পবিএ প্রেম ও ভালবাসা%লিখবে তুমি,পড়বে সবাই
স্বাগত = Welcome
অামাদের সাথেই থাকুন= You stay with a
ঘাটাইল উপজেলার গ্রামগুলোর নামের তালিকাঃ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা মোট ১৪টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা, ৪২৭টি গ্রাম ও ৩০৬টি মৌজায় বিভিক্ত। ইউনিয়নগুলো হলো, ১নং দেউলাবাড়ী, ২নং ঘাটাইল, ৩নং জামুরিয়া, ৪নং লোকের পাড়া, ৫নং আনেহলা, ৬নং দিঘলকান্দি, ৭নং দিগড়, ৮নং দেওপাড়া, ৯নং সন্ধানপুর, ১০নং রসুলপুর, ১১নং ধলাপাড়া, ১২নং সংগ্রামপুর, ১৩নং লক্ষিন্দর এবং ১৪নং সাগরদিঘি।
১৯৮৪ সালে উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ৪৫১.৩০ বর্গকিমি এবং ৪১১টি গ্রাম ও ১৭টি মহল্লার ঘাটাইল বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। যা ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এটি ঢাকা বিভাগের অধীন টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং টাঙ্গাইল জেলার উত্তরে অবস্থিত। ঘাটাইল উপজেলার উত্তরে গোপালপুর ও মধুপুর উপজেলা, দক্ষিণে কালিহাতি ও সখিপুর উপজেলা, পূর্বে ফুলবাড়িয়া ও ভালুকা উপজেলা, পশ্চিমে ভুঞাপুর ও গোপালপুর উপজেলা। ঘাটাইলের উপর দিয়ে বংশাই, ঝিনাই ও লৌহজং নদী নামে তিনটি নদী প্রবাহিত হয়েছে। নিচে ইউনিয়ন ও পৌরসভা ভিত্তিক গ্রাম ও মহল্লার নামের তালিকা দেওয়া হল।
ঘাটাইল পৌরসভা : চান্দশী (উ. ও দ.), জয়নাবাড়ী, ভানীকাত্রা, বানিয়াপাড়া (উ. ও দ.), ঘাটাইল (উ., দ., মধ্য ও প.), খরাবর, তেলেঙ্গাপাড়া, ফতেরপাড়া, চতিলা, রতনপুর, ধারিয়াল, পলাশতলী, শান্তি মহল, শান্তিনগর, সবুজবাগ।
১নং দেউলাবাড়ী ইউনিয়ন : দেউলাবাড়ী, রতন বরিষ, চকপাড়া, খিলগাতী (উ. ও দ.), নুচিয়া মামুদপুর, মুখ্য গাঙ্গাইর, আইনপুর, কুতুবপুর, টোলাজান, দার পোটল, পাকুটিয়া (পূ. ও প.), বাহাদীপুর, সন্তোষপুর, হাড়বাড়ী, রামজীবনপুর, রামচন্দ্রপুর, ঝুনকাইল, পানজানা, চৈথট্ট, রসুলপুর, নাগবাড়ী, পোড়াবাড়ী, বন্দকুলিয়া, হাজীপুর, কোলাহা, দয়াকান্দি, পোয়া কোলাহা, ফুলহারা, বানিবাড়ী, নহর আটা।
২নং ঘাটাইল ইউনিয়ন : নরজনা, রামপুর, রৌহা, কাজীপাড়া, নিয়ামতপুর, কুলিয়া, বিরাহিমপুর, করিমপুর, চুহালিয়াবাড়ী, শিমলা, কান্দুলিয়া, খিলপাড়া, কাইতাই, বাইচাইল (উ. ও দ.), দড়ি চৈথট্ট, মজমপুর, আন্দিপুর, কমলাপাড়া, জামালপুর, শাহাপুর।
৩নং জামুরিয়া ইউনিয়ন : গালা, শংকরপুর, শরীফবাড়ী, ছুনটিয়া, বেতবাড়ী, হাতীবর, কৈডলা, জামুরিয়া, নন্দনগাতী, পুংলী, হেলনাপাড়া, কোনাবাড়ী, ডৌজানী, রাধানগর ফুলহারা, সাধুর গলগণ্ডা, মোমরেজ গলগণ্ডা, শ্রীপুর ফুলহারা, অষ্ট চল্লিশা, নবরত্নবাড়ী, বেনী মাধব, কর্ণা, কোচবাড়ী কর্ণা, কোনাবাড়ী কর্ণা, মধ্য কর্ণা, অলিপুর, এনায়েতপুর, কালিদাসপাড়া, গুণগ্রাম, বীর ঘাটাইল, স্বল্প কর্ণা, হরিপুর, চান তারা, লাউয়া গ্রাম, কাত্রা, কিসমত কাত্রা, বীর খাগিয়ান।
