Bashirul Islam - DUETian
I want to spread my acquired knowledge for the welfare of people all over the world.
পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ লাইব্রেরি হলো "The British Library"
যেখানে তুমি হারিয়ে যাবে বইয়ের দুনিয়ায়। লাইব্রেরিতে ধারণকৃত বইয়ের পরিমাণ প্রায় ১৭০ থেকে ২০০ মিলিয়ন। বিল্ডিং এর নিম্নস্তর থেকে বুকশেলফের উচ্চতা ২৪.৫ মিটার বা ৮ তলা বিল্ডিং এর সমান। তুমি যদি প্রতিদিন ৫টি করেও বই দেখো তাহলে লাইব্রেরির সম্পূর্ণ বই শেষ করতে তোমার ৮০ হাজার বছর লেগে যাবে। লাইব্রেরির সবচেয়ে পুরনো বইটির বয়স ৩ হাজার বছর।
এটি লন্ডন শহরে অবস্থিত।
©
মুক্তা হচ্ছে বাংলাদেশি একটি পানির ব্র্যান্ডের নাম। পুরোনাম “মুক্তা ড্রিঙ্কিং ওয়াটার (Mukta Drinking Water)“। এই পানির উৎপাদন প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই করে এর সাথে যুক্ত প্রায় তিনশ’র অধিক প্রতিবন্ধী ভাই বোনেরা। তাদের দ্বারাই পরিচালিত হয় মুক্তা পানির কারখানা। আর পানির বিপনন থেকে যে লাভ হয়, তা সম্পূর্ণটাই ব্যয় হয় আমাদের দেশের প্রতিবন্ধী মানুষদের উন্নয়নে। সুতরাং এই পানি যত বেশি বিক্রি হবে ততোটাই কল্যাণ হবে আমাদের দেশের সকল প্রতিবন্ধী মানুষদের।
মুক্তা পানির কারখানার ঠিকানা: গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে (শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট) সুইডিশ কারিগরি সহায়তায় এই কারখানাটি পরিচালিত হয়।
(collected)
সোনার বাংলাদেশ। ❤️
১. আধপাগল টিকটকার জেল খেটে বের হয়ে নিজেকে ডাক্তার দাবি করতেছে, দায়িত্ববান মানুষ সম্পর্কে যা তা বলছে কিন্তু এটা নিয়ে প্রশাসনের কোন মাথা ব্যথা নাই।
২. একজন কম দামে কিছুদিন মাংস বিক্রি করছে। এখন তাকে মরার আগ পর্যন্ত সেই দামে মাংস বেচতে হবে।নয়তো সে খারাপ।
৩. এক পোলা কষ্ট করে বুয়েটে প্রথম হয়েছে। সে কেন আড্ডা দেয়নি,প্রেম করেনি,টিকটকার হয়নি।এই নিয়ে আমাদের অনেক কষ্ট।
৪. একজন ট্রাক হেল্পার কমেন্টে জ্ঞান দেয় কেমনে সমুদ্রে জাহাজের নিরাপত্তা দিতে হয়, একজন রিকসাওয়ালা জ্ঞান দেয় কেমনে দেশ চালাতে হয়, একজন ব্যবসায়ী জ্ঞান দেয় কেমনে চিকিৎসা করতে হয়, একজন নেশাখোর জ্ঞান দেয় কেমনে ভালো স্টুডেন্ট হওয়া যায়।
৫. আর সকল কাজে যে অভিজ্ঞ, সে হচ্ছে বর্তমান সময়ের সাংবাদিক। এরা ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার,ব্যবসায়ী সহ সকল পেশাজীবির ভুল ধরে।
Rahat mahmud
মৃত্যু নেই
জসীমউদদীন
ওদের কখনো মৃত্যু নেই
ওরা দেহান্তরিত
মানুষের মাঝে, তোমাদের লোকালয় থেকে একটু দূরে সরে আছে,এক অলৌকিক আনন্দে।
ওদের মৃত্যু নেই
অন্ধকারে কেবল শান্তির প্রত্যাশায়
আত্মগোপন করে
যুগে যুগে ওরা ফিরে আসে
বিলুপ্ত চেতনায় সংহত বেদনা যত
মৌন মূক নর-নারীর মাঝে জন্ম নেয়
নিজের অস্তিত্বের মাঝে জন্ম নেয়
ওদের কখনো মৃত্যু নেই।
২১/১১/১৯৭৫
আজ ২৫ শে মার্চ
জাতীয় গণহত্যা দিবস।।
'কোরআন শরীফ' নামে একটা কবিতা লিখেছিলেন কবি শঙ্কর দয়াল শর্মা। ইনিই সেই লোক, যিনি ছিলেন ভা র তের নবম রাষ্ট্রপতি। কবিতাটা পড়ে বিশাল এক ভাবনার খোরাক জাগলো। সবার বোঝার সুবিধার্তে বাংলা অনুবাদও যুক্ত করে দিলাম সাথে।
কোরআন শরীফ
আমল কি কিতাব থি,
দুয়া কি কিতাব বনা দিয়া।
( বাংলা অনুবাদ: আমল করার কিতাব ছিলো,
দোয়ার কিতাব বানিয়ে দিয়েছো )
সমঝ্নে কি কিতাব থি,
পড়নে কা কিতাব বনা দিয়া।
(অনুধাবন করার কিতাব ছিলো,
পাঠের কিতাব বানিয়ে দিয়েছো )
জিন্দাওঁ কা দস্তুর থা,
মুর্দাওঁ কা মনশুর বনা দিয়া।
(জীবিতদের জীবনবিধান ছিলো,
মৃতদের ইশতেহার বানিয়ে দিয়েছো )
জো ইলম্ কি কিতাব থি
উসে লা-ইলমোঁ কে হাথ থমা দিয়া।
( যেটা ছিলো জ্ঞানের কিতাব,
মূর্খদের হাতে ছেড়ে দিয়েছো )
তশখীর-এ-কয়েনাৎ কা দর্স দেনে আয়ি থি,
সির্ফ মদ্রাসোঁ কা নিসাব বনা দিয়া।
(সৃষ্টির জ্ঞান দিতে এসেছিলো এটা,
স্রেফ মাদ্রাসার পাঠ্য বানিয়ে দিয়েছো )
মুর্দা কওমোঁ কো জিন্দা করনে আয়ি থি,
মুর্দোঁ কো বখশ্ওয়ানে পের লগা দিয়া।
(মৃত জাতিদের বাঁচিয়ে তুলতে এসেছিলো এটা,
মৃতের জন্যে দোয়ার কাজে লাগিয়ে দিয়েছো )
অয় মুসলমানোঁ, ইয়ে তুম নে ক্যা কিয়া?
