দিনলিপি - Dinolipi

ব্যস্ততার আঁকিবুকি
সময় পেলেই দিনলিপি ✒️

12/06/2024

শিশু শ্রম

কলমে: আবু জাফর
অঙ্কনে: খুশি সোমনাই

শিশু শ্রম যেন একদম;
হয়ে গেছে প্রথা,
তাদের খাটাই ইটের ভাটায়
এমন যথা-তথা।

ভাঙ্গে খোয়া, ইট বওয়া
করছে সব কিছু,
লেদ-গ্যারেজে শক্ত কাজে
শ্রম দিচ্ছে শিশু।

যে কোনো রকম শিশু শ্রম
করতে হবে বন্ধ,
শ্রম দিলে স্কুলে না গেলে
ভবিষ্যৎ হবে অন্ধ।

প্রতি বছরে গ্রাম-শহরে
বাড়ছে জনসংখ্যা,
বাড়ছে বেশি বস্তির শিশু
বাড়ছে বিপদ-শঙ্কা।

পথ শিশু কোনো কিছু
বোঝেনা ভালো মন্দ,
বস্তি থেকে বেড়ে উঠে
হারাই জীবনের ছন্দ।

লেখা পড়া জীবন গড়া
শিশুদের অধিকার,
অভিভাবক স্কুল শিক্ষক
সচেতনতার দরকার।
#দিনলিপি #দিনলিপি_dinolipi

11/06/2024

|| World Day Against Child Labour ||
|| আর নয় শিশুশ্রম ||
কলমে: সঞ্জয় বৈরাগ্য
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

10/06/2024

|| আত্মতৃপ্তি ||
কলমে : Sayandeep Chowley
ফটোগ্রাফী: Jeevesh Basak

গাড়িটা হাইওয়ে থেকে বাঁক নিতেই পাশে চোখে পড়ল একটা ফলক, তাতে প্রায় বড়বড় হরফে লেখা ' রাধাগোবিন্দপুর' অর্থাৎ সৌভিকের দেশের বাড়ি; এখানেই ছোটো বেলার একটা বড় সময় অতিবাহিত হয়েছে তার। সৌভিকের কত যে স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এখানে। এই কথা ভাবতে ভাবতে সৌভিক গাড়ি চালাচ্ছিল, হঠাৎ একটা বিরক্তিসূচক মহিলার কন্ঠস্বর কানে যেতেই তার হুস ফিরল,

— বাবা! কী গরমটাই না পড়েছে, এদিকে বৃষ্টি হওয়ার কোনো নামই নেই।

সৌভিকের পাশে বসে তারই হবু বউ শ্রীণিকা, বর্তমানে প্রেমিকা বলা যেতেই পারে। ওর ইচ্ছাতেই আজ এখানে আসা তাদের। শ্রীনিকা মফস্বলে বড় হয়েছে তাই গ্রাম দেখার ইচ্ছে নিয়েই এখানে এসেছে। যার আশায় এসে ছিলাম সেটা বৃথা হবে ভাবছিল সৌভিক। এমন সময় হঠাৎ ফোনটা নোটিফিকেশন পাঠিয়ে জানান দিল, " বর্তমান তাপমাত্রা বিয়াল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস।" গাড়ি এগিয়ে চলল তাদের আদি বাড়ির দিকে।

হঠাৎ সৌভিকের নজর গেল পঞ্চানন মন্দিরের পুকুরের দিকে। জলের বিন্দুমাত্র অংশ নেই বললেই চলে, মাঝে পায়ের পাতা অবধি জল বোধহয় । পাশে পড়ে রয়েছে পচা মাছের ছড়াছড়ি, দৃশ্যটি করুণ নয় বরঞ্চ নির্মম, মানুষের অবচেতন খেয়ালে বৃক্ষছেদনের ফল ভুগতে হচ্ছে বৃক্ষসহ প্রাণীকূলকে। একসময় এইপুকুরে কত ঝাঁপাঝাঁপি করেছে সৌভিক আর তার বন্ধুদের দল ।

— সামনে অতো ভীড় কেন গো?
আকস্মিক প্রশ্নে সামনে তাকায় সৌভিক।

— সত্যি তো বসু বাড়ির সামনে ভীড় কেন!

গাড়িটা হর্ন দিয়ে সাইড দিতেই দেখা গেল, খাটিয়ায় মাঝবয়সী এক ভদ্রমহিলাকে শোয়ানো। মাথা থেকে পা পর্যন্ত সাদা কাপড়ে ঢাকা।

— কী হয়েছে দাদা?

পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ভদ্রলোক উত্তর দিলেন বসু গিন্নিমা হৃৎরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বাবু।

কথাটা শুনেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল সৌভিকের। বসু গিন্নিমা মানে তার ছোটোবেলার প্রিয় বন্ধু অমিতের মা। তাদের বাড়িতে কাটানো সব স্মৃতি যেন ঘিরে ধরল তাকে। চোখের কোণে জল নিয়ে আদি বাড়িতে এসে পৌছাল সৌভিক আর শ্রীণিকা। অনেক কষ্টে দুপুরের খাওয়া শেষ করে।

— কী গো শুনছো? তাড়াতাড়ি ছাদে এসো।

শ্রীণিকা'র চিৎকারে ঘুম পন্ড করে ঢুলু ঢুলু চোখে কোনো রকম সিঁড়ি বেয়ে ছাদে যেতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মন ভরে গেল। আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গেছে, কিছুক্ষণ পর ঝড় উঠবে। দমকা হাওয়া দিতে শুরু করেছে। শ্রীণিকা'র ঘন কালো খোলা চুল হাওয়ায় উড়ছে, মুখে কি হাসি!
অপলোক দৃষ্টিতে সেই মনোরম সৌন্দর্যে মিশে যাচ্ছে সৌভিক।

হঠাৎ সজোরে বিদ্যুতের শব্দে হুস ফিরল দুজনেরই, শ্রীণিকা জাপটে ধরার চেষ্টা করল সৌভিক'কে কিন্তু সৌভিক উলটে তার হাত ধরে লাফাতে লাফাতে নীচে নেমে ছুট দিল আম বাগানের দিকে। পেছনে ঠাম্মা-দাদু'র ডাক প্রায় কানেই এল না তাদের। সৌভিক যেন তার ছোটোবেলা ফিরে পেয়েছে। কিছুক্ষণ পর দুজন প্রায় ভিজে জবজবে আর হাঁটু পর্যন্ত কাদা মেখে বাড়ি ফিরল দুজন; সঙ্গে আমের সমহার।

— কী যে আনন্দ হচ্ছে গ্রামে না এলে তো বুঝতেই পারতাম না!

