Satsang Sultanate Of Oman

সাপ্তাহিক সৎসঙ্গে কৃর্তন পরিবেশন করছেন শ্রী মিঠুন শীল...

কৃর্তন পরিবেশন করছেন শ্রী মিঠুন শীল মহোদয়
১৯/০৪/২০২৪
Satsang Sultanate Of Oman

#যাঁদের কাছে আমরা পৌঁছেছিলাম, একবার তাঁদের সবাইকে খুঁজে বা’র করব। কিছু না হ'লেও তাদের ঘরে গিয়ে ঠাকুরের আসনটা অন্ততঃ সাজিয়ে দিয়ে আসব। এটাই আমাদের কাজ। সবাইকে যাজন করব; সবার ঘরে ঠাকুর কে প্রতিষ্ঠা করব;আর সবাইকে নিয়ে একসাথে চলতে থাকব..."

আমরা এখন DP WORK -এর কাজ করছি ৷ দীক্ষিত যে গুরু ভাইরা আমাদের দুর্ব্যবহারে, অবহেলায় বা অন্য কোন কারনে দূরে স'রে গেছেন, তাঁদের সবাইকে সুতো দিয়ে বাঁধারকাজ এটা ৷ এই কাজ আপনারা সবাই করছেন, কিন্তু আরো শীঘ্র যেন আমরা এটা শেষ করতে পারি ৷

অনেক লোক আছেন---- আমাদের না - পৌঁছানোর কারণে যাঁরা ঠাকুরের কাছে আসতে পারছেন না ৷ DP WoRK -এর মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব প্রতি প্রত্যেকটি
মানুষের ঘরে যাতে আমরা পৌঁছাতে পারি ৷.... দীক্ষিত প্রতিটি মানুষের বাড়ীতে যতক্ষন পর্যন্ত আমরা পৌঁছাতে না পারব, ততক্ষন আমরা এই কাজ চালিয়ে যাব ৷

প্রতিটি সৎসঙ্গীকে কাজে লাগান,---কাউকে ছাড়বেন না ৷ তাঁদের বলুন-------- বাড়ী থেকে পায়ে হেঁটে যেটুকু যেতে পারেন সেটুকু গিয়ে যাজন ক'রে আসুন ৷ এটাই আমাদের করণীয়, আর-কিছুই নয় ৷

~পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীঅবিনদা

আলোচনা,ফেব্রুয়ারি,2023

*।। দর্শন-বিধায়না গ্রন্থ থেকে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র প্রোক্ত দোল উৎসবের তাৎপর্য্য ।।*
*****************************
সৃজন-স্পন্দনের উৎসই হ'চ্ছে---
দোল,
যেখানে এই স্পন্দন---
দোলই হয় তা'র উৎস,
ঐ দোলনক্রিয়ার ভিতর-দিয়েই আসে
শব্দরাগ,---
যা'
সৃজন-তাৎপর্য্যের ভিতর-দিয়ে
নানা রকমে
নানা ভঙ্গীতে
উপযুক্ত যা'-কিছুতে পর্য্যবসিত হ'য়ে
সৃষ্টির ভিতর-দিয়ে
মাধুর্য্য সৃষ্টি ক'রে
জীবনকে সঞ্জীবিত
রেখে দিয়েছে;
তা’র গোড়ার দেবতাই হ’চ্ছেন---
শ্রীকৃষ্ণ,
যিনি
আকর্ষণ-তাৎপর্য্যের ভিতর দিয়ে
যা’-কিছুকে
বিশেষভাবে বিনায়িত ক’রে
সমষ্টির অঢেল উৎসারণায়
বিশ্বকে ব্যাপৃত ক'রে রেখেছেন;
আবার,
ঐ আকর্ষণের অনুগ্রহই হ'চ্ছে---
প্রীতি;
পারস্পরিক
প্রীতিপরিচর্য্যার ভিতর-দিয়ে
মানুষ যতই এগিয়ে চলবে
আরো আরোর পথে,
তা'র অন্তর উপভোগ করবে---
ঐ দোলন,
রাস বা শব্দ বা গতি-কম্পনের
বিহিত ব্যাবর্ত্ত
স্রোতল দীপনা,---
যা'র ভিতর-দিয়ে
অভিব্যক্ত হ'য়ে উঠলেন---
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
এবং মহিমান্বিতা শ্রীরাধা;
রাধা---
প্রকৃতির অনুরঞ্জনায়
অভিব্যক্ত হ’য়ে
আবীর-উৎসর্জ্জনায়
ঐ কৃষ্ণের সাথে
দোলদীপালীতে
ঊর্জ্জী তৎপরতায়
প্রাণের আকুল স্পন্দন-নন্দনায়
মিলিত হ’তে যান---
ঐ শ্রীকৃষ্ণেরই
আকর্ষণী অনুদীপ্তিতে,
আর, নানা রকমে বিবর্ত্তিত হ’য়ে
ধারা সৃষ্টি ক’রে
ধৃতিদীপনাকে
পরিপ্লুত ক’রে তোলেন;
এই প্লুত-দীপনী তাৎপর্য্যই হ’চ্ছে-
দোললীলার পুণ্য দীপনা,
যা’র ভিতর-দিয়ে
নিষ্ঠাসন্দীপ্ত আনুগত্য-কৃতির
পরিপ্লাবনী খেলায়
এই বিশ্বটা
বিশ্ব হ’য়ে উঠেছে;
তাই বলি---
স্মরণ কর তাঁ’কে,
নমস্কার কর তাঁ’কে,
স্তুতি কর তাঁকেই,---
যিনি
এই দোললীলার পরম উৎস,
পরম উৎসর্জ্জনা,
পরম উদাত্ত
উদ্দীপনী অনুচলনা,---
যাঁকে আশ্রয় ক’রে
নিষ্ঠা-আনুগত্য-কৃতির সহিত
শ্রমসুখপ্রিয়তার
পরিব্যাপনী উল্লোল উদ্দীপনা
মানুষকে
প্রীতি ও কৃতিমুখর ক’রে
শিষ্ট সুন্দরের আভাসবিভায়
বিদীপ্তির তৃপ্তিমধুর
সন্দীপনা নিয়ে
সুখ ও দুঃখের তাৎপর্য্যকে
বিনায়িত ক’রে
সৎসন্দীপ্ত ক’রে তোলে;
জান,
বোঝ,
দেখ,
আর, তোমার ইষ্ট যিনি---
শিষ্ট সন্দীপনী আনুগত্য-কৃতিসম্বেগ নিয়ে শ্রমসুখপ্রিয়তায়---
তাঁ’রই সেবা করতে থাক---
তাঁ’রই বিশ্বে---
তাঁ’কে;
আর, প্রার্থনা করি তাঁ‘র কাছেই-
ঐ সাধুপ্রভাব
তোমাদিগকে
সুষ্ঠু, সুন্দর ও সন্দীপ্ত ক’রে
অঢেল ক’রে তুলুক;
আমার হৃদয়স্থ যিনি---
তোমাদের হৃদয়স্থ যিনি---
প্রতিপ্রত্যেকের
ঐ এক ধারা সৃষ্টি ক’রে
সবাইকে আপ্লুত
ক’রে তুলুন। ৩১৮।
---------

*💐🙏 সুপ্রভাত ! জয়গুরু! 🙏💐*