Alvin Raahim Vlog

গাহি মানুষের গান
বলি মানবতার কথা,
ভালবাসি মুক্ত জীবন
জীবন মানেই এক অসীম শূন্যতা।

24/09/2023

তানজিম সাকিবকে নিয়ে
Tony আপুর মন্তব্যটা সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।

22/09/2023

তানজিম সাকিব যাদের থেকে বাহবা পাচ্ছে, খোঁজ নিলে দেখা যাবে তারা বেশিরভাগই জামাত-বিনপির লোক। শুধু তাইনা এদের উত্তরসূরীদের খোঁজ নিলে দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় এরা অনেকেই রাজাকার ছিলো, অনেকেই আবার জঙ্গি সমর্থক, কেউ পাকিস্তান ভক্ত, কেউবা তালেবান।
মামুনুর রশীদ সাহেব বলেছিলো, দেশে রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে। কথাটা চরম সত্য। আর এজন্যই তানজিম সাকিবের মতো একজন ধর্মান্ধ, উগ্র, দেশদ্রোহী, নারীবিদ্বেষী, জঙ্গিমনা, সাইকো ব্যক্তি বাহবা পায়।

16/09/2023

সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে
----------হুমায়ুন আজাদ

আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
নষ্টদের দানবমুঠোতে ধরা পড়বে মানবিক
সব সংঘ-পরিষদ; চলে যাবে, অত্যন্ত উল্লাসে
চ’লে যাবে এই সমাজ-সভ্যতা-সমস্ত দলিল
নষ্টদের অধিকারে ধুয়েমুছে, যে-রকম রাষ্ট্র
আর রাষ্ট্রযন্ত্র দিকে দিকে চলে গেছে নষ্টদের
অধিকারে। চ’লে যাবে শহর বন্দর ধানক্ষেত
কালো মেঘ লাল শাড়ি শাদা চাঁদ পাখির পালক
মন্দির মসজিদ গির্জা সিনেগগ পবিত্র প্যাগোডা।
অস্ত্র আর গণতন্ত্র চ’লে গেছে, জনতাও যাবে;
চাষার সমস্ত স্বপ্ন আস্তাকুড়ে ছুঁড়ে একদিন
সাধের সমাজতন্ত্রও নষ্টদের অধিকারে যাবে।
আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ
নদীরে পাগল করা ভাটিয়ালি খড়ের গম্বুজ
শ্রাবণের সব বৃষ্টি নষ্টদের অধিকারে যাবে।
রবীন্দ্রনাথের সব জ্যোৎস্না আর রবিশংকরের
সমস্ত আলাপ হৃদয়স্পন্দন গাথা ঠোঁটের আঙুর
ঘাইহরিণীর মাংসের চিৎকার মাঠের রাখাল
কাশবন একদিন নষ্টদের অধিকারে যাবে।
চলে যাবে সেই সব উপকথাঃ সৌন্দর্য-প্রতিভা-মেধা;
এমনকি উন্মাদ ও নির্বোধদের প্রিয় অমরতা
নির্বাধ আর উন্মাদদের ভয়ানক কষ্ট দিয়ে
অত্যন্ত উল্লাসভরে নষ্টদের অধিকারে যাবে।
আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
সবচে সুন্দর মেয়ে দুইহাতে টেনে সারারাত
চুষবে নষ্টের লিঙ্গ; লম্পটের অশ্লীল উরুতে
গাঁথা থাকবে অপার্থিব সৌন্দর্যের দেবী। চ’লে যাবে,
কিশোরীরা চ’লে যাবে, আমাদের তীব্র প্রেমিকারা
ওষ্ঠ আর আলিঙ্গন ঘৃণা ক’রে চ’লে যাবে, নষ্টদের
উপপত্নী হবে। এই সব গ্রন্থ শ্লোক মুদ্রাযন্ত্র
শিশির বেহালা ধান রাজনীতি দোয়েলের স্বর
গদ্য পদ্য আমার সমস্ত ছাত্রী মার্ক্স-লেনিন,
আর বাঙলার বনের মত আমার শ্যামল কন্যা-
রাহুগ্রস্থ সভ্যতার অবশিষ্ট সামান্য আলোক
আমি জানি তারা সব নষ্টদের অধিকারে যাবে।

12/09/2023
29/06/2023

পশু জ*বাই করে খাওয়া অপরাধ নয়।
এটা খাদ্য শৃঙ্খল।
প্রাণী জগতে বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য শৃঙ্খল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য শৃঙ্খল থেকে যদি কোনো উপাদান সরিয়ে ফেলা হয় তাহলে এর প্রতিক্রিয়ায় অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হতে পারে।
১ম স্তরের প্রাণী ২য় স্তরের খাদ্য, ২য় স্তরের প্রাণী ৩ স্তরের খাদ্য। এভাবেই খাদ্য শৃঙ্খল সাজানো, এটা প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়।

এখন কুরবানীর কথায় আসি।
কুরবানী শব্দের অর্থ- ত্যাগ, উৎসর্গ, বিসর্জণ, নৈকট্যলাভ ইত্যদি। কুরবানী নিয়ে ইসলাম ধর্মে অনেক ইতিহাস শোনা যায় হাদিস অনুযায়ী। তারমধ্যে জনপ্রিয় হলো ইব্রাহীম (আঃ) এর ঘটনা। আল্লাহ ইব্রাহীম (আঃ) কে স্বপ্নে দেখায় তার প্রিয় বস্তু কুরবানী করার জন্য। ইব্রাহীম (আঃ) প্রথমত ১০ টি উট কুরবানী করে। পরবর্তীতে আবার একই স্বপ্ন দেখে ইব্রাহীম (আঃ) । তখন ইব্রাহীম (আঃ) ভেবে দেখলেন সেই মুহুর্তে তার কাছে সব থেকে প্রিয় বস্তু তার ছেলে ইসমাইল(আঃ)। ইব্রাহীম (আঃ) আরাফাত পর্বতের উপর তাঁর পুত্রকে কুরবানী দেয়ার জন্য গলদেশে ছুরি চালানোর চেষ্টা করেন, তখন তিনি বিস্মিত হয়ে দেখে যে তাঁর পুত্রের পরিবর্তে একটি প্রাণী কুরবানী হয়েছে এবং তাঁর পুত্রের কোন ক্ষতি হয়নি। এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর এই দিবসটি ঈদ উল আযহা নামে উদ্‌যাপন করে।

এখন আমার কথা হলো,
একজন মানুষের সব থেকে প্রিয় বস্তু কি হতে পারে?
পশু কখনো একটা মানুষের প্রিয় বস্তু হতে পারে?
তবুও হঠাৎ করে টাকার বিনিময়ে ক্রয় করে এনে জ*বাই। এখানে কতটুকু ত্যাগ বিসর্জন থাকে?
ইব্রাহীম (আঃ) প্রথমত তার প্রিয় বস্তু উট ভাবলেন,
পরে ভাবলেন তার পুত্র।
তারমানে ইব্রাহীম (আঃ) ঠিক কতটুকু বুঝতে পেরেছিল তার প্রিয় বস্তু কি?
প্রথমে উট পরে পুত্র!!
একজন মানুষের সব থেকে প্রিয় বস্তু হলো সে "নিজ"!
নিজের চেয়ে প্রিয় বস্তু জগতে আর কিছু হতে পারেনা। কেউ যদি বলে সন্তান, মা-বাবা এই সেই, তাহলে হয়তো আবেগে বলছে, নয়তো না বুঝে।
নিজেকে কুরবান করাই হলো আসল কুরবানী। আল্লাহকে খুশি, সন্তুষ্ট করার এটাই উত্তম পন্থা। নিজের ভিতরে থাকা পশুত্ব, আমিত্ব, বিসর্জন- ত্যাগ করাই হলো প্রকৃত অর্থে কুরবান। আর এই কুরবানী যখন কেউ দিতে পারে তখনি তার নৈকট্যলাভ হয়।

ঈদ আসলে আরো বেশি বেশি গরু জ*বাই করে খেলেও সমস্যা নেই। তবে এটাকে কুরবানী বলে চালিয়ে দেওয়াটা ভণ্ডামি। এসব কুরবানীর নামে গোস্তো খাওয়ার আয়োজন মাত্র, এখানে ত্যাগ, বিসর্জন, উৎসর্গের কিছু নেই।।
© Alvin Raahim Vlog

05/06/2023

সাধক হাসান বসরী চিরকুমারী রাবেয়ার খোঁজে এসেছিলেন কয়েকবার। রাবেয়া যখন বেঁচে ছিলেন, তখন ইরাকের বসরা নগরী তথা তাঁর গ্রামটি মক্কা-মদিনায় পরিণত হয়ে গিয়েছিল! দুনিয়ার সত্যান্বেষী মানুষেরা তাঁর কুঁড়েঘরে সমবেত হতেন দু'একটা কথা শোনার জন্য।

একদিন ভোরবেলায় রাবেয়ার গৃহে অবস্থানরত অবস্থায় হাসান তাঁর ফজরের ইবাদতের জন্য রাবেয়ার কাছে কোরআন চাইলেন। রাবেয়া কোরআন দিলেন। কোরআন খুলে হাসান কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে একপা পিছিয়ে গেলেন এবং বললেন, "এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কে করেছে এই কাজ?"

