Bangladeshi Hindu Community Cork Ireland
Nearby arts & entertainment
Ballybofey
Naas
Athy
Clonmany
Elphin
Rathowen
Sneem
Belmullet
I have created this page to invite people for Bangladeshi festival celebration as i am organizing i
Always a pleasure to support Cork’s Bangladeshi Hindu community and their family and community orientated events - especially the traditional Durga Puja event in the Lough Scout Hall. Many thanks for the invite.
The group aims to uphold the cherished traditions of Durga Puja for those interested in embracing the rich culture and to foster a deep connection to their heritage for the next generation to stay in touch with their roots.
ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্য্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
সর্ব্বত পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমহস্তুতে।
এসো মা লক্ষী বসো ঘরে আমার
এ ঘরে থাকো আলো করে।
আজ কোজাগরী লক্ষী পূজা।
অনেকেই কোজাগরী শব্দের অর্থ জানেন না।
কোজাগরী শব্দের অর্থ হচ্ছে.....
"কে জাগে রে"।
শরৎকালের পূর্ণিমার রাত বছরের আর সব পূর্ণিমা রাতের মধ্যে সবচাইতে উজ্জ্বলতর রাত। শারদীয়া দুর্গোৎসবের পরের পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার আরাধনা করা হয়। বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে এ এক চিরন্তন প্রার্থনা। প্রায় প্রতি ঘরে ঘরেই দেবী লক্ষ্মীর পুজো হয়ে থাকে।
প্রচলিত বিশ্বাস মতে এই রাতে ধনসম্পদ, প্রাচুর্য, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মী স্বর্গলোক থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রশ্ন করেন “কে জেগে আছ?”
বয়োজ্যেষ্ঠদের মতে এই দিন রাতে পুজা করতে হয়, আর সারা রাত জেগে মাকে স্মরণ করতে হয় আর দরজা খোলা রাখতে হয় যাতে মা এসে গৃহে অবস্থান করতে পারেন।
আর সেই রাতে লক্ষ্মীবন্দনায় জেগে আছে এমন সবার ডাকে সাড়া দিয়ে তাদের ঘরে প্রবেশ করেন, এবং তাদের অফুরন্ত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দান করেন।
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার দিন বাঙালির ঘরে ঘরে শঙ্খধ্বনি মুখরিত সন্ধ্যায় লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কৃষি সমাজের গভীর সম্পর্ক। যার প্রমাণ মেলে পুজোর উপকরণ আর আচার অনুষ্ঠানে।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে আর একটি জিনিস নিবিড় ভাবে জড়িয়ে আছে সেটা হচ্ছে আলপনা, গ্রামেগঞ্জে বিভিন্ন প্রান্তে লক্ষ্মীপুজোর আলপনাতে দেখা যায়।
এখনও গ্রামাঞ্চলে ঘরের দরজা থেকে দেবীর আসন আর ধানের গোলা পর্যন্ত আলপনায় দেবী লক্ষ্মীর ছোট ছোট পায়ের ছাপ দেওয়া হয়।
এদিন দেবীর ভোগ হিসেবে রাখা হবে খিচুড়ি, লাবড়ার সঙ্গে প্রসাদে ফলমূল তো থাকেই, থাকে নারিকেলের নাড়ু, তিলের নাড়ু,।
পাশাপাশি লুচি, পায়েস, মিষ্টির নানা আয়োজন থাকে দেবীর জন্য। এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে লক্ষ্মী পূজার প্রচলন।।
সবাইকে কোজাগরী লক্ষীপূজার শুভেচ্ছা।
Cork’s favourite Sorbojanin Durga Puja turns Three. Please join the Durga Pujo celebrations at *The Lough Scout Hall, Lough Road, Cork (T12KT3K) between 8th and 12th October 2024.*
On *11th October*, we will celebrate Nabami with a special cultural programme graced by Cork City Lord Mayor, TD Mick Barry and Garda Superintendent Cork City. Participants from India, Bangladesh and Ireland will entertain you over two hours. Programme starts at *7 PM*. Don’t miss this unique medley of Opar and Epar Bangla spiced with an Irish flavour. Spread the word!!
পৃথিবীর সবচেয়ে শাদা পূর্ণিমা হয় শরৎকালে। রূপালী আলো দেখতে আসে চন্দ্রাহত ইলিশ জুটি। সেই আলো মেখেই তাদের শরীর এত ঝলমলে হয়। চাঁদ উঠলেই তাই জেলেদের মুখেও রূপালী হাসি ফোটে। ইলিশ বিয়ানো জোছনায় তারা জাল ছড়ায় সাগরে।
হারভেস্ট মুন বা ফসল তোলার চাঁদ— শারদ শশীকে এসব নামেই বেশি চেনে মানুষ। অন্য সব পূর্ণ চন্দ্রের সাথে এর বেশ পার্থক্য আছে। এই চাঁদ উত্তর গোলার্ধের মানুষকে বলে— ‘শীত আসছে। কন্যাকে ছেড়ে তুলায় সংক্রমিত হচ্ছেন সূর্য। রাত বড় হচ্ছে। গ্রীষ্মের ফসল ঘরে তোলো। শীতের সঞ্চয় করো। লেপ–কাঁথা রোদে দাও।’
একটা কাঁচা ডিমকে মসৃণ তলের ওপর সোজা দাঁড় করাতে পারলে সৌভাগ্য লাভ হয়। বছরে দুই বার ডিম দাঁড় করানোর খেলা হয় চীনে। দ্বিতীয়বার, শরৎকালে। চীনা চান্দ্র পঞ্জিকার ষোড়শ সৌরপদ— ‘ছিউফেন’। ডিম দাঁড় করানোর উত্তম সময়। জলবিষুবের প্রথম দিনে দক্ষিণ চীনের মানুষ দল বেঁধে ছিউছাই ফুল তুলতে যান। মাছের সঙ্গে ফুল মিশিয়ে হয় ‘ছিউথাং’ স্যুপ। খেলে যকৃৎ ও অন্ত্র ভালো থাকে। ক্রিসেনন্থিমাম বা চন্দ্রমল্লিকাও ফোটে এই সময়ে।
পৃথিবীর মাঝ বরাবর কল্পিত বিষুব রেখাটি একে উত্তর ও দক্ষিণ দুই গোলার্ধে ভাগ করেছে। আমরা উত্তর গোলার্ধের বাসিন্দা। বছরে দুইবার সূর্যের আলো একদম লম্বভাবে এই বিষুবরেখার দুটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে পড়লে দিন রাত সমান হয়। একবার উত্তরায়ণে, যখন সূর্য নিজ কক্ষপথে মেষ রাশিতে প্রবেশ করে। উত্তর গোলার্ধে তখন বসন্তকাল, তারপর দিনের দৈর্ঘ্য বাড়ে, গরমকাল আসন্ন, নতুন বছর শুরু হয় নানান জাতির। সেটা বসন্ত বিষুব বা মহাবিষুব। আরেকবার দক্ষিণায়নে, যখন সূর্য তুলা রাশিতে সংক্রমিত হয়। উত্তর গোলার্ধে তখন শরৎকাল, দিন ছোট হবে ক্রমশ, শীতকাল আসন্ন। এর নাম জলবিষুব বা শারদ বিষুব (অটাম ইকুয়েনক্স)।
সূর্যের আলো লম্বভাবে পড়াকে বলা হয় সৌরপদ। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ এই সৌরপদ অনুসারে নিজেদের জীবনযাপন ও কৃষিকাজ করছে, খাবার ও পোশাকে পরিবর্তন আনছে। সূর্যের আলো অনুসারে এটাই সহাবস্থানের শিক্ষা। আলোর এই হিসাবই পৃথিবীর সকল সমাজের লোকজ, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আচার অনুষ্ঠানের ভিত্তি।
চীনা দর্শনে বলা হয়, বিশ্বে দুই ধরনের শক্তি বিরাজ করে। ইন— নেতিবাচক ও নিষ্ক্রিয় এবং ইয়াং— ইতিবাচক ও সক্রিয়। প্রাচীন গ্রন্থ— The Detailed Records of the Spring and Autumn Period বলছে— জলবিষুবে ‘ইন’ ও ‘ইয়াং’ এর ভারসাম্য বিরাজ করে। দিন ও রাত সমান হয়, শীত ও গরম থাকে সমান। জাপানী ও চীনারা জানেন— ঠিক এই সময় কাঁকড়া খেতে সবচেয়ে মজা। হয়তো কাঁকড়ারাও জানে এটাই ধরা দেওয়ার সময়।
