Hakim Ranjit
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Hakim Ranjit, Health & Wellness Website, Rangpur sadar, Rangpur.
তীব্র তাপদাহে শরীরের জন্য করনীয় কি? | তীব্র গরমে কিভাবে নিজেকে ভালো রাখবেন জানুন? Hakim Ranjit
দন্ড কলস এর ওষুধি গুনাগুণ | এই গাছের পাতা যে কতটা উপকারি তা জানলে আপনি অবাক হবেন! Hakim Ranjit
জিনসেং এর উপকারিতা | জিনসেং কেন খাবেন? কিভাবে খাবেন ? জিংসেন খাওয়ার নিয়ম
হিং শোধন পদ্ধতি এবং খাওয়ার উপকারিতা | hing er upokarita | Health benefits of Asafoetida
কিভাবে পাবেন? আশ্চর্য ভেষজ অশ্বগন্ধা | অশ্বগন্ধার উপকারিতা কি | ashwagandha benefits | Hakim Ranjit
অর্জিনাল আলকুশি বীজ চেনবেন কিভাবে? জানুন পুরুষত্ব ধরে রাখতে আলকুশি বীজের কার্যকারিতা | হাকিম রঞ্জিত
জেনেনিন ধুুতুরার উপকারিতা. .
জেনে নিন কুমারী লতার ডগা বহুবিধ ঔষধি গুনাগুন | কুমারী লতা গাছের উপকারিতা | Kumari lata gunagun
পাইলস বা অর্শ গেজ থেকে চিরমুক্তি কিভাবে পাবেন? শিয়াল মতী গাছ দেখতে কেমন? Piles Treatment at Home
জেনে নিন মিষ্টি কুমড়ার এত গুণ...
দূর্বা ঘাসের উপকারিতা....
* দূর্বা ঘাস চিবিয়ে কেটে যাওয়া স্থানে লাগিয়ে দিলেই রক্তপাত বন্ধ হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই কেটে যাওয়া স্থান ঠিক হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে দূর্বার শিকড় ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
* রক্তক্ষরণ, কেটে যাওয়া বা আঘাতজনিত রক্তপাত, চুল পড়া, চর্মরোগ, দন্তরোগ ও আমাশয়ে উপকারী।
* একটি পাত্রে এক লিটার নারিকেল তেল মৃদু তাপে জ্বাল করে ফেনা ফেলে নিন। তারপর দূর্বার ঘাসের টাটকা রস ২০০ মিলি সম্পূর্ণ তেলে মিশিয়ে ফের জ্বাল দিন। চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে সংরক্ষণ করুন। গোসলের ১ ঘণ্টা আগে ওই তেল চুলে মাখুন। নিয়মিত ২ থেকে ৩ মাস ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে।
* বমি বমি ভাব বন্ধের জন্য দূর্বা ঘাসের রস ২ থেকে ৩ চামচ ১ চা চামচ চিনির সঙ্গে মিশিয়ে ১ ঘণ্টা পর পর খাবেন। বমি ভাব কেটে গেলে খাওয়া বন্ধ করে দিন।
* আমাশয়ে দূর্বা ঘাসের রস ২ থেকে ৩ চামচ ডালিম পাতা কিংবা ডালিমের ছালের রস ৪ থেকে ৫ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার খান। এভাবে ১০ থেকে ১৫ দিন খেলে আমাশয় সেরে যায়।
জেনে নিন সকালে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা:...
১. ডায়াবেটিসে উপকারী: ১০০ গ্রাম ছোলায় আছে ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়া আছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম। এর সবই শরীরের উপকারে আসে।
২. যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে: যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। শ্বাসনালীতে জমে থাকা পুরনো কাশি বা কফ ভালো হওয়ার জন্য কাজ করে শুকনা ছোলা ভাজা। ছোলা বা বুটের শাকও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ রয়েছে এই ছোলায় ও ছোলার শাকে। ডায়াটারি ফাইবার খাবারে অবস্থিত পাতলা আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই শুধু রমজান মাস নয়, ১২ মাসেই ছোলা হোক আপনার সঙ্গী।৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখানো হয়, যে সকল অল্পবয়সী নারী বেশি পরিমাণে ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার খান, তাদের হাইপারটেনশনের প্রবণতা কমে যায়। যেহেতু ছোলায় বেশ ভাল পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড থাকে সেহেতু ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এছাড়া ছোলা বয়সসন্ধি পরবর্তীকালে মেয়েদের হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
৪. মেরুদণ্ডের ব্যথা দূর করে: এছাড়াও এতে ভিটামিন ‘বি’ও আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ভিটামিন ‘বি’ কমায় মেরুদণ্ডের ব্যথা, স্নায়ুর দুর্বলতা।
৫.ক্যান্সার রোধে: কোরিয়ান গবেষকরা তাদের গবেষণায় প্রমাণ করেছেন, বেশি পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড খাবারের সাথে গ্রহণের মাধ্যমে নারীরা কোলন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার এর ঝুঁকি থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারেন। এছাড়া ফলিক অ্যাসিড রক্তের অ্যালার্জির পরিমাণ কমিয়ে অ্যাজমার প্রকোপও কমিয়ে দেয়। আর তাই নিয়মিত ছোলা খান এবং সুস্থ থাকুন।
সতর্কতা:
যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা ছোলা একেবারেই খাবেন না। তবে অনেককেই দেখা যায় ছোলা না ভিজিয়ে দ্রুত সিদ্ধ করে খেতে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মনে রাখবেন, ছোলাকে অবশ্যই সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হয়। অথবা সেটি সম্ভব না হলে অন্তত ছয় ঘণ্টা ছোলা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে করে ছোলার বাহ্যিক কেমিকেল এবং ফাইটিংসগুলো চলে যাবে। হাকীম রনজি
আকরকরার উপকারিতা.... আকরকরা যৌনশক্তিবর্ধক ও উত্তেজক। শীতলজনিত রোগে বিশেষ উপকারী। অর্ধাঙ্গ, পক্ষাঘাত (প্যারালাইসিস), মৃগী ও মাথাব্যথা উপশমে কার্যকর। সর্দি, কাশি, বৃক্বের কফ নিঃসরণ ও বলকারক। আকরকরা দীর্ঘদিন থেকে কার্যকর ঔষধি উপাদান হিসেবে ওষুধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
গোক্ষুরা কাটার উপকারিতা . .. গোক্ষুরা রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করে তাই এথেরোস্ক্লেরোসিস এবং হৃদযন্ত্রের অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে। বৃক্ক (কিডনি) 'র জন্য: গোক্ষুরা একটি মূত্রবর্ধক। কাজেই শরীর থেকে অতিরিক্ত খনিজ পদার্থ বার করে দিয়ে বৃক্কে পাথর (কিডনি স্টোন) জমা হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। বৃক্কের কর্মক্ষমতাও উন্নত হয়।হাকীম রনজিৎ কুমার চন্দ (ডি ইউ এম এস).
