Ramdhonur Sahor
Nearby travel agencies
KOLKATA 743270
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
KOLKATA, KOLKATA
Kolkata, KOLKATA
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
KOLKATA 700026
kolkata, KOLKATA
KOLKATA
Badkulla, KOLKATA
যাদের পায়ের তলায় সর্ষে আর মনে আছে ডানা...!!চলো ঘুরে আসি পিঁপড়ের পায় পায়!
সূর্য ডোবার পালা আসে
যদি আসুক বেশ তো
গোধূলির রঙে হবে এ ধরণী
স্বপ্নের দেশ তো
বেশ তো বেশ তো
গুরু গোবিন্দ সিং ছিলেন শিখধর্মের দশম গুরু। তিনি বর্তমান ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। গুরু গোবিন্দ ১৬৭৫ সালের ১১ নভেম্বর মাত্র নয় বছর বয়সে পিতা গুরু তেগ বাহাদুরের স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি ছিলেন শিখ জাতির নেতা, যোদ্ধা, কবি ও দার্শনিক। শিখ সমাজে গুরু গোবিন্দ হলেন আদর্শ পৌরুষের প্রতীক। তিনি তার উচ্চশিক্ষা, দক্ষ অশ্বচালনা, সশস্ত্র যুদ্ধবিদ্যায় পটুতা ও চারিত্র্য দাক্ষিণ্যের জন্য প্রসিদ্ধ।শিখদের আদর্শ ও দৈনন্দিন জীবনে গুরু গোবিন্দ সিংহের জীবন ও শিক্ষার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। তার খালসা প্রবর্তন শিখ ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়!গুরু গোবিন্দ সিংহের মূল মন্ত্র ছিল সামরিক শক্তি সংহত করা, ইসলাম ধর্মের ধর্মাত্তরের প্রতিরোধ এবং পিতা তেগবাহাদুরের নৃশংস হত্যার প্রতিশোধ।শিখধর্মের সেবাব্রত অর্থাৎ বিনয় ও প্রার্থনার পরিবর্তে তিনি পরমেশ্বর ও তরবারির ওপর আস্থা স্থাপন করেন। তরবারিই ছিল তার কাছে ভগবান। ভাষা ও পরিচ্ছদ এই দুটিই হল জাতীয় জীবনের প্রধান উপাদান। এই বিষয়ে গোবিন্দ সিং হিন্দু পারসিক সমন্বয়কে সার্থক করে তুলেছিলেন। তিনি দুকুল অর্থাৎ পায়জামা ও কঞ্চুক অর্থাৎ আচকান পরিধান করেই সিংহাসনে বসতেন ৷ এই পোশাকই গ্রহণ করেছে শিখ সম্প্রদায় তাদের জাতীয় পোশাক রূপে।
তাঁরই উদ্দেশ্যে তৈরি কলকাতা মাত্র কয়েক কিলোমটার দূরে
আসাম যেতে হবে না, হালিশহরে গেলে দেখতে পাবেন আসাম বঙ্গীয় স্বারস্বত মঠ।
একদম গঙ্গার ধারে অবস্থিত এই মঠ ।। শ্রীমদ স্বামী নিগমানন্দ, শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু ও গনেশ মন্দির সহ এটি বিশাল জায়গা নিয়ে তৈরী। সন্ধ্যায় নিত্য গঙ্গা পূজা হয়ে থাকে, নানা ফুলের বাগানে সজ্জিত এই মঠ।। নাট মন্দিরের ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন ঋষি মনিষীদের ছবি।।
পরমহংস শ্রীমদ স্বামী নিগমানন্দ সরস্বতীদেব ছিলেন ভারতের একজন সদ্ গুরু ও সাধু তিনি ছিলেন পূর্ব ভারতে সুপরিচিত একজন হিন্দু যোগী ও আধ্যাত্মিক নেতা ,তিনি শাক্ত সম্প্রদায়ভুক্ত একজন ভারতীয় হিন্দু গুরু ছিলেন এবং তন্ত্র ও যোগের একজন আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে তাকে দেখা হতো।।🌼