শ্রীণিকা'র কথায় সবাই হেসে লুটোপুটি সঙ্গে সে নিজেও। তার মুখের আনন্দ হয়তো লেখায় প্রকাশ পাবে না।

সবাই আমের স্বাদ উপভোগ করছে। হঠাৎ টেলিভিশন নামক বোকাবাক্সটি থেকে এক মহিলা প্রতিবেদক বলে উঠল, " গভীর নিম্নচাপের কারণে আগামী তিন-চার ঘন্টা কলকাতা-সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে প্রবল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।"

ঠাম্মা আনন্দের সাথে বলে উঠলেন,

— সবই পঞ্চানন ঠাকুর গো ইচ্ছে, জয় বাবা পঞ্চানন!

পরের দিন সকালে সব গুছিয়ে, সবাইকে প্রণাম করে রওনা দেওয়ার সময় হঠাৎ সৌভীকের চোখ পড়ল শ্রীণিকা'র মুখে; তার মুখ কাঁদো কাঁদো। তার বাড়ি ফিরতে মন চাইছে না সেটা সৌভিকের বুঝতে বাকি নেই। কিন্তু ছুটি শেষ, বাড়ি তো ফিরতেই হবে তাই ওই দিকে অতো ধ্যান দিল না সে । কিন্তু ঠাম্মি যেন কীভাবে সব বুঝে গিয়ে ওকে বলল,

— আবার এসো মা, তখন অনেকদিন থেকো।

গাড়ি আবার চলল ফেরার উদ্দেশ্যে, কালকের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভেজার পর আবার তরতাজা হয়ে উঠেছে। তারা যেন নতুন জীবনে পেল। আবার চোখ গেল পঞ্চানন মন্দিরের পুকুরের দিকে, এখন তাতে জলে পরিপূর্ণ, তাতে মহা সুখে ঝাপাঝাপি করছে ছেলে-ছোকরার দল। হঠাৎ ব্রেক চাপতেই গাড়ি স্থির হয়ে গেল আর সৌভিক পুকুরের দিকে তাকিয়ে ভেসে গেল তার ছেলেবেলায়, যেন তা বর্তমানে এসেই থমকে গেছে এক কাল্পনিক মায়াজালে!

[সমাপ্ত]
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

07/06/2024

অপার্থিব সুখ
- Abhishek Sinha
#দিনলিপি #দিনলিপি_dinoilipi

07/06/2024

|| আলগা পিরিত||
কলমে : অপ্রেমিকা(সুদীপ শ্বেতা)

— আরেঃ! এদিকে এসো দেখিনি!

— কেন? কী হইবে?

— আরেঃ! এসোই না...

— নাও এলাম!

— এই কাঁচা আমের শরবত করেছি তোমার জন্য! খেয়ে নাও দেখি!

— বাবাগো! আজ হঠাৎ এতো যত্ন করছ আমার?

— আরেঃ! আজ গরমটাও তো বেশি তাই না!

— তা ঠিক! তবে আমার গরম বিশেষ লাগে না। ঘরে তো এয়ার কান্ডিশন করে রেখেছো।

— তাতে কী! এই যে তুমি হাঁটা চলা করছো এতেও তো গরম হচ্ছে তোমার। নাও নাও শরবতটা খেয়ে নাও এবার।

— (শরবত খেতে খেতে) যা কথা বলো না তুমি! যেন আমায় সংসারের সব কাজ করতে হয় যে গরম লাগবে!

— বালাই ষাট! আমি বেঁচে থাকতে তুমি ঘরের কাজ কেন করতে যাবে! এতো গুলো লোক কি এমনি রেখে দিয়েছি!

— এসি চলছে কিন্তু তুমি, বাতাস করছো কেন?

— (বিড়বিড়িয়ে) এটাকে বাংলায় আলগা পিরিত বলে।

— কী বলছো বিড়বিড় করে?

— আরেঃ না! আসলে ভাবছিলাম...

— কী?

— তুমি ক'টা দিন বাপের বাড়ি ঘুরে এসো...

— কী বলো! এই তো এক সপ্তাহ আগে ফিরলাম সেখান থেকে!

— আরেঃ! তাতে কী আবার যাবে!

— কিন্তু...

— আমি আজ ভোর রাতে একটা খারাপ স্বপ্ন দেখেছি!

— কী দেখেছো?

— শাশুড়ি মায়ের শরীর খুব খারাপ...

— কী সব বলছো?

— ঐ জন্যই বলছি একটু ঘুরে এসো যাও ক'টা দিন!

— হ্যাঁ গো, তাই করি! মনটা আমারো হু হু করছে এবার!

— হ্যাঁ যাও রেডি হয়ে নাও, আমি ড্রাইভারকে বলে দিচ্ছি...

কমলা দেবী রেডি হতে যাওয়ার পর,

— হ্যালো সুরেশ!

— কী হলো! বৌদি রাজি হলো?

— আরেঃ! হ্যাঁ, হ্যাঁ, একেবারে দুর্বল জায়গায় আঘাত করেছি!

— তা কী করলি?

— ও সব বাদ দে। আজ ও বাড়ি নেই, আমাদের রঙিন জলের আসর বসবে হি হি...

— আর জলসা ঘর?

— আরেঃ! সব হবে। তুই সবাইকে ডেকে নিয়ে আসিস!

— আচ্ছা আচ্ছা!

ফোন কেটে দিয়ে...

— বৌটা আমার খুব ভালো আর বোকা সোকা! তাই তো বাগে আনা যায় হি হি...

