mahato_vai_amit
Nearby media companies
New York 10007
Rajshahi Division
Bhavnagar, Bhavnagar
Abu Dhabi
New york, New York
New York 900203
Dhaka
Canal Street, New York
You may also like
ব্লগ লিখিয়ে, জঙ্গলমহলের কলমচি। অমিত মাহাত।
অণুগল্প
সাপিনীর বিষ কিংবা ভবিতব্য ঃ অমিত মাহাত
একা না হলে লেখা আসে না।
একা না হলে হস্তমৈথুনের স্পৃহাও জাগে না। একা হই, লিখি। উঠে গিয়ে হস্তমৈথুন করি।
ছটপটানি শুরু হয়।
আলো আর খোলাচোখ এই দুটো জিনিস আমাকে বেশিদূর যেতে দেয় না। পারিও না। উঠে গিয়ে অন্ধকার নামানোর আয়োজন করি।
অন্ধকারে কতদূর চলে যাই। অন্ধকার মেয়ে হয়ে উন্মুক্ত করে দেয় ওর খোলাপিঠ ।
অন্ধকার তখন আরও বেশি মোহময়। অন্ধকারের মোহশক্তি আমাকে অবশ করে। খোলাপিঠে অন্ধকার মেখে ও মেয়ে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে উঠে যায়। ঠিক যেমন, মা তার কোলের ছেলেকে দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে আগুনের কাছে, খিদের কাছে ফিরে ফিরে যায়।
চোখ বন্ধ করলে, অন্ধকারের সেই মেয়েটি আমার দিকে পেছন ফিরে ধীরগমনে দুরত্ব রচনা করে। ওর মুখ কখনও কেন যে দেখি নি। মনে করার চেষ্টা করি। পারি না।
সে কখন, কীভাবে আসে? কীভাবে ঘুম পাড়ায়? এসব কিছুই মনে করতে পারি না। ওর তবে কি আসা নেই, যাওয়া আছে। ও যখন উঠে যায়, আমি ওর খোলাপিঠ দেখি।
ওর খোলাপিঠে অন্ধকার খেলা করে। অন্ধকার আমাকে নিয়েও খেলে। খেলাচ্ছলে গিলে খায় আমার ভবিতব্য।
কুড়মিদের থামাতে হবে। আর বাড়তে দেওয়া যাবে না। ঠিক এই রকম একটি জিগির তোলা হচ্ছে।
এর আগেও শালবনীর ঘটনায় কুড়মি ও সাঁওতালদের লাগিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত হয়েছিল। ভাইপো ও প্রশাসনিক সহযোগিতায়। প্রশাসনের লাভের লাভ কিছুই হয় নি। উল্টে কুড়মি পারদ আরও চড়ল। যার ফল পঞ্চায়েত নির্বাচনে। বিজেপি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল জংগল মহলে। কুড়মির কাপড় খুলতে গিয়ে নিজেরাই ন্যাংটা হল। সেই জায়গায় প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে চলে এল কুড়মি।
এই জ্বালা নিতে পারছে না। কি শাসক কি বিরোধী। কি তৃণমূল কি বিজেপি।
ঝাড়গ্রামের কুড়মি নেতাদের তো ঠান্ডা করা গেল।(সত্যিই কি ঠান্ডা করা গেছে?) এবার পুরুলিয়াকে থামাতে হবে। এই উদ্দেশ্য নিয়েই অজিত বাবুর ভিডিও ভাইরাল করা হল। রেল টেকা আন্দোলনের ঠিক আগে আগে। অতেব জাগো হিন্দু। রাস্তায় নামো। কুড়মিদের ঠেকাও। এর আগে সাঁওতালদের রাস্তায় নামানো হয়েছিল কুড়মিদের বিরুদ্ধে। এবার হিন্দুত্ব সুড়সুড়ি!
বেআইনি জমায়েত, পুলিশকে আঘাত এইরকম জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তার করা হল সতেরো জন কুড়মি নেতৃত্ব আন্দোলনকারিদের।
অনেক চক্রান্ত হবে। অনেক ষড়যন্ত্র হবে। অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হবে। অনেক মিথ্যা মামলা হবে। কিন্তু এই করে কি কুড়মি আন্দোলন দমন করা যায়? না যাবে?
