DR. ARPAN SAHA

DR. ARPAN SAHA

You may also like

Homeo Health Care
Homeo Health Care

MBBS(Hons),WBUHS. Medical College Kolkata.
183rd Batch.

22/06/2023

মে '২০২২।

আমি ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় অনেক সময়ই ভারতীয় বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি (Indian Alternative Medicine )গুলোর সমালোচনা করে থাকি। এর কারণ, এই আলোচনা থেকে যাতে কিছুজনের কাছে অন্তত চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক বিজ্ঞানসম্মত বার্তা যায় এবং অজ্ঞতাবশত তাঁরা নিজের ও নিজের প্রিয়জনের অপূরণীয় ক্ষতি না করে ফেলেন। আজ সে রকমই একটা ঘটনার বা বলা ভালো হতাশাজনক মৃত্যুর কথা বলব,যা আমাকে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল,কারণ তিনি ছিলেন আমার দেখা প্রথম এমন একজন রোগিনী যাঁকে হাসাপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত দেখেছি।

রোগিনীর বয়স ছিল 50 বছর। স্তনে ঘা নিয়ে এক জেলা হাসপাতাল থেকে 'রেফার' হয়ে এসেছিলেন। যখন মেডিক্যাল কলেজে এসে ভর্তি হলেন তখন প্রচন্ড জ্বর আর ঘা থেকে পুঁজ বেড়াচ্ছিল। (যদিও সেই জেলা হাসপাতালেই তাঁকে প্রচুর antibiotic দেওয়ার পাশাপাশি অস্ত্রোপচারও করা হয়েছিল। ) সেই মহিলার ভর্তি হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর আবার অস্ত্রোপচার হয় এবং উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একাধিক antibiotic দিয়ে রাখা হয় (gram positive,gram negetive, anaerobic coverage )
'emperical antibiotic' হিসেবে। যদিও সেই রোগিনীর শারীরিক পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল এবং পুঁজের 'culture & sensitivity' পরীক্ষায় দেখা গেল তাঁর শরীরে আক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়া একমাত্র 'colistin' নামক antibiotic বাদে বাকি সব antibiotic এর বিরুদ্ধে নিজের অনাক্রম্যতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে,অর্থাৎ একমাত্র colistin বাদে বাকি কোনো অস্ত্রেই সেই ব্যাকটেরিয়াকে ঘায়েল করা সম্ভব নয়। অতএব শুরু হলো colistin নামক মহার্ঘ্য antibiotic দিয়ে আক্রমণ (বলা বাহুল্য সবটাই সরকারি খরচে ) এবং সেই সাথে নিয়মিত 'dressing'। তবুও সব চেষ্টা ব্যর্থ করে নয় দিনের মাথায় তিনি মৃত্যুর কাছে হার মানলেন।

আমরা এই ভাবে এতগুলো antibiotic এর প্রতি ব্যাকটেরিয়ার অনাক্রম্যতা (resistance) গড়ে তোলার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারি তিনি 'বাতের ব্যথা'র জন্য কোনো আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাশ করা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়ায় ওষুধের দোকানে বলে প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন antibiotic খেয়েছেন।কিন্তু ব্যথা কমেনি (কারণ বাতের ব্যথা কমাতে antibiotic এরকোনো ভূমিকা নেই,স্বাভাবিক ভাবেই ব্যথা কমেনি।) এর সাথে করিয়েছেন হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা তাতে নাকি 'ম্যাজিকে'র মতো ব্যথা কমে গিয়েছিল কিছুদিনের জন্য,যা থেকে আন্দাজ করা যায় সেই সমস্ত 'অবৈধ' ওষুধে বেশ কড়া যাত্রায় steroid ছিল। যার ফলে তাঁর শরীরের অনাক্রম্যতা ব্যবস্থা ভেঙে পরে আর ব্যাকটেরিয়ারাও বারবার বিভিন্ন antibiotic এর সামনে পরে প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে চেয়ে antibiotic এর প্রতি অনাক্রম্যতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।আর এই দুইয়ের ফলায় বিদ্ধ হয়েই তাঁর শারীরিক অবস্থার এত দ্রুত অবনতি হয়েছিল।