সেই বছর একে একে দশটা সূর্য উঠেছিল। রোদে পুড়ে খাঁক হয়ে যাচ্ছিল মানুষ আর মাঠের ফসল। তখন হৌয়ি— বিখ্যাত তীরন্দাজ, তীরের আঘাতে নয়টা সূর্য ডুবিয়ে দেয়। গ্রামের লোক প্রাণে বেঁচে তাকেই রাজা ঘোষণা করে। সবাই তাকে ত্রাণকর্তা ভাবত। কিন্তু ধীরে ধীরে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে হৌয়ি। মানুষের আনুগত্য তাকে জুলুমবাজ করে তোলে। এর মধ্যে আবার গ্রামদেবীকে সন্তুষ্ট করে অমৃত বর পায় সে। রাজা হৌয়ির বউ চাঙয়ি, খবর পেয়ে ভাবে— এখনই এত অত্যাচার করছে অমরত্ব পেলে না জানি কী করবে। তাই সে চুরি করে অমৃত খেয়ে ফেলে। এই খবর পেয়ে হৌয়ি তাড়া করে তাকে। তীর ছোঁড়ার সাথে সাথেই চাঙয়ি আকাশে উড়ে চলে যায় চাঁদের খরগোশের কাছে। ধবধবে সাদা ওই খরগোশ যখন লেজ–কান গুটিয়ে ঘুমায় তখনই গোল সাদা পূর্ণিমা দেখা যায় পৃথিবী থেকে।
এক সময় গ্রামের লোক জানতে পারে তাদেরকে বাঁচানোর জন্যই চাঙয়িকে চাঁদে চলে যেতে হয়েছে। তাই প্রতি শরতে যখন সবচেয়ে শাদা পূর্ণিমা হয় তারা চেঙয়ির জন্য গোল মুনকেক উৎসর্গ করে। খায় আর আনন্দ করে। বাংলা ভাষায় চাঁদের আরেক নাম শশধর। শশ মানে খরগোশ। চাঁদের খরগোশ আর দেবী চাঙয়ির জন্য সেই চৌ রাজবংশ আমল থেকে মুনকেক উৎসর্গ করার প্রথা চলে আসছে।
এখন থেকে ইরান, আফগানিস্তানে শুরু হবে আনারের চাষ। ইরানী ভাষায় মেহের শব্দের অর্থ তুলা। মেহেরগান— তুলা রাশিতে সূর্য সংক্রমণের উৎসব। প্রাচীন পারস্যে মেহেরগান বা জশন-ই-মেহর শুধু ফসল কাটার নয় বরং রাজকর আদায়েরও সময়। পারস্য সাম্রাজ্যের প্রজারা রাজার জন্য উপহার নিয়ে আসত এই সময়। রেওয়াজ ছিল যদি দাতার পরবর্তীকালে অর্থের প্রয়োজন হয়, তাহলে রাজকোষাগার উপহারের দ্বিগুণ ফেরত দেবে। মেহেরগানের সময় রাজা একটি পশমের পোশাক পরতেন এবং তার গ্রীষ্মের পোশাক দান করে দিতেন। সাসানিয়ান সাম্রাজ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ছিল এই জশন-ই-মেহর। জলবিষুবের সময় ইয়াজাতাদের (উপাস্য) মধ্যে মিথ্রাকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়। তিনিই শক্তির সঙ্গে সম্প্রীতির মেলবন্ধন ঘটান।
মহাবিষুব আর জলবিষুবের দিন দুপুরবেলা মায়ান পিরামিডের ওপর সূর্যের আলোতে তৈরি হয় ছায়ার লেজ। সারা বছর কেবল মাথা নিয়ে বসে থাকা কুকুলকান মূর্তি পেছনের সিঁড়িতে খাঁজকাটা সর্পিল শরীর ফিরে পায়। বছরে মাত্র দু বার। কাঠপাহাতরু— দৈব্য গাছ। তামিল ভাষায় তালগাছের এই নাম। এই দৈব্য ফলও পাকে শরৎকালে। ভাদ্র মাসে খাওয়া চাই তাল। নইলে পরে জুটবে নাকো অন্ন-নুন–ডাল।
শরৎকালেই তাঁতীরা পালন করেন বিশকরম ব্রত আর ভারতবর্ষে হয় বিশ্বকর্মা পূজা। দিন ছোট হয়েছে। আলো কম তাই কৃষিরও গতি কমেছে। হাতের কাজ, কারিগরি আর কুটির শিল্পের সবচেয়ে ভালো সময় এখন। সময়ের শুরুতেই তাই কারিগরের দেবতা বিশ্বকর্মার পূজা করে নিতে হয়। সাতক্ষীরায় শরৎকালে হয় গুড়পুকুরের মেলা। তাতে বিধবা নারীরা বেহুলার গান করে প্রণামি নেন। বরিশাল-কুয়াকাটা-খুলনা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে চলে মনসা বন্দনা। চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার জেলেরা এ দিন কবিগান করেন। তার নাম পাল্টামনসা। টাঙ্গাইল-জামালপুরে হয় ওঝাদের ভাসান গান। সিলেট-মৌলভীবাজার-রাঙামাটি-বান্দরবানের চা বাগানে চলে বিষহরি বন্দনা।
মহিষের শিঙের বাঁশিতে আচ্ছিক মান্দি আর মান্দিরা মেঘালয় থেকে মধুপুর অবধি জুড়ে যায় শারদ বিষুবে। গ্রীষ্মের ফসল তোলার পর ‘মিশি শালজঙ’ কে কৃতজ্ঞতা জানাতে তিন দিনের ওয়ান্না বা ওয়ানগালা পালন করে গারো আদিবাসীরা। ওঁরাও, সাঁওতাল, মুন্ডা, কোল, কড়া—এসব আদিবাসীদের গ্রামে এখন চলছে ভাদুই আর কারাম ব্রত। প্রবীণ কারাম বৃক্ষকে সাক্ষী রেখে সহস্র বছরের বিবর্তনশীল সামাজিক জ্ঞানধারা মাদলের বাদ্যে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ছে।
শরৎকালে আউশ ধান কাটতে কিষাণিরা গান আউশের জারি। ওপারে হাজারদুয়ারী প্রাসাদের সামনে তোপখানা থেকে কামানদাগা মাত্রই দড়ি কাটে। বাঁশ ও কলাগাছের ভেলা চলতে থাকে হেলেদুলে। মুর্শিদাবাদের লালবাগ থেকে মহীনগর পর্যন্ত ভাগীরথী আর গঙ্গার তীর আলোকময় হয়ে ওঠে খিজিরের নামে। এপারে চাঁদপুরের বেলতলি, ঢাকার মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া, মানিকগঞ্জ আর আড়িয়াল বিলের মানুষও পানির পীর খোয়াজ খিজিরের বেড়া ভাসান। শীত জুড়ে যেন ঠিকঠাক পানি পাওয়া যায়।
বেহুলার ভেলা কিংবা খিজিরের বেড়া— দুইই যেন কোনো ধারাবিনাশী বাঁধে না আটকে ঠিকঠাক পৌঁছে যায় অন্যলোকে। বর্ষার বানে আমাদের নদীরা যেন ততখানি মুক্তধারা হয়। এই তো চাওয়া শরতের।
আশ্বিনে রান্দে কার্তিকে খায়।
যে বর মাগে সেই বর পায়।
গাসসি, গাড়ু সংক্রান্তি বা গারু হারকাইন। আশ্বিন মাসের শেষদিন ভাত-তরকারি রান্না করে রেখে দেয়া হয়। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাটা নিমপাতা-হলুদ-গিলা-মেথি-মেহেদি শরীরে মেখে গোসল করা হয়। ভেজা গায়ে উঠানে বসে বেতের ডাটি, পেরেক, কাচা হলুদে কামড় দিতে হয়। বাসি ভাত-তরকারি খাওয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয় আচার। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর চারিদিকে চর্মরোগ ও পেটের রোগের উপদ্রব দেখা দেয়। সমাজের সকলে মিলে প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক উপাদান গ্রহণের আচারই হয়ে উঠেছে গাসসি উৎসব।
পানিতে গেরস্তের উনুনও ডুবে ছিল হয়তো। তাই শুক্লা পঞ্চমীতে উনুনকে ঘিরে চলে মঙ্গলকামনা। উনুনের ভেতর ধানগাছ ও কচু রেখে, সিঁদুরের তিনটি ফোঁটা দেওয়া হয়। আলপনা দিয়ে সাজানো হয় পাকঘর। আগের দিনে সেরে নেওয়া হয় সমস্ত রান্নাবান্না। পরদিন বাড়ির নারীরা সেসব ধান-কচুগাছ তুলে পুকুরে বিসর্জন দিয়ে শেষ করেন আখা পালনী ব্রত।
ভাদ্র মাসে কম করে ১৫ দিন স্বামীদের মুখ দেখবে না স্ত্রী। তাতে অমঙ্গল। আবার এ মাসে মামীর হাতে ভাত খেলে বাকি মাস ভালো থাকা যায়। এই ভাদর কাটানী করতে তাই ছেলেমেয়ে নিয়ে গৌরিরা চলেন নাইওরে। পকেটে তখন সদ্য পাট বেচা, আখ বেচা টাকা, শীতের বীজ বুনতেও ঢের বাকী। মায়ের বাড়ি যাওয়ার এর চেয়ে ভালো সময় আর কী!
শরৎকালে বঙ্গদেশে জলবিষুব পালন হয় নবপত্রিকার পূজা দিয়ে। বর্ষার জল থেকে মাথা তুলে দাঁড়ানো নতুন পাতাদের এই মহা পূজায় এসে একদিন মিলে গেলেন বসন্ত বিষুবের এক দেবী। শারদ বিষুবের দিন বাসন্তী বিষুবের দেবী মাহাত্ম্য উচ্চারণে তার নাম হলো অকাল বোধন। অ–রণ্যে প্রবেশ করল কৃষি সমাজ। সে গল্প অন্যদিন।
সকলকে শুভ শারদীয়া..
