Beauty Ghor
Nearby shops
Dhaka 1207
Mohammadpur, Dhaka
Dhaka 1207
Mohammadpur, Dhaka
Mohammadpur, Dhaka
Dhaka 1207
Mohammadpur, Dhaka
Mohammadpur, Dhaka
Dhaka 1207
Mohammadpur, Dhaka
Dhaka 1207
Dhaka 1205
Dhaka 1207
Dhaka
Shekhertek/6, Muhammadpur
Beauty Ghor is a premier cosmetic product shop dedicated to enhancing your natural beauty.
We believe that everyone deserves to feel beautiful, and our mission is to provide you with the tools and products to help you achieve that.
ত্বকের যত্নে এবং বিভিন্ন ভর্তায় সাধারণত সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়। অন্য অনেক তেলের চেয়ে এই তেলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে।
সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকারী। এটি হৃদরোগের জন্য উপকারী। এছাড়া এটি ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, চুলের বৃদ্ধি ঘটে এবং অকাল চুল পাকা রোধ করে।
‘আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’ থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, নিযমিত সরিষার তেল খেলে হৃদরোগে সম্পর্কিত জটিলতা কমে। এটি শরীরে খারাপ কোলেষ্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেল সূর্যমুখীর তেলের চেয়েও উপকারী।
শীত কিংবা বর্ষাকালে অনেকসময় পা ফেটে যায়। মোমবাতি গলিয়ে যদি পরিমান মতো সরিষার তেল মিশিয়ে তা আক্রান্তস্থলে ব্যবহার করা হয় তাহলে পা ফাটা অনেকটা্ই কমে যাবে। এছাড়া নখ উজ্জ্বল দেখাতেও সরিষার তেলের জুড়ি নেই। এটি নারিকেল বা অন্য তেলের থেকেও উপকারী।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী, শরীর ম্যাসাজে সরিষার তেল ব্যবহার করলে রক্ত সরবরাহ ভাল হয়, মাংসপেশী শিথিল হয়। এটি ঘামগ্রন্থি সক্রিয় করে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এটা প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে।
সরিষার তেলে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল গুণ রয়েছে। এটি শরীরের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। বিশেষ করে কোলন, হজম পদ্ধতি এবং ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন থেকে দূরে রাখে। এটি ঠান্ডা , কাশি সারাতেও বেশ কাজে লাগে। প্রাচীনকাল থেকেই সর্দি-কাশির চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
সরিষার তেলে থাকা বিটা ক্যারোটিন চুলের বৃদ্ধি জন্য দারুন সহায়ক। চুলের গোড়ায় এই তেল ভালভাবে ম্যাসাজ করলে চুল দ্রুত বাড়ে।
চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন সরিষার তেল। এই তেল ব্যবহারে চুলের অনেক সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই তেল ব্যবহারে চুল হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, মসৃণ ও সুন্দর।
আসুন জেনে নিই চুলে সরিষার তেল ব্যবহারে যত উপকার-
১. চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন সরিষার তেল। এই তেলে থাকা আলফা ফ্যাটি অ্যাসিড চুল সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে। এ ছাড়া আলফা ফ্যাটি অ্যাসিড কন্ডিশনারের কাজও করে। ফলে চুল দ্রুত বাড়ে ও গোড়া মজবুত হয়।
২. চুল পড়া খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। চুলের ফলিকল দুর্বল হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। চুলে নিয়মিত সরিষার তেল মালিশ করলে ফলিকল মজবুত হয়ে চুল পড়া বন্ধ হবে।
৩. সরিষার তেল ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, মিনারেল এবং ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে। এ ছাড়া রয়েছে জিঙ্ক, বিটা ক্যারোটিন ও সেলেনিয়াম, যা চুল লম্বা হতে সাহায্য করে।
৪. চুল রুক্ষ, শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হলে নিয়মিত মাথার তালুতে সরিষার তেল ম্যাসেজ করুন। এই তেল মাথার তালুর রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে, চুলের গোড়া মজবুত করবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে।
৫. এই তেলে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চুল বড় হতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এই তেলে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান থাকায় তা খুশকি ও চুলকানি দূর করে।
☘️𝐌𝐚𝐦𝐚𝐞𝐚𝐫𝐭𝐡 এর প্রোডাক্ট গুলো একদিকে যেমন খুবই কার্যকরী অন্যদিকে খুবই রিজেনেবল প্রাইজ। ☘️
তাই দেরি না করে এখনই অর্ডার করে ফেলুন আপনার প্রয়োজনীয় প্রোডাক্টটি।
🛒Mamaearth Vitamin C Face Wash - 100 ml
🛒Mamaearth Oil Free Moisturizer With Apple Cider Vinegar - 80m
🛒Mamaearth Ubtan Face Wash - 100ml
🛒Mamaearth Tea Natural for Acne & Pimples Wash 100 ml
🛒Mamaearth HydraGel Indian Sunscreen SPF 50, With Aloe Vera & Raspberry, for Sun Protection - 50g
🛒Mamaearth Tea Tree Facewash (100ml - India)
🛒Mamaearth Onion Hair Fall Shampoo for Hair Growth & Hair Fall Control - 250ml
🛒Mamaearth Charcoal Facewash (100 ml - India)
🛒Mamaearth Charcoal facewash for oily skin 100 ml
🛒Mamaearth Rice Face Wash With Rice Water & Niacinamide for Glass Skin - 100 ml
🛒Mamaearth Oil Free Face Wash With Apple Cider Vinegar & Salicylic Acid - 100 ml
🛒Mamaearth Onion Conditioner for Hair Fall Control - 250ml
🛒Mamaearth Bye Dark Circles Eye Cream - 20ml
