Sylhet city
Nearby public figures
3002
Chattak, Gobindaganj
Moulvibazar
Sylhet Shodor
Burunga Bazar Osmaninagar
AKIB
3100
জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব। তাই, জ্ঞান অর্জনের জন্য নিজে জানুন।
লেখাটা যিনি লিখেছেন তাকে ধন্যবাদ এত সুন্দরভাবে ব্যাপারটা ব্যাখা করার জন্য। আমরা কবে যে আমাদের ভালটা বুঝবো!!
সত্যিকার অর্থে বলতে গেলে আমরা তো বিবেক দিয়ে চলি না, চলি তো আবেগ দিয়ে।
রেকর্ড এবং এচিভমেন্টঃ
----------------------------------
রেকর্ড কাকে বলি আমরা?
যখন এমন কিছু করি যা আগে কেউ করে নি, তাঁকেই
রেকর্ড বলা হয়। কিন্তু রেকর্ড মানেই কি শ্রেষ্ঠত্ব?
মেসি এক পঞ্জিকা বর্ষে ৯১ গোল করেছে, এটা রেকর্ড।
আবার কুষ্টিয়ার এক লোক ৯১ মিটার লম্বা আর্জেনটিনার পতাকা বানিয়েছে, এটাও রেকর্ড।
দুটো রেকর্ড কি এক?
রেকর্ড যদি কোন এচিভমেন্ট না দেয়, তাহলে সে রেকর্ডের মূল্য কি?
লক্ষ কিংবা কোটি লোক এক সাথে জাতীয় সংগীত গাইল, এটা কি এচিভমেন্ট?
সিংগাপুর বর্তমান পৃথিবীতে প্রথম ধনী পাঁচ দেশের একটি।
এর মানে কি?
এর মানে ওরা স্বচ্ছল।
এর মানে ওদেরকে কুমড়া দিয়ে পিয়াজু বানাতে হয় না।
এর মানে ওরা কাঁঠাল খায় এবং বীফ বার্গার খায়, কিন্তু কাঁঠালের বিফ বার্গার খায় না।
ওদের দেশে ৬০০ টাকা গরুর মাংস বিক্রি করলে লাইন পরে না, এবং ওদের দেশে টিসিবির ট্রাক নেই।
কিন্তু সিংগাপুর দেশটির কোন খনি নেই, চাষ যোগ্য জমিও নেই। তারপরেও ওরা ধনী দেশের তালিকায় ১-৫ এর মধ্যে থাকে।
কিন্তু ওরা কিন্তু আমাদের থেকে পিছিয়ে।
কেন?
কারন ওদের কোটি লোক এক সাথে জাতীয় সংগীত গায় নি।
কেন?
কারন ওদের এত জনসংখ্যা নেই।
চীন ইচ্ছা করলে ১০ কোটি লোক দিয়ে জাতীয় সংগীত এক সাথে গাওয়াতে পারে।
তাহলে করে না কেন?
কারন চীনে এত ছাগল নেই যাঁদের বুঝানো সম্ভব যে জাতীয় সংগীত এক সাথে গেয়ে রেকর্ড করা একটা এচিভমেন্ট।
আজকেই বিশ্বের সেরা ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউএস এর একটি রেংকিং বের হয়েছে।
এতে ভারতের ৪৯ টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তানের ১৪ টি বিশ্ব বিদ্যালয় স্থান পেয়েছে আর উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশের ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।
আবার আজকেই আমরা আরেকটি রেকর্ড করলাম। মিঠামইনে নববর্ষ উপলক্ষ্যে ১৪ কিমি দীর্ঘ আলপনা তৈরী করেছি। এর উদ্বোধনে থাকবেন আইসিটি মন্ত্রী। কারন এটি একটি এচিভমেন্ট। একই মন্ত্রী ইভ্যালির উদ্বোধনীতে বলেছিলেন যে ইভ্যালি হবে আমাজন।
যা হোক, এখন একটা কথা ভাবুন। কোনটা বেশী সম্মান জনক?
১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটির স্থান পাওয়া?
নাকি ১৪ কিমি আলপনা?
আমাদের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া হলো সর্বোচ্চ দুরত্ব, এবং তা ৯০০ কিমি। চীন, অস্ট্রেলিয়া এমনকি ভারতে কয়েক হাজার কিলোমিটার লম্বা হাইওয়ে রয়েছে।
ওরা ইচ্ছা করলেই তা এক রাতে পেইন্ট করে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করতে পারে।
তবে করে না কেন?
