MD ABDAL ツ
oh Allah! you are forgiving and love forgiveness, so forgive me. Ameen Ya Rabbi
মাজলুমের মুক্তিতে আমরা খুশী সবাই খুশি 💔
আলহামদুলিল্লাহ
মজলুম আলেম রফিকুল ইসলাম মাদানী
মুক্তি পেয়েছেন।
সম্মানীত আইন শৃংখলা রক্ষাকারী ভাইয়েরা! জাতি আপনাদের কাছে জানতে চায়, "কত মারবেন, আর কত মরবেন?" সংযত হোন, নিজের পরিবার ও সকলের পরিবারকে ভালোবাসুন. নিজে সুরক্ষিত থাকুন, জাতিকে সুরক্ষা দিন। প্রয়োজনে চাকুরী ছেডে দিয়ে অন্য কাজ করুন। তারপরেও দলীয় ক্যাডার হবেন না। আপনার মায়াবী চেহারা ও আপনার বাচ্চার কান্না জাতিকে মর্মাহত করছে। এ রকম করে হাজারো বাচ্চার বাবা ডাক আপনাদেরকে কষ্ট দেয় নি কোনদিন? হাজারো মায়েদের চোখের পানি, বিধবা স্ত্রীদের বুকচাপা কান্না আপনাদের দমাতে পারে নি। আমি অনেক মায়ের আহাজারি শুনেছি। বেদনা যে কেমন, বলে বুঝানোর ভাষা আমার নেই।সেদিন তাদের কান্নায় আমার কলিজা ফেটে গিয়েছিল। জাতিকে ভালোবাসুন। আল্লাহ সকলের প্রতি রহম করুন।
C
হরতাল!
ইন্নালিল্লাহ 😭😭
আল্লাহ সাহায্য করুন।
পাষণ্ডরা গা-জা-য় স্থল হামলা শুরু করেছে।
ইন্নালিল্লাহ
বালাগঞ্জ ওসমানীনগরের সবচেয়ে বড় বাজার
গোয়ালা বাজারের হকার্স মার্কেটে ভয়াবহ আগুন!
বিপুল পরিমাণে কাপড় ও ছাগল পুড়ে ছাই 😥
আল্লাহ এসব ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের সহায় হোন আমিন।
ছেলেবেলা কবে হারিয়ে গেল
বড় হয়ে ওঠার ফাঁকে,
আজ কি কেউ বিকেল হলে
'খেলবি' বলে ডাকে,,,?
ফলো প্লিজ 👉 MD ツ ABDAL MD
হ্যা! এটা যুগোপযোগী দাবি।
কিন্তু কার কাছে? কার এমন সামর্থ্য আছে আমাদের দাবি পরিপূর্ণ করার?
আছে? এমন কেউ? যাকে বলা যায়?
ছবি: .sagarika.9
এখানে কয়টি দেশের পাসপোর্ট আছে 🤪
দেশগুলোর নাম বলুন 😁
লিজেন্ডসরা দূরে থাকুন 🤧
ইনশাআল্লাহ! এদের হাত ধরেই অlল কু, দস মুক্ত হবে। ফি, লি, স্তিন বিজয় হবে।
আলহামদুলিল্লাহ!
অবশেষে অবরুদ্ধ গাজ্জায় ঢুকল ত্রাণবাহী ট্রাক।
জীবনের পথ প্রত্যেক মানুষেরই ক্ষেত্রেই কঠিন,
এই কঠিন পথকে যে সহজ করে নিয়ে এগিয়ে চলতে পারবে, সেই হলো প্রকৃত জীবন পথের দিশারী.....!