🛒Mamaearth Ultra Light Sunscreen with Carrot Seed, Turmeric and SPF 50 PA+++ - 80ml (Indian)
🛒Mamaearth Vitamin C Face Wash with Vitamin C and Turmeric for Skin Illumination - 100ml
🚛ডেলিভারি 🚛
🕓ডেলিভারি টাইম:
১২-৪৮ ঘন্টার মধ্যে (ঢাকা শহর)
১-৩ দিনের মধ্যে (সমগ্র বাংলাদেশ)
💸 ডেলিভারি চার্জ:
ঢাকার ভিতরে - ৭০ টাকা।
ঢাকার বাইরে - ১৪০ টাকা।
বিস্তারিত কল করুনঃ 01720585436
হোয়াটসঅ্যাপ : 01720585436
www.beautyghor.com
অত্যধিক চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার
বিভিন্ন কারণেই অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে। এর একটি কারণ হতে পারে পর্যাপ্ত পুষ্টির ঘাটতি। তরুণ বয়সী ছেলেমেয়েরা অনেক সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অল্প খাবার খায়। এতে করে সুষম খাদ্যের ঘাটতি হতে পারে। চুলের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন (এ, বি, বিশেষ করে বায়োটিন, সি, ডি ও ই) এবং বেশকিছু খনিজ (আয়রন, জিঙ্ক) নিয়মিত গ্রহণ করা অপরিহার্য। এসব উপাদান সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে ডিমের কুসুম, কলিজা, বাদাম, বীজ, কলা, মিষ্টি আলু, মাশরুম, ব্রকলি ইত্যাদি।
অতিরিক্ত চুল পড়ার আরেকটি কারণ হতে পারে থাইরয়েডের সমস্যা। এই সমস্যার কারণে চুল তৈরি বাধাগ্রস্ত হতে পারে এবং চুল বেশি পড়তে পারে।
অত্যধিক চুল পড়া পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের (পিসিওএস) একটি বৈশিষ্ট্য হতে পারে। ডিম্বাশয় ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন উত্পাদন করে। সেইসঙ্গে পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজেনের একটি অংশও উৎপাদন হয় ডিম্বাশয় থেকে। পিসিওএস-এ আক্রান্ত হলে ডিম্বাশয় অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যান্ড্রোজেন তৈরি করে, যার ফলে অতিরিক্ত চুল পড়ে।
মাথার ত্বকে কিছু ছত্রাকের সংক্রমণের কারণেও চুল পড়তে পারে। দীর্ঘ সময় স্যাঁতসেঁতে চুল ঢেকে রাখার ফলে এই ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। মাথায় চুলকানো বা মাখার ত্বক লাল হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখলে বুঝতে হবে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়েছে।শ্যাম্পুতে অনেক সময় সালফারযুক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই রাসায়নিকের কারণে মাথার ত্বক থেকে তেল ধুয়ে যায়। এর ফলে চুল শুকিয়ে যায়, চুলের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন ভেঙে যায়, চুলে বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় এবং চুল ভেঙে যায়। সোডিয়াম ক্লোরাইডও শ্যাম্পুতে ব্যবহার করা হয়, যার কারণে ত্বক শুষ্ক হতে পারে বা চুলকাতে পারে এবং চুল পড়া বৃদ্ধি করতে পারে।
চুলকে খুব বেশি টানটান করে, এমন হেয়ারস্টাইল করা হলে চুলের ফলিকল স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ভেজা অবস্থায় স্টাইল করলেও চুল ভেঙে যেতে পারে।
এ ছাড়া, ট্রাইকোটিলোম্যানিয়ার মতো রোগও চুল পড়ার কারণ। এটি এমন একটি মনস্তাত্ত্বিক রোগ, যার ফলে মানুষ বারবার চুল টেনে ধরে। এমন ক্ষেত্রে প্রায়শই তাদের টাক পড়ে যায়। ট্রাইকোটিলোম্যানিয়ায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রে চুল টানা বন্ধ করার জন্য একজন থেরাপিস্ট বা মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
Korean Skin Care
সকালে উঠে প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নিন। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাকে অন্য একটি নিয়মও মানতে হবে। মুখ পরিষ্কার করার সময়ে কোনও ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না। শুধুমাত্র ঠান্ডা জল ব্যবহার করেই মুখ ধুতে হবে।
পরিমাণ মতো জল দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। ঘুম থেকে ওঠার পরেই এই কাজটি করুন। বিশুদ্ধ জল আপনার ত্বকের অন্দর থেকে টক্সিন বের করে দেবে। সেই সঙ্গে আপনার ত্বকের আর্দ্রতাও ধরে রাখবে।
মুখ ধোয়ার পরে টোনার লাগাতে ভুলবেন না। একটি কটন প্যাডে পরিমাণ মতো টোনার নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। ড্যাব করুন, ঘষবেন না।
টোনার আপনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই ত্বকে বিশেষ কোনও সমস্যা হয় না। ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় না কিংবা অতিরিক্ত তেলক্ষরণের সম্ভাবনা কমে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
কোরিয়ান স্কিনকেয়ার রেজিমের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রসাধনী এটি। সিরাম, টোনার এবং ময়শ্চারাইজারের ব্লেন্ড এই এসেন্স। এটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ত্বকের কোষে পর্যাপ্ত পুষ্টির জোগানও দেয়।
ত্বক ভালো রাখতে এবং মুখের জেল্লা বৃদ্ধি করার জন্যে অবশ্য়ই এসেন্স ব্যবহার করুন। সামান্য পরিমাণে এসেন্স হাতের পাতায় নিয়ে গালে, কপালে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ট্যাপ করুন। ঘষবেন না। এতেই মিলবে উপকার।
সিরাম লাগাতে ভুলবেন না। এটি আপনার ত্বকের একাধিক সমস্যার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সিরামে রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টি-এজিং উপকারিতা। আপনার ত্বকের কালো দাগছোপ মলিন করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া বলিরেখাও মলিন করে এই বিশেষ সিরাম। মুখের বিভিন্ন অংশে ড্রপারের সাহায্যে সামান্য পরিমাণে সিরাম লাগিয়ে নিন। হাতের তালুর সাহায্যে ধীরে ধীরে মালিশ করুন। উপকার পাবেন।
