Diamond Mohunbagan DLS
Nearby gyms & sports facilities
KOLKATA 700011
Kolkata, Delhi
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
Dholhora, KOLKATA
Tarakeswar 712410
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
Kolkata, KOLKATA
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
sports related news
ইসকা নাম হে চাটন💥💥🎋😎😎😎
২ বনাম ৩ এবং ১১ বনাম ১২, শনিবার একই দিনে নামছে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল একটি দল, যারা তিন নম্বর থেকে আইএসএলের শীর্ষে ওঠার মরিয়া চেষ্টা করছে। অপর দলটি পয়েন্ট তালিকায় শেষ থেকে দ্বিতীয়। তা....
ময়দান ক্রিকেটের আঙিনায়
অষ্টম পর্ব :
আমি স্বেছায় মাঠের টানেই আবার ২০০৪-০৫ মরশুমে ফিরে এসেছিলাম প্রশিক্ষক হিসাবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে। হাইকোর্ট ক্লাবের প্রশিক্ষক হয়ে আমার কলকাতা ক্লাব ক্রিকেটে হাতে খড়ি তবে যেহেতু দীর্ঘ দিনের চেনা ময়দান তাই প্রথম থেকেই কোনো রকম চাপ অনুভব করেনি। সেই মরশুমে ওই ক্লাবের ক্যাপ্টেন ছিল এখন এনসিএ ফ্যাকাল্টি রাজীব দত্ত ও আবার ভাল বন্ধু ছিল তাই আমি খুব উপভোগ করেছিলাম ময়দানে এই নতুন ভূমিকায়। এই হাই কোর্ট ক্লাবের কোচ থাকাকালীন একদিন হঠাৎ করেই কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান দল মোহনবাগান ক্লাব সেই মরশুমে খুব একটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারেনি এমনকি লীগ চ্যাম্পিয়ানশিপের দৌড়ে অবনমন এর খেলাও খেলতে হয়েছিল। সেই রকম পরিস্থিতিতে আমায় সেই সময়ের মোহনবাগান কর্তা দীপঙ্কর হাজরা হাইকোর্ট মাঠে এসে পরের মরশুমে মোহনবাগান দলের প্রশিক্ষক হাওয়ার প্রস্তাব দেন। পরবর্তী কালে মোহনবাগানের তৎকালীন সচিব অঞ্জন মিত্র আমায় বলেন ভালো করে মোহনবাগান দল তৈরি করতে। আর খেলোয়াড় জীবনে দুই প্রধান দলে বেশ কিছু বছর মাঠে কাটিয়েছিলাম যখন যে প্রধান দলে খেলেছি সেই দলের হয়েই একশো ভাগ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতাম কিন্তু আজ বলতে দ্বিধা নেই ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান ক্লাবের আমাদের বাঙালিদের একটা আলাদা অনুভূতি থাকে তাই মোহনবাগান ক্লাবের কোচ হিসাবে যুক্ত হাওয়া টা আমার কাছে গর্বের ছিল অবশ্যই । যাইহোক আমি হাইকোর্ট ক্লাবে দুই মরশুম কোচিং করানোর পর ২০০৬-০৭ সালে মোহনবাগানের কোচের দায়িত্বে এসে আমি কালীঘাট থেকে ঋদ্ধিমান সাহাকে আর শ্যামবাজার ক্লাব থেকে দেবব্রত দাস, পলাশ ভৌমিক, কমল হাসান মন্ডল, সৌগত দত্ত শিলিগুড়িতে গিয়ে এদের কোচ আমার প্রাক্তন সতীর্থ জয়ন্ত ভৌমিকের (কালীঘাট ক্লাবে একসঙ্গে খেলছি) চার ছাত্রকে মোহনবাগানে সই করিয়েছিলাম এবং পলাশকে দলের নেতৃত্বের দ্বায়িত্ব দিলেও পরে নিজের ব্যবসার জন্য পলাশ নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। ঋদ্ধিমান সাহা মোহনবাগানে সেই মরশুমে আসার আগে কালীঘাট ক্লাবের হয়ে খুব ভালো পারফর্ম করেছিল কিন্তু আমি ওকে মোহনবাগানে প্রাকটিস চলাকালীন রোজ দেখতাম কিভাবে নিজেকে প্রতিমুহূর্তে তৈরি করত সর্বোচ্চ লেভেলের ক্রিকেট খেলার জন্য আর খুব কম কথা বলত আর প্রচন্ড মনোযোগ দিয়ে প্র্যাকটিস করতো। দেখলেই খালি ক্যাচিং দিতে বলতো বিশ্বাস করুন ওকে ক্যাচ দিতে দিতে আমি ক্লান্ত হয়ে যেতাম কিন্তু ওর মধ্যে কোনো ক্লান্তি কোনোদিন দেখিনি। আমার খেলোয়াড় জীবনে যেমন ডেভিড দা (উৎপল চ্যাটার্জি) কে দেখতাম একদম ডিসিপ্লিন লাইফ এবং কঠিন পরিশ্রম করতে ঠিক তেমন আমি ঋদ্ধিমানকে খুব কাছ থেকে দেখতাম একইরকম ডিসিপ্লিন লাইফে থেকে নিরলস পরিশ্রম করতে দুই প্রজন্মের এই দুই ক্রিকেটারের যেমন খুব মিল। ঋদ্ধিমানের পরিশ্রম আর ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা দেখে আমি নিশ্চিত ছিলাম যে ও অবশ্যই জাতীয় সম্পদ হবেই একদিন তাই আমি ওকে সবসময় বলতাম যে পাপালি তোর ইণ্ডিয়া খেলা কেও আটকাতে পারবেনা। ঋদ্ধিমান শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রম করে বিশ্বের সেরা উইকেট কিপার হতে পেরেছে তাই একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় এবং বর্তমান কোচ হিসাবে আমি আগামী প্রজন্মকে এটাই বলবো কঠিন পরিশ্রম আর সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করলে সফল হবেই। ২০০৭-০৮ সালে মোহনবাগান আগের বছরের তুলনায় ভালো খেলেছিল এবং সম্ভবত আমরা এ.এন.