সত্যের সন্ধানে -মুজাহিদ
সত্যের সন্ধানে মুজাহিদ। দাওয়াত তালিম তাসকিয়া জিহাদ ইসলামের মূলনীতি
কুতুবুল আলম , মুজাদ্দিদুল মিল্লাত , শাইখুল মাশায়েখ , আরেফ বিল্লাহ , ইমামুল মুজাহিদীন , রাহবারে উম্মত , শাহ্সুফি আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করিম পীর সাহেব চরমোনাই রহঃ।
এর মুরিদানের মধ্যে প্রায় অর্ধলাক্ষের বেশি ছিল আলেম।যাদের মধ্যে হাজার হাজার মুফতী , মুহাদ্দিস , মুফাচ্ছির , হাফেজ , ক্বারী , মার্দাসার মুহতামিম , লেখক , গবেষক , সাহিত্যিক , খতীব , ইসলামী চিন্তাবিদ ছিল ।এর মধ্যে মাএ ১৭ জনকে তিনি খেলাফত প্রদান করেছেন। তারা হচ্ছেন :
প্রথম দফায় ১৭/১১/১৯৯০ সালে সাতজন আলেমকে খেলাফত প্রদান করেছেন :
১।মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক রহ. ফেনি।
২।মাওলানা ফজলুর রহমান রহ. কুমিল্লা।
৩।মাওলানা মুজিবুর রহমান দাঃবাঃ কালিশুরী, বাউফল,পটুয়াখালী।
৪।মাওলানা হাবিবুর রহমান খান দাঃবাঃ দুমকি,পটুয়াখালী।
৫। মাওলানা আলী আহমেদ রহ. খুলনা।
৬।মাওলানা আমজাদ হোসাইন দাঃবাঃ কুশাবাড়ীয়া, মাগুরা।
৭।মাওলানা আব্দুর রশিদ রহ. কেওড়াবুনিয়া, বরগুনা।
দ্বিতীয় দফায় ১৭/১১/১৯৯৮ সালে খেলাফত প্রদান করেছেন দশজন আলেমকে।তারা হচ্ছেন।
১।মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম দাঃবাঃ
২।মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম দাঃবাঃ
৩।মাওলানা শাহজাহান ফরিদী (মাদানী হুজুর) রহ.শরীয়তপুর।
৪।মাওলানা নুরুল হুদা ফরায়েজী দাঃবাঃ গালুয়া, রাজাপুর, ঝালকাঠি।
৫।মাওলানা আইউব আলী আনছারী রহ. সোনারগাঁও, ঝালকাঠি।
৬।মাওলানা আব্দুল কাদের দাঃবাঃ গালুয়া রাজাপুর ঝালকাঠি।
৭।মাওলানা আব্দুল মজিদ দাঃবাঃ বাগেরহাট।
৮।হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল দাঃবাঃ খুলনা।
৯।হাফেজ মাওলানা ইউনুচ আহমেদ দাঃবাঃ খুলনা।
১০।মাওলানা সেকান্দার আলী দাঃবাঃ নলছিটি ঝালকাঠি।
আল্লাহ রব্বুল আলামীন শায়েখ রহঃ এর কবরকে জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বাচ্ছন্দে সাবলীল করুক। আমীন।
জুমার দিন হলো ঈদের দিন।
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
জুমার দিন হলো ঈদের দিন। এই দিনে দুওয়া করলে দুওয়া ফেরত নেই। জুমার দিনে কিয়ামত হবে। জুমার দিনের আরেক নাম হলো, ইয়াওমুল মাযিদ।
عن أنس بن مالك -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «أتاني جبريلُ بمثل هذه المرآة البيضاء فيها نُكْتة سوداء، قلت: يا جبريلُ ما هذه؟ قال: هذا الجُمُعة جعلها الله عيدًا لك ولأمتك فأنتم قبل اليهود والنصارى، فيها ساعةٌ لا يوافقها عبدٌ يسأل الله فيها خيرًا إلا أعطاهُ إياه، قال: قلت: ما هذه النُكْتةُ السوداء؟ قال: هذا يوم القيامة تَقُوم في يوم الجمعة، ونحن ندعوه عندنا (المزيد) قال: قلت: ما يومُ المزيد؟ قال: إنَّ الله جعل في الجنة واديًا أفيح، وجعل فيه كُثْبانًا من المسك الأبيض، فإذا كان يومُ الجمعة ينزلُ الله فيه فوضعت فيه منابر من ذهب للأنبياء وكراسي من درٍّ للشهداءٍ، وينزلن الحورُ العينُ من الغُرف فحمدوا الله ومَجَّدوه، قال: ثم يقول الله: اكسوا عبادي فيكسون، ويقول: أطعموا عبادي فيطعمون، ويقول: اسقوا عبادي فيسقون، ويقول: طيِّبوا عبادي فيطيبون، ثم يقول: ماذا تُريدون؟ فيقولون: ربنا رضوانك، قال: يقول: رضيت عنكم ثم يأمرهم فينطلقون وتصعدُ الحورُ العين الغرفَ، وهي من زمردةٍ خضراء ومن ياقوتةٍ حمراء » . ( يع ) صحيح
আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “সাদা এ আয়নার ন্যায় অনুরূপ আয়না নিয়ে জিবরিল আমার নিকট এসেছে তাতে কালো একটি ফোঁটা। আমি বললামঃ হে জিবরিল এটা কি? তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে জুমা আল্লাহ যা তোমার ও তোমার উম্মতের জন্য ঈদ বানিয়েছেন, তোমরাই ইহুদি ও খৃস্টানদের পূর্বে, (অর্থাৎ তাদের সাপ্তাহিক ঈদের পূর্বদিন তোমাদের ঈদের দিন) তাতে একটি মুহূর্ত রয়েছে, সে সময় বান্দা আল্লাহর নিকট কোন কল্যাণ প্রার্থনা করবে না, যা তিনি তাকে দিবেন না। তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ এ কালো ফোঁটা কি? তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে কিয়ামত জুমার দিন কায়েম হবে, আমরা একে মাযিদ বলি। তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ ইয়াওমুল মাযিদ কি? তিনি বললেনঃ আল্লাহ জান্নাতে প্রশস্ত ময়দান তৈরি করেছেন, সেখানে তিনি সাদা মিশকের স্তূপ রেখেছেন, যখন জুমার দিন হয় আল্লাহ সেখানে অবতরণ করবেন, সেখানে নবীদের জন্য স্বর্ণের মিম্বার রাখা হয়, আর শহীদদের জন্য মুক্তোর চেয়ার এবং (জান্নাতের) প্রাসাদসমূহ থেকে ‘হূরুল ঈন’ বা ডাগর নয়না হূর অবতরণ করে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণ-গান করবে। তিনি বলেনঃ অতঃপর আল্লাহ বলবেনঃ আমার বান্দাদের কাপড় পরিধান করাও, তাদের কাপড় পরিধান করানো হবে। তিনি বলবেনঃ আমার বান্দাদের খাদ্য দাও, তাদের খাদ্য দেয়া হবে। তিনি বলবেনঃ আমার বান্দাদের পান করাও, তাদের পান করানো হবে। তিনি বলবেনঃ আমার বান্দাদের সুগন্ধি দাও, তাদের সুগন্ধি দেয়া হবে। অতঃপর বলবেনঃ তোমরা কি চাও? তারা বলবেঃ হে আমাদের রব তোমার সন্তুষ্টি। তিনি বলেনঃ তিনি বলবেনঃ আমি তোমাদের ওপর সন্তুষ্ট হয়েছি, অতঃপর তাদেরকে নির্দেশ দিবেন, তারা যাবে ও ‘হূরল ঈন’ প্রাসাদসমূহে প্রবেশ করবে যা সবুজ মণি-মুক্তা ও লাল ইয়াকুত পাথরের তৈরি”। [আবু ইয়ালা] (সহিহ হাদিসে কুদসি,) হাদিস নং ৯০
যারা ছাত্রীদেরকে খোলামেলা দেখতে পছন্দ করে,
তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক না হয়ে ,
পতিতালয়ের দালাল হওয়া উচিৎ।
আমরাই ওলামেয়ে দেওবন্দ উত্তরসূরী...
১। কওমী মাদ্রাস...!!
২। দাওয়াত ও তাবলীগ...!!
৩। হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের...!!
৪। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ... !!
৫। খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশ...!!
৬। খেলাফত মজলিস বাংলাদেশ...!!
৭। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের...!!
৮। ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশ...!!