#সাপ্তাহিক #ঘোরাঘুরি
ধ্বংসস্তুপে ফিলিস্তিনি এক শিশুকন্যার ওসিয়তনামা পাওয়া গিয়েছে।
সে লিখেছে, মারহাবা। আমার নাম হায়া। আমি আমার ওসিয়াতনামা লিখে যাচ্ছি।
১. আমার অর্থ : আমার কাছে যে দিনার আছে সেখান থেকে ৪৫ দিনার পাবে আমার মা। ৫ দিনার পাবে জেইনা। ৫ দিনার থাকবে হাশিমের জন্য ৫ দিনার আমার দাদির জন্য ৫ দিন হিবা আন্টির জন্য ৫ দিনার মরিয়াম আন্টির জন্য ৫ দিনার আব্দু চাচা আর সারাহ আন্টির জন্য।
২.আমার সব খেলনা: এগুলো পাবে আমার বন্ধুরা, জেইনা (আমার বোন), দিমা, মিনা এবং আমাল।
৩. আমার যত পোশাক: এগুলো পাবে চাচার মেয়েরা। আর এরপরও যদি কিছু থেকে যায়, তাহলে তা দান করে দিও।
৪. আমার যত জুতো: এগুলোর সবই গরিব ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করে দিও।
(অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে নিয়ে)
I've received 100 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉
ফেসবুকে আবেগঘন
পোস্ট দিয়ে ‘শেষ বিদায়’ জানাচ্ছেন গাজার মানুষ
আমি বাকরুদ্ধ.😭😭😭😭
আল্লাহ গায়েবী নুসরাত করো....!
২০অক্টোবর সিলেট দরগা গেইট
কেমুসাস রাবতার অভিষেক ও অবিস্মরণীয় মনিষা
বইয়ের পাঠ পর্যালোচনা সভা।
সফল হোক।
আপনিও আসুন,আমিও আসবো ইনশাআল্লাহ।
হায় নারায়ে তাকবীর ছে দুনিয়া কোন হিলা দে
মিল্লাত কে হেফাজত কে লিয়ে জান লাড়া দে 👊🤛💪💪
❣️❣️
মেঘালয় রাজ্যে কি সুন্দর আকাশের শুভ্র আবা পাহাড়ে নামছে।
Today's Best Photo
❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
•
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
জীবনের শেষ মুহূর্তে ৩ টি বিষয়ে
সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন
১. নামাজের ব্যাপারে, যেন তা কখনো ছুটে না যায়
২. অধিনস্তদের ব্যাপারে, যেন তাদের প্রতি অন্যায় অবিচার না করা হয়।
৩. তাঁর সুন্নাতের ব্যাপারে, যেন তা অবহেলা বসত পরিত্যাগ না করা হয়।
আল্লাহ আমাদেরকে এগুলোর উপর যথাযথ আমল করার তৌফিক দান করুন আমীন।
মানবজীবনে শিষ্টাচারের গুরুত্ব অপরিসীম। সমাজ গঠনে বা ব্যক্তি গঠনে যার প্রয়োজনীয়তা অতুলনীয়। কোনো জাতিকে সুসভ্য মানুষরূপে গড়ে উঠানোর জন্য শিষ্টাচার গুণ অতি গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে আমাদের অশান্ত ও উচ্ছৃঙ্খল সমাজে শান্তি আনতে হলে সমাজের মানুষদের শিষ্টাচারসম্পন্ন হতে হবে। কারণ, শিষ্টাচারসম্পন্ন ব্যক্তি কোনো অন্যায়ের সাথে নিজেকে জড়ায় না, কারো সাথে শত্রুতা করে না বা কারো স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করে না। শিষ্টাচার হচ্ছে ভদ্র, মার্জিত ও রুচিসম্মত আচরণ। একজন মানুষ ভালো না মন্দ তা বিবেচিত হয় মূলত সে ব্যক্তির আচরণ দেখেই।