কারন ওদের দেশে গাধা জনগনের সংখ্যা কম। ওদের সরকার পয়সা খরচ করে তাদের বুঝাতে পারবে না যে এটা এচিভমেন্ট। যেমন ওরা কখনোই তিন হাজার কোটি টাকা মহাশূন্যে উড়িয়ে দিবেনা শুধু রেকর্ড স্যাটেলাইট পাঠানোর জন্য।
আমদের উন্নয়ন কোটি কোটি বিদেশী কামলা আর দেশী গারমেন্টস কামলাদের জন্য। এসব কামলাদের বাইরে আমাদের কিছু নেই। এসব কামলাদের টাকা খরচ করেই আমরা ১৪ কিলোমিটারের গিনেজ রেকর্ড করি, কোটি কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাই। কিন্তু ১৮ কোটি জনসংখ্যার রোল মডেল দেশের মাত্র তিনটা বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিতে পারে।
রেকর্ড আর এচিভমেন্টের পার্থক্য বুঝতে না পারলে আমরা শুধুই মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে ঝাড়ু দিতে পারব আর দেশে দর্জির কাজ করতে পারব। কখনোই সুন্দর পিচাই সৃষ্টি করতে পারব না।
( সংগ্রহীত পোস্ট)
📸
এই ছবিটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী শ্রীমান নীতিশ রায়ের ছবি...
দুজনেই নিজের তেষ্টা মেটাচ্ছে একইসাথে, একইসময়ে! জীবন বড় সুন্দর, বড় মায়াময় মনে হয় এক একসময়....🙏🙏
"মানুষের সৃষ্টিতে নারী পুরাতনী।
নবসমাজে নারীশক্তিকে বলা যেতে পারে আদ্যাশক্তি।
এই সেই শক্তি যা জীবলোকে প্রাণের বহন করে,
প্রাণ কে পোষণ করে।।"🙏
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 🙏
(কালান্তর-নারী)🌹
ফ্যাক্ট-১
ফ্রান্স বিশ্বের চার নম্বরে আছে স্বর্ণ মজুদের দিক থেকে। ফ্রান্সের রিজার্ভে আছে ২৪৩৬ টন স্বর্ণ। অথচ ফ্রান্সের কোনো স্বর্ণের খনি নাই!
মালিতে (ফ্রান্সের সাবেক কলোনি) ৮৬০ টি স্বর্ণের খনি আছে যেগুলো বার্ষিক ৫০ টন স্বর্ণ উৎপাদন করে৷ অথচ তাদের রিজার্ভে কোনো স্বর্ণ নাই।
ফ্যাক্ট-২
সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে ভারত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে গড়ে উঠেছিল। যার পরিমাণ ছিল ঐসময়ের ৯০ বিলিয়ন ডলার, যা ১৭০০ সালে সমগ্র পৃথিবীর মাথাপিছু আয়ের এক চতুর্থাংশ।
কিন্তু তার ঠিক ৭০ বছর পর মানে ১৭৭০ সালে, ইংরেজরা ক্ষমতা নেয়ার ১০ বছরের মাথায় বাংলা দেখে ইতিহাসের ভায়াবহতম দুর্ভিক্ষ। যাতে ১ কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যায়। ইতিহাস যাকে বলে ৭৬ এর মনান্তর। ঠিক কতটা শোষণ করলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশে ১০ বছরের ব্যাবধানে ১ কোটি লোক না খেয়ে মারা যেতে পারে।
ফ্যাক্ট-৩
ষোড়শ শতকের শুরু থেকে আরম্ভ হওয়া দাস ব্যবসা উনবিংশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিনশ বছর ধরে চলতে থাকে। এই সময়ে আফ্রিকার প্রায় দেড় কোটি থেকে দুই কোটির মত নারী, পুরুষ ও শিশুকে দাস বানিয়ে ধরে আনা হয়েছিল। যাদের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগই মারা পড়েছিল সমুদ্র পথে নিয়ে আসার সময়, তাদের উপর করা অত্যাচারে কিংবা ক্ষুৎপিপাসা ও রোগ শোকে। প্রায় ৮০ লক্ষের মত দাস আনা হয়েছিল শুধু ব্রাজিলেই আর ৪ লক্ষ যুক্তরাষ্ট্রে বাকিদের হাইতি ও ক্যারিবীয় অন্যান্য দ্বীপগুলোতে পাঠানো হয়েছিল।
আজ আমেরিকা পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র হলেও আফ্রিকা সবচেয়ে গরিব এলাকা। আমেরিকায় যত কালো মানুষ দেখেন সব এসেছে এই দাস ব্যাবসার মাধ্যমে।
A Beautiful Place of Sylhet City.......