লেখক ও গবেষক : নুসরাত জাহান।
এবারের শারদীয় 🪷 দুর্গাপূজো 🪷 উৎসব 🪷 তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশী হিন্দু কমিউনিটি কর্ক আয়ারল্যান্ডের আয়োজনে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম 🙏🙏🙏
সম্মানিত সুধীজন,
বাংলাদেশী হিন্দু কমিউনিটি কর্ক তৃতীয়বারের মতো এবারও হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্র মতে পাঁচদিনের দুর্গাপূজা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে। আসুন আমরা সবাই মিলে জগতের সুখ ,সমৃদ্ধি ও শান্তি আনয়নের উদ্দেশ্যে দুর্গা মায়ের আরাধনায় মিলিত হই । বিগত বছরগুলোতে যেভাবে আপনারা আমাদের সাথে থেকে প্রতিটি দিন ও ক্ষণকে সুন্দর ,আনন্দঘন ও স্মৃতিময় করে তুলেছিলেন, এবছরও ঠিক সেভাবে আমাদের সাথে সম্মিলিতভাবে এ উৎসবকে আরো প্রাণবন্ত ও জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলবেন সেই প্রত্যাশা রাখছি। মা দুর্গা আমাদের সহায় হোন। জয় মা দূর্গা।🙏🙏
এ এক অন্য রকম অনুভূতি
যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়.....🪷🪷🪷🪷🪷🪷
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের উপর হামলা,বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ সহ অমানবিক নির্যাতন করছে । দেশের প্রত্যেকটি জেলায় কোথাও না কোথাও হিন্দুদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে তারা। তাদের এই অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিয়েছেন। অনেকে ইতোমধ্যে দেশ ত্যাগও করেছেন।
𝐖𝐞 𝐃𝐞𝐦𝐚𝐧𝐝 𝐒𝐚𝐟𝐞𝐭𝐲 𝐎𝐟 𝐁𝐚𝐧𝐠𝐥𝐚𝐝𝐞𝐬𝐡𝐢 𝐇𝐢𝐧𝐝𝐮𝐬 ✊
✅
✅
✅
✅
✅
✅
✅
✅
✅
✅
✅
✅ ✅ ✅ ✅ ✅
✅
✅
We want justice, we want peace, we want our country as well as our people to be safe for us🍂
আমরা কিন্তু এসে পরছি
আর মাত্র ৭ দিন বাকি আছে
জয় জগন্নাথ স্বামী🙏🙏
অপেক্ষাটাই আনন্দের !! 😌❤️
Bengali's emotion, love & excitement for Durga Puja will be never end! 🦋❤️
✨শ্রীশ্রী নৃসিংহ চতুর্দশীর মাহাত্ম্য.... যা পাঠ বা শ্রবণ মাত্রই অনন্ত ফল লাভ হয়.........
শ্রীশ্রী নরসিংহায় নমঃ..........🙏🙏🙏
সুপ্রিয় গৌরভক্তবৃন্দ
আগামী,
২৮ই মধুসূদন, ৫৩৮ গৌরাব্দ
৮ই জৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২ মে, ২০২৪খ্রিস্টাব্দ
বৈশাখ মাসের শুক্লা চতুর্দশীতে ভগবান শ্রীনৃসিংহদেব তাঁর পরম ভক্ত প্রহ্লাদ মহারাজকে রক্ষাহেতু এ ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এ বছর সেই দিনটি পড়েছে আগামী ২২ মে, রোজ বুধবার।
সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্জলা উপবাস।।
#পারন :-
★(বৃহস্পতিবার ৫.২৬ থেকে ৯.৫২ এর মধ্যে )
জয় শ্রীনৃসিংহদেব!!
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, নৃসিংহ_চতুর্দশী,,,,,,,,,,
🌹শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশীর ব্রত মাহাত্ম্যঃ 🌹
১নৃসিংহ চতুর্দশী=১০০০ একাদশী= ১০০০০০০ দূর্গাষ্টমী।
আগামী, ০৪/০৫/২০২৩ বৃহস্পতিবার অতি পুণ্যফলদায়ক অবশ্য পালনীয় শ্রীশ্রী নৃসিংহ চতুর্দশী। মহাদেব শিবজী, ব্রহ্মাজী, দূর্গাদেবীসহ দেবলোকের সকল দেবদেবীগণ নিষ্ঠাভরে নৃসিংহদেবের এই উপবাস করেন। ১০ লক্ষ দূর্গাষ্টমী ব্রত করলে যে ফল হয়, ১০০০টি একাদশী ব্রত প্রভাবে যে ফল হয়, শুধুমাত্র ১টি নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত করলে সে ফল হয়।
যেখানে শিব, ব্রহ্মা, কালীসহ সকল দেবদেবীই এই নৃসিংহদেবের চতুর্দশী উপবাস করেন সেখানে আমি আপনি সাধারণ মানুষের তো কথাই নেই। তাই নৃসিংহদেবের অহৈতুকী কৃপালাভ থেকে বঞ্চিত না হতে কেউই আগামীকাল মহামঙ্গলময় উপবাস না থাকার কথা ভুলেও ভাববেন না। কেউ যদি একাদশী বা অন্য কোনো ব্রত নাও করে থাকেন অন্তত এই নৃসিংহ চতুর্দশীতে কৃপা করে গোধূলি (সন্ধ্যার কিছু আগে) পর্যন্ত উপবাস করুন এবং প্রতিবছরের জন্য এই মহাপবিত্র দিনে উপবাস থাকা বাধ্যতামূলক করে রাখুন। কেননা এই ব্রত শুধুমাত্র নৃসিংহদেবের ভক্তরা নয়, সাধারণ মানুষ সবাই করতে পারবে। গোধূলির পর অনুকল্প মহাপ্রসাদ (ফলমূল) খাওয়া যাবে। পরদিন যথাসময়ে পারণ করতে হবে।
বৃহৎনারদীয়সিংহ পুরাণে ভগবান শ্রীনৃসিংহদেব পরম ভক্ত প্রহ্লাদকে বললেন-
বর্ষে বর্ষে তু কর্তব্যং মম সন্তুষ্টি কারণম।
মহা গুহ্যমিদং শ্রেষ্ঠং মানবৈর্ভব ভীরুভিঃ।
অনুবাদঃ প্রতি বছর আমার সন্তুষ্টি উদ্দেশ্যে নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত্য কর্তব্য। জন্ম-মৃত্যুময় সংসার ভয়ে মানুষ এই পরম গোপনীয় ও শ্রেষ্ঠ ব্রত পালন করবে।
বৈশাখ মাসের শুক্লা চতুর্দশীতে শ্রীনৃসিংহদেব আবির্ভূত হয়েছিলেন, তাই এই তিথিতে ব্রত পালন পূর্বক তার পূজা ও উৎসব করতে হয়।
শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, আমার ব্রতদিন জেনেও যে ব্যক্তি লঙ্ঘন করে, চন্দ্র-সূর্য যতদিন থাকবে ততদিন নরক যাতনা ভোগ করবে। যদিও আমার ভক্তরা এই ব্রত করে থাকে তবুও প্রত্যেকের এই ব্রতে অধিকার আছে।
প্রহ্লাদ বললেন, হে ভগবান, হে নৃসিংহ রূপ, হে সকল দেবগণের আরাধ্য প্রভু আপনাকে প্রণাম জানাই।
আমি জিজ্ঞাসা করছি, হে প্রভু, তোমার প্রতি আমার ভক্তি কিরূপ উৎপন্ন হল? কিরূপ আমি তোমার প্রিয় ভক্ত হলাম?
শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, হে বুদ্ধিমান একান্ত মনে শোনো। প্রাচীন কল্পে তুমি ব্রাহ্মণ ছিলে, কিন্তু বেদপাঠ করনি। তোমার নাম ছিল বসুদেব এবং তুমি ছিলে বেশ্যাসক্ত। তোমার কোন সুকর্ম ছিল না, কেবল একটি মাত্র আমার ব্রত করেছিলে। সেই ব্রত প্রভাবে তোমার এরকম আমার প্রতি ভক্তি হয়েছে।
প্রহ্লাদ বললেন, হে নৃসিংহ, হে অচ্যুত, হে প্রভু, আমি কার পুত্র হয়ে কি করতাম? বেশ্যাসক্ত অবস্থায় কিভাবে তোমার ব্রত করলাম? দয়া করে বলুন।
শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, ""পুরাকালে অবন্তীপুরে এক বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ ছিল। তার নাম ছিল বসুশর্মা। ধর্মপরায়ণ ও বৈদিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানে তৎপর। তার ভার্যা জগৎ প্রসিদ্ধা সুশীলা পতিব্রতা সদাচারিণী। তাদের পাঁচ পুত্র ছিল। চারজন ছিল সদাচারী, বিদ্ধান, পিতৃভক্ত। কিন্তু কনিষ্ঠ পুত্রটি ছিল অসদাচারী, সর্বদা বেশ্যাসক্ত, সুরাপায়ী। সেই কনিষ্ঠ পুত্রটি ছিলে তুমি। নিত্য বেশ্যাগৃহেই তুমি বসবাস করতে। এক বনমধ্যে তুমি ও সেই তোমার বান্ধবী বেড়াতে গিয়েছিলে। তোমরা মনে করেছিলে দিনটি বেশ ভালোই কাটবে। কিন্তু তোমাদের নিজেদের মধ্যে চরিত্র বিষয়ে বিশেষ রকমে কলহ বেধে যায়। তোমাদের মধ্যে মনোমালিন্যের কারনে মৌনভাবে তোমরা আলাদাভাবে একটি স্থানে এসে বসেছিলে। সেখানে তুমি অতি পুরানো ধ্বংসাবশেষ গৃহ নিদর্শন স্বরূপ কিছু ইট পাথর দেখেছিলে। সেই নির্জন স্থানে আলাদাভাবে উপবেশন করে তোমরা দুইজন ক্রন্দন করছিলে আপন আপনভাবে। সারাদিন তোমরা
অনাহারী ছিলে, এমনকি জল পর্যন্ত পান করনি। সারারাতও তোমরা জাগরিত ছিলে। ক্লান্ত শরীরে দুঃখিত অন্তরে মনোমালিন্য ভাবে তুমি সেখানে শুয়ে পড়ে প্রার্থনা করছিলে,
‘"হে ভগবান, হে শ্রীহরি, এই জগতের কত লোক সুন্দর! আমার মা-বাবা কত সুন্দর ধর্মপ্রাণ। আমার ভাইয়েরা কত সুন্দর। তাঁরা নিষ্ঠাবান, চরিত্রবান। কিন্তু আমি অধঃপতিত। আমি মহা মন্দমতি। আমি চরিত্রহীন। পথের পাগলের চেয়েও অধপতিত। হে ভগবান, ভাল লোকেরা তোমার শরণাগত। আমি মূর্খ। কারো শরণাগত নই। আমি নিঃসঙ্গ। আমি বড় অসহায় অবস্থায় তোমার কাছে প্রার্থনা করছি, হে ভগবান, আমাকে বিশুদ্ধ জীবন দান করো।"
এভাবে তুমি ক্রন্দন করছিলে। আর তোমার বান্ধবী, সেও একান্ত মনে প্রার্থনা করছিল, "হে ভগবান, আমি এই সমাজের মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য স্তরের জীব। সভ্য সমাজ থেকে আমি বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্ন। এই জগতে অনেক নিষ্ঠাবতী সাধ্বী সুন্দরী নারী রয়েছে। আর আমি মহাপাপী গণিকাবৃত্তি করেই জীবন নষ্ট করেছি। প্রতিদিনই কেবল পাপের বোঝা বাড়িয়েছি। নরকযাতনা কতই না এই পোড়া কপালে অপেক্ষা করছে। ভদ্র সমাজে কেউ কোনওদিন আমাকে তাকাতেও চায় না। আমিও এই জগতের কোনও পথ খুঁজে পাই না। হে পরম করুণাময় নৃসিংহদেব ভগবান, যদি তোমার অহৈতুকী
কৃপাদৃষ্টি আমার প্রতি থাকে তবে দয়া করে আমার এই জীবন পরিবর্তন করে দাও।" এভাবে সে আকুল অন্তরে ক্রন্দন করতে লাগল।""
ভগবান শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, ""হে প্রহ্লাদ, সেই স্থানটি ছিল আমার প্রাচীন মন্দির। সেই দিনটি ছিল বৈশাখ মাসের শুক্লা চতুর্দশী- আমার আবির্ভাবের দিন। তোমরা উপবাসী ছিলে, রাত্রি জাগরণ করেছিলে, জীবনের কল্যাণ প্রার্থনা করেছিলে। অর্থাৎ অজ্ঞাতসারেই তোমরা আমার পরম-মঙ্গলময় চতুর্দশী ব্রত পালন করেছিলে। সেই ব্রত প্রভাবে তুমি এ জন্মে আমার প্রিয় ভক্তরূপে জন্মগ্রহণ করেছ। আর সেই বেশ্যাও এই ব্রত প্রভাবে স্বর্গলোকে অপ্সরা জীবন লাভ করে ত্রিভুবনে সুখচারিণী হয়েছে।
হে প্রহ্লাদ! আমার ব্রতের প্রভাব শোনো। সৃষ্টিশক্তি লাভের উদ্দেশ্যে ব্রহ্মা আমার এই চতুর্দশী ব্রত পালন করেছিলেন। ত্রিপুরাসুরকে বধের উদ্দেশ্যে মহাদেব এই ব্রত করেছিলেন, স্বর্গসুখ লাভের জন্যই দেবতারা আগের জন্মে আমার ব্রত করেছিলেন।
যে সমস্ত মানুষ আমার এই ব্রতশ্রেষ্ঠ পালন করবে, শতকোটি কল্পেও তাদের সংসার পুনরাগমন নেই। আমার ব্রত প্রভাবে অপুত্রক ভক্ত পুত্র লাভ করে,
দরিদ্র ধনশালী হয়, তেজস্কামী তেজঃলাভ করে,
রাজ্যকামী রাজ্য পায়, আয়ুস্কামী দীর্ঘায়ু লাভ করে,
স্ত্রীলোকেরা আমার এই চতুর্দশী ব্রত পালন করলে ভাগ্যবতী হয়, এই ব্রত সৎপুত্র প্রদ, অবৈধব্যকর ও পুত্রশোক বিনাশন,দিব্য সুখ প্রদ।
স্ত্রী-পুরুষ যারা এই উত্তমব্রত পালন করে, তাদের আমি সুখ ও ভুক্তি-মুক্তি ফল দান করি।
হে প্রহ্লাদ, দুরাত্মাদের আমার ব্রত পালনে মতি হয় না। পাপকর্মেই সর্বদা তাদের মতি।""
হে নৃসিংহদেব প্রভু, জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে করা সকল অপরাধ ক্ষমা করো ভগবান। হে ভগবান তোমাতে একান্ত ভক্তি প্রদান করো ভগবান ।
কৃপা করে সবাই নৃসিংহ ভগবানের চতুর্দশীর ব্রতের উপবাস থাকবেন।
নিচে দেখুন শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত পালনের নিয়ম,শ্রীনৃসিংহ দেবেন পছন্দের ভোগ, শ্রীনৃসিংহ অষ্টোত্তরশত নাম, শ্রীনৃসিংহ স্তুতি, কবচং,শ্রীনৃসিংহ লীলা।
আসছে সামনে........... #নৃসিংহ_চর্তুদশী।
#যে ১০০০/টা দূর্গাপুজা করলে যে পূণ্য হয়, একটা একাদশী ব্রত করলে সে পূণ্য হয়, কারণ দূর্গাপুজা যে ব্রত করা হয় সেটাকে ব্রত বলা হয়, আর কলিযুগে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু একাদশীকে মহাব্রত বলেছে। আর ১০০০/টা একাদশী ব্রত করলে যে পূ্ণ্য হয়, একটা নৃসিংহ চতূর্দশী কেউ ভক্তি ভরে করলে তার সেই পূণ্য হয়।
★উপবাস : গোধূলি লগ্নে শ্রীনৃসিংহদেবের অভিষেক। তারপর অভিষেকের চরণামৃত দিয়ে উপবাস ভেঙ্গে একাদশীর ন্যায় অনুকল্প প্রসাদ গ্রহণ করা যেতে পারে। অভিষেক করতে না পারলে বা নৃসিংহদেবের শ্রী বিগ্রহ বা চিত্রপট না থাকলে শ্রী নারায়ণ বিগ্রহ বা চিত্রপটে ভোগ নিবেদন করে (পঞ্চশস্য ব্যতীত একাদশীর মতো) প্রসাদ গ্রহণ করা যেতে পারে তবে নিজ্জলা ব্রতই উত্তম।
🙌🙌🙌যারা সদা গ্রহাদির পীড়ন ভোগ করছেন তারা নৃসিংহ চতুর্দশী তিথিতে উপবাস থেকে ১০৮ জোড়া তুলসীপাতা দ্বারা নৃসিংহ দেবের অষ্টোত্তর শতনাম (ছবিতে দেয়া আছে খেয়াল করুন) পাঠ করে চরণে অর্পণ করলে সমস্ত অপগ্রহাদির উপদ্রুব বিদূরিত হয়৷
📣এছাড়াও শ্রী ভবিষোত্তর পুরাণে রক্ষোভূবন মাহাত্ম্যে শ্রী শনৈশ্চরকৃত নৃসিংহ স্তুতি অর্থাৎ শ্রী শনিদেব নৃসিংহদেবের কাছে যে প্রার্থনা করেছিলেন তা পাঠ করতে পারেন।
শ্রী শনিদেব বললেনঃ
হে ভগবান নৃসিংহদেব, হে দয়ার সাগর, আমার প্রতি প্রসন্ন হোন। হে দেবদেব,আমার শনিবার যেন আপনার প্রিয় হয়। হে বিশ্বপাবন যে সমস্ত ভক্তরা আমার গ্রথিত এই স্তব শ্রবণ বা কীর্তন করেন তাদের সমস্ত বাসনা পূরণ করুন। হে ভক্তবৎসল ভগবান শ্রী নৃসিংহদেব আমাকে আপনার কৃপাদৃষ্টি প্রদান করুন।
এরপর ভক্তবৎসল ভগবান শ্রী নৃসিংহদেব🙏🙏🙏 বললেন- হে শনি তাই হোক। যেহেতু আমি বিশ্বরক্ষক (রক্ষভূবন),আমার ভক্তের সকল বাসনা পূরণ করি। আরো জানো ১২-৮ অবস্থানের গ্রহ বা অন্য কুসময়ে জন্মের দ্বারা যারা যৎপরোনাস্তি দুঃখ পেয়েই যাচ্ছে তারা যদি এটা পাঠ করে বা শুনে তার কোনো ভয় থাকবেনা।) কারো সম্পূর্ণ স্তব প্রয়োজন হলে কমেন্টে জানান অথবা ইনবক্সে জানাবেন)
🔔🔔চতুর্দশী তিথিতে ভগবান নৃসিংহ দেবকে এক বিশেষ প্রকার পানীয় নিবেদন করা হয় যাকে বলে পনকম্। এটি একটি সুস্বাদু পানীয় এবং এই পানীয় ভগবান রামচন্দ্রকে রাম নবমীতে এবং সর্ববিঘ্ন বিনাশক ভগবান নৃসিংহদেবকে নৃসিংহ চতুর্দশীতে নিবেদন করা হয়ে থাকে ।
নিচে পানাকাম বানানোর রেসিপি দেয়া হলোঃ-
চার কাপ ঠাণ্ডা জল
অর্ধেক চামুচ এলাচি ক্রাশ করা
এক চামুচ আদা রস
অল্প কেশর
একটি লেবু
এক বাটি গুঁড়
এই সবগুলো উপাদান এক সাথে মিশিয়ে তারপর ছেঁকে ভগবান নৃসিংহ দেবকে নিবেদন করতে পারেন।
বি.দ্রঃ-ভক্তসংখ্যানু্যায়ী উপকরণের পরিমাণ বাড়বে।
🔔🔔এছাড়া আলু ছোট করে টুকরো করে বাদাম দিয়ে এক বিশেষ ভোগ দিতে পারেন (তেলের ক্ষেত্রে ঘৃত বা সূর্যমুখী ব বাদাম তেল অথবা নরমালি ভাজা বাদাম)।
🔔🔔 #পারন:পরের দিন সকালে ভগবানের নিবেদিত প্রসাদ গ্রহণ একান্তই বাঞ্ছনীয়।
জেনে নিন
🔔🔔 #নৃসিংহ চতুর্দশী কী?