একেক সময়ে শ্মশানে এলে মনে হয়, এই যে দেহভান্ড বয়ে বেড়াচ্ছি, এই যে একটা গোটা শরীর নিত্যদিন যা বহন করে চলেছি, তা যদি কোনও এক গাছের নীচে কিংবা কোনও এক নদীর পাড়ে ফেলে রেখে চলে যাওয়া যেত।
দুদিন তিন দিন ফিরলাম না আর। শরীরের মায়া পড়ে থাকুক, যেখানে ফেলে রেখে চলে যেতে চাইছি।
ধরা যাক আর ফিরলাম না। একটি মাস কেটে গেল। বছর কাটল। আমি আর ফিরতে পারলাম না ।
সেই যে নদী পেরিয়ে চলে এলাম। দীর্ঘদিন। দীর্ঘকাল।
শরীরহীন এক জার্নি যেদিন থেমে যাবে। সেদিন হয়তো পুরনো পথে ফিরতে চাইব।
একদিন সে ফেলে রাখা শরীরের টানে হয় তো ফিরলাম। যে ঘাট আমাকে পার করে দিয়েছিল। ফেরার সময় সে ঘাট আমাকে চিনতেই পারল না।
নদীকে জানালাম, আমি ফিরতে চাই।
নদী বলল, যাও। ভেসে যাও। অনন্তকাল ধরে
আমিও ফিরতে চেয়েছি পাহাড়ে। গিরিকন্দরে। পারি নি।
বাস্তবে ফিরতে বুঝলাম। দেহটি তখনও পুড়ছে। প্রিয়জন। প্রিয়মানুষ। প্রিয়শরীর পুড়ে ছাই হবে। শরীর পোড়ার গন্ধ। বাতাসে। বাতাসে কুন্ডলী পাকিয়ে সে শরীর ধোঁয়া হয়ে উঠে যাচ্ছে উপরে।
শরতের কাশবন বসন্তে খুঁজে পাওয়া যাবে না আর।
কলমে - অমিত মাহাত Amit Mahato
ভাদর গাথা ঃ অমিত মাহাত
# # #.কোই গে কি রাঁধলি?
-কি আর রাঁধব দিদি? বিলের গেঁঢ়ি আর বাড়ির অল। আর কি পাবি?
-হামদের অ কনঅ নাই। সঁল্লা শাগ। পুটকার বাপ অ নাই। আর বেসাতির জ্বালা! হেঁগে বড়অ বাঁধ যাবিস? সিনাতে?
-যাব কি দুধের ছানা কঁকাবেক যে!
পুটকা মাঁঞ গেল মাছ শিকারে। মাহাত ঘরের বাঁধ। যাবার পথে মাঝ কুলহিএ কাদা। ছানারা সে কাদায় নাচ লাগঁায়ছে। করম পরব আসছে যে।। বুল্টি আগ দহলি নাচছে। জাওয়া গীত শিখে লিছে নানি বুঢ়ির কাছে। ..
চার কুইনা পখৈর টি সনাবাঁধা ঘাট গো
চার কুনে উঠে মাগুর মাছ।
জালে ধরিব মাছ খঁচলে ধরিব গো
ঝালঅ বাঁটনা দিয়ে লহকে রাঁধিব।
লহকে রাঁধিব মাছ মহকে খাইব গো
হাত অ ধুয়ে মাচিলায় বসিব।
মাচিলায় বসিএ পায়রা...
কই গে কথা যাছিস? পায়রার আর বাঁকুড়ার বাজার দেখা হইল্য নাই। জালি ঝুমকা কদমের কলি কিনাও নাই হইল্য। পুটকার মাঁঞকে টেকায় দিল বুল্টির নানিবুঢ়িটা।
-আয় গে দুবেড়া নাচেলে।
আর খঁচলে মাছ ধরা নাই হৈল্য মাহাত বাঁধে। ছানা গাকে জাওয়া নাচের টেরনিং দিতে হবেক যে দুদিন বাদে পরব।
আর তরকারির কি হবেক? ঘরে নুন হলৈদ সউব সিরাঁঞেছে। জাওয়া যে দিলি তরাহ হলৈদ কথা পালি গো...? দকানিকে নাম দিব হলৈদ বেপারি। পহিল গীত এ উচড়ন। তরকারি যা হোক হবেক। -আদাড়ে বাদাড়ে ঝিঁগা বিলের পুঁঠি মাছে গো... লাল লৈট্যায় ধব লৈট্যায় মেসায়েঁ রাঁধিব।। আহা অমৃত । জীবন উপভোগ করতে হয় এভাবেই। যেটা পুটকার মাঁঞ জানে।
ভকড় কাকা'র খুখড়ার মিসিং ডায়েরি
এক সপ্তাহের উপর হয়ে গেল। না সাইকেলের রেন্টেঠেরেং, না ভকড় কাকা'র দেখা! কিছু একটা হয়েছে বুঝলাম। কিন্তু ঠিক কী হয়েছে? কী কারণে ভকড় কাকা গায়েব! কিছুই তো বুঝছি না।
পাছে কাকি উয়াকে ডিভোর্স টা দিয়ে দিল। না কাকির লক্ষী ভান্ডারের ম্যাসেজ ঢুকেছে আর সেই কারণের কাকার মন খারাপ। কোনওই তো বুঝছি না।
কাকার হল্যটা কী হে! মর্যে যায় নাই তো। উটা বোধ হয় নাই হবেক। একটা ঠিকেই খবর পাথি হে। এদিকে আমার মাথা খারাপের বেরাম টা টুকচা বাড়িছে মালুম হছে। মন খারাপ হলে পার আছে। মাথা খারাপে পার নাই হে। হয় ইস্পার না হয় উস্পার!