Place: Zindabazar Point, Sylhet
10 MONEY MANAGEMENT TIPS TO TEACH YOURSELVES-
১. মোট আয়ের ২০% সঞ্চয় করবেন। যদি ভাবেন যে এই আয়েই তো চলে না, তাহলে লাইফস্টাইল ডাউনগ্রেড করে ৮০% নামাবেন, কিন্তু সঞ্চয় করবেন।
২. বাড়িভাড়া মাসিক আয়ের ৩০%, যাতায়াতের জন্য ২০% রাখার চেষ্টা করুন।
৩. অবিশ্বাস্য রকম ভালো অফার বা সুযোগ যা হুজুগ হয়ে আসে, এড়িয়ে চলবেন। এগুলো আপনার জন্য না। শেয়ার মার্কেটে আপনি বাম্পার মারতে পারবেন না, ইকমার্সের অঅবিশ্বাস্য ছাড়ের নামে আপনার টাকাটাই গাপ হবে। এসবে টুকটাক খরচ করা ঠিক আছে, কিন্তু হাটুগেড়ে পুরো সঞ্চয় নিয়ে নেমে পড়লেন তো মরলেন।
৪. ভূয়া, নামহীন রিয়েল এস্টেট থেকে শতহাত দূরে থাকুন। ( পূূর্বাচলের আশেপাশে যত লোক কিস্তি দিয়ে যাচ্ছে, এত কাঠা জায়গা গোটা বাংলাদেশ মিলে নাই। )
৫. যে ব্যবসা বুঝেন না, অথবা নিজে পরিচালনা করবেন না, সেরকম ব্যবসায় পার্টনার হবেন না। অমুক ভাইয়ে ব্যবসা করে আপনাকে মাস শেষে মুনাফা দিবে-এটি একটি ভ্রান্ত ধারনা।
৬. ফেরত পাওয়ার আশায় কোনদিন ঋণ দিবেন না, বাধ্য না হলে নিবেনও না। ব্যাংক বা ফিনান্সিয়াল ইন্সটিটিউটের কাছ থেকে ঋণ নেয়া খারাপ কিছু নয়, যদি স্মার্টলি ম্যানেজ করতে পারেন।
৭. জীবনে মাঝে মাঝেই ধরা খাবেন। সবকিছু যেমন ভাবছেন তেমন যাবে না। পেরেশান হইয়েন না, এটা পার্ট অব লাইফ।
৮. কন্টিনিউয়াস আপনার পেশার সাথে জড়িত বিষয়ে নিজের স্কিল ডেভেলপ করতে থাকবেন। এটি ভাত খাওয়া বাথরুম করার মতোই অভ্যাসের বিষয় করে ফেলুন। নতুন দক্ষতা তৈরি করতে না পারলে আপনার জীবনের প্রাইম টাইম ৫ বছরের বেশি হবে না, তারপরই ধ্বস নামতে শুরু করবে।
৯. নূন্যতম ৬ মাসের খরচের সমপরিমান ক্যাশ সবসময় সঞ্চয় রাখবেন। এই টাকা কাউকে কখনোই ধার দিবেন না বা বৃহত্তর পরিবারের অন্য কারো জন্য খরচ করবেন না। আপনার চাকুরি কালকে চলে যেতে পারে, অথবা পরশু রাতে হার্ট এটাক হয়ে গেলে রিঙ পরানো লাগতে পারে হার্টে। তখন ক্যাশ ছাড়া উপায় নেই। এই টাকা সোনা বা জমিতে খাটাবেন না, কারন সময় মতো বিক্রি করতে পারবেন না।
১০. স্থাবর সম্পত্তি কখনোই এমন দূরত্বে কিনবেন না যেখানে আপনি নিয়মিত যেতে পারেন না। আপনি ঢাকা শহরে থেকে কুয়াকাটা জমি কিনে ফেলে রাখবেন ভবিষ্যতে লাভের আশায়, নিজেকে প্রশ্ন করুন, কোনো ঝুট ঝামেলা হলে সেটা সামাল দেয়ার ক্ষমতা আপনার আছে কী না। অধিকাংশ মানুষেরই সেই ক্ষমতা নেই।
- আরিফ জেবতিক
১২০ বছর আগে, খাজা সলিমুল্লাহ ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা দান করেছিলেন বুয়েটের (BUET) জন্য। তখন সেটার নাম বুয়েট ছিলো না। ছিলো ঢাকা সার্ভে স্কুল। সেটাকে তিনি রূপ দিলেন আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে। (খাজা সলিমুল্লাহার বাবার নাম ছিলো আহসানউল্লাহ)
আজ থেকে ১২০ বছর আগে, ১ টাকার মূল্য কতো ছিলো ভাবতে পারেন? —আজকের দিনের আনুমানিক কয়েকশ টাকা।
১৯০৮ সালে পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক সভায় বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার দাবি তুলেন তিনি। —চিন্তা করা যায়!
