Uttara Gallery

Uttara Gallery is a Baby Product Store. You can buy baby's product from here.

19/07/2022

সারাবিশ্বে সাধারণ শিক্ষা ও সৃষ্টিশীল শিক্ষার ধারণা বদলে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে প্রকাশিত অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষা বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য পর্যায়ের চাকরির খাত আগামী ২০ বছরে ৪৭ শতাংশ সংকুচিত হয়ে পড়বে। ইন্টারনেটভিত্তিক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনসে গ্লোবাল ইন্সটিটিউট জানাচ্ছে, আজকের তথ্যপ্রযুক্তির কর্মীরা যে কাজ করছে তার ৪৫ শতাংশ কাজ কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করে ফেলা সম্ভব অর্থাত্ কোনো জনশক্তির প্রয়োজন পড়বে না। সেটা যদি সম্ভব হয় তাহলে এই খাতের কর্মীরা চাকরি হারাবে।

এই যদি হয় অবস্থা তাহলে ভবিষ্যতের তরুণরা কী করবে? কী বিষয়ে পড়বে? কী ধরনের চাকরি বা ব্যবসা তারা করবে? সমীক্ষা বলছে, ভবিষ্যতে চাকরির বাজার বা অর্থপূর্ণ উত্পাদনশীল কাজে মানুষের সৃজনশীলতা, কৌতুহল, কল্পনাশক্তি এবং আবেগীয় বুদ্ধিমত্তাকে প্রাধান্য দেয়া হবে। উদ্ভাবনমূলক অর্থনীতিতে নতুন উদ্ভাবন ও সম্ভাবনার ক্ষেত্রে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হবে মানবীয় আবেগ এবং কল্পনাশক্তি। ওই সমীক্ষায় এও বলা হচ্ছে, সেজন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে বদলে ফেলতে হবে। দুই দশক পরে যে সমস্যা বিশ্বজুড়ে দেখা দেবে তা মোকাবেলায় স্কুল মডেল বদলানোর বিকল্প নেই। মুখস্ত বিদ্যা, পরীক্ষা নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার বদলে উদ্ভাবনমূলক সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে মার্কিন লেখক ও সিলিকন ভ্যালিতে ব্যবসা সম্প্রসারণে পরামর্শক জন হেগেল বলছেন, তোমার পছন্দের ক্ষেত্র খুঁজে বের করো। খুঁজে বের করো যা তুমি সত্যিই পছন্দ করো। তুমি তোমার সেই আগ্রহের পেছনে ছোট যতক্ষণ তুমি তোমার লক্ষ্যে না পৌঁছাচ্ছ। একবার যদি তুমি তোমার স্বপ্নের দেখা পাও, তাহলে সেই স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকার পথ সৃষ্টি করো। কারণ তোমার জীবনে এটাই সেই পথ যা নতুন পৃথিবীর জন্ম দিতে চলেছে।

এই অবস্থায় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কোন পথে রয়েছে?

দেখা যাচ্ছে, শিশুদের মেধা বিকাশে শিক্ষা কার্যক্রম কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না। মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর পাঠ্যসূচি শিশুদের স্বাভাবিক শিক্ষাগ্রহণে বরং বাধার সৃষ্টি করছে। গ্রাম পর্যায়ে সরকারি স্কুলগুলোতে তো কথাই নেই, দেশের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রথাগত শিক্ষা পদ্ধতির বাইরে মেধা বিকাশের কোনো সুযোগ নেই। এ বাস্তবতায় আমাদের শিক্ষা পদ্ধতিকে কী ঢেলে সাজানো প্রয়োজন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের শিক্ষানীতি একটি বিশ্বমানের শিক্ষানীতি। এর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে আমাদের শিক্ষার মানের যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, শিশুদের মেধা বিকাশে মুখস্ত বিদ্যার বাইরের কিছু প্রয়োজন। আমাদের সাধারণ শিক্ষা পদ্ধতি তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, একটি শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির যতটা চিন্তা অভিভাবকরা করেন কিন্তু তার মেধার বিকাশ ঘটছে কিনা, সে নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে তাদের ততটা দেখা যায় না। শুধু অভিভাবক কেন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাতেও একটি শিশুর মেধা বিকাশের দিকে খুব একটা নজর নেই। একজন শিক্ষার্থীর মেধাবী হওয়ারও তেমন প্রয়োজন নেই। কেননা, আমাদের দেশে মুখস্ত বিদ্যার অনেক দাম। কিন্তু টেকনিক্যাল বিদ্যার কোনো দাম নেই। কারণ পাঠ্যসূচিকে এমনভাবে গঠন করা হয়েছে গত্বাধা মুখস্ত না করলে কোনোভাবেই ভালো ফলাফল করা সম্ভব নয়। এমনকি লেখাপড়াকে আনন্দদায়ক করে উপস্থাপনেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। কঠিন এবং নতুন বিষয়ের প্রতি শিশুদের ভীতি সহজাত। সেই বিষয়টিকে আনন্দ দিয়ে শেখানোর পদ্ধতিও নেই। বরং এক নিদারুণ অপমান ও বিভীষিকাময় চাপ তৈরি করা হয় কেউ যদি পড়া না বুঝতে পারে।

নিলুফার ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষার্থী। চতুর্থ শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ওঠার সময় সে দুটি বিষয়ে ফেল করলো। স্কুল থেকে নোটিস দেয়া হলো-পরের বছর এমন ফলাফল হলে বহিষ্কার করা হবে। মা-বাবা স্বাভাকিভাবেই উদ্বিগ্ন। কেন এমন হলো? তারা মেয়ের সঙ্গে কথা বললেন, স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গেও কথা বললেন। জানলেন, মেয়ে একটু অমনযোগী। কেন এমন হচ্ছে এ বিষয়ে শিক্ষকরা কিছু বলতে পারছেন না। এরপর তাকে ভর্তি করিয়ে দিলেন ছায়ানটের শিকড় কার্যক্রমে। দেখা গেল, অরিগ্যামি, মাটি দিয়ে নানা জিনিস বানানো, ছবি আঁকা এসবের প্রতি মেয়ের খুব আগ্রহ। সহশিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলে সে খুব আনন্দের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে, স্কুলের পড়াশোনাতেও এর প্রভাব দেখা গেল। পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে উঠেছে নিলুফার। এ সুযোগ ছিল না তার ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। শুধু ইংরেজি মাধ্যম স্কুলেই নয়, দেশের স্বনামধন্য স্কুলগুলোর কোনটিতেই এসব বিষয়ে ক্লাস করানোর সময় নেই। তারা আছেন বিষয়গুলোতে কীভাবে বেশি নম্বর তোলা যাবে — সেই সূত্র আবিষ্কারের চেষ্টায়। শিশুদের মেধা বিকাশ, পড়ার প্রতি আগ্রহ এসব নিয়ে ভাববার কি সময় আছে কারোর!