রাবেয়া কোরআনকে কাটছাঁট করেছিলেন! কোরআনের বিভিন্ন শব্দ কেটে দিয়েছিলেন!এমন কি অনেকগুলো সুরার আয়াত পর্যন্ত বাতিল করে দিয়েছিলেন!

হাসান আবারও বললেন, "এটা নিষিদ্ধ। কোরআনকে সংশোধন করা যাবেনা। মুহাম্মদের পর আর কোনো নবী আসবেনা। অতএব, কার ক্ষমতা আছে তাঁর বাণী সংশোধন করে? এটাই সঠিক এবং অসংশোধনীয়।"

রাবেয়া হেসে দিয়ে বললেন, "আমি পরম্পরার ধার ধারি না। আমি খোদাকে মুখোমুখি দেখেছি এবং আমার অভিজ্ঞতার দ্বারা কোরআনকে সংশোধন করে নিয়েছি। এটা আমার কোরআন। তুমি কোনো প্রকার আঙ্গুল তুলতে পারো না এ ব্যাপারে। এটা একান্তই আমার। তোমার কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ যে, আমি এটা তোমাকে পড়ার জন্য অনুমতি দিয়েছি। আমার অভিজ্ঞতার ব্যাপারে আমার নিজের কাছে সত্যবতী থাকতেই হবে, অন্য কারো কাছে নয়।"

এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও যখন দেখি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নারীরা শরীরে তাবিজ-কবচ ঝুলায়, ঝাড়ফুঁক বিশ্বাস করে, স্বামীর পায়ের নিচে স্বর্গ আছে তাই স্বামীরে ডরায়, এবং নিজেদের বস্তাবন্দী করে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, তখন ভাবতেই অবাক হই যে, শতশত বছর পূর্বে কি সত্যিই রাবেয়া নামের এমন মুক্ত নারীর সন্ধান পৃথিবীর মানুষ পেয়েছিল?
©শহিদুল শাহ

30/05/2023

আমাদের দেশের হুজুর মৌলানাদের উপর নামাজ ফরজ নাকি টাকা ফরজ?

প্রত্যেক মুসলমানের জন্য নামাজ ফরজ করা হয়েছে।
সে অনুযায়ী সবাইকে নামাজ কায়েম করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশের হুজুর মৌলানারা কি করে? তারাতো নামাজ কায়েম করেনা, তারা কর্ম করে।
তারা নামাজ পড়িয়ে টাকা নেয়, তার মানে এটা তার কর্ম, তাহলে তার ধর্ম কই গেলো?

হুজুর মৌলানাদের প্রত্যেকের নামায পড়া ফরজ কাজ। সেটা তাকে পড়তেই হবে, তা পড়তে যতটুকু সময় লাগবে সেটা সবাইকে নিয়ে পড়বে, অন্যান্য মুসলিমরাও তো সে সময় টুকু দেয়, যে সময় টুকু হুজুর মৌলানারা দেয়। তারমানে বাকি মুসলিমরা কি কর্ম করেনা? তারা ধর্মের কাজ করেও কর্ম করে, হুজুর মৌলানা রা কি তা করতে পারেনা? অন্যান্য মুসলিমদের নামাজ কাজে লাগছে, কারণ এটা তার পড়া ফরজ কিন্তু, হুজুরদের কি কাজে লাগছে, নামাজ, না টাকা? সেতো টাকাই নিচ্ছে নামাজের বিনিময়ে তাহলে তার নামাজ কই গেলো? এসব বললে অনেকেই বলে তাদের তো ঘরসংসার আছে।
আরে ঘরসংসারের কথা এখানে আসে কেন? এটা তো মুসলিম হিসেবে তার ফরজ কাজ? তার কাজ সে করবে না? এখানে ঘরসংসারের কথা বলাটা মূর্খতা নয় কি? আর ঘরসংসার কি বাকি মুসলিমদের নেই তারাকি নামাজ পড়েনা,, নাকি হুজুরদের নামাজ ভিন্ন? অন্যান্য মুসলিমরা যদি নামাজ পড়ে কর্ম করতে পারে,, হুজুররা পারেনা কেনো? পারবে কেমনে কষ্ট ছাড়াই টাকা পাওয়া যায় এর থেকে আরামের কাজ আর কি আছে। এসব হুজুররা কথায় কথায় হারাম হালাল দেখায়, জায়েজ না জায়েজ দেখায়। কিন্তু...কুরানে যে কয়েক যায়গায় স্পষ্ট ভাবে দেওয়া আছে কুরানের একটা আয়াত বলে যে বিনিময় কামনা করে সে মুনাফেক, সে জাহান্নামি এসব বলেনা কেন? এসব বললে তো আর আরাম থাকবে না। তাছারা নবীজি কি ঘরসংসার করতেন না? সে কি নামাজ পড়াতেন না, সেকি ধর্ম প্রচার করতেন না?? সেতো কখনো বিনিময়ে এসব করেনি?? তাহলে এখন কেনো হুজুর রা বিনিময়ে এসব করে? হুজুররাই মাহফিলে গিয়ে বলে আমাদের নবী ছিলো গরীব, তার কোনো অর্থের লোভ ছিলোনা। তাহলে তারা কেনো এতো লোভী, এতো ধনী?? মাহফিল করার আগে টাকার বাজেট করতে হয় তাদের সাথে, টাকা কম হলে তাদের পাওয়া যায়না,,এক মৌলানা তো দেখি ঘণ্টা চুক্তিবদ্ধ করে জাহাজে ওয়াজ করতে যায়, এক মাওফিলে তো তারে আটকাইয়াই দিছিলো, সময় শেষ হওয়ার আগেই চলে আসতে নিছিলো তাই,পরে সে কি কাহিনী । তবুও ধর্ম প্রচারের নামে যেয়ে তারা জোকস করেন, যে যতো ভালো জোকস করতে পারে, তার টাকার রেট ততো বেড়ে যাবে, তাই জোকসের প্রতিযোগিতা করেন। আর ধর্ম প্রচারের নামে,, মানুষের গীবত গান, কোন হুজুর কেমন, অমকে ভালো না, তমকে ভালো না,, সে ভন্ড, ও ইহুদী, এসব নিয়ে থাকেন,, ১০০ টা হুজুরের কথা ১০০ রকম।তাহলে সাধারণ মুসলিমদের কি হবে তারা সত্য পাবে কেমনে?? আজব্দি কোনো হুজুর মৌলানার মুখে অন্য কোনো হুজুর মৌলানার গীবত ছাড়া প্রশংসা শুনলাম না। আরে এসব করলে তো আবার নিজের ওয়েট কুমে যাবে। এরকম যে আরো কতো হিংসা অহংকার তাদের নিজেদের মধ্যেই আছে তার কোনো হিসেব নেই, আর তাদের অনুসরণ কারীদের ইমান কেমন হবে সেটা ভাববার বিষয়।

এসব কথা বলার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিলোনা,, শুধু বললাম, যে তারাবীর টাকার কথা শুনে। আপনি মুসলিম হিসেবে আপনাকে তারাবী পড়তে হবে, আপনি যে সময় দেন সবাই সে সময় দেয়, তাহলে এখানে আপনাকে টাকা দিতে হবে কেনো? তারমানে সময় আর সুরা পড়ার জন্য টাকা তাই নয় কি??
এখানে আপনার মুসলিম হিসেবে যে তারাবী পড়তে হবে সেটা কই । যেটা পড়ছেন সেটা তো কর্ম টাকা নিলেন কিন্তু...ধর্ম কই।?

