Redova Agro Ltd.

Redova Agro Ltd.

Redova Agro Ltd is a leading provider of agrochemicals in Bangladesh. Redova Agro Limited is a leading provider of agrochemicals in Bangladesh.

We offer a wide range of products, including pesticides, herbicides, and fertilizers, to help farmers improve their crop yields. Our products are safe and effective, and we are committed to providing our customers with the best possible service. We have a team of experienced agronomists who can help you choose the right products for your crops and your needs. We also offer a variety of training an

12/01/2024

পমেটো গাছঃ

একই গাছ থেকে টমেটো ও আলু পাওয়া যায় পমেটো নামক বিশেষ গাছ থেকে। এই গাছ যেভাবে তৈরি করবেন -
১. সায়ন হিসেবে টমেটো চারা আর রুট স্টক হিসেবে আলু গাছের চারা নিতে হবে
২. সায়ন ও রুট স্টক উভয় চারায় ছবির মতো v শেইপ কাট দিতে হবে
৩. এবার সায়ন টি রুট স্টকের মাথায় বসিয়ে দিয়ে পলিথিন ফিতা/গ্রাফটিং ট্যাপ দিয়ে বেঁধে দিতে হবে
৪. ৭-১০ দিনের মধ্যে কলমটি জোড়া বেঁধে যাবে , এতে নতুন যে গাছটি হলো- তার নাম পমেটো ।
৫. পরবর্তীতে গাছটি বড় হলে উপরের অংশে টমেটো ধরবে ও নিচের অংশে আলু হবে

#পমেটো #রেডোভা_এগ্রো_লিমিটেড #মুকুল #সার #রোগ #জৈব #পানি #কৃষি #আম #বাংলাদেশ #ধান

11/01/2024

সবজির বীজ গজানোর ধাপ সমূহ।

অনেক সময়েই শাক সবজির বীজ বপন করলে সঠিক ভাবে গজায় না। এ জন্য মানসম্পন্ন বীজ , মেয়াদ উত্তীর্ণ বীজ, পিপড়ার আক্রমণ, ছত্রাকের আক্রমণ সহ বিভিন্ন কারন হতে পারে। তাই চারার জন্য সঠিক নিয়মে বীজ গজানোর পক্রিয়ার ধাপ গুলো অনুসরণ করতে হবে।

★ মিষ্টিকুমড়া, শিম, বরবটি, লাউ, শশা ,তরমুজ, করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা জাতীয় বীজ

১) প্রথমে রোদে ৩০-৪৫ মিনিট ধরে রাখতে হবে, কারন বীজ গুলি সুপ্ত অবস্থায় থাকে,রোদ পেলে সুপ্ততা ভাঙবে।

২) রোদ থেকে উঠায়ে বীজ ২ ঘন্টা ছায়ায় রেস্ট করে ঠান্ডা করে নিন।

৩) গ্লাসে পরিষ্কার পানিতে ৮ থেকে ১২ ঘন্টা বীজ ভিজিয়ে রাখুন।

৪) তারপর প্রোভ্যাক্স বা কার্বেন্ডাজিম বা ট্রাইকোডার্মা পাউডার ৩ গ্রাম/১ লি পানিতে (৩ আঙ্গুলের ১ চিমটি=১ গ্রাম) বা ৪/৫ টুকরা রসুন বা ৪/৫ টি জাম পাতা ১ লি পানিতে এই বীজ আরো ৩০ মি ভিজিয়ে শোধন করুন৷

৫) পানি ছেকে বীজ গুলি ভেজা কাপড়ের পুটলি বা পাটের ছালা বা টিস্যু পেপার এ মুড়িয়ে হালকা(খুবই অল্প) পানি স্প্রে করে লেপ/তোষক বা পরা লুঙ্গির গিঁটে বা বক্সে (যেন বাতাস না ঢুকে এমন বক্স বা বয়ামে) রেখে দুই থেকে চার দিন পর চেক করুন। অনেক বীজে বেশী সময় লাগতে পারে।

৬) দেখবেন বীজ অঙ্কুরিত হচ্ছে। বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার সাথে সাথে অঙ্কুর বড় না করে অঙ্কুরিত বীজ প্লাস্টিকের ট্রে, আইস্ক্রীমের কাপ বা টবে আস্তে করে লাগাবেন যেন বীজ এর অঙ্কুর না ভাঙ্গে৷ বীজের উপরে কোকোডাস্ট বা হালকা মাটি দিবেন। হালকা পানি দিয়ে দিন।

৭) প্রতিদিন রস কম/বেশি বুঝে সময় করে পানি দিবেন।

৮) ড্যাম্পিং অফ বা গোড়া পঁচা রোগ দুরীকরনে কপার গ্রুপের ঔষধ ২ গ্রাম/১ লি পানি মিশিয়ে গাছসহ মাটিতে স্প্রে করতে হবে৷

৯) ২০থেকে ২৫ দিন পর মাঠে বা বড় টবে লাগিয়ে দিতে পারবেন ও নিয়মিত পরিচর্যা করবেন৷

★ ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, টমেটো, মরিচ, ক্যাপসিকাম, বেগুন(ছোট বীজ) জাতীয় বীজ

১) প্রথমে কড়া রোদে ৩০-৪৫ মিনিট রাখতে হবে৷ কারন বীজ গুলি সুপ্তাবস্হায় থাকে, রোদ পেলে সুপ্ততা ভাঙ্গে৷

২) রোদ থেকে উঠায়ে বীজ ২ ঘন্টা ছায়ায় রেস্ট করে ঠান্ডা করে নিন।

৩) গ্লাসে পরিষ্কার পানিতে ৪-৫ ঘণ্টা বীজ ভিজিয়ে রাখুন।

৪) তারপর প্রোভ্যাক্স বা কার্বেন্ডাজিম বা ট্রাইকোডার্মা পাউডার ৩ গ্রাম/১ লি পানিতে (৩ আঙ্গুলের ১ চিমটি=১ গ্রাম) বা ৪/৫ টুকরা রসুন বা ৪/৫ টি জাম পাতা ১ লি পানিতে এই বীজ আরো ৩০ মি ভিজিয়ে শোধন করুন৷

৫) বীজ লাগানো টবে বা প্লাস্টিকের ট্রে বা পাত্রের মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। ঝুরঝুরে কিছু মাটি বা কোকোডাস্ট আলাদা করে রাখতে হবে যেটা বীজ বপনের পর দিতে হবে। মাটির সাথে সম্ভব হলে বালু, জৈব সার, ভার্মি কম্পোস্ট, হাড়ের গুড়া অথবা শুধুমাত্র রেডি কোকোপিট ব্যবহার করলে হয়। তাহলে মাটি জমাট বাধে না ঝুরঝুরে থাকে।

৬) পানি ছেকে বীজ গুলি প্লাস্টিকের ট্রে বা পলিব্যাগ বা টবে বিছিয়ে দিন। তার উপরে হালকা করে কোকোডাস্ট বা ঝুরঝুরে মাটি দিয়ে দিন এমনভাবে যেন বীজ দেখা না যায়।

৭) পাত্রে পানি স্প্রে করে দিন।

৮) প্লাস্টিক ট্রে বা টব বা পাত্রের উপরে ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন, যেন ভাপ উৎপন্ন হয়৷ তিন থেকে সাত দিন পর চেক করুন। বীজ অঙ্কুরিত করার জন্য অন্ধকার ও ভাপ উৎপন্ন হলে দ্রুত অঙ্কুরিত হয়। ৭-১০ দিন এর মধ্যে বীজ অংকুরিত হয়ে যায়৷

৯) দেখবেন বীজ অংকুরিত হচ্ছে। তারপর ভেজা কাপড় খুলে পানি স্প্রে করে রেখে দিন৷

১০) প্রতিদিন রস কম/বেশি বুঝে সময় করে পানি দিবেন
ড্যাম্পিং অফ বা গোড়া পঁচা রোগ দুরীকরনে কপার গ্রুপের ঔষধ ২ গ্রাম/১ লি পানি আকারে স্প্রে করতে হবে৷