নিগমানন্দের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন যে তিনি চারটি ভিন্ন সাধনায় যথা তন্ত্র, জ্ঞান, যোগ এবং প্রেমে সিদ্ধি লাভ করেন।। এই সকল অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে তিনি বাংলা ভাষায় ৫টি গ্রন্থ রচনা করেন: ব্রহ্মচর্য সাধনা, যোগী গুরু, জ্ঞানী গুরু, তান্ত্রিক গুরু এবং প্রেমিক গুরু ।স্বামী নিগমানন্দ নির্বিকল্প সমাধি লাভ করেছিলেন।
শান্তি আশ্রম আসামের কোকিলামুখে ১৯১২ সালের ৫ ই বৈশাখ অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে স্বামী নিগমানন্দ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বর্তমানে "সারস্বত মঠ" বা "আসাম বঙ্গীয় সারস্বত মঠ" নামে পরিচিত। "শান্তি আশ্রম" এর মূল উদ্দেশ্য স্বামী নিগমানন্দের তিনটি লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করা - সনাতন ধর্ম প্রচার, প্রকৃত শিক্ষার বিস্তার এবং ঈশ্বরের অবতার হিসাবে সর্বজনের সেবা করা।
নিগমানন্দ সাত জন আত্মত্যাগী স্বামী শিষ্যকে সন্ন্যাসদীক্ষা প্রদান করেন। এরা হলেন চিদানন্দ, প্রেমানন্দ, স্বরূপানন্দ, যোগানন্দ, শুদ্ধানন্দ, বোধানন্দ এবং সারদানন্দ। তিনিই এই আশ্রমের নাম রাখেন "সারস্বত মঠ"। ১৩২৫ বঙ্গাব্দ হতে এটি "আসাম বঙ্গীয় সারস্বত মঠ" নামে পরিচিত হয়।
ধন্যবাদ 🙏🌼❤️
বৃন্দাবনের প্রেম মন্দিরের স্বাদ কিছু টা হলেও মিটবে আলমবাজারের শ্যাম মন্দিরে এলে।। কোলকাতার খুব কাছেই অবস্থিত এই মন্দির থেকে চোখ সরাতে পারবেন না।
আলমবাজারের শ্রী শ্যাম মন্দির।। মন্দির টি এক কথায় অসাধারণ।। মন্দির টিতে রাজস্থানীয় শিল্পী রা সাদা পাথরের ওপর অসামান্য দক্ষতার সাথে নানান নকশা তৈরি করেছে এবং রয়েছে বিশাল কাঁচের অপূর্ব সুন্দর কাজ।। গর্ভগৃহের মাঝখানে আছেন শ্রীশ্যামের বিগ্রহ, একপাশে রাধাকৃষ্ণ র বিগ্রহ, একপাশে সিদ্ধিদাতা গণেশ , শিব লিঙ্গ ও বজরঙ্গবলির বিগ্রহ।। মন্দির টিতে সন্ধ্যাবেলার লাইট সজ্জা মন্দিরটি কে অপরূপ সুন্দর রূপ দেয়।। অনেকে এই মন্দির কে কাঁচের মন্দির ও বলে থাকে।।
আলমবাজারে নারায়ণী সিনেমা হলের একদম বিপরীতে
সকাল 8:০০ - দুপুর ১২:০০
বিকাল ৪:০০ - রাত ১০:০০
ধন্যবাদ 🙏🌼❤️
হুগলী জেলার কোন্নগরের ইতিহাস বহু প্রাচীন। এক কালে এই কোন্নগরেই গড়ে উঠেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলে মার্কিন সেনাদের ক্যাম্প যা দেশভাগের পর বদলে গেল উদ্বাস্তু শিবিরে।
এই কোন্মগরের অন্যতম আকর্ষণ হলো শ্রী রাজ রাজেশ্বরী মন্দির বা শ্রী রাজ রাজেশ্বরী সেবা মঠ।। বিশাল মন্দিরের চূড়া দূর থেকে চোখে পড়ে । মন্দিরের দুই ধারে রয়েছে ফুল ও বিভিন্ন সবজির সুসজ্জিত বাগান। মন্দিরের ভেতরে ঢুকতেই পাথরের তৈরী ভাস্কর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।। পাথরের নির্মিত স্বয়ং মহাদেব, ব্রহ্মা, শ্রী বিষ্ণু, দেবী লক্ষ্মী, আদী গুরু শঙ্করাচার্য , গো মাতা সহ বিভিন্ন ঋষি মনিষীর মূর্তি চোখে পরবে।
