রং তুলি - Rong tuli
Nearby media companies
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
Habra, KOLKATA
Calcutta Bara Bazar
Hat Naogaon 6570
Sahittayparisad, KOLKATA
Tollygunj, KOLKATA
jahirsekh8617@gmail. com, KOLKATA
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
Kolkata, KOLKATA
KOLKATA 700011
kolkata, KOLKATA
নিয়মিত Love story গল্প পেতে পেইজটি ফলো করুন।
প্রতিদিন নতুন গল্পে আপনাদের মন আবার ভরিয়ে দেবো।
https://yt.openinapp.co/crsxb
👆 এই লিংকে আমাদের শর্ট ফিল্ম আছে, লাইক কমেন্ট ও subscribe করে পাশে থাকবেন ।
Sushruta films entertainment
চ্যানেলে
খুব নতুন দের দিয়ে কাজ ,পাশে থাকুন ভালো কিছু চেষ্টা করব।
সবজি কিনতে কিনতেই পলাশকে জিজ্ঞেস করলাম, "ভালোবেসেই বিয়ে করেছো নিশ্চয়ই?" পলাশের হাতে তখন দাঁড়িপাল্লা। সবজি গুলো একটা পর একটা ওজন করে আমার ব্যাগে ভরে দিচ্ছিল। আমার কথা শুনে এদিকে প্রিয়াও মুচকি মুচকি হাসছে। প্রিয়া মানে পলাশের বৌ। বুঝতে পারছিলাম ওর হাসিতে একটা সলজ্জ ভাব রয়েছে। রোজ সকালে দুজনেই বেরিয়ে পড়ে। টলি ভ্যানে সবজি সাজিয়ে নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরেই সবজি বিক্রি করে পলাশ, আর পলাশের কাজে হেল্প করে চলে প্রিয়া। সবজি গুলো ওজন করে ব্যাগে ভরে দেওয়ার পর একটু ফুরসত পেয়েই পলাশ জিজ্ঞেস করল,
-কি যেন বলছিলে দাদা?
-বললাম এই যে তোমাদের দুজনের মধ্যে এত ভাব সাব, সব সময় হাসি খুশি থাকো, ভালোবেসেই বিয়ে করেছো নিশ্চয়ই?
পলাশ হেসে বলল,
-ভালোবেসে বিয়ে করিনি দাদা। বিয়ের পর থেকেই ভালোবাসতে শুরু করেছি।
একটু ভেবে নিয়েই যেন বললাম,
-বেশ তো বললে কথাটা।
-হ্যাঁ দাদা, আমরা বিয়ের আগে কেউ কাউকেই চিনতাম না।দেখে শুনেই বিয়ে। বিয়ের আগে তো ভবঘুরে জীবন ছিল আমার। মা নেই,বাবা নেই, কেউই তো নেই আমার। দাদার কাছেই থাকছিলাম। দাদাও একদিন বের করে দিল। বলল, নিজের জীবন নিজে চালা। তারপর আমার জীবনে এল প্রিয়া। ও আসার পর থেকেই জীবনটা বদলে গেলো। এলোমেলো জীবনটা কখন যে সেজে উঠল বুঝতেই পারি নি। এখন আর কোনো চিন্তা নেই। এই যে সবজি বিক্রি করি, প্রিয়াও আমার সাথে সমানে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আমাকে হেল্পও করছে। বিক্রি বাটা শেষ করে দুপুরে বাড়ি ফিরছি। দুজনে মিলেই রান্না করছি। দুজনের কাজ দুজনেই করে নিচ্ছি। এটাই তো ভালোবাসা তাই না?
