হামরা রংপুরের সবুজপ্রেমী - HRSP

হামরা রংপুরের সবুজপ্রেমী - HRSP

সবুজ বিস্তারের লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়ুন।

22/09/2024

এডেনিয়াম

21/09/2024

আপনি চাইলে ছাদেই গড়ে তুলতে পারেন পারিবারিক পুষ্টি বাগান।সেক্ষেত্রে ভালমানের বীজ সংগ্রহ করা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক পরিচর্যাও জানা প্রয়োজন।
ছাদ বাগানের শাক-সবজির পরিচর্যা জন্য এই সাধারণ বিষয়গুলো মেনে চলুন-
১. মাটি প্রস্তুতকরণ:বাগানের জন্য ভালো মাটি বাছাই করুন। মাটিতে জৈব সার (কম্পোস্ট) মিশিয়ে নিন।- মাটির পিএইচ স্তর ৬-৭ এর মধ্যে থাকা উচিত।
২. সার প্রয়োগ:সবজি রোপণের আগে মাটিতে ভালোভাবে পচা গোবর বা কম্পোস্ট সার মেশান।- নির্দিষ্ট সময় পর পর জৈব সার প্রয়োগ করতে থাকুন।
৩. সঠিক পানি সেচ: প্রতিদিন সকালে বা সন্ধ্যায় গাছের গোড়ায় পানি দিন।- অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
৪. রোদ ও বাতাস:ছাদের এমন স্থানে গাছ রাখুন যেখানে পর্যাপ্ত রোদ ও বাতাস চলাচল করে।- শীতকালে গাছগুলো রোদের মধ্যে রাখুন এবং গ্রীষ্মকালে ছায়া প্রদান করুন।
৫. পোকামাকড় ও রোগ প্রতিরোধ:নিয়মিত গাছগুলো পরীক্ষা করুন এবং পোকামাকড় দেখলে জৈব কীটনাশক ব্যবহার করুন।- গাছের পাতা বা ডালপালা রোগাক্রান্ত হলে তা কেটে ফেলুন।
৬. গাছ ছাঁটাই:গাছের মরা বা রোগাক্রান্ত পাতা এবং ডাল ছাঁটাই করুন।- নতুন ডাল গজানোর জন্য গাছ নিয়মিত ছেঁটে দিন।
৭. সবজির ফসল তোলা:সবজি পরিপক্ক হলে সঠিক সময়ে তুলুন যাতে গাছ নতুন করে ফল দিতে পারে।
৮. মালচিং: মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য মালচিং করুন। মালচিং ফিল্ম অথবা শুকনা খড় ব্যবহার করতে পারেন।

21/09/2024

টবের গাছের জন্য ঘরোয়া জিনিস দিয়ে সার তৈরি।

১. কলার খোসা: পটাসিয়ামের জন্য টুকরো টুকরো করে মাটিতে পুঁতে বা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ব্যবহার করুন।

২. কফি পাউডার: অম্লীয় উদ্ভিদের জন্য দুর্দান্ত।

৩. ডিমের খোসা: ক্যালসিয়ামের জন্য গুঁড়ো করে মাটিতে পুঁতে দিন।

৪. ইপসম সল্ট: ম্যাগনেসিয়ামের জন্য দ্রবীভূত করুন।

৫. অ্যাকোয়ারিয়ামের পানি: উপকারী পুষ্টিতে পূর্ণ।

৬. কাঠের ছাই: পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের জন্য ছিটিয়ে দিন।

৭. শাক সবজির উচ্ছিষ্ট : ২-২.৫ মাস পচিয়ে ব্যবহার করুন।

৮. ব্যবহৃ চা: পুষ্টি সমৃদ্ধ সার মাটির জন্য উপকারী।

৯. চাল/ ডাল ধোয়া পানি: সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করুন।

১০. পেঁয়াজের খোসা: পটাসিয়ামের জন্য ভিজিয়ে রেখে ব্যবহার করুন।

07/09/2024

এ মাসের কৃষি

07/09/2024

ডালিম ফল ফেটে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার।

ডালিম ফল ফেটে যাওয়া একটি মারাত্মক সমস্যা। এটি কোন ছত্রাকজনিত রোগ নয়। এটি সাধারণত পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত কারণে বা মাটিতে রসের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে। ফলের বৃদ্ধির সময় শুকনো আবহাওয়ায় মাটিতে রসের অভাব দেখা দিলে ফলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং ফলের ত্বক শক্ত হয়ে যায়। এরপর হঠাৎ বৃষ্টি হলে মাটিতে রসের আধিক্য ঘটে, ফলে ফলের ভেতরের অংশ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পায় এতে ভেতরের চাপ সহ্য করতে না পেরে ফলের খোসা ফেটে যায়।

প্রতিকার:

ফলধারণের পর থেকে ডালিম গাছে নিয়মিত পানি সেচ দিতে হবে। প্রয়োজনে খুব সকালে ও সন্ধায় পুরো গাছ পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে।

মাটিতে বোরনজনিত সার যেমন বোরিক এসিড গাছপ্রতি ২০ গ্রাম হারে মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে।

এছাড়া ফলের বৃদ্ধির সময় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে সলুবোর বোরন মিশিয়ে ১০ দিন অন্তর অন্তর ফলে ও গাছে স্প্রে করতে হবে।

জৈবসার প্রয়োগ করলে ফল ফেটে যাওয়া অনেকটাই কমিয়ে রাখা যায় বা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায়।