[সমাপ্ত]
িনলিপি #দিনলিপি

Photos from দিনলিপি - Dinolipi's post 06/06/2024

গ্রীষ্ম মানে প্রখর তাপে এক নিমেষেই ক্লান্তি,
গ্রীষ্ম মানে ডাবের জলের এক টানেই প্রশান্তি।
গ্রীষ্ম মানে ঘন্টি বাজায় ক্রিমবেলের দাদু,
গ্রীষ্ম মানে মনটা বলে, " চেখেই আয় কুলফি মালাই, রঙিন গোলার জাদু!"
গ্রীষ্ম মানে ঘর্মাক্ত পরিশ্রম, পেট চালানোর দায়,
গ্রীষ্ম মানে লস্যি টেনে ক্ষণিক শান্তি পাওয়া যায়।

কলমে: ভূমি
ফটোগ্রাফি: Jeevesh Basak , Arnab Maity, Suranjit Saha
#দিনলিপি িনলিপি

06/06/2024

🌺শুভ ফলহরিণী কালীপুজো🌺

অঙ্কনে: Koushani Mohanta
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

05/06/2024

মানুষ বড্ড বোকা -ওরা নিজের ক্ষতি নিজেই করে। আমরা যাদের যত্ন করে হৃদয়ে রাখি সেই হৃদয়ে সে আঘাত করে। একবার ভাবেও দেখে না, যে হৃদয় আঘাত করেছে সেই হৃদয়ে তারই বসবাস।

ঠিক তেমনি আমাদের একমাত্র বাসস্থান এই পৃথিবী
অথচ প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে এই পৃথিবীর ক্ষতি করছি আমরা নিজেই। নিজেরাই নিজের মৃত্যু ডেকে আনছি। প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় পরিবেশ থেকে গাছপালা ধ্বংস করছি যার ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সাথে নাইট্রাস অক্সাইড বহুগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা পরিবেশ ও প্রাণীকুলের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ। ফলে পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের গাছ ও বিভিন্ন ধরনের প্রাণী। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ৫ই জুন বিশেষ দিনটি মনে করিয়ে দেয় মানবজাতি জেগে ওঠো পরিবেশের যত্ন নেও, আর সুন্দর একটা সবুজ পৃথিবী সৃজন কর। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকো। আমাদের সকলকে এ ব্যাপারে আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত তবেই গড়তে পারবো সবুজ পৃথিবী।নিতে পারব আবার সতেজ নিঃশ্বাস।

|| পরিবেশ দিবস ৫ই জুন ||
কলমে: সুমি
অঙ্কনে: Sharmistha Mukherjee
#দিনলিপি #দিনলিপি_dinolipi

03/06/2024

তুমি যখন লড়াই বাঁধাও, সীমান্ত হয় নগ্ন;
আমার শার্ট এর বুক পকেটে দিন বদলের স্বপ্ন!
কলমে: রণিত
#দিনলিপি #দিনলিপি_dinolipi

01/06/2024

|| পেখমের ছোঁয়া ||
কলমে : অনিরুদ্ধ কর্মকার

একরোখা ছেলে পলাশ; কলেজে কোনোদিন তার মেয়ে বন্ধু ছিল না। এক কথায় বলতে গেলে, পলাশ ছেলেটি একপ্রকার গ্রীষ্মের দুপুরে পিচগলা রাস্তার মতো কঠোর এবং নীরস।

আরেকদিকে আমাদের পেখম বড্ড ছটফটে; ঠিক পাখির ডানার মতোই উড়ে বেড়ায় যেন সে।

পলাশ আর পেখম দুজনেই একটি পত্রিকার কোম্পানিতে চাকরি করে। পলাশ নীরসের মতো যায় আর আসে কিন্তু পেখমের বেশ ভালো লাগে পলাশ'কে। তবে বেচারী মুখ ফুটে বলতে পারে না। তবে কিছুদিন হলো সামাজিক মাধ্যমের সুবাদে দু'জন তথাকথিত সোশ্যাল মিডিয়া ফ্রেন্ডস।

একদিন কালবৈশাখী বৃষ্টি ভিজিয়ে চলেছে এই শহরকে।

— এই পলাশ! তোর কাছে ছাতা আছে? একটু এগিয়ে দিবি প্লিজ? সামনেই আমার পিজি, প্লিজ।

পলাশ আর না করতে পারে না। খুব গম্ভীরভাবে বলে উঠলো,

— বেশ, আয়।

দুজনে এক ছাতার তলায়; আবারও বৃষ্টি পড়ছে। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দুজনের কিছু বাক্যালাপ হলো। তারপর পিজি চলে এলো, মৃদু হেসে দুজনেই বিদায় জানালো। আচ্ছা... বৃষ্টিতে কি প্রেমের কেমিক্যাল মেশানো থাকে? তা জানা নেই, তবে বাড়ি ফিরে হোয়াটসঅ্যাপে একটা টেক্সট, " রিচড সেফলি?"

পলাশ'ও উত্তর দিল, " হুম..."

এই একি! পলাশের রুক্ষ পিচগলা রাস্তাটা কেমন যেন বৃষ্টির জলে ভিজে যাচ্ছে! আস্তে আস্তে সামাজিক মাধ্যমের সুবাদে কথা বলতে বলতে যেন পলাশ'ও পিচগলা গ্রীষ্মের রাস্তা থেকে স্যাঁতসেঁতে বৃষ্টিতে ভিজে থাকা কাদামাটির গ্রামের রাস্তা হয়ে যাচ্ছে। সবই পেখমের ছোঁয়ায়! পলাশের মা-বাবা'ও লক্ষ্য করেছে এই দিন, ছেলের মুখে একটা প্রাথমিক হাসির রেখা যেন স্পষ্ট। একদিন মা-বাবা'র সাথে বসে আছে পলাশ, হঠাৎ ফেসবুকে একটা নোটিফিকেশন এলো, " পেখম সেন লাইকড ইওর পোস্ট।" সাথে সাথে মৃদু একটা হাসি হাসলো পলাশ।

পলাশের মা জিজ্ঞাসা করলো,

— কি রে, ফেসবুকে তোর পোস্টে লাভ রিঅ্যাক্ট দেওয়া মেয়েটা কে রে?

পলাশের বাবা চমকে বললো,

— অ্যাঁ! পাথরেও ফুল ফুটলো বুঝি!

