Dr. Md. Ahad Hossain

Pain is not inevitable, bearing pain without treatment has no credit.I'm here to help you insha'Allah

06/12/2023

কোমরে ব্যথার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে বৃদ্ধ বয়সে কোমরে ব্যথা অত্যন্ত কষ্টের কারণ। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে কোমরে ব্যথার সুনির্দিষ্ট কারণ উপস্থিত থাকার পরেও বয়স জনিত কারণে অপারেশন এড়িয়ে চলতে চান অনেকেই। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কারণ এর চিকিৎসা, মিনিমাম ইন্টারভেনশন বা ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসার মাধ্যমে এবং কিছু সতর্কতা মেনে দীর্ঘমেয়াদি ভালো থাকা সম্ভব।
তবে বৃদ্ধ বয়সে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথার আসুক ঔষধ খেয়ে ব্যথা কমানো কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। আলহামদুলিল্লাহ এমনই একজন রোগীর চিকিৎসা করার পরে তিনি সুস্থ আছেন।

Photos from Dr. Md. Ahad Hossain's post 03/12/2023

https://youtu.be/feBEfk1fwLc?si=82cgUVRzLeiuRIRV

কোমরে ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা?
অপারেশন পরবর্তী কোমরে ব্যথায় করণীয়?
পি আর পি এর মাধ্যমে ব্যথার চিকিৎসা?
পি আর পি কিভাবে কাজ করে?
এসকল প্রশ্নের উত্তর জানতে এন টিভির এই ভিডিও টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেখে নিতে পারেন।

Dr Ahad Pain Specialist:
MBBS,BCS,MD,FIPM

শনিবার রবি সোম ও বুধবার
বাংলাদেশ সেন্টার ফর পেইন ম্যানেজমেন্ট
২৩৪/সি নিউ এলিফ্যান্ট রোড কাঁটাবন, ঢাকা
+8801958060777
বিকাল ৪টা থেকে ৭ টা

Dr Ahad Pain Specialist:
ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক ও কনসাল্টেশন সেন্টার, লালবাগ শাখা, ঢাকা।
09610009633
শনিবার সোমবার ও বুধবার
সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১০ টা

02/12/2023

কোমরে ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে। খুব সচরাচর না হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী কোমরে ব্যথার কারণ কটির জয়েন্ট বা হিপ জয়েন্টের টিবি। টিবি বা যক্ষা রোগ শুধুমাত্র ফুসফুসে হয় এরকম একটি ধারণা অনেকেরই আছে। কিন্তু আসলে টিবি যে কোন জায়গায় হতে পারে। তবে জয়েন্টের টিবি খুবই খারাপ। সঠিক সময়ে টিবি নির্ণয় করার পরেও জয়েন্টে টিবি রোগ হলে পরবর্তীতে অনেক কষ্ট হয়। টিবি রোগের সঠিক সময়ের যে চিকিৎসা তার থেকে ন্যূনতম ছয় মাস বা এক বছর কালীন বেশি চিকিৎসা প্রয়োজন হয় জয়েন্ট টিবি হলে। উপরন্ত জয়েন্টে টিবি হলে এটি পরবর্তীতে সম্পূর্ণ চিকিৎসা নেয়ার পরেও জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায়। এ কারণে চিকিৎসার মাঝামাঝি সময় প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা প্রয়োগ করে জয়েন্টের মবিলাইজেশন করা সম্ভব।

01/12/2023

দীর্ঘমেয়াদি হাঁটু ব্যথা!! হাঁটু তে পানি চলে এসেছে!! করনীয় কি??

26/11/2023

কালের কণ্ঠ ২৫/১১/২৩
https://www.kalerkantho.com/feature/doctor-asen/2023/11/25/1339348

Photos from Dr. Md. Ahad Hossain's post 25/11/2023

এন টিভিতে আজ ২:৩০ থাকছি ব্যথা বিশেষজ্ঞ হিসেবে। সাথেই থাকুন, ইনশাআল্লাহ।

Photos from Dr. Md. Ahad Hossain's post 20/11/2023

ভ্রমনে সময় ও অর্থের অপচয় নয় বরং এর বিনিময় অপরিসীম যা হয়ত আপনি অর্থ দিয়ে পাবেন না। আলহামদুলিল্লাহ, "সাজেক" সপরিবারে ভ্রমনের সুযোগ হলো। কৃতজ্ঞতা বন্ধু পাহাড়ের জনপ্রিয় চিকিৎসক ডাঃ মাহবুবুর রহমান রাজুর প্রতি। দীর্ঘ এক দশক পাহাড়ের সাধারণ মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে ডাঃ রাজু।

17/11/2023

আলহামদুলিল্লাহ সফলভাবে আরো একটি দীর্ঘমেয়াদী প্যানক্রিয়াস জনিত পেটে ব্যথায় ( ক্রনিক প্যানক্রিয়েটাইটিস) আলট্রাসনোগ্রাম গাইডেড সিলিয়াক প্লেক্সাস নিউরোলাইসিস করলাম। কৃতজ্ঞতা সার্জারি বিশেষজ্ঞ বন্ধু ডাঃ গোলাম মোস্তফার প্রতি আমার নিকট আস্থা রেখে রোগী কে রেফার করার জন্য। এটি ১০ ম কেস। যারা দীর্ঘমেয়াদি পেটে ব্যথায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে নিচের যেকোনো একটি কারণে এ ধরনের চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব।

ক্রনিক প্যানক্রিয়েটাইটিস
প্যানক্রিয়াস ও পিত্তথলির ক্যান্সার জনিত ব্যথা
পাকস্থলীর ক্যান্সার জনিত ব্যথা
খাদ্যনালির উপরিভাগে ক্যান্সার জনিত ব্যথা

যেকোনো দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় যোগাযোগ করুন।

ডাঃ মোঃ আহাদ হোসেন
এমবিবিএস, বিসিএস, এমডি (বিএসএমএমইউ)
এফআইপিএম (ইন্ডিয়া)
ইন্টারভেনশনাল পেইন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন, কাঁটাবন, ঢাকা।

www.AhadHossain.com

12/11/2023

দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় আক্তান্ত একজন রোগীর অভিজ্ঞতা।

www.AhadHossain.com

09/11/2023

কাঁধে ব্যথায় আলট্রাসনোগ্রাম কেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার নিকট এই আলট্রাসনোগ্রাম করবেন।

Photos from Dr. Md. Ahad Hossain's post 08/11/2023

Alhamdulillah first ever delivered Lecture on pain management update to 5th year students of Bangabandhu Sheikh Mujib Medical College, Faridpur. Thanks to asst prof Dr Ananta dada, asst prof. Dr Shahadot sir and asst prof Dr Taposh sir

05/11/2023

www.ahadhossain.com. অ্যাপয়েন্টমেন্ট এর জন্য ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন।

22/10/2023

ক্যান্সারজনিত ব্যথা নিরাময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ এর সঠিক ব্যবহার জেনে নিন।

19/10/2023

২০ অক্টোবর বিশ্ব অস্টিও পোরোসিস দিবস। সচেতনতাই এই রোগ থেকে ভালো থাকার একমাত্র উপায়।

অস্টিওপোরোসিস কে অনেকে হাড় ক্ষয় বলে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে অস্টিওপোরোসিসে মূলত হাড়ের গঠন দুর্বল হয়ে যায়। আরো সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা যায় হাড়ের ভেতরে অসংখ্য বড় বড় ছিদ্র বা পোর তৈরি হয়। ফলে হাড় পাতলা হয়ে যায় এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সেখানে ৫০ বছর ও এর উপরে প্রায় ১০ মিলিয়ন লোক অস্টিও পোরোসিসে ভূগছেন এবং এদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি।

অস্টিওপোরোসিস কেন হয়?