13/08/2024

কাঠগোলাপ

15/07/2024

সার প্রয়োগঃ ছাদ বাগানে খুব সহজে সার দেয়ার কার্যকর পদ্ধতি
সাধারণত চারা রোপণের পর গাছ মাটির সাথে লেগে গেলে রাসায়নিক সার প্রয়োগ শুরু করতে হয়। সেটা ১৫ থেকে ২০ দিন হতে পারে।
প্রতি মাসে তিনবার সার প্রয়োগ করতে হবে।
প্রথমবার: এক লিটার পানি নিন। উক্ত পানিতে হাফ চা চামচ করে ইউরিয়া (সাদা সার) + এমওপি/পটাশ (লাল সার) + টিএসপি (মেটে সার) এবং এক চিমটি করে সালফার অথবা বোরণ দুটোর যেকোন একটি দিতে হবে।
সকল সার গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এবার ভালোভাবে পানির সাথে মিশিয়ে প্রয়োজনমত গাছের গোড়ায় ঢেলে দিতে হবে। মাটি ভেজা থাকলে শুকানোর পর গোড়ায় দিবেন।
দশ দিন পর: দ্বিতীয় বার: এক লিটার পানি নিন। উক্ত পানিতে হাফ চা চামচ ইউরিয়া + এক চিমটি দস্তা দিতে হবে। সকল সার গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এবার ভালোভাবে পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করে গাছ ভালোবাবে ভিজিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজনমত গোড়ায় ঢেলে দিতে হবে। মাটি ভেজা থাকলে শুকানোর পর গোড়ায় দিবেন।
দশ দিন পর: তৃতীয় বার: এক লিটার পানি নিন। উক্ত পানিতে হাফ চা চামচ ইউরিয়া + সালফার অথবা বোরণ দুটোর মধ্যে প্রথমবার যেটি নিয়েছেন সেটি বাদে অন্যটি নিতে হবে।
সকল সার গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এবার ভালোভাবে পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করে গাছ ভালোবাবে ভিজিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজনমত গোড়ায় ঢেলে দিতে হবে। মাটি ভেজা থাকলে শুকানোর পর গোড়ায় দিবেন।
প্রথম ও তৃতীয় বারের বেলায় একবার সালফার দিলে আরেকবার বোরণ এভাবে বদলিয়ে নিতে হবে।
সার মিশ্রিত পানির পরিমাণ: সার মিশ্রিত পানির পরিমাণ গাছের বয়স ও ধরণ অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন হবে। চারা, ছোট গাছের জন্য অল্প পরিমাণ পানি দিতে হবে।
যে সকল গাছ পানি কম সহ্য করতে পারে, সেগুলো পানির পরিমাণ কম দিতে হবে। মোদ্দা কথা হলো- যতটুকু পানি দিলে ২৪ ঘন্টায় শুকিয়ে যাবে ততটুকু পরিমাণ পানি গোড়ায় দিতে হবে।
স্প্রে করার ক্ষেত্রে গাছ ভিজাতে যতটুকু লাগে ততটুকু দিতে হবে। পড়ন্ত বিকেলে স্প্রে করতে হবে। গোড়ায় যেকোন সময় দেয়া যাবে।
এভাবে তৃতীয় বারের পর পুনরায় প্রথমবারের ন্যায় চক্রাকারে সার প্রয়োগ চলতে থাকবে।

* জৈব সার, হারের গুড়া, নিম খৈল, শিং কুচি মাটির সাথে এক মুঠো করে মিশিয়ে দিতে পারেন প্রতি টবে।
*থিয়োভিট ২ গ্রাম পরিমান প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
* বোরন সার ১ গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।

সরিষা খৈল ৭ দিন পচিয়ে সেই পচা পানি গাছের গোড়ায় দিবেন।

12/07/2024

লেবু গাছে গুটি কলম করার পদ্ধতি।

লেবু গাছের গুটি কলম পদ্ধতি খুব সহজ। এর জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। এ কলম খুব সহজভাবে করতে পারেন। অন্যান্য ফলের গাছ থেকে লেবু গাছের গুটি কলম পদ্ধতির সফলতা তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়। তাই এখনই জেনে নিন লেবু গাছের কলম করার পদ্ধতি সম্পর্কে-

কলমের সময়: গুটি কলম করার উপযুক্ত সময় বৈশাখ-আষাঢ় মাষের মধ্যে। ইংরেজি জুন-আগস্ট মাসের মধ্যে।

গাছ ও শাখা নির্বাচন: কলম করার জন্য দেড়-দুই বছর বয়সী গাছের ডাল নির্বাচন করতে হবে। বা এর বেশি বয়সী গাছের পেন্সিলের মতো মোটা ডালের মধ্যেও গুটি কলম করা যায়। মাতৃ গাছ থেকে পেন্সিলের মতো মোটা ডালকে বেছে নিতে হবে। পেন্সিলের মতো ডালটির মধ্যে একটি গিঁটের নিচে কলমটি করতে হবে।

যা প্রয়োজন: বাকল তোলার জন্য ধারালো ছুরি, মাটির পেস্ট মোড়ানোর জন্য পলিথিন, পলিথিন দিয়ে ঢাকা মোড়কটি বাঁধার জন্য সুতলি এবং মাটির পেস্ট পচা (গোবর ও মাটি) ইত্যাদি।

মাটির পেস্ট: গুটি কলম করার জন্য প্রথমেই মাটির পেস্ট তৈরি করতে হবে। জৈবসার মিশ্রিত ৩ ভাগ এঁটেল মাটি ও ১ ভাগ পঁচা গোবর বা পাতা পঁচা একত্রে পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। পেস্টটিতে প্রয়োজনমতো পানি দিতে হবে। মাটিতে পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে একটু শক্ত অথচ হাত দিয়ে টিপলে নরম হবে, এরকম তৈরি করতে হবে।

কলম করার পদ্ধতি

• প্রথমে মাতৃ গাছ থেকে একটি পেন্সিলের মতো মোটা ডাল বেছে নিতে হবে।

• মাতৃ গাছের নির্বাচিত ডালের আগা থেকে ৪০-৫০ সেমি লম্বা একটি গিঁটের নিচে কলমটি করতে হবে।

• ডালের মধ্যে একটি গিঁটের নিচে ৩-৪ সেমি মাপে ডালের ছাল গোল করে ধারালো ছুরি দিয়ে কাটতে হবে।

• সাবধানে কেবল ডালটির বাকল উঠিয়ে ফেলতে হবে। ডালটির শক্ত কাঠটিতে আঘাত লাগানো যাবে না।

• বাকল ওঠানোর পর কাঠটিতে লেগে থাকা সবুজ রঙের আবরণটি ছুরি দিয়ে চেঁছে কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে।

• মাটির পেস্টটি ডালের মধ্যে কাটা অংশটির মধ্যদিয়ে ভালোভাবে ঢেকে দিতে হবে।

• যেন বাকল তোলা পুরো জায়গায় ঠিকমত মাটির পেস্টটি বসে।

• ঢেকে দেওয়ার পর ২০ সেমি লম্বা পলিথিন দিয়ে মাটির বলটি ঢেকে দিয়ে দু’দিকে উপরে এবং নিচে সুতলি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।

• কলম করা ডাল অর্থাৎ গুটির মধ্যে শিকড় আসতে সময় লাগে প্রায় ২.৫-৩ মাস।

• লেবু গাছে ২-২.৫ মাসের মধ্যেই শিকড় বেরিয়ে যায়। প্রথমে সাদা রঙের শিকড় দেখা যাবে।

• শিকড় যখন খয়েরি বা তামাটে হবে, তখন গুটিসহ ডালটি গাছ থেকে কেটে নিতে হবে।

• গুটির পলিথিন সরিয়ে ডালটি ছায়া জায়গায় পলিথিন ব্যাগ অথবা টবে ৪-৫ সপ্তাহ রাখতে হবে।

• পলিথিন ব্যাগের মধ্যে কলম করা ডালটি লাগানোর কিছুদিন পরই পলিথিন ব্যাগের ভেতরে শিকড় দেখা যাবে।

• বাইরে থেকেই শিকড়গুলো দেখতে পাবেন। যদি পলিথিনটি পরিষ্কার হয়। এবং নিয়মিত সেচ দিতে হবে।

