তকী শপ

toki shop
একটি বিশ্বস্ত Online Shop.কাস্টমারদের ক?

11/10/2021
24/06/2021

লকডাউনের বাস্তবতাঃ
মানুষ সব জায়গায় যেতে পারবে কিন্তু গাড়ি যেতে পারবে না। এ যেন ঘুমাতে পারবে কিন্তু শুতে পারবে না

01/06/2021

বারসিসা- আল্লাহভীরু থেকে শয়তানকে সিজদাহকারী

31/05/2021

সহজ উপায়ে দূর করুন কাপড়ের কঠিন দাগ

29/05/2021

যাদের দেখে মহান রাব্বুল আলামিন হেসে দেন

27/05/2021

আলহামদুলিল্লাহ
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তাআ'লার জন্য
আমাদের পেইজে আজ ৫০০ লাইক পূরণ হলো।
সকলকে জানাই শুভেচ্ছা। আপনাদেরকে আমাদের পাশে থাকার জন্য জাজাকাল্লাহ খাইরান।

25/05/2021

নবী করিম (সাঃ) এর ডাকে যে গাছ সাড়া দিয়েছিলেন

24/05/2021

আজ থেকে আগামী সাত দিন (২৩-২৮ মে) নিজে বেশি বেশি পানি পান করুন এবং পরিবারের সকলকে পান করতে বলুন।

বিজ্ঞানিদের ভাষায় এই সময়কে বলা হচ্ছেঃ
(EQUINOX)
(Astronomical event where the Sun is directly above the Earth's equator).

অর্থাৎ এই সাতদিন সুর্য ডিরেক্ট আমাদের মাথার উপর থাকবে যার ফলে আমাদের শরীরে পানি দ্রুত শুকিয়ে যাবে। এই শুকিয়ে যাওয়া পানিশুন্যতা দুর করতে বেশি বেশি পানি পান করা সবার জন্য অতি জরুরী।
নিজে সুস্থ থাকুন, সচেতনতার মাধ্যমে অপরকে সুস্থ রাখুন।
বেশি বেশি পানি পান করুন ।
========================

Photos from তকী শপ's post 23/05/2021

এই গরমে সুস্থ থাকতে করণীয়

চৈত্রের কাঠফাটা রোদ বইছে বৈশাখেও। প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। করোনা মহামারি ঠেকাতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। ফলে মানুষ গৃহবন্দি। অন্যদিকে চলছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। এই সময়ে শরীরে পানিশূণ্যতা দেখা যায়। গরমে কীভাবে সুস্থ থাকা যায় সেই বিষয়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম ইয়ার-ই-মাহাবুব।

ভ্যাপসা গরম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষত শিশু, বৃদ্ধ আর গর্ভবতী মহিলাদের জন্য। এদের সাবধানে না রাখতে পারলে বিপদের কারণ হতে পারে।

এই গরমে নিম্মোক্ত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারেঃ

পানিশূন্যতা ও রক্তে লবন বা সোডিয়াম পটাসিয়াম কমে যাওয়া

ঘামের সাথে ও বাষ্পীভবনের মাধ্যমে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যাওয়া আর পরিমাণমত পানি পান না করা ও লবণ জাতীয় খাবার না খাওয়া থেকে এরকম হয়ে থাকে।

রোদ-জ্বলা বা সান-বার্ন

বিশেষ করে অতিবেগুনী রশ্মিতে পুড়ে গিয়ে চামড়ায় এই রোগ দেখা দিতে পারে।

শরীর উত্তপ্ত হয়ে যাওয়া

আশেপাশের বেশি তাপমাত্রায় অনেকক্ষণ থাকলে শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এ অবস্থা হতে পারে, যা প্রথমে হিট এক্সহস্টশন হিসাবে দেখা দেয়। অবস্থা আরও খারাপ হলে হিট ক্র‍্যাম্পস ও হিট স্ট্রোক হতে পারে- যা প্রায়শই মৃত্যুর কারন হয়।

চোখের প্রদাহ, ছানি ও অন্ধত্ব।

পানিতে ডোবা ও আগুনে পোড়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়া।

ডায়রিয়া, বমি, কিডনি বৈকল্য, জীবাণু সংক্রমণ, এলার্জি, চর্মরোগ, শ্বাসনালীর প্রদাহ।

করণীয় ও সাবধানতাঃ

পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা। বেশি বেশি পানি পান করা। লবণের ঘাটতি পূরণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

খোলা জায়গায় গরমে ও কড়া রোদে বের না হওয়া। বিশেষ প্রয়োজন হলে ছাতা, রোদ চশমা ইত্যাদি সঙ্গে রাখা। প্রয়োজনে সান-স্ক্রিন ক্রীম ব্যবহার করা যেতে পারে।

অসুস্থ বা বয়োবৃদ্ধ বা কোন বাচ্চা যাতে গরম কক্ষে বা স্থানে অনেকক্ষণ পড়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে পারলে আর উপরোক্ত নিয়ম মানলে হিট এক্সহস্টশন থেকে বাঁচা যায়। এক্ষেত্রে পানি পান করার পাশাপাশি ঠান্ডা পরিবেশে গায়ের সমস্ত কাপড় খুলে পাখার বাতাসে পানি দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে পানি যাতে বেশি ঠান্ডা না হয়।

হিট স্ট্রোক একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি বা জরুরি অবস্থা। এতে মৃত্যুহারও বেশি। উপরোক্ত সকল নিয়ম মেনে রুগীকে জরুরি হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

22/05/2021

টাংগাইলের লোডশেডিং নিশ্বাসের মতো আসে যায়।

Photos from তকী শপ's post 21/05/2021

তকী শপ আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে নতুন কিছু কালেকশন নিয়ে আসতেছে।আপনারা আমাদের কাছে দারুণ বাহারি ডিজাইনের থ্রি পিস কাপড় পাবেন।ঈদকে সামনে রেখে দারুণ কিছু অফার আপনাদের সামনে আসতেছে।আপনারা সকলেই অফার গুলো লুটে নিবেন আশা করি।তকী শপ সততা বিশ্বাসী।তকী শপ কাস্টমারদের পছন্দকে প্রাধান্য দেয়।কাস্টমাদের বিশ্বাস , আস্থার জায়গা তকী শপ।

20/05/2021
19/05/2021

অভাবের সংসার বাবু সরদারের। ভ্যান চালিয়ে কোনোরকম আয় করে সংসার চালান তিনি। দুমুঠো ভাতের তাগিদে ছেলে আবদুল্লাহ সরদারও মাঝেমধ্যে ভ্যানটি নিয়ে রাস্তায় নামে। কিশোর বয়সে এত কঠোর পরিশ্রম করে সেও জোগান দেয় সংসারের। কিন্তু যে ভ্যানটি তাদের রোজগারের একমাত্র ভরসা, সেটি চুরি করে নিয়ে গেছে দুই প্রতারক। ভ্যান হারিয়ে কিশোর আবদুল্লাহ এখন বুকফাটা আহাজারি করছে রাস্তায় বসে।

