Guide To Peace / শান্তির নির্দেশিকা
Nearby schools & colleges
Bocsipara
Dinajpur
Men Rod
Rungpur
5400
Campus
Dhaka
Rangpur
Rongpur
Rongpur Division
Respected Visitor's Guide To Peace Is An Islamic Page. On This Page, You Will Find Quran, Hadith Dua.
কুয়াকাটা হুজুরের অনুরোধে গজল গাইলেন আশরাফী
পাকিস্তান - ইরান যুদ্ধ প্রসঙ্গে যা বললেন | শায়খ আহমাদুল্লাহ
Alhamdulillah.
কবরে মাটির চাপ কতটা ভয়ংকর
দায়িত্ব অবহেলার কারণে জাহান্নামে যেতে হবে 😭😭😭
বনী ইসরাইলের সাথে আমাদের সম্পর্ক কী
সাইদ নুরসির সাহসিকতা পৃথিবীর ইতিহাসে অনন্য
আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য যে ওয়াদা করেছেন
শরীফ থেকে শরীফা ও ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে কড়া হুশিয়ারী
বাংলাদেশী শিক্ষা ব্যবস্থায় কৌশলী মহামারী
স-ম-কা-মি-তা নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
M Hasibur Rahman New Waz | শেষ জমানার আলামত Part- 01
লুমাযাহ কারা? (সুরা হুমাযাহ)
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বুক ফুলিয়ে বলেন, "আমি উচিৎ কথা বলতে কাউকে ছাড়ি না!
আমি উচিৎ কথা মুখের উপর বলে দেই"! আপনি অনেক স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড! যা মনে আসে তাই বলেন!
গালাগাল সহ সরাসরি মুখের উপর সব বলে দেন!
সব মহলে ঠোটকাটা স্বভাবের হিসেবে আপনি পরিচিত!
সবাইকে একদম সামনেই ধুয়ে দেন এবং এটা নিয়ে আপনি বেশ গর্বও করেন!
ইসলাম ধর্মে এটাকেই "লুমাযাহ" বলা হয় ।
◾যে ব্যক্তি:-
★ সরাসরি কাউকে লাঞ্চিত ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।
★ কাউকে তাচ্ছিল্য ভরে কোনকিছু নির্দেশ করে (আঙুল,চোখ, মাথা বা ভ্রু দ্বারা) ।
★ কারও অবস্থান বা পদবি নিয়ে তাকে ব্যাঙ্গ করে।
★ কারো বংশের নিন্দা করে বা বংশ নিয়ে কথা বলে।
★ কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলে, অপমান করে।
★ কারও মুখের উপর তার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে।
★ সরাসরি বাজে কথা দিয়ে কাউকে আঘাত করে।
★ কাউকে এমন কোনো কথা বললো যাতে আরেকজন কষ্ট পাবে।
★ অসন্মান করে কথা বললো।
উপরোক্ত ব্যক্তিরাই মূলতঃ "লুমাযাহ" এর অন্তর্ভুক্ত।
আল্লহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এই মানুষদেরকে পরিবর্তন হতে বলেছেন। নয়তো তাদের জন্য অনিবার্য ধ্বংসের সতর্ক বাণী দিয়েছেন।
আল্লাহ তাদের প্রতি কঠোর লানত করেছেন।
নবী (সাঃ) বলেছেন, "যার ভিতরে নম্রতা নেই, সে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত"।
আসুন, আমরা একটু নরম হই, একটু সহনশীল হই, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করি।
মনে রাখবেন- আল্লাহ যাকে নম্রতা দিয়েছেন, তিনি দুনিয়ার সেরা নিয়ামাহ পেয়ে গেছেন।
হয়তো আমিও লুমাজার অন্তর্ভুক্ত, তবে চেষ্টা করছি নিজেকে বাঁচাতে। আল্লাহ তৌফিক দান করুন।
কুরআন তিলাওয়াত শুনলেও কি সওয়াব হয়?
কুরআন তিলাওয়াত করা যেমন সওয়াবের কাজ। মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করাও সওয়াবের কাজ। এতে কোন সন্দেহ নেই। সওয়াবের পরিমাণ কতো? তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন।
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ [٧:٢٠٤]
আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন তাতে কান লাগিয়ে রাখ এবং নিশ্চুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়। [সূরা আ’রাফ-২০৪]
প্রয়োজন না থাকলেও এমন মানুষের কাছে থেকে কিছু বাজার করুন। 😭😭
আবারো হাফেজ তাকরিমের বিশ্বজয়।
দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে হাফেজ তাকরিম।আলহামদুলিল্লাহ।
ক্ষমা প্রার্থনার ছোট্ট কিন্ত গভীর আবেদনের একটি দুয়া হচ্ছে-
يَا وَاسِعَ الْمَغْفِرَاتِ اِغْفِرلِىْ
উচ্চারণ: 'ইয়া ওয়াসিআল মাগফিরাতি ইগফিরলি।
অর্থ : হে মহান ক্ষমাকারী! আমাকে ক্ষমা করুন।
নেফাস সংক্রান্ত নারীদের প্রয়োজনীয় ফাতাওয়া-মাসায়েল
দ্বীনি বোনদের জন্য নেফাস সংক্রান্ত নারীদের প্রয়োজনীয় ফাতাওয়া মাসায়েল উল্লেখ করবো এবং পরবর্তী আর্টিকেলে থাকবে ইস্তেহাযা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ফাতাওয়া- মাসায়েল। ইনশাআল্লাহ
বালেগ হওয়ার পর থেকে একজন মহিলার জরায়ু হতে সাধারণত যে রক্ত নির্গত হয় তা তিন প্রকার: যথা- হায়েয, নিফাস ও ইস্তেহাযা। আজকে শুধু নেফাস সংক্রান্ত আলোকপাত করবো ইনশাআল্লাহ
নিফাসের পরিচয়: সন্তান জন্মদানের পর যে রক্ত দেখা দেয় সেটাকে নিফাস বলে। [নুরুল ইযাহ ৫৩ পৃ.]
নিফাসের সময়সীমা: নিফাসের সর্বোচ্চ মেয়াদ ৪০ দিন। ৪০ দিনের পর রক্ত আসলে সেটা ইস্তিহাযা হবে।
এবং সর্বনিম্ন মেয়াদের কোনো সময়সীমা নেই।
[ নুরুল ইযাহ ৫৩ পৃ.]