• কলম করা ডালটি ৪-৫ সপ্তাহ রাখার পরে লাগানোর উপযুক্ত হয়ে যাবে।

লেখক:
জসিম উদ্দিন সরদার
সহকারী শিক্ষক

09/07/2024

I got 6 reactions and 1 reply on my recent top post! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you. 🙏🤗🎉

বৃষ্টি ভেজা রুপ

06/07/2024

বৃষ্টি ভেজা রুপ

05/07/2024

ছাদে বাগান করার সাধারণ পদ্ধতি।

হাফ ড্রাম এর তলদেশে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য ১ ইঞ্চি ব্যাসের ৫ থেকে ৬ টি ছিদ্র রাখতে হবে।
ছিদ্রগুলোর উপর মাটির টবের ভাঙ্গা টুকরো বসিয়ে দিতে হবে।

ড্রামের তলদেশে ১ ইঞ্চি পরিমান ইটের খোয়া বিছিয়ে তার উপর বালি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
সমপরিমান দোঁআশ মাটি ও পচা গোবরের মিশ্রণ দিয়ে ড্রামটির দুই তৃতীয়াংশ ভরার পর প্রতি হাফ ড্রামে মিশ্র সার আনুমানিক ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম প্রয়োগ করে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে এবং সম্পূর্ণ ড্রামটি মাটি দিয়ে ভর্তি করে নিতে হবে।

১৫ দিন পর ড্রামের ঠিক মাঝে মাটির বল পরিমান গর্ত করে নির্বাচিত গাছটি রোপণ করতে হবে। এ সময় চারা গাছটির অতিরিক্ত শিকড় বা মরা শিকড়সমূহ কেটে ফেলতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে মাটির বলটি যেন ভেঙ্গে না যায়।
রোপিত গাছটি খুটি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।
রোপণের পর গাছের গোড়া ভালভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে।

সময়ে সময়ে প্রয়োজন মত গাছে পানি সেচ ও উপরি সার প্রয়োগ, বালাই দমন ব্যবস্থা নিতে হবে।
রোপণের সময় প্রতিটি হাফ ড্রামে ৪-৬ টি সিলভামিক্স ট্যাবলেট সার গাছের গোড়া থেকে ১৫ সেন্টিমিটার দুর দিয়ে মাটির ১০ সেন্টিমিটার গভীরে প্রয়োগ করতে হবে।
এ ছাড়া লতানো গাছের জন্য বাউনি/জাংলা/মাচা দিতে হবে। ছাদ বাগানের আগাছা দমন করতে হবে। সেচের পর মাটিতে চটা বাঁধলে মালচিং করে দিতে হবে। অপ্রয়োজনীয়, বয়স্ক, মরা শাখা অপসারণ করতে হবে। প্রয়োজনে ফল ধারণ বৃদ্ধির কৃত্তিম পরাগায়ন করা যেতে পারে।

তথ্য সূত্র: মৃত্যুঞ্জয় রায়, ২০১৭, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা।

30/06/2024

সঠিকভাবে ফল গাছ কলম করার জন্য টিপস
উপকরণ প্রয়োজনঃ
ধারালো গ্রাফটিং ছুরি
গ্রাফটিং টেপ বা রাবার ব্যান্ড
রুটস্টক এবং সাইন কাঠ
ছাঁটাই কাঁচি
অ্যালকোহল ঘষা (জীবাণুমুক্তকরণের জন্য)
গ্রাফটিং সিলান্ট বা মোম
ধাপে ধাপে নির্দেশিকা
1. রুটস্টক এবং সায়ন নির্বাচন করা
রুটস্টক: সায়ন জাতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ স্বাস্থ্যকর, রোগ-প্রতিরোধী রুটস্টক নির্বাচন করুন।
সায়ন: একটি স্বাস্থ্যকর, উৎপাদনশীল গাছ থেকে সিয়ন কাঠ চয়ন করুন, নিশ্চিত করুন যে এটি রুটস্টকের ব্যাসের সাথে মেলে এবং বেশ কয়েকটি কুঁড়ি রয়েছে।
2. সময়
সেরা ঋতু: শীতের শেষের দিকে বা বসন্তের প্রথম দিকে কুঁড়ি ফুলে ওঠার আগে।
3. টুল প্রস্তুত করা হচ্ছে
জীবাণুমুক্ত করার সরঞ্জাম: রোগের সংক্রমণ রোধ করতে অ্যালকোহল ঘষা দিয়ে পরিষ্কার করুন।
4. কাট মেকিং
রুটস্টক কাটা: রুটস্টকের উপর একটি পরিষ্কার কাটা তৈরি করুন (চাবুক এবং জিহ্বা, ফাটল, বা বাকল গ্রাফ্ট আকারের উপর নির্ভর করে)।
সায়ন কাট: সায়নের কাটা রুটস্টকের সাথে মিলিয়ে নিন। চাবুক এবং জিহ্বা গ্রাফ্টগুলির জন্য, একটি ছোট চেরা দিয়ে একটি তির্যক কাটা তৈরি করুন।
5. রুটস্টক এবং সায়ন যোগদান
ক্যাম্বিয়াম স্তরগুলি সারিবদ্ধ করুন: সবুজ ক্যাম্বিয়াম স্তরগুলি সাবধানে সারিবদ্ধ করুন।
গ্রাফ্ট সুরক্ষিত করুন: ভাল যোগাযোগ নিশ্চিত করতে গ্রাফটিং টেপ বা রাবার ব্যান্ড দিয়ে বাঁধুন।
6. গ্রাফ্ট রক্ষা করা
গ্রাফ্ট সিল করুন: আর্দ্রতা হ্রাস এবং রোগ প্রতিরোধ করতে গ্রাফটিং সিলান্ট বা মোম প্রয়োগ করুন।
লেবেলিং: রুটস্টক এবং সাইয়নের তারিখ এবং জাত সহ লেবেল।
7. আফটার কেয়ার
জল দেওয়া: ভালভাবে জল রাখুন তবে জলাবদ্ধতা এড়ান।
সূর্যালোক: গ্রাফ্টকে চাপ এড়াতে পরোক্ষ সূর্যালোকে রাখুন।
ছাঁটাই: স্কয়নে শক্তি পাঠানোর জন্য গ্রাফ্ট ইউনিয়নের নীচের কান্ডগুলি সরান।
8. পর্যবেক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ
গ্রাফ্ট পরীক্ষা করুন: নতুন বৃদ্ধি এবং ব্যর্থতার লক্ষণগুলির জন্য নিয়মিত পরিদর্শন করুন।
টেপ সরান: একবার সুস্থ হয়ে গেলে, কোমর বন্ধ করতে টেপটি সরান।
সমর্থন: গ্রাফ্ট রক্ষা করার জন্য প্রয়োজন হলে সহায়তা প্রদান করুন।
সাফল্যের জন্য টিপস
অনুশীলন নিখুঁত করে: গ্রাফটিং অনুশীলনের সাথে উন্নতি করে। বিভিন্ন কৌশল নিয়ে পরীক্ষা করুন।
স্বাস্থ্যকর উপকরণ: স্বাস্থ্যকর, রোগমুক্ত রুটস্টক এবং সাইন ব্যবহার করুন।
ধৈর্য: কলম নিরাময় এবং বৃদ্ধির জন্য সময় দিন। প্রাথমিক ব্যর্থতা দ্বারা নিরুৎসাহিত হবেন না.
এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে, আপনি সফলভাবে ফল গাছ কলম করতে পারেন, উন্নত ফলের গুণমান এবং গাছের কার্যকারিতার সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

