আল মাদানী
কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা কাজগুলোই সম্বল,বাকি সব বিক্ষিপ্ত ধূলিকণা। সেগুলো কোনো উপকারে আসবে না
ইয়া রব, সাঈদী হুজুরের জীবনের শেষ বছরগুলো কেটেছে জেলখানার ছোট্ট কুঠুরিতে। ইয়া রব, তুমি তাকে জান্নাতের অবারিত শান্তিময় স্থান দান কর।🤲🤲
ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
বিশ্ব বিখ্যাত নন্দিত মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেব ইন্তেকাল করেছেন,
إِنَّا لِلَّٰهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
আল্লাহ তায়ালা উনাকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌসের উঁচু মাকাম দান করুন। আমিন!
আল্লামা সাঈদীরা মরে না।
যে লোক এতগুলো বছর শুধুমাত্র মহামহিম আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সোনার সংসার, সোনার সন্তান, ব্যক্তিগত সুখ; বিসর্জন দিয়ে জেলখানায় দলিত-মথিত হয়েছে কিন্তু কারও পদলেহন করে নাই, কারো কাছে মাথা নোয়ায় নাই, মুক্তির তদ্বির করে নাই, শির নত করে নাই; সে কিভাবে মরতে পারে?
মৃত তো আমরা। আমরা লোকভয়, রাজভয়, অর্থভয়ে পরাস্ত হয়ে দেশের স্বর্ণসন্তানদের রক্ষা করতে পারি নাই কিছু রক্তপিপাসু পিশাচদের কাছ থেকে। যাদের ব্যক্তিগত আক্রোশে এক-এক করে তারা সবাই রবের দরবারে চলে গেলো আমাদেরকে অপরাধী করে দিয়ে।
আমাদেরকে মাফ করে দিও মাওলা, মাফ করে দিও।
আল্লামা সাঈদী যেদিন জেলে গেছে, সেদিন তার জীবন শুরু হয়েছে, জান্নাতি জীবন। আর মরেছি আমরা সবাই🙏
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন...
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আর নেই। হার্ট এটাকে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেন!😪
আল্লাহ আপনাকে কবুল করুক 😪
সত্যি আমার প্রিয় হুজুরের জন্য খুব মন খারাপ হচ্ছে । খুব কান্নাও পাচ্ছে ।
হে আমার রব আপনি হুজুরকে কবুল করে নিন 😭😭😭
আমিন আমিন আমিন
" আসল বন্দিত্ব তো অন্তরের বন্দিত্ব।
কেউ মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়িয়ে আত্মহত্যা করে আর কেউ কারাগারে বসেও হাঁস্যোজ্জল থাকে । "
- শাইখ আবদুল আজিজ আল তারিফী (হাফি.)
কোরআনের পাখি আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেব খুব অসুস্থ,
উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
খাস দোয়ার আর্জি 🤲।
আল্লাহ তুমি প্রিয় মানুষটি কে পরিপূর্ণ সুস্থ করে দাও।
কত দামি দামি সম্পদ দেখিয়ে বলছেন, এটা ওটা সবটা আপনার! কিন্তু চোখ দুটো চিরতরে বন্ধ হলে পরনে থাকা কাপড়ও আপনার নয়!
এটা কেন বুঝেন না?
একটু পড়ুন গা শিহরে উঠবে।
ঈমান জেগে উঠবে।
আজ থেকে ১০০ বছর আগের কথা।
মুখে দাড়ি নেই কিন্তু ,নবীর সম্মানের প্রতি ভালোবাসা ছিলো আকাশ চুম্বি।যে ভালোবাসা তাকে ফাঁসির মঞ্চে তুলেছে ।
*বলছিলাম ১৯২৩সালের সেই কাঠ মিস্ত্রী ইলমুদ্দিনের কথা।
বর্তমান পৃথিবীতে বড্ড প্রয়োজন কাঠ মিস্ত্রি " ইলমুদ্দিনের " মতো একজন খাঁটি আশেকে রাসুল এর খুবই অভাব।
যিনি ১৯২৩ সালে প্রিয় রাসুল সাঃ কে নিয়ে অবমাননাকরী " রঙ্গিলা রাসুল " বই প্রকাশ করার কারনে প্রকাশক রাজপালকে হ’ত্যা করে ফাঁসির কাষ্ঠে উঠেছিলেন । রাস্ট্রের সকল এডভোকেটগণ তার পক্ষে, তারা বলল ইলমুদ্দীন তুমি বলবে, তখন তোমার মাথা ঠিক ছিল না,, কিন্তু তিনি তা না বলে আদালতের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে বলল
আমি স্বচ্ছায় স্বজ্ঞানে তাকে হ’ত্যা করলাম, কারণ সে রাসূল (সাঃ)কে, রাঙ্গিলা রাসূল বলার কারনে,,,
পরে যখন এডভোকেটগণ জিজ্ঞেসা করলেন, তুমি এইভাবে বলেছ কেন,, তিনি বলেন আমাকে স্বপ্নে রাসূল (সাঃ) বলছেন, ইলমুদ্দীন তারাতারি আস আমি তোমার জন্য অপেক্ষায় আছি,
তার জানাজার ইমামতি করেছিলেন পৃথিবী বিখ্যাত বুজুর্গ আল্লামা জাফর আলি খান , খাটিয়া বহন ও লাশ দাফন করেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত কবি আল্লামা ড , ইকবাল । কবরে লাশ শায়িত কল্পে অশ্রুস্বজল নয়নে কবি আক্ষেপ করে বলেছিলেন " এই মুৰ্খ লোকটি আজ সকল শিক্ষিতদের হারিয়ে দিল।
আল্লাহ তাঁকে জান্নাত দান করুন এবং আমাদেরকে খাঁটি আশেকে রাসূল হিসেবে কবুল করুন।
امين سم امين
ফজরের বাতাসে রয়েছে শীতল স্নিগ্ধতা ❤️
কারন, এতে মুনাফিকের নিঃশ্বাস থাকে না।
