Travel Sense
Let's travel the world
বিজয় উৎসব ২০২৩
সম্পর্ক প্রেমের হোক বা বিয়ের ৩য় ব্যক্তির আগমনে সম্পর্ক ভাঙন ধরবেই শেষে গিয়ে 😌💜
এখনো ভালো মানুষ আছে পৃথিবীতে😭😭
(কপি পোস্ট করলাম)
শৈশব☺️❤️
#ব্রেকিং_নিউজ
হরতালের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামীকাল ২৯ অক্টোবর রোববারের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
✔️স্থগিত এসব পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।
গ্রামের বাংলার নিয়মিত দৃশ্য☺️
যেখানে তৃপ্তির স্বাদ পাওয়া যায়☺️
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি
ফিফা টায়ার ওয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল ম্যাচ এর ২য় খেলায় বসুন্ধরা কিংস এরেনায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান -- ৭ই সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, বিকাল ৫টায়। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক এবং সাউথইস্ট ব্যাংকের শাখায় পাওয়া যাচ্ছে ম্যাচের টিকেট। দেরি হলেই শেষ!
পলিটিক্যাল সাইন্সে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে চাকরির পিছনে হন্য হয়ে ঘুরেছেন বিসিএস পরীক্ষায় ভাইবা পর্যন্ত গিয়েছেন কপাল খারাপ চাকরি হয়নি।
তাতে কি হয়েছে তিনি এখন নিজেই একজন উদ্যোক্তা
নাম তার শাহিন আলম। সে এখন একটা চায়ের দোকান চালায়। খুব যত্ন করে নিজের হাতে চা বানিয়ে খাওয়ান তিনি।
তার দোকানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিসটা হচ্ছে সে একটা লাল ঝুড়িতে লিখে রেখেছেন -
" টাকা নেই ভাববেন না এই ঝুড়ি থেকে একটা রুটি খান ফ্রি"
কি সুন্দর একটা বাক্য তাই না 😊
নেই কোন অহংকার নেই কোনো লজ্জা
শাহীন ভাইয়ের আছে শুধু বুক ভরা ভালোবাসা ❣️
স্যালুট জানাই শাহিন ভাইকে ❣️
আল্লাহ যেন তার ব্যবসায় আরও বরকত দান করেন। আমিন
শাহিন ভাইয়ের দোকান- কাঠালবাগান বাজার, বাইতুন নূর জামে মসজিদ সংলগ্ন কলাবাগান।
পোস্ট কার্টেসী - আদিত্য রাজীব
©
মাঠে যেভাবে যাবেন -
আগামীকাল যারা বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের ম্যাচ দেখতে বসুন্ধরা কিংস এরেনাতে আসবেন তারা হয়তো বসুন্ধরা থেকে কিভাবে এরেনাতে যাবেন তা নিয়ে হয়তো খুব চিন্তিত। আপনাদের জন্য খুশির খবর সেটা হলো বসুন্ধরা থেকে এরেনাতে যাতায়েতের জন্য ৩ জায়গা থেকে বাসের ব্যাবস্থা করা হয়েছে -
১. বসুন্ধরা কিংস ক্লাব হাউজ থেকে।
২. ৩০০ ফিটের পাশে বসুন্ধরা এরিয়ার মিনি গেট থেকে।
৩. ১০০ ফিট (মাদানি এভিনিউ) থেকে।
এই সুযোগ সবার জন্য, সময়মত আসলে ফ্রিতে ফিল্ডে যেতে পারবেন। দুপুর ২.৩০ থেকেই বাস পাওয়া যাবে। যেহেতু গ্যালারিতে আসন স্বল্পতা আছে।
কপি পোস্ট
Today's👉 The Best Photo❤️

কে কে খেলেছেন☺️
শৈশব ❤️
☺️☺️
Grameenphone☺️