14/06/2024

গুটি কলম করার পদ্ধতি।

একটি গাছ থেকে যদি অনেকগুলো চারা গাছ তৈরি করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে গাছে কলম করার পদ্ধতি। যেহেতু এখন জুন মাস চলছে তাই চারা উৎপাদন

কলম গাছ তৈরির জন্য যে বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তাহলো যে গাছ থেকে অনেকগুলো চারাগাছ তৈরি করবেন সে গাছটি অবশ্যই ভালো জাতের হবে।

গাছ ও শাখা নির্বাচন:

কলম করার জন্য দেড়-দুই বছর বয়সী সুস্থ, নীরোগ, তরতাজা গাছের ডাল নির্বাচন করতে হবে। বা এর বেশি বয়সী গাছের পেন্সিলের মতো মোটা ডালের মধ্যেও গুটি কলম করা যায়। মাতৃ গাছ থেকে পেন্সিলের মতো মোটা ডালকে বেছে নিতে হবে। পেন্সিলের মতো ডালটির মধ্যে একটি গিঁটের নিচে কলমটি করতে হবে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

বাকল তোলার জন্য ধারালো ছুরি, মাটির পেস্ট মোড়ানোর জন্য পলিথিন, পলিথিন দিয়ে ঢাকা মোড়কটি বাঁধার জন্য সুতলি এবং মাটির পেস্ট পচা (গোবর ও মাটি) ইত্যাদি।

গাছে কলম পদ্ধতি উপায়ে চারা তৈরির জন্য যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন সেগুলো হলো-

১। কলম তৈরির জন্য দুই বছর বয়সী গাছ নির্বাচন করুন।

২। যদি দুই বছর বয়সী গাছ না পান তবে ডালের দিকে খেয়াল করুন। পেনসিলের মতো মোটা ডাল আছে এমন গাছ নির্বাচন করুন।

৩। মনে রাখবেন, সব ডাল কলমের জন্য উপযোগী নয়। চারা তৈরির জন্য ডালে গিট আছে এমন বেছে নিতে হবে।

৪। যে ডালে গিট আছে সে ডাল থেকেই চারা তৈরি হবে। এরজন্য গিঁটের নিচে থেকে ডালটি কেটে নিন।

৫। এবার ডালটির গিঁটের নিচের অংশের বাকল ধারালো ছুরির সাহায্যে ৩-৪ সেমি মাপে কেটে তুলে ফেলুন।

৬। গুটি কলম করার জন্য প্রথমেই মাটির পেস্ট তৈরি করতে হবে। জৈবসার মিশ্রিত ৩ ভাগ এঁটেল মাটি ও ১ ভাগ পঁচা গোবর বা পাতা পঁচা একত্রে পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। পেস্টটিতে প্রয়োজনমতো পানি দিতে হবে। মাটিতে পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে একটু শক্ত অথচ হাত দিয়ে টিপলে নরম হবে, এরকম তৈরি করতে হবে।

৭। মাটির পেস্ট হবে আটার রুটি তৈরির মতো বলের মতো। ডালে এ মাটি লাগিয়ে দেয়ার পর তার ওপর পলিথিন মোড়াতে হবে।

৮। এবার মোড়ানো পলিথিন যেন ডাল থেকে সরে না যায় এজন্য সুতলি দিয়ে তা বেঁধে দিন। খেয়াল রাখবেন বেঁধে দেয়া পলিথিনের ভেতরে থাকা মাটি যেন শুকিয়ে না যায়।

৯। এভাবে টানা তিন মাস সময় পার হওয়ার পর সেখানে শিকড় বেরোতে শুরু করবে।

১০। ব্যাস, শিকড় বড় ও খয়েরি রং ধারণ করলে ডালটি কেটে নিন। এ অবস্থায় চারা গাছটি পলিথিনের ভেতরে মোড়ানোই রাখুন। প্রয়োজন অনুসারে পানি ছিটিয়েও দিতে পারেন শিকড় ও পাতায়। এভাবে দুই সপ্তাহ পার হলে টবের মাটিতে চারা গাছটি লাগিয়ে নিন।

06/06/2024

জৈব বালাইনাশক, পর্ব-২.

৮. কালো কচুর পাতা দ্বারা:

এক কেজি কালো কচুর পাতা ৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩০ মিনিট সিদ্ধ করুন। ঠান্ডা করে ছেকে ব্যবহার করুন। এতে কীড়া, বাদামী গাছ ফড়িং, পাতা শোষক পোকা দমন হয়।

৯. আতা ও শরীফার পাতা দ্বারা:

এক কেজি পাতা পিষানো (বাটা) ১০ লিটার পানিতে গুলিয়ে ছেকে স্প্রে করুন। এতে কুমড়ার পোকা, ডায়মন্ড ব্যাক মথ, জাব পোকা, জ্যাসিড দমন করা যায়।

১০. শুকনা মরিচের গুড়া দ্বারাঃ

১০০ গ্রাম শুকনা মরিচের গুড়া ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। একে ৫০ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে ৫ লিটার পানি যোগ করুন এবং ছেকে স্প্রে করুন। এতে শশার মোজাইক ভাইরাস রোগের বাহক, পিপড়া, জাব পোকা দমন হয়।

১১. পাট বীজের দ্বারা:

এক কেজি বীজ আস্তে আস্তে কড়াইতে ভেজে নিন। ভাজা বীজ পিষে নিন এবং ৬০ লিটার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ছেকে নিয়ে ১ বিঘা জমিতে স্প্রে করুন। এতে মাজরা, বাগ, পাতা শোষক পোকা দমন করা যায়।

১২. পেঁয়াজ:

২০ মি. লি. পেঁয়াজের রস ২ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এতে ঢলে পড়া রোগ দমন হয়।

১৩. নিশিন্দা পাতা:

দুই কেজি নিশিন্দা পাতা, ১.৫ কেজি নিশিন্দার ছাল শিল পাটায় একটু থেতলে নিন। থেতলানো পাতা, ছাল এবং ৫০ গ্রাম গুড়া সাবান একটি পাত্রে দিয়ে ৫ লিটার পানি মিশ্রিত করুন। জ্বাল দিয়ে ৫ লিটার পানিকে কমিয়ে ১ লিটার বানিয়ে ঠান্ডা করে ছেকে নিন। ৯ লিটার পানি যোগ করে স্প্রে করুন। এতে সকল প্রকার লীফ ফিডার, বিছা ও সেমিলুপার দমন হয়।
১৪. ইপিল ইপিল পাতা ও জবা ফুলের পাতা : ১ কেজি ইপিল ইপিল পাতা ও ১ কেজি জবা ফুলের পাতা বেটে ১০ লিটার পানিতে গুলিয়ে নির্যাস তৈরী করে স্প্রে করতে হবে।