আহ! কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে।😭 তিনি রবের ঘরের ইমাম ছিলেন। রব কোনে কারনে তার প্রতি নারাজ হয়েছেন।😭😭
রব আপনি আমাদের হেদায়েত দিয়ে গোমরা করিয়েননা। তাকে পূনরায় হেদায়েত নসীব করুন।
কেন এই অধঃপতন, তোমার ঘরের ইমাম যার তেলওয়াত শুনে লক্ষ কোটি কোটি মানুষের চোখের পানি পরে এমন মানুষও শয়তানের ধোকা থেকে বাচতে পারলোনা, শয়তানের কবলের স্বীকার। 😭😭
আমরা কি ভাবে বাচবো😭😭😭
ও আল্লাহ আমিতো ওনার তুলনায় কিছুইনা,
আমাকে শয়তান সহজেই ধোকা দিতে পারে,
আল্লাগো আপনি আপনার কুদরতি হাত দারা,আমাদের হেদায়েতের পথে দায়েম কায়েম রাখুন। সবার ঈমান আমল বৃদ্ধি করুন। হেফাজত করুন। আমিন
দোয়ায় শামিল রাখিয়েন রব যেনো আমাকে কে সর্বদা হেদায়েতের উপর দায়েম কায়েম রাখেন। আমিন।
ইসলাম প্রচারের জন্য ফলো করে পাশে থাকবেন সবাই .... #ইসলামী_ছাত্র_আন্দোলন_বাংলাদেশ
👍পেজ টা ফলো করে সাথে থাকবেন.... ইনশাআল্লাহ
আনাস আহমেদ সিদ্দিকী
আল আযহার প্রতিনিধি
মিশরের প্রাচীনতম ইসলামী বিদ্যাপীঠ আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টিতে আলো ছড়াচ্ছে একঝাঁক বাংলাদেশি কওমি মাদরাসা পড়ুয়ারা। গত ১৮ জুলাই প্রকাশিত আল-আযহারের অধীনে অনুষ্ঠিত এবারের এইচ এস সি ফলাফলে দেখা যায় ৭৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সেরা ১০ জনের মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া ৮ জনই বাংলাদেশের কওমি মাদরাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী।
আল-আযহারের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত অন্য কোন দেশের শিক্ষার্থীরা এই বিরল কৃতিত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। যার ফলে আযহারের ছাত্র থেকে শিক্ষক সকলের মুখেই ওঠে আসে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের অসামান্য সাফল্যগাঁথা।
মিসরের গ্র্যান্ড ইমাম ও শাইখুল আযহার, উস্তাদ ড. আহমাদ ত্বায়্যিব সেরা মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া ছাত্রদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
পাশাপাশি তিনি বিদেশী ছাত্রদের শিক্ষা অর্জনের জন্য স্বদেশ ত্যাগ ও সার্বিক মেহনত-মুজাহাদার ভুয়সী প্রশংসা করেন৷ ড. তায়্যিব এ সকল শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনের উত্তরোত্তর সফলতা ও উন্নতি কামনা করে বলেন, "আমি আশা করছি তারা সকলেই নিজেদের দেশে ফিরে আযহারের প্রতিনিধিত্ব করবে৷" (সূত্র- আল-আযহার, অনলাইন)
পাশাপাশি মিশরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকেও এই গৌরবময় ফলাফলের জন্য সকলকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয় বলেন, "বাংলাদেশি কারও সফলতার কথা শুনলে গর্বে আমার বুক ফুলে উঠে। আমি তোমাদের সবার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।"
সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেন দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক ছাত্র, আহমদুল্লাহ বিন মাওলানা ফখরুল ইসলাম।
২য় স্থান অধিকার করেন জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার ছাত্র, আহমাদ বিন মোহাম্মদ ওসমান। ৩য় স্থান অধিকার করেন আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাইজদী আল আমিন মাদরাসার ছাত্র, রাফিউল আমিন বিন ইমাম উদ্দিন।
৪র্থ স্থান অধিকার করেন জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া ঢাকার ছাত্র, মুহাম্মাদ ইহতিশামুল হক বিন আব্দুর রব। ৫ম স্থান অধিকার করেন জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া ঢাকার ছাত্র, মাহদী হাসান বিন সালিম হুসাইন।
৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করেন জামিয়াতুস সুন্নাহ মাদারীপুরের ছাত্র, আহমাদুল্লাহ বিন মোঃ শাহাদাত।
৭ম স্থান অধিকার করেন দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারীর ছাত্র, ইয়াছিন আরাফাত বিন মুহা. মোস্তফা।
সর্বশেষ নবম স্থান অধিকার করেন জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদের ছাত্র, মোঃ সা'দ বিন সেলিম।
এমআর/
#ব্রেকিং_নিউজ
ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি আলফি জেনারে খ্রিস্ট ধ'র্ম ত্যাগ করে সত্যের ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
আলহামদুলিল্লাহ
ফ্যা সি বা দে র বি রু দ্ধে #বাংলাদেশ_জাতীয়তাবাদী_ছাত্রদল, #ইসলামী_ছাত্র_আন্দোলন_বাংলাদেশ সহ ১৯ টি ছাত্র সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
প্রাথমিক আলোচনায় অংশগ্রহনকারী ১৯ টি ছাত্র সংগঠনঃ-
১/বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
২/ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ
৩/বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ
৪/বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন
৫/নাগরিক ছাত্র ঐক্য
৬/বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি)
৭/বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাগপা)
৮/ ভাসানী ছাত্র পরিষদ
৯/খেলাফত ছাত্র মজলিস
১০/বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস
১১/ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ
১২/ছাত্র ফোরাম
১৩/ছাত্র মিশন
১৪/জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন
১৫/ছাত্র আন্দোলন
১৬/জাতীয় ছাত্র সমাজ
১৭/বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজ
১৮/গণতান্ত্রিক ছাত্রদল(এলডিপি)
১৯/জাতীয় ছাত্র সমাজ(জাতীয় পার্টি,কাজী জাফর)
_ বিশেষ দ্রষ্টব্য:
"ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় বিপ্লবী সভাপতি Soriful Islam Reyad ভাইয়ের মুখপাত্রে কিছুদিন আগে ১৭ টি ছাত্র সংগঠন নিয়ে ছাত্র ঐক্য' গড়ে উঠলেও,এখন নতুন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও আরো একটি ছাত্র সংগঠন ছাত্র ঐক্যের এই যুগ উপযোগী গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সাথে সংযুক্ত হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ"।
৫০ লাখ চুরির লোভে ৫ লাখ ব্যয় করে মেম্বার হয়ে যখন দেখে চেয়ারম্যান ৫০ পয়সাও চুরি করতে দেয় না তখন চেয়ারম্যান দুর্নীতিবাজ,,,!!
ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী চুরি করবে এ কথা শয়তানেও বিশ্বাস করবে না। ইনশাআল্লাহ ❤️বরিশাল নেওয়া মতি ইউনিয়ন
কখনো মুফতি রেজাউল করিম আবরার।
কখনো মুফতি রিজওয়ান রফিকী।আবার কখনো মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফীদের ঠিক এমন ভাবেই শায়েখে চরমোনাই'র সাথে ভালোবাসায় সিক্ত হতে দেখা যায়।
আজ শায়েখে চরমোনাই'র সাথে মুফতি আরিফ বিন হাবিব হাফিজাহুল্লাহ'র সুন্দর এক মুহুর্তের সাক্ষী হলো লক্ষীপুরবাসী। এ দৃশ্যগুলো তরুণ প্রজন্মকে কতোটা আত্মতুষ্টি করে তা বলে বুঝানো যাবেনা।
হক্কানী আলেম ও পীর মাশায়েখদের মাঝে এমন ভালোবাসা ও বিনয় সবসময় বিদ্যমান থাকুক এটাই প্রত্যাশা করি। বর্তমান ও আগাম প্রজন্ম এমন মুহুর্ত গুলো থেকে খাতা-কলম বিহীন অন্যরকম এক শক্তিশালী তালিম নিজেদের মাঝে অর্জন করতে পারবে বলে বিশ্বাস করি।
সত্যের সন্ধানে -মুজাহিদ
▪️ বিজ্ঞ আলেমগন
কেউ চরমোনাইর বিরুদ্ধে নয়✅
১)শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ চরমোনাই বিরুদ্ধে ছিলেন না
২)মুফতী আমিনী রহ. চরমোনাইর বিরুদ্ধে ছিলেন না,
৩)খতিব ওবায়দুল হক রহ. চরমোনাই বিরুদ্ধে ছিলেন না
৪)আল্লামা আহমদ শফি দাঃবাঃ
চরমোনাইর বিরুদ্ধে ছিলন না
৫)আল্লামা মাহমুদুল হাসান দাঃবাঃ চরমোনাইর বিরুদ্ধে নয়,
৬)আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী রহ.
চরমোনাইর বিরুদ্ধে ছিলেন না
৭)আল্লামা ওবাইদুর রহমান মাহবুব
দাঃবাঃ চরমোনাইর বিরুদ্ধে নয়,
৮)আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলি পুরি
দাঃবাঃ চরমোনাইর বিরুদ্ধে নয়,
৯)আল্লামা মুফতী দেলোয়ার হোসেন
দাঃবাঃ চরমোনাইর বিরুদ্ধে নয়,
১০) আল্লামা মিজানুর সাঈদ দাঃবাঃ
চরমোনাইর বিরুদ্ধে নয়,
১১)আল্লামা হাবিবুর রহমান
খয়রাবাদী দাঃবাঃ চরমোনাইর বিরুদ্ধে নয়,
১২) মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমীও
চরমোনাই বিরোধী না।
১৩)আল্লামা ওবায়দুল খান নদবী দাঃবাঃ চরমোনাই বিরোধী নয়।
১৪)আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী দাঃবাঃ চরমোনাই বিরোধী নয়।
১৫)আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ দাঃবাঃ চরমোনাই বিরোধী নয়।
১৬) আল্লামা মামুনুল হক দাঃবাঃ চরমোনাই বিরোধী নয়।
১৭)আল্লামা এফ এম খালেদ হোসাইন দাঃবাঃ চরমোনাই বিরোধী নয়।
১৮)দারুল উলুম দেওবন্দের সমস্ত আলেম উলামা মাশায়েখগন চরমোনাই বিরোধী নয়
-বাংলাদেশ সহ বিশ্বের আরো অনেক বড় বড় আলেম আছে তারা কেউ.. চরমোনাইর বিরুদ্ধে নয়!!!!!!!!!!!
আশ্চর্য ব্যাপার!
-তুমি কেনো চরমোনাইর
বিরোধিতা করো?
তোমার উদ্দেশ্য কি?
-তুমি কি এই সমস্ত আলেমদের থেকেও বড় পন্ডিত হয়ে গেছো নাকি?
জবাব দাও পারলে
চরমোনাই বিরোধী পার্টি ?????
আওয়ামীলীগে ভোট দিলে সমস্যা নেই!
বিএনপিকে ভোট দিলে সমস্যা নেই!
জাপাকে ভোট দিলে সমস্যা নেই!
জাসদ বাসদকে ভোট দিলে সমস্যা নেই!
গনতন্ত্রের পক্ষে ভোট দিলে সমস্যা নেই!
ইসলামের পক্ষে দ্বীন প্রতিষ্ঠার-আন্দোলন।
"ইসলামী আন্দোলনের" পক্ষে ভোট দিলে যত সমস্যা!, সমস্যা আমাদের নেই।
সমস্যা দেখবেন সব আপনাদের গাড়ে পরবে।
তোমরা যা করবে এটাই ইসলাম নয় বরং ওলামায়ে-কেরামগনের জামাত কোরআন সুন্নাহ অনুযায়ী
যেটা করবে সেটাই ইসলাম। একজন আলেম ভূল করতে পারে কিন্তু আলেমদের জামাত সম্মিলিতভাবে ভুল করতে পারে না!
বিজ্ঞ আলেমগন কেউ
চরমোনাই বিরোধীতা করে না! কিন্তু তুমি কোন গ্রহের পন্ডিত সব আলেমদের থেকেও বেশি বুঝ।
তুমি চরমোনাইর বিরোধীতা করতে গিয়ে
ইসলাম বিদ্বেষী হয়ে গেছো,
আলেম বিদ্বেষী হয়ে গেছ
মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী এবং আহলে কুরআন আবু সাঈদ খান!
