Current News 2.0
Breaking News Alltimes "You And Me"
What day is it? And in what month? This clock never seemed so
alive.
This clock never seemed so alive
I can't keep up and I can't back down
I've been losing so much time
'Cause it's you and me and all of the people with nothing to do, nothing to lose
And it's you and me and all of the people
And I don't know why I can't keep my eyes off of you
All of the things that I want to say just aren't coming out
right
I'm tripping on words
You got my head spinning
I don't kn
নদীর আপস্ট্রিমে যদি কোন বাঁধ থাকে তাহলে সেটার কারণে ডাউনস্ট্রিমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং ট্যাকনিক আছে যা নিচে দেয়া হলো :
১. নদীর তলভাগের লাইডার সার্ভে করা প্রথম কাজ। এরপর ওই সার্ভে এর উপর ভিত্তি করে ওয়াটারশেড ডেলিনিয়েট করতে হবে। এর মাধ্যমে সর্বোপরি কান্ট্রিবিউটিং এরিয়ার হাইড্রোলজি স্টাডি করতে হবে। জিওটেকনিকাল ইনভেস্টিগেশন করতে হবে সয়েল প্রপার্টি জানার জন্য।
২. সর্ব্বোচ বৃষ্টিপাত ( ১০০-ইয়ার এন্ড পি এম পি ) এনালাইসিস করে নতুন ড্যাম এর ডিজাইন রেইনফল সিলেক্ট করতে হবে।
৩. সব ডাটা পাওয়ার পর হাইডোলজিক মডেল ডেভেলপ করতে হবে যেখানে নদীর আপস্ট্রিমের ড্যাম ( এক্ষত্রে ফারাক্কা ) এন্ড ডাউনস্ট্রিমের ড্যাম ( এক্ষেত্রে শহীদ আবু সাঈদ ড্যাম ) এবং সব গেট অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
৪. পানির সর্ব্বোচ ফ্লো ডাটা এবং প্রত্যেক গেইটের ক্যাপাসিটি ডাটা সংগ্রহ করতে হবে।
৫. এস বিল্ট ড্রয়িং ( ফারাক্কা বাঁধের ) স্টাডি করে সব ডাইমেনশন কালেকট করতে হবে।
৬. এরপর মডেল রান দিয়ে দেখতে হবে ডাউনস্ট্রিমের ড্যাম কত ফ্লো ম্যানেজ করছে। ফারাক্কার ম্যাক্সিমাম ফ্লাড লেভেল ৮৫.৬ ফিট। সো আমাদের শহীদ আবু সাঈদ ড্যাম ৯০ ফিট ম্যাক্সিমাম ফ্লাড লেভেলে কন্ট্রোল করতে পারলেই হবে।
৭. ব্রিচ মডেলিং এর মাধ্যমে এটাও জানা যাবে যে ড্যাম যদি ওভারটপ করে তাহলে কি পরিমান জায়গা প্লাবিত হতে পারে।
৮. তাছাড়া ফিডার ক্যানেল দিয়ে পানি কে নিকটবর্তী কোন খালে ডাইভার্ট করা যাবে।
৯. শহীদ আবু সাঈদ ড্যাম এর গেইট অটোমেটেড কন্ট্রোলড স্পিলওয়ে হতে পারে।
১০. সবশেষে ড্যাম ক্রেস্ট এর উচ্চতা এবং গেইট ক্যাপাসিটি নির্ধারণের পর স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করতে হবে।
আমাদের সুবিধা কি থাকবে :
১. আমরা পানি রিজার্ভ করে হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করতে পারবো যাতে ন্যাশনাল গ্রীডে চাও কম পরবে। ফিডার চ্যানেলের পানি দিয়ে চাষাবাদ করা যাবে ,
২. আরেকটা বাঁধ নির্মাণ হলে দুই বাঁধের মাঝখানে ইন্ডিয়ার যেসব জায়গা আছে সব তলিয়ে যাবে ব্যাকওয়াটার ইফেক্টের কারণে। এর কারণে ইন্ডিয়া পানি ছাড়বে।
৩. নিয়ন্ত্রিত পানি রিলিজের মাধ্যমে পানির রিজার্ভ এন্ড নদীর ফ্লো এর মধ্যে ব্যালান্স থাকবে। সর্বোপরি বাংলাদেশ ইন্ডিয়াকে নিয়ে খেলতে পারবে।
সাথে একটা ড্রাফট স্কিমেটিক দেয়া হলো।
------------------------
মুহাম্মদ চৌধুরী , পি এইচ ডি , প্রফেশনাল ইঞ্জিনিয়ার , সার্টিফাইড ফ্লাডপ্লেইন ম্যানেজার
যুক্তরাষ্ট্র
দেশ পুনর্গঠনের জন্য যথাযথ সময় না দিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করা এবং রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলনের নামে ১৬ বছরের ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর চাপানো একটি স্বৈরাচারী ষড়যন্ত্র।
বিসিবি সভাপতি হয়েই নীতিবানের পরিচয় দিলেন ফারুক আহমেদ, সব প্রশ্ন নিয়ে বিসিবিতে আসতে বললেন
.0
নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগের পর বিসিবি সভাপতি হলেন ফারুক আহমেদ।
এক যুগ পর বিসিবি সভাপতির পদ থেকে নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগ!
উপদেষ্টাগণ দিনরাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন। সমন্বয়করা আহতদের খোঁজ রাখতে হাসপাতালে দৌড়াচ্ছেন৷ আর একদল আছে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে।
গত ১৫ বছর তো কথাও বলতে পারেননি। আর এখন ১৫ দিনেই অস্থির হয়ে যাচ্ছেন?
ওনারা রোবট নন। ওনাদের সময় দিন। অধৈর্য হবেন না। আস্থা রাখুন।
মরছে? একটা মরছে? ঠিক আছে ফালাইয়া দে" |
আহা! মানুষের জীবন কি সস্তা হয়ে গেছিল সেদিন।
সেদিন যেন পুলিশেরা মানুষ মেরে আনন্দ উদযাপন করতেছিল।... 😥
5 August 2024 | ছানখারপুল
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ ফজলে শামস পরশ এর বয়স ছিল ছয়! তার ছোট ভাইয় শেখ ফজলে নূর তাপস এর বয়স ছিল সাড়ে চার!