19/05/2021

রাসূল (সাঃ) যাদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন

16/05/2021

স্বামীর মৃত্যুতে চক্ষু অশ্রুসিক্ত, হৃদয় ভারাক্রান্ত।
সুবহানআল্লাহ্! তারপরে ও নিজের স্বামীকে হারিয়ে আমাদের এই বোনের ঈমানী গায়রত আর সাহসী উচ্চারণ দেখুন।
আল্লাহ্ উম্মাহর মা বোনদের এই বোনের মত হওয়ার তাওফিক দান করুক। এঁদের গর্ভেই উম্মাহর সাল্লাউদ্দিন আইয়্যুবিরা জম্মগ্রহন করে আর একদিন আক্বসা তারাই মুক্ত করবে ইনশাআল্লাহ্।

Photos from তকী শপ's post 13/05/2021

ঈদুল ফিতরে করণীয়

ইসলামে ঈদের প্রবর্তন হয়েছে দ্বিতীয় হিজরিতে। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) যখন মদিনায় আসেন তখন দেখেন যে, সেখানকার লোকরা বছরে দু’দিন (নওরোজ ও মেহেরজান) আনন্দ করে, খেলাধুলা করে। তিনি বললেন, আল্লাহ তোমাদের এ দু’দিনের পরিবর্তে আরও বেশি উত্তম ও কল্যাণকর দুটি দিন দিয়েছেন। ১. ঈদুল আজহা ও ২. ঈদুল ফিতর।

‘ঈদ’ শব্দটি আরবি, যার অর্থ আনন্দ। ‘ফিতর’ শব্দটিও আরবি, যার অর্থ রোজা ভাঙা। হিজরি সনের দশম মাস তথা শাওয়াল মাসের ১ তারিখ প্রথম ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।

ঈদের দিনের সুন্নত ও মুস্তাহাব

১. মিসওয়াক করা, ২. গোসল করা, ৩. সুগন্ধি ব্যবহার করা, ৪. কিছু খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া, বিজোড় সংখ্যায় যেকোনো মিষ্টিদ্রব্য খাওয়া উত্তম; খেজুর অতি উত্তম। ৫. ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া। এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা মুস্তাহাব। ৬. ঈদগাহে যাওয়ার পথে নিচু স্বরে তাকবির পড়া সুন্নত। ৭. সাধ্যমতো উত্তম পোশাক পরিধান করা মুস্তাহাব। ৮. ঈদগাহে যাওয়ার আগে সদকায়ে ফিতর আদায় করা সুন্নত। (দাতা ও গ্রহীতার সুবিধার্থে রমজানেও দেয়া যায়)। ৯. ঈদের দিন চেহারায় খুশির ভাব প্রকাশ করা এবং কারও সঙ্গে দেখা হলে হাসিমুখে কথা বলা মুস্তাহাব। ১০. আনন্দ-অভিবাদন বিনিময় করা মুস্তাহাব।

ঈদের নামাজ দুই রাকাত আর তা ওয়াজিব। এতে আজান-ইকামত নেই। যাদের ওপর জুমার নামাজ ওয়াজিব তাদের ওপর ঈদের নামাজও ওয়াজিব।

ঈদের নামাজ ময়দানে পড়া উত্তম। শহরের মসজিদগুলোতেও ঈদের নামাজ জায়েজ আছে। এবার কভিড মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে আদায়ের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে।

সূর্য উদিত হয়ে এক বর্শা (অর্ধহাত) পরিমাণ উঁচু হওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত বাকি থাকে। তবে ঈদুল ফিতরের নামাজ একটু দেরিতে পড়া সুন্নত; যেন নামাজের আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় হয়ে যায়। নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ করার প্রয়োজন নেই। মনে মনে নির্দিষ্ট করতে হবে, আমি এ ঈদের নামাজ কিবলামুখী হয়ে এ ইমাম সাহেবের পেছনে অতিরিক্ত ছয় তাকবিরের সঙ্গে আদায় করছি। ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির ওয়াজিব। প্রথম রাকাতে তাকবিরে তাহরিমা ও ‘ছানা’র পর তিন তাকবির। দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর রুকুতে যাওয়ার আগে তিন তাকবির। এ তাকবিরগুলো বলার সময় ইমাম-মুকতাদি সবাইকে হাত উঠাতে হবে। তৃতীয় তাকবির ছাড়া প্রত্যেক তাকবিরের পর হাত ছেড়ে দিতে হবে। কেউ যদি এ তাকবিরগুলো না পায়, তাহলে সে রুকুতে থাকা অবস্থায় আদায় করে নেবে। কারও পূর্ণ এক রাকাত ছুটে গেলে সে দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর তাকবিরগুলো আদায় করে নেবে। নামাজ শেষে খুতবা প্রদান ইমামের জন্য সুন্নত; তা শোনা নামাজির জন্য ওয়াজিব। জামাত না পেলে শহরের অন্য কোনো জামাতে শরিক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এ নামাজের কোনো কাজা নেই। তবে চার রাকাত ইশরাকের নফল নামাজ আদায় করে নেবে এবং অতিরিক্ত তাকবির বলবে না।

নারীদের জন্য পেছনে ভিন্ন উত্তম ব্যবস্থা থাকলে শুধু বৃদ্ধ নারীদের জন্য ঈদের জামাতে শরিক হওয়ার অনুমতি রয়েছে। পরিচিত কারও সঙ্গে কিছুদিন বা অনেক দিন পর দেখা হলে উভয়ে ডান গলা মিলিয়ে মহব্বতের সঙ্গে একবার কোলাকুলি করা এবং ‘আল্লাহুম্মা যিদ মহাব্বাতি লিল্লাহি ওয়া রাসুলিহ’ পড়া সুন্নত। তবে ঈদের দিন জরুরি মনে করে কোলাকুলি করা বিদআত।

ঈদ আল্লাহর নিয়ামত। নিয়ামতের চাহিদা হলো, এর শুকরিয়া আদায় করা। এদিন তার কোনো অবাধ্যতা যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা সব মুসলিমের কর্তব্য।

Photos from তকী শপ's post 12/05/2021

মহানবী (সাঃ) কীভাবে কাপড় ধৌত করতেন?
ইসলামী শরীয়তে কাপড় ধোয়ার নিয়ম হল, পাক পানি দ্বারা এমনভাবে কাপড় ধৌত করতে হবে যেন তাতে নাপাকি লেগে না থাকে। এর জন্য যতবার প্রয়োজন ততবার ধৌত করতে হবে। তিনবার ধুতে হবে এমন কোন কথা শরীয়তে নেই। যে কোন কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নাত। সুতরাং ধোয়ার শুরুতেও বিসমিল্লাহ বলবেন। আল্লাহু আলাম
--আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
*বিসমিল্লাহ না বলে কাপড় ধৌত করলে-*
প্রশ্ন: কাপড় ধৌত করার শুরুতে কি বিসমিল্লাহ বলা জরুরি? কেউ যদি বিসমিল্লাহ না বলেই ওয়াশ করে (কাজের লোক) তাহলে কি কাপড়টা পাক-পবিত্র হয় না?
উত্তর:
প্রতিটি কাজের শুরুতেই বিসমিল্লাহ বলা উত্তম। সুতরাং কাপড় ধোয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলার চেষ্টা করতে হবে। তবে কোন কারণে যদি বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যায় তাহলে তাতে গুনাহ নেই। আর কাপড় তখনই পবিত্র হবে যখন ধোয়ার পর তাতে আর কোন নাপাকী অবশিষ্ট থাকে না-ধোয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হোক অথবা না হোক।
পক্ষান্তরে বিসমিল্লাহ বলে যদি কাপড় ধোয়া হয় আর তাতে নাপাকী অবশিষ্ট থেকে যায় তাহলে তা পবিত্র হিসেবে গণ্য হবে না। আল্লাহু আলাম