পূর্ব বাংলায় কোন ইউনিভার্সিটি নেই। সলিমুল্লাহ সেটা মানতে পারলেন না। কি করা যায়, সে নিয়ে ভাবতে থাকলেন। ১৯১২ সালের ২৯ জানুয়ারি, তখনকার ভাইস রয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকায় আসেন। হার্ডিঞ্জের সামনে দাবি নিয়ে দাঁড়ানোর মতো সাহস পূর্ব বাংলায় যদি কারো থাকে, সেটা একমাত্র সলিমুল্লাহর। তার বয়স তখন চল্লিশ বছর। সে সময়ের ১৯ জন প্রখ্যাত মুসলিম লিডার নিয়ে তিনি হার্ডিঞ্জের সাথে দেখা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তুলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম অগ্রদূত তিনি।
সলিমুল্লাহ ছিলেন আদ্যোপান্ত শিক্ষানুরাগী। পূর্ব বাংলায় শিক্ষার বিস্তারের জন্য, পিছিয়ে পড়া মুসলিম জনগোষ্ঠিকে শিক্ষিত করার লক্ষ্যে তিনি বহু বৃত্তি, বহু প্রকল্প চালু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা এবং ঢাকা সার্ভে স্কুলকে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে রূপ দেয়া ছিলো তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান।
শিক্ষাকে যদি জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়, তাহলে পূর্ব বাংলার সেই মেরুদণ্ড তৈরিতে সলিমুল্লাহর চেয়ে বড়ো ভূমিকা সম্ভবত বিংশ শতকে খুব বেশি কেউ রাখেনি। মাত্র ৪৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান। আরো কিছুদিন বেঁচে থাকলে হয়তো পূর্ব বাংলার শিক্ষার জন্য আরো বহুকিছু করে যেতেন।
নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৬ জানুয়ারি)। তাঁর জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা।
……………………
Alam
প্রকৃতি কন্যা হিসাবে সারাদেশে এক নামে পরিচিত সিলেটের জাফলং। চারদিকে সবুজের সমাহার, উঁচু-নিচু পাহাড়-টিলা আর ঝর্ণাধারা। সীমান্তের ওপারে ইনডিয়ান পাহাড় টিলা, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রীজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হিমেলপানি আর উঁচু পাহাড়ে গহিন অরণ্য।
# মন সতেজ করার মতো এক পরিবেশ।
বিশ্ব ইজতেমা মানে বিশ্ব সম্মেলন-২
হজরত মাওলানা আবদুল আজিজ (রহ.)-এর মাধ্যমে ১৯৪৪ সালে বাংলাদেশে তাবলিগ শুরু হয়। ১৯৪৬ সলে বিশ্ব ইজতেমা সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের তাবলিগের মারকাজ কাকরাইল মসজিদে। পরে ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে। এরপর ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে। এরপর ১৯৬৫ সালে টঙ্গীর পাগারে এবং সর্বশেষ ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর ভবেরপাড়া তুরাগতীরে অনুষ্ঠিত হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত সেখানেই ১৬০ একর জায়গায় তাবলিগের সর্ববৃহৎ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। উল্লেখ্য, তাবলিগ জামাতের সদর দফতর দিল্লিতে থাকা সত্ত্বেও এর বার্ষিক সমাবেশের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নেয়া হয়। কথিত আছে, তাবলিগ জামাতের মুরব্বিদের বৈঠকে ইজতেমার স্থান নির্ধারণের জন্য নাকি লটারি হয়েছিল, সেই লটারিতে বাংলাদেশের নাম ওঠে। আর সেই থেকেই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ এ বিশ্ব ইজতেমা। ভারতের মুম্বাই ও ভূপালে এবং পাকিস্তানের রায়বেন্ডে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হলেও জনসমাগমের বিচারে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাই বড়।
