Muhammad Abu Musa
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Muhammad Abu Musa, Public Figure, Bashirpara, Thakurgaon.
আলহামদুলিল্লাহ্! 💞💝
হে বোন! ❤️💚
ঈমানের দৌলতে ধন্য তুমি,
আল্লাহু আকবার বলে প্রকম্পিত করলে বিশ্বভূমি।
ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়াতে নতুন বছরের প্রথম ফজরের জামাত! ❤️💚
হয়তো বা তুরষ্কের স্বৈরশাসক দ্বারা সৃষ্ট সমাজ ব্যবস্থার কারণে ইসলামী লেবাস ধারণ করতে পারেন নাই তিনি। অথচ আল্লাহ ও রাসুল (সা:) এর প্রতি অবিচল বিশ্বাস থাকার কারণে আজ তিনি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ'র ভালোবাসার পাত্রে পরিণত হয়েছেন! 💖💞
সুমধুর কন্ঠে কুরআন তেলাওয়াত! 💞
সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযহা'র শুভেচ্ছা! ✨✨
পবিত্র হজ্জ:
আপন প্রভুর নিকট হতে ক্ষমা ও অনুগ্রহ পাবার চেষ্টা! 🤲
তুরস্কের ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়ায় প্রথম জুম্মার নামাজের দৃশ্য!
আনুুগত্যের অপরুপ নিদর্শন! 💞
অত্যাচারী ব্যক্তি চিরদিন জীবিত থাকে না, কিন্তু তার উপর অভিশাপ চিরদিন বিদ্যমান থাকে।
-শেখ সাদি রহ.
সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাতি চার নারী:
এই নারীদের মধ্য থেকে চারজন জান্নাতি নারীকে রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা করেছেন। হাদিসে এসেছে
أَفْضَلُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ : خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ ، وَفَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ ، وَآسِيَةُ بِنْتُ مُزَاحِمٍ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ ، وَمَرْيَمُ ابْنَةُ عِمْرَانَ
‘জান্নাতি নারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নারীরা হলেন ১. খাদিজা বিনতু খুয়াইলিদ, ২. ফাতিমা বিনতু মুহাম্মাদ, ৩. ফিরাউনের স্ত্রী আসিয়া বিনতু মুযাহিম এবং ৪. মারইয়াম ইবনাতু ইমরান।’
-আহমাদ, আলমুসনাদ : ২৯০৩; সহিহ।
১. খাদিজা বিনতু খুয়াইলিদ
---------------------------------------
আবরাহা কর্তৃক কাবা আক্রমণের পনেরো বছর আগে মক্কার সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন খাদিজা বিনতু খুয়াইলিদ। তার পিতা ছিলেন ফিজার যুদ্ধের সেনাপতি খুয়াইলিদ ইবনু আসাদ। খাদিজা (রা.) ছিলেন আরবের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে বিশ্বস্ত লোক প্রয়োজন ছিল তার। এ দিকে মুহাম্মাদ (সা.) সত্যবাদিতা ও বিশ্বস্ততার জন্য পুরা আরবে প্রবাদতুল্য হয়ে উঠেছিলেন। খাদিজা (রা.) তাকে তার ব্যবসার পুরো দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলেন। নবিজির চারিত্রিক মাধুর্যতায় মুগ্ধ হয়ে এক পর্যায়ে খাদিজা নিজেই বিয়ের প্রস্তাব দেন নবিজিকে। ৫০০ স্বর্ণমুদ্রা মোহরানার বিনিময়ে বিয়ে সম্পন্ন হয়। তখন নবিজির বয়স ছিল ২৫, আর খাদিজার ৪০ বছর।