Photos from তকী শপ's post 11/05/2021

কাপড় থেকে যে কোন দাগ তোলার সহজ এবং কার্যকরী উপায়!🔍

অসাবধানতায় কোন কাপড়ে দাগ লেগে যেতেই পারে...!এইটা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। খুব গুরুত্বপূর্ন ২০টি টিপস জেনে নিন আর স্বাচ্ছন্দ্যে তুলুন কাপড়ের যে কোন দাগ।
কাপড়ে তেল বা ঝোলের দাগ পড়লেঃ
ঝোল বা তেল লাগলে কাপড় বিশ্রী দেখায়। ভালো ভাবে পরিচ্ছন্ন না করে তুলে রাখলে তা পোকায় কাটার সম্ভাবনা থাকে। কাপড়ে তেল, ঝোলের দাগ পড়লে তা শুষে নেওয়ার জন্য ব্যবহার করুন ট্যালকম পাউডার। প্রথমে কাপড়ের দাগের ওপর একটু বেশি করে ট্যালকম পাউডার দিয়ে শুকনো অবস্থায় ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন। ঘষলে হালকা তেল, ঝোলের দাগ উঠে যাবে। এরপর সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে পুরো দাগটাই চলে যাবে। সরাসরি সাবান-পানি দিয়ে ধুলে কাপড়ে লাল দাগ হয়ে যেতে পারে।

এই পদ্বতিতে কাজ না হলেঃ
কাপড় থেকে তেল কিংবা ঝোলের দাগ তোলা বলতে গেলে অসম্ভব একটি কাজ। তেলতেলে ছোপ যেমন তোলা যায় না, তেমনই ঝোলের হলুদ-মসলার দাগও না। কী করবেন? জেনে নিন কাপড় থেকে যে কোন ধরণের তেল, গ্রিজ বা মশলার দাগ তোলার দারুণ একটি কৌশল। কী করতে হবে? কেবল দাগের স্থানে লাগিয়ে রাখবেন একটি বিশেষ পেস্ট! এই উপায়ে মোটামুটি যে কোন ধরণের কাপড় থেকেই দাগ তোলা যায়। তবে সুতি কাপড় থেকে খুব সহজে ওঠে। আবার কৃত্রিম তন্তুর অনেক কাপড় থেকে নাও উঠতে পারে। তবে তেল বা ঝোল লাগার পর কাপড় একবার ধোয়া হয়ে গেলে দাগ তোলা কষ্টের হয়ে যাবে। তাই কাপড় ধুয়ে ফেলার আগেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন। তারপর স্বাভাবিক নিয়মে কাপড় ধুয়ে নিন।
যা যা লাগবে
৩ চা চামচ বেকিং সোডা (বেকিং পাউডার নয় কিন্তু) ১ চা চামচ পানি
যা করবেন
-উপাদান দুটি মিলিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
-এরপর দাগের স্থানটি সামান্য একটু ভিজিয়ে নিয়ে সেখানে এই মিশ্রণটি ঘষে ঘষে লাগান। ব্রাশ দিয়েও ঘষতে পারেন।
-তারপর ১ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।
-দাগ পুরোটা না উঠলে আবারও পেস্ট মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখুন।
-দাগ উঠে গেলে তারপর স্বাভাবিক নিয়মে ধুয়ে নিন।

সাধারণ পরিষ্কারক দিয়ে কাপড়ের ওপরে পড়া তরকারির দাগ আপনি দূর করার চেষ্টা করতেই পারেন। তবে আরো কিছু জিনিস ব্যবহার করে দেখতে পারেন এক্ষেত্রে। এই যেমন-
ক. ভিনেগার- কাপড়ের দাগ দূর করতে ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। দুই কাপ ঠান্ডা পানির সাথে এক টেবিল চামচ সদা ভিনেগার ও এক টেবিল চামচ ডিটারজেন্ট মিশিয়ে নিন। তারপর সেটা দিয়ে তরকারির দাগ লেগে থাকা স্থানটি পরিষ্কার করুন।
খ. লেবু- কাপড় যদি হয়ে থাকে সাদা ও কটনের তৈরি তাহলে লেবুর ব্যবহারও করতে পারেন আপনি। কেবল একটি লেবু কেটে সেটা কাপড়ের দাগযুক্ত স্থানের ওপর দিয়ে হালকা করে ঘষে নিন।
গ. অন্যান্য- এছাড়াও কাপড়ের দাগ তুলতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালকোহল, গ্লিসারিন ও হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের মতন উপাদানগুলো।

লোহার দাগ:
---------
লোহার দাগ হলে কাগজী লেবুর রস ঘসে পরিষ্কার করতে হয়।পুরানো দাগে লবন ও লেবুর রস দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়।লঘু অক্সালিক এসিড দিয়েও দাগ দূর করা যায়।
কলারে দাগঃ
----------
ঘামের কারণে শার্ট বা টি-শার্টের কলারে হলদে দাগ হয়ে যায়। এই দাগ দূর করতে দারুণ কার্যকর শ্যাম্পু। যেকোনো শ্যাম্পু নিয়ে কলারে লাগিয়ে ভালোভাবে ঘষে নিতে হবে। এরপর ভালোভাবে কাপড় ধুয়ে ফেলতে হবে।

সুপের দাগ দূর করার উপায়ঃ
--------------------
সুন্দর পোশাক পরে দাওয়াতে যাওয়ার পর অনেক সময় অসাবধানতার কারণে কাপড়ে সুপ বা খাবার পড়ে দাগ লেগে যেতেই পারে। এতে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। হাতের কাছে ক্লাব সোডা বা সোডাপানীয় থাকলে তাতে একটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে দাগের উপর ঘষে নিলে দাগ অনেকটাই উঠে যাবে।

ঘাসের দাগঃ
----------------
মাঠে খেলাধুলার করতে গিয়ে বা বসে আড্ডা দিয়ে ওঠার সময় খেয়াল করলেন কাপড়ে ঘাসের দাগ বসে গেছে। এই দাগ দূর করতে বেশ কসরত করতে হয়। তবে একটি পুরানো টুথব্রাশ এবং সাদা পেস্ট ব্যবহার করেই এই দাগ দূর করা যায়। প্রথমে দাগের উপর কিছুটা টুথপেস্ট নিয়ে ভেজা ব্রাশ দিয়ে দাগের উপর ঘষে নিতে হবে। যতক্ষণ না পুরোপুরি দাগ উঠে যাচ্ছে ততক্ষণ একই প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করে যেতে হবে। এরপর সাধারণভাবে কাপড়টি ধুয়ে ফেললেই দাগ চলে যাবে।