(হে মুসলমানেরা, এ তোমরা কী করেছো?)
উনি অন্যধর্মের মানুষ হয়েও পবিত্র কোরআনকে নিয়ে যে উপলব্ধি অর্জন করতে পেরেছিলেন, সেটা আমরা মুসলমান হয়েও কতজন করতে পারছি?
©
স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের অনুষ্ঠান 'চরমপত্র' পাঠ করেন কে ?
ক. বেলাল আহমেদ
খ. এম আর আখতার মুকুল
গ. ফতেহ লোহানী
ঘ. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু বিষয়ক ৭টি অজানা ঘটনা!
মৃত্যুনামক যন্ত্রনাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনে আষ্টেপৃষ্ঠে লেগেই ছিল। কখনও পানিতে পড়ে মৃত্যু-আশংকা, কখনও জ্যোতিষীর দেওয়া অকাল প্রয়াণের আভাস, কখনও পরিবার-পরিজন প্রিয় মানুষের 'না ফেরার দেশে' চলে যাওয়ার মুখোমুখি, কখনও-বা কষ্ট মেনে নিতে না পেরে আত্মহননের চিন্তা কবির জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। সেই ঘটনাগুলোই এখানে তুলে ধরা হলো।
০১। পানিতে ডুবে মৃত্যুর আশঙ্কা
বোটের পাল তুলে আসছিলেন রবীন্দ্রনাথ। হঠাৎ মাস্তুল আটকে গেল গোরাই ব্রিজের নিচে। নদীতে স্রোত ছিল প্রবল। ধাক্কা মারছিল নৌকাকে। অপরদিকে ব্রিজে-আটকানো মাস্তুল টেনে ধরে রেখেছে তাকে। মাস্তুল হেলতে শুরু করেছে। রবীন্দ্রনাথ পড়ে গেলেন পানিতে। ভাগ্য ভালো দূর থেকে এক খেয়া নৌকা এসে উদ্ধার করেছিল তাঁকে।
০২। গণকের অকালমৃত্যুর রায়
এলাকার প্রধান গণক। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন রবীন্দ্রনাথ। গণক রবি ঠাকুরের ভবিষৎবাণী শোনালেন, নিজের জীবনে মোটে সঞ্চয়ী হতে পারবে না। স্ত্রী বেশ ভালো, যাঁদের উপকার করেছেন তাঁরাই তাঁর অপকার করবে। এবং কবির আয়ু বড়জোর ষাট অথবা বাষট্টি বছর হবে। কোনোভাবে সে-বয়স কাটিয়ে দিতে পারলেও জীবন কিছুতেই পেরোবে না সত্তরের গণ্ডি।'
স্ত্রীকে চিঠি লিখে জানালেন এসব কথা। চিঠি লেখার এগারো বছরের মাথায় নভেম্বর মাসে মারা গেলেন স্ত্রী মৃণালিনী দাম্পত্যের মাত্র ১৮ বছর ১১ মাস ১৪ দিনের মাথায় সংসার জীবনের ইতি ঘটে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র উনত্রিশ বছর।
০৩। মায়ের মৃত্যু
রবীন্দ্রনাথ ছোট থাকা অবস্থায়ই তার ভাই বুধেন্দ্রনাথ মারা যান। কবি এতই ছোট ছিলেন যে সেই মৃত্যুস্মৃতি তার মনে দাগই কাটেনি।
রবীন্দ্রনাথের বয়স যখন মাত্র ১৪। একদিন গভীর রাতে বাড়ির পুরনো এক দাসীর সর্বনাশা চিৎকারে ঘুম ভেঙে গেল তার। তিনতলার ঘরে মা সারদাদেবী তখন প্রায়ই অসুস্থ থাকতেন। দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের স্ত্রী, রবীন্দ্রনাথের নতুন বৌঠান কাদম্বরী, বিদ্যুৎ-গতিতে সরিয়ে নিয়ে গেলেন সেই দাসীকে। অত রাতে টিমটিমে প্রদীপের আলোয় ঘুম-চোখে, রবীন্দ্রনাথ কিছুই বুঝলেন না, শুধু বুকটা যেন হঠাৎ একটু দমে গেল তার। পরদিন শুনলেন মায়ের মৃত্যুসংবাদ।
০৪। অভিমানী কাদম্বরীর না ফেরা
১৮৮৪ সাল। চারিপাশের গাছপালা, মাটিজল, চন্দ্রসূর্য, গ্রহতারা—সব যেমন ছিল তেমনই। কিন্তু তাদের থেকেও সত্যি হয়ে দেহ-প্রাণ-হৃদয়-মনের হাজার রকম ছোঁয়ায় যিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ভুবন জুড়ে, সেই নতুন বৌঠান কাদম্বরী অভিমানে আফিম খেয়ে মারা গেলেন ঠাকুরবাড়ির এক বিমর্ষ, করুণঘরে। এত কাছের, এত হাসিখেলার সাথী এক নিমেষে স্বপ্নের মতো মিলিয়েই যেন গেলেন না শুধু, রবীন্দ্রনাথের জন্য রেখে গেলেন নিকষ কালো এক-জীবন অন্ধকার। এই অন্ধকারই তার পর যেন তৈরি করে দিলো সর্বকালের সেরা এক কবিকে। আড়ালে একটা চারাগাছকে রাখলে, যেমন সে আলোর খোঁজে মাথা তোলে, কাদম্বরীর না-থাকার অন্ধকারের বেড়া ঠেলে রবীন্দ্রনাথ তেমনই যেন খুঁজে বেড়ালেন এক আলোর পথ।