আর এসব জেনে শুনে বুঝেও যারা এদের পিছনে থাকেন, এদেরকে পথপ্রদর্শক মনে করেন, এদের কে ভালবাসেন সম্মান করেন, এদের কে ধর্ম প্রচারক মনে করেন, এদের কে সত্য মনে করেন, এদেরকে ইমানদার মনে করেন, তাদের কে আমার কিছুই বলার নাই, শুধু এটুকু বলি কারবালার ময়দানে ইমাম হোসেন কে কিন্তু হত্যা করে ছিলো দাড়িটুপিওয়ালা মুসলিমরাই। (জ্ঞানী দের জন্য ইশারাই যতেষ্ট)

সম্মান, ভালবাসা,, ধর্ম প্রচারক, পথপ্রদর্শক, ইমানদার যদি মানতেই হয় , সেই সব মৌলানা হুজুরদের মানা উচিৎ, যারা ধর্মের কাজে কোনো বিনিময় কামনা করেনা,,।।

কোনো ধর্ম ব্যবসায়ীদের নয়।।
-রিপোস্ট

08/05/2023

ভাগ্নের কয়েকটি প্রশ্ন আছে যার উত্তর আমি কখনোই দিতে পারিনি। প্রশ্নগুলো তাকদীর সম্পর্কিত।

১। আমাদের জান্নাত জাহান্নাম পূর্ব নির্ধারিত, তাহলে হাশরের ময়দানে কিসের বিচার হবে?

২। আমাদের তাকদীর পূর্ব নির্ধারিত তাহলে ইবাদত বন্দেগী করে কি লাভ? সব তো আগে থেকেই নির্ধারণ করাই আছে।

৩। কেউ যদি নাস্তিক বা কাফের হয় সেটা কি স্রষ্টার ইচ্ছায় হচ্ছে না? উনি হেদায়েত না দিলে শত চেষ্টা করলেও কেউ আলোর পথে আসতে পারবেনা। তাহলে তাকে ধর্মে ফেরানোর চেষ্টা করা কি তার ইচ্ছার বিরোধীতা করা নয়?

৪। সৃষ্টিকর্তার দরবারে দুহাত তুলে প্রার্থনা করে কি লাভ? সব কিছু যেহেতু তার নির্দেশেই হচ্ছে। আপনি বিপদেও পড়ছেন তারই ইচ্ছায়। তাহলে তার কাছে সাহায্য কামনা করা কি তার ইচ্ছার বিরোধীতা করা নয়?

৫। একজন মানুষ খুন বা ধর্ষণ করলো। তাহলে প্রচলিত আইনে তার বিচার কেন হবে? এসকল অপরাধ কি আগেই নির্ধারিত ছিলনা? এগুলো কি তাকদীরে লেখা ছিলনা? তাহলে অপরাধীর দোষ কোথায়? তাকে কেন বিচারের আওতায় আনা হবে? তার নিজের ইচ্ছায় কোন কিছু না করেই কেন তাকে শাস্তি পেতে হবে?

৬। মানুষের ভাগ্যলিপিতে সবকিছু লেখা থাকলে দুই কাঁধের দুই ফেরেশতার কাজ কি? তারা যে পাপ পুণ্যের হিসাব রাখছেন সেগুলো তো আগেই নির্ধারণ করা।

৭। মানুষের মৃত্যুর পর কবরে দুজন ফেরেশতা প্রশ্ন করতে আসবেন। তারা কয়েকটি প্রশ্ন করবেন। কেউ সেগুলোর সঠিক উত্তর দিতে পারবে কি পারবেনা সেটা কি পূর্বনির্ধারিত নয়?

৮। কবরের আজাব কেন হবে? হাশরের ময়দানে মহাবিচারের আগে কেন একজন শাস্তি পাবে?

৯। যারা কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করছে তারা কার ইচ্ছায় কাফের অবস্থায় মারা যাচ্ছে? তাদের ভাগ্যে 'কাফের অবস্থায় মৃত্যু' কে লিখে রেখেছেন?

১০। ইবলিশের প্ররোচনায় আদম যে গন্ধম ফল খেয়ে বিতাড়িত হয়েছিলেন সেটা কি পূর্বপরিকল্পিত ছিল নাকি ছিলনা? শয়তানের কি স্রষ্টার ইচ্ছার বাইরে কিছু করার ক্ষমতা আছে?

ভাগ্নেকে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো দিতে পারলেই তাকে আলোর পথে নিয়ে আসা যাবে বলে ধারণা করছি। সঠিক উত্তর প্রদান করে আপনারা কেউ আমাকে সাহায্য করুন।

- লেখা, ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

12/04/2023

আধ্যাত্মিকতা এমন একটা পথ যেখানে জীবনকে পরিপূর্ণ ভাবে উপভোগ করা যায়, জীবনের পূর্ন স্বাদ পাওয়া যায়।
এ পথে এসে কেউ মরার কথা ভাবেনা বরং, মানুষ কোন পর্যায়ে গেলে আত্মহত্যা করতে চায় সেগুলো থেকে বাঁচার মুক্তির পথ দেখায়।

মানুষ যখন অশান্তি, দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা, বিষন্নতায় ভুগতে থাকে তখন আত্মহত্যা করে। আর আধ্যাত্মিকতা অশান্তি, দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা, বিষন্নতা থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়। একজন আত্মহত্যা করা পথের যাত্রিকে নতুন করে বাঁচার স্বাদ দিতে পারে আধ্যাত্মিকতা। আধ্যাত্মিকতা একটা আনন্দময় সুখ শান্তির জগৎ। যেটা সবাই উপভোগ করতে পারেনা।

এখন আপনি বলতে পারেন তাহলে আরাফাত ছেলেটা আত্মহত্যা করলো কেনো সেতো আধ্যাত্মিক বই পড়তো। এজন্য সদগুরুকে দায়ীও করছেন। সদগুরু কোনো বইয়ে লেখেনি আত্মহত্যা করতে, সে আরো মৃত্যু থেকে বাঁচার কথা বলেছে। দেহ থেকে আত্মা আলাদা করতে যাওয়ার আগে আত্মা আছে কিনা, আত্মা কি এসব জানার দরকার ছিলো তার।
একজন মানুষ আধ্যাত্মিক বই পড়া মানেই সে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অধিকারী হয়ে যায়না। তাছাড়া তার টাইমলাইন ঘুরে তার মধ্যে আধ্যাত্মিকতার কোনো ছোয়া পাইনি। যে আত্মহত্যা নোটটি রেখে গেছে সেটা সদগুরুর লেখা থেকে নেওয়া। এটাকে শুধুই সে ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করেছে। যেহেতু তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলো সেহেতু তিনি সবথেকে বেশি পড়েছে বিজ্ঞানের বই। তাহলে সব থেকে বেশি দোষী বিজ্ঞানের শিক্ষক। কেননা বিজ্ঞান বুঝলে সে এরকম ভুল কাজ করতো না।

তার একটা স্ক্রিনশট আমার হাতে এসেছে যেখানে লেখা সে প্রায় সময় বিষন্নতায় ভুগতো। তার বিষন্নতার পিছনের গল্পটা কিন্তু কেউ জানেনা। মানুষ যখন এই রোগে ভুগতে থাকে তখন এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই অনেক পথ খুঁজে। কেউ নেশা করে, কেউ সেক্স করে, কেউ ভ্রমণ করে, কেউ গানবাজনা করে, কেউ আবার বই পড়ে। সিয়াম ছেলেটা হয়তো বই পড়তো আর এই বই পড়তে পড়তে তার মধ্যে ভ্রান্তি ধারণার জন্ম নিয়েছে। এমনিতেই সে বিষন্নতায় ভুগতো বিষন্নতা থেকে মুক্তি পেতে হঠাৎ করে এরকম বই পড়তে যেয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। বরং এসব ধারণাকে সঠিক উপলব্ধিতো করতে পাড়েইনি আরো ভুলবাল বুঝে এটাকে কাজে লাগানোর বৃথা চেষ্টা করেছে। একদিকে বিষন্নতা, আরেকদিকে ধ্যানে বসে ভুলবাল আধ্যাত্মিক চিন্তা সব মিলে তার মস্তিষ্কে ফাংশনের বিকৃতি ঘটেছে যার ফলে আত্মহত্যা । আর আত্মহত্যার জন্য আমি কখনো কাউকে দায়ী করিনা, বরং আত্মহত্যার জন্য সে নিজেই দায়ী। মানুষ নিজের সাথে যুদ্ধ করে ঠিকে থাকতে পারেনা বিদায়ি আত্মহত্যা করে।

