Asma's cooking
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Asma's cooking, Blogger, Kulitapara, bagnan, Howrah.
লেখা: সংগৃহীত
রমজানের যখন বিশ দিন হলো তখন আমার স্ত্রী নীলাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম,' নীলা বিয়ের পর তো এটা তোমার প্রথম ঈদ।তো এই ঈদ কোথায় করতে চাও তুমি?'
নীলা খানিক সময় চুপ করে রইলো। তারপর বললো,' তুমি চাইলে এইখানে করবো।'
আমি আর তখন কিছু বললাম না।
দুদিন পর দেখি নীলা তার মায়ের সঙ্গে কথা বলছে। ওপাশ থেকে কি বলছে তা তো আর শোনা যায় না।নীলা শুধু এখান থেকে বলছে, তোমাদের জামাইয়ের বোধহয় ইচ্ছে এখানে ঈদ করি।আমি না এলে কি বাবার খুব মন খারাপ হবে?
আমি শুধু এটুকুই শুনেছি। এরপর আর এখানে দাঁড়িয়ে থাকিনি।নীলা আমায় দেখেনি।দেখলে বোধহয় অস্বস্তিবোধ করবে। এই কথাগুলো সে আমার আঁড়ালেই বলতে চেয়েছিল।আঁড়ালেই বলুক।আমি ঘর থেকে বের হয়ে চলে গেলাম। ভাবলাম মাকে বিষয়টা খুলে বলবো।বলবো নীলার বাবার ইচ্ছে সে যেন ঈদটা ওদের বাড়িতে করে।
অদ্ভুত বিষয় হলো মাকে বলার আগেই মা নিজেই আমায় তার ঘরে ডেকে নিলেন। তারপর বললেন,' বউমা ঈদ কোথায় করবে কিছু বলেছে রে?'
আমি বললাম,' না। সে বলেছে আমি চাইলে এখানেই করবে।'
শশুরের ইচ্ছের কথা আর বললাম না। ভাবলাম আরো পরে বলি। বলতে সাহস পাচ্ছিলাম না।
মা বললেন,' তো তোর মত কী? '
আমি হাসলাম। বললাম,' আমার আবার মত কিসের? তুমি কি বলো? তুমিই তো গার্জেন!'
মা বললেন,' এইটা তোদের দুইজনের বিষয়। আমার এখানে কথা বলা সঙ্গত না। তবুও বলছি, নীলা ঈদটা তার বাবার বাড়ি করুক।বাপের আদরের একমাত্র মেয়ে। কলিজার টুকরা। এই মেয়ের জন্মের পর তার বাবা কখনোই ওকে ছাড়া ঈদ করেননি।বাবা - মার মন খুব খারাপ থাকবে। ঈদের আনন্দ ওদের মাটি হয়ে যাবে। নীলা শতো বলুক এখানে থাকবে।সে বলবে তোর আমার মন রাখতে। কিন্তু মনে মনে সেও কী কম কষ্ট পাবে? ঈদ তো সারা জীবনে অনেক আসবে। এখানে থেকে থেকে সে আগে অভ্যস্ত হোক। পুরনো হোক। বাচ্চা কাচ্চা হোক। তখন দেখবি জোর করেও ওখানে আর পাঠাতে পারছিস না।বাবা মা যেতে বললেও দেখবি বলছে, সময় নাই। বাড়িতে বিরাট ঝামেলা। কীভাবে আসবো? যেদিন এই বাড়িটি তার বাড়ি হয়ে যাবে সত্যি সত্যি, সেদিন সে আর অন্যের বাড়িতে গিয়ে ঈদ করতে চায়বে না।'
আমি মার কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলাম।কি সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন মা।কি চমৎকার যুক্তি মায়ের কথায়!
মা বললেন,' ওকে সাতাশের দিন দিয়ে আয় গিয়ে।'
আমি বললাম,' আচ্ছা।'
তারপর আরো খানিক সময় বসে রইলাম। চুপচাপ থেকে এক সময় বললাম,' মা, একটা কথা বলি?'
মা বললেন,' হ্যা বল।'
আমি বললাম,' নীলার জন্য কাপড় চোপড় কিনতে হবে না? আমার উচিৎ না ওকে কিছু কিনে দেয়া?'
মা মুখের উপর না করে বসলেন। বললেন,' না উচিৎ না।মা আছে না তার? মা-ই কিনে দিবে।'
মা এতোক্ষণ কতো ভালো ভালো কথা বললো আর এখন কিসব ! আমার প্রচন্ড মন খারাপ হলো।আমি এতোক্ষণে বুঝলাম মা কেন নিজ থেকেই আগে ভাগেই বললো নীলাকে তার বাবার বাড়ি দিয়ে আসার জন্য।মা চায় নীলা ওখানে ঈদ করুক।খরচ টরচ যা হয় ওর বাবা মা করুক।মা মূলত টাকা বাঁচাতে চায়ছে!
আমার ভীষণ মন খারাপ হলো! মা কখনোই এমন কৃপণ না। উদার। মানুষের জন্য মাকে কতো কি করতে দেখেছি। কিন্তু নিজের ঘরের বউয়ের প্রতি এমন করলেন কেন? নাকি মাও ওরকম শাশুড়িদের মতোই, যারা তাদের পুত্রবধূদের কখনোই আপন করে নিতে পারে না!