আলহামদুলিল্লাহ।
নফলে বেড়ে যায় দু'আ কবুলের চান্স
ফরজের পর অধিক নফল আমল করা দুআ কবুলের সহায়ক। হজরত আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত—রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যে আমার কোনো বন্ধুর সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করে, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। বান্দা যে সকল উসিলায় আমার নৈকট্য অর্জন করে, তার মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে ফরজ আমলসমূহ। অন্যদিকে নফল আমলের মাধ্যমে বান্দা আমার এত নিকটবর্তী হয় যে, আমি তাকে ভালোবাসতে থাকি। যখন আমি তাকে ভালোবাসি, তখন আমি হয়ে যাই তার কান, যা দিয়ে সে শোনে; তার চোখ, যা দিয়ে সে দেখে; তার হাত, যা দিয়ে সে ধরে; তার পা, যা দিয়ে সে চলে। সে কিছু চাইলে আমি অবশ্যই দান করি, সাহায্য চাইলে সাহায্য করি। এমন মুমিন বান্দাকে মৃত্যু দিতে আমি সবচেয়ে বেশি দ্বিধাবোধ করি; কারণ সে মৃত্যু অপছন্দ করে আর আমি অপছন্দ করি তাকে অসন্তুষ্ট করতে।"
'মিরাকুলাস প্রেয়ারস' বই থেকে। আমরা যত বেশি ফরয আদায়ে যত্নবান হবো, তত বেশি আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করবো। আর ফরযের পর নফলের কম বা বেশির কারণেই এই নৈকট্যের পরিমাণেও হবে বেশি বা কম। ফরয তো আবশ্যিক, সবাই-ই সেটা করেন। কিন্তু যত্নের সাথে ফরয আদায় করি আমরা কজন? আর এরপরে নফলেই বা যত্নবান থাকে কজন? কিন্তু যারা থাকে, তারাই হতে পারেন রবের কাছের মানুষ। যারা দু'আয় হাত তুললে সেই দু'আ দ্রুতই পৌঁছে যায় আরশের দরবারে।
যে ব্যক্তি নিয়মিত ইস্তিগফার করবে আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিযকের সংস্থান করে দেবেন!
কুফু মিলিয়ে বিবাহ করুন অধিকাংশ বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে কুফু না মিলার কারণে।
কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা কাজগুলোই সম্বল, বাকি সব বিক্ষিপ্ত ধূলিকণা। সেগুলো কোনো উপকারে আসবে না।
এই কু*লাঙ্গার এই জারোদ আমাদের কলিজার টুকরা প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ রাসূলে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে মরুভূমির কুখ্যাত ডাকাত বলে গালি দিয়েছে এবং অশ্লীল শব্দোচ্চারণ করেছে।😡
বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসনের কাছে এই কুলাঙ্গার আসাদ নুরকে গ্রেপ্তার করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এবং জনসমুখে ফাঁসি দেওয়া হোক 😡😡😡
এই জারোদ কে আমি সামনে পেলে কলিজা ছিঁড়ে ফেলে দেখতাম ওর কলিজা কত বড় হয়েছে 😡😡😡
সকলে's_Vlog পেইজটাকে রিপোর্ট মেরে নষ্ট করে দিন।
◾দরিদ্র ছেলের সাথে বিয়ে হওয়ার কারণে অনাহারে মারা গিয়েছে এমন কোন নারী পাওয়া যাবে না।
তবে,
এমন অনেক নারী পাওয়া যাবে যার বিয়ে হয়েছে ধনী কিন্তুু ফাসেক ছেলের সাথে হওয়ার কারণে সেই নারী নির্যাতনের শিকার আর অপদস্থের ভার বইতে বইতে নিজের ব্যক্তিত্ব,মান-সম্মান আর শান্তির মৃত্যু হয়েছে।[যেন যিন্দা লাশ]
🌀সুতরাং,
নিজের মেয়ের জন্য দ্বীন এবং সদাচরণে ধনী এমন পরহেযগার ছেলে খুঁজুন।
কারণ,
ধন-দৌলত অস্থায়ী সম্পদ হলেও উত্তম চরিত্র আর দ্বীনদারীতা স্হায়ী সম্পদ।
Wow 😲 😲
No Caption...
অকৃতজ্ঞ ছেলে মেয়ে 🥹🥹⚔️⚔️
আম্মাকে নিয়ে আমাদের পাঁচ ভাইবোনের গোপন মিটিং চলছে। রুদ্ধদ্বার বৈঠক, দোতলায় বড় ভাইয়ার ফ্ল্যাটে। আম্মা এখন সবার মাথা-ব্যথার বড় কারণ। কোন ভাইবোনই এখন আর উনার দেখভালের দায়িত্বটা নিতে আগ্রহী নয়।
অনেকটা বাধ্য হয়েই তাই ভাইবোনদের এই মিটিংটা!আমাদের সবচাইতে ছোটবোন নিপা, মিটিং সফল করতে সবার সাথে যোগাযোগ করেছে। এরই ফলে সব ভাইবোনদের স্ত্রী স্বামী সহ এ মিটিংয়ে উপস্হিতি।
আমার স্ত্রী সোমা মিটিংয়ে আসার আগে পই পই করে আমাকে শিখিয়ে দিয়েছে। যে করেই হোক আমি যেন মায়ের দেখাশোনার দায়িত্বটা এভয়েড করি। আমার দুই মেয়ে দুজনেই নামী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে আছে। একজন "এ" আর একজন "ও" লেভেলে! ভালো করে এখন ওরা বাংলাই বলতে পারে না! ভীষণ গেঁয়ো আর আনস্মার্ট দাদিকে ওদের একেবারেই অপছন্দ! বন্ধুদের কাছে নাকি উনাকে নিয়ে ওদের প্রেস্টিজ থাকে না!