আনারসের উপকারিতা..
পুষ্টির অভাব পূরণে আনারসের জুড়ি নেই। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস।
এতে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম থাকে যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। তাই হজমজনিত যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আনারস খাওয়া যেতে পারে।
আনারসে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে। জ্বর ও জন্ডিস প্রতিরোধেও আনারস বেশ উপকারী।
নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসেবে আনারস কাজ করে। এই ফলে প্রচুর আঁশ থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ওদিকে এতে কোনো ফ্যাট না থাকায় পরিমিত পরিমাণে আনারসের জুস পান করলে ওজন কমে।
দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় আনারস। ফলে শিরা-ধমনির মধ্য দিয়ে সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হয়।
এতে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। এ ছাড়া মাড়ির যেকোনো সমস্যা সমাধানে আনারস কার্যকরী।
চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাওয়া রোগ ‘ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন’ থেকে রক্ষা পেতে আনারস সাহায্য করে। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
আনারসে থাকা ক্যালরি আমাদের শক্তির জোগান দেয়। প্রোটিন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ ত্বকের নানা সমস্যায় আনারস যথেষ্ট কাজ করে।
আনারসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামও থাকে। ক্যালসিয়াম হাড় ক্ষয়ে যাওয়া রোধে কাজ করে। এতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত।
কৃমিনাশক হিসেবেও আনারসের সুনাম আছে। প্রতিদিন সকালে আনারস খেলে কৃমির উৎপাত বন্ধ হয়।
ফ্রি-রেডিকেল মানবদেহের কোষের ওপর বিরূপ ক্রিয়ার সৃষ্টি করে। ফলে দেহে ক্যানসারসহ হার্টের নানা রোগ দেখা দেয়। আনারসে আছে উচ্চমাত্রায় পানিতে দ্রবণীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি। এগুলো ফ্রি-রেডিকেল থেকে দেহকে সুরক্ষা প্রদান করে।
আনারসের অপকারিতা / পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া. ..
আনারস খেলে অনেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন। ফলে তাদের শরীরে চুলকানি, ফুসকুরি দেখা দেয়। এতে থাকা চিনি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। আনারস অ্যাসিটিক ফল। তাই খালি পেটে খেলে পেটব্যথা হতে পারে।হাকীম রনজিৎ কুমার চন্দ (ডি ইউ এম এস).
আখরোটের এত গুন ...... ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ করে : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আখরোট শরীরে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। মানসিক চাপ কমায় : ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ আখরোট মানসিক চাপ ও হতাশা কমাতে ভূমিকা রাখে। নিয়মিত আখরোট খেলে মুড ভালো থাকে। ওজন কমায় : আখরোটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, কপার ও জিঙ্ক রয়েছে। হাকীম রনজিৎ কুমার চন্দ।(ডি ইউ এম এস)
অশ্বগন্ধার উপকারিতা...
দারুচিনির উপকারিতা ও অপকারিতা
দারুচিনি অত্যন্ত সুস্বাদু মশলা। এটি হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী পরিচিত এর ঔষধি গুণাবলির জন্য। সাধারণত এটি একটি গাছের বাকল। যা অনেক রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রাখে।
দারুচিনির পুষ্টিগুণ
এটি পুষ্টিকর এবং প্রচুর ভিটামিনে পূর্ণ।
প্রতি ১০০ গ্রামে দারুচিনিতে পানি ১০.৫৮ গ্রাম, এনার্জি ২৪৭ কিলোক্যালরি, প্রোটিন ৩.৯৯ গ্রাম, ফ্যাট১.২৪ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৮০.৫৯ গ্রাম এবং শর্করা ২১৭ গ্রাম থাকে।
দারুচিনির উপকারিতা
এই মসলার বিশেষ গুণ হল এটি শুধু রান্নাঘরেই ব্যবহৃত হয় না, দারুচিনি অনেক ধরনের ওষুধ ও রোগের চিকিৎসায়ও উপকারী। দারুচিনি বহু বছর ধরে আয়ুর্বেদিক এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
১. দারুচিনির মূল উপকারিতা হলো এর ঔষুধি গুণাবলি। বিজ্ঞানীরা এর অনেক ঔষধি গুণাবলি খুঁজে পেয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে বিপাক হার বৃদ্ধি।
২. দারুচিনি শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। দারুচিনিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মানবদেহে ফ্রি র্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
৩. দারুচিনিতে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। গবেষণায় দেখা যায় যে, এই মসলা এবং এর অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলোর শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর এ কারণে এটি শরীরকে সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে এবং টিস্যুর ক্ষতি মেরামত করতে সহায়তা করতে অনেক কার্যকরী।
৪. হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও অনেক উপকারী দারুচিনি। এটি মোট কোলেস্টেরল থেকে খারাপ এলডিএল কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায় এবং ভালো এইচডিএল কোলেস্টেরলকে স্থিতিশীল রাখে। এ ছাড়া রক্তচাপ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও অনেক উপকারী।
৫. বিভিন্ন মানব গবেষণায় দেখা গেছে যে, দারুচিনির অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রভাব রয়েছে এবং এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ১০ থেকে ২৯.৮ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।
৬. আল্জ্হেইমার ও পারকিনসন রোগে উপকারী হিসেবে কাজ করতে পারে দারুচিনি। পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত ইঁদুরের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, দারুচিনি নিউরন রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা স্বাভাবিক করে।
৭. ওজন কমাতে দারুচিনি খুবই কার্যকরী। পানিতে দারুচিনি ফুটিয়ে সেই পানি ছেঁকে নিয়ে তাতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করলে খুব দ্রুত ওজন কমানো যায়।
৮. যাদের ঘুমে সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যও দারুচিনি উপকারী। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধে দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে অবশ্যই ভালো ঘুম হবে।
৯. পুষ্টিগুণে ভরপুর দারুচিনিতে রয়েছে প্রোসিয়ানিডিন যা চুলের ফলিকলকে উদ্দীপিত করে এবং দ্রুত বৃদ্ধি সহায়তা করে। এ ছাড়া দারুচিনি চুল পড়া কমাতে এবং টাক পড়া প্রতিরোধে সহায়তা করে।
দারুচিনির পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া
যে কোন খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া উচিত নয়। এতে উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হয়। ঠিক তেমনই অতিরিক্ত দারুচিনি খেলে লিভারের সমস্যা হতে পারে। যেসব ডায়াবেটিস রোগীরা রক্ত তরল করার ওষুধ নিয়মিত খান, তাদের বেশি মাত্রায় দারুচিনি না খাওয়াই ভালো।
দারুচিনি খাওয়ার নিয়ম
দারুচিনি সাধারণত গরম মশলা হিসেবে রান্নায় ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে দারুচিনি গুঁড়ো করে সেটা বিভিন্ন খাবারে মিশিয়ে খাওয়া যায় কিংবা চায়ের সঙ্গেও দারুচিনি মিশিয়ে খাওয়া যায়। এতে দারুন উপকার রয়েছে।হাকীম রনজিৎ কুমার চন্দ (ডি ইউ এমএস).