৪নং লোকেরপাড়া ইউনিয়ন : লোকেরপাড়া, লোকেরপাড়া উত্তর, আথাইল শিমুল, মনোহরা, দশানী বকশিয়া, ছয়ানী বকশিয়া, চর বকশিয়া, গর্জনা, চর বীরসিংহ, বীরসিংহ, রূপের বয়ড়া, গৌরীশ্বর, পাঁচ টিকড়ী (উ., দ. ও মধ্য), বিল গৌরীশ্বর।
৫নং আনেহলা ইউনিয়ন : গৌরঙ্গী (উ. ও দ. পাড়া), ফুলহারা, সাংগাইলা পাড়া, একাশী, চরপাড়া, খায়েরপাড়া, হাট কয়ড়া, আনেহলা, হোসেন নগর, ডাকাতিয়া, পাড়াগ্রাম, মাকেশ্বর, সাইটশৈলা, বগাজান, সিঙ্গুরিয়া, চেংটা, যোগীহাটি, শিমলাকান্দী, ডাকিয়া পটল, বাইশকাইল, পাটিতাকান্দি
৬নং দিঘলকান্দী ইউনিয়ন : কোলাহা, দত্তগ্রাম, মাদারীপাড়া কামালপুর, ইনায়েতবাড়ী, ঘুনী, দড়ি বীরচারী, করবাড়ী, বেংরোয়া, সাধুটি, কোকডহরা, চান্দেরপাড়া, বসুবাড়ী, বাদে বৈল তৈল, বীরচারী, কাইজালীপুর, কুরমুশী, শেখ শিমুল, সাইটাপাড়া, মনিদহ, কাগমারী বৈল তৈল, জোতনশর, পুখুরিয়া বৈল তৈল, পূর্ব দত্তগ্রাম, বেলদহ, মোগলপাড়া, মেঘ শিমুল, পারশী, আনার, উপলদিয়া, দিঘলকান্দী, বিয়াড়া, আড়ালিয়া, নাটশালা, মুজাহাটি, কালিয়া গ্রাম, বাদে পারশী, সালেংকা, তেরবাড়ীয়া, পুরুলী মাইজবাড়ী, বাগুনডালী, ভদ্রবাড়ী, মাইজবাড়ী, মিলকুড়িয়া।
৭নং দিগড় ইউনিয়ন : ধোপাজানী, নজুনবাগ, ব্রাহ্মণশাসন, দিগড়, কচিমধরা, গারট্র, গোবিন্দপুর, মশাজান, আঠারদানা, গোলামগাতী, গোসাইবাড়ী, ভদ্রবাড়ী, হামিদপুর, কাশতলা, বাজে ডাবৈর, কৈডলা, পাকুটিয়া, বাগুন্তা, মেদেনীপাড়া, ঢালুয়াবাড়ী, করের দেওনাপাড়া, গোবিন্দেরপাড়া, চৌধুলীপাড়া, জগতেরপাড়া, দেওনাপাড়া, নারাংগাইল, কাছড়া, অর্জুন কাছড়া, তেঘুরী, দুলাল, নয়াবাড়ী, পুরলী হাসন, ফুলবাড়ী, মানাজী, গুণদত্ত, গুশূয়া, ছামনা।
৮নং দেওপাড়া ইউনিয়ন : সরাশাক, কালিকাপুর, কোচপাড়া, পাঞ্জারচালা, শিবেরপাড়া, বাদে আমজানী, তালতলা, দেওপাড়া, কালিয়ান, গান্দী, চাম্বলতলা, রহমত খার বাইদ, রানাদহ, চৈতার বাইদ, মলাজানী, যুগিয়া টেঙ্গর, কুমারপাড়া, গানজানা, মাকড়াই, মাকড়াই ভবানী, মালেংগা, গণ্ডঘোষ, চৌরাশা, কোচক্ষিরা, কাপাসিয়া, বারইপাড়া, ভোজদত্ত, হরিণাচালা, কান্দুলিয়াপাড়া, করিমের পাড়া, কাকুরিয়া, কালু কাছড়া, খামার কাছড়া, দেলুটিয়া, ভাগলের পাড়া, ভাবনদত্ত, ঘোড়া মারা, বানীভাসা।