০৫। মৃত্যুর আগেই মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা
কাদম্বরী মারা যাওয়ার কিছুদিন পর ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, যার নাম দিয়েছিলেন ‘আত্মা’। বোঝাই গেল, নাম না করেও কাদম্বরীর মৃত্যু নিয়েই নিজের মতামত লিখেছেন সেখানে। লিখলেন, ‘যে-আত্মবিসর্জন করতে পারে, আত্মার উপর শ্রেষ্ঠ অধিকার শুধু তারই জন্মাতে পারে।’' ‘আত্মা’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ যেন ইঙ্গিত দিলেন, কাদম্বরীর মারা যাওয়া আসলে এক জরুরি ‘আত্মবিসর্জন’।
আত্মহত্যাকে যদি ‘আত্মবিসর্জন’ বলে ধরে নেওয়া যায়, তাহলে তেমন একটি ইচ্ছে জীবনে অন্তত একবার কিন্তু তাড়া করেছিল স্বয়ং রবীন্দ্রনাথকেও। মৃত্যুর আগেই মৃত্যুর গভীর আকাঙ্ক্ষা একবার গ্রাস করেছিল তাঁকেও।
ইউনানি ডাক্তারের ওষুধ খেয়ে রবীন্দ্রনাথের শারীরিক সমস্যা দূর হলেও কিছু মানসিক উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ‘মেটিরিয়া মেডিকা’ পড়ে নিজের সেই সব উপসর্গ চিহ্নিত করলেন রবীন্দ্রনাথ: অবসাদ, মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা, কান্নার তাগিদ, হতাশা, আত্মহত্যার প্রবণতা, আক্রোশ ইত্যাদি। সেই পরিস্থিতিতে রবিঠাকুর রথীকে লিখলেন, ‘দিনরাত্রি মরবার কথা এবং মরবার ইচ্ছা আমাকে তাড়না করেছে। মনে হয়েছে আমার দ্বারা কিছুই হয়নি এবং হবে না। আমার জীবনটা যেন আগাগোড়া ব্যর্থ...।’
বন্ধু সিএফ অ্যান্ড্রুজকে রবীন্দ্রনাথ লিখলেন প্রায় একই কথা- 'I feel that I am on the brink of a breakdown'.
০৬। অপঘাতে মেয়ের মৃত্যুকামনা
মৃত্যুর আগে যেমন কখনও চেয়েছিলেন নিজের অকালপ্রয়াণ। তেমনি অসম্ভব কষ্ট পেয়ে, সংসারের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে, চেয়েছিলেন নিজের মেয়ের অপঘাতে মৃত্যু। অপঘাতে মৃত্যুকে নিজে খুবই ভয় পেতেন রবীন্দ্রনাথ।
ছোট মেয়ে মীরার সঙ্গে ‘না ভেবে না বুঝে’ নগেন্দ্রনাথের তখন বিয়ে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। লক্ষ করেছেন, নগেনের ‘দুর্দ্দাম বর্ব্বরতা’-য় আতঙ্কগ্রস্ত মীরা। পারছে না তার স্বামীকে ভালোবাসতে। বাবা হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ভাবছেন, তার চাপিয়ে দেওয়া সম্পর্কের জেরে ছারখার হয়ে গেল মেয়ের জীবন।
এমনই এক শোচনীয় উপলব্ধির মধ্যে রথীন্দ্রনাথকে রবীন্দ্রনাথ লিখলেন, ‘বিয়ের রাত্রে মীরা যখন নাবার ঘরে ঢুকছিল তখন একটা গোখরো সাপ ফস করে ফণা ধরে উঠেছিল— আজ আমার মনে হয় সে সাপ যদি তখনই ওকে কাটত তাহলে ও পরিত্রাণ পেত।’
০৭। রবির অস্ত যাওয়া
ছিয়াত্তর বছরে বড় অসুখে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ। এরিসিপেলেস তাঁকে অজ্ঞান করে রাখল টানা পঞ্চাশ ঘণ্টা। খবর পেয়ে কলকাতা থেকে ছুটে এলেন ডাক্তার।
সত্যজিৎ রায় তখন শান্তিনিকেতনে। উপস্থিত এক বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথকে মনে করিয়ে দিলেন সামনে কবির আশি বছরের জন্মদিন। রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘হ্যাঁ, এবার আশি, আর তার মানেই আসি।’
অসুস্থ রবীন্দ্রনাথকে শান্তিনিকেতন থেকে নিয়ে যাওয়া হবে কলকাতায়। যাওয়ার আগে আশ্রমের ছোট বড় সবাইকে দেখতে চাইলেন তিনি। গাড়িতে শুইয়ে তাঁকে ঘোরানো হলো আশ্রম। তখন নতুন আলোর জন্য চার দিকে বসানো হচ্ছিল ল্যাম্পপোস্ট। তা দেখে বললেন, ‘এখন বুঝি পুরনো আলো গিয়ে নতুন আলো আসবে?’