আহলে কুরআন একটি কুফরী ফিরক্বা। এ ফিরক্বা আহলে হাদীস ফিরক্বার মতোই অনলাইনের কল্যাণে ছড়িয়ে পড়ছে শিক্ষিত সমাজের মাঝে।
এদের ইলমী রদ প্রয়োজন। আল্লাহর রহমাতে আমাদের আকাবিরগণ তাদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ইলমী তথ্য উপাত্ত কিতাব আকারে সংগ্রহ করে দিয়েছেন।
আমাদের শুধু পড়া ও তা প্রয়োগ করা বাকি।
আবু সাঈদ খান। তিনি বিভিন্ন উলামায়ে কেরামের কাছে হুট করে গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে বিব্রত করেন।
মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর সাথেও এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছেন।
মাওলানা আব্বাসী বুদ্ধিমান মানুষ। তিনি তার চালাকী ধরতে পেরে আগে ভাগে তার বই সংগ্রহ করে তার বইয়ের কুফরীগুলো নির্দিষ্ট করে নিয়ে বুদ্ধিমত্মার পরিচয় দিয়েছেন।
এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেব কথা বলতে জানেন। মাশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা তাকে সকল বিষয়ে হকপন্থী হবার তৌফিক দান করুন।
তবে বাহাস ও মুবাহাসার একটি উদ্দেশ্য হলো: প্রতিপক্ষের সামনে হককে পরিস্কার করা। শুধুমাত্র তাকে নাজেহাল ও অপদস্ত করা বাহাসের উদ্দেশ্য নয়।
এতে করে প্রতিপক্ষ অপমানিত হয় একথা ঠিক। হকের পক্ষের লোকগুলোও আনন্দ পান। কিন্তু মূল মাকসাদ ফওত হয়ে যায়। সেটি হলো: বিভ্রান্ত লোকটাকে ফিরানো বা তার মতো দোদুল্যমান লোকগুলোর সামনে হক খুলে দেয়া। আক্রমণাত্মক এবং একমুখী কথা হলে বাহাসের মূল উপকার থেকেই বঞ্চিত হতে হয়।
ফেরাউনের সাথে কথা বলতে যাওয়ার সময় আল্লাহ তাআলা নবী মুসা আলাইহিস সালাম ও হযরত হারুন আলাইহিস সালামকে উপদেশ দিলেন:
فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَّيِّنًا لَّعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَىٰ [٢٠:٤٤]
অতঃপর তোমরা তাকে নম্র কথা বল, হয়তো সে চিন্তা-ভাবনা করবে অথবা ভীত হবে। [সূরা ত্বহা-৪৪]
আমরা যেমন নবী মূসা নই, তেমনি যার সাথে মুবাহাসা করি, তারাও ফেরাউন নয়।
সুতরাং বাহাস ও মুবাহাসায় আমাদের মুখের ভাষা শালীন ও ভদ্রতাসূচক হওয়াই ইসলামের মৌলিক সৌন্দর্য।
মাওলানার আহলে কুরআন নামক কুফরী ফিরক্বার বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। সেই সাথে সকল বিষয়ে হকপন্থী হবার দুআও করি।
মুফতি লুৎফর রহমান ফরায়েজী
আলহামদুলিল্লাহ। মুহতারাম মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী হাফি.জামিন পেয়ে মুক্ত বাতাসে।
আল্লাহ তায়ালা হজরতের হায়াতে বরকত দান করুন।
এবার শায়খুল হাদীস ইবনু শায়খিল হাদিস সহ অন্যান্য কারাবন্দীদের মুক্তির পালা।
হে আল্লাহ সবকিছু সহজ করে দিন।
নানা বাড়ি গৌরনদীতে বেড়াতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ছেলের বিবাহ পরবর্তী " ওয়ালিমা " (Walima) প্রসঙ্গে যা বললেন শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এর বেয়াই মির্জা মাওলানা আবু জাফর বেগ, ঈমাম ও খতিব মসজিদ আল মামুর ( জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার নিউইয়র্ক আমেরিকা ) ............
টাকা নিয়ে ভোট দিলে সেটা হবে ঘুষ, তবে অসৎ লোককে ভোট দিলে সে নির্বাচিত হয়ে যতো অন্যয় করবে সেটার সমপরিমাণ গুনাহ্ ভোট প্রদানকারী ও পাবে!
-আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী হাফিজাহুল্লাহ।
চরমোনাই এর বিরোধিতা করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও ইমরান খানের জন্য দোয়া করা ইতরামি ছাড়া আর কিছুই না
সব কিছুরই একটা সীমা থাকা দরকার
আলহামদুলিল্লাহ ❤️
যতই বিরোধিতা ততই জনপ্রিয়তা।
( শায়েখে কুয়াকাটা )
ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা …!!
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদে এরশাদ করেন…
اَلَّذِیْنَ اِنْ مَّكَّنّٰهُمْ فِی الْاَرْضِ اَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَ اٰتَوُا الزَّكٰوةَ وَ اَمَرُوْا بِالْمَعْرُوْفِ وَ نَهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ ؕ وَ لِلّٰهِ عَاقِبَةُ الْاُمُوْرِ
১. তারাই ঐসব লোক, যাদেরকে যদি আমি পৃথিবীতে ক্ষমতা দিই, তাহলে তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে, ভালো কাজের আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করে। আর সকল বিষয়ের পরিণাম আল্লাহরই হাতে। (সূরা হাজ-২২: ৪১)
اِنَّاۤ اَنْزَلْنَاۤ اِلَیْكَ الْكِتٰبَ بِالْحَقِّ لِتَحْكُمَ بَیْنَ النَّاسِ بِمَاۤ اَرٰىكَ اللّٰهُ ؕ وَ لَا تَكُنْ لِّلْخَآىِٕنِیْنَ خَصِیْمًاۙ
২. হে রাসূল! আমি এ কিতাব হকসহকারে আপনার প্রতি নাজিল করেছি, যাতে আল্লাহ আপনাকে যে সঠিক পথ দেখিয়েছেন, সে অনুযায়ী জনগণের মধ্যে ফয়সালা করেন। আপনি খিয়ানতকারীদের পক্ষ হয়ে ঝগড়া করবেন না। (সূরা নিসা-০৪: ১০৫)
وَ قُلْ رَّبِّ اَدْخِلْنِیْ مُدْخَلَ صِدْقٍ وَّ اَخْرِجْنِیْ مُخْرَجَ صِدْقٍ وَّ اجْعَلْ لِّیْ مِنْ لَّدُنْكَ سُلْطٰنًا نَّصِیْرًا
৩. এবং দোয়া করুন, হে আমার রব! আমাকে যেখানেই নিয়ে যাও, সত্যতার সাথেই নিয়ে যাও এবং যেখান থেকে বের কর সত্যতার সাথেই বের কর। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে এমন কোনো শক্তি দান কর, যে আমার সাহায্যকারী হবে। (সূরা বনি ইসরাইল- ১৭: ৮০)
اِنَّ رَبَّـكُمُ اللّٰهُ الَّذِیْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ فِیْ سِتَّةِ اَیَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰی عَلَی الْعَرْشِ ۫ یُغْشِی الَّیْلَ النَّهَارَ یَطْلُبُهٗ حَثِیْثًا ۙ وَّ الشَّمْسَ وَ الْقَمَرَ وَ النُّجُوْمَ مُسَخَّرٰتٍۭ بِاَمْرِهٖ ؕ اَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَ الْاَمْرُ ؕ تَبٰرَكَ اللّٰهُ رَبُّ الْعٰلَمِیْنَ
৪. নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের রব, যিনি আসমান ও জমিনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি আরশে সমাসীন হন। যিনি দিনকে রাত দিয়ে ঢেকে দেন। তারপর দিন রাতের পেছনে দৌড়ে চলে আসে। যিনি সূর্য, চন্দ্র ও তারকা সৃষ্টি করেছেন, যা তাঁর হুকুমের অধীন।
সাবধান, সৃষ্টিও তাঁর, হুকুমও তাঁরই। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বড়ই বরকতময়। (সূরা আ’রাফ-০৭: ৫৪)
اَفَحُكْمَ الْجَاهِلِیَّةِ یَبْغُوْنَ ؕ وَ مَنْ اَحْسَنُ مِنَ اللّٰهِ حُكْمًا لِّقَوْمٍ یُّوْقِنُوْنَ۠
৫. (যদি তারা আল্লাহর আইন থেকে মুখ ফিরায়) তাহলে কি তারা আবার জাহিলিয়াতের বিচার-ফয়সালা চায়?অথচ যারা আল্লাহর উপর ইয়াকিন রাখে, তাদের কাছে আল্লাহ থেকে কে বেশি ভালো ফয়সালাকারী হতে পারে? (সূরা মায়িদা-০৫: ৫০)
বাতিল গুষ্টি নিপাত যাক। খতিবুল উম্মাহ হযরত মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী কুয়াকাটা হাফিজুল্লাহ জিন্দাবাদ 💞🥰
এই চুলকানির শেষ কোথায়??
মামুনুল হক জেলে তাই তিনি বীর
চরমোনাই হুজুর বাহিরে তাই তিনি সরকারি দালাল।চরমোনাইয়ের দুই শায়েখ জেলে ছিলো তখন তো মামুনুল হক বাহিরে ছিলো।
তাহলে কি বুঝে নিবো মামুনল হকও সরকারি দালাল ছিলেন চুলকানিওয়ালারা জবাব দাও?
জেলে গেলেই যে হক্ব আর জেলে না গেলেই যে বাতিল এই কথার দলিল এক মাত্র শয়তান ছাড়া কেউ দিতে পারে না।
কই যখন চরমোনাইয়ের শায়েখরা জেলে ছিলো তখন তো কারো মুখে আওয়াজ শুনি নাই যে চরমোনাই বীর আর অন্য ইসলামী দল গুলো বাতিল।
রাজনীতি কম বেশি বাংলাদেশের সব উলামায়ে কেরাম করেছেন। আংগুল টা চরমোনাইয়ের দিকে কেন?
বুঝতে হবে তোমার ভিতর ইসলামের চেতনা নেই আছে ভন্ডামির চেতনা।
যে ফতোয়া গুলো চরমোনাইয়ের দিকে দিচ্ছে একই কাজ আজিজুল হক রহঃ করেছেন।
মুফতি আমীনি রহঃ করেছেন।
হাফেজ্জ্বী হুজুর রহঃ করেছেন।
দেলোয়ার হুসাইন সাঈদী করেছেন।
কই তাদের বিরোদ্ধে কোনো কথা বলো না কেন?