02/04/2023

★★★
★★★
দেহ হল রাজ্যে।
এই রাজ্যের রাজা হল নফস।
এই নফসের সবচেয়ে খারাপ অংশ হলো
নফসে আম্মারা আর এই নফসে আম্মারা মন্ত্রী পরিষদের সদস্য যাহারা আছে
তাহাদের বাঁকা ত্যাঁড়া সোজা করার জন্যই
সিয়াম সাধনা।
সিয়াম সাধনা ব্যাতীত তাহাদেরকে সোজা করা যায় না।নফসে আম্মারা মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হিসাবে
যাহারা দেহ রাজ্যের নিয়ন্ত্রক তাহারা হলো নিন্মরুপ:-
১)কাম রিপু- কাম শব্দের অর্থ কামনা,
২)ক্রোধ রিপুঃ- ক্রোধের অপর নাম রাগ।
৩)লোভ রিপুঃ- অতৃপ্ত রসনাকে তৃপ্ত করার ও
অপ্রাপ্তি বস্তুকে প্রাপ্তির প্রবল ইচ্ছার নাম লোভ।
৪)মোহ রিপুঃ- স্বপ্ন দর্শনের ন্যায়
অবাস্তবকে বাস্তব মনে করে
এবং ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য ক্ষণস্থায়ী কিছু কিছু বিষয়ের উপর ভ্রান্তধারণা পোষন করে
তাতে মোহিত হয়ে থাকার নাম মোহ।
৫)মদ রিপুঃ- মানুষের সাধারণ ভাবে জীবন-যাপন করার মত বিশেষ প্রয়োজনীয় বিষয় বস্তু সমুহ
থাকা সত্ত্বেও অতৃপ্ত মন অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষী হওয়ায় মনের সে অস্থিরতা,
‘আরও চাই আরও চাই’ ভাব তার নাম মদ রিপু।
৬) মাৎসর্য্য রিপুঃ- অন্যের ভাল সহ্য করতে না
পারা এবং অতি আপন জনকেও অযথা সন্দেহের চোখে দেখা মাৎসর্য্য রিপুর কাজ।
===== সবুজ কাদেরী====

30/03/2023

এক ব্যক্তি গৌতম বুদ্ধের কাছে গিয়ে বললেন আমি সুখ চাই,
উত্তরে বুদ্ধ বললেন, প্রথমে তোমার বক্তব্য থেকে "আমি" শব্দটি বাদ দাও,
এটা আত্মকেন্দ্রিকতা (Ego)প্রকাশ করে।
এরপরে "চাই" শব্দটি বাদ দাও,
এটা কামনা বা বাসনা প্রকাশ করে।
এবার দেখবে তোমার কাছে শুধু "সুখ" ই আছে
অন্য কিছুই নাই।

27/03/2023

অন্ধবিশ্বাস কী?

গ্রামের পারভীন ভাবি বারান্দায় বসে কি যেনো করতে ছিলেন। হটাৎ উপর থেকে ধপাস করে উঠানে কিছু একটা পড়লো। তিনি ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলেন। তার চিৎকারে বাড়ির সবাই জড়ো হলো। তারা দেখতে পেলো, একটা নীল রঙের বরফখণ্ড! নীল রঙের এই বরফখণ্ড কোথা থেকে এলো? তাদের হৈচৈ শুনে বাড়ির আশেপাশের লোকজন এলো। এক কান, দুই কান, এভাবে গ্রামের সকল মানুষ ছুটে এলো। ...কি হয়েছে?... কি হয়েছে? আসমান থেকে নীল রঙের একটা বরফখণ্ড পড়েছে। সবাই ভাবতে লাগলো আসমান থেকে নীল রঙের এই বরফখণ্ড পড়ার কারণ কী? চিন্তা করে কেউ কিছু বলতে পারছেনা। ছুটে এলেন সমাজের ধর্মগুরু। তিনি বরফখণ্ডের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইলেন। উপস্থিত জনতা ধর্মগুরুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন তিনি কি বলেন শোনার জন্য। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই এটা অলৌকিক বরফ। ঈশ্বর রহমত স্বরূপ আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন। সঙ্গে-সঙ্গে অধিকাংশ মানুষ সমস্বরে বলে উঠলেন, ঘটনা এইটাই হবে। বরফ তো সাদা হয়, এটা তো নীল। তাছাড়া আসমান থেকে এভাবে বরফ পড়ার কথা বাপের জন্মেও শুনিনি। অবশ্যই এটা ঈশ্বরের বরফ। ধর্মগুরু ভক্তি-শ্রদ্ধার সঙ্গে বরফখণ্ডটি ছুঁয়ে দেখলেন। একজন ওটাকে সাষ্টাঙ্গসিজদা দিলেন। যার চোখে সমস্যা সে বরফের পানি চোখে ছোঁয়ালেন। রোগবালাই ভালো হওয়ার জন্য কেউকেউ একটু-একটু ভেঙে খেয়ে ফেললেন। কেউকেউ বরফের টুকরো নিয়ে ফ্রিজে রাখলেন।

ঈশ্বরের বরফখণ্ডের ঘটনা ছড়িয়ে গেল বহুদূর।

ঘটনা তদন্ত করতে পুলিশ এলো। এটা কোনো অলৌকিক ঘটনা, নাকি প্রাকৃতিক ঘটনা, নাকি কোনো ক্রাইম সিন তা জানার জন্য এক টুকরো বরফ নিয়ে গেলেন। বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখতে পেলেন ওটা হারপিক মিশ্রিত মানববর্জ্য! তারা অনুসন্ধান করে বের করলেন যে, বিমানের টয়লেটের পাইপ ফেটে মানববর্জ্য আছড়ে পড়েছে। ত্রিশ থেকে পাইত্রিশ কিলোমিটার উপর থেকে মাটিতে পড়তে-পড়তে ওটা বরফে পরিনত হয়েছে। আর ওটার রঙ নীল হওয়ার কারণ টয়লেটে নীল রঙের কীটনাশক (হারপিক) ব্যবহার করা হয়েছিল।

ঈশ্বরের বরফখণ্ডের আসল রহস্য গ্রামবাসী যখন জানতে পারলেন, তখন তারা ওয়াক থু...এ্যা এ্যা...ছিছিছি করতে লাগলেন। যারা ফ্রিজে উহা সযতনে আগলে রেখেছিলেন তারা তা দ্রুত ফেলে দিলেন।

গ্রামবাসী যদি অন্ধবিশ্বাসে বরফখণ্ডটিকে ঈশ্বরের বরফ না-ভেবে প্রথমে পরিক্ষা নিরিক্ষা করতেন, তাহলে তাদের মানববর্জ্য খেতে হতো না।

অন্ধবিশ্বাস থেকেই আমাদের মাঝে এমনকিছু সম্প্রদায় আছে, যারা পাথরখণ্ডের পুজো করেন। এরা এই পাথরের পুজো না করে যদি পরীক্ষাগারে তা পরিক্ষা করতেন, তাহলে আমরা পাথরের রহস্য জানতে পারতাম। পাথর গুলো যদি অন্যকোনো গ্রহের হতো, তাহলে আমরা গ্রহটির সন্ধান পেতাম। ওগুলো যদি স্বর্গের পাথরও হয়ে থাকে, তাহলে আমরা স্বর্গ সম্পর্কে নিশ্চিত হতাম। অথচ এসব না করে, আমরা পরম্পরায় পুজো করে চলছি...! অন্ধবিশ্বাস। অন্ধবিশ্বাস মানুষকে সত্য জানতে দেয়না।

কলমে: শহিদুল শাহ্

26/03/2023

আস্তিক হওয়ার জন্য কোনো গবেষণা, লেখাপড়া, জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। অন্ধভাবে কাল্পনিক কথাবার্তা বিশ্বাস করতে পারলেই আস্তিক হওয়া যায়।