মাসআলা-১ নেফাস ও পরবর্তী হায়েযের মাঝে ন্যূনতম ১৫ দিন পবিত্রতা থাকা শর্ত। তাই কোনো মহিলার যদি নেফাস শেষ হয়ে যাওয়ার ১২দিন পর আবার স্রাব চালু হয় তাহলে তা হায়েয নয়, বরং ইস্তেহাযা। মহিলাটি এক্ষেত্রে আরো তিন দিনসহ মোট ১৫ দিন পবিত্রতা গণ্য করবে। আর ইস্তেহাযার হুকুম হল, নামায-রোযার বিরতি হয় না। তবে প্রতি ওয়াক্তের শুরুতে নতুন অযু করে নিতে হয়। আর যদি ১৫ দিন পরও স্রাব চলতে থাকে তাহলে কোনো নির্ভরযোগ্য আলেমের কাছে অবস্থা জানিয়ে মাসআলা জেনে নেবে। কেননা ১৫ দিনের পর স্রাব আসলে তা হায়েয হতে পারে।
[হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী পৃ. ৭৬; মাজমাউল বাহরাইন পৃ. ৯৮; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৮৫]
নেফাসের অভ্যাস সংক্রান্ত মাসআলা:
মাসআলা-২ গর্ভবর্তী অবস্থায় মহিলা যে রক্ত দেখে তা শুরুতে হোক বা প্রসব অবস্থায় বাচ্চা বের হওয়ার পূর্বে হোক,তা ইস্তিহাযা। যদিও এ রক্ত হায়েযের মেয়াদে পৌছে যায়।কেননা হামল তথা গর্ভধারনের কারণে রেহেমের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। আর এটাই স্বাভাবিক।
বাচ্চা বের হওয়ার সাথে রেহেমের মুখ খোলার পর যে রক্ত আসে তা হলো নেফাস। [আল-হিদায়া ১/২৩৪]
মাসআলা-৩ যদি কোনো মহিলার নেফাসের রক্ত ৪০ দিন অতিক্রম করে, অথচ এ মহিলা পূর্বেও বাচ্চা প্রসব করেছে এবং নেফাসের ক্ষেত্রে তার অভ্যাসও রয়েছে, তখন সে তার অভ্যাসের দিনগুলোর দিকে প্রত্যাবর্তন করবে,এবং সে পরিমাণ দিন কে নেফাস ধরবে। আর যদি ঐ মহিলার নির্দিষ্ট কোনো অভ্যাস না থাকে তবে তার নেফাসের শুরু থেকে ৪০ দিন ধরা হবে। কেননা
৪০ দিন পর্যন্ত নেফাসের মেয়াদ নির্ধারন করা সম্ভব।
[আল-হিদায়া ১/২৩৫]
মাসআলা-৪ কোনো মহিলা সন্তান প্রসবের পর যদি রক্ত নির্গত হতে না দেখে,তবে তার উপর গোসল করা ওয়াজিব। [ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি ১/১১৪]
মাসআলা- ৫ যদি সন্তানের অধিকাংশ অঙ্গ বের হয়ে আসে,তবে প্রসবকারিণী মহিলা নেফাসগ্রস্থ বলে সাব্যস্ত হবে। মাতৃগর্ভে সন্তান যদি টুকরা টুকরা হয়ে যায় এবং এর অধিকাংশ বেরিয়ে আসে,তবেও উপরোক্ত হুকুম প্রযোজ্য হবে। অকাল গর্ভপাতের মাধ্যমে প্রসূত অসম্পুর্ণ ভ্রুনের শরীরে যদি কোন অঙ্গ প্রকাশ পায় যেমন,আঙ্গুল,নখ অথবি চুল,তবে তা সন্তান বলে গণ্য হবে। এ অকাল গর্ভপাতের পর মহিলা নেফাসগ্রস্থ বলে গণ্য হবে।[ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি ১/১১৪]
মাসআলা-৬ কারো যদি অসময়ে গর্ভপাত হয়। যাতে একটি গোশতের টুকরা বের হয়েছে। কোনো অঙ্গ প্রকাশ পায়নি। এরপর যদি সে রক্ত দেখে। তাহলে উল্লেখিত ক্ষেত্রে গর্ভপাত পরবর্তী রক্ত নেফাস নয়; বরং এই স্রাব শুরু হওয়ার আগে ১৫ দিন পবিত্র অবস্থায় কাটলে তা হায়েযের রক্ত হিসাবে গণ্য হবে। তবে যদি বর্তমান স্রাব তিন দিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত না হয় তাহলে তা ইসতিহাযার রক্ত হিসাবে গণ্য হবে। এমতাবস্থায় হায়েয মনে করে ছেড়ে দেওয়া নামাযগুলো কাযা করে নিতে হবে।
বাদায়েউস সানায়ে ১/১৬১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৩৯৪; রদ্দুল মুহতার ১/৩০২; ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৪৫
মাসআলা-৭ সন্তান স্বাভাবিক নিয়মে ভূমিষ্ট হোক বা সিজার করে হোক এরপর মহিলার যে রক্তস্রাব আসে তা নেফাস বলেই গণ্য হবে।
-আলবাহরুর রায়েক ১/২১৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৯৯
নেফাস চলাকালিন বিধি-নিষেধ:
মাসআলা- ৮ নারীরা মাসিক ও প্রসবজনিত বিশেষ দিনগুলোতে নামাজ-রোজা পালন করতে পারবে না। পরে এসব নামাজের কাজাও নেই, তবে রোজা কাজা করে নিতে হবে।
[সহিহ বুখারি ৩/৩৫ হাদিস নং১৯৫১; সুনানে তিরমিযী হাদিস নং ৭৮৭;মাবসুতে সারাখসি : ৩/১৫৪-১৫৫]
মাসআলা-৯ নেফাসের বিশেষ দিনগুলোতে কোরআন শরিফ পড়া এবং গিলাফ ব্যতীত স্পর্শ করা জায়েজ নেই। [ফাতহুল কাদির : ১/১৬৮]
মাসআলা- ১০ অনুরূপ হায়েজ-নেফাস অবস্থায় সহবাস থেকে বিরত থাকা একান্ত অপরিহার্য। তবে অপারগতাবশত গুনাহ থেকে বাঁচার মানসে হাঁটু থেকে নাভির মধ্যবর্তী অংশ বাদ দিয়ে অন্যান্য অঙ্গ দ্বারা যৌনস্পৃহা নিবারণ করা যায়।[আদ্দুররুল মুখতার : ১/২৯২]
মাসআলা-১১ এমনিভাবে নেফাস চলাকালিন সময়ে তাওয়াফ করা,মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ। [ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি ১/১১৬]
মাসআলা-১২ বই-পুস্তক বা দ্বীনি কিতাবাদি, যেখানে কোরআন শরিফের আয়াতও লিখা থাকে, এ অবস্থায় পড়া বা স্পর্শ করা জায়েজ। তবে কোরআনের আয়াত পড়া বা স্পর্শ করা যাবে না। (রদ্দুল মুহতার : ১/১৭৬)
মাসআলা-১৩ তদ্রূপ ওই সময়ে দোয়ার অর্থবহ আয়াত বা সুরা দোয়ার নিয়তে পড়া জায়েজ। যেমন দোয়ার নিয়তে আয়াতুল কুরসি বা সুরায়ে নাস ও ফালাক ইত্যাদি পড়া জায়েজ হবে দোয়া হিসাবে,তেলাওয়াত হিসাবে নয়। তবে নিয়মিত আমল হিসেবেও সূরা ইয়াসিন, ওয়াকিয়া ইত্যাদি পড়া যাবে না। [ফাতহুল কাদির : ১/১৬৮, রদ্দুল মুহতার : ১/১৭২, আহসানুল ফাতাওয়া : ২/৭১]
মাসআলা-১৪ হায়েয-নেফাস কোনো রোগ নয়,বরং প্রাকৃতিক নিয়ম। হায়েয-নেফাস না হওয়াই রোগ। ইচ্ছা করে বন্ধ করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। তাই ওষুধ খেয়ে হায়েয-নেফাস বন্ধ করা নিষিদ্ধ। [ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া ৬/৪০৪]
মাসআলা-১৫ হায়েয-নেফাস শুরু হওয়ার পূর্বেই যদি ওষুধ সেবন করে বা কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করে হায়েয-নেফাস বন্ধ করে দেওয়া হয়,তাহলে সংশ্লিষ্ট মহিলা ঋতুমুক্ত হিসাবে গণ্য হবে এবং যথারীতি নামায-রোজা আদায় করতে হবে। পক্ষান্তরে হায়েয-নেফাস শুরু হওয়ার পর যদি বন্ধ করা হয়,তাহলে দেখতে হবে হায়েযের ক্ষেত্রে দশ দিনের ভেতর এবং নেফাসের ক্ষেত্রে চল্লিশ দিনের ভেতর পুনরাই রক্ত দেখা দিয়েছে কি-না। যদি দেখা দিয়ে থাকে তাহলে সেই মহিলা হায়েযগগ্রস্থা(ঋতুবর্তী হিসাবে
গণ্য হবে,অন্যথায় ঋতুমুক্ত বলে গণ্য হবে।
[ফাতাওয়ায়ে শামি ১/৩০৮; বাদায়েস সানায়ে ১/৩৯
মাসআলা-১৬ নেফাসের জন্য ৪০ দিন পূর্ণ হওয়া জরুরি নয়। বরং যখন রক্ত আসা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে সে ওয়াক্ত থেকেই গোসল করে নামায শুরু করবে।[ইবনে মাজাহ ১/৪৮; ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া ১/৫৩৮]
মাসআলা-১৭ অপারেশনের মাধ্যমে যদি সন্তান বের করা হয় আর যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত না আসে, তাহলে ওই মহিলা র ওপর নামায পড়া ফরজ। কেননা যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বের না হলে নেফাস বলে গণ্য হয় না।
[ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি ১/৩৭; মারাকিয়েল ফালাহ ১৪০; ফাতহুল কাদির ১/১২৯]
মাসআলা-১৮ বাচ্চা জন্মের পর, যতদিন স্ত্রী নিফাস অবস্থায় থাকে, ততক্ষণ স্বামীর জন্য বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা জায়েয নয় (নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশটি কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই উপভোগ করা জায়েয নয়), যদি নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত এর মাঝে এপরিমাণ মোটা কাপড় থাকে, যার কারণে পরস্পরের শরীরের উষ্ণতা
অনুভব না হয় তাহলে সহবাস করা ব্যতিত উপভোগ করতে পারবে। তবে যে ব্যক্তির নিজের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, সে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। তবে নাভী থেকে হাঁটু ব্যতিত শরীরের অঙ্গগুলি প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই উপভোগ করা যায় চুম্বন এবং আলিঙ্গন সহ।[ফাতাওয়ায়ে শামি ১/২৯০]
মাসআলা-১৯ হায়েযের ন্যায় নেফাস অবস্থায়ও সহবাসের অনুমতি নেই,বরং ইহা হারাম। তবে তা সত্বেও কেউ যদি সহবাস করে ফেলে তাহলে তাওবা এবং ইস্তিগফার করবে। আর সামর্থবান হয় তাহলে এক দিনার বা অর্ধ দিনার সমপরিমাণ সাদাকাহ করবে,অনথ্যায় যে পরিমাণ সামার্থ্য হয় সে পরিমাণ টাকা-পয়সা সাদাকাহ করবে। [ফাতাওয়ায়ে শামি ১/২৯৮]
মাসআলা-২০ যদি কোনো মহিলার গর্ভ চার মাস পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই দু-মাসের ভেতরে নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে নেফাসের বিধানের ভিত্তিতে সেই গর্ভ ধর্তব্য নয় এবং তারপর যে রক্ত দেখা যায় সেটা নেফাস বলে গণ্য হবে না। তবে গর্ভপাতের পরে, যখন রক্তপাত তিন দিনের বেশি স্থায়ী হয়, উদাহরণস্বরূপ, পাঁচ বা ছয় দিন আসে,তাহলে তার আগে যদি একটি পরিপূর্ণ পবিত্রতা অতিক্রম করে তাহলে এই রক্ত বিবেচনা করা হবে হায়েয হিসাবে। আর এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট মহিলা নামায পড়তে পারবে না। মাসিকের সময় শেষ হওয়ার পরে তার নামাজ শুরু করা উচিত, এবং যদি এর আগে একটি পরিপূর্ণ পবিত্রতা অতিক্রম করে না থাকে তাহলে এই রক্তটি ইস্তিহাযার (সাধারণ রোগের রক্ত) বলে বিবেচিত হবে এবং উক্ত মহিলার জন্য, অজু করে নামায পড়া জরুরি হয়ে যাবে। [ফাতাওয়ায়ে শামি]
"نعم، نقل بعضهم أنه اتفق العلماء على أن نفخ الروح لايكون إلا بعد أربعة أشهر أي عقبها كما صرح به جماعة.