রোদের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্যে সানস্ক্রিন ব্যবহার আবশ্যক। পরিমাণ মতো সানস্ক্রিন মুখে, হাতে লাগিয়ে নিন। এসপিএফ ৩০ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন আপনি। বাইরে বেরনোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে।
রোজের স্কিনকেয়ার রুটিনে জেল বেসড বা ওয়াটার বেসড ময়শ্চারাইজারকেও জায়গা করে দিন। এই উপাদান আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে। ত্বকের উপর তৈরি করবে সুরক্ষাস্তর।
এই কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে ত্বকের যত্ন নিলেই কোরিয়ানদের মতোই জেল্লাদার এবং চিরতরুণ ত্বক পাবেন আপনিও।
রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে হলুদের ঘরোয়া প্যাক
তৈলাক্ত ত্বক: এ ক্ষেত্রেও একইভাবে হলুদের রস ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর মুলতানি মাটি নিয়ে হলুদের রসে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার সঙ্গে এক চামচ পুদিনা পাতা ও এক চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে হাত ও মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
শুষ্ক ত্বক: শুষ্ক ত্বকের জন্য প্রথমে হলুদের রসটাকে বের করে নিতে হবে। তারপর সেটা দুই থেকে তিন মিনিট চুলায় ফুটিয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে বেসন ও ডিমের কুসুম মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে যায়।
ঝলমলে ও সুন্দর চুল পেতে ১৩টি টিপস
কমপক্ষে তিন দিন পর পর চুল পরিষ্কার করতে হবে, তা না হলে ত্বকে ময়লা জমে খুশকি হতে পারে।
২. চুল অতিরিক্ত ধোয়া ঠিক নয়, এতে মাথার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরিত হয় ও চুল চিটচিটে করে তোলে।
৩. আপনার চুলের জন্য উপযোগী একটি শ্যাম্পু নির্দিষ্ট করুন, তবে অবশ্যই যেন তা আপনার চুলকে কার্যকর ভাবে পরিষ্কার করে। চুলকে নরম, মসৃন ও ময়েশ্চারাইজ করে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
৪. শ্যাম্পু করার পূর্বে সম্পূর্ন চুল পানিতে ভিজিয়ে নিন, এরপর শ্যাম্পু দিন। ধীরে ধীরে শ্যাম্পু পুরো চুলে এবং মাথার ত্বকে মেখে নিন। এরপর ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন শ্যাম্পুর উচ্ছিষ্ট যেন চুলে বা মাথার ত্বকে লেগে না থাকে। মাথার ত্বক পরিষ্কারের জন্য আঙ্গুল ব্যবহার করুন, নখ নয়।
৫. প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর একটি ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার আবশ্যক। কন্ডিশনার চুলকে ভেঙ্গে যাওয়া, রুক্ষ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। চুলকে জটহীন, নরম, মসৃণ ও আকর্ষনীয় করে তুলতে কন্ডিশনার খুবই জরুরী। আপনার চুলের উপযোগী একটি কন্ডিশনার বেঁছে নিন।
৬. প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য হলেও আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। এর ফলে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে, ত্বকের মৃত কোষ ও খুশকি দূর হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
৭. চুলের মলিনতা ও রুক্ষতা দূর করতে সপ্তাহে একদিন চুলে উষ্ণ তেল ম্যাসাজ করুন। এটি চুল ঝরে যাওয়া প্রতিরোধ করে। নারকেল, জলপাই অথবা বাদাম তেল হালকা গরম করে আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো মাথায় চক্রাকারে ম্যাসাজ করুন। কয়েক ঘন্টা অথবা পুরো রাত অপেক্ষা করুন, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।
৮. মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে নরম দাঁতের চিরুনি।
৯. ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে চুলে একটি স্কার্ফ পেচিয়ে নিন। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি চুলের স্বাভাবিক রঙ ও উজ্জ্বলতা নষ্ট করে ফেলে। এটি আপনার চুলকে ধূলো ও ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করবে।
১০. চুলের ধরন তৈলাক্ত হলে, শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে খানিকটা লেবুর রস অথবা খানিকটা ভিনেগার মিশিয়ে পুরো চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল ঝলমলে ও উজ্জ্বল দেখাবে।
১১. যাদের সুইমিং পুলে সাঁতারের বা ব্যায়াম করার অভ্যাস আছে, তারা নিয়মিত চুলে শ্যাম্পু করবেন। এক্ষেত্রে একটি হালকা শ্যাম্পু বেঁছে নিন যেন তা আপনার চুলকে কার্যকর ভাবে পরিষ্কার করে ও ময়েশ্চারাইজ করে। শ্যাম্পু করার পর একটি ভালো মানের হালকা কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
১২. চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে সপ্তাহে এক দিন আপনার চুলের উপযোগী একটি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন।
১৩. সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। আপনার চুলের সঠিক সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য এটি সর্বোচ্চ উত্তম উপায়।
ঝলমলে ও সুন্দর চুল পেতে বর্জনীয়
১. চুলে অতিরিক্ত চিরুনি করা বা ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন।
২. চুলে কখনই সাবান ব্যবহার করবেন না। কারণ সাবানের ক্ষার চুলকে রুক্ষ করে। শ্যাম্পুই উৎকৃষ্ট।
৩. কন্ডিশনারযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এটি চুলকে ময়েশ্চারাইজ করবে। তবে অবশ্যই শ্যাম্পু করার পর আলাদা করে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