তোমার মুখে কে তালা মেরেছেন?
তোমাদের চুলকানি কি কমবে না?
আর কমবেই কি করে। চরমোনাই যে হক্বের বাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে সেটা দেখে তোমার ভিতর হিংসা হচ্ছে।
কারণ চরমোনাইয়ের জন্য তোমাদের দালালির রাস্তা ছোট হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের সমস্ত হক্কানি দলের মধ্যে চরমোনাই সেরা।
যে হক্বের বাতি আল্লাহ জ্বালিয়েছেন।
সেটা তোমার মতো নাট-বল্টু মার্কার বিরোধিতা কিছু আসেও না যায়ও না।
Please follow my page 👍✅
কঠিন হুংকার ছাড়লেন …মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ হাফিজুল্লাহ (কুয়াকাটা)
Please support 🙏 Follow My Pegs 👍
উনাদের সবাইকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি 🥰🥰🥰
কাউকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার শাস্তি..🔥🔥🔥
✍️যারা মিথ্যা অপবাদ দেন দয়া করে তারা লেখাগুলো সম্পন্ন ভালো ভাবে পরবেন.. তার পরে না হয় আরো বেশি বেশি মিথ্যা অপবাদ দিবেন এবং চালিয়ে যাবেন... ইনশাআল্লাহ
✍️আপনারা যারা শায়খে চরমোনাই এবং খতিবুল উম্মাহ মাওঃ হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী কুয়াকাটা হুজুরকে মিথ্যা অপবাদ এবং গালাগালি করছেন … আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন আপনার কি অবস্থা হবে … আমরা তো সবসময় বলি মাওঃ হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী হুজুর যদি এই সব করে থাকেন যা আপনারা সবাই মিথ্যা অপবাদ দিতেছেন.. যদি সত্যি হয় তাহলে আল্লাহ যেনো উনাকে দংশ করে দেয় . যদি সত্যি না হয় আপনাদের মত মিথ্যাবাদী মুনাফিক উনার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কিছু করতে পারবেন না .... ইনশাআল্লাহ
কারন আল্লাহ যে বাতি জ্বলাইবে দুনিয়ার কোনো মুনাফিক এবং বেইমান সেই বাতি নিভিয়ে দিতে পারবে না... কোরআন ও হাদিস প্রমান করে। আল্লাহ যাকে সম্মান দিবে কেউ তাকে অসম্মান করে পারবে না। যে অসম্মান করতে যাবে আল্লাহ তায়ালা তাকে দংশ করে দিবেন । কোরআন ও হাদিস প্রমানিত।
কাউকে মিথ্যা অপবাদ শাস্তি.....
কোরআনের আয়াত থেকে দলিল.....
১/ পবিত্র কোরআনে মূর্তি পূজার সঙ্গে মিথ্যা সাক্ষ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘...সুতরাং তোমরা বর্জন করো মূর্তি পূজার অপবিত্রতা এবং দূরে থেকো মিথ্যা কথা থেকে।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৩০)
২/ মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা সচ্চরিত্রবান সরলমনা মুমিন নারীদের ব্যভিচারের অপবাদ দেয় তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য (আখিরাতে) আছে মহা শাস্তি।’ (সুরা: নুর, আয়াত : ২৩)
৩/ অপবাদ কখনো কখনো কুফরি পর্যন্ত নিয়ে যায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা সচ্চরিত্রবান সরলমনা মুমিন নারীদের ব্যভিচারের অপবাদ দেয় তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য (আখিরাতে) আছে মহা শাস্তি। ’ (সূরা: নুর, আয়াত : ২৩)
৪/ মহান আল্লাহ ব্যভিচারের অপবাদকে গুরুতর অপরাধ বলে সাব্যস্ত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা ব্যাপারটিকে তুচ্ছ মনে করছ; অথচ তা আল্লাহর কাছে খুবই গুরুতর অপরাধ। ’ (সূরা : নুর, আয়াত : ১৫)।
হাদিস থেকে দলিল….....
১/ রাসুল (সা.) বলেছেন, পাঁচটি পাপ এমন, যার কাফফারা নেই। তার মধ্যে তৃতীয়টি হলো, কোনো মুমিনকে অপবাদ দেওয়া, (আহমদ)
২/ নবী করীম সাঃ বলেন যে ব্যক্তি কোনো মুমিনকে এমন দোষে দোষারোপ করবে, যা থেকে সে মুক্ত। আল্লাহ তাকে “রাদগাতুল খাবাল” নামক জাহান্নামের গর্তে বাসস্থান করে দেবেন, যতক্ষণ সে অপবাদ থেকে ফিরে না আসে, (আবু দাউদ)
৩/ কারো ওপর অপবাদ দেওয়া হয় তাকে হেয় করার জন্য; মানুষের কাছে তার চরিত্র হননের জন্য। অথচ এটি অপবাদ আরোপকারীর ওপরই বর্তায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘একজন মানুষের মন্দ হওয়ার জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে, সে তার মুসলিম ভাইকে হেয় মনে করে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৪৩৫)
৪/ নবী করীম সাঃ বলেন যা শুনে তা-ই বলতে থাকা কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। (মুসলিম, হাদিস : ৫)
৫/ ইরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সত্য কল্যাণের পথে পরিচালিত করে, আর কল্যাণ জান্নাতে পৌঁছায়। আর মানুষ সত্যের ওপর অবিচল থেকে অবশেষে সিদ্দিকের মর্যাদা লাভ করে। আর মিথ্যা মানুষকে পাপের দিকে নিয়ে যায়, পাপ তাকে জাহান্নামে নিয়ে যায়। আর মানুষ মিথ্যা কথা বলতে বলতে অবশেষে আল্লাহর কাছে মহা মিথ্যাচারী প্রতিপন্ন হয়ে যায়। (বুখারি, হাদিস : ৬০৯৪)
৬/ মিথ্যা অপবাদে মানুষের সম্মানহানি ঘটে। কারো সম্মানহানি করার অধিকার অন্যের নেই । যে অপর ভাইয়ের ইজ্জত খাটো করে তার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘কোনো মুসলমান অপর কোনো মুসলমানকে যদি এমন স্থানে লাঞ্ছিত করে যেখানে তার সম্মানহানি হয় আল্লাহ তাকে এমন স্থানে লাঞ্ছিত করবেন, যেখানে তার সাহায্যপ্রাপ্তির আশা ছিল।' (আবু দাউদ ৪৮৮৪)
কারো ব্যাপারে অপবাদ দেওয়া হলে সে ক্ষমা না করলে আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়া যাবে না। সুতরাং আমাদের উচিত যাদের অপবাদ দিয়েছি তাদের থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া।
মহান আল্লাহ আমাদের মিথ্যা অপবাদ থেকে বেঁচে থাকার তওফিক দান করুন! আমীন🤲🤲🤲🤲
হক কথা এবং সত্যকে তুলে ধরার জন্য আমার পেজটাকে ফলো করে পাশে থাকবেন… ইনশাআল্লাহ
✍️✍️লেখক..… মোঃ মোশারফ হোসাইন মোমেনশাহী
অনেকেই বলে পীরের ছেলে পীর হয় কিভাবে???
আমি বলি পীরের ছেলে পীর হয় আ'মাল-আখলাকের যোগ্যতার বলে???
তোদের কাছে আমার প্রশ্ন আল্লামা'র ছেলে আল্লামা হয়নি কেন???
জানি তোরা সঠিক উত্তর দিতে পারবিনা তাই আমিই দিয়ে দিচ্ছি, উত্তরটা হচ্ছে -আল্লামা যখন তার ইলমের উপড় আ'মাল না করে মওদূদীর মতো গোমরাহ লোকের অণুস্বরন করে তখন তার সন্তান এবং শ্রোতারা হয়-
১)বেয়াদব
২)বে-আমাল
৩)উশৃংখল
আর এরা কখনো আল্লামা তো দূরের কথা প্রকৃত আলেমও হতে পারেনা....
1971সালে করেছে পাকিস্তানের দালালি.
1996 সালে করেছে আওয়ামী লীগের দালালি…
2001 সালে করেছে বিএনপির দালালি…এখনো দালালির ভিতরেই আছে.. আবার ওরা অন্যকে দালাল বলে. এই হল গুমরা পথভ্রষ্ট মুনাফিক মওদদির পা চাটা গোলামদের অবস্থা…মিথ্যাবাদীর উপর আল্লাহ তায়ালার লানত
বাংলাদেশে যত ফেতনা লাগায় সব মওদূদীর মুরিদেরা..!! খতিবুলউম্মাহ মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক সাহেবের একটাই দোষ তিনি সত্য কথা মুখের উপর বলে দেন।
১২ বছরের ছোট্ট ছেলেটা
রোজা রেখে দিন শেষে মাত্র ১ ঘন্টা আছে
এমন সময় বলে মাগো আমি আর পারছি না
একটু পানি দাও 😞
#মা বলে
এইতো বাবা আর একটু শুয়ে থাকো একটু পরেই আযান হবে 😟
এই বলে মা রান্নাঘরে চলে গেল
আযানের আর মাত্র ৫ মিনিট বাকি ছেলেকে ডাকে বাবা ওঠ আযানের সময় হয়ে এসছে
কিন্তু ছেলে আর ওঠে না 😫
মা ডাকতেই থাকে তার পর মা বুঝে যাই ছেলে আর পৃথিবীতে নেই
রোজাদার ব্যক্তির মৃত্যু শহীদের থেকেও উত্তম।ইয়া আল্লাহ আমাদেরকে রমজান মাসে শুক্রবার দিন মৃত্যু দান করো। আমিন 🤲
খাসি খাওয়া হারাম!
বলেছেন:
মুহতারাম তারেক মনোয়ার।
এ বিষয়ে ওলামায়ে মওদুদী কিছু বলবেন কি?
যাদের কে সাপোর্ট করি তাদের পক্ষে যদি একটা ভোট না চাইতে পারলাম, তাহলে আমার মত সাপোর্টার কোন দলে প্রয়োজন নেই।
২৫ মে গাজী পুর সিটি নির্বাচন,
দল -ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ
প্রতিক -হাতপাখা
প্রার্থী - গাজী ভাই
প্রত্যাশা - হে আল্লাহ গাজী ভাই কে গাজী বানিয়ে গাজীপুর বাসিকে খেদমত করার সুযোগ দান করুন।
ইনশাআল্লাহ
হাতপাখা,,
তাফহীমুল কুরআন: বাইবেল-নির্ভর তাফসির কী করে নির্ভরযোগ্য হতে পারে?