আশ্রমের ডাক্তার শচীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে ইশারায় কাছে ডেকে নিলেন। তার দুটো হাত নিজের হাতে ধরে রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘ডাক্তার, আমার আশ্রম রইল আর আশ্রমবাসীরা রইলেন, তাঁদের তুমি দেখো।’ রবীন্দ্রনাথের চোখে তখন পানি। কাঁদছেন শচীন্দ্রনাথও।
কলকাতায় কবির অপারেশন। ভয় পাচ্ছিলেন ব্যথার কথা ভেবে। তারমধ্যেই মুখে মুখে বললেন, নতুন দুটো কবিতা। টুকে রাখলেন উপস্থিত সেবিকারা। আদরের বৌমা প্রতিমার জন্য সেভাবেই মুখে মুখে বলে লেখালেন একটা চিঠি। কাঁপাকাঁপা হাতের লেখায় অতি কষ্টে শুধু নিজে হাতে সই করে লিখলেন, ‘বাবামশায়’।
সেই তার শেষ লেখা। ৭ আগস্ট ১৯৪১ সাল। বেলা ১২টা ১০, বিদায় নিলেন ভুবনজয়ী রবিঠাকুর।
© Ramanath Nishi
সম্রাট আওরঙ্গজেব ৪৯ বছর ধরে ভারত শাসন করেছেন। তাঁর সাম্রাজ্যের আয়তন ছিল ৪০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। বলতে গেলে, ভারতবর্ষের প্রায় সম্পূর্ণ এলাকা ছিল তার রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত। প্রজার সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৮০ লক্ষ।
আওরঙ্গজেব বছরে রাজস্ব আদায় করতেন ৪৫০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার। ঐ সময়ে ফ্রান্সের সম্রাট ছিলেন চতুর্দশ লুই। লুই এর চেয়ে আওরঙ্গজেব এর রাজ্যে দশগুণ বেশি রাজস্ব আদায় হত।
তাঁর অধীনে ভারতবর্ষের অর্থনীতি ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থনীতি। ১৭০০ সালে তিনি ভারতবর্ষের অর্থনীতিকে ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন। ভারতবর্ষের জিডিপি ছিল পুরো পৃথিবীর জিডিপির চার ভাগের এক ভাগ।
১৭০৭ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান আওরঙ্গজেব ৮৮ বছর বয়সে নিজের সম্পত্তির একটা উইল তৈরী করলেন। মৃত্যুর পরে উইলে দেখা গেল- তাঁর কাছে ১৪ রুপি আর নিজ হাতে বোনা কিছু টুপি আছে। এগুলো বিক্রি করে তাঁর জানাযা আর দাফনে খরচ করতে বলেছেন। আর সারাজীবন কুরআন শরীফ কপি করে ৩০০ রূপি জমিয়েছেন। এই টাকাগুলো
গরীবদের মাঝে দান করে দিতে বলেছেন।
দরবার আর রাজকোষে খোঁজ নিয়ে দেখা গেল- উইলের বাইরে সম্রাটের কোথাও কোনো সম্পদ নেই।
-সংগৃহীত
ব্রিটিশরা যখন "মাস্টার দা সূর্য সেনের" মাথার দাম ১০০০০ টাকা ধার্য্য করেছিল,তখন শ্যামাপ্রসাদ ব্রিটিশদের দেওয়া ৬০ টাকার চাকরি করতো।
মুচলেকা ম্যান শ্যামাপ্রসাদ যখন ব্রিটিশ পুলিশের কাছে ৬ বার মুচলেখা দিয়ে ছাড়া পেয়েছিলো এবং জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কোনো এক অজ্ঞাত কারণে ব্রিটিশদের থেকে প্রতি মাসে মাসিক ভাতা পেত ঠিক সেই সময়ে আমাদের মাস্টারদার মাথার দাম ব্রিটিশ পুলিশ ১০ হাজার টাকা ধার্য করেছিলো। এই মর্মে ১৯৩২ সালের ২২ শে জুন ব্রিটিশ পুলিশ সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপন জারি করেছিল। আজ থেকে প্রায় ৯১ বছর আগে ১০ হাজার টাকার মূল্য কতটা একবার অনুমান করে দেখুন।
সাহেবি আমল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান চলছে। মাঠে মিলিটারি প্যারেডের আয়োজন রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ছাত্রেরা কুচকাওয়াজ করতে করতে থমকে দাঁড়ায় ব্রিটিশ পতাকার সামনে। ব্রিটিশদের প্রতিভূ ‘ইউনিয়ন জ্যাক’কে কিছুতেই স্যালুট জানাবে না তারা। তাদের গায়ে লেগেছে স্বদেশ প্রেমের ঢেউ। মঞ্চ থেকে উপাচার্য হুকুম করলেন, “পতাকাকে সেলাম করো। স্যালুট!” কেউ নড়ে না। অবশেষে জোর গলায় নিজের আপত্তি জানালো একজন। বিদ্যাসাগর কলেজের এক পড়ুয়া। উপাচার্য গেলেন খেপে। সবার সামনে নির্মমভাবে বেত মারা হলো ছাত্রটিকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তারা ধর্মঘট ডেকে বসল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কিন্ত উপাচার্য পাল্টা রাসটিকেট করে দিলেন দু’জনকে। ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার অপরাধে। রাসটিকেট হওয়া ছাত্রদের নাম, ধরিত্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং উমাপদ মজুমদার।
আমাদের মাস্টারদা কিন্তু মৃত্যুর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ব্রিটিশদের সামনে নিজের মাথা নত করেননি। ওই দেশদ্রোহী গুলোর সাথে আমাদের সূর্য সেনের এটুকুই পার্থক্য। এটুকুই।
যে সূর্য উদয় হয় অস্ত যায়না তার নামই মাস্টারদা সূর্য সেন।
"সোনালি কাবিন" কাব্যটির রচয়িতা কে?
ক) হেলাল হাফিজ
খ) রফিক আজাদ
গ) আল মাহমুদ
ঘ) শামসুর রাহমান
১।বিশ্বের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রীর নাম কী?→শ্রীমোভা বন্দরনায়েক।
২।বিশ্বের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্টের নাম কী?→ইসাবেল পেরন।
৩।বিশ্বের প্রথম মহিলা মহাকাশচারীর নাম কী?→ভেলেন্টিনা তেরেসকোভা।
৪।বিশ্বের প্রথম মহিলা এভারেস্ট বিজয়ীর নাম কী?→জুনকো তাবেই।
৫।বিশ্বের প্রথম মহিলা পাইলটের নাম কী?→এ্যালেন শোফার্ড।
৬।বিশ্বের প্রথম মহিলা স্পিকারের নাম কী?→ফাহমিদা মির্জা।
৭।বিশ্বের প্রথম মহিলা প্রোগামগার কে?→অ্যাডা লাভলেস।
৮।বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রীর নাম কী?→বেগম খালেদা জিয়া।
৯।বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট বিজয়ীর নাম কী?→নিশাত মজুমদার।
১০।বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নারী বিজ্ঞানীর নাম কী?→আয়েশা আফরিন।
১১।বাংলাদেশের প্রথম মহিলা স্পীকারের নাম কী?→শিরীন শারমিন চৌধুরী।
১২।বাংলাদেশের প্রথম মহিলা নারী প্রোগামার কে?→সাজেদা মুস্তাফিজ।
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী নিয়ে লেখা উপন্যাস কোনটি?
