Struggle of INA Led by Netaji

Dhruv Rathee 16 ঘণ্টা আগে আপনার আপলোড করা ভিডিওতে আপনি প্রায় 1.7 মিলিয়ন মানুষকে ভুল বোঝালেন। এই বিষয়ক আপনার প্রথম ভিডিওতে প্রশংসা করেছিলাম, এবং এ নিয়ে লিখেও ছিলাম। আর এই ভিডিওতে ধিক্কার জানাচ্ছি। বিশ্বাস করুন আমি অপেক্ষা করছিলাম, প্রথম পর্বের পর আপনার স্বভাবগত ভিডিও বানানোর যে কৌশল, তাতে পরের পর্বে আপনি ধামাকা কিছু একটা দেবেন। আর তাই সত্যি হলো। নেতাজি জয়ন্তীর মাত্র দুদিন আগে বিমান দুর্ঘটনার মিথ্যে কথা মানুষের সামনে তুলে ধরতে আপনার লজ্জা করল না??? কোর্ট নিযুক্ত মুখার্জি কমিশন সম্বন্ধে আপনার এমন নেগেটিভ কথা, পরিবারের অতি সামান্য একাংশের কথা, নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের শাহানাজ কমিটির রিপোর্টে বিশ্বাস না করে সই না করে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সেজ দাদা সুরেশ চন্দ্র বসু যে Dissentient Report দিয়েছিলেন সেটি পর্যন্ত আপনি উল্লেখ না করে, এতটা নির্লজ্জতার পরিচয় দিয়েছেন, ছিঃ ধিক্কার জানাই আপনাকে। আপনি তথ্য সমৃদ্ধ ভিডিও বানান তো?? যে independent researcher রা, দিনের পর দিন, নাওয়া খাওয়া ভুলে এই বিষয়ে গবেষণা করে এতো সত্য তুলে আনলেন, তাদের এভাবে অপমান করার সাহস আপনাকে কে দিয়েছে?? দেশবাসী সেদিনও বিশ্বাস করেনি নেতাজির বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল, আর আজও দেশবাসী বিশ্বাস করে না যে 1945 সালে নেতাজির বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল। এইসব বিশ্বাস অবিশ্বাসের থেকে বাইরে গিয়েও সমস্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এটা মুখার্জি কমিশন প্রমাণ করে দিয়ে গেছেন 1945 এর 18 আগস্ট নেতাজির বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি এবং রেনকোজি মন্দিরের রাখা ছাই ভস্ম ও নেতাজির নয়। আর আপনি সেই মুখার্জি কমিশনকেই অসঙ্গতিপূর্ণ বা ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন!! পন্ডিত নেহেরুর সাথে নেতাজির সম্পর্ক ঠিক কতটা ভালো ছিল, সেটা বোঝানোর জন্য আপনার এতো ইচ্ছা, এতো লাফালাফি!!?? যদিও দেশবাসী জানে নেতাজির সাথে তারা ঠিক কি কি করেছিলো!
আপনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এক্ষেত্রে পরিষ্কার। কোন এক পক্ষের হয়ে কথা বলে এভাবে এতো sensetive একটি বিষয়কে আঘাত করবেন না। মনে হচ্ছিল ভিডিওটা দেখার পর আপনাকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে। আপনাকে কি বলতে হবে যেনো সেটাই আপনি বলে গেছেন। হাবিবুর রহমানের কথায় মহাত্মা গান্ধী বিশ্বাস করল, এটা আপনার এতো গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো অথচ আপনি উল্লেখও করলেন না যে, নেতাজির মেজো দাদা শরৎচন্দ্র বসু, হাবিবুর রহমানের সাথে দেখা করার পরও বিশ্বাস করেন নি যে নেতাজির বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল, এটা আপনার গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো না!!? বাহ !! চমৎকার আপনাকে। আপনাকে অনুরোধ দয়া করে ভালো করে পড়াশোনা করুন এই বিষয়ে। গোলকের অর্ধেকটা দেখাবেন না। এভাবে অর্ধসত্য কথা সুন্দর সুন্দর ভাবে প্রেজেন্ট করে দেশবাসীকে ভুল পথে চালিত করবেন না। সবার কাছে অনুরোধ এই ভিডিও দেখে আপনারা প্রভাবিত হবেন না। সবাই সত্যিটা জানার চেষ্টা করুন। তথ্যের নিরিখে বিচার করুন। এইসব কৌশলে নিজের চ্যানেলে ভিডিওর ভিউ বাড়ানো যায়, কিন্তু নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের কিনারার জন্য এতদিনের এত এত মানুষের লড়াইকে এভাবে অপমান করে আপনি ঠিক করলেন না। এই ভিডিওতে বলা আপনার প্রত্যেকটি কথা অর্ধসত্য বা অন্য angle থেকে দেখানো হয়েছে। আবারো আপনাকে অনুরোধ করছি এভাবে অর্ধসত্য বা গোলকের অর্ধেক দেখিয়ে লোককে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না। জয় হিন্দ।। জয়তু নেতাজি।। বন্দে মাতরম।। Drjayanta Choudhuri Boddhisatya Tarafdar Boddhisatya Tarafdar presents "History That Matters"