মনে মনে ভাবলাম প্রকাশ্যে বৌয়ের প্রশংসা করতে পারে ক'জন পুরুষই বা আছে? ভালোবাসা গভীর থাকলেই তবেই এমন কথা বলা যায়। শুনে বললাম,
-ঠিকই বলেছো। ভালোবাসা বলে আলাদা কিছু হয় না। একে অপরের পাশে থাকার নামই তো ভালোবাসা। তোমাদের দেখে ভাবতাম, বিয়ের আগে থেকেই একে অপরকে বোধহয় চিনতে। এত দিন আমি তো তাই ভেবেছি তোমরা প্রেম করেই বোধহয়......।
পুরো কথাটা বলতে না দিয়েই পলাশ বলে উঠল,
-প্রেমও তো করি আমরা। বিকেলে সেরকম কোনো কাজ থাকে না। তাই প্রায় দিনই ওকে নিয়ে ঘুরতে বেরোই।সাইকেলের পিছনে বসিয়ে অনেক দূর চলে যাই। কখনো কখনো সিনেমা দেখতে যাই, কখনো নদীর পাড় ধরে হাঁটি।দশ টাকার ঝাল মুড়ি কিনে দুজনেই খাই। কত গল্প করি।
সত্যিই তো জীবনে ভালো থাকতে গেলে অল্পতেই খুশি থাকা যায়। অনেক টাকা হয়তো লাগে না। মনের মত সঙ্গী থাকলে দশ টাকার ঝালমুড়িও তখন অমৃত লাগে। আমি হেসে বললাম,
-তুমি তো তাহলে প্রেমিক মানুষ পলাশ।
পাশ থেকে পলাশের বৌ প্রিয়া বলে উঠল,
-ঠিক বলেছো দাদা। ও ভালো প্রেমিক। যখন এক সাথে হাঁটি ও আমাকে গান শোনায়। দারুণ গান করে। কিশোর কুমারের গান ওর খুব প্রিয়।
-আরিব্বাশ। তুমি গানও গাও?
পলাশ একটু লজ্জা পেয়ে বলল,
-ছাড়ো তো দাদা। প্রিয়া একটু বেশি বেশিই বলে। ও সবার কাছেই আমার নামে এরকম করেই বলে। আমার লজ্জা লাগে না!
শুনে বললাম,
-ঠিকই তো বলে। তা বৌ'কে কি গান শোনাও পলাশ বাবু ?
প্রিয়া বলে উঠল,
-ওর তো একটাই প্রিয় গান, "পৃথিবী বদলে গেছে যা দেখি নতুন লাগে।"
ওদের এই মিষ্টি প্রেমের উপাখ্যান শুনতে মন্দ লাগছিল না। প্রেমে পড়লে পুরানো পৃথিবীটা কেমন যেন নতুন করে সেজে ওঠে। হাতে আমার সময় কম, তা না'হলে আর একটু কথা বলতে পারতাম। বাজারের ব্যাগটা হাতে নিয়ে টাকাটা মিটিয়ে দিয়ে বললাম,
-এভাবেই প্রিয়াকে গান শোনাতে থেকো, তাতে প্রেমটা চিরকাল থাকবে। মনে যতদিন প্রেম থাকে পৃথিবীটা কখনোই পুরানো হবে না। সব কিছু নতুন নতুন লাগবে। পৃথিবী বদলে যাক, তোমরা কখনোই বদলিও না। এভাবেই একে অপরের সাথে ভালো থেকো।