শিষ্টাচার মানুষকে সংযমী ও বিনয়ী করে তোলে। শিষ্টাচারসম্পন্ন ব্যক্তি তার ভদ্র ও সংযত ব্যবহার দিয়ে যে কোনো পরিস্থিতিতে যে কোনো পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে। শিষ্টাচারসম্পন্ন মানুষকে সবাই শ্রদ্ধা করে। তাদের স্থান সমাজের উঁচু স্তরে। হোক সে ব্যক্তি অসুন্দর কিংবা গরিব। একমাত্র শিষ্টাচারই মানুষকে প্রকৃত মর্যাদায় ভূষিত করে। ইসলামে শিষ্টাচারকে ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিষ্টাচারের গুরুত্ব সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চয়ই উত্তম চরিত্র, ভালো ব্যবহার ও পরিমিত ব্যয় বা মধ্যপন্থা অবলম্বন করা নবুয়তের পঁচিশ ভাগের এক ভাগ।’ (আবু দাউদ, হাদিস নং- ৪৭৭৬)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) বলেন, ‘তুমি আদব অন্বেষণ করো। কারণ আদব হলো বুদ্ধির পরিপূরক, ব্যক্তিত্বের দলিল, নিঃসঙ্গতায় ঘনিষ্ঠ সহচর, প্রবাসজীবনের সঙ্গী এবং অভাবের সময়ে সম্পদ।’ (ইছবাহানী, মুনতাখাব; সাফারিঈনী, গিযাউল আলবাব : ১/৩৬-৩৭)
আহনাফ আল-কায়েস (রহ.) বলেন, ‘আদব বা শিষ্টাচার বিবেকের জ্যোতি যেমন আগুন দৃষ্টিশক্তির জ্যোতি।’ (ফতোয়া আল-মিছরিয়া, ১০/৩৫৯, ‘আদব’ অধ্যায়)
রুওয়াইম ইবনু আহমাদ আল-বাগদাদী (রহ.) তাঁর ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুমি তোমার আমলকে লবণ ভাববে, আর তোমার আদবকে মনে করবে ময়দা।’ (ড. আলী আব্দুল হামীদ, আত-তাহযীলুদ দিরাসী বিল ক্বাইয়েমিল ইসলামিয়াহ, (বৈরূত : ১ম প্রকাশ, ১৪৩০হি./২০১০খ্রি. পৃ. ১৫৪; আল-কুরাফী, আল-ফুরূক্ব, ৩/৯৬) অর্থাৎ তুমি আমলের চেয়ে আদবকে এত অধিক গুরুত্ব দিবে। লবণ ও ময়দার স্বাভাবিক মিশ্রণে উভয়ের অনুপাত যেভাবে কম-বেশি হয়। সুতরাং মানবজীবনে আদব শিষ্টাচার অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিষ্টাচারসম্পন্ন জীবন গড়ি, আলোকিত সমাজ গড়ি। আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে বুঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
বই : মুসলিম শিষ্টাচার
লেখক : মুফতি মনিরুজ্জামান
বইটির মুদ্রিত মূল্য ৭০০ টাকা।
অফার মূল্য ৪২০ টাকা।
সারাদেশে ক্যাশ অন ডেলিভারি চার্জ মাত্র ৫০ টাকা।
এক চোখ বন্ধ করে দেখুন।
অথবা মোবাইল টা চোখ থেকে একটু দূরে রেখে দেখুন
কি লেখা...!