জন্মের পর থেকে মানুষের শরীরে হার সুগঠিত ও মজবুত হতে থাকে ২০-৩০ বছর পর্যন্ত। এরপরে প্রতিবছর ১-১.৫ % শতাংশ হারে হাড়ক্ষয়ের প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়। তবে এটি মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক চক্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বা মেনোপজের পরে প্রথম পাঁচ বছর ৩-৫ শতাংশ হারে হার ক্ষয় শুরু হয়। তাই বলা যায় হাড় ক্ষয় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই বয়স বাড়ার সাথে সাথে যদি এই হার ক্ষয়ের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, উপরন্তু কিছু হাড় ক্ষয়ের অতিরিক্ত ঝুঁকি রয়েছে এমন অবস্থা সরীরে দীর্ঘদিন চলতে থাকে তাহলে এটি ধীরে ধীরে অস্টিও পোরোসিস পর্যায়ে চলে যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করার সাথে সাথে ক্যালসিয়ামকে হারের সাথে সংযুক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটামিন “ডি” সাপ্লিমেন্ট আকারে গ্রহণ করার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াকে ধীর গতিতে পরিণত করা যায়।

কারা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকিতে থাকেন?

1. বয়স বাড়ার সাথে সাথে সকল বয়সের নারী ও পুরুষ অস্টিও পোরোসিসের ঝুঁকিতে থাকেন। তবে এটি নারীর ক্ষেত্রে পুরুষের থেকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
2. মহিলাদের ক্ষেত্রে যাদের দ্রুত মাসিক চক্র শেষ হয়ে যায় বা মেনোপজ হয়।
3. যারা দীর্ঘমেয়াদী পেটের আইবিএস সমস্যায় ভোগেন।
4. যাদের কিডনি ও লিভার রোগ রয়েছে তারা অস্টিও পোরোসিসের ঝুঁকিতে থাকেন
5. যারা ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত।
6. যারা দীর্ঘমেয়াদি অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করেন।
7. যারা অধিকাংশ সময় বসে বসে কাজ করেন বা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ অনেক কম করেন।
8. যারা দীর্ঘমেয়াদী ধূমপান করেন।
9. কিছু কিছু ঔষধ দীর্ঘমেয়াদী সেবনে অস্টিও পোরোসিসের ঝুঁকি রয়েছে যেমনঃ স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ, প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঔষধ সেবন, দীর্ঘমেয়াদী অমিওপ্রাজল বা গ্যাসের ওষুধ সেবন।

অস্টিও পোরোসিস হলে কি হয়?

অস্টিওপোরোসিস মূলত বাইরে থেকে দেখা যায় না। এটি এমন একটি অবস্থা যাতে শরীরের হাড়ের ভেতরের গঠন দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে হালকা আঘাতে হাড় ভেঙে যেতে পারে। চলতে ফিরতে আমরা যে স্বাভাবিক পড়ে যাওয়া বা হালকা আঘাত পেয়ে থাকি সেটা থেকেও বড় ধরনের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। যা পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে পায়ের হাড় এবং মেরুদন্ডের হাড় ভেঙে গেলে অধিক কষ্টের কারণ হয়। অস্টিও পোরোসিস হয়ে গেলে রোগীরা ব্যথা অনুভব করেন। অন্যান্য ব্যথা থেকে এই ব্যথা কিছুটা ভিন্ন হয়। যেমন দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে তাদের ব্যথা বাড়ে। হাঁটাহাঁটি বা কাজের মধ্যে থাকলে ব্যথা কিছুটা কমে তবে দীর্ঘক্ষণ হাঁটা বা দীর্ঘক্ষণ ভারী কাজ করলে পরবর্তীতে ব্যথা অনুভব হয়। অনেক রোগী বলে থাকেন সারা দিন শেষে যখন রাতে ঘুমাতে যায় তখন শরীরে ব্যথা অনুভব করে। ব্যথা সাধারণত সারা শরীরেই হয় তবে কোমরে এবং পায়ে ব্যথা বেশি অনুভব হতে পারে। অস্টিও পোরোসিসের সাথে যদি কারো ডায়াবেটিস বা থাইরয়েড এর সমস্যা থাকলে ব্যথার প্রকৃতি আরো বেড়ে যেতে পারে। যেহেতু এই রোগে ব্যথা শরীরের ভেতর থেকে বা হাড়ের গঠনগত কারণে হয় সেই কারণে অনেক পাওয়ারফুল ব্যথার ওষুধ খেলে সাময়িক ব্যথা কমলেও আবার ব্যথা হবে। ব্যথার প্রকৃতি অনুযায়ী চিকিৎসা না দিলে সম্পূর্ণ ব্যথা নিরাময় সম্ভব নয়।

কোন পরীক্ষার মাধ্যমে অস্টিওপোরোসিস বোঝা যায়?

Dexa scan বা BMD টেস্টের মাধ্যমে খুব সহজেই আমাদের শরীরের হাড়ের গঠন এনালাইসিস বোঝা যায়। যে কেউ এই পরীক্ষা করতে পারে। তবে এই পরীক্ষার খরচ একটু বেশি হওয়ার কারণে এটা অনেকেই করান না। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪০ বছরের পরে এই টেস্টটা করা গেলে খুব সহজেই অস্টিও পোরোসিসের ঝুঁকি বোঝা যায় এবং সঠিক পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়।

কিভাবে অস্টিওপোরোসিস থেকে ভালো থাকা যায়?

• নিয়মিত কর্মক্ষম থাকা বা এক্সারসাইজ করার মাধ্যমে অস্টিওপোরোসিস বা হার ক্ষয় ধীরগতিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব এবং দীর্ঘমেয়াদী ভালো থাকা সম্ভব। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ব্যায়ামের মাধ্যমে মেরুদন্ডের হাড়ের ঘনত্ব ৫% বৃদ্ধি করা সম্ভব।
• কিছু কিছু ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া দরকার যেমন, দীর্ঘমেয়াদী ধূমপান এড়িয়ে চলা, দীর্ঘমেয়াদী গ্যাসের ঔষধ না খেয়ে বরং মাঝখানে একমাস বা দুই মাস বিরতি দিয়ে গ্যাসের ঔষধ সেবন করা যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী যারা স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রেও কিছু সময় বিরতি দিয়ে দিয়ে ঔষধ সেবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• বয়স বাড়ার সাথে সাথে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা খুবই জরুরী। ভিটামিন ডি মূলত আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম হারে সন্নিবেশিত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অথচ আমাদের স্বাভাবিক খাবারের ভিটামিন ডি এর উৎস নাই বললেই চলে। অনেকে মনে করেন সূর্যের আলো থেকেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। কিন্তু সূর্যের আলো থেকে যেই প্রক্রিয়ায় ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সেই যথাযথ প্রক্রিয়া আমরা অনুসরণ করতে পারি না। এজন্য বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪০ বছরের পর থেকেই সাপ্লিমেন্ট আকারে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১০০০ IU বা প্রতি সপ্তাহে 20000 IU ভিটামিন ডি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করা যেতে পারে।
• বয়স ৪০ পার হলে নারীদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি এর মাত্রা দেখে নেয়া যেতে পারে। টেস্ট করা সম্ভব না হলে নিয়মিতভাবে ভিটামিন ডি গ্ৰহন করলেও কোন ক্ষতি নেই। কারণ ভিটামিন ডি শরীরে অতিরিক্ত থাকলে এটা শরীরের সাইড ইফেক্ট সাধারণত করেনা।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম দরকার আছে কি?

এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন যে বয়স বেড়ে যাচ্ছে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম খেতে হবে কিনা। অনেকেই নিজের ইচ্ছামতই অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম নিতে থাকেন ঔষধ আকারে। মূলত আমরা যে খাবার খাই এতে বিভিন্নভাবে ক্যালসিয়াম রয়েছে। যে কারণে স্বাভাবিক খাবারের সাথে সাথেই ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। তবে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ কিছু খাবার রয়েছে দুধ বা দুধ দিয়ে তৈরি খাবারে মূলত ক্যালসিয়াম বেশি থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমরা এই খাবারগুলো খেতে পারি। এতে করে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হওয়া সম্ভব। ঔষধ আকারে বা সাপ্লিমেন্ট ক্যালসিয়াম গ্রহণ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করা যেতে পারে। সাপ্লিমেন্ট ক্যালসিয়াম লাগবে কিনা সেটি চিকিৎসক এক্সরে দেখে ধারণা করতে পারেন অথবা প্রয়োজনে রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ দেখেও এ বিষয়টা নির্ধারণ করা যায়। কিন্তু আমরা যে ক্যালসিয়াম শরীরে নিচ্ছি সেটাকে কাজে রূপান্তরিত করতে বা হারে সন্নিবেশিত করার জন্য ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন। ভিটামিন ডি স্বাভাবিক খাবারের পাওয়া যায় না। সামুদ্রিক কিছু খাবারে ভিটামিন ডি রয়েছে যেগুলো আমরা সচরাচর খাই না। এজন্য সাপ্লিমেন্ট আকারে বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ডি নিয়মিত গ্রহণ করা যেতে পারে।

খাবারের মাধ্যমে বা ঔষধ আকারে সাপ্লিমেন্ট ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথর হওয়া সম্ভবনা আছে কিনা?

অনেকেই চিকিৎসক ক্যালসিয়াম পরামর্শ দিলেও নিজেরা খান না। তারা মনে করেন অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। তাদের এই ধারণাটি সঠিক ব্যাখ্যা আছে। মূলত আমরা যে খাবার খাই সেগুলোর মধ্যে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। ক্যালসিয়াম শরীরে ঢোকার পরে সেটা কিডনিতে যেতে হলে অক্সালেট এর সাথে সংযুক্ত হতে হয়। তাই আমরা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ যে খাবার খায় সেগুলোর মধ্যে অক্সালেট মুক্ত খাবার গ্রহণ করলে কিডনিতে পাথর হওয়া সম্ভবনা থাকে না। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন বাদাম, বিট, চকলেট সয়ামিল্ক খাবারগুলো অতিরিক্ত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলেই ভালো। তবে এগুলো যে একেবারেই খাওয়া যাবে না বিষয়টা এমন নয়। পরিমিত পরিমাণে সময়ের সময়ে খেলে কোন ক্ষতি নেই। আর সাপ্লিমেন্ট আকারে চিকিৎসকরা যে ক্যালসিয়াম দিয়ে থাকেন তাতে সাধারণত ক্যালসিয়াম অক্সালেট সমৃদ্ধ ক্যালসিয়াম দেয়া হয় না। যে কারণে এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভবনা অনেক কমে যায়। তাই সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দোকান থেকে নিজের ইচ্ছামত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ থেকে কিডনিতে পাথর হওয়ার ভয় কমে যাবে।

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারঃ

ক্যালসিয়াম হাড়ের জন্য একটি অপরিহার্য ভিটামিন। সাধারণ পরিস্থিতিতে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৮00 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন সুষম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। দুধ, পনির ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার, ইয়োগার্ট, সয়ামিল্ক, সবুজ শাক-সবজি যেমন ব্রোকলি, বাঁধাকপি ও ওকড়া, সয়াবিন বিভিন্ন ধরনের মাছ, শ্যামন মাছ ও কমলা ক্যালসিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস।

অস্টিওপোরোসিস রোধে কার্যকরী ব্যায়ামঃ

• প্রতি সপ্তাহে তিন দিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত হাটা।
• যারা হাঁটার কাজ করতে পারছেন না তাদের ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে তিন দিন 30 মিনিট করে সিঁড়িতে উঠানামা করা।
• সপ্তাহে তিন দিন বা তার অধিক সময় প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে সাঁতার কাটা।
• সপ্তাহে তিন দিন বা তার অধিক সময় প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে সাইকেল চালানো।
• যারা জিমে যেয়ে ব্যায়াম করতে অভ্যস্ত তাদের ক্ষেত্রে অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নাড়াচারা জনিত প্রত্যেকটি ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ

যেহেতু হাড় ক্ষয় আমাদের শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই বয়স কালে অনেকেই এই হাড় ক্ষয়ের সমস্যায় ভুগতে পারেন এটা অস্বাভাবিক নয়। তবে যদি কেউ অতিরিক্ত হাড় হয় বা অস্ট্রিও পোরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে যান তাহলে কয়েকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
• স্বাভাবিক চলাফেরায় জুতা বা কেডস ব্যবহার করতে হবে।
• পড়ে যাওয়া থেকে নিরাপদ থাকতে বাথরুম পরিষ্কার রাখতে হবে এবং বাসায় চলাচলের জায়গা পরিষ্কার ও পিচ্ছিল মুক্ত রাখতে হবে।
• উঁচু নিচু জায়গায় চলাচল বিরত রাখতে হবে।
• অস্বাভাবিকভাবে ভাবে ঝুকে কাজ করা বা অস্বাভাবিকভাবে শরীরকে বাঁকিয়ে কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
• বেশি দূরত্বে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরামদায়ক যানবাহন ব্যবহার করতে হবে। পাবলিক যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাথে কোন সাহায্যকারী থাকলে ভালো হয়।

ডাঃ মোঃ আহাদ হোসেন
এমবিবিএস, বিসিএস, এমডি, এফআইপিএম (ইন্ডিয়া)
কনসালটেন্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ফরিদপুর

চেম্বারঃ
বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন, কাঁটাবন, ঢাকা।

ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক ও কনসালটেশন সেন্টার, লালবাগ,ঢাকা।

12/10/2023

আজ বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস। কালের কন্ঠে গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি প্রকাশিত হলো আজ ১২/১০/২০২৩
https://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2023/10/12/1326070

09/10/2023

কোমরের জয়েন্টে ব্যাথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সুনির্দিষ্ট ভাবে কোটির জয়েন্ট বা হিপ জয়েন্টে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে ব্যথা হতে পারে। আজকের ভিডিওতে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এবং কিভাবে অপনারা সহজে সনাক্ত করতে পারবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।