মার ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম আমি মন খারাপ করে। ভাবলাম, নীলাকে আমি ঠিকই শপিং করে দিবো। হয়তো এতে মা মন খারাপ করবে আমার প্রতি। হয়তো আমায় ধমকা- ধমকিও করবে। করুক।আমি তো স্বামী। আমার স্ত্রীর অধিকারও তো আমার পূরণ করতে হবে।আমি মনে মনে ঠিক করলাম, যেদিন নীলাকে দিয়ে আসবো ওদের বাড়িতে সেদিন যাবার সময় শহর থেকে কেনাকাটা করে নিয়ে যাবো একেবারে।
কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হলো রোজার ছাব্বিশ তারিখ মা নীলাকে বললেন,' নীলা কাপড় চোপড় পরে রেডি হও।তোমায় নিয়ে এক জায়গায় বেড়াতে যাবো।'
নীলা আর জিজ্ঞেস করলো না কোথায় যাবেন। সে কাপড় চোপড় পরে প্রস্তুত হলো।মাও প্রস্তুত হলেন। তারপর তারা বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেন।যাবার সময় বললেন,' তুই ইফতারের আয়োজন কর।আমরা এসে সময় পাবো না। আজানের আগে আগে ফিরবো হয়তো!'
আমি বললাম,' আচ্ছা। কিন্তু তোমরা যাচ্ছো কোথায়?'
মা বিরক্তি নিয়ে বললেন,' যদি এটা বলার হতো তবে আগেই বলতাম কোথায় যাচ্ছি।এটা বলা যাবে না। গোপন বিষয়।কারোর গোপন বিষয় জানতে চাওয়া ছোটলোকিপনা কাজ! তোরে যা বলেছি তা কর।বাসা পাহাড়া দে।ইফতার প্রস্তুত কর।'
মা দেখলাম গেটের বাইরে গিয়ে রিক্সা ডাকলেন। তারপর নীলাকে নিয়ে উঠে পড়লেন রিক্সায়।
মা আর নীলা চলে যাবার পর খানিক সময় বারান্দায় বসে রইলাম। রোজা রেখেছি। নয়তো সিগারেট খেতাম। আমি কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করলেই সিগারেট খাই।এটা আমার পুরনো অভ্যাস!
কিন্তু আজ সিগারেট ছাড়াই চিন্তা করতে হবে।আমি এখন চিন্তা করছি মা নীলাকে নিয়ে কোথায় গেলেন? কিন্তু চিন্তা করে এর সমাধান কিছুতেই বের করতে পারছি না!
আসরের আজান হয়েছে। এখন চিন্তা রেখে ইফতারের আয়োজন করতে হবে।যা বুঝলাম মার মেজাজ আজ খারাপ।বড় হবার পরেও মায়ের হাতের চড় থাপ্পড় খেয়েছি। ইফতার প্রস্তুত না করে রাখলে আজও খেতে হবে!
কিচেনে গিয়ে দেখি মোটামুটি সব কিছুই গুছিয়ে রাখা।ওরা যাবার আগেই সবকিছু প্রস্তুত করে রেখে গেছে। আমার শুধু চুলা ধরিয়ে ভেজে নিলেই হবে।
ইফতার প্রস্তুত করতে বেশি সময় লাগলো না।মা আর নীলা ফিরলো আজান পড়ছে যখন তখন। তাদের দুজনের হাতেই ব্যাগ। শপিং ব্যাগ।
আমি এগিয়ে গিয়ে বললাম,' শপিংয়ে গিয়েছিলে নাকি? কি কি এনেছো দেখি!'
মা ধমক দিলেন। বললেন,' দেখানো যাবে না। দূরে যা। '
রাতে নীলার কাছে জিজ্ঞেস করলাম। বললাম,' মা কী তোমায় নিয়ে শপিংয়ে গিয়েছিলেন?'
নীলা বললো,' হু।'
আমি বললাম,' কি কি কিনেছেন?'
নীলা দেখালো। তার জন্য শাড়ি। হাতের চুড়ি। কপালে দেয়ার টিপ।আলতা। এইসব। নীলার মায়ের জন্য একটা শাড়ি। বাবার জন্য একটা পাঞ্জাবি। এইসব কিছু মায়ের তরফ থেকে উপহার।
আমি সত্যিই অবাক হলাম। তাহলে মা যে আমার কাছে না করলেন? বললেন আমার কোন কিছু কিনে দেয়ার দরকার নাই, তার মা আছে,মা কিনে দিবে। আমার কাছে মিথ্যে বললেন কেন?
সে রাতেই আমি মার কাছে গেলাম। গিয়ে বললাম,' মা আমার কাছে না করেছো নীলাকে কোন কিছু কিনে দেবার দরকার নাই,বলেছো তার মা দিবে। এখন আবার তুমি কিনে দিলে যে?'
মা হাসলেন। শব্দ করে হেসে বললেন,' আমি কি নীলার মা না? সন্তান পেটে রাখলেই শুধু মানুষ মা হয়, মনে রাখলে হয় না?'
আমি অবাক হলাম। আমার চোখ ভিজে উঠলো জলে।মায়েরা তবে এরকমই হয়? এতো মিষ্টি মন হয় মায়েদের! পৃথিবীর সব শাশুড়ি জানো এমন হয় আল্লাহ আর কাছে আমার এই দুআ 🤲🤲
প্রতিটা বাচ্চা একে অন্যের থেকে আলাদা। তেমনি প্রতিটা মায়ের জার্নিও আলাদা।
অনেক বাচ্চা তিন মাসেই পটিতে বসেlআবার অনেক বাচ্চার তিন বছরেও পটি ট্রেইনিং পসিবল হয় না! অনেক বাচ্চা আছে যারা ১৫ মাসে ছড়া শিখে ফেলে, আবার অনেক বাচ্চা ২ বছরেও কথা বলছে না।
কেউ অনেক মিশুক।
কেউ আবার খুব লাজুক! মা বাবা ছাড়া কিছুই বোঝে না।
কেউ অনেক নাদুস নুদুস লক্ষী।
কেউ একটু হালকা পাতলা তবে ভীষন চটপটে!
তো কি বুঝলেন?