সদ্য পাওয়া
ঢাকায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
চলো বহু দূর☺️
রাতের শহরে,
পূর্বাচল ঢাকা।
নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন🫣
অনেক সুন্দর পরিবেশ☺️
বৃষ্টিময় আজকের ঢাকা শহর☺️
SSC RESULT LAGLE ROLL REG BOARD
COMMENT
#ব্রেকিং_নিউজ:
মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট ফাইনালি প্রকাশ।
#জাতীয়বিশ্ববিদ্যালয়
#বাংলাদেশ
জীবন সংগ্রাম
১৬ ম্যাচের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয়বার ম্যাচসেরা
অভিনন্দন ম্যাচ উইনার তাওহীদ হৃদয় ❤️❤️
বৃষ্টিময় আজকের পুরান ঢাকা
লেখাটা পড়ে আমার জীবন দর্শন একটু থমকে গেলঃ
আমি বৃদ্ধাশ্রমে আছি আজ প্রায় পাঁচ বছর হতে চলল। ভালই লাগে এখানে।
নিজের মত করে থাকা যায়।
মন চাইলে বই পড়ি না হলে গান শুনি।
কখনো কখনো এখানকার অন্যান্য বাসিন্দাদের সাথে গল্প করি।
আমার ভাল লাগে।
আমি ভাল আছি।
দুই ছেলে এক মেয়ে আমার।
বড় ছেলে যাওয়াদ,পেশায় ডাক্তার।
সপরিবারে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে।
জহির,আমার ছোট ছেলেটা দেশেই থাকে।
পৈত্রিক ব্যবসা দেখাশোনা করে।
মেয়েটা ব্যাংকে কাজ করে।
বন্ধের দিনে আসে আমাকে দেখতে।
কোন সপ্তাহে আসতে না পারলে রান্না করে পাঠিয়ে দেয়,
একটু বেশি করেই পাঠায় যাতে করে অন্যদেরও একটু ভাগ দিতে পারি।
আমি রাজিয়া খানম।
এভাবেই চলছে আমার জীবন গত পাঁচ বছর ধরে।
যাওয়াদের বাবা মারা যাবার বছর খানেক পর হঠাৎ করে আমার কার্ডিয়াক-এটাক হয়।
আমাকে প্রায় মাসখানেক হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল।
কি যে সময় গেছে তখন।
অর্থের অভাব নেই, নেই ইচ্ছার অভাবও।
অভাব হচ্ছে সময়ের।
হাসপাতালে সার্বক্ষণিকভাবে একজন থাকা,
প্রতিনিয়ত ডাক্তারের সাথে কথা বলা,
এক্সারসাইজ করানো,
ওষুধ খাওয়ানো সময় ধরে,
আরো কত কী!
বাসায় আসার পর আরেক ঝামেলা।
সার্বক্ষণিক দেখা শোনার জন্য একটা মানুষ কোথায় পাওয়া যায়।
মেয়েটা অফিস করছে,
অফিস আর আমাকে সামলে তার নিজের সংসারটা ঠিক খেয়াল রাখতে পারছেনা।
একদিন শুনলাম,
জামাই বলছে-মা তো তোমার একার নয়,
তোমার ভাইদেরও তো কিছু দায়িত্ব আছে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই কিন্তু কথা গুলো এসে যায়।
তাই আমি সহজভাবেই নিলাম।
এরমধ্যে শুনি, ছোট বউমা জহিরের সাথে খুব চিৎকার- চেঁচামেচি করছে।
নাতির রেজাল্ট খুব খারাপ হয়েছে।
অসুস্থ আমাকে দেখতে আত্নীয়-স্বজনের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল,
আবার আমাকেও একটু বাড়তি যত্ন করতে হয়েছে,
তাই এ কয়দিন বাবা মা কেউই আর ছেলের পড়াশুনা দেখার সুযোগ পায়নি।
এই ঘরে বাচ্চা মানুষ হবেনা,
কারন এখানে পড়াশোনার কোন পরিবেশ নাই
সারাদিন মেহমান, রান্নাবান্না এইসবের মধ্যে বাচ্চা মানুষ হয়!
