Chinese Scholarship HUB

Chinese Scholarship Hub is by your side to make your dream come true. Study on scholarships at vari

09/07/2022

Chinese Scholarship HUB এর পক্ষ থেকে সকলকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা।

02/05/2022

Chinese Scholarship HUB'র পক্ষ থেকে সকলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।

14/04/2022

বাংলা শুভ নববর্ষ ১৪২৯ ❤️

Chinese Scholarship HUB
পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই বৈশাখী শুভেচ্ছা। আর এ নতুন বছরে কামনা করি সকলের সুস্বাস্থ্য, নব অগ্রগতি এবং অফুরন্ত সুখ ও বিস্ময়কর সমৃদ্ধি।

02/04/2022

সবাইকে রমজানুল মোবারক এর শুভেচ্ছা 🕌

26/03/2022

অনলাইন চাইনিজ ল্যাংগুয়েজ স্কুল
এপ্রিল ব্যাচ রেজিষ্ট্রেশন চলছে 🇨🇳
Chinese Scholarship HUB

25/03/2022

শচীন টেন্ডুলকার জীবনে যতবার আউট হয়েছেন আপনি হয়তো ততবার ক্রিকেট খেলাও খেলেননি। কিন্তু দিনশেষে আজকে শচীনকে পুরো বিশ্ব ক্রিকেট নক্ষত্র হিসেবেই জানে।

মার্ক জুকারবার্গকে যখন তার গার্লফ্রেন্ড সকল সোশ্যাল সাইট থেকে ব্লক করে দেয়, তখন সে জেদ করে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট ফেসবুক তৈরি করে, যার মাধ্যমে সে ওয়ার্ল্ডের টপ ফাইভ রিচম্যানদের একজন। আর আপনি হলে কী করতেন? শেভ করা ছেড়ে দিয়ে, সিগারেট টানতেন আর বলতেন- বেঁচে থেকে কী লাভ!

সাইকেল গ্যারেজে কাজ করা রাইট ভ্রাতৃদ্বয় যতবার প্ল্যান করে বিমান উড়াতে চেষ্টা করে করে ব্যর্থ হয়েছেন, আপনি ততবার প্ল্যান করে পাখির উড়াও দেখেননি। তবু তিনি বিমানটা আবিষ্কার করেই ছাড়লেন।

সাকসেস না আসার আগ পর্যন্ত আপনি থামবেন না, হেরে গেলেও না, বারবার ব্যর্থ হলেও না। ছোটবেলায় যেভাবে একবার হাঁটতে না পারলে আবার চেষ্টা করতেন, পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়ে কান্না করতে করতে আবার দেয়াল ধরে হাঁটতে চাইতেন,এখন সময় এসেছে আবার দাঁতে দাঁত চেপে নাছোড়বান্দার মত লেগে থাকার। যে যাই বলুক, যে যা করুক, আপনি শুধু লেগে থাকেন। বাকিটা সিস্টেম্যাটিক্যালি স্রষ্টা আপনাকে দিয়ে দিবেন।

By - Satyajit Chakroborti

24/03/2022

Learn Chinese Language With Chinese Scholarship HUB

22/03/2022

Online Chinese Language School
ঘরে বসে চাইনিজ ভাষা শিখুন
বিস্তারিত আসছে.........
Chinese Scholarship HUB

18/03/2022

২০২২ সাল থেকে প্রতি বছর অন্তত ৬ লাখ বিদেশী শিক্ষার্থী নেওয়ার পরিকল্পনা করছে চীন

17/03/2022

চীনে যত সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী চীনে পড়াশুনা করছে।

চীনে পড়াশোনা সম্পর্কিত আপনার ৪ টি প্রশ্নের উত্তরঃ

১. ভাই চীনে কিভাবে ভর্তির আবেদন করা যায়?
উত্তরঃ বাংলাদেশে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় শতকরা ৬০ শতাংশ নম্বর পেলে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করা যায়। স্কলারশিপের জন্য আরো বেশি নম্বর পেতে হবে। তবে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা এক রকম নয়।

চীনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশুনার সুযোগ বেশি।
এর মধ্যে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভালো স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া ব্যবসায় প্রশাসন এবং মেডিকেলে পড়ার সুযোগও বেশ ভালো।

আপনি চীনের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশুনা এবং স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন

ইউরোপ এবং আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেভাবে আবেদন করতে হয়, চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও আবেদনের প্রক্রিয়া একই রকম।

২. ভাই চীনে পড়াশোনা শেষে চাকরীর সুযোগ সুবিধা কেমন ?
উত্তরঃ পৃথিবীর আর কোন দেশ চীনের মতো এতো বিনিয়োগ করছে না। চীন থেকে পড়াশুনা করলে চাইনিজ কোম্পানিগুলোতে কাজের সুবিধা অনেক বেড়ে যায়।

চীনা ভাষা ভালোভাবে জানা থাকলে খুব একটা বেগ পেতে হয় না এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর চাকরি পেতে খুব একটা অসুবিধা হয় না।

৩. ভাই চীনে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ আছে কি না ?
উত্তরঃ পাশ্চাত্যের মতো চীনে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ নেই। পড়াশুনা শেষে হলে কিংবা চাকরি না থাকলে দেশে ফিরে আসতে হবে।

৪. ভাই চীনে অধ্যয়নকালীন বা পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরীর সুযোগ রয়েছে কি না ?
উত্তরঃ চীনে কোন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করতে গেলে সে রেস্টুরেন্ট, বার কিংবা অন্য কোথায় কাজ করতে পারতো না। এতদিন সে নিয়ম ছিল।

কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে এ নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।

এখন থেকে শর্তসাপেক্ষে বিদেশি শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবে। এতে করে অর্থ উপার্জনের নতুন একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ধরেন কেউ যদি রেস্টুরেন্টে কাজ করে তাহলে প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশি মুদ্রায় পাঁচ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবে। অর্থাৎ মাসে বিশ হাজার টাকা। এটা দিয়ে ভালো একটা লাইফ লিড করতে পারবেন চীনে

চীন নিয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য ইনশাআল্লাহ আরো একদিন লিখবো

Photos from Chinese Scholarship HUB's post 21/12/2021

📛📛📛📛 ইতিমধ্যেই চাইনিজ গভমেন্ট স্কলারশীপ ( CSC- Type A ) -2022 সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে। 📛📛

আপনারা যারা এই স্কলারশিপে আবেদন করতে ইচ্ছুক কিন্তু কীভাবে আবেদন করবেন এবং কী কী ডকুমেন্টস লাগবে তা জানতে আগ্রহী আজকের এই পোস্ট টি তাদের জন্যঃঃ

📛📛চায়নিজ গভমেন্ট স্কলারশিপ CSC-A টাইপ 📛📛

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে চায়নিজ সরকার উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উৎসাহিত করার জন্য চাইনিজ গভমেন্ট স্কলারশীপ চালু হয়। বিশ্বের কয়েকটি মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশীপগুলের মধ্যে এটি একটি অন্যতম ।

🧭🧭🧭আবেদন শুরুঃ ১৯ ডিসেম্বর ২০২১
🧭🧭🧭আবেদনের শেষ সময়ঃ ১৬ই জানুয়ারী ২০২২ বিকেল ৪:০০ টা পর্যন্ত

🔰🔰 ( সুযোগ-সুবিধা )🔰🔰

⏭️ টিউশন ফি- ফ্রি।
⏭️ আবাসন ফি -ফ্রি।
⏭️ এয়ার টিকেট- ফ্রি।
⏭️ মেডিকেল ইন্সুরেন্স - ফ্রি

⏭️⏭️মাসিক বৃত্তিঃ ব্যাচেলারে 2500RMB
মাস্টার্সে 3000RMB
পি এইচ ডি 3500RMB

🔰🔰 চায়না 1RMB =13.50 টাকা (বাংলা টাকায়) বিভিন্ন সময় কম বেশি হয়ে থাকে।

📛📛 (আবেদন প্রক্রিয়া) 📛📛

⏭️প্রথমে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রনালয় এর ওয়েবসাইট এ আবেদন করতে হবে |লিংক : http://scholar.banbeis.gov.bd/cscchina/

⏭️ তারপর চাইনিজ স্কলারশিপের পোর্টালে আবেদন করতে হবে ।
লিংক : http://www.campuschina.org/ অথবা https://studyinchina.csc.edu.cn/ #/login

⏭️ আবেদন পত্র সহ , প্রয়োজনীয় সমস্ত ডকুমেন্টেস এর হার্ড কপি বাংলাদেশ সচিবালয়ে জমা দিতে হবে।

📛📛📛📛ডকুমেন্টস লিস্টঃ📛📛📛📛
১। ছবি
২। পাসপোর্ট ( নোটারাইজড)
৩। সার্টিফিকেট এবং মার্কশীট ( নোটারাইজড)
৪। স্টাডি প্লান
৫।রিকমন্ডেশন লেটার ২ টা
৬। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
৭। মেডিকেল সার্টিফিকেট
৮।বার্থ সার্টিফিকেট / NID
৯। IELTS / HSK সার্টিফিকেট থাকলে অগ্রাধিকার পাবেন
১০। এক্সট্রাক্যারিকুলাম এক্টিভিটিস সার্টিফিকেট ( যদি থাকে )
১১। পাবলিকেশন /রিসার্স পেপার ( মাস্টার্স / পিএচডি তে এপ্লাইয়ের জন্য)

বিস্তারিত জানতেঃ

© Chinese Scholarship HUB

01/07/2021
29/06/2021

ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পন্ন হলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন

25/06/2021

বেসিক ইলেকট্রনিক্সের অতি সংক্ষিপ্ত কিছু বেসিক প্রশ্ন ও উওরঃ

১। সোল্ডারিং বলতে কি বোঝ? এতে ব্যবহৃত উপাদান সমূহ কি কি ও এদের অনুপাত কত?

উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে দুই বা ততোধিক ধাতব পদার্থ সংযুক্ত বা একত্রিত করা হয় তাকে সোল্ডারিং বলে। এতে ব্যবহৃত উপাদান সমূহ হচ্ছে সীসা ও টিন, এদের অনুপাত ৪০ঃ৬০।

২। সোল্ডারিং এর সময় রজন ব্যবহার করা হয় কেন বা এর সুবিধা কি?

