Islamic World

হে আল্লাহ, আরাফার ময়দানে দোয়ার তৃপ্তি অনুভব করা ছাড়া কাউকে মৃত্যু দিও না। ©️Ahmadullah শায়খ

অভাবসৃষ্ট হতাশা, ব্যর্থতা ও গ্লানির ভার বইতে না পেরে একটা সময় মানুষ আত্মহত্যা করত।

এখন শিক্ষিত সচ্ছল তরুণদের মধ্যে আত্মহননের প্রবণতা বাড়ছে।

এর কারণ কী?

এর অন্যতম প্রধান কারণ—বস্তুবাদী শিক্ষাব্যবস্থার প্রভাব। বস্তুবাদী শিক্ষাব্যবস্থায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস, পরকালমুখিতা এবং আধ্যাত্মবাদের কোনো অংশগ্রহণ নেই।

তাকদির নয়; এখানে শেখানো হয় শুধুই বস্তুর প্রতি নির্ভরতা। আর বস্তুবাদিতার মাধ্যমে সব সময় সাফল্য আসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

ফলে একজন বস্তু-নির্ভর তরুণ যখন কোনো কাজে ব্যর্থ হয়, চূড়ান্তভাবে সে হতাশ হয়ে পড়ে। এই হতাশা তাকে ধাবিত করে আত্মহননের পথে।

বিপরীতে একজন বিশ্বাসী, পরকালমুখী, তাকদিরে ভরসাকারী মানুষ যখন ব্যর্থ হয়, তার একটা সান্ত্বনার জায়গা থাকে। সে নিজেকে প্রবোধ দিতে পারে—আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু ভাগ্যে নেই বলে হয়নি। আল্লাহ নিশ্চয় আমার এ চেষ্টার ভিন্ন কোনো প্রতিদান দেবেন।

আমরা যতই শিক্ষিত হই, ঈর্ষণীয় ক্যারিয়ার গড়ি, জগৎজোড়া খ্যাতি লাভ করি, তবু দিনশেষে সুখ-দুঃখের কথা বলে হৃদয়কে ভারমুক্ত করার একটি গোপন জায়গা আমাদের দরকার। সবার দরকার।

সেই জায়গাটির নাম রবের দরবার। যে দরবার থেকে কেউ কখনো হতাশ হয় না। পাওয়া না-পাওয়ার নালিশ ঠুকে যেখান থেকে আমরা নির্ভার, প্রশান্ত হতে পারি।

আমাদের সামগ্রিক শিক্ষায় যতদিন না বস্তুবাদিতার জায়গায় স্রষ্টার প্রতি নির্ভরতার অনুশীলন শুরু হবে, ততদিন শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে আত্মহননের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

(শায়খ আহমাদুল্লাহ) ©Ahmadullah

মুসলিমদের উপর শয়তান ধাপে ধাপে কিছু প্রচেষ্টা চালায়। যা শয়তান ছেড়ে দিতে চায় না। একটা ধাপে শয়তান নিরাশ হলে সে পরবর্তী ধাপ প্রয়োগে উদ্ধত হয়। এ রকম ৬ টি ধাপে শয়তান মুসলিমদের উপর চেষ্টা চালায়।

১। মুসলিমকে প্রথমেই "কাফির" বানানোর প্রচেষ্টা।
২। এতে শয়তান ব্যার্থ হলে সে তাকে "বিদআতি" তে পরিণত করার চেষ্টা।
৩। এতে ব্যার্থ হলে শয়তান "কবীরা গুনাহ" করানোর চেষ্টা করে।
৪। এতেও ব্যার্থ হলে শয়তান ছোট ছোট খারাপ কাজ, বিভিন্ন ছোট অপরাধ করানোর চেষ্টা করে।
৫। এরপরও শয়তান ব্যার্থ হলে সে মুসলিমকে বৈধ কাজ, হালাল কাজ এর মধ্যে নিমজ্জিত করার মাধ্যমে ইবাদত বন্দেগী করা থেকে মুসলিমকে দূরে রাখার চেষ্টা করে।
৬। এর মাধ্যমেও শয়তান ব্যার্থ হলে সে সর্বশেষ এবং ভয়ানক প্রচেষ্টা সে চালায়। শয়তান তখন ইবাদতের মধ্যে ইবাদতকারীর কাছে পৌছে ইবাদত নষ্ট করে দেয়।

সুতরাং শয়তানের এমন কাজ থেকে আল্লাহ তা'লা যেন আমাদের সবাইকে হেফাযত করেন। আমিন

ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, 'আল্লাহ তা’লা যাকে ভালোবাসেন এবং যাকে ভালোবাসেন না সকলকেই সম্পদ দান করেন। কিন্তু তিনি ঈমান দান করেন কেবল তাদেরকে, যাদেরকে তিনি ভালোবাসেন।' (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/২৭৫; ছহীহ হা/২৭১৪)

قُلۡ اَرَءَیۡتُمۡ اِنۡ اَصۡبَحَ مَآؤُکُمۡ غَوۡرًا فَمَنۡ یَّاۡتِیۡکُمۡ بِمَآءٍ مَّعِیۡنٍ ﴿٪۳۰﴾

কুল আরাআইতুম ইন আসবাহা মাউকুম গাওরান ফামাইঁ ইয়া’তীকুম বিমাইম মা‘ঈন।

বলঃ তোমরা ভেবে দেখেছ কি, কোনো এক ভোরে যদি পানি ভূ-গর্ভে তোমাদের নাগালের বাইরে চলে যায় তাহলে কে তোমাদেরকে এনে দিবে প্রবাহমান পানি?

Say (O Muhammad SAW): Tell me! If (all) your water were to be sunk away, who then can supply you with flowing (spring) water? (সূরা মূলক, আয়াত ৩০) (৬৭ঃ৩০)

Send a message to learn more