বউমার জোর গলা।
আমি শুনলাম এবং ভাবলাম ,ঠিকইত ।
আজকালকার এই প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকতে হলে বাচ্চাকে শতভাগ সময় দিতে হবে।
এখান থেকে দশ ভাগও যদি অন্য কোথাও দেয়া হয়, ক্ষতি হবে বাচ্চার।
আমি অনেক ভেবে দেখলাম।
বিভিন্ন দিক থেকে ভেবেছি।
তারপর আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ছেলেমেয়েরা বিরোধিতা করেছে।
বড় ছেলেটা বিদেশ থেকে আসল।
অনেক কান্নাকাটি করেছিল সে আমাকে এখান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলো।
মেয়েটা অনুরোধ করেছিল যেন তার সাথে গিয়ে থাকি,
কিন্তু আমি সবাইকে না করে দিয়েছি।
আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল থেকেছি।
-তাহলে মা তুমি আমাদের ভালবাসনা,
আমাদের আপন মনে করনা,
তাই আমাদের কারো সাথে থাকতে চাওনা?
জহির কাতর কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল।
তার চোখে জল।
-ভালবাসিরে পাগল,
অনেক ভালবাসি।
আর তাই চাই সম্পর্কটা সবসময় এমন ভালবাসাময়ই থাকুক।
একসাথে থাকা সম্পর্কগুলোর মধ্যে প্রত্যেশা অনেক বেশিরে।
আর যখন প্রত্যেশা আর প্রাপ্তির হিসাব মিলেনা তখনই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়,
পরিবারে অশান্তি বাড়ে।
-মা, তুমি আমাদের সাথে থাকতে চাওনা,
আবার আমাদের গ্রামের বাড়িটাত খালিই পড়ে আছে......
তুমিতো ঐ বাসায়ও থাকতে পারো মা।
বড় ছেলেটা বলল।
-সেইত বাসা, সংসার,দায়িত্ব-অনেক তো করলাম।
এবার একটু নিজের মত থাকি।
তোদেরও আমাকে নিয়ে টেনশন করতে হবেনা।
আমারও একা বাড়িতে মরে পড়ে থাকার ভয় থাকলনা,
-তুমি যাবেই,বুঝতে পেরেছি।
ঠিক আছে মা,
বাধা দিবনা আর।
একটাই অনুরোধ,
তোমার খরচটা আমাদের দিতে দিও মা।
-বেশ তো, দিবি।
মুচকি হেসে জবাব দিলাম।
এরপরের কাজগুলো খুব দ্রতই গুছিয়ে নিলাম।
টাকা-পয়সা, সম্পদের যথাযথ বিলি-বন্টন করলাম।
আমার অংশের সম্পত্তিটুকু নিজের কাছেই রেখেছি,
নিজের মত ব্যবস্থা করব বলে।
এ সম্পদ থেকে সমাজের বয়স্কদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা আছে।
এখানে অনেকেই আছেন যারা ছেলেমেয়েদের সাথে একটু সময় কাটানোর বিনিময়ে সর্বস্ব দিতে প্রস্তুত,
কিন্তু ছেলেমেয়েদের সময় হয়না,
বৃদ্ধ বাবা মায়ের সাথে দুদন্ড সময় কাটানোর।
আবার অনেকে ভাগের মা কিংবা বাবা হয়ে থাকতে চাননা, চলে আসেন এখানে।
অর্থাৎ একদম নিরুপায় নাহলে কেউ বৃদ্ধাশ্রমে আসাটা চিন্তাই করতে পারেনা।
অথচ বৃদ্ধাশ্রমে থাকাটা যে জীবনের শেষ বেলায় অনেক ধরনের পারিবারিক জটিলতার বিপরীতে কোন সুন্দর বা সম্মানজনক সমাধান হতে পারে এই ধারনাটাই এখনো সমাজে তেমন গ্রহনযোগ্য নয়।
যতদিন আমরা মেয়েরা স্বামী, সন্তান পরিবারেরর বাইরে নিজেকে অস্তিত্বহীন মনে করব,ততদিন এই বৃদ্ধাশ্রম ব্যাপারটা একটা ঋণাত্মক ব্যাপার হয়ে আমাদের মাঝে থাকবে।
এখানে সবাই আমাকে হিংসা করে,
ভালবাসা মিশ্রিত হিংসা।
বলে, ছেলেমেয়েরা আপনাকে এত ভালবাসে,
এত তাদের সাথে থাকতে বলে,