মাওলানা আবুল আলা মওদুদি ভারত উপমহাদেশের ইসলামি ও ইলমি অঙ্গনের একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। কোনো কামেল ও দক্ষ আলেমের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী ইলমি ও দ্বীনি কাজ করার প্রয়োজনীয়তা তিনি কখনোই অনুভব করেননি; স্বীকার করেননি; বরং নিজ মেধার ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ও চরম মুক্ত চিন্তার অধিকারী ছিলেন। ইসলামের নানা বিধান, দ্বীনের বিভিন্ন ব্যাখ্যা ও ইলমি উত্তরাধিকার সম্পর্কে উম্মতের রাহবার ইমামগণ থেকে শুরু করে মুহাদ্দিসিনে কেরাম ও জামানার মুজাদ্দিদগণসহ অতীতের প্রায় সকল আলেম ও তাদের মূল্যায়ন তার নিকট তুচ্ছ— যা তার বিভিন্ন লেখা ও রচনার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এর পরিণতি যা হবার তাই হয়েছে। দ্বীনের মৌলিক নানা বিষয়ে তিনি ভ্রান্তির শিকার হয়েছেন। উম্মাহর সর্বজনমান্য সালাফ ও আকাবিরের পথ ও পন্থাকে অগ্রাহ্য করে নিজ চিন্তার আলোকে বিচ্ছিন্ন এক পথে চলেছেন; এক নতুন মতবাদ দাঁড় করিয়েছেন।
বিষয়টি ব্যক্তি মওদুদি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলে উলামায়ে কিরাম বিচলিত হতেন না। কিন্তু যখন তিনি নিজ মনগড়া গবেষণার ফসলগুলো 'জামায়াতে ইসলামী' নামে একটি দল গঠন ও নানা বই-পুস্তক রচনার মাধ্যমে উম্মতের মাঝে ছড়িয়ে দিতে লাগলেন; তখন মুত্তাকি ও সচেতন উলামায়ে কেরাম শরয়ী মূলনীতির আলোকে তার চিন্তাধারাকে যাচাই বাছাই করে উম্মতের সামনে দ্বীনের সঠিক ব্যাখ্যা পেশ করলেন। উপমহাদেশের খ্যাতনামা আলেমদের প্রায় সকলেই মওদুদি সাহেবের চিন্তাধারার মারাত্মক ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলেছেন, গ্রন্থ লিখেছেন।
মাওলানা মওদুদির ভ্রান্তি ও বিচ্যুতির ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। সবকিছু পাশে রেখে আজ কথা বলি মাওলানা মওদুদি রচিত তাফসিরগ্রন্থ 'তাফহীমুল কুরআন' নিয়ে। আকাবির আলেমদের চোখে প্রশ্নবিদ্ধ, বাইবেল-নির্ভর এ তাফসিরগ্রন্থটি কতটা নির্ভরযোগ্য?
কুরআনের প্রথম ব্যাখ্যাকার হলেন রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তার ব্যাখ্যাই হাদিস। রাসূলের হাদিসের আলোকে ও কুরআন নাজিলের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দ্বিতীয় ব্যাখ্যাকার হলেন সাহাবায়ে কেরাম— যে ব্যাখ্যার নাম আ-ছা-রে সাহাবা। তাদের পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় সকল জ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শী ইমাম ও তাফসিরবিদগণ হাদিস ও আছারে সাহাবার আলোকে কুরআনের তাফসির ও ইসলামি আইনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে গেছেন— যা নিশ্ছিদ্র সূত্র পরস্পরায় আজও উম্মতের নিকট অবিকল সংরক্ষিত রয়েছে। পরবর্তী বিদগ্ধ আলেমগণ সময় ও প্রেক্ষাপটভেদে সেই পুরনো ইলমি ভান্ডারেরই যুগোপযোগী বিশ্লেষণ করেছেন। গ্রহণযোগ্য সনদের হাদিস ও আছারে সাহাবা এবং এই উৎসদ্বয়ের আলোকে কৃত তাফসিরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো তাফসির যেমন তারা নিজেরা করেননি; তেমনি কেউ করে থাকলে তাকে বাতিল বলে বর্জন করেছেন। এটাই মূলত সঠিক ও নিরাপদ পন্থা— কুরআন-ব্যাখ্যায় এর কোনো বিকল্প পথ নেই। কোনো ব্যক্তি কুরআন ব্যাখ্যায় এই পথ ও পন্থা থেকে যেই মাত্রায় দূরে সরবে, তার তাফসির ঠিক সেই মাত্রায় পরিত্যাজ্য হবে।
হাদিস ও আছারে সাহাবার ভান্ডার উম্মাহর অসংখ্য নির্ভরযোগ্য মানুষের হাত ধরে সনদ পরম্পরায় আজও অবিকৃত। নতুন কোনোকিছু আবির্ভূত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এখন কেউ যদি সালাফে সালেহীনের সর্বসম্মত পথ ও পন্থা থেকে বিমুখ হয়ে কুরআনের কোনো তাফসির আবিষ্কার করে— সেটা হবে মনগড়া; যার পরিণতি নিশ্চিত গোমরাহি ও ভ্রষ্টতা। এমন গোমরাহি থেকে উম্মতকে বাঁচানোর জন্যই আল্লাহর রাসূল অত্যন্ত স্পষ্ট ও কঠোর ভাষার বলে গেছেন— 'যে ব্যক্তি কুরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা করবে, সে যেন নিজ ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। (তিরমিজি ২:১২৩ ও মেশকাত শরিফ ৩৫ পৃ.)
অথচ এ কাজটিই অত্যন্ত সুনিপুণ দক্ষতায় করেছেন মাওলানা আবুল আলা মওদুদি। সালাফে সালেহীন ও উম্মাহর সর্বজনগৃহীত পথ থেকে সরে এসে রচনা করেছেন তাফহীমুল কুরআন। হাদিস ও আছারে সাহাবাকে অগ্রাহ্য করে প্রাধান্য দিয়েছেন বিকৃত বাইবেলের উদ্ধৃতি ও ইসরায়েলি বিভিন্ন বর্ণনাকে; ক্ষেত্রবিশেষ প্রাধান্য দিয়েছেন স্রেফ নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি ও ভেতরের অনুভূতিকে। বিশাল ইলমি তুরাস ও ধারাবাহিকভাবে চলে আসা ইলমি পদ্ধতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। ফলস্বরূপ, চমৎকার ভাষানৈপুণ্য ও বর্ণনাভঙ্গি সত্ত্বেও তাফহীমুল কুরআনের অসংখ্য স্থানে চোখে পড়ে দ্বীনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মৌলিক নানা ভ্রান্তি ও বিচ্যুতি— মাওলানা মওদুদি অত্যন্ত কৌশলের সঙ্গে এ কাজ করেছেন বলে হয়তো একজন সাধারণ মুসলিমের চোখে তা ধরা পড়বে না; কিন্তু কখনোই সেসব একজন আহলে ইলম সচেতন আলেমের চোখ এড়াবে না।
আল্লামা যারকানি রহ. বলেন— 'যে সকল তাফসির ইসরায়েলি বর্ণনা ও গাল-গল্পনির্ভর, যেসব তাফসিরের প্রধান উৎস ইহুদি বর্ণনা ও কথিত ইতিহাস, ইহুদিদের বিকৃত কিতাবাদির সঙ্গে যেসব তাফসিরের সম্পর্ক রয়েছে, যেসব তাফসির থেকে পারস্যের মুলহিদদের ধর্মহীনতার গন্ধ আসে, যেসব তাফসিরের উৎস আহলে কিতাব [ইহুদি-খ্রিস্টান]— এই সক-ল তাফসির সর্বাবস্থায় অগ্রহণযোগ্য— ভালো নিয়তে লেখা হোক বা খারাপ নিয়তে।' (মানাহিলুল ইরফান/৪৯)
এবার আমরা একটু মাওলানা মওদুদি কৃত তাফহীমুল কুরআনের দিকে ফিরে তাকাই। তাফহীমুল কুরআনে নানা স্থানে আমরা দেখি শুধু বাইবেল আর বাইবেল! ইহুদি বর্ণনা ও গল্পনির্ভর কুরআনের অজস্র আয়াতের ব্যাখ্যা, সহিহ হাদিসকে অগ্রাহ্যকরণ। নিজের বিবেকপ্রসূত মনগড়া ব্যাখ্যা তো আছেই। আমরা দেখতে পাই তাফহীমুল কুরআনের উৎস তালমুদ, ইউহান্না ইত্যাদি।
মাওলানা মওদুদির এতটা বাইবেলপ্রীতির রহস্য এখনো অনুদঘাটিত। তাফহীমুল কুরআন গভীর মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করলে যে কেউ আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করবেন— স্থানে স্থানে তিনি মুহাদ্দিসিনে কেরাম, সনদ, হাদিসের সম্মানিত রাবিদের যেভাবে শক্তভাষায় সমালোচনা করেছেন; নিজের বোধ-বুদ্ধির সঙ্গে না মেলায় সহিহ হাদিসকেও যেভাবে বাতিল করে দিয়েছেন— সে অর্থে বাইবেলকে তিনি অনেকটা সাদরে কোলে তুলে রেখেছেন। অবাক লাগে, তিনি ইহুদিদের বিকৃত কিতাবগুলোর দিকে সমালোচনার দৃষ্টিই দিলেন না; সেসবের স্তর-বিন্যাসের চেষ্টাও করলেন না; সেসবের রচয়িতা কারা, বর্ণনাকারী কারা একটুও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করলেন না। সবচে মজার বিষয় হলো, তাফহীমুল কুরআনেরই বেশকিছু স্থানে তিনি বাইবেল বিকৃতির স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এ এক অদ্ভুত বৈপরীত্য যে, বাইবেল বিকৃত জানা সত্ত্বেও তিনি কুরআনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বাইবেল দ্বারাই করেছেন।