৯নং সন্ধানপুর ইউনিয়ন : গড় জয়নাবাড়ী, গৌরীশ্বর (২ ও ৪ নং ওয়ার্ড অংশ), শুকনী, ভাটপাড়া, চৌডাল, সন্ধানপুর, মোনারপাড়া, ইসলামপুর, চিংগীবাইদ, সাতকোয়াবাইদ, সাপুয়াচালা, নয়নচালা, টেপিকুশারিয়া, বিদুরিয়া, কুশারিয়া (৫নং ওয়ার্ড অংশ), পাড়া কুশারিয়া, গুয়াগম্ভীর, কোকরবাড়ী, কুড়িপাড়া, বিন্নী আটা, গিলাবাড়ী, মিরপুর, পলাশতলী, চকদিয়াবাড়ী, দিয়াবাড়ী, সিকিবাইদ, চুনাটী, রামখালী, রামপুর, হাজীপুর, চকপাড়া, বিলদুবলাই।
১০নং রসুলপুর ইউনিয়ন : ধলূয়া, হামকুড়া, রসুলপুর, দিলদারপুর, মমিনপুর, গড়ানচালা, ঘোনার দেউলী, চান্দের দেউলী, খুপিবাড়ী পটল, বিল আঠারচোড়া, চকটানকরাকৈর, পেচারআটা, মাহব, রঘুনাথপুর, খুপি আটা (মাটি আটা), করবাড়ী, শালিয়াবহ সাপটার বাইদ, চিরিংচালা, ফরিদা আটা, জাঙ্গালিয়া, শালিয়াবহ, ঘোড়ার টেকী, সরাবাড়ী, আথেক্কাপাড়া, টানকরাকৈর, মধ্যপাড়া, কাঠালিয়া আটা।
১১নং ধলাপাড়া ইউনিয়ন : বিলজলঙ্গী, কোনাবাড়ী, সাফাকোট, ভর করা কৈর, পূর্বপাড়া, মেধার, মধ্যপাড়া, ধলাপাড়া (উ. ও দ.), নামাপাড়া, হিন্দুপাড়া, সরিষাআটা, টানপাড়া, গাঙ্গাইর (উ., দ. ও মধ্য পাড়া), ঘোনাপাড়া, বন্যাপাড়া, চকপাড়া, নোয়াপাড়া, শহর গোপিনপুর আষাড়িয়া চালা, দিঘলিয়া চালা, শামচালা, তেঁতুলিয়া চালা, বেউলাতৈল, চাম্বলচারী বটতলা, শহর গোবিন্দপুর, ইউনিনের চালা, ভূইয়ার চালা, পরপাশা, মোথাজুড়ি, সিড়ির চালা, ভবানীপুর, সুন্দর ফকির, রামদেবপুর নামাপাড়া, রামদেবপুর আষাড়িয়া চালা, টানপাড়া, জোয়ালভাঙ্গা, হেঙ্গারচালা।
১২নং সংগ্রামপুর ইউনিয়ন : বগা, সত্তুরবাড়ী, খাগরাটা, ছনখোলা, নলমা, টেপীমদন গোপাল, বেলুয়াটিকী, বোয়ালীচালা, কড়ালিয়া, এগারকাহনিয়া, মূলবাড়ী, ফুলবাড়ী, দেওজানা, ফকিরচালা, বড়চালা, বেউলাচালা, কাউটেনগর, বোয়ালীহাটবাড়ী, চাম্বুলিয়া, চাপড়ী, লাহিড়ীবাড়ী, ফসল, আমুয়াবাইদ, কামারচালা, খোপিবাড়ী, মানিকপুর, সংগ্রামপুর।
১৩নং লক্ষিন্দর ইউনিয়ন : মুরাইদ, সিংহেরচালা, দুলালিয়া, শাপলাপাড়া, সিদ্দিখালী, খাজনাগড়া, মধুপুরচালা, চারিয়া বাইদ, কাজলা, বাসাবাইদ, আকন্দের বাইদ, হারংচালা, লক্ষিন্দর, ফাইটামারী, বাগাড়া, কাইকারচালা, বেইলা, মনতলা, সুক্তার বাইদ, তালতলা।
১৪নং সাগরদিঘী ইউনিয়ন : কামালপুর, পাগারিয়া, উত্তরপাড়া, দক্ষিণ পাড়া, মালিরচালা, চুলাবর, গাবতলী, গরবান্দা, ইছালীপাড়া, বিয়ালপাড়া, জোড়াদিঘী, গোয়ারিয়া পাড়া, বড়চালা, তেবাইতেপাড়া, সাগরদিঘী, করিমগঞ্জ, হাতীমারা, নয়াপাড়া, বড়বাইদ, জালালপুর, বেতুয়াপাড়া, গুপ্তবৃন্দাবন, শোলাকুড়া।
সংগ্রহ : মো. শাহীদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বিঃ দ্রঃ বাদ পড়া গ্রামগুলোর নাম কোন ইউনিয়ন বা পৌরসভায় কমেন্টে জানাবেন।
Stay alert