সাদা তিলে এতগুন... সাদা তিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা হাড় মজবুত করে এবং অস্টিওপোরোসিসের সম্ভাবনা কমায়। তিলের তেল কিন্তু খুবই উপকারি। তিলের তের গোড়ালি ফাটা, ঠোঁট ফাটা দারুণ কাজ করে। তিল তেল একটু গরম করে রোজ মালিশ করলে এক মাসের মধ্যেই নিষ্প্রাণ ত্বকে উজ্জ্বলতা এসে যায়, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।হাকীম রনজিৎ কুমার চন্দ (ডি ইউ এম এস).
পুনর্নাভার উপকারিতা ....
পুনর্নাভাতে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম নাইট্রেড ও ইউরোফোরিক অ্যাসিড আছে এছাড়া প্রচুর এলকালয়েড পাওয়ায় পনেরোটি অ্যামাই নো অ্যাসিড পাওয়াযায়। যার ছটি আমাদের শরীর তৈরি করতে পারেনা রাতকানা রোগে বা চোখ লাল শিকড় শিলে ঘষে ঘিয়ের সাথে মিশিয়ে চোখে কাজলের মতো নিয়মিত লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
* মূত্রযন্ত্রের (কিডনির ) উপর এর প্রধান কার্যকারিতা। কিডনির টনিক হিসেবে এ এক আশ্চার্যজনক কার্যকরী ভেষজ। শরীর থেকে মূত্রের মাধ্যমে যখন প্রোটিন বেরিয়ে যায় তখন পুনর্নভা প্রোটিন বেরোতে বাধা দেয়।
* গনোরিয়া রোগে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে এই ভেষজ।
*নিয়মিত বেবহারে কিডনির ডায়ালিসিসকেও বন্ধ করে দিতে পারে এবং প্রস্রাবের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে ৫০ এম.এল সকালে -বিকালে খেলে অভূতপূর্ব ফল পাওয়া যায় এবং কোনো পার্শ্বপতিক্রিয়া নেই।
* মূত্রপাথুরি ,সাদাস্রাবে শিকড় বেটে মিছরির সাথে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
*কেরালায় ট্রাডিশনাল মাদার কেয়ার প্ল্যান্ট হিসেবে সন্তান-সম্ভবা মায়েদের ক্ষেত্রে বহু যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। গর্ভবতীর বমি ,শৈথিল্য ,প্রস্রাবের অসুস্থতা ,জ্বর ,দুর্বলতা ,গ্যাস ,দাঁতের মাড়ি ফোলা ,যোনি থেকে রক্তপাত ইত্যাদিতে নিশ্চিতরূপে ব্যবহার করা যায়।
*রক্তচাপে পুনর্নাভার পাতা ,কালো মরিচ ,আদা ,জোয়ান সম পরিমানে নিয়ে চারগুন জল মিশিয়ে ফুটিয়ে চারভাগের একভাগ ছেঁকে সকল -বিকালে ৫-১০ গ্রাম হিসেবে খেতে হবে।
*পুনর্নাভা অনিয়মিত মাসিক এবং মাসিক জনিত ব্যথা এবং মাসিক জনিত ব্যাধিতে ব্যাবহৃত হয়।মাসিকজনিত খিঁচুনি কমাতে ,স্ফীতি কমায় ,জরায়ুতে রক্ত পিন্ড গঠনে বাধা দেয়।
*পুনর্নাভা একটি প্রাকৃতিক আন্টিঅক্সিডেন্ট উদ্ভিদ। এটা ফ্রী রেডিক্যাল ডেমেজের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের কুঞ্চন ,সুক্ষ রেখা গুলি মতো বার্ধক্যের উপসর্গ গুলির শীঘ্র আসা রোধ করে.
*পুনর্নাভা পাতার নির্যাস শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায়। এবং এভাবে রক্তে শর্করার পরিমান কমাতে সাহায্য করে।
পুনর্নভার মাত্রা :
পরম্পরাগতভাবে ১৫-২০ গ্রাম পুনর্নভা চূর্ন (দুধের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে ) এবং ১৫ এম.এল পুনর্নভা পাচন কোন উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপতিক্রিয়া ছাড়া ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুনর্নাভা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া...
* যদি আপনি কোন ওষুধ সেবন রত অবস্থায় পুনর্নাভা সেবনের আগে আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন কারন এটি ওষুধের কার্যকারিতা বন্ধ করতে পারে।
* পুনর্নাভা মূত্র বর্ধকহিসাবে পরিচিত , যার অর্থ এটি শরীর থেকে জল কমায়। তাই এটি নেবার আগে অবশ্যই আপনার বর্তমান অবস্থা আয়ুর্বেদ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।(তথ্য ইন্টারনেট) হাকীম রনজিৎ কুমার চন্দ. (ডি ইউ এম এস)
মৌরির এত গুন.…...... মৌরির শরবত: মৌরি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। সঙ্গে রাখুন মিচরি। এরপর তাতে দিন লেবু, বিটনুন। সঙ্গে দিন বরফের কিউব। এই পানি গরমের দিনে পেট ঠাণ্ডা রাখতেও সাহায্য করে।
ওজন কমাতে: মৌরিতে ফাইবার থাকে, যা অনেকক্ষণ ধরে পেটভর্তি রাখতে সহায়তা করে। খিদে পাওয়া থেকে বিরত করে মানুষকে। মৌরিতে ক্যালোরি কম যায় শরীরে। এর ফলে কমে ওজন।
হজমশক্তি বাড়ায়: মৌরি হজমশক্তি বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। হজম যদি সহজে হয়ে যায়, তাহলে মেদ ঝরাতেও সমস্যা হয় না। এতে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
হার্টের জন্য মৌরি: হার্ট যদি ভালো রাখতে চান, তাহলে মৌরির গুরুত্ব আপনাকে মানতেই হবে। ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবার। মৌরি শাক হার্টের পক্ষে ভালো। এটি হার্ট ভালো রাখতেও বেশ কার্যকরী ফল দেয়। এতে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রক্ত পরিষ্কার: মৌরি রক্ত পরিষ্কার করে ও শরীরে গ্যাসের সমস্যা কমিয়ে দেয়। ফলে শরীর থাকে চনমনে। হাকীম রনজিৎ কুমার চন্দ(ডি ইউ এম এস)।
বীর্যমূল/বীর্যমনি গুঁড়ার উপকারিতাঃ-
বীর্যমনি গুঁড়া দ্রুত বীর্যপাত বন্ধের সাহায্য করে থাকে।
বীর্য যদি পাতলা হয়ে থাকে তাহলে বীর্যমনি গুড়া সেবনের মাধ্যমে পাতলা বীর্য গাঢ় করতে সহায়তা করে।
পুরুষের শারীরিক দুর্বলতা থাকে বীর্যমনি খাওয়ার ফলে শারীরিক দুর্বলতা এবং মানসিক যৌন দুর্বলতা দূর হয়।
তথ্য ইন্টারনেট...