আর আপনি এখানে আশ্রমে পড়ে আছেন।
আমি হাসি।
তাদের আমি বুঝাতে পারিনা,
আমি এখানেই ভালো আছি।
আমি জানি, আমার ছেলে মেয়েরা আমাকে অনেক ভালবাসে, অনেক সম্মান করে।
কিন্তু আমি এটাও জানি, এই ব্যস্ত জীবনে যেখানে দিনের প্রতিটা ঘন্টা হিসাবের, সেখানে আমি তাদের কাছে একটা বাড়তি দায়িত্ব ছাড়া কিছু নই।
একজন মায়ের জীবন শুধু ছেলেমেদের বড় করে তোলা আর বৃদ্ধ বয়সে তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকা নয়।
বড় হওয়ার সাথে সাথে সন্তানদের নিজের জগত তৈরি হয়, নিজের পরিবার তৈরি হয় ।
তাদের ঘিরেই চলে জীবনের আবর্তন।
সেইখানে বৃদ্ধ মা বা বাবা তাদের সেই জীবনের অংশ হয়না।
এটাই সত্য।
অনেকেই হয়তো এই সত্যটা ধরতে পারেনা কিংবা ধরতে পারলেও না বোঝার ভান করে।
হয়তো তাদের আর কোন উপায় নেই অথবা তারা যেকোন মুল্যে সন্তানের কাছে থাকার লোভ সামলাতে পারেনা।
আমি যেকোন ভাবেই হোক এই লোভ সংবরণ করে নিলাম।
আমি শেষ বয়সটা আমার নিজের মত করে কাটাতে চাই।
এরপর থেকে আছি আমার ঠিকানায়।
হ্যা, এখন এটাই আমার ঠিকানা,
আমি নিজে এই ঠিকানা বেছে নিয়েছি,
একটু আমি হয়ে বাঁচার জন্য।
জীবন_দর্শন
অজানা লেখকের জীবন দর্শন
(আমিও থাকতে চাই বৃদ্ধাশ্রমে)
সংগৃহীত
Beautiful Rajshahi City❤️
বার বার যেতে মন চায়
আমি বাবার প্রেসক্রিপশন আর রেনিটিডিন ঔষধের পাতাটা হাতে নিয়ে ভাইয়ার রুমে গেলাম। রুমে ঢুকে দেখি ভাইয়া বিছানায় শুয়ে ফোন টিপছে আর ভাবী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করছে। আমাকে দেখে ভাইয়া বললো,
- কিরে, কিছু বলবি?
আমি তখন বললাম,
-- ভাইয়া তুমি হয়তো ভুল করে ফেলেছো। প্রেসক্রিপশনে ডাক্তার সারজেল ট্যাবলেটের কথা লিখেছে তুমি ভুল করে রেনিটিডিন ঔষধ নিয়ে এসে পরেছো
আমার কথা শুনে ভাইয়া বললো,
- আমি ভুল করে না, জেনেই এনেছি। দুইটাই তো গ্যাসের ট্যাবলেট। কাজ যেহেতু দুইটার একই সেহেতু শুধু শুধু দামী ঔষধ কিনে টাকা নষ্ট করার মানে নেই
ভাবী আয়নার দিকে তাকিয়ে থেকেই বললো,
~শুধু যে দামী ঔষধ ভালো হবে তা কিন্তু না। মাঝে মধ্যে কমদামী ঔষধও ভালো কাজ করে
আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ ভাইয়ার রুম থেকে বের হয়ে আসলাম। ভাইয়া আগে এমন ছিলো না কিন্তু বিয়ে করার পর থেকেই ভাইয়া এমন হয়ে গেছে
বাবার রুমে এসে দেখি বাবা খবরে কাগজ পড়ছেন। খবরের কাগজের দিকে তাকিয়ে একটু অবাক হয়ে বাবাকে বললাম,
-- দুইদিনের আগের পত্রিকা পড়ে কি মজা পাচ্ছো? তারচেয়ে বরং আজকেরটা পড়ো
বাবা পত্রিকার কাগজ থেকে মুখটা সরিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে শুধু একটু মুচকি হাসলো। বাসায় বসে থেকে দম বন্ধ লাগছিলো তাই ভাবলাম বাহির থেকে একটু হেঁটে আসি। বাসার সামনে যেতেই খেলায় করলাম হকার ছেলেটা পাশের বাসায় ঠিকিই পত্রিকা দিলো কিন্তু আমাদের বাসায় না দিয়ে চলে যাচ্ছিলো। আমি ছেলেটাকে ডাক দিয়ে বললাম,
-- কিরে, আমাদের বাসায় পত্রিকা না দিয়েই চলে যাচ্ছিস যে?