১১) ২০থেকে ২৫ দিন পর মাঠে বা বড় টবে লাগিয়ে দিতে পারবেন ও নিয়মিত পরিচর্যা করবেন৷

#রেডোভা_এগ্রো_লিমিটেড #সার #রোগ #জৈব #মুকুল #পানি #কৃষি #আম #ধান #বাংলাদেশ

09/01/2024

সাশ্রয়ী পানি সেচের আধুনিক DIY পদ্ধতি।

বাগান উৎসাহীরা সর্বদা তাদের উদ্ভিদের যত্ন নেওয়ার জন্য উদ্ভাবনী, টেকসই পদ্ধতির সন্ধানে থাকে, বিশেষত উপায়ে যা সম্পদ সংরক্ষণ করে এবং খরচ কমায়। এই নিবন্ধে, আমরা দৈনন্দিন গৃহস্থালির জিনিসগুলি ব্যবহার করে গাছপালাকে সহজে ও সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে পানি দেওয়ার জন্য একটি সহজ, তবে অত্যন্ত কার্যকর DIY পদ্ধতি উপস্থাপন করব। এই পদ্ধতিশুধুমাত্র সাশ্রয়ী নয় বরং পরিবেশগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ, যাতে আপনার গাছপালা সঠিক পরিমাণে পানি সেচ পায় তা নিশ্চিত করে, সাথে সাথে পানির অপচয় রোধ করে।

সুবিধাদি:

* মূল স্থানে লক্ষ্যযুক্ত বিতরণের মাধ্যমে দক্ষ পানির ব্যবহার, তাই পানির অপচয় রোধ হয়।

* ঘন ঘন পানি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করে, সময় এবং সংস্থান সাশ্রয় করে।

* ছাদ বাগান এবং বহিরঙ্গন গাছপালা জন্য আদর্শ পদ্ধতি।

প্রয়োজণীয় উপকরণ:

* একটি বড় প্লাস্টিকের বোতল (৫-লিটার আকার ভাল কাজ করে)
* মার্কার
* উত্তপ্ত লোহার চিকন রড

ধাপ সমূহ :

বোতল প্রস্তুত করুন: বোতলটি পরিষ্কার করুন এবং লেবেলগুলি সরান। এটিতে দুটি লাইন চিহ্নিত করুন - একটি নীচে থেকে প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার এবং আরেকটি ঘাড় থেকে ৫ সেন্টিমিটার নিচে ।

পানির আউটলেট তৈরি করুন: বোতলের নীচে থেকে প্রায় ৫ সেন্টিমিটার উপরে একটি ও ঘাড় থেকে ৫ সেন্টিমিটার নিচে ছোট ছিদ্র করুন।

বোতলটি পূরণ করুন: উপরের ছিদ্র পর্যন্ত পানি দিয়ে পূরণ করুন এবং ক্যাপটি শক্ত করে লাগান।

বোতলটি রাখুন: গাছের কাছে একটি গর্ত খনন করুন এবং বোতলটিকে চিহ্নিত লাইন পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পুঁতে দিন, খেয়াল রাখতে হবে যেন ছিদ্রটি গাছের দিকে থাকে।

চূড়ান্ত ধাপ: বোতলটি সম্পূর্ণভাবে পূরণ করুন, ক্যাপটি বন্ধ করুন এবং ঘাড়টি উন্মুক্ত রেখে মাটি দিয়ে ঢেকে দিন।

#রেডোভা_এগ্রো_লিমিটেড #কৃষি #জৈব #সার #আম #ধান #রোগ #বাংলাদেশ #পানি #মুকুল

06/01/2024

পোকা দমনে সেক্স ফেরোমন ফাদ য়েভাবে কাজ করে:

সেক্স ফেরোমন হচ্ছে এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ যেটি কোন প্রজাতীর স্ত্রী পোকা কতৃক একই প্রজাতির পুরুষ পোকাকে প্রজনন কার্যে আকৃষ্ট করার জন্য প্রাকৃতিকভাবে উৰপন্ন হয়। সেক্স ফেরোমনের গন্ধে পুরুষ পোকা আকৃষ্ট হয়ে স্ত্রী পোকার সহিত মিলিত হয়। স্ত্রী পোকা কতৃক নি:সৃত পদর্থের গন্ধটি কৃত্রিমভাবে তৈরী করে সেক্স ফেরোমন ফাদে ব্যাবহার করা হয়। আর এই গন্ধে পুরুষ পোকারা এই ফাদে এসে ধরা দেয় ও ফাদে আটকা পরে মারা যায়।

সেক্স ফেরোমন ফাদ ব্যবহারের সুবিধা:

১. এটি মানুষ বা পরিবেশের কোনরুপ ক্ষতি করে না।
২. সেক্স ফেরোমন ফাদ ব্যবহারে ফসলের উৰপাদন করচ কমে আসে।
৩. ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় কার্যকরভাবে দমন করা যায়।
৪. বিষমুক্ত শাক সব্জি খাওয়া যায়।
৫. ফলন বৃদ্বি পায়।

ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন কৌশল:

প্লাষ্টিকের বৈয়ামের ত্রিকোণাকার কর্তিত অংশের মাঝ বরাবর তার ঝুলিয়ে দিয়ে ফেরোমন লিউর/টোপটি ঝুলিয়ে দিতে হবে।
ফাঁদের কর্তিত অংশ উত্তর দিক বরাবর মুখ করে ঝুলাতে হবে।
সবজি ফসলে গাছের উচ্চতা বরাবর ফাঁদ স্থাপন করতে হবে।
ফেরোমন ফাঁদ স্থাপনের পর করণীয়:

প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
প্রতিদিন ফাঁদের পানি পরীক্ষা করে মরে থাকা পোকা ফাঁদের পানি থেকে আঙ্গুল/কাঠি দিয়ে সরিয়ে ফেলতে হবে।
৩-৪ দিন পর পর সাবান পানি পাল্টে দিতে হবে।
সাবান পানির স্তর সর্বদাই ৩-৪ সে.মি. রাখতে হবে।
ফাঁটা বা ছিদ্রযুক্ত ফাঁদ পরিবর্তন করে নতুন ফাঁদ প্রতিস্থাপন করতে হবে।
সবজি ফসলের ক্ষেত্রে গাছের বৃদ্ধির সাথে সাথে ফাঁদটিকেও ক্রমান্বয়ে উপরের দিকে তুলতে হবে।
নির্দিষ্ট সময় পর লিউর পরিবর্তন করতে হবে।

05/01/2024

রাসায়নিক সাররে বিকল্প জিবাম্রুত সার (তরল)।

জিবাম্রুত হল ঐতিহ্যবাহী জৈব কীটনাশক এবং জৈব সার যা গোবর, গোমূত্র, গুড়, ছোলা/ ডালের ব্যাসন, সারহীন হিউমাস মাটি এবং পানির মিলিত মিশ্রণের গাঁজন করার অনন্য কৌশল দ্বারা প্রস্তুত করা হয়। জিবাম্রুত সার তৈরি করতে টন কে টন গোবর দরকার নাই। একটা দেশি গাভির মল-মুত্র থেকে যে পরিমান জিবাম্রুত বানানো যায় তা দিয়ে ৩০ একর জমিতে প্রয়োগ করতে পারেন।

জীবামৃত শতভাগ জৈব এবং মাটির স্বাস্থ্যের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব নেই। এটি দুটি শব্দ "জীবন" এবং "অমৃত" দ্বারা গঠিত। জীবনের প্রথম শব্দের অর্থ “জীবন” এবং দ্বিতীয় শব্দ অমৃতের অর্থ “ওষুধ”।

উপকারিতা:

* জীবামৃত নাইট্রোজেন, পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের সমৃদ্ধ উৎস। এটিতে উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য দায়ী অন্যান্য সমস্ত মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে।

* এটি সম্পূর্ণরূপে জৈব এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি সরবরাহ করে এবং এটি গাছকে কীটপতঙ্গ এবং রোগ থেকেও রক্ষা করে। অন্যান্য জৈব সার থেকে ভিন্ন যা প্রস্তুত হতে কয়েক মাস লাগে, আপনি এক সপ্তাহের মধ্যে জীবামৃত প্রস্তুত করতে পারেন।