পনেরোই আগস্ট রাত এর কথা পরশের আবছা আবছা মনে আছে - তাপসের নেই! ওরা দু ভাইই এরই একই সাথে ঘুম ভেঙে যায় বাইরে হৈচৈ / শব্দে এবং দুজন একসাথেই ওদের রুম থেকে বের হয়ে আসে! বড়ভাইয়ের পিছন পিছন ছোটভাই!
ছ বছরের পরশের ভাষ্য অনুযারী দোতালার ল্যান্ডিং এ রক্তের পুল এর মাঝে শুয়ে আছে ওদের বাবা আর মা! ওদের বাবা শেখ মনি নিচে আর তার উপরে পারপেন্ডিকুলারলি ওদের মা আরজু মনি সেরনিয়াবাত|
তারপরের কয়েক বছর ধরে চলে এই দুইভাইকে নিয়ে লুকোচুরি খেলা| সপ্তাহ পার হয়ে যায় - খাবার - ঘুম আশ্রয়ের ঠিক নেই! এক পর্যায়ে লুকিয়ে ওদের কে বর্ডার ক্রস করে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়! কিন্তু সেখানে ওখানে ওদের ফুলটাইম টেক কেয়ার করার লোক নেই - ছমাস একবছর পর আবার ফিরে আসতে হয় দেশে| তখন বলা হচ্ছে পরশ তাপস নিরাপদ! তারপরেও সমস্যা! শেখ মনির ছেলে আর আব্দুর রব সেরনিয়াবাত এর নাতি শুনলেই কোন স্কুল ওদের ভর্তি করতে চায় না|
উপরের গল্পটা বললাম কারণ ১৫ আগস্ট শুধু মাত্র শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের মৃত্যুর দিন না! ষোলো জন মানুষ মারা যায় ঐদিন! তিনটা পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়|
পনেরোই আগষ্টের সমর্থন যারা করেন তারা বলেন - শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করেছিলেন - উনি নিজের দল ছাড়া সব রাজনৈতিক দল ব্যান করেছিলেন; সরকারি পত্রিকা ছাড়া সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিলেন আর নিজে নিজেকে আজীবন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন| তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ননভায়োলেন্ট কোন পথ ছিল না!
কথাটা আসলে ঠিক না| পথ ছিল| যদিও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গ্রপ / কর্নেল তাহেরের গ্রূপ - সবাই আলাদা আলাদা ভাবে তাকে হত্যার সুযোগ খঁজছিলো / প্ল্যান করছিলো- সেনা বাহিনী ওই ক্যু না করলেও একটা গণ অভ্যুথ্যান হয়ে যেত - হয়তো অনেক কম রক্তপাতে বা রক্তপাত ছাড়াই সরকার পরিবর্তন হয়তো হয়ে যেত| ২০২৪ সাল তা প্রমান করে দিয়েছে যে গণ অভ্যুথ্যান কি করতে পারে! মানুষ কিভাবে অকাতরে জীবন দিতে পারে|
১৯৭১ পূর্ববর্তী পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীদের স্বাধিকার আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের সমকক্ষ অবদান আর কারো নেই! ৭২ পরবর্তী সময়ে ওনার ভুল ত্রুটি যেগুলো আছে তা সব মোচন হয়ে গিয়েছে তার করুন মৃত্যু দিয়ে! তার যদি কোন পাপ হয়ে থাকে তা স্খলন হয়ে গিয়েছে ১৫ আগষ্টের ম্যাসাকার দিয়ে!
বাংলাদশের মানুষ জন শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের অবদান অস্বীকার করে না - তাকে ভালো বাসতে চায়| জিয়াউর রহমান সাহেব এর আমলে বঙ্গভবনে শেখ সাহেবের ছবি ছিল| জিয়া যখন প্রথম পঁচাত্তর পরবর্তী পার্লামেন্ট এর উদ্বোধনী বক্তৃতা দিলেন - উনি বক্তৃতা শুরু করেছিলেন মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান আর মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে স্মরণ করে| জিয়াউর রহমান সাহেব ভারত সরকার কে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিয়ে শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করেন - ৩২ নম্বর এর বাড়ি বুঝিয়ে দেন| ১৯৮০ সালে থিয়েটারে / সিনেমা হলে একটা বাংলা চলচিত্র দেখেছিলাম যেখানে শেখ সাহেবের ৭ ই মার্চের ভাষণ এর কিছুটা দেখেছিল| আমার মনে পরে যখন ই এই ভাষণ টা বাজত - পুরো থিয়েটার হাত তালি তে ফেটে পড়তো|
এর পর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারিক রহমান টুঙ্গিপাড়া গিয়েছেন শেখ সাহেবের সমাধি তে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে|
কিন্তু শেখ সাহেবের মেয়ে শেখ হাসিনার কাছে শুধু মুজিব কে ভালো বসলেই হবে না - এখানে মুজিব একটা কাল্ট ফিগার - এই ওরশিপে কোন শিরক করা যাবে না| শুধু মাত্র শেখ সাহেব কে - একমাত্র শেখ সাহেব কে সম্মান করা যাবে - অন্য কাউকে সম্মান করা যাবেই তো নাই - তাদের কে ঘৃণা করতে হবে|
তাই আজ পনেরোই আগস্টের ন্যারেটিভ এ পরশ তাপস দের কোন কথা নেই|
যেই জেনারেশনটা আজ শেখ হাসিনা কে টেনে নামালো - দেশ ব্যাপী ছড়িয়ে থকা মুজিবের শত শত মূর্তি তিন ঘন্টার মধ্যে ধ্বংস করে ফেললো - সেই জেনারেশন টাকে ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ১২ পর্যন্ত প্রতিটি বছর প্রতিটি সাবজেক্ট এর বইয়ে শেখ মুজিব চ্যাপ্টার মুখস্ত করতে হয়েছে|
ওদের ইতিহাস শিক্ষায় মাওলানা ভাসানী নেই, তাজউদ্দীন এর কোন নামোল্লেখ নেই|
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের যেই বাড়িতে জিয়াউর রহমান সাহেব ১৯৭২ সাল থেকে ছিলেন মৃত্যু পর্যন্ত - উচ্ছেদ হওয়া পর্যন্ত যেখানে খালেদা জিয়া থাকতেন - সেই বাড়িটি শেখ হাসিনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন|
শেখ হাসিনা শেখ মুজিবের যে গড লাইক পারসোনা ক্রিয়েট করতে চান - সেই পারসোনা কে নার্চার করার জন্য জিয়াউর রহমান কে শুধু ইতিহাস থেকে উচ্ছেদ করলেই হবে না - তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলেই হবে না - তাকে জাতীয় শত্রু বানাতে হবে! হাসিনা মুজিবের যেই ন্যারেটিভ তৈরী করেছেন - সেখানে শুধু জিয়াই জাতীয় শত্রু না; ভাসানী তাজুদ্দিন অদৃশ্য না - এমন কি মুক্তি যুদ্ধের দ্বিতীয় প্রধান এ কে খন্দকার ও জাতীয় শত্রু হয়ে যান|
এখন যে মুজিবের মূর্তি ভাঙা হচ্ছে - তা মুজিবের প্রতি আক্রোশ থেকে না - তা হচ্ছে হাসিনা মুজিব এর গড লাইক কাল্ট ক্রিয়েট করেছিলেন প্রতি আক্রোশ থেকে| আজ পনেরোই আগষ্ট - আজ যদি ছাত্র জনতা বাধ্যগত ভাবে শোকাভিভূত না হয় - তার কারণ মুজিব না| মুজিব চরম মূল্য দিয়ে চলে গিয়েছেন - তার প্রতি মানুষের ক্ষোভ নাই আর| আজ এই শোকের প্রকাশ টা ফিকে হয়ে গিয়েছে শেখ হাসিনার মুজিব কাল্ট নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণে|
আজ অনেককেই দেখলাম ৫০ বছর আগের হত্যাকাণ্ডের জন্য শোক প্রকাশ করছেন - কিন্তু এই লোকগুলো নিজেদের চোখের সামনে গত মাসে ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ডগুলো নিয়ে একটা কোথাও বলেন নাই!