এরা কি আজীবন এভাবেই থাকবে? যে পটিতেই বসছে না এখন, সে কি কোনদিন ই আর কমোড ব্যবহার করবে না???
যে বাচ্চাটির একটু স্পীচ ডিলে হচ্ছে, সে কি আর কথা বলতে পারবে না?!!!!
যে আজ কিছুই চিবিয়ে খাচ্ছে না, সে কি সারা জীবন ই ব্লেন্ড করা খাবার ই খাবে???
একদিন সবাই নিজেদের মতন লড়াই করে বেঁচে থাকা শিখে যাবে ।
তখন কেউ জানতে চাইবে না সে কতো মাসে হেঁটেছে! কত দিনে কথা শিখেছে! কত কত খাবার খেয়েছে!
তাই বলি কি, মা কে ভরসা দিন, দোষ নয়। এই জার্নিটা একটা সার্টেইন টাইম পর শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু মনের ক্ষত গুলো আর সারবে না!
আক্রমন না করে ভালোবেসে বুঝিয়ে বলুন, যদি একান্তই কিছু বলতে হয়। কারন প্রতিটা মা ই একজন যোদ্ধা। ❤️
*আয়াতুলকুরসী* সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন সকলে *
যারা ফরজ নামাজের পর* *আয়াতুল কুরসী পড়েন তাদের জন্য»»মৃত্যুর যন্ত্রনা কেমন হবে—
হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর মৃত্যুর সময় যখন ঘনিয়ে এসেছে। নবীজীর ঘরের দরজায় একজন কড়া নাড়ছে । মা ফাতেমা (রাঃ)বললেন, “বাবা একজন নতুন লোককে দেখলাম দরজার পাশে।” নবীজী বললেন,“দরজা খুলে দেও তিনি আজরাইল (আঃ)তোমাকে এতিম করতে এসেছে।” ফাতেমা (রাঃ) দরজা খুলে দিলে প্রথমে জিবরাঈল (আঃ)পরে আজরাইল(আঃ) ঘরে প্রবেশ করল। হযরতে জিবরাঈল (আঃ) বলেন, “হে নবী! আজকে একজন নতুন ফেরেস্তা এসেছে, যে ফেরেস্তা দুনিয়ার কারো কাছে আসার সময় অনুমতি চাই না। আজকে আপনার কাছে অনুমতি চাইছে। আপনি যেতে চাইলে সে আপনাকে নিয়ে যাবে, না যেতে চাইলে আপনাকে রেখে যাবে।” নবীজী বললেন, “থাকতে চাইলে কতদিন থাকতে পারব?” জিবরাঈল (আঃ)বলেন, “আপনার যতদিন ইচ্ছা।” নবীজী বলেন, “তারপর কি?” জিবরাঈল(আঃ) বলেন, “তারপর যেতে হবেই কারণ জীবন যার আছে মৃত্যু তার হবেই।” নবীজী বলেন, “যেতে যখন হবে তাহলে এখনি আমি আমার আল্লাহর সাথে দেখা করতে চাই।”
হযরত আজরাইল (আঃ)প্রথমে নবীজীর বুকের উপর তার হাতটা রাখলেন।নবীজী বলেন, “আমার মনে হচ্ছে বুকের উপর ওহুদ পাহাড় রেখেছে।” নবীজী বলেন কি রাখলে আমার বুকের উপর? আজরাইল(আঃ) বলেন নবীজী আমি জানি আপনি আল্লাহর সবচেয়ে সম্মানিত মেহমান, তাই আস্তে করে আমার হাতটা রাখলাম। নবীজী বলেন, “তোমার আস্তে করে রাখা হাতের যন্ত্রনা যদি ওহুদ পাহাড় রাখার সম কষ্ট হয়, না জানি কত কষ্ট মৃত্যুর যন্ত্রনা।”নবীজী বলেন,হে আজরাইল(আঃ)! আজকে কথা দিয়ে যাও মৃত্যুর যত কষ্ট আজকে আমাকে দিয়ে দাও তবু আমার দুর্বল উম্মতকে মৃত্যুর কষ্ট দিও না।”
আজরাইল বলেন, “হে নবী! আমি যেহেতু জান কবজ করব আমি বলে দেই আপনি আপনার উম্মতকে বলে দেন তারা যেন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করে। আমি কথা দিলাম তারা মরণের কষ্ট তখন টের পাবে না..
🤎সুবাহান-আল্লাহ🤎
মৃত ব্যক্তি রা, কিভাবে বুঝতে পারে যে তারা মারা গেছে?
"ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!!!"
মৃত ব্যক্তি বুঝতে পারে না যে সে শুরুতেই মারা গেছে।
মৃত্যু পরবর্তী ----আত্মীয় স্বজনের কান্নাকাটি, গোসল, কাফনের কাপড় পরানো এমন কি তাকে কবরস্থ করা পর্যন্ত নিজেকে সে মনে করে মৃত্যুর স্বপ্ন দেখছে। তার মনে সবসময় স্বপ্ন দেখার ছাপ থাকে। তখন সে চিৎকার করে কিন্তু কেউ তার চিৎকার শুনতে পায় না।
পরবর্তীতে, যখন সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং মাটির নিচে একা থাকে, আল্লাহ তার আত্মাকে পুনরুদ্ধার করেন। সে তার চোখ খোলে এবং তার "খারাপ স্বপ্ন" থেকে জেগে ওঠে। প্রথমে তিনি খুশি এবং কৃতজ্ঞ যে তিনি যা দেখেছিলেন তা কেবল একটি দুঃস্বপ্ন ছিল এবং এখন সে তার ঘুম থেকে জেগে উঠেছে। তারপর সে তার শরীরকে স্পর্শ করতে শুরু করে, যা সবেমাত্র একটি কাপড়ে মোড়ানো হয়েছে, অবাক হয়ে প্রশ্ন করে;
"আমার জামা কোথায়, আমার অন্তর্বাস কোথায়?"