কথিত আছে, ইলিয়াস (রা.) প্রথম যখন মানুষের কাছে ধর্মীয় প্রচার শুরু করেন, তখন তেমন কোনো সাড়া মিলেনি। তাই তিনি অভিনব এক কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি আশপাশের দিনমজুর, শ্রমিক-কৃষকদের ডেকে এনে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রেখে দু’বেলা খাবার দিতেন এবং তাদের নামাজ শিক্ষা দিতেন, নামাজের সুরা শিখাতেন, ধর্মীয় বিধিনিষেধ বর্ণনা করতেন। অবশেষে বিদায় বেলা তাদের প্রত্যেককে মজুরি তথা পারিশ্রমিক দিয়ে দিতেন। এ পদ্ধতি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হলো। অল্প সময়ের ব্যবধানেই তার নামাজের আন্দোলনের সদস্য সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেল। মানুষ তখন নিজেরাই অর্থ ব্যয় করে ইলয়াস (রহ.)-এর পদাঙ্ক অনুকরণ করে দাওয়াতি কার্যক্রম চালাতে থাকেন।
সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পরিচালিত এ বিশাল আন্তর্জাতিক সম্মেলনের কোনো বাজেট নেই, পোস্টার-ফেস্টুন নেই, বিজ্ঞাপন নেই। বিভিন্ন সংস্থা মুসল্লিদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত করে নিরাপত্তা, যাতে কোনো অপরাধ সংঘটিত না হয়। তালিম, আম-খাস বয়ান, ছয় উসুলের বর্ণনা, দরসে কুরআন, দরসে হাদিস, ‘চিল্লা’ গঠন, জামাত প্রেরণ, ‘তাশকিল’ ও যৌতুকবিহীন বিয়ে বিশ্ব ইজতেমার উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি।
আলহামদুলিল্লাহ! দীর্ঘ তিন বছর পর ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা।
বিশ্ব ইজতেমা মানে বিশ্ব সম্মেলন-১
তাবলিগ আরবি শব্দ। যার শাব্দিক অর্থ পৌঁছানো। একজনের অর্জিত জ্ঞান বা শিক্ষা নিজ ইচ্ছা ও চেষ্টার মাধ্যমে অন্যের কাছে পৌঁছানোকে তাবলিগ বলে।
এই অর্থে ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে এটি ফরজ। তবে তাবলীগের মানে দ্বীন প্রচারের বিভিন্ন ওয়ে মানে পথ আছে। তার একটি ইজতেমা ও প্রচলিত তাবলিগ জামাত । তাবলিগ আদর্শ যিনি পৌঁছান, তাকে মুবাল্লি বলে।
বর্ণিত আছে যে, ১৯১০ সালে ভারতের এক জনবিরল অঞ্চল মেওয়াত থেকে হাতেগোনা কজন মানুষ নিয়ে হজরত মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভী (রা.) তাবলিগের মেহনত শুরু করেন। হজরত মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভী (রহ.) এ কর্মপ্রয়াসকে তখন বলতেন–
‘ইসালে নফস’ বা আত্মশুদ্ধির প্রাথমিক পাঠ। তিনি ৬টি বিশেষ গুণ অর্জনের মেহনত করেন জনসাধারণ্যে।
সেই বিশেষ গুণ হলো- কালেমা, নামাজ, ইলিম ও জিকির, ইকরামুল মুসলেমিন (মুসলমানদের সেবা), সহিহ নিয়ত ও তাবলিগ।
অন্য একটি গ্রন্থসূত্রে জানা যায়, ইলিয়াস (রহ.) প্রথমে বর্তমান ধারার এ তাবলিগকে নাম দেন ‘তাহরিকুস সালাত’ বা নামাজের আন্দোলন।
★ তিনবছর পর হতে চলছে বিশ্ব ইজতেমা।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Website
Address
Sylhet
SYLHET-3100
Paris France
Sylhet, 3251
ফেইসবুক হচ্ছে বন্ধুত্বের বন্ধন 🇨🇵🇧🇩🇫🇷 তার মধ্যে আমি এক ক্ষুদ্র প্রাণী 🌹♥️🌷🌻
Moulvibazar
Sylhet, 3200
Welcome to my Page. I’m going to some place take you on an adventure. share this experience with all.
Sylhet
আসসালামু আলাইকুম আমি #Harun Vlogs এই পেইজে আমি অনেক ধরনের ব্লগ শেয়ার করবো সবাই আমার পাশে থাকবেন