World Wide Sunni Kafela
This is a Islamic page.Please support me to share Islamic videos,news and Islamic message so on.
Alhamdulillah
হ্যান্ডসওয়ার্থ জামে মসজিদে দারুল কিরাতের অ্যাওয়ার্ড এন্জ গ্রেজুয়েশন সিরিমনি অনুষ্ঠিত
বিশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াত সকল মুসলমানের জন্য আবশ্যক
প্রিন্সিপাল মাওলানা এম এ কাদির আল হাসান
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দারুল কেরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্ট ইউকের অধীনে হেন্ডসওয়ার্থ জামে মসজিদ এন্ড ইসলামিক সেন্টারে মাসব্যাপী ইন্টেনসিভ কেরাত এবং তাজবীদ কোর্স সম্পূর্ন হয়। এখানে এই কোর্সের সর্বোচ্চ ক্লাস ছাদিছ জামাত পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হয় এবং প্রতিবছর অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী এই কোর্স সম্পন্ন করে ক্বারী এবং ক্বারীয়া ডিগ্রি প্রাপ্ত হয়ে দ্বীনের বিভিন্ন খেদমতে এবং বিশুদ্ধ কুরআন শিক্ষায় আত্মনিয়োগ করেন। মাসব্যাপী ইন্টেনসিভ কেরাত ও তাজবীদ কোর্স সম্পন্ন করে আজ শনিবার ২৪ আগষ্ট দুপুরে এ্যায়ার্ড ও গ্রাজুয়েশন সিরীমনি সম্পন্ন হয়। মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এমাদ হোসাইন এর সভাপতিত্বে এবং উইকেন্ড মাদরাসার শিক্ষক মোঃ ফাহিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে মূল বক্তব্য রাখেন এবং ফলাফল ঘোষণা করেন উক্ত মসজিদের খতিব , দা ব্রিটিশ মুসলিম স্কুলের প্রিন্সিপাল মাওলানা এম এ কাদির আল হাসান।তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াত সকল মুসলমানের জন্য আবশ্যক। সহিহ শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত ও শিক্ষা গ্রহণ এবং শিক্ষা দেওয়া একটি মহৎ কাজ। রাসূল সাঃ বলেছেনঃ যারা কুরআন শরীফ শিক্ষা গ্রহণ করে এবং অন্যকে শিখায় তারা হচ্ছে সবোর্ত্তম ব্যক্তি। এতে অন্যান্যর মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ জেপি , আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকে মিডল্যান্ডস ডিভিশনের সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ হুসাম উদ্দিন আল হুমায়দী, মোঃ আকিকুর রহমান, সেন্টারের শিক্ষক হাফিজ বদরুল হক, হাফিজ কবির আহমদ, কামাল আহমদ, হাজী হাসন আলী হেলাল, হাজী বেলাল উদ্দিন, হাজী আলাউর রহমান প্রমুখ।
এতে ছাত্র ছাত্রীরা কুরআন শরীফ থেকে তেলাওয়াত করেন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় (কেরাত, নাশিদ এবং আজান)। এতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং যারা ক্লাসে ১ম,২য়ও৩য় স্হান অধিকার করেন তাদেরকে পুরুস্কার প্রদান করা হয়। এবং যারা ক্বারী এবং ক্বারীয়া ডিগ্রি সম্পন্ন করেন তাদেরকেও আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রাজুয়েশন প্রদান করা হয়।
পরিশেষে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।
Assalamu Alaikum, everyone
As you know that the recent flood has stranded over three million people in Bangladesh and killed many, submerging vast areas and damaging homes and infrastructure.
People are facing extreme hardships and difficulties due to a lack of essential food and medicine. Our teams are already on the ground, supporting families and local people who have been displaced from their homes.
Please come forward and stand by the affected people of Bangladesh in their hard time. May Allah bless you and protect you and your family from falling into such calamities and heart-breaking losses.
*Donate now at:*
https://campaigns.givebrite.com/latifi-hands-flood-relief
*Or at:* www.latifihands.org.uk
*To send directly to Bangladesh:*
bKash : +88 01766 581345
ব্রিটিশ মুসলিম স্কুলে দারুল কিরাতের অ্যাওয়ার্ড অ্যান্ড গ্র্যাজুয়েশন সিরিমনি অনুষ্ঠিত
আমাদের প্রত্যেককে কুরআনের সাথে মুহাব্বাত তৈরি করতে হবে
--মাওলানা এম এ কাদির আল হাসান
বার্মিংহামের দি ব্রিটিশ মুসলিম স্কুল। বহুমূখি দ্বীনি শিক্ষার এক অনন্য মারকায। ব্রিটিশ শিক্ষা কারিকুলামের পাশাপাশি এখানে শিক্ষার্থীরা যেমনি কুরআন হাদীস শিখছে তেমনি হয়ে উঠছে আমল-আখলাকে পরিপূর্ণ একেকজন আদর্শ মানুষ। ব্রিটিশ মুসলিম স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিবারের ন্যায় এবারও সামার হলিডেতে চালু করা হয়েছিলো দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্ট ইউকের অধীনে “ইনটেনসিভ কিরাত অ্যান্ড তাজবীদ কোর্স”। জামাতে সূরা থেকে জামাতে ছাদিছ পর্যন্ত চার সপ্তাহব্যাপী কোর্সটি প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর সরব অংশগ্রহণে মুখর হয়ে উঠেছিলো।