ঘোষ ট্রফির ফাইনালেও উঠেছিলাম কিন্তু তারপরের মরশুমে আমরা দুটো ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হই যার মধ্যে আমাদের সেরা টুর্নামেন্ট পি.সেন ট্রফি ছিল এবং সেই বছর ভারতীয় দলের তারকা বিরাট কোহলি এল বালাজি এবং মণীশ পান্ডে আমাদের মোহনবাগানের হয়ে খেলেছিল তাই এই প্রজন্মের সেরা প্লেয়ার বিরাট কোহলি কে দেখার অভিজ্ঞতা আমার কাছে কোচ হিসাবে বাড়তি পাওনা। পি সেন ট্রফির ফাইনালে বিরাটের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম আমরা সবাই। কোহলি ছাড়াও এই মরশুমে মোহনবাগানের হয়ে বিখ্যাত শ্রীলঙ্কান বাঁহাতি জোরে বোলার চামিন্ডা ভাস আমাদের হয়ে জে.সি.মুখার্জি ট্রফি খেলতে এসেছিলেন। একজন বিশ্ব বন্দিত এই ক্রিকেটার দারুণ ভদ্র এবং মাটিতে পা রেখে চলা একজন মানুষকে দেখেছিলাম আমরা। এর মাঝে একটা কথা বলা দরকার মোহনবাগানে আমার কোচ হয়ে দ্বিতীয় মরশুম শুরুর আগে ময়দানে ফুটবল মরশুমে একদিন আমি মোহনবাগানের ফুটবল খেলা দেখতে মাঠে যাই সেখানেই আমি মোহনবাগানের কর্তা সৃঞ্জয় বোসের সাথে দেখা আমি ওনাকে বলি ফুটবল টিম দারুন হয়েছে সেই শুনে শৃঞ্জয় আমায় ক্রিকেট টীম ভালো করে করতে বলেন সেই মত আমি সেবছর মোহনবাগান দল করি এবং বাংলার সেরা ব্যাটসম্যান মনোজ তিওয়ারিকে মোহনবাগানে সই করাই এবং মনোজ বরাবরের মতই দারুন ব্যাট করেছিল। আমরা পি.সেন ট্রফি তে যেমন বিরাট কোহলি, মণীশ পান্ডে, বালাজি দের পেয়েছিলাম তেমন আবার চামিন্ডা ভাস কে জেসি মুখার্জি ট্রফিতে পেয়েছিলাম এগুলো সম্ভব হয়েছিল সৃঞ্জয় বোসের জন্যেই । যাইহোক চামিন্ডার কিন্তু মোহনবাগানের ক্রিকেটার থেকে ক্লাবের পরিবেশ খুবই পছন্দ হয়েছিল এবং আমাদের ইয়ং ইরেশ, রাজা দের নানা রকম বোলিং পরামর্শও দিয়েছিল এবং ওই কয়েকদিনেই আমাদের ক্লাবের সব ক্রিকেটারদের সাথে একদম মিশে গিয়ে একটা ভাল পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করেছিল। চামিন্ডা ভাসের ইরিশ সক্সেনার বোলিং আর দেবব্রত দাসের ( রাজা ) ব্যাটিং খুব পছন্দ হয়েছিল। আমরা ফাইনালে কালীঘাটের কাছে ওয়াকওভার পেয়েছিলাম কারণ ওরা মনে হয় সিএবি কে ফাইনালটা পিছিয়ে দিতে অনুরোধ করেছিল কিন্তু সিএবি সেটা প্রত্যাখ্যান করে সেই কারণে। সেটাই বোধহয় কলকাতা ময়দানে কোনো প্রতিযোগিতায় ফাইনালে প্রথম বার কোনো দল ওয়াকওভার দিয়েছে! যদিও আমাদের যা টিম ছিল খেলা হলেও আমাদের জেতার সম্ভবনা অনেক বেশি ছিল। আমরা সেবার লীগের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে পরাস্ত হয়ে লীগ হাতছাড়া করলেও জেসি আর পি. সেন ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। কিছু কারণবশত পরের মরশুমের জন্য মোহনবাগানের কোচের ভূমিকায় থাকতে পারিনি।তবে মোহনবাগানে আমার খেলোওয়ার এবং কোচিং জীবনে একটা ঘটনা বলছি, আমি যখন মোহনবাগানের ক্রিকেটার ছিলাম আমার সতীর্থ ছিলেন চেতন শর্মা যার ১৯৮৭ বিশ্ব কাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক আছে আবার পরবর্তী কালে আমি কোচ থাকাকালীন চামিন্ডা ভাস খেলেন ওনারও ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিশ্ব কাপে হ্যাটট্রিক আছে। আর আমি কোচ বা খেলোয়াড় না থাকলেও মোহনবাগান কর্তাদের অনুরোধে টাউন ক্লাব থেকে ভারতীয় তারকা বোলার মোহাম্মদ সামিকে মোহনবাগানে এনে দিতে সাহায্য করি আর সেই শামিও ২০১৯ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেন ! তাই বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিককারি তিনজন বোলারই মোহনবাগান খেলেছেন এবং তাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে আমি যুক্ত হতে পেরে আজকে নিজেকে গর্বিত মনে করি।
মোহনবাগান ছাড়ার পর আমায় একদিন সেই সময় বি.এন.আর ক্লাবের অধিনায়ক সোহম ঘোষ আমায় তাদের ক্লাবের কোচ হতে অনুরোধ করে এবং ওদের ক্লাবের পিকে বোস স্যারের সাথে আমার সাক্ষাৎ করিয়ে দেয় এবং ওনার সাথে কথা বলার পর কোচ হতে রাজি হই। সেবছর বি.এন.আর দলে অমিত ব্যানার্জী, সৌরভ মণ্ডল, অনির্বাণ গুপ্ত, সোহম সহ সব অনেক ভালো প্লেয়ার ছিল আমরা কোনো ট্রফি না জিতলেও ভালই খেলেছিল টীম।