এতক্ষণ পড়ে হয়তো আপনি ভাবলেন সেই মহিলার এই অবস্থা হলেও আপনার কোনো সমস্যা নেই,কারণ আপনি দোকান থেকে যথেচ্ছ antibiotic কিনে খান না। কিন্তু বিষয়টি এত সহজ নয়।আপনার চারপাশের লোকজন যদি যথেচ্ছ antibiotic কিনে খেটে শুরু করে তাহলে আপনারাও সেই 'antibiotic resistant' ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে এবং অধিকাংশ antibiotic আপনার শরীরের আক্রমণকারী সেই ব্যাকটেরিয়া ক মেরে ফেলতে সক্ষম হবে না। অতঃপর

'হতাশাজনক মৃত্যু'

তাই সময় থাকতে সাবধান হোন। নিজের প্রিয়জন ও প্রতিবেশীকে সতর্ক করুন।আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাশ করা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো রকম antibiotic খাবেন না এবং সেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী antibiotic এর dose সম্পূর্ণ করবেন,একটু সুস্থ বোধ করলে যাঝ পথে চিকিৎসা বন্ধ করবেন না।নিজে সুস্থ থাকুন,সবাইকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করুন।

(ছবিতে সেই মহিলার পুঁজ এর culture & sensitivity report তুলে ধরা হলো।

breast abscess এর ছবি facebook এর 'community standard' এর 'against' এ যাচ্ছে(?) বলে বারবার সতর্ক করায় remove করা হলো। )

22/06/2023

সমাবর্তিত।

০২.০৫.২০২৩

22/06/2023

White Coat.
Medical College Kolkata.
88 College Street.
183rd batch.

22/06/2023

যে জন্য ডাক্তার হতে চাওয়া ........

আজকে গাইনি ইমার্জেন্সিতে বসে পেশেন্ট দেখছি। একের পর এক পেশেন্টের লাইন লেগেই রয়েছে। ভর্তি করতে হচ্ছে বেশিরভাগ 'যা'কে। তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করে,তাৎক্ষণিক কিছু ওষুধ দিয়ে BHT বানানো বেশ একটা দীর্ঘ সময়ের কাজ। 'রোটেশনাল অ্যাডমিশন ডে' চলছে।পর পর দুদিন টানা ডিউটি করতে গিয়ে স্বভাবতই সবাই ক্লান্ত। ভাগ করে ডিউটি দিতে হচ্ছে,যাতে সবাই একটু আধটু বিশ্রাম পায়। এমতাবস্থায় আমি একা ইন্টাৰ্ন হাবু ডুবু না খেলেও মাথা তোলার সময়ও পাচ্ছি না।

এমন সময় ভিড়ে ভরা ইমার্জেন্সিতে একজন মাঝ বয়সী ব্যক্তি এসে জানাল,সে তার মেয়েকে গতকাল ছুটি করে নিয়ে গেছে আমাদের হাসপাতাল থেকে,এখন সকাল থেকে তার শরীর খারাপ করছে, মাথা ঘুরছে,তাই তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে এ করে দু'ঘণ্টার পথ পেড়িয়ে আবার হাসাপাতালে নিয়ে এসেছে। আমি যথারীতি রোগিনীকে নিয়ে আসতে বলে পরের পেশেন্ট দেখায় মন দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই যখন স্ট্রেচারে করে তাঁকে নিয়ে এসে 'বাড়ির লোক' ইমার্জেন্সিতে ঢুকলো,তখন সে সম্পূর্ণরূপে অচেতন,মুখ থেকে গ্যালা(frothing) বেড়াচ্ছে,শ্বাসপ্রশ্বাসের ছন্দ খুব একটা ভরসাযোগ্য নয়,চোখের মণিও আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা দেখাচ্ছে না। একঝলক দেখেই বোঝা গেল হাতে বেশি সময় নেই।প্রথমেই হাতে গ্লাভস গলিয়ে নিয়ে মুখ থেকে গ্যাজলা পরিষ্কারের কিছুটা চেষ্টা করি আর তারপরেই প্রেশার আর পালস দেখলাম। মোটামুটিভাবে ঠিক।বাকি কেবল সি.বি.জি (আঙুল ফুটিয়ে রক্ত নিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রার দ্রুত পরীক্ষা) করা। তখন পেশেন্ট পার্টিকে নানা প্রশ্ন করে সমস্যাটা বুঝে নিতে চেষ্টা করছি,এমতাবস্থায় একবার পেশেন্ট পার্টি ইনসুলিনের প্রসঙ্গ তুলল আর আমার সন্দেহের কোনো অবকাশ থাকল না। আমি ছুটলাম পাশের 'এন.ডি' ওয়ার্ড থেকে সি.বি.জি মেশিন আনতে। আর তারপর পরীক্ষা করতেই আমার সন্দেহ সত্য প্রমাণিত হলো। তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা........