চল্লিশ বছর বয়সে মুহাম্মাদ (সা.) নবুয়ত লাভ করেন। প্রথম ওহি লাভের পর তিনি এতটাই ভীত হয়ে পড়েন যে, কাঁপতে কাঁপতে নিজ ঘরে প্রবেশ করে খাদিজাকে বলেন কম্বল দিয়ে গা ঢেকে দিতে। বারবার বলতে থাকেন, ‘আমাকে আবৃত করো, আমাকে আবৃত করো।’ পুরো ঘটনা শুনে খাদিজা (রা.) নবিজির সকল কথা বিশ্বাস করেন এবং তাঁকে নবি হিসেবে মেনে নেন। ভীতি দূর করার জন্য মুহাম্মাদকে নিয়ে খাদিজা নিজ চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবনু নওফেলের কাছে যান। নওফেল তাঁকে শেষ নবি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। খাদিজা ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনিই ছিলেন প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী।
নবিজির দাওয়াতি কাজে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছিলেন খাদিজা (রা.)। তার সমস্ত সম্পদ ধীরে ধীরে ব্যয় করে দেন এ কাজে। এমনকি এক পর্যায়ে প্রচণ্ড অর্থকষ্ট শুরু হয়। নবুওয়তের সপ্তম বছর মক্কার কুরাইশরা মুসলিমদের বয়কট করে। তারা সবাই মিলে ‘শিয়াবে আবু তালিব’ নামক স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করে। অন্যান্য মুসলিমদের সাথে খাদিজাও সেখানে ছিলেন। প্রায় ৩ বছর মুসলিমদের সেই দুর্গম স্থানে নির্বাসিত কাটাতে হয়েছিল। তখন গাছের পাতা খেয়েও দিন কাটাতে হয়েছে তাদের। খাদিজা তখন কুরাইশদের ওপর নিজের প্রভাব খাটিয়ে খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিতেন মুসলিমদের। এভাবে তার সমস্ত সম্পদ দিয়ে, মানসিকভাবে এবং শারিরিকভাবেও প্রচণ্ড কষ্ট সহ্য করে দীনের জন্য সারা জীবন কাজ করে গেছেন তিনি। ৬১৭ খ্রিস্টাব্দ মুতাবেক রমযান মাসের ১০ তারিখে ৬৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন মুমিনজননী খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা। মক্কার মুয়াল্লায় তার কবর অবস্থিত।
২. ফাতিমা বিনতু মুহাম্মাদ
-------------------------------------
ফাতিমা (রা.) ছিলেন নবিজির প্রিয়তম কন্যা। তার মা ছিলেন খাদিজা (রা.)। ৬০৫ খ্রিস্টাব্দে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মক্কায় সেই নাজুক দিনগুলোতে ছায়া হয়ে ছিলেন পিতার পাশে। হিজরতের সময় ফাতিমাও নবিপরিবারের অন্যদের সঙ্গে হিজরত করেন। তিনি ছিলেন চতুর্থ খলিফা মহান বীর আলি ইবনু আবু তালিবের স্ত্রী এবং সাইয়িদুনা হাসান ও হুসাইনের মা। তার বদান্যতা, মহানুভবতা আর মমতা ছিল প্রবাদতুল্য। প্রিয় বাবা দয়ার নবির চরিত্রের প্রতিটি গুণই তার জীবনে প্রতিফলিত হতে দেখা গেছে। তিনি ছিলেন আমানতদারী, লাজুক, নম্র ও সরলমনা। ছিলেন নির্ভীক ও তেজস্বিনী। নবিজির ওফাতের মাস কয়েক পরেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং মদিনার বাকিতে তাকে দাফন করা হয়।
৩. আসিয়া বিনতু মুযাহিম
------------------------------------
আসিয়া বিনতু মুযাহিম ছিলেন জঘন্য আল্লাহদ্রোহী শাসক ফিরাউনের স্ত্রী। আসিয়ার কোলেই লালিত-পালিত হয়েছিলেন নবি মুসা আলাইহিস সালাম। ফিরাউনের রাজপ্রাসাদের যাবতীয় আরাম-আয়েশকে বিসর্জন দিয়ে আসিয়া গ্রহণ করে নিয়েছিলেন তাওহিদকে। ঈমান এনেছিলেন আল্লাহর ওপর। এতে ফিরাউন তার ওপর ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়। আসিয়ার ওপর নেমে আসে জুলুম-নির্যাতন। তাকে জিঞ্জিরে বেঁধে রাখা হয়, বিশাল পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়। পাথরের আঘাতে তার দেহ ক্ষতবিক্ষত হয়। কিন্তু এতসব অমানবিক নির্যাতনেও আসিয়াকে চুল পরিমাণ টলানো সম্ভব হয়নি তার ঈমান থেকে।
