Bhumiputra Unnayan Morcha of India - ভূমি
Intellectual Organization based on Bengali Nationalism
Why should I speak in Hindi?
বামপন্থা, ডানপন্থা, মধ্যপন্থা।
সবার উপর বাংলাপন্হা।
জয় বাংলা। জয় ভূমি।
ভূমি একটি অদলীয় গণসংগঠন। ভূমি সংসদীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না। ভূমিতে ডান, বাম, মধ্য সমস্ত পন্থার মানুষ একটা কমন প্লাটফর্ম বাংলাপন্হার মাধ্যমে যুক্ত। কোন রাজনৈতিক দলের সাথে ভূমির কোন সম্পর্ক নেই।
জয় বাংলা।
জয় ভূমি।
আমরা কি এই স্বাধীনতা চেয়েছিলাম???
❌❌আজাদী কা অমৃত মহোৎসব ❌❌
দক্ষিণ 24 পরগনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আমাদের দাবি অনুসারে, ডিজিপি (পশ্চিমবঙ্গের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ) দ্বারা বারুইপুর সংশোধনাগারের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে সিআইডিকে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জয় বাংলা।
জয় ভূমি।
বিশ্ব আদিবাসী দিবসে বাঙালী জাতির পূর্বপুরুষ মঙ্গোলয়েডদের প্রতি জানাই শ্রদ্ধা।
বিশ্ব আদিবাসী দিবসে বাঙালী জাতির পূর্বপুরুষ নেগ্রিটোদের প্রতি জানাই শ্রদ্ধা।
বিশ্ব আদিবাসী দিবসে বাঙালী জাতির পূর্বপুরুষ অষ্ট্রিকদের প্রতি জানাই শ্রদ্ধা।
বিশ্ব আদিবাসী দিবসে বাঙালীকে জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা প্রদানকারী ও সর্বপ্রথম 'শাহ-ই-বাঙ্গালাহ' উপাধি ধারণকারী শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহের প্রতি জানাই শ্রদ্ধা।
জয় মঙ্গোলয়েড।
জয় নেগ্রিটো।
জয় অষ্ট্রিক।
জয় ইলিয়াস শাহ।
জয় বাংলা।
জয় ভূমি।
বিশ্ব আদিবাসী দিবসের শুভেচ্ছা।
জয় বাংলা।
জয় ভূমি।
বারুইপুর জেল হেফাজতে চারজন বাঙালি মুসলমানের কাস্টডিয়াল ডেথ নিয়ে সর্বপ্রথম ৪ই আগস্ট খবর করে NBTV। সেই খবর কোট করে ৪ ও ৫ই আগস্ট সামাজিক মাধ্যমে জনমত তৈরি করে Bhumiputra Unnayan Morcha of India - ভূমি এবং লিগ্যালি নিপীড়িত পরিবার গুলোর পাশে দাঁড়ানোর কথা দেওয়া হয়। তারপরে প্রতিনিধিও পাঠানো হয়। আমরা দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দাবী করছি।
জয় বাংলা।
জয় ভূমি।
মৃত্যুবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা।
জয় বাংলা।
জয় ভূমি।
নিরীহ ও গরীব বাঙালিদের বিনা বিচারে পুলিশ কাস্টডিতে হত্যা করা হচ্ছে। হোমল্যান্ডে কোন রাজনৈতিক দল বা সংগঠন মুখ খুলছে না। তবে আমরা প্রতিবাদ করে যাব। অবিলম্বে বারুইপুর পুলিশ জেলের দোষী পুলিশকর্মীদের আইনানুগ বিচার করে শাস্তি দিতে হবে।
জয় বাংলা। জয় ভূমি।
বাংলার প্রতি ইউনিয়ন গভর্নমেন্টের বঞ্চনা কোন নতুন বিষয় না। দেশভাগ ও স্বাধীনতার পর রাজ্যে কংগ্রেস থেকে বামদল থেকে বর্তমান সরকারের প্রতি এই বঞ্চনার ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। এই বঞ্চনা মেনে নেওয়া যায় না বাংলার প্রতি বঞ্চনা দুর করতে হবে।
জয় বাংলা। জয় ভূমি।
নিরীহ ও গরীব বাঙালি মুসলমানদের বিনা বিচারে পুলিশ কাস্টডিতে হত্যা করা হচ্ছে। হোমল্যান্ডে কোন রাজনৈতিক দল বা সংগঠন মুখ খুলছে না। তবে আমরা প্রতিবাদ করে যাব। অবিলম্বে বারুইপুর পুলিশ জেলের দোষী পুলিশকর্মীদের বিচার করে শাস্তি দিতে হবে।
জয় বাংলা। জয় ভূমি।
বিনা বিচারে পুলিশ কাস্টডিতে বাঙালি মুসলমান হত্যা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
জয় বাংলা।
জয় ভূমি।
ভিডিও সৌজন্যেঃ NBTV
গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ।
ছড়িয়ে দাও।
শেরে বাংলার শিকড় কত গভীরে?