আমার কাছে এর মানে হচ্ছে এরা এমন একটা ইজম বা বাদ এ বিশ্বাস করেন তা প্রটেক্ট করার জন্যে দরকার হলে এরা মনে করেন শত শত তরুণ কে মাথায় গুলি করে হত্যা করতে হলে করতে হবে - করাটা প্রয়োজনীয় | এই হত্যাকান্ড গুলো ওদের কাছে নেসিসারি| সুযোগ পেলে ওরা আবার এগুলো করবেন|
এই ১৫ আগষ্টের অঙ্গীকার হোক সেই ভালোবাসার মুজিব কে ফিরিয়ে আনা আর হাসিনা যেই মুজিব কাল্ট কে বেইজ করে একটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলেন সেই মুজিব কাল্ট থেকে দেশকে মুক্ত করা।
Rumi Ahmed এঁর টাইম লাইন থেকে কপি।
প্রথমে ওরা ফিরে এলো:- তুমি কে আমি কে? বাঙালি, বাঙালি।
তারপর ফিরে এলো : কোটার পক্ষে ছিলাম কিন্তু এখন যেটা চাচ্ছেন সেটার পক্ষে নেই।
তারপর ফিরে এলো: জায়গায় জায়গায় খবর দে এক দফার কবর দে।
তারপর ফিরে এলো: তোরা যদি রা/জা/কার হস, ’আমরা হব গেরিল’ হয়ে।
তারপর ওরা ফিরে এলো:- এমন স্বাধীনতাই কি আমরা চেয়েছিলাম?
তারপর ওরা ফেরত এলো:-ডা/কা/ত হয়ে।
এরপর আজকে ওরা ফেরত এলো:- হিন্দু হয়ে।
কালকে কি হয়ে ফিরবে মতামত দিন আপনাদের?
বাংলাদেশে মাইনরিটিদের উপরে হামলা কারা করে এবং কেন করে সেটা নিয়ে গবেষণা নেই বললেই চলে। ২০০৯ থেকে ২০২২ এর মধ্যে মাইনরিটি জনগোষ্ঠীদের উপর হামলার ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে একটি গবেষণাপত্র তৈরি করা হয়েছে "রোড টু ডেমোক্রেসি"র পক্ষ থেকে। লিংক নিচে দেখুন।
এই গবেষণা অনুযায়ী মাইনরিটিদের উপরে হামলার কয়েকটি প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়:
১. বেশীর ভাগ হামলার পেছনে জমি দখল বা এই ধরণের ম্যাটেরিয়ালিস্টিক সুবিধা নেয়া একটি বড় কারণ এবং কমন প্যাটার্ন।
২. বেশীর ভাগ হামলার সাথেই ক্ষমতাসীন দলের লোকজন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। কয়েকটি হামলায় সংসদ সদস্যদের জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া যায়।
৩. হামলাগুলো সঠিক কোন তদন্ত না করেই ঢালাওভাবে বিরোধী দল বা ইসলামিস্ট/টেররিস্ট ইত্যাদির তকমা দিয়ে প্রকৃত হামলাকারীদের আড়াল করা হয়েছে। পুলিশ এবং প্রশাসন এসব হামলা ঠেকাতে ভূমিকা রাখেনি।
এসব হামলা সম্পর্কে ডিটেইলড জানার জন্য রিপোর্ট পড়তে পারেন।
বাংলা সংস্করণ: https://drive.google.com/file/d/1a7m0usyuieEpgjaGrKKzF8aJLBbgvhyF/view?usp=sharing
ইংরেজি সংস্করণ: https://drive.google.com/file/d/1Gmsa3huLzfX_jw7J0W5h0boZEn-jFUFE/view?usp=sharing
বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩তম গভর্নর - আহসান এইচ মনসুর।
বিডিআর এর মতো করে পুলিশের নাম পরিবর্তন করে "নাগরিক গার্ড" অথবা " নাগরিক সুরক্ষা বাহিনী " করা হোক। এদের রিফর্ম করে, নতুন করে ট্রেনিং করাতে হবে, ফিটনেস ও সম্পত্তির হিসাব নিয়ে চাকরিচ্যূত করতে হবে, নতুন ভাবে সেনা বাহিনীর আন্ডারে আচরণ ও নাগরিক সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আমরা জানি, বর্তমান বাহিনীর কিছু সদস্য এখানে পুনঃ নিয়োগ পেতে পারে। বাকীদের বিদায় দিয়ে থানা গুলোর নাম পরিবর্তন করে " নাগরিক সুরক্ষা ভবন" করা হোক। আমরা আর বৃটিশ, পাকিস্তান বা বাংলাদেশ কালো সময়ে পুলিশ বাহিনী চাই না।
বর্তমানে আওয়ামী লীগ তিনটা পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছে
১) হিন্দুদের দিয়ে সাথে আওয়ামীলীগ সহ
হামলার নাটক সাজিয়ে নতুন নতুন দাবি জানিয়ে সরকারককে চাপে রাখা
২) আওয়ামী পন্থী পুলিশের কর্মবিরতি নামে দেশে বিশৃঙ্খলা বজায় রাখা
৩) ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগ মানুষ ভাড়া করে ডাকাতি লুটপাট অগ্নিসংযোগ করে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে নতুন সরকারকে চাপে রাখা
অবিলম্বে এইসকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য সবাইকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
Collected
বাংলাদেশ ছাড়া অন্য সব দেশে তার মুল্য রয়েছে।
যে মানুষ টাকে আমরা চিনতে পারলাম না। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় রাষ্ট্র চিনে।
জ্ঞানী রা গুনীর কদর করতে জানে।
৪ আগস্ট রাতেই শেখ হাসিনা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে সেইফ এক্সিটের জন্য রিকুয়েস্ট করে কিন্তু কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে রিজেক্ট করে দেয়
পরদিন সকালে আর্মি নেভি এয়ারফোর্স এবং পুলিশ চিফ গণভবনে যায়। তারা পৌঁছানোর আগেই শেখ হাসিনা প্রচন্ড রাগান্বিত অবস্থায় অবস্থান করছিলেন। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যদের অস্ত্র লোড রাখার নির্দেশ দেন। শেখ হাসিনার নির্দেশে এসএসএফ অস্ত্র লোড রাখে
সেই মুহূর্তে চার বাহিনীর চিফ গণভবনে আসলে এসএসএফ তাদের দিকে অস্ত্র তাক করে। কাউন্টার পজিশন নেয় সেনাপ্রধানের ফোর্সও।দুই বাহিনীর মাঝে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জে পড়ে যান শেখ হাসিনা।