— ধুর, তুমি অমন কেন বলো গো আমাদের ছেলেটাকে?

— আরে থামো তো, এই বাবু, বল বল মেয়েটা কে?

পলাশ লজ্জায় চুপচাপ বসে রইলো। পলাশের বাবা-মা অমনি, " বল, বল ", করে পলাশ'কে কাতুকুতু দিতে থাকলো। পলাশ হাসতে হাসতে বলে উঠলো,

— ছাড়ো, মেয়েটার ডিপি দেখে বলো আমার পছন্দটা কেমন?

[সমাপ্ত]
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

31/05/2024

𝐏𝐎𝐕: বারবার ভালোবাসি বলার দরকার নেই এমন চোখের চাহনি যথেষ্ট বলে দেয় ✨♥️
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

31/05/2024

•কলমে: শ্রেয়া সেন
•পেনগ্রাফি: Deep Sarkar
#দিনলিপি #দিনলিপি_dinolipi

30/05/2024

১) বাঁধন

বিয়ের এত বছর পর রঞ্জিনী'র হঠাৎ বিয়ের রাতের কথা মনে পড়লো। মনে পড়লো তার বাবা অভীকের বাবার হাত ধরে বলছেন,

—মিত্র মশাই মাতৃ-হারা আমার মেয়েটাকে আপনার হাতে তুলে দিলাম। একটু মানিয়ে গুছিয়ে নেবেন।

—নিশ্চিন্তে থাকুন সান্যাল মশাই,আপনার মেয়ে তো আমারও মেয়ে।

সত্যি রঞ্জিনী এই বাড়ি এসে একদিনের জন্য বৌমা হিসাবে নয় মর্যাদা পেয়েছিল মেয়ে হিসাবেই। শশুর-শাশুড়িমা তাকে মেয়ের মতোই আগলে রেখে ছিলেন।

— কী ভাবছো?

অভীকের প্রশ্নে সম্বিৎ ফিরে পায়,

— কই কিছু না তো! তুমি কখন এলে?

— অনেকক্ষন। আজ মেয়ের বিয়ের কার্ড ছাপতে দিয়ে এলাম। কাল রবিবার, তিনজনে বেরোবো সোনার দোকানে যাওয়ার আছে।

— হ্যাঁ গো, পারবে তো আমাদের মেয়ে ঐ বাড়ি গিয়ে সবাইকে মানিয়ে নিতে?

—তুমি পারোনি?

পারিবারিক বন্ধন মানেটা আসলে কী তা আজ রঞ্জিনী ভালো ভাবেই জানে। সে জানে পরিবারের কাছ থেকে যতটাই দূরে পালাও না কেন, দড়ির বাঁধন কাটিয়ে বেশি দূর যাওয়া যায়না না! আজ সত্যি সে পরিবারকে একসুতোয় বাঁধতে পেরেছে কিনা তা নিয়ে আর যেই যা ভাবুক না কেন, সে অন্তত জানে যে হ্যাঁ সে পেরেছে। দুপুরে শুয়ে রঞ্জিনী মনে করতে চেষ্টা করলো বাবার সেই কথাগুলো,

— হ্যাঁ রে মা, পারবি তো মানিয়ে নিতে? যেভাবে আল্লাদে আদরে বড়ো হয়েছিস,পারবি তো সেখানে মানিয়ে নিতে?

—পারবো বাবা।

২) দায়িত্ব

— কিগো ওঠো, ন'টা বাজে বেরোবো তো।

— হ্যাঁ? ন'টা? সবে?

— সবে? আর কি সবে ভোর হলো, আপনি নিদ্রামগ্ন থাকুন গৃহিনী, আমি চললাম।

— দরজাটা দিয়ে যেও। বলছি মা কোই গো?

— যা করে তাই করছে, তুমি তো আদরের মেয়ে আমি এখন পর, তোমার জন্য চা বানাচ্ছে দেখলাম।

— হিংসা হয় বুঝি?

— তা হয় বৈকি। ঠিক আছে চললাম।

বিয়ের প্রায় তিন মাস পূর্ণ হতে চললো কিন্তু রঞ্জিনী শত চেষ্টা করেও ভোর বেলা উঠতেই পারে না। প্রতিদিনই অভীক ডেকে তোলে।

— কিরে উঠিসনি? ওঠ বেলা হলো।

— মা তোমার ছেলে আমাকে হিংসা করে, বলে আমি নাকি ওর ভালোবাসায় ভাগ বসিয়েছি।

— ওর কথা বাদ দে। তবে তোকে একটা কথা বলি, জানিস আমিও যখন নতুন বৌ এসেছিলাম তখন কিন্তু এত ভরা সংসার ছিল না। প্রথম দিন থেকেই হেঁসেল সামলানো, বাড়ি-ঘর পরিষ্কার, সময়ে তোর বাবার রান্না— সবই করেছিলাম। তারপরে বাবু এলো, নতুন দায়িত্ব। তোর বাবা কিন্তু আমাকে সব সময় আগলে রেখেছিল।

— মা, আমি কবে শিখবো তোমার কাছে? তুমি তো কিছু করতেই দাওনা।

— পাগলী, করবি ক্ষণ, সময় হোক। এসব তুইও একদিন শিখে যাবি। সারা জীবন কি আমি, তোর বাবা থাকবো? নে ওঠ বেলা হলো।

কয়েক বছরের মধ্যেই ধীরে ধীরে সব কিছুই রপ্ত করে নেয় রঞ্জিনী। অভীক দেখে আর অবাক হয়। মায়ের মৃত্যুর কয়েক মাসের মধ্যেই সংসারের সমস্ত ভার সে একাই কাঁধে করে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। আর মেয়ে হবার পর মেয়ের প্রতি তার স্নেহ যেন বাঁধন ছাড়া স্রোতিসিনী নদীর মতো হয়ে পর। সে যেন মেয়ের মধ্যেই নিজের ছায়া দেখতে পায়। মেয়ে যত বড়ো হতে থাকে ততই মেয়েও যেন মায়ের মতোই গোছালো কর্তীর মতো হয়েওঠে।