১৫. পেঁপে পাতার নির্যাস :

১ কেজি পেঁপে পাতা কুচি কুচি করে কেটে ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ভালভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে এবং এক রাত রেখে উহাতে ১০ লিটার পানি যোগ করে ছেকে নিতে হবে এবং স্প্রে করতে হবে। এতে পাউডারি মিলডিউ রোগ নিরাময় হয়।

১৬. গাঁদা ফুলের শিকড়:

১ কেজি পরিমাণ গাঁদা ফুল গাছের শিকড় টুকরা টুকরা করে কেটে উহাতে ১ কেজি পানি অল্প অল্প করে যোগ করে ছেকে নিতে হবে। জমিতে বীজ বপনের সময় স্প্রে করতে হবে। এতে কৃমি মারা যাবে।

27/05/2024

💐টবের গাছের জন্য ঘরোয়া জিনিস দিয়ে সার তৈরি:

১. কলার খোসা: পটাসিয়ামের জন্য টুকরো টুকরো করে মাটিতে পুঁতে বা জলে ভিজিয়ে রেখে ব্যবহার করুন।

২. কফি পাউডার: অম্লীয় উদ্ভিদের জন্য দুর্দান্ত।

৩. ডিমের খোসা: ক্যালসিয়ামের জন্য গুঁড়ো করে মাটিতে পুঁতে দিন।

৪. ইপসম সল্ট: ম্যাগনেসিয়ামের জন্য দ্রবীভূত করুন।

৫. অ্যাকোয়ারিয়ামের জল: উপকারী পুষ্টিতে পূর্ণ।

৬. কাঠের ছাই: পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের জন্য ছিটিয়ে দিন।

৭. শাক সবজির উচ্ছিষ্ট : ২-২.৫ মাস পচিয়ে ব্যবহার করুন।

৮. ব্যবহৃ চা: পুষ্টি সমৃদ্ধ সার মাটির জন্য উপকারী।

৯. চাল/ ডাল ধোয়া জল: সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করুন।

১০. পেঁয়াজের খোসা: পটাসিয়ামের জন্য ভিজিয়ে রেখে ব্যবহার করুন।

হ্যাপি গার্ডেনিং, সুস্থ থাকুন।

16/05/2024

লিলি

03/05/2024

খরায় আম বাগানিদের করনীয়।

* এ সময়ে আমবাগানে সেচ প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্লাবন সেচ (Flood Irrigation) দেয়া যেতে পারে। তবে পানি স্বল্পতা থাকলে আম গাছে পানি স্প্রে করতে হবে। মাটির বিভিন্নতা ও পানি ধারণ ক্ষমতার উপর নির্ভর করে মাসে ৩-৪ বার সেচ প্রয়োগ করা যেতে পারে।

* খরার সময়ে আম গাছে ফল ঝরা কমাতে ২ ভাগ অর্থাৎ প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে ইউরিয়া স্প্রে করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ঠান্ডা আবহাওয়ায় সকালে বা বিকালে স্প্রে করতে হবে।

* ফলের ঝরে পড়া রোধ করতে ৫-৬% বোরিক অ্যাসিডও স্প্রে করা যেতে পারে।

* আমের বৃদ্ধি ও ফলন বাড়ানোর জন্য গাছের গোড়ায় মাটির উপরে স্তরে (Top Dressing) ইউরিয়া ও পটাশ সার পরিমাণমত প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগের পরপর সেচ প্রদান করতে হবে।

* হিমসাগর, খিরসাপাত, ল্যাংড়া, ব্যানানা ম্যাংগো, হাড়িভাঙ্গা জাতের জন্য ব্যাগিং শুরু করা যেতে পারে। আর মাত্র এক সপ্তাহ পর বারি আম-৩, বারি আম-৪, ফজলি, বারি আম-১২ জাতে ব্যাগিং শুরু করতে হবে। প্রাকৃতিকভাবে ফল ঝরা বন্ধ হলে আমের ব্যাগিং করতে হবে। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত রোদ্র হতে আমকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

* এছাড়াও অন্য সমস্যা দেখা দিলে নিকটস্থ কৃষি অফিসার বা আম গবেষকবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

23/04/2024

মালচিং ও মালচিং ব্যবহারের সুবিধা।

মালচিং মূলত চীন ও জাপানের বিষমুক্ত সবজি চাষের একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। বিভিন্ন ধরনের বস্তু দিয়ে যখন গাছপালার গোড়া, সবজি ক্ষেত ও বাগানের বেডের জমি বিশেষ পদ্ধতিতে ঢেকে দেয়া হয় তখন তাকে বলে মালচ। আর এ পদ্ধতিটি কে বলে মালচিং।

মালচিং ব্যবহারের সুবিধা:

» মালচিং করার জন্য যেসব মালচ উপাদান ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলো জৈব ও অজৈব পদার্থ। উপাদানগুলো হলো-ধান বা গমের খড়, কচুরিপানা, গাছের পাতা, শুকনা ঘাস, কম্পোস্ট, ভালোভাবে পচানো রান্নাঘরের আবর্জনা ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে বিশেষভাবে তৈরি এক ধরনের পলিথিন এ কাজের জন্য জনপ্রিয়।

» ফসলের ক্ষেতে আর্দ্রতা সংরক্ষণে মালচিং বিশেষভাবে উপকারী, কারণ এ প্রযুক্তি ব্যবহারে ফসল ক্ষেতের জলের সূর্যের তাপ ও বাতাসে দ্রুত উড়ে যায় না। ফলে জমিতে রসের ঘাটতি হয় না এবং সেচ লাগে অনেক কম। মালচিং ব্যবহার করলে জমিতে প্রায় ১০ থেকে ২৫ ভাগ আর্দ্রতা সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।

» গাছের গোড়া, সবজির বেড এবং ফলবাগানে গাছের গোড়া হতে এক থেকে দু’ইঞ্চি (২.৫০-৫.০ সে.মি) দূরে বিভিন্ন ধরনের মালচ ব্যবহার করা যেতে পারে। মালচিংয়ের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন পদার্থ অবশ্যই ৫ সেন্টিমিটার (২ইঞ্চি) এর বেশি পুরু করে দেয়া ঠিক নয়।

» উল্লেখ্য যে, মালচিং পদার্থের পুরুত্ব বেশি হলে তা গাছপালার অপ্রয়োজনীয় মূল গজাতে সহায়তা করবে। এমনকি সঠিক মালচিং প্রয়োগে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ের আক্রমণও রোধ করা যায়।