কেন_শ্রীনৃসিংহদেবের_চতুর্দশী_ব্রত_পালন_করব
ও মাহাত্ম্য কি ?
🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿🌿
করবেন তো? নিজে করুন এবং অন্যকে করতে বলুন
শ্রীশ্রীনৃসিংহের ধ্যান মন্ত্র :-
ওঁ মাণিক্যাদ্রিসমপ্রভং নিজরুচা সন্ত্রস্তরক্ষোগণং,
জানুন্যস্তকরাম্বুজং ত্রিনয়নং রত্নোল্পসদ্ভূষণম্ ।
বাহুভ্যাং ধৃতশঙ্খচক্রমনিশং
দংষ্ট্রোগ্রবক্ত্রোল্পসজ্জ্বালাজিহ্বমুদারকেশরচয়ং বন্দে নৃসিংহং বিভূম্।।
শ্রীশ্রীনৃসিংহের মন্ত্র :-
ওঁ উগ্রং বীরং মহাবিষ্ণুং জ্বলন্তং সর্বতোমুখম্।
নৃসিংহং ভীষণং ভদ্রং মৃত্যোর্মৃত্যুংনমাম্যহম্।।
শ্রীশ্রীনৃসিংহ-গায়ত্রী মন্ত্র: -
ওঁ বজ্রনখায় বিদ্মহে তীক্ষ্ণদংষ্ট্রায় ধীমহি।
তন্নো নরসিংহ প্রচোদয়াৎ।।
ওঁ গুহ্যাতিগুহ্যগোপ্তী ত্বং গৃহাণাস্মৎকৃতং জপম্।
সিদ্ধির্ভবতু মে দেব ত্বৎপ্রসাদাৎ জনার্দ্দন ।
শ্রীনৃসিংহদেবের স্তব ও প্রণাম
নমস্তে নরসিংহায় প্রহ্লাদহ্লাদ-দায়িনে ।
হিরণ্যকশিপোর্বক্ষঃ শিলাটঙ্ক-নখালয়ে ।।
ইতো নৃ্সিংহঃ পরতো নৃ্সিংহঃ ।।
যতো যতো যামি ততো নৃ্সিংহঃ ।।
বর্হিনৃ্সিংহ হৃদয়ে নৃ্সিংহো ।
নৃ্সিংহমাদিং শরণং প্রপদ্যে ।।
তব করকমলবরে নখমদ্ভুতশৃঙ্গং
দলিতহিরণ্যকশিপুতনুভৃঙ্গম্ ।
কেশব ধৃত-নরহরিরূপ জয় জগদীশ হরে ।।
অনুবাদ– হে নৃসিংহদেব, আমি আপনাকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আপনি প্রহ্লাদ মহারাজকে আনন্দ দান করেন এবং পাথর কাটার ধারালো টঙ্কের মতো আপনার নখের দ্বারা আপনি হিরণ্যকশিপুর বক্ষ বিদীর্ণ করেছিলেন।
শ্রীনৃসিংহদেব, আপনি এখানে রয়েছেন এবং সেখানেও রয়েছেন, যেখানেই আমি যাই, সেখানেই আমি আপনাকে দর্শন করি। আপনি আমার হৃদয়ে এবং বাইরেও রয়েছেন। তাই আমি আদি পুরুষ, পরমেশ্বর ভগবান, শ্রীনৃসিংহদেবের শরণ গ্রহণ করি।
হে নৃসিংহদেব, আপনার পদ্মের ন্যায় হস্তে নখের অগ্রভাগগুলো অদ্ভুত এবং সেই হস্তে হিরণ্যকশিপুর দেহ ভ্রমরের মতো বিদীর্ণ করেছেন।
হে কেশব, আপনি নৃসিংহদেব রূপ ধারণ করেছেন, হে জগদীশ আপনার জয় হোক।
ওঁ ইতঃ পূর্ব্বং প্রাণবুদ্ধি দেহধর্ম্মাধিকারতো জাগ্রৎস্বপ্নসুষুপ্ত্যবস্থাসু মনসা বাচা হস্তাভ্যং পদ্ভ্যামুদরেণ শিশ্মা যৎ স্মৃতং যদুক্তং যৎ কৃতং তৎসর্ব্বং ব্রহ্মার্পণং ভবতু স্বাহা,
মাং মদীয়ং সকলং সম গশ্রীশ্রীনৃসিংহদেবতায়ৈ সমর্পয়ামি ওঁ তৎ সং।
ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু
ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু
ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু
ওঁ বিষ্ণু
ওঁ ঋচং বাচং প্রপদ্যে মনো যজূঃ প্রপদ্যে সাম প্রাণং প্রপদ্যে চক্ষুঃশ্রোত্রং প্রপদ্যে বাগৌজঃ সহৌজ ময়ি প্রাণাপানৌ।
ওঁ ষন্মে ছিদ্রং চক্ষুষোর্হৃদয়স্য মনসো বাতিতৃণ্নং বৃহস্পতিতে তদ্দধাতু।
শন্নো ভবতু ভুবনস্য যস্পতিঃ।।
ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ।
স্বস্তি নস্তাক্ষ্যো অরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতির্দ্দাধাতু।।
ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি।।
সবাই এই স্তব কয়েক বার পড়ুন (পাঠ করুন কীর্তন আকারে কীর্তন করুন) অনেক অনেক ভক্তি এবং পারমার্থিক শক্তি সঞ্চিত হবে।। যা এ সময়ে অকল্পনীয়।। জয় নৃসিংহদেব ভগবান কি জয়।।
🔔🔔শ্রীনৃসিংহদেবের স্তব
জয় নৃসিংহ শ্রী নৃসিংহ।
জয় জয় জয় শ্রীনৃসিংহ।।
উগ্রং বীরং মহাবিষ্ণুং
জ্বলন্তং সর্বতোমুখম্।
নৃসিংহং ভীষণং ভদ্রং
মৃত্যোর্মৃত্যুং নমাম্যহুম্।।
শ্রীনৃসিংহ জয় নৃসিংহ জয় জয় নৃসিংহ।
প্রহ্লাদেশ জয়পদ্মামুখ পদ্মভৃঙ্গং।।
অনুবাদ– জয় শ্রীনৃসিংহদেব, জয় শ্রীনৃসিংহদেব, শ্রীনৃসিংহদেবের জয় হোক! জয় হোক! জয় হোক! সর্বদিক প্রজ্জ্বলনকারী উগ্র বীর, মহাবিষ্ণু, যিনি মৃত্যুরও মৃত্যুস্বরূপ সেই ভীষণ ভদ্র শ্রীনৃসিংহদেবকে প্রণাম জানাই। প্রহ্লাদের প্রভু, পদ্মা অর্থাৎ লক্ষ্মীদেবীর মুখপদ্মের প্রতি ভ্রমর রূপ শ্রীনৃসিংহদেবের জয় হোক, শ্রীনৃসিংহদেবের জয় হোক, জয় হোক।
🔔🔔 #কেন_শ্রীনৃসিংহদেবের_চতুর্দশী_ব্রত_পালন_করব ?