কিন্তু মুক্তমনা হওয়া সহজ নয়।
অন্যান্য উন্নত দেশের কথা ভিন্ন, তারা ছোট থেকেই মুক্তমনা হয়ে বেড়ে উঠে ।
তবে আমাদের দেশের সব মুক্তমনারা একসময় আস্তিক ছিলো, মনেপ্রাণে ধর্মীও বিশ্বাস, ধর্মীও বিধিবিধান মেনে চলতো। কিন্তু তারাকি হুট করে একদিনেই মুক্তমনা হয়েছে?
একজন আস্তিক মুহুর্তের মধ্যে কি তার বিশ্বাস কে ভেঙে চুরমার করে দিতে পারবে?
ইহা কখনোই সম্ভব না। মানুষ হ*ত্যা করতে হয়তো যে সাহসের প্রয়োজন হয় না, তারচেয়ে বেশি সাহসের প্রয়োজন হয় অন্ধত্বের বিশ্বাস ভেঙে ফেলতে। যার ফলে মানুষ অন্ধবিশ্বাসের জন্য মানুষ হ*ত্যা করতে পারলেও, নিজের বিশ্বাসের দেওয়াল ভাঙতে পারেনা। এই বিশ্বাস ভাঙতে হলে অনেক গবেষণা, লেখাপড়া, জ্ঞানের প্রয়োজন হয়।

যে মানুষ গুলো সত্য জানার জন্য ধর্মীও গ্রন্থ থেকে শুরু করে, শরিয়ত, মারেফাত, তরিকত, হাকিকত, আধ্যাত্মিকতা, নাস্তিকতা, দেহতত্ত্ব, ধ্যান সাধনা, দর্শন, বিজ্ঞানচর্চা করে দিনের পর দিন কাটিয়ে দিছে, যুদ্ধ করেছে নিজের চিন্তাচেতনার সাথে, নিজের বিশ্বাসের সাথে তাদের নিয়ে সমালোচনা প্রশ্ন করার আগে, তারা যে ধাপ গুলো অতিক্রম করে এই পর্যায়ে এসেছে সেই ধাপ গুলো আগে অতিক্রম করে আসুন।

তারপর দেখা যাবে আপনাদের বিশ্বাসের জোর কতটুকু।

©Alvin Raahim

08/10/2021

দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের ধর্মীও উৎসব চলছে। এতে নিউজ করছে মিডিয়া গুলো যেমনি মুসলিমদের ধর্মীও উৎসবে করে। নিউজের কমেন্ট বক্স গুলো দেখে মনে হলো মুসলিমদের মতো হিন্দুদের কোনো ধর্মীও অনূভুতি নাই, তাদের কোনো অনুভূতি থাকতে পারেনা। তাদের আবার কিসের ধর্ম কিসের অনূভুতি, তাদের এটা কোনো ধর্মই হতে পারেনা। কতো হাসি তামাসা কটাক্ষ কটুক্তি করে কমেন্ট বক্স লাল করে ফেলতেছে মুসলিম ধর্মের অনুসারীগন।

ঠিক এই কাজ গুলো যদি মুসলিমদের ধর্মীও উৎসবে কোনো হিন্দু করতো তাহলে আমাদের দেশের মুসলিমদের সবার ধর্মীও অনূভুততে আঘাত লেগে যেতো। ভার্চুয়ালে ফাঁসির জন্য আন্দোলন করা হতো, লোকজন গিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করতো, না হয় অগ্নিসংযোগ ঘটাতো।

আমাদের দেশের প্রশাসন সরকারকেও দেখা যায় এখানে নিরবতা পালন করে। অন্য ধর্মের লোক ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলে তাকে সাথে সাথে আটক করতে দেখা গেলেও। অন্য ধর্মকে নিয়ে মুসলিমরা কটুক্তি করলে প্রশাসন সরকারের তেমন একটা ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়না।

©Alvin Raahim

19/04/2021

হাকিকি শয়তানের পরিচয় ¡
************************
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আজকের পোস্ট
উচ্চতর চৈতন‍্য সাধকদের জন‍্য একটু মনোযোগ দিন!
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
এখন আমরা হাকিকি শয়তান তথা-----
আসল শয়তানের পরিচয় ও ব্যাখ্যা সামান্য দিতে চাই ।

হাকিকি শয়তান তথা আসল শয়তান ,
পবিত্র কোরান অনুসারে , চার প্রকার :---

১/ ইবলিশ , ২/শয়তান , ৩/মরদুদ, এবং ৪/খান্নাস।।

এই চার প্রকার শয়তানকে আল্লাহ্ পাক মাত্র দুইটি স্থানে থাকবার অনুমতি দিয়েছেন । এই দুইটি স্থান ছাড়া এই চার প্রকার শয়তানকে আর কোথাও থাকার অনুমতি দেওয়া হয় নি , এমনকি আল্লাহ্র সমগ্র সৃষ্টিরাজ্যের আর কোথাও থাকার অনুমতি দেওয়া হয় নি । যে দুইটি নির্দিষ্ট স্থানে এই চারটি শয়তানকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেই স্থান দুইটির নাম হল : জিনের অন্তর এবং মানুষের অন্তর ।
জিনের অন্তর এবং মানুষের অন্তর ছাড়া এক পা - ও বাহিরে যাবার ক্ষমতা শয়তানের নাই ।

সুতরাং জিনের অন্তর এবং মানুষের অন্তর ছাড়া এই চারটি শয়তানের থাকবার আর কোন বিন্দুমাত্র স্থান নাই । আকাশ হতে শয়তানেরা যে আগুনের গােলা নিক্ষেপ করতে থাকে তথা ফেলতে থাকে , উহা পৃথিবীর আকাশ নয় , বরং প্রতিটি মানুষের মনের আকাশ । এই মনের আকাশ হতেই শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করার তরে , দিশেহারা করার তরে , বিপথে নেবার তরে , অনবরত আগুনের গােলা নিক্ষেপ করতে থাকে ।
চরম সত্যে মানুষের মনের আকাশে শয়তান যে আগুনের গােলা নিক্ষেপ করে , ইহা শয়তানের ডিউটি ।

মানুষটি দুনিয়াই চায় , না আল্লাহকে চায় , এই পরীক্ষা করার জন্যই এহেন আগুনের গােলা নিক্ষেপ করার কথাটি আসে । যদি পরীক্ষা করার প্রশ্নটি না থাকত তাহলে মনের আকাশে আগুনের গােলা নিক্ষেপ করার প্রশ্নই উঠত না । সুতরাং শয়তান বাহিরে থাকে না , থাকবার বিধান নাই । দুধ আর মাখন যেভাবে দুধের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে , এবং দুধের মাঝে যে মাখন আছে ইহা বুঝবার উপায় থাকে না , সে রকম মানুষের অন্তরে যে শয়তান অবস্থান করছে ইহাও বুঝবার উপায় থাকে না । সুতরাং প্রতিটি মানুষ মনে করে যে সে একা ,
কিন্ত আসলে সে মােটেই একা নয় । যেহেতু প্রতিটি মানুষের সঙ্গে শয়তানকে পরীক্ষা করার জন্য দেওয়া হয়েছে সেই হেতু মানুষ দুইজন , অনেকটা একের ভিতরে দুইয়ের মত ।> কিন্তু ইহাও সত্য নহে ।

কারণ জীবাত্মার সঙ্গে খান্নাসরূপী শয়তান পাশাপাশি অবস্থান করছে , সে রকমভাবে আরেকজন অবস্থান করছে । সেই আরেকজনের নাম হল রূহ তথা পরমাত্মা তথা স্বয়ং আল্লাহ । তাই প্রতিটি মানুষের শাহারগের নিকটেই আল্লাহ আছেন বলে ঘােষণাটি দেখতে পাই । অন্য কোনাে জীব - জানােয়ারের শাহারগের নিকটে আল্লাহ্র অবস্থানটির ঘােষণা কোরানে পাই না । এখানে একটি কথা বলে রাখা ভাল যে , যেহেতু জিন নিয়ে আমাদের কোন কাজ কারবার নাই , তাই আমরা ইচ্ছা করেই জিন বিষয়টিকে বাদ দিলাম , যদিও জিন এবং মানুষকেই আল্লাহর ইবাদত করার কথাটি বলা হয়েছে ।
সমস্ত সৃষ্টিরাজ্য আল্লাহর ইবাদতে ডুবে আছে , তাই ইবাদত করার আদেশ দেবার প্রশ্নই আসে না । যেহেতু মানুষ এবং জিনকে সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দেওয়া হয়েছে , সেহেতু ইবাদত করার উপদেশটি প্রযােজ্য ।