মধু সাথে তেজপাতা খেলে কি হয়..
গোলমরিচ এর এত গুন... গোলমরিচের উপকারিতা...
১. গোলমরিচ হজমে সাহায্য করে।
গোলমরিচ হজমে সাহায্য করে। গোলমরিচের মধ্যে পিপারের নামক একটি উপাদান থাকে যার জন্য গোলমরিচকে স্বাদে ঝাঁঝালো লাগে। গোলমরিচের মধ্যে আছে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড। যা হজমে সাহায্য করে।
২. গোলমরিচ ওজন কমাতে সাহায্য করে।
গোলমরিচ ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ, গোলমরিচ ফ্যাট সেল গুলোকে ভেঙে দেয়। যার ফলে ওজন কমে ক্যালরি কম হয় এবং এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. ক্যান্সারের অন্যতম ওষুধ হলো গোলমরিচ।
গোলমরিচের মধ্যে আছে পেপারের নামক একটি উপাদান যা ক্যান্সারের অন্যতম ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গোলমরিচে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । যা ক্ষতিকর ফ্রী রেডিকেলসে্র হাত থেকে এবং আমাদের শরীরকে ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচায়।
৪. সর্দি কমাতে সাহায্য করে গোলমরিচ।
সর্দি-কাশি কমাতে গোলমরিচ দারুন ভাবে কাজ করে। এক চামচ মধু ও গোলমরিচ গুঁড়ো সর্দি কাশির সমস্যাকে সমাধান করতে পারে। এটি বুকে জমে থাকা সর্দি দূর করতে সাহায্য করে। ভাইরাস জনিত ইনফেকশন রোধ করতে সাহায্য করে।
সর্দি কাশি ছাড়াও, যদি জ্বর আসে তাহলেও গোলমরিচ কাজ করে। গোলমরিচে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা অ্যান্টিবায়োটিক এর মত কাজ করতে পারে। জ্বরের সময় গোলমরিচ খেলে খুব ঘাম হয় এবং তার ফলে জ্বর ছেড়ে যায়। গলা ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে গোলমরিচ। তাই ঠান্ডা লাগলে গোলমরিচ খেতে পারেন।
সর্দি কাশির সময় মুখে স্বাদ থাকে না। সেই সময় মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে গোলমরিচ।
৫.দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে গোলমরিচ।
গোলমরিচ দাঁত সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়াও গোলমরিচ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর ফলে শরীরের ব্যথা কমে।
৬. গোলমরিচ ত্বকের জন্য উপকারী।
গোলমরিচ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী গোলমরিচ শরীরকে ভেতর থেকে সচল রাখতে সাহায্য করে। বাইরের ক্ষতিকর সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি হাত থেকে ত্বকের রক্ষা করে। তাছাড়াও ত্বক কে গুরিয়ে যাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৭. গোলমরিচ আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
গোলমরিচ খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। গোলমরিচের মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং সেলেনিয়াম রয়েছে। যেগুলি সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। তাই প্রতিদিন চার-পাঁচটা গোলমরিচ খাওয়া ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
৮. ঘুম ঘুম সমস্যা দূর করে গোল মরিচ।
যাদের ঘুমঘুম লাগে বা সর্বদা বিরক্ত থাকেন। তাহলে গোলমরিচের চা খান। এটি মস্তিষ্কের ডোপমাইন নামক একটি রাসায়নিক ছড়াবে। যা আপনাকে ভালো বোধ করো করাবে।
৯. গোলমরিচ মুখের ভিতরে খারাপ সমস্যার সমাধান করতে পারে।
যাদের মাড়িতে রক্ত পড়ে বা দাঁত খারাপ হতে শুরু করেছে। তারা গোলমরিচ পিষে লেবুর রস এবং নুন ভালো করে মিশিয়ে নেওয়ার পরে ম্যাসাজ করু।ন ম্যাসাজ করার ফলে মুখের খারাপ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
১০. গোলমরিচ আমাশয় দূর করতে সাহায্য করে।
যারা আমাশয় ভুগছেন তারা গোলমরিচ গুঁড়ো সকাল বিকাল দুই বেলা জলের সঙ্গে খেতে পারে। দু-তিন দিন খেলেই আমাশয় দূর হয়ে যাবে।
১১. নাসা রোগ দূর করতে সাহায্য করে গোলমরিচ।
নাসা এ রোগের মূল কারণ হলো রসবহ স্রোতের বিকার আর সমস্যা হয় গলা থেকে উপর দিকটা। নাসা রোগের লক্ষণ হল নাকে সর্দি তারপর নাক বন্ধ, কখনো কখনো কপালে ব্যথা, গন্ধ না পাওয়া, এমনকি খাবারের রুচিও কমে যায়, আবার কারো কারো ঘাড়ে যন্ত্রণা করে, নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। এইরকম সমস্যা হলে-- পুরনো আখের গুণ পাঁচ গ্রাম, মত গরুর দুধের দই ২৫ গ্রাম মত তবে এই দই বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারলে ভালো হয়। তার সঙ্গে এক গ্রাম গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে সকালে ও বিকালে দুবার করে খেতে হবে। তিন চারদিন পর থেকে কমতে শুরু করবে।
১২. গোলমরিচ ক্রিমির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
গোল মরিচ গুড়ো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সকাল বিকাল দুবার খেতে হবে তাহলেই ক্রিমির মতো সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
১৩. গোলমরিচ টাক পড়ে যাওয়ার মত সমস্যা রোধ করা যায়।
টাক পড়ে যাওয়ার সমস্যায় বেশির ভাগ মানুষই ভুগতে থাকেন। তাই যারা টাক পড়ে যাওয়ার মত সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এই টিপসটি খুব কাজে লাগবে। যে স্থানে টাক পড়ে গেছে সেই স্থানে পেঁয়াজের রস লাগান এবং তারপরে ওই জায়গায় গোলমরিচ ও সিন্দুক লবণ একসঙ্গে বেটে লাগিয়ে রাখতে হবে। এইভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলেই দেখতে পাবেন নতুন চুল গজাতে থাকবে।