মন্দিরের পরিবেশ শান্ত প্রকৃতির। মন্দিরের দেয়ালের গায়ে দেখা যায় কোষ্টীপাথরের নির্মিত দেবী দুর্গার চৌষট্টি টী যোগিনী রূপ যা নাম সহ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যা আপনাকে তীর্থ রাজ অমরকন্টকের চৌষট্টি যোগিনী মন্দিরের কথা মনে করাবে।অত্যন্ত যত্নের সাথে এগুলির পরিচর্যা করা হয়। এখানে রাজ রাজেশ্বরী মায়ের নিত্য পূজা হয়ে থাকে। মন্দিরের ভেতরের নিস্তব্ধতা ও সাজসজ্জা আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করবে।।
** কি ভাবে আসবেন ?
হাওড়া ও হুগলি থেকে ব্যান্ডেল লোকাল ধরে কোন্নগর নামবেন। ওখান থেকে টোটো বা অটো ধরে মিনিট 10 পথ অতিক্রম করে পৌঁছাতে পারবেন এই মন্দির- এ। এছাড়া আপনারা গাড়িতে গেলে আপনাকে জি.টি. Road ধরে আসতে হবে কোন্মগর বারো মন্দির ঘাটের বিপরীতে।।🙏🌼❤️
ধন্যবাদ 🙏
কলকাতার নিউটাউন এ অবস্থিত কলকাতার সবচেয়ে বড় হনুমান মন্দির বা রাম মন্দির।এটি রাজারহাট সংলগ্ন এলাকায় এবং ইকোপার্কের একদম কাছে অবস্থিত। বিশাল জায়গা নিয়ে অবস্থিত এই রামমন্দিরটি, দারুন পরিবেশ।এই মন্দিরের ভিতরে ,গাছপালা, পুকুর, মন্দির, দেবদেবীদের মূর্তি ও রামায়ণে বর্ণিত বিভিন্ন দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে।। মন্দিরে প্রবেশ করতেই ডানদিকে রয়েছে রাবণের সিতা হরণের সময় গরুর পাখি দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হবার সেই দৃশ্য।সব থেকে বড় আকর্ষণ সংকটমোচন বীর হনুমানের বিশাল মূর্তি। মন্দিরের ভেতর রঙিন কাঁচের তৈরি। অসাধারণ সুন্দর কারুকার্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। কথিত আছে, যার যা মনস্কামনা তা একটি চিঠিতে লিখে নারকেলের সাথে হনুমাজীর নাম স্মরণ করে বেঁধে দিলে তা পূরণ হয়। এই মন্দিরটি দেবীদত্মজি নামক এক ব্যাক্তির স্মৃতির উদ্দেশ্যেই ওনার পুত্র 1972 সালে এই মন্দিরটি নির্মাণ করান। এই মন্দিরের মাঝ বরাবর রয়েছে একটি বিশাল পুকুর , আর পুকুরের মাঝ বরাবর রয়েছেন মা গঙ্গার মূর্তি, মুলমন্দিরে ঢোকার রাস্তা রয়েছে বিশাল আকার একটি নির্মিত সাপের মুখগহ্বরের ভেতর দিয়ে সুরঙ্গ পথ। সুরঙ্গের ভেতর থেকে কিছু টা এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন শিবলিঙ্গ , রয়েছে একটি বিরাট বট গাছ, আর এই গাছ জুড়ে চারিদিকে রয়েছে প্রচুর দেব দেবীর মূর্তি ও বিগ্রহ। যেখানে রয়েছেন মহাদেব ,দেবী পার্বতী।
এখানে রয়েছে মা সেরাওয়ালী, মা কালী, হনুমানজি ও রাধা কৃষ্ণের বিগ্রহ, রয়েছে শ্রী রাম লক্ষণ আর দেবী সীতা, বিভিন্ন দেবদেবীরমূর্তি ।
মন্দিরে পুজো দেবার সামগ্রী মন্দিরের বাইরেই পেয়ে যাবেন। সকাল ৫ টা থেকে দুপুর ১২ টা অবধি এই মন্দির খোলা থাকে, আর বিকাল ৩ টে থেকে রাত ৮ টা অবধি ।।