"অনেক সময় আব্বা আমার সাথে রাজনৈতিক আলোচনা করতেন। আমাকে প্রশ্ন করতেন, কেন পাকিস্তান চাই? আমি আব্বার কথার উত্তর দিতাম।একদিনের কথা মনে আছে, আব্বা ও আমি রাত দুইটা পর্যন্ত রাজনীতির আলোচনা করি। আব্বা আমার আলোচনা শুনে খুশি হলেন। শুধু বললেন, শেরে বাংলা এ.কে.ফজলুল হক সাহেবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যাক্তিগত আক্রমণ না করতে। একদিন আমার মা’ও আমাকে বলেছিলেন, ‘বাবা যাহাই কর, হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছুই বলিও না’। শেরে বাংলা মিছামিছিই ‘শেরে বাংলা’ হন নাই। বাংলার মাটিও তাঁকে ভালবেসে ফেলেছিল। যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেছি, তখনই বাধা পেয়েছি। একদিন আমার মনে আছে একটা সভা করছিলাম আমার নিজের ইউনিয়নে, হক সাহেব কেন লীগ ত্যাগ করলেন, কেন পাকিস্তান চান না এখন? কেন তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখারজির সাথে মিলে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন? এই সমস্ত আলোচনা করছিলাম, হঠাৎ একজন বৃদ্ধ লোক যিনি আমার দাদার খুব ভক্ত, আমাদের বাড়িতে সকল সময়ই আসতেন, আমাদের বংশের সকলকে খুব শ্রদ্ধা করতেন, দাঁড়িয়ে বললেন, ‘যাহা কিছু বলার বলেন, হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছুই বলবেন না। তিনি যদি পাকিস্তান না চান, আমরাও চাই না। জিন্নাহ কে ? তার নামও তো শুনি নাই। আমাদের গরিবের বন্ধু হক সাহেব’। এ কথার পর আমি অন্যভাবে বক্তৃতা দিতে শুরু করলাম। সোজাসুজিভাবে আর হক সাহেবকে দোষ দিতে চেষ্টা করলাম না। কেন পাকিস্তান আমাদের প্রতিষ্টা করতে হবে তাই বুঝালাম। শুধু এইটুকু না, যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কালো পতাকা দেখাতে গিয়েছি, তখনই জনসাধারণ আমাদের মারপিট করেছে। অনেক সময় ছাত্রদের নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি মার খেয়ে। কয়েকবার মার খাওয়ার পরে আমাদের বক্তৃতার মোড় ঘুরিয়ে দিলাম। পূর্বে আমার দোষ ছিল, সোজাসুজি আক্রমণ করে বক্তৃতা করতাম। তার ফল বেশি ভাল হত না। উপকার করার চেয়ে অপকারই বেশি হত। জনসাধারণ দুঃখ পেতে পারে ভেবে দাবিটা পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিতে চেষ্টা করতাম।"
Ref: অসমাপ্ত আত্মজীবনী, শেখ মুজিবুর রহমান
মাইনরিটি স্কলারশিপ।
শেয়ার করে ছড়িয়ে দাও।
আচার্যের জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা।
জয় বাংলা।
জয় ভূমি।
জয় বাংলা।
জয় ভূমি।
আর্থিকভাবে দুবর্ল বাঙালী ছাত্র/ছাত্রীরা আবেদন কর।
জয় বাংলা।
জয় ভূমি।
অবিলম্বে এই বঞ্চনা বন্ধ করতে হবে।
জয় বাংলা।
জয় ভূমি
আমাদের তরফ থেকে জানাই অভিনন্দন।
জয় বাংলা।
জয় ভূমি।
নব-ব্রাহ্মণ্য প্রবেশের ফল : বৃহৎবঙ্গ, পৃষ্ঠা:- ৫১৬ -৫১৯, দীনেশচন্দ্র সেন।
========================================