» শীতকালে মালচ ব্যবহার করলে মাটিতে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা ধরে রাখা সম্ভব হয় এবং গরমকালে মাটি ঠান্ডা থাকে, এমনকি বেশ কিছু পোকামাকড়ের আক্রমণও রোধ করা যায়।

» সবচেয়ে বড় কথা মালচিং প্রযুক্তি ব্যবহার করলে জল লাগে অনেক কম। সেচের খরচ বাঁচে, লাভ হয় বেশি।

» পাহাড়ি এলাকা এমনকি টিলা, পাহাড়ের ঢালে বিশেষ করে লালমাটি এলাকায় স্বল্প খরচে মালচিং প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। ফল গাছ বিশেষ করে লেবু, পেয়ারা, কাঁঠাল, আম, নারিকেল, কলা, কমলা, আনারস, বাতাবি লেবু, পেঁপে, আদা, হলুদ এসব গাছের গোড়ায় মালচিং দিয়ে সম্ভব হলে ১-২ সপ্তাহ পর একবার পানি দিয়েও বেশি সময় রস সংরক্ষণ করা সম্ভব।

» পোকা নিয়ন্ত্রণ : মালচিংয়ের ফলে পোকার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। নিমাটোড বা ফসলে কৃমির আক্রমণ রোধ করে। প্রতিফলক মালচ পতঙ্গদের প্রতিহত করে।

» সার ব্যবহার হ্রাস : এই পদ্ধতি ব্যবহারে শিকড়ের কাছের স্থানে সার প্রয়োগ করার জন্য চাষে সার প্রয়োগের পরিমাণ ও সংখ্যাও অনেক কমে যায়। ফলে খরচে রাশ টানা সম্ভব হয়।

» দ্রুত অঙ্কুরোদ্গম: প্লাস্টিক শিট দিয়ে মাটি ঢেকে রাখার ফলে মাটির ঢাকা অংশের উষ্ণতা রাতে এবং শীতকালে পরিবেশের থেকে বেশি হয়। ফলে বীজ থেকে অঙ্কুরোদ্গম দ্রুত সম্পন্ন হয়।

» মালচের রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা। যেমন: মালচ বৃষ্টির জলের গতি হ্রাসের মাধ্যমে মাটির ক্ষয় রোধ করে এবং মাটির জল শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, গরম ও ঠান্ডায় মাটির তাপমাত্রায় নিয়ন্ত্রনে ইনসুলেটর হিসেবে কাজ করে, প্রায় বাস্পীভবন ৪০ শতাংশ ইভারেশন হ্রাসের মাধ্যমে মাটিতে প্রচুর পরিমাণে জল ধরে রাখে, উচ্চ তাপমাত্রায় মাটি ফেটে যাওয়া এবং মাটির উপরিভাগে কঠিন স্তর সৃষ্টিতে বাধাদান করে মাটির ভঙ্গুরতা রক্ষার মাধ্যমে কর্ষণে সহায়তা করে, মাটিতে হিউমাস ও জৈব পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, মাটিতে আলো পৌছাঁনোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির মাধ্যমে আগাছা বীজের অঙ্কুরোদগমে বাঁধার সৃষ্টি করে এবং অসমতল মালচ শামুক জাতীয় প্রাণিদের চলার পথে বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের তাড়াতে সহায়তা করে।

» ধান চাষে ও মালচিং দেয়া যায়। তবে সেটা কোন খড়কুটো বা প্লাস্টিক দিয়ে নয়, সেটা হলো প্রাকৃতিক আবরণ এবং পুষ্টি গুণের উৎস এজোলা। জমিতে সবসময় সামান্য পানির ব্যবস্থা করে এজোলা ছেড়ে দিলে ৭০% পর্যন্ত আগাছা দমন করা সম্ভব।

29/03/2024

রান্নাঘরের আবর্জনা ও ঘাস পাতি দিয়ে শুকনো জৈব সার তৈরি।

সবজি কাটার পর খোসা, শাক পরিষ্কার করার পর গোড়া, ডিমের খোসা কিংবা কলার খোসা আমরা ফেলে দিই রান্নাঘরের ডাস্টবিনে। এগুলো ফেলে না দিয়ে এর সাথে ঘাস, আগাছা শুকনো ও কাঁচা পাতা দিয়ে খুব সহজে বানিয়ে ফেলতে পারেন গাছের জন্য উপকারী সার। এই জৈব সার মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করবে বহুগুণ।

সার তৈরি পদ্ধতি :

সার তৈরির জন্য একটি বড় পাত্র নিন। প্লাস্টিক বা মাটির পাত্র নিতে পারেন। প্রথমে নিচের অংশ কাঠৈর গুঁড়ো বা
কাঠের ছেকলা দিয়ে ঢেকে দিন। এর উপরে সবুজ পাতা ছড়িয়ে দিন। এর উপরের স্তরে শুকনো পাতা ছড়িয়ে দিন। এর উপরের স্তরে শুকনো পাতা ছড়িয়ে দিন।
এর উপরের স্তরে সবুজ ঘাস ও আগাছা ছড়িয়ে দিন। এর উপরের স্তরে রান্নাঘরের আবর্জনা তেমন সবজির
খোসা,ডিমের খোসা কিংবা কলার খোসা, ব্যবহৃত চা পাতা
ছড়িয়ে দিন। একেবারে উপরের স্তরে শুকনো পাতা ছড়িয়ে দিন।

পাত্রটি ঘরের বাইরে রাখুন এমন ভাবে ঢেকে রাখতে হবে যেন বাতাস চলাচল করতে পারে। সম্ভব না হলে বারান্দার কোণে রেখে দিন। আলো বাতাস চলাচল করে ও সরাসরি রোদ পড়ে না এমন জায়গায় পাত্রটি রাখতে হবে । দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যেই সার তৈরি হবে।

25/03/2024

লিচুর ফল ঝরে যাওয়া সমস্যা‌।

লক্ষণ:

* ফল ঝরা লিচুর সাধারণ সমস্যা, ফল ধরার পর থেকে শুরু করে ফল পরিপক্কতা হওয়া পর্যন্ত ফল ঝরা চলতে থাকে।

* ফল বাদামী থেকে কাল রং ধারণ করে।

* গুটি অবস্থায় ফল ঝরে পড়ে অর্থাৎ ফল ধরার ২-৪ সপ্তাহ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ফল ঝরে।

কারণ:

ছত্রাক, খরা/দীর্ঘ সময় আবহাওয়া শুষ্ক হলে, শারীরবৃত্তীয় কারণে ও গাছে পুষ্টির ঘাটতি/হরমোনের অভাব থাকলে ফল ঝরে পড়তে পারে ।

সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা:

* শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করলে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।