৪০ ডলার দিয়ে ছেলের জন্য খেলনা ড্রোন অর্ডার করেছিলাম আলি এক্সপ্রেসে। কাস্টমস এ আটকা পড়েছিল ঈদের আগে। আজকে ছাড়াতে গিয়েছিলাম, বিশ টাকার রাজস্ব স্ট্যাম্প চাইলো পাঁচশো টাকা, দামাদামি করে দিলাম আড়াইশো টাকা। এরপর ভোটার আইডি আর আবেদনসহ পাঁচ নম্বর কামরা থেকে গেলাম ছয় নম্বর কামরায়।
সেখানে মুরুব্বি বললেন, "একটু বসেন।"
এত সুন্দর আচরণ করলেন, মনে হলো নেহাতই ভালো লোক। আশ্বস্ত হলাম; মনে হলো এই লোক থাকতে আর কোন চিন্তা নাই। পনের বিশ মিনিট পর পিয়ন আসলে উনাকে দিয়ে আমার বক্সটা খোঁজে বের করলেন। আমাকে বললেন পাঁচ নম্বরে গিয়ে কর্মকর্তা কে ডেকে আনতে। উনি বক্স খোলে দেখবেন ভেতরে কী আছে। কর্মকর্তাকে ডেকে আনলাম, বক্স খোলা হলো। দেখে সাইন করে চলে গেলেন, আমিও সাইন করলাম।
আমি ভাবলাম, মামলা শেষ। একটু আগে যিনি বলেছিলেন, "আপনার কি টাকা বেশি হইছে? কেন এদেরকে টাকা দেন? সরকার বেতন দেয় না আমগো?" তিনিই পিয়নকে খাম্বার আড়ালে পাঠালেন।
চাচায় বললো, "কিছু খরচাপাতি দেন।"
আমি বললাম, "নগদ টাকা নাই আপনার বিকাশ নম্বর দেন।"
পাশ থেকে মুরুব্বি বললেন, "বিকাশে নিও না, পরে ঝামেলা হবে।"
পিয়ন চাচায় আমাকে বললেন, "মাল তো আমাদের এখান থেকে দেয়ার নিয়ম নাই, আপনি পাঁচ নম্বরে গিয়ে কথা বলেন; মাল পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে আপনার কাছে চলে যাবে।"
পাঁচ নম্বরে গেলাম, উনি বললেন, "এটা তো ড্রোন কিন্তু আমি খেলনা লিখে দিয়েছি খাতায়, তারপরও আপনি এটা পাবেন কি না নিশ্চিত হতে আমার স্যারের সাথে কথা বলতে হবে।"
আমাকে নিয়ে গেলেন উনার উর্ধ্বতনের কাছে। বড় অফিসার বললেন, "এটার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে, আর যদি খেলনা ড্রোন হয় তবুও দেড়শো টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা ছাড়া ছাড়পত্র দেয়া যাবে না।"
একটু পরে বুঝলাম যে আসলে উনাদের কিছু টাকার দরকার, কিন্তু আমাকে সরাসরি বলতে পারছেন না; আর আমিও জীবনে কখনো শিখি নাই কিভাবে টাকা অফার করতে হয়! একবার পুলিশে চৌরাস্তার মাঝখানে হোন্ডা আটাকায়া টাকা চাওয়ার পর আমি রাস্তার মাঝে টাকা দিতে যাওয়ার পর যে ধমক খাইছিলাম! পরে চিপায় নিয়ে টাকা নিয়েছিলো।
এ্যানিওয়ে, আমি ড্রোনের আশা ছেড়ে দিয়ে মনের সুখে পুরানা পল্টনে বসে নান্না বিরিয়ানি খাচ্ছি, এমন সময় অচেনা নম্বর থেকে কল আসলো।
ওপাশ থেকে বললেন, "আমি আপনার দেশি লোক, আপনার মালের ব্যাপারে আপনাকে হেল্প করতে পারবো। দেখা করেন।"
খাওয়া শেষ করে আবার গেলাম, ডাক অফিসে। পিয়ন কাকায় এগিয়ে এসে বললেন, "আপনার মাল আমি এখান থেকেই ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারবো, কিছু পয়সা কড়ি খরচ করতে হবে।"
জিজ্ঞেস করলাম, "কত?"