والمرئي حيض إن دام ثلاثا وتقدمه طهر تام وإلا استحاضة، ولو لم يدر حاله ولا عدد أيام حملها ودام الدم تدع الصلاة أيام حيضها بيقين ثم تغتسل ثم تصلي كمعذور.
মাসআলা-২১ একজন মহিলার নিফাসের দিনে গোসল করা শরয়ীভাবে নিষিদ্ধ নয়, চল্লিশ দিন হোক বা কম হোক, বরং সে ঠাণ্ডা ইত্যাদির জন্য গোসল করতে পারে।
আর এই অপবিত্রতার দিনগুলিতে, অবাঞ্ছিত লোমগুলি যদি চল্লিশ দিনের পুরোনো হয়,তাহলে তা কাটতে হবে, এবং যদি এটি চল্লিশ দিনের কম হয়, তবে এটি অপবিত্রত অবস্থায় না কাটানো উত্তম। তা সত্বেও যদি কেটে ফেলে তাহলেও কোন গোনাহ হবে না।[ তাহতাভী আলা মারাকিয়েল ফালাহ 2/143]
মাসআলা-২২ বাচ্চা জন্মের পর মহিলার যে রক্ত আসে তাকে "নিফাস" বলা হয়। নিফাসের সময়কাল সাধারণত ৪০ দিন হয়, তবে নিফাস ৪০ দিনের কমও হতে পারে। তাই যদি কোনো মহিলার ৪০ দিন পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই রক্ত আসা বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে তার তিনটি অবস্থা হতে পারে:
১.যদি মহিলা মু'তাদা হয় [অর্থাৎ তার আগে নিফাস হয়েছিল এবং তার নিফাসের অভ্যাস জানা থাকে]এবং নেফাসের রক্ত তার অভ্যাসের মেয়াদ পরিপূর্ণ হওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে যায়, তবে তার হুকুম হলো যে,সংশ্লিষ্ট মহিলার জন্য তাৎক্ষনিকভাবে তার স্বামীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা জায়েয নয়। তবে সে মহিলা সতর্কতা হিসেবে রোজা রাখা রাখবে এবং নামায কে নামাযের শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত বিলম্বিত করে পড়বে। তবে এত দেরি করা উচিত নয় যে নামাযের মাকরুহ সময় চলে আসে।
২.যদি মহিলা মু'তাদা হয় এবং তার নেফাসের রক্ত তার অভ্যাসের মেয়াদ পরিপূর্ণ হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়, তবে তার হুকুম হলো যে,সংশ্লিষ্ট মহিলা গোসল করার কিংবা এক নামাযের ওয়াক্ত অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে তার স্বামীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা জায়েয নয়। তবে গোসল করার পর কিংবা এক নামাযের ওয়াক্ত অতিক্রান্ত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট মহিলার জন্য তার স্বামীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা জায়েয। তবে মুস্তাহাব হলো গোসল ব্যতিত যেন স্বামীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন না করে, এমনিভাবে উক্ত মহিলা রোজা রাখা রাখবে এবং নামায কে নামাযের শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত বিলম্বিত করে পড়বে। তবে এত দেরি করা উচিত নয় যে নামাযের মাকরুহ সময় চলে আসে।
৩.আর যদি মহিলা মু'বতাদা হয় [অর্থাৎ তার প্রথমবার নিফাস এসেছে] তাহলে তার বিধানও দ্বিতীয় অবস্থার ন্যায় হবে।[ফাতাওয়ায়ে শামি ১/২৯৪]
তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। 🤲🤲🤲
অযুর পর কালেমায়ে শাহাদাত পড়া মুস্তাহাব। রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-অর্থ : ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযু করার পর ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসূলুহু’ বলবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। (সহীহ মুসলিম ১/১২২)
কিয়ামতের মাঠে প্রতি হাজারে ৯৯৯ জন হবে জাহান্নামী, আর ১ জন হবে জান্নাতি।
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা’আলা বলবেন, হে আদম! তিনি বলবেন, হে রব! আমার সৌভাগ্য, আমি হাজির। তারপর তাকে উচ্চস্বরে ডেকে বলা হবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা তোমাকে নির্দেশ দিতেছেন যে, তোমার বংশধর থেকে একদলকে বের করে জাহান্নামের দিকে নিয়ে আস। আদম (আঃ) বলবে, হে রব! জাহান্নামী দলের পরিমাণ কী? বলবে, প্রতি হাজার থেকে আমার ধারণা যে, বললেন, নয়শত নিরানব্বই, এ সময় গর্ভবতী মহিলা গর্ভপাত করবে, শিশুরা বৃদ্ধ হয়ে যাবে এবং তুমি মানুষকে দেখবে মাতাল; অথচ তারা নেশাগ্রস্ত নয়। বস্তুত আল্লাহর শাস্তি কঠিন।
[পরে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াতটি পাঠ করলেন] এ কথা লোকদের কাছে ভয়ানক মনে হল, এমনকি তাদের চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন তো ইয়াজুজ-মাজূজ থেকে নেয়া হবে এবং তোমাদের মধ্য থেকে একজন। আবার মানুষদের মধ্যে তোমাদের তুলনা হবে যেমন সাদা গরুর পার্শ্ব মধ্যে যেন একটি কালো পশম অথবা কালো গরুর পার্শ্বে যেন একটি সাদা পশম। আমি অবশ্য আশা রাখি যে, জান্নাতবাসীদের মধ্যে তোমরাই হবে এক-চতুর্থাংশ। (রাবী বলেন) আমরা সবাই খুশীতে বলে উঠলাম, ’আল্লাহু আকবার’। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা হবে জান্নাতবাসীদের এক তৃতীয়াংশ। আমরা বলে উঠলাম, ’আল্লাহু আকবার’। তারপর তিনি বললেন, তোমরা হবে জান্নাতবাসীদের অর্ধেক। আমরা বলে উঠলাম, ’আল্লাহু আকবার’।
আ’মাশ থেকে উসামার বর্ণনায় এসেছে تَرَى النَّاسَ سُكَارٰى وَمَا هُمْ بِسُكَارٰى এবং তিনি বলেন, প্রতি হাজারে নয়শত নিরানব্বই জন।
জারীর, ঈসা, ইবনু ইউসুফ ও আবূ মু’আবিয়াহর বর্ণনায় سُكَرٰى এবং وَمَا هُمْ بِسُكَارٰى রয়েছে। [৩৩৪৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৮২)
সাপের ভয় হলে যে দু‘আ পড়বেন
اِنَّا نَسْئَلُكَ بِعَهْدِ نُوْحٍ وَبِعَهْدِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاؤُدَ اَنْ لَا تُؤْذِيْنَا.اِنَّا نَسْئَلُكَ بِعَهْدِ نُوْحٍ وَبِعَهْدِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوٗ دَ اَنْ لَّا تُؤْذِيَنَا
ইন্নাা নাসআলুকা বি‘আহদি নূ হিন ওয়া বি ‘আহদি সুলাই মাানাবনি দা উদা আন লাা তু’যীনাা।
ও হে সাপ! আমরা নূহ্ আলাইহিস সালাম এবং সুলাইমান (আঃ)
এর অঙ্গীকারের কথা তোদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।
তোরা আমাদের কোন ক্ষতি করিস না এবং আমাদের কষ্ট দিস না।
(তিরমিযী হাদীস নং-১৪৮৯, ১৪৮৫)
কবরের আজাব হতে আশ্রয় লাভের দোয়া |
-------------------------------------------