তখন শেখ রেহানা ওই রুমে অবস্থান করছিলেন।
আর্মি চিফ এবং এয়ার চিফ মার্শাল স্মার্টলি সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করেন। তারা শেখ রেহানাকে অন্য কক্ষে নিয়ে যান।
এরপর সজীব ওয়াজেদ জয়কে ফোন করা হয়। জয় সেনাপ্রধানকে বলেন “তোকে উপরে উঠাইছে আমার মা, তুই কি করিস বসে বসে? তোরও তো বউ বাচ্চা আছে; দেখে নিব”
জবাবে সেনাপ্রধান জয়কে বলেন “জয় শান্ত হও। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই মুহূর্তে হয় ম্যাডাম (শেখ হাসিনা) রিজাইন দিবেন, নয়ত আমি স্টেপ আউট করব। তখন এসএসএফ আমাকে মেরে ফেলবে। আর আমাকে মারলে আমার ফোর্স তোমার মাকে হ ত্যা করবে”
পরবর্তীতে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন।
এবং যাওয়ার পূর্বে পুলিশের আইজিপিকে নির্দেশ দেন "আমি চলে যাওয়ার এক মাসের মধ্যে দেশের এমন অবস্থা করবেন যেন আগামী ২০-২৫ বছরে দেশ মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে"
― Eyewitness
আর এই ডাইনি রাক্ষসী টাকে এখনো কিছু কাঠাল পাতা খোর ছা//গু পুজা করে। ক্ষমতায় বসাইতে চায়।
১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা "ঋণ" এখন বাংলাদেশের। পাচার ১১ লাখ কোটি টাকার ও বেশি।
সূত্র- সমকাল
---------------------------
"আয়না ঘর" "পিলখানা হত্যা" "শাপলা চত্ত্বর গনহত্যা" "২৪ এর ছাত্রহত্যা" আর দেশের "ঋণ" সম্পর্কে জানার পরেও, যদি আপনার মনে হয় আগেই ভালো ছিলেন, তাহলে আপনি দেশের আবর্জনা, আল্লাহ আপনার অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন।
Hope for the best, prepare for the worst.
ডুয়েটের বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষ থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্র এবং বিদেশী মদ উদ্ধার।
গতকাল সন্ধ্যায় ডুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ডুয়েট ছাত্রলীগের পলাতক সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠুন সহ অন্যান্য নেত্রীবৃন্দের কক্ষে তালা ভেঙে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে বিপুল পরিমান দেশিও অস্র, বিদেশি মদ এবং কনডমের প্যাকেট উদ্ধার করেন শিক্ষার্থীরা।
সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান ইতিপূর্বে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তুচ্ছ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের এসব অস্র দিয়ে অত্যাচার করত। এসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের নিকট উদ্ধার হওয়ার অস্র হস্তান্তর করে এর বিচারের দাবি জানায়।
উল্লেখ্য যে ডুয়েট ছাত্রলীগের সেক্রেটারি মাহমুদ হাসান মান্নার রুমে প্রবেশ করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। সেখানে আরো দেশীয় অস্র থাকার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
পরিবর্তনের প্রত্যাশা সব সেক্টরের মানুষ অনুভব করছে। নিচের লেখাটা পাঠিয়েছেন একজন ইনসাইডার:
---
“ সাব-রেজিস্ট্রার”—এ যেনো বাংলাদেশের মানুষের মনে এক বিতৃষ্ণার নাম । বাংলাদেশের সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস মানেই বিরাট ঘুষের কারখানা। মানুষের মনের এই বিতৃষ্ণা মনগড়া নয়। তবে এই বিভাগ কোনো পচে যাওয়া সিস্টেম নয়, বরং একটি “Well oiled machine”. এখানে সবার নির্দিষ্ট ভূমিকা আছেন যদিও এখানে সকল দায়ভার সাব-রেজিস্ট্রারের উপরেই পরে। বিষয়টি বোধগম্য হতে হলে, বুঝতে হবে এর সিস্টেম সম্পর্কে।
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মূলত সম্পত্তি হস্তান্তর দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। দলিল প্রস্তুত করা ও অন্যান্য প্রাথমিক কাজের দায়ভার থাকে একজন দলিল লেখকের হাতে। জানা দরকার, এই দলিল লেখক কারা। এসএসসি পাশ করা যেকোনো ব্যক্তি দলিল লেখক সনদের জন্য আবেদন করতে পারেন। বিধি মোতাবেক, বছরে ৩০০ দলিলের বিপরীতে একজন দলিল লেখক থাকার কথা হলেও, বাস্তবে এই দলিল লেখকদের সংখ্যা অনেক বেশি। টাকা দিয়ে দলিল লেখক হিসেবে ঢোকার ঘটনা এখানে সব সময়ই ছিলো। একজন সাবেক আইজিআর-এর দায়িত্বকালীন সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দলিল লেখক ঢুকেছে। দলিলের সংখ্যার চেয়ে দলিল লেখকের সংখ্যা বেশি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই সব লেখক দলিল পায় না। তৈরিকৃত এই সমস্যা নিরসনে অধিকাংশ অফিসে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী ‘দলিল লেখক সমিতি’ । সমিতির নামে প্রতি দলিলের জন্য আদায় করা হয় অতিরিক্ত অর্থ । ছোটো অফিস বাদে দিলে অধিকাংশ অফিসেই এই সমিতির বরাত দিয়ে আদায়কৃত টাকার পরিমাণ মাত্রারিক্ত। কিন্তু আওয়াজ উঠানোর নেই কোনো সুযোগ ! সংঘবদ্ধ এই সমিতিগুলোকে বটগাছ হয়ে ছায়া দিচ্ছে এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী এবং রাজনৈতিক সংগঠন । এমনকি এই সমিতি থেকে এর সদস্যদের