আজ (২১ আগস্ট) বুধবার ছিল কোর্স সমাপনী উপলক্ষে অ্যাওয়ার্ড অ্যান্ড গ্র্যাজুয়েশন সিরিমনি। লতিফিয়া ফুলতলী কমপ্লেক্সের আজাদ কনফারেন্স হলে আয়োজিত সিরিমনিতে অংশ গ্রহণের জন্য সকাল থেকেই আসতে শুরু করেন ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, সাংবাদিক ও কমিউনিটির বিভিন্ন সুধিজন। সবার মাঝে লক্ষ্য করা যায় এক বাড়তি ঊচ্ছ্বাস। নির্ধারিত সময়ের আগেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় সুসজ্জিত বিশাল কনফারেন্স হল। দুপুর ১২ টায় শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল কার্যক্রম। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দি ব্রিটিশ মুসলিম স্কুলের প্রিন্সিপাল বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা এম এ কাদির আল হাসান। এ বছর গ্র্য্যাজুয়েশন কমপ্লেট করায় ১২ জন শিক্ষার্থীর হাতে সনদ তুলে দিয়ে মাথায় পাগড়ী পরিয়ে দেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যান্য শিক্ষার্থীকে জামাতে সূরা থেকে জামাতে খামিছ পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে কোর্স সম্পন্ন করায় সনদ এবং অ্যাওয়ার্ডও প্রদান করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশুদ্ধ কুরআন তেলাওয়াত শিক্ষা করা প্রত্যেকের জন্য জরুরি। আমাদের প্রত্যেককে কুরআনের সাথে মুহাব্বাত তৈরি করতে হবে। কারণ কেয়ামতে কুরআন আমাদের জন্য সুপারিশকারী হবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে বিশুদ্ধ কুরআন শিখিয়েছেন যামানার মুজাদ্দিদ শামসুল উলামা হযরত আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রহ.)। এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্ট। প্রতিবছরের মত এ বছরও এ ট্রাস্টের অধীনে দি ব্রিটিশ মুসলিম স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইনটেনসিভ কুরআন ও তাজবীদ কোর্স। এবছর ১২ জন শিক্ষার্থী সফলতার সাথে গ্র্যাজুয়েশন সমপন্ন করেছে। এটা আমাদের জন্য খুশির এবং গৌরবের। তিনি এ প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
দি ব্রিটিশ মুসলিম স্কুলের গভর্ণিং বডির প্রেসিডেন্ট মিসবাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও শাখার প্রধানকারী মাওলানা মাহবুব কামালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ মুসলিম স্কুলের শিক্ষক মাওলানা আখতার হোসাইন জাহেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাল্টিপারপাস সেন্টারের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ কামরুল হাসান চুন্নু, আনজুমানে আল ইসলাহ মিডল্যান্ডস ডিভিশনের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রুকনুদ্দীন আহমদ, দি ব্রিটিশ মুসলিম স্কুলের গভর্ণিং বডির সদস্য মাস্টার আব্দুল মুহিত, স্কুলের শিক্ষক মাওলানা মাওলানা দুলাল আহমদ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব মো. আব্দুল লতিফ ও দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হ্যান্ডসওয়ার্থ জামে মসজিদের প্রেসিডেন্ট আলহাজ্জ এমদাদ হোসাইন, ব্রিটিশ মুসলিম স্কুলের শিক্ষক মাওলানা গুলজার আহমদ, কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব জমির উদ্দিন, শাবিপ্রবি তালামীযের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নাইম, ওয়ালসল দারুল কিরাত সেন্টারের প্রধান কারি সাদ উদ্দিন, দারুল কিরাতের শিক্ষক কারি গুলজার আহমদ খান জামি, হাফিজ হোসাইন আহমদ, কারিয়া তোহফা চৌধুরী, হাফসা খনম ও কারি মাহবুব আহমদ প্রমূখ।
ঈমান ভঙ্গের ১০টি কারণের অন্যতম একটি কারণ হলো, মুসলমানদের বিরুদ্ধে মুশরিকদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা। যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি এমন কাজ করে তবে সে কুফরী করল।
মহান আল্লাহ বলেন, وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللهَ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِيْنَ ‘তোমাদের মধ্যে যে তাদের (বিধর্মীদের) সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ তা‘আলা যালিমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না’ (মায়েদাহ ৫১)।
সূরা মায়িদার ৫১ নং আয়াতের তাফসীরে ইমাম কুরতুবী রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
আল্লাহ তায়ালার বাণীঃ “যে ব্যক্তি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে” অর্থাৎ মুসলিমদের বিরুদ্ধে তাদেরকে (কাফিরদেরকে) সাহায্য সহযোগিতা করবে, নিশ্চয়ই সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন যে, তার হুকুম উক্ত কাফিরদের হুকুমের মতই হবে। আর তা একজন মুসলিমের জন্য মুরতাদ থেকে মিরাস প্রতিষ্ঠিত হওয়া থেকে বিরত রাখবে। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই কাফিরদের সাথে মুওয়ালাত বা সুসম্পর্ক করেছিলো। অতঃপর কাফিরদের সাথে মুওয়ালাত বা সুসম্পর্ক ছিন্ন করার ক্ষেত্রে এই বিধান কিয়ামত পর্যন্ত বহাল থাকবে। [তাফসীরে কুরতুবী]
মক্কা বিজয়ের পর নবীজি (সা:) কারো ঘরে আগুন দেন নাই, কাউকে আঘাত করেন নাই, প্রতিশোধও নেন নাই!
একথাটা মনে রাখুন।
অচলাবস্থা নিরসন ও যুলুম-নির্যাতনের মুকাবিলায় ছাত্র-জনতার বিজয় ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না
-তালামীযে ইসলামিয়া
ছাত্র-জনতার বিজয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের পাশাপাশি আন্দোলনকারী সকল ছাত্র-জনতার প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া। এক বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফরহাদ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হুসাইন বলেন, ছাত্র- জনতার বিজয় দেশে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। দেশের অচলাবস্থা নিরসন ও যুলুম-নির্যাতনের মুকাবিলায় এ বিজয় ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। ছাত্র-জনতাকে এ বিজয় ধরে রাখতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারে যেন আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। নেতৃবৃন্দ এ আন্দোলনে মৃত্যুবরণকারী সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং তালামীযে ইসলামিয়ার নেতাকর্মীসহ আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