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা রাজারহাট সিটিসেন্টার ২ এর কাছে এসে যেকোনো অটো, বা টোটো ধরে ইকোপার্কের কাছে হনুমান মন্দির বল্লেই মন্দিরে পৌঁছে যাবেন।।
ধন্যবাদ ❤️🌼
ফোটো শ্যুটের জন্য অবশ্যই যেতে পারেন।।❤️🌼
শ্রীরামপুর রাজবাড়ির গোস্বামী পরিবারটির শ্রীরামপুরে আগমন ও বসবাসের সূত্রপাত শেওড়াফুলি রাজের হাত ধরেই। শেওড়াফুলি রাজপরিবার । শেওড়াফুলি রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাজা মনোহর চন্দ্র রায়। তাঁর পুত্র রাজা রাজচন্দ্র রায় ১৭৫২-৫৩ সাল নাগাদ শেওড়াফুলির পাশেই শ্রীপুর গ্রামে একটি শ্রীরামচন্দ্রের মন্দির নির্মাণ করেন। শ্রী রামচন্দ্র জীউর এই মন্দিরটির সূত্রেই পরে শ্রীপুর, গোপীনাথপুর এবং মোহনপুর গ্রাম তিনটি সংযুক্ত করে গোটা জায়গাটির নাম দেওয়া হয় শ্রীরামপুর। শ্রীরামপুরের খ্যাতির একটি দিক যদি হয় কেরি সাহেবের ছাপাখানার কারণে, তাহলে অন্যটি অবশ্যই ড্যানিশ বা দিনেমার উপনিবেশ হিসেবে। ১৭৫৫ সালে ড্যানিশরা বাঙলার নবাব আলিবর্দী খাঁর থেকে এক লক্ষ ষাট হাজার সিক্কার বিনিময়ে শ্রীরামপুরে বাণিজ্যকুঠি স্থাপন ও বসবাসের অনুমতি পায়। ড্যানিশ সম্রাট ষষ্ঠ ফ্রেডেরিকের নামে তারা শ্রীরামপুরের নাম বদলে রাখে ফ্রেডেরিকনগর। ১৭৫৫ থেকে ১৮৪৫ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত ড্যানিশরা শ্রীরামপুরে ছিল। এরপর শ্রীরামপুর চলে যায় ব্রিটিশদের হাতে।রামগোবিন্দ গোস্বামী শ্রীরামপুরে বসতবাড়ি স্থাপনের পর এই বাড়ি সংলগ্ন ঠাকুরদালানে দুর্গাপূজা শুরু করেন। সময়টা আনুমানিক অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি। এই ঠাকুরদালানেই প্রতিবছর ষোড়শোপচারে দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়। প্রাচীন ঘরানার একচালার মধ্যে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে মা দূর্গার সঙ্গে থাকেন কার্ত্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী। ডাকের সাজ বা রাঙতা আর শোলার সাজে মৃন্ময়ী প্রতিমাকে অলঙ্কৃত করা হয়। দেবীপুরাণ মত মেনে গোস্বামীবাড়ির পুজো শুরু হয় প্রতিপদের দিন থেকে। পুজো উপলক্ষে চারদিন জমজমাট হয়ে ওঠে শ্রীরামপুরের গোস্বামীবাড়ি। বসে সঙ্গীতানুষ্ঠানের আসর। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গোস্বামী বাড়ির দুর্গাপুজোয় এই সঙ্গীতানুষ্ঠানের আসরে গান গেয়ে গেছেন অ্যান্টনি ফিরিঙ্গী, ভোলা ময়রা থেকে বাগবাজারের রূপচাঁদ পক্ষীর দল। আজ থেকে বছর পনেরো–কুড়ি আগে এক স্থানীয় বৃদ্ধা গোস্বামীবাড়ির এই দুর্গাকে ‘বুড়ি মা’ নামে সম্বোধন করেন। নামটি পরিবারের সকলের ভালো লেগে যায়। সেই থেকে পুজোটি এই নামেই খ্যাত।
বর্তমানে অনেক সিনেমার শুটিং এখানে হয়ে থাকে!!
