Love Guru

Follow দিয়ে Follow Bk নাও ।
পাশে থাকলে পাশে পাবেন ।
Recommended লাগলে Recommended দাও । Back to back

06/01/2024

🥀~~~~~~গভীর রাতের চাহিদা~~~~~~~~~🥀
❤️🥀!!......পর্ব-৩৯ (অন্তিম পর্ব)......!!❤️🥀

🥀------------------------****************------------------------🥀


ফোরাম আহমেদ কে উদ্দেশ্য করে বলল একজন অফিসার, স্যার ১ ঘন্টার মধ্যে যাহ করার করতে হবে। এর মধ্যে আপনি চাইলে পালিয়ে দেশ ও ত্যাগ করতে পারেন।
- ওকে ওয়েট এ্যান্ড সি।
- আর অনেক থ্যাংকস আইজিপি। আজকে তুই না থাকলে ফাঁশির কাষ্ঠে উঠতে হত আমার।
- স্যার যার সহায়তায় আমার পজিশন আজকে উপরমহল পর্যন্ত আর সে থাকবে পুলিশ কাস্টাডিতে ? এটা আমি মেনে নিতে পারিনি আমার স্বজ্ঞানে।
- আইজিপিকে বুকে জড়িয়ে নিল ফোরাম। কতক্ষণ মোলাকাত করার পর বেড়িয়ে গেল ফোরাম।
রেজন বাসায় সবাই আমাদের পথ চেয়ে বসে আছে। তাড়াতাড়ি পা বাড়িয়ে বাড়িতে গমন করতে হবে। সালা তোদের বাড়িতে ঘুরতে আসায় বৃথা। আমার মেয়ে কত মানা করল যেন তোদের বাসায় না যাই কিন্তুক ওর কথা উপেক্ষা করে চলে আসলাম তোদের বাসায়। আর এসেই অসৌজন্যমূলক আচরণের স্বরুপ আমাকে পায়ে হেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিস, সালা কিপ্টে একটা রিক্সা পর্যন্ত নিস নাই।
- রেজন বাঁকা হেসে বলল, তোদের বাসায় থাকলে কি এমন অসাধ্য সাধন করতি?
- ভাই তোর বকবকানি শোনার মুড নেই আমার সো প্লিজ স্টপ ইওর মাউথ । ইফ ইউ টক এনিমোর দেন আই কিল ইউ।
হঠাৎই আদনান নিজেই শুরু করল এই এই দোস্ত।
- হ্যাঁ মেরি এক্স বন্ধু বল।
- অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে আদনান জিজ্ঞেসের চাদরে আটকিয়ে ধরল রেজনকে, এক্স বন্ধু?
- কাঁচুমাচু মুখে রেজন বলল, না মানে এখন যেহেতু আপন বউয়ের বড় ভাই আর এখন আমরা চাইলেও আগের মতো ফ্রেন্ড হিসাবে সকল কথা শেয়ার করতে পারি না, জমিয়ে আড্ডা দিতে পারি না সেই সূত্রে বলা যেতে এক্স বন্ধু তুই আমার।
- ওয়েট ওয়েট। ওয়াট ডু ইউ মিন বাই আপন বউ? কয়টা বউ তোর?
- মুচকি হাসি হেসে রেজন বলল , ২ টা বউ আমার ভাই। আর তোর বোন ২ নাম্বার বউ আমার।
রেজনের কথা শুনে যেন আদনান আকাশ থেকে পড়ল। তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু যেন কি না ২ টা বিয়ে করেছে আর সে বিষয়ে তার অজ্ঞাতা!
আর তাহলে কি তানিশা সতীনের ঘর করছে? কই আগে তো রেজন বা তানিশা কেউ এই বিষয়টা আমাকে জানানোর প্রয়োজনবোধ করেনি। তাহলে কি ওরা আমার থেকে এই চরম সত্য কথা গুলো লুকিয়ে রেখেছিল? আর ক্যান লুকিয়ে রাখবে? তাহলে কি রেজন তানিশাকে হুমকি দিয়ে এসব বলতে মানা করছে? না তানিশা এখন পর্যন্ত জানে না যে রেজন অন্য একটা বিয়ে করেছে? রেজনের কথায় ভাবনার সুতো ছিঁড়ে যায় আদনানের।
- প্রশ্ন সূচক মনোভাব প্রছন্ন করেছে রেজন কি হয়েছে বিষয়টা জানতে। কিন্তুক আদনান এক নজরে চেয়ে আছে রেজনের মুখের দিকে।
- কি হয়েছে ভাই? এভাবে তাকিয়ে থাকার মানেটা কি?
- ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আদনান বলল, ভাই তুই ২ টা বিয়ে করেছিস এটা তো আমাকে আগে বলিস নাই ।
- উচ্চস্বরে হেসে বলল রেজন, ভাই আমার প্রথম বউ কোলবালিশ।
- যাক বাবা আমি আবার কি না কি ভেবে বসে ছিলাম।
- শালা তোর তো চিন্তাধারা ই নেগেটিভ। চল তাড়াতাড়ি বাসায় যাই।
- আচ্ছা আদনান আর একটা কথা তুই সেদিন ওই জঙ্গল থেকে তানিশার আগে কিভাবে ফিরলি বাসায়?
- সেটা তো আমিও জানি না। আমি ভাবছিলাম তোর সাথে ছিল।
- কি হতে পারে ভাই তাহলে সেদিন ওর সাথে?
- সেটাই তো রহস্য থেকে গেল।