Alhamdulillah. ❤️❤️❤️❤️
★ অবশ্যই আমি তোমাদের আগে বহু জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি যখন তারা জুলুমে লিপ্ত ছিল। (সূরা ইউনুস ১০-১৩)
★ সাবধান! জালিমের ওপর আল্লাহর অভিশাপ। (সূরা হুদ-৮)
★ নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা অত্যাচারীকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। অবশেষে তাকে এমনভাবে পাকড়াও করেন যে, সে আর ছুটে যেতে পারে না’ ( মুত্তাফাকুন আলাইহি, ৪৬৮৬, ২৫৮৩)
উম্মুল মুমিনীন, আল মুবাররাআহ আয়েশা সিদ্দীকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার ৯ বছর বয়েসে বিয়ে নিয়ে অপপ্রচারের জবাব ও সহজ ভাষায় সাধারণদের জন্য কিছু কথাঃ
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) এর কম বয়সে বিয়ে নিয়ে ইসলাম বিদ্বেষীদের অপপ্রচারে সাধারণ মুসলমানরা চিন্তা ও বুঝের অভাবে বিভ্রান্ত হন। সাধারণদের জন্য বিষয়টি একটু ক্লিয়ার করতে চাই, যদিও এসব বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে বেয়াদবির ভয়ে অন্তর কেঁপে উঠে।
প্রথমত, আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) বিয়ের বয়স নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। যদিও ধরে নেওয়া হলো, ৯ বছরই হয়েছে। আজকের কথিত আধুনিক যুগে এবয়স অমানবিক মনে হলেও সে সময়ের সমাজের জন্য এটি একটি সাধারণ বিয়ের বয়স ছিলো। যদি আজকের মতো সেযুগেও অপরাধ মনো করা হতো, তাহলে মক্কার মুশ্রিকরা এবিষয়ে নিয়ে হাসি, তামাসা করত। তারা রাসূলুল্লাহ ﷺ পাগল, যাদুকর, গনক ইত্যাদি বলেছে। কিন্তু একটিও প্রমাণ নেই যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সুমহান চরিত্র নিয়ে কোনো আপত্তি করেছে। তেমনিভাবে বহুবিবাহর বিষয় সেযুগে সাধারণ বিষয় ছিলো। এবং এই বহুবিবাহর পিছনে প্রেক্ষাপট, যুক্তিক ও মানবিক কারণেও ছিলো (এগুলো বিস্তারিত পড়ে জেনে নিতে পারেন)।
এতগেলো দেড় হাজার বছর আগের সমাজের কথা, এবার আসুন মাত্র ৫০ বছর আগের সামাজের অবস্থা দেখি, ৭০-৮০দশকে নারীদের বিয়ে হয়েছে ৮-১৫ বছর এই বয়েসে। সেই সময়ের বিয়ের কোনো কাবিননামা দেখলে এটি পাবেন। এজন্য আমাদের সমাজে একটি কথার প্রচলন রয়েছে, কুড়িতে (২০) বুড়ি। কারণ, তখন কম বয়সে বিয়ে হত এবং বিশ বছরের আগেও কয়েক সন্তানের জনক হয়ে যেতেন।
এখন এই সকল মানবাধিকারের ফেরিওয়ালারা কি তাদের বাপ, চাচাকে বাল্যবিবাহের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করবে ? তাদেরকে আজকের যুগের দৃষ্টিতে চিন্তা করে বিভিন্ন ট্যাগে ভূষিত করবে ? তাদের যদি সাহস থাকে তাহলে বঙ্গবন্ধুর (১৩ বছর বয়সে ৩ বছর বয়সি মেয়ের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ৯ বছর পর ২২ বছর বয়সে ১২ বছর বয়সি স্ত্রীকে নিয়ে সংসার জীবন শুরু হয়।) বিয়ের বয়স নিয়ে কথা বলুক, তাঁকে গালি দিক, পারবে ? না, কারণ, কয়েক ঘন্টার মধ্যে জে লে ভরে দিবে। কিন্তু আফসোস হলো রাসূলুল্লাহ ﷺ শানে কেউ বেয়াদবি করলে এমন প্রতিক্রিয়া আমরা দেখতে পাই না। এছাড়া তাদের আরো অনেক গুরু, কবি, মনীষীরাও ৬/১১ বছর বয়স্ক নারীদেরকে বিয়ে করেছেন এগুলো নিয়ে কোনো কথা নেই। শুধু রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বিষয় নিয়ে কথা বলে সাধারণ মুসলামদেরকে বিভ্রান্ত করে বিদ্বেষী মনভাব তৈরী করার চক্রান্ত।
দ্বিতীয়ত, এটি আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) এর ব্যক্তিজীবনের ব্যক্তিগত বিষয়। তিনি জীবদ্দশায় কখনো বয়সের তারতম্য বা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ব্যপারে কোনোই অভিযোগ করেছেন এরকম একটিই হাদীস বা প্রমাণ নেই। বরং তাঁর সম্মতি ছিলো, তিনি ভালো, আনন্দ, হাসিখুশী এবং তাঁরা একে অন্যকে সবচেয়ে বেশী মহব্বত করেছেন এরকম অসংখ্য হাদীস এসেছে। হাবীবাতু রাসূলিল্লাহ আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) নিজেই বলেছেন, "কেনো আমার মতো একজন নারী, আপনার মত একজন পুরুষকে নিয়ে আত্মসম্মান বোধ করবে না?" [সীরাতে ইবনে হিশাম, ১ম খণ্ড, পৃঃ ৩১৪]
সুতরাং যেখানে স্বয়ং আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) এর কোনো সমস্যা নেই, কোনো অভিযোগ নেই। সেখানে কিছু কুলاঙ্গاরদের নাক গলানোর অধিকারও তো নেইই। কারণ, তাদের একটি বুলি হলো, কারো ব্যক্তিগত বিষয় হস্তক্ষেপ করা যাবে না, এটি তার ব্যক্তিস্বাধীনতা।
আসলে রাসূলুল্লাহ ﷺ'কে নিয়ে অহেতুক সমালোচনার প্রধান কারণ হলো তাঁর অতুলনীয় উত্তম চরিত্রের মাধুরী। যে চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে দেড় হাজার বছর ধরে মানুষ অনবরত ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ'কে নিয়ে বিতর্কিত করে তারা বিশ্বব্যাপী ইসলাম গ্রহনের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে চায়, যা কখনো সম্ভব না।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেছেন,
يُرِيْدُوْنَ لِيُطْفِـُٔوْا نُوْرَ اللّٰهِ بِاَفْوَاهِهِمْۗ وَاللّٰهُ مُتِمُّ نُوْرِهٖ وَلَوْ كَرِهَ الْكٰفِرُوْنَ.