রক্তের দাগঃ
----------------
হঠাৎ কেটে গেলে বা কোনো ক্ষত থেকে কাপড়ে রক্ত লাগতেই পারে। যা শুকিয়ে গেলে ওঠাতে বেশ বেগ পেতে হয়। ওষুধ বা কেমিকলের দোকান থেকে থ্রি পার্সেন্ট হাইড্রোজেইন পারঅক্সাইড যোগাড় করুন। প্রথমে দাগ লাগা কাপড়টি হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর নখ বা মাখন লাগানোর ছুরি দিয়ে দাগের অংশটি ঘষে নিতে হবে। এরপর আরও খানিকটা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। রক্ত শুকিয়ে যাওয়ার আগে ধুয়ে ফেললে ভালোভাবে দাগ উঠে যাবে। এছাড়া আরেকটি উপায় হচ্ছে, দাগ লাগা কাপড়টি পানিতে ভিজিয়ে দাগের উপর লবণ ছড়িয়ে দিন। ভালোভাবে ঘষে নিলে লবণ দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। এরপর সাধারণ সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় ধুয়ে ফেলতে হবে।

লিপস্টিকের দাগঃ
--------------
মেইকআপের সময় অসাবধানতায় কাপড়ে লিপস্টিকের দাগ লেগে যেতে পারে। এরজন্য একটি সাদা রুটি নিয়ে ভিতরের সাদা অংশ গুঁড়া করে নিন। তারপর রুটির গুঁড়া লিপস্টিকের দাগের উপর ঘষে নিতে হবে। একটা সময় লিপস্টিক পুরোটাই উঠে আসবে। উঠে গেলে কাপড়ে লেগে থাকা গুঁড়া ঝেড়ে ফেলুন।

গ্রিজের দাগঃ
----------------
কাপড়ে গ্রিজ লেগে গেলে দাগের উপরে কর্নফ্লাওয়ার ছড়িয়ে দিন। কিছুক্ষণ এভাবেই রাখুন যেন কর্নফ্লাওয়ার গ্রিজ শুষে নিতে পারে। তারপর কর্নফ্লাওয়ার ঝেরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেললেই হবে।

তেলের দাগঃ
---------------
মাথায় তেল দিয়ে ঘুমালে বা খাবার খাওয়ার সময় কয়েক ফোঁটা তেল পড়ে সাধের বালিশের কভার বা কাপড় নষ্ট হয়েছে। চিন্তা নেই। আছে সহজ উপাদান। বালিশের কভারে লেগে থাকা তেলের দাগ দূর করতে সাধারণ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে। পোশাকেও তাই।
এছাড়া মাথায় তেল দিয়ে ঘুমানোর সময় বালিশের উপর আলাদা একটি কাপড় দিয়ে ঘুমালে বালিশের কভারে তেলের দাগ লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
তেলের দাগ তোলার জন্য একটি টিস্যু পেপারের সাহায্যে কাপড় থেকে বাড়তি তেল শুষে নিন ভালো করে। এরপর কাপড়টি পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে এতে লিক্যুইড ডিটারজেন্ট বা ডিটারজেন্টের পেস্ট তৈরি করে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। এরপর গরম পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিন।

কালির দাগঃ
------------
কলমের কালি কাপড়ে লেগেছে! এই কালি দূর করতে অ্যালকহল ঘষে নিন। তাছাড়া একটি স্পঞ্জ দুধে ভিজিয়ে স্পঞ্জটি দাগের উপর ঘষে নিলেও কালির দাগ উঠে যাবে। কিংবা কলমের দাগ তুলতে পারেন টমেটোর রস দিয়ে। এক টুকরো কাপড়ে কাঁচা টমেটোর রস লাগিয়ে নিন। এরপর ওই কাপড় দিয়ে দাগওয়ালা কাপড়টি কিছুক্ষণ ঘষুন। এক ঘণ্টার মতো রেখে দিন। তারপর প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।। কার্পেট বা সোফায় কালির দাগ পড়লে প্রথমে দাগের ওপর অল্প তরল দুধ ঢেলে দিন। এরপর ভেজানো তুলা দিয়ে ঘষুন। কিছুক্ষণের মধ্যে দাগ উঠে যাবে।
অথবা,
কাপড়ের যে অংশটিতে বলপেনের কালির দাগ লেগেছে তাকে গ্লাসের ওপর টেনে মেলে দিয়ে ওপর থেকে অ্যালকোহল খুব আস্তে আস্তে ঢেলে দিতে হবে। এরপর পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে ঘষে তুলতে হবে। এছাড়া ঠান্ডা পানিতে লেবুর রস ও ডিটারজেন্টের মিশ্রণে ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিতে হবে। যদি সাদা কাপড়ে লাগা কালির দাগ শুকিয়ে যায় তবে ফুটন্ত গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ লবণ বা লেবুর রস লাগিয়ে মিশ্রণটিতে কাপড় ভিজিয়ে লাখতে হবে। সাথে সাথে লাগা কালির দাগ উঠাতে দুধ বা ঘোলে কাপড়টি ধুয়ে নিতে হবে।

চায়ের দাগঃ
----------------
অসাবধানতায় কাপড়ে চা পড়ে যেতেই পারে। তবে খানিকটা চিনি ব্যবহার করেই এ বেপরোয়া দাগ দূর করা যায়। খানিকটা পানিতে বেশি করে চিনি গুলিয়ে, এই পানি কাপড় বা টেবিলের যেখানে চা পড়েছে সেখানে ছড়িয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। যতটা বেশি চিনি ব্যবহার করা হবে তত জলদি দাগ উঠে আসবে। এরপর সাধারণ সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় ধুয়ে ফেলতে হবে।

রঙিন কাপড়ের দাগ তোলার পদ্ধতিঃ
------------------------------------
রঙিন কাপড় বা সিল্ক ফ্যাব্রিকের দাগ তুলতে হলে কাপড়টি বোরেঙ্ সলিউশনের মধ্যে ভিজিয়ে রাখুন। এ ছাড়া লবণ ও লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে কাপড়ের ওপর লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। ভিনেগার ও মুলতানি মাটির পেস্টও দাগ তোলার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ভেজা কাপড় দিয়ে দাগের ওপর ঘষুন। দাগ উঠে যাবে।

চা, কফি, সফট ড্রিংকস ও জুস ধরণের জিনিসের দাগ তোলার পদ্ধতিঃ
-------------------------------------------------------------------
এই ধরণের দাগ খুবই জেদী হয়ে থাকে, সহজে উঠতে চায় না। এই ধরণের দাগ লাগলে কাপড়টি ১০ মিনিট পানিতে ভালো করে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর কাপড় ধোয়ার সাবান বা লিক্যুইড ডিটারজেন্ট বা ডিজারজেন্টের পেস্ট তৈরি করুন পানির সাহায্যে। এরপর এই পেস্টটি কাপড়ের দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন। হালকা শুকিয়ে উঠলে কাপড়টি গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দাগ উঠে যাবে।

মেহেদীর দাগ তোলার পদ্ধতিঃ
---------------------------
মেহেদী লাগাতে গিয়ে কাপড়ে দাগ লেগে গেলে মন খারাপ করবেন না। পানি ও বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে দাগের উপরে দিন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। এতেও মেহেদীর দাগ অনেকটাই চলে যাবে।