বিপ্লবীদের সশস্ত্র সংগ্রাম.. নাকি Transfer of Power!!
এ বিষয়ে আলোচনায় আজ ঠিক রাত আটটায় আমার সাথে থাকবে- বোধিসত্ত্ব তরফদার Boddhisatya Tarafdar , ইতিহাস ও নেতাজি অনুরাগী। শ্রী রবিরঞ্জন সেন, এসোসিয়েট প্রফেসর এবং ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, কাটোয়া কলেজ। শ্রী অসীম কৃষ্ণ পাইন, ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ভক্ত ও বাবা শিবানন্দ মহারাজের দীর্ঘদিনের আশীর্বাদ ধন্য। আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ ঠিক রাত আটটায় আজকের অনুষ্ঠান দেখুন এবং আপনাদের মতামত জানান। তাহলে দেখা হচ্ছে আজ ঠিক রাত 8.00 pm এ।

মাস্টারদার আত্ম বলিদান দিবসে শ্রদ্ধা ও প্রণাম। ১৯৩৪ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ 12 ই জানুয়ারি ব্রিটিশ সরকার মাস্টারদার উপর অকল্পনীয় অত্যাচারের পর বলতে গেলে প্রায় অর্ধেক মৃত মাস্টারদা সূর্য সেনকে ফাঁসি দেয়। নির্লজ্জ ব্রিটিশরা মাস্টারদার নখ উপড়ে নিয়েছিল, দাঁত ভেঙে দিয়েছিল। মাস্টারদার এই লড়াই ভারতবর্ষের স্বাধীনতার উদ্দেশ্যে, সারা পৃথিবীতে এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে গেছে। ঠিক একদিন আগে অর্থাৎ ১১ জানুয়ারি তিনি জেল থেকে শেষ চিঠিটি লেখেন। এই চিঠি আমাদের কাছে জ্বলন্ত ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে আজও। চিঠির শেষ অংশে তিনি বলেছেন 18 এপ্রিল 1930 সালকে কখনো না ভুলতে, সেই পূর্ব প্রান্তের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনা। তিনি আরো লিখেছেন যে জালালাবাদ পাহাড়ের ঘটনা সব সময় মনে যেন তাজা স্মৃতি বহন করে।। ব্রিটিশরা মাস্টারদা কে এতটাই ভয় পেত যে, মাস্টারটার মৃতদেহ অখন্ড ভারতে সৎকার পর্যন্ত করতে দেয়নি, মাঝ সমুদ্রে ফেলে দিয়ে এসেছিল।

অনুরোধ রইল সবাইয়ের কাছে, মাস্টারদা চিঠিটি পড়ার জন্য।

মাস্টারদা অমর রহে!
বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক!
বন্দেমাতরম!

**সকলের পড়ার সুবিধার্থে আসল চিঠির বয়ানটি নতুন করে তুলে ধরা হলো।।

~আমি যদি তাঁর (বিবেকানন্দ) কাছে কিছু শিখে থাকি ভাই, তবে সে তাঁর এই দেশপ্রেম,"-- সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর বন্ধু দিলীপ কুমার রায় কে এই কথা বলেছিলেন।
বিবেকানন্দের ভাষায় - "তোমরা সারা জীবন এই ৩০ কোটি ভারতবাসীর উদ্ধারের জন্য ব্রত গ্রহণ করো"। ১৯১৮ সালের সিডিশন কমিটি তাদের রিপোর্টে লক্ষ্য করেছিল বিপ্লবীদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের মধ্যে ভগবত গীতা এবং স্বামী বিবেকানন্দের রচনাবলী অপরিহার্যভাবে থাকত। বিবেকানন্দ তাঁদের কাছে ছিলেন দেবতা। দেশের জন্য যিনি মৃত্যুকে তুচ্ছ বলতে পারেন তিনি যে সদা সর্বদা উদ্দীপ্ত করবেন এটাই স্বাভাবিক। তাঁর আহ্বান "ভারত মাতা অন্তত সহস্র যুবক বলি চান। মনে রেখো - মানুষ চাই, পশু নয়। তিনি বলেন - এগিয়ে যাও বীর হৃদয় যুবকবৃন্দ"।**