(ক) 'তেইশ নম্বর তৈলচিত্র'
(খ) 'ক্ষুধা ও আশা'
(গ) 'কর্ণফুলি'
(ঘ) ধানকন্যা
"ভাত দে হারামজাদা নইলে মানচিত্র চিবিয়ে খাবো" এই মহা এপিসোড কে দিয়েছিলেন?
ক) আহমদ ছফা
খ) রফিক আজাদ
গ) হুমায়ুন আজাদ
ঘ) নির্মলেন্দু গুণে
১. মা ৯ মাস বহন করেন, বাবা ২৫ বছর ধরে বহন করেন, উভয়ই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।
২। মা বিনা বেতনে সংসার চালায়, বাবা তার সমস্ত বেতন সংসারের জন্য ব্যয় করেন, উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছেন তা জানেন না।
৩. মা আপনার যা ইচ্ছা তাই রান্না করেন, বাবা আপনি যা চান তা কিনে দেন, তাদের উভয়ের ভালবাসা সমান, তবে মায়ের ভালবাসা উচ্চতর হিসাবে দেখানো হয়েছে। জানিনা কেন বাবা পিছিয়ে।
৪. ফোনে কথা বললে প্রথমে মায়ের সাথে কথা বলতে চান, কষ্ট পেলে ‘মা’ বলে কাঁদেন। আপনার প্রয়োজন হলেই আপনি বাবাকে মনে রাখবেন, কিন্তু বাবার কি কখনও খারাপ লাগেনি যে আপনি তাকে অন্য সময় মনে করেন না? ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ভালবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে, প্রজন্মের জন্য, বাবা কেন পিছিয়ে আছে জানি না।
৫. আলমারি ভরে যাবে রঙিন শাড়ি আর বাচ্চাদের অনেক জামা-কাপড় দিয়ে কিন্তু বাবার জামা খুব কম, নিজের প্রয়োজনের তোয়াক্কা করেন না, তারপরও জানেন না কেন বাবা পিছিয়ে আছেন।
৬. মায়ের অনেক সোনার অলঙ্কার আছে, কিন্তু বাবার একটাই আংটি আছে যেটা তার বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবুও মা কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন আর বাবা করেন না। তারপরও জানি না কেন বাবা পিছিয়ে।
৭. বাবা সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেন পরিবারের যত্ন নেওয়ার জন্য, কিন্তু যখন স্বীকৃতি পাওয়ার কথা আসে, কেন জানি না তিনি সবসময় পিছিয়ে থাকেন।
৮. মা বলে, আমাদের এই মাসে কলেজের টিউশন দিতে হবে, দয়া করে আমার জন্য উৎসবের জন্য একটি শাড়ি কিনবে অথচ বাবা নতুন জামাকাপড়ের কথাও ভাবেননি। দুজনেরই ভালোবাসা সমান, তবুও কেন বাবা পিছিয়ে আছে জানি না।
৯. বাবা-মা যখন বুড়ো হয়ে যায়, তখন বাচ্চারা বলে, মা ঘরের কাজ দেখাশোনা করার জন্য অন্তত উপকারী, কিন্তু তারা বলে, বাবা অকেজো।
১০. বাবা পিছনে কারণ তিনি পরিবারের মেরুদণ্ড। আর আমাদের মেরুদণ্ড তো আমাদের শরীরের পিছনে। অথচ তার কারণেই আমরা নিজেদের মতো করে দাঁড়াতে পারছি। সম্ভবত, এই কারণেই তিনি পিছিয়ে আছেন...!!!!
*জানিনা কে লিখেছে, কুড়িয়ে পাওয়া।
সমস্ত বাবাদেরকে উৎসর্গ করছি *
সালাম জানাই পৃথিবীর সকল বাবাদেরকে!!!
১৯৫৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছিলো, একটা ছেলে যদি একজন মেয়ের সাথে কথা বলতে চায়, তবে তাকে প্রক্টর বরাবর দরখাস্ত দিতে হবে। শুধুমাত্র প্রক্টর অনুমতি দিলেই সে কথা বলতে পারবে। এছাড়া নয়। এমনকি তার ক্লাসের কোন মেয়ের সাথেও না।
ডিসেম্বর ১৯২৭, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাত্র ৬ বছর পর। একদিন কোলকাতা থেকে একজন যুবক এলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখবেন। কয়েকজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে সে ঘুরতে বের হলো। তখন কার্জন হল ছিলো বিজ্ঞান ভবন। ঘুরতে ঘুরতে যখন কার্জন হলের সামনে এসে পড়লো তারা, সে যুবক দেখলো দূরে একটা থ্রী কোয়ার্টার হাতার ব্লাউজ আর সুতির শাড়ি পরা এক মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে তার বন্ধুদের জিজ্ঞেস করলেন, এই মেয়েটি কে? তখন তার বন্ধুরা বলল, এ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী। তখন সেই যুবক বলে, সত্যি? আমি এই মেয়ের সাথে কথা বলব। তখন সে যুবক মেয়েটির সাথে কথা বলার জন্য একটু এগিয়ে গেলে তার বন্ধুরা তাকে বাঁধা দেয়। বলে, না তুমি যেওনা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের সাথে কথা বলার অনুমতি নেই। তুমি যদি ওর সাথে অনুমতি ছাড়া কথা বলো তবে তোমার শাস্তি হবে। সেই যুবক বলল, "আমি মানি নাকো কোন বাঁধা, মানি নাকো কোন আইন।"
সেই যুবক হেঁটে হেঁটে গিয়ে সেই মেয়েটির সামনে দাঁড়ালো। তারপর তাকে বলল, আমি শুনেছি আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী। কি নাম আপনার? মেয়েটি মাথা নিচু করে বলল, ফজিলাতুন্নেছা। জিজ্ঞাসা করলো, কোন সাবজেক্টে পড়েন? বলল, গণিতে। গ্রামের বাড়ি কোথায়? টাঙ্গাইলের করোটিয়া। ঢাকায় থাকছেন কোথায়? সিদ্দিকবাজার। এবার যুবক বললেন, আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী ছাত্রী, আপনার সাথে কথা বলে আমি খুব আপ্লুত হয়েছি। আজই সন্ধ্যায় আমি আপনার সাথে দেখা করতে আসবো।
মেয়েটি চলে গেলো। এই সব কিছু দূরে দাঁড়িয়ে এসিস্ট্যান্ট প্রক্টর স্যার দেখছিলেন। তার ঠিক তিনদিন পর। ২৯ ডিসেম্বর ১৯২৭, কলা ভবন আর বিজ্ঞান ভবনের নোটিশ বোর্ডে হাতে লেখা বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দেয়া হলো যুবকের নামে। তার নাম লেখা হলো, তার বাবার নাম লেখা হলো এবং বিজ্ঞপ্তিতে বলা হলো, এই যুবকের আজীবনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
তারপরে এই যুবক আর কোনদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। সেইদিনের সেই যুবক, বৃদ্ধ বয়সে ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করলেন। যে যুবকটা আর কোনদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ করেননি, তার মৃত্যুর পরে তার কবর হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সেই যুবকের নাম, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
পুনশ্চ: মেয়েটি
ফজিলাতুন্নেসা জোহা,
কবি নজরুল ওনাকে নিয়ে 'বর্ষা বিদায়' কবিতা লেখেন।
©
আজ ২২ শে মার্চ
বিশ্ব পানি দিবস।।
আজ ২১ শে মার্চ
আন্তর্জাতিক বন দিবস।।
কোথায় গেল সোনার সময় সোনার মানুষ কই!