চকলেটের দাগ তোলার পদ্ধতিঃ
------------------------------
চকলেটের দাগ তোলার জন্য প্রথমেই তা যতোটা সম্ভব তুলে ফেলার চেষ্টা করুন। এরপর ডিটারজেন্ট মেশানো গরম পানিতে কাপড়টি ভিজিয়ে রাখুন। যদি এরপরও বাদামী দাগ থেকে যায় কাপড়ে তাহলে পানিতে সামান্য স্যানিটাইজার মিশিয়ে আরও খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর গরম পানি দিয়েই কাপড় ধুয়ে নিন।

মেকআপের দাগ তোলার পদ্ধতিঃ
-------------------------
মেকআপের দাগ যদি কাপড়ে পড়ে থাকে তাহলে সামান্য পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাগের উপরে লাগিয়ে রাখুন। এরপর শুকিয়ে উঠলে নরম করে ঘষে তুলে ফেলুন। দাগ উঠে যাবে।

ঘামের দাগ তোলার পদ্ধতিঃ
----------------------------
ঘামের দাগ তোলার জন্য ১/৪ মগ পানিতে ৪ টেবিল চামচ বেকিং সোডা দিয়ে মিশ্রন তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি কাপড়ের ঘামের দাগের অংশে ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং একটি পুরোনো টুথব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন। ১ ঘণ্টা এভাবেই কাপড়টি রেখে মিশ্রণটি সেট হতে দিন। এরপর সাধারণ নিয়মে কাপড় ধুয়ে ফেলুন। শুকিয়ে গেলে ঘামের দাগ একেবারেই থাকবে না কাপড়ে।

সসের দাগ
----------------
প্রথমেই ঠান্ডা পানি দিয়ে জায়গাটা ধুয়ে নিতে হবে। এরপর সোডা বা একফালি লেবু দিয়ে জায়গাটা ভাল করে ঘষতে হবে। পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে শুকাতে হবে। এতেও যদি দাগ না উঠে তবে হালকা গরম পানিতে আধা চা চামচ ডিটারজেন্ট পাউডার, ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার মিশিয়ে মিশ্রণে কাপড়টি ১৫ মিনিট ভিজিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

তেল-ঘি’র দাগের জন্য
-------------------
প্রথমে জামা থেকে অতিরিক্ত তেল পেপার টাওয়াল বা টিস্যু পেপার দিয়ে চেপে চেপে শুষে নিতে হবে। এরপর বাসন ধোয়ার ডিটারজেন্ট অল্প করে মাখিয়ে নিতে হবে দাগের ওপর। ২ মিনিট পরে আরও ডিটারজেন্ট মাখিয়ে রেখে তারপর হালকা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

ফলের রস বা ওয়াইনের দাগের জন্য
-----------------------------
দাগের ওপর লবণ ছড়িয়ে দিতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে হালকা গরম পানিতে ধুতে ফেলতে হবে।

চুইংগাম লাগা কাপড়ঃ
----------------------
১। চুইংগাম লাগা কাপড়টি একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখুন। তারপর সেটির মুখ ভাল করে লাগিয়ে নিন। এবার ব্যাগটি ফ্রিজে রাখুন দুই ঘন্টার জন্য। দুই ঘণ্টা পর ব্যাগটি ফ্রিজ থেকে বের করুন। দেখবেন চুইংগাম শক্ত হয়ে গেছে এবং কাপড় থেকে সহজে উঠে আসছে। কাপড় থেকে চুইংগামটি তুলে ফেলুন।
২। চুইংগাম তুলতে লেবুর রস ম্যাজিকের মত কাজ করে। চুইংগাম লাগা কাপড়টি লেবুর রসে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে দেখবেন চুইংগাম সহজেই উঠে আসছে। তারপর কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন।
৩। মেয়েদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির অন্যতম উপাদান হেয়ার স্প্রে। এই হেয়ার স্প্রে কাপড় থেকে চুইংগাম তুলতে সাহায্য করবে। চুইংগামের উপর হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করুন। চুইংগাম শক্ত হয়ে যাবে এবং সহজে উঠে আসবে।
৪। রান্নায় ব্যবহৃত ভিনেগার দিয়ে দূর করুন কাপড়ে চুইংগাম! চুইংগাম লাগা কাপড়টি ভিনেগারে ভিজিয়ে রাখুন। চুইংগাম শক্ত হয়ে গেলে এটি তুলে ফেলে দিন।
৫। চুইংগামের উপর কিছু পরিমাণ মেয়নিজ লাগিয়ে রাখুন। এটি চুইংগাম দূর করে দেবে। তবে আস্তে আস্তে।
৬। একটি পাত্রে পানি ফুটতে দিন। পানি ফুটে আসলে গরম ভাপ কাপড়ের চুইংগামের উপর দিয়ে দিন। এভাবে এক মিনিট রাখুন। চুইংগাম নরম হয়ে আসলে আস্তে করে তুলে ফেলুন।
৭। চুইংগামের উপর কিছু পরিমাণ পিনাট বাটার লাগিয়ে নিন। এরপর একটি ভোঁতা ছুরি দিয়ে গামটি ঘষুন। পিনাট বাটারের তেল যদি কাপড়ে ছড়িয়ে যায় তবে চুইংগাম তুলে ফেলার পর পরই ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় ধুয়ে ফেলুন।

কালির দাগ তুলে ফেলার কিছু কার্যকরী উপায়ঃ
----------------------------------------------
১। কালির দাগ লাগলে সেটা ভূলেও ঘষবেন না। এতে দাগ আরও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। যেস্থানে কালির দাগ লেগেছে সেখানে সাদা টুথপেষ্ট লাগিয়ে রাখুন। ১০/ ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে সেটি ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার সময় ব্রাশ দিয়ে আলতভাবে ঘষুন। দেখবেন দাগ অনেকটাই হালকা হয়ে গেছে।
২। কালি লাগা অংশটুকু কাঁচা দুধে ভিজিয়ে রাখতে পারনে। কিছুক্ষণ পর ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আস্তে আস্তে কালির দাগ হালকা হয়ে যাবে।
৩। গ্লিসারিন সামান্য গরম করে কালির দাগের ওপর কয়েক বার ঘষুন। এরপর ভাল করে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি সম্ভব হয় কয়েক ফোঁটা অ্যামোনিয়া যোগ করতে পারেন গ্লিসারিনের সাথে।
৪। নেলপলিশ উঠানোর জন্য যে রিমুভার ব্যবহার করা হয় অনেক সময় সেটি ব্যবহারে কালির দাগ দূর করা সম্ভব।
৫। এলকোহল অনেক ভাল দাগ দূরীকরণ উপাদান। কালির দাগ লাগা স্থানটি এলকোহল দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৬। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল চুল সুন্দর করার কাজে ব্যবহৃত হেয়ার স্প্রে ও কালির দাগ দূর করে থাকে। কালির দাগের ওপর হেয়ার স্প্রে দিয়ে কয়েকবার স্প্রে করুন। তারপর শুকানোর পর ধুয়ে ফেলুন।
৭। গরম পানির মধ্যে ১/২ চা চামচ ডিটারজেন্ট, ১ টেবিল চাচমচ হোয়াইট ভিনেগার দিয়ে কালির দাগ লাগা কাপড়টি ভিজিয়ে রাখুন। প্রায় ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন।
৮। লেবুর রস অনেক সময় কালির দাগ উঠাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কালির দাগ লাগা স্থানটিতে লেবুর দিয়ে ভাল করে কিছক্ষন ঘষুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