উনি বললেন, "পনের হাজার।"
"এই ড্রোনের দাম কত জানেন? মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা। অলরেডি গাড়িভাড়াসহ আমার আটশো টাকা খরচ হয়ে গেছে। এই সাড়ে তিন হাজারের জন্য আরও পনের হাজার দিমু? তার চাইতে বাইরে গিয়ে বারশো টাকায় আরেকটা খেলনা ড্রোন কিনে বাসাই চলে যাই!"
"এত কমদামি ড্রোন কেউ বিদেশ থেকে আনে না, আপনি কত দিতে পারবেন?"
"একশো টাকা। সর্বোচ্চ আর দুইশো টাকা দিতে পারবো।"
চাচায় কিছুটা হতাশ হলেন কিন্তু আমার মালটাও দিলেন না।
আমি যদি এই দেশ ছেড়ে কখনো চলে যাওয়ার সুযোগ পাই, তবে অবশ্যই চলে যাবো। এবং দেশ ছাড়ার কারণ হিসেবে আজকের এই হয়রানিই যথেষ্ট।
(Copy post)
মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রাপ্ত একজন কয়েদি আর তাঁর প্রার্থণার শক্তিঃ
খাবার দিতে গিয়ে দেখি উনি সেলের এক কোনে জায়নামাজে বসে আছেন। পায়ের শব্দে চোখ উপরে তোলেন। অশ্রুসজল চোখ। শান্ত স্বভাব। ধীর স্থির।
মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত আসামীদের এই সেলে নিয়ে আসা হয়। আর আমার মতো যাদের হৃদয় পাথরের মতো শক্ত- তাদেরকেই এই সেলে পাহারায় নিযুক্ত করা হয়। উনার বিরুদ্ধে মামলা খুবই শক্ত। খুনের আসামী। নিম্ন আদালতে মৃত্যদণ্ডের আদেশ হয়েছে। এখন উচ্চ আদালতে রায় বহাল থাকলেই উনার ফাঁসি কার্যকর হবে।
আসামীর প্রতি আমার আচরণ যত কঠোর। উনার আচরণ ঠিক ততোই কোমল। আমার সুদীর্ঘ ত্রিশ বছরের কারারক্ষী জীবনে অনেক খুনিকে দেখেছি। খুনির চোখ দেখে চেনা যায়। কিন্তু উনার চোখ দুটো বড়ই নিষ্পাপ।
উনি আমাকে সালাম দেন। অশ্রুসজল চোখেও একটু স্মিথ হাসেন। আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়- এমন নরম স্বভাবের একজন মানুষ এরকম ভয়ঙ্কর খুনি হতে পারে।
আমি সরাসরি জিজ্ঞাসা করি -খুনটা আপনি কেন করলেন?