৪. মারইয়াম ইবনাতু ইমরান
----------------------------------------
মারইয়াম ইবনাতু ইমরান ছিলেন বাইতুল মুকাদ্দাসের নাসিরা শহরের বাসিন্দা। পিতামাতার ইচ্ছানুযায়ী বাইতুল মুকাদ্দাসের খেদমতে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। তার পিতার নাম ছিল ইমরান এবং নবি যাকারিয়ার শ্যালিকা বিবি হান্না ছিলেন তার মা।
মারইয়াম ছিলেন চিরকুমারী। কিন্তু আল্লাহর আদেশে তিনি গর্ভে ধারণ করেছিলেন নবি ঈসা আলাইহিস সালামকে। বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে বের করে দেওয়া হয় তাকে। এমনকি স্বগ্রামও ছেড়ে যেতে হয়। বিপদাপন্ন মারইয়াম কোনো আশ্রয় খুঁজে না পেয়ে একটি পতিত জমিনে এক খেজুর গাছের নিচে আশ্রয় নিলেন এবং নবি ঈসাকে প্রসব করলেন। পাক-পবিত্র হয়ে সন্তান নিয়ে আবারও বাইতুল মুকাদ্দাসে ফিরে গেলেন। কোলের শিশু তার মায়ের নিষ্কলুষতার ঘোষণা দিলো। আর ভবিষ্যতে তার নবি হওয়ার ব্যাপারেও জানিয়ে দিল। মারইয়াম আলাইহাস সালাম তাকে গড়ে তুললেন জ্ঞান, প্রজ্ঞা আর দক্ষতার শিক্ষা দিয়ে। ত্রিশ বছর বয়সে ঈসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর কাছ থেকে ওহি লাভ করেন এবং ইসলাম প্রচার শুরু করেন।
বিশ্বের সেরা ১০ মসজিদ
মসজিদ শুধু ইবাদতই নয়, ইসলামি শাসনামলে মসজিদ থেকেই পরিচালিত হতো রাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড। ইসলামের বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীতে নির্মিত হয়েছে বহু মসজিদ। বিশ্বের সেরা মসজিদগুলোর ইতিহাস ও নির্মাণশৈলী নিয়ে মানুষের মনে কৌতূহলের শেষ নেই। মসজিদ মুসলিমদের প্রধান উপসনালয় হলেও একেক দেশের একেক রকমের সংস্কৃতির ছাপ বিশ্বের একাধিক মসজিদের নির্মাণশৈলীতে ঠাঁই পেয়েছে। চলুন দেখে নিই বিশ্বের সেরা দশটি মসজিদ সম্পর্কে।
মসজিদ আল হারাম- কাবা শরীফ
------------------------------------------------
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদ হলো মসজিদুল হারাম। ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র স্থান ‘কাবা’কে ঘিরে সৌদি আরবের মক্কা নগরীরতে এর অবস্থান। ৮৮.২ একর জায়গার ওপর স্থাপিত মসজিদুল হারাম সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ মসজিদ হলো এই হারাম শরিফ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এই মসজিদটির সাধারণ প্রায় নয় লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়ে। তবে হজের সময় এর পরিমাণ বেড়ে ৩০ লাখে পৌঁছায়। ১৯৫৫ সালের পর সৌদি বাদশাহ আব্দুল আজিজ মসজিদটির ব্যাপক সংস্কারকাজে হাত দেন। তার পরে বাদশাহ ফাহাদ হারাম শরিফের বাহিরের দিকে সংস্কার করেন। কাজ এখনো চলছে যা ২০২০ সালে শেষ হওয়ার কথা।
মসজিদে নববি
----------------------