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, শুধু স্কুল-কলেজের কারিকুলাম পড়লেই শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ হয় না। উন্নত দেশগুলোতে প্রত্যেকটা বিষয়ের আলাদা লাইব্রেরি থাকে। একটি বিষয় পড়ানোর সময় সেই বইয়ের পাশাপাশি সম্পূরক আরও অনেকগুলো বই পড়বার সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। আমাদের দেশে সে সুযোগ নেই। যেসব স্কুলে লাইব্রেরি রয়েছে তারা ছাত্রদের ব্যবহার করতে দেয় না। অনেক স্কুলে তো লাইব্রেরিই নেই। ফলে বিকল্প শিক্ষার কার্যক্রম যারা চালান তারা শিক্ষা ব্যবস্থার সহায়ক শক্তি। খুব ভালো হতো যদি সরকারি ব্যবস্থাপনায় এই বিষয়গুলো থাকতো। কিন্তু তা যখন সম্ভব হচ্ছে না তখন এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা দেয়া জরুরি। আর এই কার্যক্রমগুলো শহরের চাইতে গ্রামে পৌঁছানো বেশি জরুরি। শহরে একজনের আগ্রহ থাকলে সে প্রয়োজনীয় উপকরণ জোগাড় করতে পারবেন। কিন্তু গ্রামে সেটা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র শিশু-কিশোরদের মেধা বিকাশ কার্যক্রমকে দেশব্যাপী একটি কাঠামোর ওপরে দাঁড় করাতে পেরেছে। এছাড়া ‘ফুলকি’ নামের একটি সংগঠনও মেধা মননের বিকাশে স্কুলভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সম্প্রতি ছায়ানটের ‘শিকড়’ কার্যক্রমও শিশুদের দেশের সংস্কৃতি ও প্রকৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটানোর এক ভিন্নধর্মী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব কার্যক্রম আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমের সম্পূরক কার্যক্রম হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। তবে, ছায়ানটের বিকল্প ধারার শিক্ষা কার্যক্রম হচ্ছে ‘নালন্দা বিদ্যালয়’। প্রচলিত শিক্ষা কাঠামোকে অবলম্বন করেই শিশুর মেধা বিকাশের কার্যক্রমকে সমন্বয় করে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এ প্রসঙ্গে ছায়ানটের সহ-সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী বলেন, শিকড় পরিচালনা করা হচ্ছে মূলত শিশুদের সঙ্গে সংস্কৃতি ও প্রকৃতির পরিচয় ঘটানোর লক্ষ্যে। আমরা লক্ষ্য করেছি, এ কার্যক্রমে মূলত ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে। এ থেকে মনে হতে পারে, সেই শিক্ষা কার্যক্রমে দেশভাবনা, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির পরিচয় ঘটছে না বলেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আগ্রহী হচ্ছে। তবে নালন্দা পুরোপুরি বিকল্প শিক্ষা পদ্ধতি। প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্রদের বাধ্যতামূলকভাবেই সংস্কৃতির পাঠ নিতে হচ্ছে। তারা শুরু থেকেই রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-শাহ আবদুল করিমের দর্শনের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। দেশভাবনা, প্রকৃতি পরিচয় বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে আমরা শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট টিউশন নিতে নিরুত্সাহিত করি। যারা করে তাদের স্কুলে রাখা হয় না। এই ধারায় আমরা খুব দ্রুত পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। আমাদের ছেলেমেয়েরা অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চাইতে ভিন্নভাবে গড়ে উঠছে।

অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বললেন, মানসম্পন্ন শিক্ষার দিকে এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। এজন্য মানসম্পন্ন শিক্ষক দরকার। শিক্ষকদের আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতির প্রশিক্ষণ দরকার। পাশাপাশি প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। কেননা, গ্রামের স্কুলগুলোর মান বাড়াতে হলে তদারকি, নজরদারি বাড়াতেই হবে। শিক্ষানীতিতে সবকিছু বলা হয়েছে। তবে এই শিক্ষানীতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে। এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সম্ভব হলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বদলে যাবে। তিনি বলেন, পঞ্চম শ্রেণিতে যে দেশব্যাপী পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে, এটা শিশুদের মাঝে বৈষম্য ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে। এটা বন্ধ করা দরকার। ফলাফলমুখী শিক্ষাকে উত্সাহিত করছে এ পরীক্ষা। ফলে যাদের সামর্থ্য আছে তারা পাইভেট টিউটর রাখছে। কিছুটা হয়তো ফল ভালো করছে, এটা একই গ্রামের দরিদ্র ছেলেটির প্রতি মানসিক চাপ তৈরি করছে।

14/07/2022

শিশুর মানসিক বিকাশের ৫ টি উপায়

সুস্থ পারিপার্শ্বিক পরিবেশ
একটি শিশু যখন বড় হয়, তখন চারদিকের পরিবেশ তাকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে এবং এর প্রতিফলন ঘটে তার ব্যক্তিত্বে। শিশুর সামগ্রিক বিকাশের সঙ্গে পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা নিবিড়ভাবে জড়িত। আজকের শিশু ভবিষ্যতের নাগরিক। তাই তার সুন্দর ও নির্ভয় শৈশব নিশ্চিত করার দায়িত্ব মা–বাবাসহ পরিবারের সব সদস্যের।

সৃজনশীল খেলনা
শিশুর খেলনা হতে হবে আবিষ্কারধর্মী, নাটকীয় ও সৃজনশীল। বয়সভেদে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ উপযোগী খেলনা নির্বাচন করতে হবে গুরুত্বের সঙ্গে। ঘরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই খেলা যায়—এমন খেলনা শিশুর মানসিক বিকাশে বেশি সহায়ক। শিশুকে এমন ধরনের খেলনা দিতে হবে, যা তার বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে।

ছবি আঁকা
দীর্ঘদিনের গবেষণায় দেখা গেছে, শৈশবে শিশুরা যদি ছবি আঁকার সুযোগ পায়, তাহলে তারা মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, শিল্পচর্চার মাধ্যমে শিশুদের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অভিনব চিন্তার মাধ্যমে শিশু যখন বিভিন্নভাবে শিল্পচর্চার সুযোগ পায়, তখন তার সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি পায়। সে অসাধারণভাবে ভাবতে ও চিন্তা করতে শেখে, যা তাকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে শেখায় এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে সে তখন সহজেই সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।