মায়ের গর্ভে শুক্রানু ও ডিম্বানুর নিষেকের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া ভ্রুণের বিকাশের মাধ্যমে মানবশিশুর জন্ম হয়। যা একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে মায়ের রক্ত থেকে খাদ্যপুষ্টি সংগ্রহ করতে থাকে। অত:পর সে আর সীমাবদ্ধ ও অন্ধকারাচ্ছন্ন মায়ের গর্ভে অবস্থান করতে পারে না। সে তার বিকাশকে প্রসারিত করতে মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসে এই পৃথিবীর বুকে। ঠিক একইভাবে এই সংকীর্ণ এবং সীমাবদ্ধ পৃথিবীতে একটি নির্দিষ্ট সময় অবস্থান করার পর আমাদের যেতে হবে এর চেয়েও বৃহৎ কোনও জগতের দিকে। আর মৃত্যুই হচ্ছে সেই জগতে গমনের একমাত্র পথ।
একজন বিশ্বাসীর জন্য মৃত্যু দুঃখের কারণ হয় না বরং এটি ব্যক্তির দুঃখ এবং সীমাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণ লাভের একটি সুযোগ বলে বিবেচিত হয়। ব্যক্তির মৃত্যু যদি ঈমানি মৃত্যু হয় এবং ইসলামের পথে হয়, তবে মৃত্যুর মধ্য দিয়েই সে দুনিয়ার কঠিন জীবন থেকে মুক্তি লাভ করে এবং পরকালের সুখী জীবনে পদার্পন করে। তার জন্য এই মৃত্যু হয় আনন্দদায়ক ও মধুর এবং পৃথিবী থেকে বিদায়ের মুহূর্তে তিনি এমন আনন্দ উপভোগ করেন যা শুধুমাত্র একজন ধার্মিক বা শহীদ ব্যক্তি ভোগ করতে পারেন।
যেহেতু এই পৃথিবী থেকে আমাদের সবাইকে বিদায় নিতেই হবে। তাই এই বিদায় মুহূর্তকে সফল করতে আমাদের জীবনাচার কেমন হওয়া উচিত? এ প্রসঙ্গে আমরা একটি গল্প থেকে শিক্ষা লাভ করবো ইনশাআল্লাহ।
গল্পটি এমন --
“অনেকদিন আগের কথা। হিমালয় পর্বতের পাদদেশ জুড়ে ছিল ছোট্ট একটি রাজ্য। সেই রাজ্যে ছিল অদ্ভুত এক নিয়ম। একবছর পরপর সেই দেশে রাজার পরিবর্তন ঘটত। প্রত্যেক রাজার মেয়াদকাল ছিল একবছর। যিনি রাজপদের ক্ষমতা লাভ করতেন, তাকে এই কথা মেনে নিয়েই রাজ্যভার গ্রহণ করতে হতো যে, একবছর পর যখন তার মেয়াদকাল পূর্ণ হবে, তখন তাকে একটি নির্দিষ্ট শ্বাপদসংকুল দ্বীপে নির্বাসন গ্রহণ করতে হবে। একবছর পূর্ণ হওয়ার পর এক মুহুর্তের জন্যও তাঁর আর রাজপ্রাসাদে থাকার অধিকার থাকতোনা। ঝলমলে রেশমী মসলিন কাপড় পড়িয়ে হাতির পিঠে চড়িয়ে রাজ্যময় ঘুরিয়ে মহাসমারোহে তাকে বিদায় জানানো হত। একবছর রাজকীয় শান শওকতে বসবাস করার পর আচমকা তার এই বাধ্যতামূলক অবসর তার জীবনে রাজ্যের অমানিশা ডেকে আনতো। বেশ ঘটা করে বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা পালনের পর একটা ডিঙি নৌকায় করে তাকে রেখে আসা হতো সেই ভয়াবহ দ্বীপের অনির্দিষ্ট গন্তব্যের পানে। ছেড়ে দেয়া হতো নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে।
