান্য স্বাদকুঁড়িগুলো অপরিপক্ক এবং পাকা উভয় ফলেই উপস্থিত থাকে।
আম পাকায় জড়িত বলে ইথিলিন সবার নিকট পরিচিত, একটি ফল পাকানোর হরমোন, আমের ভেতরে স্বাদের পরিবর্তন ঘটায়, যা বাইরে থেকে প্রয়োগেও কার্যকর। আমের স্বাদ সৃষ্টির রাসায়নিক গঠন সম্পর্কে প্রচুর পরিমাণে তথ্য থাকা সত্ত্বেও এই রাসায়নিকগুলোর জৈব সংশ্লেষণ কিভাবে হয় তা নিয়ে গভীরভাবে গবেষণা করা হয়নি; আজ অবধি কেবল স্বাদযুক্ত জৈব-সংশ্লেষণের প্রক্রিয়াইয় অংশগ্রহণকারী এনজাইমগুলোকে এনকোডিং করে এমন কয়েকটি প্রধান জিন সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়েছে।
সাধারণ আমের প্রতি ১০০গ্রাম(৩.৫ওজ) এ শক্তি মান ২৫০ কিলোজুল (৬০ কিলোক্যালরি)। টাটকা আমে দৈনিক ভ্যালু হিসেবে শুধুমাত্র ভিটামিন সি এবং ফলিক এসিড উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে যার পরিমাণ যথাক্রমে ৪৪% এবং ১১% ।
আমের খোসায় এবং পাল্পের মধ্যে ট্রাইটারপিন, লুপোলের মতো অসংখ্য ফাইটোকেমিক্যালস উপস্থিত রয়েছে।গবেষণায় দেখা গেছে আমের খোসার রঞ্জক কণিকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস, যেমন প্রোভিটামিন এ যৌগ, বিটা ক্যারোটিন, লুটিন, আলফা-ক্যারোটিন, এবং কোয়েরসিটিন, কেম্পফেরল, গ্যালিক অ্যাসিড, ক্যাফেইক অ্যাসিড, ক্যাটিচিন এবং ট্যানিনের মতো পলিফেনল রয়েছে। আমের মধ্যে ম্যাঙ্গিফেরিন নামে একটি অনন্য জ্যান্থোনয়েড রয়েছে।
ফাইটোকেমিক্যাল এবং পুষ্টি উপাদানগুলো আমের জাতভেদে বিভিন্ন পরিমাণে থাকে।আমের পাল্প থেকে ২৫ টিরও বেশি ক্যারোটিনয়েড শণাক্ত করা হয়েছে, এর মধ্যে ঘনতম বিটা ক্যারোটিন ছিল, যা বেশিরভাগ আমের জাতে হলুদ-কমলা রঙের পিগমেন্ট হিসেবে কাজ করে। আমের পাতাগুলোতেও জ্যান্থোনয়েড, ম্যাঙ্গিফেরিন এবং গ্যালিক এসিডসহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পলিফেনল উপাদান রয়েছে।
Click here to claim your Sponsored Listing.
আমাদের যাত্রা
আমাদের যাত্রা শুরু হয় শুধুমাত্র একটা চিন্তা থেকে। যারা রাজশাহীতে থাকেন তারা খুব সহজেই জমি থেকে উতপাদিত নানাবিধ পণ্য খুব সহজেই হাতের নাগালে পায়। যেখানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট সহ অন্যান্য শহরে পাওয়া টা প্রায় ডুমুরের ফুল দেখার মত। আমরা চেয়েছি আমরা যে সকল খাঁটি পণ্য সহজেই পাই চাইলেই তো আমাদের অন্য শহরে বসবাসরত সবার কাছে খুব সহজেই পৌঁছে দিতে পারি।
আর এভাবেই খাঁটি পণ্য সবার কাছে পৌছানোর প্রয়াস নিয়ে যাত্রা শুরু হয় আমাদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে। আলহামদুলিল্লাহ্ আমাদের এই প্রয়াসকে অনেকেই খুব ভাল ভাবে নিয়েছেন। যদিও শুরুর যাত্রা ছিল শুধু মাত্র খেজুরের গুড় নিয়ে এখন আমাদের ঝুলিতে যোগ হয়েছে প্রায় ৩০ প্রকারের পণ্য। তারমধ্যে অন্যতম হলঃ সকল প্রকার খাঁটি মসলা, সিজনাল ফল( স্ট্রবেরী, আম, লিচু, পেয়ারা), ঘি, মধু, আখের গুড়, সরিষার তেল, নারিকেল তেল ইত্যাদি।
আল্লাহ তা’আলার রহমতে আমাদের চেষ্টা সার্থক। তা আশা করছি এই ছবি দেখে বুঝতে কষ্ট হবে না।
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Address
Katakhali
Rajshahi
6212
Naudapara , Yousfpur , Charghat
Rajshahi, 6270
A community-based e-commerce platform where you can buy fresh & organic products at a reasonable rate. We mainly follow the producer to consumer chain to ensure the freshness of th...
Sardah-Charghat
Rajshahi, 6271
এখানে Seasonal আম, লিচু, খেজুরের গুড়, ঘি, কুরিয়ারের মাধ্যমে সরবরাহ করে থাকি ।
বানেশ্বর, রাজশাহী
Rajshahi, 1201
Organia Food Products is an online based Grocery Store in Bangladesh.
Shaheb Bazar, Zero Point
Rajshahi, 6204
welcome to fruit-aholic. fruit-aholic is a online store of various kind of fresh and Organic fruits. you will find the best fruits from us all over Bangladesh
মাইপাড়া বাজার পুঠিয়া রাজশাহী
Rajshahi, 437028MM
আমাদের কাছে পাবেন ১০০% অর্জিনাল সরিষার তৈল,খাটি ঘি,খেজুরের গুড়,কালোজিরার তৈল,
Rajshahi, 6206
It's an organic food shop where you can get all kinds of fresh fruits, vegetables, honey etc.
Maipara Bazer, Puthia
Rajshahi, 6260
Organic Food Shop, E-Commerce Website