সেন রাজাদের সময়ে নব-ব্রাহ্মণ্য প্রবেশের ফলে বাঙ্গালার কোন কোন বিষয়ে যে মহৎ ক্ষতি হইয়াছিল, সে ক্ষতি শুধু মুসলমান-বিজয়ের পথ সুগম করিয়া দেয় নেই, অধিকন্তু বঙ্গীয় সমস্ত লোককে হীনবীর্য্য ও অধঃপতিত করিয়াছিল --- তাহা জাতিভেদকে লৌহের গণ্ডীতে আবদ্ধ করিয়া দেওয়া। ইহাদের পূর্ব্বেও জাতিভেদ ছিল এবং ব্রাহ্মণ-শূদ্র ছিল, কিন্তু তথা-কথিত হীনবর্ণ সম্বন্ধে ছোঁয়াচে রোগের সৃষ্টি এই সেন রাজাদের সময় হইতে। গুপ্ত ও পালশাসনে ছোঁয়াচে রোগ ছিল না বলিলেও অত্যুক্তি হইবে না। 'স্ত্রীরত্নং দুষ্কুলাদপি' ---- 'চণ্ডালোহপি দ্বিজশ্রেষ্ঠঃ হরিভক্তিপরায়ণঃ' এ সকল শ্লোক সেন রাজাদের বহু পূর্ব্বে রচিত। বশিষ্ঠ চণ্ডাল-কন্যা বিবাহ করিয়াছিলেন ---- এ সকল তো অতি প্রাচীন যুগের কথা। পালরাজারা ও তৎসময়ের পরাক্রান্ত ব্যক্তিরা বিবাহ-বিষয়ে কোন গণ্ডীরক্ষা করিতেন না। সেই সকল রাজাদের সময়ের তীর্থগুলিতে জাতিভেদ ছিল না, সমাজেও ছোঁয়াচে রোগাক্রান্ত জাতিভেদ ছিল না। নব-ব্রাহ্মণ্য একটা বিশিষ্ট শ্রেণীর সৃষ্টি করিয়া জনসাধারণকে ঠেলিয়া ফেলিয়া তাহাদের বিরুদ্ধে দ্বার রুদ্ধ করিল।
ব্রাহ্মণগণ কর্ত্তৃক বিপুল বৌদ্ধ-জনসাধারণের উপর যে অকথ্য অত্যাচার হইয়াছিল, তাহার প্রমাণ শূন্যপুরাণ ও অপরাপর পুস্তকে আমরা পাইয়াছি। এই অত্যাচার এত অধিক হইয়াছিল যে, যখন মুসলমানগণ আসিয়া ব্রাহ্মণদিগকে নিরস্ত করিলেন, তখন নিপীড়িত জনসাধারণ তাঁহাদিগকে ত্রাণকর্ত্তা ভগবানের অবতার বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিল। যখন ব্রাহ্মণগণ গৃহে গৃহে হোমকুণ্ড জ্বালিয়া বৈদিক ধর্ম্মের অভিনয় করিতেছিলেন, তখন এই ধর্ম্মের বেশে ছোঁয়াচে রোগ অতি প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল। দেব মন্দিরের আরতিশিখা ও যজ্ঞকুণ্ডের ধোঁয়া যতদূর যায় ---- তাহার ত্রিসীমানায় নিম্নশ্রেণীর লোক যাইতে পারিত না। তাহাদের ভাষা ---- আমাদের কথিত ভাষা ---- অবজ্ঞাত ও ঘৃণিত হইল। নিম্নশ্রেণীর সংস্কৃত পড়িবার অধিকার তিরোহিত হইল এবং শাস্ত্রের কথা যদি কেহ দেশীয়ভাষায় শুনিত, তবে তাহার রৌরব নরকে স্থান হইবে ----- এই ভয় দেখান হইল। ফলে এই দাঁড়াইল, শ্রমণদের কতক কতক মেথর (মহত্ত্বর ) হইল, কতক ডোম হইল, কারণ ইহারা তান্ত্রিক ছিলেন এবং ঘৃণিত জিনিস পানাহার করিতেন।
বৌদ্ধ পাল-রাজাদের সময় ডোমাচার্য্যগণের প্রাধান্যের পরিচয় পাওয়া যায় ; এখনও শীতলাদেবী, ধর্ম্মঠাকুর ও কালীমন্দিরের ডোমপূজারী বঙ্গের নানাস্থানে বিদ্যমান আছে। ডোমেরা শুধু তান্ত্রিক ধর্ম্মে অগ্রণী ছিলেন না, তাঁহারা রাজাদের অধীন থাকিয়া যুদ্ধ-বিগ্রহাদিতে নেতৃত্ব করিতেন। বাঙ্গলার অনেক প্রাচীন পুঁথিতে ডোম-সৈন্যের উল্লেখ পাওয়া গিয়াছে। "আগডোম বাগডোম, ঘোড়ায় ডোম সাজে (ঢাল-মৃদঙ্গ্ ঝাঝড় বাজে, বাজতে বাজতে চলল ঢুলি, ঢুলি গেল কমলাফুলি, কমলাফুলির টিয়েটা, সূয্যিমামার বিয়েটা, .......)" প্রভৃতি ছেলে-ভুলানো ছড়াও তাহার একটু প্রমাণ আছে বলিয়া মনে হয়। হিন্দু সমাজ স্থিতিশীল নহে ---- জাতীয় উঠাপড়ায় দৃষ্টান্ত এই আপাত দৃষ্টিতে অনড়বৎ সমাজেও অনেক আছে।
ব্রাহ্মণ্য ধর্ম্ম সামাজিক শ্রেণীগুলিকে ইস্পাতের গণ্ডীতে বাঁধিয়া ফেলিল। ক্রমশঃ এই বন্ধন দৃঢ় হইল। ...........