মাত্ৰ 'আটচল্লিশ' !!!!!

তড়িঘড়ি পেশেন্ট পার্টিকে চিনি আর চকোলেট কিনতে পাঠিয়ে আমি ব্যস্ত হয়ে পড়ি পেশেন্টকে 'চ্যানেল' করে শিরার মধ্যে শর্করার দ্রবণ(ডেক্সট্রোজ চালাতে। দ্রুত সব কিছু যোগাড় করে তা করতেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগিনী চোখ খুলে তাকাল,তার সচেতনতাও ফিরে এল।ইতিমধ্যে একজন সিনিয়র দিদিও এসে পৌঁছাল এবং রোগীকে প্রথম দেখা থেকে রোগিনীর জ্ঞান ফিরে আসা এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া করতে সময় লেগেছে যাত্র পাঁচ থেকে ছয় মিনিট।

রোগীর জ্ঞান ফিরে আসার পরও আমি কিছুটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম,নিজের মধ্যে অদ্ভুত এক ভাললাগা,আত্মতৃপ্তি কাজ করছিল। এই দিনগুলোর জন্যই তো এত বছরের এত পরিশ্রম,এর জন্যই তো ডাক্তারি পেশায় আসা।

প্রথমবারের জন্য নিজের সিদ্ধান্তে ও হাতে সব কিছু করে একজন পেশেন্টকে সাক্ষাৎ মৃত্যুমুখ থেকে ফিরিয়ে আনার যে অনাবিল আনন্দ তা সত্যিই অন্য অনুভূতি এনে দেয়,যার কাছে বাকি সব কিছু তুচ্ছ হয়ে যায়।

এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যাঁরা ইনসুলিন নেন তাঁরা সব সময় হাতের কাছে ক্যাডবেরি জাতীয় চকোলেট বা চিনি রাখুন। কোনো রকম শারীরিক অস্বস্তি হলে অবহেলা না করে চিনি খেয়ে নিন এবং দ্রুত বাড়ির কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান,কারণ এর জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসা জরুরি।

একই সাথে এটাও বলার বাড়ির পাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জীবনদায়ী ওষুধ ও সরঞ্জাম আছে কিনা তা আপনাকেই খেয়াল রাখতে হবে,দরকারে আপনার জনপ্রতিনিধিকে বলে সরকারি উদ্যোগে তার ব্যবস্থা করতে হবে,নিজের স্বার্থেই। কারণ যনে রাখবেন বিপদে বাড়ির পাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আপনার জীবন রক্ষা করবে,ঝাঁ চকচকে নার্সিং হোমের ভর্তি প্রক্রিয়ার যাঁতাকলে পরে অমূল্য সময় নষ্ট করে ফেললে শেষে হাত কামড়েও সুরাহা হবে না। তাই সময় থাকতে নিজের জন্যই প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সরকারকে বাধ্য করুন। নয়তো.….....

২২/০৯/২০২২

22/06/2023

যে ছোট্ট হাত আমাকে ভরসা করে এগিয়ে দেয়, তাঁর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

আমার করা প্রথম paediatric intravenous cannulation (done on my very first attempt.)