'তারা তাদের মুখ দিয়ে আল্লাহর নূর নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে অবশ্যই পরিপূর্ণ করবেন, তা কা ফেরদের জন্য যতই অপ্রীতিকর হোক।' (সূরা আস-সফ, আয়াতঃ ৮)
وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغ
আল্লাহ তা'আলা যাকে অপছন্দ করেন তাকেও অঢেল ধন সম্পদ দান করেন। আর যাকে পছন্দ করেন তাকে দান করেন হিকমাহ।
যাকে হিকমাহ দান করা হয় তার ভিতরে থাকে সাকিনা। আরবি সাকিনা শব্দের অর্থ শান্ত, প্রশান্ত, ধীর, স্থির।
টেবিল ভর্তি খাবার অথচ প্রত্যেকটা খাবারে আপনি দোষ খুঁজে পাচ্ছেন, পেট ভরে খেতে পারছেন না। কেননা আপনাকে সম্পদ দান করা হয়েছে, হিকমাহ দেয়া হয়নি যে কারণে আপনার ভিতর সাকিনা নেই।
আপনাকে হিকমাহ দেয়া হয়েছে যে জন্যে আলু ভর্তা আর ডাল দিয়েও পরম প্রশান্তি নিয়ে পেট ভরে খেয়ে উঠে বলে উঠবেন আলহামদুলিল্লাহ।
উচ্চশিক্ষিতা সুন্দরী স্ত্রী পেয়েও আপনি তাকে নিয়ে সুখী নন, কারণ আপনাকে হিকমা দেয়া হয়নি।
টয়োটা এলিয়নে চড়েও আপনি সুখী নন, আপনার কেন পাজেরো নাই? এর কারণ আপনার মাঝে হিকমাহ নাই, সাকিনা উঠে গেছে। আপনি আপনার অবস্থানে সুখী নন।
আরবি হিকমা শব্দের অর্থ প্রজ্ঞা। যাকে আল্লাহ তা'আলা হিকমা দান করেন সে সর্ব অবস্থায় সন্তুষ্ট থাকে, শান্তিতে থাকে। এর অর্থ নিজেকে মানিয়ে চলা এবং তাতে সন্তুষ্ট থাকা।
রিজিক শব্দের অর্থ অনেক ব্যাপক।
■▪রিযিকেরর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছেঃ টাকা, পয়সা, অর্থ এবং সম্পদ।
■▪রিযিক এর সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছেঃ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা।
■▪রিযিকের সর্বোত্তম স্তর হচ্ছেঃ পুণ্যবান স্ত্রী এবং পরিশুদ্ধ নেক সন্তান এবং
■▪রিযিক এর পরিপূর্ণ স্তর হচ্ছেঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।
■■ রিযিক খুব গভীর একটি বিষয়, যদি আমরা তা বুঝতে পারি।
■■ আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটাও লিখিত এবং কতটা খাবার ও পানীয় গ্রহণ করবো তাও লিখিত বা নির্দিষ্ট।
■■ আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা বা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত। একটি দানাও কম না এবং একটিও বেশি না।
■■ ধরুন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে এক কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্ তা'আলা নিয়েছেন।
■■ কিন্তু, আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আমার।
■■ যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্ তা'আলার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই এক কোটি টাকা আয় করেই আমি মারা যাবো। আর হারাম উপায়ে হলেও ওই এক কোটিই... নাথিং মোর, নাথিং লেস!
■■ আমি যেই ফলটি আজকে টেকনাফ বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল ধরেছে তখনই নির্ধারিত হয়েছে যে, সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে, পছন্দ হয় নি বা কিনেনি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিযিকে লিখিত। যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে।
এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম, কিন্তু না! রিযিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না।
■■ রিযিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী!
■■ কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না। এটা তারই রিযিক, শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা'ইলা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ!
■■ কেউ কারওটা খাচ্ছে না, যে যার রিযিকের ভাগই খাচ্ছেন।
■■ আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি, সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্ তা'আলার উপর কতটুকু তাওয়াক্কাল আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি। কেননা,
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
-------"দুনিয়ায় বিচরণকারী এমন কোনো প্রাণী নেই, যার রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর নেই। তাদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী অবস্থানস্থল সম্পর্কে তিনি অবহিত। সব কিছুই একটি সুস্পষ্ট কিতাবে লেখা আছে।"
-----(সুরা হুদ : আয়াত ৬)
■■ আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেনঃ
-------"যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য কোনো না কোনো পথ বের করে দেবেন। আর তাকে (এমন উৎস থেকে) রিযিক দেবেন, যা সে ধারণাও করতে পারবে না।"
-----(সুরা ত্বালাক : আয়াত ২-৩)
■▪মহান আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের সঠিক পথ এবং হালাল ও প্রশস্ত কামাই রোজগার ও রিযিক এর ব্যবস্থা করে দিন এবং সকল প্রকার হারাম কামাই রোজগার ও রিযিক থেকে হিফাযত করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন, এবং হিফাযত করুন(আমীন)।
(সংগৃহীত)
আলহামদুলিল্লাহ,
মুরশিদে বরহক হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী বড় ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী আমেরিকায় দাওয়াতি সফর শেষে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন l
আমেরিকার বিভিন্ন শহরে আয়োজিত দারসে কুরআন, দারসে হাদীস, যিকর ও তা'লিম-তারবিয়াতের মাহফিলগুলোতে ছিল বিপুল জনসমাগম। হযরত বড় ছাহেবের সান্নিধ্যে আমেরিকা প্রবাসীরা আত্নার খোরাক পেয়েছেন এবং আল্লাহর দ্বীনের পথে চলার অনুপ্রেরণা লাভ করেছেন।
হযরত বড় ছাহেবের সফরসঙ্গী হিসাবে সাথে ছিলেন লতিফি হ্যান্ডসের জেনারেল সেক্রেটারী ও বড় ছাহেব কিবলাহ ফুলতলী'র সাহেবজাদা মাওলানা গুফরান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী। এছাড়াও সাথে ছিলেন যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে সদরুল আমিন সাহেব।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের পীর ও মুরশিদের সফরকে কবুল করুন। আমাদের মাথার ছায়া হিসাবে হায়াতে তায়্যিবা দান করুন। আল্লাহ ছালামতে পৌঁছে দিন। আমীন।
মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪
তালামীযে ইসলামিয়া সিলেট পূর্ব জেলার কাউন্সিল সম্পন্ন