.... জনসাধারণ নিম্নশ্রেণীতে আবদ্ধ হইয়া ধর্ম্মজ্ঞান, শিক্ষা প্রভৃতি সমস্ত সুবিধা হইতে বঞ্চিত হইল। রান্নাঘরে বিড়াল-কুকুর যাতায়াত করিলে কিছুই হয় না , কিন্তু তথা-কথিত অস্পৃশ্য জাতির হাওয়া সেই রন্ধন-মন্দিরের গায়ে লাগিলে তাবৎ হাঁড়িকুড়ি জলে বিসর্জ্জন দেওয়ার ব্যবস্থা।
যাহারা পালরাজাগণের প্রশংসা-গীতিদ্বারা তাঁহাদের মনস্তুষ্টি সাধন করিত ----- তাহাদের মুখে অজস্র প্রশংসা শুনিয়া রাজাগণের মুখ লজ্জারক্তিম ও অবনত হইত, ---- সেন-রাজাদের সময়ে সেই জনসাধারণের উৎসব-আসর ভাঙ্গিয়া গেল। এই রাজাপ্রজার সম্বন্ধ শুধু পাল রাজাদের সময়কার নহে ; প্রাচীন কাব্যাদিতে দৃষ্ট হয় ইতিহাস-পূর্ব্ব যুগেও প্রজারা এইভাবে রাজাদের প্রশংসাগীতি রচনা করিয়া গান করিত। সেন-রাজাদের সম্বন্ধে একটি পালাগানও রচিত হয় নাই। এমন যে মুসলমান-বিজয়রূপ অশ্রুতপূর্ব্ব বিপ্লব হইয়া গেল, তৎসম্বন্ধে একটি গান রচিত হইয়াছিল বলিয়া কোথাও উল্লেখ নাই। কি ভাবে যে মুসলমানেরা এত বড় রাজ্যটা দখল করিলেন, তাহার একটি বিশ্বস্ত বিবরণ নাই ; একটিও উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ-বিগ্রহ ঘটে নাই। মোটকথা, ক্ষুব্ধ জনসাধারণ তখন সরিয়া দাঁড়াইয়াছিল, অনেকে ইসলামধর্ম্ম অবলম্বনপূর্ব্বক নূতন শক্তির আশ্রয় লইয়া অপমানকর ব্রাহ্মণ্য-শাসন হইতে আপনাদিগকে মুক্ত করিয়াছিল ; অপরেরা পদদলিত হইয়াও কথঞ্চিৎ স্বীয় ধর্ম্ম বজায় রাখিয়াছিল। কিন্তু বালির বাঁধের ন্যায় সেই ধর্ম্মবন্ধন অতি শিথিল হইয়া পড়িয়াছিল, ----- অনধিকারীরা নূতন কোন স্থানে কিছু অধিকার পাইলেই সেই আলগা বাঁধনটি টুটিয়া যাইত।
মন্দির হইতে বিতারিত জনসাধারণ মসজিদে প্রবেশাধিকার পাইল; হিন্দুসমাজের অতি কঠোর বৈষম্য হইতে মুক্ত হইয়া তাহারা ইসলামের উদার ভ্রাতৃভাবে আকৃষ্ট হইল। মোটকথা, নব-ব্রাহ্মণ্য মনুষ্যত্বের অপমান করিয়া নিজেদের বল নষ্ট করিল।
বৃহত্তর দল বলবীর্য্য-শিক্ষা-শক্তি হারাইয়া বাতরোগগ্রস্তের ন্যায় নিষ্পন্দ হইল; ক্ষুদ্রদল শিক্ষার অভিমান ও পবিত্রতার ভান করিয়াও নিজের পদমর্য্যাদা বজায় রাখিতে পারিল না। এখন হিন্দুজাতি যে মরণ-সমস্যার সম্মুখীন ---- তাহা এই নবব্রাহ্মণ্যের আত্মদ্রোহী, আত্মহত্যাকারী নীতির ফল। এখনও যে সকল গোঁড়ার দল এই পর্য্যুষিত ভেদনীতির সমর্থন করিতেছেন, তাঁহাদের গৃহ লম্পট কর্ত্তৃক আক্রান্ত হইবে, তখন নমঃশূদ্র, বাগ্দী প্রভৃতি জাতীয় লোকেরা আর লগুড় লইয়া লম্পটদের পশ্চাৎ ধাবিত হইবে না। বৎসর বৎসর হিন্দুর সংখ্যা মুসলমানদের অনুপাতে যেরূপ ক্ষয়শীল হইয়া যাইতেছে, তাহাতে তাঁহাদের পুঁথি, টিকি ও রমণীগণের পবিত্রতা কোথায় থাকিবে ---- তাহা তাঁহাদের একবার চিন্তা করা উচিত।
........