* এটি মাটির pH বজায় রাখতে সাহায্য করে, বায়ুচলাচল উন্নত করে, উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় সব গাছ, মাটি ও পরিবেশের জন্য ভাল।

* এই জীবনদায়ক সার তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামাল সাধারণত গ্রামাঞ্চলে এবং খামারগুলিতে পাওয়া যায়। অনেক কৃষক ইতিমধ্যেই এই জৈব ঐতিহ্যবাহী সার ব্যবহার শুরু করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করেছেন।

জীবামৃত দুটি আকারে প্রয়োগ করা যেতে পারে যেমন কঠিন এবং তরল। কঠিন রূপকে সাধারণত "ঘঞ্জীবমৃতম" বলা হয়। উভয় ফর্মের উপাদান যেমন তরল এবং কঠিন প্রায় একই। পার্থক্য শুধুমাত্র পানির পরিমাণে।

তরল আকারে: এক একর জমির জন্য ২০০ লিটার জীবামৃত প্রয়োজন। ভাল ফলাফলের জন্য প্রতি ৭ থেকে ১৪ দিনের ব্যবধানে জমিতে স্প্রে করুন।

কঠিন আকারে: আপনি সরাসরি আপনার খামারে ঘঞ্জীবমৃতম প্রয়োগ করতে পারেন। আপনি যেমন ভার্মিকম্পোস্ট বা ফার্ম ইয়ার্ড সার প্রয়োগ করেন ঠিক তেমনই আপনি আপনার ক্ষেতে পাউডার আকারে প্রয়োগ করতে পারেন।

উপকরণ :

* পানি ২০০লিটার
* দেশি গাভির কাচা গোবর ১০ কেজি
* গোমূত্র ১০ লিটার
* ডালের/ ছোলার ব্যাসন ২ কেজি
* গুড় ২কেজি
* বাঁশ ঝাড়ের মাটি/ বট গাছের নিচের মাটি ২৫০ গ্রাম

জিবাম্রুত সার তৈরির নিয়ম:

একটি ব্যারেলে ২০০ লিটার পানির মধ্যে ১০ কেজি দেশি গাভির কাচা গোবর ও ১০ লিটার গোমূত্র মিশিয়ে একটি কাঠির মাধ্যমে মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর এই মিশ্রণে ২ কেজি খাটি ঝোলা গুড়, ২ কেজি ছোলা অথবা অন্য কোন ডালের ব্যাসন ও ২৫০ গ্রাম বাশ ঝাড়ের মাটি/ বট গাছের নিচের মাটি মিশিয়ে সমগ্র মিশ্রণটি কাঠির সাহায্যে নাড়িয়ে দিতে হবে। জারিত হওয়ার জন্য মিশ্রণটি ৭ দিন রেখে দিতে হবে ও প্রতিদিন কমপক্ষে ৩–৪ বার করে কাঠ বা বাশের সাহায্যে নাড়াতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কাঠির সাহায্যে নাড়ানোর সময় যেন বাম দিক হতে ডান দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নাড়ানো হয়।

ব্যবহারের নিয়ম:

মিশ্রণটি ৩ বার প্রয়োগ করা যায়। যথাঃ
প্রথমবার বীজ বোনার আগে, দ্বিতীয়বার বীজ বোনার ২০ দিন পর ও তৃতীয়বার বীজ বোনার ৪৫ দিন পর মাটিতে স্প্রে করে দিবেন।

বিঃ দ্রঃ জিবাম্রুত সার তৈরি হয়ে গেলে ৩-৪ বার কাপড়/ গামছা দিয়ে ভালো করে ছেকে নিতে হবে। এখানে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন গোবর মাটিতে না যায়।

নিয়মিত জিবাম্রুত সার জমিতে ব্যবহার করলে কোন প্রকার রাসায়নিক সার ব্যবহার করা লাগবে না। আমরা আপনাকে প্রথমে অল্প জমিতে ব্যবহার করে পরীক্ষা করে দেখার পরামর্শ প্রদান করছি ।

31/12/2023

নতুন বছরের মুহূর্তগুলো ভরপুর হোক ভালোবাসায়!

সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা!

#রেডোভা_এগ্রো_লিমিটেড

31/12/2023

পেঁয়াজের বেগুণী দাগ / পার্পল ব্লচ রোগ দমনে করণীয়।

29/12/2023

একটা টমেটো গাছ থেকে অনেক গুলি টমেটো গাছ করতে পারবেন সহজেই এবং এই গাছে দ্রুত ফুল আসবে।

১.সাকার বা কান্ড কেটে বোতলে বা গ্লাসে ভিজিয়ে রাখুন ৭ দিন দেখবেন অনেক সুন্দর শিকড় দিয়েছে। তারপর টবে লাগিয়ে দিয়ে পানি দিন প্রতিদিন।

২. সাকার বা কান্ড কেটে আলদা টবের মাটিতে লাগিয়ে দিন। লাগিয়ে প্রতিদিন পানি দিন। দেখবেন দ্রুতই গাছ সতেজ হয়ে উঠেছে। এবং তারাতারী ফুল আসবে।

* বড় সাকারে দ্রুত গাছ হবে। একটু বড় সাকার বাছাই করবেন।

* সাকার/কান্ড কাটলে মাতৃগাছের ও ভাল হয়। এটাকে প্রুনিং বলে।

29/12/2023

পটাশ সারের প্রাকৃতিক উৎস।

28/12/2023

টবে সফেদা চাষাবাদ পদ্ধতি।

বাংলাদেশে যতগুলো মিষ্টি জাতীয় ফল পাওয়া যায় তার মধ্যে সফেদা অন্যতম। সফেদা ফল যে কোন ফলের সাথে তুলনীয়। বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া সফেদা উৎপাদনের জন্য খুবই উপযোগী। ফলে দেশের সর্বত্রই সফেদা জন্মাতে পারে। সফেদা একটি বারোমাসি ফল।

পুষ্টিমান: সফেদা বিভিন্ন খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ একটি ফল।

ভেষজ গুণ: ফলের শীতল পানীয় বা শরবত জ্বর নাশক হিসেবে কাজ করে। ফলের খোসা শরীরের ত্বক ও রক্তনালী দৃঢ় করে রক্তক্ষরণ বন্ধে সাহায্য করে।

জাত পরিচিতি:

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত সফেদার মধ্যে রয়েছে বারি সফেদা-১, বারি সফেদা-২ ও বারি সফেদা-৩। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাউ সফেদা-১, বাউ সফেদা-২ ও বাউ সফেদা-৩ উল্লেখযোগ্য। দেশের সব জায়গায় এসব জাত চাষ করা যায়। জোড়া কলমের মাধ্যমে এ ফলের বংশবিস্তার করানো হয়। তাই কলমের মাধ্যমে উৎপাদিত রোগমুক্ত এক থেকে দেড় বছর বয়সি চারাকে রোপণের জন্য নির্বাচন করতে হবে।

বারি সফেদা-১:
ফল দেখতে গোলাকার চেপ্টা। আকারে বেশ বড়। কম বেশি সারা বছরই ফল ধরে। প্রতিটি ফলের ওজন ৮০-৯০ গ্রাম। প্রধানত চট্টগ্রাম এলাকায় সফেদা ভাল জন্মে। তবে অন্যঅন্য এলকাতেও এর চাষ করা যায়।

বারি সফেদা-২:
এ জাতটি দেশের মধ্যাঞ্চল বিশেষ করে ঢাকা, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও নরসিংদী এলাকায় ভাল হলেও দেশের অন্যান্য এলাকাতেও চাষ করা যায়। ফলের গড় ওজন ৭০-১০০ গ্রাম। পাকা ফলের শাঁস লালচে বাদামী বর্ণের মোলায়েম, খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু।

বারি সফেদা-৩:
জাতটি ২০০৯ সালে অবমুক্ত করা হয়। বছরে দুবার ফল ধরে। এটি উচ্চফলনশীল জাত। ফল গোলাকার ও মাঝারি আকারের। ওজন ১০০ থেকে ১১৫ গ্রামের মতো হয়ে থাকে। স্বাদ মিষ্টি। এর ফলন বাংলাদেশে তুলনামূলক বেশি হয়।