জাতীয় যুব দিবসে স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি অতল শ্রদ্ধা নিবেদন করি প্রণাম জানাই স্বামীজি কে।

** তথ্যসূত্র - 'স্বামী বিবেকানন্দ জীবন ও প্রসঙ্গ~~ সামান্য থেকে অসামান্য'। লেখক ড. শ্যামাপ্রসাদ বসু।

ভারত মায়ের দুই শ্রেষ্ঠ সন্তান। সুভাষচন্দ্র বোস তাঁর প্রিয় মেজ দাদা শরৎচন্দ্র বোসের সাথে। এই সুভাষ মাসে দেশের সেবায় নিবেদিত প্রাণ দুজন মহামানবকে শ্রদ্ধা ও প্রণাম। জয় হিন্দ।। বন্দেমাতরম।।

ইতিহাসে প্রায় কিছুই লেখা হয়নি আর যা লেখা হয়েছে তাও অর্ধ সত্য। তবু আজও মানুষের তাঁকে নিয়ে এক অবর্ণনীয় আবেগ এবং শ্রদ্ধা। আর এ বছর দেশনায়কের ১২৮ তম জন্মবার্ষিকী। সেই উপলক্ষে এই সুভাষ মাসে আজ গেছিলাম বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমার প্রত্যন্ত গ্রাম ফতেপুরে। আজ আমার বিশেষ পাওয়া ছিলো এই যে, আমার "গুরুদেব" সঙ্গে ছিলেন, বলা ভালো তাঁর এক কর্মযজ্ঞে আমি সামিল হতে পেরে গর্বিত। কিছু মুহূর্ত চিরকাল মনে থাকবে যেমন, নিচের ফটোতে, সেই গ্রামেরই এক ছাত্র (পিন্টু রুইদাস) তার বাড়ির একটি ঘরের প্রবেশদ্বারের উপরে জাতীয় পতাকায় সুসজ্জিত দেশনায়কের প্রতিকৃতি। মুগ্ধ হলাম ছাত্র-ছাত্রীদের এবং গ্রামবাসীদের নিয়ে এই অনারম্বর ঘরোয়া অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে। জয় হিন্দ।। জয়তু নেতাজি।। বন্দেমাতরম।।

ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা সবাইকে। জানুয়ারি মাস এসে গেল মানেই, দেশ নায়কের জন্মদিন আসছে। আর এবার ১২৮ তম জন্মবার্ষিকী। নববর্ষে হয়তো সবারই কিছু ব্যক্তিগত Resolution থাকে। তবে এই নববর্ষে সার্বিকভাবে আমাদের Resolution হোক গাছ না কাটা। নতুন গাছ লাগানো এবং পরিবেশ রক্ষা করা। সুভাষচন্দ্র নিজেও প্রতিদিন ছোটবেলায় গাছের পরিচর্যা করতেন নিজের হাতে। প্রকৃতির মধ্যেই তিনি নিজেকে নতুন করে খুঁজতেন। সবাইকে অনুরোধ অযথা গাছ কাটবেন না। এই বিষয়ে আমার একটি লেখা আপনাদের সাথে share করলাম।