হকার ছেলেটা বললো,
- খালুজানতো বলেছে প্রতি শুক্রবার শুধু খবরের কাগজ দিতে
আমি অবাক হয়ে বললাম,
-- বাবা তোকে কবে এই কথা বললো?
ছেলেটি বললো,
- তিনদিন আগে বলেছে
আমি কিছু না বলে চুপচাপ বাবার রুমে গিয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম,
-- তুমি নাকি পত্রিকার ছেলেটাকে বলেছো শুধু শুক্রবারে পত্রিকা দিতে?
বাবা মুচকি হেসে বললো,
~আর বলিস না শুক্রবারে যে খবরটা ছাপা হয় পুরো সপ্তাহ জুড়ে শুধু এই খবরটাই ঘুরিয়ে পেছিয়ে লেখা হয় তাই বলেছি শুধু শুক্রবারের পত্রিকাটাই দিতে। শুধু শুধু টাকা নষ্ট করে লাভ নেই
আমি যা বুঝার বুঝে গিয়েছিলাম। ভাইয়া নিশ্চয়ই বাবাকে কিছু বলেছে তাই বাবা খরচ বাঁচাচ্ছেন। আমার কিছু করার ছিলো না তখন কারণ ইন্টার পড়ুয়া একটা ছেলে তখন কিবা করতে পারে
রাতে খাবার টেবিলে বসে সবাই যখন খাচ্ছি তখন ভাবী ভাইয়াকে ইশারা করলো বাবাকে কিছু একটা বলার জন্য। ভাইয়া তখন বাবাকে বললো,
- বাবা, তুমি কিছু মনে না করলে একটা কথা বলতাম। আসলে আমাদের রুমটা খুব ছোট হয়ে গেছে। তুমি তো একাই থাকো তাই তুমি যদি আমাদের রুমে এসে পরতে আর তোমার রুমটা আমাদের দিয়ে দিতে তাহলে খুব ভালো হতো
বাবা তখন অসহায়ের মত ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,
~আমি আর তোর মা ২৮টা বছর এই রুমটাতে কাটিয়েছি। এখন তোর মা বেঁচে নেই কিন্তু এই রুমটার ভিতর ঘুমালে মনে হয় তোর মা আমার সাথে আছে
বাবার কথা শুনে ভাবী কাঁশতে লাগলো তখন ভাইয়া বাবাকে বললো,
-- ঠিক আছে বাবা, তুমি তোমার রুমেই থেকো কিন্তু তোমার রুমের এসিটা আমায় দিয়ে দাও কারণ তৃনার(ভাবী) হাই প্রেসারের একটু সমস্যা আছে তাছাড়া তোমার তো এখন এসির দরকার পরে না
বাবা তখন নিচের দিকে তাকিয়ে বললো,
~আচ্ছা ঠিক আছে
আড়চোখে তাকিয়ে দেখি ভাইয়া আর ভাবীর মুখে বিজয়ের হাসি। মনে হচ্ছিলো ওরা যুদ্ধ জয় করে ফেলেছে। ইচ্ছে করছিলো ভাইয়ার মুখে থুথু মারি কিন্তু বড়ভাই বলে কথা।আজ যদি ছোটভাই হয়ে বড়ভাইয়ের মুখে থুথু মারি তাহলে কাল আমাকে নিয়ে বিচার বসবে আর সমাজ আমাকে দোষী বানাবে। তাই নিজের থুথু নিজের মুখেই রেখে খাবার টেবিল থেকে চুপচাপ উঠে চলে গেলাম...