তারপর তিনি বলতে থাকেন: " আমি কোথায়, এই জায়গাটি কোথায়, কেনো সর্বত্র ময়লা-কাদার গন্ধ, আমি এখানে কী করছি?
তারপর সে বুঝতে শুরু করে যে সে আন্ডারগ্রাউন্ড, এবং সে যা অনুভব করছে তা স্বপ্ন নয়! হ্যাঁ, তিনি সত্যিই মারা গেছেন।
তিনি যতটা সম্ভব জোরে চিৎকার করেন, ডাকেন: তার আত্মীয়রা যারা তাকে বাঁচাতে পারে..
কেউ তার উত্তর দেয় না। তখন তার মনে পড়ে যে এই মুহূর্তে আল্লাহই একমাত্র ভরসা। তখন তিনি কাঁদেন এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন-------
"ইয়া আল্লাহ! ইয়া আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর ইয়া আল্লাহ...!!!
সে এমন এক অবিশ্বাস্য ভয়ে চিৎকার করে যা সে তার জীবদ্দশায় আগে কখনো অনুভব করেনি।
যদি সে একজন নেক মানুষ হয়,তবে হাস্যোজ্জ্বল মুখের দুইজন ফেরেশতা তাকে সান্ত্বনা দিতে বসবে, তারপর তার সর্বোত্তম সেবা করবে।
যদি সে খারাপ লোক হয় তবে দুইজন ফেরেশতা তার ভয় বাড়িয়ে দেবে এবং তার কুৎসিত কাজ অনুযায়ী তাকে নির্যাতন শুরু করবে।
হে আল্লাহ,🤲🤲 আমাদের গুনাহ ক্ষমা করুন, নেক কাজের তৌফিক এবং ঈমান নিয়ে পরকালে পাড়ি দেওয়া নসিব দান করুন। আমিন।😥😭😭
শেষ বিচার দিবসে প্রত্যেককে ৫০ হাজার বছর শুধু দুপায়ে দাড়িয়েই থাকতে হবে বিচার শুরুর অপেক্ষায়! সেই দাড়িয়ে থাকা এতোটাই কষ্টকর হবে যে, যারা জাহান্নামি তারা আবেদন করবে যেনো তাদেরকে জাহান্নামে ফেলে দেয়া হয় তবুও ওভাবে দাড়িয়ে থাকার কষ্ট অসহনীয়! অথচ জাহান্নামের শাস্তি আরো কঠোর! তবে বিশ্বাসীদের অবস্থা ভিন্নরকম হবে।
রমাদান মাসে,
❝দিনের বেলা সিয়াম,
রাতের বেলা কিয়াম।❞
ফরজ সলাতের কিয়াম ছাড়াও আমরা যারা রমাদান মাসে বাড়তি কিয়াম করছি (সলাতে দাড়াচ্ছি), আমাদের এই সকল কিয়ামের বিনিময়ে আল্লাহ যেনো আমাদের শেষ বিচার দিবসের হাজার হাজার বছরের কিয়াম সহজ, সংক্ষিপ্ত ও আরামদায়ক করে দেন
♣️♣️ক্যান্সার আক্রান্ত বারো বছরের মেয়েটাকে ডাক্তার আদর করে জিজ্ঞেস করলেন, 'বড় হয়ে কি হতে চাও মা?'
মেয়েটি বললো, "বড় হওয়া পর্যন্ত বাঁচতে চাই"।
স্বপ্নের কত রঙ! আকাঙ্ক্ষার কত আঙ্গিক! বাঁচার আকুতি কত হৃদয়বিদারক!
হাত বিহীন মানুষটার স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু যদি আমার হাতগুলো ঠিক থাকতো!
পা ছাড়া লোকের সাধ তো একটাই - যদি একদিন চলতে পারতাম সবার মতই।
অন্ধের স্বপ্ন যদি একটাবারের জন্য দেখতে পারতাম দুনিয়ার রঙ!!
আর বোবার সব আকাঙ্ক্ষা যেন একটু কথা বলতে পারলেই পূরণ হতো!!
মেধাবীর বাবা মা যখন সন্তান গোল্ডেন না পাওয়ার কারণে বকাঝকা করছে, তখন শত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী সন্তানকে ঘিরে তাদের বাবা মায়ের স্বপ্ন, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার নয়, সে শুধুমাত্র স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক, আপাতত এটুকুই!
আইসিইউ-র ভেতরের মানুষটা শুধু একটাবার কাঁচের দরজার এপাশে বেরুতে চায়!
আপনি যখন লিখাটা পড়ছেন, ঠিক এই মূহুর্তে মৃত্যুশয্যায় হাজারো মুমূর্ষের আর একটা মাত্র নিঃশ্বাস নেয়ার হাহাকার!
এ হাহাকার দুনিয়ার শত ডিপ্রেশনকে ভুলিয়ে দেয়!
শীতের রাতে ফুটপাত, বাসস্টপ কিংবা রেলস্টেশনে মানুষের রাত্রি যাপন করার দৃশ্য বস্তিবাসীদের কষ্টও ভুলিয়ে দেয়। দিনশেষে তার একটু মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুন রয়েছে, এদের সেটাও নেই!
আপনার গ্রামের সবচেয়ে বড়লোক, শহরের উঁচু দালান দেখে নিজেকে হতভাগ্য ভাবেন!
দুনিয়া ধোঁকার বস্তু, কখনো কাউকে তৃপ্ত করবে না! যেন হাওয়াই মিঠাই!!