আর সোমার কাছে মা যেন একটা মূর্তিমান আতঙ্ক। গত মাসে আমাদের বারান্দায় আম্মার পানের পিক ফেলানোর কষ্টটা সোমা এখনোও ভুলতে পারছে না। আমিও আমার স্ত্রী সন্তানদের প্রতি অনেক কেয়ারিং। বাসায় মায়ের উপস্হিতিটাতে আমারও কেন জানি ইদানীং একটু অস্বস্তি হয়। তবে মা যদি দোতলায় ভাইয়া বা তিনতলায় ছোট বোনের বাসায় থাকে, তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। পাঁচতলায় উঠানামার পথে, মাঝে মধ্যে খাবার বা শাড়ি-জামা নিয়ে মাকে দেখা করাটা আমার জন্য কোন ব্যাপারই না!
মিটিং শুরু হতেই বুঝতে পেরেছিলাম, প্রত্যেকের যুদ্ধংদেহী মনোভাবটা! সবাই কঠোর প্রস্ততি নিয়ে এসেছে যে-করেই হোক মায়ের দায়িত্বটা এড়িয়ে যাবে। তবে আপনারা যতটা খারাপ ভাবছেন, অতটা খারাপ আমরা কেউই না। বাসায় একসঙ্গে রাখবেন না তবে টাকা-পয়সা বা প্রয়োজনীয় জিনিস দিতে কারোরই কোনরকম আপত্তি নেই।
আমাদের মা রাহেলা খাতুন। লোকে উনাকে রত্নগর্ভা বলেন। পাঁচ ভাইবোনকে বলতে গেলে এক হাতেই মানুষ করেছেন। আমাদের বাবা শফিকুল হক ব্যস্ত ব্যাংকার ছিলেন। তার উপর নিজের ভাইবোন বা সামাজিক কাজ নিয়েই উনি আজীবন ব্যস্ত ছিলেন! ছেলে মেয়েদের খুব একটা সময় দিতেন না। তবে আব্বা কষ্ট করে খিলগাঁওয়ের এই পাঁচতলা বাড়িটা করে গিয়েছিলেন। আমাদের ভাইবোনদের ঢাকায় থাকার সমস্যাটা সমাধান করে গেছেন বলে আব্বার প্রতি আমরা সব ভাইবোনরাই কৃতজ্ঞ!
আম্মা অবশ্য ছোটবেলা থেকেই আব্বার অভাবটা বেশ ভালোভাবেই পুষিয়ে দিতেন। পাঁচ ভাইবোনের জন্য এমনকি উনি একদিনের জন্যও কখনোই কোথায় বেড়াতে যাননি! খাবার দাবারের জন্যও কখনো আমাদের কোন রকম কমপ্লেন করতে হয়নি। সব কিছু রেডি থাকতো! পড়াশোনার ব্যাপারেও মায়ের ভীষণ আগ্রহ, এক বিন্দুও ছাড় দেননি। গৃহশিক্ষক বা ব্যাচে পড়ার বিষয় তদারকি করতেন কঠোরভাবে।
বড় ভাইয়া যখন বুয়েটে ভর্তি হন, মা প্রথম কিছুদিন রিকশায় করে ভার্সিটিতেও উনাকে দিয়ে আসতেন। এ নিয়ে ভাইয়ার বন্ধুরা এখনো ভাইয়াকে খেপায়! আমার বড়বোন নীপা আপা আর ছোট বোন নীলাকেও রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিদিন স্কুল কলেজে নিয়ে গিয়েছেন। নীলা আবার প্রতি শুক্রবার গানের স্কুলেও যেত, তাইতো আম্মা আব্বার সাথে কখনোই ছুটির দুপুরটাও কাটাতে পারেনি। তবে এগুলো নিয়ে আম্মার কখনোই কোন কোন আফসোস নেই, শেষ পযর্ন্ত আমরা ভালোভাবে দাঁড়াতে পেরেছি বলেই।
সবকিছুই ঠিক ছিল। গত বছর আব্বা হঠাৎ করে মারা যাওয়ার পরই বিপত্তির শুরু। আব্বার রিটায়ারমেন্টের পর আম্মার সাথেই উনার জীবন, তিনতলার ফ্ল্যাটটায় দুজনে বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছিলেন।
এর মধ্যে বড় ভাইয়া বিয়ে করে দোতলায়, আর বড়আপা চারতলার দখল নিল। আর আমিও সোমাকে বিয়ে করে এ বাড়ির পাঁচতলায় প্রায় দেড় যুগ ধরে। সবচাইতে ছোট ভাই সোহেলও বিয়ে করে এ বাড়ি ছাড়েনি, একতলার দখল নিয়েছে। শুধু ছোট বোন নীলা বিয়ের পর রামপুরায় ওর শশুরবাড়িতে থাকত। এই নীলাও শেষ পযর্ন্ত বাবা-মার তিনতলার দখল নিল, আব্বা মারা যাওয়ার পরপরই।
আব্বা জীবিত থাকতে আমাদের ভাইবোনদের এক সাথে থাকায় কোন সমস্যাই হয়নি। আব্বার নেতৃত্বেই সবকিছু চলত এমনকি এক সাথে গরু কোরবানি দেওয়া। ভাইবোনরা প্রায়ই তিনতলায় বাবা মার ফ্ল্যাটে একসাথে মিলিত হতাম, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছুতোয়। এরপর বটবৃক্ষ বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই পরিবারের বাঁধনটা হালকা হয়ে আসতে লাগল।
মা তখন একা হয়ে পড়লেন, বাসায় আনএটেনডেন্ট অবস্থায় একবার সেন্সলেস হয়ে যাওয়ার পর পালাক্রমে এখন ভাইবোনদের ফ্ল্যাটে থাকেন। তবে সত্যি বলতে আমরা ভাইবোনরা কেউই আম্মার সাথে থাকার এ বিষয়টি পছন্দ করছি না। তার উপর আম্মা প্রায় সারাবছরই অসুস্থ থাকেন। উনাকে নিয়ম করে ওষুধ খাওয়ানো, ডাক্তার দেখানো বা সেবা শুশ্রূষা করার মতো সময় আমাদের কারোরই নেই। প্রত্যেকেই এখন নিজ নিজ সংসার নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। তাইতো একপ্রকার বাধ্য হয়েই ভাইবোনদের মিটিং ডাকা, গ্রহণযোগ্য কোন সমাধান খুঁজে বের করতেই।
মিটিংটা শান্তিপূর্ণই ছিল! হঠাৎ করেই ছোটবোন নীলা বড় ভাবির কথাতে রিএক্ট করতেই পরিস্হিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠল। ভাবি কিন্তু ভালো একটা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, মাকে দেখে শুনে ভালো একটা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো। মাথা মোটা নীলা এটা শুনেই রিএক্ট করলো, ও বলতে চাইছে মা এ বাড়িতেই থাকবে। আর মায়ের দায়িত্বটা নিতে হবে আমাদের তিন ভাইয়ের!