একদিন দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বিবাদ বাধলো। বিবাদের কারণ অবশ্য একটা নিরীহ গাছ। একজনের বাড়ির গাছ আর একজনের বাড়ি তে এসে পড়েছে প্রায়। এবং তাদের বাড়িতে পাতা পড়ছে, নোংরা হচ্ছে, রং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেওয়ালের, ইত্যাদি বিভিন্ন অভিযোগে সে তার প্রতিবেশীর সাথে গোল বাধালো। এবং অভিযোগ যে, আপনার গাছের জন্য আমার এবং আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। আমার বাড়ি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সব অভিযোগ শুনে লোকটি বলল, আমি তো আর গাছকে বলে দিইনি, যে আপনার বাড়ি তে পাতা ফেলতে। বড় হয়ে আমার বাড়িতেও যেমন গাছটি আছে, তেমনি গাছ নিজের থেকেই বড় হয়ে তার ডালপালা আপনার বাড়িতে চলে গেছে। সে কারণেই হয়তো কিছু পাতাও আপনার বাড়িতে পড়ে। এতে আমি আর কি বা করতে পারি। তখন অভিযোগকারী ভদ্রলোক বলল তাহলে আমি কি করবো? তখন দ্বিতীয় ভদ্রলোক বলল যে আপনি গাছকে গিয়ে বলুন। এই শুনে সেই অভিযোগকারী ভদ্রলোক গাছকে গিয়ে বলল তুমি আমার বাড়িতে এত নোংরা করো কেন? তোমার পাতা আমার বাড়িতে পরে, তাতে আমার বাড়ি নোংরা হয়। এতে অসুবিধা হচ্ছে আমাদের। গাছ উত্তরে জানায়, যে আমাকে লালন পালন করে বড় করেছে, তাকে গিয়ে বলুন। আমি কি বলবো? তখন লোকটি আবার সেই ভদ্রলোকের কাছে গিয়ে বলে, গাছ বলেছে আপনার সাথেই কথা বলতে, এতে গাছের কিছু করার নেই। কারণ আপনিই গাছটিকে লালন পালন করে বড় করেছেন। তাই দায়িত্ব আপনারই। এই শুনে দ্বিতীয় ভদ্রলোক অভিযোগকারী ভদ্রলোককে বলল দেখুন ভালো ফল হবে এই আশায় গাছটি বসিয়েছিলাম। যত্নও করেছিলাম, কিন্তু এত বছর পরেও গাছে ফল হলো না। তাও আপনি যখন বলছেন চলুন, আমরা দুজন একসাথে গিয়েই কথা বলি গাছের সাথে। এরপর তারা গাছকে শুধায়, -- গাছ এই সমস্যার সমাধান তোমাকেই করতে হবে যেহেতু সমস্যার কারণ তুমি। না হলে তোমাকে আর রাখা যাবে না। গাছ তখন দুজনকেই বলল আমি যদি সমস্যার সমাধান করি তাহলে তোমরা কিন্তু বিপদে পড়বে তারচেয়ে বরং তোমরা নিজেদের মধ্যে বিষয়টা মিটিয়ে নাও। কিন্তু দুজন ভদ্রলোকই তা মানতে নারাজ হয় এবং বলে, না না সমস্যার কারণ যখন তুমি, তখন তুমি সমস্যার সমাধান করো। অগত্যা, গাছ তখন বলল বেশ! তবে আমি নিজেই এই সমস্যার সমাধান বার করছি। ঠিক আছে, কাল থেকে আমি আর বড় হবো না, আর আমার একটি পাতাও তোমাদের কারুর বাড়িতে পড়বে না। আমার একটি ডাল পালাও তোমাদের বাড়ি দেওয়াল নষ্ট করবে না। এই শুনে তো দুজনেই খুব খুশি। এরপর দুজনেই যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে যেতে যাচ্ছে এমন সময় গাছ বলে ওঠে, দাঁড়াও! আমার আরো একটা কথা আছে। তখন তারা দুজনে জিজ্ঞেস করে হ্যাঁ ঠিক আছে বলো গাছ কি বলবে? গাছ বলল আমার গোড়াতে মাটি খুঁড়ে আমার মূলের মধ্যে একটু বিষ দিয়ে দাও। তখন ওই দুই ভদ্রলোক গাছকে বলে, তাহলে তো তুমি মরে যাবে। গাছ তখন বলল আমাকে নিয়ে যখন তোমাদের এত সমস্যা তখন আমি আর বেঁচে থাকি কি করব? আমি তো চেয়েছিলাম তোমাদের ভালো রাখতে। তখন দুজন ভদ্রলোক ঠিক করল তারা গাছটিকে মেরে ফেলবে। ঠিক হয়, পরের দিন সকাল বেলা গাছটিকে কাটা হবে, তাহলেই সব সমস্যার সমাধান। এরপর দুজনে বেজায় খুশি হয়ে যে যার নিজের বাড়িতে ফিরে যায়। সেদিন বিকালের দিকে, হঠাৎ অভিযোগকারী ভদ্রলোকের খুব শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, তখন তার ছেলে পাশের বাড়ির ভদ্রলোকের কাছে যায় সাহায্যের জন্য কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে যে ওই ভদ্রলোক খুবই