আপনি যত অপূর্ণতায় ভোগেন, ভেবে দেখবেন, 'আপনার সৃষ্টিকর্তা আপনাকে এমন অনেক কিছু দিয়ে রেখেছেন যা অনেকের কাছে এখনো স্বপ্ন।'
যে চোখ দিয়ে পড়ছেন, অনেকের সেই চোখে আলো নেই। তিনবেলা পেটপুরে খেয়ে, ভালো জামাকাপড় পরে, স্বাচ্ছন্দ্যে দুনিয়ার জমিনে চলতে পেরে, সুস্থ থেকেও যদি আপনি বলেন ডিপ্রেশনে আছেন, বেঁচে থাকতে ভালো লাগছে না বলেন, তাহলে আপনি জেনে বুঝে
সৃস্টিকর্তাকে দোষারোপ করছেন!
আত্মহত্যা মহাপাপ মনে হয় এই কারণেই!
কিন্তু সমস্যা একটাই- আমরা শুধু অন্যের সুখটাই দেখি!! আর সেটিই বোধহয় আমাদের আসল অসুখ!!!
©
❤️
মনে করুন আপনি মা-রা গেছেন। আপনার জানাজার নামাজ শেষ। আপনাকে কব-রে রাখা হলো। আপনি অপেক্ষা করছেন মুনকার নাকির ফেরেশতার জন্য। কিন্তু তারা আসছে না কেন। এদিকে জান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া শুরু করেছেন আপনি।
একটু পরেই কবরের সাথে জান্নাতের একটি সুড়ঙ্গপথ তৈরি হয়ে গেলো। আপনি ভাবলেন, এ কেমন কথা। প্রশ্ন-উত্তর কই?
তখন আপনার মনে পড়লো- আপনি প্রতি রাতে সুরি মূলক পাঠ করতেন! আর 'প্রতি রাতে সূরা মূলক পাঠ করলে ক-বরে প্রশ্ন উত্তরের ঝামেলা নাই। কবর আজা-বেরও কোনো সুযোগ নাই। অতঃপর রেশমী চাদরের নরম বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে আপনি বললেন "আলহামদুলিল্লাহ।"
||তিরমিজি -২৮৯০ এর সহীহ অংশ থেকে||
কেমন হবে যদি মৃত্যুর পরের সেই সময়গুলো যদি আপনার আমার জন্য এমন সুন্দর হয়!!!
আসুন সবাই সুরা মূলক পাঠ করি, হৃদয়ে ধারন করি🤍
রোজা অবস্থায় গীবত করার পরিণাম🍁
দু’জন মহিলা রোজা রেখেছিল। হঠাৎ তাদের এতো তীব্র পানির তৃষ্ণা পেলো যে, পিপাসায় যেনো তাদের কলজে ফেটে যাচ্ছে!
ইত্যবসরে এক ব্যক্তি নবীজির (স.) দরবারে এসে আরজ করল, হে আল্লাহর রাসূল! দুইজন মহিলা রোজা রেখেছিল। তাদের অবস্থা এখন নিতান্ত নাজুক। হয়তো তারা মারাই যাবে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ সম্ভবত ওহীর মাধ্যমে আগেই জেনেছিলেন যে, রোজা অবস্থায় পরস্পরে গল্পগুজবে লিপ্ত হয়েছিল। এক পর্যায়ে মহিলা দু’জন গীবতে লিপ্ত ছিল।
তিনি বললেন, তাদেরকে আমার নিকট নিয়ে আসো। কথামতো তাদেরকে নবীজির খেদমতে হাজির করা হলো। নবীজি লক্ষ্য করে দেখলেন, সত্যি সত্যি তারা মৃতপ্রায়।
নবীজী ﷺ বললেন, একটি বড় পাত্র নিয়ে আসো। পাত্র আনা হলো। নবীজি ﷺ দু’জন মহিলা থেকে একজনকে নির্দেশ দিলেন, পাত্রটিতে বমি করো। মহিলা যখন বমি করা শুরু করল, দেখা গেল, এক অবাক কান্ড! বমির সঙ্গে রক্ত-পুঁজ ও তাজা গোশত উগলে পড়ছিল। তারপর দ্বিতীয় মহিলাকেও তিনি একই আদেশ করলেন। দেখা গেল, সেও রক্ত-পুঁজ ও দুর্গন্ধযুক্ত তাজা গোশত বমি করছে। এক পর্যায়ে সম্পূর্ণ পাত্র ভরে গেল।
নবীজি উভয় মহিলাকে লক্ষ্য করে বললেন, এগুলো তোমাদের ভাই,-বোনের রক্ত-পুঁজ ও গোশত।
রোজা অবস্থায় তোমরা এগুলো খেয়েছিলে। অর্থাৎ তাদের গীবত করেছিলে।
রোজা রাখার কারণে তো তোমরা বৈধ খাবারও পরিহার করেছিলে। অথচ হারাম খাবার তথা গীবতের মাধ্যমে অপর ভাইয়ের রক্ত, পু্ঁজ ও গোশত ভক্ষণ তোমরা পরিহার করতে পারো নি।
এগুলো খেয়ে তোমাদের পেট ভরে গিয়েছিল। ফলে তোমরা আজ এ দুরাবস্থার শিকার হয়েছিলে। যাও, ভবিষ্যতে কখনো আর গীবত করো না।
(মুসনাদে আহমদ: ২৩৬৫৩)
উক্ত ঘটনা আমাদের জন্য নিশ্চয়ই শিক্ষাপ্রদ। গীবতের রূপক নমুনাও আল্লাহ মানুষকে দেখালেন। গীবতের পরিণাম কত বীভৎস! কত ভয়াবহ!
রোজায় কষ্ট বেশি কেনো হয়!!
রোযা রেখে গীবত করলে বা মিথ্যে বললে, অশ্লীল কথা বললে, গালি-গালাজ করলে, গান বাজনা শুনলে, কানের গুনাহ করলে বা চোখ দিয়ে বেগানা মহিলা, নাটক সিনেমা বা হারাম জিনিস দেখলে অর্থাৎ গুনাহ করলে রোজায় কষ্ট বেশি হয়!!!