সংগীতচর্চা
সুখে-দুঃখে সংগীত যেমন আমাদের মনোরঞ্জন করে, তেমনি শৈশব থেকেই শারীরিক ও মানসিক অনেক কাজের ওপরেও রয়েছে সংগীতের নিবিড় প্রভাব। তাই শিশুকে একেবারে ছোটবেলা থেকেই সংগীতের সঙ্গে পরিচয় করানো জরুরি। সংগীত মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ভালো সংগীত শুনলে মস্তিষ্ক থেকে ডোপামিন নামের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়, যা কোনো কিছু শেখার ক্ষেত্রে শিশুকে আগ্রহী করে তোলে।

বই পড়া
বই শিশু মনের সুপ্ত ভাবনার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে। একসময় মা-খালা-দাদির মুখ থেকে ঠাকুমার ঝুলির গল্প শুনে সময় কাটত শিশুদের। এখন এর ব্যতিক্রম ঘটছে। আগেকার সেসব গল্প এখন শিশুরা শুনতে পারে না। শিশু বয়স থেকেই তাই শিক্ষামূলক বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। গল্পের বই পড়ার মাধ্যমে শিশুর মানসিক বিকাশ প্রসারিত হয় এবং মনের ভাব প্রকাশের ক্ষমতা বাড়ে। এর ফলে শিশুরা জটিল শব্দ ও বাক্য সহজে বুঝতে পারে। এতে তার পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়, সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পায় শিশুর বুদ্ধিমত্তা।

04/07/2022

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান যখন কানাডায় থাকতেন, তখন তার সন্তান কেবল স্কুল শুরু করেছে। বাংলাদেশের সনাতন শিক্ষা পদ্ধতির তুলনায় সে দেশের স্কুলগুলোর শিক্ষায় কী পার্থক্য-সেটি জানালেন তিনি।

নিউজবাংলাকে মাহমুদুর বলেন, ‘আমার বাচ্চাকে স্কুল থেকে পড়াশোনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হতো। ফায়ার সার্ভিস নিয়ে একটি বিষয়ে পড়ানোর আগে তারা আগে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে তাদের ঘুরিয়ে নিয়ে আসত।

‘এ ছাড়া তারা শিশুদের বিভিন্ন শিক্ষামূলক চলচ্চিত্র/কার্টুন দেখানোরও ব্যবস্থা করত স্কুলে। মূল কথা হলো শিশুকে খেলার ছলে শেখানোর চেষ্টা করতে হবে। এতে সে আনন্দ পাবে, পড়াশোনায় উৎসাহী হবে।’

শিশুদেরকে খেলার ছলে কাজ করালে কী সুফল পাওয়া যায়, তা দেখা গেল প্রায় পাঁচ বছর বয়সী স্বরিৎ ঋতি ভোরের ক্ষেত্রে। সবজি ও মাছ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল প্রায়। তার বাবা-মা চাপ না দিয়ে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যায়। সেখানে যেসব পশু সবজি খায়, সেগুলো দেখিয়ে আনার পর, সে ঘোড়াকে কথা দিয়ে আসে সবজি খাবে। সত্যি সত্যি বাসায় এসে কিছু সবজি খাওয়া শুরু করে।

আবার বইমেলায় সিসিমপুর দেখে এসে হালুমকে (বাঘের চরিত্র, যে কি না প্রচুর মাছ খায়) কথা দিয়ে আসে, সে মাছ ভাজা খাবে। এরপর থেকে মাংস খাওয়ায় আগ্রহ কমে মাছে মন দেয় সে।

এভাবে নানা কৌশলে ভোরকে পড়াশোনা করানো হয়, যাতে সে কখনও চাপ হিসেবে নেয়। তার স্কুলেও শেখানো হয় একই কৌশলে। সেখানে সপ্তাহে চার দিন বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস হয়, এক দিন থাকে শরীর চর্চা। তাতে অনলাইনে শিশুদের নানা কনটেন্ট দেখানোর পাশাপাশি নাচের ব্যবস্থা থাকে।

কিন্তু দেশের সব শিশুকে এভাবে আনন্দের ছলে বা কৌশল করে শেখানো হয়ে উঠে না সেভাবে। বিশেষ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গতানুগতিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করানো হয়। স্কুলের কক্ষগুলোও সেখানে আকর্ষণীয় নয়। এভাবে পড়াশোনাকে শিশুরা চাপ বলে ধরে নিতে পারে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রমে পড়াশোনাকে আনন্দদায়ক করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রাক-প্রাথমিকে খেলার ছলে, গানের ছলে, নাচের ছলে বাচ্চারা শিখছে। আর মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রমে এ বিষয়টির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা হবে।

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এ আনন্দময় পরিবেশে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের উপযোগী শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখনও শিক্ষানীতির এ বিষয়টি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, ”শিশুদের পড়াশোনা অবশ্যই আনন্দদায়ক হতে হবে। তা না হলে হয়তো সে অনীহা সত্ত্বেও পড়াশোনা করবে। কিন্তু তাতে পড়াশোনার যে উদ্দেশ্য তা অপূরণীয়ই থেকে যাবে।”

পড়াশোনাকে আনন্দদায়ক করার গুরুত্ব আরোপ করে এই শিক্ষক আরও বলেন, ‘বইগুলো এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন শিশুরা তা দেখে পড়তে উৎসাহী হয়। একই সঙ্গে শিশুদের আগ্রহের প্রতি খেয়াল রেখে শেখার মাধ্যম নির্বাচন করতে হবে।’

বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘বিদেশে প্লে বা শিশু শ্রেণির শিশুরা পড়াশোনার চেয়ে স্কুলে বেশি এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে জড়িত থাকে। আর বলা যায় সেখানে পড়াশোনার মাধ্যম এমনভাবে তৈরি, যে কেউ পড়াশোনায় আনন্দ পাবেই।’

একই সুরে কথা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহজাবীন হক। তিনি বলেন, ‘শিশুদের উৎসাহ দিতে হবে। প্রয়োজনে চাইল্ড সাইকোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। এতে শিশুর মানসিক বিকাশ যেমন হবে, তেমনি পড়াশোনার যে উদ্দেশ্য তাও পূরণ হবে।’