উত্তরঃ সংযোগস্থল ভালভাবে পরিষ্কার এবং মজবুত করার জন্য সোল্ডারিং এর সময় রজন ব্যবহার করা হয়।

৩। রেজিস্টর কি? বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টরের নাম লিখ।

উত্তরঃ ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহকে সীমিত রাখার জন্য এবং কারেন্ট প্রবাহের পথে বাথা দেয়ার জন্য যে উপাদান ব্যবহার করা হয় তাকে রেজিস্টর বা রোধক বলে। বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টর: কার্বন রেজিস্টর, ওয়্যারউন্ড রেজিস্টর, সিরামিক রেজিস্টর, ফিল্ম টাইপ রেজিস্টর ইত্যাদি।

৪। কালার কোড পদ্ধতি কি? বিভিন্ন রং এর মান লিখ।

উত্তরঃ রেজিস্টরের গায়ের রং দেখে রেজিস্টরের মান নির্নয় করার পদ্ধতিকে কালার কোড পদ্ধতি বলে।

বিভিন্ন রং এর মানঃ

কালো ০, বাদামী = ১, লাল = ২, কমলা = ৩, হলুদ = ৪, সবুজ = ৫, নীল = ৬, বেগুনী = ৭, ধূসর = ৮, সাদা = ৯, সোনালী = ৫%, রুপালী = ১০%, নো কালার = ২০%।

৫। রেজিস্টেন্স, ক্যাপাসিটেন্স ও কন্ডাকটেন্স বলতে কি বুঝ?

উত্তরঃ রেজিস্টেন্স: রেজিস্টর যে ধর্মের কারনে বাধা প্রদান করে সেই ধর্মকে রেজিস্টেন্স বলে।

ক্যাপাসিটেন্স: ক্যাপাসিটরের যে বৈশিষ্টের কারনে চার্জ সঞ্চয় বা ধারন করে তাকে ক্যাপাসিটেন্স বলে।

কন্ডাকটেন্স: কন্ডাকটর যে বৈশিষ্টের কারনে এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ করে তাকে কন্ডাকটেন্স বলে।

৬। টলারেন্স ব্যান্ড বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ কোন রেজিস্টরের শেষ কালার বা ব্যান্ডকে টলারেন্স ব্যান্ড বলে। যা রেজিস্টরের মানের ভারসম্য রক্ষা করে।

৭। ইলেকট্রনিক্স কাজে কোন রেজিস্টর বেশি ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ ইলেকট্রনিক্স কাজে কার্বন রেজিস্টর বেশি ব্যবহৃত হয়।

৮। কন্ডাক্টর, সেমিকন্ডাক্টর ও ইনসুলেটর বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ কন্ডাক্টর: যে পদার্থের ভ্যলেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ এর কম তাকে কন্ডাকটর বলে।

সেমিকন্ডাক্টর: যে পদার্থের ভ্যলেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ টি তাকে সেমিকন্ডাক্টর বলে।

ইনসুলেটর: যে পদার্থের ভ্যালেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ এর বেশি তাকে ইনসুলেটর বলে।

৯। ত্রিযোজি ও পঞ্চযোজি মৌল কি? কয়েটির নাম লিখ।

উত্তরঃ ত্রিযোজি মৌল: যে মৌলের যোজনী সংখ্যা ৩টি তাকে ত্রিযোজি মৌল বলে।যেমন: গ্যালিয়াম, ইন্ডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, বোরন ইত্যাদি।

পঞ্চযোজি মৌল: যে মৌলের যোজনী সংখ্যা ৫টি তাকে পঞ্চযোজি মৌল বলে। যেমন: আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি।

১০। জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি ব্যবহৃত হয় কেন?

উত্তরঃ জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি ব্যবহৃত হয় কারণ জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি তাপ সহ্য করতে পারে এবং সিলিকনের দাম কম।

১১। হোল, ইলেকট্রন ও ডোপিং বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ হোল: হোল বলতে এটমের মধ্যে ইলেকট্রনের ঘাটতি জনিত সৃষ্ট (+) বি চার্জের আধিক্যকে বুঝায়।

ইলেকট্রন: এটি পরমাণুর ক্ষুদ্রতম ও গুরুত্বপূর্ণ কণিকা যা নেগেটিভ চার্জ বহন করে।

ডোপিং: খাঁটি সেমিকন্ডাকটরে ভেজাল মিশ্রিত করে এর পরিবাহীতা বৃদ্ধি করার পদ্ধতি বা কৌশলকে ডোপিং বলে।

১২। কো-ভ্যালেন্ট বন্ড ও ভ্যালেন্স ইলেকট্রন বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ কো-ভ্যালেন্ট বন্ড: পরমাণুর শেষ কক্ষপাতের ইলেকট্রন সমূহ যে বন্ধনের মাধ্যমে একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত থাকে সেই বন্ধনকে কো-ভ্যালেন্ড বন্ড বলে।

ভ্যালেন্স ইলেকট্রন: পরমাণুর শেষ কক্ষপাতের ইলেকট্রন সমূহকে ভ্যালেন্স ইলেকট্রন বলে।

১৩। সেমিকন্ডাকটর কত প্রকার ও কি কি ? এদের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ সেমিকন্ডাকটর দুই প্রকার।

১) খাঁটি সেমিকন্ডাকটর

২) ভেজাল সেমিকন্ডাকটর

খাঁটি সেমিকন্ডাক্টর: ডোপিং এর পূর্বে বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাকটরকে খাঁটি সেমিকন্ডাক্টর বলে।

ভেজাল সেমিকন্ডাকটর: ডোপিং এর পরে ভেজালযুক্ত সেমিকন্ডাকটরকে ভেজাল সেমিকন্ডাক্টর বলে।

ভেজাল সেমিকন্ডাকটর দুই প্রকার:

১) পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর

২) এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর

পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ ত্রিযোজি মৌল যেমন: ইন্ডিয়াম, গ্যালিয়াম, অ্যালূমিনিয়াম ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।

এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ পঞ্চযোজী মৌল যেমন: আর্সেনিক, এন্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।

১৪। সেমিকন্ডাক্টরের সুবিধা ও অসুবিধা লিখ।

উত্তরঃ সেমিকন্ডাক্টরের সুবিধা:

১) সেমিকন্ডাক্টরে কম পাওয়ার লস হয়।

২) এর কোন তাপশক্তির প্রয়োজন হয় না।

৩) সেমিকন্ডাকক্টরের আয়ুষ্কাল অনেক বেশি।

৪) এটি দ্বারা তৈরী ডিভাইস খুব ছোট হয়।

৫) এটি ভঙ্গুর নয়।

সেমিকন্ডাক্টরের অসুবিধা:

১) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সেমিকন্ডাকটরের কন্ডাকটিভিটি বৃদ্ধি পায়।

২) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কো – ভ্যালেন্ট বন্ড ভেঙ্গে মুক্ত ইলেকট্রনের সৃষ্টি হয়।

৩) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে রেজিস্ট্যান্স কমে এবং তাপমাত্রা কমলে রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায়।

১৫। বায়াসিং বলতে কি বোঝ? ইহা কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ কোন ট্রানজিস্টরকে সচল করার জন্য বাহির থেকে যে ডি.সি সাপ্লাই দেয়া হয় তাকে বায়াসিং বলে।

বায়াসিং দুই প্রকার:

১) ফরোয়ার্ড বায়াসিং

২) রিভার্স বায়াসিং

ফরোয়ার্ড বায়াসিং: ব্যাটারির চ প্রান্ত পজিটিভের সাথে এবং ঘ প্রান্ত নেগিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াসিং করা হয় তাকে ফরোয়ার্ড বায়াসিং বলে।

রিভার্স বায়াসিং: ব্যাটারির চ প্রান্ত নেগিটিভের সাথে এবং ঘ প্রান্ত পজিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াসিং করা হয় তাকে রিভার্স বায়াসিং বলে।

১৬। লিকেজ কারেন্ট বলতে কি বোঝায়?

উত্তরঃ মাইনোরিটি ক্যারিয়ারের জন্য পি-এন জাংশন ডায়োডে যে সামান্য কারেন্ট প্রবাহিত হয় তাকে লিকেজ কারেন্ট বলে।

১৭। নী ভোল্টেজ বা অফসেট ভোল্টেজ কাকে বলে?

উত্তরঃ পি-এন জাংশন ডায়োডে ফরোয়ার্ড ভোল্টেজের যে মানে ফরোয়ার্ড কারেন্ট বৃদ্ধি পায় তাকে নী ভোল্টেজ বা অফসেট ভোল্টেজ বলে।

১৮। ডিফিউশন ও ডিফিউশন কারেন্ট কাকে বলে?

উত্তরঃ ডিফিউশন: জাংশন ভেদ করে হোল ও ইলেকট্রনের চলাচলের প্রবণতাকে ডিভিউশন বলে।

ডিফিউশন কারেন্ট: ডিভিউশন এর কারণে উচ্চ অঞ্চল থেকে নিম্ন অঞ্চলে সৃষ্ট কারেন্ট প্রবাহকে ডিভিউশন কারেন্ট বলে।

১৯। ডিপ্লেশন লেয়ার কাকে বলে?

উত্তরঃ পি-টাইপ ও এন-টাইপ এর সমন্বয়ে যে ইলেক্টিক ফিল্ড সৃষ্টি করে তাকে ডিপ্লেশন লেয়ার বলে।

২০। ডায়োডের লোড লাইন কাকে বলে?

উত্তরঃ যে ফরোয়ার্ড বৈশিষ্ট রেখার উপর ডায়োডের কারেন্ট ও ভোল্টেজ এর সঠিক মান নির্নয় করা হয় তাকে ডায়োডের লোড লাইন বলে।

২১। কুইসেন্ট বিন্দু কাকে বলে?

উত্তরঃ ডায়োডের স্ট্যাটিক বৈশিষ্ট রেখা ও লোড লাইনের ছেদ বিন্দুকেই কুইসেন্ট বিন্দু বলে। এর মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট লোড রেজিস্টেন্স যে কোন ডায়োডে কি পরিমাণ ভোল্টেজের জন্য কি পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহ হচ্ছে তা জানতে পারি।

২৩। ফিল্টার সার্কিট কাকে বলে ? উহা কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ যে সার্কিটের মাধ্যমে পালসেটিং (+)ve কে খাঁটি (+)ve তে পরিণত করা হয় তাকে ফিল্টার সার্কিট বলে।

ইহা পাঁচ প্রকারঃ

১) সান্ট ক্যাপাসিটর ফিল্টার

২) সিরিজ ইন্ডাক্টর ফিল্টার

৩) ইন্ডাক্টর ও ক্যাপাসিটর ফিল্টার

৪) রেজিস্টেন্স ও ক্যাপাসিটেন্স ফিল্টার

৫) ফিল্টার

২৪। রিপল ও পালসেটিং ডিসি কাকে বলে?

উত্তরঃ রিপল: রেক্টিফায়ারের আউটপুট একমুখী হলেও ইহা (ডধাবভঁষষ) আকৃতিতে থাকে অর্থাৎ এ আউটপুটে উঈ এবং অঈ উভয় ধরণের কম্পোনেন্ট বিদ্যমান থাকে।

পালসেটিং ডিসি: রেক্টিফায়ারের আউটপুটে যে ডিসি পাওয়া যায় তা সম্পূর্ণ খাঁটি ডিসি নয়, এতে কিছুটা এসির প্রবণতা বা বৈশিষ্ট থাকে, এসি যুক্ত এ ডিসিকে পালসেটিং ডিসি বলে।

২৫। জিনার ডায়োড কি? ইহা কোন রিজিয়নে কাজ করে?