এককথায় গীবত মানে হচ্ছে কারো অনুপস্থিতে তার যেকোন দোষ ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করা তথা পরনিন্দা করা!
কাউকে দুর্বল বলাও গীবত, মরা মানুষের দোষ বলা ও গীবত,, কারো কাপড় ছোট বা বড় এইরূপ বলাও গীবত... অর্থাৎ কারো অনুপস্থিতিতে তার এমন কোনো কথা বলা যা শুনলে সে অসন্তুষ্ট বা তার মনে খারাপ লাগবে সেটাই গীবত!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে গীবত থেকে দুরে থাকার তৌফিক দান করুক।
***ছবিতে এক কাপ দূধ চা আছে খেয়ে নিও সবাই ☕😁
যদি সম্ভব হয় তাহলে...
সাহরির সময় খাবার আগে বা পরে অন্তত ১টি খেজুর হলে ও খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে সুন্নত আদায়ের পাশাপাশি সাস্থের জন্য ও বড় উপকারী। যদি জমজমের পানি থাকে তাহলে তা ও খাবার চেষ্টা করবেন।
আসরের পর ইফতারের পূর্ব সময়টাতে বাসায় মোটামুটি সাউন্ডে কোরাআন তেলোয়াত চালাবেন।
যাতে ঘরের সবাই শুনতে পায়। এতে ঘরের পরিবেশটার মধ্যে দেখবেন এক অন্যরকম পবিত্রময় প্রশান্তির আমেজের অনুভব হবে।
(অবশ্য লক্ষনীয়, আশেপাশের কারো যেন সমস্যা না হয়)।
ইফতারের মূহুর্ত টা দোয়া কবুলের মূহুর্ত। খাবার সামনে থাকা সত্বেও বান্দা খাবার স্পর্শ না করে আজানের অপেক্ষা করে বসে থাকার এই সময়টা আল্লাহর বড় পছন্দের। এই সময়টাতে অহেতুক কথাবার্তা না বলে সর্বাত্মক কোরআন তেলোয়াত ( যে যে সূরা মুখস্থ পারেন) ও দরুদ শরীফ পাঠ করবেন।
এবং আজানের কিছুক্ষণ আগে আল্লাহর দরবারে ভিক্ষার দুইটা হাত তুলে নিজের অতীত জীবন কর্মের জন্য তওবা করা ক্ষমা চাওয়া, ভবিষ্যৎ জীবন আল্লাহ ও রাসুলের পথে অতিবাহিত করার জন্য দয়া কামনা এবং মরন পর্যন্ত ঈমানের উপর অটল থাকতে পারা মরনকালে কালিমা পড়ে যেন যেতে পারি সেই ফরিয়াদ ও রাখবেন।
এই রমজান হোক আমাদের জীবনকে
পরিশুদ্ধ করার, প্রতিজ্ঞার রমজান।
রিজিকদাতার সন্তুষ্টি অর্জনের কাজে,
নিজেদের ননিরলস পরিশ্রম করার রমজান।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে, আল্লাহর পছন্দনীয় বান্দা হওয়ার মত যোগ্যতা নসীব করুন....আমিন
(Collected)
ছবিতে সিঙারা আছে খাবেন বেশি করে সবাই 😁😁
এক জ্ঞানী বাবা নিজ পুত্রকে বলেছিলেন, জীবনে তিনটি বিষয়ে কখনো ছাড় দিবে না।
১। ভালো খাবার খাওয়া৷
২। ভালো বিছানায় ঘুমানো।
৩। ভালো ঘরে বসবাস করা।
ছেলে : কিন্তু আমি তো দরিদ্র। এইগুলো আমার দ্বারা কিভাবে সম্ভব?
বাবা :
১. যখন প্রচন্ড খিদে পাবে, তখন খাবে৷ তাহলে যা খাবে, তাই হবে সবচেয়ে ভালো খাবার।
২. যখন কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাবে, তখন ঘুমাবে। যেখানেই ঘুমাবে, সেটাই হবে ভালো বিছানা।
৩. যখন মানুষের সাথে মিশবে, সদাচারণ করবে। তাদের অন্তর জয় করে সেখানে বাস করবে। এটাই হবে তোমার জন্য সবচেয়ে ভালো ঘর। ভালো ঠিকানা।
🧔স্বামী: হুম! খাওয়া শুরু করো।
🧕স্ত্রী: হুম!
আচ্ছা তুমি খাবার নিয়ে কয়টা হাদিস বলতে পারবে?
🧔স্বামী: আলহামদুলিল্লাহ! অনেকগুলোই বলতে
পারব।
🧕স্ত্রী: তো বলো শুনি!
🧔স্বামী:খাবারের আগে দুই হাত ধোয়া,,
বসার আদব ঠিক রেখে
বসা,,
বিসমিল্লাহ বলে খাওয়া,,সামনের দিক থেকে
শুরু করা,,
খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া না করা,,
খাবার পড়ে গেলে তা উঠিয়ে পরিষ্কার করে
খেয়ে ফেলা।
আঙ্গুল চেটে খাওয়া।।
খাবার শেষে আবার দুই হাত ধোয়া,
খাবার শেষে আল্লাহর
কাছে শুকরিয়া আদায় করা অর্থাৎ দোয়া পড়া।
🧕স্ত্রী:মাশাআল্লাহ!
সবি ঠিক বলছ তবে,,,
আর কোন হাদিস মনে পড়ছে না?
🧔স্বামী:না,,,
আরো আছে নাকি থাকলে তুমিই বলো!