* মাটিতে জৈব সার সহ সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে।

* ফল মটর দানা এবং মার্বেল আকার অবস্থায় প্রোটোজিম/প্লানোফিক্স/ফ্লোরা/মিরাকুলান/লিটোসেন/বাম্পার/বলবান এর যে কোন একটি অনুমোদিত মাত্রায় পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

* গুটি বাধার পর জিংক সালফেট প্রতি লিটার পানিতে ১০ গ্রাম হারে মিশিয়ে পর পর ৩ সপ্তাহ গাছে স্প্রে করলে ফল ঝরা ও ফল ফাটা বন্ধ হয় এবং ফলের আকৃতিও বড় হয়। রোগ ও পোকার আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে।

16/03/2024

গাছে ফসফরাস এর গুরুত্ব।

উদ্ভিদে ফসফরাসের গুরুত্ব অনেক। এটি গাছের অন্যন্য পুষ্টিগুলোকে গাছের জন্য উপযোগী করতে সহায়তা করে এতে গাছের বৃদ্ধি হয়। এটি NPK সারের P নির্দেশ করে। এটি গাছের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য তবে মাটিতে ফসফরাসের পরিমাণ বেশি বা কমে গেলে গাছে এর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পড়তে থাকুন…

মাটিতে ফসফরাসের ঘাটতি:

আপনার বাগানে ফসফরাসের ঘাটতি আছে কিনা তা কিভাবে বুঝবেন? শুধু আপনার গাছের দিকে তাকান। যদি আপনার গাছটি ছোট হয়, ছোট ফুল-ফল হয় বা না হয়, দুর্বল শিকর এবং গাছের পাতাগুলো হালকা বা উজ্জল সবুজ হয় তবে বুঝে নিতে হবে আপনার গাছের মাটিতে ফসফরাসে ঘাটতি হয়েছ।

এমন অনেক রাসায়নিক সার রয়েছে যা আপনার মাটির ফসফরাসের অভাব কমিয়ে গাছে পুষ্টির ভারসাম্য বাজায় রাখতে সহায়তা করে। অর্থাৎ রাসায়নিক সার ব্যবহার করার সময় আপনি যেসব সারে উচ্চ ফসফরাস(P বা NPK সারের সংখ্যায় ২য় নম্বর) থাকে এমন সার ব্যবহার করুন।

আপনি যদি জৈবসার ব্যবহার করে আপনার গাছের ফসফরাসের ঘাটতি পূরণ করতে চান তবে হাড়ের গুড়া বা রক ফসফেট ব্যবহার করুন। এরা উভয়ে মাটিতে ফসফরাসের ঘাটতি পূরণ করেতে সহায়তা করে। কখনো কখনো মাটিতে কিছু কম্পোস্ট সার ব্যবহার করলেও মাটিতে ইতোমধ্যে থাকা ফসফরাস পূনঃরায় গ্রহণ করতে পারে। তাই অন্যকিছু যুক্ত করার আগে এটি ব্যবহার করে দেখুন।

মাটিতে ফসফরাস আপনি যেভাবে করেন না কেন, খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি হয়ে না যায়। এতে পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে তা চলে যাবে এবং মাটি দূষণ হতে পারে।

ফসফরাসের উপস্থিতি বেশি হলে:

মাটিতে অতিরিক্ত ফসফরাস হলে গাছ ফসফরাস ব্যবহার করতে পারে না। তাই গাছে পরিমিত পরিমাণে ফসফরাস ব্যবহার করতে হবে। তা গাছে প্রকৃতিভেদে ভিন্ন হতে পারে।

উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে ফসফরাসের গুরুত্বকে কোনভাবে ছোট করে দেখা যায় না। এটি ছাড়া, একটি উদ্ভিদ কোনভাবে স্বাস্থ্যকর হতে পারে না। ফসফরাসের কারণে আমাদের বাগানে সুন্দর এবং প্রচুর গাছপালা বাড়তে সহয়তা করে।

08/03/2024

কাঁঠালের “মুচি পঁচা” রোগের কারণ ও প্রতিকার ব্যবস্থা।

কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। কাঁঠালে প্রচুর পরিমানে শর্করা, আমিষ ও ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এটি এমন একটি ফল যার কোন অংশই ফেলে দিতে হয় না (কোষ ও বীজ মানুষের খাদ্য ও বাকী অংশ পশু খাদ্য)। এ ফল কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থায় খাওয়া যায়। বাংলাদেশে উৎপাদনের দিক থেকে কলার পরেই কাঁঠালের স্থান। এ ফল অন্যান্য ফলের তুলনায় দামে কম হওয়ায় গরিব মানুষ সহজে খেতে পারে। কৃষকেরা এ ফলটি চাষ করতে গিয়ে গাছে কিছু রোগের সম্মুখীন হন। ফলে বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হয়। রোগগুলো নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারলে কাঁঠালের উৎপাদন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। কাঁঠালের একটি মারাত্মক রোগ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বর্নণা করা হল।

মুচি পঁচা/মুচি ঝরা (Soft rot) রোগ

রোগের কারণঃ রাইজোপাস আরটোকার্পি (Rhizopus artocarpy) নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে।

রোগের বিস্তারঃ

গাছের পরিত্যক্ত অংশে জীবাণু বেঁচে থাকে এবং বাতাস, পানি ও পোকামাকড় মাধ্যমে রোগ ছড়ায়। বৃষ্টিপাতের সময়, ঝড় তুফানের পরে রোগের প্রকোপ বেশী দেখা যায়। ফুল ও ফল আসার সময় গরম, আর্দ্র আবহাওয়া বিরাজ করলে রোগের আক্রমণ বেশী হয়।ছায়াযুক্ত স্থানে পর্যাপ্ত আলোর অভাবে রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়।

রোগের লক্ষনঃ

# এই রোগের দ্বারা গাছের ফুল ও কচি ফল আক্রান্ত হয়।
# আক্রান্ত ফুলের বা কচি ফলের বোঁটার গোড়ায় পানি ভেজা দাগ পড়ে।
# আক্রান্ত ফল সাদা মাইসেলিয়াম দ্বারা আবৃত থাকে।
পরবর্তীতে আক্রান্ত স্থানের কোষ মরে কালো রং ধারণ করে।
# পরে সম্পূর্ণ ফলটি আক্রান্ত হয়ে কালো রং ধারণ করে।
# পরিশেষে আক্রান্ত ফল পঁচে ঝরে পড়ে।

রোগের প্রতিকারঃ

# গাছের নিচে ঝড়ে পরা পাতা ও ফল সংগ্রহ করে পুড়ে ফেলতে হবে।
# কাঁঠাল বাগানে কোন জৈব সার বা কম্পোস্ট তৈরী না করাই ভাল।
# বাগান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
# ফল বেশী ঘন হলে পাতলা করে দিতে হবে।
# মুচি ধরার আগে ও পরে কপার অক্সিক্লোরাইড (যেমন-কুপ্রাভিট ৫০ ডব্লিউপি) প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম অথবা টেবুকোনাজল (যেমন-ফলিকুর ২৫০ ইসি) প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার হারেমিশিয়ে ১০ দিন পর পর ৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।