উত্তরঃ অত্যাধিক পরিমাণে ডোপিংকৃত সিলিকন দ্বারা তৈরি পি.এন. জাংশন ডায়োড, যা রিভার্স বায়াস প্রয়োগে শার্প ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ প্রদর্শন করে তাকে জিনার ডায়োড বলে। ইহা ব্রেক ডাউন রিজিয়নে কাজ করে।

২৬। জিনার ডায়োডকে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হয় কেন?

উত্তরঃ যদি কোন কারণে লোড কারেন্ট বাড়ে বা কমে তবে জিনার ডায়োড জিনার ক্রিয়ার মাধ্যমে তার কারেন্টকে সম পরিমাণ কমিয়ে বা বাড়িয়ে স্থির মানে রাখতে পারে বলে একে ভোল্টেজ ষ্ট্যাবিলাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

২৭। ডায়াক ও ট্রায়াক এর ব্যবহার লিখ।

উত্তরঃ ট্রায়াকের ব্যবহার:

১) উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাম্পের সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

২) ইলেক্ট্রনিক সার্কিটের মাধ্যমে ট্রান্সফরমারের ট্যাপ চেঞ্জিং – এ ব্যবহৃত হয়।

৩) রেডিও এর ইন্টাফারেন্স কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

৪) মোটরের গতিবেগ নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয়।

৫) লাইট কন্ট্রোল সার্কিটে ব্যবহৃত হয়।

ডায়াকের ব্যবহার:

১) ডায়াককে ট্রিগারিং করতে ব্যবহৃত হয়।

২) আলো নিশপ্রভ সার্কিটে ব্যবহৃত হয়।

৩) তাপ নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয়।

৪) ইউনিভার্সাল মটরের গতি নিয়ন্ত্রণ করণে ব্যবহৃত হয়।

২৮। ভ্যারাক্টর ডায়োড কি? ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটি লিখ।

উত্তরঃ ভ্যারাক্টর ডায়োড: পরিমিত ভেজাল মিশ্রিত পি-টাইপ ও এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর দ্বারা তৈরী রিভার্স বায়াসে পরিচালিত, যার জাংশন ক্যাপাসিট্যান্স বায়াস পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হয় তাকে ভ্যারাক্টর ডায়োড বলে।

ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটিঃ আউটপুট কারেন্ট এর সাথে ইনসিডেন্ট লাইট এর অনুপাতকে ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটি বলা হয়। আউটপুট কারেন্ট ইনসিডেন্ট লাইটের সাথে সুষমভাবে পরিবর্তিত হয়।

৩০। সোলার সেল এর অপর নাম কি?

উত্তরঃ ফটো ভোল্টেইক সেল এবং এনার্জি কনভার্টার।

৩১। রেকটিফিকেশন কেন করা হয়?

উত্তরঃ এসিকে বা দ্বিমুখী কারেন্টকে একমুখী কারেন্টে রূপান্তর বা রেকটিফাই করার জন্য রেকটিফিকেশন করা হয়।

৩২। ট্রিগারিং কে কত ভাবে ভাগ করা যায়?

উত্তরঃ ট্রিগারিং কে পাঁচ ভাবে ভাগ করা যায়। যথা:

১) গেইট ট্রিগারিং পদ্ধতি।

২) থার্মাল ট্রিগারিং পদ্ধতি।

৩) রেডিয়েশন ট্রিগারিং পদ্ধতি।

৪) ভোল্টেজ ট্রিগারিং পদ্ধতি।

৫) ট্রিগারিং পদ্ধতি।

20/06/2021

একটি সফলতা এবং অনুপ্রেরণার ইতিবাক্য :-

আতিউর রহমান স্যারের জীবনের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো আশা করি আপনিও অনুপ্রাণিত হবেন।

একটা গাভী আর কয়েকটা খাসি আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওগুলো মাঠে চরাতাম। বিকেল বেলা গাভীর দুধ নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতাম। দুধ বিক্রির আয় থেকে সঞ্চিত আট টাকা দিয়ে আমি পান-বিড়ির দোকান দেই।

আমার জন্ম জামালপুর জেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে। ১৪ কিলোমিটার দূরের শহরে যেতে হতো পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চড়ে। পুরো গ্রামের মধ্যে একমাত্র মেট্রিক পাস ছিলেন আমার চাচা মফিজউদ্দিন। আমার বাবা একজন অতি দরিদ্র ভূমিহীন কৃষক। আমরা পাঁচ ভাই, তিন বোন। কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো আমাদের।

আমার দাদার আর্থিক অবস্থা ছিলো মোটামুটি। কিন্তু তিনি আমার বাবাকে তাঁর বাড়িতে ঠাঁই দেননি। দাদার বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে একটা ছনের ঘরে আমরা এতগুলো ভাই-বোন আর বাবা-মা থাকতাম। মা তাঁর বাবার বাড়ি থেকে নানার সম্পত্তির সামান্য অংশ পেয়েছিলেন। তাতে তিন বিঘা জমি কেনা হয়। চাষাবাদের জন্য অনুপযুক্ত ওই জমিতে বহু কষ্টে বাবা যা ফলাতেন, তাতে বছরে ৫/৬ মাসের খাবার জুটতো। দারিদ্র্য কী জিনিস, তা আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি- খাবার নেই, পরনের কাপড় নেই; কী এক অবস্থা !