১৪. চোখের অসুখ সারাতে সাহায্য করে গোল মরিচ।
গোলমরিচ খেলে চোখের অসুখ সেরে যায়। গোলমরিচ চোখে কাজলের মতো করে দিতে পারলে চোখে ঝাপসা দেখা এবং ছানি পড়ে যাওয়া এইসব সমস্যা দূর করা যেতে পারে।
১৫. গোলমরিচ হেঁচকি বন্ধ করতে সাহায্য করে।
একটি গোলমরিচ সুঁচ দিয়ে ফুটিয়ে প্রদীপের শিখায় যদি ধরা হয়। তো ওই গোলমরিচ পুড়ে যে ধোঁয়া উঠবে ওটা শুকলে হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে।
১৬. পেটের অসুখ সরাতে গোলমরিচ সাহায্য করে।
পেট ফাঁপা বা পেটে পুরানো গোলমরিচ খেলে তা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। একটি কিসমিসের সঙ্গে গোলমরিচ চিবিয়ে খেলে মস্তিষ্ক সহ পাকস্থলের দূষিত বায়ু নষ্ট হয়ে যায়। লেবুর রস ও আদা সঙ্গে অল্প গোলমরিচগুলো মিশিয়ে খেলে পেটে ব্যথা কমে যায়।
১৭. ফোঁড়া সারাতে গোলমরিচ সাহায্য করে।
ফোঁড়া সারাতে গোলমরিচ উপকার করে। গোল মরিচ বেটে ফোঁড়াতে লাগালে ফোঁড়ার কমতে পারে।
১৮. ম্যালেরিয়া সারাতে গোলমরিচ সাহায্য করে।
তুলসী পাতার রস, গোল মরিচের গুড়ো আর মধু ভালো করে মিশিয়ে নেওয়ার পর খেলে ম্যালেরিয়া ভালো হয়ে যায়।
এছাড়াও চুলকানি কমাতে, আম্বাত কমাতে কলেরা কমাতে, বাচ্চাদের খিদে বাড়াতে, জ্বর সারাতে, দাঁতের ব্যথা সারাতে, পেটের বায়ু কমাতে, ঢুলুনি রোগ কমাতে, ব্যথা কমাতে ইত্যাদ রোগ সারাতে গোলমরিচ আমাদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে থাকে।
গোল মরিচের অপকারিতা : গ্রীষ্মের সময় গোলমরিচ অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে নাকের রক্তপাতের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় গোলমরিচ খাওয়া উচিত নয়।
যাদের অ্যালার্জি আছে গোলমরিচে, তারা যদি গোল মরিচ খায়। তাহলে ত্বকের চুলকানি, ফোলা ভাব এবং লাল ভাবের মত কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
কালো গোলমরিচের গন্ধে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা ও তৈরি হতে পারে।
প্রাকৃতিকভাবে গোলমরিচ গরম তাই গোলমরিচ যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয় তাহলে পেটে জ্বালা ভাব অনুভব হবে।
যাদের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা আছে। তাদের গোলমরিচ খেলে পেটের অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই সমস্যা যাদের আছে তারা গোল মরিচ থেকে দূরেই থাকবেন।
গোলমরিচ চামড়া এবং বিশেষত চোখে সরাসরি যোগাযোগ থেকে রক্ষা করাই ভালো। গোলমরিচ খেলে চোখে প্রচুর জ্বালাও হতে পারে।
আমাদের মনে রাখতে হবে প্রতিদিন টাটকা গোলমরিচ ব্যবহার করলে এই সুফল পাওয়া যাবে আর ও অতি আরো মনে রাখতে হবে যে অতিরিক্ত কোন জিনিসই ভালো নয়। গোলমরিচ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে উপকার নয় বরং হতেই হবে তাই সঠিক পরিমাণে অল্প করে গরম খেলেই গোলমরিচের সুফল পাওয়া যাবে। হাকীম রনজিৎ কুমার চন্দ (ডি ইউ এমএস)।
পানের ঔষধি গুনাগুণ:
(১). মাউথ ফ্রেশনার : পান পাতা খাওয়ার ফলে যে রস উৎপাদন হয় তা আমাদের দাঁত আর মাড়ি সুস্থ রাখে | এছাড়াও পান পাতার রস আমাদের মুখের ভেতরটা পরিষ্কার রাখে | এমনকী মুখের মধ্যে রক্তপাতও বন্ধ করে | পান বেটে তার রস এক কাপ হাল্কা গরম পানিতে মিশিয়ে রোজ সকালে তা দিয়ে গর্গর করুন | কয়েকদিনর মধ্যেই তফাত দেখতে পাবেন |
(২). নাক থেকে রক্ত পড়া থামায় : অনেক সময় সান স্ট্রোক হওয়ার ফলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে | এটা বন্ধ করতে একটা পান পাতা পাকিয়ে তা নাকের মধ্যে গুঁজে দিন | মাথা পিছনের দিকে হেলিয়ে রাখেতে হবে | কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে | আসলে পান পাতা খুব তাড়াতাড়ি রক্ত জমাট বাঁধিয়ে দিতে পারে |
(৩). কানের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে : পান পাতার আরো একটা বড় বেনিফিট হল এটা কানের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে | কয়েক ফোঁটা পানের রস আর কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে কানের মধ্যে দিলে ব্যথা কমে যাবে | তবে এই ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো |
(৪). অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন : ছোটখাটো কাটা ছেড়ায় পান পাতা বেটে লাগিয়ে দিতে পারেন | এছাড়াও যাদের আর্থারাইটিস আছে তাদের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে পান পাতা | (৫). ডিওডোরেন্টের কাজ করে : বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তাহলে নিজেই পরীক্ষা করে দেখুন | গোসল করার পানিতে কিছুটা পান পাতার রস মিশিয়ে নিন | এই জল দিয়ে চান করলে সারাদিন ফ্রেশ লাগবে | এছাড়াও ঘাম কম হবে | পান পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সেই পানি পান করলে ঘামের গন্ধ কমবে | এমনকী মহিলাদের মেনস্ট্রুয়েশন স্মেল ও কমবে । (৬). প্রস্রাব করতে সাহায্য করে : বিশেষত কিডনির রোগ আছে যাদের তাদের প্রস্রাব করতে কষ্ট হয় | এই কষ্ট কমাতে সাহায্য করে পান পাতা | শরীর থেকে দ্রুত পানি বের করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে পান পাতার | দুধের সঙ্গে পান বেটে খেলে এই ব্যাপারে সাহায্য পাবেন |