৪. চুলের ধরন তৈলাক্ত হলে হালকা ধরনের কন্ডিশনার ব্যবহার করা ভালো। মাথার ত্বকে কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত নয়।
৫. শ্যাম্পু করার পর চুলে চিরুনি করা বা ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় ও চুল পড়তে পারে।
৬. স্বাভাবিক উপায়ে চুল শুকাতে হবে। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।
গরমে চুল ও মাথার ত্বক ভালো রাখার জন্য কিছু বিষয় এড়িয়ে চলা জরুরী। চলুন জেনে নিই সেগুলো।
১। সকালে গোসল করে ভেজা চুল বেঁধে বের হয়ে পড়েন অনেকে।
এতে করে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় ও চুল ঝরে। তাই বের হওয়ার পূর্বে চুল শুকিয়ে নেওাই ভালো।
২। চুল শুকাতে হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়।
কিন্তু অনেকেই জানিনা কিভাবে এটি ব্যবহার করা উচিত। ড্রায়ারে ঠাণ্ডা বাতাসের একটা অপশন আছে। এটি দিয়ে চুল হালকা শুকিয়ে নেওয়া দরকার।
৩। সবসময় চুল শক্ত করে বেঁধে রাখা উচিত না।এতে করে চুলের গোড়া ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়। যদিও এই গরমে চুল খোলা রেখে বের হওয়া কষ্টকর। তবে বাড়িতে চুল খুলে রাখতে পারেন চাইলেই।
৪। গোসল করে বেরিয়ে অনেকেই চুলে অনেকক্ষণ ভেজা তোয়ালে জড়িয়ে রাখেন। এতে করে চুলের ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার জন্য চুল ঝরতে পারে অনেক। তাই গোসল করে বেড়িয়ে চুল ছেড়ে রাখুন। চুল প্রাকৃতিক বাতাসে শুকানোই সবচেয়ে ভালো।
৫। রাতে চুল শক্ত করে বেঁধে ঘুমানোর অভ্যাস আছে অনেকের। এতে করে ঘুমের মধ্যে চুলে চাপ বেশি পড়ে, চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। তাই চুল খুলে ঘুমানোই ভালো। তবে বেশি গরম লাগলে চুল হালকা করে বেঁধে ঘুমাতে পারেন।
ধরে রাখুন তারুণ্য
১। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে প্রথমেই যা প্রয়োজন তা হলো পর্যাপ্ত ঘুম। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে বলা হয়েছে।
২। ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। তারুণ্যকে দ্রুত বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দিতে এদের জুড়ি নেই।
৩।. তারুণ্য ধরে রাখতে মানসিক চাপ অবশ্যই কমাতে। আমাদের দেশে বিভিন্নরকম মানসিক চাপে পড়েই কম বয়সে বুড়িয়ে যান অনেকে। তাই মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান, ব্যায়াম, যোগব্যায়াম ইত্যাদি করা যেতে পারে। কোনো মতেই টেনশন করা যাবে না। মন উদ্বিগ্ন থাকলে মানুষ দ্রুত বুড়িয়ে যায়।
৪। মূলত তারুণ্যের ঘাটতি আর বার্ধক্যে পরিণত হওয়ার ছোঁয়া প্রথমেই ত্বকের ওপর পড়ে। টানটান ত্বক কুঁচকে যেতে থাকা মানেই আপনি দিনদিন বুড়িয়ে যাচ্ছেন।
সেজন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভালোভাবে ত্বকের যত্ন নিতে। এ ক্ষেত্রে একটি ভালো মানের ক্লিনজার দিয়ে সকাল ও রাতে ত্বক পরিষ্কার করতে বলছেন তারা। আর ক্লিনজার কেনার সময় এতে যেন উচ্চমানের অ্যালকোহোল ও ড্রাইয়িং অ্যাজেন্ট না থাকে সে বিষয়টি দেখে কিনতে বলা হয়েছে ।
৫। এবার ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কমপক্ষে দিনে দুইবার। কেবল মুখ নয়, ঘাড় ও হাতেও এটি লাগাতে হবে।
৬। ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সপ্তাহে অন্তত একবার স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও চকচকে।
৭। বার্ধক্যকে রুখতে সবচেয়ে বড় উপায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার, ফল, সবজি বেশি খেলে দেহ সতেজ থাকে ও তারুণ্যকে ধরে রাখতে কাজ করে।
৮। অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারে বরাবরই অনীহা দেখিয়েছেন ত্বক বিশ্লেষকরা। অতিরিক্ত কসমেটিক বা প্রসাধনী ব্যবহারকে কৃত্রিমতা বলছেন তারা। আর বিভিন্ন কসমেটিকের রাসায়নিক পদার্থ বাহ্যিক সুদর্শন করে তুললেও পরে দেখা যায় ওই প্রসাধনী ত্বকের জন্য মোটেই ভালো ছিল না। এছাড়া প্রসাধনী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেটি যেন ভালো মানের হয় এবং নির্দিষ্ট ত্বকের জন্য উপযোগী সেই বিষয়ে পরীক্ষার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
৯। ত্বককে ক্ষতিকর বেগুনি রস্মি থেকে রক্ষা করে সানস্ক্রিন। বিশেষকরে গরমপ্রধান দেশে সানস্ক্রিন ব্যভহার অতীব জরুরী। যারা বাইরে বেশি হন, যাদের ত্বকে সূর্যের আলো বেশি পড়ে তাকে অবশ্যই বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার কতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। শীত, বর্ষা, গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
১০। সবশেষে প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম আপনার তারুণ্যকে উজ্জীবিত রাখতে সাহায্য করে। জিমে গিয়ে ব্যায়াম না করতে পারলে প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটতে বলা হয়েছে। ব্যায়াম না করলে বা ছেড়ে দিলে দেহে আলসেমি চলে আসে আর স্থুলকায় হয়ে মানুষ তার তারুণ্য হারাতে থাকে।
সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা
চুলে তেল দেওয়ার নিয়ম
চুলের খাবার ও পুষ্টির জোগান দেয় তেল। নিয়ম মেনে তেল ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ ফল পাওয়া যায়।চুলের যত্নে তেল ব্যবহার করেন কমবেশি সবাই। কেউ সকালে, কেউ দুপুরে, কেউবা রাতে ঘুমের আগে চুলে তেল মালিশ করেন। চুলে যখন যেভাবেই তেল ব্যবহার করুন না কেন তাতে উপকার মিলবেই। তবে নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে এই উপকার বেশি পাওয়া যায়।