জিল্লুর রহমান সভাপতি হোসাইন আহমদ সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া সিলেট পূর্ব জেলা শাখার ২০২৪-২৫ সেশনের কাউন্সিল ও অভিষেক সম্পন্ন হয়েছে। ১ জুন '২৪, শনিবার, বাদ আছর সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে কাউন্সিল ও নবনির্বাচিত দায়িত্বশীলদের অভিষেক সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও নবনির্বাচিত দায়িত্বশীলদের শপথবাক্য পাঠ করান সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফরহাদ এবং সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনজুরুল করিম মহসিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম মনোয়ার হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ আহমদ, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইমাদ উদ্দিন তালুকদার, অর্থ সম্পাদক আতিকুর রহমান সাকের ও অফিস সম্পাদক আলী রাব্বি রতন।
কাউন্সিলে মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান-কে সভাপতি, হোসাইন আহমদ-কে সাধারণ সম্পাদক ও আবু সায়ীদ মুহাম্মদ আশিক-কে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত করে ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
সহ-সভাপতি মো. লবিবুর রহমান লাভলু, মো. ফয়জুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. জায়েদুর রহমান, আহমদ আল মনজুর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, আবুল হাসান, মো. আব্দুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মো. আমিনুল এহসান জাবির, সহ-প্রচার সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, রেদওয়ান হোসাইন, আবু তায়্যিব রুবেল, অর্থ সম্পাদক নাজমুস সাকিব সায়েম, অফিস সম্পাদক শরীফ উদ্দিন, সহ-অফিস সম্পাদক ইমাম হোসেন পাবেল, সাইফুল ইসলাম পারভেজ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জামিল আহমদ, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. আলিম উদ্দিন, দিলোয়ার হোসেন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক তুয়েল আহমদ, সহ-শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জুবেল আহমদ, আহমদ হোসাইন আইমান, আব্দুল মোতালিব, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক তানভীর আহমদ, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মাহবুব আহমদ, জফরুল আলম, আব্দুল জলিল চৌধুরী, সদস্য ইমদাদুল হক ইমন, নুরুল ইসলাম ওয়াফি, আহমদ নাঈম চৌধুরী, ছাদিকুর রহমান, উবায়দুল হক, কামরুল ইসলাম, আব্দুল করিম, শিপু আহমদ, সৈয়দ মোস্তফা জামান, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, আফতার হোসেন, মুরছালিন আহমদ, মিসবাহ উদ্দিন, আহমদ হোসাইন কাইফ।
বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব , লতিফিয়া ফুলতলী কমপ্লেক্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা , বাংলাদেশ মাল্টিপারপাস সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব নাছির আহমদ সাহেবের নাগরিক শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করছেন বার্মিংহাম লজেলস বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের ইমাম ও খতিব , আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকে মিডল্যান্ডস ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী মাওলানা মোঃ হুসাম উদ্দিন আল হুমায়দী ।
বাংলাদেশ মাল্টিপারপাস সেন্টার বার্মিংহাম
২/৬/২০২৪
✍️ Mujtoba Hasan Chowdhory Numan
" ইসলাম আমাদেরকে যেমন সুন্দর নাম রাখার নির্দেশ দিয়েছে, সুন্দর নামের মাপকাঠিও এখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিম্নোক্ত হাদীসটি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য—
تَسَمّوْا بِأَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ، وَأَحَبّ الْأَسْمَاءِ إِلَى اللهِ عَبْدُ اللهِ، وَعَبْدُ الرّحْمَنِ، وَأَصْدَقُهَا حَارِثٌ، وَهَمّامٌ، وَأَقْبَحُهَا حَرْبٌ وَمُرّةُ.
তোমরা নবীদের নামে নাম রেখো। আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় নাম আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান। সবচেয়ে সত্য নাম হারেস ও হাম্মাম আর সবচেয়ে খারাপ নাম হারব ও মুররাহ। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৯৫২
এ হাদীসে কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়—
এক. নবীদের নামে সন্তানের নামকরণ করা।
দুই. আল্লাহ তাআলার সর্বাধিক প্রিয় নাম।
তিন. সবচেয়ে সত্য নাম এবং
চার. সবচেয়ে খারাপ নাম।
পবিত্র কুরআনে ও হাদীসের সহীহ বর্ণনায় ২৫-৩০জন নবীর নাম আলোচিত হয়েছে। সন্তানের নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটি প্রথম নির্দেশনা।
আর স্বয়ং নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভিত্তিতে নিজ সন্তানের নাম রেখেছেন—তাঁর সন্তান ইবরাহীম জন্ম নিলে তিনি বললেন—
وُلِدَ لِي اللّيْلَةَ غُلَامٌ فَسَمّيْتُهُ بِاسْمِ أَبِي إِبْرَاهِيمَ.
আজ রাতে আল্লাহ আমাকে একটি পুত্র সন্তান দান করেছেন। আমি পিতা ইবরাহী আলাইহিস সালামের নামানুসারে তার নাম রেখেছি—ইবরাহীম। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৩১৫ "
উপরের অংশটুকু আমি কোট করেছি , নামের ক্ষেত্রে নির্দেশনায় একাধিক নাম রাখার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা পাইনি, বরং হাদীসের বরাত দিয়ে এই প্রবন্ধের এক অংশে (পুরোটা কোট করিনি ) বলা হয়েছে একজনের একাধিক নাম রাখলেও সবকটি অর্থপূর্ণ হতে হবে , একাধিক নাম একজনের জন্যে রাখা যাবে না এটা কোন জায়গায় ই লিখা নেই।
সুতরাং নাম রাখলে শুধু শুধু মুহাম্মদ রাখতে হবে এমন কোনো কথা যেমন নেই তেমনি অন্য নামের আগে বা সাথে "মুহাম্মদ" সংযোজন করে নাম রাখতেও কোন অসুবিধা নেই হওয়ার কথা ও নয়। শায়খ নামধারীরা কেনো রাখা যাবে না তা পরিষ্কার করবেন?
মুহাম্মদ আলী
মুহাম্মদ আলী হাসান
মুহাম্মদ হাসান
আহমদ হাসান
মাহমুদ হাসান
মোস্তফা হাসান
মুজতবা হাসান
সুলাইমান আহমদ
হুযাইফা আহমদ
মুহাম্মদ হোসাইন
হাসান আলী
হাসান জামীল
হুসাইন জামীল
সবকটি নাম "মুরাক্কাব"। এগুলো রাখাতে শায়খের কি অসুবিধা?
অর্থপূর্ণ নাম একজনের জন্যে একাধিক রাখাতে কোনো বাধা চোখে পড়েনি।
তিনি বলেছেন পূর্বে নামের আগে 'মুহাম্মদ' এইজন্য লাগানো হতো কারণ আগের যুগে হিন্দুদের প্রভাবে মানুষ এই উপমহাদেশে 'শ্রী' লাগাতো , এখন এটার আর প্রয়োজন নেই!
শায়খকে বলি কি এখন যদি মুহাম্মদ লাগানো বাদ দিয়ে দেন পরে আবার যে শ্রী লাগানো শুরু হবে না তার নিশ্চয়তা কি আপনি দিবেন? ফতোয়া ছুড়ে মারার আগে একটু চিন্তা করা উচিত কি না?