(৭). ভ্যাজাইনাল হাইজিন ঠিক রাখে : ভ্যাজাইনাল বার্থের পর তাজা পান পাতা ভ্যাজাইনাকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে | এছাড়াও ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ বা ভ্যাজাইনাল ইচিং ও সারিয়ে দেয়
(৮). ত্বকের জন্য ভালো : খুব কম লোকেই জানে পানে যে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রপার্টি আছে তা পিম্পল‚ অ্যাকনে সহজেই সারিয়ে তোলে | এছাড়াও বিভিন্ন স্কিন অ্যালার্জি‚ ফুসকুড়ি‚ কালো ছোপ‚ সান বার্ন সারিয়ে দেয় | এর জন্য কয়েকটা তাজা পান পাতা আর কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে লাগাতে হবে |
(৯). মাথা ব্যথা কমায় : গরমের কারণে মাথা ব্যথা করলে কপালে কয়েকটা পান পাতা রাখুন | এছাড়াও পান পাতার রস লাগালে তাড়াতাড়ি মাথা ব্যথা কমে যায় |
(১০). অ্যান্টি ফাংগাল : শরীরের যে সব অংশে ফাংগাল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা আছে‚ যেমন পায়ের আঙুল‚ প্রভৃতি সেই সব জায়গায় পানপাতার রস লাগান | কয়েকদিনের মধ্যে ইনফেকশন সেরে যাবে |
(১১). সতর্কতা বাড়ায় : ইদানিং কি লেথার্জিক লাগছে? তাহলে মধুর সঙ্গে পান পাতা বেটে খান | এতে এনার্জি তো ফিরে পাবেনই একই সঙ্গে মেন্টাল ফাংশানিংও জোরদার হবে |
(১২). সর্দি কমায় : বুকে সর্দি জমে গেলে সরিষার তেল আর পান পাতা ভালো করে গরম করে বুকে লাগাতে হবে | এছাড়াও ঠান্ডা লেগে সর্দি হলে পান পাতা‚ এলাচ‚ লবঙ্গ একসঙ্গে ফুটিয়ে গাঢ় করে খেতে হবে |
(১৩). হজমশক্তি বাড়ায় : সাধারণত খাওয়ার পর পান খাওয়া হয় | এটা করা হয় কারণ পান হজম করতে সাহায্য করে | গ্যাস‚ অম্বলও কমায় | এছাড়াও যাদের কনস্টিপেশনের সমস্যা আছে তাদের জন্যেও উপকারী | পেট খারাপ হলে পেটে যে ব্যথা করে অনেকসময় তাও কমাতে সাহায্য করে |(১৪). মেটাবলিজম বাড়ায় : নিয়মিত পান খেলে শরীরের মেটাবলিজম বাড়ে | এর ফলে ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যায় | যা বিভিন্ন প্রটিন‚ ভিটামিন‚ মিনারেল অ্যাবজর্ব করতে সাহায্য করতে |
(১৫). খিদে বাড়ায় : পেটের পিএইচ লেভেল ঠিক করতে সাহায্য করে পানের রস | এর ফলে পেটে বায়ু হয় না এছাড়াও পেট ফাঁপা কমায় | পান পাতা শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে | এর ফলে খিদে বাড়ে |
(১৬). ক্ষত নিরাময়ে: পান পাতায় আছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল রাসায়নিক। তাই পান পাতা বেটে ক্ষতস্থানে দিলে দ্রুত ক্ষত নিরাময় হয়। পান পাতা ব্যবহার করলে সংক্রমণের ভয়ো থাকে না। পানের বেদনানাশক গুণ থাকায় ব্যথা হতে মুক্তি মেলে।
(১৭). গলা খুসখুস কমাতে: গলা খুসখুস করলে পান পাতার ৫ মিলিলিটার রস এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে আস্তে আস্তে খান। আরাম পাবেন। বিখ্যাত অনেক গায়ক গলা ভাল রাখতে এই সূত্র ব্যবহার করেন। (তথ্য ইন্টারনেট )হাকীম রনজিৎ কুমার চন্দ.
পাথর কুচির পাতার এত গুন... বহুকাল আগে থেকেই মানুষ তার রোগবালাই সারানোর জন্য শরণাপন্ন হতো নানান ধরেনর ভেষজ পদ্ধতির উপর। এই সকল ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করে তারা নিজেদের এবং পরিবারের নানান ধরণের রোগবালাই তখন নিরাময় করতেন। কিন্তু সময় পাল্টেছে। বর্তমানে মানুষ আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির উপর নির্ভরশীল হলেও এখনো অনেকেই নির্ভরশীল রয়েছেন ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতির উপর। কারণ ভেষজ উদ্ভিদে কোন ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না বিধায় এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে বর্তমানে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে পূর্বের তুলনায় বহুগুণ বেশি।পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ।
আমাদের বাড়ির আশেপাশে প্রায়ই এক ধরণের উদ্ভিদ দেখা যায়। এই উদ্ভিদগুলো পাতা থেকে খুব সহজে চারা করা যায়। কোন ধরণের যত্নআত্তি ছাড়াই আমাদের বাড়ির আশেপাশে এই উদ্ভিদটি হয়ে থাকে। এই উদ্ভিদটির নাম হল পাথরকুচি। পাঠকুচি একটি বিরুৎ প্রজাতির উদ্ভিদ।
এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Kalanchoe pinnata Pers .বাড়ির পাশেপাশে সৌন্দর্য বর্ধনের অংশ হিসেবে আমরা এই গাছটি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি জানেন কি এটি সৌন্দর্যবর্ধনকারী ছাড়াও এটি একটি ঔষুধি উদ্ভিদ হিসেবে বেশ পরিচিত। এটি আকৃতিতে দুই থেকে প্রায় তিন ফুট উচ্চতার হয়ে থাকে।
এর পাতার আকৃতি বেশ পুরো হয়ে থাকে। এর পাতার অংশে বিশেষ খাজে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। এর পাতা থেকে চারা করা হয় থাকে। পাথরকুচি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেল মাধ্যমে।
পাথরকুচি পাতা কিভাবে খেতে হয়?