জাতিভেদের অবিচার : বৃহৎবঙ্গ,পৃঃ - ৫২২ -৫২৩, দীনেশচন্দ্র সেন।
========================================
হিন্দুর যেখানে প্রকৃত দুর্বলতা এবং মুসলমানের যেখানে প্রবল শক্তি, সেইখানে তাহাদের আক্রমণ অনেকটা সফল হইবে। হিন্দুর জাতিভেদ যে আকার ধারণ করিয়াছিল, তাহা নির্ম্মম এবং অকৃতজ্ঞতার চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত।
- হিন্দু রাজাদের জন্য নিম্নশ্রেণীর শত সহস্রলোক যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দিয়াছে। তাহাতেই তাঁহাদের সিংহাসন রক্ষা পাইয়াছে।
- পল্লীগ্রামে তাহারাই ভদ্রলোকের ইজ্জত রক্ষা করিয়াছে, ব্রাহ্মণগণ তাহাদেরই প্রসাদে ব্রাহ্মণীদিগকে লইয়া সুখে শান্তিতে পারিবারিক জীবন কাটাইবার সুবিধা পাইয়াছেন, অনেক সময় নিম্নশ্রেণীর লোকেরা তাঁহাদের জন্য প্রাণ দিয়াছে।
- ব্রাহ্মণদের মন্দির তাহারাই রক্ষা করিয়াছে ---------------- এই প্রাণপণ সেবা-পরিচর্য্যা ও ভদ্রগৃহস্থের সম্মান রক্ষার পুরস্কার স্বরূপ তাহারা কি পাইয়াছে?
- সেই দেবমন্দিরে উঁকি মারিবার ক্ষমতা নাই ;
- সেই ব্রাহ্মণের পা ছুঁইয়া ধূলি গ্রহণের অধিকার তাহাদের নাই ;
- সেই ভদ্র-গৃহস্থের পায়ে একটু জল দেওয়ার অধিকার তাহাদের নাই ; ------------ এই সকল অন্যায় ভ্রাতৃবিরোধ ও ঘৃণার রাজ্যে মুসলমান নির্ঘৃণ ও সার্ব্বজনীন ভ্রাতৃভাব লইয়া আসিলেন।
পতিত বৌদ্ধগণকে তো হিন্দুরা কোণ ঠাসিয়া এমন এক জায়গায় লইয়া আসিয়াছিলেন যেখানে তাহারা পশুর অধম হইয়া জীবন যাপন করিতেছিল ----- যে স্থানে তাহারা থাকিত, সে স্থান হিন্দুগৃহস্থের অস্পৃশ্য, তাহাদের ছায়া মাড়াইলে স্নানের ব্যবস্থা। ইহাদিগকে আহ্বান করিয়া মুসলমান বলিলেন, ----- "আমাদের রাজা-প্রজা নাই, বামুন-চণ্ডাল নাই, আমরা এক পঙ্ক্তিতে বসিয়া খাই। দুনিয়ার মালিক এক। আমরা তাঁহারই সম্পর্কে সকলের ভাই।" এই কথা এদেশের নিম্নশ্রেণীর ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে অমৃত প্রলেপের ন্যায় কাজ করিল। আজ যদি হিন্দুর প্রাণে বিন্দুমাত্র ন্যায়-অন্যায় বোধ থাকিত, কৃতজ্ঞতার লেশ থাকিত, তবে কি পূর্ব্ববঙ্গে শত সহস্র লোক মুসলমান হইয়া এদেশের সাম্প্রদায়িক প্রশ্নকে এত জটিল করিয়া ফেলিত?