July,2022

31/03/2023

মেডিক্যাল অফিসার।
Blood Camp Duty।

31/03/2023

আমার অভিজ্ঞতা খুব কম কিন্তু gyne এর ডাক্তারের বিষয়ে মুর্শিদাবাদে এক বিশেষ শ্রেণীর রোগীর 'gender biased' ডাক্তার choice কী এই দিকেই নির্দেশ করছে ?
বেশ কিছু অভিজ্ঞতা থেকে বললাম ,সত্যতা জানি না ।______________________________________________

©ডা.বিষাণ বসু স্যার

খবরের কাগজে কত খবরই তো আসে। বড় একটা অবাক হই না। কিন্তু একখানা খবর পড়ে একেবারে চমকে গেলাম।

কলকাতার একটি নামকরা কর্পোরেট হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে ফিরে এসে এক রোগিণী অভিযোগ জানিয়েছেন, সেখানে তাঁর ইকোকার্ডিওগ্রাফি করেন এক পুরুষ টেকনিশিয়ান। হ্যাঁ, কক্ষে ডাক্তারবাবু উপস্থিত ছিলেন, রোগিণীর বুকের উপর ইকোকার্ডিওগ্রাফির 'ট্রান্সডিউসার প্রোব' বুলিয়ে হৃদযন্ত্রের নড়াচড়া বা তার গোলযোগের যে ছবি ফুটে উঠছিল কম্পিউটার মনিটরে, ডাক্তারবাবুর নজর ছিল সেদিকেই। মহিলাদের শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার মুহূর্তে কক্ষে আরেকজন মহিলার উপস্থিতি বাধ্যতামূলক, ছিলেন তেমন 'ফিমেল অ্যাটেন্ড্যান্ট'-ও। পুরুষ টেকনিশিয়ান অভব্য আচরণ কিছু করেছেন, এমন অভিযোগ কিছু ওঠেনি। রোগিণী শুধু জানিয়েছেন, পুরুষ টেকনিশিয়ান তাঁর ইকোকার্ডিওগ্রাফি করেছেন, এতেই তিনি অপমানিত বোধ করেছেন। এবং সেই মর্মে অভিযোগ দাখিল করেছেন "ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন"-এ।

চমকের শেষ এখানেই নয়।

খবরে এও প্রকাশ, সংশ্লিষ্ট কমিশন অভিযোগটি রীতিমতো গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখেছেন। এবং অবিলম্বে যাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগকারিণীর কাছে লিখিতভাবে দু:খপ্রকাশ করে নেয়, সেই মর্মে কমিশন নির্দেশিকা জারি করেছেন। কমিশনের প্রধান বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় এও জানিয়েছেন, মহিলাদের উপর শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা বা বিভিন্নধরনের টেস্ট যাতে কেবলমাত্র মহিলা টেকনিশিয়ানরাই করতে পারেন, এ বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করা যায় কিনা, সেটা তাঁরা আলোচনা করে দেখছেন।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা খুবই দু:খিত, কিন্তু পর্যাপ্ত মহিলা টেকনিশিয়ান না থাকার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে - তবে ভবিষ্যতে যেন এমনটা না হয়, তাঁরা সেদিকে নজর রাখবেন। তাঁদের বক্তব্য পড়ে মনে হল, যেন মহিলাদের জন্য মহিলা টেকনিশিয়ান, এমনটাই দস্তুর। যদিও নিয়মানুসারে মহিলা অ্যাটেন্ডেন্ট সেখানে উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এও জানিয়েছেন, কমিশন যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাঁরা তা মাথা পেতে গ্রহণ করবেন।

মনে করিয়ে দেওয়া যাক, এই ঘটনা ঘটছে একবিংশ শতকের পশ্চিমবঙ্গে, 'আলোকপ্রাপ্ত' কলকাতা শহরে।

তাহলে এরপর থেকে মেয়েদের শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা করতে পারবেন শুধুই মেয়ে টেকনিশিয়ানরা?

কমিশনের "আলোচনা"-য় কি আরেকটু প্রোঅ্যাক্টিভ হয়ে এমন সিদ্ধান্তও নেওয়া যেতে পারে না, যে, মেয়েরা অসুস্থ হলে তাঁর চিকিৎসা করতে পারবেন শুধুই মেয়ে চিকিৎসকরাই?