সৌন্দর্যবর্ধনকারী উদ্ভিদ ছাড়াও পাথরকুচি উদ্ভিদকে ঔষুধি উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।বহুকাল আগে থেকে পাথরকুঁচিকে ঔষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। কিন্ত আপনি কি জানেন ঠিক কোন রজার সমস্যায় আপনি পাথরকুঁচিকে খেতে পারবেন ?কিংবা কিভাবে পাথরকুচি খাওয়া যায় ?চলুন জেনে নেই পাথরকুচি কিভাবে খাওয়া হয়
আপনার যদি আপনার শরীরের মধ্যে কোন অংশ জ্বালাপোড়া করে থাকে তাহলে আপনি পাথরকুচির পাতা নিয়ে তা গরম পানি দিয়ে তা ভালো করে ধুয়ে নিবেন। পরবর্তীতে আপনি তা বেটে দিয়ে আপনি নিয়মিত খাবেন। এভাবে আপনি খুব শীগ্রই এই সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
আপনি যদি কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি দিনে দুইবার পাথরকুচির পাতা চিবিয়ে তার রস খাবেন। তাহলে খুব ধীরে ধীরে আপনার কিডনির পাথর অপসারণ করতে পারবেন।
আপনি যদি গলগন্ড রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি প্রতিদিন এই পাথরকুচির পাতার রস আপনি দুইবেলা খেতে পারেন এতে বেশ উপকার পাবেন।
সর্দি জনিত সমস্যায় আপনি নিয়মিত পাথরকুচি পাতার রস বেটে তার সাথে মধু নিয়ে নিয়মিত খেলে বেশ উপকার পাবেন।
জন্ডিস প্রতিরোধে আপনি নিয়মিত পাথরকুচি পাতা বেটে তার রস আপনি নিয়মিত খেলে অল্প সময়ের মধ্যে বেশ উপকার পাবেন।
পাথরকুচি পাতা কিভাবে খেতে হয়
পাথরকুচি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে সাথেই থাকুন।
পাথরকুচি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
পাথরকুচি এমন একটি উদ্ভিদ যা সাধারণ গাছ সহ নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেই পাথরকুচি পাতার নানাবিধ উপকারিতা সম্পর্কে-
ঠান্ডা প্রতিরোধে:
আপনি যদি ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজে এই সমস্যাটি থেকে মুক্তি পেতে পারেন পাথরকুচি পাতার রস খাওয়ার মাধ্যমে।
কিডনির রোগ প্রতিরোধে:
আপনি যদি কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিয়মিত পাথরকুচি পাতার রস খেতে পারেন। এতে বেশ উপকার পাবেন।
ফোড়া প্রতিরোধে:
আপনার যদি ফোড়া হয়ে থাকে তাহলে আপনি ফোড়া ব্যথা নিরাময় করবে চাইলে আপনি খেতে পারেন পাথরকুচি পাতার রস। এতে বেশ উপকার পাবেন।
শরীরের জ্বালাপোড়া প্রতিরোধে:
আপনি যদি শরীরের নানান ধরণের জ্বালাপোড়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি খেতে পারেন পাথরকুচি পাতার রস। এতে বেশ উপকার পাবেন।
পিত্তথলির সমস্যায়:
আপনি যদি পিত্তথলির সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত পাথরকুচির পাতার রস খেলে বেশ উপকার পাবেন।
শরীরের কাটা অংশে ব্যথা প্রতিরোধে:
আপনার যদি শরীরের কোন অংশে কেটে যায় তাহলে আপনি সে স্থানে আপনি পাথরকুচি পাতার রস ব্যবহার করলে অল্প সময়ের মধ্যে আপনি তা প্রশমন করতে পারেন।
মৃগীর সমস্যা সমাধানে:
কোন রোগী যদিমৃগীর সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে রোগ উঠার সময় তার মুখে দু ফোটা পাথরকুচি পাতার রস দিলে খুব দ্রুত এই রজার প্রশমন করতে পারবেন।
পাকস্থলির সমস্যা সমাধানে:
আপনার যদি পাকস্থলীর সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিয়মিত খেতে পারেন পাথরকুচি পাতার রস। এতে অল্প সময়ে আপনি উপকার পাবেন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে:
রক্তচাপ প্রশমনে নিয়মিত পাথরকুচি পাতা খেলে বেশ উপকার পাবেন।
ডায়বেটিক প্রশমনে:
যারা যারা ডায়বেটিক আক্রান্ত রয়েছে তারা নিয়মিত পাথরকুচি পাতার রস খেলে বেশ উপকার পাবেন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে:
আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে পাথরকুচি। নিয়মিত পাথরকুচি পাতা বেটে আপনার ত্বকের ব্যবহার করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে আপনার ত্বকের।
অর্শ রোগ কিংবা পাইলস রোগ প্রতিরোধে:
আপনি যদি অর্শ কিংবা পাইলস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন থামলে নিয়মিত খেতে পারেন এই পাথরকুচির রস। তাহলে বেশ উপকার পাবেন।
শিশুদের শারীরিক সমস্যা সমাধানে:ছোট শিশুরা নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই শিশুর পেটের পীড়ার মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে আপনার শিশুকে দিতে পারেন পাথরকুচি পাতার রস। এতে আপনার শিশু বেশ উপকার পাবে।
পানিবাহিত রোগপ্রতিরোধে:
শরীরের নানা ধরণের পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী একটি সমাধান হল পাথরকুচি পাতা। তাই যেকোনো ধরণের পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে আপনি পাথরকুচি পাতার রস বেটে খেলে বেশ উপকার পাবেন।
খোঁস পাচড়া প্রতিরোধে:
শরীরে কোন ধরণের এলার্জির সংক্রমন হলে আমাদের শরীরে নানাবিধ খোস পাচড়ার আক্রমন দেখা যায়। তাই সমস্যা সমাধানে আপনাম ব্যবহার করতে পারেন পাথরকুচি পাতার রস। এতে আপনি খুব সহজে কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
পাথরকুচি পাতার অপকারিতা
উপকারিতার পাশাপাশি পাথরকুচি পাতার রয়েছে বেশ কিছু অপকারিতা। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক পাথরকুচি পাতার অপকারিতা সম্পর্কে-
অতিরিক্ত পাথরকুচি পাতার রস খেলে মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অতিরিক্ত পাথরকুচি পাতার রস খেলে পেটের নানাবিধ সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
অতিরিক্ত পাথরকুচি পাতার রস খেলে পিত্তথলির সমস্যা হতে পারে।
অতিরিক্ত পাথরকুচি পাতার রস খেলে ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত পাথরকুচি পাতার রস খেলে কলেরা কিংবা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
উপসংহারঃ পাথরকুচি আমাদের ভেষজ চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নানা ধরণের রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হয় এটিকে।আশা করি আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের পাথরকুচি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।যা আপনার নানাবিধ শারীরিক সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। হাকীম রনজিৎ কুমার চন্দ (ডি ইউ এমএস)।
দন্ডকলস গাছের উপকারিতা.. দন্ডকলস উদ্ভিদ এ রয়েছে নানা ঔষধী গুন। এর পাতার রস তেঁতো হলেও ফুলের মধু মিষ্টি স্বাদের। সর্দি ও কাশি হলে এই গাছের পাঁতা সিদ্ধ করে কালোজিরে দিয়ে খেলে উপশম হয়। কাশি হলে দন্ডকলসের পাতা ও শিকড় রস করে আদা সহ গরম পানি দিয়ে খেলে কাশি কমে যায়। হাকীম রনজিৎ