উত্তরবঙ্গে ও পূর্ব্ববঙ্গে বৌদ্ধের সংখ্যা খুব বেশী ছিল, সেইখানেই ইসলাম কৃতকার্য্য হইল। চৈতন্যদেব বলিয়াছিলেন, "আমি এবং যাহারা আমাকে ভালোবাসে তাহাদের মধ্যে জাতি বলিয়া কিছু নাই --- আমরা সকলে একজাতি" (চৈতন্য ভাগবত)। এই কথায় মহম্মদের বিজয়ী কণ্ঠস্বরের প্রভাব ও প্রতিধ্বনি আমরা লক্ষ্য করিতে পারি।
এই সকল নৈতিক শক্তি লইয়া বিশ্বাসের খড়্গহস্তে মুসলমান আসিয়াছিল। সেই খড়্গে আমাদের পরাজয় হইয়াছে। লৌহ বা ইস্পাতের খড়্গ নহে। যখন তাহারা দেবমন্দির ভাঙ্গিয়া, হিন্দুরাজপ্রাসাদের উত্তুঙ্গ চূড়া অতিক্রম করিয়া বন্যার মতো খরবেগে আমাদের চন্দ্র-সূর্য্য-বংশের ধুরন্ধরগণকে প্লাবিত করিয়া ক্রমশঃ পূর্ব্বমুখে আসিতেছিল, তখন লক্ষ্মণসেনের রাজসভায় পদ্মাবতী নৃত্য করিতেছিলেন, এবং জয়দেব তাল রাখিয়া গীতগোবিন্দের ললিত পদে মদিরা ঢালিতেছিলেন, লক্ষ্মণসেনের মন্ত্রী---বিদ্যুৎপ্রভা ও শশীকলা নাম্নী নর্ত্তকীদ্বয়ের সঙ্গে রাত্রি কাটাইয়া তাহাদের প্রাপ্য লইয়া প্রাকৃত ব্যক্তির ন্যায় রাজসভায় ঝগড়া করিতেছিলেন। তাঁহার প্রিয় কবি কলিঙ্গাঙ্গনাদের মুখে তৎবিরহ-বিলাপ শুনাইতেছিলেন, বাঙ্গলার বহু দেবমন্দির গাত্রে শিল্পীগণ নানাছন্দে যৌন বিষয়ক বীভৎস বন্ধ প্রকটিত করিয়া কলা চাতুর্য্য দেখাইতেছিলেন।
মুসলমানগণ না আসিলে, দুই ধর্ম্মের সংঘর্ষ-জনিত প্রেরণার ফলস্বরূপ আমরা হয়ত, কবীর, নানক প্রভৃতি সাধুদিগকে পাইতাম না, এমন কি হয়ত বা চৈতন্যদেবকেও পাইতাম না। বঙ্গসাহিত্য চতুর্দ্দশ হইতে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্য্যন্ত যে অসামান্য পুষ্টিলাভ করিয়াছে --- তাহাও হয়তো সমধিক পরিমাণে মুসলমান নবাব বাদশাগণের উৎসাহে হইয়াছিল।
মুসলমানগণ আসাতে আমাদের ধন-ভাণ্ডার লুণ্ঠিত হইতেছে, স্বর্ণ-দেউল ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে, হয়ত কৃষ্ণের বক্ষের কৌস্তভমণিও অপহৃত হইয়াছে। তাঁহারা আমাদের রাজলক্ষ্মীর কুণ্ডলের প্রধান মণিগুলি অপহরণ করিয়াছেন এবং অনেক সময় অত্যাচারের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করিয়াছেন। কিন্তু তথাপি তাঁহাদের আগমণ যে মঙ্গলময় বিধাতার মঙ্গলময় বিধানে ঘটিয়াছিল, তাহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই।
আসামে বাঙালি উচ্ছেদ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
জয় বাংলা।
জয় ভূমি।
মেহদী হাসান খান একজন বাঙালি ডাক্তার ও প্রোগ্রামার। তিনি ২০০৩ সালে ইউনিকোড ও এএনএসআই সমর্থিত বাংলা লেখার বিনামূল্যের ও মুক্ত সফটওয়্যার অভ্র কী-বোর্ড তৈরি করেন।মেহদী হাসান খান ১৯৮৯ সালের ২৩ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন।
# মেহদী তার প্রথম বাংলা ফন্ট ইউনিবিজয় ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ও ভিজ্যুয়াল বেসিক উপরে লেখেন। পরে তিনি অভ্র কী-বোর্ড ব্যবহারকারীদের সুবিধার্তে ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ছাড়াই লেখেন। অভ্র সম্পূর্ণভাবে ইউনিকোড উপযোগী, যা ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম দ্বারা ২০০৩ সালের ১৪ জুন স্বীকৃত হয়। তিনি তার সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ওমিক্রনল্যাব প্রতিষ্ঠা করেন। অভ্র কী-বোর্ড প্রথম উন্মুক্ত করা হয় ২০০৩ সালে ২৬ মার্চ। ওমিক্রনল্যাব থেকে অভ্র উন্মুক্ত করা হয় ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর।