বেনারস যাবেন...!?
বেনারসের ঘাটে আরতি হবে, অথচ ভিড় হবে না। আসলে এই আরতি দেখার জন্য আপনাকে বাক্স প্যাঁটরা নিয়ে কাশীবাসী হওয়ার দরকার নেই। কলকাতাতে থেকেই দেখতে পাবেন ঠিক বেনারসের কায়দায় গঙ্গা-আরতি।।
হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে গঙ্গারতি হয় ঠিক বেনারসের ধাঁচে। বাবুঘাটের সাথে সরাসরি লঞ্চ যোগাযোগ এই ঘাটের।১৮৯৮ সালে মাঘী পূর্ণিমার দিনে এই ঘাটেই পা পড়েছিল স্বামী বিবেকানন্দ। এখান থেকে নবগোপাল ঘোষের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি।
ডান দিকে তাকালেই চোখ জুড়িয়ে দেবে গঙ্গার উপরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দৃশ্য।।সন্ধ্যা সাতটার সময় শুরু হয় আরতি।কর্পূরের গন্ধ, প্রদীপ, চামর, ধুনুচি, শঙ্খ সব মিলিয়ে অসাধারণ সন্ধ্যা কাটবে...!!!❤️🌼🌼
প্রাচীন শহর শ্রীরামপুর। নাম ছিল ফ্রেডরিকনগর, দিনেমার তথা ডেনমার্ক-এর অধীনে থাকার সময়ে। ১৬১৬ সালে তাদের কলোনী গড়ে ওঠে। শ্রীরামপুরের ইতিহাস হুগলী জেলাকে গর্বিত শুধু নয় রাজ্য বা দেশকেও গর্বিত করে। বাংলা হরফ জন্ম নেয় শ্রীরামপুরে। এ কারণে কেরি সাহেব ও পঞ্চানন কর্মকার অমর হয়ে রয়েছেন। সংবাদপত্র 'সমাচার দর্পণ', প্রথম বাংলা সংবাদপত্র। প্রথম বাংলা বই হলো প্রতাপাদিত্য চরিত্র, যা রূপ পায় শ্রীরামপুরে। শ্রীরামপুরকে ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যশালী শহর বলা যায়।।
শ্রীরামপুরের প্রকৃতি গঙ্গা ও গঙ্গার ওপারে ব্যারাকপুরের দিগন্ত। বাকি সবই ঐতিহ্যপূর্ণ দ্রষ্টব্যর সম্ভার। রোমান ক্যাথলিক চার্চ। দিনেমার সরকারের ঘরবাড়ি। টেক্সটাইল টেকনোলজি কলেজ, দিনেমার সমাধিভূমি, মিউজিয়াম (কেরি সাহেবের স্মারক)। আদালত ভবনটি অতীতের দিনেমার গভর্নর হাউস ছিল। সেন্ট ওলাব চার্চ-এ কিছু কামানও রয়েছে দিনেমারদের। দিনেমার অর্থে ডেনমার্ক-এর মানুষ।🌼❤️❤️
মথুরায় আমন্ত্রণ জানিয়েই রথ পাঠিয়ে ছিলেন মামা কংস!