মাঝে মধ্যে এমন প্রেম কাহিনী শুনলে মনটাই ভালো হয়ে যায়। চারিদিকে যখন দেখি, প্রেমে বিচ্ছেদ, ছাড়াছাড়ি, ডিভোর্স, তখন পলাশ প্রিয়ার প্রেম কাহিনী মনে নতুন প্রেমের সঞ্চার ঘটায়। বিয়ের আগে তো অনেক প্রেম হয়, অনেককেই দেখি বিয়ের পর আর সেই প্রেমটা বজায় রাখতে পারে না।বিয়েতে প্রেম পূর্ণতা পায় কথাটা বোধহয় সব সময় ঠিক নয়, বিয়ে মানে একটা নতুন জীবন, একটা সাদা খাতা আর হাতে একটা কলম, লেখার জন্য রঙ বেরঙের কত ছবি, লিখতে হয় জীবনের উপন্যাস। তবে বিয়ের আগের জীবন আর বিয়ের পরের জীবন, দুটোর মধ্যে অনেক তফাৎ। আবেগের থেকে বাস্তবতা এখানে অনেক বেশি। তাই বিয়েতে প্রেমের পূর্ণতা হয় না,বরং নতুন প্রেমের সূচনা হয়,নতুন জীবনের সূচনা হয়, নতুন ভালোবাসার জন্ম হয়। সারাজীবন ভালোবাসা বেঁচে থাকলে তবেই তার পূর্ণতা, তা নাহলে বিয়ে করেও আজীবন শূন্যতা।
গল্প: প্রেমের কাহিনী
কৃতজ্ঞতা সরজিৎ ঘোষ।
আজ জামাইষষ্ঠী।
সমাজে ভিন্ন ভিন্ন পেশায় বহু জামাই আছেন।
শাশুড়িরা তাদের আপ্যায়ণ নিয়ে ভারী ব্যস্ত হয়ে যান।
কিছু নমুনা বলি।
ডাক্তারের শাশুড়ি--
বাবা একদিন পাঁঠা খাও। তোমার শ্বশুরমশাই ভোরবেলা উঠে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘেমে নেয়ে এককিলো পাঁঠা এনেছেন।
৮৫০ টাকা কিলো।
তোমার শ্বশুরমশাই মাংস কিনে খুব রাগারাগি করেছেন আজ।
পারলে দুটো রুগি মেরে কিছু টাকা ওনাকে দিও।
মাংস পাতে নিয়ে নষ্ট কোরো না বাবা।
রাজ্য সরকারি চাকুরের শাশুড়ি---
বাবা বেশি পেট ভরে গেলে ঘুমিয়ে নাও।
তোমাদের কথা চিন্তা করে অফিসে ছুটি ঘোষণা করা।
ভোটে তোমাদের অনেক খাটুনি হয়েছে।
এখন আর বেশি খেও না।
বদহজম হলে বিরোধী দল মজা পাবে।
বিকেলে দৈ মিষ্টি খেও বরং।
সেন্ট্রাল গভঃ চাকুরির শাশুড়ি - -
বাবা এখন মোটামুটি পাঁচ বছরের জন্য নিশ্চিন্ত।
তবে জোট সরকার হলে সমস্যা।
তোমাদের বড়ো নেতার শ্বশুরবাড়ি নেই বলেই ছুটি দেন না এইদিনে।
অবশ্য রাজ্যেও শ্বশুরালয় নেই তবু তিনি মমতায় মাখা।
ইলিশ আনতে পারেনি তোমার শ্বশুর।
খয়রা মাছ ভাজা করেছি।
তোমার আনা ফলগুলো খেয়ে যেও।
ওমন লিচু আম আমরা খাই না।
পেনশন নেওয়া জামাই--
বাবা আর কতদিন তোমার জন্য ষষ্ঠী করব?
তোমার ছোটো শালা কবে থেকে বেকার, একটু বলে কয়ে কাজের ব্যবস্থা করতে পারতে!
তাছাড়া গতবছর তোমার বাড়িতে ভাইফোঁটা উপলক্ষে কিছুদিন বাবলু গিয়ে থেকে ছিল।
শেষের দিকে ডাল আলু সিদ্ধ করা হতো।
যাইহোক বাবা, এতো আয়োজন করা এখন আর সম্ভব না।
তোমার একাউন্টে টাকার থেকে বাবলুর একটা দোকানের ব্যবস্থা করে দিও।
আপাতত মুড়ি ভিজিয়ে জল রেখেছি এটাই খাও।
দুপুরে চারাপোনার পাতলা ঝোল খাবেখন।
অটো চালকের শাশুড়ি---
খুচরো আলুভাজা আর একটু দিই?