Photos from Dr. Md. Ahad Hossain's post 07/10/2023

আলহামদুলিল্লাহ, রোগীদের ব্যথা নিরাময় ই একমাত্র কাম্য। আজকে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি প্রসিডিউর সম্পন্ন করলাম। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় অস্টিওপোরোসিস বা প্রচন্ড রকমের মেরুদন্ডের হাড় পাতলা হয়ে যাওয়া এর সাথে মেরুদন্ডের ডিস্ক বাইরের দিকে বের হয়ে নার্ভে চাপ দিচ্ছে বা পি এল আই ডি এই সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে অপারেশন করলে অপারেশন পরবর্তী জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ অবস্থায় মিনিমাল ইনভেসিভ প্রসিডিওর রোগীদের ব্যথা নিরাময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

আজকে রোগীটি সেইরকম একটি রোগী। যার মেরুদন্ডের হারে অস্টিওপোরোসিস বা হার পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। যে কারণে তার স্বাভাবিক ওজন মেরুদন্ড বহন করতে পারছেন না ফলে ডিস্কের এর উপরে বেশি প্রেসার পড়ছে। যার ফলশ্রুতিতে পিএল আইডির সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ রোগীর ক্ষেত্রে আমরা মেরুদন্ডের দুটি লেভেলে ওজন নিউক্লোরাইসিস করার সাথে সাথে যে নার্ভে চাপ রয়েছে সেখানে ইনজেকশন দিয়েছি। কোমরে ব্যথার মেরুদন্ডের সাথে কোন কারন জড়িত থাকলে সে ক্ষেত্রে আমরা নিজের পদ্ধতি গুলো করে থাকি যা সম্পূর্ণ ব্যথা মুক্ত এবং খুবই মিনিমাল ইনভেসিভ পদ্ধতিতে করা হয়। রোগী আধা ঘন্টার মধ্যে বাসায় যেতে পারেন।
১/ ওজন নিউক্লিওলাইসিস
২/ ডিস্কে পি আর পি
৩/ সিলেকটিভ নার্ভ রুট ব্লক বা এস এন আর বি
৪/ কডাল ইপিডুরাল ইনজেকশন
৫/ ভার্টিব্রপ্লাস্টি
৬/ ফেসেট ইনজেকশন
৭/ মিডিয়াল ব্রানচ ব্লক।

29/09/2023

পায়ের গোড়ালিতে ব্যথায় করণীয়

আমাদের মধ্যে অনেকেই পায়ের গোড়ালিতে তীব্র ব্যথায় ভুগে থাকেন। সাধারণত দুটি কারণে পায়ের গোড়ালিতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা হতে পারে। একটি হচ্ছে প্লান্টার ফাসাইটিস ও অন্য কারণটি হচ্ছে রেট্রো ক্যালকেনিয়াল বার্সাইটিস। আজকে আমরা রেট্রোক্যালকেনিয়াল বার্সাইটিস নিয়ে কথা বলব।

রেট্রো ক্যালকেনিয়াল বার্সাইটিস কি?

এটি পায়ের গোড়ালি ব্যাথার অন্যতম একটি কারণ। এ ধরনের সমস্যায় পায়ের গোড়ালিতে পেছনের দিকে যেখানে আমাদের প্রধান রগ বা অ্যাকিলিস টেন্ডন সংযুক্ত হয় তার আগে দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ জনিত কারণে এক ধরনের সিস্ট বা পানি জমা হতে পারে। এ অবস্থায় যদি অধিক হাঁটাহাঁটি করা হয় তাহলে এটি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং একপর্যায়ে তীব্র আকার ধারণ করে।

রেট্রো ক্যালকেনিয়াল বার্সাইটিস এর লক্ষণ সমূহ কি কি?
এ ধরনের সমস্যার প্রধান লক্ষণ হচ্ছে ব্যথা। এই ব্যথা সকালে খুব বেশি থাকে এবং সারাদিন হাঁটাহাঁটি বা কাজে এটি কমে আসে। আবার রাতের বেলা যখন সবাই ঘুমাতে যায় তখন এই ব্যথাটি তীব্র আকার ধারণ করে। কোন কোন ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি এই সমস্যা চলতে থাকলে পায়ের পেছনের অংশ ফুলে যেতে পারে।

কারা এই সমস্যার ঝুঁকিতে আছে?

যে কোন মানুষেরই এই সমস্যা হতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
• আঘাত জনিত কারণে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হওয়া এবং পরবর্তীতে সঠিক চিকিৎসা না নিয়ে স্বাভাবিক চলাফেরায় ফিরে যাওয়া।
• অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
• যারা অধিক সময় খালি পায়ে হাটাহাটি করেন বা শক্ত জুতা ব্যবহার করেন।

রোগ নির্ণয় পদ্ধতি বা কিভাবে বুঝবেন আপনি রেট্রো ক্যালকানিয়াল বার্সাইটিসে আক্রান্ত?

প্রথমত ব্যথার প্রকৃতি ও ধরণ বুঝে প্রাথমিকভাবে বোঝা যায় পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ রেট্রোক্যালকেনিয়াল বার্সাইটিস। তবে বর্তমান সময়ে অত্যাধুনিক মাস্কুলোস্কেলিটাল আল্ট্রা সাউন্ড পদ্ধতি ব্যবহার করে এই রোগটি সুনির্দিষ্ট ভাবে খুব সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব। এজন্য ব্যথা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ তাদের চেম্বার ভিত্তিক এই অত্যাধুনিক আল্ট্রা সাউন্ড মেশিন ব্যবহার করেন এবং সাথে সাথেই এই রোগটি নির্ণয় করা সম্ভব হয়।

পায়ের গোড়ালি ব্যথা চিকিৎসাঃ

প্রাথমিকভাবে আমাদের জীবনযাপন পদ্ধতির কিছু পরিবর্তন এবং ব্যাথা নাশক ঔষধের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়। এদের মধ্যে অন্যতম
1. নরম জুতা বা কেডস পরিধান করা।
2. বরফ সেক বা ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে পা ভিজিয়ে রাখা ১০ থেকে ১৫ মিনিট। প্রতিদিন একবার বা বিশেষভাবে রাতের বেলা করলে ভালো।
3. চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যথা নাশক ঔষধ সেবন করা।
4. ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে রেট্রো ক্যালকানিয়াল বার্সাইটিস এর চিকিৎসা করা সম্ভব। তবে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া এবং রোগের প্রথম ও মধ্যম ভাগে কার্যকরী থাকে। এখানে সাধারণত আল্ট্রা সাউন্ড ফিজিওথেরাপি ব্যবহার করা হয়।
5. প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যথার উন্নতি না হলে অথবা মাসকুলোস্কেলিটাল আল্ট্রা সাউন্ড পদ্ধতিতে যদি দেখা যায় বার্সা অনেক বড় এবং সিস্ট আকৃতি ধারণ করেছে তাহলে আল্ট্রাস সাউন্ড গাইডেড ইনজেকশন পদ্ধতির মাধ্যমে খুব সহজেই সুনির্দিষ্ট জায়গায় স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ প্রয়োগ করে তাৎক্ষণিক ও অত্যন্ত দ্রুততার সাথে ব্যাথা নিরাময় করা সম্ভব।
6. যদি এই ব্যথা বারবার আসতে থাকে তাহলে আল্ট্রাসাউন্ড মেশিনের সাহায্যে প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা প্রয়োগ করার মাধ্যমে পূর্ণ চিকিৎসা করা সম্ভব।

রেট্রো ক্যালকেনিয়াল বার্সাইটিস রোগটি অনেকের মধ্যেই দেখা যায় তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যথার তীব্রতা বেশি না হলে এটি সুনির্দিষ্ট ভাবে কেউ খেয়াল করেন না। নরম জুতা বা কেস করার অভ্যাস করতে পারলে এই ধরনের রোগটি এড়িয়ে চলা সম্ভব।

ডাঃ মোঃ আহাদ হোসেন
এমবিবিএস, বিসিএস, এমডি, এফআইপিএম (ইন্ডিয়া)
চীফ কনসালটেন্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশ সেন্টার ফর পেইন ম্যানেজমেন্ট
২৩৪/সি নিউ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা

18/09/2023
10/09/2023

বুকে ব্যথায় করনীয়
বুকে ব্যথা! হার্টের কারনে ? নাকি অন্য কিছু? করনীয় কি?