একদিন বিলের দিগে গেলি। মাছ গেঁঢ়ি খাঁখড়ি যদি মিলে আর কি। নাই মিলল। ধান লাগা বিলে যে ঘাস জন্মায়ছে দেইখে ভাদৈরা খরায় মাথার ভিথরে যে গেধিটা থাকে উ পুরা তাতৈল দুধের পারে বল্কানি শুরু হয়ে গেল যে বিল লে ঘর আইসব কি নিকাতে লাগে গেলি। দু হাত ঘাস টানাটানি তে হাতও লেটেক পেটেক। আর গামছাও লেসকা লেসেক। বিলের লে আইড়্যে উঠে দাঁড়ালি। ব্যালাটা থানালি টুকু। টুকু ঢের ব্যালা হয়েছে হে। দুপৈহরা। রিটপিটায় ঘর মুহা হলি।
অ খুড়া! ই কাকে দেখছি! হৈলদা শুখনা ধুলা উড়া চালিটা গামছা বিছায় রাস্তার দিগে মুখ করে শুই আছে ভকড় কাকা।
ভকড় কাকা আমাকে দেইখে বৈল্ল, -এতনা লেট করতে আছে! সাঁঝবেলা খাওয়া অব্দি চাল ছাড়িছিস ত? তাইলে তর সাঁঝে উপাস! দুপৈহরা লাগা কাকা পুতরা সঙেই খাব বঅ।
আমি বললি, সে না হয় খালিস। চাপ নাই। কিন্তু তরকারি যে কনঅ নাই। কুঁদরি লতের অ মাচা ভাঙা। যে কঅটা ছিল গাঁয়ের ছাগলে চুঁথে দিয়েছে৷
- তর দেখছি কনঅ হবেক নাই। বিহা ত হবেকেই নাই। হলেও বহুটা দুদিনও টিকবেক নাই তর কাছে।
-সে ঠিক। আমরাই কদিন টিকব। আর তুই কাকা যে হারে মদ মারছিস আইজ নাই ত কাইল এক্সপায়ার করবিস!
-তাইলে তর কাকি বিধবা ভাতা টা পাবেক বঅ!
-আর লক্ষী ভান্ডার?
-উটাও পাবেক।
হাঁড়ি কুড়ি উসরায় দেখলি যে ভাত আছে দুজনের হবেক। বাহির বাইরায় দেখলি কাকা নাই!
-লে ই ডিম দুটা ভাজ দেখি। তদের গাঁ ভিতরে যে দোকানটা আছে। নিয়ে আনলি। পৈসা দিই নাই। উটা তুই দিবিস। আর হঁঅ পাঁচ টাকার বিড়ি লিয়েছি।
খাওয়া দাওয়া মিটল। ভকড় কাকা ইবার কি বলে দেখা যাক।
শেষে বৈল্ল - দুদিন টেটেবেজে গেল। তর কাকি দুয়ারে সরকারে লাইন দিতে গেল। আর ইদিগে আমার খুখড়া হারাইল। সাঁঝে নাই খহড়িল বঅ। পরদিন সকালেও। দুপহরেও নাই। আর সাঁঝেও নাই। এত পেহলেবান ডাকরোইল খুখড়া পুরা গায়েব।
-পাছে মদের চাখনা বনাও নাই ত? আমি বললি।
-ঘরের খুখড়া ঘরের লকে খায় না কি?
তা বাদে?
- তা বাদে তর কাকি আর আমার থসড়বজর। কেলেকেচে। এখন আর বৈসব নাই বঅ। থানা যাব।
-হেঁ বঅ, থানা?