৩)স্মৃতিরা

রাত পোহালেই মেয়ের বিয়ে; বিছানায় শুয়ে রঞ্জিনী চোখে ভেসে উঠতে লাগলো একুশ বছর কাটিয়ে দেওয়া তার সংসার নামক জীবন-তরীর কথা। বাবার আল্লাদে বড়ো হওয়া মেয়ে আজ ভরা সংসারের প্রধান কর্তী। গত কয়েকবছরে এই সংসারের পালা বদল ঘটেছে। বাবার পরেই যাকে সে নিজের বলে মেনেছে সেই শ্বশুর-শাশুড়ি আজ পরলোকগত। মৃত্যুসজ্জায় শুয়ে সেদিন অভীকের মা রঞ্জিনী'কে বলেছিল,

—মা-রে, সংসার লক্ষ্মী। আজ এই লক্ষ্মী'কে তোর হাতে দিয়ে গেলাম, দেখিস।

সেই থেকেই যেন রঞ্জিনী আরও পরিণত হয়েছিল।আঁচলের খুঁটে বেঁধে সংসার এত দিন ঠিক পার করে নিয়ে এলো।
[সমাপ্ত]

কলমে: অভিষেক সিনহা
অঙ্কনে: সুশোভন ব্যানার্জি
#দিনলিপি #দিনলিপি_dinolipi

29/05/2024

• গান: যা রে উড়ে যা রে পাখি
• কন্ঠ: Sanjana Nayek
িনলিপি #দিনলিপি

28/05/2024

বাবুমশাই, বাঁচার একখান কারণ।আমারে দিতে পারেন?
কলমে: সৃ জ নী
পোস্টার এডিট: Subhojit Basu
#দিনলিপি #দিনলিপি_dinolipi

Photos from দিনলিপি - Dinolipi's post 28/05/2024

রেমালের দাপট

গত ২৬ তারিখ মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' ভারত-বাংলাদেশ উপকূলে প্রবল শক্তি সঞ্চার করে আছড়ে পড়ে। সাথে নিয়ে এসেছিল প্রবল ঝোড়ো হাওয়া ও ১৫৩ মি.মি-র ভারী বর্ষণ। ঘূর্ণিঝড়টির ল্যান্ডফল হয় রবিবার মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ থেকে বাংলাদেশের খেপুপাড়া-র মাঝে। যার ফলে সুন্দরবন উপকূল অঞ্চলে প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা গেছে। বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার যা বেড়ে গিয়ে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়ায়।

তথ্যসূত্র: Wikipedia
ফটোগ্রাফি: Arindam , Jeevesh, Debanjan, Kiyaan, Rohit Sengupta, Suranjit Saha,
#দিনলিপি িনলিপি

27/05/2024

|| নিরব আত্মত্যাগ ||
কলমে: ময়না শেঠ
পোস্টার: Bhottobabur page - ভট্টবাবুর Page

আকাশে ঘন কালো মেঘের ঘনঘটা। শান্ত পরিবেশ তারই মাঝে ঝড়ের পূর্বাভাস...

— শুনুন! শুনুন! আজ থেকে আগামী দুদিন সবাই যে যার বাড়ি ভিতর থাকার চেষ্টা করবেন। আবহাওয়া সূত্রে খবর ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' আসছে। যাদের মাটির বাড়ি তারা যেন সরকার থেকে ব্যবস্থা করা টেন্টে থাকে। এই দুদিন কেউ সমুদ্রের ধারে কাছে যেন না যায়। সাবধান!!!

মাইক্রো ফোনে সাবধান বানী জারি করে চলে যায় সরকারি লোক। যে যার ঘরে ঢুকে যায় সবাই। প্রচন্ড কালো মেঘে চারিদিক ছেয়ে যায়। শুরু হয় হালকা হালকা ঝোড়ো হাওয়া। গোছালো চারিদিক আসতে আসতে লন্ডভন্ড হতে শুরু করে।

খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা দুটো তাল গাছ যারা আপন মনে হালকা বাতাসে দুলছিল। তারাও কালো মেঘ দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করতে থাকে।

— এ ভাই আকাশের কি অবস্থারে?

— সেই তো দেখছি। ওই মানুষে বাচ্চাটা তো বলে গেল কি যেন একটা ঝড় আসছে রেমাল না রুমাল।

— এতোদিন সূর্য্য মামার ঝলসানোর অত্যাচার সহ্য করছিলাম আবার ঘূর্ণিঝড় ও এসে হাজির! বলছি এরা কি শান্তি তে একটু থাকতেও দেবে না নাকি।

— কি যে বলি! যতো দোষ এই মানুষ গুলোর।

ওদের কথার মাঝে ঝোড়ো বাতাস টা আসতে আসতে দমকা হাওয়ায় রুপান্তরিত হয়। যে যেখানে পারে দৌড়ে ঘর ঢুকে। এমনকি আকাশে উড়তে থাকা পাখিরাও।

ওই দুটো তাল গাছের মধ্যে একটা তাল গাছের মাথায় এক দম্পতি পাখি বাসা বেঁধে ছিল নিজেদের বাচ্চা নিয়ে। এমন ঝোড়ো হাওয়া দেখে তারাও ভীত হয়ে পড়ে।

— কি গো এই ঝড়ের দাপটে তো আমাদের বাসা উড়ে যাবে। আমাদের বাচ্চা গুলোর কি হবে! ও গো তুমি কিছু করো।

— দাঁড়াও আমি দেখছি। তুমি একটু বাচ্চাগুলো কে নিয়ে অপেক্ষা করো। আমি দেখে আসছি কোথাও নিরাপদ স্থান পাই কি না।

— তুমি কিন্ত সাবধানে যেও।
পুরুষ পাখিটা চলে যেতেই তাল গাছটা পাখিটা কে বলে...

— বলি ও পাখি বৌ.. তোমার বাচ্চা গুলো সামলে রেখো। দেখতে তো পাচ্ছো ঘূর্ণিঝড় আসছে।

— তাল গাছ ভাই একটু কম দোলো। বাচ্চা গুলোর ক্ষতি হবে।

— আমি কি আর চাই তোমাদের ক্ষতি। দেখতে তো পাচ্ছো এই পাজি হাওয়ার কান্ড।

— ও এখুনি চলে আসবে।
অন্য গাছটা..