তিনি কোরআন শরীফ থেকে সুরা মায়েদার একটা আয়াত আরবিতে পাঠ করে বলেন- নিরাপরাধ কোনো ব্যক্তিকে কেউ হত্যা করলো- মানে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলো মানে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীর প্রাণ রক্ষা করল। এরপর তিনি বলেন- তিরমিজিতে একটা হাদিস আছে- ‘দুনিয়া ধ্বংস করে দেওয়ার চেয়েও আল্লাহর কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ হত্যা করা।’ তাই মানুষ খুনের মতো এমন নৃশংস, জঘন্য অপরাধ আমি কেমন করে করতে পারি। উনার কন্ঠ ভারাক্রান্ত হয়।
জীবনের বায়ান্ন বছর বয়সে এই প্রথম বুঝতে পারি- আমার মতো পাথর হৃদয়ের মানুষের মনও নরম হয়।
আচ্ছা- তাহলে এই খুনের মামলায় প্রধান আসামি হিসাবে আপনি জড়িয়ে পড়লেন কেমন করে?
ঘটনা সত্য - একজন প্রভাবশালী মানুষ খুন হয়েছে এবং কাকতালীয়ভাবে এই খুনের ঘটনা থেকে আমি মাত্র কয়েক কদম দূরে ছিলাম। যারা খুন করেছে- তারা আরো প্রভাবশালী। আর আমার মতো এক দূর্বল মানুষকে ফাঁসিয়ে দিয়ে ওরা বেঁচে গেছে আর নিয়তি আমাকে এই নির্জন সেলে নিয়ে এসেছে।
আপনার আত্মীয় স্বজনরা কোনো চেষ্টা করেনি। উকিলরা আপনার পক্ষে দাঁড়ায়নি।
ওরা যে যেভাবে পারে চেষ্টা করছে। আমাকে বাঁচাতে একটুকরো ভিটে ছিলো- সেটা বিক্রি হয়েছে। বউ ছোট দুই সন্তান নিয়ে গৃহহীন হয়েছে। বৃদ্ধা মা আগে থেকেও কম দেখতেন। আমার জন্য কাঁদতে কাঁদতে বৃদ্ধ মায়ের চোখ দুটো এখন আর আলো দেখে না। কিন্তু বিচার, কোর্ট, আদালত, সমাজ, সংবাদ এসবতো আমার মতো দূর্বলের পক্ষে না। তাই, আমার যত দ্রুত ফাঁসি হবে- ওরা সবাই তত দ্রুত বেঁচে যাবে। কিন্তু আমি জানি আমি নির্দোষ। তাই উচ্চ আদালতে আমি পিটিশন দায়ের করেছি। আমার উচ্চ আদালত হলো- আমার আল্লাহ। উনি সবচেয়ে উত্তম পরিকল্পনাকারী। আমার নিয়তিতে যদি ফাঁসি লেখা থাকে সেটা হবে। আর যদি আমার মুক্তি লেখা থাকে তবে সেটাও হবে। আমার জীবন মৃত্যুর মালিক একমাত্র আল্লাহ। সবকিছুই আমি আমার রবের উপর ছেড়ে দিয়েছি।
পরদিন উনার স্ত্রী দুই পুত্র সহ উনার মাকে নিয়ে দেখা করতে আসেন। সবাই অনবরত কাঁদছে। বৃদ্ধা মায়ের হাত দুটো ছেলের মুখের উপর হাতড়ে বেড়াচ্ছে। মা ছেলের মুখে, ঠোঁটে, গালে, মাথায় চুমু খাচ্ছেন। পিতা চুমু দিচ্ছে তার নিষ্পাপ দুটো সন্তানের মুখে। সুদীর্ঘ সময়ের কারারক্ষী জীবনে এই প্রথম আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ে। বুকের ভিতরটা মোচড়ে ওঠে।
তিনি মাকে বলেন- মা পিটিশনতো দিয়ে রেখেছি। উচ্চ আদালতে। আল্লাহর আরশে। এই যে আমার মুখের সাথে তোমার লেগে থাকা হাত দুটো যত কাছে । উনি তার চেয়েও কাছে মা। উনি খুব কাছে। উনি সব দেখছেন মা। কোনো কিছুই তার পরিকল্পনার বাইরে না। আমি আমার দুটো অবুঝ সন্তানের মতো নির্দোষ আর নিষ্পাপ মা।
আল্লাহর উপর বিশ্বাস আমি অনেক পড়েছি, অনেক গল্প শুনেছি। কিন্তু এমন দৃঢ় বিশ্বাস জীবনে এই প্রথম দেখলাম। কয়েকদিন কেটে গেলো। যখনই খাবার দিতে যাই। দেখি উনি জায়নামাজে আছেন। অথবা সিজদায় পড়ে রয়েছেন। হাইকোর্টে চূড়ান্ত রায় নিষ্পত্তির আগে এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে।