কথাটা শুনে বড়ভাবির পক্ষ নিয়ে ছোটভাই সোহেল নীলাকে ধমক দিতেই পরিস্হিতিটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল। আমি অবশ্য আগে থেকেই জানতাম নীলার উপর সোহেলের থাকা ক্ষোভটার কথা! বাবা মার তিনতলার ফ্ল্যাটটার দিকে সোহেলের নজর আগে থেকেই ছিল। নীলা ওর বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে ওটার দখল নিয়ে নিয়েছিল। তাইতো সোহেল সুযোগ পেয়েই নীলাকে অপদস্থ করেছিল।
নীলা, বড় ভাবি, সোহেল আর পরবর্তীকালে আমাদের সবার চিৎকার চেঁচামেচিতে মিটিংটা আর গোপন থাকল না। মা তিনতলা থেকে নেমে দোতলায় আসলেন। সব কথাই শুনলেন আর বুঝলেন! আম্মাকে শুধু দেখেছিলাম কাঁদতে কাঁদতে তিনতলায় গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিতে। এরপর কোন রকম সমাধান ছাড়াই মিটিং শেষ করে যে যার ফ্ল্যাটে চলে গেলাম। আম্মার নাকি কান্নাটায় সোমা কেনো, আমি নিজেও খুব বিরক্ত হয়েছিলাম। উনার জন্যই এখন ভাইবোনদের মধ্যে এসব অহেতুক মনোমালিন্য আর ঝগড়া!
পরদিন সকালে সোমা জানাল আম্মাকে নাকি এ বাসায় আর পাওয়া যাচ্ছে না। কাউকে কিছু না বলেই ভোরে এ বাসা ছেড়ে চলে গেছেন! ভাইয়াকে ফোন করতেই দেখলাম, আম্মার এভাবে চলে যাওয়ায় উনি আমার মতই বিরক্ত, সোহেলও। আম্মার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে আমরা যে যার মতো অফিসে চলে গেলাম।
লাঞ্চ আওয়ারে সোমা ফোন করে জানাল উকিল আংকেল নাকি বিকেলে আমাদের ভাইবোনদের সাথে কথা বলতে চান। উকিল আংকেল বাবার দূরসম্পর্কের কাজিন, আমাদের পারিবারিক আইনি বিষয় আজীবন উনিই দেখে গেছেন। আর আংকেলই সোমাকে জানিয়েছেন যে, মা এখন জয়পাড়ায় মামাদের বাড়িতে! কথাটা শুনে গুরুত্ব দিলাম না, সারাজীবন মামার বাড়িতেই থাকুকনা আমাদেরকে না জ্বালিয়ে। সোমাও আমার বলা কথাটায় সায় দিয়ে ফোনটা রেখে দিল।
সন্ধ্যায় উকিল আংকেলের কথা শুনে আমাদের সব ভাইবোনদের আক্কেল গুড়ুম। আব্বা মৃত্যুর আগে পুরো বাড়িটা নাকি আম্মাকে লিখে দিয়ে গেছেন। আইনত এই বাড়ির পুরো মালিকানা নাকি এখন একমাত্র আম্মারই! আর সবচাইতে ভয়াবহ সংবাদ, মা নাকি এখন বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উকিল আংকেল এসেছেন আমাদেরকে মায়ের সিদ্ধান্তটা ফর্মালি জানাতে। কথাটা বিশ্বাসযোগ্য করতে বাড়ির নতুন দলিলটাও দেখালেন, রাহেলা খাতুনের নামে।
কথাটা শুনেই আমাদের সব ভাইবোনের মাতৃভক্তি চরমে উঠে গেল! একই সাথে সবাই মাকে ফোন দিতেই, মায়ের ফোন বন্ধ পেলাম। সবাই দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লাম, এমনকি বড় ভাবিটা কাঁদতেও শুরু করে দিলেন। অবাক হলাম আমার স্ত্রী সোমা সবার সামনে ঘোষণা দিল, আম্মা এখন আমাদের সাথেই থাকবে। কিন্তু সোমার প্রস্তাবটা ধোপে টিকল না। বড় ভাবি, সোহেল আর নীলার মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছিল, প্রত্যেকেই এখন মাকে নিজের সাথে রাখতে চায়।
আমি তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিলাম, এখনই জয়পাড়ায় গিয়ে মাকে নিয়ে আসব। সোমাকে চোখ-টিপ দিয়ে পাঁচতলায় নিয়ে আসলে, সেও গোঁ ধরল এই সন্ধ্যায় আমার সাথে জয়পাড়ায় যাবে। আম্মার পানের পিক ফেলানোর কষ্টটা এখন ওর হৃদয় থেকে কর্পূরের মতো উড়ে গেছে। আশ্চর্য হলাম শুনে, আম্মার সাথে বেয়াদবি করলে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া দুটো কন্যাকে নাকি এখন থেকে থাপ্পর দেবে বৌ!