আসলে কলকাতা ক্লাব ক্রিকেটে ক্লাবের প্রশিক্ষক হাওয়ার পেছনে আর্থিক লাভবান হাওয়ার দিকটা কোনো প্রশিক্ষকই এখনও হয়তো ভাবে না কারণ আমার মনে হয় যারাই কোচ হোন মূলত আবেগটাই বেশি কাজ করে। বি.এন.আরের কোচ থাকাকালীন ভবানীপুরের কর্তা আমাদের ময়দানের বুবু দা (চিত্রক মিত্র, যিনি সিএবির প্রাক্তন সচিব এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সহ সভাপতি ছিলেন ) আমায় তার ক্লাবের কোচ হাওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমি মোহনবাগানের কোচ থাকাকালীন বুবুদার সাথে আমার সম্পর্ক ভালো মতই গড়ে উঠেছিল কারণ উনি সম্পর্কে মোহনবাগানের তৎকালীন সহসচিব সৃঞ্জয় বোসের শ্বশুরমশাই তাই উনিও মোহনবাগানের খেলা দেখতেন আসতেন সেখান থেকেই আমার ওনার সাথে আমার আলাপ, শ্যামবাজারের কোচ লাল্টু দা আমাকে ভবানীপুর ক্লাবের কোচের দ্বায়িত্ব নিতে উৎসাহিত করেন। বুবুদা আমাকে বলেছিলেন তুমি মোহনবাগানে ভালই কোচিং করেছ আমাদের মাঝারি মানের টিম তুমি নিজের মতো করে টিম করে দ্বায়িত্ব নাও এই কথার পর আমার নিজের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবেই আমি ২০১০ সালে তৎকালীন ক্লাব ক্রিকেটে একদম মাঝারি মানের দল ভবানীপুর ক্লাবের কোচ হিসেবে নিজেকে যুক্ত করি কারণ আগেই বলেছি নিজের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল আমার যে একটা ছোট দলকে বড় দল হিসাবে গড়ে তুলবো। কোচ হিসাবে আমি প্রথমেই হাইকোর্টের মত দলকে কোচিং করেছিলাম এবং তারপর মোহনবাগানের মত ক্লাবে কোচিং করিয়ে আমার কাছে দুই ধরনের ক্লাবের অভিজ্ঞতা ছিল তাই আমার নিজের উপর ভরসা ছিল যে একদিন ভবানীপুর ক্লাবকে ময়দান ক্রিকেটে একটা শক্তি হিসাবে তুলে ধরতে পারবো। এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমার ভবানীপুর দলের যাত্রা শুরু ২০০৯-১০ । ক্রমশঃ
~সংগৃহীত
💚❤️
ভারতের ও মোহনবাগানের গর্ব মহম্মদ শামী💚❤️💙
দুর্গা পুজোয় বাংলাকে উপহার! ম্যাচের সেরা ও ৩টি বিশ্বরেকর্ড গড়লেন মহম্মদ শামি ODI World Cup 2023 India vs New Zealand Mohammed Shami create multiple records in IND vs NZ match ICC World Cup 2023: বিশ্বকাপে পরপর পাঁচটি ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌছে গিয়েছে ভার....
মোহনবাগানের নৌকায় দেবীর আগমন, ৫০তম বছরে চমক সবুজ-মেরুনের ‘আদি’ মাঠের পুজোয় এখন ময়দানে স্থায়ী ঠিকানা হলেও বার বার মাঠ বদল হয়েছে ঐতিহাসিক মোহনবাগান ক্লাবের। তৃতীয় মাঠটি ছিল উত্তর কলকাতার শ্...
It's Zzzjangiya power 💥💨😶
😎😎
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেরালা সমর্থকরা মোহনবাগান কে নিয়ে বাজে কথা রটাচ্ছে, কারন তাদের মতে তারা ভারতীয় ফুটবলে সবচেয়ে বেশী দর্শক আনতে সক্ষম হয়েছে।
এবার চলুন কিছু fact দেখে নেওয়া যাক। ২০১৬-১৭ সিজন অবধি আই লীগ ছিলো ভারতের প্রথম ডিভিশন লীগ, ২০১৭-১৮ থেকে আইএসএল সেই তকমা লাভ করে;
এবারে চলুন ভারতের টপ টিয়ার লীগের attendance এর রেকর্ড বইটা খোলা যাক।
ভারতীয় ফুটবলের প্রথম ডিভিশনের কোনো এক সিজনে average attendance এর দিক দিয়ে শীর্ষস্থানে আছে মোহনবাগান।
২০১৫-১৬ আই লীগ সিজনে মোহনবাগানের গড় attendance ছিলো ৩৭,০১৮, যা এখনও রেকর্ড।
আইএসএলে কোনো এক সিজনে সর্বোচ্চ গড় attendance এর রেকর্ড কেরালার, যাদের ২০১৭-১৮ মরসুমে গড় অ্যাটেন্ডেন্স ছিলো ৩১,৭৬৩; সেবছর দ্বিতীয় ডিভিশনে খেললেও মোহনবাগানের গড় অ্যাটেন্ডেন্স ছিলো ৩৪,৮৭২!
২০১৮-১৯ সিজনে:
কেরালা- ১৭,১২৫; মোহনবাগান - ১৭,৬৪৬
২০১৯-২০ সিজনে:
কেরালা- ১৭,৫১৬; মোহনবাগান - ১৯,১৩৫
২০/২১ ও ২১/২২ সিজনে দর্শক ছাড়াই খেলা হয়েছে।
২০২২-২৩এ রিমুভ এটিকে আন্দোলন চললেও নক-আউট স্টেজ মিলিয়ে, মোহনবাগানের অ্যাভারেজ অ্যাটেনডেন্স ২৮,২০২; কেরালার? ২৭,৮২৫
এখনো অবধি যতদিন মোহনবাগান ও কেরালা ভারতীয় ফুটবলের দুটো ডিভিশনে একসাথে খেলেছে, মোহনবাগান কেরালার থেকে বেশী attendance রাখতে সক্ষম হয়েছে!
পোস্ট টি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন, দেখিয়ে দিন মোহনবাগান সমর্থকদের ক্ষমতা!
জয় মোহনবাগান 💚❤️
ফুটবল মাঠ যেন গর্বের সংস্কৃতি তুলে ধরার মঞ্চ, নজর কাড়ল মোহনবাগান-ওড়িশা সমর্থকদের টিফো .
হাসিতে হাসিতে হাসিবেন না...😊😢
😎😎😶
মার শা**কে মার....
কলকাতা ডার্বিতে হাতাহাতি দু’দলের ফুটবলারদের, মহমেডানের কাছে হারল ইস্টবেঙ্গল মহমেডানের কাছে ১-২ গোলে হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। সাদা-কালো ব্রিগেডের হয়ে দু’টি গোলই করেন ডেভিড লালানসাঙ্গা। ম্যাচ শেষ....
সামনে আসছে বিশ্বকাপ, আর বিশ্বকাপের মতো বড়মাপের টুর্নামেন্টের কিছু না কিছু ম্যাচে বৃষ্টি থাবা বসিয়েই থাকে। আর বৃষ্টি মানেই আসবে দুর্বোধ্য ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন মেথড এবং গ্ৰুপগুলো হয়ে উঠবে সরগরম! আগে ব্যাট করা টিম সুবিধে পেলো নাকি পরে ব্যাট করা টিম?