# "Avro Keyboard: Devloped by Mehdi Hassan, a young student of Mymensingh Medical College this software is another exposition of talents within the nation. Mehdi's first Bangla font, Unibijoy was programmed with dot net framework and visual basic, but later, he developed Avro Keyboard without using the dot net framework for user convenience. Avro Keyboard is completely Unicode compliant and supports 90 per cent of the revolutionary Bijoy Keyboard. The software was verified by Unicode Consortium on June 14, 2003 and added to their useful resource list. He named his software company -- Omicronlab and finally released the software on September 15, 2003 through his website www.omicronlab.com." সূত্রঃ The Daily Star (Dhaka)।
# অভ্র কী-বোর্ড (ইংরেজি: Avro Keyboard) হল মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস, উবুন্টু এবং লিনাক্স-এ গ্রাফিক্যাল লেআউট পরিবর্তক এবং ইউনিকোড ও এএনএসআই সমর্থিত বাংলা লেখার বিনামূল্যের ও মুক্ত সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হল এতে ফোনেটিক (ইংরেজিতে উচ্চারণ করে বাংলা লেখা) পদ্ধতিতে বাংলা লেখা যায়। উইন্ডোজে ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা লেখার জন্য ২০০৩ সালের ২৬শে মার্চ অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যারটি আবির্ভূত হয়। এটার সাহায্যে বাংলা লিপি ব্যবহার করে এমন সব ভাষাতেই টাইপ করা যায়। এ ধরনের ভাষার মধ্যে অসমীয়া ভাষা অন্যতম। ভিজুয়াল বেসিক প্রোগ্রামিং ভাষা দিয়ে শুরু করে , পরবর্তীতে তিনি তা ডেলফিতে ভাষান্তর করেন। এই সফটওয়্যারটির লিনাক্স সংস্করণ লেখা হয়েছে C++ প্রোগ্রামিং ভাষায়। পরবর্তীতে রিফাত-উন-নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম, রাইয়ান কামাল, শাবাব মুস্তফা এবং নিপুন হক এই সফটওয়্যারের উন্নয়নের সাথে যুক্ত হন। ২০০৭ সালে 'অভ্র কীবোর্ড পোর্টেবল এডিশন' বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্যে উন্মুক্ত করা হয়। অভ্র কীবোর্ডের সাম্প্রতিকতম সংস্করণ ৫.৫.০ গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ এ প্রকাশিত হয়। সফটওয়্যারটির আগের সংস্করণের লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম সমর্থিত সোর্সকোড আগে থেকেই মুক্ত ছিল এবং ২০১০ সালে উইন্ডোজে অভ্র কীবোর্ডের ৫ ভার্সনের সাথে এর সোর্স কোড মোজিলা পাবলিক লাইসেন্স এর আওতায় উন্মুক্ত করা হয়।
# 'bangla' টাইপ করলে লেখে 'বাংলা' ।অভ্র সফটওয়্যারে বাংলা লেখার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু ইচ্ছামত সাজিয়ে নেওয়া যায়। এতে বাংলা লেখার জনপ্রিয় সকল পদ্ধতিই যুক্ত করা হয়েছে।
# আমরা যারা অনলাইনে বাংলায় একটু আধটু লেখালিখি করি, তারা সবাই আমাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশের তরুণ মেহদী হাসান ও তাঁর সহযোগীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
------------------------------------------------------
তথ্যঋণ: উইকিপিডিয়া ও বাংলাদেশের পত্রপত্রিকা।
জয় বাংলা, জয় ভূমি।
ভূমি চাকরি সংবাদ
ভূমি চাকরি সংবাদ।
দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যখন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন, তখন ঝাড়খণ্ড সরকার ঝাড়খণ্ডে এমন অনেক আদিবাসী বিরোধী কাজ করেছিল, যার উপর দ্রৌপদী মুর্মু নীরব ছিলেন।
দ্রৌপদী মুর্মু গভর্নর থাকাকালীনই ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীদের জমির নিরাপত্তা বর্ম হিসাবে CNT-SPT আইন সংশোধন করার চেষ্টা করা হয়েছিল, যার বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছিল এবং সরকারকে পিছু হটতে হয়েছিল।
দ্রৌপদী মুর্মু যখন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন, তখন মাওবাদী হিসাবে বহু আদিবাসীকে জাল এনকাউন্টারে হত্যা করা হয়েছিল। শত শত আদিবাসীকে নকশাল হিসাবে বন্দী করা হয়েছিল। ভূমি অধিগ্রহণ সংশোধনী বিল এনে আদিবাসীদের জমি দখল শুরু হয়।