রেজনদের বাসার গেট বাহির হতে তালা দেওয়া। এই রাতের বেলায় সবাই কোথায় যাবে বাড়িঘর ছেড়ে? না তানিশার ব্যাথা উঠেছে। যার জন্য হয়তো ভাবিরা নিয়ে গিয়েছে হাসপাতালে। কিন্তুক এমনটা হলে তো ভাবি বা যে কেউ আমাকে ফোন করার কথা। কিন্তুক ফোন ক্যান করল না? তাহলে কি আমার ফোন সচল অবস্থায় নেই? সুইচ অফ হয়ে গিয়েছে কি ফোনটা?
রেজন ফোনটা বের করে দেখল, ফোনটা সচল আছে যার মানে সুইচ অফ নেই। বাট ফোন ক্যান করল না?
রেজন তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করতেই নাকে রক্তের গন্ধ কিছুটা ভেসে আসল। রেজন তাড়াহুড়ো করে মেইন দুয়ারের সামনে চলে আসে। দুয়ারটা ভিতর থেকে লক করা। দুয়ার আর ফ্লোর এর মাঝে কিঞ্চিৎ জায়গায় ছিল সেটা দিয়ে কিছুটা রক্ত বাহিরে বের হয়ে এসেছে।
রেজন আর আদনান দুজন ই আতঙ্কিত। ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে দুজনের। রেজন আর আদনান দৌড়ে পিছন দুয়ারে সামনে চলে আসে। আর এসে দেখল পিছন দুয়ার উন্মোচন করা সম্পুর্ন ভাবে। ঘরের সবগুলো লাইট অফ করা। অন্ধকার ভিড়ে ধরেছে একেবারে। রেজন ফোনের আলো দিয়ে সুইচবোর্ড খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সুইচ অন মুডে দিলেও লাইট জ্বলছে না। যার মানে হয়তো বিদ্যুৎ নেই নয়তো সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও করা হতে পারে।
আদনান ভীতু পায়ে মেইন সুইচ অন করে দেয় যার নিমিত্তে সাড়া ঘর আলোকিত হয়ে যায়। আর আলো আসার সাথে সাথে অন্ধকার লুকিয়ে যায় নিজের গন্তব্যে। অন্ধকার কেটে যেতেই আদনান আর রেজন থ মেড়ে গেল। তাকিয়ে দেখল যেভাবে বস্তা সাজিয়ে রাখে একটার উপর একটা ঠিক ওইভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে মাথাবিহীন লাশ গুলো। মাথা গুলো খুব ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে আলাদা করে একটা জায়গায় রেখে দেওয়া হয়েছে।
ভালোবাসার সূর্য অস্তমিত হয়ে গেল আজকে। মনে হচ্ছে যেন লাশের স্তুপ জমেছে বাড়িতে। স্ট্যাচু হয়ে আছে আদনান আর রেজন। বিশাল ড্রায়নিং রুমটা পুরোদমে যেন রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছে। দুয়ারের পাশে তানহা আর নির্জনের মাথা পড়ে রয়েছে। মাথা থেকে রক্ত পড়ছে টপটপ করে।
- রেজনের ক্যান জানি মনে হচ্ছে তানহা আর নির্জন কাক্কু কাক্কু বলে ডাকছে। অস্পষ্ট হলেও ভেসে আসছে বারবার কণ্ঠ গুলো। চক্ষু দিয়ে জল অঝোরে গড়িয়ে পড়ছে কিন্তুক মুখে কোন ভাষা নেই। বাবা মায়ের লাশের দিকে তাকানোর অবস্থা নেই। অবস্থা নেই কারো মুখের দিকে তাকানোর। আজকে একসাথে একাধিক কবর খুঁড়তে হবে রেজনকে। সবার লাশ ই নিজ কাঁধে বহন করতে হবে।
""রেজনের আর বাবা ডাক শুনার ভাগ্য কপালে জুটলো না। নিষ্পাপ শিশু গুলো আলো দেখল না এই পৃথিবীর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চোখে ধরা পড়ল না বাচ্চা গুলোর। কি অপরাধ করেছিল জন্ম না নেওয়া বাচ্চা গুলো? যার জন্য মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হলো?
কোন অপরাধ না করেই মারা যেতে হলো বাচ্চা গুলোকে। টুইন বেবি নিয়ে কি কি করবে এমন প্লান এঁটে রাখা মানুষটারও আজকে জায়গা হয়েছে লাশের স্তুপে। সবার মাথা আলাদা করা হলেও ছোট বাচ্চা দুটোর মাথা আলাদা করতে পারিনি ফোরাম। এটার জন্য আফসোস করা উচিত ফোরামের।
অল টাইম বাড়ি মাতিয়ে রাখা নির্জন ও তানহার স্থান ও হয়েছে লাশের স্তুপে। আর্দশবান ভাবিকেও লুটিয়ে রাখা হয়েছে স্তুপে।
ফোরামের একটা অভ্যাস ছিল লাশের মাথা নিয়ে ফুটবল খেলা কিন্তুক আজকে হয়তো ফুটবল খেলতে পারিনি ফোরাম কারণ ১ ঘন্টা সময় ছিল জাস্ট ফোরামের হাতে।
রেজন শুধু চেয়ে আছে এক নজরে লাশ গুলোর দিকে। লাশের গন্ধ আকাশে ভাসে কথাটা মনে পড়ে গেল আজকে, লাশের গন্ধ আকাশে ভাসছে আজকে রেজনদের বাসায়।

আজকে থেকে রেজনকে আর কেউ ল্যাপটপে কাজ করার সময় ডিস্টার্ব করবে না। কেউ আর চুল বেঁধে চাইবে না। কেউ আর লোমশ থাকা বুকে ঘুমাতে চাইবে না। বুকের লোমের মধ্যে হয়তো আর কেউ হাত দিয়ে বিলি কাটবে না। আজকের পর থেকে আর হয়তো রেজনকে কাউকে হাত বুলিয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হবে না। আজকের পর থেকে আর হয়তো রেজনকে কারো ভেজা চুল মুছিয়ে দিতে হবে না। আর হয়তো কাউকে রেজনের খাইয়ে দিতে হবে না। আর চাইলেও কাউকে ভালোবাসা দিয়ে কাছে টেনে নিতে পারবে না। আর হয়তো কেউ গভীর রাতে কোন কিছু খাওয়ার বাহানা ধরবে না। আর না বাহানা ধরবে ঘুরতে যেতে। না পারবে আজকে থেকে রেজন, বাহানা ধরা মানুষকে রান্না ঘরে পিছন থেকে জাপ্টে ধরবে। আর স্বপ্ন ভঙ্গ হলো আজকে বাবা ডাক শুনার। বাইনা ধরার মানুষটা যে এখন গভীর তন্দ্রাঘোরে আছে। চাইলেও এই তন্দ্রা ভঙ্গ হবে না কোনদিন।
কে আর আজকে থেকে কাক্কু কাক্কু বলে জাপ্টে ধরবে রেজনকে ? কে? কে ? আর হয়তো কখনো কাক্কু ডাকটা শুনা হবে না রেজনের। আর নির্জন কখনো ওর বাবার কথা জানতে চাইবে না। কারণ নির্জন ওর বাবার কাছে চলে গিয়েছে। আজকে থেকে আর রেজনের কারো জন্য চকলেট কিনতে হবে না।
আর আজকে থেকে ছোটভাই বলে কেউ ডাক দিবে না। আর রেজনও ভাবি বলে ডাকতে পারবে না। আর রেজনের ভাবিও নিজের হাজবেন্ড এর সাথে সাক্ষাৎ করতে পাড়ি জমিয়েছে।
আর বাবা মা সে তো কবে থেকেই তাঁর বড় ছেলের সঙ্গে দেখার করবার জন্য পথ চেয়ে বসে ছিল। আজকে হয়তো দেখা করতে পারবে নিজের বড় ছেলের সাথে। সকল সখ্যতা ত্যাগ করে পাড়ি জমিয়েছে সবাই ছেজন ভাইয়ার সাথে দেখা করতে। নিষ্ঠুরতম পৃথিবীতে আর কেউ আত্মীয় বলতে কেউ থাকল না রেজনের। কাছের মানুষগুলোকে এভাবে হারিয়ে ফেলবে সেটা কখনো ভাবনার জগতে আসেনি রেজনের।

মনে হচ্ছে যেন রেজন মারা যাবে। এতটা কাতর হয়ে গিয়েছে। রেজনের এমন অবস্থা দেখে লেখকের মনে পড়ে গেল "" জননেত্রী শেখ হাসিনার কথা "। কিভাবে ছিলেন উনি পুরো পরিবারকে হারিয়ে? কিভাবে? কিভাবে? জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবনী থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় সকল হতাশা থেকে। পুরো পরিবার হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ানো সত্যিই অস্বাভাবিক ব্যাপার। স্যালুট নেত্রী তোমায়। অদম্য ভালোবাসা তোমার জন্য। কিছু বেইমানের জন্য হাজারো মানুষ ভালোবাসার মানুষ গুলো ছাড়া একাকী জীবনযাপন করতে হয় এটার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা। আর ফোরাম সে তো অর্থলোভী মানুষ হয়তো দেশ ত্যাগ করে বিদেশে আবার ক্রাইমের রাজ্য বিস্তার ঘটাবে।

🥀---------------------------------সমাপ্তি-------------------------🥀

বিঃদ্রঃ পুরো গল্পটা কেমন হয়েছে জানাতে কেউ ভুলবেন না। আর এত দিন গল্পটার সঙ্গে থাকার জন্য থ্যাংকস। আর গল্পটা রিয়েল তাই এভাবে শেষ করতে হলো। কিন্তুক একটা কথা পুরো গল্পটা বাস্তব না কিছু কাল্পনিকও আছে। ভালো থাকবেন সবাই। আর প্রিয় মানুষদের গল্পটা সাজেস্ট করবেন।