দেয়া হয় নিয়মিত বেতন, পেনশন ইত্যাদি। বলাবাহুল্য, আদায়কৃত অর্থের একটা অংশ জমা দেয়া হয় রেজিস্ট্রি অফিসে “অফিস খরচ” হিসেবে। যদিও দলিল লেখকরা পুরো টাকাটাই অফিস খরচের নামে আদায় করে। ফলে আমজনতা মনে করে অফিসাররা এই অফিস খরচ নেয়। এখন প্রশ্ন আসে, অফিসাররা কি অফিস হিসাব নামক এই খরচ কুক্ষিগত করেন? সোজাসাপ্টা উত্তরের আগে বলে রাখা ভালো যে, এই আদায়কৃত অর্থ থেকে আসলেই অফিসের কিছু খরচ বহন করা হয়; যেমন রেজিস্টার বা স্টেশনারির পিছনে। কেননা, পুরো বছরের বরাদ্দ অর্থ দিয়ে অফিস চলবে না ২ মাসও। এছাড়াও অফিসে যারা মজুরি-ভিত্তিক কর্মচারী আছেন, তাদের দৈনিক মজুরি ৬০টাকা—যা বাস্তবতা বহির্ভূত । এবং এই বাস্তবতা বহির্ভূত মজুরিরও বরাদ্দ বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। এর পেছনের কারণ সাবেক আইজিআর-এর অবৈধ নিয়োগের হালখাতা। অস্তিত্বহীন পদের বিপরীতে টাকা খেয়ে অবৈধ নিয়োগ দেয়া হয় অসংখ্য মানুষকে। ধরা যাক অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ১০০ জনের বরাদ্দ আছে কিন্ত এই পদে সারা বাংলাদেশে কাজ করছে হয়তো কয়েক হাজার লোক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিনা অনুমোদনেই।
এর সাথে অফিস থেকে বিভিন্ন খাতে দেয়া হয় নানা রকম চাঁদা। এই চাঁদাবাজিতে আছে স্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রেসক্লাব বা সাংবাদিক সমিতি। নির্দিষ্ট হারে এই চাঁদা দিতে বিলম্ব হলে, হয়রানির মহড়া শুরু হয়ে যায়। সাথে আছে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে আয়োজনের নামে উপজেলা পরিষদের চাঁদাবাজি। এসবের বাইরে অন্য এক খাতায় চাঁদাবাজির অর্থ জমা পড়ে; সে বিষয়ে একটু পরে আসছি। এসব চাঁদার অর্থ জমা দেবার পর অফিস খরচের বাকি টাকা ভাগাভাগি হয় অফিসার ও কর্মচারীদের মাঝে। এই টাকার পরিমাণ আবার অফিসভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। যেসব অফিসে টাকার অংক বেশি সেসব অফিসকে বলা হয় ‘বড়ো অফিস‘। সংজ্ঞাটা মনে রাখুন পরবর্তী সময়ে বোঝার সুবিধার্থে।
এবার আসি কোনো অফিসার এই হালখাতা বন্ধের চেষ্টা করলে কী হবে? বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত তরুণ অফিসাররা অনেকেই এক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন এবং ব্যর্থ হয়েছেন। একজন অফিসার সর্বোচ্চ যেটা করতে পারেন সেটা হচ্ছে নিজের ভাগের অংশ নিতে নারাজি পোষণ করা।কিন্তু একজন অফিসারের পক্ষে পুরো সিস্টেম বন্ধ করা অসম্ভব।
এরপরও ধরে নিলাম, একজন অফিসার তার চাঁদার ভাগ না নিয়ে তাতে তালা লাগালো কিন্তু একই সাথে তার জন্য খুলে গেলো বিপদের তালা। কীভাবে? সাব-রেজিস্ট্রার বিপদে পড়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে—দুদক, সাংবাদিক বা অনেক সময় আদালত। রেজিস্ট্রি অফিস দুদকের জন্য বেশ সহজ টার্গেট। অভিযানে আসলে কোনো চাপ নাই আবার অভিযান করে কিছু না পেলেও নিশ্চিতভাবে পকেট ভারি করার সুযোগের দরজা খুলে যায়। কিছু না পেলেও প্রেশার দেয়া হয় অফিসারদের। যদি অফিসার নারাজি পোষণ করেন? তবে সেই অফিসারদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট, ফেইসবুক পেইজে ছবিসহ প্রচারের হুমকি জারি করা হয়। ফলশ্রুতিতে, সম্মান রক্ষার্থে অফিসার দুদককে টাকা দিয়ে মিটমাট করতে বাধ্য হয় । অন্যদিকে, যদি অফিসে অবৈধ অর্থ পায়, তবে সেই অভিযোগ স্থগিত রাখার শর্তে টাকা নেয় দুদক। অর্থের পরিমাণ নির্ভর করে অভিযোগের গুরুত্বের ভিত্তিতে। অভিযোগ যতো গুরুতর, অর্থের পরিমাণ ততো বড়ো। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, অফিস খরচ থেকে বিশেষ চাঁদার কথা উল্লেখ করেছিলাম। সেটা যায় এই দুদকে। নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, দেশের সকল জেলা থেকে মাসিক ভিত্তিতে মাসোহারা পাঠানো হয় ‘দুদকের সমন্বিত’ কার্যালয়গুলোতে। এর পরিমাণ জেলাভেদে ১ লাখ থেকে শুরু হয়ে বাড়তে থাকে। এবার এর সাথে সাংবাদিক মহলও এই হয়রানি মহড়াতে যুক্ত হয় এবং টাকার বিনিময়ে এটা ম্যানেজ করা হয়। এরপর আসে আদালত। আদালত থেক বিভিন্ন উদ্দ্যেশ্যমূলক মামলা থেকে নাম কাটাতে ঢালতে হয় বিপুল অর্থ। এখন ধরুন যদি কোনো অফিসার প্রথম দিকে অবৈধ অর্থ আদায়ের জালের বাইরেও থাকে, কালক্রমে গ্যাড়াকলে পড়ে সেও এই অর্থ নিতে একপ্রকার বাধ্য হয়। না নিলে এই গ্যাড়াকলের খরচ সে কোথা থেকে বহন করবে? না, এখানে ঘুষখোর অফিসারদের কথা বলছি না। কারণ অফিস খরচকে ঘুষ হিসেবে গণ্যই করা হয় না বরং এটা একটা স্বাভাবিক চর্চায় পরিণত হয়েছে। এর বাইরে গিয়েও কোনো কোনো সাব-রেজিস্ট্রার দলিল আটকে বা কাগজে ঝামেলা পেলে সেটাকে পুঁজি করে আদায় করে অতিরিক্ত অর্থ। এই অর্থের সবচাইতে বড়ো ব্যবহারের জায়গাটা আমার মূল আলোচনার বিষয়।