পথলগাড়ি আন্দোলনের সময় হাজার হাজার আদিবাসীসহ বহু আন্দোলনকারী বুদ্ধিজীবীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। অমর শহীদ ফাদার স্ট্যান স্বামীর বিরুদ্ধেও এই সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়েছিল। একই সময়ে, মোমেন্টাম ঝাড়খণ্ডের নামে ঝাড়খণ্ডের জমি দেশি-বিদেশি পুঁজিপতিদের হাতে হস্তান্তরের জন্য 210টি দেশি-বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে MOU স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অনেক জায়গায় আদিবাসীদের জমি জোর করে কেড়ে নিয়ে পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন বাস্তুচ্যুত বিরোধী আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালায়। দেশে প্রথমবার , একটি রেজিস্টার্ড ট্রেড ইউনিয়ন (মজদুর সংগঠন কমিটি) ঝাড়খণ্ড সরকার তার আমলে নিষিদ্ধ করেছিল।
কিন্তু তিনি চুপ করে ছিলেন!
এই তালিকাটি আরও দীর্ঘ হতে পারে, তাই দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি হওয়াতে গদগদ হচ্ছেন যারা তাদের অনুরোধ , শুধুমাত্র আদিবাসী এবং নারী এই আবেগ কে সংযত করে তার আদর্শ এবং কর্মকাণ্ডের উপর একবার নজর দিন।
সবচেয়ে বড় কথা আমাদের দেশে রাষ্ট্রপতি পদ কেন্দ্রীয় সরকারের রাবার স্ট্যাম্প ছাড়া আর কিছুই নয়!
#সংগৃহীত
জয় দেশবন্ধু।
জয় বাংলা।
জয় হক।
জয় বাংলা।
Official Admission notification for MBA
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের M.B.A কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন শুরু হবে 22.07.2022 তারিখ থেকে , এবং চলবে 10.08.2022 তারিখ পর্যন্ত। সর্বমোট আসন সংখ্যা 51 টি। বিস্তারিত 👇👇👇
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the organization
Telephone
Address
VEDANTA, 37/6,. SHAH Road, TOLLYGUNGE, KOLKATA/33
Kolkata, 700033
International Vedanta Society is a spiritual organisation dedicated in spreading the message of Vedanta to the universe.
22 Canal Side Road
Kolkata, 700084
The socio-economic development organization MUKTI (Liberation) was setup in the year 2003 by a group of young and energetic people for human development.
Kolkata
AID Kolkata is a volunteers’ movement, aspiring to bring in change that is sustainable and inclusive
Kolkata
CONTACT DETAILS :Let Us Care for You[LUCY].South Bankimpally, Madhyamgram,West Bengal, India 700129. +91 9830129243e-mail: [email protected]
Shop No. 8, Mezzanine Floor, Esplanade Metro Rail Station
Kolkata, 700069
We are a non profit dedicated corporate advocacy Public Body to promote MSME Business, Trade, Commer
Village Daulatpur, Via Joka, Post Pailan
Kolkata, 700104
CINI is a NGO registered under the Societies Registration Act in India estb. in 1974 by a pediatrician, Dr. Samir Chaudhuri in West Bengal, India now runs operations in 8 state, as...
LAKE Gardens
Kolkata, 700045
Connecting womens’ lives... linking with hope binding by self-reliance uniting a spir
Shrabani Complex, Block-B, Rajpur Sonarpur
Kolkata, 700149
Kolkata, 700108
For autistic individuals to succeed in this world, they need to find their strengths and the people that will help them get to their hopes and dreams. A supportive environment w...
Kolkata
An NGO to look after the needs and necessities of those under privileged section of our society which has the right to live life but somehow are unable to live it to the fullest. M...
VIP Road
Kolkata, 700052
A non-profit, non-political, public charitable trust, registered under Indian Trust Act 1882.