প্রোটেস্ট্যান্ট বাইবেল বলি বা ক্যাথলিক বাইবেল, নিউ টেস্টামেন্ট বলি বা ওল্ড টেস্টামেন্ট— বাইবেল বিকৃত হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। উম্মাহর সকলেই এ ব্যাপারে একমত। প্রোটেস্ট্যান্টদের বাইবেলে ৬৬টি পুস্তক আর ক্যাথলিকদের বাইবেলে রয়েছে ৭৩টি পুস্তক। প্রায় ৪০ জন লেখক ১৬০০ বছর ধরে এসব লিখেছে। [উইকিপিডিয়া]
এ সকল লেখক কারা, কী তাদের পরিচয়, কতটুকু বিশ্বস্ত বা নির্ভরযোগ্য কিছুই জানা যায় না। ঈসা আ.-এর সময়কাল থেকে তাদের মাঝে রয়েছে বিশাল গ্যাপ। সময়ের বিবর্তনে খ্রিস্টধর্মের নানা সম্প্রদায়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে, ক্ষমতাধরদের প্রভাবে বাইবেলে সংযোজন-বিয়োজন চলেই এসেছে। পাশাপাশি বাইবেলের অভ্যন্তরীণ অসংখ্য ঐতিহাসিক ভুল, পারস্পরিক বৈপরীত্য এবং অবাস্তব অনেক কাহিনির উপস্থিতি স্পষ্টভাবেই এর বিকৃতির প্রমাণ বহন করে। বাইবেলের বিকৃতি বিষয়ে মাওলানা রহমাতুল্লাহ কিরানবি লিখিত 'ইজহারুল হক' একটি অনুপম গ্রন্থ— সেখানে বিস্তারিত দেখা যেতে পারে। এমন এমন ভুলে বাইবেলের পৃষ্ঠাগুলো পূর্ণ— দূরবর্তী কোনো ব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়েও যা ঠিক করা সম্ভব না।
বিখ্যাত দার্শনিক ও চিন্তাবিদ আলেম মাওলানা আবুল হাসান আলী নদবি রহ. বলেন— 'যেই বাইবেল মুসলমানদের তৃতীয় বা চতুর্থ স্তরের হাদিস-সংকলনেরও স্তরে নেই— সেই বাইবেলকে 'সিহাহ সিত্তাহ'র স্তরে রেখে কেউ যদি কুরআনের তাফসির করে, সেই তাফসির কতটুকু নির্ভরযোগ্য হবে?' তিনি আরো বলেন— 'যেখানে বাইবেলের লেখক ও পুস্তকসমূহ সর্বদিক দিয়েই সন্দেহপূর্ণ, সেখানে আমার বোধগম্য হয় না মাওলানা মওদুদি তাফহীমুল কুরআনে বাইবেল-নির্ভর হয়ে কী করে কুরআনের তাফসির করলেন? যেই বাতির নিজেরই আলো নেই, সে অন্য বাতিতে আলো জ্বালবে কী করে?' [তাফহীমুল কুরআন মে আহাদিসে শরিফা সে বে-ইতেমাদি আওর বাইবেল পর ইতেমাদ-এর তাকরিয]
তাফহীমুল কুরআনে বাইবেলের উদ্ধৃতির অভাব নেই। প্রায় ১৮৩ স্থানের ওপর তিনি বাইবেলের প্রসঙ্গ টেনেছেন। অসংখ্য স্থানে তিনি বাইবেলের বর্ণনার ওপর নির্ভর করেছেন। যেমন—
• হযরত ইয়াকুব আলাহিস সালামের মিশর আগমনে ইউসুফ আ.-এর অভ্যর্থনা জানানোর পুরো ঘটনা তিনি তালমুদের ওপর নির্ভর করে লিখেছেন। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-৬/১২৮, আধুনিক প্রকাশনী]
• বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্টের বর্ণনা অনুসারে হযরত মুসা আ.-এর বয়স ৪০ নির্ধারণ করা— যেখানে নিজেই স্বীকার করেছেন যে, কুরআন কোনো বয়স নির্ধারণ করেনি। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-১০/২২৯, আধুনিক প্রকাশনী]
• হযরত মুসা আ.-এর শিক্ষা ও প্রতিপালন সংক্রান্ত আলোচনায় পুরোপুরি নির্ভর করেছেন বাইবেলের কিতাবুল আমাল ও তালমুদের ওপর। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-১০/২২৯, আধুনিক প্রকাশনী]
• হযরত নূহ আ.-এর বয়সের ব্যাপারে কুরআনের সাথে বাইবেলের বর্ণনা সাংঘর্ষিক হওয়ার পরও তিনি বাইবেলের বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। কুরআনের সাথে বাইবেলের তুলনা কী করে হয়? [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-১১/১৭, আধুনিক প্রকাশনী]
• হযরত ইলয়াস আ. কী শব্দে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন, তা হুবহু বাইবেল অনুসারে উল্লেখ এবং ইলয়াস আ. সংক্রান্ত পুরো তাফসিরই বাইবেল নির্ভর। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-১৩/৬৯-৭০, আধুনিক প্রকাশনী]
• বনি ইসরাইলের বাআল-পূজা সংক্রান্ত ঘটনা হুবহু বাইবেল অনুসারে উল্লেখ। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-১৩/৭০, আধুনিক প্রকাশনী]
• বাইবেল অনুসারে হযরত ইবরাহিম ও সারা আ.-এর বয়স নির্ধারণ। অথচ কুরআন এ ব্যাপারে নীরব। তাহলে কুরআনের ব্যাখ্যা তার কাছে বাইবেল! [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-১৫/১৪৬, আধুনিক প্রকাশনী]
এ ধরনের আরো অসংখ্য বিষয় তিনি বাইবেলের ওপর নির্ভর করেছেন। কেমন যেন যে বিষয়ে কুরআন চুপ, সে বিষয়ে তার একমাত্র আশ্রয় বিকৃত বাইবেল।
• তিনি তাফহীমুল কুরআনের অনেক স্থানে বিকৃত বাইবেল ও কুরআনকে এক স্তরে নামিয়ে এনেছেন। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-৩/৫২, ১৭/১০৯, ১৬/৫৭, আধুনিক প্রকাশনী]
• এছাড়া অসংখ্য আয়াত, কুরআনে বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে তিনি বারবার বাইবেল দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। এত বাইবেলপ্রীতি কেন! [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-৪/৯৫, ৮/৪৯, ১২/১০২ আধুনিক প্রকাশনী]
বাইবেলের প্রতি তিনি যে কতটা আসক্ত, বাইবেলের পুস্তকসমূহের প্রতি তিনি যে কতটা অনুরক্ত— তা তাফহীমুল কুরআনের নানা স্থানে ছড়িয়ে আছে। কুরআনের অসংখ্য বিষয়কে তিনি বাইবেলের সাথে কিয়াস করে নিজের মনমতো একটা সমাধান দিয়ে দিয়েছেন। কুরআনের অসংখ্য বিষয়ের ব্যাখ্যা উম্মাহর সর্বজন অনুসৃত পন্থা অনুসারে না করে বাইবেল দ্বারা করেছেন।
• সূরা আরাফের ১৩৩ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা বাইবেল দ্বারা করেছেন ও বাইবেলের অর্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-৪/৮২, আধুনিক প্রকাশনী]
• তার মতে বাইবেলের বাইবেলের লেবীয় পুস্তক দ্বিতীয় বিবরণে উদ্ধৃত হযরত মুসা আ.-এর একটি ভাষণ সূরা মায়েদার ৬৬ নম্বর আয়াতের উৎকৃষ্ট তাফসির। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-৩/৬২, আধুনিক প্রকাশনী]
• কুরআনের ইঙ্গিতসমূহ বোঝার জন্য বাইবেল দেখা জরুরি। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-৭/৯২ আধুনিক প্রকাশনী]
খুবই অল্প কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো। তাফহীমুল কুরআনের পাতায় পাতায় তার বাইবেল-নির্ভরতার প্রমাণ মিলবে। মাওলানা মওদুদির বাইবেলপ্রীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন— তাফহীমুল কুরআন মে আহাদিসে শরিফা সে বে-ইতেমাদি আওর বাইবেল পর ইতেমাদ/মুফতি মুহাম্মদ সাজিদ কুরাইশি কাসেমি
মাওলানা মওদুদি তার তাফহীমুল কুরআনের ভূমিকার পূর্বে 'প্রসঙ্গ কথায়' লিখেছেন যে, আমি (তাফহীমুল কুরআনে) কুরআনের শব্দাবলিকে ভাষান্তরিত করার পরিবর্তে কুরআনের একটি বাক্য পড়ার পর তার যে অর্থ আমার মনে বাসা বেঁধেছে এবং মনের ওপর তার যে প্রভাব পড়েছে, তাকে যথাসম্ভব নির্ভুলভাবে নিজের ভাষায় লেখার চেষ্টা করেছি। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-১/১০, আধুনিক প্রকাশনী]
মাওলানা মওদুদির সরল স্বীকারোক্তি। এখন আপনি ভাবুন— কুরআনের আয়াত সম্পর্কে রাসূল কী বলেছেন, সাহাবাগণ কী বলেছেন, তাবেইন, তাবে-তাবেইন কী বলেছেন, এইস-ব কিছু বাদ দিয়ে— ১৩০০ বছর পরে জন্ম নেওয়া ভারতের মহারাষ্ট্রের মাওলানা মওদুদির মনে যে প্রভাব পড়েছে, মনে যা এসেছে তা দিয়ে লিখে ফেলা তাফসির কতটুকু নির্ভরযোগ্য আর আপনি তা থেকে কতটা গ্রহণ করবেন!
মাওলানা মওদুদি কৃত তাফসির তাফহীমুল কুরআন অনেক মৌলিক ভ্রান্তি ও বিচ্যুতিপূর্ণ। দ্বীন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে না— এমন কারো জন্য এই তাফসির অধ্যয়ন অনুচিত। পাশাপাশি, সালাফে সালেহীনের সর্বজন অনুসৃত নীতি অনুসারে রচিত কোনো তাফসিরের সঙ্গে এর তুলনা করাটাও হাস্যকর; যারা তুলনা করে— এতে কেবল তাদের জ্ঞানের দৈন্যতাই প্রকাশিত হয়।তাফহীমুল কুরআন: বাইবেল-নির্ভর তাফসির কী করে নির্ভরযোগ্য হতে পারে?