— এই ঝড়টা আরও বাড়ল বলে। ভাই! ঝড়ের চোটে বেশি হেলে যাস না! কোমরে টান ধরে যাবে।

— আরে না না পাখি বৌ বর আর বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখতে একটু কম দুলতে হবে। তুইও শক্ত করে মাটি কামড়ে দাঁড়িয়ে থাক।

তখনই পুরুষ পাখিটা উড়ে আসে

— কি গো! ভালো কোনো শেল্টার খুঁজে পেলে?

— মাঠের পাশের বাড়ির কার্ণিশে একটা ভালো জায়গায় সন্ধান পেয়েছি। বাচ্চা গুলোকে নিয়ে চলো।

— হ্যাঁ চলো। বলি ও তালগাছ ভাই ধন্যবাদ তোমায়। আমি নতুন বাসায় যাচ্ছি। তোমরা সাবধানে থেকো।

— হ্যাঁ গো পাখি বৌ তুমি যাও তোমার বাচ্চাদের নিয়ে। ওদের রক্ষা করো।

পাখি বৌ বর তাদের বাচ্চাদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে পৌঁছায়। এইদিকে রেমাল আছড়ে পড়ে। ফলে সেই তাল গাছ দুটো দুলতে দুলতে একসময় মটকে পড়ে দুজনের গায়ে তে।।

|| সমাপ্ত ||
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

27/05/2024

বুক পকেটে লাল গোলাপ, গায়েতে কোট সাদা ;
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধান মন্ত্রী, মানবতাবাদীর নেতা।
তিনি চেয়েছিলেন সর্গের মতো স্বাধীনতা আসুক;
যেখানে আদর্শবাদ হিংসাকে যাবে ছাপিয়ে ।
সাহসী নেতৃত্বে লড়াইয়ের ফলে;
ব্রিটিশরা পরলে পিছিয়ে।
গান্ধীজির সঙ্গী তিনি, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতীক ;
তাঁর হাত ধরেই ভারতে আসে, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নয়া দিক।
শিশুদের সেই প্রিয় 'চাচাজী'র প্রয়ান দিবস আজ,
শ্রদ্ধেয় তিনি আমাদের মাঝে; অমর তাঁর কাজ।।
কলমে: স্বাগতা ঘোষ
অঙ্কনে: Sayandeep Chowley
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

26/05/2024

𝐀𝐫𝐭 𝐁𝐲: Khushi Somani
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

25/05/2024

_ ও মা... রোমাল আসছে রবিবার
_ দড়িতে ক্লিপ লাগিয়ে আসিস যেন রোমাল টা উড়ে না যাক।
রবিবার রাতে দুই বাংলায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল stay safe and stay prepared.
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

25/05/2024

|| স্নেহের রূপায়ণ ||
কলমে: মৌমি সাহা
ফটোগ্রাফি: তি থি

পিয়ালীর বিয়ে হয়েছে মাত্র এক দু সপ্তাহ হয়েছে। নিজের পরিবার ছেড়ে আপন করে নিচ্ছে ক্রমশ এই পরিবারকে। তার শাশুড়ি কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করছে পিয়ালি কয়েকটা জামা কাপড় উল্টে পাল্টে রোজ পড়ছে। সেই ব্যাপারে তার ছেলের কাছে জানতে চাওয়ায় ছেলে বলল...

— পিয়ালী তার জামা কাপড়ের ব্যাগটাই আনতে ভুলে গেছে। ওর দাদা পরশু এসে দিয়ে যাবে। তুমি তো জানোই ওর বাড়ি কোন প্রত্যন্ত গ্রামে, সেইখান থেকে আসতেও সময় লাগছে।

—তাই বলে মেয়েটা এমন কাপড় জামা পরে থাকবে? তুই কয়েকটা কুর্তি কিনে দিতে পারলি না?

— অনেকবার বলেছি চল আমার সাথে শপিংএ। রাজি হয়নি...

— বটে! রাজি হয়নি দেখছি...

ছেলের সাথে কথা বলে শাশুড়ি গেল বৌমা পিয়ালীর কাছে...

— বৌমা! ও বৌমা!

—হ্যাঁ মা। বলুন...

— রেডি হও, এক্ষুনি বেড়াতে হবে আমার সাথে।

— কোথায় যাব মা?

— সেটা আমাকে এখন তোমার কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে?

— না না মা, আমি সেটা বলছি না। আমি তৈরি হয়ে নিচ্ছি। একটু সময় দিন...

— শোনো, আমার বিছানায় একটা শাড়ি আর কিছু গয়না রেখে এসেছি ঐগুলো পড়ে তৈরি হয়ে নাও।

— ঠিকাছে মা।

কিছুক্ষণের মধ্যেই পিয়ালী একদম নতুন বউটি সেজে শাশুরির সামনে মাথায় ঘোমটা দিয়ে দাঁড়ায়।

রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে শাশুড়ি লক্ষ্য করে পিয়ালী মাথায় ঘোমটা দিয়ে সামলাতে পারছে না আর সেই সাথে আনকমফোর্টেবল।

— বৌমা! শোনো কাছে এসো।

— কেন মা?

— তুমি তো দেখছি বেশি কথা বলো! কথায় কথায় প্রশ্ন করো কেন এত?

— আর করবো না মা।

পিয়ালী কাছে আসতেই শাশুড়ি তার মাথার ঘোমটা টা সরিয়ে দেয়। আর বলে...

— শোনো মেয়ে... আমি তোমাকে ঘোমটা দিতে বলছি ও না, বারন ও করছি না। কিন্তু যেটাতে তোমার অসুবিধা হয় সেই কাজ করার দরকার নেই বাপু। বুঝলে?

— হ্যাঁ বুঝলাম।

— বেশ। নিজে আগে যেমন ছিলে এমনই থাকো, বেশি কায়দা করতে গিয়ে এরপর নিজেই অসুবিধায় পড়বে।

— ঠিকাছে মা।

— বাড়িতে সারাদিন শাড়ি পরেও থাকতে হবে না। অস্বস্তি হয় আমার তোমার সারাদিন শাড়ি পরা দেখলে।

— তাহলে কি পড়বো মা?