কয়েকদিন পর আমি আর বাবা রুমে বসে কথা বলছি।হঠাৎ ভাইয়া রুমে এসে বাবার দিকে শপিংব্যাগ এগিয়ে দিয়ে বললো,
-বাবা, তোমার আর পিয়াসের জন্য দুইটা পাঞ্জাবি কিনেছি। পরে দেখো তো তোমাদের ঠিক ঠাক হয় কি না
এই কথা বলে ভাইয়া অন্য রুমে চলে গেলো। বাবা পাঞ্জাবি গুলো বের করে ভালো ভাবে দেখে আমায় বললো,
~দেখলি তোর ভাইয়া আমার আর তোর জন্য কত দামী পাঞ্জাবি কিনে এনেছে। পাঞ্জাবি সম্পর্কে আমার অনেক ভালো আইডিয়া আছে। কম করে হলেও দুইটা পাঞ্জাবির দাম ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা হবে। তুই শুধু শুধু তোর ভাইয়াকে ভুল বুঝিস। নিজের রক্ত বলে কথা
এই কথা বলে বাবা পাঞ্জাবিটা পরলো। এমন সময় ভাবী আর ভাইয়া তড়িঘড়ি করে রুমে ঢুকলো। ভাইয়া বাবাকে বললো,
- সরি বাবা, আমি ভুল করে তোমাকে আর পিয়াসকে আমার শ্বশুর আর সালার জন্য কিনে আনা পাঞ্জাবি গুলো দিয়ে ফেলেছি। তোমাদের পাঞ্জাবি গুলো এইখানে
বাবা হাসতে হাসতে বললো,
~সমস্যা নেই। আমি আরো ভুল করে পরে ফেললাম
বাবা গা থেকে পাঞ্জাবিটা খুলে দিলে ভাইয়া আর ভাবী পাঞ্জাবিটা নিয়ে অন্য রুমে চলে যায়। আমি রেখে যাওয়া শপিংব্যাগ থেকে পাঞ্জাবি গুলো বের করে বাবাকে দেখিয়ে বললাম,
-- তোমার মত পাঞ্জাবি সম্পর্কে আমার এত আইডিয়া না থাকলেও মোটামুটি একটা আইডিয়া আছে। দুইটা পাঞ্জাবি সর্বোচ্চ হলে ১০০০টাকা থেকে ১২০০ টাকা হবে। দিন শেষে দেখা যায় নিজের রক্তই বাবা বেঈমানী করে
বাবা কিছু বললো না শুধু জানালার গ্রীল ধরে বাহিরের আকাশটার দিকে তাকিয়ে রইলো...
---
-----
ভাইয়া অফিসের একটা কাজে চট্টগ্রাম গিয়েছিলো। এর মধ্যে হঠাৎ করে ভাবীর শরীর খারাপ হয়ে যায়। আমি ভাইয়াকে ফোন দিয়ে বললাম,
-- ভাবীর শরীর খারাপ মনে হয় প্রসব ব্যথা উঠেছে। আমি ভাবীকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছি
ভাইয়া তখন বললো,
- সরকারি হাসপাতালে না নিয়ে তুই প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যা। সরকারি হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা হয় না
আমি আমতা আমতা করে বললাম,
-- প্রাইভেট হাসপাতালে তো অনেক খরচ
ভাইয়া তখন বললো,
- যত টাকা লাগে আমি দিবো তুই আগে নিয়ে যা
হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর ডাক্তার কিছু ঔষধ দিলে আমি ভাইয়াকে ফোন করে বললাম,
-- ভাইয়া, ডাক্তার যে ঔষধ গুলো দিয়েছে সেই একই ঔষধ গুলো অন্য কোম্পানির অনেক কম দাম। কাজ যেহেতু একই আমি অন্য কোম্পানির ঔষধ গুলো নিয়ে যাই? শুধু শুধু টাকা নষ্ট করে লাভ কি?