আর সব কিছুর মতোই চুলেও তেল ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। চুলের সঠিক পুষ্টি ও উপকারের জন্য সপ্তাহে দুদিন তেল ব্যবহারের পরামর্শ রূপ বিশেষজ্ঞদের। তেল দেওয়ার পর এক থেকে আধাঘণ্টা পর শ্যাম্পু করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।
চুল আঁচড়ে নিন
চুলে তেল দেওয়ার আগে অনেকেই চুল ভালোভাবে আঁচড়ে নেন না।
এতে চুলের ঝট ছুটে যায়। চুলে লেগে থাকা ধুলাময়লা ঝরে যায়। তেল ম্যাসাজেও সুবিধা হয়।
তেল গরম করুন
স্বাভাবিকের চেয়ে গরম তেলের মালিশ চুলের জন্য বেশি উপকারী। এ জন্য প্রতিবার ব্যবহারের আগে তেল সহনীয় মাত্রায় গরম করে নিন
গরম তেলের সংস্পর্শে চুলের ফলিকলগুলো জেগে ওঠে। সহজেই গরম তেল ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়। এতে স্ক্যাল্পে মিশে থাকা ধুলাময়লার আস্তরণ নরম হয়ে ওঠে। শ্যাম্পু করলে সহজেই তেলের সঙ্গে উঠে আসে।
চুল ভাগ করে নিন
তেল মালিশ করার আগে চুল কয়েক ভাগে ভাগ করুন। প্রয়োজনে ক্লিপ বা রাবার ব্যবহার করতে পারেন। এতে তেল মালিশ করা সহজ হয়। সহজেই চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত তেল পৌঁছে যায়। ব্যবহারের আগে বোতল থেকে ঢেলে তেল ছোট বাটিতে নিন। এতে ব্যবহার করতে সুবিধা হয়। এরপর হাতের আঙুলের ডগা তেলে চুবিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া অবধি মালিশ করুন।
আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন
অনেকেই হাতের তালু দিয়ে জোরে ঘষে ঘষে তেল ব্যবহার করেন। ভাবেন এতে উপকার বেশি। আদতে তাতে চুল ভেঙে যাওয়ার শঙ্কাই বেশি থাকে। এ জন্য আঙুলের ডগা গরম তেলে ডুবিয়ে আলতোভাবে মাথার ত্বকে বৃত্তাকারে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে তেল মালিশের সঙ্গে সঙ্গে মাথার শিরায় রক্তসঞ্চালন গতির উন্নতি হয়।
উপযুক্ত তেল বাছাই
শুধু নিয়ম মেনে তেল ব্যবহারেই তেলের পরিপূর্ণ উপকার পাওয়া যায় না। এ জন্য চাই চুলের জন্য সঠিক তেল বাছাই। বাজারে নারকেল, জলপাই, বাদাম, ক্যাস্টর, তিলসহ বিভিন্ন উপাদানের তেল পাওয়া যায়। একেক তেলে একেক ভিটামিন থাকে। চুলের ধরন বুঝে তেল বেছে নিন।
বাজেটের মধ্যেই ফ্যাশনেবল থাকার ৭ টিপস
মিক্স-ম্যাচ করুন
ফ্যাশন ক্রমাগত পরিবর্তিত হতে থাকে। যেহেতু স্টাইল দ্রুত আসে ও দ্রুত যায়, তাই সবসময় নতুন, ট্রেন্ডি পোশাক খুঁজুন এবং সেগুলো আগের পোশাকের সঙ্গে সমন্বয় করে পরুন। শুধু আগের পোশাক নিয়েই থাকলে আপনার ফ্যাশন একটু সেকেলে থেকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
যেমন ধরুন, আপনার কোনো সালওয়ার কামিজের সালওয়ারটা এখন আর ট্রেন্ডে নেই। সেক্ষেত্রে পুরো পোশাকটা আলমারিতে ফেলে না রেখে এবং এটির বদলে নতুন জামা না কিনে কামিজটা ট্রেন্ডে থাকা কোনো পালাজ্জো বা লেগিংস দিয়ে পরে ফেলতে পারেন।
পুরস্কার ও লয়্যালটি প্রোগ্রাম
প্রায়ই কেনাকাটা করেন এমন দোকানে লয়্যালটি কার্ড প্রোগ্রামের জন্য সাইন আপ করুন। এর মাধ্যমে আপনি ফ্রি ডেলিভারি, জন্মদিনে উপহার পাওয়ার মতো কিছু বাড়তি সুবিধা পাবেন।
এ ছাড়া, বিল পরিশোধের আগে কোনো ডিসকাউন্ট আছে কি না ভালোভাবে দেখে নিন। এটি আপনার স্টাইলিং খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সাহায্য করবে।
পুরনো পোশাক রিসাইকেল করুন
পুরনো জামাকাপড় নতুন করে রিসাইকেল করলে নতুন পোশাক কেনার টাকা বাঁচাতে পারে। কেনার সময় কাপড় ও রং দুটোই টেকসই হবে এমন ভালো মানের পোশাক বেছে নিন। এগুলো বেশিদিন পরতে পারবেন এবং পরে রিসাইকেল করেও পরতে পারবেন।
পুরনো জামাকাপড়ের ওপর ট্রেন্ডি কোনো ডিজাইন এমব্রয়ডারি করিয়ে এটিকে নতুন রূপ দিতে পারেন বা লেইস ব্যবহার করে পোশাকটিকে ট্রেন্ডি করে তুলতে পারেন। তবে এই কাজগুলো করার সময় কাপড়টি কেমন সেটি বুঝে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ। খুব পাতলা বা খুব পুরনো কাপড় ব্যবহার করা উচিত নয় এবং পোশাক তৈরির সময় ফ্যাব্রিকের প্যাটার্ন উপেক্ষা করা উচিত নয়।
কাপড় লেয়ার আপ করুন
নতুন পোশাক না কিনেই ফ্যাশন লেভেল বাড়ানোর একটি চমৎকার পদ্ধতি হলো কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন পোশাক পরা এবং একটিকে অপরটির ওপর লেয়ার করা। একটি ব্লাউজ বা টি-শার্ট আলমারি থেকে বের করে কার্ডিগান, সোয়েটার বা ওয়েস্টকোটের কোটের সঙ্গে পরে ফেলুন। মাথায় বেঁধে নিন একটি স্কার্ফ। সবমিলিয়ে চমৎকার ও ট্রেন্ডি দেখাবে। মনে হবে নতুন একটি পোশাক পরে আছেন।
স্টাইল পুরনো হয় না সে ধরনের পোশাক কিনুন
ক্লাসিক কালো বা সাদা টি-শার্ট মোটামুটি যে কোনো কিছুর সঙ্গে পরা যেতে পারে এবং এর আবেদন চিরন্তন। অর্থাৎ এটি কখনই ট্রেন্ডের বাইরে যাবে না। একইভাবে একটি নিউট্রাল রঙের জিন্স আপনার আলমারির যে কোনো পোশাকের সঙ্গে যাবে এবং এটিও ট্রেন্ডেই থাকবে সবসময়। পোশাক কেনার সময় যেসব পোশাকের আবেদন কখনো ফুরায় না তেমন পোশাক কিনতে পারেন। এতে এক পোশাক বহু বছর ট্রেন্ডে থাকবে এবং পরতে পারবেন।
আনুষঙ্গিক জিনিস ও ব্যাগ
ছিমছাম স্ট্রাকচার্ড ব্যাগ এবং আনুষঙ্গিক বাছাই করলে দেখতে ফ্যাশনেবল লাগে। বাজেটের মধ্যে স্ট্রাকচার্ড ব্যাগ কিনে নিন। এই ব্যাগ বিভিন্ন ধরনের পোশাকের সঙ্গে মানায়। খুব বড় বা খুব উজ্জ্বল ব্যাগ কেনা এড়িয়ে চলুন। অন্তত একটি সাদা ও একটি কালো স্ট্রাকচার্ড ব্যাগ সংগ্রহে রাখুন।
পোশাক স্টাইলিংয়ে ক্ষেত্রে গয়না সবসময় হালকা রাখুন। এগুলো যেন আপনার পোশাককে ছাপিয়ে না যায়।
বেল্ট ও ওভারসাইজড পোশাক
পছন্দের প্যান্টের সঙ্গে যেমন বেল্ট পরতে পারেন, তেমনি বেল্টকে ব্যবহার করতে পারেন আপনার জ্যাকেট বা পোশাকটিকে আরও স্টাইলিশ চেহারা দেওয়ার কাজেও। একটি বেল্টকে খুব সাধারণ মনে হলেও, সঠিকভাবে সমন্বয় করে পরতে পারলে এটি যে কোনো পোশাকের চেহারা পল্টে দিতে পারে।