কবর হচ্ছে আখিরাতের প্রথম মঞ্জিল। যারা সহজে এ মঞ্জিল থেকে মুক্তি লাভ করবেন তাদের জন্য সবকিছু সহজ হয়ে যাবে। এ জন্য আম্বিয়ায়ে কেরাম, সাহাবায়ে কেরাম, আওলিয়ায়ে কেরামগণ সব সময় কবর থেকে মুক্তি লাভের জন্য ক্রন্দন করতেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও কবরের আজাব হতে আশ্রয় লাভের জন্য উম্মতকে তাগিদ দিয়েছেন। যা তুলে ধরা হলো- উৎস : হজরত বারা বিন আজিব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে জনৈক আনসারি সাহাবির জানাযায় শরীক হওয়ার জন্যে বের হলাম। তখনও কবরের খনন কাজ শেষ হয়নি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিবলামুখী হয়ে বসে পড়লেন। আমরাও তাঁর চারপাশে বসে গেলাম। তাঁর হাতে ছিল একটি কাঠি। তা দিয়ে তিনি মাটিতে খুঁচাতে ছিলেন এবং একবার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন আর একবার জমিনের দিকে মাথা অবনত করছিলেন। তিনবার তিনি দৃষ্টি উঁচু-নিচু করলেন। অতঃপর বললেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাও। কথাটি তিনি দু’বার অথবা তিনবার বললেন।
তারপর তিনি এ দোয়াটি করলেন-أَللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوْذُبِكَ مِنْ عَذاَبِ الْقَبْرِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নি আউ-জুবিকা মিন আ’জা-বিল ক্ববরি। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাই।
পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সব সময় উঠায় বসায়, নামাজ-ইবাদাত-বন্দেগিতে উক্ত দোয়া পাঠের মাধ্যমে মৃত্যুর স্মরণ এবং কবরের আজ থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
দু'আ কবুল হওয়ার ২৩টি স্থান, ক্ষেত্র ও সময়:
🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲🤲
১)সুরা ফাতিহা পাঠ করার পর, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করে দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়।
(মুসলিম)
২) অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য দু'আ, কোন মুসলিমের অগোচরে অন্য মুসলিমের জন্য দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (মুসলিম -৬৮২২)
৩) জালিমের বিরুদ্ধে মাজলুম ব্যক্তির দু'আ কবুল হয়। (তিরমীযি-৩৪৪৮)
৪) মা-বাবা তার সন্তানের জন্য দু'আ করলে দোয়া কবুল হয় ৷ (তিরমীযি-৩৪৪৮)
৫) নেককার সন্তানের দু'আ কবুল হয়। (বাবা-মায়ের জন্য তাদের মৃত্যুর পর)। (আবু দাউদ-২৮৮০)
৬) আরাফাতের ময়দানে দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (তিরমীযি-৩৫৮৫)
৭) বিপদগ্রস্ত অসহায় ব্যক্তির দু'আ তাড়াতাড়ি কবুল হয়। (সূরা নমল ৬২,৫৭ ও সূরা ইসরার ৬৭ নাম্বার আয়াত)
৮) সেজদায় দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (নাসায়ী১০৪৫)
৯) হজ্জের স্থানসমূহের দু'আ তাড়াতাড়ি কবুল হয়। যেমন: আরাফাহ, মুজদালিফা, মিনা...। (ইবনে মাজাহ-২৮৯২)
১০) হজ্জ করা অবস্থায় হাজ্জীর দু'আ কবুল হয়। (ইবনে মাজাহ-২৮৯৩)
১১) উমরাহ করার সময় উমরাহকারীর দু'আ কবুল হয়। (নাসায়ী-২৬২৫)
১২) আযানের পর দু'আ কবুল হয়। (তিরমীযি-২১০)
১৩) ক্বিতাল চলাকালীন সময় দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (আবু দাউদ-২৫৪০)
১৪) বৃষ্টি বর্ষণকালে দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (আবু দাউদ-২৫৪০)
১৫) শেষ রাতের দু'আ, তাহাজ্জুদের সময়কার দু'আ কবুল হয়। (বুখারী-১১৪৫)
১৬) জুম্মার দিনে দু'আ কবুল হয়, আসরের শেষ দিকে তালাশ করার জন্য নির্দেশ আছে। (নাসায়ী-১৩৮৯)
১৭) লাইলাতুল ক্বদরের রাত্রির দু'আ কবুল হয়। (বুখারী ও মুসলিম)
১৮) আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়কার দু'আ কবুল হয়। (আহমাদ-১৪৬৮৯, মুসলিম -৬৬৮)
১৯) ফরয সালাতের শেষ অংশে দু'আ করলে কবুল হয়। (সালাম ফিরানোর আগে)। (রিয়াদুস স্বালেহীন ১৫০৮, তিরমীযি-৩৪৯৯)
২০),মুসাফিরের দু'আ কবুল হয়। (সফর অবস্থায়)। (তিরমীযি-৩৪৪৮)
২১) রোজাদার ব্যক্তির দু'আ কবুল হয়। (রোজা অবস্থায়) । (ইবনে মাজাহ-১৭৫২)
২২) ন্যায়পরায়ণ শাসকের দু'আ কবুল হয়। (তিরমীযি-২৫২৬)
২৩) দু'আ ইউনুস পাঠ করে দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (তিরমীযি-৩৫০৫) দোয়া ইউনুস: লা ইলাহা ইল্লা-আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমীন।
অনেকের উপকারে আসতে পারে।
খতমে শিফা পড়ার নিয়ম।
১। ইস্তেগ্ফার- ১১বার
২। সূরা ফাতিহা- ১০০ বার
৩। দরূদ শরীফ- ১০০ বার
৪। সূরা আলাম নাশরাহ- ৭৯ বার
৫। সূরা ইখলাছ- ১০০০ বার
৬। পুনরায় সূরা ফাতিহা- ৭বার
৭। পুনরায় দরূদ শরীফ- ১০০বার
৮। তারপর এই দোয়া (একশত বার): فَسَهِّلْ يَا اِلٰهِىْ كُلَّ صَعْبٍ بِحُرْ مَتِ سَيِّدِ الْاَ بْرَارِ سَهِّلْ سَهِّلْ بِفَضْلِكَ يَاعَزِيْزُ
উচ্চারণ: ফাসাহ্হিল ইয়া ইলাহি কুল্লা ছা’বিন বিহুরমাতি সায়্যেদিল আবররি সাহ্হিল- সাহ্হিল বিফাদ্বলিকা ইয়া আজীজ। অত:পর
৯। يَا قَاضِىَ الْحَاجَاتْ ইয়া ক্বদ্বিয়াল হাযাত- ১০০বার
১০। يَا كَفِىَ الْمُهِمَّاتْ ইয়া কাফিয়াল মুহিম্মাত- ১০০বার
১১। يَا دَافِعَ الْبَلِيَّاتْ ইয়া দাফিয়াল বালিয়্যাত- ১০০বার
১২। يَا مُجِيْبَ الدَّعْوَاتْ ইয়া মুযিবাদ দা’ওয়াত- ১০০বার
১৩। يَا رَافِعَ الدَّرَجَاتْ ইয়া রাফিয়াদ্ দারযাত- ১০০বার
১৪। يَا حَلَّالَ الْمُشْكِلَاتْ ইয়া হাল্লালাল্ মুশ্কিলাত্- ১০০বার
১৫। يَا مُسَبِّبَ الْاَسْبَابْ ইয়া মুসাব্বিবাল আসবাব- ১০০বার
১৬। يَا شَافِعَ الْاَمْرَاضْ ইয়া শাফিয়াল আমরাজ- ১০০বার
১৭। يَا مُفَتِّحَ الْاَبْوَابْ ইয়া মুফাত্তিহাল্ আব্ওয়াব- ১০০বার
১৮। رَبِّ اِنِّىْ مَغْلُوْبٌ فَانْتَصِرْ রব্বি ইন্নি মাগ্লুবুন ফানতাছির- ১০০বার
১৯। يَا غَوْثُ اَغِثْنِىْ وَاَمْدُدْنِىْ ইয়া গউছু আগিছ্নী ওয়া আম্দুদ্নীয়া- ১০০বার
২০। اِنَّالِلّٰهِ وَاِنَّااِلَيْهِ رَاجِعُوْنْ ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন- ১০০বার
২১। لَااِلٰهَ اِلَّاۤ اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّىْ كُنْتُ مِنَ الظّٰلِمِيْنْ লা-ইলাহা ইল্লা আ আংতা সুব্হানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জোয়ালিমীন- ১০০বার
২২। فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ وَنَجَّيْنٰهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذٰ لِكَ نُنْجِى الْمُؤْمِنِيْنْ ফাসতাজাবনা লাহু ওয়ানাজ্জাইনাহু মিনাল গম্মি ওয়া কাজালিকা নুনজিল মু’মিনীন- ১০০বার
২৩। يَا اَرْ حَمَ الرَّحِمِيْنْ ইয়া আরহামার রহিমিন- ১০০বার
২৪। অতঃপর ১০০বার দরূদ শরীফ পাঠ করে খতম শেষ করে খালেছ দিলে মুনাজাত করবে, ইনশাআল্লাহ্, আল্লাহপাক কবুল করবেন এবং এর ফলাফল প্রত্যক্ষ হতে থাকবে।
|| কুরবানীর জরুরি ৬৬ টি মাসয়ালা ||
১.কার উপর কুরবানী ওয়াজিব?