'বৈশাখ মাসের এই শুক্লা চতুর্দশীতে শ্রীনৃসিংহদেব আবির্ভুত হন তাই এই দিনে ব্রতপালন পুর্বক ভগবান নৃসিংহদেবের পুজা ও উৎসব করা হয়।
শ্রীনৃসিংহদেব প্রহ্লাদ মহারাজকে বলেছেন, আমার ব্রতদিন জেনেও যে ব্যক্তি লঙ্ঘন করে, চন্দ্র-সুর্য যতদিন থাকবে ততদিবসে নরক যাতনা ভোগ করবে। তাই প্রত্যেকের এই ব্রত পালন করার অধিকার আছে।
#হিরণ্যকশিপুর কঠোর তপস্যা করে ব্রহ্মা তাকে দর্শন দেই ও তার কাছে বর চাইলেন, অমরত্ব বর।
কিন্তু ব্রহ্মা বললেন হে হিরণ্যকশিপুর তুমি যে বর চেয়েছ সেটা আমি দিতে পারব না, কারণ আমি নিজেই অমরত্ব না, তাই তুমি এমন বর চাও যা আমি দিতে পারব, তখন হিরণ্যকশিপুর চিন্তা করল আমি এমন বর চাইব যা আমাকে কেউ হত্যা করতে পারবে না, তখন হিরণ্যকশিপুর বর চাইতে লাগলেন যে,,হে শ্রেষ্ঠ বরদাতা, আপনি যদি অামার অভীষ্ট বরই দান করতে চান, তবে এই বর দেন যাতে আপনার কোন সৃষ্টির কোনও প্রাণী বা পথে, ঘাটে,দিনের বেলা,রাতের বেলা, ঘরে, বাইরে,জল, ভূমি,বা আকাশে, কোনও পশু,বা কোনও অস্ত্রের দ্বারা এসবের দ্বারা আমাকে বধ করতে না পারে,, বা ব্যাধিগ্রস্ত বা জরাগ্রস্ত না হই,,ব্রহ্মা বলল তথাস্তু।তারপর শুরু হল হিরণ্যকশিপুরের অত্যাচার দেবতাদের ওপর। তখন ভগবানের লীলা শুরু হল তার শুদ্ধ ভক্তের ম্যাধমে প্রহল্লাদ মহারাজ। তাই ভগবানের ভক্ত আবির্ভূত হয়ে প্রহল্লাদ মহারাজ বিষ্ণুদেবের অারাধনা করছিল,
#তখন তার পিতা তাকে বলত লাগে তোমার ভগবান, কে?? ? সে বলত আমার ভগবান বিষ্ণুদেব, তখন হিরণ্যকশিপু ক্ষীপ্ত হয়ে বলতে লাগল যে আমি তোমার জন্মদাতা পিতা তাই আমি তোমার ভগবান,, কিন্তু প্রহল্লাদ বলল না তুমি আমার ভগবান না,আমার ভগবান বিষ্ণুদেব তিনি জগতপালক শ্রীহরি তিনি জগতের পিতা ও বিধাতা তুমি,ত কেবল আমর এই জড়জগতের পিতা, আর বিষ্ণুদেব আমার নিত্য পিতা,,তখন হিরণ্যকশিপুর তার ছেলেকে পাহাড় থেকে ফেলে দেই, হাতির পায়ের নিচে দেই,জলন্ত অগ্নিতে নিহ্মেপ করে আর প্রহল্লাদ শুধু তার প্রভু বিষ্ণুদেবকে শরণ করতে থাকে।কথায় আছে না,(যে মারে কৃষ্ণ রাখেকে, রাখে কৃষ্ণ মারেকে) ভগবান যদি চাই তাহলে পৃথিবীর কোন শক্তি তাকে হত্যা করতে পারবে?? না। তাই যখন কোন কিছুর দ্বারা সম্ভব হল না তখন প্রহল্লাদকে কারাগারে নিহ্মেপ করল শিকল দিয়ে বেধে রাখল আর মারতে লাগল আর প্রহল্লাদ শুধু শ্রীহরিকে ডাকতে লাগল তখন হিরণ্যকশিপুর এসে বলল আজ তোকে কে বাচাই দেখী তোর ভগবান কোথায়?????
তখন বৈকুণ্ঠধামে মা লহ্মীদেবী বলল হে প্রভু এখন কি হবে প্রহল্লাদকে কে রহ্মা করবে হিরণ্যকশিপুর, ত অমরত্ব মত বর লাভ করেছে তাকে কে হত্যা করবে? তোমার ভক্তকে রহ্মা করবে কে????,
তখন ভগবান বলেন যে অমরত্ব মত বর পেয়েছে কিন্তু অমর না আর প্রহল্লাদকে রক্ষা করবে তার ভক্তি, তার ভক্তি তাকে হিরণ্যকশিপুর হাত থেকে রক্ষা করবে,,,,,
তখন হিরণ্যকশিপুর বলল তোর ভগবান কি এখানে আছে প্রহল্লাদ বলল হা আমার প্রভু সর্বত্র বিরাজমান এখানেও আছে, এই বলে হিরণ্যকশিপুর সে ঘরের চৌকাঠে পিলারে আঘত করতে লাগে, তখন হঠাৎ সে স্তম্ভ থেকে বের হয়ে আসে ভক্তের ভগবান শ্রীহরি ভগবান বিষ্ণুদেব তখন হিরণ্যকশিপুর বর অনুসারে তাকে বধ করতে লাগলেন,,যে ঘরেও না বাইরেও না ঘরের চৌকাঠে কোন নর না পশুও না কিন্তু অর্ধেক পশু ও মানুষ নরসিংহ, কোন অস্ত্রের দ্বারা না, কিন্তু নখের দ্বারা বধ করা হয়েছে, সকালে না রাতেও না,কিন্তু গোধূলি লগ্নে অর্ধেক দিনও রাত মানে সন্ধায়, জলেও না মাটিতে না আকাশেও না,কিন্তু হাটুতে রেখে নখের দ্বারা বধ করে তাহলে চিন্তা করে দেখেন প্রভুর লীলা জগতেকে বোঝতে পারে যে ভক্তের ডাকে ভগবান তার ভক্তকে যেকোন উপায়ে রক্ষা করে এমন কি ভগবানের এই রুপ দেখে দেবতারা ও ব্রহ্মান্ড কেপে ওঠে এ কি রুপ হঠাৎ এই রুপের আবির্ভাব কেউ বোঝতে পারেনি,ভগবানের এই রুপকে দেবতারাও পর্যন্ত শান্ত করতে পারেনি তখন দেবতারা বলল একমাত্র একজন পারে সে তার ভক্ত প্রহল্লাদ তখন প্রহল্লাদ প্রভুর কাছে স্তব, প্রার্থনা করতে লাগে তখন প্রভু ভক্তের প্রার্থনাই শান্ত হয় ও তাকে কোলে তোলে নেই ও প্রভু বলে হে ভক্ত প্রহল্লাদ আমি তোমাকে দর্শন দিয়েছি এখন তুমি কি বর চাও প্রার্থনা কর আমার কাছে আমি তোমাকে বর দেব,তখন ভক্ত কি আর কিছু চাওয়ার আছে যে জগতের প্রভু তার সামনে তবুও ভগবান বলল তুমি একটা বর চাও যেহেতু আমি তোমার সামনে প্রকট হয়েছি তখন ভক্ত প্রহল্লাদ বলতে লাগল প্রভু তুমি আমার পিতাকে মুক্তি দাও যেহেতু তিনি আমার জড়জগতে পিতা,,তখন ভগবান বলল হে ভক্ত প্রহল্লাদ তথাস্তু কিন্তু তোমার শুধু এই পিতা মুক্তি লাভ করবে না যে গৃহে তোমার মত শুদ্ধ বৈষ্ণব ভক্ত হবে তার, ২১/কোল আপনা থেকে উদ্ধার হবে, পিতৃকুল ১০/কোল,মাতৃকুল ১০/কোল, ও নিজের এক কোল মুক্তি লাভ করবে।
প্রহ্লাদ মহারাজ ভগবান শ্রীনৃসিংহদেবের কাছে প্রার্থনা করে বললেন,
''হে অনাদিরাদি, হে নৃসিংহদেব, হে সকল দেবগণের আরাধ্য প্রভু, আপনাকে প্রণাম জানাই।
হে প্রভু ,''আপনি কৃপা করে বলুন আপনার প্রতি আমার ভক্তি কিরুপে উৎপন্ন হল? কিরুপে আমি আপনার প্রিয় ভক্ত হলাম ?''
শ্রীনৃসিংদেব বললেন,, হে প্রহ্লাদ, হে বুদ্ধিমান একান্ত মনে শোনো। প্রাচীন কালে তুমি ব্রাহ্মণ ছিলে, কিন্তু বেদপাঠ করনি। তোমার নাম ছিল বসুদেব এবং তুমি ছিলে বেশ্যাসক্ত। তোমার কোন সুকর্ম ছিল না। কেবল একটি মাত্র আমার ব্রত করেছিলে। সেই ব্রত প্রভাবে তোমার এরকম আমার প্রতি ভক্তি হয়েছে।।
প্রহ্লাদ বললেন, '' হে নৃসিংহদেব, হে অচ্যুত, হে প্রভু, আমি কার পুত্র ছিলাম এবং কি করতাম ?
বেশ্যাসক্ত অবস্হায় কিভাবে আপনার ব্রত পালন করলাম ?