মাওলানা আবুল আলা মওদুদি ভারত উপমহাদেশের ইসলামি ও ইলমি অঙ্গনের একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। কোনো কামেল ও দক্ষ আলেমের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী ইলমি ও দ্বীনি কাজ করার প্রয়োজনীয়তা তিনি কখনোই অনুভব করেননি; স্বীকার করেননি; বরং নিজ মেধার ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ও চরম মুক্ত চিন্তার অধিকারী ছিলেন। ইসলামের নানা বিধান, দ্বীনের বিভিন্ন ব্যাখ্যা ও ইলমি উত্তরাধিকার সম্পর্কে উম্মতের রাহবার ইমামগণ থেকে শুরু করে মুহাদ্দিসিনে কেরাম ও জামানার মুজাদ্দিদগণসহ অতীতের প্রায় সকল আলেম ও তাদের মূল্যায়ন তার নিকট তুচ্ছ— যা তার বিভিন্ন লেখা ও রচনার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এর পরিণতি যা হবার তাই হয়েছে। দ্বীনের মৌলিক নানা বিষয়ে তিনি ভ্রান্তির শিকার হয়েছেন। উম্মাহর সর্বজনমান্য সালাফ ও আকাবিরের পথ ও পন্থাকে অগ্রাহ্য করে নিজ চিন্তার আলোকে বিচ্ছিন্ন এক পথে চলেছেন; এক নতুন মতবাদ দাঁড় করিয়েছেন।
বিষয়টি ব্যক্তি মওদুদি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলে উলামায়ে কিরাম বিচলিত হতেন না। কিন্তু যখন তিনি নিজ মনগড়া গবেষণার ফসলগুলো 'জামায়াতে ইসলামী' নামে একটি দল গঠন ও নানা বই-পুস্তক রচনার মাধ্যমে উম্মতের মাঝে ছড়িয়ে দিতে লাগলেন; তখন মুত্তাকি ও সচেতন উলামায়ে কেরাম শরয়ী মূলনীতির আলোকে তার চিন্তাধারাকে যাচাই বাছাই করে উম্মতের সামনে দ্বীনের সঠিক ব্যাখ্যা পেশ করলেন। উপমহাদেশের খ্যাতনামা আলেমদের প্রায় সকলেই মওদুদি সাহেবের চিন্তাধারার মারাত্মক ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলেছেন, গ্রন্থ লিখেছেন।
মাওলানা মওদুদির ভ্রান্তি ও বিচ্যুতির ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। সবকিছু পাশে রেখে আজ কথা বলি মাওলানা মওদুদি রচিত তাফসিরগ্রন্থ 'তাফহীমুল কুরআন' নিয়ে। আকাবির আলেমদের চোখে প্রশ্নবিদ্ধ, বাইবেল-নির্ভর এ তাফসিরগ্রন্থটি কতটা নির্ভরযোগ্য?
কুরআনের প্রথম ব্যাখ্যাকার হলেন রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তার ব্যাখ্যাই হাদিস। রাসূলের হাদিসের আলোকে ও কুরআন নাজিলের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দ্বিতীয় ব্যাখ্যাকার হলেন সাহাবায়ে কেরাম— যে ব্যাখ্যার নাম আ-ছা-রে সাহাবা। তাদের পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় সকল জ্ঞানে সর্বোচ্চ পারদর্শী ইমাম ও তাফসিরবিদগণ হাদিস ও আছারে সাহাবার আলোকে কুরআনের তাফসির ও ইসলামি আইনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে গেছেন— যা নিশ্ছিদ্র সূত্র পরস্পরায় আজও উম্মতের নিকট অবিকল সংরক্ষিত রয়েছে। পরবর্তী বিদগ্ধ আলেমগণ সময় ও প্রেক্ষাপটভেদে সেই পুরনো ইলমি ভান্ডারেরই যুগোপযোগী বিশ্লেষণ করেছেন। গ্রহণযোগ্য সনদের হাদিস ও আছারে সাহাবা এবং এই উৎসদ্বয়ের আলোকে কৃত তাফসিরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো তাফসির যেমন তারা নিজেরা করেননি; তেমনি কেউ করে থাকলে তাকে বাতিল বলে বর্জন করেছেন। এটাই মূলত সঠিক ও নিরাপদ পন্থা— কুরআন-ব্যাখ্যায় এর কোনো বিকল্প পথ নেই। কোনো ব্যক্তি কুরআন ব্যাখ্যায় এই পথ ও পন্থা থেকে যেই মাত্রায় দূরে সরবে, তার তাফসির ঠিক সেই মাত্রায় পরিত্যাজ্য হবে।
হাদিস ও আছারে সাহাবার ভান্ডার উম্মাহর অসংখ্য নির্ভরযোগ্য মানুষের হাত ধরে সনদ পরম্পরায় আজও অবিকৃত। নতুন কোনোকিছু আবির্ভূত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এখন কেউ যদি সালাফে সালেহীনের সর্বসম্মত পথ ও পন্থা থেকে বিমুখ হয়ে কুরআনের কোনো তাফসির আবিষ্কার করে— সেটা হবে মনগড়া; যার পরিণতি নিশ্চিত গোমরাহি ও ভ্রষ্টতা। এমন গোমরাহি থেকে উম্মতকে বাঁচানোর জন্যই আল্লাহর রাসূল অত্যন্ত স্পষ্ট ও কঠোর ভাষার বলে গেছেন— 'যে ব্যক্তি কুরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা করবে, সে যেন নিজ ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। (তিরমিজি ২:১২৩ ও মেশকাত শরিফ ৩৫ পৃ.)
অথচ এ কাজটিই অত্যন্ত সুনিপুণ দক্ষতায় করেছেন মাওলানা আবুল আলা মওদুদি। সালাফে সালেহীন ও উম্মাহর সর্বজনগৃহীত পথ থেকে সরে এসে রচনা করেছেন তাফহীমুল কুরআন। হাদিস ও আছারে সাহাবাকে অগ্রাহ্য করে প্রাধান্য দিয়েছেন বিকৃত বাইবেলের উদ্ধৃতি ও ইসরায়েলি বিভিন্ন বর্ণনাকে; ক্ষেত্রবিশেষ প্রাধান্য দিয়েছেন স্রেফ নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি ও ভেতরের অনুভূতিকে। বিশাল ইলমি তুরাস ও ধারাবাহিকভাবে চলে আসা ইলমি পদ্ধতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। ফলস্বরূপ, চমৎকার ভাষানৈপুণ্য ও বর্ণনাভঙ্গি সত্ত্বেও তাফহীমুল কুরআনের অসংখ্য স্থানে চোখে পড়ে দ্বীনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মৌলিক নানা ভ্রান্তি ও বিচ্যুতি— মাওলানা মওদুদি অত্যন্ত কৌশলের সঙ্গে এ কাজ করেছেন বলে হয়তো একজন সাধারণ মুসলিমের চোখে তা ধরা পড়বে না; কিন্তু কখনোই সেসব একজন আহলে ইলম সচেতন আলেমের চোখ এড়াবে না।
আল্লামা যারকানি রহ. বলেন— 'যে সকল তাফসির ইসরায়েলি বর্ণনা ও গাল-গল্পনির্ভর, যেসব তাফসিরের প্রধান উৎস ইহুদি বর্ণনা ও কথিত ইতিহাস, ইহুদিদের বিকৃত কিতাবাদির সঙ্গে যেসব তাফসিরের সম্পর্ক রয়েছে, যেসব তাফসির থেকে পারস্যের মুলহিদদের ধর্মহীনতার গন্ধ আসে, যেসব তাফসিরের উৎস আহলে কিতাব [ইহুদি-খ্রিস্টান]— এই সক-ল তাফসির সর্বাবস্থায় অগ্রহণযোগ্য— ভালো নিয়তে লেখা হোক বা খারাপ নিয়তে।' (মানাহিলুল ইরফান/৪৯)
এবার আমরা একটু মাওলানা মওদুদি কৃত তাফহীমুল কুরআনের দিকে ফিরে তাকাই। তাফহীমুল কুরআনে নানা স্থানে আমরা দেখি শুধু বাইবেল আর বাইবেল! ইহুদি বর্ণনা ও গল্পনির্ভর কুরআনের অজস্র আয়াতের ব্যাখ্যা, সহিহ হাদিসকে অগ্রাহ্যকরণ। নিজের বিবেকপ্রসূত মনগড়া ব্যাখ্যা তো আছেই। আমরা দেখতে পাই তাফহীমুল কুরআনের উৎস তালমুদ, ইউহান্না ইত্যাদি।
মাওলানা মওদুদির এতটা বাইবেলপ্রীতির রহস্য এখনো অনুদঘাটিত। তাফহীমুল কুরআন গভীর মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করলে যে কেউ আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করবেন— স্থানে স্থানে তিনি মুহাদ্দিসিনে কেরাম, সনদ, হাদিসের সম্মানিত রাবিদের যেভাবে শক্তভাষায় সমালোচনা করেছেন; নিজের বোধ-বুদ্ধির সঙ্গে না মেলায় সহিহ হাদিসকেও যেভাবে বাতিল করে দিয়েছেন— সে অর্থে বাইবেলকে তিনি অনেকটা সাদরে কোলে তুলে রেখেছেন। অবাক লাগে, তিনি ইহুদিদের বিকৃত কিতাবগুলোর দিকে সমালোচনার দৃষ্টিই দিলেন না; সেসবের স্তর-বিন্যাসের চেষ্টাও করলেন না; সেসবের রচয়িতা কারা, বর্ণনাকারী কারা একটুও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করলেন না। সবচে মজার বিষয় হলো, তাফহীমুল কুরআনেরই বেশকিছু স্থানে তিনি বাইবেল বিকৃতির স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এ এক অদ্ভুত বৈপরীত্য যে, বাইবেল বিকৃত জানা সত্ত্বেও তিনি কুরআনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বাইবেল দ্বারাই করেছেন।
প্রোটেস্ট্যান্ট বাইবেল বলি বা ক্যাথলিক বাইবেল, নিউ টেস্টামেন্ট বলি বা ওল্ড টেস্টামেন্ট— বাইবেল বিকৃত হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। উম্মাহর সকলেই এ ব্যাপারে একমত। প্রোটেস্ট্যান্টদের বাইবেলে ৬৬টি পুস্তক আর ক্যাথলিকদের বাইবেলে রয়েছে ৭৩টি পুস্তক। প্রায় ৪০ জন লেখক ১৬০০ বছর ধরে এসব লিখেছে। [উইকিপিডিয়া]