১/ইবলিশ----
যখন শয়তান অহংকার করে তখন শয়তানের রূপটির নাম হল ইবলিস । বালাসা শব্দটির অর্থ হল অহংকার । ইহা হিব্রু ভাষা , আরবি ভাষা নয় । বালাসা তথা অহংকার শব্দটি বিশেষ্য তথা নাউন , ইবলিস তথা অহংকারী শব্দটি বিশেষণ তথা এডজেকটিভ , সুতরাং শয়তানের আদিরূপ ইবলিস তথা অহংকারী । কারণ আদমকে সেজদা দিবার হুকুমটি সরাসরি অমান্য করার দরুণ সে অহংকারী হয়ে গেল , তথা ইবলিস হয়ে গেল ।
তাই ইবলিসই হল শয়তানের প্রথম এবং আদিরূপ ।

২/ শয়তান -----
মানুষ জীবনধারণের প্রশ্নে যখন বিভিন্ন প্রকার লােভ - লালসার খপ্পরে পড়ে যায় এবং জীবনধারণের প্রশ্নে বৈষয়িক বিষয়ের ঘাত - প্রতিঘাতের আঘাতে প্রতিনিয়ত জর্জরিত হতে থাকে , সেই আঘাত - খাওয়া অবস্থানটির নাম শয়তান । তাই পবিত্র কোরানের যে কোনাে পবিত্র সূরা পাঠ করার আগে আমাদের বলতে হয় যে , পাথরের আঘাত - খাওয়া শয়তান হতে আশ্রয় চাই । হাজিরা যে শয়তানকে পাথর ছুড়ে মারে সেই মেজাজি বিষয় হতেই হাকিকি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে । কেউ বুঝতে পারে , কেউ পারে না ।
বােঝাটাও তকদির , না বােঝাটাও তকদির ।
সুতরাং চরম পর্যায়ে , আল্লাহর সৃষ্টির মাঝে বিন্দুমাত্র ভুলের অবকাশ নাই । ইহাই পবিত্র কোরানের পবিত্র সূরা মুলকে বলা হয়েছে । কেউ বােঝেন , কেউ বােঝেন না । বােঝাটাও তকদির , না বােঝাটাও তকদির । তকদিরের বলয় হতে আল্লাহর বিশেষ রহমত ছাড়া বেরিয়ে আসা অসম্ভব ।

জিন এবং মানুষের অন্তর ছাড়া শয়তানের অবস্থানটির কথা যদি অন্য কোথাও আছে বলে কেউ লিখে তাে ধরে নিতে হবে যে , সে ইসলামের বিন্দু - বিসর্গও জানে না , কেবল হাউকাউ করে বড় বড় কথার ফুলঝুড়ি ছড়ায়ে , আরবি ব্যাকরণের তেলেসমাতি দেখিয়ে সরল মানুষগুলােকে লিখনির মাধ্যমে বিভ্রান্ত ,
দিশেহারা করে তুলছে ।

৩/ মরদুদ----
যে মানুষটি কেবলমাত্র দুনিয়াই চায় এবং যার দুনিয়া চাওয়া ছাড়া আর কোন চাওয়াই থাকে না ,
তাকে মরদুদ বলা হয় । মরদুদের স্থান হাবিয়া দোজখ । হাবিয়া দোজখের তলা থাকে না । যে মানুষটির দুনিয়া চাওয়ার সীমা থাকে না সেই মানুষটিকে তলা - ছাড়া হাবিয়া দোজখে যেতে হয় । এই মরদুদ শব্দটি পবিত্র কোরানে কয়েকবার পাওয়া যায় ।

৪/খান্নাস---
যে শয়তান সর্ববিষয়ে সর্বঘটনায় পিছু পিছু কুমন্ত্রণা দিতে থাকে তার নাম খান্নাস । শয়তানের এই খান্নাসরূপটি ভয়ংকর এবং বিপদজনক । তাই খান্নাসের কুমন্ত্রণা হতে পবিত্র কোরান মুক্তি চাইবার উপদেশ দিয়েছেন । অবাক লাগে যে , শয়তানের এই >খান্নাসরূপটি এত ভয়ংকর অথচ সমগ্র কোরানে মাত্র একবার উল্লেখ করা হয়েছে । >কাউসার শব্দটি এবং >আহাদ শব্দটি সমগ্র কোরানে মাত্র একবার করে উল্লেখ করা হয়েছে , তেমনি খান্নাস শব্দটিও একবার উল্লেখ করা হয়েছে । অথচ এই তিনটি শব্দের মাঝে গােপন রহস্য লুকিয়ে আছে । এই তিনটি শব্দের অর্থ ব্যাকরণ দিয়ে মােটামুটি একটি ধারণা জন্মাতে পারে , কিন্তু গভীর রহস্য অনুধাবন করতে হলে হৃদয় দিয়ে গবেষণা করতে হয় ।

সুতরাং পরিশেষে আবার একই পুরােনাে কথাটি বলতে চাই যে , জিন এবং মানুষের অন্তর ছাড়া শয়তানের থাকার আর একটি স্থানও নাই । এই খান্নাসরূপী শয়তানটি , যাহা প্রতিটি মানুষের অন্তরে অবস্থান করছে , উহাকে তাড়িয়ে দেবার বহু প্রকার উপদেশের আরেক নাম পবিত্র কোরান । যত প্রকার মােরাকাবা , মােশাহেদা , ধ্যানসাধনা , এবাদত বন্দেগি , কান্না ও বিলাপ , নফসকে ইচ্ছা করে নানা প্রকার কষ্ট দান করা , সবই এই খান্নাসরূপী শয়তানকে তাড়িয়ে দেবার একমাত্র উদ্দেশ্যে । আর দ্বিতীয় কোন উদ্দেশ্য নাই এবং থাকার কোন বিধান রাখা হয়নি ।

তাই পবিত্র কোরানের সূরা মােমিনের ষাট নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে যে , হে মানুষ , তুমি একা হও এবং একা হয়ে আল্লাহ্কে ডাক দাও , তাহলে ডাকের জবাব সঙ্গে সঙ্গে পাবে । আরবি ভাষায় দুইজনে ডাক দিলে বলা হয়> উদউনা , আর একজনে ডাক দিলে হয় >উদউনি । কোরান উদউনি তথা একা শব্দটি ব্যবহার করেছে । উদউনা তথা দুইজন থাকলে ডাকের জবাব পাওয়া যাবে না । আমি এবং খান্নাসরূপী শয়তান মিলে দুইজন । কারণ খান্নাসরূপী শয়তান বাহিরে থাকে না , বরং আমার অন্তরেই অবস্থান করছে । সুতরাং আমরা দুইজন । এই দুইজন থাকলে আল্লাহ্ ডাকের জবাব দেন না । এই দুইজনের অবস্থানটাকেই উদ্‌উনা বলা হয় খান্নাসরূপী শয়তানকে তাড়াও এবং তাড়াতে পারলে তুমি একা হবে , এবং একা হলে ডাকের জবাব সঙ্গে সঙ্গে পাবে ।

ইমামুল আউলিয়া বায়েজিদ বােস্তামি ( র . ) জাবরুত মােকামের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে বললেন , ‘ রব ( আল্লাহ্ ) , আমি তােমার প্রতি সন্তুষ্ট । ' রব বললেন , বায়েজিদ , তুমি মিথ‍্যুক । কেননা যদি তুমি সত্যিই সন্তুষ্ট থাকতে তাহলে সন্তুষ্ট থাকার কথাটি বলতে না । ' বায়েজিদ লজ্জায় মাথা নত করে পুনরায় কঠোর ধ্যানসাধনায় মগ্ন রইলেন । এভাবে দুই বৎসর ধ্যান সাধনায় মগ্ন থাকার পর বায়েজিদ একদিন বলে ফেললেন , ‘ আমিই সুবহানি , সব শান আমারই । ' ( আনা সুবহানি মাআজামু শানি । ' ) লা মােকামে প্রবেশ করতে পারলেই এই রকম কথা বলা যায় । সুতরাং ১/নাসুত ,২/ মালাকুত এবং ৩/ জাবরুত মােকামে সাধককে পীরের ধ্যানটি করতেই হবে এবং কোনাে রহস্যজনক বিষয় দেখতে পেলে আপন পীরের রূপেই দেখা যায় । কিন্তু সাধক যখন লা মােকামে প্রবেশ করেন তখন দেখতে পান , আপন পীর ডান দিক দিয়ে চলে গেছেন এবং বাম দিক দিয়ে খান্নাসরূপী শয়তানটি ভেগে গেছে । তখনই সাধক নিজের মধ্যে দেখতে পান যে , তার পীরও তিনি এবং তাঁর মুরিদও তিনি । এখানেই তৌহিদ ।