কোথায় গেল লাঙ্গল জোয়াল কোথায় গেল মই।
কোথায় গেল গ*রুর গাড়ি কোথায় গ*রুর হাল
কোথায় গেল রংবেরঙের ডিঙি নায়ের পাল।
কোথায় গেল মাটির কলস সেই কলসীর জল
ঘরের শোভা রঙিন শিখা কোথায় গেল বল!
শকু*নরা সব কোথায় গেল কোথায় গেল কা*ক
কোথায় গেল শি*য়াল মামার হুক্কাহুয়া ডাক।
কোথায় গেল শিল আর পাটা পাটার বাটা ঝাল
কোথায় গেল কাঠের ঢেকি ঢেকির ছাঁটা চাল।
কোথায় গেল পালকি চলার হুনহুনাহুন সুর
ঠেলার গাড়ি হারিয়ে গেল হায়রে কত দূর।
কোথায় গেল রাত্রি জেগে চিঠি লেখার দিন
কোথায় গেল হারিকেন আর কোথায় কেরোসিন।
কোথায় গেল গ*রুর টানা আঁখ মারানোর কল
কোথায় গেল গ্রামের বাড়ির বাংলা ঘরের ছল।
বিয়েবাড়ির গীতের আসর কোথায় গেল ভাই
কলাপাতায় আহার করার মেজবানিটাও নাই।
কোথায় গেল কাঁচের চুড়ি রেশমী ফিতার সাজ
কোথায় গেল হাত রুমালের সুতার কারুকাজ।
কোথায় গেল মাটির কূপের মিষ্টি স্বাদের জল
কোথায় গেল ডাল মারানোর শিলার যাঁতাকল।
কোথায় গেল কু*লুর ব*লদ বন্ধ যাহার চোখ
কোথায় গেল হুক্কা তামাক হুক্কা টানার লোক।
হারানো সুর খুঁজতে গিয়ে সবচেয়ে ব্যথা পাই
যখন দেখি কোরআন শিখার মকতব ও আর নাই।
শিরোনাম:- হারানো দিনের স্মৃতি
লেখায় :-ফেরদৌস আহমেদ
ছবি :-সংগৃহীত।
পেট্টোবাংলা পূর্নাঙ্গ সার্কুলার প্রকাশঃ
আবেদন শুরুঃ ১৯ মার্চ ২০২৪
আবেদনের শেষ তারিখঃ ১৮ এপ্রিল ২০২৪
I've received 170,000 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉
নানা জটিলতা পেরিয়ে ১০ বছর পর নিয়োগের সুপারিশ পেলেন ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষার্থী ⎯ আফরোজা খানম!
‘বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য’ পরিষদের প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন ?
ক) কায়কোবাদ
খ) আবুল হোসেন
গ) কাজী মোতাহার হোসেন
ঘ) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হওয়া নতুন স্কিমের নাম...???[ পরবর্তী পরীক্ষায় আসবে ইনশাআল্লাহ ]
ক. প্রজ্ঞা
খ. প্রগতি
গ. প্রত্যয়
ঘ. প্রত্যাশা
নিচের কোনটি বিশ শতকের পত্রিকা?
A. শনিবারের চিঠি
B. বঙ্গদর্শন
C. তত্ত্ববোধিনী
D. সংবাদ প্রভাকর
ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম পত্রিকার নাম কি?
A. দৈনিক আজাদ
B. সাপ্তাহিক সৈনিক
C. জ্ঞানান্বেষণ
D. পূর্ব কোন
ঢাকায় বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের মুখপত্ররুপে প্রকাশিত পত্রিকাটির নাম কী ?
ক. সবুজপত্র
খ. কল্লোল
গ. অভিযান
ঘ. শিখা
১.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপিকা ড. সুরাইয়া খানম। সেরকম রূপবতী, সুন্দরের সব বিশেষণ দিয়েও সুরাইয়া খানমকে সাজানো যাবে না, এমনই সুন্দর। যখনই করিডোরে দেখেছি অপলক তাকিয়ে রয়েছি, কতদিন শুধু সুরাইয়া খানমকে দেখতে দলবেঁধে ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের সামনে অকারণে ঘুরতে গিয়েছি। আমরা সব্বাই সুরাইয়া খানমকে ভালোবাসতাম৷ আর সুরাইয়া খানম ভালোবাসতেন কবি আবুল হাসানকে। আবুল হাসান ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র, সত্তর দশকের সেরা রোমান্টিক কবি। ভালোবাসার কবিতা নির্মাণে হাসানের জুড়ি নেই। কবিতা ভালোবেসে কবির প্রেমে পড়েছেন সুরাইয়া খানম।
২.