দুই এক টাকার কয়েন দেওয়া বড্ড ঝামেলা।। ভাড়া পুরোপুরি করে দিও।
দশ কুড়ি যাইহোক।
ফল আছে গাছেই।
পারলে গাছে উঠে পেড়ে খেও।
নেতার শাশুড়ি---
জিতে গেছ তো।
এখন চেটে চেটে পরিষ্কার করে খাও।
রসগোল্লা গরম তো!
একসাথে মুখে দিলে কেন?
ধীরে ধীরে খেলে ইডির নজরে পড়বে না বাবা।
বেকারের শাশুড়ি--
-বলেছিলে চাকরি জোগাড় করে নেবে।
অথচ একশো দিনের প্রকল্পেই আছো।
কি খাওয়াই তোমাকে?
ডিম্ভাত খাও আজকে।
আর হ্যাঁ পাড়ার দোকান থেকে খাওয়ার পর আমার জন্য পান এনো।
উপরিআয়ের শাশুড়ি---
টেবিলের তলা থেকে বাটিটা দাও, মাংস দেব।
চিন্তা কোরো না, কেউ টের পাবে না।
শোভনের মতো পরকীয়া করা জামাই এর শাশুড়ি - -বাবা তোমার আক্কেল কি!
তোমার শ্বশুরের একাধিক সম্পর্ক থাকলেও কখনো তা ঘরের ঝামেলা হয়নি।
তাছাড়া তোমার যা চেহারা হয়েছে তাতে ভেজিটেবিল স্যুপ ছাড়া কিছুই দেওয়া উচিত নয়।
খাও ধীরে ধীরে।
ঘরজামাইয়ের শাশুড়ি---
বাবা ধনঞ্জয় শ্বশুরালয়ে আর কতকাল এমনে কাটিবে?
খেয়াল রেখো মালতির মা দুদিনের ছুটি নিয়েছে। জলে ভিজিয়ে রেখো বাসন।
বিকেলে রোদ কমলে বাসন ধুয়ে মুছে তুলে রেখো।
যদি ফিরে পেতাম [ শিক্ষণীয় ]
বিয়ের পাঁচ মাসের মাথায় একদিন বাপের বাড়িতে এসে মাকে বললাম, আমি আর সংসার করব না।আজ থেকে এ বাড়িতেই থাকব।
মা শুনে বলল,-অসুবিধে কি আছে আর! তোর বাবার এত বড় বাড়ি, এমনিই তো পড়ে আছে।
তা এসেছিস যখন সব জিনিস পত্র গুছিয়ে নিয়ে এসেছিস তো?
আমি বললাম,-না। কিছুই তো আনিনি।
-সে কি? এভাবে কেউ খালি হাতে আসে? তা এসেছিস যে, জামাই জানে?
-আমি না বলেই এসেছি।
-জামাইকে বলে আসবি তো! শাশুড়ি মানুষটা খারাপ জানি, জামাই তো ভালো। ওকে না বলে চলে আসাটা ঠিক হয় নি তোর। তুই ফিরে যা। জিনিস পত্র সব গুছিয়ে নিয়ে চলে আয়। সেই সঙ্গে জামাইকেও নিয়ে চলে আয়। শাশুড়িকে জব্দ করতে হলে ছেলেকে ঘরে রেখে এলে হবে না। বর ভালো হলে ঘর ছাড়লেও বরকে কখনো ছাড়তে নেই। ঘর বর দুটোই ছেড়ে দিলে মেয়েদের জীবন থেকে তো সংসারটাই চলে যাওয়া। জামাই তোর কথা ফেলতে পারবে না। বরং জামাইকে নিয়েই তুই এ বাড়িতে থাক।
মায়ের কথা শুনে তো আমি অবাক। মা কখনোই এই সুরে কথা বলেনি। হঠাৎ এই ভাবে কথা বলাতে মা'কে বললাম,-তুমি বলছ এ সব? আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না! এত দিন পর তুমি আমার দুঃখটা বুঝতে পারলে মা।
-যতই হোক, তুই আমাদের একমাত্র মেয়ে।শাশুড়ির অত্যাচার কত আর সহ্য করবি বল তো?তোর বাবাও চায় তুই এই বাড়িতে এসে থাক। এক কাজ কর জামাইকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে নিয়ে চলে আয়। তবেই তোর শাশুড়ি জব্দ হবে।