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম শিশুদের জন্য পড়াশোনাকে আনন্দদায়ক করার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘না হলে শিশুরা পড়াশোনায় আগ্রহী হবে না। এ কথাটা আমরা সরকারকে বারবার বলে আসছি। সম্প্রতি সরকার বলছে নতুন শিক্ষাক্রমে এর বাস্তবায়ন হবে।’

ইতোমধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমে সব শ্রেণির পড়াশোনা যেন আনন্দদায়ক হয় সে বিষয় মাথায় রেখে পাঠ্যবই তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান। তিনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে আমরা পড়াশোনাকে আনন্দদায়ক করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। শুধু পাঠ্যবই নয়, সহশিক্ষায়ও সমান গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’

কী ধরনের পরিবর্তন করা হচ্ছে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজগুলো ঝকঝকে তকতকে করে এতে ছবির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে, কার্টুনের ব্যবহার করা হচ্ছে।

তবে শিশুদেরকে বইয়ের বাইরে নানা বিষয় যুক্ত করা যায় বলে মনে করেন এক সন্তানের আইনজীবী নাহিদা খানম। তিনি বলেন, ‘আমার বাচ্চাকে বইমেলায় সিসিমপুর দেখিয়ে আনার পর সে বলে টুকটুকি বই পড়ে, আমিও পড়ব। তাকে রাতে কয়েকদিন বই পড়িয়ে শোনানোর পর ঘুমিয়েছে।’

স্কুলগুলোতে যদি একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর এই ধরনের আয়োজনগুলো করা যেত বা পুতুল নাচ অথবা অন্য কোনো আয়োজন করা যেত, তা ছবি আঁকা অথবা গানের মতো আয়োজনগুলো হলে বাচ্চারা উৎসাহ পেত বলে ধারণা তাদের।

এসব বিষয় ভাবনায় আছে কি না-জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এগুলো করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতায় সব জায়গায় এগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।’

প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মনীষ চাকমা বলেন, ‘শিশু শ্রেণিতে খেলার ছলে, গানের ছলে, নাচের ছলে বাচ্চারা শিখছে। আমরা প্রতিনিয়ত বিষয়টি ডেভেলপ করছি।’

দেশে প্রথমে ২০১০ সালে স্বল্প পরিসরে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়। এরপর ২০১৪ সালে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়।

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাস্তর রয়েছে যা ‘শিশু শ্রেণি’ নামে পরিচিত। ইংরেজি মাধ্যম ও কিন্ডারগার্টেনে প্লে, নার্সারি ও কেজি শ্রেণি প্রাক-প্রাথমিক স্তরের মধ্যে পড়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান যখন কানাডায় থাকতেন, তখন তার সন্তান কেবল স্কুল শুরু করেছে। বাংলাদেশের সনাতন শিক্ষা পদ্ধতির তুলনায় সে দেশের স্কুলগুলোর শিক্ষায় কী পার্থক্য-সেটি জানালেন তিনি।

নিউজবাংলাকে মাহমুদুর বলেন, ‘আমার বাচ্চাকে স্কুল থেকে পড়াশোনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হতো। ফায়ার সার্ভিস নিয়ে একটি বিষয়ে পড়ানোর আগে তারা আগে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে তাদের ঘুরিয়ে নিয়ে আসত।

‘এ ছাড়া তারা শিশুদের বিভিন্ন শিক্ষামূলক চলচ্চিত্র/কার্টুন দেখানোরও ব্যবস্থা করত স্কুলে। মূল কথা হলো শিশুকে খেলার ছলে শেখানোর চেষ্টা করতে হবে। এতে সে আনন্দ পাবে, পড়াশোনায় উৎসাহী হবে।’

শিশুদেরকে খেলার ছলে কাজ করালে কী সুফল পাওয়া যায়, তা দেখা গেল প্রায় পাঁচ বছর বয়সী স্বরিৎ ঋতি ভোরের ক্ষেত্রে। সবজি ও মাছ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল প্রায়। তার বাবা-মা চাপ না দিয়ে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যায়। সেখানে যেসব পশু সবজি খায়, সেগুলো দেখিয়ে আনার পর, সে ঘোড়াকে কথা দিয়ে আসে সবজি খাবে। সত্যি সত্যি বাসায় এসে কিছু সবজি খাওয়া শুরু করে।

আবার বইমেলায় সিসিমপুর দেখে এসে হালুমকে (বাঘের চরিত্র, যে কি না প্রচুর মাছ খায়) কথা দিয়ে আসে, সে মাছ ভাজা খাবে। এরপর থেকে মাংস খাওয়ায় আগ্রহ কমে মাছে মন দেয় সে।

এভাবে নানা কৌশলে ভোরকে পড়াশোনা করানো হয়, যাতে সে কখনও চাপ হিসেবে নেয়। তার স্কুলেও শেখানো হয় একই কৌশলে। সেখানে সপ্তাহে চার দিন বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস হয়, এক দিন থাকে শরীর চর্চা। তাতে অনলাইনে শিশুদের নানা কনটেন্ট দেখানোর পাশাপাশি নাচের ব্যবস্থা থাকে।

কিন্তু দেশের সব শিশুকে এভাবে আনন্দের ছলে বা কৌশল করে শেখানো হয়ে উঠে না সেভাবে। বিশেষ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গতানুগতিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করানো হয়। স্কুলের কক্ষগুলোও সেখানে আকর্ষণীয় নয়। এভাবে পড়াশোনাকে শিশুরা চাপ বলে ধরে নিতে পারে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রমে পড়াশোনাকে আনন্দদায়ক করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রাক-প্রাথমিকে খেলার ছলে, গানের ছলে, নাচের ছলে বাচ্চারা শিখছে। আর মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রমে এ বিষয়টির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা হবে।

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এ আনন্দময় পরিবেশে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের উপযোগী শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখনও শিক্ষানীতির এ বিষয়টি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘শিশুদের পড়াশোনা অবশ্যই আনন্দদায়ক হতে হবে। তা না হলে হয়তো সে অনীহা সত্ত্বেও পড়াশোনা করবে। কিন্তু তাতে পড়াশোনার যে উদ্দেশ্য তা অপূরণীয়ই থেকে যাবে।’

পড়াশোনাকে আনন্দদায়ক করার গুরুত্ব আরোপ করে এই শিক্ষক আরও বলেন, ‘বইগুলো এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন শিশুরা তা দেখে পড়তে উৎসাহী হয়। একই সঙ্গে শিশুদের আগ্রহের প্রতি খেয়াল রেখে শেখার মাধ্যম নির্বাচন করতে হবে।’

বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘বিদেশে প্লে বা শিশু শ্রেণির শিশুরা পড়াশোনার চেয়ে স্কুলে বেশি এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে জড়িত থাকে। আর বলা যায় সেখানে পড়াশোনার মাধ্যম এমনভাবে তৈরি, যে কেউ পড়াশোনায় আনন্দ পাবেই।’

একই সুরে কথা বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহজাবীন হক। তিনি বলেন, ‘শিশুদের উৎসাহ দিতে হবে। প্রয়োজনে চাইল্ড সাইকোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। এতে শিশুর মানসিক বিকাশ যেমন হবে, তেমনি পড়াশোনার যে উদ্দেশ্য তাও পূরণ হবে।’

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম শিশুদের জন্য পড়াশোনাকে আনন্দদায়ক করার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘না হলে শিশুরা পড়াশোনায় আগ্রহী হবে না। এ কথাটা আমরা সরকারকে বারবার বলে আসছি। সম্প্রতি সরকার বলছে নতুন শিক্ষাক্রমে এর বাস্তবায়ন হবে।’

ইতোমধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমে সব শ্রেণির পড়াশোনা যেন আনন্দদায়ক হয় সে বিষয় মাথায় রেখে পাঠ্যবই তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান। তিনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে আমরা পড়াশোনাকে আনন্দদায়ক করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। শুধু পাঠ্যবই নয়, সহশিক্ষায়ও সমান গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’

কী ধরনের পরিবর্তন করা হচ্ছে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজগুলো ঝকঝকে তকতকে করে এতে ছবির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে, কার্টুনের ব্যবহার করা হচ্ছে।

তবে শিশুদেরকে বইয়ের বাইরে নানা বিষয় যুক্ত করা যায় বলে মনে করেন এক সন্তানের আইনজীবী নাহিদা খানম। তিনি বলেন, ‘আমার বাচ্চাকে বইমেলায় সিসিমপুর দেখিয়ে আনার পর সে বলে টুকটুকি বই পড়ে, আমিও পড়ব। তাকে রাতে কয়েকদিন বই পড়িয়ে শোনানোর পর ঘুমিয়েছে।’

স্কুলগুলোতে যদি একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর এই ধরনের আয়োজনগুলো করা যেত বা পুতুল নাচ অথবা অন্য কোনো আয়োজন করা যেত, তা ছবি আঁকা অথবা গানের মতো আয়োজনগুলো হলে বাচ্চারা উৎসাহ পেত বলে ধারণা তাদের।

এসব বিষয় ভাবনায় আছে কি না-জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এগুলো করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু আমাদের দেশের বাস্তবতায় সব জায়গায় এগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।’

প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মনীষ চাকমা বলেন, ‘শিশু শ্রেণিতে খেলার ছলে, গানের ছলে, নাচের ছলে বাচ্চারা শিখছে। আমরা প্রতিনিয়ত বিষয়টি ডেভেলপ করছি।’

দেশে প্রথমে ২০১০ সালে স্বল্প পরিসরে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়। এরপর ২০১৪ সালে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়।

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাস্তর রয়েছে যা ‘শিশু শ্রেণি’ নামে পরিচিত। ইংরেজি মাধ্যম ও কিন্ডারগার্টেনে প্লে, নার্সারি ও কেজি শ্রেণি প্রাক-প্রাথমিক স্তরের মধ্যে পড়ে।

26/06/2022

বাচ্চাকে জিনিয়াস হিসাবে গড়ে তুলতে চান? জেনে নিন ৮ কৌশল

আপনি যদি আপনার বুদ্ধিমান বাচ্চাকে কোনো চাপের ভেতর না ফেলে তার বুদ্ধি বিকাশে সহায়তা করতে চান, নীচে বর্ণিত কিছু পন্থা চেষ্টা করতে পারেন:

১.শিশুকে নানা ধরণের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করুন

বুদ্ধিমান শিশুদের উদ্বুদ্ধ রাখতে, আগ্রহী রাখতে তাদেরকে অভিনব সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করতে হয়। জীবনের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। সাহস বাড়ায়।

মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, দিনের পর দিন একইরকম গতানুগতিক জীবন আলস্য, স্থবিরতা ডেকে আনে।

২. তাদের প্রতিভা এবং আগ্রহকে উৎসাহিত করা
খেলাধুলো হোক বা সঙ্গীত হোক বা নাটকের ক্লাস, এসব নিয়ে আপনার শিশুর আগ্রহ থাকলে অল্প বয়স থেকে সুযোগ দিতে হবে। তাহলেই প্রতিভা বিকাশের সম্ভাবনা বাড়বে।

তবে 'কিছু হওয়ার জন্য' তাদের ওপর চাপ তৈরি করা হিতে বিপরীত হবে। সে যা নয়, তা বানানোর চেষ্টা করলে ক্ষতি ছাড়া লাভ হবেনা।

৩. বাচ্চার বুদ্ধিবৃত্তিক এবং আবেগের চাহিদাকে সাহায্য করতে হবে
সমস্ত শিক্ষার মূলে রয়েছে জানার আগ্রহ, জিজ্ঞাসা। স্কুল শুরুর আগেই শিশুরা অনেক প্রশ্ন করে। ধৈর্য না হারিয়ে সেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া জরুরী। তাদের বুদ্ধি বিকাশের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশু যত "কেন" এবং "কীভাবে" প্রশ্ন তুলবে, স্কুলে তার সাফল্যের সম্ভাবনা ততই বাড়বে।

৪. জানা বা শেখার চেষ্টার প্রশংসা করুন, তার ক্ষমতাকে নয়
শিশুর শিক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়াকে বেশী প্রশংসা করুন, ফলাফলকে ততটা করবেন ।

নতুন কোনো ভাষা শেখার জন্য তার চেষ্টা, এমনকি সাইকেল চালানোর জন্য তার চেষ্টা - এসবকে উৎসাহিত করুণ। জানার চেষ্টা, শেখার চেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেখার উৎসাহই পরবর্তী জীবনে তাকে সাফল্যের দরজায় নিয়ে যাবে।

৫. ব্যর্থতা ভীতিকর কিছু নয়
শিশুর ভুলগুলোকে তার শিক্ষার অংশ হিসাবে দেখতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণকে একটি সুযোগ হিসাবে দেখতে হবে।

ভুল করলে বাচ্চাদের ভবিষ্যতে সঙ্কট মোকাবেলার ক্ষমতা বাড়ে।

৬. কোনো লেবেল বা তকমা নয়
কোনো লেবেল বা তকমা সেটে দিলে আপনার বাচ্চা অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে।