যে লোক এই নিরাপরাধ মানুষটিকে খুনের মামলায় জড়িয়েছিলো- তার গাড়ী এক মারাত্মক দূর্ঘটনায় পড়ে। ঘটনাস্থলেই স্ত্রী, পুত্র মারা যায়। অজ্ঞান অবস্থায় দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কয়েক ঘন্টা পর তার জ্ঞান ফিরে আসলে সে জানতে পারে- দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী-পুত্র মারা গেছে। এটা শুনার পর তার অবস্থায় আরো অবনতি ঘটে। সে বুঝতে পারে- জীবনের সব কিছু দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। ধন, দৌলত, ঘর বাড়ি, ক্ষমতা কোনো কিছুই তার আর কাজে লাগবেনা। যে কোনো সময় সে মারা যাবে। তাই, নিজে খুন করে আরেকজনকে খুনের মামলায় ফাঁসিয়ে সে আল্লাহর কাছে এতো বড় পাপ নিয়ে যাবে কেমন করে। সেখানেতো আর কোনো কোর্ট, হাইকোর্ট নেই। হয়তোবা জীবনে সে এমন কোনো কল্যাণ করেছে যার জন্য আল্লাহ তাকে একটা শেষ সুযোগ করে দিয়েছেন। মৃত্যু শয্যায় শুয়ে সে চীৎকার করে বলতে থাকে - সব মিথ্যা, সব মিথ্যা। সত্য হলো- আব্দুল বাতিন নির্দোষ। আর আমিই সেই খুনি।
কোর্টে আব্দুল বাতিনকে বেখুসুর খালাস দেয়া হয়। কোর্টে দাঁড়িয়ে বুঝলাম- যারা নির্দোষ আর যারা গভীরভাবে আল্লাহকে বিশ্বাস করে- আল্লাহ তাদের এভাবেই রক্ষা করেন। উনাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে আমি বলি - কারারক্ষি হিসাবে আমার চাকরিরও শেষ দিন গনিয়ে আসছে। আমাকে আপনি এমন কিছু বলুন যা আমি সারাজীবন মনে রাখতে পারি। উনার কথাগুলো হুবুহু নীচে তোলে ধরলামঃ
আল্লাহর চেয়ে আপনজন আর কেউ নেই। জীবনের কঠোর সংকটময় দুঃসময়ে শুধু না যে কোনো সময় তার কাছে চান এবং হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করুন -তিনি আপনার ডাক শুনছেন। আল্লাহ শুধু একটা নাম বা ইমাজিনারি সত্তা না। তিনি এক জীবন্ত বাস্তবতা। ঘাড়ের শিরার চেয়ে তিনি মানুষের সন্নিকটে। আর , আল্লাহ এমন ভাবে মানুষকে সাহায্য করেন পৃথিবীর কোনো উইসডম দিয়ে তার ব্যাখ্যা করা সম্ভব না।
আব্দুল বাতিন দু হাতে তার দু সন্তানকে ধরে হাঁটেন। পিছনে স্ত্রী আর মা। আমি বিস্ময়ভরা চোখে যেন আল্লাহর এক অলৌকিক নিদর্শন দেখি। খার্তুম কোর্টে সেদিন আমি শুধু আব্দুল বাতিনের ঈমান দেখিনি। আমি শুধু তাঁর দোয়ার শক্তি দেখিনি। একজন নিরাপরাধ মানুষের অলৌকিক মুক্তি দেখি। এই দিন আমি নতুন করে মুসলমান হয়েছি । এই দিন আমি আমার আল্লাহকে খুঁজে পেয়েছি।
copy post
মায়া ভরা হৃদয়টি যার
সে আমার মা।
কত স্নেহ করতো আমায়
মনে পড়ে তা।
মনে কোন কষ্ট থাকলেও
বুঝতে দিত না।
হাসি ভরা মুখটি তার
দেখলে জুড়াত গা।
হাত এগিয়ে বলত আমায়
আয়রে কোলে খোকা।
মুখে দু’টি চুমো দিয়ে
বলত কত কথা।
অসুখ-বিসুখ হলে কোন সময়
টিপে দিত হাত-পা।
সরিষার তেল মেখে আমার
গরম করত গা।
ছেলের কোন কষ্ট দেখলে মায়ের মুখে
হাসি থাকত না।
সারা রাত পাশে বসে থাকত
ঘুম আসত না।
সারা দিন কত পরিশ্রম
করত আমার মা।
শত পরিশ্রমের পরেও মায়ের
ক্লান্তি আসত না।
এত কাজের পরেও মা
নামাজ মিস করত না।
নামাজ পড়ে আবার কাজে
ভিজে যেত সমস্ত গা।
কোথায় গেলি আয়রে খোকা
ভাত খেয়ে যা।
যতক্ষণ না আসতাম খেতে
ডাক থামতো না।
পাশে বসে খাওয়াত ভাত
আর একবার কর হা।
পেট ভরে খেলে ভাত
অসুখ করবে না।
হাটে থেকে ফিরত বাবা
বাজারের ব্যাগ নিয়ে।
সকল বাজার রেখে আবার
বাবাকে বাতাস করত মা।
হাত মুখ ধুয়ে এসো
ক্ষুধা লাগছে না?