🧕: হুম! আছে তো অবশ্যই
রাসূল সা. বলেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের
জন্য
তুমি যে কোন ব্যায় করো না কেন
তোমাকে তার বিনিময় প্রদান করা হবে,,,
এমনকি যা তুমি তোমার স্ত্রীদের
মুখে তুলে দেবে তারও প্রতিদান পাবে।
(বুখারি ৫৬)
🧔স্বামী:হা হা হা!
পাগলি একটা,, বললেই তো হয়।
আমার হাতে তোমার খেতে ইচ্ছে করছে,,
🧕স্ত্রী: লজ্জা লাগে☺️🙈🙈🙈
শিক্ষামূলক ছোট গল্প।
এক ফোঁটা মধু মাটিতে পড়ে আছে!
পাশ দিয়ে ছোট্ট একটি পিপীলিকা যাচ্ছিল!
মধুর ঘ্রাণ নাকে ঢুকতেই থমকে দাঁড়াল!
ভাবলো একটু মধু খেয়ে নেই!
তারপর না হয় সামনে যাবো!
এক চুমুক খেলো! বাহ্! খুব মজা তো!
আর একটু খেয়ে নেই! আরেক চুমুক খেলো!
তারপর সামনে চলতে লাগলো!
হাটতে হাটতে ঠোঁটে লেগে থাকা মধু চেটে চেটে খাচ্ছিল!
ভাবলো,এত মজার মধু আরেকটু খেয়ে নিলে কি হয়?
আবার পিছনে ফিরলো!
পূর্বে মধুর একপাশ থেকে খেয়েছিল!
এবার চিন্তা করলো ভিতরে মনে হয় আরও মজা!
এবার আস্তে আস্তে বেয়ে বেয়ে মধু ফোঁটার উপরে উঠে গেল!
বসে বসে আরামছে মধু খাচ্ছে!
খেতে খেতে এক পর্যায়ে পেট ফুলে গেল!
ঐ দিকে আস্তে আস্তে পা দুটো মধুর ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে!
তখনই হঠাৎ টনক নড়লো তার!
কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে!
মধু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলছে!
কিন্তু নাহ্! মধুতে তার সমস্ত শরীর মাখামাখি অবস্থা!
অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে আর উদ্ধার করতে সক্ষম হলো না!
নাকে মুখে মধু ঢুকে দম বন্ধ হয়ে যেতে লাগল!
অবশেষে.. পিপীলিকাটি মধুর ভিতরে আটকে পড়েই মৃত্যু বরণ করল!!
এই বিশাল বড় দুনিয়াটাও এক ফোটা মধুর মত!
যে এই মধুর পাশে বসে হালাল ও অল্পতে সন্তুষ্ট থাকবে সেই বেঁচে গেল!
আর যে এই স্বাদের মধ্যে ডুব দিতে গিয়ে হালাল-হারাম বাচ-বিচার না করে শুধু খেয়েই গেল,আরেকটু আরেকটু করতে করতে একদিন সে এর মায়াজালে আটকা পড়েই মারা যাবে!
তখন আর কেউই উদ্ধার করতে পারবে না!
ধ্বংস অনিবার্য!
তার দুনিয়া ও আখেরাত দু'টোই শেষ!
হে আল্লাহ্ তুমি আমাদেরকে এই দুনিয়ার ভালাবাসায় অন্ধ করে দিওনা! আমাদেরকে হালাল-হারাম বেছে চলার তাওফিক দান করুন।
আমিন!!!
হযরত মুসা (আঃ) একবার আল্লাহ কে জিজ্ঞাসা করলেন! হে আল্লাহ আমার থেকে কি কেউ আপনার নিকটতম আছে? যেমন আমি আপনার সাথে কথা বলি।
তখন আল্লাহ তায়ালা জবাব দেন! হে মুসা আখেরী যমানায় এমন এক উম্মত আসবে যারা হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)এর উম্মত! এবং এই উম্মতের লোকেরা এমন একটি মাস পাবে! যারমধ্যে তাদের শুকনো ঠোঁট, পিপাসার্থ মুখ, শুকনো চোঁখ ও ক্ষুধার্ত পেঠ নিয়ে যখন ইফতার করার জন্য বসবে! তখন আমি তাদের নিকটবর্তী হয়ে যাবো।
হে মুসা তোমার আর আমার মাঝে সত্তরটা পর্দার পার্থক্য! কিন্তু ইফতারের সময় এই উম্মত আর আমার মাঝে কোনো পার্থক্য থাকবে না! এবং যা কিছু তারা চাইবে সেগুলো কবুল করা আমার জিম্মাদারে থাকবে। সুবহানআল্লাহ। ♥
❤️❤️
এক ভদ্র মহিলা তার বাড়িতে মসজিদের হুজুরকে দাওয়াত করলেন। মহিলার বাড়িতে স্বামী-সন্তান কেউ নেই।
তো ইমাম সাহেব যথাসময়ে তার অবুঝ সন্তানসহ দাওয়াতে উপস্থিত হলেন।
মহিলা ছিলেন পর্দানশীল।মহিলা যে রুমে ছিলেন আর হুজুর যে রুমে বসলেন,দুই রুমের মাঝখানের দরজায় উন্নতমানের পর্দা সাঁটানো ছিল।পর্দার একপাশ থেকে একটা একটা খাবার মহিলাটি ঠেলে দিলেন, ইমাম সাহেব অপর পাশ থেকে খাবার টেনে নিয়ে তৃপ্তি সহকারে সন্তানকে নিয়ে খেলেন।
খাওয়া শেষ হলে সন্তান তার বাবাকে বলে বাবা,এরকম একটা পর্দা আমাদের বাড়িতে লাগিয়ে দেবে! বাবা বললেন, কেন...?
সন্তান বলল, বাবা দেখলে না,পর্দায় কত মজার মজার খাবার দেয়..!