◆>সুতরাং পীর ধরাও শেরেক ,
কিন্তু ইহাই শেষ শেরেক ।
সুতরাং আপন পীরের অবস্থানটি জাবরুত মােকাম পর্যন্ত । লাহুত মােকামে পীর আর থাকেন না ।
সুতরাং লাহুত মােকামে সাধক যখন প্রবেশ করেন তখন দেখতে পান যে , আপন পীরের আধ্যাত্মিক মূল্য এক টাকাও নয় । সুতরাং আপন পীরের অবস্থানটি তিনটি মােকাম পর্যন্ত । লাহুত মােকামে প্রবেশ করলেই পীর আর থাকেন না এবং পীরের দাম আর এক টাকাও নহে । এই কথাগুলাে উঁচু স্তরের নীতিনির্ধারণের কথা । তাই অনেকের ভুল বােঝার সম্ভাবনাটি থেকে যায় । এখানে পীর ধরাটা মুখ্য বিষয় নহে , মুখ্য বিষয়টি হলাে আল্লাহ্র তৌহিদ সাগরে অবগাহন করা।।

সুত্রগ্রন্থঃ মারেফতের বানী পূষ্টা ৪৬ এবং ৪৭
লেখক ---
কালান্দার বাবা জাহাঙ্গীর আল সুরেশ্বরী(রহঃ)
___________________
@.Anower Hossain
ধৈর্য সহকারে পরার জন‍্য ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবনা
অফুরন্ত ভালবাসা রইল ঈস্বর সকলের মঙ্গল করুন।

14/04/2021

আজকের প্রসঙ্গঃসিয়াম/ রোজা/ বিরত থাকা/ ত্যাগকরা/ নফস দমন করা/ ষড়রিপু কন্ট্রোল করা/ দেহ দুর্বল আত্বা সতেজ করা/পুড়িয়ে শেষ করা/ কঠোর সাধনা করা/ ধ্যানে নিমগ্ন হওয়া/ দশ ইন্দ্রীয় প্রসারিত করা/ দেহ ভ্রমনে নিমগ্ন হওয়া/ পরমের মিলনে মান্নত করা ইত্যাদি ইত্যাদি।।

রোজা রেখে হতে সোজা
নফসকে করেছি তাজা
করে গেলাম ফরজ কাজা
রোজায় মোরে দিল সাজা।।

আলীফ খাড়া পেটখালী
বে অক্ষর তারে বলি
দিন গেল মোর খালিখালী
নূকতা চুরির ঘটনা বুঝিনা।।

তরিক দিচ্ছে নবী(দঃ)
জাহের বাতনে
যথা যোগ্য লায়েক জেনে
রোজা আর নামাজ ব্যক্ত এহি কাজ
গুপ্ত ধন মেলে ভক্তির সন্ধানে...!!!

সুরা মরিয়মের ২৬ নং আয়াতে হযরত মরিয়ম (আঃ) - বলছেনঃ

"" “আজকে আমি আর-রহমানের জন্য মানত করেছি এবং সাওম (রোযা) । সুতরাং আজকে আমি কারো সাথে কথা বলবনা”""

->> অপবিত্র অবস্থায় শরীয়তের বিধান মতে সদ্য প্রসূতির জন্য সিয়াম (রোযা) রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হযরত মরিয়ম (আঃ) আল্লাহর নির্দেশে কোন রোযা রেখেছিলেন??
না কি আমরা সারাদিন না খেয়ে যে রোযা পালন করছি হাকিকতে রোযা তা নয় আরও গভীর অনেক কিছু??

فَكُلِي وَاشْرَبِي وَقَرِّي عَيْنًا فَإِمَّا تَرَيِنَّ مِنَ الْبَشَرِ أَحَدًا فَقُولِي إِنِّي

نَذَرْتُ لِلرَّحْمَنِ صَوْمًا فَلَنْ أُكَلِّمَ الْيَوْمَ إِنسِيًّا

যখন আহার কর, পান কর এবং চক্ষু শীতল কর। যদি মানুষের মধ্যে কাউকে তুমি দেখ, তবে বলে দিওঃ আমি আল্লাহর উদ্দেশে রোযা মানত করছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সাথে কথা বলব না।
:
একটা নামাজ একটা রোজা
পাগল পুরে শোনা যায়।
কোন নামাজ কোন রোজা
আদায় করি কোন কায়দায়??

শুনো সেই নামাজের ধারা
রুকু সেজদা তাশাহুদ ছাড়া
পাছ আনফাছ জিকির করা
হর দম থাকে মোরাকাবায়।।

মাওলার প্রেমে হয়ে ফানা
হারিয়ে যায় সব ভাবনা
তার জন্যে নয় পাঞ্জেগানা
সে তো আছে এক সেজদায়।।

যার জীবনে নাই রতি ক্ষয়
তার পরিপূর্ণ রোজা হয়
ইন্দ্র পুরী করছে জয়
আত্মসংযম সাধনায়।।

এই নামাজ এই রোজাধারী
ষড় রিপুর নয় পূজারী
ছেড়ে দিয়ে বিষয় বাড়ি
প্রেম সাগরে সে খেলায়।।

একটি নামাজ একটি রোজা
এ তো নয় সহজ কাজ
তাই তো পাঞ্জেগানায়
আছে বর্তমান সমাজ।।

পাগল আছে এক কোঠায়
২১ হতে ২৪ হাজার বার
এই নামাজের চলছে কারবার
পাঞ্জেগানা মাত্র পাঁচ বার
তাও ফরিদ করলি না আদায়।।

রোজার মাসে বোঝা বয়ে
করলাম বন্দেগী সদাই
কিসে হবে রোজা আমার
জানলাম না তাঁর ভেদ পরিচয়।।

তুমি যখন সেহরি খাও
অন্য দেশে ইফতার হয়
সুর্য্য দেখে রোজা রাখো
বলেছেন কি আল্লায়??

দিন না চিনে রোজা রাখলে
রোজা তাহার নাহি হয়
গগনের চাঁন দেখে সবাই
মনের চাঁন কই উদয়।।

এক দেশেতে সুর্য্য উদয়
অন্য দেশে অস্ত যায়
এক দেশেতে রাত্র হলে
অন্য দেশে রোজা হয়।।

এই নিয়মে রোজা হলে
আসলে কি ফয়দা হয়
জ্ঞানী যারা বুঝে তারা
জেনে শুনে ভেদ কয়।।

শয়তান বন্দী রোজার মাসে
আমার বিশ্বাস নাহি হয়
রোজাদারের শয়তান বন্দী
থাকে ঐ না সব সময়।।

মোমিন ব্যক্তি রোজায় থাকে উপাস কভু নাহি কয়।তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাতের কালরেখা থেকে ঊষার শুভ্র রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। অতঃপর অন্ধকার না হওয়া পর্যন্ত উপবাস পূরণ কর...’। (২: বাকারা- ১৮৭)।

রুপক আর হাকিকী ব্যাখ্যা বলতে পারবেন কি কেউ???

হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

""আচ্ছাওমুলি ওয়া আনা আজ্রেবিহী”"

অর্থাৎ ‘সমস্ত ইবাদতই আমার জন্য তন্মধ্যে রোজাই হলো খাছ ইবাদত বা বিশেষ সাধনা।।

চিন্তা করার বিষয় সকালের নাস্তা সূর্যদোয়ের পূর্বে আর বৈকালের খাবার সূর্যাস্তের পরে খাই। ইহাতেই কি রোজা হইলো!!
ইহাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি কি করা হইলো??? নিশ্চয়ই ইহাতে নিগুঢ় অর্থ রয়েছে।।

যখন আমি জ্ঞানে সাবালক হইলাম, তখনই যেন আমার জন্য রমজানের চাঁদ উদয় হইলো। সারা জীবন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পাপ হইতে ইন্দ্রিয়গণকে সংযত রাখা, পাপ কাজ হইতে নিজেকে ফিরাইয়া রাখা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। উপোস থাকার অর্থ গরীব দুঃখী লোকে খাদ্যের অভাবে কত কষ্ট করিতেছে, তাহাদের প্রতি দয়া করা, সাহায্য করা।

নবীজি বলেছেনঃ
""“যাহার প্রতিবেশী অনাহারে নিদ্রা যায়, কিন্তু সে পেট পুড়ে ভক্ষন করে, সেই ব্যক্তি ঈমান্দার নয়।”"

আমি উদর ভরিয়া তিন বেলা ভক্ষন করি আর গরীবদের একবেলা অন্নও জুটে না। তাহলে কিসে আমার রোজা হইলো???

তাহাদের প্রতি দয়া মায়া করিলেই আল্লাহ্ সন্তুষ্ট হয়। সারাজীবন খোদার নেয়ামত খাইয়া কত শান্তি পাইতেছি আর না খাইলে কত কষ্ট পাই। নিয়ামত যে দিয়াছেন তিনি কত মহান ও দয়ালু তিনি কোথায়??
কি করিলে তিনি সন্তুষ্ট হন?
তাহা চিন্তা করিয়া তিনার খোঁজ খবর নিয়া তিনাকে চিনিয়া তিনারই মুহাব্বতে নিজের রিপু এবং ইন্দ্রিয়কে সংযম রাখিয়া আল্লাহ্র রাজি খুশিতে নিজেকে অর্পন করে দেওয়া। মুখে মিথ্যা, গীবত, পরন্দিা, পরচর্চা না করা। সর্বদা সদ্বালাপনে থাকা, খোদার গুণগান করা, কর্ণে কুকথা শ্রবণ না করিয়া সত্য কথা শ্রবণ করা এবং শ্বাস-প্রশ্বাস যোগে দিবা রাত্রি ২৪ ঘন্টা আমার দয়াময় প্রভু এবং তিনার হাবিব আসা-যাওয়া করিয়া আমাকে জীবিত রেখেছেন।আমার প্রভু আমার হৃদয়ে বাস করেন।এই রোজার দ্বারা আমার ঐ হৃদয় নামক আল্লাহর ঘরটিকে মহা পবিত্র করতে হবে।কখনও যেন নফ্স নামক শয়তানের ধোকায় পড়িয়া কুচিন্তা আর কুভাবনার দ্বারা আমার আল্লাহ্ ঘরটি কুলষিত না হয়ে যায়। তাই দমের সাথে সর্বক্ষন খোদার জিকিরে মশগুল থাকিয়া আল্লাহ্কে স্বরন রাখা ইত্যাদি।

আমি যাহা লেখলাম ইহা তরীকতের আলোকে মোটা মোটি ধারনা দেওয়া হলো। বাস্তবে তরীকতের জ্ঞান বিহনে আল্লাহর এবাদত বন্দিগী হয় না।
এই জন্য আল্লাহর রাসুল (সঃ) হাদিস শরিফে বলেছেনঃ
"“লাইয়াক বালুল্লাহে তায়ালা এবাদাতিল আব্দু বেগায়রে মারফাতুল্লাহে তায়ালা ইন্কানা আলফাছানা”"
অর্থাৎ আল্লাহর রাসুল বলিয়াছেন, "‘মারিফতের জ্ঞান অর্জন না করা পর্যন্ত কাহারও এবাদত বন্দিগী আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না, যদি সে হাজার বৎসরও তপস্যা করে ॥’""

এই কথা আমি বলি নাই, আল্লাহর রাসুল বলিয়াছেন। শুধু না খেয়ে থেকে সন্ধার সময় উদর পুরে মজার মজার খাবার খেতে পারলেই রোজা হয় না। রোজা হলো আল্লাহর সব চাইতে খাস এবাদত। কেনো এত খাস হলো উহা একজন কামেল মুর্শিদের নিকট হইতে বুঝে নেওয়ার দরকার। যদি কোন লোক বা কোন আলেমরা পীরের নিকট বায়েত হওয়াকে অস্বীকার করে, তবে সে কাফের হয়ে যাবে। কারন সে আল্লাহ্ কোরআনকে এবং রাসুলের হাদিসকে অস্বীকার বা অমান্য করেছে।।

তুমি সংযমীঃ
তার মানে তোমার পঞ্চ জ্ঞান ইন্দ্রিয় ও পঞ্চ কর্ম ইন্দ্রিয় দ্বারা জগতের সকল প্রাণী নিরাপদ।

তুমি সংযমীঃ
তার মানে তুমি সে সময় আলোকিত স্বত্ত্বার ধ্যানে মগ্ন আছো।

তুমি সংযমীঃ
তার মানে জাগতিক কোন মন্দের কোন ক্ষমতা নেই, সে সময় তোমার দ্বারা মন্দ করাতে পারে বা মন্দ ভাবাতে পারে।

তুমি সংযমীঃ
তার মানে তোমার ষড়রিপু তোমার গোলাম, তোমার সু-ইচ্ছার তারা যোগ্যতম সহযোদ্ধা।

তুমি সংযমীঃ
তার মানে তুমি জাগতিক সকল প্রকার ভোগ লিপ্সা হতে মুক্ত।

তুমি সংযমীঃ
তার মানে তুমি সকল অবস্থায় সদা সর্বদা পরমকে স্মরনে রেখে নিজের ভিতর প্রবৃত্তি সমুহের সাথে যুদ্ধ জারী রেখেছো। তুমি মহান যোদ্ধা।

তুমি সংযমীঃ
তার মানে মানবতার মহৎ ঝুলিটা তোমার কাঁধে। তুমি কর্তব্য কর্মে ও ন্যায় পরায়নতায় সিদ্ধ হস্ত।

তুমি সংযমীঃ
তার মানে তুমি পরমের কাছে তাঁর সেরা উপাসক হিসাবে গণ্য। তুমিই ত্যাগের বলিষ্ট উদাহরণ। পরম তোমার ভক্তিতেই কেবল সাড়া দেন।

-সংগৃহীত

Want your business to be the top-listed Media Company in Tangail?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

ইটনা,মিঠামইন,অস্ট্রোগ্রাম।
তানজিম সাকিবকে নিয়ে Tony আপুর মন্তব্যটা সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।
যারা বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকা জুঙ্গী চিনেন না,  তারা চিনে নিন।

Category

Website

Address


Tangail
1900

Other Digital creator in Tangail (show all)
AbiR On FiRe AbiR On FiRe
Dhaka
Tangail, 445544

আমাদের পেইজে দয়া করে ফলোয়ার করবেন এখানে সব সময় পাঁচমেশালী ভিডিও আপলোড করা হয় তাই একটু ফলো করবেন 💓

ɴᴀʜɪᴅ ッ ɴᴀʜɪᴅ ッ
Nikrail Bazar
Tangail

➪•• 𝙉𝙚𝙬 𝙥𝙖𝙜𝙚 𝙛𝙤𝙡𝙡𝙤𝙬 𝙥𝙡𝙚𝙖𝙨𝙚 シ︎

MR. ALEX MR. ALEX
Elenga, Kalihati
Tangail, 1974

This is my new page please everyone support

Farjana akter Farjana akter
Tangail

Assalamu alaikum �

Pian Media Pian Media
Tangail
Tangail, 1900

i am Digital Creator

Rohan0011 Rohan0011
Mirzapur
Tangail

Mirzapur

Gaming Reels Gaming Reels
Dhaka
Tangail, 1973

click follow

sabbir official sabbir official
Tangail

আসসালামু আলাইকুম আমার নতুন পেইজে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম

MD Raju MD Raju
Tangail, MD123456

student

Nasir vai420 Nasir vai420
Tangail
Tangail, 1632

im Nasir

Mahi Akter Unique Mahi Akter Unique
Tangail, 1900

�নতুন নতুন ভিডিও পেতে আমার এই পেইজটিকে ফলো দিয়ে সাথেই থাকুন ধন্যবাদ