হজরত মোহাম্মাদ (সা.) এর নিজ হাতে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয় মসজিদে নববি বা আল-মাসজিদুন-নাবি। অর্থাৎ নবির মসজিদ। এই মসজিদেই ছিল রাসুল (সা.) এর বাসস্থান। সৌদি আরবের মদিনা শহরে এই মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদটিতে ছয় লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে। তবে মসজিদটি হজরত মোহাম্মাদ (স.)- এর রওজা সংলগ্ন হওয়ায় হজের সময় প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করার রেকর্ড রয়েছে। মসজিদের ১০টি মিনারের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু মিনারটির উচ্চতা ১০৫ মিটার। এই মসজিদের এক অংশেই রয়েছে রাসুল (সা.) এর রওজা মোবারক। রয়েছে ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) ও দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) এর রওজা মোবারকও।
হারামে ইমাম রেজা
----------------------------
শিয়া সম্প্রদায়ের ১২ ইমামের অষ্টম ইমাম, ইমাম রেজা এই মসজিদটি নির্মাণ করেন বলে ‘হারামে ইমাম রেজা’ মসজিদটি ‘ইমাম রেজা মসজিদ’ নামেই সর্বাধিক পরিচিত। ইরানের খোরসান প্রদেশের রাজধানী মসনদে অবস্থিত এই মসজিদটি। প্রায় তিন লাখ ৩১ হাজার ৫৭৮ বর্গমিটার জমির ওপরে অবস্থিত এই মসজিদটিতে প্রায় পাঁচ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে। ৮১৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত এই মসজিদটির আটটি মিনার রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মিনারের উচ্চতা ৪১ মিটার।
ইসতিকলাল মসজিদ
--------------------------------
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অবস্থিত। মসজিদটির নাম ইসতিকলাল মসজিদ। এটি ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় মসজিদ। ১৯৭৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মসজিদটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ১৯৪৯ সালে নেদারল্যান্ডস এর পরাধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে তৎকালীন সরকার একটা জাতীয় মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেন। ১৭ বছরের দীর্ঘ ব্যবধানে মসজিদটি নির্মিত হয়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সুহার্তো মসজিদটি উদ্বোধন করেন। মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হয় ১২ মিলিয়ন ইউএস ডলার। আর মসজিদটির ধারণক্ষমতা দুই লাখ।
ফয়সাল মসজিদ
--------------------------
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অবস্থিত ফয়সাল মসজিদ দেশটির সর্ববৃহৎ মসজিদ। মসজিদটি দেখতে অনেকটা মরুভূমির বেদুইনদের তাবুর মতো। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই মসজিদটি পাকিস্তানের জাতীয় মসজিদ। ১৯৮৬ সালে সমাপ্ত হওয়া মসজিদটির নির্মাণ ব্যয় বহন করেন সৌদি বাদশাহ ফয়সাল। আর তার নাম অনুসারেই মসজিদটির নামকরণ হয় ফয়সাল মসজিদ। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত এটিই ছিল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মসজিদ। এটি নির্মাণে ব্যয় হয় ১২০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। মসজিদটির ভেতরে ৫৪ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা রয়েছে আর ধারণক্ষমতা দুই লাখ। ৩০০ ফিট উচ্চতার চারটি সুন্দর মিনার মসজিদটির আকর্ষণ বাড়িয়েছে।