-ঠিক বলেছো। কিন্তু তোমার জামাই মনে হয় রাজী হবে না।
-সব হবে। কায়দা করে বলবি, দেখবি বরফ গলে জল হয়ে গেছে।
মায়ের কথা শুনে আমি সেদিনই শ্বশুরবাড়িতে ফিরে গেলাম। বুঝলাম মা যে বুদ্ধিটা দিয়েছে ওটাই প্রয়োগ করতে হবে। জীবনে কি চেয়েছিলাম আর কি হয়ে গেল সেটাই তখন ভাবছিলাম। আমার বিয়ের জন্য যখন দেখাশোনা শুরু করল আমার বাবা, আমি তখন মা'কে বলেছিলাম,-আমি বিয়ে করব না মা, ব্যাচেলর থাকব।
আমার এমন কথা শুনে মা তো হেসে লুটোপুটি।বাবাকে ডেকে বলল,-তোমার গুণধরী মেয়ের কথা শোনো। বলে কি ব্যাচেলর থাকবে? আরে পাগলী মেয়ে, মেয়েরা কখনো ব্যাচেলর থাকে না। ছেলেরা বিয়ে না করলে তাদের ব্যাচেলর বলে।
এদিকে বাবাও হাসছে। বুঝলাম ব্যাচেলর শব্দটা মেয়েদের জন্য নয়। মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,
-মেয়েরা বিয়ে না করলে তাদের কি বলে?
মা বলল,-অত জানি না। মেয়েদের একটা সংসার দরকার হয়। মেয়েদের বিয়ে দিতে হয়।
বাবা বুঝিয়ে বলল,-শোন মা, বড় হয়েছিস। এবার তো বিয়ের কথা ভাবতে হবে। তোর নিজের একটা সংসার হবে। তোর নিজের একটা ঘর হবে।
বাবাকে বললাম,-নিজের ঘর তো এটাই। বিয়ের পর কি ওখানে নিজের মত করে থাকতে পারব?
-মেয়েরা সব পারে মা। পরকে আপন করার ক্ষমতা আছে মেয়েদের।
-যদি না পারি, আমার মনের মত না হলে আমি কিন্তু চলে আসব আবার। তখন আমাকে জোর করে পাঠাতে পারবে না।
বাবা শুনে বলেছিল,-বেশ। তোর জন্য এই বাড়ির দরজা মুক্ত রইল।
বাবা মায়ের কথা শুনে বুঝেছিলাম, মেয়ে বড় হলে তার বিয়ে দিয়ে হয়, তার একটা সংসার করে দিতে হয়। আমার ইচ্ছে ছিল না বিয়ে করে সংসারী হতে।নিজের বাড়ি ছেড়ে দিয়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে থাকা, অন্যের বাবা মাকে বাবা মা বলে ডাকা, কেমন যেন একটা বাধ্য জীবন। আমি এমনিতেই বাবা মায়ের আদুরে মেয়ে। তার ওপর স্বাধীন ভাবে থাকতে ভালোবাসি। আমার ওপর কেউ নজরদারি করবে, কারো হুকুমে চলতে হবে এটা ভাবলেই যেন কেমন লাগত। তার পরেও আমার কপালে বিয়েটা লেখা ছিল। তা নাহলে বিয়েটা হয়? অথচ বিয়ের আগে মা বাবাকে আমি বুঝিয়েও পারিনি।অত গুলো দিন পরেও মা বাবা যে আমার সমস্যা বুঝে গিয়েছিল এটাই অনেক।
যাইহোক, মায়ের কথা মত শ্বশুরবাড়িতে ফিরেই শাশুড়ির সাথে তুমুল ঝগড়া করলাম সেদিন।ঝগড়া করতে কারণ লাগে না। কোনো একটা ছুঁতো পেলেই হল। বর অফিস থেকে ফিরতেই যা ঘটল, তার থেকে একটু বাড়িয়েই বললাম। বলতে বলতে কেঁদে ফেললাম। ও শুনে তখন চুপ করে আছে। চুপ করে থাকতে দেখে বললাম,-এ বাড়িতে তোমার মায়ের সাথে ঝগড়া করে কিছুতেই থাকতে পারব না।
ও শুনে বলল,-তাহলে উপায়?