আমার কথা শুনে ভাইয়া রেগে গিয়ে বললো,
-- তুই কি এমবিবিএস ডাক্তার? এত বেশি বুঝিস কেন? ডাক্তার যেগুলো দিয়েছে সেগুলোই নিয়ে যা। ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক
আমি আর কিছু না বলে মুচকি হেসে ফোনটা রেখে দিলাম
---
-----
ভাইয়া এই মুহুর্তে তার সন্তানকে কোলে নিয়ে বসে আছে। ভাইয়ার চোখে মুখে আনন্দের হাসি। ভাবীর এখনো জ্ঞান ফিরেনি। আমি ভাইয়ার কাছে গিয়ে বললাম,
-- কোন বাবাই তার সন্তানের জন্য কৃপণতা করে না। সব বাবাই তার অবস্থান থেকে সবচেয়ে ভালোটা তার সন্তানকে দিতে চায়। কিন্তু সেই সন্তান যখন বড় হয় তখন কেন বাবার জন্য কৃপণতা করে বলতে পারো?
আমি ভাবীকে কোন দোষ দিবো না। ভাবী অন্য রক্তের তাই উনার আমাদের প্রতি টান না থাকাটাই স্বাভাবিক কিন্তু তুমি তো আমাদের রক্তের তুমি কি করে পারলে বাবার জন্য কমদামী ঔষধ আনতে, রুম থেকে এসিটা নিয়ে যেতে, বাবার গা থেকে পাঞ্জাবিটা খুলে নিয়ে যেতে? তুমি যেমন তোমার সন্তানের জন্য ছটফট করছিলে তেমনি আমার বাবাও তোমার আমার জন্য এমন ছটফট করেছিলো। সেই তুমি এতটা অকৃতজ্ঞ হতে পারলে?
ভাইয়া আমার কথা শুনে কোন উত্তর না দিয়ে চুপ করে বসে রইলো। আমি তখন ভাইয়ার কাঁধে হাত রেখে বললাম,
-- মনে রেখো, তুমিও ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছো
---
----
হাসপাতালে বাহিরে এসে যখন রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছি তখন বাবা আমার পিছন থেকে হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে বললো,
- চল, আজ বাবা আর ছেলে একসাথে কিছুটা পথ হাটি
হটার সময় খেয়াল করছিলাম বারবার বাবার সাদা গ্লাসের চশমাটা ঝপসা হয়ে যাচ্ছিলো। হয়তো বাবা কাঁদছিলো তাই। আচ্ছা আমিও কি ভাইয়ার মত অকৃতজ্ঞ সন্তান হবো। কি জানি, দিন শেষে আমিও হয়তো অন্যের রক্তের ঘ্রাণ পেয়ে নিজের রক্তকে অবহেলা করবো..
অকৃতজ্ঞ সন্তান
Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard!
Moshiur Rahman Tuhin, মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভেলু, Redwon Masud, ফুটবল প্রেমিক, Joy Chowdhury, Sheikh SheZan, Mõhîmêňûl Îşlâm, Abdur Rakib, Saimun Rahman, M Kh Parvez, Madhobi Sarker, Md. Hossain Ali, Md Shuvon, Mistu Islam, Md Mashruf Ahnaf Rafu, Abdullah Mohammad Salman, জি এম বশির, MD Fazlur Rahman, Mujib Soljar Maloysia, Md Imran, Abdur Rahman, Protik Hasan, Khairul Islam, Priya Day
১০ই মহররমের অনুষ্ঠান
জেনেভা ক্যাম্প মোহাম্মদপুর
--১৭ বছর পরে আজ মাকে খুজে পেলাম। ভিক্ষা দিতে গিয়ে!
-- রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম হঠাৎ দেখি একটা মহিলা রাস্তার খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছে। তাই একটু কাছে গেলাম।
--কাছে যেতেই চিনে ফেলি এটা আর কেউ না। আমার নিজের মা সেলিনা বেগম।
--মা বলে ডাকার সাথে সাথেই আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
--আমাকে চিনতে পারছো মা। আমি তোমার সন্তান হাসিব।
--আমার সন্তান ?
হাসিব : হুমমম আমি তোমার সন্তান হাসিব। ওই ছোট কালে আমাকে রেখে চলে এসেছিলে?