আজকের খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলছেন
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এর হৃদ রোগ বিশেষজ্ঞ ও সহযোগী অধ্যাপক
ডাঃ আব্দুল গফুর , এমবিবিএস, এমএস, এফএসিএস

ব্যথা বিশেষজ্ঞ
ডাঃ মোঃ আহাদ হোসেন, এমবিবিএস, বিসিএস, এমডি, এফআইপিএম( ইন্ডিয়া)

Photos from Dr. Md. Ahad Hossain's post 09/09/2023

আলহামদুলিল্লাহ আজকের ইন্টারভেনশন

যাদের একাধিক মেরুদন্ডের ডিস্কে পিএলআইডি ও অন্যান্য সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অপারেশন ঝুঁকিপূর্ণ হয়। কোন কেন ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই মেরুদন্ডে অস্বাভাবিক রকমের অস্টিওপোসিস বা হার পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা থাকতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হয় রোগীদের ওজন বেশি না থাকলেও তারা অধিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। অস্বাভাবিক অবস্থায় বসে থাকলেও তাদের কষ্ট বাড়ে। এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে ছোট যে কোন ঘটনায় অথবা পা পিছলে পড়ে গেলে মেরুদন্ডের হাড় ভেঙে যাওয়ার মত সম্ভাবনা থাকে। এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে এন্টারভেনশন পদ্ধতির মাধ্যমে রোগের ব্যথা সহনীয় মাত্রায় রাখা সম্ভব। অপারেশন ঝুঁকিপূর্ণ হলে কোমরে ব্যথার ইন্টারভেনশন চিকিৎসা গুলোর সাহায্য নেয়া যেতে পারে। এতে করে রোগীদের ব্যথা সহনীয় মাত্রার ভেতরে থাকে এবং সতর্ক থাকলে দীর্ঘদিন ভালো থাকতে পারেন।

কোমরে ব্যথার ইন্টারভেনশন চিকিৎসায় ঝুঁকি আছে কিনা??

এই প্রশ্নটি মোটামুটি অনেকের মধ্যেই ঘুরপাক খায়। কোন কোন ক্ষেত্রে রোগীদের ইঞ্জেকশন ভীতি ও থেকে যায় এই সমস্যা মনে করে। তাদের ক্ষেত্রে যে তথ্যটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় সেটা হচ্ছে এই ধরনের ইন্টারভেনশন চিকিৎসায় ঝুঁকি নেই বললেই চলে। প্রথমত আমরা রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে ইন্টারভেনশন বা ইনজেকশনের জন্য সিলেকশন করি। রোগীর স্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে কোন ক্রমেই আমরা এই ধরনের পদ্ধতি করিনা। দ্বিতীয়তঃ এই পদ্ধতিতে যেই জায়গায় বা যেই ঔষধ ইনজেকশন এর মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয় তাতে জীবন বিপন্ন হওয়ার মতো কোনো ঘটনার সুযোগ নেই। তারপরেও ঔষধ জনিত রিএকশন বা অন্যান্য যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি যে জায়গায় আছে সেখানেই আমরা ইনজেকশনের পদ্ধতি করে থাকি।

কোমরে ব্যথা ইনজেকশন বা ইন্টারভেনশন পদ্ধতি গ্রহণ করলে কত দিন ব্যথা মুক্ত থাকা যায়?

এ ব্যাপারে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন। মূলত ইন্টারভেনশন পদ্ধতি যেই কারণে কোমরে ব্যথা হচ্ছে সেই কারণ কে থামিয়ে দেয় অথবা এই কারণ জনিত কোন খারাপ ইফেক্ট হলে সেটি সাময়িকভাবে কমিয়ে দেয়। যদি ইনজেকশন বা ইন্টারভেনশন পদ্ধতি গ্রহণ করার পরে স্বাভাবিক সর্তকতা বজায় রেখে এবং ব্যথা বাড়িয়ে দেয়ার জন্য যেই ফ্যাক্টরস গুলো রয়েছে সেগুলো থেকে বিরত থাকা যায় তাহলে অনেকদিন ভালো থাকা সম্ভব। সময়ের ব্যাপারে কোন লিমিটেশন নেই। তবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছছ যার জন্য যেই ধরনের ইন্টারভেনশন দরকার সেটি নিশ্চিতভাবে করতে হবে। সুতরাং কোমরে ব্যথার কারণ এর উপরে নির্ভর করছে কতদিন তিনি ব্যথা মুক্ত থাকতে পারবেন।

পরিশেষে বলতে চাই আজকের তথ্য গুলো মূলত আমার আজকের রোগীর সাথে সম্পর্কিত ছিল। এ ধরনের সমস্যা অনেকেরই থাকতে পারে। তাদের সতর্কতার জন্য এবং তারা কিভাবে ভালো সিদ্ধান্ত নিবেন সেই বিষয়ে কিছু তথ্য দিয়ে সাহায্য করার জন্যই আজকের পোস্ট। সকলে ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।

ডাঃ মোঃ আহাদ হোসেন
এমবিবিএস, বিসিএস, এমডি, এফআইপিএম

06/09/2023

৯৬ বছর বয়সী একজন মুক্তিযোদ্ধা হাঁটু ব্যথা নিয়ে এসেছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ তার ব্যথা কমেছে। তার চেয়ে বড় বিষয় তিনি আমার চিকিৎসায় পূর্ণ সন্তুষ্ট। একজন রোগীর কাছ থেকে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু নাই। আলহামদুলিল্লাহ। তাঁর জন্য দীর্ঘ সুস্থ্যতা প্রার্থনা করছি।

04/09/2023

এম আর আই দেখে বুঝে নিন আপনার কোমরের ব্যথায় কোন ধরনের চিকিৎসা প্রযোজ্য।

03/09/2023

মাথা ব্যথা ?? করনীয় কি?