— বাড়িতে যা পড়ে আসতে তাই পড়বে?

— অ্যা!

— এমন ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে কি দেখছো? রিক্সা এসে গেছে ওঠো। শপিং এ যাবো তোমাকে নিয়ে।

শাশুরির কথা শুনে পিয়ালীর চোখে জল আসে ক্রমশ। রিক্সায় উঠে পড়ে... সে মনে মনে ভাবে... জীবন কঠিন পথ বেয়ে আনে তবে সুন্দরের জন্যই।
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি #কলমে

24/05/2024

শুকনো পাতার নূপুর পায়ে
• Lyrics & Composer: Kazi Nazrul Islam
• Cover by: Rik Mukherjee
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের পরিবারের নিবেদন❤️🙏🏼
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

23/05/2024

নমঃ বুদ্ধায়
কলমে: পূবালী চট্টোপাধ্যায়
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

Photos from দিনলিপি - Dinolipi's post 22/05/2024

ব্যস্ততার আঁকিবুঁকি সময় পেলেই দিনলিপি...

১১ই মে, ২০২৪, ছিল ইলশেগুঁড়ি পরিবার আয়োজিত রামধনু ২.০ অনুষ্ঠান এর অন্যতম আকর্ষণ ছিল সেরার সেরা পেজ পরিবার কনটেস্ট। সেরার সেরা পেজ পরিবার হয়েছে আমাদের দিনলিপি - Dinolipi

ধন্যবাদ জানায়, ফেসবুক পেজ পরিবার ইলশেগুঁড়ি'কে আমাদের প্রতিভা সকল দর্শকের সামনে তুলে ধরার সুযোগ দেওয়ার জন্য সর্বোপরি, আমাদের আজকের এই সাফল্য অর্জনের সুযোগ দেওয়ার জন্য।

#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

22/05/2024

ভারতের নবজাগরণের পথিকৃত, ব্রহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং সমাজ সংস্কারক বাঙালি দার্শনিক রাজা রামমোহন রায়ের শুভ জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
কলমে: অভিষেক সিনহা
কন্ঠে: অর্জুন সেনগুপ্ত ও সৌরদীপ দত্ত
ভিডিও এডিটিং: রোহান রয়
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

21/05/2024

|| বিষন্ন এক মনের কথা ||
কলমে : সুমি
ছবি : SKETCHman

মায়া মা-বাবার একমাত্র মেয়ে। খুব ছোটবেলা মা-বাবাকে হারিয়েছে মায়া। মায়া নামটা ওর বাবার দেওয়া। মায়া এখন মামার বাড়িতে থাকে। বাপ-মা মরা মেয়েটাকে আগলে রাখতে চায় মামা। কিন্তু মামী'র এ বিষয়টা বেশি পছন্দ না। মামী সারাদিন ওকে দিয়ে এটা ওটা কাজ করায়। বয়সে ছোট হলেও নিরুপায় হয়ে মেয়েটা বাড়ির বেশ কিছু কাজ করে।

সেদিন সন্ধ্যায় মায়া'র মামা বললেন কাল মায়া'কে স্কুলে ভর্তি করব। এ কথা শুনে মায়া মহা খুশি।
কিন্তু মামী মনে মনে বলছে, " ঢং কত খাবার মুরদ নেই তার উপর আবার লেখাপড়া!" কিন্তু মামা'র সামনে মামী কিছু বলতেও পারছে না।

পরের দিন, মায়া, তনয় আর তমা'কে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে মামা। তনয়, তমা মামাতো ভাই-বোন। ওরা মায়া'কে বেশ পছন্দ করে।

সেদিন স্কুল থেকে ফিরে আসার পর মামী মায়া'কে বললেন,

— স্কুলে ভর্তি হয়েছিস ভালো কথা, লেখাপড়া করলে কর না করলে না কর, কাজ যেন ঠিকঠাক হয়।

এমন ককর্শ কথা শুনেও মায়া আজ খুব খুশি কারণ সে স্কুলে ভর্তি হয়েছে। মায়া খেলাধুলা করতে পছন্দ করে কিন্তু দুঃখের বিষয় ও খেলার সময় পায়না। ওর সারাবেলা কাজ করতে হয়। আর পড়ন্ত বেলায় যখন ফাঁক পায় তখন পড়তে বসে।

আজ মায়া'র মন খারাপ ভীষণ! কান্না পাচ্ছে তার। বইটা হাতে নেওয়ার পর চোখ থেকে টুপটুপ করে জল পড়ছে। সে বই রেখে জানালার পাশে এসে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আর কাঁদো কাঁদো হয়ে বলছে,

— মা বাবা কোথায় গেলে আমাকে একা করে। তোমাদের ছাড়া আমার যে বড্ড কষ্ট হয়। তোমাদের দেখতে আমার খুব ইচ্ছা করে... আর জানো রাতে একা ঘুমাতে আমার ভয় লাগে তাই চোখ বন্ধ করে ভাবি তোমরা আমার পাশে আছো তারপর হঠাৎ করেই ঘুমিয়ে পড়ি।

একটু থেমে মায়া আবার বলতে লাগলো,

— জানো মা মামী আমাকে বেশি পছন্দ করে না। তবে তনয়, তমা, মামা আমাকে বেশ ভালোবাসে। জানো বাবা, আমি এখন স্কুলে যাই। আমার খুব ভালো লাগে। দেখো আমি একদিন অনেক বড় হব সবাই আমাকে খুব ভালবাসবে ।

দুই হাত দিয়ে মায়া চোখের জল মুছে আর একাই বলতে থাকে,

— আমার ভাগ্যটাই এত খারাপ কেন? তনয়, তমা, পাশের বাড়ির ঝুমা, রিমন— সবার মা-বাবা আছে। ওদের মা-বাবা ওদের কত আদর করে। তোমরা কেন আমায় ছেড়ে গেলে? কী দোষ আমার? তোমরা কেন আকাশে চলে গেলে?