আসুন দেখে নিই এই পদ্ধতির কিছু খুঁটিনাটি দিক -
ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতি কী এবং কীভাবে এর হিসাব হয়?
--------------------------------------------------------
কখনও প্রতিপক্ষের থেকে ১১ রান বেশি করে ৪ রান হার, আবার কখনও প্রতিপক্ষের ৪০ ওভারে করা রান ৩৫ ওভারে টপকে যাওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কিন্তু এই ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি ঠিক কী? কোথা থেকে এর উত্পত্তি? দেখে নেওয়া যাক।
ডি/এল মেথড বা ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির প্রবর্তক দুই ইংরেজ পরিসংখ্যানবিদ– ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ এবং টনি লুইস। এই পদ্ধতিতে সাধারণত বৃষ্টি-প্রাকৃতিক দুর্যোগে আটকে যাওয়া ম্যাচে ব্যবহার করা হয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা টি২০ খেলায়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয় পরে ব্যাট করা দলের জন্য।
ডি/এল মেথড প্রথম ব্যবহার হয় ১৯৯৬-৯৭ সালে জিম্বাবোয়ে বনাম ইংল্যান্ডের একদিনের ম্যাচে। এই খেলায় জিম্বাবোয়ে ডি/এল মেথডে ৭ রানে জয়ী হয়। ২০০১ সালে আইসিসি এই পদ্ধতি আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রহণ করে।
ডিএল মেথড অনুযায়ী কোনও ওয়ানডে ম্যাচের ফল তখনই ঘোষিত হবে যখন উভয় ইনিংসে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলা হয়ে গিয়েছে।
হয়ত বৃষ্টি হয়েছে ম্যাচের আগে, একটা সময় বৃষ্টি থেমে মাঠ খেলার উপযোগী হল, কিন্তু এতে কিছু সময় নষ্ট হওয়ায় ৫০ ওভারের বদলে উভয় পক্ষকে ৪০ ওভার দেওয়া হল খেলার জন্য এবং দুই দলই পুরো ৪০ ওভার করে খেলার সুযোগ পেল। এক্ষেত্রে ডিএল মেথড প্রযোজ্য হবে না।
যদি প্রথম ইনিংসের মাঝপথে বিঘ্ন ঘটে এবং প্রথম ইনিংস কম ওভারে শেষ করতে হয়, তখন দ্বিতীয় ইনিংসের টার্গেট আবার নতুন করে সেট করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথম ইনিংসে কত ওভার বাকি ছিল, কত রান হয়েছে আর কত উইকেট ছিল, এই সব কিছুর উপর ভিত্তি করে হিসাব হয়।
সাধারণত এসব ক্ষেত্রে লক্ষ্য দ্বিতীয় ইনিংসে বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে যুক্তি, প্রথম ইনিংসের কিছুটা অংশ জুড়ে প্রথমে ব্যাট করা দল ভেবেছিল তাদের হাতে আরও সময় আছে। ওভার কমে যাওয়ার কথা আগে জানলে তারা আরও দ্রুত রান নেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যাটিং করত। সেই রানটা ব্যালান্স করা হয় লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে।
যদি দ্বিতীয় ইনিংসেও বিঘ্ন ঘটে, ওই ইনিংসের ওভার সংখ্যাও কমাতে হয়, তা হলে ডিএল মেথড অনুযায়ী হাতে থাকা রান, ওভার ও উইকেট অনুযায়ী তাদের টার্গেট আবারও ঠিক করা হয়। এই নির্ধারণ ‘রিসোর্স’-এর ভিত্তিতে করা হয়। এই রিসোর্স হল হাতে থাকা ওভার এবং উইকেট মিলিয়ে একটা শতাংশের হিসাব।
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি যে ভাবে প্রয়োগ করা হয়, তা হল-ইনিংসের শুরুতে রিসোর্স পার্সেন্টেজ যত ছিল, বিরতির ফলে যেটুকু রিসোর্স নষ্ট হবে, বাকি যা রিসোর্স থাকবে।
এখন, পরে ব্যাট করা দলের রিসোর্স যদি প্রথমে ব্যাট করা দলের থেকে কম হয়, তা হলে দুই দলের বাকি থাকা রিসোর্সের অনুপাত করতে হবে। এরপর পরে ব্যাট করা দলের টার্গেট হবে প্রথমে ব্যাট করা দলের স্কোর কে সেই রেশিও দিয়ে ভাগ করে।
যদি পরে ব্যাট করা দলের রিসোর্স প্রথমে ব্যাট করা দলের রিসোর্সের থেকে বেশি হয়, তা হলে প্রথম দলের রিসোর্সকে দ্বিতীয় দলের রিসোর্স থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে। এরপর এটাকে ২২৫ (আইসিসি নির্ধারিত ওডিআইয়ের গড় স্কোর) এর পার্সেন্টেজ তৈরি করতে হবে। এরপর সেটাকে প্রথমে ব্যাট করা দলের রানের সঙ্গে যোগ করে পরে ব্যাট করা দলকে টার্গেট।
ধরা যাক, প্রথমে ব্যাট করে টিম এ ৫০ ওভারে ২৬০ রান করল। পরে নেমে টিম বি ৪০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৯ রান করল, এমন অবস্থায় বৃষ্টিতে খেলা স্থগিত হয়ে গেল। এ ক্ষেত্রে টিম এ পুরো ৫০ ওভারে খেলেছে, তাই তাদের রিসোর্স ১০০%। টিম বি-র শুরুতে রিসোর্স ছিল ১০০%, ৪০ ওভার শেষে টিম বি ৫ উইকেট হারিয়েছে, টেবিল অনুযায়ী তাদের রিসোর্স বাকি ।
অর্থাত্ টিম বি- এর মোট ব্যবহৃত রিসোর্স = ১০০-২৭.৫=৭২.৫%। এখানে টিম বি-র রিসোর্স টিম এ-র থেকে কম, সুতরাং বি-এর লক্ষ্যমাত্রা হবে মূল লক্ষ্যমাত্রার ৭২.৫/১০০ গুণ। টিম এ-এর স্কোর ছিল ২৬০, তাই টিম ‘বি’-র লক্ষ্য হবে ২৬০x৭২.৫/১০০=১৮৮.৫=১৮৯