দয়া করে বলুন।
শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, 'পুরাকালে অবন্তীপুরে এক বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ ছিল। তার নাম ছিল বসুশর্মা। ধর্মপরায়ণ ও বৈদিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানে তৎপর ছিলেন। এবং তাঁর স্ত্রী জগৎপ্রসিদ্ধা সুশীলা পতিব্রতা সদাচারিণী ছিলেন। তাদের পাঁচ পুত্র ছিল। চারজন ছিল সদাচারী, বিদ্বান, পিতৃভক্ত। কিন্তু কনিষ্ঠ পুত্রটি ছিল অসদাচারী, সর্বদা বেশ্যাসক্ত,সুরাপায়ী।
সেই কনিষ্ঠ পুত্রটি ছিলে তুমি। নিত্য বেশ্যাগৃহেই তুমি বসবাস করতে। এক বনমধ্যে তুমি ও তোমার সেই বান্ধবী বেড়াতে গিয়েছিলে। তোমরা মনে করেছিলে দিনটা বেশ ভালোই কাটবে। কিন্তু তোমাদের নিজেদের মধ্যে চরিত্র বিষয়ে বিশেষ রকমের কলহ বেধে যায়। তোমাদের মধ্যে মনোমালিন্যের কারণে মৌনভাবে তোমরা আলাদাভাবে একটি স্হানে এসে বসেছিলে। সেখানে তুমি অতি পুরনো ধ্বংসাবশেষ গৃহ নিদর্শন স্বরুপ কিছু ইট পাথর দেখেছিলে। সেই নির্জন স্হানে আলাদাভাবে উপবেশন করে তোমরা দুইজন ক্রন্দন করছিলে আপন আপনভাবে। সারাদিন তোমরা অনাহারী ছিলে, এমনকি জল পর্যন্ত পান করনি। সারারাতও তোমরা জাগরিত ছিলে। ক্লান্ত শরীরে দুঃখিত অন্তরে মনোমালিন্য ভাবে তুমি সেখানে শুয়ে পড়ে প্রার্থনা করছিলে, 'হে ভগবান, হে শ্রীহরি, এই জগতের কত লোক সুন্দর! আমার মা-বাবা কত সুন্দর ধর্মপ্রাণ। আমার ভাইয়েরা কত সুন্দর! তারা নিষ্ঠাবান, চরিত্রবান। কিন্তু আমি অধঃপতিত। আমি মহা মন্দমতি। আমি চরিত্রহীন। পথের পাগলের চেয়েও অধম।
হে ভগবান, ভালো লোকেরা তোমার শরণাগত। আমি মুর্খ তাই তোমার শরণাগত নই। আমি অতি নিঃসঙ্গ। আমি বড় অসহায় অবস্হায় তোমার কাছে প্রার্থনা করছি, 'হে ভগবান ! আমাকে বিশুদ্ধ জীবন দান করো। এভাবে তুমি ক্রন্দন করছিলে।
আর তোমার বান্ধবী,সেও একান্ত মনে প্রার্থনা করছিল, হে ভগবান,, আমি সমাজের মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য স্তরের জীব। সভ্য সমাজ থেকে আমি বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্ন। এই জগতে অনেক নিষ্ঠাবতী স্বাধ্বী সুন্দরী নারী রয়েছে। আর আমি মহাপাপী গণিকাবৃত্তি করেই জীবন নষ্ট করেছি। প্রতিদিনই কেবল পাপের বোঝা বাড়িয়েছি। নরকযাতনা কতই না এই পোড়া কপালে অপেক্ষা করছে। ভদ্র সমাজে কেউ কোনদিনও আমার দিকে তাকাতেও চায় না। আমিও এই জগতের কোনও পথ খুঁজে পাই না।
হে পরম করুনাময় ভগবান ! যদি তোমার অহৈতুকী কৃপাদৃষ্টি আমার প্রতি থাকে তবে দয়া করে আমার এই জীবন পরিবর্তন করে দাও! এভাবে সে আকুল অন্তরে ক্রন্দন করতে লাগলো।
শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, 'হে প্রহ্লাদ, সেই স্হানটি ছিল আমার প্রাচীন মন্দির। সেই দিনটি ছিল বৈশাখ মাসের শুক্লা চতুর্দশী আমার আবির্ভাবের দিন। তোমারা উপবাসী ছিলে, রাত্রি জাগরণ করছিলে, জীবনের কল্যাণ প্রার্থনা করছিলে। অর্থাৎ অজ্ঞাতসারেই তোমরা আমার পরম-মঙ্গলময় চতুর্দশী ব্রত পালন করেছিলে। সেই ব্রত প্রভাবে তুমি এ জন্মে আমার প্রিয় ভক্তরুপে জন্মগ্রহণ করেছ। আর সেই বেশ্যাও স্বর্গলোকে অস্পরা জীবন লাভ করে ত্রিভুবনে সুখচারিনী হয়েছে।
হে প্রহ্লাদ ! এবার আমার ব্রত মাহাত্ম্য শোনো
🔔🔔 👏 #শ্রীনৃসিংহ_চতুর্দশী_ব্রত_মাহাত্ম্যঃ-
─────────────────────
সৃষ্টিশক্তি লাভের উদ্দেশ্যে ব্রহ্মা আমার এই চতুর্দশী ব্রত পালন করেছিলেন।
ত্রিপুরাসুরকে বধের উদ্দেশ্যে মহাদেব এই ব্রত করেছিলেন, স্বর্গসুখ লাভের জন্যই দেবতারা আগের জন্মে আমার ব্রত করেছিলেন। বেশ্যাও এই ব্রত প্রভাবে ত্রিলোকে সুখচারিণী হয়েছে। যে সমস্ত মানুষ আমার এই ব্রতশ্রেষ্ঠ পালন করবে, শতকোটি কল্পেও তাদের সংসারে পুনরাগমন নেই। আমার ব্রত প্রভাবে অপুত্রক ভক্তপুত্র লাভ করে, দরিদ্র ধনশালী হয়, তেজস্কামী তেজঃলাভ করে, রাজ্যকামী রাজ্য পায়, আয়ুষ্কামী দীর্ঘায়ু লাভ করে। স্ত্রীলোকেরা আমার এই চতুর্দশী ব্রত পালন করলে ভাগ্যবতী হয়, এই ব্রত সৎপুত্রপ্রদ, অবৈধব্যকর ও পুত্রশোক বিনাশন, দিব্য সুখপ্রদ। স্ত্রী-পুরুষ যারা এই উত্তম ব্রত পালন করে, তাদের আমি সুখ ও ভুক্তি-মুক্তি ফল দান করি। হে প্রহ্লাদ, দুরাত্মাদের আমার ব্রত পালনে মতি হয় না। পাপকর্মেই সর্বদা তাদের মতি।রাবনের দাসমুক্ত হওয়ার জন্য শনিদেব আমার এই ব্রত পালন করেছে।
স্বর্গসুখ লাভের জন্যই দেবতারা আগের জন্মে আমার ব্রত করেছিলেন। যেমন, সেই বেশ্যাও এই ব্রত প্রভাবে ত্রিলোকে সুখচারিনী হয়েছে। ১০০০ টা একাদশী ব্রত পালনের যে ফল তা এই ১ টি ব্রত পালনে লাভ হয়ে থাকে।
👉👉👉শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত পালনের নিয়ম কি?
শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, বৈশাখী শুক্লা চতুর্দশী ব্রত পালনকারীরা পাপাচারীদের সঙ্গে কথা বলবে না, মিথ্যা আলাপ বর্জন করবে, স্ত্রীসম্ভাষণ বর্জন করবে, দ্যূতক্রীড়া ত্যাগ করে আমার রূপগুণলীলার কথা স্মরণ করবে। দুপুরে পবিত্র জলে স্নান করবে। তারপর ঘরে এসে গোময় দিয়ে মণ্ডপ লেপন করে অষ্টদলপদ্ম রচনা করবে। সেই পদ্মের উপর রত্নযুক্ত তামার কলসী বসাতে হবে। তার উপর চালভর্তি একটি পাত্র রাখতে হবে। চাউলের উপর লক্ষ্মীসহ নৃসিংহদেবকে স্থাপন করতে হবে।
কিংবা মণ্ডপে পবিত্রফুল সাজিয়ে তার উপর পঞ্চামৃতে লক্ষ্মীনৃসিংহকে স্নান করিয়ে পূজা আরম্ভ করতে হবে। আগে প্রহ্লাদের পূজা তারপর লক্ষ্মীনৃসিংহের পূজা। এই অভিষেক ও পূজা আরতি সন্ধ্যাকালে সম্পন্ন করতে হয়। নৃত্য গীত বাদ্য ও হরিনাম সংকীর্তন, নৃসিংহস্তুতি, নৃসিংহলীলা পাঠ কীর্তন পূর্বক রাত্রি জাগরণ এবং পরদিন সকালে স্নান সেরে যত্নসহ পূজা ও সকলের মঙ্গল প্রার্থনা করতে হয়। তারপর ব্রাহ্মণকে দক্ষিণা দান ও প্রসাদ সেবন করতে হয়। অপারগ লোকেরা কমপক্ষে সন্ধ্যার পর অনুকল্প প্রসাদ গ্রহণ করে থাকেন। রাত দশটা পর্যন্ত জেগে থাকেন। পরদিন মঙ্গল আরতিতে নৃসিংহস্তব করতে থাকেন।
👉 #জেনে_রাখুন_বৈষ্ণববৃন্দঃ
─────────────────
-🚩 সৃষ্টিশক্তি লাভের উদ্দেশ্যে ব্রহ্মা এই নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত পালন করেছিলেন,
-🚩 ত্রিপুরাসুরকে বধের উদ্দেশ্যে মহাদেব এই ব্রত করেছিলেন,
-🚩 স্বর্গসুখ লাভের জন্য দেবতারা শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত পালন করে থাকেন, এবং
-🚩 বেশ্যাও এই ব্রত প্রভাবে ত্রিলোকে সুখচারিনী হয়ে থাকেন।
📜 #যারা_পালন_করবেন_না_তাঁদের_উদ্দেশ্যেঃ
──────────────────────────
শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, "আমার ব্রতদিন জেনেও যে ব্যক্তি লঙ্ঘন করে, চন্দ্র-সূর্য যতদিন থাকবে ততদিন তাঁরা নরক যন্ত্রণা ভোগ করবে।"
♥শ্রীনৃসিংহ লীলা পর্ব♥
আজকের লীলা- ""ভক্তের দৃষ্টিশক্তি লাভ""
শ্রীধাম মায়াপুরে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে.....