কমিশনে যেসব বাঘা বাঘা ডাক্তাররা রয়েছেন, তাঁরা - দুর্ভাগ্যবশত - সকলেই পুরুষ। কমিশনের মাথা যিনি, বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনিও মহিলা নন। দুশ্চিন্তা একটাই, এঁরা সবাই মিলে মেয়েদের 'উপকার'-এর জন্য এমন বড় সিদ্ধান্তটা নিয়ে উঠতে পারবেন কি?

সরকার-নিয়োজিত কমিশন। সিদ্ধান্ত যা-ই হোক, আশা করা যাক, অনুরূপ সিদ্ধান্ত লাগু হবে সরকারি হাসপাতালেও। নইলে যা-ই সিদ্ধান্ত হোক, তা বড্ডো দ্বিচারিতার মতো শোনাবে। বেসরকারি হাসপাতালে যাঁরা চিকিৎসা করাতে পারবেন, শুধু সেই মেয়েদেরই আব্রু-হায়া থাকবে, আর সরকারি হাসপাতালে আসা মেয়েদের কথা ভাববেন না! তাঁরা তো বানের জলে ভেসে আসেননি। কমিশন যেভাবে ব্যাপারটা দেখছেন, তাতে, জনসংখ্যার মোটামুটি অর্ধেক নারী ধরলে মেয়েদের চিকিৎসার জন্য নিয়োজিত হওয়া উচিত মোট চিকিৎসক-টেকনিশিয়ান সংখ্যার অর্ধেক - এবং তাঁরা সকলেই হবেন নারী, এমন হওয়াটাই অভীষ্ট, অবশ্যপালনীয় কর্তব্যও বটে। সরকার যদি ভাবেন, সে বন্দোবস্তও নিশ্চয়ই হয়ে যাবে। যদি এখুনি না হয়, লেডিজ মেডিকেল কলেজ চালু করে ঘাটতি পূরণ আর কতটুকুই বা সমস্যা! সারা দেশ জুড়ে মেয়েদের স্বাস্থ্য এমনিতেই অবহেলিত, যে ক'দিন এই ঘাটতি পূরণ না হচ্ছে, মেয়েরা না হয় বিলকুল চিকিৎসাহীনই থাকবেন। তা থাক, চিকিৎসার মতো তুচ্ছ কারণে আব্রু-হায়া রক্ষার মতো বড় বড় ভাবনাগুলো অবহেলা করা যায় না। যা-ই বলুন, বৃহৎ আদর্শের দিকে চলার পথে কিছু ছোট ছোট ক্ষতি ঘটতেই পারে, সে নিয়ে বিচলিত হওয়াটা অনুচিত।

তবে চিকিৎসার যে দর্শন বা চিকিৎসার যে এথিক্স, যেখানে মেয়েদের বা ছেলেদের নিছক মেয়ে বা ছেলে হিসেবে দেখার শিক্ষা কখনোই দেওয়া হয় না (আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে অবশ্য মস্ত অভিযোগ, ছেলে বা মেয়ে তো বাদই দিন, মানুষটাকে মানুষ হিসেবে দেখার অভ্যেসই ভুলিয়ে দেওয়া হয়) - কমিশনের সিদ্ধান্ত-আলোচনা সেই বুনিয়াদী ভাবনাচিন্তার একেবারে বিপ্রতীপ। কিন্তু, সে হোক গে। নতুন ইতিহাস গড়ার পথে এসব টুকটাক এথিক্স ঐতিহ্য অভ্যেস শিক্ষাদীক্ষার কথা ভাবারও মানে হয় না।

কমিশনকে অনুরোধ, ঢিলেঢালা করবেন না, সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলুন। কাজটা করে ফেলা গেলে ব্যাপারটা দারুণ হবে কিন্তু। হোয়াট বেঙ্গল থিংকস টুডে, ইন্ডিয়া থিংকস টুমরো। চিকিৎসার মতো ব্যাপারে এতখানি পশ্চাদমুখী পদক্ষেপ - এতখানি রিগ্রেসিভ ভাবনা - গোবলয় বলে যাদের হ্যাটা করে আমরা আত্মপ্রসাদ লাভ করি, সেসব রাজ্যগুলোও এখনও ভেবে উঠতে পারেনি। এগিয়ে বাংলা, সত্যিই।