বদলি! সাধারণত ২ বছর পর পর রুটিন বদলি হয়। এখানে বোঝায় বিষয় হলো, সাব-রেজিস্ট্রার ডিসি-এসপির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ না হওয়া সত্ত্বেও, এই বদলির বিষয় কে দেখেন? স্বয়ং আইনমন্ত্রী নিজে। প্রশ্ন জাগে যে, আইনমন্ত্রীর মতো ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কেনো সাবরেজিস্ট্রার-এর মতো একটা পদের বদলি নিয়ে এতো চিন্তিত? এখানেই লুকিয়ে আছে মূল দুর্নীতির শিকড়। বদলির কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। ধরা যাক, একজনের বাড়ি ফরিদপুর। তার পোস্টিং হতে পারে তেতুলিয়াতে। আবার তার পরের পোস্টিং হতে পারে টেকনাফে। কোনো বিধি নেই। এখানে চলে টাকার খেলা। তথাকথিত বড়ো অফিসগুলোতে বদলির জন্য গুনতে হয় ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা। ঢাকা শহরের অফিসগুলোর জন্য ৮০ লাখ থেকে দেড় কোটি টাকা। ঢাকার অভিজাত এলাকার অফিসের জন্য এই সংখ্যা দুই কোটিতেও যায় বলে জানা যায়। এছাড়াও নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর বা ঢাকার আশেপাশের বড়ো অফিসগুলোতেও এরকম রেট। এই ডিপার্টমেন্টে কোনো মানবিক বদলি হয় না। মানবিক বদলি আবার কী? ধরুন, একজন অফিসার তার বাড়ির আশেপাশে আসতে চায়। এই তদবিরে তাকে গুনতে হবে কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা! অর্থাৎ বদলির তদবিরের দাম শুরু হবে ৩০ লাখ দিয়ে। এখন এই তদবিরি অর্থ কোন হালখাতায় যায়? এই টাকা স্বয়ং মন্ত্রীর নামে তার কিছু ঠিক করা লোকজন নেয়। বিএনপি’র আমলে মওদুদ আহমেদের সময় এই তদবিরি রেট সহনীয় ছিলো বলে শোনা যায়। তিনি নাকি আবার ছোটো অফিসগুলোতে হাত দিতেন না বলে জানা যায়। কেবল বড়ো কয়েকটি অফিসের ডিলার ছিলেন । পরবর্তী কালে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল সব অফিসের বদলিতে টাকা নিতে শুরু করেন। ডিপার্টমেন্টের কতিপয় প্রভাবশালী অফিসার তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে। তবে জানা যায়, সেই সময় এসব থেকে দূরে ছিলেন মন্ত্রী শফিক আহমেদ। কিন্তু সবার কাছে সৌম্য নামে মাত্র ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত আনিসুল হক আগের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন আওয়ামী লীগ নেতা, আইনমন্ত্রীর পিএস-সহ কয়েকজন ব্যক্তি মন্ত্রীর হয়ে এটা ডিল করতেন। এদের মাধ্যমে লেনদেন হত। এবং তিনি ডলারেও পেমেন্ট নিতেন বলে শোনা যায়। এছাড়াও ব্রাহ্মনবাড়িয়ার অসংখ্য লোককে তিনি বিচারবিভাগে বিভিন্ন চাকরিতে ঢুকিয়েছেন। নিবন্ধন অধিদপ্তরে কাজ করা এসব লোকজনও বদলী করিয়ে দেওয়ার ক্ষমতে রাখতো । তবে স্বাভাবিকভাবেই ভাগ-বাটোয়ারা প্রথা মোতাবেক এই তদবিরের পুরো টাকাটা আনিসুল হক একা পেতেন না, যেসব দালাল এই কাজটা করে দিতো তারা বেশ কিছু অংশ নিজেদের কাট হিসেবে রেখে দিতো।
এখন আসি যদি কেউ বদলির জন্য তদবির না করে? তা হলেও স্বাভাবিক বদলি হতো। কিন্তু যেহেতু ভালো এবং বড়ো অফিসগুলোতে টাকা দিয়ে অনেকে চলে যেতো, এদের ভাগ্যে জুটতো দূর-দূরান্তের বিভিন্ন ঝামেলাযুক্ত অফিস। আবার অনেক অফিসারকে বছরের পর বছর একই স্থানে রেখে দেয়া হতো। কথিত আছে, মন্ত্রী বা তার দালালরা এসব অফিসারকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজ এলাকা থেকে অনেক দূরের অফিসে পোস্টিং দিতো বা যেসব অফিসে ঝামেলা বেশি সেখানে পাঠাতো যেন এরা বাধ্য হয়ে মন্ত্রীর কাছে বদলির জন্য আসে। এটা শতভাগ নিশ্চিত যে অফিসার বদলির জন্য যোগাযোগ করবে না, সে কখনোই তথাকথিত বড়ো অফিস পাবে না। ফলে অফিসারদের মধ্যে দলিল আটকে অতিরিক্ত ঘুষ আদায়ের প্রবণতা বেড়ে যায়। কারণ দুই বছরের মধ্যে তাকে একই সাথে ‘ইনভেস্টমেন্ট’ উঠাতে হবে আবার পরের বদলির জন্য টাকাও জমাতে হবে। এই বিভাগে মন্ত্রীই সর্বেসর্বা। এখানে অন্য সচিব বা আইজিআর বা অন্য কর্মকর্তাদের কোনো ভূমিকা নেই। তাই মন্ত্রীর কাছের লোক হিসেবে পরিচিত মানুষজন নিয়ে একটা ছায়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা এখানে তৈরি হয়েছে। মন্ত্রী পরিবর্তন হলে এই লোকগুলো পরিবর্তন হয়, কিন্তু সিস্টেম একই থাকে। এই বদলি বাণিজ্যই এই রেজিস্ট্রেশন বিভাগকে শেষ করে দিয়েছে। এর সাথে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য স্টাফ নিয়োগ, দলিল লেখকদের সাথে মন্ত্রীদের রাজনৈতিক যোগাযোগ উন্নয়নের অন্তরায়ের প্রধান কারণ।