#ভগবান নৃসিংহদেব ভয়ঙ্কর — তাই কি ?
বিশেষ করে মায়াপুর মন্দিরে মঙ্গলারতির সময় যখন সূৰ্যোদয়ের পূর্বে অন্ধকার থাকে , তখন যারা মায়াপুরের শ্ৰীনসিংহদেবের শ্ৰীবিগ্ৰহ দৰ্শন করেছেন তারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেন , তার মন্দিরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে কেমন ভয়ঙ্কর-রুপ প্ৰকাশিত হয় । তাতে ২০০টি তৈল প্ৰদীপের আলোয় তিনি উদ্ভাসিত হন। তখন তার চোখ এবং দাঁতগুলি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং সিংহের মতো উন্মুক্ত মুখগহ্বর দৰ্শন করা যায়।
মূল গৰ্ভমন্দিরে পূজারী বিশাল একটি কর্পূর এবং একটি ঘি-এর জ্বলন্ত প্ৰদীপ দিয়ে আরতি করেন। বাইরে অনেক ভক্ত তা দৰ্শনের জন্য ভীড় করে থাকেন, যেহেতু তারা জানেন, এই মঙ্গল আরতি খুব অল্পস্থায়ী মাত্ৰ তিন চার মিনিটের মধ্যেই সমাপ্ত হয়ে যায়। তাই ভক্তগন অধীর আগ্রহে নৃসিংহদেব ভগবানের বেদীতে অপেক্ষা করেন।
প্রথম দিকে নৃসিংহদেব ভগবানের পুজা-সেবার ভার শ্রীপাদ জননিবাস প্রভুর যমজ ভাই শ্রীপাদ পঙ্কজাঙঘ্রী দাস ব্রহ্মচারী প্রভুকে প্রধান পুজারী হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তার সহযোগী পুজারী হিসাবে অল্পবয়সী এক নবীন ব্রহ্মচারী ভবিসিদ্বি প্রভুকে বেছে নেন। কিন্তু ভবসিদ্বি প্রভু ভগবান নৃসিংহদেবকে ভীষন ভয় পেতেন। নৃসিংহদেবের প্রথম থেকেই লাল চক্ষু খোদাই ছিল যা ভাস্বর প্রান প্রতিষ্ঠা করার সময় লাগিয়েছিল। খুব উজ্জ্বল ভীতিকর চক্ষুদ্বয়।
তাই জননিবাস প্রভু এই ভীতির কারনে ভগবান নৃসিংহদেবের চক্ষু বদলিয়ে দুটো সাদা চক্ষু স্থাপন করেন।
কিন্তু এই চক্ষু বদল ভগবান নৃসিংহদেব মেনে নেননি।
গ্ৰীসের আত্মরতি দাসী ইসকনে ১৯৮০ সালে যোগদান করেন। তিনি সেই সময়ে শ্ৰীধাম মায়াপুরে বসবাস করছেন। তার স্বামীর নাম গোকুলানন্দ দাস এবং কন্যার নাম গৌরলীলা দাসী। আত্মরতি দাসীর কোন কারণে এক সময় চোখের দৃষ্টি অনেকটা ক্ষীণ হয়ে পড়ে। একদিন ভগবান নৃসিংহদেবের পরমভক্ত প্ৰহ্লাদ মহারাজ সমীপে কৃপা প্ৰাৰ্থনার সময় তিনি দেখতে পান শ্ৰীনৃসিংহদেব বলছেন, ''তার চোখ ফিরিয়ে দিলে আত্মরতির চোখ ভাল হয়ে যাবে''।
সংশ্লিষ্ট পূজারী ভবসিদ্বিকে এই ঘটনা জানালে ভগবান নৃসিংহদেবের চোখ পরিবর্তন করার কথা তিনি শ্রীপাদ জননিবাস প্রভুকে জানান।
জননিবাস প্রভু তার ভুল বুঝতে পেরে তার পরদিনই ফের সেই লাল চক্ষু লাগিয়ে দেন।
সেইদিন ভোরের মঙ্গল আরতিতে এসে আত্মরতি মাতাজী দেখেন তার চোখে কোন সমস্যা নেই বরং তিনি আগের চেয়ে অনেক ভাল দেখতে পারছেন।
তার একদিন পর ভবসিদ্বি তার বাঙ্কে ঘুমিয়ে ছিল, হঠাৎ তার বাঙ্কটি কেঁপে উঠল। সে ভাবল— সময় হয়ে গেছে, মঙ্গল আরতিতে যেতে হবে, তাই নীচে পূজারী শুয়ে থাকা বোধ হয় তাকে ডাকছে।
চোখ মেলে দেখে— শ্ৰীনসিংহদেব তার তার বিছানায় বসে। সেই ভাগ্যবান আতঙ্কিত পূজারী ওঠার চেষ্টা করতেই ভগবান তার দুইকাঁধ চেপে ধরেন। তার করদ্ধয় যেন ব্ৰহ্মাণ্ডের ভার বহন করছে।
ভগবান তাকে সাত্মনা দিয়ে বললেন— “ শান্ত হও! শান্ত হও! আমি তোমায় শুধু বলতে এসেছি যে, যখন তুমি মন্দিরে আমার সেবা কর, আমাকে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। এই ভয় ত্যাগ কর”।
তারপরেই তিনি অন্তর্হিত হলেন।
কিন্তু ভবসিদ্ধি চক্ৰভবনের বারান্দায় এক প্ৰান্ত থেকে অপর পান্ত পৰ্যন্ত ছুটোছুটি করতে থাকে। ভক্তরা তাকে জিজ্ঞাসা করবে— “কি হয়েছে ? ” — তারা কিছু অসংলগ্ন উত্তর পায়।
শেষে ভবসিদ্ধি ছুটে যায় নৃসিংহদেবের মন্দিরে এবং আকুতিভরে ভগবানকে সাষ্টাঙ্গ প্ৰণতি নিবেদন করে প্রার্থনা জানাতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে সে একটু শান্ত হয় এবং ঘরে ফিরে আসে। সে ভাবতে থাকে, কেন সবাই তার দিকে অজ্ঞতভাবে তাকিয়ে আছে। তারপর সে উপলব্ধি করে— তাইতো , সে রাতের পোশাক পরেই মন্দিরে গিয়েছিল।
তারপর গত গৌর-পূৰ্ণিময় ভবসিদ্ধির সাথে শ্রীপাদ পঙ্কজাঙঘ্রীর দেখা হয়েছিল— ও এখন আমেরিকায় থাকে। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। ও বলেছিল— “ হ্যা! আমার কাধে এখনও ভগবান নৃসিংহদেবের দুই হাতের চিহ্ন বৰ্তমান। যদিও অনেকটা মুছে গেছে , তবুও বোঝা যায়”।
সেই কেবল নৃসিংহদেবের দৰ্শন পেয়েছে তা নয়। এমন আরও অনেক ভক্ত ভগবান নৃসিংহদেবের দর্শন লাভ করেছেন...... (১)
হরেকৃষ্ণ ''জয় নৃসিংহ ভগবান কি... জয়!''
**শ্রীনৃসিংহ অষ্টোত্তরশত নাম**
প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা একবার হতেই পারে, ।
(১) ওঁ নরসিংহায় নমঃ
(২) ওঁ মহাসিংহায় নমঃ
(৩) ওঁ দিব্যসিংহায় নমঃ
(৪) ওঁ মহাবলায় নমঃ
(৫) ওঁ উগ্রসিংহ্যায় নম
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the establishment
Website
Address
Cork
C/o Meitheal Mara, Crosses Green House, Crosses Green
Cork, COCORK
Celebrating Ireland’s unique maritime heritage in the second largest natural harbour in the world
Civic Trust House, 50 Pope's Quay
Cork
Bringing a city to life with song since 1954!
Cork
Rebound Arts Festival is a three day multidisciplinary festival based in Cork City. As we bounce back, Rebound seeks to enliven and reclaim the spaces we inhabit, inspire participa...
Cork
The Ballycotton FAT Fest is a brand new annual event taking place in the small coastal town of Ballyc
Arts @ Civic Trust House, 50 Popes Quay
Cork, 021
2-6th October 2024
The Ahakista Community Association Cabin, Ahakista, Bantry, Co. Cork
Cork
Annual Ahakista Festival is run by Ahakista Community Association August Bank Holiday Weekend
Douglas Street
Cork, T12X70A
Festival featuring poetry and performers, taking place annually in Cork, Ireland each November. http://www.obheal.ie/winterwarmer
Schull
Cork, P81H952
The Festival will run from 22nd to 26th May 2024-www.fastnetfilmfestival.com
Cork
Cork Chinese New Year Festival for 2021 will celbrate the Year of The Ox on 13th February to 20th Fe
Mallow
Cork
The Mallow Arts Festival is organised by the Mallow Arts Collective, who aim to provide a number of different types of arts & cultural activities for the people of Mallow and surro...