তড়িঘড়ি করে নিচে গ্যারেজে আসতে দেখি, ভাইয়া আর আপার গাড়িও রেডি! উনারাও জয়পাড়া যাচ্ছেন মাকে আনতে। আমার গাড়ি স্টার্ট দিতেই দেখি, ছোট দুই ভাইবোন সোহেল আর নীলা এক গাড়িতে, ওরাও বোধ হয় জয়পাড়াই যাচ্ছে।
আমি অবশ্য ওদেরকে কোথায় যাচ্ছে জিজ্ঞেস করে আর সময় নষ্ট করতে চাইছিলাম না। আমার আর সোমার দুজনের এখন খুব মন খারাপ। মা সেই ভোর থেকে একা আছে। ডায়বেটিস আর প্রেসারের রোগী! ওষুধটা ঠিকমতো খেয়েছে কিনা? দুপুরেই বা কি খেয়েছে? এসব ভাবতে ভাবতেই গাড়িতে একটু স্পিড দিলাম। সময় নষ্ট করা যাবে না, না আর এক মুহূর্তের জন্যও না!
(সমাপ্ত )
এই গল্পঃ বাস্তবতা শিখিয়েছে কিভাবে বৃদ্ধ বয়সে স্বার্থপর অকৃতজ্ঞ সন্তানদের শিক্ষা দিতে হয়। মা বাবা জানেন সন্তানেরা কেমন, তাই বুঝে শুনে ব্যবস্থা নিন। ইসলামে বৃদ্ধ মা বাবার সেবা করা যত্ন নেয়া আবশ্যকীয় দ্বায়িত্ব। অনেক ফ্যামিলিতে মা বাবার জন্য সন্তানরা জানপ্রাণ। আবার কিছু কুলাঙ্গার তো আছেই যাদের দুনিয়া ও আখিরাতের দুটোই শেষ।
ইসলামে মায়ের সম্মান যা প্রত্যেক মুসলিম এর জন্য প্রযোজ্য :
মা হজ্জ্ব :-সন্তান তার মা-বাবার দিকে যতবার অনুগ্রহের নজরে তাকায়, আল্লাহ প্রতিটি দৃষ্টির বিনিময়ে একটি করে কবুল হজ্জ্বের সাওয়াব দান করেন (বায়হাকি-মিশকাত, পৃ. ৪২১)
মা জান্নাত :-
মায়ের পায়ের তলে সন্তানের বেহেশত (আহমাদ, নাসাঈ)
মা জিহাদ :-
নামাযের পরই পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার চেয়েও (বোখারী)
মা দোয়া কবুলের গ্যারান্টি :-
সন্তানের জন্য মাতা-পিতার দোয়া অবশ্যই কবুল হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই (তিরমিজি)
মা আল্লাহর সন্তুষ্টি :-
আল্লাহর সন্তুষ্টি মাতা-পিতার সন্তুষ্টিতে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি মাতা-পিতার অসন্তুষ্টিতে (তিরমিজি)
মা ধ্বংস থেকে রক্ষাকবজ :-
সেই সন্তানের ধ্বংস অনির্বায, যে তার মাতা-পিতাকে অথবা দুইজনের একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেল অথচ তাদের খেদমত করে জান্নাতে যেতে পারল না (সহীহ মুসলিম)
মা জান্নাতের সুঘ্রাণ :-
৫০ হাজার বছরের দূরত্বে জান্নাতের ঘ্রাণ পাওয়া যায়। আর অবাধ্য সন্তান এ ঘ্রাণও পাবে না (তাবরানি)
মা জান্নাতের নেয়ামত :-
পিতা-মাতার অবাধ্যচারী সন্তানকে আল্লাহ কখনই জান্নাতের নেয়ামতরাজির স্বাদ নেবারও সুযোগ দেবেন না। তবে তারা তওবা করলে ভিন্ন কথা (তিরমিজি)
মা ইবাদত :-
"আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো" (সূরা বনী ইসরাঈল:২৩) {এ আয়াতে আল্লাহ পিতা-মাতার সম্মান এবং তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করাকে নিজের ইবাদতের সাথে অপরিহার্য করেছেন।}
মা শুকরিয়া :-
"তোমরা আমার শুকরিয়া আদায় করো এবং পিতা-মাতারও" (সূরা লোকমান : ১৪) {এ আয়াতে আল্লাহ নিজের শুকরিয়ার সাথে পিতা-মাতার শুকরিয়াকেও অপরিহার্য করেছেন।}
মা নবীজির (সা.) দীদার :-
হজরত ওয়াইস আল করনি (রা.) নবীজির কাছে এই মর্মে খবর পাঠালেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.), আপনার সঙ্গে আমার দেখা করতে মন চায়; কিন্তু আমার মা অসুস্থ। এখন আমি কী করতে পারি?’ নবীজি (সা.) উত্তর পাঠালেন, ‘আমার কাছে আসতে হবে না। আমার সাক্ষাতের চেয়ে তোমার মায়ের খেদমত করা বেশি জরুরি ও বেশি ফজিলতের কাজ।’
মা শাস্তি থেকে বাঁচায় :-
সমস্ত গুনাহ-ই এমন যে, তা থেকে আল্লাহ যাহা এবং যতটা ইচ্ছা মাফ করে দিবেন। কিন্তু পিতা-মাতার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ, দুর্ব্যবহার করা, অধিকার আদায় না করার গুনাহ তিনি মাফ করবেন না। বরং যে লোক এই গুনাহ করে তার জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পূর্বেই তার শাস্তি ত্বরান্বিত করেন (মিশকাত)
Collected
•••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
পেরেশানিতে আছেন?