তবে যে রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়াররা প্রাইমারি ইশকুলে পড়ানোর দায়িত্ব পান (সিভিক ভলান্টিয়ার পদে যোগদানের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, সে প্রশ্ন না-ই বা তুললাম) - অনবদ্য যুক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়, 'প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইংরেজি ও অঙ্ক শেখানোর ব্যাপারে অনেক ঘাটতি থাকে' - অনুমান করা যায়, কর্তৃপক্ষ এই উপলব্ধিতে পৌঁছেছেন যে, আইনশৃঙ্খলা-নিয়ন্ত্রণ/অপরাধ-দমন আর শিশুদের লেখাপড়ার প্রাথমিক পাঠ দেওয়া, দুইয়ের মধ্যে প্রকৃতিগতভাবে বিশেষ দূরত্ব নেই - সেখানে কোনও ব্যাপারেই আলাদা করে চমৎকৃত হওয়ার মানে হয় না। তাই না?

31/03/2023

গতকাল psychiatry OPD তে প্রথম duty চলছে। এই বিষয়ে পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে আমি একেবারেই আনকোরা, হাজারও মানসিক সমস্যা আর গল্পের ভিড়ে স্যার-ম্যাডাম আর রোগীদের কথোপকথনের মাঝে বইয়ে পড়া বিষয়গুলোকে মিলিয়ে বোঝার চেষ্টা করছি,অনেকাংশে সফলও হচ্ছি কখনও কখনও বুঝতে না পারলে পরের রোগী ঢোকার আগে স্যারের কাছে জিজ্ঞাসা করছি।

psychiatry opd তে সব সময়ই দরজা বন্ধ করে রোগী দেখা হয়। যদিও সব ধরণের রোগী দেখার সময়ই এই নিয়ম প্রযোজ্য ,তবুও রোগী সংখ্যার চাপে সরকারী হাসপাতালে অধিকাংশ সময় তা সম্ভব না হলেও psychiatry opd তে এটা কঠোরভাবেই মান্য করা হয়।রোগীর রোগের গোপনীয়তা না রক্ষা করতে পারলে মানসিক রোগীর কাছ থেকে রোগের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই এই আয়োজন এবং মাইকিং এর মধ্যমে নাম ডেকে একজন করে রোগীকে opd তে ঢোকানো হয়।
এমনই মাইকিং করে নাম ডাকায় একজন উনিশ বছরের মেয়ে opd তে এল ,একাই এসেছে সে।

সমস্যার কথা জিজ্ঞাসা করতে সে জানালো সে biochemistry নিয়ে কলকাতার একটি সরকারি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পাঠরতা। তার বক্তব্য অনুযায়ী সে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনায় ভালো ছিল। তারপর সে উচ্চ মাধ্যমিকে ৮৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছে। NEET(UG) দিয়েছে ,চান্স পায়নি।খুব স্বাভাবিক ,অনেকেই প্রথম বারে চান্স পায়না ।বাড়ি থেকে 'drop' দিয়ে পরেরবার দিয়ে পরীক্ষা দিতে দেয়নি ,কিছুটা finanncial এবং অন্যান্য অনেক কারণে ।যার কারণে সে হতাশ হয়ে পরছে এবং biochemistry বিষয়টিকে ভালবাসতে পারছে না।সামনের দিনে career নিয়েও কোনো দিশা খুঁজে পাচ্ছে না।
যে কারণে এত কথা বলা সেটা হলো ,এই সমস্যা অনেকের। ছোট থেকে সামাজিক চাপে ,পরিবারের চাপে বা নিজের থেকে আরোপিত উচ্চাকাঙ্খার চাপে ডাক্তারি পড়ার সুপ্ত বাসনা অনেকেই মনের গভীরে গেঁথে নেয় ,আর সেই ইচ্ছা পূরণ না হলেই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পরে,অথচ মৌলিক বিজ্ঞানে গবেষণা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠার অনেক সুযোগ রয়েছে।
ডাক্তারি পড়তে চাওয়ার কারণ জানতে চাওয়ায় ,প্রথমে 'তোতা পাখি'র মতো বুলি আওড়ে সে জানায় সে ডাক্তার হয়ে রাস্তার পাশে ফুটপাথে থাকা অসহায় মানুষগুলোর সেবা করতে চায়।নিঃসন্দেহে খুব ভালো সামাজিক দায়বদ্ধতা ,কিন্তু তার অপরিণত মস্তিষ্ক এটা বোঝে না 'সেবা' (প্রকারান্তরে ভিক্ষা) কখনই তাঁদের সমস্যার সমাধান করে না বরং তাঁদের আরও বেশি করে অন্যের দয়ার উপর নির্ভরশীল করে তোলে। যতদিন না তাঁরা স্বাস্থ্যকে অধিকার হিসেবে বুঝতে শিখবে ততদিন কয়েকটা স্বাস্থ্যশিবির তাঁদের সাময়িক উপশম দিলেও রোগমুক্তি ঘটাতে পারে না।