--আমার সন্তান এতো বড় হয়েছে।
--বলেই হাসিব কে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে আর বলতে থাকে।
--আমাকে মাপ করে দিস বাবা
হাসিব : মা কেনো ছেরে এসেছিলে আমাকে ।
মা : তোর বাবার সাথে আমার ঝগড়া লেগেছিলো। পরে তোর বাব আমাকে বলেছে তোই ওই মুখ আমি দেখতে চাইনা। যদি কখনো দেখি তো সাথে সাথেই যেনো আমার মৃত্যু হয়। এই কথাটি শুনে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি তাই অভিমান করে তোকে রেখেই আমার বাবার বাসায় আসতে ছিলাম রাতে। কিন্তু মাঝ রাস্তায় এসেই আমাকে এক দল সন্ত্রাসী ধরে ফেলে। আর আমাকে সবাই এক এক করে ধ-র্ষ-ন করে। এই মুখ আর কাকে দেখাবো তাই তোদের ছেরে আমি শহরে গিয়েছিলাম আর এমন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছি।
--মায়ের মুখে এমন কথা শুনে হাসিব সাথে সাথেই কান্না করে দেয়।
হাসিব : জানো মা বাবা তোমাকে অনেক খুজেছে। কিন্তু কোথাও খুজে পায়নাই।
মা : কিন্তু বাবা কিছু দিন হলো এখানে এসেছি। সবাই আমাকে পাগলি বলে। কতো খারাপ কতা বলে।
হাসিব : চলো বাসায় চলো।
মা : না আমি জাবো না।
হাসিব : জানো মা বাবা এখনো তোমার অপেক্ষা করে তুমি ফিরে আসবে বলে।
মা : কি বলিশ।
হাসিব : হুম মা চলো।
--এর পরে হাসিব তার মাকে বাসায় নিয়ে আসে ? বাসায় এসেই দেখে যে হাসিবের বাবা আজাহার সাহেব খবরের কাগজ পরতেছে।
হাসিব : বাবা দেখো কাকে নিয়ে এসেছি।
বাবা : কাকে নিয়ে এসেছো বাবা।
হাসিব : মা কে নিয়ে এসেছি।
--কথাটি শুনেই খবরের কাগজটি ফেলে দিয়ে দৌরে এসে। সেলিনা বেগম কে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে আর সেই দিনের জন্যে মাপ চাইতে থাকে।
বাবা : আমাকে মাপ করে দাও সেলিনা আমার এই ভাবে বলাটা ঠিক হয়নি।
মা : আমার ভুল ছিলো আপনার ভূল হয়নি। আমাকে মাপ করে দিয়েন আপনি ।
বাবা : আর কখনো এমন করে ছেরে যেও না আমাকে । যদি যাও তো মরেই যাবো।
মা : এই না এই সব বলিয়েন না। আমি কখনো আর ছেরে যাবো না।
-তখনি হাসিব বলে উঠে?
হাসিব : যাই হোক অবশেষে আমাদের পরিবারে শুখ শান্তি ফিরে এলো।
বাবা : এখন তোমার বিয়ে কারার পালা।
--কথাটি শুনে সবাই হাসতে থাকে।
একটি কথাই বলবো কখনো কিছু করার আগে অবশ্যই ১ বারের জায়গাই ১০০ বার ভেবে কাজ করবেন ধন্যবাদ ।
#অনুগল্প : ভুল?
কাহিনী লেখা: মি. হাসিব
সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ
আজকে
ঘরে ঘরে কসাই😁😁
হাম্বা মোবারক😊
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Website
Address
Rangpur
G. L. Roy Road
Rangpur, 5400
Lions School and College is one of the biggest schools and colleges in Rangpur city. It is situated at G.L. Roy Road, Ranpur.
Medical East Gate, Dhap
Rangpur, 5400
Rangpur Dental College is one of the first dental college offering quality and affordable dental car
পীরগাছা পাওটানা
Rangpur
assalamu alaykum bundhura amader peije Islamic songit waj short film and aro Shikkha nio video folo korepete Amader peijer sathei. thakun
Pandul Hazipara, Pandul , Ulipur, Kurigram
Rangpur, 5601
I am a teacher, a motivational speaker, a content creator and a social media marketer