ভালো থাকবেন সবাই

06/01/2024

#মজার_ব্যাপার 😇😇😇
মেয়ে: হাই
ছেলে: হ্যালো
মেয়ে: কিসে পরেন
ছেলে: ৯ম শ্রেনিতে। আপনি?
মেয়ে: বুয়েট মেকানিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং
ছেলে:ওহ তাই। আচ্ছা বলেনত? ইনডাকশন মটোর কি ভাবে চালু হয়?
মেয়ে:আসলে ভাইয়া আমি বিবিএতে পরি
ছেলে: ওহ। আচ্ছা বলেনত?হোয়াট আর দ্য প্রিন্সিপ্যালস অব ইকোনোমিকস?
মেয়ে : আসলে সরি মিথ্যা বলার জন্য, আমি পলিটেক্যাল সায়েন্স এ পড়ি
ছেলে : ওহ, বলেন তো?ফ্রান্সের রাজনীতি কি?
মেয়ে :ওফ, সত্যি কথা হচ্ছে আমি টেনে পরি
ছেলে: আলোর গতি কত
মেয়ে মাফ চায়, আমি সেভেনে পরি
ছেলে : এগহ্মনে লাইনে আসছ মাইয়া........... 😁😁😁😁😁কি কেমন দিলাম 😁😁😁
মাথাই নষ্ট মামু😁😁

04/01/2024

আমি বার বার ফেল করতে চাই,
আর যাই করিস ফেল করিস না । # #

04/01/2024

...!!😊😍
নারীকে হয় সবটা দিয়ে ভালোবাসো..
আর না হয় ছে'ড়ে দেও😟!!....
🙁মধ্যবর্তী ভালোবাসা....
তাদের স'হ্য হয় না☹️!!....

02/01/2024

01/01/2024

❤❤সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল 2024.

31/12/2023

Happy new year friends ❤

31/12/2023

আজ সারা রাত জেগে আছি, Just follow to follow,count melee.
Everyone

31/12/2023

#গভীর_রাতের_চাহিদা

#পর্বঃ৩৮......!!!🖤🥀
🥀------------------------------*******---------------------------------🥀

ফ্যামিলির সবাই এয়ারপোর্টে অপেক্ষার প্রহর গুনছে তানিশাদের ফিরে আসার অপেক্ষায়। রেজনের মনটা তো উতলা হয়ে আছে তানিশাকে নতুন বেশে, নতুন ভঙ্গিতে দেখার অপেক্ষায়।
কতক্ষণ যাবত পর তানিশারা আসল। আর রেজনকে দেখেই তানিশা খুশির উদ্রেকেই জড়িয়ে নেয়। সবাইকে তুচ্ছ করে জড়িয়ে নেয় বুকের খুব গহীনে। খুব শক্ত করে জড়িয়ে নিয়েছে তানিশা রেজনকে ।
রেজন কিছুটা অবাক খুশি হয়ে উল্লসিত হবার চেষ্টা করে নিজেকে স্থীর রেখে ভাবছে পাগলীকে আরো কাছে টেনে নিতে ইচ্ছে করছে কিন্তুক এটা পাবলিক প্লেস তার উপরে ফ্যামিলির সবাই এখানে উপস্থিত। কিঞ্চিৎ লজ্জা স্পষ্ট ভেসে উঠেছে রেজনের চোখে।
তানিশাকে ধাক্কা দেওয়ার নিমিত্তে কর্কশ গলায় বলল, ওই কে আপনি? আমাকে এভাবে জড়িয়ে নেওয়ার মানে টা কি? আমার পাগলী বউ আজকে বিদেশ থেকে ফিরছে যদি দেখে আপনি আমাকে জড়িয়ে ছিলেন তাহলে আজকে আমার খবর আছে।
- তানিশা বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সবার দিকে আর বিশেষ করে রেজনের চোখে দিকে। কিন্তুক কেউ কোন বাক্যব্যয় করল না। মেতে উঠল রেজনের অভিনয় দেখতে।আর এদিকে মিটিমিটি হাসছে রাইসা।
রেজন এবার আদনান কে উদ্দেশ্য করে বলল, ওই আপনি আপনার বোনকে সামলিয়ে রাখতে পারেন না? যার তার উপরে নিজের দেহ টা হেলিয়ে দেয়। বদ অভ্যাস একটা।
তানিশা বোকার ন্যায়ে চেয়ে আছে রেজনের দিকে। কতদিন বাদে রেজনের এমন মায়া জড়ানো কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছে তানিশা। তানিশা এখন পর্যন্ত সামান্য তম দুরত্বে অবস্থান করছে রেজনের থেকে।
মুচকি হেসে বলল রেজন, আপনি জানেন আমার তানিশা পাগলীর আজকে বিদেশ থেকে আসার কথা। কত সুন্দর করে ড্রেস আপ করে আসলাম আমার বউকে জড়িয়ে নিব বলে আর আপনার বোন কি করল এটা?
তানিশা এবার বুঝতে পারল সবাই বোকা বানাচ্ছে তাঁকে। আর এই বোকা বানানোর মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে রেজন। খুব রাগ হচ্ছে রেজনের প্রতি আবার লজ্জায় মুখটায় লাল বর্ণ ধারণ করেছে।
তানিশা এবার নিজের বোকা চেহারাটা আড়াল করতে আবার রেজনের বুকে মুখ গুঁজে দেয়। আর শার্টের উপর দিকে বুকের লোমের উপর কামড়াতে থাকে তানিশা শাস্তিস্বরূপ হিসাবে।
আদনানকে উদ্দেশ্য বলল, ভাই আপনার বোনের পুরানো অভ্যাস আর গেল না।

রেজনের এমন কথা শুনে তানিশা বুকের উপর আস্তে ধীরে কিল দিতে থাকে ।



সবকিছু এডজাস্ট করে নিয়েছে তানিশা। নিজের সংসার , নিজের অধিকার সব বুঝে নিয়েছে তানিশা।
রাতে লোমহর্ষ বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে তানিশা। বুকের উপর শুয়ে আছে সাথে বুকের লোমের উপর হাত দিয়ে বিলি কাটছে ।
- ভালোবাসার সুরে বলল তানিশা, ওই।
- হ্যাঁ বল সোনা পাখি।
- আমার মনে না হাজার প্রশ্ন জমা রয়েছে এগুলো উত্তর দিবে কি!
- কিঞ্চিৎ গলায় বলল রেজন, হ্যাঁ বল কলিজা।