উঃ জিলহজ্জ মাসের ১০ সুবহে সাদিক থেকে১২ তারিখ
সূর্যাস্ত পর্যন্ত কারো কাছে যদি নিছাব পরিমাণ সম্পদ থাকে অর্থাৎ ৭ঃ৫ সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা থাকে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব।
২.নিছাবের মেয়াদ কত দিন?
উঃ ৩ দিন, জিলহজ্জ মাসের ১০,১১ এবং ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
৩. তিন দিনের মধ্যে কোন দিন কুরবানী করা উত্তম?
উঃ ১০ তারিখে প্রথম দিন।
৪.যদি নাবালক এর নিছাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে কি ?
উঃ না।
৫.বালেক সুস্থ মস্তিষ্ক না নিছাব পরিমাণ সম্পদ আছে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে কি ?
উঃ- না
৬.যদি নাবালেক এর নিছাব পরিমাণ সম্পদ থাকে এর পক্ষে থেকে কুরবানী দেওয়া কি?
উঃ মুস্তাহাব, ওয়াজিব না।
৭.দরিদ্র লোকের উপর কুরবানী কি ওয়াজিব?
উঃ- না, তবে যদি কুরবানির নিয়তে পশু ক্রয় করে
তখন সে পশু কুরবানী করা ওয়াজিব।
৮.কেউ যদি কুরবানির দিন গুলোতে কুরবানির দিতে না পারে তাহলে কি করবে, যদি সে নিছাব পরিমাণ সম্পদ আছে, কোন সমস্যায় দিতে পারে নি তাহলে কি করবে?
উঃ-একটা ছাগল যে কুরবানী উপযুক্ত সে ছাগলের সমপরিমাণ টাকা সদকা করে দিবে ন এটা হলো যারা পশু ক্রয় করতে পারেনি তাদের জন্য।
কিন্তু যারা পশু কিনেছেন কিন্তু তিন দিনের মাঝে কুরবানী দিতে পারেন নি তাহলে তার জন্য করণীয় হলো সে পশু সদকা করে দেওয়া।
আবার যদি কেউ তিন দিন পর জবাই করে ফেলে তাহলে সে ঐ পশুর গোশত ওজন করবে তারপর যদি ঐ পশুর ক্রয়ের টাকা থেকে কম হয় তাহলে গোশত সহ
যতো টাকার গোশত কম হয়েছে পুরো টাই সদকা করতে হবে। ধরনে আপনি ২০ হাজার দিয়ে কিনেছেন ওজন দিয়ে দেখলেন ১৮ হাজার টাকার গোশত হয়েছে
গোশতের আরও ২ হাজার টাকা সদকা করতে হবে।
৯.প্রথম দিন কখন থেকে কুরবানী করা যাবে?
উঃ যে এলাকায় জুমার নামাজ,এবং ঈদের নামাজ ওয়াজিব সে এলাকায় ঈদের নামাজের আগে কুরবানী করা জায়েজ নেই। তবে কোন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটে গেলে
যদি ঈদের নামাজ না পড়া যায় তাহলে করনীয় হলো সূর্য মধ্যে আকাশ অতিক্রম করার পর কুরবানী করা জায়েজ হবে।
১০.রাতে কুরবানী দিলে কি হবে?
উঃ ১০,১১ তারিখে রাতে দিলে হবে ১২ তারিখ রাতে দিলে হবে না।
১১.কোন কোন পশু দিয়ে কুরবানী দেওয়া জায়েজ?
উঃ- গরু,উট,মহিষ,দুম্বা, ছাগল এবং ভেড়া।
১২.পশু দের লিঙ্গ ভেদ করতে হবে কি?
উঃ- না, পুরুষও মহিলা উভয় দিয়ে হবে।
১৩.পশুর বয়স সীমা কত?
উঃ উট কম পক্ষে ৫ বছর,গরু মহিষ ২ বছর
ভেড়া, দুম্বা ছাগল ১ বছর।
ভেড়া এবং দুম্বা ১ বছর হয়নি তবে বলিষ্ঠ মনে হয়
যে এক বছর হয়েছে তাহলে এটা দিয়ে কুরবানী হবে।
তবে ছাগল ১ বছরের নিচে কোন ভাবে হবে না।
১৪.শরীক সর্বোচ্চ কত জন হওয়া যাবে?
উঃ উট,গরু,মহিষে সর্বোচ্চ ৭ জন কমে হলে সমস্যা নেই তবে একা দেওয়া উত্তম । ছাগল, দুম্বা, ভেড়া তে একজন।
১৫.গোশত ভাগে কম বেশি হলে?
উঃ- কারো কুরবানী সহীহ হবে না।
১৬. শরীকের মাঝে কেউ যদি গোশত খাওয়ার নিয়তে দেয় তাহলে?
উঃ- কারো কুরবানী হবে না।
১৭.কুরবানীর পশুতে আকিকা দেওয়া যাবে?
উঃ- হ্যাঁ, তবে উট, গরু,এবং মহিষে।
১৮. শরীক দার দের মাঝে যদি কারো অধিকাংশ বা পুরা টাকা হারাম হয় তাহলে কি কুরবানী হবে?
উঃ- না না না! কারো কুরবানী হবে না।
১৯. গরু, মহিষ উট একা কুরবানী নিয়তে কিনার অন্য কাউকে কি শরীক করা যাবে?
উঃ- ধনী হলে পারবে অর্থাৎ যার উপর ওয়াজিব , তবে গরিব ওয়াজিব না কুরবানী তার উপর। পশু কিনে ফেলছে কুরবানীর নিয়তে তাহলে শরীক করা যাবে না একাই দিতে হবে।
২০.কোন ধরনের পশু নির্বাচন করা উত্তম?
উঃ- রিষ্ট পুষ্ট, তাজা পশু নির্বাচন করা সুন্নত।
২১.যে পশু তিন পায়ে ভর করে চলে এমন পশু ধারা কি কুরবানী হবে?
উঃ- না
২২.রোগ্ন পশু দিয়ে কি কুরবানী হবে?
উঃ- না
২৩.দাঁত ছাড়া পশু দিয়ে কি কুরবানী হবে?
উঃ একটা দাত নেই এটা কোন ভাবেই হবে না ,অথবা কিছু আছে তবে ঘাস খেতে পারে না এমন পশু ধারা কুরবানী হবে না।
২৪. শিং ছাড়া পশু দিয়ে কুরবানী হবে কি ?
উঃ জন্মগত যে পশুর শিং নেই সেটা ধারা হবে।
তবে পরবর্তীতে যেটা ভেঙ্গে যায় আর তার ফলে মস্তিষ্কে ক্ষতি হয় এমন পশু ধারা হবে না। তবে অর্ধে হলেও হবে।
২৫.লেজ কাটা, কান কাটা পশু দিয়ে কুরবানি হবে কি?
উঃ যদি পশুর লেজ বা কান অর্ধেক বা তার বেশি কাটা হয় তাহলে সে পশু ধারা কুরবানী হবে না।
তবে অর্ধেকের কম হলে হবে।
২৬.অন্ধ পশু ধারা কুরবানী করা যাবে কি?
উঃ- না তবে যে পশুর এক চোখ ও অন্ধ সেটা দিয়েও হবে না।
২৭.কুরবানীর নিয়তে পশু ক্রয় করার পর হারিয়ে গেলে দাতা কি করবে?
উঃ- ধনী হলে আরেক টা ক্রয় করবেন।
এবং গরিব ওয়াজিব নয় এমন ব্যক্তি ক্রয় করতে হবে না
তবে কিনার পরে যদি আবার প্রথম পশু ফিরে পাওয়া যায় তাহলে ধনী ব্যক্তি যেকোন একটা কুরবানী করলে হবে, তবে দুটা করা উত্তম একটা করলেও হবে।
** আর গরিব ব্যক্তি যদি হয় তাহলে দুটাই দিতে হবে।
দুটাই দেওয়া তখন ওয়াজিব।
২৮.গর্ভবতী পশু কুরবানী করা কি জায়েজ আছে?