শ্বাসকষ্টে ভুগছে। হঠাৎ করে ছেলেটি ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে শুরু করে। সে কোন প্রকারে বাড়ি ফিরে দেখে তার বাড়ির বাকি সদস্যদেরও একই রকম কষ্ট হচ্ছে। তখন তারা ডাক্তার কে ফোন করে ডাকে এবং ডাক্তারবাবু এসে তাদের তৎক্ষণাৎ ওষুধ দেয় এবং অক্সিজেন দেয়। বেশ কিছুক্ষণ পর তারা কিছুটা সুস্থ বোধ করে। তখন ডাক্তার বাবু তাদের জিজ্ঞেস করে যে আপনাদের দুই বাড়ির মধ্যে যে গাছটি ছিল সেই গাছটি কোথায় গেল? আমি তো দেখতে পেলাম না আসার পথে। তখন তারা জানায় যে গাছটিতে যেমন ছিল সে রকমই আছে। যদিও আমরা কালকে গাছ টি কাল কেটে ফেলবো। তখন ডাক্তার আবারো নিশ্চিত ভাবে বলে যে গাছটি নেই সেখানে। তখন সবাই বলল, ঠিক আছে ডাক্তারবাবু চলুন আমরা সবাই দেখে আসি, গাছটি আছে কিনা। আর না থাকলে কেই বা কেটে দিলো? আমরা তো কালকে সকালে কাটতাম। তখন ডাক্তার বাবুর সাথে সবাই মিলে দুই বাড়ির মাঝখানে গিয়ে পৌঁছালো এবং গিয়ে দেখে যে, সেখানে কোন গাছ নেই। পুরো ফাঁকা, একটা পাতাও পড়ে নেই। তখন সবাই তো আশ্চর্য হয়ে যায়। কিভাবে সম্ভব? এত প্রকাণ্ড একটা গাছ, কিছুক্ষণ আগেও ছিল। হঠাৎ কর্পূরের মত উবে গেল। এও সম্ভব? তখন ডাক্তার হঠাৎ বলে উঠলেন যে আমি সেই গাছ। আমি এখান থেকে চলে গেছি তোমাদের সমস্যার সমাধান করার জন্য। এজন্যই তোমরা আর একটুও অক্সিজেন পাবেনা। তখন সবাই ডাক্তার বাবু কে বলে, তা না হয় হলো, কিন্তু তুমি তো মাত্র একটা গাছ। তুমি থাকলে আর না থাকলে তার জন্য আমরা কেন অক্সিজেন পাবো না?? চারিদিকে এত গাছ আছে, সে তো আমরা এমনি এমনি অক্সিজেন পাই। ওটা কি শুধু তোমার জন্য আটকে থাকবে নাকি?! তখন সেই ডাক্তারবাবু বলে উঠলেন হ্যাঁ আটকে থাকবে। আমি সমস্ত গাছ কে বলে দিয়েছি আর একটুও অক্সিজেন না দিতে। কারণ তোমাদের সামান্য সমস্যার জন্য তোমরা আমাকেই মেরে ফেলতে যাচ্ছিলে। প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে যখন অবিরাম তোমাদের বেঁচে থাকার রসদ জুগিয়ে যাই , সেখানে কোনদিন আমি কি কিছু চেয়েছি তার বিনিময়ে তোমাদের থেকে? বরং তোমাদের দূষিত বায়ু পর্যন্ত আমি নিজে নিয়ে নি। আর সামান্য পাতা পরা, আমার ডালপালা বৃদ্ধির জন্য আমাকে তোমরা ধ্বংস করতে যাচ্ছো? এই তোমাদের মনুষ্যত্ব? তাই আমি ঠিক করেছি, যে আমি নিজেও থাকবো না, আর বাকি আমার সমস্ত বন্ধুদের বলে দিয়েছি তোমাদের জন্য অক্সিজেন না দিতে। তারা সবাই মেনে নিয়েছে। কারণ তাদের সাথেও তোমরা এমনই করতে পারো কোনদিন। এইসব যখন চলতে থাকে তখন হঠাৎ করেই আবারো সবাই অসুস্থ বোধ করে এবং ডাক্তারবাবুকে বলে যে আপনি চলুন আমাদের সুস্থ করুন, ওষুধ দিন, আমাদের অক্সিজেন দিন। কিন্তু মুহূর্তেই তারা দেখে ডাক্তারবাবু আর সেখানে নেই। তখন তারা প্রত্যেকেই কাঁদতে শুরু করে। বেঘরে প্রাণ চলে যাবে এই ভেবে তারা বিচলিত হয়ে যায়। শ্বাসকষ্ট যখন খুব বাড়তে থাকে তখন তারা সকলেই গোঙাতে থাকে, গাছ তুমি ফিরে এসো আমাদের বাঁচাও। আমরা আর কখনো তোমাকে ধ্বংস করব না। আমরা সত্যিই বুঝতে পারিনি তুমি এক মুহূর্ত না থাকলে আমরা বাঁচবো না। এই কাতর আর্তি শুনে, গাছ আবারও নিজের জায়গাতে অবস্থান করে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই অক্সিজেন দিতে, আস্তে আস্তে তারা সকলে সুস্থ বোধ করতে থাকে। সবাই হাতজোড় করে গাছের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালো তাদের প্রাণ ফিরে পাওয়ার জন্য। তারা গাছকে কথা দিলো যে, তারা কোনদিন কোথাও কোন গাছ কাটবে না এবং কাটতেও দেবে না। তারা প্রত্যেকটি গাছের যত্ন করবে আর নতুন গাছ লাগাবে। অতপর গাছ প্রসন্ন হলো।।