দুরুদ পড়ুন নবীজির ﷺ উপর।
আশ্চর্যজনক ফলাফল পাবেন ইনশাআল্লাহ।
🕋🕋যখন আমরা হতাশায় থাকি,
কোরআন বলে:- "আল্লাহর উপর ভরসা করো যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।"
-------[সূরা মায়েদা:২৩]
মানুষের প্রতি দয়ালু হোন, সবাই আল্লাহর সৃষ্টি, আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন যে আল্লাহর সৃষ্টিকে সাহায্য করে।
Amin
স্পর্শকাতর দোয়াতে মগ্ন । হজে প্রাণবন্ত কিছু মুহূর্ত।
হজ্জ ২০২৩ ❤️❤️
- চারিদিকে হজ্জের সুবাস।
আকাশে - বাতাসে তালবিয়ার প্রতিধ্বনি।"
–লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক 🤍✨
বাংলাদেশের মানুষ #আরাফার রোজা কোন দিন রাখবে? (একটি ভারসাম্যপূর্ণ আলোচনা)
____________________________
প্রথমেই বলে নিই: বর্তমানে আরবি চন্দ্রবছরের জিলহজ মাস চলছে। এই মাসের ৯ তারিখে হাজিগণ আরাফার মাঠে অবস্থান করেন। আরাফার দিনটিই হজের দিন। আর এর পরের দিন অর্থাৎ, জিলহজের ১০ তারিখ হলো ঈদের দিন।
❖ যেদিন রাখতে হবে আরাফার রোজা:
আরাফার রোজা কোন দিন রাখতে হবে, তা নিয়ে আলিমগণের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে।
❑ প্রথম মত:
আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আরাফার দিনের রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর নিকট আশা করি যে, তিনি এর দ্বারা বিগত বছর ও আগামী এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন।’’ [মুসলিম, আস-সহিহ: ১১৬২]
উপরের হাদিসে খেয়াল করুন, ‘আরাফার দিনের রোজা’র কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ, যেদিন আরাফার মাঠে হাজিগণ অবস্থান করেন।
আমরা জানি, আগামী ২৭ জুন(মঙ্গলবার), হাজিগণ আরাফার মাঠে অবস্থান করবেন। তাই, বাংলাদেশের অধিবাসীরাও ২৬ জুন রাতে সাহরি খেয়ে ২৭ জুন, মঙ্গলবার আরাফার রোজা রাখবে। সৌদি আরবের সাবেক প্রধান মুফতি, গত শতাব্দীর শীর্ষ আলিম শায়খ আবদুল আযিয ইবনু বায (রাহ.)-সহ অনেক আলিমের মত এটি। সৌদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড লাজনা দায়িমা এবং মিসরের ফতোয়া বোর্ড দারুল ইফতার মতামতও এমন। [শায়খ আমিন ইবনু আবদিল্লাহর প্রবন্ধ (আল-আলুকাহ সাইট থেকে)]
❑ দ্বিতীয় মত:
আমরা জানি, জিলহজের ৯ তারিখে হাজিগণ আরাফার মাঠে অবস্থান করেন। আলিমগণের অনেকেই বলেছেন, হাদিসে বর্ণিত ‘আরাফার দিন’ দ্বারা মূলত জিলহজের ৯ তারিখ বুঝানো হয়েছে। তাই, নিজ নিজ দেশের চাঁদের হিসাব অনুযায়ী জিলহজের ৯ তারিখে আরাফার রোজা রাখতে হবে। মাওলানা যাকারিয়া আব্দুল্লাহ এ ব্যাপারে মাসিক আলকাউসারে সুন্দর আলোচনা করেছেন। গত শতাব্দীর শীর্ষ আলিম শায়খ মুহাম্মাদ বিন সলিহ আল উসায়মিন (রাহ.) ও ইবনু জিবরিন (রাহ.) এই মত দিয়েছেন। হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত এটিই। এই মতানুসারে, বাংলাদেশের অধিবাসীরা আগামী ২৭ জুন রাতে সাহরি খেয়ে ২৮ জুন, রোজ বুধবার আরাফার রোজা রাখবে।
❑ সমন্বয় সাধন ও সমাধান:
যেহেতু বিষয়টি ইখতিলাফি (মতভেদপূর্ণ), সেহেতু আমরা সতর্কতা হিসেবে দুই দিনই রোজা রাখতে পারি। অর্থাৎ, সৌদির হিসাবে ২৭ তারিখে (যেদিন হাজিগণ আরাফায় থাকবেন) এবং আমাদের দেশের হিসাবে ২৮ তারিখে (অর্থাৎ, আরাফার দিনের পরের দিন)। তাহলে নিশ্চিতভাবে আমাদের আরাফার রোজা আদায় হয়ে যাবে; কোনো সন্দেহ থাকবে না। সেই হিসেবে, আগামী ২৭ ও ২৮ জুন, রোজ মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিন আমরা রোজা রাখবো। তবে, দুটো রোজাই আরাফার নিয়তে রাখা যাবে না। যেকোনো একটি আরাফার নিয়তে রাখবেন আর অপরটি সাধারণ নফলের নিয়তে। হ্যাঁ, দুশ্চিন্তার কিছু নেই; আরাফার দিনে যদি কেউ সাধারণ নফলের নিয়তেও রোজা রাখে, তবে সেটি আরাফার রোজা হিসেবেই পরিগণিত হবে। তাই, আমাদের পরামর্শ হলো: ২৭ তারিখে আরাফার নিয়তে রোজা রাখবেন, আর ২৮ তারিখে সাধারণ নফলের নিয়তে রাখবেন (কেউ দ্বিতীয় মতটি মানতে চাইলে, ২৭ তারিখ সাধারণ নফলের নিয়তে রাখবেন আর ২৮ তারিখ আরাফার নিয়তে রাখবেন)। ইনশাআল্লাহ, নিশ্চিতভাবেই আরাফার রোজা হয়ে যাবে। নিয়ত মুখে বলতে হবে না; অন্তরের ইচ্ছাই যথেষ্ট।
পূর্ববর্তী নেককার ব্যক্তিগণ জিলহজের প্রথম ৯ দিনই রোজা রাখতেন। সুতরাং আরাফার রোজার জন্য সতর্কতা হিসেবে একদিন বেশি রোজা রাখলেও ক্ষতি নেই; বরং একটি নফল রোজা অতিরিক্ত রাখা হবে। সম্ভব হলে তো জিলহজের প্রথম ৯ দিনই রোজা রাখা ভালো।
তাছাড়া সাধারণভাবেই জিলহজের প্রথম দশ দিনের আমল অত্যন্ত মর্যাদার। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আল্লাহ তা‘আলার নিকট জিলহজের (প্রথম) দশ দিনের আমলের চেয়ে মহান এবং প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই।’’ [আহমাদ, আল-মুসনাদ: ৫৪৪৬; হাদিসটির সনদ সহিহ]
নফল রোজা তো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেক আমল। তাই, এই দিনগুলোতে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা উত্তম।
❖ আরাফার দিনে হাজি সাহেবরা রোজা রাখবেন না; বরং অন্যরাই শুধু রাখবেন।