আপনার ফতোয়া তো এরকম - "দাদার হাতে কলম ছিলো ছুড়ে মেরেছে"
এখন 'শ্রী' না লাগানোর জন্যে না হলেও মোহব্বতের ইযহারে লাখো কুটি নামের আগে মুহাম্মদ ছিলো , আছে , থাকবে পারলে ঠেকান।
আমি জীবনেও ভাবিনি যে, একজন আপাদমস্তক জেনারেল পড়ুয়া কোন মেয়েকে এতো সহজে দ্বীনে ফেরানো যাবে!
বলছিলাম আমার প্রিয় সহধর্মিণী (খুশি) কে নিয়ে। প্রচলিত মুসলিম বিয়ে-শাদীর মতই আমাদের বিবাহ সম্পূর্ণ হয়। ২৫ শে নভেম্বর ২০২২,শুক্রবার বিকেল ৫ঃ৩০ এ তিনি আমার ঘরে স্ত্রী হিসেবে প্রথম পা রাখেন।
ঝামেলাটা তখনো লাগে নি! সন্ধা একেবারেই কাছাকাছি,
আস্তে আস্তে বাড়ির লোকজন বউ দেখবে বলে আমাদের ঘরের দিকে যাতায়াত শুরু করে দিয়েছেন। আমি বাইরে দাড়িয়ে চাচাতো ভাইদের সাথে গল্প করছিলাম,হঠাৎ দেখি মহিলাদের সাথে মাঝে মাঝে বিভিন্ন রকম পুরুষ আত্মীয়রাও ঘরে প্রবেশ করছেন। বিষয়টি আমাকে মারাত্মক ধাক্কা দেয়। আমি তখনই ঘরে এসে মা-কে মাহরাম গাইরে মাহরাম সম্পর্কে হুটহাট বুঝিয়ে দিলাম।
মনে করেছিলাম মা হয়তো বিষয়টি সামলে নেবেন।
নাহ্, সেটা আর হলো না। মা'র উল্টো বয়ান- আরে এরাতো আমাদের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়। তাছাড়া নতুন বউ আসলে সবাই একটু দেখতে চায়, এটা খারাপ কিছুনা।যাহ তুই বাইরে থেকে ঘুরে আয়। যাইহোক মায়ের সামাজিকতা রক্ষার ডায়লগে মন ভরে নি। আমি চাচ্ছি যে, গাইরে মাহরাম কোন ধরনের পুরুষ আমার স্ত্রী কে দেখতে পারবে না। আস্তে আস্তে উনি (খুশি) যে রুমে বসা, সেই রুমের দিকে যাচ্ছি, ওহ!মহিলারা তাকে ঘিরে বসে আছে!একটু সাহস করে সবাইকে বলে দিলাম,আপনারা একটু বাইরে আসুন,আমি ভিতরে আসতে চাই! সবাই ত অবাক!!
তবুও একেকজন একেক কথা বলে বাইরে বের হয়ে আসলো।আমি স্ত্রীর কাছে গিয়ে মাহরাম গাইরে মাহরাম সম্পর্কে বুঝিয়ে দিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ সেই দিন থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত কোন গাইরে মাহরাম আমার স্ত্রী কে সামাজিকতার দোহাই দিয়ে দেখতে পারেন নি। আমরা নিম্নবিত্ত পরিবারের লোক।তাই বলে, আমার স্ত্রী কে সবার দেখতে হবে? না! ইসলাম আমাকে এটা শিখায়নি। আমি যখন স্ত্রীর পর্দার ব্যাপারে কঠোর হতে লাগলাম, তখন বাড়ির লোকজন নানান কথা বলতো,কিন্তু এতে করে আমার স্ত্রী ও আরো কঠোর হতে থাকে।আমি সবসময় আমাদের পরিবেশ নিয়ে চিন্তিত থাকতাম।আল্লাহপাক এমন একজন মিলিয়ে দিলেন,যে নিজেই এগুলোর বিরুদ্ধে সংগ্রামে লেগে যায়।সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ। এরপর থেকে প্রতিদিন তার সাথে পর্দার গুরুত্ব, বেপর্দার শাস্তি ইত্যাদী বিষয় সম্পর্কে বুঝাতে লাগলাম, মাশাআল্লাহ! বিষয়গুলো সে যতোটা গুরুত্ব দিয়ে শুনতো,ততোটা গুরুত্ব সহকারে আজ পর্যন্ত মেনে চলতেছে। কোনদিন উল্টো প্রশ্ন করেনি। আশ্চর্য্যের বিষয় হলো, আজ পর্যন্ত সে কেনাকাটার জন্য বাজারে বা মার্কেটে যায়নি। হয়তো অনলাইনে কিনে দিয়েছি,নয়তো আমি যেটা এনে দেই সেটাতেই খুশি আলহামদুলিল্লাহ।
ভাবছেন, এটাও কি সম্ভব। অবশ্যই সম্ভব। আর এটা কোন বইয়ের গল্প নয়। এটা আমার রানিং জীবনের বাস্তব গল্প ।
সে আজ পর্যন্ত আমার কাছে কোন কিছু চায়নি।যদিও গরীব হুজুর আমি। কিন্তু টাকা হলে তাকে এটা দেবো,ওটা দেবো, এগুলো আমার প্রতিরাতের চোখ খোলা সপ্ন।
মাঝে মাঝে তারদিকে তাকিয়ে মনের অজান্তেই চোখে অশ্রূ চলে আসে। কিন্ত বলে বুঝাতে পারিনা যে, তুমাকে কিছুই দিতে পারিনা বলে, বুকটা ফেটে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে অসাধারণ কিছু গুন রয়েছে তার মাঝে। সবরের দিক থেকে আমাকেও হার্ মানিয়ে দেয়।
এখন আমাদের এক মেয়েও আছে আলহামদুলিল্লাহ।
(ইশরাত আনজুম তাসনোভা(বয়স ৮মাস)
দুনিয়ার নানা ঝামেলার মধ্যে ও আমরা অনেক অনেক সুখে আছি।আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ যেনো প্রিয়তমা (খুশি) কে এযুগ শ্রেষ্ঠ রমণি হিসেবে কবুল করেন,আমিন।
বিঃদ্রঃ সিলেটের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্বাপিঠ দারুল হাদীস হরিপুর মাদ্রাসার ২০২২ এর এনামি জলসায়, আওলাদে রাসুল সায়্যীদ মাহমুদ মাদানীর ( দা:বা) খুৎবার মাধ্যমে আমাদের আকদে নিকাহ সম্পন্ন হয়।
আমি হাফিজ মাওঃ জাকির হুসাইন মারওয়ান।
সাবেক প্রধান শিক্ষক -মারকাজুত তাহফিজ ইন্টা:মাদ্রাসা সিলেট শাখা।
নোটঃ- ইনবক্স থেকে পাওয়া সত্য সুন্দর গল্প। স্বামী বা স্ত্রীর ভালো গুন,কোনো চমৎকার ঘটনা কিংবা আপনার দাম্পত্য জীবনের কিছু সুখের স্মৃতি পেইজের ইনবক্সে শেয়ার করুন।
সুন্দর লিখাগুলো পেইজে পোস্ট করা হবে এবং বিজয়ীদেরকে লাইভ লটারির মাধ্যমে আকর্ষনীয় পুরস্কার দিবো ইনশাআল্লাহ্।
৫ নং উত্তর ফেন্চুগনজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফজল হোসাইন এর ভাতিজা সাচ্চু মিয়ার ছেলে বিবাহ অনষ্টানে দোয়া পরিচালনা করছেন মানিক কোনার কৃতি সন্তান মাওলানা মোঃ হুসাম উদ্দিন আল হুমায়দী ।
বার্মিংহাম
আল মিরাজ কমিউনিটি সেন্টার ২৬/০৫/২০২৪
রাসূলুল্লাহ ﷺ কি ৪০ বছর বয়সে নবী হয়েছেন ?