আজকের বিষয়ে কথা বলবেন ও প্রশ্নের উত্তর দিবেন
ডাঃ কে এম আহসান আহমেদ
এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), এফসিপিএস(নিউরোলজি)
কন্সালটেন্ট, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্স এন্ড হাসপাতাল
এবং
ডাঃ মোঃ আহাদ হোসেন
এমবিবিএস, এমডি, এফআইপিএম( ইন্ডিয়া)
চীফ কনসালটেন্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন ও পেইন ম্যানেজমেন্ট
কাটাবন, ঢাকা

03/09/2023

যারা মাথাব্যথার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভুগছেন তারা প্রস্তুত হন। মাথা ব্যথার গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আজকে আমাদের লাইভে সংযুক্ত হয়ে আলাপ করবেন একজন বিশিষ্ট নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। সংযুক্ত থাকুন প্রশ্ন করুন এবং আপনার মাথাব্যথা থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন আজ রাত ৯ টা ৩০ মিনিটে চোখ রাখুন লাইভে।

Photos from Dr. Md. Ahad Hossain's post 02/09/2023

আলহামদুলিল্লাহ, আজকে কোমরে ব্যথার দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইনজেকশন এর মাধ্যমে চিকিৎসা সম্পন্ন করলাম।

27/08/2023

ডেংগু ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবা সরকারি হাসপাতালে কোথায় কিভাবে পাবেন

Photos from Dr. Md. Ahad Hossain's post 27/08/2023

আলহামদুলিল্লাহ সফলভাবে দুটি ইন্টারভেনশনাল পেইন প্রসিডিউর সম্পন্ন করলাম।

কক্সিডাইনিয়া বা পুচ্ছদেশীয় ব্যথাঃ
আমাদের মধ্যে কারো কারো এমন সমস্যা হতে পারে যে আপনি আপনার অসহনীয় একটি ব্যথার কথা সবার সাথে শেয়ার করতে পারছেন না। আপনি যখন বসে থাকেন বা বসে বসে কাজ করছেন এটা কিছুক্ষণ পরে অসহনীয় হয়ে ওঠে। কারণ আপনি যে নিতম্বের উপরে ভর করে বসে থাকেন তার শেষ ভাগে কিছুক্ষণ বসে থাকলে একটি তীব্র ব্যথা অনুভব হয় এবং আপনি বসা অবস্থায় নড়াচড়া করতে থাকেন এবং উঠে যান।
এমন ধরনের ব্যথা কে বলা হয় কক্সিডাইনিয়া।

কক্সিডাইনিয়া বা পুচ্ছ দেশীয় ব্যথা কি?

আমাদের শরীরের মেরুদন্ডের শেষভাগে কক্সিস নামে ছোট একগুচ্ছ হাড় রয়েছে। এই হারগুলো একত্র মেরুদন্ডের শেষ ভাগের সাথে সংযুক্ত থাকে। যদি কোন কারনে এতে আঘাতপ্রাপ্ত হয় বা দীর্ঘমেয়াদি অল্প অল্প আঘাতে এই জয়েন্ট সরে যায় তাহলে এই অঞ্চলে, বিশেষ করে পায়খানার রাস্তার খুবই কাছাকাছি এই ব্যথাটি অনুভব হয়। এটাই হচ্ছে অক্সিডাইনিয়া বা পুচ্ছ দেশীয় ব্যথা নামে পরিচিত।

কারা এই ব্যথায় আক্রান্ত হন?
1. হঠাৎ করে উপর থেকে পরে গেলে বিশেষ করে গাছ থেকে বিছানা থেকে সজোরে নিচে আপনার নিতম্বের উপরে পড়ে গেলে। দুই থেকে তিন মাস পরে এ ধরনের ব্যথা আসতে পারে ।
2. দীর্ঘদিন যারা শক্ত কাঠের উপরে বসে কাজ করে।
3. দীর্ঘমেয়াদী যারা সাইকেল বা মোটরসাইকেল চালান, তাদের ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে এই ব্যথা আসতে পারে।
4. মোটরসাইকেল বা সাইকেল অ্যাক্সিডেন্ট জনিত কারণে তাৎক্ষণিক ব্যথা সেরে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে বা দুই থেকে তিন মাস পরে এই ব্যথা আসতে পারে।
5. স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের সময় পজিশনজনিত কারণে মায়েদের পুচ্ছ দেশীয় হারে ইনজুরি হতে পারে এবং তাতে করে দুই থেকে তিন মাস পরে এজাতীয় ব্যথা আসতে পারে।
6. পুচ্ছ দেশীয় হারের ইনজুরি ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি কষা পায়খানার সমস্যায় যারা ভুগে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে কারো কারো এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কক্সিডাইনিয়া ব্যাথায় করনীয় কি?

এই ধরনের ব্যথায় যারা ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রথম এই ব্যথাটি নির্ণয় করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ এখানে কিছু অভ্যাস পরামর্শ দেয়া হয় তা স্বাভাবিক অভ্যাস থেকে একটু আলাদা। যদি বোঝা যায় ব্যথাটি কক্সিডাইনিয়া জনিত কারণে হচ্ছে তাহলে প্রাথমিকভাবে আমরা রোগীকে পরামর্শ দেই শক্ত জায়গায় বসবেন না। বসার জায়গায় গদি বা নরম কিছু ব্যবহার করবেন। এ ধরনের ক্ষেত্রে কক্সিডাইনিয়া কুশন নামে একটি ব্রেস পাওয়া যায় যা বসার জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে। আরেকটি বসার টেকনিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সাধারণত নিতম্বের পেছনের অংশ দিয়ে বসতে পছন্দ করি, কক্সিডাইনিয়ার ব্যথা হলে আমরা রোগীদের পরামর্শ দেই নিতম্বের সামনের অংশ দিয়ে যেন বসে। তার মানে হচ্ছে একটু সামনের দিকে ঝুঁকে বসা। পেছনের দিকে হেলান দিয়ে বসলে এই ধরনের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। একই সাথে এই ব্যথা বেড়ে যেতে পারে এ ধরনের অবস্থা পরিহার করতে হবে যেমন মোটরসাইকেল চালনা, সাইকেল চালনা, দীর্ঘক্ষন বসে কাজ করা।

স্বাভাবিক চিকিৎসায় ব্যথা না গেলে করণীয় কি?

স্বাভাবিক পরামর্শে ব্যথা না গেলে এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ইন্টারভেনশন প্রক্রিয়ার সাহায্য নেয়া যেতে পারে। একাধিক গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত পুচ্ছ দেশীয় হারের সংযোগস্থলে একগুচ্ছ নার্ভ বা স্নায়ু রয়েছে, সেই নার্ভ বা স্নায়ুকে ব্লক করার মাধ্যমে ব্যথার চিকিৎসা করা হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় গ্যংলিওন ইম্পার ব্লক। এই প্রক্রিয়াটি ব্যথা মুক্ত ভাবে করা হয়, তবে এই প্রক্রিয়ায় একটি অত্যাধুনিক তাৎক্ষণিক এক্সরে মেশিন ব্যবহার করা হয়। অবশ্যই এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত ব্যথা বিশেষজ্ঞরাই এই প্রক্রিয়া করতে পারেন। এই ধরনের ইন্টারভেনশন চিকিৎসা পরবর্তী অবশ্যই সতর্ক পরামর্শ গুলো মেনে চলতে হবে।
ডাঃ মোঃ আহাদ হোসেন
এমবিবিএস, বিসিএস, এমডি, এফআইপিএম (ইন্ডিয়া)
কনসালটেন্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশ সেন্টার ফর পেইন ম্যানেজমেন্ট
২৩৪/সি নিউ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা

Photos from Dr. Md. Ahad Hossain's post 23/08/2023

আলহামদুলিল্লাহ সফলভাবে আরও একটি ওজন নিউক্লাইসিস সম্পূর্ণ করলাম।

পি এল আই ডি বা রোগে চাপ জনিত কোমরে ব্যথার অত্যাধুনিক চিকিৎসাঃ
দীর্ঘমেয়াদী কোমরে ব্যথার ক্ষেত্রে পি এল আই ডি বা রগে চাপ একটি অন্যতম কারণ। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে এই কারণটি খুব কমন নয়। সাধারণত কোমরে ব্যথার রোগীদের ক্ষেত্রে শতকরা ২-৫% ভাগ রোগীদের ক্ষেত্রে এই ধরনের পিএল আই ডি বা রগে চাপ জনিত কারণ থাকতে পারে।

পিএলআইডি বা রগে চাপ জনিত কারণে কোমরে ব্যথা হলে কিভাবে বোঝা যাবে?