বাবাকে ভাত খেতে দিয়ে আবার
ফিরেতে বসে থাকত মা।
যতক্ষণ না ভাত খাওয়া হত বাবার
কোথাও যেত না।
কান্নায় যখন চোখ ভিজাতাম
দৌড়ে আসত মা।
আচল দিয়ে চোখ মুছে দিয়ে বলত
কি হয়েছে খোকা?
হাসি ভরা মুখে তখন
চুমো দিত মা।
মায়ের আদর পেয়ে তাই
কান্না থাকত না।
আজকে শুধু পরছে মনে
মায়ের সকল কথা।
এত আদর কোথায় পাব
মায়ের হাত ছাড়া।
মায়ের কথা লিখব কত আর
শেষ হবে না।
পুরো শরীরের চামড়া উঠিয়ে দিলেও
শোধ হবে না।
যাহার কাছে এত ঋণী
সে আমার মা।
চোখ ভেসে যায় জলে আমার
কান্না থামে না।
মা
মা কথাটি চোট্ট অতি
কিন্তু জেনো ভাই,
ইহার চেয়ে নাম যে মধুর
তিন ভুবনে নাই।
সত্য ন্যায়ের ধর্ম থাকুক
মাথার ‘পরে আজি,
অন্তরে মা থাকুন মম
ঝরুক স্নেহরাজি।
রোগ বিছানায় শুয়ে শুয়ে
যন্ত্রণাতে মরি,
সান্তনা পাই মায়ের মধু
নামটি হৃদে স্মরি।
বিদেশ গেলে ঐ মধু নাম
জপ করি অন্তরে,
মন যে কেমন করে
আমার প্রাণ যে কেমন করে।
মা যে আমার ঘুম পাড়াত
দোলনা ঠেলে ঠেলে
শীতল হত প্রাণটা, মায়ের
হাতটা বুকে পেলে। s
এ আকাশ, এ দিগন্ত, এই মাঠ, স্বপ্নের সবুজ ছোঁয়া মাটি, সহস্র বছর ধ’রে একে আমি জানি পরিপাটি, জানি এ আমার দেশ অজস্র ঐতিহ্য দিয়ে ঘেরা।
এখানে আমার রক্তে বেঁচে আছে পূর্বপুরুষেরা,
যদিও দলিত দেশ, তবু মুক্তির কথা কয় কানে, যুগ যুগ আমরা যে বেঁচে থাকি পতনে উত্থানে।
যে চাষি কেটেছে ধান, এ মাটি নিয়েছে কবর, এখনো আমার মধ্যে ভেসে আসে তাদের খবর।
অদৃশ্য তাদের স্বপ্নে সমাচ্ছন্ন এ দেশের ধুলি, মাটিতে তাদের স্পর্শ, তাদের কেমন করে ভুলি?
আমার সম্মুখে ক্ষেত, এ প্রান্তর উদয়াস্ত ঘাটি, ভালবাসি এ দিগন্ত, স্বপ্নের সবুজ ছোঁয়া মাটি।
এখানে রক্তের দাগ রেখে গেছে চেঙ্গিস্, তৈমুর, সে চিহ্নও মুছে দিল কতো উচ্চৈঃশ্রবাদের খুর। $$
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the public figure
Telephone
Website
Address
Tangail