আমার মা সামান্য লেখাপড়া জানতেন। তাঁর কাছেই আমার পড়াশোনার হাতেখড়ি। তারপর বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। কিন্তু আমার পরিবারে এতটাই অভাব যে, আমি যখন তৃতীয় শ্রেণীতে উঠলাম, তখন আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলো না। বড় ভাই আরো আগে স্কুল ছেড়ে কাজে ঢুকেছেন। আমাকেও লেখাপড়া ছেড়ে রোজগারের পথে নামতে হলো।

আমাদের একটা গাভী আর কয়েকটা খাসি ছিল। আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওগুলো মাঠে চরাতাম। বিকেল বেলা গাভীর দুধ নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতাম। এভাবে দুই ভাই মিলে যা আয় করতাম, তাতে কোনরকমে দিন কাটছিল। কিছুদিন চলার পর দুধ বিক্রির আয় থেকে সঞ্চিত আট টাকা দিয়ে আমি পান-বিড়ির দোকান দেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে বসতাম। পড়াশোনা তো বন্ধই, আদৌ করবো- সেই স্বপ্নও ছিল না !

এক বিকেলে বড় ভাই বললেন, আজ স্কুল মাঠে নাটক হবে। স্পষ্ট মনে আছে, তখন আমার গায়ে দেওয়ার মতো কোন জামা নেই। খালি গা আর লুঙ্গি পরে আমি ভাইয়ের সঙ্গে নাটক দেখতে চলেছি। স্কুলে পৌঁছে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক ! চারদিকে এত আনন্দময় চমৎকার পরিবেশ ! আমার মনে হলো, আমিও তো আর সবার মতোই হতে পারতাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাকে আবার স্কুলে ফিরে আসতে হবে।

নাটক দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড় ভাইকে বললাম, আমি কি আবার স্কুলে ফিরে আসতে পারি না ? আমার বলার ভঙ্গি বা করুণ চাহনি দেখেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণেই হোক কথাটা ভাইয়ের মনে ধরলো। তিনি বললেন, ঠিক আছে কাল হেডস্যারের সঙ্গে আলাপ করবো।

পরদিন দুই ভাই আবার স্কুলে গেলাম। বড় ভাই আমাকে হেডস্যারের রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভিতরে গেলেন। আমি বাইরে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট শুনছি, ভাই বলছেন আমাকে যেন বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগটুকু দেওয়া হয়। কিন্তু হেডস্যার অবজ্ঞার ভঙ্গিতে বললেন, সবাইকে দিয়ে কি লেখাপড়া হয় ! স্যারের কথা শুনে আমার মাথা নিচু হয়ে গেল। যতখানি আশা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম, স্যারের এক কথাতেই সব ধুলিস্মাৎ হয়ে গেল। তবু বড় ভাই অনেক পীড়াপীড়ি করে আমার পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি যোগাড় করলেন। পরীক্ষার তখন আর মাত্র তিন মাস বাকি। বাড়ি ফিরে মাকে বললাম, আমাকে তিন মাসের ছুটি দিতে হবে। আমি আর এখানে থাকবো না। কারণ ঘরে খাবার নেই, পরনে কাপড় নেই- আমার কোন বইও নেই, কিন্তু আমাকে পরীক্ষায় পাস করতে হবে।

মা বললেন, কোথায় যাবি ? বললাম, আমার এককালের সহপাঠী এবং এখন ক্লাসের ফার্স্টবয় মোজাম্মেলের বাড়িতে যাবো। ওর মায়ের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। যে ক’দিন কথা বলেছি, তাতে করে খুব ভালো মানুষ বলে মনে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমাকে উনি ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।

দুরু দুরু মনে মোজাম্মেলের বাড়ি গেলাম। সবকিছু খুলে বলতেই খালাম্মা সানন্দে রাজি হলেন। আমার খাবার আর আশ্রয় জুটলো; শুরু হলো নতুন জীবন। নতুন করে পড়াশোনা শুরু করলাম। প্রতিক্ষণেই হেডস্যারের সেই অবজ্ঞাসূচক কথা মনে পড়ে যায়, জেদ কাজ করে মনে; আরো ভালো করে পড়াশোনা করি।

যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হলো। আমি এক-একটি পরীক্ষা শেষ করছি আর ক্রমেই যেন উজ্জীবিত হচ্ছি। আমার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাচ্ছে। ফল প্রকাশের দিন আমি স্কুলে গিয়ে প্রথম সারিতে বসলাম। হেডস্যার ফলাফল নিয়ে এলেন। আমি লক্ষ্য করলাম, পড়তে গিয়ে তিনি কেমন যেন দ্বিধান্বিত। আড়চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছেন। তারপর ফল ঘোষণা করলেন। আমি প্রথম হয়েছি ! খবর শুনে বড় ভাই আনন্দে কেঁদে ফেললেন। শুধু আমি নির্বিকার- যেন এটাই হওয়ার কথা ছিল।