এই ধরনের ক্ষেত্রে কোমরে ব্যথা সাধারণত কোমর থেকে দু পায়ের কোন এক পাশে অথবা উভয় পাশে নেমে যেতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে পা অবশ অনুভব হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ হচ্ছে হাঁটতে গেলে বা কোন বস্তু ঝুঁকে তুলতে গেলে এ ব্যথা প্রচন্ড আকার ধারণ করতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে এমনও হতে দেখা যায় যে সজোরে হাঁচি বা কাশি দেয়ার পর এই ব্যথা অনুভব হয় এবং এটি প্রচণ্ড আকার ধারণ করে। হেলান দিয়ে বসে থাকলে অথবা বিছানায় শুয়ে রেস্টে থাকলে এই ব্যথাটি প্রশমিত হয়।

পিএলআইডি বা রোগে চাপ জনিত কোমরে ব্যথার ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতি কি?

এ ধরনের ক্ষেত্রে কোমরে ব্যথা হলে প্রথমেই অপারেশন করাতে হবে বিষয়টি এমন নয়। রোগের লক্ষণ এবং এম আর আই পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে সাধারণত করণীয় নির্ধারণ করা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে যদি হঠাৎ করে প্রচন্ড ব্যথা, পা অবশ হয়ে যাওয়া, হাঁটতে না পারা, পায়খানা ও প্রস্রাবের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা এ জাতীয় লক্ষণ প্রকাশ পায়, তাহলে কোন অবস্থায় দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এক্ষেত্রে ঢাকা মেডিকেল কলেজ অথবা জেলাভিত্তিক কোন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অথবা নিউরো সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যেতে পারে। তবে এই জাতীয় ঘটনা খুব কমই দেখা যায়। রোগের অবস্থা প্রাথমিক দিকে থাকলে ঔষধের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয় প্রয়োজনীয় কিছু ব্যায়াম দেয়া হয়। এই ঔষধ, ব্যায়াম এবং অপারেশন জনিত চিকিৎসা এর মধ্যবর্তী অবস্থায় মিনিমাল ইন্টারভেনশন চিকিৎসা বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং ব্যাপক গবেষণা চলছে।

কি কি ধরনের ইন্টারভেনশন চিকিৎসা রয়েছে?

ওজন নিউক্লিওলাইসিস:
আমাদের শরীরের পুরো মেরুদন্ড একটার পর একটা কশেরুকা এবং তাদের মাঝখানে ডিস্ক দ্বারা সজ্জিত আছে। এই ডিস্ক মূলত শক এবজরবার হিসেবে কাজ করে। আমাদের ওজনকে বহন করে ও ভারসাম্য বজায় রাখে। ডিস্কের গঠনে বাইরের দিকে রাবারের মতো অংশ এবং ভেতরের দিকে জেলির মতো অংশ দিয়ে গঠিত থাকে। যদি কোন কারণে ডিস্কের সুস্থতা নষ্ট হয় বা ডিজেনারেশন জনিত কোন সমস্যা হয় তাহলে এর স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়। এছাড়াও যদি শরীরের ওজন অত্যাধিক রকম বেড়ে যায় তাহলেও এর স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলশ্রুতিতে ডিস্কের ভেতরে থাকা জেলির মতো অংশের উপরে চাপ পড়ে এবং এটি পেছনের দিকে বের হয়ে আসতে থাকে। ওজন নিউক্লিওলাইসিস এই পদ্ধতিতে ডিস্ক এর ভেতরে সূক্ষ্ম সূচের মত অংশ প্রবেশ করিয়ে এর মাধ্যমে সদ্য প্রস্তুতকৃত ওজন গ্যাস প্রয়োগ করা হয়। এই ওজন ডিস্ক এর ভেতরের জেলের মতো অংশের পানির অংশটুকু শুষে নেয়। যে কারণে ডিস্কের ভেতরে নেগেটিভ প্রেসার তৈরি হয় এবং ডিস্ক স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসার চেষ্টা করে। একই সাথে জেলির মতো অংশের তরল অবস্থা থেকে একটু শক্ত অবস্থা ধারণ করে যে কারণে ভবিষ্যতে পেছনের দিকে চাপ দেয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ইনজেকশন পরবর্তী সময়ের সতর্কতা মেনে চললে দীর্ঘমেয়াদী ভালো থাকা সম্ভব।

সিলেক্টিভ নার্ভ রুট ব্লক( এস এন আর বি)ঃ
এটি আরো একটি ইন্টারভেনশন প্রক্রিয়া। যখন মেরুদন্ডের ডিস্ক এর উপরে যে কোন কারণ জনিত চাপ পড়ে এবং এটি পেছনে থাকা স্নায়ু মূল বা নার্ভ রুটের উপরে চাপ প্রয়োগ করে। ফলে নার্ভ এ প্রদাহ হয় বা ফুলে যায়। এ কারণে রগে চাপ জনিত কোমরে ব্যথা কোন এক পাশে অথবা উভয় পাশে কোমর থেকে পা বরাবর নেমে আসে। এই ধরনের ক্ষেত্রে যদি কোন এক পাশে বা উভয় পাশে এ জাতীয় ঘটনা ঘটে তাহলে সুনির্দিষ্ট নার্ভ রুটে স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে নার্ভের প্রদাহ জনিত ফুলে যাওয়া রোধ করা সম্ভব। এর মাধ্যমে কোমর থেকে নেমে যাওয়া ব্যথা বা সিন শিন করা বা অবশ অবশ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

কডাল ইপিডুরাল ইনজেকশনঃ

এই প্রক্রিয়াটি আরো একটি ইন্টারভেনশন ইঞ্জেকশন প্রক্রিয়া। যদি মেরুদন্ডের একাধিক ডিস্কে সমস্যার কারণে বিভিন্ন লেভেলের নার্ভের উপরে চাপ পড়ে সেক্ষেত্রে অপারেশন যেমন ঝুঁকিপূর্ণ হয় তেমনি সুনির্দিষ্ট কোনো নার্ভে ইনজেকশন দিয়ে লাভ হয় না। এই ধরনের ক্ষেত্রে আমাদের মেরুদন্ডের শেষ ভাগে একটি ছিদ্র রয়েছে যার মাধ্যমে সূক্ষ্ম সূচ প্রবেশ করিয়ে স্টেরয়েড জাতীয় ইনজেকশন দেয়া হয়। এই ইনজেকশনের মাধ্যমে মেরুদন্ডের কোমরের উপরিভাগের থেকে একদম শেষভাগ পর্যন্ত রগে চাপ জনিত কোমরে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

ইন্ট্রা ডিসকাল পিআরপিঃ
এটি আরো এক ধরনের ইন্টারভেনশন জনিত কোমরে ব্যথার চিকিৎসা। এক্ষেত্রে যদি মেরুদন্ডের সুনির্দিষ্ট কোন ডিসকে ডিজেনারেটিভ সমস্যা জনিত কারণ দেখা যায়, সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ডিসকে প্লাটিলাইট রিচ প্লাজমা বা পি আর পি ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। এতে করে রি জেনারেশন এর মাধ্যমে ডিস্কের সুস্থতা বাড়ে এবং পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।

এই ধরনের ইন্টারভেনশন জনিত চিকিৎসায় কি খুব বেশি ব্যথা পাওয়া যায়?