এই দলিল লেখক সমিতির নেতারা অফিসারদের থেকে অনেক শক্তিশালী। ঢাকার তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স মূলত এরাই নিয়ন্ত্রণ করে। মন্ত্রীরা এই ডিপার্টমেন্ট থেকে মধু আহরণ করলেও এর উন্নয়নে আগ্রহী ছিলেন না। এই ডিপার্টমেন্টের এখন পর্যন্ত কোনো নিয়োগ বিধি নেই। রেজিস্ট্রেসন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন করার উদ্যোগ থমকে আছে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের চাপে। অথচ ডিজিটালাইজেশন করলে অধিকাংশ সমস্যা সমাধান করে ফেলা সম্ভব। এতে দলিল লেখকদেরও প্রভাব কমে যাবে। সাব-রেজিস্ট্রার মূলত একটি এলাকায় একা বহিরাগত হয়ে কাজ করে যার নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই। এরকম জায়গায় একজন ঘুষখোর অফিসারের বিভিন্ন জায়গায় মাসোহারা পাঠিয়ে কাজ করাই অনেক কঠিন, সেখানে কেউ যদি সৎ থাকতে চায়, তার পক্ষে টিকে থাকা আরও কঠিন। উল্লেখ্য, সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান হয়েও এই বিভাগের প্রাপ্ত বরাদ্দ সব থেকে কম। বর্তমানে এই বিভাগে অনেক পরিবর্তনকামী তরুণ অফিসার আছে যারা নিজ উদ্যোগে অনেক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু মাথা ঠিক না হলে শরীর ঠিক হবার সুযোগ নাই। এই দুর্নীতির ধুম্রজাল যেকোনো নতুন পরিবর্তনের পথে সংক্রামক ব্যধির ন্যায়। এতদ্বারা তাই নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা:
১. বদলী বাণিজ্য বন্ধ করে বিধিমালা প্রণয়ন করে বদলি প্রক্রিয়া পরিচালনা করতে হবে।
২. নিবন্ধন প্রক্রিয়া ডিজিটাল করতে হবে।
৩. রেজিস্ট্রেশন-কে ক্যাডার সার্ভিস করা অথবা ভূমি, সেটেলমেন্ট আর রেজিস্ট্রেশন মিলিয়ে আলাদা ‘ভূমি ক্যাডার’ গঠন করতে হবে।
৪. দুদক প্রশাসন-সহ বিভিন্ন সংস্থার অপ্রোয়জনীয় হস্তক্ষেপ ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
৫. যেহেতু এখানে জনগুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস থাকে, তাই চাদাবাজ সন্ত্রাসীদের দমনের জন্য নিরাপত্তার বিধান করতে হবে।
পরিবর্তনের সুবাতাস যখন চারিদিকে বইতে শুরু করেছে, এই বিভাগও এর আওয়াতায় আনতে হবে। নতুনরা সাব-রেজিস্ট্রার নামটির সাথে যে কলঙ্ক জড়িয়ে আছে, তার থেকে মুক্তি চায়। আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যিনিই পাবেন ভবিষ্যতে সেই উপদেষ্টা বা মন্ত্রী যেন একচ্ছত্রভাবে বদলি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, সে কারণে আলাদা বোর্ডের অধীনে এটি করা যেতে পারে। বিচার বিভাগে বিচারকদের বদলির ক্ষেত্রেই এটা অনুসরণ করা হয়। সাব-রেজিস্ট্রারদের বদলীতেও এটা অনুসরণ না করলে এই বিভাগের সমস্যা কখনোই ঠিক হবে না।
যদি ক্ষমতা থাকতো আইন করতাম:
বর্তমান বা সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীগন চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে পারবেন না।
ক্ষমতা, চাকুরী বা ব্যবসা কোনভাবেই তাদের সন্তানরা সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট হতে পারবেন না।
সপ্তাহে অন্তত একদিন তাদের গনপরিবহনে চড়তে হবে।
রাস্তায় চলাকালে তারা অন্য একটি যানবাহনও থামিয়ে রাখতে পারবেন না।
বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে তারা অতিজরুরী ছাড়া কোন সফরসঙ্গী নিতে পারবেন না, এবিষয়ে সংসদকে জানাতে হবে।
জনগনের টাকায় কোন কিছু উদ্ধোধন বা জনগনকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের নাম ব্যবহার সম্পূর্ন নিষিদ্ধ হবে।
তাদেরকে মহামান্য ও মাননীয় বলা নিষিদ্ধ হবে।
তাদের ও তাদের পরিবারের দেশে বিদেশে সকল সম্পত্তি ও আয়ের বিবরণ জনগনকে জানাতে হবে।
দূদকের একটি সম্পূর্ন স্বাধীন ইউনিট শুধুমাত্র তাদের বিষয়ে নজর রাখবে।
অন্যান্য ক্ষেত্রেও আরো বহু কিছু করতাম।
যারা লুটেরা, চোর আর সন্ত্রাসী - তাদের জীবন নরক বানিয়ে ছাড়তাম।
ড. আসিফ নজরুল
১২/০৬/২০২০
জনাব আপ্নার কাছে এখন ক্ষমতা এসেছে ,
এবার প্রমাণ করুন আপ্নিও অন্যসব রাজনৈতিক ব্যক্তির মতো ক্ষমতার লোভে বড় বড় কথা বলে, ক্ষমতা পাওয়ার পর পাল্টিয়ে যাননি,
প্রমাণ করুন সত্যিকার অর্থে আপ্নারা নতুন এক বাংলাদেশ চান,
অন্যথায় আপ্নাকে জবাবদিহিতা করতে হবে জাতির কাছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে ভারত চলে যান শেখ হাসিনা। তবে তিনি কখনোই পদত্যাগ করেননি বলে দাবি করেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। বললেন, সংবিধান অনুযায়ী তার মা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার (১০ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন দাবি করেন।
ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, আমার মা কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি। সেই সময় তিনি পাননি। একটি বিবৃতি দিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু এরপর আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে অগ্রসর হতে লাগলো এবং তখন আর সময় ছিল না। এমনকি আমার মা গোছানোর সময়টুকুও পায়নি।
জয় জানান, প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ না করা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে। শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সরকারের মেয়াদ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
তবে আগামী তিন মাসের ভেতর বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে চান জয়। যেখানে অংশ নেবে আওয়ামী লীগও। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে জানিয়ে জয় বলেন, সেটা না হলে আমরা বিরোধী দল হব। যেটাই হোক ভালো হবে।