বাউ সফেদা-১:
জাতটি সারা বছরই কম-বেশি ফল দেয়। ফল ডিম্বাকার, কম বীজযুক্ত ও মিষ্টি। শাঁস চমৎকার। পুষ্টিগুণে ভরা ফলটি পাকতে ছয় থেকে আট মাস লাগে। প্রচুর ফল ধরে। ফলের ওজন ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম হয়ে থাকে। গাছ ঝোপালো আকৃতির হয়ে থাকে।

বাউ সফেদা-২:
এটি একটি নিয়মিত ফলধারণকারী জাত। জাতটি অনেকটা বাউ সফেদা-১-এর মতো। তবে এ জাতের শাখা-প্রশাখা ছাতার মতো নিচের দিকে ঝোলানো থাকে। ফল ছোট থেকে মাঝারি আকারের হয়। থোকায় থোকায় ফল ধরে। ফল ডিম্বাকার। ফলের চামড়া অত্যন্ত পাতলা ও সুগন্ধযুক্ত। ওজন ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম। শাঁস লাল-বাদামি, কোমল ও সুস্বাদু।

বাউ সফেদা-৩:
বাউ সফেদা-৩ জাতের শাখাগুলো চারদিকে পাতার বলয়ে আবৃত থাকে। এ জাতের ফল মাঝারি থেকে বড় আকারের হয়। ফল ডিম্বাকার ও নিচের দিকটা সুচালো। ফল অত্যন্ত মিষ্টি, শাঁস সুগন্ধযুক্ত ও কোমল।

টব ও টবের মাটি তৈরি :

ছফেদা চাষের জন্য ১৪-১৬ ইঞ্চি টব/ ড্রাম নিতে হবে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য টবের নিচে ৪ টি ছিদ্র করে ১ ইঞ্চি পরিমান ইটের সুরকি ও তার উপর এক ইঞ্চি পরিমান বালু দিয়ে মাটি দিতে হবে।

টবে ছফেদা চাষের জন্য নিন্মলিখিত পদ্ধতিতে মাটি তৈরি করে নিতে হবে।

১/ এক ভাগ বেলে দো- আশ মাটির সাথে এক ভাগ পচা গোবর সার৷ ও এক ভাগ আবর্জনা পচা/ তরকারি পচা/ পাতা পচা সার।
২/ দুই কেজি কাঠের গুড়ি / কোকোপিট।
৩/ সরিষার খৈল গুরা ৩০০ গ্রাম।
৪/ নিম খৈল গুরা ২০০ গ্রাম।
৫/ পাথর চুন ৫০ গ্রাম

এই মিশ্রন তৈরি করে টবে ভরে হালকা পানি ছিটিয়ে দিয়ে কিছুটা ভিজিয়ে ১৫-২০ দিন রেখে দিতে হবে। মিশ্রিত মাটি কয়েকদিন রেখে দেবার পর মাটি যখন ঝুরঝুরে হবে তখন চারা লাগাতে হবে। চারা লাগানোর ক্ষেত্রে সফেদার সুস্থ এবং সবল চারা বেছে নিতে হবে। গাছ লাগানোর পরে একটা বাশের কঞ্চি দিয়ে সোজা করে বেধে রাখতে হবে। মাটি একটু উচু করে দিতে হবে, যেন গাছের গোড়ায় পানি না জমে।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা: সফেদা গাছ খরা সহ্য করতে পারে, তবে বেশি খরার সময় প্রয়োজনীয় সেচ দিলে ফলন ভাল হয়।

সবেদা কাছে খুব একটা বেশি পোকামাকড়ের আক্রমণ হয় না। তবে পিপড়ে এবং মিলিবাগের সমস্যা থাকতে পারে। গাছে যদি মিলিবাগ দেখতে পান তাহলে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো এক লিটার পানির মধ্যে একটি শ্যাম্পু প্যাক ও একটা গুল নিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে ছাকনি দিয়ে ছেকে নিয়ে গাছের মধ্যে স্প্রে করে দিন। যদি সম্ভব হয় নিম তেল তৈরি করেও গাছের মধ্যে স্প্রে করতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন।

ফসল তোলা: ফল বাত্তি হওয়ার শক্ত অবস্থায় ফল সংগ্রহ করতে হয়।

27/12/2023

জানুয়ারি মাস হতে আমের মুকুল রক্ষায় করণীয়।

17/12/2023

পৌষ মাসের কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি।

15/12/2023

সবাইকে মজান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা

14/12/2023

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সকল শহীদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।

Photos from Redova Agro Ltd.'s post 29/11/2023

টমেটো চাষ সঠিক পদ্ধতি

Photos from Redova Agro Ltd.'s post 28/11/2023

বাংলাদেশে ধানের ক্ষতিকর পোকাসমূহঃ পোকা পরিচিতি, ক্ষতির ধরন, দমন ব্যবস্থাপনা । এই ফ্যাক্টশিটগুলো বেশ গুছানো, সংক্ষিপ্ত, সাম্প্রতিক তথ্য সম্বলিত এবং এতে আপডেট প্রেসক্রিপশন থাকায় সকলের জন্যই সহজবোধ্য ও কার্যকরী।
Note: Important for our students of Agriculture

Courtesy: USAID, IRRI, BRRI, Feed The Future

28/11/2023

টবে শসা চাষ পদ্ধতি :-

আমাদের মধ্যে অনেকেই বাড়ির ছাদে টবে শসা চাষ করে থাকেন। কিন্তু সঠিকভাবে টবে শসা চাষ পদ্ধতি না জানার কারণে ভালো উৎপাদন হয় না বা গাছ সতেজ হয় না। এখানে একে একে তুলে ধরা হলো কিভাবে শসা গাছের সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হয়, শসা গাছের জন্য প্রাকৃতিক কীটনাশক তৈরির পদ্ধতি, টবে শসা চাষ পদ্ধতি, টবে শসা চাষের জন্য মাটি তৈরির উপায়, ও টবে শসা গাছের রোগবালাই ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা।

টবে শসা চাষ পদ্ধতি

শসার উন্নত জাত
আমাদের দেশে কিছু উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন হয়েছে যা বার মাসই চাষ করা যায়। এর মধ্যে বারি -১ অন্যতম। সম্প্রতি আমাদের দেশে হাইব্রিড জাতের শঁসার বীজ পাওয়া যায় এগুলোর মধ্যে জাপানিজ লং গ্রিণ, পূষা , স্ট্রেট এইট অন্যতম।

শসার বীজ থেকে চারা তৈরি

ভালো চারা তৈরি করতে হলে পলিব্যাগে চারা তৈরী করা সবচেয়ে উত্তম। সেক্ষেত্রে বীজ থেকে চারা তৈরির সময় প্রথমে বীজ গুলোকে ১২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর একটি বীজতলা তৈরি করতে হবে। এর জন্য ৬০ ভাগ দোআঁশ মাটি ৪০ ভাগ শুকনো গোবর ও অল্প পরিমাণ ছাই মিশিয়ে বীজতলা টি তৈরি করে নিন। এবার ভেজানো বীজগুলোকে নতুন তৈরি করা বীছ তলায় বসিয়ে একটি পাটের ছালা অথবা সুতি কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। এরপর কিছুদিন ওই কাপড় বা ছালার উপর কিছু কিছু করে পানি দিয়ে যান। তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই বীজ গুলো অঙ্কুরিত হবে। এবার নতুন গজানো বীজ গুলো তুলে আপনার তৈরি করা পলি ব্যাগ গুলোতে স্থানান্তর করুন। পলিব্যাগের মাটি ‘দোয়াশ মাটি এবং গোবর’ এর মিশ্রণ দিয়ে তৈরি হতে হবে। পলিব্যাগে থাকাকালে 10 থেকে 15 দিনের মধ্যে ছোট চারাগুলো রোপণের জন্য উপযুক্ত হয়ে যাবে।