-উপায় আর কি। আমি ভেবেছি আমি আর তুমি আমার বাবার বাড়িতে গিয়ে থাকব। আর ওখান থেকে তোমার অফিস যেতেও সুবিধা হবে।
আমার কথা শুনে আমার বর বলল,-ঠিকই বলেছো। এত অশান্তির মধ্যে থাকা যায় নাকি? অফিস থেকে ফিরে সেই রোজ রোজ অশান্তি।
এ বাড়িতে থাকলে অশান্তি আরো বাড়বে। তুমি ঠিক ডিসিশন নিয়েছো। আমি তোমার সাথে ওখানে গিয়েই থাকব। অশান্তির থেকে শান্তি ভালো।
বুঝলাম ছেলেও মাকে চিনে নিয়েছে। শাশুড়ির সাথে ঝগড়াঝাঁটি করে পরের দিন বেরিয়ে এলাম।দেখলাম শাশুড়িও বেশ খুশিতেই আছে। নিজের ছেলেও যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে কোনো আক্ষেপ নেই। মনে মনে ভাবছিলাম,মা তো? নাকি পাষাণী? পরে ভাবলাম, হাতে টাকা আছে তো।টাকাই ভুলিয়ে রাখবে। শ্বশুর মশাই ভালো চাকরি করতেন, পেনশনের মোটা টাকা হাতে পাচ্ছেন, তার আবার মায়া মমতা? ছেলেরও মায়ের প্রতি ভালোবাসা নেই। নিজের বাড়ি ছেড়ে বেরোচ্ছে মানে হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছে। এতদিন মায়ের মুখের ওপর কোনো কথা বলেনি, কিন্তু সেটা কাজে করে দেখিয়ে দিল। কিছু জিনিস পত্র গুছিয়ে নিয়ে চলে এলাম বাপের বাড়িতে। মনে মনে ভাবলাম, আর তো অশান্তি নেই। এবার থেকে জীবনে শান্তি আর শান্তি।
এক সপ্তাহ বেশ ভালোই কাটল। বাবা বাজার করছে, মাছ মাংস থেকে শুরু করে নানান জিনিস নিয়ে আসছে প্রতিদিন। মা জামাইয়ের জন্য ভোর বেলা উঠে রান্না করছে, টিফিন বানাচ্ছে, রাতের খাবার যে গুলো খেতে ভালোবাসে সে গুলোই মা নিজে হাতে করছে। আমিও সকাল বেলা কোনো দিন ন'টায়, কোনো দিন দশটায় উঠছি। একদম আরামের জীবন। এরকম সুখের জীবনটাই তো চেয়েছিলাম। এই করে আরো পনেরো দিন মত কেটে গেল। এদিকে আমার বরও বেশ দিব্যি আছে, না বাজার দোকান করতে হচ্ছে, না অন্য কোনো কাজ করতে হচ্ছে, কিছুই না। এদিকে মায়ের যেমন কাজ বেড়েছে, তেমনি আমার বাবার খাটুনিও বেড়েছে। ছুটির দিন গুলোতে আমার বর আমার থেকেও বেশি দেরি করে ঘুম থেকে উঠছে।অথচ নিজের বাড়িতে দেখতাম সাত সকালে উঠে সব কাজ করত। ছুটির দিন মানেই কত কাজ ছিল। অথচ এ বাড়িতে এসে এই আয়েশি হয়ে ওঠাটা আমার ঠিক ভালো লাগছিল না। অথচ আমার বাবা মায়ের খাটুনি দেখে খারাপ লাগত।রবিবারের একদিন সকালে প্রচণ্ড চিৎকারে আমার ঘুম ভাঙল। নিচে নেমে গিয়ে দেখি আমার বাবার সাথে বরের কথা কাটাকাটি চলছে। আমার বর দেখি বাবাকে ভীষণ উল্টোপাল্টা কথা বলে অপমান করছে। দেখে তো ভীষণ খারাপ লাগলো।
বরকে বললাম,-তুমি মানুষ না অমানুষ? দেখতে পাচ্ছ একজন বয়স্ক মানুষ। তুমি এভাবে বলছ তোমার লজ্জা করে না?