-হঁ বঅ। থানার আইসিকে লিখিতং দিতে হবেক। মানে খুখড়ার একটা মিসিং ডায়েরি থানায় না করে রাখলে আর চলছে নাই।
-আচ্ছা যাও তবে। থানায় যাইয়ে দেখো। একটা কিছু যদি হয়।
ভকড় কাকা কানের ঠুঁটা বিড়িটা মুখে নিয়ে মাচিস ছুরকায় ক'বার ফুকুস ফাকুস ধুঁগা ছাড়ে বৈল্ল, -তো দে রে ব অ। একটা দরখাস্ত লিখে। লিখিতং টা বয়ান এই রকম হবেক
টু দি আইসি , নিচে লেখ, আমি শ্রী ভকড় মাহাত বিনয়ের সহিত জানাইতেছি যে, বিগত ভাদরের দশ তারিখ হইয়ে আমার একটি দেশি মুরগা ব্রাকেটে লিখঅ লাল ডাকরৈল খুখড়া সাঁড়া মাঠে চরিবার স্থান হইতে নিখোঁজ হইয়া গিয়াছে...
কলমে - অমিত মাহাত
গমহা পরবের খুঁটিনাটি ঃ অমিত মাহাত
চাষের কাজ যখন শেষ হয়ে আসত, এক গুঢ়া দু গুঢ়া হয়তো বাকি ধানের গুছি গাড়তে। যখন শরীর আর চাইত না কাদামাখা হতে। শরীর চাইত থুকাম টানতে চাষকামে। সে শ্রাবনের শেষ কি ভাদরের শুরুর কটা দিন।
মা তখন বলে উঠত -" ব্যাটা, যা তো রে ক্যালেন্ডার টা দ্যেখে বল, গমহা টা কবে পৈড়ছে? ইবার সরাবনে পৈড়ব্যেক নঅ ভাদরে পৈড়ব্যেক?
একটি মাত্র শব্দ। গমহা। আমি শ্রাবন মাস থেকে চৈত্র মাসের শেষদিন পর্যন্ত চলে যেতাম ক্যালেন্ডারের পাতা পালটে। কোথাও আর গমহা খুঁজে পেতাম না।
খুঁজতে খুঁজতেই মা কে বলতাম - কই, গমহা তো কোথাও নাই। ক্যালেন্ডার এ লেখেই নাই গমহা পরব!
তখন মা - অ রে দ্যাখ, পুন্নিমা টা কবে?
তখন ফের পুন্নিমা খুঁজে বলে দিতাম -ইবার শরাবনের শেষে কি ভাদরে প্রথম পক্ষে পড়বে।
তো যেটা ক্যালেন্ডারে নাই। লেখা নাই। সেটা গমহা। এইরকম আমাদের কৃষিভিত্তিক যেসব পরব তিহার। টুসু হাল হালচার পরব থেকে কুঁঢ়া পরব। রহৈন থেকে ডাক সাঁকরাইত। করম জিতুয়া থেকে জিহুড় পরব। বাঁদনা থেকে হালচার। কোনওটাই প্রচলিত ক্যালেন্ডারের পাতায় খুঁজে পাওয়া যাবেক নাই।
তাইলে ক্যালেন্ডারের বাইরে এই সব পরব তিহার চিনব কেমনে?