যদিও মেয়েটির সাথে দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পরে বোঝা যায় সে চায় দ্রুত প্রতিষ্ঠা পেতে(বা সহজ ভাবে বললে দ্রুত আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে ) ,যাতে সে নিজের ,নিজের পরিবারের এবং নিজের ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে পারে।এটা একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রায় সব ছেলে মেয়েই হয়ত চায় ,কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এর সহজ রাস্তা হিসাবে অনেকেই কেবল ডাক্তারি আর ইঞ্জিনিয়ারিং কে মনে করে,বিশেষত যাঁদের পরিবারে আগে কেউ কোনোদিন এই 'stream'গুলোতে পড়াশোনা করেননি।কিন্তু একটু খোঁজ নিলে সহজেই বোঝা যায় ডাক্তারিতে আর্থিক স্বচ্ছলতা পেতে বেশ দীর্ঘ একটা সময় লাগে ,ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রেও বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে 'মধ্যমেধা'র দর বেশ কম এবং চাকরির ভবিষৎ ও নিশ্চয়তা খুব উজ্জ্বল নয়।

আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষায় সরকারি অর্থানুকূল্যে ভাটা এবং দেশে স্থায়ী ও নিশ্চিত কর্মসংস্থানের ক্রমসংকোচন বিকল্প নিশ্চিত ভাবেই কমিয়ে এনেছে ,যার ফলে মধ্যমেধার শিক্ষার্থীরা মৌলিক বিজ্ঞান নিয়ে এগিয়ে চলার ভয় পাচ্ছে ,প্রতিযোগিতাও বেড়েছে বেশ কয়েক গুণ। কিন্তু অন্যদিকে এটাও সত্যিই অজস্র মেডিক্যাল কলেজ খুলে দেওয়ার ফলে আর বিকল্প ধারার অবৈজ্ঞানিক ডাক্তারদের চিকিৎসা করার অনুমতি দিয়ে দেওয়ার ফলে MBBS পাশ ডাক্তারের সম্মান কমেছে এবং উপার্জনের পথও অনেকটাই রুদ্ধ হয়েছে।

আর 'মরার উপর খাঁড়ার ঘা' এর মতন রয়েছে ব্যবসায়িক কোচিং সেন্টার গুলোর বিজ্ঞাপনী চমক ,তারা প্রতিনিয়ত প্রমাণ করতে চাইছে ডাক্তারির গুরুত্ব ,বোঝাতে চাইছে ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং না পেলে জীবন ব্যর্থ। একইভাবে MBBS শিক্ষার্থীদের বোঝাতে চাইছে 'পোষ্ট গ্রাজুয়েশন' না করতে পারলে চলবে কী করে !আর আমরাও বোকার মতো তাঁদের কথায় বিভ্রান্ত হচ্ছি।