টবে শসা গাছের পরিচর্যা

ড্রামে বা টবে শসা চাষ করলে সর্বনিম্ন টবের সাইজ ১৮”×১৮” হতে হবে। এরকম একটি টবে ১-২ টি চাড়া রোপণ করা যাবে।

শসা চাষের জন্য টবের মাটি তৈরি

শসা চাষের জন্য মাটি তৈরির সময় টবের নিচে ২” পরিমাণ ইটের সূরকী দেবেন । এর পর মোট মাটির ২৫ ভাগ গোবর বা পাতা পচা সার ও ৭০ ভাগ দোআঁশ মাটি ও ৫ ভাগ ছাই মিশিয়ে টব বোঝাই করতে হবে। এছাড়া মাটিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে। রাসায়নিক সার গুলোর মধ্যে ইউরিয়া সার ৫০ গ্ৰাম , টিএসপি ৩০ গ্ৰাম , এমওপি সার ২০ গ্ৰাম মিশিয়ে নিন।
এরপর চারা রোপণ করে ড্রাম গুলো নির্দিষ্ট দূরত্বে স্থাপন করুন এবং নিবিড় পরিচর্যার মধ্যে রাখুন। গুল্ম জাতীয় গাছের জন্য মাচা তৈরি করে দিলে সবচেয়ে ভালো হয় । এতে ভাল ফলন পাওয়া যায়। টবে শসা চাষ পদ্ধতি।

টবে শসা গাছে পানি সেচ

টবে শসা চাষ এর ক্ষেত্রে পানি সেচ দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। শসা গাছের জন্য প্রচুর পানি প্রয়োজন হয়। এজন্য প্রতিদিন সকাল বিকেল দুই বার করে পানি সেচ দিতে হবে। তাছাড়া বাসাবাড়ির প্রতিদিনের মাংস বা মাছ ধোয়া পানি গাছে সরাসরি দিয়ে দেবেন এতে গাছের অনেক উপকার হয়। মনে রাখতে হবে কোন কারণে যদি শসা গাছে পানির অভাব হয় তবে ফলন ভালো হবে না এবং ফল ছোট অবস্থাতেই ফল ঝরে যাবে।

শসা গাছে সার প্রয়োগ

রোপণের সময় প্রয়োগ কৃত সার এর বাইরে ও নিয়মিত জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া গাছের অবস্থা দেখে ইউরিয়া ও অন্যান্য সার গাছের গোড়ার ৬” ইঞ্চি দূরে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। টবের গাছের জন্য সবচেয়ে ভালো হয় তরল সার ব্যবহার করলে। তরল সার তৈরির জন্য ২০০ গ্ৰাম সরিষার খৈল অথবা ৫০০ গ্ৰাম পরিমাণ শুকনো গোবর ২ লিটার পানিতে মিশিয়ে দুই দিন রেখে দিতে হবে। এরপর রাসায়নিক সার দিতে চাইলে , ঐ তৈরি করা তরল সার এর সাথে NPK বা মিশ্র সার এক চা চামচ পরিমাণ মিশিয়ে টবে প্রয়োগ করুন। প্রয়োগের সময় গাছের গোড়া থেকে অন্তত ৬-৮” ইঞ্চি দূরে তরল সার টি প্রয়োজন মত ঢেলে দিন ।

শসা গাছের রোগবালাই দমন

শসা গাছের রোগ বালাই দমন করতে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সাধারনত প্রায় সব ধরনের গাছে রোগ বালাই হয়ে থাকে। এখানে শসা গাছের রোগ বালাই দমনের প্রাকৃতিক ও রাসায়নিক দুটি পদ্ধতিই আলোচনা করা হলো।

শসা গাছের রোগ বালাই দমন এর প্রাকৃতিক পদ্ধতি :

১, আপনার শসার মাচায় পাখি বসার ব্যবস্থা করে দিন । পাখি ক্ষতিকর সব পোকা খেয়ে এর দমন করতে সহায়তা করে।

২, এছাড়া একধরনের জৈব ফাঁদ পাওয়া যায় বাজার থেকে এগুলো কিনে এনে ব্যবহার করলে অধিকাংশ পোকা মাকড় এর মধ্যে ধরা পড়ে।

৩, জৈব কীটনাশক প্রয়োগ, শসা গাছের রোগ বালাই দমন করতে জৈব কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের কীটনাশক নিম পাতা সেদ্ধ করে বা গাঁদা ফুলের পাতার রস থেকে তৈরি করা যায়। এছাড়া নিমের তেল স্প্রে করেও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কীট পতঙ্গ দমন করা সম্ভব। বর্তমানে বাজারে নিমের তেল কিনতে পাওয়া যায়। শসা গাছের রোগবালাই দমন।

৪, বিষ টোপ ব্যবহার করেও পোকা দমন করা যায়। সে ক্ষেত্রে বিষ টোপ তৈরি করার জন্য ১০০ গ্রাম থেঁতলানো কুমড়ার সাথে ১০০ গ্ৰাম পানি দিয়ে ০.২৫ গ্ৰাম ডিপটেরেক্স মিশিয়ে এই মিশ্রণটি মাটির পাত্রে ঢেলে টপ বা ড্রামের কাছে রেখে দিন দেখবেন বিভিন্ন রকম পোকা এর মধ্যে আসবে এবং মারা পড়বে। এই বিষ টোপ এর কার্যকারিতা তিন থেকে চার দিন ধরে থাকে। চার দিন পর পর এটি পরিবর্তন করে দিতে হবে।শসা গাছের রোগবালাই দমন।

Photos from Redova Agro Ltd.'s post 27/11/2023

আলু চাষে সহায়ক কয়েকটি পদ্ধতি

27/11/2023

বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক সারের কাজ:

আমরা কৃষি জমিতে সবাই বিভিন্ন রকম সার ব্যবহার করি। কিন্তু কোন সার ফসলের জন্য কি কাজ করে তা আমরা অনেকে জানি আবার জানি না, এমনকি জানার চেষ্টাও করিনা। কিন্তু ভাল ফসল উৎপাদনের জন্য এটা জানা খুবই জরুরী। নিচে কোন প্রকার রাসায়নিক সারের কি কাজ তা সংক্ষেপে তুলে ধরলাম।

#ইউরিয়া:

ইউরিয়া সার গাছের ডালপালা, কান্ড ও পত্রের বৃদ্ধি সাধন করে। এই সার গাছপালাকে গাঢ় সবুজ রং প্রদান করে। এর নাইট্রোজেন পাতার সবুজ কণিকা বা ক্লোরফিলের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং উদ্ভিদের প্রোটিন উৎপাদনে সহায়তা করে।

#টিএসপি:

টিএসপি, ডিএপি বা ফসফেট জাতীয় সারের ফসফরাস গাছের প্রথম পর্যায়ের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এছাড়া উদ্ভিদের জীবকোষের বিভাজনে অংশগ্রহণ করে এবং গাছের মূল বা শিকড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাছাড়া সময় মতো গাছকে ফুল ও ফলে শোভিত করে এবং ফলের পরিপক্কতা ত্বরান্বিত করে।

#পটাশ:

এমপি সার বা পটাশ সারের পটাশিয়াম পাতার ক্লোরফিল তৈরির অবিচ্ছেদ্য অংশ যা শর্করা প্রস্তুতিতে সহায়তা এবং সেগুলির দেহাভ্যন্তরে চলাচলের পথ সুগম করে। এই সার নাইট্রোজেনের কার্যকারিতার পরিপূরক এবং পোকামাকড় ও রোগবালাই থেকে গাছকে রক্ষা করে। এই সার গাছের খরা সহিঞ্চুতা বাড়ায়, গাছকে মজবুত করে।

#জিপসাম:

জিপসাম সারের মধ্যে থাকা সালফার নাইট্রোজেন আত্মকরণে সহায়তা করে। এই সার প্রোটিন প্রস্তুতিতে অংশ গ্রহণ করে, তেল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সালফার ভিটামিন ও কো-এনজাইমের উপাদান তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

#জিংক_সালফেট:

জিংক সালফেটের জিংক প্রোটিন প্রস্তুতিতে সহায়তা করে এবং হরমোনের কার্যকারিতার জন্য সহায়তা করে।

#বোরন

বোরন সার ফলের বিকৃতি রোধ করে এবং ফুল ফল ধারণে সাহায্য করে। তেল জাতীয় ফসল চাষে বোরন সার ব্যবহার করলে শতকরা ১৯.৮-২৩.০ ভাগ পযর্ন্ত ফলন বৃদ্ধি পায়।

26/11/2023

🎉 CONGRATULATIONS! to your success in HSC/ Alim results and it makes us proud.