07/03/2024

পরাগায়নে কীটপতঙ্গের (মৌমাছির 🐝) গুরুত্ব।

পরাগায়নের (Pollination) মাধ্যমে নিষেকের ফলে- ফুলের গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয় এবং ডিম্বকগুলো বীজে পরিণত হয়। সুতরাং ফল ও বীজ তৈরির জন্য পরাগায়ন একটি অত্যাবশ্যক প্রক্রিয়া।

পরাগায়ন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে থাকে কীটপতঙ্গ, পাখি, বিভিন্ন ধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী, বাতাস, পানি এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ইত্যাদি বাহকের মাধ্যমে। এসব বাহকের মধ্যে কীটপতঙ্গের দ্বারা পরাগায়ন নির্ভর করে পৃথিবীর তিন-চতুর্থাংশের বেশি ফসলের উৎপাদন হয়।

কীটপতঙ্গের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মৌমাছি, মাছি, বিটল, প্রজাতি, মথ এবং বোলতা।

এক গবেষণায় দেখা যায়, শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি পুষ্পধারণকারী উদ্ভিদের পরাগায়ন নির্ভর করে কীটতপঙ্গ তথা বিভিন্ন প্রজাতির মধু সংগ্রহকারী মাছির ওপর। পৃথিবীতে ২৫ হাজারের বেশি প্রজাতির মধু সংগ্রহকারী মাছি আছে। যার মধ্যে রয়েছে মৌমাছি, ভ্রমর, স্টিংলেস-বি এবং সলিটারি-বি ইত্যাদি।

তবে সমপ্রতি বছরগুলোতে দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীব্যাপীই পলিনেটরের সংখ্যা এবং বৈচিত্র্যতা কমে যাচ্ছে যা কৃষি উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহার, বালাইনাশকসহ রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তন সহ ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
তাই কৃষিপরিচর্যা করা সত্ত্বেও ফসলের ফলন ও গুণগতমান কমে যাচ্ছে।

পরিশেষে বলা যায়, কৃষির সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে কীটতঙ্গ তথা মৌমাছির পরাগায়নের গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে এবং এদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য আবাসস্থলের সংরক্ষণ, মাত্রাতিরিক্ত বালাইনাশকের প্রয়োগ নির্বৎসাহিতকরণ, গাছের পুষ্পায়নকালে বালাইনাশক ব্যবহার না করা, আইপিএমের বহুল প্রচার ও প্রসার, সচেতনতা বৃদ্ধি, কৃষি উন্নয়ন কর্মসূচিতে পরাগায়নের জন্য মৌচাষ কার্যক্রমকে অন্তর্ভুক্তিকরণ, নিয়ন্ত্রিত মৌমাছি পরাগায়নকে ঘিরে গবেষণা ও সমপ্রসারণ কার্যক্রমকে হাতে নিয়ে টেকসই কৃষি উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হবে।

ড. মোঃ আলতাফ হোসেন।
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কীটতত্ত¡ বিভাগ, ডাল গবেষণা কেন্দ্র, ঈশ্বরদী এর লেখা হতে সংগৃহীত।

03/03/2024

বস্তায় আদা চাষ নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর।

১। মাটি প্রস্তুতি:

* মাটি ১২-১৫ কেজি পরিমাণ, পঁচা গোবর সার/ভার্মি কম্পোস্ট সার ৫ কেজি, সাদা বালু ৪-৫ কেজি, ছাই ১ কেজি, ও কার্বোফুরান গ্রুপের দানাদার কীটনাশক ২৫ গ্রাম।

এর সাথে টিএসপি ১০ গ্রাম , এম ও পি ১০ গ্রাম, জিংক ও বোরন সার ৫ গ্রাম করে মিশাতে পারেন।

এগুলো এক বস্তার মাটি তৈরির জন্য। এগুলো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে বস্তায় ভরে নিতে হবে।

আপনার মাটি যদি বেলে দোআঁশ হয় তবে বালুর পরিমাণ কম দিতে হবে।

২। বীজ সংগ্রহ:

নিকটস্থ সার ও বীজের দোকান হতে ভালো জাতের বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। এ ছাড়া বাজারের যে আদা আমরা খাই ঐ আদাই বীজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ওখান থেকে ভালো দেখে আপনার পছন্দের আদাই চাষ করতে পারেন।

৩। পানি সেচ:

বৃষ্টিপাত না হলে বস্তায় হালকা ভাবে ঝাঝরি দিয়ে অল্প পরিমাণে সেচ দিতে হবে। তবে বৃষ্টি স্বাভাবিক মাত্রায় হলে সেচের প্রয়োজন হয় না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে পানি যেন না জমে থাকে।

৪। বীজের আকার ও রোপন পদ্ধতি :

প্রতি বস্তায় ৩৫-৫০ গ্রামের ২-৩ টি কুঁড়ি বিশিষ্ট কন্দ মাটির ভিতরে ৩-৪ ইঞ্চি গভীরে লাগাতে হবে। বীজ লাগানোর পর মাটি দ্বারা ঢেকে দিতে হবে।

৫। সার প্রয়োগ:

চারা লাগানোর দু’মাস পরে চার চা চামচ সরিষার খৈল ও আধ চামচ ইউরিয়া এবং রোপনের যথাক্রমে ৮০-৯০ দিন দিন পর ৫ গ্রাম ইউরিয়া, ৫ গ্রাম এমওপি সার আবার ১১০-১২০ দিন পর ৩ গ্রাম ইউরিয়া ৫ গ্রাম এমওপি সার ও ৫ গ্রাম ডিএপি সার বস্তায় প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োগের সময় মাটিটা একটু খুঁড়ে আলগা করে দিতে হবে।

৬। বীজ বপনের সময়:

বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য (এপ্রিল- মে) বপনের উপযুক্ত সময়।

#বিঃদ্রঃ শুরুতেই অনেক বেশি পরিমাণে বস্তায় আদা চাষ না করে অল্প পরিমাণে চাষ করতে পারেন, প্রয়োজনে নিকটবর্তী উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করুন।

Videos (show all)

অলকানন্দা #flowers #StarsEverywhere #fypシ
চন্দ্র মল্লিকা #flowers #fypシ #StarsEverywhere
কাঠগোলাপ #flowers #fypシ #StarsEverywhere
কাঠগোলাপ #flowers #agriculture #fypシ゚ #fypシviralシ2024
কৃষি #agriculture
লিলি
#rainbow
চন্দ্র মল্লিকা
#flowers
#hibiscus
Big shout out to my newest top fans! 💎 Mahamudul Hasan Shaishab, MD Fahim Faysal
Big shout out to my newest top fans! 💎 Mahamudul Hasan Shaishab, MD Fahim Faysal

Telephone

Website

Address


Tatipara
Rangpur