আবহমান কাল ধরে চলে আসা এই চিরাচরিত প্রথানুযায়ী তারা চলতো। এরই ধারাবাহিকতায় তারা একবার এক রাজার মেয়াদান্তে বিদায়ী রাজাকে সেই মৃত্যুপুরী দ্বীপে রেখে নিজ দেশে ফেরত আসছিল। পথিমধ্যে সমুদ্রের অথৈই পানিতে তখন সদ্য ডুবে যাওয়া একটি বোট তাদের নজরে এলো। বোটের কাছে ভিড়তেই তারা তারুণ্যদীপ্ত এক নওজোয়ান যুবককে দেখতে পেলো। সে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে হাবুডুবু খাচ্ছিলো এবং খন্ড বিখণ্ড বোটের একটি পাটাতন আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার জন্য প্রাণপনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো। যেহেতু তাদের একজন নতুন রাজার প্রয়োজন ছিল, তাই তারা যুবকটিকে তুলে নিলো এবং নিজেদের দেশে নিয়ে আসলো। যখন সে নিশ্চিত মৃত্যুর কবল থেকে রক্ষা পেয়ে কিছুটা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেলো, তখন রাজ্যের অধিবাসীগণ একবছরের জন্য তাকে রাজা হওয়ার প্রস্তাব দিলো। একবছর পরের ভয়াবহ পরিণতির কথা চিন্তা করে সে প্রথমে এই লোভনীয় প্রস্তাবটি নাকচ করলেও পরমূহূর্তে তা সাদরে গ্রহণ করলো। তখন তাকে রাজ্যপরিচালনার যাবতীয় নীতিমালা জানিয়ে দেয়া হলো। সেইসাথে, একবছর পর তার চূড়ান্ত ঠিকানার কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়া হলো। সে নীরবে সব শুনে গেলো।
রাজক্ষমতা লাভের তিনদিন পরে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তলব করে বললেন‚ “পূর্বেকার রাজাগণ যেখানে নির্বাসিত হয়েছিলেন, আমি সেখানে পরিদর্শনে যেতে ইচ্ছুক। যেই কথা সেই কাজ। তিনি সেই বিভীষিকাময় দ্বীপে গিয়ে পৌঁছালেন। দ্বীপটি ছিলো ঘন জঙ্গলে ঘেরা, ভয়ানক প্রাণীদের অভয়ারণ্য। তাদের আগমনের বিষয়টি টের পেয়ে দ্বীপের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানাধরণের হিংস্র জন্তু—জানোয়ার ও মাংসাশী প্রাণীর ডাক ভেসে আসছিলো। রাজা জঙ্গলের একটু গভীরে প্রবেশ করতেই আগের রাজাদের কংকাল, মাথার খুলি ও পচে যাওয়া হাড়গোড় দেখতে পেলেন। তিনি বুঝতে পারলেন এই শ্বাপদসংকুল দ্বীপে তারা আর কিছুক্ষণ অবস্থান করলেই ক্ষুধার্ত হিংস্র জন্তুগুলো তাদের উপর হামলে পড়ে তাদেরকে খেয়ে শেষ করে দিবে।
এবার রাজা নিজ দেশে ফিরে এসে ১০০ জন দক্ষ ও কর্মঠ শ্রমিক বাছাই করলেন। তাদেরকে সেই দ্বীপে নিয়ে সেখানকার জঙ্গল পরিষ্কার করালেন, সকল আগাছা সাফ করালেন। সকল জীবজন্তু সরিয়ে নিলেন। কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে তদারকি করার জন্য তিনি প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার দ্বীপটি পরিদর্শনে আসতেন। প্রথম মাসেই সকল আগাছা কেটে সাফ করা হলো। কিছু জীবজন্তু হটিয়ে বিদায় করা হলো, কিছু প্রাণীকে বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হলো।
দ্বিতীয় মাসে, দ্বীপের সমগ্র সীমানাজুড়ে নানা রকমের ফল—ফলাদি ও রং—বেরংয়ের ফুলগাছের চারা রোপন করা হলো। দ্বীপের একপ্রান্তে হাস—মুরগীর খামার, পাখ—পাখালীর অভয়াশ্রম, গরু—ছাগল সহ নানারকম গৃহপালিত প্রাণীর চারণভূমি তৈরী করা হলো।