Photos from Redova Agro Ltd.'s post 25/11/2023

ছাদ কৃষি

23/11/2023

টবে শিম চাষ পদ্ধতি।

শিম চাষ আপনি ইচ্ছা করলে আপনার বাড়ির ঘরের বারান্দা, ছাদে, চিলেকৌঠায় অথবা বাড়ির আঙ্গিনায় বা উঠোনের কোনে এই সুস্বাদু শীতকালীন সবজি শিমের চাষ করতে পারেন খুব সহজে ।

শিম চাষে টব বা মাটি তৈরি পদ্ধতি:

আমাদের দেশে এঁটেল মাটি ছাড়া প্রায় সবধরণের মাটিতে শিমের চাষ করা যায়। তবে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে শিমের চাষ ভাল হয়। দো-আঁশ মাটি বেশি উপযুক্ত ।

শিম চাষের টব বা পাত্রের আকৃতি বাছাই:

টবে শিম চাষ করার ক্ষেত্রে আপনি মাঝারি অথবা বড় সাইজের মাটির টব ব্যবহার করতে পারেন এছাড়াও আপনি ইচ্ছা করলে হাফ সাইজের অথবা কাটা ড্রাম ব্যবহার করতে পারেন।

শিমের জাত:

আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি জাতের শিম চাষ করা হয়ে থাকে। তাঁর মধ্যে বারি-১, বারি-২, বারি-৫, বারি-৬, চ্যাপ্টা শিম, ধলা শিম, পুঁটি বা পুটলে শিম, হাতিকান, ঘৃত কাঞ্চন, ইপসা, সীতাকুন্ডু ইত্যাদি অন্যতম।

শিমের চারা রোপনের সঠিক সময়:

বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় যেকোন সময়ে শিমের চাষ করা যায়। তবে শ্রাবণ মাসের শেষের দিক থেকে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত শিম লাগানোর উপযুক্ত সময়। আর যদি আগাম চাষ করতে চান তাহলে আষাঢ় থেকে পুরো ভাদ্র মাস পর্যন্ত শিম গাছ লাগানো যায়।

শিমের বীজ বপন ও পানি সেচ:

শিমের চারা লাগানোর ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে চারা তৈরি করে নিতে হবে অথবা বীজ বুনতে হবে । প্রতিটি পাত্রে ৫-৬ টি করে বীজ বুনে দিতে হবে। এরপর যখন বীজ থেকে চারা উৎপাদিত হবে তখন প্রতিটি টবে সবল সুস্থ্য চারা রেখে দুর্বল চারা উপড়ে ফেলতে হবে। চারা গজানোর পর প্রথম দিকে নিয়মিত পানি দিতে হবে। এবং পরবর্তীতে অতিরিক্ত গরম পড়লে বেশী পানি দিতে হবে।

শিমের চাষাবাদ পদ্ধতি:

গাছের চারা একটু বড় হলে একটা ছোট লাঠি অথবা বাঁশ দিয়ে গাছকে বেঁধে দিতে হবে। এরপর যত্নসহকারে মাচা তৈরি করে দিতে হবে। গাছে নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। এবং শিম গাছের গোড়ায় সবসময় মাটি দিতে হবে। শিম গাছ ছেটে দিলো গাছ ঝোপালো হয় ফুল ফল বেশি হয়।

সারের পরিমাণ ও সার প্রয়োগ:

শিম গাছে জৈব সার দিতে হবে বেশি করে যেমন , ময়লা আবর্জনা, হাস মুরগীর বিষ্ঠা, কাঠ কয়লা ছাই ইত্যাদি। এছাড়াও অজৈব সার হিসেবে ইউরিয়া, টিএসপি, মিউরেট অব পটাশ, জিপসাম, জিংক অক্সাইড ইত্যাদি দিতে পারেন ।

মাচা বা বাউনি দেয়া :

শিমগাছ বাওয়ার সুযোগ যত বেশি পায়, ফলন তত বেশি হয়। তাই শিমগাছ যখন ১৫-২০ সেমি লম্বা হবে তখন গাছের গোড়ার পাশে বাঁশের ডগা (কঞ্চিসহ) মাটিতে পুঁতে দিতে হবে। এ ঝড়ে শিমগাছ ছড়িয়ে পড়ে ভালো ফুল ও ফল দিতে পারে। দেশীয় পদ্ধতিতেও বাঁশের মাচা বা ঝিকাগাছে অথবা ছনের ঘরের চালে শিমগাছ তুলে দেয়া যায়। এ ছাড়া বাঁশের চটা ও কঞ্চির সাহায্যে ইংরেজি ‘অ’ অরের মতো কাঠামো তৈরি করে জমিতে মাচা দিয়েও শিমগাছ থেকে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

শিম গাছে পোকামাকড় দমন ও বালাইনাশক:

শিমের রোগবালাই
পাতার রোগ : দেশী শিমের পাতায় কালো দাগ ও ফোস্কা পড়া দেখা দিলে মেনকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। আর পাতায় হলুদ মোজাইক রোগ হলে গাছটি তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হয়। রোগটি হয় জ্যাসিড বা সাদা মাছির কারণে। এ জন্য অন্যান্য সুস্খ গাছে ইমিডাক্লোরপিড বা ফেনথিয়ন গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করে জ্যাসিড বা সাদামাছি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

গোড়া ও শিকড় পচা রোগ :
শিকড় পচা রোগ হলে আক্রান্ত গাছ তুলে বাকি গাছে ও মাটিতে ভালো করে কার্বেন্ডাজিম- জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। শিমের গোড়া ও শিকড় পচা রোগ সাধারণত বর্ষার শুরুতে বা অতি বর্ষণের ফলে গোড়ায় পানি জমলে হয়। তবে মাঝে মাঝে আবহাওয়ার আর্দ্রতা বেড়ে গেলে ও উচ্চ তাপমাত্রায় গোড়া পচা রোগের প্রকোপ বাড়ে। গাছের বৃদ্ধির যেকোনো অবস্খাতেই এ রোগ হতে পারে। মাটির ঠিক ওপরে গাছের কাণ্ডে লালচে বাদামি দাগ পড়ে। ধীরে ধীরে এই দাগ বিস্তার লাভ করে। বেশি হলে শিকড়েও ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত অংশ আস্তে আস্তে শুকিয়ে যায়, ফলে গাছ দুর্বল হয়। ফলন কম হয়। কখনো কখনো গাছ মরেও যেতে পারে। চারা অবস্খায় আক্রান্ত হলে চারা মারা যায়। অন্য সুস্খ গাছে বিশেষ করে গাছের গোড়ায় কপারযুক্ত ছত্রাকনাশক বা বাড়িতে তৈরি বোর্দো মিশ্রণ ৭ দিন পরপর ২ থেকে ৩ বার স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যায়।

