Selfie Club Restaurant

সিলেট ও সুনামগঞ্জে যারা ত্রান নিয়ে আসবেন বা আসতে চাচ্চেন তাদের জ্ঞাতার্থে...

১. আপনাদের বাজেটের একটি অংশ রাখুন রান্না করা খাবার বিতরনের জন্য। কারন আজ এক সপ্তাহের উপরে অনেক মানুষ ভাত বা ভাত জাতীয় জিনিস খায় নি।

২. এখন দরকার প্রচুর পানি পিউরিফায়ার,কারন কিছু এলাকায় নলকুপ ভেসে উঠেছে,সেগুলার পানি পিউরিয়ার ছাড়া খাওয়া সম্ভব না।

৩. এখন খাবারের সাথে দরকার প্রচুর ঔষধ, ডাইরিয়া,সর্দি-জ্বর,খোস পাচড়ার ঔষধ ,খাবার স্যালাইন ও গ্লুকোজ। এবারের বন্যার পানি খুব দুষিত,লাগলেই চুলকায়।

৪. ত্রান বিতরনে সুষম বন্টন খুব জরুরী, নৌকার অভাবে বেশির ভাগ ত্রান পরিবাহীরা বাজার বা ভাসমান এলাকার পাশাপাশি এলাকায় ত্রান দিয়ে চলে আসেন, তাই দুর্গম ও দূর দুরান্তের জনপদ এর মানুষগুলো বঞ্চিত হয়। এমন ও জায়গা আছে ইঞ্জিন নৌকায় যেতেই প্রায় ৭/৮ ঘন্টা লাগে,সেজন্য নৌকাব্ব যেতে চায় না। তাছাড়া আরেকটা বড় সমস্যা হচ্ছে ডাকাতের উপদ্রব,অনেক জায়গায় ডাকাতির খবর ছড়িয়ে পড়ায় মানুষ আতংকগ্রস্থ। তারা রাতের বেলা কাউকেই বিশ্বাস করতে পারেনা।এতে অনেক জায়গায় ত্রানকর্মীরা অনাকাংখীত পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন।
সেজন্য সবচেয়ে বেস্ট হচ্ছে সেনাবাহীনির কাছে ত্রান হস্তান্তর করা।কারন উনাদের ছোট ছোট ইঞ্জিন বোট গুলো স্পীডি এবং প্রত্যন্ত এলাকায় পৌছাতে পারে,এবং উনারা স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় প্রশাষনের সাথে সমন্বয় করে ব্যালেন্স ডিস্ট্রিবিউশন করছেন। তাই সচ্ছতা ও অন্যকে উদ্ভুদ্ধকরনে যাদের ছবি বা ভিডিও দরকার তারা কয়েক প্যাকেটের ফটোসেশন করে বাকী গুলা সেনাবাহিনির কাছে হস্তান্তর সবচেয়ে উত্তম।

আর যারা নিজেরা কষ্ট করে মানুষিক শান্তি পেতে চান তারা অবশ্যই খোজ খবর নিয়ে প্রত্যান্ত অঞ্চলে দেয়ার চেষ্টা করবেন। নিশেষ করে সীমান্ত অঞ্চলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।

৫. আপনারা যারা ফান্ড রাইজিং করছেন তারা একটা অংশ বা কিছু ডোনার রিজার্ভ রাখুন, কারন বন্যা পরবর্তি সময়ে বাড়ি ঘর নির্মানে প্রচুর সাহায্য দরকার হবে মানুষের। পর পর দুবারের বন্যায় এবং এবারকার বন্যার স্রোত বেশী থাকায় মাটির ও টিনের ঘর একটা ও আস্ত নাই,প্রায় ৯০% ঘর ই পড়ে গেছে বা যাবে। তাই পুনর্বাসনের জন্য প্রচুর টিন লাগবে।

৬. প্রচুর নগদ টাকার সহায়তা লাগবে আস্তে আস্তে, কারন মানুষের পরনের কাপড় নাই, ছাত্র ছাত্রীদের বই খাতা নাই, এগুলার জন্য প্রয়োজন নগদ টাকা

৭. পারলে সবাই সাথে করে কিছু ব্যাবহার যোগ্য পুরাতন কাপড় ও শিশু কাপড় নিয়ে যাবেন। মানুষ কাপড়ের অভাবে আছে।

৮. ত্রানের প্যাকেটে কম বেশ একটা প্যাকেট শিশুখাদ্য দেয়ার চেষ্টা করবেন

৯. সিলেটে সুরমার পানি নামছে কিন্ত খুব ধীরে ধীরে, পক্ষান্তরে কুশিয়ারার পানি প্রতিদিন বৃষ্টি ছাড়াই বাড়ছে। তাই নতুন নতুন দক্ষিন সিলেট ও মৌলভিবাজার এবং হবিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তাই বিষয় টা মাথায় রাখুন, আরো অনেক দিন ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

১০. এবারের বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কৃষকের ফসল, মাছ, হাস মুরগীর খামারী এবং ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা। এদের পুনর্বাসনের ব্যাপারটা মাথায় রাখতে হবে

সর্বোপরী এই বন্যায় কারো একার কিছু করার নাই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আর আল্লাহর সহযোগীতা একান্ত কাম্য।