মনে করা হয় তার পর থেকে রথযাত্রার সূচনা হয়। আবার এও মনে করা হয় যে, এদিনই কংসবধ করেন কৃষ্ণ। তার পর বলরামের সঙ্গে প্রজাদের দর্শন দেওয়ার জন্য মথুরায় রথযাত্রা করেন।
এই উল্টোরথের দিনেই বাড়ি ফেরেন জগন্নাথ দেব, গুন্ডিচা মন্দির থেকে , কিছু দিন ভক্ত দের সংস্পর্শে থেকে আজকে সকলকে কাঁদিয়ে মহাপ্রভুর ঘরে ফেরার পালা।। ওদিকে মা লক্ষ্মী তো বেজায় রেগে নয় দিন তার সাথে সাক্ষাৎ হয়নি।।মাসির বাড়ি থেকে ফেরার পরও জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম প্রবেশ করেন না মূল মন্দিরে। তিন দিন এরকম ভাবেই বাইরে থাকে রথ-সহ বিগ্রহ। এই তিন দিন পালিত হয় কিছু অনুষ্ঠান। যার মূল কেন্দ্রবিন্দু-তে থাকেন জগন্নাথদেব। বছরে এক বার মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন জগন্নাথ, কিন্ত ফিরে আসার পর ধূমধাম করে সমারোহের সঙ্গে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম কে মন্দিরে রত্নবেদি-তে তোলা হয়। তিনদিন ধরে পালিত হয় বিশেষ অনুষ্টান
সোনাবেশ- একাদশী তিথিতে জগন্নাথ সহ সুভদ্রা-বলরাম ও সেজে ওঠেন নানা সোনার গয়নার সাজে। পুনর্যাত্রার পর একাদশী তিথি তে পালিত হয় এই সোনাবেশ।
অধরপনা- এই উৎসব পালিত হয় দ্বাদশীর সন্ধ্যায়। এই রীতি অনুযায়ী জগন্নাথদেব-কে শরবত খাওয়ানোর পালা চলে।
রসগোল্লা উৎসব- ত্রয়োদশীর দিন জগন্নাথদেবের উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয় কয়েকশ হাড়ি রসগোল্লা, ভোগ হিসেবে। সর্বশেষে নীলাদ্রিবিজয় উৎসব অর্থাৎ মা লক্ষ্মী র রাগ ভাঙ্গাতে তাকে রসগোল্লা খায়িয়ে রাগ ভাঙ্গানোর মাধ্যমে শেষ হয় এই সমস্ত রীতি -রেওয়াজ। এভাবেই বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের পর জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরাম কে মন্দিরে মূল রত্নবেদি-তে তোলা হয়।
উল্টো রথের শুভেচ্ছা সকলকে!!
জয় জগন্নাথ ❤️🌼🌼
মনে আছে..!! বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সেই" রাধারাণী"
রাধারাণী নামে একটি বালিকার বাল্য প্রেমের কাহিনী, এই রাধারাণী তার এগারো বৎসর বয়সে এই শ্রীরামপুর, মাহেশের রথের মেলায় মালা বিক্রি করতে গিয়ে অন্ধকারে পথ হারিয়ে ফেলে। তখন রুক্মিণীকুমার রায় ইশ্বরের প্রতিরুপে উপস্থিত হয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এর পরে দীর্ঘ চরাই উৎরাই এর পর.. বহু অপেক্ষার পর সেই রাতে হারিয়ে যাওয়া সেই রুক্মিণীকুমার রায়কে ফিরে পাওয়ার কথা...!!!