মরিচা রোগ :
দেশী শিমগাছের বয়স্ক অবস্খায় মোজাইক বা মরিচা রোগ দেখা যায়। এটি ছত্রাকঘটিত রোগ। মাঘ মাসের শুরুর দিকে বিশেষ করে এ সময় দু-এক পশলা বৃষ্টি হলে বা বেশি কুয়াশা হলে এই রোগ দেখা দেয়। শিমগাছের পাতায় বিশেষ করে নিচের দিকের পুরনো পাতায়, কাণ্ডে ও ডগায় বা কখনো কখনো শুঁটিতে মরিচা রোগের আক্রমণ দেখা যায়। এর আক্রমণে ছোট ছোট বাদামি ধূসর রঙের দাগ পড়ে পাতায়। পরে দাগগুলো আকারে বাড়ে, গোলাকার বা কোণবিশিষ্ট হয় এবং গাঢ় বাদামি রঙ ধারণ করে। শেষে বড় দাগগুলো কালো রঙে রূপান্তরিত হয়। সাধারণত দাগগুলো একত্রিত হয়ে এক জায়গায় থাকে এবং অনেক সময় পরস্পর মিশে গিয়ে বড় দাগের সৃষ্টি করে। মরিচা রোগ প্রতিকারের ভালো উপায় হচ্ছে রোগ প্রতিরোধী জাতের চাষ করা। বারি ও ইপসা জাতের শিমগুলো এই রোগ প্রতিরোধী। একবার এ রোগে গাছ আক্রান্ত হলে রোগ দমন করা যায় না। গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হয়।

হলুদ মোজাইক রোগ:
দেশী শিমের আরেকটি রোগ প্রায়ই দেখা যায়, তা হলো হলুদ মোজাইক রোগ। এ রোগে প্রথমে কচি পাতায় ছাড়া ছাড়াভাবে হলদে দাগ দেখা যায়। দাগগুলো আস্তে আস্তে পুরো পাতায় ছড়িয়ে পড়ে। হলদে হয়ে যাওয়া পাতার কিছু কিছু অংশ সবুজই থাকতে পারে। আক্রান্ত হওয়ার পর গজানো নতুন পাতায় হলদে ভাব আরো বেশি দেখা যায়। কখনো কখনো পাতার বিকৃতিও ঘটে। পাতা আকারে ছোট হয় ও কিছুটা কুঁচকে যায়। এক ধরনের সাদামাছি এই রোগ ছড়ায়। যেকোনো অন্তর্বাহী কীটনাশক (যেমন-বাইফেনথ্রিন বা ইমিডাক্লোরপিড) ১ থেকে ২ মিলিলিটার প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে পোকা ও রোগ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। এ ছাড়া রোগমুক্ত মাঠ বা গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হয় পরবর্তী ফসলের জন্য। আক্রান্ত ক্ষেতের আশপাশের শিমজাতীয় সব গাছে (ফরাসি শিম, ঝাড় শিম, চওড়া শিম, চারকোনা শিম, তলোয়ার শিম, মটরশুঁটি, সয়াবিন, মেথি, খেসারিশাক, ছোলাশাক ও বরবটি) একই সাথে কীটনাশক স্প্রে করা উচিত। কীটনাশক স্প্রে করার আগে সংগ্রহযোগ্য সব ফল বা শুঁটি সংগ্রহ করে নিতে হয় এবং ১৫ দিনের মধ্যে গাছ থেকে কোনো ফসল সংগ্রহ করা যাবে না।

জাব পোকা:
দেশী শিমে জাব পোকার আক্রমণ সবচেয়ে বেশি। ফুল বের হওয়ার সময় এদের আক্রমণ বেশি দেখা যায়। কেরোসিন মিশ্রিত ছাই পাতায় ছিটিয়ে এই পোকা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে গাছের গোড়া ও মাচার খুঁটি, যা মাটি সংলগ্ন থাকে সেখানেও এই ছাই ছিটিয়ে দিতে হয় যাতে পিঁপড়া খুঁটি বা গাছ বেয়ে উঠতে না পারে। পিঁপড়া জাব পোকার গা থেকে নি:সৃত এক প্রকার আঠালো পদার্থকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। তাই শিমগাছে জাব পোকা দেখা দিলে পিঁপড়াও নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরপিড- জাতীয় কীটনাশক ১৫ দিন পর ২ থেকে ৩ বার স্প্রে করতে হয়।

শুঁটির মাজরা পোকা:
দেশী শিমের একটি বড় সমস্যা শুঁটির মাজরা পোকা। বাদামি রঙের পূর্ণ বয়স্ক পোকা ফুল বা কচি শিমের গায়ে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বাচ্চা বা কিড়া বের হয়ে শুঁটির ভেতরে প্রবেশ করে কচি বীজ ও শাঁস খায়। ভেতরেই মল ত্যাগ করে। এ অবস্খায় শুঁটি কিছুটা বড় হয়। কিন্তু শিমের বাণিজ্যিক মূল্য একেবারেই থাকে না। ফুলের কুঁড়িতে ডিম পাড়লে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার পর পুষ্পমঞ্জরি খেতে থাকে। পরে পাতায় ছোট ছোট জালের মতো তৈরি করে। পাতা, ফুল ও কচি শুঁটি দিয়ে বাসার মতো তৈরি করে সেখানে লুকিয়ে থাকে। এই পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য শস্যপর্যায় অবলম্বন করা উচিৎ। অর্থাৎ পরপর দুই-তিন মৌসুম একই জমিতে দেশী শিমের চাষ করা থেকে বিরত থাকতে হয়। এতে এই পোকার জীবনচক্র বাধাপ্রাপ্ত হয়। ওই সময়ে কোনো ডালজাতীয় শস্যও চাষ করা যাবে না। কারণ ডাল শস্য এই পোকার বিকল্প পোষক। প্রতি গাছে বা প্রতি বর্গমিটারে যদি ১ থেকে ৩টি পোকার আক্রমণ দেখা যায় তাহলে ফেনিট্রোথিয়ন গ্রুপের কীটনাশক (৫০ ইসি) প্রতি লিটারে ২ মিলিলিটার কিংবা সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক প্রতি লিটারে ১ মিলিলিটার হিসেবে মিশিয়ে স্প্রে করতে হয়। স্প্রে করার আগে সংগ্রহ করার মতো শিম সংগ্রহ করে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে কোনো শিম সংগ্রহ করা উচিত নয।

শিমের যত্ন ও পরিচর্যা:

শিম গাছের নিয়মিত যত্ন করতে হবে। গাছের গোড়ায় যদি আগাছা জন্মে তাহলে আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে। মাঝে মাঝে অতিরিক্ত আগা ও লতাপাতা ছাটাই করে দিতে হবে। টবে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। গাছের গোড়াই অনেক বেশী পরিমাণে মাটি দিতে হবে। গাছ লতিয়ে গেলে বেধে দিতে হবে। গাছে ফুল আসলে পুরুষ ফুলের পরাগধানী হতে পরাগরেণু সংগ্রহ করে স্ত্রী ফুলের গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরের মাধ্যমে পরাগায়ন (কৃত্রিম পরাগায়ন )ঘটিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া সম্ভব।

23/11/2023

আন্তঃফসল হিসেবে ভুট্টার সাথে পুঁইশাকের চাষ

22/11/2023

টবে ছাদে বা বারান্দায় আলু চাষের পদ্ধতি।

অনেকেই ভাবেন আলু বুঝি শুধু বিস্তৃন মাঠেই চাষ করতে হয়। কিন্তু বর্তমান আধুনিক কৃষির যুগে আলু চাষ জায়গা করে নিয়েছে বিল্ডিংয়ের ছাদে, টবে কিংবা বাসার বারান্দায়। সে ক্ষেত্রে ফলন হয়ত অনেক বেশী পাওয়া যাবেনা কিন্তু যতটুকু পাওয়া যাবে সেটাই বা কম কিসে। খাদ্য পুষ্টির অভাব মেটাতে আলুকে ভাতের বিকল্প ধরা হয়। পুষ্টির দিক থেকে আলুকে ভাত ও গমের সাথে তুলনা করা হয়। তাহলে অল্প কিছু হলেও যদি শহুরে জীবনে ছাদ কিংবা বারান্দায় চাষ করে নিজেদের রসনা মিটানো যায় সেটা অবশ্যই অনেক পরিতৃপ্তি দিবে আপনাকে।

জায়গা নিবার্চন
আলু চাষের জন্য প্রথমেই আপনাকে যা করতে হবে তাহলো স্থান নির্বাচন। স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনাকে এমন একটি জায়গা নির্বাচন করতে হবে যেখানে সব সময় আলো বাতাস চলাচল করতে পারে। অন্তত সকাল বেলাটা রোদ পড়ে এমন জায়গা আলু চাষের জন্য উপযোগী। খেয়াল রাখবেন সকাল-বিকাল বাদে শুধু দুপুরে রোদ পড়ে এমন জায়গায় আলু চাষ করবেন না। আলু চাষ করার জন্য আপনি তিনটি জায়গা নির্বাচন করতে পারেন। যেমন- বাসার ছাঁদ, বারান্দা, বাড়ীর উঠান।