বাড়ি ফেরার পথে সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। আমি আর আমার ভাই গর্বিত ভঙ্গিতে হেঁটে আসছি। আর পিছনে এক দল ছেলেমেয়ে আমাকে নিয়ে হৈ চৈ করছে, স্লোগান দিচ্ছে। সারা গাঁয়ে সাড়া পড়ে গেল ! আমার নিরক্ষর বাবা, যাঁর কাছে ফার্স্ট আর লাস্ট একই কথা- তিনিও আনন্দে আত্মহারা; শুধু এইটুকু বুঝলেন যে, ছেলে বিশেষ কিছু একটা করেছে। যখন শুনলেন আমি ওপরের কাসে উঠেছি, নতুন বই লাগবে, পরদিনই ঘরের খাসিটা হাটে নিয়ে গিয়ে ১২ টাকায় বিক্রি করে দিলেন। তারপর আমাকে সঙ্গে নিয়ে জামালপুর গেলেন। সেখানকার নবনূর লাইব্রেরি থেকে নতুন বই কিনলাম।

আমার জীবনযাত্রা এখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আমি রোজ স্কুলে যাই। অবসরে সংসারের কাজ করি। ইতোমধ্যে স্যারদের সুনজরে পড়ে গেছি। ফয়েজ মৌলভী স্যার আমাকে তাঁর সন্তানের মতো দেখাশুনা করতে লাগলেন। সবার আদর, যত্ন, স্নেহে আমি ফার্স্ট হয়েই পঞ্চম শ্রেণীতে উঠলাম। এতদিনে গ্রামের একমাত্র মেট্রিক পাস মফিজউদ্দিন চাচা আমার খোঁজ নিলেন। তাঁর বাড়িতে আমার আশ্রয় জুটলো।

প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে আমি দিঘপাইত জুনিয়র হাইস্কুলে ভর্তি হই। চাচা ওই স্কুলের শিক্ষক। অন্য শিক্ষকরাও আমার সংগ্রামের কথা জানতেন। তাই সবার বাড়তি আদর-ভালোবাসা পেতাম।

আমি যখন সপ্তম শ্রেণী পেরিয়ে অষ্টম শ্রেণীতে উঠবো, তখন চাচা একদিন কোত্থেকে যেন একটা বিজ্ঞাপন কেটে নিয়ে এসে আমাকে দেখালেন। ওইটা ছিল ক্যাডেট কলেজে ভর্তির বিজ্ঞাপন। যথাসময়ে ফরম পুরণ করে পাঠালাম। এখানে বলা দরকার, আমার নাম ছিল আতাউর রহমান। কিন্তু ক্যাডেট কলেজের ভর্তি ফরমে স্কুলের হেডস্যার আমার নাম আতিউর রহমান লিখে চাচাকে বলেছিলেন, এই ছেলে একদিন অনেক বড় কিছু হবে। দেশে অনেক আতাউর আছে। ওর নামটা একটু আলাদা হওয়া দরকার; তাই আতিউর করে দিলাম।

আমি রাত জেগে পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নিলাম। নির্ধারিত দিনে চাচার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে রওনা হলাম। ওই আমার জীবনে প্রথম ময়মনসিংহ যাওয়া। গিয়ে সবকিছু দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ ! এত এত ছেলের মধ্যে আমিই কেবল পায়জামা আর স্পঞ্জ পরে এসেছি ! আমার মনে হলো, না আসাটাই ভালো ছিল। অহেতুক কষ্ট করলাম। যাই হোক পরীক্ষা দিলাম; ভাবলাম হবে না। কিন্তু দুই মাস পর চিঠি পেলাম, আমি নির্বাচিত হয়েছি। এখন চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যেতে হবে।

সবাই খুব খুশি; কেবল আমিই হতাশ। আমার একটা প্যান্ট নেই, যেটা পরে যাবো। শেষে স্কুলের কেরানি কানাই লাল বিশ্বাসের ফুলপ্যান্টটা ধার করলাম। আর একটা শার্ট যোগাড় হলো। আমি আর চাচা অচেনা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলাম। চাচা শিখিয়ে দিলেন, মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমি যেন দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলি: ম্যা আই কাম ইন স্যার ? ঠিকমতোই বললাম। তবে এত উচ্চস্বরে বললাম যে, উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠলো।

পরীক্ষকদের একজন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ এম. ডাব্লিউ. পিট আমাকে আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে সবকিছু আঁচ করে ফেললেন। পরম স্নেহে তিনি আমাকে বসালেন। মুহূর্তের মধ্যে তিনি আমার খুব আপন হয়ে গেলেন। আমার মনে হলো, তিনি থাকলে আমার কোন ভয় নেই। পিট স্যার আমার লিখিত পরীক্ষার খাতায় চোখ বুলিয়ে নিলেন। তারপর অন্য পরীক্ষকদের সঙ্গে ইংরেজিতে কী-সব আলাপ করলেন। আমি সবটা না বুঝলেও আঁচ করতে পারলাম যে, আমাকে তাঁদের পছন্দ হয়েছে। তবে তাঁরা কিছুই বললেন না। পরদিন ঢাকা শহর ঘুরে দেখে বাড়ি ফিরে এলাম। যথারীতি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করলাম। কারণ আমি ধরেই নিয়েছি, আমার চান্স হবে না।

হঠাৎ তিন মাস পর চিঠি এলো। আমি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছি। মাসে ১৫০ টাকা বেতন লাগবে। এর মধ্যে ১০০ টাকা বৃত্তি দেওয়া হবে, বাকি ৫০ টাকা আমার পরিবারকে যোগান দিতে হবে। চিঠি পড়ে মন ভেঙে গেল। যেখানে আমার পরিবারের তিনবেলা খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই, আমি চাচার বাড়িতে মানুষ হচ্ছি, সেখানে প্রতিমাসে ৫০ টাকা বেতন যোগানোর কথা চিন্তাও করা যায় না !