তৃতীয় মাসে, সেই দ্বীপে তিনি বিশ্বের স্বনামধন্য প্রকৌশলীদের নিয়োগ দিয়ে এক দৃষ্টিনন্দন রাজপ্রাসাদ তৈরী করলেন। এছাড়া দ্বীপের সুবিস্তৃত সীমানা জুড়ে জাহাজ নোঙ্গর করার জন্য এক অত্যাধুনিক পোতাশ্রয় নির্মাণ করলেন। এই অল্প ক’মাসেই সেই বিভীষিকাময় দ্বীপটি নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্বর্গভূমিতে পরিণত হয়ে গেল।
রাজা বেশ সাদাসিধে ও সহজ সরল জীবন যাপন করতেন। পরিমিতিবোধ বজায় রেখে অর্থব্যয় করতেন। একটি দেশের রাজা হিসেবে যেমন জাকজমক ও আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাপন করা দরকার, তার কিঞ্চিৎ পরিমাণও তিনি করতেন না। তার উপার্জিত সকল আয় তিনি সেই দ্বীপের ধনভাণ্ডারে সঞ্চিত করে রাখতেন।
যখন নবম মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলো, রাজা তখন সকল মন্ত্রীদের ডেকে বললেন, “আমার একথা ভালোভাবেই মনে আছে যে, আমার দায়িত্বভার গ্রহণের বছরপূর্তি হওয়া মাত্রই আমাকে সেই দ্বীপে চলে যেতে হবে। তবে আমি এখনই সেখানে চলে যেতে চাই।” কিন্তু মন্ত্রিপরিষদ তার একথা মানতে নারাজ। তাদের কথা একটাই, রাজ্যের চিরাচরিত প্রথার ব্যত্যয় ঘটিয়ে একবছর পূর্ণ হওয়ার আগে সেখানে যাওয়া যাবেনা। বছরপূর্তি হওয়া মাত্রই তাকে সেই দ্বীপে পাঠিয়ে দেয় হবে। তার আগে নয়। এরপর দেখতে দেখতে বাকী তিনমাসও পূর্ণ হয়ে গেলো। পূর্বেকার রাজাদের মতো তাকেও জমকালো পোশাক পরিয়ে, হাতির পিঠে চড়িয়ে সারা রাজ্যময় প্রদক্ষিণ করানো হলো। তিনি হাত নেড়ে হাসিমুখে সকলের কাছ থেকে বিদায় নিলেন। তার এই হাস্যজ্জ্বোল অভিব্যাক্তি দেখে জনগণ তাজ্জব বনে গেলো। পূর্বেকার সকল রাজা—বাদশাহগণ বিদায় কালে কেঁদে জারে জার হয়ে পড়তেন। আর এই রাজা দেখি বিদায়কালে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে আছে! কয়েকজন হতবিহবলতা কাটিয়ে সরাসরি রাজাকেই তার উৎফুল্লতার কারণ জিজ্ঞেস করে বসলো।
জবাবে সদ্যবিদায়ী রাজা বললেন, রাজক্ষমতা লাভের একবছর মেয়াদকালে যখন অন্যান্য রাজা—বাদশাহগণ ভবিষ্যতের পরিণতির কথা ভুলে গিয়ে ভোগ বিলাসিতায় মত্ত ছিল, আমোদ—ফুর্তিতে ডুবে ছিল, মোজ—মাস্তিতে বিনোদিত ছিল, সেই সময়টা আমি আমার ভবিষ্যত বিনির্মাণে ব্যস্ত ছিলাম। সেই মৃত্যুপুরী দ্বীপকে বসবাসযোগ্য বসুন্ধরায় পরিণত করেছি। নান্দনিক বাসভবন, বৈচিত্র্যময় পুষ্পের মৌ মৌ সুগিন্ধতে ভরপুর ফুলবাগিচা, পাখ—পাখালির কলকাকলিতে মুখরিত নয়নাভিরাম উদ্যান দ্বীপটিকে করে তুলেছে নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে। দ্বীপটির প্রান্তসীমায় নবনির্মিত জাহাজের অত্যাধুনিক পোতাশ্রয়টি দ্বীপের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সচল করেছে। আশা করা যায়, বাকী জীবনটি আমি বেশ শান্তিতেই দিনাতিপাত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।”
এই গল্পের শিক্ষণীয় বিষয় হলো‚ আমাদের জীবনাচার কেমন হওয়া উচিত?