উম্মুল ফাদ্বল (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আরাফার দিন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোজা রেখেছেন কি না, তা নিয়ে লোকজন সন্দেহে পতিত হলে আমি রাসুলের নিকট পানীয় প্রেরণ করলাম। নবিজি তখন উটের উপর ছিলেন। আর তিনি তা পান করলেন। (ফলে সবাই নিশ্চিত হলো যে, তিনি রোজা রাখেননি। তিনি তখন হজ পালনরত ছিলেন) [মুসলিম, আস-সহিহ: ২৬৫১]
✍️জুবায়ের ওয়াসিম।
এটা শুধুমাত্র কোন হারাম পানীয়-এর বিজ্ঞাপণ নয়, এটা আমাদের হালাল পণ্যের কিছু কিছু ব্যবসায়ী ভাইদের জন্য এক লজ্জাজনক উদাহরণ।
সর্বোত্তমভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের বিস্তারিত রূপরেখা ও তাহাজ্জুদের মাধ্যমে উপকৃত হওয়ার জন্য করণীয় (Practical)
▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬
❂ তাহাজ্জুদ আদায়ের ইচ্ছা করলে যথাসম্ভব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। এই ব্যাপারে নেককার ব্যক্তিগণ অনেক কথা বলে গেছেন।
❂ রাতের বেলা অবশ্যই দ্রুত ঘুমাতে হবে; বেশি রাতজাগা চলবে না। রাতে পানাহার কম করতে হবে। বেশি করলে শরীর অলস হয়ে পড়ে। এরপর, সতর্কতাবশত অ্যালার্ম দিয়ে রাখা উত্তম।
❂ ঘুমানোর সময় মাসনুন আমলগুলো করার পর তাহাজ্জুদের জন্য ওঠার আন্তরিক ইচ্ছা নিয়ে ঘুমাতে যান। তাহলে, ঘুমের কারণে ওঠতে না পারলেও তাহাজ্জুদের নেকি পেয়ে যাবেন। এই মর্মে সহিহ হাদিস রয়েছে। [আবু দাউদ, আস-সুনান: ১৩১৪; নাসায়ি, আস-সুনান: ১৭৮৩; হাদিসটি সহিহ]
❂ সম্ভব হলে নিজ স্বামী/স্ত্রীকেও জাগিয়ে দিন। এটি আল্লাহর ভীষণ পছন্দ। [আবু দাউদ, আস-সুনান: ১৩০৮ ও ১৩০৯; সহিহ]
❂ যথাসম্ভব তাহাজ্জুদের জন্য শেষ রাতে জাগ্রত হোন। মিসওয়াক করুন। কমপক্ষে টুথব্রাশ ব্যবহার করুন। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলা যখন তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য উঠতেন, তখন মিস্ওয়াক দ্বারা তাঁর মুখ পরিষ্কার করে নিতেন। [বুখারি, আস-সহিহ: ১০৭০]
❂ এরপর অজু করুন। প্রথমেই সংক্ষেপে দুই রাকাত দিয়ে নামাজ শুরু করুন। এটি সুন্নাত। [মুসলিম, আস-সহিহ: ৭৬৮]
❂ এরপর যথাসম্ভব দীর্ঘ কিয়াম ও কেরাতের মাধ্যমে নামাজ পড়তে থাকুন। কেরাত ও কিয়াম দীর্ঘ করতে একই রাকাতে অনেকগুলো সূরাও পড়তে পারেন। দীর্ঘ কিয়াম তথা দাঁড়িয়া থাকা হয় যে নামাজে, সেটিকে হাদিসে উত্তম নামাজ বলা হয়েছে। [মুসলিম, আস-সহিহ: ৭৫৬]
❂ রুকু-সিজদার তাসবিহ ৫/৭ বার অথবা আরও বেশি করে পড়ে রুকু-সিজদাকে দীর্ঘ করুন। সিজদায় তাসবিহ পাঠের পর আল্লাহর কাছে দু‘আও করতে পারেন।
❂ নামাজের স্থানটি নিরিবিলি হওয়া উচিত। মনোযোগ ঠিক থাকে। অন্ধকারে তাহাজ্জুদ পড়া জায়েয। তবে, সামান্য আলো থাকলে সেটা উত্তম। বিশেষত সিজদার স্থানটি। তাহলে, কোনো পোকা-মাকড় বা অন্য কিছুর ভয় থাকে না।
❂ নামাজ দুই রাকাত করে পড়তে থাকুন। এটিই উত্তম। [বুখারি, আস-সহিহ: ৪৭২]
❂ সর্বনিম্ন ২ রাকাত থেকে শুরু করে ৪, ৬, ৮, ১০ রাকাতও পড়া যায়। এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত। [আবু দাউদ, আস-সুনান: ১৩৫৭ ও ১৩৬২; আহমাদ, আল-মুসনাদ: ২৫১৫৯]
❂ নবিজি অধিকাংশ সময় রাতে ৮ রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তেন। [বুখারি, আস-সহিহ: ১১৪৭]
❂ যতক্ষণ স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে পড়তে পারবেন, ততক্ষণ পড়ুন। ঘুম পেলে শুয়ে পড়ুন। [বুখারি, আস-সহিহ: ২১২]
❂ তাহাজ্জুদের নামাজের বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। সাধারণ সুন্নাত বা নফল নামাজের মতই এই নামাজ পড়তে হয়। বিশেষ কোনো সুরা দিয়ে এই নামাজ পড়তে হয় না। যেকোনো সুরা দিয়ে তাহাজ্জুদ পড়তে পারেন। তবে, যথাসম্ভব বড় সুরা পড়ুন। না পারলে একাধিক সুরা পড়ুন। নামাজ শেষে দু‘আ করা জরুরি নয়। তবে, শেষ রাতে দু‘আ কবুল হয়। তাই, সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়। যথাসম্ভব নিজের আমলকে গোপন রাখার চেষ্টা করুন।
তাহাজ্জুদের গুরুত্ব উপলব্ধির জন্য একটি আয়াত ও একটি হাদিস জেনে নিন।
❂ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি রাতের বেলা সিজদারত থাকে বা (ইবাদতে) দাঁড়ানো থাকে, আখিরাতের ব্যাপারে শঙ্কিত থাকে এবং নিজ রবের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে এমনটি করে না?’’ [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৯]
❂ আয়িশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, ‘কিয়ামুল লাইল (রাতের নামাজ) ত্যাগ করবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (কখনো) এটি ত্যাগ করতেন না। যখন তিনি অসুস্থ থাকতেন বা ক্লান্তি অনুভব করতেন, তখন বসে আদায় করতেন।’ [আবু দাউদ, আস-সুনান: ১৩০৯, আহমাদ, আল-মুসনাদ: ২৪৯১৯; হাদিসটি সহিহ]
“অভিভাবক হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট এবং সাহায্যকারী হিসাবেও আল্লাহই যথেষ্ট।”
(সূরা আন নিসা - ৪৫)
উম্মে মা-বাদ নামে একজন বৃদ্ধ মহিলার ঘরের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছালেন রাসূল (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীরা। ওই মহিলা ছিলেন খুবই দানশীল।
রাসূল (ﷺ) তার কাছে এসে বললেন,
-'আপনার কাছে খাবার কিছু আছে?'