🎯 ফলের রস কাপড়ে লেগে দাগ হলে প্রথমে গরম পানি দিয়ে, তারপর সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ফলের রসের দাগও অনেক দিনের পুরোনো হলে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
🎯 জামের রসের দাগ তোলার জন্য কখনই সাবান ব্যবহার করা যাবে না। শুধু গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে গ্লিসারিন দিয়ে দাগ তোলা যেতে পারে।

🎯 শিশুরা অনেক সময় খেতে খেতে কাপড়ে চকলেট, আইসক্রিম ফেলে কাপড়ে দাগ ফেলে। এসব দাগ সাধারণত কাপড়ে স্থায়ী হয় না। তবে দাগটা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই কাপড় সাবান পানি কিংবা ডিটারজেন্টের পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। একটু পর দাগের স্থানে ব্রাশ দিয়ে ঘষা দিয়ে ধুয়ে ফেলে রোদে শুকাতে দিলে দাগটা চলে যাবে।
🎯 সুতির সাদা কাপড়ে যেকোনো খাবারের দাগ লাগলে লিকুইড ব্লিচ দিলে দাগটা উঠে যাবে।
🎯কাপড়ে খাবারের দাগ গাঢ় হয়ে গেলে গরম পানিতে ডিটারজেন্ট কিংবা লেবুর রস মিশিয়ে দাগের স্থানে দিয়ে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পর সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে দাগটা চলে যাবে।
🎯 কাপড়ে সসের দাগ লাগলে ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

Photos from তকী শপ's post 10/05/2021

জেনে নিন ভালো মানের পোশাক চেনার উপায়!

যখনই কোনকিছু কেনাকাটা করতে হয়, সেটা পোশাক হোক কিংবা আসবাবপত্র, আমরা চেষ্টা করি সাধ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভালো জিনিসটি কেনার। আমরা অনেকেই শপিং করার সময় টাকা বাঁচাতে চাই, তাই বলে আমরা চাইনা সস্তা এবং কম টেকসই জিনিস কিনে ঘর ভর্তি করে ফেলতে।

পোশাক কেনার ক্ষেত্রে আমরা কিন্তু কম টাকা খরচ করিনা! আমাদের সংসারের বাজেটের বেশ একটা বড় অংশ পোশাক খাতে ব্যয় করি। মাঝেমাঝে এমন হয় যে আমরা অনেক বেশি টাকা খরচ করে কোন পোশাক কিনি কিন্তু সেটি এক ধোয়ার পরেই আর পরার যোগ্য থাকেনা! তাই আজ আপনাদের জন্য এমন কিছুদিন টিপস নিয়ে এসেছি যা আপনাকে ভালো কোয়ালিটির পোশাক শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।

পোশাকের একটি অংশ হাতের মুঠোয় নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ চেপে ধরে রাখতে হবে। এটি যদি কুঁচকে যাওয়া কাগজের মত দেখায় তাহলে বুঝে নিতে হবে যে এই পোশাকটির সংরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছে। এবং কয়েক ধোয়ার পরে এই পোশাকটি পরার যোগ্য থাকবে না।


পোশাকের যে অংশটি সেলাই দিয়ে জোড়া দেয়া আছে সেখানে ধরে জোরে টান দিয়ে দেখুন। যদি সেলাইয়ের সুতাগুলো সহজেই আলগা হয়ে মাঝখানে ফাঁক দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে যে পোশাকের কোয়ালিটি খুব একটা বেশি ভাল না।


জিপার এর অবস্থা দেখেও আপনি আপনার পোশাকের কোয়ালিটি বুঝতে পারবেন। যেসব জিপার মেটালের এবং দুই পাশের স্ট্র‍্যাপ দিয়ে ঢাকা সেগুলো ভালো কোয়ালিটির পোশাক। খোলা প্লাস্টিকের জিপার সাধারণত ভালো কোয়ালিটির পোশাকে থাকে না।


জামা কাপড়ের নিচে যেসব হেম সেলাই দেয়া থাকে, সেগুলোর একটি স্ট্যান্ডার্ড মাপ রয়েছে। প্যান্ট এবং স্কার্টের নিচে যে হেম সেলাই থাকে সেটি প্রস্থে ৪ সে.মি। হওয়াটাই স্ট্যান্ডার্ড মাপ। ব্লাউজ এবং শার্টের ক্ষেত্রে সেটি ২ সে.মি। যদি কোন পোশাকের নিচে হেম না থাকে অথবা খুব সাধারন ভাবে সেলাই করা থাকে, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে আপনি হাতে একটি লো কোয়ালিটির পোশাক হাতে ধরে আছেন।


যেসব পোশাক স্ট্রেচ করে অর্থাৎ টানলে বড় হয় সেসব পোশাক হাতে নিয়ে একটু জোরে টান দিয়ে দেখুন। ভাল কোয়ালিটির পোশাক যেকোনো অবস্থা থেকে এর আগের অবস্থায় ফিরে যেতে সক্ষম। যদি টান দেয়ার পরে আপনার পোশাকের ফেব্রিক টি ঢিলে হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে পোশাকটি ভাল কোয়ালিটির নয়।


যে কোন পোশাকে সেলাই এর আকৃতি, সুতার রং অবশ্যই একই রকম থাকবে। সেলাই এর আকৃতি এবং সুতার রঙ ভিন্ন হলে বুঝতে হবে যে, খুব তাড়াহুড়ার মধ্যে পোশাকগুলো তৈরি করা হয়েছে। এবং সে পোশাক না কেনাই ভালো।


খারাপ কোয়ালিটির পোশাকে সাধারণত ছোটছোট ব্যাপারগুলোকে তেমন পাত্তা দেয়া হয়না। কিন্তু ভাল মানের পোশাকে খুব ছোট ডিটেলগুলোর ব্যাপারে নজরদারি করা হয়। সবসময় পোশাক কেনার ক্ষেত্রে বোতামের ঘরগুলো চেক করুন। যদি ঘরগুলো সুন্দর পরিপাটি ভাবে করে দেয়া থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এটি একটি ভালো মানের পোশাক।

যে কোন ভালো পোশাকে জিপারের শেষ দিকের আকৃতি থাকবে একেবারে সমান।

Photos from তকী শপ's post 09/05/2021

সুতি কাপড় চেনার সহজ উপায়

সুতি কাপড়ের চাহিদা অন্য সব কাপড়ের চাইতে বেশি । পরে আরাম ও বেশি । ঈদ যেহেতু প্রচন্ড গরমে তাই ঈদের কেনাকাটায় সুতি পোষাকের প্রাধান্য থাকবে । সুতরাং কেনার পূর্বে ও পরে জেনে নিন কাপড় কিংবা পোষাকটি সূতি কিনা:

১ম পরীক্ষা:
আপনার পছন্দের যে কাপড় কিংবা পোষকটি কিনবেন বলে মনস্থির করেছেন তার অল্পকিছু অংশ মুচড়ে ছেড়ে দিন । যদি মুচড়ানো, ভাঁজপড়া অংশটি ছেড়ে দেওয়ার পর আগের মুচড়ানো, ভাঁজপড়া অবস্থা বজায় থাকে তাহলে বুঝতে পারবেন কাপড়/পোষাকটি সূতি । পিওর কটন তথা সূতি কাপড়ের কাঁচামাল ফাইবার বা আশ এর ইলাস্টিসিটি তথা স্থিতিস্থাপকতা কম । যে কারনে একবার শেইপ চেঞ্জ হলে কিংবা ভাঁজ পড়লে আগের ভাঁজহীন অবস্থায় ফিরে আসতে পারে না ।

২য় পরীক্ষা:
কাপড়ের এক কোনা হতে অতি ক্ষুদ্র অংশ কেটে নিয়ে আগুনে পোড়ান । পোড়া অংশ যদি ছাইয়ের মত হয়ে যায় তবে নিশ্চিত যে আপনার ক্রয়কৃত কাপড়টি সুতি ।

৩য় পরীক্ষা:
কাপড়টি সূতি কিনা বুঝবার জন্য কাপড়ের লম্বালম্বি (দৈর্ঘ বরাবর) এবং আড়াআড়ি (প্রস্থ বরাবর) দিক হতে একটি সুতা বের করে নিন । সূতা দুটিকে পৃথকভাবে টেনে ছেঁড়ার চেষ্টা করুন । সুতাগুলি কটন বা সুতি হলে একটানে সহজেই ছিঁড়ে যাবে । সুতি না হয়ে পলিয়েস্টার হলে ছিঁড়ে না গিয়ে ফিলামেন্টের মতন লম্বা হবে ।

সুতি কাপড়ের আশ সাধারণত ১ থেকে ১.৫ ইঞ্চি লম্বা হয় যা টুইস্ট তথা পাক দিয়ে দিয়ে সূতা বানানো হয় । গ্রামে কৃষকদের খড় টুইস্ট তথা পাক দিয়ে দিয়ে দড়ির মত তৈরি করে খড়ের বোঝা বাধতে দেখেছেন নিশ্চয় । কটন তথা সুতি সুতাও স্পিনিং মিলে মেশিনে টুইস্ট দিয়ে তৈরি করা হয় । বিপরীতে পলিয়েস্টার সুতা দৈর্ঘ্যে অনেক লম্বা হয়ে থাকে, আর টুইস্টও থাকে না । অনেকটা কলা গাছের আশের মত ।

08/05/2021

পোশাকে রুচি ও শালীনতা
মাওলানা এসএম আনওয়ারুল করীম : দেহ ও মানসিকতার ওপর পোশাকের প্রভাব অবশ্যম্ভাবী। নিজে রুচিসম্মত পোশাক পরার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদেরও রুচিসম্মত ও আরামদায়ক পোশাক পরতে দিন।
মৌলিকভাবে পোশাকের তিনটি উদ্দেশ্য থাকে। যথা- ১. আব্রু ঢাকা, ২. রোগজীবাণু কিংবা ক্ষতিকর উপাদান থেকে শরীরকে রক্ষা করা, ৩. শরীরের সৌন্দর্য বিকশিত করা। পোশাকে যাতে এ তিনটি উদ্দেশ্য অর্জিত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আঁটসাঁট পোশাক পরা উচিত নয়। স্বাস্থ্যগত কারণে পোশাক ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক হওয়া উচিত। আঁটসাঁট পোশাক স্বাস্থ্যের জন্য বেমানান ও ক্ষতিকর। এতে শরীরে পর্যাপ্ত বাতাস প্রবেশে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় এবং শরীর ও বাইরের আবহাওয়া একই ধরনের গরম হয়ে থাকে। ফলে শরীর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
রং ও আলো বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন, সাদা পোশাক হলো ক্যান্সার থেকে প্রতিরক্ষার সর্বোত্তম ওষুধ। এমনকি বিশেষজ্ঞগণের মতে, সাদা পোশাক পরিধানকারী ব্যক্তি ঘামের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ও ছোতো রোগের ন্যায় মারাত্মক ব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে পারে।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভদ্র ও মার্জিত পোশাক হলো সাদা পোশাক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যে কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের শালীন পোশাক হলো সাদা রঙের ফুল হাতার পোশাক। চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ চর্ম, এলার্জি এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের সর্বদা সাদা পোশাক পরিধানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ক্রোমোপ্যাথি নীতি অনুযায়ী সাদা পোশাক মস্তিষ্ক, হৃদপি- ও চর্মের সংরক্ষক।
এ কারণেই বিশ্বজুড়ে ডাক্তারগণ তাদের পোশাকের ওপর সাদা রঙের অ্যাপ্রোন পরিধান করে থাকেন। প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সাদা পোশাককে বেশি পছন্দ করতেন এবং তিনি অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাদা পোশাক পরিধান করতেন।
আমাদের দেশে সুতি, রেশমি, পলিয়েস্টার, উলেন, নাইলন নানা ধরনের কাপড় পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশের আবহাওয়ায় সুতি কাপড়ই বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। সুতি কাপড় সব মৌসুমেই পরা যায়। সেই সাথে গরমের দিনে সুতি কাপড় শরীরের ঘাম শুষে নেয়। সাদা কাপড় পরিধান করা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। তিনি যেমন ছিলেন উম্মতের রূহানী চিকিৎসক, তেমনি ছিলেন শারীরিক চিকিৎসকও। নানা উপকারিতার প্রতি লক্ষ্য রেখেই তিনি সাদা পোশাকের প্রতি উৎসাহিত করেছেন।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে সুতি পোশাকের কী কী উপকারিতা রয়েছে এবং অন্যান্য পোশাকে কী কী অপকারিতা রয়েছে তা জানা থাকলে সুন্নাত অনুযায়ী আমল করার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। সুতি পোশাকের কয়েকটি উপকারিতা হলো
১. কারো শরীরে যদি আগুন লেগে যায় তাহলে শরীরে সুতি পোশাক থাকলে তাতে ক্ষতি কম হয়।
২. সুতি পোশাক গরম সহিষ্ণু হয় আর উষ্ণ দেশসমূহে অন্য কোনো সুব্যবস্থাই নেই।
৩. চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা গেছে, যে শরীরে সুতি পোশাক থাকবে সে শরীর চর্ম রোগে আক্রান্ত হবে না। কেননা পলিয়েস্টার কিংবা নায়লন সুতার পোশাক শরীরের সঙ্গে ঘর্ষণে তীব্র গরম হয়ে যায়। আর এর তাপ শরীরের তাপের সাথে মিশে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে চর্ম রোগের সৃষ্টি হয়।
৪. সুতি পোশাক দেহের তাপের ভারসাম্য রক্ষা করে। যা দ্বারা চর্ম রোগ ও মানসিক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৫. পলিয়েস্টার কাপড়ের পোশাক দুটি মারাত্মক ব্যাধির সৃষ্টি করে। একটি হলো মহিলাদের লিকোরিয়া আর অপরটি হলো পুরুষদের যৌন রোগ।
পোশাক পরার আগে অবশ্যই সেটি ঝেড়ে নেয়া উচিত। কারণ সংরক্ষিত পোশাকে কোনো বিষাক্ত পোকামাকড় থাকতে পারে। জামা কাপড় ডানদিক থেকে পরিধান করা সুন্নত ও ভদ্রতার পরিচায়ক। প্রথমে ডান আস্তিন, তারপর বাম আস্তিন গায়ে জড়াবেন।
অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ পোশাক থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ অশালীন ও অভদ্রোচিত পোশাক দিল-দেমাগে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে। ইদানীং আমাদের সমাজে রুচিহীন পোশাকের ছড়াছড়ি চলছে। পোশাকের দ্বারা অনেকাংশে ছেলে নাকি মেয়ে তা চেনাই যায় না। পুরুষের প্যান্ট-শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, গেঞ্জি, টি-শার্ট মেয়েরা কিংবা মেয়েদের চুড়ি, দুল, লম্বা জুটিওয়ালা চুল, ওড়না ছেলেরা অবলীলায় পরে বেড়ায়। আবার অনেকে এ পরিবর্তনকে তথাকথিত আধুনিক বলে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে। এসব বিজাতীয় সংস্কৃতি ও বিধর্মী কালচার। এহেন গর্হিত অনুকরণ থেকে প্রত্যেকের দূরে থাকা উচিত।
ষ লেখক : আলোচক, বাংলাদেশ বেতার; সাবেক অধ্যাপক, হাজীগঞ্জ মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজ

Photos from তকী শপ's post 08/05/2021

তকী শপ একটি বিশ্বস্ততার নাম।এখানে আপনারা পাবেন পছন্দ অনুযায়ী সব বয়সের মানুষের থ্রি পিস, র্টিশার্ট,পাঞ্জাবি, শাড়ি ১০০% রং গ্যারান্টি।ছবিতে যেমন দেখবেন ইনশাআল্লাহ সেই রকম পাবে।যদি ভিন্নতা পান তাহলে আমরা ফেরত নিতে প্রস্তুত।আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন এই কামনায় করি

Photos from তকী শপ's post 06/05/2021

যেভাবে সুতি কাপড়ের যত্ন নিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে

আরামদায়ক পোশাক পরতে হলে সুতি কাপড়ের বিকল্প নেই। কারণ সুতি হলো প্রাকৃতিক ফেব্রিক। তুলা থেকে তৈরি হয় সুতা। এরপর ওই সুতা থেকে তৈরি হয় সুতির পোশাক। তাই এই ফেব্রিকের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।

সুতি কাপড় ধোয়া থেকে শুরু করে ভাঁজ করা পর্যন্ত নিয়ম মানা জরুরি। না হলে কাপড়ের আয়ু কমে যায়। এটির বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সুতি কাপড়ের যত্ন নেবেন কীভাবে?

সুতি কাপড় ধোয়ার উপায়

>> সুতি কাপড়ের ফেব্রিক খুব সহজেই ছিঁড়ে যায়। তাই ঘঁষে ঘঁষে সুতির পোশাক না ধোয়াই ভালো।

>> প্রচণ্ড গরম পানিতেও কখনো ভেজাবেন না সুতির পোশাক। এতে পোশাকের রং নষ্ট হয়ে যাবে।

>> একটি সুতি কাপড় পরিধান করার একমাস পর ধোবেন না। পরার পরপরই ধুয়ে শুকিয়ে ভালোভাবে রেখে দিন।

>> যদি একবার পরেই কাচতে না চান, তবে তাকে রোদে দিতে হবে অবশ্যই। অন্তত এক ঘণ্টা রোদে দেবেন।

>> যদি সুতির পোশাকে কোনো দাগ হয়ে যায়, তবে আগে তা আলাদা করে তুলে নিন। তারপর সম্পূর্ণ জামাটি পরিষ্কার করুন।

>> সুতির পোশাকে আপনি মাড় দিতেই পারেন। তবে মাড় দেওয়ার পরই পানি ঝরিয়ে নিন।

শুকানোর সময় যা করবেন

>> খুব টানটান করে সুতির পোশাক মেলবেন না।

>> পানি ঝরিয়ে নিয়ে সুতির পোশাক মেলুন।

>> চড়া রোদে সুতির পোশাক দেবেন না। হালকা রোদে বা ছায়ায় সুতির পোশাক মেলবেন।

ইস্ত্রি করার সময় করণীয়

>> প্রথমে পোশাক উল্টে নিয়ে ইস্ত্রি করে তারপর সোজা পিঠে করুন।

আলমারিতে রাখার সময় করণীয়

>> পরিধান করার পর ভালোভাবে রোদে না শুকিয়ে বা ধুয়ে সুতির পোশাক কখনো ভাঁজ করে আলমারিতে রাখবেন না।

>> সুতির কাপড় আলমারিতে রাখার পর ওই স্থানে কিছু কালোজিরা দিয়ে রাখবেন। এতে পোশাক ভালো থাকবে। পোকা-মাকড় কাপড়ের ধারে-কাছে আসবে না।

Want your business to be the top-listed Clothing Store in Tangail?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

বারসিসা- আল্লাহভীরু থেকে শয়তানকে সিজদাহকারী
রাসূল (সাঃ) এর কুটনৈতিক বুদ্ধিমত্তা
😥😥😥

Category

Telephone

Website

Address


Tangail Sodor
Tangail

Other Clothing Stores in Tangail (show all)
মানহা-Manha Collections মানহা-Manha Collections
Tangail Sadar
Tangail, 1900

Emran BD Shop Emran BD Shop
Tangail

Best online products seller. Please connect, support and trust us for good quality products

Tuba Fashion Tuba Fashion
Tangail, 1900

Gshopperlove Store Gshopperlove Store
Dhaka Road
Tangail, 1900

Linying County Handong Trading Co., LTD focuses on daily necessities to bring you a better experience

D-well / ডি-ওয়েল D-well / ডি-ওয়েল
ChotoKalibari, 822 , RR Complex (opposite Of ChotoKalibari Mondir)Tangail
Tangail, 1900

You will find everything related to fashion including fashion accessories, clothes, shoes on this page. Here you will find all kinds of fashionable accessories for boys and girls a...

Dorji Hut Dorji Hut
Ag-Chamary, Fatepur, Mirzapur
Tangail, 1944

We made all kinds of Bangladeshi mens panjabi. This punjabi very soft and reasonable prize.

Naya Piran Naya Piran
Nallapara Bazar, Delduar
Tangail, 1910

NAYA PIRAN is the best Fashion House in Nallapara Bazar, Delduar, Tangail. We sell readymade dresses of all categories for Gents, Women and Kids.100% quality ensured product.We hav...

Akrity Sohel Akrity Sohel
Saudia Shopping Center, Maszid Road
Tangail, 1900

JS T-Shart Brand JS T-Shart Brand
Tangail, 1973

Sompa Fasion House Sompa Fasion House
Charpara, Delduer
Tangail

Its a fasion house in tangail city. Its provide best & traditional quality,s sharee & three pics.

ড্রেস মিউজিয়াম- Dress Museum ড্রেস মিউজিয়াম- Dress Museum
Karatia
Tangail, 1900

টাংগাইলের তাঁতের শাড়ির সমাহারে স্বাগতম