যেহেতু ম্যাচ আর হয়নি, সেহেতু এ ক্ষেত্রে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে টিম ‘বি’-কে। যেহেতু টিম বি ১৯৯ রান করেছে, তারা ১৮৯ থেকে ১০ রান বেশি করেছে, ফলে তারা ১০ রানে বিজয়ী হয়েছে পরে ব্যাট করলেও।
আরো কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক -
ডিএল মেথড যেভাবে অ্যাপ্লাই হবেঃ
১. ইনিংসের শুরুতে রিসোর্স পার্সেন্টেজ যত ছিল
২. বিরতির ফলে যেটুকু রিসোর্স নষ্ট হবে
৩. বাকি যা রিসোর্স থাকবে
এখন, পরে ব্যাট করা দলের রিসোর্স যদি প্রথমে ব্যাট করা দলের থেকে কম হয়, তাহলে দুই দলের বাকি থাকা রিসোর্সের রেশিও করতে হবে। এরপর পরে ব্যাট করা দলের টার্গেট হবে প্রথমে ব্যাট করা দলের স্কোর কে সেই রেশিও দিয়ে ভাগ করে। যদি পরে ব্যাট করা দলের রিসোর্স প্রথমে ব্যাট করা দলের রিসোর্সের থেকে বেশি হয়, তাহলে ১ম দলের রিসোর্স কে ২য় দলের রিসোর্স থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে। এরপর এটাকে ২২৫ এর পার্সেন্টেজ বানাতে হবে (আইসিসি নির্ধারিত ওয়ানডের গড় স্কোর)। এরপর সেটাকে প্রথমে ব্যাট করা দলের রানের সাথে যোগ করে পরে ব্যাট করা দলকে টার্গেট দিতে হবে।
১ম উদাহরণঃ (২য় দলের ইনিংসের মাঝে ওভার কার্টেল হলে)-
প্রথমে ব্যাট করে টিম ‘এ’ ৫০ ওভারে ২৫০ রান করলো। চেজ করতে নেমে টিম ‘বি’ ৪০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৯ রান করলো এমন অবস্থায় বৃষ্টিতে খেলা স্থগিত হয়ে গেল।
এখানে, টিম ‘এ’ পুরো ৫০ ওভারে খেলেছে, তাই তাদের রিসোর্স = ১০০%
টিম ‘বি’ এর শুরুতে রিসোর্স ছিল = ১০০%
৪০ ওভার শেষে টিম ‘বি’ ৫ উইকেট হারিয়েছে, টেবিল অনুযায়ী তাদের রিসোর্স বাকি = ২৬.১%
টিম ‘বি’ এর মোট ব্যবহৃত রিসোর্স = ১০০-২৬.১=৭৩.৯%
এখানে টিম ‘বি’ এর রিসোর্স ‘এ’ থেকে কম, সুতরাং ‘বি’ এর টার্গেট হবে মেইন টার্গেটের ৭৩.৯/১০০ গুণ।
টিম ‘এ’ এর স্কোর ছিল ২৫০, তাই টিম ‘বি’ এর টার্গেট হবে ২৫০x৭৩.৯/১০০=১৮৪.৭৫=১৮৫
যেহেতু ম্যাচ আর হয়নি, সেহেতু বিজয়ী ঘোষণা হবে টিম ‘বি’ এই টার্গেট অতিক্রম করেছে কিনা এটা দেখে। যেহেতু টিম ‘বি’ ১৯৯ রান করেছে, তারা ১৮৫ থেকে ১৪ রান বেশি করেছে, ফলে তারা ১৪ রানে বিজয়ী হয়েছে পরে ব্যাট করা সত্বেও।
২য় উদাহরণঃ (২য় ইনিংসের মাঝপথে খেলা স্থগিত হয়ে কিছু ওভার কেটে আবার চালু হলে)-
ধরা যাক, ৪০ ওভারের কার্টেল ম্যাচে ১ম ইনিংসে ব্যাট করে টিম ‘এ’ ২০০ রান করলো এবং টিম ‘বি’ ৩০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪০ করলো। এ অবস্থায় বৃষ্টির জন্য ৫ ওভার খেলা স্থগিত থাকার পর আবার শুরু। এ অবস্থায় টিম ‘বি’ এর নতুন টার্গেট কি হবে?
টিম ‘এ’ ৪০ ওভার খেলেছে প্রথম থেকে, সুতরাং তাদের রিসোর্স = ৮৯.৩%
টিম ‘বি’ এর ইনিংস শুরুর সময় রিসোর্স (৪০ ওভার হবার কথা) = ৮৯.৩%
৩০ ওভার শেষে টিম ‘বি’ এর ১০ ওভার হাতে ছিল এবং ৫ উইকেট হাতে ছিল, এই অবস্থায় রিসোর্স = ২৬.১%
৫ ওভার কাটা যাওয়ায় খেলা নতুন করে শুরু হলে ৫ ওভার হাতে থাকলো, এই অবস্থায় রিসোর্স থাকলো = ১৫.৪%
সুতরাং, রিসোর্স কাটা গেল ২৬.১-১৫.৪=১০.৭%
অর্থাৎ রিসোর্স বাকি থাকলো = ৮৯.৩-১০.৭=৭৮.৬%
টিম ‘বি’ এর রিসোর্স ‘এ’ থেকে কম, সুতরাং ‘বি’ এর টার্গেট হবে মেইন টার্গেটের ৭৮.৬/৮৯.৩ গুণ।
যেহেতু টিম ‘এ’ ২০০ করেছে, সুতরাং টিম ‘বি’ এর টার্গেট হবে ২০০x৭৮.৬/৮৯.৩=১৭৬ রান।
যেহেতু তারা ১৪০ রান করেছে, সুতরাং বাকি ৫ ওভারে তাদের করতে হবে আরও ৩৬ রান।
৩য় উদাহরণঃ (১ম ইনিংসে ইন্টারাপশন হলে)-
ধরি, ৫০ ওভারের ম্যাচে টিম ‘এ’ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৫ ওভারে ২ উইকেটে ১০০ করলো, এই অবস্থায় বৃষ্টির কারণে ওভার কাটা যাওয়ায় ১ম দলের ইনিংস শেষ ঘোষণা করা হল এবং টিম ‘বি’কে ২৫ ওভার ব্যাট করার সুযোগ দেয়া হল। এখন টিম ‘এ’ জানতো না যে তাদের ইনিংস ২৫ ওভারে শেষ হবে, কিন্তু টিম ‘বি’ ২৫ ওভার জেনেই মাঠে নামছে, এটা টিম ‘এ’ এর জন্য আনফেয়ার হয়ে যায়। ফলে টিম ‘বি’ এর টার্গেট বেশি দেয়া হয়।
টেবিলে দেখতে পাবো, টিম ‘এ’ মাত্র ২৫ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পাওয়ায় এবং ২ উইকেট হারানোয় তাদের ৬০.৫% রিসোর্স বাকি ছিল। যেহেতু ১০০% রিসোর্স থাকা অবস্থায় ইনিংস শুরু করেছে সুতরাং তারা মাত্র ১০০-৬০.৫=৩৯.৫% রিসোর্স ব্যবহার করতে পেরেছে।
টিম ‘বি’ ২৫ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পাবে। তাদের হাতে ১০ উইকেট থাকায় রিসোর্স হবে ৬৬.৫%। ফলে টিম ‘বি’ এর হাতে ৬৬.৫-৩৯.৫=২৭% বেশি রিসোর্স থাকবে টিম ‘এ’ এর তুলনায়। সুতরাং তাদেরকে ২২৫ এর ২৭% অর্থাৎ ৬০.৭৫ রান বেশি করতে হবে টিম ‘এ’ থেকে (৫০ ওভারের ওয়ানডের এভারেজ স্কোর ২২৫ ধরা হয়)।