এই যখন অবস্থা, তখন প্রথমবারের মতো আমার দাদা সরব হলেন। এত বছর পর নাতির (আমার) খোঁজ নিলেন। আমাকে অন্য চাচাদের কাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, তোমরা থাকতে নাতি আমার এত ভালো সুযোগ পেয়েও পড়তে পারবে না ? কিন্তু তাঁদের অবস্থাও খুব বেশি ভালো ছিল না। তাঁরা বললেন, একবার না হয় ৫০ টাকা যোগাড় করে দেবো, কিন্তু প্রতি মাসে তো সম্ভব নয়। দাদাও বিষয়টা বুঝলেন।

আমি আর কোন আশার আলো দেখতে না পেয়ে সেই ফয়েজ মৌলভী স্যারের কাছে গেলাম। তিনি বললেন, আমি থাকতে কোন চিন্তা করবে না। পরদিন আরো দুইজন সহকর্মী আর আমাকে নিয়ে তিনি হাটে গেলেন। সেখানে গামছা পেতে দোকানে দোকানে ঘুরলেন। সবাইকে বিস্তারিত বলে সাহায্য চাইলেন। সবাই সাধ্য মতো আট আনা, চার আনা, এক টাকা, দুই টাকা দিলেন। সব মিলিয়ে ১৫০ টাকা হলো। আর চাচারা দিলেন ৫০ টাকা। এই সামান্য টাকা সম্বল করে আমি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হলাম। যাতায়াত খরচ বাদ দিয়ে আমি ১৫০ টাকায় তিন মাসের বেতন পরিশোধ করলাম। শুরু হলো অন্য এক জীবন।

প্রথম দিনেই এম. ডাব্লিউ. পিট স্যার আমাকে দেখতে এলেন। আমি সবকিছু খুলে বললাম। আরো জানালাম যে, যেহেতু আমার আর বেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই তিন মাস পর ক্যাডেট কলেজ ছেড়ে চলে যেতে হবে। সব শুনে স্যার আমার বিষয়টা বোর্ড মিটিঙে তুললেন এবং পুরো ১৫০ টাকাই বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিলেন। সেই থেকে আমাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এস.এস.সি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে পঞ্চম স্থান অধিকার করলাম এবং আরো অনেক সাফল্যের মুকুট যোগ হলো।

আমার জীবনটা সাধারণ মানুষের অনুদানে ভরপুর। পরবর্তীকালে আমি আমার এলাকায় স্কুল করেছি, কলেজ করেছি। যখন যাকে যতটা পারি, সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতাও করি। কিন্তু সেই যে হাট থেকে তোলা ১৫০ টাকা; সেই ঋণ আজও শোধ হয়নি। আমার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করলেও সেই ঋণ শোধ হবে না!
(সংগৃহীত)

13/06/2021

অটোপাসের ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ১ বছর পরীক্ষা না দিলে শিক্ষার্থীদের জীবনে বড় কোনো ক্ষতি হবে না। দেখুন বিস্তারিত ভিডিও...

12/06/2021

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরো ১৬ দিন (৩০ জুন) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

Want your school to be the top-listed School/college in Uttarati?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Category

Telephone

Website

Address


Uttarati
1230

Other Education in Uttarati (show all)
Tuition Globe BD Tuition Globe BD
House: 9/10; Road: 1/b, Sector :10, Uttara, Dhaka
Uttarati, 1230

We dont just teach we inspire

Abdur Rahman AL-Umair Abdur Rahman AL-Umair
Uttarati

I'm only Good student honesty my attitude

The Wisdom Campus The Wisdom Campus
House #48, Road #12, Sector # 13, Uttara, Dhaka
Uttarati, 1230

Our name "The Wisdom Campus" expresses it all that with a view to providing an environment for them who are knowledge seekers and want learn things related to work, career and tast...

Geometers Academy-coaching centre. Geometers Academy-coaching centre.
House:19, Road:1/A, Sector: 5
Uttarati, 1230

নবম-দশম একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার?

Champion English Academy Champion English Academy
Road-9, Sector-11, Uttara, Dhaka
Uttarati, 1230

Champion Online Academy is an online learning platform. It's run by Principal M Baki Billah.

Tutor Lagbe ? Tutor Lagbe ?
Uttarati, 1230

Looking for your first tuition job, then you are at the right place. Tutor Lagbe? provides the best opportunities in the town. Your opportunity is right there.

Rajuk Uttara Model College Rajuk Uttara Model College
Eshakha Avenue
Uttarati

মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষা | Education For Humanization

Chemistry Genius Chemistry Genius
Https://goo. Gl/maps/u8BdsYf3DbVQqEca 6
Uttarati, 1230

Perceive & Acquire Chemistry

RUMC Admission Coaching RUMC Admission Coaching
Uttarati, 1230

Sawtul Quran madrasha - SQM সাওতুল কোরআন মাদরাসা। Sawtul Quran madrasha - SQM সাওতুল কোরআন মাদরাসা।
Tekpara, Fulbaria, Uttara, Dhaka 1230
Uttarati, TEKPARA,UTTARA,DHAKA1230

আসসালামু আলাইকুম। 🥰 ইহা একটি আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক ইসলামি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবং এতিমখানা

YMEDU YMEDU
House 30, Road 14, Sector 14 , Uttara
Uttarati, 1230

Meet Top universities Online! Visit us: https://www.yiniminiedu.com/ Yinimini International is a jo