ওভারসাইজড পোশাক পরার ট্রেন্ড এখন দারুণ জনপ্রিয়। সাশ্রয়ী দামের পোশাকও ওভারসাইজড পরলে দামি মনে হয়।
কালার করা চুলের যত্ন
যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে ফ্যাশনের অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে চুলের রঙেও এসেছে ভিন্নতা।চিরন্তন কালো, ব্রাউন, মেরুন, গোল্ডেন, বার্গান্ডির শেড তো আছেই। পার্পল, পিঙ্ক বা নীলের শেডও আজকাল খুব ব্যবহার হচ্ছে চুলে। চুলের রঙ এখন শুধু ফ্যাশন নয় বরং ব্যক্তিত্বের অন্যতম পরিচায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চুলের যত্নে তেলের প্রয়োজনীয়তা
যারা নিয়মিত হেয়ার কালার করেন, তাদের চুল সহজেই রুক্ষ আর শুষ্ক হয়ে যায়। চুলকে রুক্ষতা থেকে রক্ষা করতে চুলে তেল মাখার অভ্যাস করতে হবে। বিশেষ করে শ্যাম্পু করার আগের দিন রাতে হট অয়েল মাসাজ নিতে পারলে তা চুলের জন্য খুবই উপকারী।
শ্যাম্পু
চুল কালার করার সঙ্গে সঙ্গে শ্যাম্পু না করাই ভালো। এতে করে চুলে কালার বসার সময় পায়। যার ফলে রঙ তাড়াতাড়ি উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আর ২ দিন শ্যাম্পু না করলে যে সাধারণ তেল মাথার তালুতে তৈরি হয় তা চুলকে স্বাভাবিক সুরক্ষা দেবে। কালার করার জন্য চুল শুষ্ক, রুক্ষ হয়ে যাওয়ার যে সমস্যা তা থেকে পরিত্রাণ মিলবে।
প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুল এমনিতেই রুক্ষ হয়ে যায়, কালার করা চুলে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার চুলে শ্যাম্পু করুন।
কালার করা চুলের জন্য বাজারে কালার প্রটেক্টিং শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করুন। এসব শ্যাম্পু চুলের কালার এবং চুলের আর্দ্রভাব বজায় রাখে।
চুলের কন্ডিশনার
চুলের যত্নে কন্ডিশনার একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। কন্ডিশনার মাখলে চুলের নিষ্প্রাণ ভাব দূর হয়, চুল ঝলমলে মসৃণ হয়, ভঙ্গুরতার মতো সমস্যাগুলোও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ডিম, কলা এবং টক দই সমান পরিমাণে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। চুলের যত্নে এটি একটি ভালো প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। চুল কালার করার আগে এই হেয়ার প্যাকটি চুলের গোঁড়ায় এবং সারা চুলে ভালো মতো লাগিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। তাতে চুলের গোড়া শক্ত থাকবে, চুলের ভলিউম বাড়বে।
হেয়ার মাস্ক
চুল রঙ করালে তাতে বাড়তি পুষ্টির জন্য ভালো মানের হেয়ার মাস্কের বিকল্প নেই। বাজারে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার মাস্ক কিনতে পাওয়া যায়। প্যাকেটের গায়ে লেখা উপাদান দেখে হেয়ার মাস্ক বাছাই করতে হবে। এতে করে চুল আর্দ্র থাকবে, রুক্ষ, ক্ষতিগ্রস্ত চুলের সমস্যা দূর হবে। কালার করা চুলের সৌন্দর্য ও নমনীয়তা বজায় রাখতে সপ্তাহে অন্তত দুবার হেয়ার মাস্ক লাগাতে হয়।
হেয়ার ড্রায়ার
আপনার চুল শুকানোর সরঞ্জাম হেয়ার ড্রায়ার ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারেই রেখে দিন। চুল কালার করার পর তা আর ব্যবহার না করাই ভালো।
শুধু হেয়ার ড্রায়ার নয়, যতটা সম্ভব কার্লার বা চুল আয়রন করা থেকে বিরত থাকুন। এসব জিনিস চুলকে ভেতর থেকে ড্যামেজ করে ধীরে ধীরে চুল রুক্ষ ও ভঙ্গুর করে দেয়।
হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহারে ভুল
সঠিক তাপমাত্রা নির্বাচন
কেউ কেউ তাড়াতাড়ি করার জন্য বেশি তাপমাত্রায় হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করেন। কিন্তু কত তাপমাত্রায় চুলে হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করছেন তার ওপর চুলের সুরক্ষা অনেকাংশে নির্ভর করে। চুলের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা নির্বাচন করা খুব সহজ। এটি করার জন্য স্ট্রেইটনারটি চুলের নিচ পর্যন্ত টানুন। তারপর চুল স্পর্শ করে দেখুন তাপমাত্রা ত্বকের জন্য সহনশীল কি না। যদি অনেক গরম লাগে তবে বুঝবেন এই তাপমাত্রা চুলের জন্য ক্ষতিকর।
কতবার চুলে স্ট্রেইটনার টানবেন
সাধারণত যাদের চুল সোজা তাদের চুল মোটামুটি একবার টানলেই হয়ে যায়। যাদের চুল একটু কোঁকড়ানো, তাদের সর্বোচ্চ ২-৩ বার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করা ভালো। যদি দ্বিতীয়বার স্ট্রেইটনার টানার পরও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না আসে, সেক্ষেত্রে চুল ঠান্ডা হওয়ার জন্য সময় দিতে হবে। ঠান্ডা হলে আবার এর ওপর দিয়ে স্ট্রেইটনার টানতে পারেন।
হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহারে স্বাভাবিকভাবেই চুল গরম হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে, উষ্ণ চুলে যতবারই হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করা হোক না কেন, চুলের স্টাইল সুন্দর হবে না। এতে চুলের ঝলমলে ভাব নষ্ট হয়ে যায়।
চুল কতটুকু নেবেন
কতটুকু চুল স্ট্রেইট করার জন্য নিচ্ছেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুলের ঘনত্বের ওপর এই পরিমাণ নির্ভর করবে। চু খুব ঘন হলে প্রতিবার অল্প অল্প করে চুল নিতে হবে, আর পাতলা হলে একটু বেশি চুল নিয়ে স্ট্রেইট করতে পারেন। হেয়ার স্ট্রেইটনারের দৈর্ঘ্য বুঝে চুলের পরিমাণ ঠিক করাও জরুরি। কারণ সব হেয়ার স্ট্রেইটনার একই সাইজের না।
বেশি চাপ দেওয়া