ভবিষ্যতে কোনো ব্যর্থতার ভয়ে সারাজীবন সে কুঁকড়ে থাততে পারে।

৭. শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ
প্রতিভাবান শিশুরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ চায়।তাদের নিজের গতিতে শিখতে চায়। চলতি শিক্ষা ব্যবস্থার মাঝে তাদের সেই বিশেষ চাহিদা পূরণে বাবা-মাকে শিক্ষকদের সাথে নিয়মিত পরামর্শ করতে হবে।

৮. শিশুর সক্ষমতা যাচাই
বাড়তি চাপ দেওয়ার জন্য স্কুলের সাথে দেন-দরবার করার আগে আপনার শিশুর শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা নিতে হবে। আপনার শিশুর অনেক অজানা সমস্যা থাকতে পারে। যেমন ডিজলেক্সিয়া, তার মনোযোগের ঘাটতি থাকতে পারে, তার হাইপার-অ্যাকটিভিটি বা অতিমাত্রায় চঞ্চলতার সমস্যা থাকতে পারে।

কিন্তু কীভাবে আপনির বুঝবেন আপনার বাচ্চা প্রতিভাধর? কিছু ইঙ্গিত:
- মনে রাখার অস্বাভাবিক ক্ষমতা
-খুব অল্প বয়সে পড়তে শেখা
-অস্বাভাবিক কিছু আগ্রহ, শখ অথবা বিশেষ কিছু বিষয়ে গভীর জ্ঞান
-বিশ্বের চলমান ঘটনাবলী সম্পর্কে ধারণা
-সবসময় প্রশ্ন করা
-উচ্চমানের রসিকতা বোধ
-সঙ্গীত নিয়ে আগ্রহ
- নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগ্রহ
- খেলার সময় নতুন এবং অতিরিক্ত নিয়মকানুন তৈরির ক্ষমতা

23/06/2022

বাচ্চাদের শিক্ষা এবং বৃদ্ধির জন্য বাস্তু টিপস

কিছু লোক বিশ্বাস করে যে তাদের বাচ্চারা খুব বেশি প্রচেষ্টা না করে পরীক্ষায় ভাল করতে পরিচালিত করে। অন্যদিকে, অন্যরা মনে হতে পারে যে তাদের শিশুরা সব সময় অধ্যয়ন করে তবে তারা পরীক্ষায় ভাল পারফরম্যান্স করতে ব্যর্থ হয়। বাস্তু শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বজায় রেখেছেন যে আপনার বাড়ির শক্তির ভারসাম্য আপনার সন্তানের পড়াশোনা এবং বৃদ্ধিতে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। যদিও এটি সমস্ত বয়সের লোককে প্রভাবিত করে, বাচ্চারা এতে বেশি প্রভাবিত হয়। বাড়িতে বাড়ার সাথে সাথে এগুলি অভ্যাস ও মতামত গঠনের ফলে বাড়ির বাস্তু তাদের ভবিষ্যত গঠনের জন্য সহায়ক। যদি বাস্তু এবং শক্তি প্রবাহ সঠিক হয়, তবে, এটি তাদের পড়াশোনার প্রতি মনোনিবেশকে সমর্থন করবে।

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে পড়াশোনার জন্য আদর্শ জায়গা কোনটি?
পড়াশোনার জন্য আদর্শ জায়গাটি শিশুর বয়সের উপর নির্ভর করে , এ টু জেডভাস্টু ডট কমের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা বিকাশ শেঠি বলেছেন। "যদি শিশু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে থাকে তবে অধ্যয়নের জন্য সবচেয়ে ভাল জায়গাটি হল বাড়ির উত্তর-পূর্ব এবং পূর্ব দিকে মুখ করে পড়াশোনার সময় the "পড়াশোনা করা উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর দিকে অভিহিত," শেঠি পরামর্শ দেন। নিশ্চিত করুন যে বৈদ্যুতিন ডিভাইসগুলি একটি পৃথক স্থানে রাখা হয়েছে, কারণ এগুলি অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর এবং ধনাত্মক ও সহায়ক শক্তিকে বাধা দিতে পারে।

বাচ্চাদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য বাস্তু শাস্ত্রের রঙ
"সবুজ এবং নীল রঙগুলি সতেজতা এবং ইতিবাচকতার সাথে সম্পর্কিত Light "যতটা সম্ভব আপনার সন্তানের ঘরে গ্যাজেটগুলি এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়," কল্পনা ইনক এর প্রতিষ্ঠাতা শ্রিয়া কোল্টে বলেছেন

হোস্টেল, পিজি বা বাড়ি থেকে দূরে পড়াশোনা করা শিশুদের জন্য বাস্তু রীতি
নিশ্চিত করুন যে ঘরের দরজা দক্ষিণ দিকের দিকে না রয়েছে। অধ্যয়নের টেবিলটি উত্তর-পূর্ব কোণে হওয়া উচিত। ঘরের রঙ সবুজ হওয়া উচিত এবং অধ্যয়নকালে শিশুটির পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করা উচিত।

কোল্টে আরও যোগ করেছেন: "ইতিবাচক প্রভাবের জন্য আপনার হোস্টেলের ঘরে তৈরি করা যেতে পারে এমন সাধারণ পরিবর্তনসমূহ One দক্ষিণ-উত্তর বা পূর্ব-পশ্চিম দিকের দিকে ঘুমানো উচিত (মাথা দক্ষিণের কারণে বা পূর্বের দিকে রাখা)) প্রবেশদ্বারটি যতটা সম্ভব নিখরচায় রাখা এবং তাজা রাখা। "

পূর্বদিকে যতটা সম্ভব উইন্ডোজ রাখার চেষ্টা করুন, এটি নিশ্চিত করবে যে খুব সকালে আপনার কক্ষটি ভালভাবে আলোকিত হয়। এছাড়াও, ঘরে কোনও রশ্মি বা মরীচি আকারের কোনও জিনিস স্থাপন করা এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। যদি এটি সম্ভব না হয় তবে এটির নীচে বসে থাকা বা ঘুমানো এড়িয়ে চলুন।

বিশৃঙ্খল এবং ধূলিকণা ঘরগুলি নেতিবাচকতার প্রতিনিধিত্ব করে এবং আপনার শিশু এটি আশেপাশের জায়গা থেকে শোষণ করবে। সর্বোপরি, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে একটি পরিষ্কার এবং সংগঠিত ঘর একটি পরিষ্কার এবং সুসংহত মনকে নিয়ে যায়।