প্রসঙ্গক্রমে আমাদের গমহা পরবের দিন পড়ে। রাখি পূর্ণিমা। ঝুলন পূর্ণিমা। রাখিতে ভাই বোন পরস্পরের হাতে রাখি বেঁধে রক্ষাবন্ধন পালন করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ রুখতে হিন্দু মুসলমান এর ভাতৃত্ববোধ জাগাতে অরন্ধন ও রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন ১৬ ই অক্টোবর ১৯০৫ খ্রীস্টাব্দে।
আর ঝুলন পূর্ণিমার ইতিহাস হল রাধাকৃষ্ণ লীলা'র বিশেষ শ্রাবণ কেলি। দোলনায় ঝুলে প্রেম অভিসারে ভেসে যাওয়ার একটি দিন।
আর আমাদের গমহা পরব? প্রচলিত দাঁতকথা। কভউ নাই গমহা, আইজ পুন্নিমা। অর্থাৎ যে কোনও দিন গমহা মানে নাই। তার মুখে একটি অতি সাধারণ পুন্নিমা তিথি মানা বেমানান। সব লে বড় গমহা।
গমহার দিনে যা হয়। যা হয়ে থাকে। ঘরে ঘরে তাল পিঠা। যদিও ভাদরে তাল খেলে পিত্ত বাড়ে। কিন্তু গমহায় ছাইড়। এর পরে আর তাল খাওয়া যাবে না।
চাষের কাজের ছুটি। এদিন বিল ঝাড়ের কাজ বন্ধ। চাষের কাজ উঠে গেলে গমহার দিনে হালের হাইলা গরুর হলুদ জলে পা ধুইয়ে শিং এ তেল ও কপালে সিঁদুর প্রলেপ দেওয়া হয়। লাঙল জুতবে সেই আইখানে হালচারে।
গমহার দিনে আলতি ও হলুদ গাছের গোড়ায় মাটি দেওয়া হয়।
গমহা নিয়ে প্রচলিত একটি লোককথা রয়েছে। যেটাতে বোনের সন্তানদের মামা হিসাবে দেখভালের দায়িত্ব নিয়ে ভাগ্না ও ভাগ্নিকে নিজের ঘরে নিয়ে এসে রেখেছিল। গমহার দিনে জমিনে পাঠিয়ে ছিল ওদের মামী। মামা গিয়ে দেখে ওর বোনের ছেলে ও মেয়ে দুটি সাপ হয়ে ধান জমিনের জলের নালায় ভেসে যাচ্ছে। এই হল কাহিনি।
গমহা শব্দের আক্ষরিক অর্থ। অপশক্তি বিশেষ। যেমন ভর সাঁঝে খেতে বসলে বা চাইলে মা বলত - "ভর সাঁঝে গমউহা র মতন খাতে নাই। "
-খালে কি হবেক?
- গমহুয়ায় ধরবেক।
গমহুয়া কি কোনও অপশক্তি বিশেষ? অপদেওতা? ধানবিলে এই সময় বিশেষ পোকা লাগত। অনেকেই গমহা পোকা বলে থাকে।
গমহা কি গো-মুহা ? গো শক্তি? এই নিয়ে বিস্তর খোঁজ, গবেষণা দরকার।
পরে আবারও এ নিয়ে লেখা হবে। চর্চা হোক। চর্চিত হোক। উঠে আসুক প্রকৃত তথ্য।
১ এর সঙ্গে ১ জুড়লে ২ হয়,
--এটা গুনতি র হিসেব।
১ এর সঙ্গে ১ জুড়লে ১১ হয় ,
এটা সংগঠনের ক্ষমতা ।
১ এর সঙ্গে ১ জুড়ে দিলে একাকার হয়ে যায় ,
ইয়ে ইশক্ হ্যায় ।
১ এর সঙ্গে ১ মিশিয়ে শূণ্য হয়ে যায় ,
ঈশ্বর আর আদমি ।
মজাটা হলো ১ এর সঙ্গে ১ মেলাতে দেয় না -- কূটনৈতিক।
১ এর সঙ্গে ১ কে লড়িয়ে দেওয়ার মজা যে লুটে তার নাম -- রাজনীতি।
ভকড় কাকা'র চাকরি বৃত্তান্ত
অড় তল বড় তল সেই বুঢ়ির পঁদতল। ইঠিন উঠিন ঢনক্যে পুরায় ঘুরে ফিরে সেই আমাকেই পাকড়াও করল। না বঅ পুলিশে লয়। পুলিশ হলে ত আজ চাকরি টা পাইয়ে যেতাম। পড়লি যাইয়ে ভকড় কাকার খপ্পরে। যে সে কাকা হলেও বিড়ির ফুকানে খাতির বিদায়। পিঁড়ায় বসা লে চাকড়া উঠা তক্কো যে খরচ। বিড়ির মেহমানি খাতিরে মিটে। তা বলে ভকড় কাকা!
উ যেখানে একবার পা অসরায় বসবেক। একটা গোটা দিনের চব্বো। ওর কথা না ফুরাবেক। ঠিলির পানি ফুরাবেক যে। মুখের কথা নাই ফুরাবেক।
ভকড় কাকার সাইকেলের ঠেরেং ঠারাং আওয়াজ শুনা পাইয়ে বুঝে গেলি আইজ আর মুতারও অবসর নাই মিলবেক।
প্রথম কথাটাই হল আফশোস করার মতো। - নাই বঅ। ইবারেও নাই হল। পুলিশের চাকরি টা হত্যে হত্যে বেহাত হয়ে গেল বঅ।
- সে কি?
- সে বিরাট বেপার! বিরাট গল্ফ। শুনবে তো উচরাব। কলম খুলে যাবেক যদি লিখতে পার তবেই..