সুতরাং টিম ‘বি’ এর টার্গেট হবে ১০০+৬০.৭৫=১৬০.৭৫ বা ১৬১ রান ২৫ ওভারে। এভাবে ‘বি’ টিমের আগে থেকে জেনে ২৫ ওভার ব্যাটিং করার সুবিধাটা নিউট্রিলাইজ করা হল।
এছাড়া ১ম ইনিংসের মাঝপথে খেলা স্থগিত হয়ে আবার ১ম ইনিংস শুরু হলে সেক্ষেত্রেও ডিএল মেথড অনুযায়ী টার্গেট কাটাছেড়া হবে। নিয়মটা আসলেই অনেক জটিল। তবে এটা দিয়ে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া সম্ভব। বর্তমানে ডিএল মেথডের ক্যালকুলেটর আছে যেখানে শুধুমাত্র রান, উইকেট আর ওভার সংখ্যা বসিয়ে দিলেই তারা টার্গেট নির্ধারণ করে দেয়।
টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেট
২০১০ সালে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্বকাপ টি-২০ খেলার গ্রুপ পর্যায়ে শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়ের খেলায় ডি/এল মেথড পদ্ধতি প্রয়োগ ঘটে। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৭/৭ করে। ১৩৮ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় জিম্বাবুয়ে ৫ ওভারে ২৯/১ করে। ফলে, ডি/এল মেথডের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা ১৪ রানে জয়ী হয়। একই দিনে অন্য গ্রুপের খেলায় ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলার ফলাফলও ডি/এল মেথডের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। ইংল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৯১ রানের বিরাট স্কোর গড়ে। বিশাল রানকে তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২.২ ওভারে বিনা উইকেটে ৩০ রান করা অবস্থায় বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এ পদ্ধতির মাধ্যমে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ ওভারে ৬০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়, যা ক্যারিবীয় দলটি এক বল বাকী থাকতেই জয়ের নোঙরে প্রবেশ করে।খেলায় পরাজিত হয়ে হতাশ ইংরেজ অধিনায়ক পল কলিংউড ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির সঠিক ব্যবহার এবং টি-২০ প্রতিযোগীতায় এর উপযোগিতা ও প্রয়োগ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাসহ প্রশ্ন তোলেন।
সর্বশেষ সংস্করণ
প্রকাশিত ছক বা টেবিলের মাধ্যমে ডি/এল মেথড বা ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির সর্বশেষ সংস্করণ ২০০৪ সালে বের হয়। এটি পরিষ্কারভাবে পূর্বতন নিয়ম-কানুনের তুলনায় একদিবসীয় ক্রিকেটে বেশি রান গড়তে পদ্ধতির উপযোগীতা, গ্রহণযোগ্যতায় রান ও রিসোর্সের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আলোকপাত করেছে। এ পদ্ধতির সর্বশেষ সংস্করণ বৃষ্টিবিঘ্নিত অন্যান্য ঘরোয়া বা অভ্যন্তরীণ খেলাগুলোতেও প্রয়োগ করা হয়।
ডাকওয়ার্থ লুইস মেথড সঠিকভাবে না জানলে কি হয় তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ সেই দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৩ বিশ্বকাপে স্বাগতিক হিসেবে তারা অন্যতম ফেভারিট ছিল। এক পর্যায়ে সুপার সিক্সে উঠতে হলে শ্রীলংকার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিততেই হতো প্রোটিয়াদের। শ্রীলংকার জন্যও অপরিহার্য ছিল জয় তাই সমীকরণ এমন ছিল যে হারলেই বিদায় নিতে হবে বিশ্বকাপ থেকে। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য নতুন লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ৪৫ বলে ৫৭ রান। ৪৫তম ওভারে ড্রেসিংরুম থেকে মার্ক বাউচারকে জানানো হয় ৪৬তম ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ২২৯ তুললেই পরের রাউন্ডে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। মুরালিধরনের করা পঞ্চম বলটিকে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মারেন বাউচার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর এক বল বাকি থাকতেই হয় ২২৯। বাউচার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন ভেবে পরের বলটি ধীরে সুস্থে মিড উইকেটে খেলে কোন রান নিলেন না। এর পরপরই আকাশ ভেঙে নামলো তুমুল বৃষ্টি। হঠাৎই দক্ষিণ আফ্রিকার ড্রেসিংরুমে রাজ্যের হতাশা ! অধিনায়ক শন পোলক বসে আছেন গালে হাত দিয়ে। পোলকের হিসাবের ভুলে ছিটকে গেল দল। বাউচারকে পাঠানো বার্তায় পোলক জানিয়েছিলেন ২২৯ রান করলে ম্যাচটি জিতবে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু আসল জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ২৩০ রান।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, ডিএমপি নিউজ
https://dmpnews.org/%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%93.../