- আমার সাথে এমন ধর্ষণস্বরুপ আচরণ করার মানে টা কি? মানে এটার মধ্যে রহস্যটা কি?
- কিঞ্চিৎ আভা গলায় রেজন বলল, রাত যখন গভীর হতো সাথে যখন তোমার অতীতের স্মৃতি ভেসে আসত চোখের নীড়ে তখন নিজে আমাকে ফোন করে ডেকে নিতে।
তানিশা এবার বলল, ওকে বুঝলাম আর একটু দাঁড়াও আমি নোটপ্যাড টা নিয়ে আসি ওখানে আমার জানতে হবে এমন অনেক প্রশ্ন লিস্ট করেছি ।
তানিশা এবার ঘরের লাইটটা জালিয়ে দিয়ে নোটপ্যাড নিয়ে বুকের উপর মাথা রেখে বলতে থাকল , এবার বল তুমি আমার সামনে ক্যান আসতে চাইতে না? আমাকে বুঝানো ক্যান চেষ্টা করো নাই যে আমাদের অনেক আগে বিয়ে হয়েছে। আর বাচ্চা গুলো আমাদের। কত টেনশন ছিলাম বাচ্চা গুলোকে নিয়ে।
- অনেক বৃথা চেষ্টা চালিয়ে গেছি মহারানী কিন্তুক আমি তোমার সামনে গেলে তুমি ফিট খেয়ে পড়ে যেতে ।
ন্যাকামি করে তানিশা বলল, তাই বলে আমার সামনে আসবে না? আমার খেয়াল রাখবে না? আমার বাচ্চার খেয়াল রাখবে না?
- কিভাবে রাখতাম? তোমার সামনে আসলেই তো তুমি সেন্সলেস হয়ে যেতে।
- আচ্ছা এবার বল সিসিটিভির কাহিনিটা। সিসিটিভির কি হয়েছিল?
- ওই পাগলী তুমি নিজে সিসিটিভি অন অফ করতে। মানে যখন তোমার সেন্স আসত তখনই তো তুমি আমাকে কল করে ডেকে নিতে আর আমি সিসিটিভি অফ করতে বললে তুমি নিজে গিয়ে অফ করতে।
- আর সেদিন পা দিয়ে লেখার রহস্যটা কি?
- ওই যে তোমার মনে নেই। এক্সিডেন্ট হবার পর আমার হাত কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। আর ভাবছিলাম যে হাত হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে। আর হাত চলে গেলে হয়তো এভাবেই সারাজীবন কাটাতে হবে হাত বিহীন। তারপর চেষ্টা চালায় পা দিয়ে লেখার এবং সফল ও হই। আর তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য সেদিন পা দিয়ে লিখেছিলাম।
আচ্ছা সেটা না হয় বুঝলাম কিন্তুক সেদিন নৌকার ছইয়ের মধ্যে কি হয়েছিল?
- সেদিন তুমি অনেক আদর চেয়েছিলে নিজে থেকে যার জন্য বাধ্য হয় আদর করতে হয় তোমাকে এমন করে।
- আচ্ছা রেজন সাহেব আপনি মনে হয় আমাকে একটুও ভালোবাসতেন না কারণ সেদিন বালির উপর আমাকে এভাবে উলঙ্গ ভাবে রেখে যেতে কিভাবে পারলেন আপনি?
- তুমি থেকে আপনিতে কথা শুনার প্রস্তুতি ছিল না রেজনের৷ বুঝতে পারল অভিমানের বালি দিয়ে পাহাড় বেঁধেছে তানিশা নিজের মনে।
অভিমান ভাঙানোর নিমিত্তে রেজন বলল, ওই পাগলী আদর শেষ হবার আগেই তুমি পাগলামো করতে। মানে ভুলে যেতে যে আমি কে। আর আমি যদি ওই সময় তোমার কাছে থেকে চলে না যেতাম তাহলে তুমি আমাকে দেখে আবার সেন্সলেস হয়ে যেতে।
আর একটা বিষয় আমি তো রিপোর্ট গুলো পুঁড়িয়ে ফেলেছিলাম কিন্তুক সেটা ভাইয়া ভাবির হাতে কি করে গিয়েছিল?
আরে পাগল যে ডাক্তার এর কাছে গিয়েছিলে ওইটা আমার পরিচিত ডাক্তার সারফারাজ ভাই। আর ওর থেকে নতুন রিপোর্ট নিয়ে সেটা তোমাদের বাড়িতে রেখে আসি আমি।
- আচ্ছা মিমের সাথে এমন করার মানে টা কি ছিল? মানে খারাপ ব্যাবহার?
- আরে ও রিপোর্ট আনার দিন তোমাকে হার্ড করেছিল যার জন্য ওর সাথে এমন বিহেভ করা।
আর ও-ই কুকুর যাকে আমিও দেখলাম আবার মিম ও দেখল আবার দেখলাম মাথা বিহীন লাশ খাচ্ছে এটার রহস্য টা কি? কোথায় থেকে এসব মাথাবিহীন লাশ আসত আর কুকুর খেত?
আর সেদিন ভাইয়া আমার আগে বাড়িতে আসল কি ভাবে?
- কুকুরের রহস্য বলতে ফোরাম আহমেদ এর অনেক গুলো এক জাতের কুকুর ছিল । যেগুলো ও থাইল্যান্ড থেকে নিয়ে আসে। আর লাশ ওইটা ফোরাম আহমেদ এর খুন করা লাশ। সারা এলাকায় ওর কুকুর ছিল।
- পেয়েছ তোমার সকল প্রশ্নের উত্তর?
- হ্যাঁ পেয়েছি।
- তাহলে এখন একটু আদর করতে দাও প্লিজ।
- না সোনা আদর করতে হবে না। বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে এখন আদর করলে। একটু নিজেকে কন্ট্রোল করো প্লিজ।
তানিশার বাচ্চা ৯ মাসে পড়েছে। কিছুদিন বাদে পৃথিবীর আলো দেখবে বাচ্চা গুলো। খুব হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করে সর্বদা রেজন তানিশাকে । একটু কাজও রেজন তানিশাকে করতে দেয় না। সবার মনে একটাই টেনশন যেন ভালোভাবে দুনিয়ায় আলো দেখতে পায় বাচ্চাগুলো।

গোধূলির সন্ধ্যায় হেঁটে একটা কাজে বেড়িয়েছে রেজন আর আদনান। আর হাজার গল্প জুড়ে বসেছে দুজন।
- দোস্ত আফজাল কাকা মারা গিয়েছে রে।
- কোন আফজাল কাকা? মোড়েরর পাশে বাড়ি?
- হ্যাঁ বেচারা খাবারের অভাবে আজকে শেষ হয়ে গেল।
- রেজন উচ্চস্বরে হেসে বলতে থাকল, যে দেশে আবাদি জমির ৭০ ভাগ ধান চাষ করা হয় সেদেশের মানুষ না খেয়ে মারা যায়। আর যেসব দেশে কোন প্রকার ফসল উৎপাদন করার মতো ব্যবস্থা নেই সেই দেশের মানুষ নিজেদের বিলাসিতা খাবার নষ্ট করে ডাস্টবিন ছুঁড়ে ফেলে আর আমরা খাবার ই পাই না কি সুন্দর!

""আমাদের দেশ উন্নতির শেখরের কিভাবে যাবে বলেন? যে দেশের কিছু ক্ষমতাসীন মানুষ সরকারি সকল কাজে টাকা আত্মসাৎ কোরে নিজের পকেটে ভরে, সে দেশ কিভাবে উন্নত হবে ভাই? যতদিন না এমন ক্ষমতাসীন মানুষ ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছে না ততদিন পর্যন্ত আমাদের দেশ উন্নত শেকড়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব।
আর যেদেশ দূর্নীতিতে ৪ বার চ্যাম্পিয়ন সেদেশ কিভাবে আগাবে ভাই? অলস মানুষের কারখানা বাংলাদেশে।
ধর্ষণ, দুর্নীতি, খুন, রাহাজানি, স্বার্থ আত্মসাৎ যেদিন এদেশে থেকে প্রস্থান করবে সেদিন দেশটার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কাম্য হবে।
আর আছে কিছু অসাদু ব্যাবসায়ী। একটা প্রবাদ আছে কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ। এই করোনা ভাইরাস এসে কিছু অসাধু ব্যাবসী মহল উদ্দাম বেগে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে । বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ব্যাবসা চলেছে এবার মাস্ক, স্যাভলন, হেক্সিসল, হেন্ড গ্লাভস এমন অনেক পন্যের উপর। ""

ফোরাম আহমেদ কে উদ্দেশ্য করে বলল একজন অফিসার, স্যার ১ ঘন্টার মধ্যে যাহ করার করতে হবে। এর মধ্যে আপনি চাইলে পালিয়ে দেশ ও ত্যাগ করতে পারেন।
- ওকে ওয়েট এ্যান্ড সি।