শ্রীরামপুর মাহেশের রথযাত্রা ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম এবং বাংলার প্রাচীনতম রথযাত্রা। ১৩৯৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে শ্রীরামপুরের মাহেশে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। চতুর্দশ শতকে ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী নামে এক বাঙালি সাধু পুরীতে তীর্থ করতে গিয়েছিলেন। তাঁর ইচ্ছা হয়েছিল যে তিনি জগন্নাথদেবকে নিজের হাতে ভোগ রেঁধে খাওয়াবেন। কিন্তু পুরীর মন্দিরের পাণ্ডারা বাধ সাধায় তিনি তা করতে পারলেন না। তখন দুঃখিত হয়ে তিনি আমরণ অনশনে বসলেন। তিন দিন পরে জগন্নাথদেব তাঁকে দেখা দিয়ে বললেন, "ধ্রুবানন্দ, বঙ্গদেশে ফিরে যাও। সেখানে ভাগীরথী নদীর তীরে মাহেশ নামেতে এক গ্রাম আছে। সেখানে যাও। আমি সেখানে একটি বিরাট দারুব্রহ্ম (নিম গাছের কাণ্ড) পাঠিয়ে দেবো। সেই কাঠে বলরাম, সুভদ্রা আর আমার মূর্তি গড়ে পূজা করো। আমি তোমার হাতে ভোগ খাওয়ার জন্য উদগ্রীব।" এই স্বপ্ন দেখে ধ্রুবানন্দ মাহেশে এসে সাধনা শুরু করলেন। তারপর এক বর্ষার দিনে মাহেশ ঘাটে একটি নিমকাঠ ভেসে এল। তিনি জল থেকে সেই কাঠ তুলে তিন দেবতার মূর্তি বানিয়ে মন্দির প্রতিষ্ঠা করলেন।
সন্ন্যাস গ্রহণের পরে শ্রীচৈতন্য পুরীর উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে তিনি মাহেশে পৌঁছেছিলেন। ধ্রুবানন্দের মন্দির পরিদর্শন করার পরে তিনি তার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং গভীর সমাধিতে মগ্ন হন। শ্রীচৈতন্য মাহেশকে 'নব নীলাচল' অর্থাৎ 'নতুন পুরী' বলে নামকরণ করেছিলেন। পরে বৃদ্ধ ধ্রুবানন্দ তাকে মন্দিরের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এতে মহাপ্রভু কমলাকার পিপলাইকে মন্দিরের ভার দেন।যিনি ছিলেন শ্রীচৈতন্যদেবের দ্বাদশ গোপালদের মধ্যে পঞ্চম। মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে ভার গ্রহণ করার পর, তিনি সেখানে থাকতে শুরু করেন ।তিনিই এই বিখ্যাত রথ উৎসব ৬২৬ বছর আগে শুরু করেন। তাঁর উত্তরাধিকারীরা এখনো সেবাইত বা মন্দির 'অধিকারী' হিসেবে মাহেশে বসবাস করেন।
এমন একটা পুণ্য স্থানে আজ যেতে পারে খুব ভালো লাগলো!!!❤️🌼🌼
যাদের পায়ের তলায় সর্ষে আর মনে আছে ডানা...!!চলো ঘুরে আসি পিঁপড়ের পায় পায়!
Ramdhonur Sahor যাদের পায়ের তলায় সর্ষে আর মনে আছে ডা
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
KOLKATA
Kolkata
743248
Patuli
Kolkata, 700094
To provide important post about various tourist places throughout the world.
Kolkata, 711227
As a Indian Railway Fan I have travelled many parts of India and in continuos effort to explore more
3, Chittaranjan Avenue, Bharat Bhavan, 3rd Floor, Room No. 5D, Opp. Hindustan LIC Building Chandani Metro Gate Number 2
Kolkata, 700072
We are fully licensed inbound and outbound tour operator incorporated in 1991. Being GSA HPTDC
Kolkata
Kolkata, 700077
Tourist guide for budget travelers. know fares and places before you go
Kolkata
লং ড্রাইভে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। লং ড্রাইভে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। এবং আসুন নতুন কিছু শিখি
Pioneer Park
Kolkata, 700124
This is a knowledge shearing centre where u will have videos on technical aspects on Transmission Line, Tourism, Education Etc