হুহু করে মেয়েটা কাঁদতে থাকে। ওর মিষ্টি মুখটা আজ বিষন্নতায় ভরে গেছে; সাথে সাথে যেন প্রকৃতিও বিষন্ন হয়ে পড়েছে, পাখিরা বাড়ি যাওয়ার জন্যে তাড়াহুড়ো করছে। নিষ্পাপ মায়া পাখিদের দিকে চেয়ে প্রশ্ন করলো,

— পাখিরাও তো বাসায় ফিরে আসে আকাশ থেকে উড়ে, তবে তোমরা কেন আসো না আমার কাছে ফিরে?

[সমাপ্ত]
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

20/05/2024

সূচনার ভিড়ে নাইবা হলো দেখা,
তবু থামিও না তোমার ওই উপন‍্যাসের লেখা।
আসবো একদিন এতুটুকুই কথা দেবো;
তোমার উপন‍্যাসের শেষ অধ‍্যায় টুকু হবো।
কলমে: স্বাগতা
পেনোগ্রাফি: সায়ন্ন্যা বিশ্বাস
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

Photos from দিনলিপি - Dinolipi's post 20/05/2024

#নামলিপি (Last Part)
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

Photos from দিনলিপি - Dinolipi's post 19/05/2024

#নামলিপি (Part2)
যারা যারা এইরকম নিজের নামের নামলিপি পেতে চান তারা ঝটপট কমেন্টে নিজেদের নাম লিখুন। 😍❤️
অথবা দিনলিপি - Dinolipi পেজে নিজের নাম বাংলায় লিখে পাঠান ❤️
কমেন্ট করার শেষ সময়সীমা: 19/05/2024 (6pm)
#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি

Want your establishment to be the top-listed Arts & Entertainment in KOLKATA?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

𝙏𝙝𝙚 𝘽𝙞𝙜𝙜𝙚𝙨𝙩 𝙍𝙞𝙫𝙖𝙡𝙧𝙮 𝙤𝙛 𝘾𝙧𝙞𝙘𝙠𝙚𝙩 𝙝𝙞𝙨𝙩𝙤𝙧𝙮  IND 🇮🇳vs PAK🇵🇰 🔥...Video edit: Rohan Rivu ..... #দিনলিপি_dinoilipi #dinolipi #দি...
Song: বন্ধু তিনদিনCover By: Sneha Dhibar ..... #দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি #dinolipi #bondhutindin #বন্ধু_তিন_দিন #folkmu...
𝐏𝐎𝐕: বারবার ভালোবাসি বলার দরকার নেই এমন চোখের চাহনি যথেষ্ট বলে দেয় ✨♥️.....#দিনলিপি_dinolipi #dinolipi #দিনলিপি #olirko...
• গান:  যা রে উড়ে যা রে পাখি • কন্ঠ: Sanjana Nayek. .....#dinolipi_দিনলিপি #দিনলিপি #dinolipi #song
শুকনো পাতার নূপুর পায়ে• Lyrics & Composer: Kazi Nazrul Islam• Cover by: Rik Mukherjee.বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন...
ভারতের নবজাগরণের পথিকৃত, ব্রহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং সমাজ সংস্কারক বাঙালি দার্শনিক রাজা রামমোহন রায়ের শুভ জন্মদিনে শ্র...
অরবিন্দু?জ্বীজীবন কি?..• কন্ঠে:  ইন্দ্রাণী দে & কুন্তল মন্ডল• কলমে: সানোয়ার হোসেন.... #দিনলিপি_dinolipi #dinolipi #দিনল...
অ্যাডজাস্টমেন্ট মানে সুন্দর করে বাঁচা✨🌸......#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি #dinolipi #praktonmovie #moviebestscene #statusv...
• কবিতা: দূত প্রণাম • কলমে: রমজান আলী • কণ্ঠে: Swati Sengupta • পোস্টার এডিট: Milan Nandi ....#দিনলিপি_dinolipi #দিনলিপি...
Prem amar || প্রেম আমার || Sad Version || Somjit Ghosh
মিষ্টি 🥹❤️.ফ্রেমে: Sathi Karmakar আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস উপলক্ষ্যে পৃথিবীর সকল মা-কে অন্তরের শতকোটি প্রণাম ও গভীর শ্রদ্ধা...
𝐅𝐞𝐞𝐥 𝐭𝐡𝐢𝐬 𝐖𝐞𝐚𝐭𝐡𝐞𝐫 𝐰𝐢𝐭𝐡 𝐭𝐡𝐢𝐬 𝐒𝐨𝐧𝐠.! 🌺🥹Videography By: Arnab ....#rainydays #videography

Telephone

Website

Address


Kolkata
700118

Other Arts & Entertainment in Kolkata (show all)
KalpaJhuri Production KalpaJhuri Production
Kolkata, 700099

we try to focus light to those real life stories which are still untold, the book which is unfolded

Arts & Etceteras Arts & Etceteras
Kolkata

We will entertain you Artistically by Photography and making of Short films,Dance cover videos,Music

Nonte Fonte Bangla Memes Nonte Fonte Bangla Memes
Kolkata, 700036

মগজাস্ত্র মগজাস্ত্র
Kolkata

This is a page to show your talent. The talent about your art and culture. you can express your talent on painting, song, photography, crafting, dance, writing (poem or story) etc....

P UPDATEd P UPDATEd
Kolkata

Dil Se View Dil Se View
Kolkata

�ARTIST Artist | Dancer | Hip-Hop | lockin-poppin “Work hard in silence… let your success make the noise

Status maker 2.0 Status maker 2.0
Kolkata, 700044

----> Like follow & share 🙏🙏

Art and Drawing Milton Danda Art and Drawing Milton Danda
Kolkata, 743127

this page only art and drawing,full drawing tutorial.water colour painting,oil pastel,pencil sketch,craft.please follow this page.

Rudra'S ZX9 Rudra'S ZX9
Kolkata, 700074

officeal rudra

Aj Motion Ventures Aj Motion Ventures
Rania Uddayan Pally, P. O/Boral, P. S/Narendra Pur
Kolkata, 700154

Entertainmentwith movie Entertainmentwith movie
Kolkata, 700011

here you found best movies

Aakor - আকর Aakor - আকর
Prince Anwar Shar Road
Kolkata, 700045

আকর - শিকড় থেকে শিখরে