চলবে...?
শেষ পর্ব পেতে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকুন।

#গল্প_পড়ে_মজা_পেলে_এই_পেইজে_একটা_লাইক_দিবেন_আর_শেয়ার_করতে_ভুলবেন_না

29/12/2023

#তুমি_আছো_তাই❤

:01

হুট করেই নিশির শাড়ির আচঁল টেনে খোলে নিলো নিলয়।।নিশি বিস্মিত চোখে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।বেস্ট ফ্রেন্ডের বিয়ের দাওয়াতে এসেছে নিশি।।একটু ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হতেই এই পরিস্থতির স্বীকার হলো সে।।নিলয় যে এমন কাজ করতে পারে তা নিশির ধারনার বাইরে ছিলো।।নিলয় চৌধুরী নিশির বান্ধবী নিরার একমাত্র ভাই।।ভদ্র,, মার্জিত,,অসম্ভব সুন্দর একটি ছেলে।।বলতে গেলে রূপে গুণে অনন্য।।মেয়ের সাথে মেয়ের বাপের মন জয় করার মতো প্রতিপত্তি।।নিশি নিলয়কে সবসময় শ্রদ্ধার চোখেই দেখেছে কিন্তু আজ???নিশি যথেষ্ট শান্ত একটা মেয়ে কিন্তু নিলয়ের এমন কাজের পর নিজেকে শান্ত রাখতে পারলো না সে।।।চোখে রাগের আগুন জ্বেলে নিলয়ের গালে একটা চড় বসিয়ে দিলো।।নিশি যে এমন কিছু করতে পারে তা নিলয়ের জানা ছিলো না।।বিখ্যাত ইন্ডাস্ট্রিস আরিফ চৌধুরীর একমাত্র ছেলে নিলয়,,,কেউ যেখানে ওর দিকে চোখ তোলে তাকানোর সাহস পায় না।।নিশি সেখানে,,,,,আগে থেকেই রেগে ছিলো নিলয়,,,এবার আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না।।।দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো নিশিকে।।নিজেকে ছাড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করে,,,এবার চেচাঁতে লাগলো নিশি,,,সাথে গড়িয়ে পড়ছে চোখের জল,,,

ছাড়ুন,,,ছাড়ুন আমায়।।।।এটা কোন ধরনের অভদ্রতা (চেঁচিয়ে টলটলে চোখে)

ওহহ্ এখন অভদ্রতা??নিজে যখন ছেলেদের সাথে ঢলাঢলি করো,, তখন ওইটাকে বুঝি খুবই ভদ্রতা বলে?(আরো জোড়ে চেপে ধরে)

মাইন্ড ইউর ল্যাংগুয়েজ মিস্টার নিলয় চৌধুরী।।। আমি কিছু বলছি না তারমানে এই নয় যে আপনি আমাকে যা তা বলবেন(রাগী চোখে)

ও রিয়েলি??যা তা??এখন আমি যা তা হয়ে গেলাম?আমি না হয়,যা তা,,, কিন্তু যাদের সাথে ঘষাঘষি করছিলে তারা নিশ্চয় যা,তা নয়??তো কোথায় কোথায় টাচ করেছে শুনি??খুব ভালো লেগেছে বুঝি???(দাঁতে দাতঁ চেপে)

নিলয়ের ভাষা শুনে নিশি হতবাক।।এই মানুষটার মধ্যে এমন একটা পার্সোনালিটিও থাকতে পারে তা সে কখনো কল্পনাও করতে পারে নি।।।এবার নিশি আর চুপচাপ দাড়িয়ে থাকতে পারলো না,,ডানহাতটা হেচঁকা টানে ছাড়িয়ে নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে নিলয়ের গালে চড় বসালো।।। রাগের মাথায় কাজটা করলেও নীলয়ের চোখের দিকে তাকিয়ে থমকে গেলো,,,রক্তলাল চোখগুলোতে নিশি যেনো তার ধ্বংসই দেখতে পাচ্ছে।।কিছু বুঝে উঠার আগেই নিশির ঠোঁটগুলি নিজের আয়াত্তে নিয়ে নিলো নিলয়।নিজের রাগগুলোকে নিশির ঠোঁটের উপর ঝাড়তে ব্যস্ত সে।।নিদারুণ যন্ত্রনায় নিজেকে ছাড়াতে ব্যর্থ হয়ে চোখ খিঁচে পাথরের মতো দাড়িয়ে আছে নিশি।।।নিলয় কেনো এমন করছে কিছুই বুঝতে পারছে না নিশি।।নিলয় তো এমন ছিলো না,,,,তাহলে আজ কেনো???নিলয়ের কামড়গুলো এখন ভালোবাসার পরশে পরিনত হয়েছে,,,নিশির ঠোঁটে পাগলের মতো কিস করে চলেছে সে,,,আর হাত দিয়ে কোমরে ধীরে ধীরে স্লাইড করছে।।।নিলয় যেনো নিশিতে ডুব দিতে চাইছে,,,গভীর রূপ নিচ্ছে তার ভালোবাসার পরশগুলো।।।নিশির শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে।।এবার আর সহ্য করতে না পেড়ে নিজের সর্ব্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ধাক্কা দিলো নীলয়কে,,,,,ধাক্কায় তাল সামলাতে না পেড়ে দু'পা পিছিয়ে গেলো সে।।ফ্লোরে ধপ করে বসে পড়ে,, দুই হাতে মুখ চেপে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাদঁতে শুরু করলো

নিশির কান্নায় নিলয়ের ঘোর কাটলো।।।ও যে কতোটা জঘন্য কাজ করেছে তা মুহূর্তেই বুঝতে পারলো।।নিজেকেই খুন করে ফেলতে ইচ্ছা করছে তার।।।হাউ কোড হি??আর কিছু না ভেবে ব্যস্ত হয়ে নিশির কাছে ছুটে গেলো নিলয়,,,

নিশু,,,নিশু স,,সরি।।আমি এমন কিছু করতে চাই নি বিশ্বাস করো।।প্লিজ কেঁদো না।।মাফ করে দাও প্লিজ,,,!!!(করুন দৃষ্টিতে নিশির দিকে তাকিয়ে)

নিলয়কে কাছে আসতে দেখে আরো কুঁকড়ে গেলো নিশি,,,গুটি-শুটি হয়ে বসে আছে।।নিলয়ের কোনো কথা তার কান পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে কি না তাতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে,,,যেকোনো মেয়ের জন্যই এটা একটা বড় ধাক্কা,,,

নিশির কোনো রেসপন্স না পেয়ে,, হালকা হাতে নিশির হাতটি ধরার সাথে সাথেই ঝটকা দিয়ে হাত ছাড়িয়ে দৌড়ে বেরিয়ে যায় নিশি,,,নিলয় কি করবে বুঝতে না পেরে নিজেও ছুট লাগায়,,,কিন্তু ততোক্ষণে নিশি ধরা ছোঁয়ার বাইরে।।।আনমনে হাটঁছে নিশি,,,মাথাটা কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।।নিলয়ের বিহেভিয়ার কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না নিশি,,,তাইতো বেস্ট ফ্রেন্ডের বিয়েটা মাঝপথে ফেলেই ছোটে চলে এসেছে ।। উদ্দেশ্যহীন ভাবে হাটঁছে নিশি,,,নিলয়ের জন্য তিল তিল করে গড়া অনুভূতিগুলো আজ ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো যেনো।।।বুকের ভেতর কোথায় যেনো বড্ড কষ্ট হচ্ছে,,,খুবব কষ্ট।।।বাসাই ফিরে বাবার সাথে কোনো কথা বলে নি নিশি,,,এসেই দরজা দিয়ে বসে আছে।।হাসি-খুশি মেয়েটাকে এমন বিধ্বস্ত অবস্থায় ফিরতে দেখে অবাক হয়েছেন তারিকুল রহমান(নিশির বাবা)কিন্তু বিস্ময়টা এই মুহূর্তে দুশ্চিন্তায় রূপ নিয়েছে,,,,মেয়ের এমন ব্যবহার নিতে পারছেন না তিনি ।।।মা মরা মেয়েটাকে একাই সামলেছেন ।।।মায়ের ভালোবাসাটুকুও দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন ,,কিন্তু আজ??আজ মনে হচ্ছে,,,নিশির মায়ের খুব প্রয়োজন,,,নিজের সবটা দিয়েও হয়তো ভরতে পারেনি মেয়ের ভালোবাসার ঝুলি,,কোথাও একটা ফাঁকা রয়ে গেছে,,,,মেয়েটার বিধ্বস্ত চেহারা যেনো তাই বলছে।।।