উঃ- হ্যা জায়েজ।
২৯.পশু জবাইয়ের পরে যদি বাচ্চা কে জীবিত পাওয়া যায় তাহলে কি করবে?
উঃ- বাচ্চা ও জবাই দিতে হবে।
৩০.জবাইয়ের আগ মুহূর্তে যদি পশু প্রসব অবস্থায় উপনীত হয় তখন করনীয় কি?
উঃ- সে পশু জবাই করা জায়েজ আছে, তবে মাকরূহ!
৩১.পশু ক্রয় করার পর যদি এমন কোন দোষ দেখা যায় যে দোষ গুলো থাকিলে কুরবানী হয় না তখন করনীয় কি?
উঃ- এই পশু ধারা কুরবানী হবে না।
তবে এখানে গরিব ব্যক্তির জন্য জায়েজ আছে
ধনী ব্যক্তির জন্য জায়েজ নয়।
৩২.আপনি কোন পশু ক্রয় করার সময় জিজ্ঞেস করলেন বয়স কত সে বললো ২ বছর যদি সেটার আসলে বয়স ২ বছর না হয় তখন কি করনীয় বা কুরবানী কি হবে?
উঃ- হ্যা হবে তবে যে বিক্রেতা মিথ্যা বলেছে তার গুনা হবে।
৩৩.পশু কোথায় জবাই করা উত্তম?
উঃ- যেখানে পরিবেশ দূষিত হওয়ার আশংকা কম থাকে।
৩৪. পশু কে জবাই করা উত্তম?
উত্তমঃ- নিজের পশু নিজে কুরবানী করা উত্তম।
৩৫.বন্ধা পশু ধারা কুরবানী হবে কি?
উঃ- হ্যা হবে ।
৩৬.অনেক সময় হুজুর জবাই করার পর দেখা যায় সম্পূর্ণ হয় নি আবার অন্য জন তরবারি হাতে নিয়ে
রগ বা শিরা কাটতে যায় এটা কি জায়েজ হবে?
উত্তরঃ- হ্যা জায়েজ আছে তবে উভয় ব্যক্তি বিসমিল্লাহি আল্লাহ আকবার না বললে কুরবানী হবে না।
একজন যদি না বলে সেক্ষেত্রে ও কুরবানী বাতিল হয়ে যাবে।
৩৭. কুরবানীর পশু ধারা উপকৃত হওয়া যাবে কি?
উঃ না এটা কোন ভাবে জায়েজ নেই।
৩৮.কুরবানীর পশু ধারা যদি আপনি হাল চাষ করে ফেলেন সেক্ষেত্রে করনীয় কি?
উঃ অন্য পশু ধারা করলে যে পারিশ্রমিক আসত সে পরিমান টাকা সদকা করে দেওয়া।
৩৯.কুরবানির পশুর,দুধ পান করা যাবে কি?
উঃ- না
৪০. যদি পশুর জবাইর আগে মন হয় দুধ দহন না করলে পশুর কষ্ট হবে তাহলে করনীয় কি?
উঃ- সে দুধ দহন করে সদকা করে দিতে হবে.
ভুলে খেয়ে ফেললেন তখন যে পরিমাণ পান করেছেন সে পরিমাণ অর্থ সদকা করতে হবে।
৪১.পশু ক্রয় করার পর শরীক মারা গেল তখন কি করবে?
উঃ- তার ওয়ারিশ রা যদি বলে কুরবানী করেন তাহলে
করতে পারবেন, আর যদি বলে না করতে পারবেন না তাহলে টাকা দিয়ে দিতে হবে।
তবে চাইলে পরবর্তী আরেক জন শরীক করতে পারবেন।
৪২.জবাইয়ের আগে পশু বাচ্চা দিলে কি করবেন?
উঃ- ঐ বাচ্চা জীবিত সদকা করে দিতে হবে।
সদকা না করলে পশুর সাথে জবাই করতে হবে।
এখানে জবাই করা বাচ্চার গোশত সদকা করে দিতে হবে, আপনে খেতে পারবেন না।
৪৩.মৃত্যু ব্যক্তির পক্ষ থেকে কি কুরবানী করা যাবে?
উঃ- হ্যা করা যাবে, তবে উসিয়ত করে গেলে গোশত সদকা করে দিতে হবে। উছিয়ত না করলে আপনে খেতে পারবেন।
৪৪.তিন দিনের বেশি কুরবানীর গোশত রাখা যাবে?
উঃ- হ্যা রাখা যাবে যতো দিন ইচ্ছে!
৪৫.অনুমান করে বন্টন করা কি জায়েজ আছে?
উঃ- না, পূর্ণ ওজন করে ভাগ করতে হবে।
৪৬. তিনের এক অংশ গরীব কে দেওয়া, যদি সেটা না দেই তাহলে কি কুরবানী হবে? (আমরা যেটা কে সমাজের গোশত বলি)
উঃ- হ্যা হবে তবে সেটা বড় কৃপ্রনতার পরিচয়।
৪৭.গোশত চর্বি বিক্রি করা যাবে কি?
উঃ- না।
৪৮.জবাইকারী বা কসাই কে গোশত দিয়ে পারিশ্রমিক দেওয়া যাবে কি?
উঃ না টাকা দিতে হবে, তবে পরে হাদিয়া হিসেবে গোশত দিতে পারবেন আগে পারিশ্রমিক দিতে হবে।
৪৯. জবাই করার অস্র কেমন হতে হবে?
উঃ দাড়ালো উত্তম।
৫০. জবাইয়ের কত সময় পর চামড়া আলাদা করা যাবে?
উঃ- নিসতেজ হওয়ার পর পশু।
৫১.এক পশু কে অন্য পশুর সামনে জবাই করা যাবে কি?
উঃ- যাবে তবে ঠিক না নবী কারীম সাঃ নিষেধ করেছেন?
৫২.কুরবানীর গোশত অন্য র্ধমের ব্যক্তি কে দেওয়া যাবে কি ?
উঃ- হ্যা তাতে কোন সমস্যা নেই।
৫৩.পশু মারা গেলে অথবা ছিনতাই হয়ে গেলে কি করনীয়?
উঃ- ধনী হলে আরেক টা ক্রয় করবেন।
গরিব হলে লাগবে না।
৫৪.মুসাফির এর উপর কুরবানী করা কি ওয়াজিব?
উঃ না।
৫৫.কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করলে কি করনীয়?
উঃ- ঐ ব্যক্তি থেকে অনুমতি নিতে হবে।
৫৬.কুরবানী গোশত খাওয়া কি?
উঃ- মুস্তাহব, না খেলেও গুনা হবে না। তবে খাওয়া উত্তম।
৫৭.কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তি যদি ঋণ নিয়ে কুরবানী করে কুরবানী হবে কি?
উঃ হবে তবে সুদের উপর ঋণ নিয়ে করলে হবে না।
৫৮.হাজীরা যদি মুসাফির থাকে তখন তাদের উপর কুরবানী কি ওয়াজিব?
উঃ- না।
৫৯.পাগল পশু ধারা কুরবানী কি হবে?
উঃ- না।
৬০.নবী কারীম সাঃ এর পক্ষ থেকে কুরবানী করা কি?
উঃ- উত্তম সামার্থ্যবান দের জন্য।
এটার গোশত সবায় খেতে পারবে।
৬১.খাসি কৃত পশু ধারা কুরবানী করা যাবে কি?
উঃ- হ্যা
৬২.বিদেশে অবস্থানে ব্যক্তির করনীয় কি?
উঃ- উনার পক্ষ থেকে দেশে কুরবানী দিলেও হবে
৬৩.পশুর চামড়া কি নিজে ব্যবহার করা যাবে?
উঃ- হ্যা,তবে বিক্রি করলে টাকা সদকা করতে হবে।
৬৪.জবাই কারী কে পারিশ্রমিক দিতে হবে কি?
উঃ উত্তম হাদিয়া দেওয়া।
৬৫.কুরবানীর দিনে মুরগী হাঁস জবাই করা যাবে কি?
উঃ- যাবে, তবে কুরবানী নিয়তে করা যাবে না।
৬৬. জীবিত ব্যক্তির পক্ষ হতে কুরবানী করা যাবে কি?
উঃ- হ্যা যাবে।
আলহামদুলিল্লাহ এই হলো ৬৬ টি মাসায়ালা
আল্লাহ সকল কে সঠিক নিয়ম মেনে কুরবানী করার তৌফিক দান করুন আমিন।কুরবানীর জরুরি ৬৬ টি মাসয়ালা!
১.কার উপর কুরবানী ওয়াজিব?
উঃ জিলহজ্জ মাসের ১০ সুবহে সাদিক থেকে১২ তারিখ
সূর্যাস্ত পর্যন্ত কারো কাছে যদি নিছাব পরিমাণ সম্পদ থাকে অর্থাৎ ৭ঃ৫ সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা থাকে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব।
২.নিছাবের মেয়াদ কত দিন?