কেউ কেউ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সুমহান মর্যাদাকে খাটো করার জন্য বলে থাকেন-“রাসূলুল্লাহ ﷺ ৪০ (চল্লিশ) বছর বয়সে নবুয়তি লাভ করেছেন, তাই তিনি ৪০ বছর বয়স থেকেই নবী, এর আগে তিনি নবী নন, ৪০ বছর পূর্বে তিনি সাধারণ মানুষের মতই ছিলেন। সুতরাং ৪০ বছর বয়সের পূর্বে তিনি যা বলেছেন, যা করেছেন তা আমাদের জন্য অনুসরণ যোগ্য নয়। কারণ ৪০ বছর পূর্বে তিনি নবী ছিলেন না।” (মা'আযাল্লাহ)
এদের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। এরা নবী বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য, মুসলমানদেরকে ঈমানহারা করার জন্য এরূপ বক্তব্য দিয়ে থাকেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ যে সৃষ্টির সূচনা থেকেই নবী এ বিষয়টি কোরআন-হাদীস দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণিত। আমাদের নবীর উপর অন্যান্য সকল নবী-রাসূলগণ ঈমান এনেছেন। এমনকি সকল নবীর উম্মতগণও আমাদের নবীর উপর ঈমান এনেছেন। শুধু তাই নয়; অন্যান্য নবীগণের নবুয়তির স্বীকৃতি পেয়েছিল এবং তাঁদের নবুয়তি বহাল রয়েছিল আমাদের নবীর উপর ঈমান আনার কারণে।
এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক বলেন,
‘আর আল্লাহ যখন নবীগনের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহন করলেন যে, আমি যা কিছু তোমাদের দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান এবং অতঃপর তোমাদের নিকট কোন রসূল আসেন তোমাদের কিতাবকে সত্য বলে দেয়ার জন্য, তখন সে রসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তার সাহায্য করবে। তিনি বললেন, ‘তোমার কি অঙ্গীকার করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ? তারা বললো, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছি’। তিনি বললেন, তাহলে এবার সাক্ষী থাক। আর আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম।’ (সূরা আল-ইমরান : আয়াত-৮১)।
উক্ত আয়াত দ্বারা দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত-অন্যান্য সকল নবীগণ আমাদের নবীর উপর ঈমান এনেছিলেন। প্রশ্ন হল- রাসূলুল্লাহ ﷺ যদি সেই সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে স্বীকৃত নবী না হতেন বা সেই সময় যদি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নবুয়তি না থাকতো তাহলে অন্যান্য নবীগণ কি তাঁর প্রতি ঈমান আনতেন? না, কখনও ঈমান আনতেন না। আল্লাহপাক ও তাঁদেরকে ঈমান আনার কথা বলতেন না। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ ﷺ যে সৃষ্টির সূচনা থেকেই নবুয়ত প্রাপ্ত তা উক্ত আয়াত দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণিত। কারণ নবীগণের কাছ থেকে আল্লাহপাক উক্ত অঙ্গীকার ‘রূহ জগত’ থেকে নিয়েছিলেন।
এখন যদি বলা হয়, আমাদের নবীর নবুয়তি সূচনা হয়েছে তাঁর ৪০ বছর বয়স থেকে, তাহলে পূর্ববর্তী সকল নবীর ঈমান আনা, তাদের উম্মতের নিকট আমাদের নবীর নবুয়তির বর্ণনা দেয়া, অন্যান্য নবীগণের কিতাবাদীতে আমাদের নবীর নবুয়তির বর্ণনা-এসবই মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়ে যাবে। যা কখনও মিথ্যা হতে পারে না।
আদম (আঃ)'কে সৃষ্টি করার পূর্ব থেকেই রাসূলুল্লাহ ﷺ নবী ছিলেন যা সহীহ হাদীসেও সুস্পষ্টভাবে এসেছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى وَجَبَتْ لَكَ النُّبُوَّةُ قَالَ "وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالْجَسَدِ"
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, লোকেরা প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার নবুওয়াত কখন অবধারিত হয়েছে? তিনি বললেনঃ 'যখন আদম (আঃ) তার শরীর ও রুহের মধ্যে ছিল।'
অর্থাৎ হযরত আদম (আঃ)'কে সৃষ্টি করার পূর্ব থেকেই আমি নবী।
দলীল- সহীহাহ (১৮৫৬), মিশকাত (৫৭৫৮), তিরমিজি (৩৬০৯)।
উক্ত হাদীস দ্বারাও সুস্পষ্ট প্রমাণিত রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নবুয়তের সূচনা সৃষ্টির শুরু থেকেই। “জন্মের ৪০ বছর পর থেকেই তিনি নবী বা ৪০ বছর পর নবীকে নবুয়তি দেয়া হয়েছে”-এরূপ কথা বলা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর এবং সম্পূর্ণ অজ্ঞতামূলক। যারা এরূপ বলেন তাদের প্ররোচনা থেকে আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ৪০ বছর বয়সে কোরআন নাজিল হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইসলামী শরীয়তের সকল বিধি বিধান বর্ণিত হয়েছে। মানবজীবনের সকল সমস্যার সমাধানের কথা বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ'কে তাঁর নবুয়তি ৪০ বছর বয়সে দেয়া হয়নি: বরং সৃষ্টির সূচনাতেই তাঁকে নবুয়তি দেয়া হয়েছে। এটাই চির সত্য।
وَمَا عَلَيْنَا إِلَّا الْبَلَاغ
✍️ Ahsan Habib Shah ২৪ নভেম্বর ২০২২
মাসআলাটি জানা থাকা প্রয়োজন