মৃন্ময় ব্যানার্জী
নেতাজি অনুরাগী

৩০ শে ডিসেম্বর ১৯৪৩ নেতাজি আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেন।।।।।
https://dhunt.in/RGFJu

By মঙ্গলকোট.কম via Dailyhunt

৩০ শে ডিসেম্বর ১৯৪৩ নেতাজি আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে তেরঙ্গা পতাকা উ ৩০ শে ডিসেম্বর ১৯৪৩ নেতাজি আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করে...

জনপ্রিয় বাংলা দৈনিক "এই সময়" পত্রিকায়, "দি ন কে দি ন" এই অংশে প্রত্যেক দিনই সেই দিনটির গুরুত্বপূর্ণ দুটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়। এটি আজকের পত্রিকায় এবং সেই অংশে আজ যে দুটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। মৃণাল সেনের মতো কিংবদন্তি ব্যক্তিত্বের ঘটনাটি, আর প্রথমটি অর্থাৎ, ১৯০৬ সালে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগ প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকায়, অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা । কিন্তু তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ নয় কি? যে আজকের দিনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করেছিলেন --। বাকি কোনো অংশেই আজকের দিনটি সম্বন্ধে কিছু খুঁজে পাইনি। আশা রাখবো আগামী দিনে আপনাদের মাধ্যমে নেতাজির আদর্শ দেশবাসী তথা আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছবে। অনুরোধ রইলো। জয় হিন্দ।। জয়তু নেতাজি।।

Drjayanta Choudhuri Boddhisatya Tarafdar

Excellent video about Netaji Subhas Chandra Bose made by Dhruv Rathee . I request you all to watch and share the same. Thank you Mr. Dhruv Rathee for making this kind of informative and fantastic video about our National Hero. His efforts and sacrifices for our independence is unparalleled. Among the national level leaders of that time, Netaji was the person who never walked the path of compromise with the Britishers. I think you also acknowledge this true fact, Mr. Rathee. Netaji addressed Gandhi as the father of the nation, and Gandhi addressed Netaji as the patriot's of patriot. Also we know that Gandhi was known as Mahatma in the same way Subhas Chandra Bose was addressed as Netaji by the common people. Again we have to remember that even after the incident of 1939, Netaji had never expressed any bad opinion towards Gandhi. That is why Netaji is incomparable. He can only be compared to himself. And he is not only India's Greatest Fighter, but also the Liberator of India.

Netaji Subhas Chandra Bose | From Hitler's Germany to Japan | Full Biography | Dhruv Rathee Learn about the remarkable journey of Subhas Chandra Bose in this video by Dhruv Rathee. We focus on Bose's daring exploits during World War II as he leverag...

নেতাজির সমস্ত policy ছিল ভারতবর্ষের মুক্তি কেন্দ্রিক। যার জন্য তিনি ভারতের মুক্তিদাতা। আর আমাদের সরকারের এখনকার policy অনুযায়ী তাঁর জন্মদিন কেই জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা যায় না !!