আলু চাষের জায়গা নির্বাচন হবার পর আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি কিসে চাষ করবেন টবে নাকি মাঝারি কোন ড্রামে। টব ও ড্রাম ছাড়াও প্ল্যাস্টিকের কন্টেইনার কিংবা প্ল্যাস্টিকের বালতিও ব্যবহার করতে পারেন।
-কন্টেইনারের উচ্চতা ২-৩ ফুট এবং ধারণক্ষমতা ৪০-৫০ লিটার হতে হবে।
-অতিরিক্ত পানি বের হবার জন্য প্রতি কন্টেইনারের নিচে ৩/৪ ইঞ্চি ফুটো করে নিন।
-মাঝারি সাইজের টব বেছে নিন। এতে ১০টি চারা রোপণ করা যায়।

মাটি প্রস্তুত প্রণালী
আলু চাষের জন্য মাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটি আলুর জন্য সব চাইতে উপযোগী৷ আলু চাষের জন্য মাটিতে প্রচুর জৈব সার থাকতে হয়। তাই টবে মাটি ভরাট করার আগে অবশ্যই আপনাকে বেলে দো আশ মাটি সংগ্রহ করতে হবে। মাটি সংগ্রহ করা হলে সেই মাটিতে এক ভাগ জৈব সার মিশ্রিত করে ভালোভাবে ঝুরা করে মাটিতে মিশিয়ে নিতে হবে। জৈবসার মাটিতে মিশিয়ে নেয়া হলে সেখানে হালকা একটু পানি দিয়ে মাটিকে ভিজিয়ে নিতে হবে। মাটিতে কমপোস্ট ব্যবহার করা অনুচিত। এতে রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ বেড়ে যায়। এর বদলে গোবর পচিয়ে মাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়া ভাল।

আলুর বীজ
আলুর বীজ দুইভাবে সংগ্রহ করা যেতে পারে। বীজ থেকে এবং আলুর কাটিং থেকে। আলুর বীজ সংগ্রহ করার সময় অবশ্যই খেয়াল করতে হবে আপন কোন জাতের বীজ লাগাবেন। হাইব্রীড জাতের নাকি দেশি জাতের । আপনার পছন্দ অনুযায়ী আলুর বীজ সংগ্রহ সেগুলোকে কাটতে হবে । বর্তমানে বাজারে কোম্পানি বিভিন্ন কাটিং বীজ পাওয়া যায়। যদি নিজেই কাটিং করতে চান তাহলে বীজ কিনে এনে প্রতিটি অঙ্কুর ১-২ ইঞ্চি পুরত্ব রেখে কেটে ছায়াযুক্ত স্থানে কিছুক্ষণ রেখে দিন।

আলুর বীজ রোপণ
টব বা কনটেইনারের দুই তৃতীয়াংশ পরিমাণ মাটি-সারের মিশ্রণ নিন। উপরের অংশ সমতল করুন। এবার আলুর বীজ ৫ বা ৭ ইঞ্চি পরপর মাটিতে পুতে দিন। আলুর বীজ লাগানো হলে বীজের উপর ৪-৫ ইঞ্চি করে মাটি মিশ্রণ দিয়ে ঢেকে দিন।

আলুর বীজ রোপণ
টব বা কনটেইনারের দুই তৃতীয়াংশ পরিমাণ মাটি-সারের মিশ্রণ নিন। উপরের অংশ সমতল করুন। এবার আলুর বীজ ৫ বা ৭ ইঞ্চি পরপর মাটিতে পুতে দিন। আলুর বীজ লাগানো হলে বীজের উপর ৪-৫ ইঞ্চি করে মাটি মিশ্রণ দিয়ে ঢেকে দিন।

পরিচর্যা ও সার প্রয়োগ
টবে আলুর বীজ লাগানোর পর খেয়াল রাখত হবে যেন সেচের পরিমাণ বেশি না হয়। তবে নিয়মিত পরিমিত পানি আলু চাষের জন্য খুব জরুরি। সকাল ও বিকাল পানি দিলেই চলে। কিন্তু টবে পানির পরিমাণ বেশি হলে আলুর শেকড় পচে যাবে তাই টবের গায়ে ছোট ছোট ছিদ্র ছিদ্র করে দিতে হবে যাতে করে টবে পানি আটকে না থাকে । টবের মাটিতে জৈব সার আগে থেকে দেয়ার কারণে আর অতিরিক্ত সার দেয়ার প্রয়োজন পড়েনা তবু প্রয়োজন হলে উপরি সার দেয় যেতে পারে। আলু গাছের গোড়ায় আগাছা জন্মাতে পারে সেক্ষেত্রে সেগুলো তুলে দিতে হবে। বাসার ছোট বাচ্চারা যাতে টব নষ্ট না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। টবে বা কন্টেইনারে আলু চাষে জিপসাম, টিএসপি, এমওপি, ইউরিয়ার অনুপাত ১:২:৩:৩ হওয়া বাঞ্ছনীয়। এছাড়া সামণ্য পরিমাণের সালফেট ও বোরন সার মিশ্রিত করে দিতে হবে। যেহেতু আপনি আপনার বাসার ছাদে বা বারান্দায় করবেন, তাই জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করাই উত্তম।

সেচ ও নিষ্কাশন
-রোপণের পর গাছের মাথা স্পষ্ট হলে সার প্রয়োগ করে হালকা সেচ দিতে হবে। মূলত রোপণের ৭ দিনের মধ্যে দিতে হবে।
-মাটির রসের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে প্রয়োজনানুযায়ী ৩-৫ বার সেচ দিতে হবে।
-৪০ দিন পর টিউবার গঠন হওয়া শুরু হলে অবশ্যই সেচ দিতে হবে।
-টবে/কন্টেইনারে চাষের জন্যে এটিই সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি। কারণ এই মাটিতে পুনরায় আলু চাষ করা যাবে।

আলু তোলা
আলু পরিপক্ক হতে আলুর জাত ভেদে মূলত ৭০ থেকে ৯০ দিন সময় লাগে। আলুর গাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করলেই বুঝতে হবে আলু পরিপক্ক হয়েছে। আলু পরিপক্ক হলে গাছ ধরে টান দিলে আলু বের হয়ে আসবে সেক্ষেত্রে টব ভাঙ্গতে হবেনা । কন্টেইনারের ক্ষেত্রে একটি দরজা রাখেন, এতে করে পরিপক্ক আলুগুলো ফসল তোলার আগেই সংগ্রহ করা যায়। আলু তোলার সেগুলো শুকনো আদ্রযুক্ত জায়গায় রাখতে হবে। কাটা কিংবা পচা কোন আলু থাকলে সেগুলো ভালো আলু থেকে আলাদা করে ফেলতে হবে।

বাড়তি তথ্য
আলু ফসলের গাছের মাঝের ফাঁকা জায়গায় সাথী ফসল হিসেবে লাল শাক, পালং শাক, ধনে ও মুলা শাকের চাষ করা যায়। এতে প্রধান ফসল আলুর কোনো ক্ষতি হয় না। বীজ বপনের এক মাস পর লাল শাক, পালং শাক, মুলা ও ধনে শাক তুলতে হবে।

Want your business to be the top-listed Engineering Company in uttara dhaka?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

মাজরা পোকার দমন ব্যবস্থাপনা
মাকড়ের অদ্যপ্রান্ত
বোরো ধানের সার ব্যবস্থাপনা
ঈদ মোবারক
আমের মুকুল স্প্রে করার নিয়ম
ফল আর্মি ওয়ার্ম জীবনচক্র
ব্রির নতুন জাত ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ অধিক ফলন ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।।
Redova Agro Ltd.

Address


87 BNS Center, Sector 7
Uttara Dhaka
1230