এ সকল লেখক কারা, কী তাদের পরিচয়, কতটুকু বিশ্বস্ত বা নির্ভরযোগ্য কিছুই জানা যায় না। ঈসা আ.-এর সময়কাল থেকে তাদের মাঝে রয়েছে বিশাল গ্যাপ। সময়ের বিবর্তনে খ্রিস্টধর্মের নানা সম্প্রদায়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে, ক্ষমতাধরদের প্রভাবে বাইবেলে সংযোজন-বিয়োজন চলেই এসেছে। পাশাপাশি বাইবেলের অভ্যন্তরীণ অসংখ্য ঐতিহাসিক ভুল, পারস্পরিক বৈপরীত্য এবং অবাস্তব অনেক কাহিনির উপস্থিতি স্পষ্টভাবেই এর বিকৃতির প্রমাণ বহন করে। বাইবেলের বিকৃতি বিষয়ে মাওলানা রহমাতুল্লাহ কিরানবি লিখিত 'ইজহারুল হক' একটি অনুপম গ্রন্থ— সেখানে বিস্তারিত দেখা যেতে পারে। এমন এমন ভুলে বাইবেলের পৃষ্ঠাগুলো পূর্ণ— দূরবর্তী কোনো ব্যাখ্যার আশ্রয় নিয়েও যা ঠিক করা সম্ভব না।
বিখ্যাত দার্শনিক ও চিন্তাবিদ আলেম মাওলানা আবুল হাসান আলী নদবি রহ. বলেন— 'যেই বাইবেল মুসলমানদের তৃতীয় বা চতুর্থ স্তরের হাদিস-সংকলনেরও স্তরে নেই— সেই বাইবেলকে 'সিহাহ সিত্তাহ'র স্তরে রেখে কেউ যদি কুরআনের তাফসির করে, সেই তাফসির কতটুকু নির্ভরযোগ্য হবে?' তিনি আরো বলেন— 'যেখানে বাইবেলের লেখক ও পুস্তকসমূহ সর্বদিক দিয়েই সন্দেহপূর্ণ, সেখানে আমার বোধগম্য হয় না মাওলানা মওদুদি তাফহীমুল কুরআনে বাইবেল-নির্ভর হয়ে কী করে কুরআনের তাফসির করলেন? যেই বাতির নিজেরই আলো নেই, সে অন্য বাতিতে আলো জ্বালবে কী করে?' [তাফহীমুল কুরআন মে আহাদিসে শরিফা সে বে-ইতেমাদি আওর বাইবেল পর ইতেমাদ-এর তাকরিয]
তাফহীমুল কুরআনে বাইবেলের উদ্ধৃতির অভাব নেই। প্রায় ১৮৩ স্থানের ওপর তিনি বাইবেলের প্রসঙ্গ টেনেছেন। অসংখ্য স্থানে তিনি বাইবেলের বর্ণনার ওপর নির্ভর করেছেন। যেমন—
• হযরত ইয়াকুব আলাহিস সালামের মিশর আগমনে ইউসুফ আ.-এর অভ্যর্থনা জানানোর পুরো ঘটনা তিনি তালমুদের ওপর নির্ভর করে লিখেছেন। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-৬/১২৮, আধুনিক প্রকাশনী]
• বাইবেলের নিউ টেস্টামেন্টের বর্ণনা অনুসারে হযরত মুসা আ.-এর বয়স ৪০ নির্ধারণ করা— যেখানে নিজেই স্বীকার করেছেন যে, কুরআন কোনো বয়স নির্ধারণ করেনি। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-১০/২২৯, আধুনিক প্রকাশনী]
• হযরত মুসা আ.-এর শিক্ষা ও প্রতিপালন সংক্রান্ত আলোচনায় পুরোপুরি নির্ভর করেছেন বাইবেলের কিতাবুল আমাল ও তালমুদের ওপর। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-১০/২২৯, আধুনিক প্রকাশনী]
• হযরত নূহ আ.-এর বয়সের ব্যাপারে কুরআনের সাথে বাইবেলের বর্ণনা সাংঘর্ষিক হওয়ার পরও তিনি বাইবেলের বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। কুরআনের সাথে বাইবেলের তুলনা কী করে হয়? [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-১১/১৭, আধুনিক প্রকাশনী]
• হযরত ইলয়াস আ. কী শব্দে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন, তা হুবহু বাইবেল অনুসারে উল্লেখ এবং ইলয়াস আ. সংক্রান্ত পুরো তাফসিরই বাইবেল নির্ভর। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-১৩/৬৯-৭০, আধুনিক প্রকাশনী]
• বনি ইসরাইলের বাআল-পূজা সংক্রান্ত ঘটনা হুবহু বাইবেল অনুসারে উল্লেখ। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-১৩/৭০, আধুনিক প্রকাশনী]
• বাইবেল অনুসারে হযরত ইবরাহিম ও সারা আ.-এর বয়স নির্ধারণ। অথচ কুরআন এ ব্যাপারে নীরব। তাহলে কুরআনের ব্যাখ্যা তার কাছে বাইবেল! [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-১৫/১৪৬, আধুনিক প্রকাশনী]
এ ধরনের আরো অসংখ্য বিষয় তিনি বাইবেলের ওপর নির্ভর করেছেন। কেমন যেন যে বিষয়ে কুরআন চুপ, সে বিষয়ে তার একমাত্র আশ্রয় বিকৃত বাইবেল।
• তিনি তাফহীমুল কুরআনের অনেক স্থানে বিকৃত বাইবেল ও কুরআনকে এক স্তরে নামিয়ে এনেছেন। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-৩/৫২, ১৭/১০৯, ১৬/৫৭, আধুনিক প্রকাশনী]
• এছাড়া অসংখ্য আয়াত, কুরআনে বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে তিনি বারবার বাইবেল দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। এত বাইবেলপ্রীতি কেন! [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-৪/৯৫, ৮/৪৯, ১২/১০২ আধুনিক প্রকাশনী]
বাইবেলের প্রতি তিনি যে কতটা আসক্ত, বাইবেলের পুস্তকসমূহের প্রতি তিনি যে কতটা অনুরক্ত— তা তাফহীমুল কুরআনের নানা স্থানে ছড়িয়ে আছে। কুরআনের অসংখ্য বিষয়কে তিনি বাইবেলের সাথে কিয়াস করে নিজের মনমতো একটা সমাধান দিয়ে দিয়েছেন। কুরআনের অসংখ্য বিষয়ের ব্যাখ্যা উম্মাহর সর্বজন অনুসৃত পন্থা অনুসারে না করে বাইবেল দ্বারা করেছেন।
• সূরা আরাফের ১৩৩ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যা বাইবেল দ্বারা করেছেন ও বাইবেলের অর্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-৪/৮২, আধুনিক প্রকাশনী]
• তার মতে বাইবেলের বাইবেলের লেবীয় পুস্তক দ্বিতীয় বিবরণে উদ্ধৃত হযরত মুসা আ.-এর একটি ভাষণ সূরা মায়েদার ৬৬ নম্বর আয়াতের উৎকৃষ্ট তাফসির। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-৩/৬২, আধুনিক প্রকাশনী]
• কুরআনের ইঙ্গিতসমূহ বোঝার জন্য বাইবেল দেখা জরুরি। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-৭/৯২ আধুনিক প্রকাশনী]
খুবই অল্প কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো। তাফহীমুল কুরআনের পাতায় পাতায় তার বাইবেল-নির্ভরতার প্রমাণ মিলবে। মাওলানা মওদুদির বাইবেলপ্রীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন— তাফহীমুল কুরআন মে আহাদিসে শরিফা সে বে-ইতেমাদি আওর বাইবেল পর ইতেমাদ/মুফতি মুহাম্মদ সাজিদ কুরাইশি কাসেমি
মাওলানা মওদুদি তার তাফহীমুল কুরআনের ভূমিকার পূর্বে 'প্রসঙ্গ কথায়' লিখেছেন যে, আমি (তাফহীমুল কুরআনে) কুরআনের শব্দাবলিকে ভাষান্তরিত করার পরিবর্তে কুরআনের একটি বাক্য পড়ার পর তার যে অর্থ আমার মনে বাসা বেঁধেছে এবং মনের ওপর তার যে প্রভাব পড়েছে, তাকে যথাসম্ভব নির্ভুলভাবে নিজের ভাষায় লেখার চেষ্টা করেছি। [তাফহীমুল কুরআন বাংলা-১/১০, আধুনিক প্রকাশনী]
মাওলানা মওদুদির সরল স্বীকারোক্তি। এখন আপনি ভাবুন— কুরআনের আয়াত সম্পর্কে রাসূল কী বলেছেন, সাহাবাগণ কী বলেছেন, তাবেইন, তাবে-তাবেইন কী বলেছেন, এইস-ব কিছু বাদ দিয়ে— ১৩০০ বছর পরে জন্ম নেওয়া ভারতের মহারাষ্ট্রের মাওলানা মওদুদির মনে যে প্রভাব পড়েছে, মনে যা এসেছে তা দিয়ে লিখে ফেলা তাফসির কতটুকু নির্ভরযোগ্য আর আপনি তা থেকে কতটা গ্রহণ করবেন!
মাওলানা মওদুদি কৃত তাফসির তাফহীমুল কুরআন অনেক মৌলিক ভ্রান্তি ও বিচ্যুতিপূর্ণ। দ্বীন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে না— এমন কারো জন্য এই তাফসির অধ্যয়ন অনুচিত। পাশাপাশি, সালাফে সালেহীনের সর্বজন অনুসৃত নীতি অনুসারে রচিত কোনো তাফসিরের সঙ্গে এর তুলনা করাটাও হাস্যকর; যারা তুলনা করে— এতে কেবল তাদের জ্ঞানের দৈন্যতাই প্রকাশিত হয়।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Telephone
Address
Tongi Gazipur Dhaka
Tongi
Dhaka Mymensingh Highway
Tongi, 1230
I am a public figure, This is an entertainment page, Please follow my page, Thank you, Love You ❤️
Tongi
-আসসালামু আলাইকুম..! � Black Cyber 204 Spamming Team আপনাকে সাগোতম...!�
Tongi, Gazipur
Tongi, 1230
If, you want real product you can trust us. Our product 100% real and you will satisfy that. Like our page and stay with us for more details and want more product.
Tongi
আমার নতুন পেইজ আমি আমার পেজে ব্লগের ভিডিও বানাবো আর আপনাদের সবাইকে সুন্দর সুন্দর ব্লকের ভিডিও দেখাবো❤
Tongi, 1711
আমার এই চ্যানেলে কিছু ঘুরার ভিডিও কিছু রাজনীতি ভিডিও কিছু হাসির ভিডিও কিছু গাছপালার কিছু পশুপাখির