পরকালীন অনন্ত জীবনের প্রস্তুতির মাঝেই আমাদের এই ইহকালীন ক্ষণস্থায়ী জীবনকে অতিবাহিত করা চাই। পার্থিব জীবনের সাময়িক মোহে বিভোর হয়ে পড়লে পরকালীন জীবনের অনন্ত সুখ—সমৃদ্ধি আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে। এমনকি আমরা যদি রাষ্ট্রপতিও হয়ে থাকি তারপরও আমাদের লাইফ স্টাইল হওয়া চাই মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মতো অনাড়ম্বর জীবন। আমাদের আখিরাতের জীবন যেন সুখময় হয়, সুখ—সমৃদ্ধির ফল্গুধারায় যেন বিকশিত হয়, এইজন্য পবিত্র কুরআন আমাদেরকে দিয়েছে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
“মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় কর। প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত আগামীকালের জন্যে সে কি প্রেরণ করবে তা চিন্তা করা। আল্লাহ তাআলাকে ভয় করতে থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ তাআলা সে সম্পর্কে খবর রাখেন।” (সূরা হাশর : ১৮)
বই : মৃত্যু যখন উপহার
লেখক : মোঃ মতিউর রহমান
শারঈ সম্পাদক : সানা উল্লাহ মু. কাউসার
নিরীক্ষণ : মুফতি নাজমুল ইসলাম কাসিমী‚ ইমরানুজ্জামান।
'মৃত্যু যখন উপহার' বইটির অফার মূল্য ১৬০ টাকা। ডেলিভারি চার্জ ঢাকায় ৫০ টাকা‚ ঢাকার বাহিরে ৮৫ টাকা।
বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও শর্ট পিডিএফ পড়তে জিভিট করুন -
https://www.rokomari.com/book/333589
বইটি নিজে পড়তে এবং আপনার প্রিয়জনকে উপহার দিতে প্রি-অর্ডার করুন আজই।
দীর্ঘ বিরতির পর আবারও নিয়মিত হবো ইনশাআল্লাহ।
Sty with us ❣️❣️
#সবাই
দীর্ঘ বিরতির পর আবারও নিয়মিত হবো ইনশাআল্লাহ।
Sty with us ❣️❣️
▪️ইসলামি উপন্যাস:
হিজাবী কন্যা ১ (হার্ডকভার)
পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ভয়াবহ আগ্রাসনের শিকার বাংলাদেশী মুসলিম তরুণ-তরুণী। আধিপত্যবাদী এই সংস্কৃতি ক্রমেই ইসলামী বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিদেশী সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ মুসলিম প্রজন্ম আরও বেশি হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।
'হিজাবী কন্যা' তরুণীদের মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার উপাখ্যান। উপন্যাসটিকে বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতির আলোকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। পরস্পরবিরোধী কয়েকটি চরিত্রের মাধ্যমে পাশ্চাত্য ভাবধারার মিথ্যা আধুনিকতা এবং ইসলামী সভ্যতার সুমহান সৌন্দর্যকে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিবাহিত নায়ক নায়িকাদের পারস্পরিক কথোপকথনের মাধ্যমে যুবসমাজকে নৈতিকভাবে সচেতন করা হয়েছে। লেখক এই বইতে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির বিপরীতে ইসলামী সংস্কৃতির শ্রেষ্ঠত্বও তুলে ধরেছেন।
▪️হিজাবী কন্যা- ২ (হার্ডকভার):