শিশুদের অধ্যয়নের ক্ষেত্রের জন্য বাস্তু টিপস
১) অধ্যয়নের আদর্শ দিক হ'ল উত্তর-পূর্ব।
২) অধ্যয়নের টেবিলের সামনে সরাসরি উইন্ডো থাকা উচিত নয়।
৩) কোনও জায়গায় অধ্যয়ন টেবিল বা অধ্যয়নের ক্ষেত্র স্থাপন করা থেকে বিরত থাকুন, যার উপরে সরাসরি মরীচি চলছে।
৪) একটি বর্গক্ষেত্র বা আয়তক্ষেত্রাকার আকৃতির অধ্যয়নের টেবিল, বাচ্চাদের জন্য আদর্শ। বৃত্তাকার অধ্যয়নের সারণীগুলি এড়িয়ে চলুন।
৫) এগুলিতে খুব বেশি গ্যাজেট রাখা থেকে বিরত থাকুন সন্তানের ঘর
৬) বাচ্চাদের ঘরে বা আসবাবের জন্য লাল রঙ ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।

বাচ্চাদের ঘরে ইতিবাচক বাস্তু বিন্যাসের সুবিধা
১) এটি তাদের মনোনিবেশ করতে সহায়তা করবে – আপনার ওয়ার্ডটি কম বিক্ষিপ্ত হবে এবং আরও ভাল ফোকাস করতে পারে।
২) আপনার শিশুটি আরও ভাল পরিবারের সদস্য, একটি ভাল বন্ধু এবং একটি উজ্জ্বল ছাত্র হবে।
৩) তারা পরীক্ষায় উচ্চতর স্কোর অর্জন করতে পারে, যা তাদের ভাল কলেজগুলিতে প্রবেশ করতে সহায়তা করবে।
৪) তারা নেতিবাচক শক্তি ফিল্টার করতে পারে।
৫) এটি সন্তানের শেখার ক্ষমতা উন্নত করে।

21/06/2022

Dancing Cactus by

Call for order: 01707-190609

21/06/2022

Dancing Cactus.
Call : 01707-190609 for order.

18/06/2022

বেবি ৮.৫ ইঞ্চি রাইটিং ট্যাব মাত্র ৪৯০ টাকায় ফ্রি হোম ডেলিভারী

এই ৮.৫ ইঞ্চি রাইটিং ট্যাব এর বৈশিষ্ট্য হলঃ
👉 সাথে একটি আকর্ষনীয় কলম রয়েছে।
👉 কলম এর এক পার্শে দিয়ে চিকন লেখা হয় আরেক পার্শে দিয়ে মোটা লেখা হয়।
👉 কিছু লেখার পর ডিলিট বাটন এ প্রেস করলে লেখা মুছে যাবে।
👉 এ ট্যাব এ লক সিস্টেম রয়েছে । যদি লক অন করা থাকে তাহলে ডিলিট বাটন প্রেস করলে লেখা মুছে যাবে না।
👉 চার্জ দেওয়ার দরকার নেই। ছোট্ট ব্যাটারী দিয়ে চলে।
👉 একটা ব্যাটারী সাধারণত ৮-১০ মাস ব্যবহার করা যায়।

🚚 ফ্রি হোম ডেলিভারি ।

দাম মাত্র ৪৯০ টাকা।

🤝 তাড়াতাড়ি অর্ডার করে ফেলুনঃ

🚚 সারাদেশে ক্যাশ অন ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা রয়েছে।

অর্ডার করতে এখনি
আপনার নাম :
ফোন নাম্বার : এবং
ঠিকানা লিখে মেসেজ করুন।
অথবা ফোন করুন -
☎️ 01707-190609

16/06/2022

মাশাহআল্লাহ। আমাদের বই দিয়ে প্র্যাক্টিস করার পর নিজে নিজে লিখতে পারতেছে।

Photos from Uttara Gallery's post 15/06/2022
Photos from Uttara Gallery's post 14/06/2022

আলহামদুলিল্লাহ ১৪-০৬-২০২২ আপডেট ২০০+ ডেলিভারি

14/06/2022

Magic Handwriting Practice Book ( বাংলা, ইংরেজি, Number এবং গনিত)
🤔 আপনার বাবুর হাতের লিখা নিয়ে চিন্তিত?
🤔 হাতের লিখা সুন্দর হচ্ছেনা অথবা সোজা হচ্ছেনা?
👉আপনার বাবুর হাতের লিখা সুন্দর ও সোজা করার এক মেজিক্যাল বই হল Magic Handwriting Practice Book.
👉এর বিষেশত্বঃ
👌 আপনার বাবুর হাতের লেখা ( Bangla, Alphabet, Number ) শেখার জন্য এই বইটি বিশেষ ভাবে কাজ করবে।
👌 এই খাতায় লিখার ৫-১০ মিনিট এর ভিতরে অটো মুছে যাবে।
👌 বর্ণমালা ও ছবি গুলো খাঁজ কাটা রয়েছে যার ফলে শিশুদের লিখতে সুবিধা হয় এবং পাশাপাশি পড়তে ও পারবে।
👌 এটি খুবই উন্নতমানের মোটা কাগজের এবং অনেক মজবুত যেটি সহজে নষ্ট হবে না।
👌 কলমের সাথে একটি রাবার থাকবে যা ধরে বাবুরা খুব সহজে লিখতে পারবে
👌 বার বার খাতা কিনার অপচয় থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
👌 একটি সেট এ রয়েছে 4 টি বই এবং একটি কলম ও ৬ টি শীস।
💰 💰 দাম - ৫৫০ টাকা ( এক সেট 4 পিচ বই এবং ১ টি কলম ও ৬ টি শীস, ১ টি কলমের গ্রিপ )
🤝 তাড়াতাড়ি অর্ডার করে ফেলুনঃ
🚚 সারাদেশে ক্যাশ অন হোম ডেলিভারি সুবিধা রয়েছে।
অর্ডার করতে এখনি
আপনার নাম :
ফোন নাম্বার : এবং
ঠিকানা লিখে মেসেজ করুন।
অথবা ফোন করুন -
☎️ 01707-190609