( লেখাটি মৌলিক নয়, ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত এবং দু তিনটি ওয়েবসাইট থেকে একত্র করা.. একসাথে অনেক ওয়েবসাইটে একই লেখা ঘুরে বেড়াচ্ছে, কোনটি অরিজিনাল বোঝা সম্ভব নয়, তাই একটি ওয়েবসাইট এর লিংক ও ওয়েবসাইটে যে তথ্যসূত্র উল্লেখ করা আছে সেটা দেওয়া হলো)
🎊💝🎂শুভ জন্মদিন জয়জিৎদা💚❤️🏆
৩৪ বছর বয়সে পা দিলেন বাংলা দলের হয়ে রঞ্জি খেলা ব্যাটসম্যান জয়জিৎ বসু।
সেই ২০০৪-০৫ সালে অনূর্ধ-১৫ থেকে টানা বাংলার হয়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে খেলেছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে বাংলার হয়ে ৪১ ম্যাচে ১৮৪৫ রান করেছেন ৪টি সেঞ্চুরি সহ। সঙ্গে আছে ৪০টি উইকেট। ২৭টি ক্যাচও আছে।
খেলেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে, গেছেন অস্ট্রেলিয়া সফরে।
বিগত ২০ বছরের বেশী সময় ধরে কলকাতায় লীগ ক্রিকেট খেলছেন। ৫০টির বেশী ক্লাব শতরানের মালিক জয়জিৎ (সর্বোচ্চ ২৫০) খেলেছেন ভবানীপুর, শ্যামবাজার, বেলগাছিয়া, ইস্টবেঙ্গল, দক্ষিণ কলকাতা ও সংসদ ও শেষ ৯ বছর ধরে মোহনবাগান দলে। শুধু মোহনবাগানের হয়েই ১০,০০০ এর কিছু বেশি রান করা জয়জিতের করা ইস্টবেঙ্গল দলের বিরুদ্ধে ২৪৩ রান কলকাতা লীগে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (সর্বোচ্চ রান ইন্দুভূষন রায় - মোহনবাগান)।
গত মরশুম থেকে যোগ দিয়েছেন মহামেডান ক্লাবে।
বছর তিনেক সেকেন্ড ডিভিশন খেলেছিলেন কাশীপুর ও বেহালা ফ্রেন্ডসের হয়ে।
কোরোনা আবহের আগে খেলেছেন কেন্ট প্রিমিয়ার লীগে। সেখানেও শতরান আছে। কোরোনা কাটিয়ে আবার খেলতে গিয়েছিলেন গত দুই মরশুমে। অনেক গুলো সেঞ্চুরি আছে।
বাংলার হয়ে ৩টি প্রথম শ্রেণির ও ৮টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছেন।
কোরোনা যুদ্ধ জয় করে ফিরছেন মাঠে আগামীর বহু যুদ্ধ লড়ার লক্ষ্যে।
আগামী দিনের অনেক শুভেচ্ছা।
☺️পড়ো আর হাসো....
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্ম ১৯২০ সালে, যখন দেশ ভাগ হয়নি। আর আমাদের ক্লাবটি কলকাতায় (বর্তমান ভারতবর্ষে) অবস্থিত। তাই ভুলভাল পোস্ট ও কমেন্ট করার আগে জেনে রাখুন কেন এই ক্লাবের জন্ম হয়েছিল!
তৎকালীন উচবিত্ত কলকাতার কিছু ব্রিটিশ সম্প্রদায়ের পা চাটা বাবুদের অকথ্য বর্বর অপমান জনক আচরনের ফলে জন্ম হয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের। ১৯১১ সালের শিল্ড জয় করতে বর্তমান পূর্ববঙ্গের ৮ জন প্লেয়ার (অধিনায়ক সহ) যারা অনবদ্য পারফরমেন্স করেছিলেন, যাদের গোলেই জয়লাভ করে মোহনবাগান ক্লাব। পরবর্তীকালে ওই মোহনবাগান ক্লাব, জোড়াবাগান ক্লাবের কোলকাতার "বাবু" সম্প্রদায়ের কর্তারা এই পূর্ববঙ্গীয়দের ই অনেক অপমান করেন। যার জবাব হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল, যার জন্মদাতা স্বর্গীয় সুরেশ চন্দ্র চৌধুরী সহ পূর্ববঙ্গীয় কয়েকজন জমিদার।
মোহনবাগান, জোড়াবাগান প্রভৃতি কোলকাতার "বাবু" কর্মকর্তাদের ওই অভব্য আচরণ না হলে আজকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্ম হয়তো হতো না। যাক ওদের ওই অভব্য আচরণের ফলে একদিকে ভালোই হয়েছে। কারণ অপমানের জবাব হিসেবে আজকে জন্ম হয়েছে আমাদের প্রিয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের।
আর অপমানের জবাব হিসেব এখনো আমরা এগিয়ে আছি, এবং আগামী দিনেও থাকবো।
সামগ্রিক ভাবে আমরা এখনো এগিয়ে ১৩৮ - ১২৮, আর প্রতিযোগিতা মূলক ধরলে সেখানেও আমরা এগিয়ে ১৩৩ - ১১৮
ইস্টবেঙ্গল একটি নিখাদ ভারতীয় ক্লাব। যার কোন শাখা বাংলাদেশে নেই। 💛❤️
©
https://youtu.be/Fa7sLAmJMvo?si=nHBP74X-lGWnk3of
Football in India | First big win against a British Team | Mohun Bagan | IFA Shield 1911 Football’s arrival in India and the first big win tasted by Indians (Mohun Bagan A. C.) against a British Team of East Yorkshire Regiment on 29th July 1911 a...
মোহনবাগান ক্লাবের নাম এলো কোথা থেকে? মোহনবাগানের ইতিহাস History of Mohun Bagan | Ekcupkolkata মোহনবাগান ক্লাবের নাম এলো কোথা থেকে? মোহনবাগানের ইতিহাস History of Mohun Bagan | Ekcupkolkata মোহনবাগান ক্লাবের নাম এলো কোথা থেকে? মোহনব...
K=Kohli🇮🇳
K=Kuldeep🇮🇳
R=Rahul🇮🇳
🔥🔥🔥🔥🔥🔥🏆🥇
JAI HIND🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🔥🔥🔥🔥🔥🔥
JOY MOHUNBAGAN💚❤️🔥🔥🔥
আচ্ছা বুঝলাম
অপয়াগুলোর💨🙃 জন্য জার্মানিটাও ভোগে চলে গেল❤️💛🖤
উফ🔥🔥🔥💚❤️ আর কি চাই💝💝💝💝❤️
সেই ব্যারাটো সেই বিপ্লব সেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ সেই উত্তম কুমার সবাই যে মন্ত্রে মন্ত্রিত তা হল মোহনবাগান💚❤️, সাথে তো মা দুর্গা আছেনই💝🙏....