মসজিদুল হাসান–আল শানী
------------------------------------------
মসজিদুল হাসান-আল শানী স্থানীয়দের কাছে ক্যাসাবালাঙ্কা হাজ বা হাসান মসজিদ নামে পরিচিত। মরক্কোর সবচেয়ে বড় শহর ক্যাসাবালাঙ্কায় আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত মসজিদটি। অনেকটা মোঘল স্থাপত্যের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই মসজিদটির অবস্থান প্রায় ২১ হাজার বর্গমিটার জমির ওপরে। প্রায় ৪০ হাজার হাজার মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারে এই মসজিদটিতে।
তাজুল মসজিদ
----------------------
ভারতের সর্ববৃহৎ মসজিদ হলো তাজুল মজজিদ। মোঘল সম্রাট বাহদুর শাহ জাফর এর শাসনামলে নবাব শাহ জাহান বেগম কর্তৃক নির্মিত হয় তাজুল মসজিদ। কিন্তু তিনি পুরোপুরি নির্মাণ কাজ শেষ করে যেতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে তার মেয়ে সুলতানা জাহান বেগম তার জীবদ্দশায় এর কাজ এগিয়ে নিয়ে যান। পুনরায় নির্মাণ কাজ ১৯৭১ সালে আল্লামা মুহাম্মাদ ইমরান খান নদভী আজহারি এবং মাওলানা সাইয়্যেদ হাসমত আলী সাহেব শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে নির্মাণ শেষ হয়। মসজিদটির তিনটি গম্বুজ ও দুটি সুউচ্চ মিনার। মসজিদের ভেতর ও বাহিরে মিলে এক লাখ ৭৫ হাজার লোক একসাথে নামাজ পড়তে পারে।
বাদশাহী মসজিদ
--------------------------
মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। ১৬৭১-১৬৭৩ সালের মধ্যে পাকিস্তানের লাহোরে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। সামনের বিশাল চত্বরসহ মসজিদটির আয়তন প্রায় দুই লাখ ৭৬ হাজার স্কয়ার ফিট। ১৯৬ ফিট উচ্চতার সুদৃশ্য আটটি মিনার রয়েছে। আর রয়েছে তিনটি গম্বুজ। সিঁড়ির ২২টি ধাপ পেরিয়ে মূল ফটকে পৌঁছাতে হয়। এই মসজিদের ধারণক্ষমতা এক লাখ।
শেখ জায়েদ গ্রান্ড মসজিদ
---------------------------------------
আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে অবস্থিত এই মসজিদটি বিশ্বের সেরা দশটি মসজিদের মধ্যে অন্যতম। মসজিদটি নির্মাণকাল ১৯৯৬ থেকে ২০০৭ সাল। এটি আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় মসজিদ। মসজিদটি ৩০ একর জমির উপর নির্মিত। বিভিন্ন সাইজের সাতটি গম্বুজ রয়েছে, যার উচ্চতা ২৭৯ ফিট। রয়েছে ৩৫১ ফিট উচ্চতার চারটি মিনার। মুসল্লি ধারণক্ষমতা ৪১ হাজার। তিন হাজারের বেশি শ্রমিক মিলে তৈরি করেছে এই বিখ্যাত মসজিদটি।
বায়তুল মোকাররম
----------------------------
মসজিদের শহর বলা হয় ঢাকাকে। বিশ্বের সেরা দশটি মসজিদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই মসজিদটির নির্মাণ শেষ হয় ১৯৬৮ সালে। মসজিদের প্রবেশদ্বার রয়েছে বেশ কয়েকটি। বর্তমানে এই মসজিদে একসঙ্গে ৪০ হাজার লোক নামাজ পড়তে পারে।
এছাড়াও বিশ্বে অনেক সুন্দর ও চমৎকার দৃষ্টিনন্দনীয় মসজিদ রয়েছে।
.
চলে গেলেন ভারত ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করার অনন্য কৃতিত্ব অর্জনকারী বীর সেনানী সাইফুল আজম!