আমরা সবাই বসে লাইব্রেরীতে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছি। সুরাইয়া খানম এলেন, হাসান ভাইকে উঠিয়ে নিয়ে লং ড্রাইভ, দারুণ রসায়ন। এটা ভালোবাসা, বন্ধুত্ব সব মিলিয়ে একটা রহস্য, একটা ঘোরলাগা ভালোবাসা। একদিন সবাই বসে আছি। এলো রূপবতীর গাড়ি, খোলাচুলে এলোকেশী, বটল গ্রীন শাড়ির জমিন, স্লিভলেস ব্লাউজ, গাড়ি থেকে যখন নামছেন আমরা বিমোহিত। হাসান ভাইয়ের পকেট খালি। আমাদের মাঝে কবি মাকিদ হায়দার তখন সদ্য চাকুরী পেয়েছে। একটু আড়াল করে মাকিদকে ইশারা করলাম। মাকিদ গোপনে হাতে দশ টাকা গুজে দিয়ে বললো, ঘুরে এসো হাসান, মন ভালো হয়ে যাবে।
৩.
আবুল হাসান বেশ কয়েক দিন অসুস্থ। হঠাৎ বুকে ব্যথা। ডাক্তার বলেছেন হার্ট এনলার্জ। হাসান দারুণ চাপা স্বভাবের, সব কিছু গোপন করেন, আমরা বেশ চিন্তিত। গুণ'দা বললেন, "হাসান তোমার কি হয়েছে, ডাক্তার কি বলেছে?" হাসান আগের মতো হাসি দিয়ে বললেন, "নির্মল, আমার হৃদয় বড় হয়েছে।"
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় কবিকে জার্মানি পাঠানো হলো উন্নত চিকিৎসার জন্য। ফিরে এসে লিখলেন সুরাইয়া খানমকে।
"তুমি আমার কাছে নতজানু হও,তুমি ছাড়া আমি
আর কোনো ভূগোল জানি না,
আর কোনো ইতিহাস কোথাও পড়িনি!
আমার একা থাকার পাশে তোমার একাকার হাহাকার নিয়ে দাঁড়াও!
হে মেয়ে ম্লান মেয়ে তুমি তোমার হাহাকার নিয়ে দাঁড়াও!"
৪.
১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা পৌঁছে আবুল হাসান তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হাসানের সাময়িক সুস্থতা দেখে তাঁর বন্ধুরা কিছুটা আশ্বস্ত হন। এ অবস্থায় আবুল হাসান চাকরির চেষ্টা করতে থাকেন। অনেকেই তাঁকে আশ্বাস দেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউই তা রক্ষা করেননি। হাসানের অসুস্থতার কথা বিবেচনা করেই কেউ তাঁকে চাকুরি দেননি, কেননা, তাহলে পরিশ্রমজনিত ক্লান্তিতে তাঁর অসুস্থতা আরো বৃদ্ধি পাবে- এই ছিল তাঁদের ধারণা। এ সময় চাকুরির সন্ধানে তিনি একবার বরিশাল শহরেও যান, কিন্তু ওখানেও কোনো সুবিধা হয়নি। একদিকে অসুস্থতা, অন্যদিকে বেকার-জীবন মাথার ওপর ভাই-বোনদের পড়ালেখার খরচ যোগানোর দায়িত্ব- সব কিছু মিলিয়ে আবুল হাসান তখন এক অস্থির জীবন যাপন করেছেন। ক্রমে তিনি পুনরায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে পি.জি. হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পি.জি. হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর। হাসপতালের বেডে শুয়ে বুকের অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করেও তিনি লিখেছেন বেশ কিছু কবিতা। অবশেষে ১৯৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর আবুল হাসান মৃত্যুবরণ করেন। দুর্দান্ত এক আত্মসংহারী জীবন ছিল তার, মাত্র ২৮ বছরের।
৫.
সকালে ক্লাসে যাওয়ার পথে খবর পাওয়া গেলো, তরুণ কবি আবুল হাসান প্রয়াত। তাঁর কবিতা আমার প্রিয়। প্রিয় কবির মৃত্যুসংবাদ পেয়ে ক্লাস করতে যাওয়া যায় না। পি জি হাসপাতালে পৌঁছে দেখলাম উদভ্রান্ত সুরাইয়া আপাকে, প্রয়াত কবির বিছানার পাশে দাঁড়ানো। তাঁকে অমন করুণ ও অসহায় আগে কোনোদিন দেখিনি। কিছু কিছু ছবি চিরকালের মতো হৃদয়কন্দরে জেগে থাকে, তাঁরে সেই মুখ আজও ভোলা হয়নি।
আবুল হাসান দীর্ঘকাল অসুস্থ ছিলেন, সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসার জন্যে তাঁকে পাঠানো হয়েছিলো বার্লিনে। যতোদূর জানি, একজন কবির চিকিৎসার জন্যে সরকারি তৎপরতা ও সহায়তার ঘটনা বাংলাদেশে সেই প্রথম। ফিরে আসার পর হাসান অল্প কিছুদিনই ভালো ছিলেন। চিকিৎসকরা আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন, সুরাইয়া আপা ছাড়েননি। হাসানের অকাল মৃত্যুর পর সুরাইয়া লিখেছিলেন, "হাসান ছিল এক আহত ক্ষুধার্ত সিংহ, আমি ছাড়া আর ওকে কে বুঝত?"
৬.
কবির বন্ধু-আত্মীয়-ভক্তরা তখন ধীরে ধীরে সমবেত হচ্ছেন পি জি হাসপাতালে কবির অন্তিম শয্যাটিকে ঘিরে। অতো মানুষের সংকুলান সেই ছোট্টো কক্ষে হওয়ার কথা নয়, আমরা কেউ কেউ বাইরে বারান্দায় দাঁড়ানো। সুরাইয়া আপা হঠাৎ বেরিয়ে এলেন। কী ভেবে কে জানে, আমার হাত ধরে বললেন, "ওরা হাসানের লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতে চায়। তা কিছুতেই হতে পারে না, হাসানের খুব ইচ্ছে ছিলো তার কবর হবে রেসকোর্সের একপাশে। সে বলে গেছে। আমার কথা কেউ শুনছে না, তুমি একটু বুঝিয়ে বলবে ওদের?"