উঃ ৩ দিন, জিলহজ্জ মাসের ১০,১১ এবং ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
৩. তিন দিনের মধ্যে কোন দিন কুরবানী করা উত্তম?
উঃ ১০ তারিখে প্রথম দিন।
৪.যদি নাবালক এর নিছাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে কি ?
উঃ না।
৫.বালেক সুস্থ মস্তিষ্ক না নিছাব পরিমাণ সম্পদ আছে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে কি ?
উঃ- না
৬.যদি নাবালেক এর নিছাব পরিমাণ সম্পদ থাকে এর পক্ষে থেকে কুরবানী দেওয়া কি?
উঃ মুস্তাহাব, ওয়াজিব না।
৭.দরিদ্র লোকের উপর কুরবানী কি ওয়াজিব?
উঃ- না, তবে যদি কুরবানির নিয়তে পশু ক্রয় করে
তখন সে পশু কুরবানী করা ওয়াজিব।
৮.কেউ যদি কুরবানির দিন গুলোতে কুরবানির দিতে না পারে তাহলে কি করবে, যদি সে নিছাব পরিমাণ সম্পদ আছে, কোন সমস্যায় দিতে পারে নি তাহলে কি করবে?
উঃ-একটা ছাগল যে কুরবানী উপযুক্ত সে ছাগলের সমপরিমাণ টাকা সদকা করে দিবে ন এটা হলো যারা পশু ক্রয় করতে পারেনি তাদের জন্য।
কিন্তু যারা পশু কিনেছেন কিন্তু তিন দিনের মাঝে কুরবানী দিতে পারেন নি তাহলে তার জন্য করণীয় হলো সে পশু সদকা করে দেওয়া।
আবার যদি কেউ তিন দিন পর জবাই করে ফেলে তাহলে সে ঐ পশুর গোশত ওজন করবে তারপর যদি ঐ পশুর ক্রয়ের টাকা থেকে কম হয় তাহলে গোশত সহ
যতো টাকার গোশত কম হয়েছে পুরো টাই সদকা করতে হবে। ধরনে আপনি ২০ হাজার দিয়ে কিনেছেন ওজন দিয়ে দেখলেন ১৮ হাজার টাকার গোশত হয়েছে
গোশতের আরও ২ হাজার টাকা সদকা করতে হবে।
৯.প্রথম দিন কখন থেকে কুরবানী করা যাবে?
উঃ যে এলাকায় জুমার নামাজ,এবং ঈদের নামাজ ওয়াজিব সে এলাকায় ঈদের নামাজের আগে কুরবানী করা জায়েজ নেই। তবে কোন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটে গেলে
যদি ঈদের নামাজ না পড়া যায় তাহলে করনীয় হলো সূর্য মধ্যে আকাশ অতিক্রম করার পর কুরবানী করা জায়েজ হবে।
১০.রাতে কুরবানী দিলে কি হবে?
উঃ ১০,১১ তারিখে রাতে দিলে হবে ১২ তারিখ রাতে দিলে হবে না।
১১.কোন কোন পশু দিয়ে কুরবানী দেওয়া জায়েজ?
উঃ- গরু,উট,মহিষ,দুম্বা, ছাগল এবং ভেড়া।
১২.পশু দের লিঙ্গ ভেদ করতে হবে কি?
উঃ- না, পুরুষও মহিলা উভয় দিয়ে হবে।
১৩.পশুর বয়স সীমা কত?
উঃ উট কম পক্ষে ৫ বছর,গরু মহিষ ২ বছর
ভেড়া, দুম্বা ছাগল ১ বছর।
ভেড়া এবং দুম্বা ১ বছর হয়নি তবে বলিষ্ঠ মনে হয়
যে এক বছর হয়েছে তাহলে এটা দিয়ে কুরবানী হবে।
তবে ছাগল ১ বছরের নিচে কোন ভাবে হবে না।
১৪.শরীক সর্বোচ্চ কত জন হওয়া যাবে?
উঃ উট,গরু,মহিষে সর্বোচ্চ ৭ জন কমে হলে সমস্যা নেই তবে একা দেওয়া উত্তম । ছাগল, দুম্বা, ভেড়া তে একজন।
১৫.গোশত ভাগে কম বেশি হলে?
উঃ- কারো কুরবানী সহীহ হবে না।
১৬. শরীকের মাঝে কেউ যদি গোশত খাওয়ার নিয়তে দেয় তাহলে?
উঃ- কারো কুরবানী হবে না।
১৭.কুরবানীর পশুতে আকিকা দেওয়া যাবে?
উঃ- হ্যাঁ, তবে উট, গরু,এবং মহিষে।
১৮. শরীক দার দের মাঝে যদি কারো অধিকাংশ বা পুরা টাকা হারাম হয় তাহলে কি কুরবানী হবে?
উঃ- না না না! কারো কুরবানী হবে না।
১৯. গরু, মহিষ উট একা কুরবানী নিয়তে কিনার অন্য কাউকে কি শরীক করা যাবে?
উঃ- ধনী হলে পারবে অর্থাৎ যার উপর ওয়াজিব , তবে গরিব ওয়াজিব না কুরবানী তার উপর। পশু কিনে ফেলছে কুরবানীর নিয়তে তাহলে শরীক করা যাবে না একাই দিতে হবে।
২০.কোন ধরনের পশু নির্বাচন করা উত্তম?
উঃ- রিষ্ট পুষ্ট, তাজা পশু নির্বাচন করা সুন্নত।
২১.যে পশু তিন পায়ে ভর করে চলে এমন পশু ধারা কি কুরবানী হবে?
উঃ- না
২২.রোগ্ন পশু দিয়ে কি কুরবানী হবে?
উঃ- না
২৩.দাঁত ছাড়া পশু দিয়ে কি কুরবানী হবে?
উঃ একটা দাত নেই এটা কোন ভাবেই হবে না ,অথবা কিছু আছে তবে ঘাস খেতে পারে না এমন পশু ধারা কুরবানী হবে না।
২৪. শিং ছাড়া পশু দিয়ে কুরবানী হবে কি ?
উঃ জন্মগত যে পশুর শিং নেই সেটা ধারা হবে।
তবে পরবর্তীতে যেটা ভেঙ্গে যায় আর তার ফলে মস্তিষ্কে ক্ষতি হয় এমন পশু ধারা হবে না। তবে অর্ধে হলেও হবে।
২৫.লেজ কাটা, কান কাটা পশু দিয়ে কুরবানি হবে কি?
উঃ যদি পশুর লেজ বা কান অর্ধেক বা তার বেশি কাটা হয় তাহলে সে পশু ধারা কুরবানী হবে না।
তবে অর্ধেকের কম হলে হবে।
২৬.অন্ধ পশু ধারা কুরবানী করা যাবে কি?
উঃ- না তবে যে পশুর এক চোখ ও অন্ধ সেটা দিয়েও হবে না।
২৭.কুরবানীর নিয়তে পশু ক্রয় করার পর হারিয়ে গেলে দাতা কি করবে?
উঃ- ধনী হলে আরেক টা ক্রয় করবেন।
এবং গরিব ওয়াজিব নয় এমন ব্যক্তি ক্রয় করতে হবে না
তবে কিনার পরে যদি আবার প্রথম পশু ফিরে পাওয়া যায় তাহলে ধনী ব্যক্তি যেকোন একটা কুরবানী করলে হবে, তবে দুটা করা উত্তম একটা করলেও হবে।
** আর গরিব ব্যক্তি যদি হয় তাহলে দুটাই দিতে হবে।
দুটাই দেওয়া তখন ওয়াজিব।
২৮.গর্ভবতী পশু কুরবানী করা কি জায়েজ আছে?
উঃ- হ্যা জায়েজ।
২৯.পশু জবাইয়ের পরে যদি বাচ্চা কে জীবিত পাওয়া যায় তাহলে কি করবে?
উঃ- বাচ্চা ও জবাই দিতে হবে।
৩০.জবাইয়ের আগ মুহূর্তে যদি পশু প্রসব অবস্থায় উপনীত হয় তখন করনীয় কি?
উঃ- সে পশু জবাই করা জায়েজ আছে, তবে মাকরূহ!
৩১.পশু ক্রয় করার পর যদি এমন কোন দোষ দেখা যায় যে দোষ গুলো থাকিলে কুরবানী হয় না তখন করনীয় কি?
উঃ- এই পশু ধারা কুরবানী হবে না।
তবে এখানে গরিব ব্যক্তির জন্য জায়েজ আছে
ধনী ব্যক্তির জন্য জায়েজ নয়।
৩২.আপনি কোন পশু ক্রয় করার সময় জিজ্ঞেস করলেন বয়স কত সে বললো ২ বছর যদি সেটার আসলে বয়স ২ বছর না হয় তখন কি করনীয় বা কুরবানী কি হবে?