এইখানে বলা যে আমি টুকচা লেখি। লেখালেখি করি। ইটা ভকড় কাকা জানে।তবে কেমন লিখি আর কি লিখি সেটা নাই জানে। আর ঊয়ার এমন ধারা কাহানির কালেকশন মাথা খারাপ করে দিবেক।
দিন কতক আগে ভকড় কাকার কানে খবর পৌঁছায়। পুলিশে চাকরি দিচ্ছে। নিজ নিজ থানায় লেখাজখা চলছে। ও একদিন থানা দিগে গেছিল। শুনে এসেছিল।
-হামি যায়ে দেখলি থানার বাহিরে গাইদে লক। লাইন দিয়া থারাথারি বেপার। ভাবলি যাই লাইন টা দিয়ে দিই। একজনকে শুধালি এথায় কিসের লাইন বঅ খুড়া! কম্বল তম্বল ফ্রিতে মিলছে ন কি?
যাকে শুধালি সে বলল -নাই, নাই। কম্বল তম্বল নাই কাকা। এথায় ফ্রিতে চাকরি দিছে।
-অ বাপ! চাকরি!
অদের কে বললি তরহা কি চাকরি লিবিস। একজন টিরামুহা মোচ কাটা পেটমোটা বৈল্ল - হামরা সউব মাওবাদী বঠি। মাডার করিছি গাঁ কে গাঁয়ে যাইয়ে।
- অ তরহা তবে মাওবাদী বঠলিস! হেঁ বে সাচ? ন পেঁদুয়া। হামি ডেনাটা ফেটফেটায় হুঁকড়ে দিলি। অ বে ছাড়। শালা হামি অ মাওবাদী বঠি।
- হামি অ মাওবাদী
- হামি অ মাওবাদী
- হামি অ।
-অবে! হামি অ মাওবাদী।
কেঊ বৈল্ল হামি ট্রেন লাইনে মাইন পুঁতেছিলি। কেউ বলল - হামি চায়না ডাইনাদিগে ছিলি। উ এনকাউন্টারে গেল। হামি পালালি। কেউ একজন জানাল সে বিকাশের ভাত পৌঁছে দিত বক্সিবাঁধের জঙ্গলে। কেউ কিসেনজিকে লংকাপুড়া সাপ্লাই দিত। একজন চোরমুহা উ জানাল সে তার নিজের শ্বশুরকে মরায়ছে। উয়ার শ্বশুর লালপার্টির লক ছিল।
আমি এসব শুনে ভকড় কাকাকে বললি - তরহা কি বৈল্লে? পুলিশ শুধাল খনে।
-উ' টা তুমার শুনে কাজ নাই। এখন যাও দেখি ব আর এক বতুল জোগাড় কর৷ নাইলে গটা তিরিশ পৈসা ছাড় অ। কচাটলায় ঘুস গেঁজা দিতে হবেক!
কলমে - অমিত মাহাত
কুড়মি ইস্যুতে মনোবল ভাঙ্গার খেলা খেলছে বিজেপি ও তৃণমূল।
বিজেপি চাইছে না কুড়মি রা এক থাকুক। একভাবে লড়ুক।
তৃণমূলও চাইছে না কুড়মিরা এক থাকুক। একভাবে লড়ুক।
চাইছে না কেন? চাইছে না এই জন্যই এটাতে তাদের কোনও লাভ নেই। এটা তাদের কোনও ফায়দা নেই। অতএব লাও হে ভাঙ্গন ধরাও।, ফাটল ধরাও। কুড়মিদের এক থাকতে দেওয়া যাবে না। কুড়মিদের ভিতর বিশ্বাসঘাতক বিষ ছড়িয়ে দাও। আর দেখতে থাকো। এ এক এমন বিষ যার ভিতর অব্দি খাক করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
প্রথম অস্ত্র এদের। নেতৃত্ব্বের ভিতর চিড় ধরানো। নেতা থেকে সাধারণ কুড়মিদের বিচ্ছিন্ন করা। এটা করতে পারলেই রাজনৈতিক দলের পোয়া বারো।
এই কাজটা না করলে এরা খাবে কী?