নিলয় কি করবে বুঝতে পারছে না,,,নিজের চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।।।বাড়ি ভরা মেহমান না থাকলে চৌধুরী ম্যানশনের সব জিনিস ভেঙে চুরমার করে ফেলতো সে,,,,নিজেকে শুধু একটা প্রশ্নই করে যাচ্ছে বারবার,,,কি করে পারলো সে এমনটা করতে???কি করে??নিশি তাকে কখনো ক্ষমা করবে না কখনো না,,,ভাবতেই নিজের অজান্তেই গাল বেয়ে নেমে এলো বৃষ্টির ধারা। নিলয় চৌধুরী আজ কাদঁছে,,,বিষয়টা বড্ড বেমানান,,,কিন্তু কাউকে হারিয়ে ফেলার প্রচন্ড ভয় যে নিলয়ের মতো কঠিন হৃদয়কেও ছোঁয়ে যাচ্ছে বারবার,,আর সাথে বাড়িয়ে যাচ্ছে হাহাকার।।।চোখ বন্ধ করতেই ভেসে উঠছে ভয়ার্ত একটি মুখের ছবি,,,অজস্র মায়ায় জড়ানো সে ছবি,,,যে মায়ায় আটকে পড়েছিলো নিলয়,,,,,


১ বছর আগে,,,,
ভার্সিটিতে নবীনবরন অনুষ্ঠানের ধুম পড়েছে।।ভার্সিটি ক্লাবের সদস্যরাই প্রতিবছর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।।এবারও তার ব্যতীক্রম নয়,,,,চারদিকে জমকালোভাবে সাজানো হয়েছে,,,,অবাক বিস্ময়ে চারদিকে তাকাচ্ছে নিশি।।ভার্সিটি লাইফের প্রথম ফাংশন এটা,,,আসার কোনো ইচ্ছা যদিও ছিলো না,, কিন্তু নীরার জেদের কাছে হার মানতে হয়েছে তাকে।।।।নীরার সাথে দেখা হয় এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে।।পাশের সীটে বসেছিলো,,, সেখান থেকেই বন্ধুত্ব আর দুজনে একই ভার্সিটিতে চান্স পাওয়ায় তা আরো গভীর হয়েছে।।।যায়হোক,,নিশি আজ হাফ সিল্ক নীল শাড়ি পড়েছে,,হাতে নীল চুরি,,,কানে ছোট টপ,,,লম্বাচুলগুলো খোলা,,চোখে ভারি করে কাজলের রেখা টেনেছে,,ঠোঁটে হালকা গোলাপী লিপস্টিক,,,,যদিও সবটাই নীরার জোরাজোরিতে,,,,শাড়ি সামলাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে নিশিকে,,,মনে হচ্ছে এখনি খুলে পড়ে যাবে।।অন্যদিকে নীরা একটার পর একটা সেলফি তোলেই যাচ্ছে,,তার মধ্যে অস্বস্তির "অ" পর্যন্ত নেই।।নিশির ব্যাপক রাগ লাগছে,,,এদিকে নিশি ঠিক মতো হাটতেই পারছে না আর ওদিকে নিরার পাত্তাই নেই হুহ,,,,নেহাত,, প্রথমবার শাড়ি পড়েছে নয়তো সেও দেখিয়ে দিতো।।।নিশির ভাবনার প্রহর কাটলো,,,কিছু মানুষের ছুটাছুটির আওয়াজে।।।একি,,,এরা এভাবে দৌড়াচ্ছে কেনো??নিরাও একরাশ বিস্ময় আর কৌতূহল নিয়ে পাশে এসে দাড়ালো,,,

নীরাঃ দোস্ত??এখানে কি ম্যারাথন চলছে??সবাই দৌড়াচ্ছে কেন?

নিশিঃ আল্লাহর ওয়াস্তে একটু চুপ থাকবি??(বিরক্তি নিয়ে)

নীরাঃ ওকে ওকে,,,

অপরিচিতঃআরে তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন??ক্যাম্পাসে মারামারি শুরু হয়ে গেছে,,,,একপাশ,হয়ে দাঁড়াও নয়তো রক্ষে নেই।।।(বলেই ছেলেটা দৌড় দিলো)

ভয়ে নিশির হাত পা রীতিমতো কাপঁছে,,,নড়ার শক্তি পর্যন্ত পাচ্ছে না ,,নীরারও সেই একই অবস্থা।।দৌড়ানোর কথাটা তাদের মাথা থেকেই বেরিয়ে গেছে যেনো।।।কিছুক্ষণের মধ্যেই একদল ছেলে স্টিক হাতে দৌড়ে এলো,,,কিছু ছেলেদের ধরে বেদম পেটাচ্ছে তারা।।।নিশির মনে হচ্ছে এবার সে পড়েই যাবে,,, দাঁড়িয়ে থাকার ন্যূনতম শক্তি খোঁজে পাচ্ছে না সে।।।হঠাৎই একটা ছেলে নিশি আর নীরার দিকে এগিয়ে এলো,,,নীরা তো রীতিমতো কাঁদছে।।ছেলেটা কাছাকাছি আসতেই চোখ দুটো খিঁচে বন্ধ করে নিলো নিশি,,,,মনে মনে আল্লাহকে ডাকছে।।।কিছুক্ষণ পরও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে চোখটা হালকা খুললো নিশি,,,,,,

#চলবে........comments on

#গল্প_পড়ে_মজা_পেল_এই_পেজে_লাইক_দিন_আর_শেয়ার_করতে_ভুলবেন_না ।

29/12/2023

I need 1K Followers
Just now

29/12/2023
28/12/2023

বন্ধ মানে যাদের সাথে প্রান খুলে হাসা যায় ।
বন্ধু মানে যাদের কাছে মনের কথা শেয়ার করার যায় ।


#স্যেলুট #

28/12/2023

সম্পর্কের মধ্যে 🙂
বিচ্ছেদ তখন হয় 💔
যখন সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি প্রবেশ করে 💔💯

28/12/2023

#এগুলো কি পাখি কে বলতে পারে???
দারুণ দেখতে ।❤❤❤

27/12/2023

#গভীর_রাতের_চাহিদা

#পর্ব-৩৭
🥀----------------------------------_-_------------------------------------🥀


ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোয়িং প্লেনে ২ ঘন্টা যাত্রায় এশিয়ার একটা ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে অবতরণ করে আদনানরা । দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। দেশটি মালয় উপদ্বীপের নিকটে অবস্থিত। ৭১৯ বর্গকিলোমিটারের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর। দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ৫৬,০৭,৩০০ জন। দেশটির রাজধানী সিঙ্গাপুর ( নগররাষ্ট্র)।
তানিশাকে হাসপাতালে অ্যাডমিট করে রেজনকে কল জুড়ে দেয় আদনান। রেজনের চোখে ঘুমের বিন্দুমাত্র রেশ নেই। গভীর নিদ্রায় তলিয়ে যেতে অবিরাম ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে রেজন। ঘুম যেন ডিভোর্স দিয়েছে রেজনকে। এমন একটা মুহুর্তে ঘুম ডিভোর্স দিয়ে চলে যাবে, এটায় প্রস্তুত ছিল না রেজন। ঘুমকে প্রতারক বলে কর্কশ গলায় গালি দিতে ইচ্ছে করছে রেজনের। ঘুম এমন একটা জিনিস যা দুঃখ , কষ্ট, টেনশনে হারিয়ে যায় চোখ থেকে। । বড্ড সেলফিশ "ঘুম"। বসে বসে অতীতের স্মৃতিতে ভাসছিল রেজন। সাডেনলি রেজনের ফোনটা কেঁপে ওঠে। সাইলেন্ট মুডে থাকা ফোনটা হাতে তুলে নিয়ে স্ক্রীনের দিকে তাকাতেই রেজন দেখতে পেল সিঙ্গাপুর থেকে কলটা প্রেরণ করানো হয়েছে। আর বুঝতে বাকি থাকল না যে, কে দিতে পারে কল।
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে রেজন সালাম দিল আর প্রত্যুত্তরে বিষাদ পূর্ণ কন্ঠে সালামের উত্তর করল আদনান ।
- কেমন আছিস ভাই? আর কখন গিয়ে অবস্থান করলি সিঙ্গাপুরে?
- স্বাভাবিকভাবেই উত্তর তুলে ধরল আদনান, অনেকটা সময় আগে পৌছিয়েছি। আর আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো লাগছে। এত সুন্দর দেশে আসলে ভালো তো লাগবেই এটা স্বাভাবিক না? তানিশাকে হাসপাতালে অ্যাডমিট করে সমস্ত কাজ ইতি টেনে দিয়ে একটা সিম কিনে তোকে ফাস্ট টাইম স্মরণ করলাম।
কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত গলায় রেজন বলল, তানিশা কেমন আছে? কি করছে ও এখন ? আর ও কি খুব পাগলামো করছে?
আদনান আভা গলায় বলল, টেনশন মাত কর ভাই। তানিশা ঘুমিয়ে আছে। আর ও সিঙ্গাপুর এসে কেমন জানি আচরণ করছে। মনে হচ্ছে যেন প্রাণ ভোরে দীর্ঘশ্বাস নিচ্ছে।
- তানিশার ভালোবাসাচ্যুত রেজন বলল, আচ্ছা তা কোন হাসপাতালে ভর্তি করালি?
- ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে।
- কে কে ওম্যান্ডস এ্যান্ড চিলড্রেনস হাসপাতালে ভর্তি করলে বেটার হতো না? মেয়ে ও শিশুদের জন্য এই হাসপাতালটা সবচেয়ে ভালো তো আমার জানার দৃষ্টিতে।
- হ্যাঁ ""কে কে ""হাসপাতালটা ভালো কিন্তুক এটাও অনেক উন্নত মানের।
- ওহ আচ্ছা।
এদেশের একটা পত্রিকা থেকে জানতে পারলাম এদেশে শ্রমিকদের প্রতি যেমন ওরা বাংলাদেশী বলে অনীহা করে তেমন রুগীদের প্রতি এমন অনীহা করে না। আর জানতে পারলাম এদেশে যতগুলো বিদেশি মানুষ আসে চিকিৎসা নিতে আর সেটার জন্য যে পরিমাণ টাকা ইনকাম করে সিঙ্গাপুরের সরকার তার মধ্যে ৩০% বাংলাদেশ থেকে ইনকাম করে ।
- আদনান তোর কি এটা জানা আছে সিঙ্গাপুর বিশ্বের অন্যতম পর্যটন স্থান। একটা অসুস্থ মানুষ ওইসব ( দর্শনীয়) জায়গায় ভ্রমণ করলে সে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠবে এই প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে। আমাদের একবার ট্রেনিং শেষে বলা হয় আমাদের সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর আমরা সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করে আসি ১ মাসে সফরে।
- অবাক হয়ে আদনান প্রশ্ন জুড়ে দেয় রেজনের দিকে, ভাই তুই এসেছিলি এই স্বপ্নের দেশে?
- হ্যাঁ গিয়েছিলাম অনেক দিন আগে।
- শালা তাহলে তুই ক্যান এলি না? কারণ তোর সকল কিছু আয়ত্তে ছিল সিঙ্গাপুরের কারণ ১ মাস থেকেছিস এখানে।
- হ্যাঁ সেটা ঠিক কিন্তুক তোর ফিট খাওনি বোন আমাকে দেখলেই যে ফিট খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তাইলে কিভাবে যেতাম?
- সেটাও তো একটা কথা।
- শোন আমি যে সকল স্থানে নাম বলব সেই সেই জায়গায় নিয়ে যাবি তোর ফিট খাওয়ানি বোনকে।
- ওকে বল।
প্রথমে যাবি মেরিনা বে স্যান্ডস দেন চায়নাটাউন, বোটানিক গার্ডেন্স, গার্ডেন্স বাই দ্য বে ও সিঙ্গাপুর ফ্লাইয়ার

স্থান গুলোর বিবরণ।
মেরিনা বে স্যান্ডস: সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্থান হলো মেরিনা বে স্যান্ডস (Marina Bay Sands)। এটি সিঙ্গাপুরের একটি অত্যাধুনিক রিসোর্ট কমপ্লেক্স। ২০১০ সালে নির্মিত এই মেরিনা বে স্যান্ডস বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিল্ডিংগুলোর মধ্যে একটি। এখানে আছে একটি হোটেল, বিভিন্ন দামি ব্র্যান্ড এর শোরুম, আর্টসায়েন্স মিউজিয়াম (ArtScience Museum), রেস্টুরেন্ট, কনভেনশন সেন্টার, থিয়েটার, একটি শপিংমল – যার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে একটি খাল, এবং মেরিনা বে স্যান্ডস স্কাইপার্ক (Marina Bay Sands Skypark) – একটি উঁচু স্থান যেখান থেকে সমগ্র সিঙ্গাপুর দেখা যায়। সমগ্র সিঙ্গাপুর দেখার এই ডেক এবং ইনফিনিটি পুল অবস্থিত একটি জাহাজের মধ্যে (হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। মেরিনা বে স্যান্ডস স্কাইপার্কের উপরে অবস্থিত এই জাহাজ)। কেবল হোটেল গেস্টরা এই ইনফিনিটি পুল ব্যবহার করতে পারলেও যে কেউই পর্যবেক্ষণের ডেক দেখতে পারবেন। তো? আর কি লাগে? উপরে উঠে সেলফি তো তুলতেই হয়, নাকি? ওহ! বলতে ভুলেই গেছি এখানে কৃত্রিম বরফের তৈরি একটি স্কেটিং কোর্ড আছে।

চায়নাটাউন: (Chinatown) আপনি যদি কখনো চীন ভ্রমণ না করেন তবে চায়নাটাউন ভ্রমণ হতে পারে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত চায়নাটাউন দেখে চীন দেখা। চীনের ছোট ছোট দোকান থেকে শুরু করে চীনের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাবার, উজ্জ্বল লাল লণ্ঠন (lantern), চীনা পোশাক সবই দেখতে পাওয়া যায় এখানে। আপনি এখানে চীনা হেরিটেজ সেন্টার পরিদর্শন করতে পারবেন এবং দর্শন করতে পারবেন চিত্তাকর্ষক এবং সুন্দর – শ্রী মারিয়াম্মান হিন্দু মন্দির। এছাড়া আরো একটি মন্দির আছে নাম বুদ্ধ টুথ রেলিক মন্দির যা সিঙ্গাপুরের বৌদ্ধদের শিল্প ও সংস্কৃতির দিক তুলে ধরে।