-'আমার কাছে যদি কিছু থাকতো? তাহলে তোমার বলতে হতোনা। আমিই দিয়ে দিতাম।'
-'আপনার ঘরের কোনায় একটা ভেড়া দেখতে পাচ্ছি।'
-'খুবই দুর্বল সে, দুধ দিতে পারবে না।'
-'আমাকে অনুমতি দিন।' নবী (ﷺ) হেসে বললেন।
~
অনুমতি দেওয়া হলে, বিশাল একটা বালতি নিয়ে রাসূল (ﷺ) ভেঁড়িটির দুধ দোহাতে লাগলেন আর আশ্চর্য ভাবে, দুধ বালতির কানাই কানাই পূর্ণও হলো। তারপর তিনি মহিলাকে দুধ পান করালেন। অতঃপর সাহাবীদের এবং সব শেষে নিজে পান করলেন।
~
বৃদ্ধার স্বামী বাহির থেকে ফিরে এসে বললেন,
-'এতো দুধ কোত্থেকে?'
-'আজ এক অলৌকিক মানব ঘরে এসেছিলেন!'
-'উনার শরীরের আকৃতি আমাকে বলো।'
বৃদ্ধা বলতে লাগলেন,
'পোশাক আষাকে খুবই পরিছন্ন, তার চেহারা ছিল উজ্জ্বল, মুখ লম্বাটে, গোলগাল ও হালকা-পাতলা চেহারা, কোনো মেদ বা ভুঁড়ি ছিলোনা, আকারে মধ্যম, চোখ ছিল ডাগর ডাগর, চোখের মনি খুবই কালো আর বড়, চোখের সাদা অংশ খুবই সাদা, সুরমায় পরিপূর্ণ, কণ্ঠ ছিল তীক্ষ্ণ, পলক ছিল লম্বা লম্বা, ঘন ব্রু, দুই ব্রু নির্দিষ্ট দুরুত্বে ছিল এবং এর মাঝখানে কোন লোম ছিল না, মাথার চুল ছিল খুব কালো ঘাড় পর্যন্ত লম্বা, সামান্য কোঁকড়ানো-বাবরি, তাঁর গায়ের রঙ দুধে-আলতায় মিশ্রিত গোলাপের মতো, ঘন দাড়ি, মুখগহবর প্রশস্ত, ঘাড় যেন রৌপ্যপাত্রে রক্তঢালা, সুঠাম দেহ, হাত-পা'র আঙুলগুলো শক্তিশালী ও মজবুত, তিনি অনেক মানুষের ভিড়ে ছিলেন। কিন্তু, সবার চাইতে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে সুন্দর, তাঁর কথাবার্তা বুদ্ধিসম্পন্ন আর প্রখর ব্যক্তিত্বের অধিকারী।'
~
এই কথা শুনে বৃদ্ধার স্বামী বললো, ইনি রাসূল (ﷺ ) ছাড়া আর কেউ হতে পারেন না, যার পিছনে মক্কার পৌত্তলিকরা লেগেছে, আমি যদি তাকে খুঁজে পাই তাহলে তাঁর বায়াত গ্রহণ করবো।'
~
পরবর্তীতে তারা উভয়ে ইসলাম ধর্ম কবুল করেন আলহামদুলিল্লাহ। ওই মহিলা জীবনে একবারই মহামানব মুহাম্মাদ (ﷺ) কে দেখেছিলেন। অথচ, তিনি কত সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছিলেন।
~~
হে আমার রব!
আমাদেরকে স্বপ্নে নবী (ﷺ) কে দেখার সৌভাগ্য দান করো। আমীন।
~~
তথ্য সূত্রঃ "সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া।"
"আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩য় খন্ড।"
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the school
Website
Address
Satkhira
9280
Sonabaria, Kalaroa
Satkhira
*একটি বই, একটি কলম, একটি শিশু এবং একজন শিক্ষক; বিশ্বকে পরিবর্তন করতে পারে। - �
Bhaluka Chandpur Adarsha College
Satkhira
Come to here to find all information about college. We always consider about quality not quantity.
Satkhira, 9400
The inborn properties of a man are the most powerful and effective resources needed to nursed first
Govt. College Road
Satkhira, 9400
It's a reliable institution for university admission test (Humanities + Unit Change).