বীর সেনানী সাইফুল আজম একমাত্র সামরিক পাইলট যিনি যুদ্ধে চারটি বিমান বাহিনীর (বাংলাদেশ, জর্ডান, ইরাক ও পাকিস্তান) জন্য কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে দুইটি ভিন্ন প্রতিপক্ষের (ভারত ও ইসরায়েল) বিরুদ্ধে লড়াই করার অনন্য কৃতিত্ব তার রয়েছে। ২০১২ সালে পাকিস্তান সরকারের মতে যেকোনো পাইলটের চেয়ে বেশি ইসরায়েলি বিমান ভূপাতিত করার রেকর্ড তার রয়েছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী ২০০০ সালে তাকে সম্মানিত করে এবং তিনি "পৃথিবীর বাইশজন "জীবিত ঈগলের" অন্যতম"।
সিসেনা টি-৩৭ বিমানের প্রশিক্ষণ ও অ্যারিজোনার লুক এয়ার ফোর্স বেসে এফ-৮৬ সেব্রেসের উপর আরও পড়াশোনার পর ১৯৬৩ সালে তিনি সংক্ষিপ্তকালের জন্য ঢাকায় নিযুক্ত হন। এরপর তিনি করাচির মাউরিপুরে টি-৩৩ এর প্রশিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। এখানে কর্মরত থাকার সময় ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে যুদ্ধের সময় এফ-৮৬ নিয়ে ভারতে উড্ডয়নে অংশ নেন। ভারতীয় বিমান বাহিনীর অফিসার মায়াদেবের বিমানকে তিনি ভূপাতিত করেন। তাকে পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক পদক সিতারায়ে জুরাত প্রদান করা হয়। ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ২য় স্কোয়াড্রনের কমান্ড লাভ করেন।
১৯৬৬ সালের নভেম্বরে তাকে জর্ডানের বিমান বাহিনীতে ডেপুটেশনে পাঠানো হয়। ডেপুটেশনে পাঠানো দুজন পাকিস্তানি অফিসারের মধ্যে তিনি একজন ছিলেন। অন্যজন ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট এম. সরোয়ার শাদ। ১৯৬৭ সালে ছয়দিনের যুদ্ধ শুরু হলে তিনি হকার হান্টার নিয়ে জর্ডানের বিমান বাহিনীর পক্ষে উড্ডয়ন করেন। দুই দিনের ব্যপ্তিতে তিনি দুইটি ভিন্ন স্থানে আক্রমণ পরিচালনা করেন। এজন্য তাকে জর্ডানের অর্ডার অব ইসতিকলাল ও ইরাকি সাহসিকতা পদক নুত আল শুজাত প্রদান করা হয়। ১৯৬৭ সালের ৫ জুন ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলা থেকে জর্ডানের মূল বেস মাফরাকের প্রতিরক্ষার জন্য তাকে ডাকা হয়। চারটির মধ্যে একটি বিমান পাকিস্তানিরা উড্ডয়ন করে। সাইফুল আজম একটি ইসরায়েলি বিমান ভূপাতিত করেন এবং আরেকটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ১৯৬৭ সালের ৬ জুন তাকে ইরাকি বিমান বাহিনীতে বদলি করা হয়। বিমানঘাঁটি আক্রমণের সময় তিনি পশ্চিম ইরাকে ছিলেন। ইসরায়েলি পাইলট ক্যাপ্টেন গিডিওন ড্রোর সাইফুল আজমের উইংমেনসহ দুজন ইরাকি যোদ্ধাকে গুলি করতে সক্ষম হন, কিন্তু তিনি গুলি করে তাকে ভূপাতিত করেন। তিনি ক্যাপ্টেন গোলানের বোমারু বিমানকেও ভূপাতিত করেন। তাদের দুজনকেই যুদ্ধবন্দি হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়।
জন্ম ১৯৪১ –মৃত্যু ১৪ জুন ২০২০।।
#বীর_সেনানী
#তোমায়_সালাম
#আল্লাহ_তোমায়_জান্নাতবাসী_করুক।।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Telephone
Website
Address
Thakurgaon
Thakurgaon Sadar
Thakurgaon, 5100
I will Win, Maybe Not Immediately But Absolatly and definitely!
Thakurgaon Sador
Thakurgaon, 5100
Front End Developer || Web Designer || Instructor || Entrepreneur || Social Activist || BG: A+
Thakurgaon, Baliyadani
Thakurgaon, 5140
আমাদের ভিডিওগুলো এখন থেকে এই পেজে পাব?
Thakurgaon, ইচ্ছামত
আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন।। জীবন পরিবর্তন হয়ে যাবে �