দ্বিতীয় অস্ত্র । লেবেল সেঁটে দেওয়া। লেবেল সেঁটে দাও। একটি সংগঠন কে তৃণমূলের দালাল প্রমাণ করো। অন্যটিকে বিজেপির দালাল প্রমাণ করো। এই খেলায় বিজেপি তৃণমূল অনেকটা এগিয়ে। আর সাধারণ কুড়মির ব্রেন ডাইভার্ট করতে পারলে খেলা শেষ।
অতেব ফাঁদে পা দেবেন না। ইঁদুর ধরা কল দেখেছেন? একটি দুটি ইঁদুরই ধরা পড়ে। লাখো লাখো ইঁদুর কি ধরা পড়ে। বাকিরা আর ওমুখো হয় না।
রাজনৈতিক দলগুলো চাইছে কুড়মিদের শক্তিশালী দুটো সংগঠনের মধ্যে কে কার দালাল তা নিয়ে নাস্তানাবুদ করা। একমাত্র এই অস্ত্রে কাবু করা সম্ভব বলেই খেলাটি খেলছে। বিজেপি। খেলছে তৃণমূলও।
আমার সাদা মনে কাদা নাই। আমার দিদিও নাই দাদাও নাই।
মা
পৃথিবীর নির্মল এক অনাবিল আনন্দের জায়গা হল মায়ের কোল। এর বিকল্প হয় না।
আমাদের সংস্কৃতি
|| চাঁচইর/ডহরউআ গিত ||
(১) কুলহি মুড়া কুলহি মুড়াঞ
গাঁজা গাছ লাগাউলঁ।
গাঁজা গাছে ভঁমর বসঅলি। (আর) সেহ গাঁজা খাউঅলি
বড়ি নেসা লাগঅলি
গাঁজা খাইএ দিসা উড়অলি।।
(২) টিটরিঁগা রে পাঁড়কিআ রে টিলহা মুলে ঘার
হামর সঁগে জাবে তঅ জগাড় করে চিউড়া চার।।
(৩) আসাড় মাসে রথ পরঅব দেখাউলে
ঘুরাই আনি মাইর খাউআউলে।
(আর) লিল পাইড়হা সাড়ি পিঁধাউলে,
বিহইলা পুরুস ছাড়াউলে ।।
(৪) ই বছর আকালে পইলা যানে খাটাউলে
হামরাকে ভুখে মরাউলে।
কইরে চাসা কইটা মরাই বসাউলে
ডুখাক সঁগে ধঁগা চলাউলে।।
(৫) মইসিনি গে মর সইতিনি গে
সুতঅল সঞা লেগলে ভুলাই।
লেগঅলে পহর রাতি আনঅলে আধারাতি ভিনসারে লেগলে ঘুরাই।।
(৬) ঝার ঝাঁটারে বরদা কুলহি ঝাঁটা রে
কুলহিঞ কুলহিঞ বুলেই বরদা
মদ মাতাল রে।।
(৭) পরবেকা লহঅলহঅ
সঞা লেগে আউলা হউ।
(৮) এক মুঠা সুরগুঁজা
বুনলঁ মঞ গটা গড়া রে
হাই দইআ সুরগুঁজা ফুটেই লালে লাল।
(৯) রিমিঝিম রিমিঝিমি পানিআ বরসি গেলা
ছাতা ধরা হউ দেউঅরা
ভিজি গেলা সিঁথেকা সিঁদুর।।
১০) বনে বাঁসি বাজে বনে বাঁসি বাজে
কানে কুনতলে তকে সাজে। বনে বাঁশি বাজে
(১১) সালুক নাঢ়াক ঘদ তড়ল করেই হেকের পেকের
হারেক গরু পালে দেইকে দাদা বহু আনে গেল রে।
বহুঞ খালি পানেক খিলি দাদা মরলাক লাজেঁ রে
কিআ ফুল ফুটাউলে দাদা দরিআক মাঝে রে।
(১২) রুখুনা টাঁইড়ে গেইআ জে ধেনুআই রে
হাইরে বাঘউআ তঅ জহি জহি আউএই রে।
(১৩) একা কেইসে ডারিআ নামহাউঅব রে
হাইরে দিহা সঞা ডারিআ নামহাইএ হউ।।
(১৪) নুড়ি টানঅইতে জলহা মরঅইএ রে
হাইরে ছানাফানা রহলঅ ডিগাই।
হাঁঠু মাড়ি জলহিন কাঁদেই
কিআ বিধি লিখলঅ কাপাড়।।
(১৫) মাঘঅ মহিনাই মইসি মরঅই রে
হাইরে হাড়াগড়া রহলঅ ডিঁগাই।
রপা মাসে সরে বুঁদা বরিসা
হাড়াগড়া লেগলঅ ধআই।।
(১৬) ঝাড় ঝাড় রে বাঁকা কুরঅথি রে
হাইরে ভুজে বসেই ছটঅকি ননদ
ভুজেইতে ভুজেইতে ননদ পড়ি হেইল
লাজহুঁ না গেলা সসুর ঘার।।
১৭) বন সে বাহরালি একটেঁগিআ ভঁইসিআ রে হাইরে পিঠে ত করেই আহার পাঁজড়া ফেঁকেই সাহার।