বোটানিক গার্ডেন্স: এটি সিঙ্গাপুরের প্রথম ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ মনোনয়নপ্রাপ্ত স্থান। সিঙ্গাপুরের পুরোটা কংক্রিট জঙ্গল মনে হলেও এই বোটানিক গার্ডেন্সই সেই ধারনাকে বদলে দেয়। এটি যেন ইট পাথরের জঙ্গলের মাঝে এক টুকরো সত্যিকারের জঙ্গল। এখানে হাঁটতে হাঁটতে আপনি দেখতে পারবেন সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও পশু-পাখি। এখানে প্রায় ৬০,০০০ প্রজাতির গাছ ও পশু-পাখি রয়েছে। বোটানিক গার্ডেন্স এর বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন প্রজাতিভেদে বাগান রয়েছে। যেমন: অর্কিড গার্ডেন, ইকো বাগান, ইকো হ্রদ, বনসাই বাগান, ভাস্কর্য ইত্যাদি।

গার্ডেন্স বাই দ্য বে: লিস্টের পরবর্তী স্থানে আছে গার্ডেন্স বাই দ্য বে (Gardens by the Bay)। এটি সিঙ্গাপুর পর্যটন শিল্পে যোগ হওয়া সাম্প্রতিক দৃষ্টিনন্দন স্থান। এর সৌন্দর্য দেখে আপনি দূরে থাকতে পারবেন না বিশেষভাবে আপনি যখন একে উপর থেকে দেখবেন। গার্ডেন্স বাই দ্য বে’র ৩ টি অংশ। বে সেন্ট্রাল, বে সাউথ এবং বে ইস্ট – একটি বাগান যা ওয়াটারফ্রন্ট রোডের সাহায্যে বাকি দুটি অংশকে যুক্ত করেছে। এরমধ্যে বে সাউথ সবচেয়ে বড়। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন গ্রীষ্মমন্ডলীয় বাগান এবং গাছসদৃশ কিছু কাঠামো যেগুলো লম্বায় প্রায় ৫০ মিটার।

সিঙ্গাপুর ফ্লাইয়ার: সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্থানের লিস্টে পরবর্তী স্থানে আছে সিঙ্গাপুর ফ্লাইয়ার (Singapore Flyer)। এটি একটি ফ্যারিস হুইল বা নাগরদোলা। তবে ২০০৮ সালে চালু হওয়া এটি যেনতেন ফ্যারিস হুইল বা নাগরদোলা নয়, এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু (১৬৫ মিটার) ফ্যারিস হুইল যার মাধ্যমে আপনি পুরো সিঙ্গাপুর দেখতে পারবেন। এর অবস্থান মেরিনা বে। সিঙ্গাপুর ফ্লাইয়ার এর মেঝে ৩ টি স্তর নিয়ে গঠিত যাতে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, দোকান এবং অন্যান্য সেবা। ফ্লাইয়ারের প্রতিটি রাইড ৩০ মিনিট স্থায়ী হয় এবং তা খুব সকাল থেকে গভীর রাতে পর্যন্ত।
গতকাল চীন, রাশিয়া, USA, uk ও সিঙ্গাপুর নিয়ে পড়লাম যার নিমিত্তে তথ্যগুলো তুলে ধরলাম।
১ মাস ১০ দিন পর তানিশারা বাংলাদেশে ব্যাক করছে। তানিশা এখন পুরোপুরি সুস্থ। রেজনকে দেখার জন্য সর্বদা ছটফট করতে থাকে সুস্থ হবার পর থেকে।

চলবে . .?

গল্প পড়ে লাইক কমেন্ট করে যাবেন সবাই গল্প নিয়ে গঠনমূলক কমেন্ট করবেন, গল্পটা থেকে আপনি কি বোঝলেন তা অবশ্যই আমাদের মাঝে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করে যাবেন,,গল্প পড়ে উৎসাহিত মূলক কমেন্ট করবেন,,, বিকাশ ৩টার আগে উৎসাহিত মূলক কমেন্ট আসলে,রাতে ৭টায় গল্পের শেষ দিয়ে দিব,,

ধন্যবাদ সবাইকে

Want your business to be the top-listed Media Company in Rajshahi?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

একটা ছেলে একটা মেয়েকে সহজে ছেড়ে যায় না কিন্তু একটা মেয়ে হাজার ছেলেকে ছেড়ে চলে যায় শুধু ছেলেটা #বেকার বলে । @followers #...
আমি বার বার ফেল করতে চাই  আর যাই করিস ফেল করিস না । 👌👌👌
মায়া সবার জন্য হয় না, যার জন্য হয় সে বুঝে না 😪💔💔⛪⛪😢😢😢
মানুষ কি বলবে????@followers
অবহেলিত ছেলেটি যখন প্রতিষ্ঠিত 💔💔💔⛪⛪⛪ @followers #video #bestchallenge #new #supportlocal #SuperhitMovie
#বন্ধু তোরা মজা করিস কিন্তু অপমান করিস না 💔💔💔⛪⛪⛪#new #bestchallenge #funnyvideos #video @followers
মেয়েরা বিপদে পড়লে হাজার ছেলে এগিয়ে আসে কিন্তু ছেলেরা বিপদে পড়লে সবাই তাকিয়ে থাকে কিন্তু কেউ কেনো প্রতিবাদ করে না @follow...
আমাদের এলাকার বেশিরভাগ মানুষ ই বি,এন,পি করে ।💔💔💔💔সত্য কথা বলতে কলিজা লাগে ভাই ।@followers
বন্ধ মানে যাদের সাথে প্রান খুলে হাসা যায় । বন্ধু মানে যাদের কাছে মনের কথা শেয়ার করার যায় । @followers
বন্ধ মানে যাদের সাথে প্রান খুলে হাসা যায় ।  বন্ধু মানে যাদের কাছে মনের কথা শেয়ার করার যায় ।

Category

Telephone

Address


Rajshahi

Other Digital creator in Rajshahi (show all)
MD Nijamul Haque MD Nijamul Haque
Naogaon
Rajshahi

Freelancing with Digital marketing

Taslima Taslima
Sagor Para, Bot Tola, Ghoramara, Boalia
Rajshahi

Man vs.Wild Man vs.Wild
Rajshahi, 6250

Man vs..wild Bd (Discovery)

MGM MGM
Rajshahi, 0852

☑️☑️

BD TIPS BD TIPS
Manda Ferighat Noagaon Rajshahi
Rajshahi, 685

🍁🌼 🌼🌼🌼 🦋❖🦋❖🦋 ◈•┼┼•⚜️•┼┼•◈ ✮┼✮আল্লাহ 🍁🌼 🌼🌼🌼 🦋❖🦋❖🦋 ◈•┼┼•⚜️•┼┼•◈

Masum lifestyle Masum lifestyle
Rajshahi, 6203

Hey this is masum. I'm digital creator by facebook.

Md Roni Islam Md Roni Islam
Rajshahi, 6000

Md. Roni Islam are ready to give you full computer skill development and freelancing service. Our team can give you 100% Satisfied support.

It's Maruf It's Maruf
UttorNaribari, Gurudaspur, Natore
Rajshahi, 6440

welcome to my personal vlogs��

MD.Moshiur Rahman MD.Moshiur Rahman
Rajshahi

Follow me

Gago bangladesh Gago bangladesh
Bogura
Rajshahi

Tuhin Mondol Tuhin Mondol
Lalmonirhat
Rājshāhi