14/06/2022

Magic Handwriting Practice Book ( বাংলা, ইংরেজি, Number এবং গনিত)
🤔 আপনার বাবুর হাতের লিখা নিয়ে চিন্তিত?
🤔 হাতের লিখা সুন্দর হচ্ছেনা অথবা সোজা হচ্ছেনা?
👉আপনার বাবুর হাতের লিখা সুন্দর ও সোজা করার এক মেজিক্যাল বই হল Magic Handwriting Practice Book.
👉এর বিষেশত্বঃ
👌 আপনার বাবুর হাতের লেখা ( Bangla, Alphabet, Number ) শেখার জন্য এই বইটি বিশেষ ভাবে কাজ করবে।
👌 এই খাতায় লিখার ৫-১০ মিনিট এর ভিতরে অটো মুছে যাবে।
👌 বর্ণমালা ও ছবি গুলো খাঁজ কাটা রয়েছে যার ফলে শিশুদের লিখতে সুবিধা হয় এবং পাশাপাশি পড়তে ও পারবে।
👌 এটি খুবই উন্নতমানের মোটা কাগজের এবং অনেক মজবুত যেটি সহজে নষ্ট হবে না।
👌 কলমের সাথে একটি রাবার থাকবে যা ধরে বাবুরা খুব সহজে লিখতে পারবে
👌 বার বার খাতা কিনার অপচয় থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
👌 একটি সেট এ রয়েছে 4 টি বই এবং একটি কলম ও ৬ টি শীস।
💰 💰 দাম - ৬৫০ টাকা ( এক সেট 5 পিচ বই এবং ১ টি কলম ও ৬ টি শীস, ১ টি কলমের গ্রিপ )
🤝 তাড়াতাড়ি অর্ডার করে ফেলুনঃ
🚚 সারাদেশে ক্যাশ অন হোম ডেলিভারি সুবিধা রয়েছে।
অর্ডার করতে এখনি
আপনার নাম :
ফোন নাম্বার : এবং
ঠিকানা লিখে মেসেজ করুন।
অথবা ফোন করুন -
☎️ 01707-190609

14/06/2022

Magic Handwriting Practice Book ( বাংলা, ইংরেজি, Number এবং গনিত)

🚚 ফ্রি হোম ডেলিভারী

🤔 আপনার বাবুর হাতের লিখা নিয়ে চিন্তিত?
🤔 হাতের লিখা সুন্দর হচ্ছেনা অথবা সোজা হচ্ছেনা?

👉আপনার বাবুর হাতের লিখা সুন্দর ও সোজা করার এক মেজিক্যাল বই হল Magic Handwriting Practice Book.

👉এর বিষেশত্বঃ

👌 আপনার বাবুর হাতের লেখা ( Bangla, Alphabet, Number, Math ) শেখার জন্য এই বইটি বিশেষ ভাবে কাজ করবে।
👌 এই খাতায় লিখার ৫-১০ মিনিট এর ভিতরে অটো মুছে যাবে।
👌 বর্ণমালা ও ছবি গুলো খাঁজ কাটা রয়েছে যার ফলে শিশুদের লিখতে সুবিধা হয় এবং পাশাপাশি পড়তে ও পারবে।
👌 এটি খুবই উন্নতমানের মোটা কাগজের এবং অনেক মজবুত যেটি সহজে নষ্ট হবে না।
👌 কলমের সাথে একটি রাবার থাকবে যা ধরে বাবুরা খুব সহজে লিখতে পারবে
👌 বার বার খাতা কিনার অপচয় থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

প্যাকেজ ১ঃ দাম ৫৫০ টাকা -
৪ টি বই( বাংলা, ইংরেজি,Number এবং গনিত
১ টি কলম ও কলমের গ্রিপ
৬ টি শীস

প্যাকেজ ২ঃ দাম ৬৫০ টাকা -
৫ টি বই( বাংলা, ইংরেজি,Number, গনিত এবং আরবি
১ টি কলম ও কলমের গ্রিপ
৬ টি শীস

🤝 তাড়াতাড়ি অর্ডার করে ফেলুনঃ

🚚 ফ্রি হোম ডেলিভারী এবং সারাদেশে ক্যাশ অন হোম ডেলিভারি সুবিধা রয়েছে।

অর্ডার করতে এখনি
আপনার নাম :
ফোন নাম্বার :
ঠিকানা:
লিখে মেসেজ করুন।
অথবা ফোন করুন -
☎️ 01707-190609

Want your business to be the top-listed Clothing Store in Uttarati?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Telephone

Address


House: 38, Road: 13, Sector: 11
Uttarati
1230

Other Children's Clothing Shops in Uttarati (show all)
আনায়া'স ফ্যাশন হাউজ-Anaya's Fashion House আনায়া'স ফ্যাশন হাউজ-Anaya's Fashion House
Uttarati

Anaya's fashion house is a online business platform. We sell three pieces, one pieces, baby items, h

Woolmool Woolmool
Uttara, Sector 9, Road 3, House 5
Uttarati, 1230

woolmool works with all kinds of baby goods, specially washable diapers for re-use.

Fashionxyz.com Fashionxyz.com
Sector-10, Road-1, Fulbaria Road, Uttara, Dhaka
Uttarati, 1230

Fashionxyz.com will sell export quality dress for babies and children, Men's and Women.

Woolmool Baby Shop Woolmool Baby Shop
Dhaka
Uttarati, 1230

baby shop store, specially we sale baby items in Bangladesh, all products are premium and Cash on delivery In Bangladesh. Trial first, pay later condition so just chill for shoppin...

BUBBA BUBBA
Road-5, Sector/10
Uttarati, DHAKA1230

Discover premium baby products for joyful parenting.

Surasha collections-সুরাসা কালেকশনস Surasha collections-সুরাসা কালেকশনস
Uttara
Uttarati, 1230

The journey begun with me & my father.The dynamic duo found Surasha and launched with exclusive products-Sharee,Dresses, Health/Beauty, Cosmetic & Personal Care.

Sokher business Sokher business
Uttarati

We have all kinds of products which will be of quality...!

পদ্মাবতী-PadmaBoti পদ্মাবতী-PadmaBoti
Uttara Sector-10, Dhaka
Uttarati

প্রয়োজনীয় সবকিছু পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

Cozzy Kids Cozzy Kids
Road 10/A, Sector 9
Uttarati

Cozzy Kids is an online store. Here you will get summer and winter fancy items for boy's & girl's.

ska life styel ska life styel
Uttarati

Joytun Kids Joytun Kids
Islam Plaza, 2nd Floor
Uttarati, 1230

children clothing

ASiaN BiG BaZaR ASiaN BiG BaZaR
Head Office:/Dakshinkhan Road, Uttara, Dhaka, Hotline/Imo/Whats App/01811-644266
Uttarati, 1230

AsianBigBazar.Com Online Shopping is one of the Largest and trusted online Shopping where you can get Everything for girls Dress, Beauty items, Skin care. Bag, Shoes, Sunglasses,Wa...