উঃ- হ্যা হবে তবে যে বিক্রেতা মিথ্যা বলেছে তার গুনা হবে।
৩৩.পশু কোথায় জবাই করা উত্তম?
উঃ- যেখানে পরিবেশ দূষিত হওয়ার আশংকা কম থাকে।
৩৪. পশু কে জবাই করা উত্তম?
উত্তমঃ- নিজের পশু নিজে কুরবানী করা উত্তম।
৩৫.বন্ধা পশু ধারা কুরবানী হবে কি?
উঃ- হ্যা হবে ।
৩৬.অনেক সময় হুজুর জবাই করার পর দেখা যায় সম্পূর্ণ হয় নি আবার অন্য জন তরবারি হাতে নিয়ে
রগ বা শিরা কাটতে যায় এটা কি জায়েজ হবে?
উত্তরঃ- হ্যা জায়েজ আছে তবে উভয় ব্যক্তি বিসমিল্লাহি আল্লাহ আকবার না বললে কুরবানী হবে না।
একজন যদি না বলে সেক্ষেত্রে ও কুরবানী বাতিল হয়ে যাবে।
৩৭. কুরবানীর পশু ধারা উপকৃত হওয়া যাবে কি?
উঃ না এটা কোন ভাবে জায়েজ নেই।
৩৮.কুরবানীর পশু ধারা যদি আপনি হাল চাষ করে ফেলেন সেক্ষেত্রে করনীয় কি?
উঃ অন্য পশু ধারা করলে যে পারিশ্রমিক আসত সে পরিমান টাকা সদকা করে দেওয়া।
৩৯.কুরবানির পশুর,দুধ পান করা যাবে কি?
উঃ- না
৪০. যদি পশুর জবাইর আগে মন হয় দুধ দহন না করলে পশুর কষ্ট হবে তাহলে করনীয় কি?
উঃ- সে দুধ দহন করে সদকা করে দিতে হবে.
ভুলে খেয়ে ফেললেন তখন যে পরিমাণ পান করেছেন সে পরিমাণ অর্থ সদকা করতে হবে।
৪১.পশু ক্রয় করার পর শরীক মারা গেল তখন কি করবে?
উঃ- তার ওয়ারিশ রা যদি বলে কুরবানী করেন তাহলে
করতে পারবেন, আর যদি বলে না করতে পারবেন না তাহলে টাকা দিয়ে দিতে হবে।
তবে চাইলে পরবর্তী আরেক জন শরীক করতে পারবেন।
৪২.জবাইয়ের আগে পশু বাচ্চা দিলে কি করবেন?
উঃ- ঐ বাচ্চা জীবিত সদকা করে দিতে হবে।
সদকা না করলে পশুর সাথে জবাই করতে হবে।
এখানে জবাই করা বাচ্চার গোশত সদকা করে দিতে হবে, আপনে খেতে পারবেন না।
৪৩.মৃত্যু ব্যক্তির পক্ষ থেকে কি কুরবানী করা যাবে?
উঃ- হ্যা করা যাবে, তবে উসিয়ত করে গেলে গোশত সদকা করে দিতে হবে। উছিয়ত না করলে আপনে খেতে পারবেন।
৪৪.তিন দিনের বেশি কুরবানীর গোশত রাখা যাবে?
উঃ- হ্যা রাখা যাবে যতো দিন ইচ্ছে!
৪৫.অনুমান করে বন্টন করা কি জায়েজ আছে?
উঃ- না, পূর্ণ ওজন করে ভাগ করতে হবে।
৪৬. তিনের এক অংশ গরীব কে দেওয়া, যদি সেটা না দেই তাহলে কি কুরবানী হবে? (আমরা যেটা কে সমাজের গোশত বলি)
উঃ- হ্যা হবে তবে সেটা বড় কৃপ্রনতার পরিচয়।
৪৭.গোশত চর্বি বিক্রি করা যাবে কি?
উঃ- না।
৪৮.জবাইকারী বা কসাই কে গোশত দিয়ে পারিশ্রমিক দেওয়া যাবে কি?
উঃ না টাকা দিতে হবে, তবে পরে হাদিয়া হিসেবে গোশত দিতে পারবেন আগে পারিশ্রমিক দিতে হবে।
৪৯. জবাই করার অস্র কেমন হতে হবে?
উঃ দাড়ালো উত্তম।
৫০. জবাইয়ের কত সময় পর চামড়া আলাদা করা যাবে?
উঃ- নিসতেজ হওয়ার পর পশু।
৫১.এক পশু কে অন্য পশুর সামনে জবাই করা যাবে কি?
উঃ- যাবে তবে ঠিক না নবী কারীম সাঃ নিষেধ করেছেন?
৫২.কুরবানীর গোশত অন্য র্ধমের ব্যক্তি কে দেওয়া যাবে কি ?
উঃ- হ্যা তাতে কোন সমস্যা নেই।
৫৩.পশু মারা গেলে অথবা ছিনতাই হয়ে গেলে কি করনীয়?
উঃ- ধনী হলে আরেক টা ক্রয় করবেন।
গরিব হলে লাগবে না।
৫৪.মুসাফির এর উপর কুরবানী করা কি ওয়াজিব?
উঃ না।
৫৫.কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করলে কি করনীয়?
উঃ- ঐ ব্যক্তি থেকে অনুমতি নিতে হবে।
৫৬.কুরবানী গোশত খাওয়া কি?
উঃ- মুস্তাহব, না খেলেও গুনা হবে না। তবে খাওয়া উত্তম।
৫৭.কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তি যদি ঋণ নিয়ে কুরবানী করে কুরবানী হবে কি?
উঃ হবে তবে সুদের উপর ঋণ নিয়ে করলে হবে না।
৫৮.হাজীরা যদি মুসাফির থাকে তখন তাদের উপর কুরবানী কি ওয়াজিব?
উঃ- না।
৫৯.পাগল পশু ধারা কুরবানী কি হবে?
উঃ- না।
৬০.নবী কারীম সাঃ এর পক্ষ থেকে কুরবানী করা কি?
উঃ- উত্তম সামার্থ্যবান দের জন্য।
এটার গোশত সবায় খেতে পারবে।
৬১.খাসি কৃত পশু ধারা কুরবানী করা যাবে কি?
উঃ- হ্যা
৬২.বিদেশে অবস্থানে ব্যক্তির করনীয় কি?
উঃ- উনার পক্ষ থেকে দেশে কুরবানী দিলেও হবে
৬৩.পশুর চামড়া কি নিজে ব্যবহার করা যাবে?
উঃ- হ্যা,তবে বিক্রি করলে টাকা সদকা করতে হবে।
৬৪.জবাই কারী কে পারিশ্রমিক দিতে হবে কি?
উঃ উত্তম হাদিয়া দেওয়া।
৬৫.কুরবানীর দিনে মুরগী হাঁস জবাই করা যাবে কি?
উঃ- যাবে, তবে কুরবানী নিয়তে করা যাবে না।
৬৬. জীবিত ব্যক্তির পক্ষ হতে কুরবানী করা যাবে কি?
উঃ- হ্যা যাবে।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Address
Rangpur
5402
Rangpur, 5401
Raju Ahmed 33 Islamic studio and Islamic center Islamic songs public Relations agency
Shyampur, Bodorgonj
Rangpur, 5400
রাসূল (স:) বলেন, 'তোমরা আমার পক্ষ থেকে একটি আয়াত হলেও পৌঁছে দাও।
5441, Haragach
Rangpur
The religious faith of Muslims is based on the words and religious system founded by the prophet Muhammad ( S ) and taught by the Quran, the basic principle of which is absolute su...
Rangpur, HUMANITY
মানবতার স্বার্থে কাজ করর যাচ্ছি . ইসলাম এর চেয়ে বড় মানবিক জীবন ব্যাবস্থা আর কী ই বা হতে পারে❓❓
Rangpur
Assalamu alaikum,,,allahr pothe sothik vabe cholar sob hadis post kora hove,sobai k allah maf korun
Shalbon Mistri Para, Haragas Road
Rangpur, 5400
We provide basic Qur˒an, Islamic low, history, culture etc. We also teach general subjects.
বাসা নং/২৭১, ১ রোড-৫ মুলাটোল (হকের গলি মোড় ব্রিজ সংলগ্ন), রংপুর সদর।
Rangpur, 1216
আধুনিক শিক্ষা সমন্বিত দ্বীনী শিক্ষা ?
Dhap Check-post, Khaliphapara Road
Rangpur, 5400
আধুনিক ও ইসলামি শিক্ষার সমন্বয়ে আদর্শ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান মহিলা শাখা-1790274324 বালক শা:01766942303
Madhya Kazirhat , Jaldhaka , Nilphamary
Rangpur, 5330
এতিম মেয়েদের কোরআন শরীফ ও জেনারেল শিক?