চুল সোজা করার সময় আরেকটি গুরুতর ভুল হলো আয়রনে জোরে জোরে চাপ দেওয়া। অনেকে মনে করেন, এতে করে চুল সোজা করা বা কোঁকড়া করা সহজ হবে, সময়ও লাগবে কম। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। এটি চুলের ক্ষতি করে, তাপমাত্রা বাড়তির দিকে থাকলে চুল পুড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। স্ট্রেইটনারে সঠিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে সময় নিয়ে চুলের স্টাইল করুন।
কোঁকড়া করা
হেয়ার স্ট্রেইটনার অনেকে চুল কোঁকড়া করতেও ব্যবহার করে থাকেন। এক্ষেত্রে স্ট্রেইটনারের চারপাশে একবারের বেশি চুল পেচানো উচিত নয়। এছাড়া অত্যাধিক চাপ প্রয়োগ করে চুলের আগা পর্যন্ত নেওয়া ঠিক নয়। এতে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যায়।
সঠিকভাবে ধরা
আপনি কীভাবে হেয়ার স্ট্রেইটনার ধরছেন, তার ওপর এটির কার্যকারিতা অনেকাংশে নির্ভর করে। চুল কার্ল করতে চাইলে স্ট্রেইটনার লম্বালম্বিভাবে ধরতে হবে, আবার চুল সোজা করতে চাইলে আনুভূমিকভাবে ধরা উচিত। যে হাতটি দিয়ে স্ট্রেইটনার ধরবেন তা আয়রন থেকে কয়েক সেন্টিমিটার দূরে রাখতে হবে যাতে তাপ লেগে হাত পুড়ে না যায়। অন্য হাতটি চুলের মধ্যে দিয়ে চিরুনি হিসেবে ব্যবহার করবেন।
ভেজা চুলে হেয়ার স্ট্রেইটনার
আজকাল অনেক হেয়ার স্ট্রেইটনার রয়েছে যেগুলো ভেজা চুলে ব্যবহার করা যায়। তবে ভেজা চুল বেশি তাপ ধরে রাখে এবং চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়। তাই একদম ভেজা চুলে স্ট্রেইটনার ব্যবহার না করাই ভালো। স্যাঁতসেঁতে বা হালকা ভেজা চুলে হেয়ার স্ট্রেইটনার লাগানো যাবে কি না তা নির্ধারণ করবে এটির ইনফ্রারেড সিস্টেম। ভুলে গেলে চলবে না চুল শুকাতে চাইলে উচিত হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা, স্ট্রেইটনার নয়।
থার্মাল প্রোটেক্টর ব্যবহার
স্ট্রেইটনার ব্যবহারের আগে থার্মাল প্রোটেক্টর ব্যবহার না করা বা প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যবহার করা দুটোই চুলের জন্য ক্ষতিকর। গরমে চুলের অতিরিক্ত এক্সপোজার এড়াতে স্প্রে প্রটেক্টর ব্যবহার করা ভাল। তবে এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করলে চুল ভিজে যাবে, যা চুলের জন্য মোটেও ভালো নয়। সঠিক পরিমাপ হবে চুলকে ৫টি অংশে ভাগ করে সেভাবে প্রোটেক্টর প্রয়োগ করা।
আয়রন পরিষ্কার করা
হেয়ার স্ট্রেইটনারের যত্নেও মনযোগী হওয়া উচিত। ভালো ফল পেতে হেয়ার স্ট্রেইটনারের আয়রন পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই কাজে আপনার প্রয়োজন হবে মিথাইলেটেড স্পিরিট ও তুলা। এগুলোর সাহায্যে মাঝেমধ্যে আয়রনগুলো পরিষ্কার করবেন।
রমজান মাসে যেহেতু সারাদিন পানি ও খাবার খাওয়া হয় না, সেহেতু শরীরে পানির অভাব দেখা দিতে পারে, ত্বকে মলিনতা আসতে পারে। তাই এ সময় ত্বকের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন।
ক্লিনজিং: নিয়মিত ক্লিনজিং যেকোনো রুটিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোর একটি। আপনি হয়তো বিশ্বাসই করবেন না আপনার উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার জন্য এটি কতটা প্রয়োজনীয়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক ক্লিনজার বেছে নিতে হবে। মেকআপ করুন আর নাই করুন, সকালে এবং রাতে মুখ অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষ করে রমজান মাসে রোজা রাখার কারণে শুষ্ক ত্বক এড়াতে একটি রিফ্রেশিং এবং ময়েশ্চারাইজিং ক্লিনজার বেছে নেওয়া খুবই ভালো সিদ্ধান্ত হবে।
ময়েশ্চারাইজিং: ক্লিনজিংয়ের পর কোনোভাবেই ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে ভুলবেন না। কারণ রোজার সময় ত্বক সহজেই আর্দ্রতা হারায়। তাই মুখ ধোয়ার পর আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। অনেকেই মনে করেন ত্বক তৈলাক্ত হলে ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এ ধারণা সত্যি নয়।
সানস্ক্রিন: শুধু রোজায় না, যেকোনো সময়ই দিনের বেলা সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। ৪ ঘণ্টার বেশি সময় বাইরে থাকলে আবার ব্যবহার করুন।
এক্সফোলিয়েটিং: এক্সফোলিয়েটিং বন্ধ লোমকূপ পরিষ্কার করে, ত্বককে মসৃণ এবং আরও উজ্জ্বল করে। নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করলে ত্বকের রক্ত চলাচল ভালো হয়। বিশেষ করে সকালে করলে মুখের ফোলাভাব কমে যায়। সপ্তাহে একবার বা দুইবার এক্সফোলিয়েটিং জেল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন ডার্মাটোলজিস্টরা।
রমজানে ত্বককে আর্দ্র রাখাটাই চ্যালেঞ্জ। তবে সঠিক উপকরণ ব্যবহার করলে এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েটে থাকলে ত্বক সুন্দর থাকবে।
ত্বকের সুরক্ষায় করণীয়
ত্বকের সুরক্ষায় প্রথম কাজ ক্লিঞ্জিং। যেহেতু গরম শুরুর এ সময়ে ঘাম হচ্ছে আবার অনেকের সিবাম একটিভ থাকায় প্রচুর তেল বের হয় ত্বক থেকে তাই ত্বক পরিষ্কার রাখা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। অন্যদিকে ত্বক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে দিনে অন্তত একবার ডিপ ক্লিনিং আবশ্যক। আমাদের ত্বক সবচেয়ে সেনসিটিভ হয়ে থাকে। তাই সঠিকভাবে এবং সময় মতো তার যত্ন নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনেকেই কেবল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে শুরু করতে হবে দিনের শুরু থেকেই। ওয়েল বেইজড ক্লিনজিং সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী। যেহেতু এ ধরনের ক্লিনজিং জোজোবা অয়েল থেকে হয়ে থাকে তাই ত্বকের ক্ষেত্রেও যেমন উপকারী তেমনি লোমকূপের গভীর থেকেও ময়লা