সন্তানের এহেন কথা শুনে পিতা থ হয়ে গেলেন।তিনি তার সন্তানকে বললেন,নারে বাবা!পর্দায় খাবার দেয় না।পর্দার আড়ালে কেউ একজন আছেন,সে খাবার দেয়..!
ঐ অবুঝ বালকের মতোই আমরাও অনেকে ভাবি,জমি আমাদের খাবার দেয়,চাকুরি,বিজনেস আমাদের ইনকাম দেয়,অসুস্থতায় ডাক্তার আমাদের সুস্থ করে তোলে,দক্ষ ড্রাইভার আমাদের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করে।
আসলে জমি,চাকুরি,বিজনেস,ডাক্তার এ সবকিছু হচ্ছে দুই রুমের মাঝের ঐ পর্দা।আর ঐ পর্দার আড়ালে সবকিছুর একজন নিয়ন্ত্রক আছেন,যিনি আমাদের জন্য তাঁর অফুরন্ত নিয়ামত ঠেলে ঠেলে দিচ্ছেন।
তিনি মহান আল্লাহ।কিন্তু আমরা বড়ই অবুঝ!পর্দার আড়ালে কে আছেন,তার খোঁজ না নিয়ে,আমরা পর্দাকেই সবকিছু ভেবে বসে আছি।
আল্লাহ আমাদের সহীহ্ বুঝ দান করুন।
..... আমিন...
জীবন ও কঠিন বাস্তবতার গল্প
এক ব্যাক্তির স্ত্রীর পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সে মৃত্যু হল, সবাই যখন দ্বিতীয় বিয়ের পরামর্শ দিল। তখন তিনি বললেন স্ত্রীর সবচেয়ে বড় উপহার ছেলে আছে ওকে নিয়েই কেটে যাবে।
ছেলে যখন বয়স হল ছেলেকে সব ব্যবসা বুঝিয়ে দিয়ে কখনও নিজের আর কখনও বন্ধুর অফিসে সময় কাটাতে লাগলেন। ছেলের বিয়ের পর উনি আরও
বেশি একাকী হয়ে পড়লেন। তখন পুরো বাড়ি বৌমার অধিকারে দিয়ে দিলেন।
ছেলের বিয়ের কিছুদিন পরে তিনি দুপুরে খাবার খাচ্ছিলেন ছেলেও অফিস থেকে এসে হাত মুখ ধুয়ে খাবার খাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল।ছেলে শুনতে পেল বাবা খাবার পর দই চাইল আর বৌ জবাব দিল আজকে ঘরে দই নেই!খাবার খেয়ে বাবা বাহিরে হাটতে চলে গেল। কিছু পরে ছেলে তার বৌয়ের সাথে খাবার খেতে বসল। খাবারে পাত্র ভরে দই ছিল ছেলে কোন প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে খাবার খেয়ে অফিস চলে গেল।
কিছু দিন পর ছেলে নিজের বাবাকে বললেন --"আজ আপনাকে কোর্টে যেতে হবে আর আজ আপনার বিবাহ হচ্ছে "। পিতা আশ্চর্য হয়ে ছেলের দিকে দেখল আর বললেন "বাবা! আমার আর বিয়ের দরকার নেই, আর আমি তোমাকে এত স্নেহ দিই যে তোমারও মায়ের দরকার নেই, তো আবার বিয়ে কেন?!
ছেলে বলল "বাবা, না আমি নিজের জন্য মা আনছি, না নিজের স্ত্রীর জন্য শ্বাশুড়ি আনছি! আমি তো কেবল আপনার জন্য দই এর ব্যাবস্থা করছি! কাল থেকে আমি ভাড়া বাড়িতে আপনার বৌমার সাথে থাকব আর আপনার অফিসের এক কর্মচারীর মত বেতন নেব, যাতে আপনার বৌমা জানতে পারে দই এর দাম কত।
*মা-বাবা আমাদের জন্যে ATM কার্ড হতে পারেন*
*কিন্তু তারা আমাদের দয়ায় না বরং আমরা তাদের দয়ায় বেঁচে থাকি।
স্বামী বাজারে গেছে আর ফেরার নাম নেই।
স্ত্রী ফোন করলো
স্ত্রীঃ হ্যালো তুমি কোথায়?
স্বামীঃ গত ঈদের আগের দিন আমরা যে জুয়েলারি দোকানে গিয়েছিলাম, তুমি একটা হার পছন্দ করেছিলে, মনে আছে?
স্ত্রীঃ হাঁ হাঁ মনে আছে।
স্বামীঃ কিন্তু তখন আমার কাছে অতো টাকা ছিলো না মনে আছে?
স্ত্রীঃ মনে থাকবেনা কেন সব মনে আছে।
স্বামীঃ তখন তোমার মন খারাপ হয়ে ছিল মনে আছে।
স্ত্রীঃ আরে ধুর মনে থাকবেনা কেন সব মনে আছে।
স্বামীঃ তখন আমি বলেছিলাম যে হারটা একদিন আমি তোমায় কিনে দিব।
স্ত্রীঃ এবার ভীষণ খুশি হয়ে বল্লো- মনে আছে ‘জান’ তারপর বলো।
স্বামীঃ আমি সেই জুয়েলারি দোকানের পাশে যে নাপিতের দোকান আছে সেই নাপিতের কাছে চুল কাটাচ্ছি। ফিরতে একটু দেরী হবে । 🫢🫢🫢
বাকি রোইলো ইতিহাস |🫢🫢
Moong dal er pakora
😋😋😋😋
Asma's cooking Blogger
????
If you like this video,,
I'll post do this full video।।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Website
Address
Kulitapara, Bagnan
Howrah
711312
Howrah
Hey there!!! We are the introverted foodies !! follow us on our fascinating journey of discovering v