কিন্তু 'অভিভাবক'-মহল এখনও এই রূঢ় বাস্তব সম্পর্কে ততটাও সচেতন নন।আর তার ফলেই কিন্তু এরকম হাজার হাজার ছেলে মেয়ে দিশাভ্রষ্ট হচ্ছে।মানসিক রোগের শিকার হচ্ছে ,কখনও প্রকাশ পাচ্ছে ,কখনও ভেতরে গুমরে মরছে আবার কখনও আত্মহত্যার মতো চরম পরিণতি হয়ে ঝড়িয়ে দিচ্ছে অনেক সম্ভবনামায় একটা জীবনকে।

মেয়েটি pasychiatry বিভাগে এসে চিকিৎসা শুরু করিয়েছে ,কাউন্সেলিং এবং অন্যান্য পদ্ধতির প্রয়োগে দ্রুত নিজের সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে নিজের বিষয়কে আপন করে নিয়ে অনেক সম্ভাবনার জন্ম দেবে এই আশা রাখি,একই সাথে আমার অনুরোধ কেউ যদি কখনও পড়াশোনা বা অন্য যেকোনো বিষয় নিয়ে হতাশ হয়ে পড়,তাহলে অন্তত একবার pasychiatry বিভাগে এসে কথা বল। বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবার সব দিক থেকে প্রস্তুত হয়ে নেওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে ।

14/12/2022

"Medicine is a social science… The physicians are the natural attorneys of the poor, and social problems fall to a large extent within their jurisdiction."

-Rudlof Virchow .

উপরোক্ত স্বীকারোক্তিটিতেই আমার এই page টির গুরুত্ব।

Want your practice to be the top-listed Clinic in Berhampore?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Category

Website

Address


TALBAGANPARA, CHUANPUR
Berhampore
742101

Other Doctors in Berhampore (show all)
Dent 'O' Care Dent 'O' Care
Bhakuri Bus Stop(Opposite Of Sadhana Bastralaya NH-34)
Berhampore, 742165

Dent 'O' Care(Biswas Dental Clinic) Berhampore(Bhakuri More) Opposite Sadhana Bastralaya(NH34) Dr. S

DR. RAMIZ ZAHIR Sarkar DR. RAMIZ ZAHIR Sarkar
Nirupama Devi Road
Berhampore, 742101

B. A. M. S(WBUHS-KOL). WB-12324,Trained in modern (Allopathy) medicine(Ltd). Studied from JBRSAMC&H

Pranab Kumar Ghosh Pranab Kumar Ghosh
Berhampore, 742161

Veterinary Dr

Dr. Sangita's Smart EHP_official Dr. Sangita's Smart EHP_official
Berhampore

Electro Homoeopathy Doctors only

Kentian Chamber Kentian Chamber
Berhampore, 742103

Classical Homoeopathic Treatment

Root Cure Homoeopathic Clinic Root Cure Homoeopathic Clinic
Beside Gajdharpara High School
Berhampore, 742165

Every 2nd and 4th Saturday, Sunday & Monday open...

Dr. Animesh Ghosh Eye Clinic Dr. Animesh Ghosh Eye Clinic
Ramkrishna Lane, Ranibagan, Near Samsung Care
Berhampore

Eye Surgeon, Ranibagan, Near Samsung Service Centre

IDEAL Homoeopathic Clinic IDEAL Homoeopathic Clinic
Gouripur;saktipur;Murshidabad
Berhampore, 742163

Asthma; arthritis; tumors;any skin disease; infertility; autism; nervous disease; gastritis;piles or

Dr.Md Hasan Imam Dr.Md Hasan Imam
Berhampore, 742187

Dental surgeon, uttorpara more, Radharghat, berhampore

Dr Ranajit Bari Endocrinologist Dr Ranajit Bari Endocrinologist
Charak Square Diagnostic And Research Centre, 25, R N Tagore Road, Laldighi
Berhampore, 742101

This is the Official page of Dr. Ranajit Bari. all friends are being requested to the write their review and comments for betterment of service.

New Karmakar Medi Shop-Ortho Clinic New Karmakar Medi Shop-Ortho Clinic
Ranibagan, Near Durga Mondir
Berhampore, 742101

Dipali Medicine Dipali Medicine
Berhampore, 742101

Doctor hubs