খুব কমন একটি প্রশ্ন সবার। প্রকৃতপক্ষে এই ধরনের প্রত্যেকটি ইন্টারভেশন জনিত চিকিৎসায় একটি ইনজেকশন প্রয়োগের মতো খুবই সামান্য ব্যথা অনুভব হতে পারে। রোগীকে শুধুমাত্র কিছু সময়ের জন্য উপুর হয়ে শুয়ে থাকতে হয় এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এই ধরনের ইন্টারভেনশনে কি কোন ক্ষতি হওয়া সম্ভব না আছে?

উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি ইন্টারভেনশনে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ এতে যেই সুচ ব্যবহার করা হয় এটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম এবং এই সুচের দ্বারা কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। যদিও বা কোন কোন ক্ষেত্রে ভুল জায়গায় সুচ প্রবেশ করে তাহলে সেটি তাৎক্ষণিক এক্স-রে এর মাধ্যমে দেখা যায় এবং আবার সঠিকভাবে সুচটি প্রবেশ করিয়ে তাৎক্ষণিক এক্স-রে এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার পরেই ইঞ্জেকশন প্রদান করা হয়। সুতরাং এই প্রক্রিয়ায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম।

কোমরে ব্যথা ইনজেকশন জনিত চিকিৎসার ক্ষেত্রে কি হাসপাতালে ভর্তি থাকা লাগে?
সাধারণত সকল ইন্টারভেনশন জারিত চিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রয়োজন নেই। ইনজেকশন পরবর্তী ১৫ থেকে ৩০ মিনিট আমরা রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করি এবং এরপরে সে বাসায় যেতে পারে।

এই ধরনের ইন্টারভেনশন জনিত চিকিৎসায় খরচ কেমন?
এই প্রশ্নটি অনেকের মধ্যেই রয়েছে। অবস্থা ভেদে খরচ কিছু ওঠানামা করলেও কোমরে ব্যথার কারণে একটি অপারেশন জনিত চিকিৎসার খরচের থেকে এজাতীয় যেকোনো ইনজেকশনের খরচ এক তৃতীয়াংশ এর চেয়েও কম। তবে এই খরচ মূলত উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার কারণেই হয়ে থাকে।

এই ধরনের ইন্টারভেনশনে যে স্টেরয়েড জাতীয় ইনজেকশন দেয়া হয় তাতে কি শরীরের ক্ষতি হতে পারে?

এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা মুখে যদি ব্যথার জন্য দীর্ঘমেয়াদি স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ খাই এটি সারা শরীরে নির্দিষ্ট সময় পরে খারাপ ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু সকল ধরনের ইন্টারভেনশন জনিত কোমরে ব্যথার চিকিৎসায় খুবই সামান্য স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সুনির্দিষ্ট জায়গায় প্রয়োগ করা হয়। যার ফলে এতে দীর্ঘমেয়াদি শরীরে কোন খারাপ ফলাফল বয়ে আনা সম্ভাবনা থাকে না। বরং এতে দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ জনিত সমস্যার কারণে যে ব্যথা হয় সেটি নিরাময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

এ ধরনের ইন্টারভেনশন জনিত চিকিৎসায় কি রোগ পুরোপুরি সেরে যায়?

সকল ধরনের ইন্টারভেনশন জনিত চিকিৎসায় মেরুদন্ডের ডিস্ক কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া না গেলেও ডিস্ক যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় রেখে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ডিস্কের সুস্থতা ফিরিয়ে আনে যার মাধ্যমে রোগের লক্ষণ থেকে ভালো থাকা যায়, ব্যথা মুক্ত থাকা যায় এবং সতর্ক থাকলে দীর্ঘমেয়াদি অপারেশন জনিত চিকিৎসা এড়িয়ে চলা সম্ভব।

ডাঃ মোঃ আহাদ হোসেন
এমবিবিএস, বিসিএস, এমডি, এফআইপিএম (ইন্ডিয়া)
ইন্টারভেনশনাল পেইন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড টেন মানেজমেন্ট সেন্টার
২৩৪/সি নিউ এলিফ্যান্ট রোড, কাঁটাবন, ঢাকা।
এপয়েন্টমেন্টঃ +8801958060777

Want your practice to be the top-listed Clinic in Ramna?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

রোগীর তীব্র কোমরে ব্যথা হতে মুক্তি, চিকিৎসকের প্রশান্তি
কোমরে ব্যথা!! হিপ জয়েন্টের টিবি হলে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নেয়া অত্যন্ত জরুরি
দীর্ঘমেয়াদি হাঁটু ব্যথা!! হাঁটু তে পানি চলে এসেছে!! করনীয় কি??
দীর্ঘমেয়াদি হাটু ব্যথার কারণ হতে পারে Infrapatellar bursitis
দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় আক্তান্ত একজন রোগীর অভিজ্ঞতা।www.AhadHossain.com
কাঁধে ব্যথায় আলট্রাসনোগ্রাম কেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার নিকট এই আলট্রাসনোগ্রাম করবেন।
ক্যান্সারজনিত ব্যথা নিরাময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ এর সঠিক ব্যবহার জেনে নিন।
কোমরের জয়েন্টে ব্যথা!! অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
https://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2023/10/01/1322761

Category

Telephone

Address


Ramna
1205

Opening Hours

Monday 09:00 - 22:00
Tuesday 09:00 - 22:00
Wednesday 09:00 - 22:00
Thursday 09:00 - 22:00
Friday 09:00 - 22:00
Saturday 09:00 - 22:00
Sunday 09:00 - 22:00

Other Doctors in Ramna (show all)
Popular Diagnostic Centre Ltd. - Shantinagar Popular Diagnostic Centre Ltd. - Shantinagar
Ramna

Popular started its journey in June 1983 and within few days due to its accuracy of the reports and quality of the service, Popular became an unparalleled symbol of reliability and...

Health Related Items - BD Health Related Items - BD
Vhai-vhai Market, Sector-10, Road-12/A, Uttara, Dhaka
Ramna, 1230

আমরা মান সম্পন্ন মাস্ক এবং মেডিকেল আই

Dr. Fazal Academy Dr. Fazal Academy
Ramna, 1230

Ethelynda Brahmaiah Tiresheka Ethelynda Brahmaiah Tiresheka
Ethelynda Brahmaiah Tiresheka
Ramna, 9008

Frank Mcdonald Frank Mcdonald
Frank Mcdonald
Ramna, 9008

হোমিও পেশাজীবী সমিতি - হোপেস বাংলাদেশ হোমিও পেশাজীবী সমিতি - হোপেস বাংলাদেশ
40 No. Gausul Azam Super Market, Nilkhet Road
Ramna, 1205

হোপেস-হোমিও পেশায় নিয়জিত ব্যাক্তি ও প?