এদিকে, শেখ হাসিনার দেশত্যাগের দুদিনের মাথায় ঢাকায় বিএনপির প্রথম সমাবেশে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, প্রতিশোধ-প্রতিহিংসা নয়, দেশ হোক শান্তির।
এ প্রসঙ্গে জয় বলেন, আমি খালেদা জিয়ার ভাষণ শুনে খুশি হয়েছি। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন করতে আমি বিএনপিকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। তাদের সঙ্গে কাজ করে নিশ্চিত করতে হবে যে, আমাদের শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে যেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতিতে আলাপ-আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তর্ক করতে পারি এবং সবসময় একটি সমঝোতার পথ খুঁজে বের করতে পারি।
হাসিনাপুত্র বলেন, আসুন আমরা অতীতকে ভুলে যাই। আমরা যেন প্রতিহিংসার রাজনীতি না করি। ঐক্যবদ্ধ সরকার হোক বা না হোক, আমাদের একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।
ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর বিষয়ে সাক্ষাৎকারে জানতে চাওয়া হলে জয় দাবি করেন, তার মা শেখ হাসিনা গুলি চালানোর কোনো নির্দেশনা দেননি। তার মতে, সরকার একটি বড় বিষয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর পক্ষে ছিলেন না। যে বা যারা গুলি চালিয়েছেন তাদের আইনের আওতায় আনার দাবিও তোলেন তিনি।
জয়ের দাবি, পুলিশ সহিংসতা বন্ধ করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু কিছু পুলিশ অফিসার অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে।
আজ রাজধানী বাসের কন্ডাক্টরের ভাষ্য:
"যাত্রী কম তাতেও কোনো সমস্যা নাই। ডেইলি মোট ২৫০০ টাকা চান্দা দেয়া লাগত। সেইডা লাগতেছে না!"
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা মন্ত্রীদের সমমর্যাদাসম্পন্ন। রাষ্ট্রের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী মন্ত্রী বা উপদেষ্টাদের অবস্থান পাঁচে, আর পুলিশের ডিআইজি বাইশ নাম্বারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে স্পিকার থাকে না বিধায় উপদেষ্টাদের স্থান আসলে চার নাম্বারে, ঠিক প্রধান বিচারপতির পরেই। সদ্যসমাপ্ত ছাত্র-আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি আজ শপথ নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হয়েছেন, অর্থাৎ তারা মন্ত্রীপদমর্যাদা পেয়েছেন। এই দুইয়ের একজন নাহিদ ইসলাম; ডিবি পুলিশ যাকে তুলে নিয়ে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল, পিটিয়ে আক্ষরিক অর্থেই নিতম্বের চামড়া তুলে দিয়েছিল, আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য শিখিয়ে দেওয়া বুলি আওড়ানোর জন্য ধারণকৃত ভিডিওর সময়ে যন্ত্রণায় তিনি প্যান্টও পরতে পারেননি। পরেছিলেন লুঙ্গি, সেই লুঙ্গির ওপর অপ্রাসঙ্গিকভাবে খবরের কাগজ বিছানো ছিল— যাতে বোঝা না-যায় যন্ত্রণায় তিনি দুই পা এক করে বসতে পারছেন না। নাহিদদের চামড়া তোলার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন হাউন আঙ্কেল। হাউন আঙ্কেল ছিলেন ডিআইজি, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে যার রোল নাম্বার বাইশ। আর নাহিদের রোল এখন পাঁচ। হাউন আঙ্কেল এখন চাকরিতে থাকলে নাহিদকে প্রটোকল দিতে-দিতে জিহ্বা কুকুরের মতো ঝুলে পড়ত। হাউন আঙ্কেল এতই বড় পর্যায়ের গিধড় যে, তাকে যদি শর্ত দেওয়া হয় নাহিদের নিতম্বের প্রতি বর্গইঞ্চি চেটে দিলে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে; হাউন তা-ই করবেন।
বাহাত্তর ঘণ্টা আগেও যা ছিল কল্পনার বাইরে, তা এখন বাস্তব। বাহাত্তর ঘণ্টা আগেও হাউন আঙ্কেল ছিলেন রাজাধিরাজ, নাহিদ ব্যাঙাচি। এখন হাউন কারাগারের বদ্ধপ্রকোষ্ঠে— আঁস্তাকুড়ে, নাহিদ রাষ্ট্রক্ষমতায়। সময় আসলেই সবসময় এক রকম যায় না।
- আখতারুজ্জামান আজাদ
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Contact the business
Website
Address
Sylhet
স্বাগতম-🖤 আপনাদের বিশ্বস্ততায় আজ আমরা এতদূর আসতে পেরেছি-🤞 এইভাবে আগামীতে আমাদের সাথেই থাকুন-✌️
Osmaninagar Thana
Sylhet, 3100
I am a talented, ambitious and hardworking individual, with broad skills and experience in digital and printed marketing, social media and leading projects.
Sylhet
Modern Marketology is a trusted marketing service provider institute. We have been providing digital marketing servicing for a long time.
Monortol, Maturtol, Guainghat
Sylhet, 3100
patient is best solution for every problem.
Zindabazar
Sylhet, 3100
Laser Cutting, Mug Pring, Baner Design, Leaflet Design, ID Card ETC
RONKELY NOYAGRAM, RONKELY UTTOR, GOLAPGONJ, SYLHET
Sylhet, 3160
Hi, Fastphic team is a professional Logo and Branding Design Specialist.