ব্যারেটোর প্রশ্নবাণে কাবু বিপ্লব! স্মরণ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রকে পুজোয় সে এক বিচিত্র কাণ্ড! কী হয়েছিল অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের।
সালটা ১৯১১। শিল্ডের খেলা মিডলসেক্সের বিরুদ্ধে। কিন্তু খেলার আগে একমাত্র গোলকিপার হীরালালের দেখা নেই। ক্যাপ্টেন শিবদাস চললেন হীরের সন্ধানে। হীরালালের বাড়ী পৌঁছে বুঝলেন অসুস্থ স্ত্রীয়ের ওষুধ কেনার ও পয়সা নেই হীরের কাছে। বড়লোক ধানি মিত্তির হীরের বাড়িতে ১৫ টাকার লোভ দেখিয়েছেন। শর্ত মোহনবাগানের হয়ে আর খেলা যাবে না। সব শুনে শিবদাস হীরেকে নিয়ে গেলেন ওষুধের দোকানে। মোহনবাগানের খেলোয়াড় কে সম্মান করে একটা পয়সা ও নিলেন না দোকানি। জীবনে প্রথম সম্মান পেয়ে শপথ নিলেন হীরালাল, "কাল আমি খেলব রে, কোনো কষ্টকেই আর কষ্ট বলে মনে করব না"। তারপর, মাঠে কি হল!
দৃশ্য ১
বল আঁকড়ে জমিতে পড়ে আছেন হীরালাল। কেউ একজন হীরে কে লাথি মারলেন। বলশুদ্ধু তাঁকে গোলের ভেতর পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। সাদা চামড়ার লোকেরা একের পর এক লাথি মেরে যাচ্ছেন হীরে কে। হীরাই যেন সাহেবদের ফুটবল। হিসহিস করে উঠল শব্দগুলো "push the bastard into the goal"। গোল লাইনের ওপর উপুড় হয়ে পড়ে আছেন হীরালাল। মুখ রক্তে ভেসে যাচ্ছে কিন্তু বল ছাড়েনি হাত থেকে। তারপর পাঁজরের চোট নিয়েও মাঠ ছাড়েন নি হীরালাল। বারবার রক্ষা করে গেলেন মোহনবাগানের দুর্গ।
সময়ের সরণি পেরিয়ে চলুন এবার চলে যায় 2023 এ। Durand এর ফাইনাল। সবে মরশুম শুরু করা আনফিট একটা দল। সম্মানের প্রথম ডার্বি হেরে গেছে, চারিদিকে কটাক্ষের শিকার। এক সঙ্গে তিনটে টুর্নামেন্ট এ খেলে ক্লান্ত অবসন্ন দল। ষাট মিনিট অতিক্রান্ত, এমন সময় দশ জন হয়ে গেল দলটা। উত্তাল হয়ে উঠল প্রতিপক্ষের গ্যালারি। ঘাবড়ে না গিয়ে প্রতি আক্রমণ শানিয়ে গোল ছিনিয়ে নিল 10 জনের দলটা। কিন্তু পারবে কি সেই 10 জনের ক্লান্ত অবসন্ন দল গোলটা ধরে রাখতে?
দৃশ্য 2
প্রবল জ্বরে কাবু ক্যাপ্টেন শুভাশিস বোস। ম্যাচ খেলা মুশকিল। কিন্তু না খেলে উপায় কি, তিনি যে ক্যাপ্টেন। আর তাঁর তো সেভাবে কোনো বদলি খেলোয়াড় ও নেই। জাতীয় দলের স্বার্থে জাতীয় ক্লাব মোহনবাগান ছেড়ে দিয়েছে তার বদলি খেলোয়াড়দের। খেলতে তাঁকে হবেই ক্লাবের সম্মান তাঁর হাতে। ষাট মিনিটের পর অসুস্থ শরীরটা আর চলতে চাইছে না, দশ জনের দলের ওপর আছড়ে পড়ছে বিপক্ষের পূর্ণ শক্তির দল। আগের ডার্বির নায়ক বিপক্ষের দ্রুত গতির রাইট উইঙ্গার বারবার চেষ্টা করছে তাঁকে টপকানোর। এমন সময় কাঁধে তীব্র চোট। চোখ ঝাপসা, আন্দাজে বুঝতে হচ্ছে বলের গতিপথ। কিন্তু না লড়াই ছাড়েননি দুই দলের একমাত্র বাঙালি ফুটবলার। চোখের সামনে বারবার ভেসে আসছে টিম বাস আক্রমণ করে বিপক্ষ সমর্থকরা কিভাবে অশ্রাব্য গালি গালাজ করেছিল। আর বুকের ভেতর অনুরণন চলছে হীরালাল এর সেই শব্দগুলো "আমি খেলব রে, কোনো কষ্টকেই আর কষ্ট বলে মনে করব না"। না পারেনি সেদিন কেউ সেই বাঙালি কে অতিক্রম করে গোলে পৌঁছতে।
সময় বদলায়, বদলায় না ক্লাবের ঐতিহ্য। লড়াইয়ের ব্যাটন পাস হয়ে যায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। মানুষের মুখ বদলে যায়, বদলে যায় prefix, suffix। বদলায় না শুধু একটা নাম, "মোহনবাগান"।
এভাবেই গল্প হোক, আমাদের রূপকথার।
© বুদ্ধজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়
ঋণস্বীকার : রূপক সাহা - একাদশে সূর্যোদয়,
শুভাশীষ বোস ফেসবুক পোস্ট
আবার💚❤️
জয় মোহনবাগান💚❤️
দুঃস্বপ্নের দিন.....:-😎
সে বার পুজোয় দার্জিলিং থেকে কলকাতা ফেরেননি মোহনবাগানের ফুটবলারদের অনেকেই কিন্তু কেন? ঘটনার নেপথ্য-নায়ক ছিলেন একজন! কে তিনি? কী হয়েছিল সে বার?
এসব আবার কী রেকর্ড🙃🙃
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Kolkata
700011
Inside Spencer's, Quest Mall
Kolkata, 700017
We are one of the largest chains of play zone in India. We believe that games are an integral part of a child’s overall development. Our play zones are developed keeping in mind th...
Rajarhat
Kolkata
This is about how u can add a fun routine to ur lifestyle and loose weight in a fun way