(১৮) গেরহঁ মারাফরি হাটিআ রে
হাইরে তিনি আনল খাসিকরঅ মাস।
হামর বহু বড়ি রে ছটপটিআ খাসি মাসে দেলেক রে বেসুআর।।
(১৯) কনঅ চড়অইআ হেকি চিতঅরঅ কাবরা রে
হাইরে কনঅ চড়াইআ ইজর পাইখ।
কনঅ চড়অইআ হেকি ডাইরে বসি কুহঅকইএ
কনঅ পাইখে কহেই আধারাইত।।
মইনঅ চড়আইআ হেকি চিতঅরঅ কাবরা রে
হাইরে বঁখঅ চড়অইআ ইজর পাইখ।
কুইলি চড়অইআ হেকি ডাইরে বসি কুহঅকইএ
পেঁচা পাইখে কহেই আধারাইত।।
২০) বড়কি বহু ছটকি বহু চললঅ নইহরউআ রে
হাইরে কিআ কিআ সনদেস লেলে জাই।
হাঁথে মচঅড়ি খইনছাঞ ভরইএ
কাঁখে লুগা নইহর চলি জাই।।
(২১) নউতনিআ গে
অ তঞ সভে গুচাউলে
হাইরে নইহরেক পহনা দেখি হাঁড়ি ভাঁগঅলে।
(২২) কুলহিক মুড়াঞ একা গাছা মহুআ রে
হাইরে টিপঅকি টিপঅকি মহুআ খসেই
ঘঁসঅড়ি ঘঁসঅড়ি মহুআ বিছেই রে।।
(২৩) খুঁটাই চড়হি হাঁক পাড়েই
বরদঅ গরঅখিআ রে
কাকরঅ ভিরিআ লেইএ ভাই।
আঁখি তরঅ ফুটলঅ ডেমা তরঅ ফুটলঅ
আপনঅ তিরিআ লেইএ জাই।।
(২৪) এক ঠেঁগিআ হরিনিআরে রে
দউগি চড়হলঅ রে পাহাড়।
মুড়অ কাটঅলে নিহি মরেই
নেজঅ কাটঅলে মরি জাই।।
(২৫) ডুগরিকা ধারে ধারে ফুটি গেলা ঝরনা রে
উঠি গেলা রিঝা পুঁঠি মাছ।
এহে বাটে আউএ ছকরিআ
ধরি দেবঁ রিঝা পুঁঠি মাছ।।
___________________________________
◾️সঁগরাউঅল- 'পুরখেনি সঁহরই গিত' সমভুনাথ বঁসরিআর আর সকতিপদঅ বঁসরিআর লে
◾️ছভি : Ananta Mahato
____________________________
#कुड़मालि #কুড়মালি #कुड़मि #কুড়মি
#चाँचइर #চাঁচইর
াহিত্যচর্চাআখড়া
বন্ধ হোক
ভুয়ো উপভোক্তা
অভিনন্দন রইল...
শিক্ষা ব্যবস্থা কি হাল করেছে বাংলার। শিক্ষা কোথায় নামাল এদের। সরকার পাশ ফেল সিস্টেম উঠিয়ে দিলেই পারে!
প্রতিদিন যত সময় এগোচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে। আমরা ক্রমে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। এখন হর রোজ আমরা ডুবে যাই সোসাল মিডিয়ায়।
ক্রমে বুঝতে পারি আমাদের চালিত করছে সোসাল মিডিয়া। আমরা কিন্তু চালাই না। সোসাল মিডিয়া আমাদের চালাচ্ছে।
অন্ধকার আছে বলেই কল্পনা করা যায়। কল্পনাতে যা দেখি, পৃথিবীর কোনও আলোই তা দেখাতে পারে না। পারবে না।
আলো তে যা দেখি - অন্ধকারে আরও বেশি দেখি
কলমে - অমিত
নদী কত কথা বলে...
Kusbani jungle,
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Telephone
Address
Khatkura
Jhargram
721505
State_ West Bengal . District_Jhargram . Village_ Bandarbani
Jhargram, 721504
all anime Hindi dubbed
Bhagabanchak, Baharadari
Jhargram, 721143
You can see my daily life's activity like Cooking, Art, Singing, And varities of Fun.....
Jhargram
Jhargram
�Helping people � Digital marketer | Entrepreneur � Check my highlights �connect with me