দূর করে আনে অল্প সময়ই। এরপর অবশ্যই একটি ভালো ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এছাড়া ত্বকের যত্নের এ ধাপে এর পরই আসে ময়েশ্চারাইজার। সেই ক্ষেত্রে টোনিং করে নিতে হবে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের আগেভাগে। এ টোনার আপনি চাইলে বাসায় ঘরোয়া সরঞ্জামে কিংবা বাইরে থেকেও ব্র্যান্ড ওয়াজ কিনে আনতে পারেন। অন্যদিকে টোনার এরপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার অনেকেই ঝামেলা মনে করেন। কিন্তু ত্বকের সঠিক যত্নে এ ধাপটি অনেক বেশি জরুরি। এতে ত্বক লক হয়ে থাকে যাতে করে বাইরের ধুলাবালি ত্বকের ভেতর পর্যন্ত যেতে না পারে। এ ক্ষেত্রে ঘরোয়াভাবে টোনার বানাতে সমপরিমাণ শসার রস, অ্যালোভেরা জেল, গোলাপজল মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। আর অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তবে ওয়াটার বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার সবচেয়ে ভালো। ত্বকের যত্নে আরেকটি ধাপ হচ্ছে সিরাম। সিরাম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ভিটামিন সি-যুক্ত সিরাম দিনে সূর্যের আলোয় ব্যবহার করা যাবে না। এতে ত্বক উলটো উজ্জ্বলতা হারায়। এর বাইরে ত্বকের যত্নে গরমে সানস্কিনের বিকল্প নেই। যারা বাইরে যান তারা তো অবশ্যই আর ঘরে যারা থাকেন তারাও ব্যবহার করবেন এ সানস্ক্রিন। অন্যদিকে ছোটদের ত্বকের যত্নেও সানস্ক্রিন খুব ভালো কাজ করে। এছাড়া হাতে কিংবা পায়ের যত্নে ক্লিনআপ ঘরে বসেই করে নেওয়া যেতে পারেন। একটি টমেটো দুই ভাগ করে তাতে চিনি ডিপ করে সার্কেল ওয়াইজভাবেও ত্বক পরিষ্কার করে নিতে পারেন। অন্যদিকে ডাবল ক্লিনজিং-এর ক্ষেত্রে দুধ খুবই উপকারী। একটু বেসন আর দুধ মিশিয়ে তা দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে পারেন। সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন মিনিট রেখে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই আপনি পাবেন উজ্জ্বল, সুন্দর ত্বক ধুলা ময়লা, গরম শুরুর এ সময়েও।
এই গরমে কেমন হবে ঈদের পোশাক
এবার ঈদের উৎসব প্রচণ্ড গরমের সময়ে। তাই পোশাকের ক্ষেত্রে কাপড়ের দিকেও নজর রাখা জরুরি বলে মনে করেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। তারা বলছেন, ভারী কাজের পোশাক দেখতে সুন্দর হলেও সেগুলোর উৎপাদনের কাঁচামাল ভালো হয় না। এসব পোশাকে বিশেষ করে শিশুরা অস্বস্তিবোধ করে থাকে। তাই ঈদের পোশাক নির্বাচন করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাতে পোশাক শিশুর জন্য আরামদায়ক হয়। তবে এ সময় সবচেয়ে মানানসই হলো সুতির কাপড়। এতে গরম কম লাগবে, সেই সঙ্গে সারা দিনের ঘোরাফেরায় মোটেই অস্বস্তি লাগবে না, আরামও পাওয়া যাবে। রাজধানীর ফ্যাশন হাউসগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোদ হোক কিংবা বৃষ্টিÑপোশাকটি যেন ঠিকঠাক উৎসবের আমেজ এনে দেয়। প্রতিবারের মতো এই ঈদেও বর্ণিল পোশাক বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে দেশীয় ফ্যাশন হাউস ও অনলাইন বিভিন্ন শপে বাহারি পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ।
সে ক্ষেত্রে ফ্যাশন ডিজাইনারদের পরার্মশ হলো বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আবহকে গুরুত্ব দিয়ে পোশাক নির্বাচন করা উচিত। বিশেষ করে গরমের এই সময়ে ছেলে শিশুদের জন্য সুতির পাঞ্জাবি, হাফ হাতা শার্ট, সফট কাপড়ের মধ্যে টি শার্ট এবং মেয়ে শিশুদের জন্য নানান রকমের ব্লক ও অ্যামব্রয়ডারি করা ড্রেস যেমন গাউন, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপস, ফতুয়া ইত্যাদি পরা ভালো। আর ঈদে ছেলেদের পোশাকের ক্ষেত্রেও সুতি কাপড়ের তৈরি পাঞ্জাবি বা শার্ট ও ফতুয়ার সঙ্গে পায়জামা পরা আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল। এ ছাড়া ঈদে মেয়েদের জামা কেনার ক্ষেত্রে সুতি, লিলেন কমফোর্টেবল কাপড় বেছে নেওয়া ভালো। আবার অনেকে ঈদে শাড়ি পরতে পছন্দ করে।
সে ক্ষেত্রে গরমে স্বস্তি পেতে হালকা রঙের শাড়ি যেমন সুতির ব্লক, টাঙ্গাইলের শাড়ি, অ্যাপ্লিকের শাড়ি, ছাপা শাড়ি, ব্লক-বাটিকের সুতি ট্রেন্ডি শাড়ি অথবা পাতলা সাটিন বা জর্জেটের শাড়িও উপযোগী। এতে ঈদের সারা দিন অনেক আরাম পাওয়া যায়। জরি, জারদৌসি, চুমকির ব্যবহারে শাড়িতে অভিজাতভাব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
গরমের সময় পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে কাপড়ের মতোই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো এর রং। সে ক্ষেত্রে কনট্রাস্ট কালারের পাশাপাশি রঙের ‘ম্যাচিউরড টোন’-এর পরিমিত ব্যবহার সবচেয়ে ভালো।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Website
Address
Progati Para, Alia Madrasah Oposit, Sadar Nilphamari
Rangpur
5300
Rangpur
It is an useful online shopping.we can use it to buy many kinds of cloth.Here we can find men's clot
Mahigonj
Rangpur
এই পেজে সবাইকে সাগতম। অনলাইন কেনাকাটা করতে চাইলে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন
Panchagarh
Rangpur, 5020
Your Best Beyond Partner. Retail sell for a single user with the Best Discount Price. Up to 40% Less
Shop No-124, 125, Ground Floor, Zahaj Company Shopping Complex
Rangpur, 5400
Your Fasion Hub (We think different)
Madhobdi, Norshindi, Dhaka
Rangpur, 5470
Any product need to call me Phone:01857828158. My Name is Md. Mahamudul Hasan.