আপেলের উপকারিতা:
আপেল এমন একটি ফল যার উপকার বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে ত্বক ও চুলেও আপেলের পুষ্টিগুণের ভূমিকা অপরিসীম। নিম্নে আপেলের কয়েকটি বিশেষ উপকারিতার দিক উল্লেখ করা হলোঃ
১. ক্যান্সার প্রতিরোধে: গবেষণায় দেখা গেছে ক্যান্সার কোষ প্রতিরোধে আপেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন যদি কমপক্ষে একটি করে আপেল খাওয়া হয় তাহলে ক্যান্সারের মত রোগকে প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত রোধ করা যায়। ফুসফুস ক্যান্সার, কোলেক্টোরাল ক্যান্সার, পাকস্থলীর ক্যান্সার সহ এমনকি ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও আপেল উপকারী একটি ফল। আপেলের মধ্যে থাকা এন্টি অক্সিডেন্টে নতুন ডিএনএ তৈরিতে সাহায্য করে এবং টিউমার কোষ ধ্বংস করে থাকে৷
২. ওজন কমাতে: একটি নরমাল সাইজের আপেলে প্রায় ৩-৪ গ্রাম পরিমাণ ফাইবার বিদ্যমান থাকে৷ ফাইবার আমাদের হজম প্রক্রিয়ার গতি কমাতে সাহায্য করে ফলে খাবার হজম হওয়ার জন্য বেশি সময় প্রয়োজন হয়। যার কারণে আমাদের দ্রুত ক্ষুধা পায় না এবং অতিরিক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে পারি৷ তাছাড়া আপেল রক্তে স্যুগারের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত ক্ষুধা-ভাব দূর করে। ফলে সহজেই আমাদের ওজন রোধ করা যায় আপেল খাওয়ার মাধ্যমে।
৩. পেটের সমস্যা দূরীকরণে: আপেলে বিদ্যমান পলি-ফেনল ও ফাইবার কোলনের নালি পরিষ্কার রাখে এবং পাচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা সচ্ছল রাখে। ফলে শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক থাকে এবং পেট পরিষ্কার থাকে। এভাবে আপেল খাওয়ার মাধ্যমে বদহজম কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য এর মতো সমস্যা দূর করা যায়।
৪. এস্তেমা দূরীকরণে: এস্তেমার এলার্জি দূরীকরণে বিশেষত লাল রঙের আপেল ও খোসা অধিক উপকারী। কেননা এতে অধিক পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা প্রাকৃতিক এন্টি হিস্টরনের কাজ করে। যা এলার্জি নিরাময়ে সহায়তা করে।
৫. দাঁতের রঙ উজ্জ্বল: আপেলের রস দাঁতের সমস্যা রোধে বেশ উপকারী। আপেলে থাকা ফাইবার মুখে এসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ফলে মুখের আদ্রতা বজায় থাকে, মুখের শুকনো ভাব দূর হয় এবং দাঁতের রঙ উজ্জ্বল হয়৷ তাছাড়া চিবিয়ে আপেল খেলে ক্যাভিটি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
৬. লিভার সুস্থ রাখে: লিভার ও অগ্নাশয়ের খুব কমন কিছু সমস্যা হলো পিত্তথলিতে পাথর, জন্ডিস, ফ্যাটি লিভার ইত্যাদি। নিয়মিত আপেল খেলে আপেলে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট লিভারের বিষক্রিয়াকরণ সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং লিভার সুস্থ থাকে।
৭. হাড় মজবুত করতে: আপেল একটি মিনারেলে ভরপুর ফল। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদির মতো জরুরি খনিজ পদার্থ। আর এই সকল খনিজ পদার্থ হাড়ের ক্ষয় সমস্যা দূরীকরণে ও হাড় মজবুত করতে বিশেষ ভুমিকা রাখে।
৮. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে: মিনারেলস এর পাশাপাশি আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে৷ যা আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে সজীব রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া আমরা জানি রাতকানা রোগ নিরাময়ের অন্যতম উপায় হলো ভিটামিন-এ যুক্ত খাবার খাওয়া। এক্ষেত্রে সবুজ আপেল বেশ কার্যকর।
৯. ব্রণ বা কালো দাগ দূরীকরণেঃ ত্বকের সমস্যা দূর করতে আপেলের ভূমিকা নজিরবিহীন। ত্বকের সমস্যা দূরীকরণে আপেলে থাকা ভিটামিন-সই সাহায্য করে৷ তাছাড়া আপেলের সাথে আমলকি, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে ব্যাবহার করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রণের দাগ কিংবা কালো ছাপ সহজে দূর করা যায়।
১০. চুল পড়া রোধে: আপেলে থাকা প্রোক্যান্ডিন বি -২ চুল লম্বা করতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। তাছাড়া আপেল থেকে তৈরি হয় হয় আপেল সিডার ভিনিগার যা চুলের সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয় যেমন চুল পড়ে যাওয়া ও খুশকি।
আপেলের কিছু ক্ষতিকর দিক:
১. আপেল খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো সকালবেলা।ফলে হজমজনিত সমস্যা দূর হয়। অনেকেই জানতে চান রাতে আপেল খেলে কি হয়, রাতে আপেল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত কারণ আপেলে থাকা জৈব এসিড পাকস্থলীর এসিডকে সক্রিয় করে তোলে। ফলে পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই রাতে এবং সন্ধ্যার পর আপেল খেলে গ্যাস হয় এবং পেট ফাপা লাগতে পারে।
২. কারো যদি ফ্রুক্টোজের এলার্জি থেকে থাকে তাহলে অতিরিক্ত আপেল খেলে বদহজম কিংবা বমিভাব এর মত সমস্যা হতে পারে।
৩. আপেল অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার হওয়ায় গর্ভবতী মা ও স্তনপান করানো মহিলাদের ক্ষেত্রে আপেল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। হাকীম রনজিৎ কুমার চন্দ (ডি ইউ এম এস)রেজিঃ ১৮৩৫.
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Rangpur
5400
Shahmurad Complex, Shahid Mukhtar Elahi Cottor, Dhap Rangpur
Rangpur, 5404
এখানে দেশী-বিদেশী ঔষধ, সার্জিক্যাল আই?
Rangpur
Rangpur
To create health awareness, Health Wary is always at your service. HealthWary helps raise awareness
Rangpur
Rangpur, 5400
Health is a state of complete physical, mental and social well-being and not merely the absence of d
Prescription Point, Can't Public Road, Dhap, Medical More
Rangpur, 7300
To develop awareness about mental health
Hasnabad High School Road
Rangpur, 5600
হাসনাবাদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র
Rangpur
Rangpur
Senior Scientific Officer at Bangladesh Institute of Research and Training on Applied Nutrition.
Shatgara Mistree Paara, S M Allauddin Road
Rangpur, 5400
Message me if you would like to learn more about how hard work and determination can help you build