এই উপন্যাসের মূল চরিত্রে আছেন দুইজন পর্দানশীল নারী। একজন ডাক্তার এবং একজন রুয়েট শিক্ষার্থী। এই দুই নারীর পারস্পরিক আলাপচারিতা ও যুক্তি উপস্থাপনে ফুটে উঠেছে স্রষ্টা হিসেবে আল্লাহ তা’আলার মহত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব ও প্রজ্ঞার কথা। একইসাথে প্রতিকূল পরিবেশে বাধা-বিপত্তির মুখে পর্দানশীল মেয়েদের ইসলামের পথে টিকে থাকার সংগ্রামের কাহিনীও বর্ণিত হয়েছে এই উপন্যাসটিতে। বর্তমান সমাজে চলমান ঘটনার যথার্থ চিত্র ফুটে উঠেছে ‘হিজাবী কন্যা ২’ নামক বইটিতে।
বই: হিজাবী কন্যা
লেখক: মোঃ মতিউর রহমান
বইদুটি একত্রে অফার মূল্য ২৬৫ টাকা। ডেলিভারি চার্জ ঢাকায় ৫০ টাকা‚ ঢাকার বাহিরে ৮৫ টাকা।
ক্যাশ অন ডেলিভারি। অর্ডার করুন ইনবক্সে
পর্দা ছাড়া যারা ছাত্রীদেরকে খোলামেলা দেখতে চায় তাদের জন্য উচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে কোন পল্লীতে চলে যাওয়া 🌿
যারা নগ্নতা কামনা করে
তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি না করে
পতিতালয়ের দালালি করা উচিত।
মা বাবার আর্তনাদ শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম।😭😭
একজন দুঃখীনি মায়ের আর্তনাদ মা বাবার সামনে ছেলের লাশ কিভাবে সহ্য করবে। 😭
এই ডাক্তার নামে কসাইয়ের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
আল্লাহ তায়ালা প্রিয় ছোট ভাইটাকে জান্নাতের আলা মাকাল দান করুক।
আমিন🤲🤲
বিশিষ্ট মুফাস্সিরে কোরআন
কারাবন্দি মাজলুম জামায়াত নেতা
মাওলানা সাঈদী রহ ইন্তেকাল করেছেন
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন 😥
ব্যার্থতার পর বিরত নয়, নতুন উদ্যোমে শুরু হোক আগামীর পথ চলা।
“আজকের দিনে ভদ্র মানে তুমি ভীতু! বিনয়ী মানে তুমি দূর্বল। সৎ মানে তুমি বোকা আর স্পষ্টবাদী মানে তুমি বেয়াদব এবং ভুল ধরিয়ে দেওয়া মানে তুমি শত্রু।”
আমি গর্বিত ছিলটি ❣️❣️❣️
Alhamdulillah
চমৎকার সব স্বাস্থ্য টিপস পেতে পেজে ফলো দিয়ে সাথে থাকুন ধন্যবাদ ❤️
তার উপর হজ্ব ফরজ হয়েছে কি না জানি না। তবে টাখনুর উপর কাপর পরিধান করা তার উপর ফরজ!
#ভাইরাল_রোগীদের_এড়িয়ে_চলুন
Assalamu alaikum
একদল প্রফেসরকে ডেকে প্লেনে বসানো হল। দরজা বন্ধ করে প্লেন উঠতে চলেছে, সব প্রফেসরদের জানানো হল এই প্লেনটা তাদের ছাত্রদের তৈরি। তারপর সমস্ত অধ্যাপকরা বিমানের দরজার দিকে ছুটে যান, পালানোর চেষ্টা করেন এবং নিজেরাই বাঁচার চেষ্টা করেন কিন্তু
একজন অধ্যাপক তিনি আত্মবিশ্বাসের সাথে শান্তভাবে বসে থাকেন।
কেউ একজন তাকে জিজ্ঞেস করেছে তুমি কেন বিমান থেকে পালিয়ে যাচ্ছ না? প্রফেসর তাকে আত্মবিশ্বাসের সাথে উত্তর দেন, তারা আমাদের ছাত্র।
পরবর্তী প্রশ্ন: আপনি কি নিশ্চিত যে আপনি তাদের ভাল শিখিয়েছেন?
প্রফেসর শান্তভাবে উত্তর দিলেন: আমি নিশ্চিত এটা উড়বে না!☺️
(সংগৃহিত)
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Shunapur, Balaganj
Sylhet
3124