নামকরণ, মূর্তি উন্মোচন, ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদযাপন এবং সেই উপলক্ষে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন অবশ্যই নেতাজি সংক্রান্ত এই সব বিষয়কে অত্যন্ত সাধুবাদ জানাই, কিন্তু নেতাজি জয়ন্তীতে জাতীয় ছুটি ঘোষণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার আজও উদাসীন। দেশপ্রেম দিবস কে পরাক্রম দিবস করা হলো, আর এসব কিছুর মাঝে নেতাজি জয়ন্তীতে জাতীয় ছুটির বিষয়টাই কেমন যেন নিশ্চুপ হয়ে গেল।
পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee বরাবরই নেতাজি সংক্রান্ত বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর এবং সচেষ্ট। সংবাদ মাধ্যম থেকে যা জানতে পারি তা, এই বিষয়ে ওনার অবস্থান আজও একই। সে নেতাজির বিমান দুর্ঘটনার বিষয় বিশ্বাস না করা হোক বা নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল প্রকাশ করা হোক। আপনার এই অবস্থান কে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। ২০১৬ তে আপনার উদ্যোগে যে ৬৪ টি গোপন ফাইল ডিক্লাসিফাইড হয় তা থেকে নেতাজি বিষয়ে অনেক সত্য সামনে আসে। যেমন আমরা জানতে পারি যে, স্বাধীনতার পর ২০ বছর পর্যন্ত নেতাজি পরিবারের উপর নজরদারি চালানো হতো। আশা রাখি নেতাজি সংক্রান্ত সত্য সামনে আনার জন্য এবং তাঁর জন্মদিনে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করার উদ্দেশ্যে আপনার দীর্ঘকালের প্রচেষ্টা এভাবেই জারি থাকবে। একজন নেতাজি অনুরাগী হয়ে আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ, আগামী ৩০ শে ডিসেম্বর, নেতাজির আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করার মহান দিবস উপলক্ষে সরকারি স্তরে যদি কোনো Awareness Program করা যায় (মূলত ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে) এবং সে বিষয়ে যদি আপনি একটু ভেবে দেখেন।
------- ধন্যবাদান্তে, মৃন্ময় ব্যানার্জী

#নেতাজী

Drjayanta Choudhuri Boddhisatya Tarafdar

সবার কাছে অনুরোধ, এক্ষেত্রে সমস্ত রকম রাজনৈতিক চর্চা এর বাইরে থাকুক।

স্বাধীনতা মানে বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ। স্বাধীনতা মানে নেতাজী। #নেতাজী

Where Google says...... Still what? When will the truth come out????

"বিপ্লবের ধ্বজা হাতে, যারা এনে দিলো স্বাধীনতা"----
Let see..

Liberation Docfest Bangladesh Liberation Docfest Bangladesh is a festival dedicated to documentary cinema, seeking to highlight the struggle for Liberation and Human Rights of people in v...

Demand to declare a National Holiday every year on the occasion of Desh Nayak Netaji Subhas Chandra Bose's birthday on 23rd January, from 2024

বীর বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর এর জন্ম দিবসে শ্রদ্ধা ও প্রণাম। ব্রিটিশ সরকার এতটাই নির্লজ্জ ছিল যে, ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসির সাজা কার্যকর করার জন্য তাঁর ১৮ বছর বয়স হবার জন্য অপেক্ষা করছিল। বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস এর মত শত শত শহীদের আত্ম বলিদান দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা প্রাপ্তি হয়েছিল। জয় হিন্দ।। বন্দেমাতরম।।

An exclusive interview ----- with Padmashree Sivananda Baba (127 years 3 months old, wonder of the World)....

Sunil Chhetri, Sahal Abdul Samad, Liston Colaco, Gurpreet Singh Sandhu, Subhasis Bose and many others. Just looking at India's side, it shows what India really is. They all come from different parts of India. They are of different religions. Their languages are different. But they have only one identity. They are Indians. They are our heroes. Proud of you all. Proud to be an Indian. All the best Indian Football Team for today's match against Qatar in the Fifa World cup qualifiers. Jai Hind

By God's grace that I was able to meet Baba Sivananda Maharaj. বয়সে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থেকে 5 মাসের বড় এবং নেতাজির বাল্যকালের বন্ধু। বর্তমান বয়স 127 বছর 3 মাস। Living legend. 2022 সালে পদ্মশ্রী Sivananda baba is wonder of the world.... প্রণাম।