বুঝতে পারি, অনেকের কাছে প্রত্যাখ্যাত ও উপেক্ষিত হয়ে সবাইকে তিনি একই অনুরোধ করে যাচ্ছেন, হাসানের কবর যেন ঢাকায় হয়। হঠাৎ রাহাত খানকে দেখতে পাই। আমি সুরাইয়া আপাকে তাঁর কাছে নিয়ে যাই। বলি, "রাহাত ভাই কিছু একটা করতে পারবেন হয়তো।"
নিজের অসহায়ত্ব নিয়ে সরে এসেছিলাম সেদিন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া আর কোনোদিন হয়নি। আমি পেরে উঠিনি। সুরাইয়া আপা একটিমাত্র অনুরোধ করেছিলেন, যা রক্ষা করার ক্ষমতা আমার ছিলো না।
৭.
আবুল হাসানকে নিঃসঙ্গতার কবি বলা কতটুক সত্য হবে জানি না। তবু এই ভীষণ ছোট্ট একটা জীবনে দারুণ কিছু কষ্ট চেপে রেখেছিলেন হাসান৷ চাপা স্বভাবের কবি হাসান লিখেছিলেন 'অপরিচিতি' -
"যেখানেই যাই আমি সেখানেই রাত!
স্টেডিয়ামে খোলা আকাশের নিচে রেস্তোরাঁয়
অসীমা যেখানে তার অত নীল চোখের ভিতর
ধরেছে নিটোল দিন নিটোল দুপুর
সেখানে গেলেও তবু আমার কেবলই রাত
আমার কেবলই শুধু রাত হয়ে যায়!"
কৃতজ্ঞতাঃ
১-৩ (রুম নাম্বার ১৪৬ - শওকত আহসান ফারুক)
৪ (আবুল হাসান: জীবনে ও কবিতায় - এম জে ফেরদৌস, বাংলাদেশ সময়)
৫-৬ (আমাদের সুরাইয়া খানম - মুহম্মদ জুবায়ের)
©
বড় ভয় লাগে! যদি হাজার বছর পর!
পৃথিবীর মানুষ সভ্য হয়ে যায় ,সকল নারী ও নর।
যদি তারা ইতিহাস খুঁজে !এ যুগের ইতিহাস!
যুগের চিত্র দেখে ধিক্কার দেবে, দেবে শত ঘৃণা উপহাস।
ইতিহাস পড়তে পড়তে সহসা জ্ঞান হারাবে কেহ।
নদীর কিনারায় পড়ে থাকতে দেখে ,নবজাতকের ক্ষতবিক্ষত দেহ।
আফসোস করে বলবে হায় !
কেমন বর্বর জাতি ছিল ওরা ,সন্তান মারত মায়!
ইতিহাস যদি লিখে রাখে ,সংস্কৃতির কথা।
হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করে, একটা ছোট্ট বল কে কাটের লাঠিতে টোকা মেরে ।
অথচ একই সমাজে চিকিৎসা ,ভাতের অভাবে হাজার হাজার রোগা আর ভূখা মরে।
পড়তে পড়তে রাগে-দুঃখে কেউ বইখানি ছিড়ে ফেলবে, কেউবা ঝরাবে আখি পাতা।
নারীরা গর্ব করে বলবে, ভাগ্যিস জন্মাইনি সেই কালে!
যে কালের মানুষ ভারী রাগ হত ,মেয়ে জন্ম নিলে।
মা তার সন্তানকে ইতিহাস পড়াতে পড়াতে হঠাৎ যাবে থেমে ।
যখন লেখা পাবে এ যুগে পাঁচ বছরের শিশু এবং সত্তুর বছরের বৃদ্ধা ও ধর্ষণের শিকার হতো ,শরীর ভিজে যাবে ঘামে।
ইতিহাস পড়তে পড়তে আবেগাপ্লুত হয়ে যাবে বৃদ্ধা।
হাতের কাছে কিছু না পেয়ে রাগে নিজের চশমাটা ভেঙে দেবে শেষে ,
যখন পড়বে সন্তান জীবিত থাকতেও বৃদ্ধাশ্রমে পঁচে মরত বৃদ্ধারা ,সেই কালে সেই দেশে।
ইতিহাসবিদরা যদি নীতি-নৈতিকতার বর্ণনা এভাবে লেখে!
চোরের উৎপাতে মসজিদে গেলেও জুতা লুকিয়ে রাখতে হত ,
সভ্যরা হতবাক হয়ে যাবে , থুথু দেবে মুখে।
দোহাই ইতিহাসের পাতা।
তোমার মাঝে এ যুগের করে লেখ না আমার কথা।
আমি সইতে পারি না এসব !
রুখতে ও পারিনা ,
লড়ে যাই বৃথা।
আমি মর্মাহত !প্রতিবাদ করে পাই না কোন ফল।
সাহারা মরু তে কি বা কাজে আসে একটু শিশির জল!
না হয় শিরা ,উপশিরা ,ধমনী কেটে সবটুকু রক্ত দিয়ে দিলাম ,
দিলাম চোখের জল ও!
ভিজবে কি তাতে পাপ-তাপ অনিয়ম অনাচারে উত্তপ্ত মরুর ধূলো!
আমি নিশ্চুপ, নিরুপায়!
মর্মাহত হয়ে মাথা ঠুকে মরি ভাঙ্গা দেয়ালের গায়।
হাল ছাড়িনি তবু ,
আছে মোর যত পুণ্য কাজ
সপে দিয়েছি আজ
বদৌলতে এই সমাজটাকে রক্ষা করো প্রভু।
কলঙ্কিত যুগ
ফেরদৌস আহমেদ
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Rangpur
Pandul Hazipara, Pandul , Ulipur, Kurigram
Rangpur, 5601
I am a teacher, a motivational speaker, a content creator and a social media marketer
Rangpur
Rangpur, 5350
Sohoj Academy is a E-learning platform in Bangladesh website Link: sohojacademy.com
Rangpur, 5400
An Authentic, Academic and Admission Care( Related to Physics)
Chartola Mor, College Road, Rangpur
Rangpur, 5400
ওরাকল BCS রংপুর একমাত্র শাখা ওরাকল ভবন,কলেজ রোড,চারতলা মোড়, রংপুর মোবাইলঃ ০১৭১১-৩২৮২৪১
Rangpur
Hello friends, peace be upon you. I'm Maruful Islam and I'm a freelance English teacher.