কয়েকজন ক্লাসমেট অথবা বন্ধু বান্ধব মিলে একসাথে আড্ডা দিচ্ছেন। এর মধ্যে ছেলে মেয়ে উভয়ে আছে। এই আড্ডার ফাকে ঢং করে আপনি আপনার মেয়ে বন্ধুকে বললেন "আমি তোকে বিয়ে করলাম, এখন থেকে তুই আমার বউ"। মেয়েটিও ঢং করে বললো, আমি কবূল করে নিলাম।
ঐ ঢং করা থেকে বাস্তবিকভাবেই বিয়ে হয়ে গেল। এখন থেকে আপনারা স্বামী স্ত্রী।
মাসআলা হলো, প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ে যদি দুই জন মুসলিম বালিগ পুরুষের সামনে পরস্পরে ইজাব কবূল করে নেয় তাহলে বিয়ে হয়ে যায়। সেটা বিয়ের নিয়তে হোক অথবা ঢং করে/তামাশা করে/ফাজলামো করে/মজা করে করা হোক।
এ জন্য ৩টি বিষয় নিয়ে ঢং ফাজলামো করতে নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "তিনটি বিষয় রয়েছে যা স্বজ্ঞানে করলেও কার্যকর, হাসি ঠাট্টার জন্য করলেও কার্যকর; বিবাহ, তালাক, রাজআত (এক তালাকের পর স্ত্রী ফিরিয়ে আনা) । [তিরমিযী]
ثَلَاثٌ جَدُّهُنَّ جَدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جَدُّ: النِّكَاحُ وَالطَّلَاقُ وَالرِّجْعَةُ
কাজেই, সব বিষয় নিয়ে মশকারি করা ঠিক না
কভেন্ট্রিতে বিশিষ্ট সালিশ ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জনাব কাপ্তান উদ্দিন আহমদের ইন্তেকাল এবং জানাযা সম্পন্ন ঃ
ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহি রাজিউন
বিশিষ্ট সালিশ ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব শ্রদ্বাভাজন মুরব্বি জনাব কাপ্তান উদ্দীন আহমেদ ইংল্যান্ডের কভেন্ট্রীতে নিজ বাস ভবনে ১০ মে শুক্রবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় ইন্তেকাল করেছেন ৷ পরের দিন শনিবার বাদ জোহর কভেন্ট্রি জালালাবাদ জামে মাসজিদে জানাযার নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাযা পুর্বে উনার বড় ছেলে কমিউনিটির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। জানাযার নামাজে ইমামতি করেন বার্মিংহাম লজেলস বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারেএন্ড জামে মাসজিদের ইমাম ও খতিব মানিক কোনার কৃতি সন্তান মাওলানা মোঃ হুসাম উদ্দিন আল হুমায়দী । জানাযায় অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহন করেছেন।
উনার দেশের বাড়ি সিলেট জেলার ফেন্চুগনজ উপজেলার মানিক কোনা বন্দর পাড়ায় ।
উনার মৃত্যুর সময় ছেলে , মেয়ে নাতি নাতনিসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। উনার মাগফেরাতের জন্য দোয়া কামনা করা হয়েছে।
তখন আপনি আপনার রবের প্ৰশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী।
(সুরা নাসর, ৩)
অর্থাৎ, বুঝে নাও যে, রিসালতের তবলীগ ও হক প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব যা তোমার উপর ছিল তা পূর্ণ হয়ে গেছে। এবার দুনিয়া থেকে তোমার বিদায় নেওয়ার পালা এসে গেছে। এ জন্য তুমি আল্লাহর তসবীহ, প্রশংসা এবং ক্ষমা প্রার্থনায় অধিকাধিক মনোযোগী হও। এ থেকে আমরা জানতে পারি যে, জীবনের শেষ দিনগুলিতে উক্ত কর্মাবলী করতে অধিক যত্নবান হওয়া উচিত।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন: এই সূরা নাযিল হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক সালাতের পর এই দো‘আ পাঠ করতেন
سُبْحَا نَكَ اللّٰهُمَّ رَبَّنَا وَ بِحِمْدِكَ، اللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ
[বুখারিঃ ৭৯৪, ৮১৭, ৪২৯৩, ৪৯৬৭, মুসলিম: ৪৮৪, আবু দাউদ: ৮৭৭, ইবনে মাজাহ: ৮৮৯]
অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শেষ বয়সে বেশী বেশী আগত দো‘আ পাঠ করতেনঃ
سُبحَانَ اللّٰهِ وَ بِحَمْدِهِ، أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
[মুসলিমঃ ৪৮৪, মুসনাদে আহমাদ: ৬/৩৫]
অনুরূপভাবে উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, এই সূরা নাযিল হওয়ার পর তিনি উঠাবসা, চলাফেরা তথা সর্বাবস্থায়
سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ
এই দো‘আ পাঠ করতেন। তিনি বলতেন, আমাকে এর আদেশ করা হয়েছে। অতঃপর প্রমাণস্বরূপ সূরাটি তেলাওয়াত করতেন।
[তাবারীঃ ৩৮২৮৪]
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Birmingham, B1
It’s all about entertainment and education. Let get interactive
Birmingham
Helping businesses advance their brand strategy + grow their social media
Birmingham
Página Focada em Desenvolvimento Pessoal Para Pessoas que Procuram evoluir neste mundo. ~Leonam Siva
Birmingham
BANKS ARE CRASHING DOWN ALREADY, START SWITCHING YOUR FUNDS INTO ISO2022COIN AND BACK THEM UP ON QFS.
Birmingham, B368LN
Inspirational quotes, football,gym and content creation.
Birmingham New Street
Birmingham
When you're thinking about Entertainment Think Of Balacious Comedy
Birmingham
Page that post interesting content from Tiktok and Facebook - for discussion and/or laughter 💜