আমার বর বলল,-তোমার তো বলার কোনো অধিকার নেই এখানে। তুমি যখন আমার মায়ের সাথে এই রকম খারাপ কথা বলতে, আমি তো তোমাকে কখনো কিছুই বলিনি। পরে তোমাকে শান্ত মেজাজে বুঝিয়েছি। তুমি কিন্তু আমার কথা বোঝনি। তাহলে আমাকে তুমি বোঝাচ্ছ কেন?আজ যদি এই টুকুতে তোমার খারাপ লাগে, তাহলে এই চার পাঁচ মাস ধরে আমার মাকে কত খারাপ কথা বলেছো, ভাবো তাহলে আমার কতটা খারাপ লেগেছে? আমি তো তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করিনি, তাই আজ তুমিও এভাবে আমাকে বলতে পারো না।
এই ব্যাপারটার পর থেকে দেখলাম বাবা মায়ের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা হয়ে যাচ্ছে। মায়ের বয়স বাড়ছে। সকাল সকাল উঠে রান্না করাটাও মায়েরও কষ্ট হচ্ছে। নিজেরই খারাপ লাগছিল বেশি। ভাবলাম আমিও সকাল সকাল উঠে মায়ের হাতে হাতে আমিও কাজটা করে দেব। ক'দিন করার চেষ্টা করলাম। দেখলাম আমার কাজ মায়ের ঠিক পছন্দ হচ্ছে না। মা কথায় কথায় বলতে লাগল, আমার সংসারে কাজ কম্ম আমি যতটা ভালো বুঝি, তুই অতটা বুঝবি না। গভীর ভাবে ভাবলাম এ সংসারটা আমার মায়ের, আমার নয়। মাকে কিছু বললাম না আর। ভুল বুঝতে পারলাম। নিজের মা যদি তার সংসারটা ছেড়ে না দেয়, শাশুড়িই বা সহজে ছেড়ে দেবে কেন?সংসারের দায়িত্ব পেতে গেলে শাশুড়ির কাছ থেকে পাওয়াটাই পরম্পরা। উপলব্ধি করলাম, মায়ের কষ্টটা যতটা সহজে বুঝতে পেরেছিলাম, শাশুড়িকে সেভাবে বুঝতে পারিনি। হয়তো আমাকে অনেক কথা বলেছে, কিন্তু তার থেকেও তো বেশি বলেছি আমি। খারাপ লাগছিল নিজের ভুলের জন্য। ক'দিন পর বরকে বললাম,-এখানে থাকব না। ও বাড়িতেই ফিরে যাব।
বর বলল,-কেন? এখানে তো ভালোই আছি।
-আমি ভালো নেই।
-তাতে কি! আমি তো আছি।
বরকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে একদিন সকালে ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে বেরোব বলে রেডি হয়েছি, দেখলাম আমার মায়ের মুখটা বেশ হাসি হাসি। আমি যে চলে যাচ্ছি তাতে মায়ের কোনো আক্ষেপ নেই।
মা শুধু বলল, আবার আসিস। একটি বারের জন্য আটকালো না। আমি ফিরলাম শ্বশুর বাড়িতে।
আমি ফিরে যাওয়াতে শাশুড়ি দেখলাম দারুণ খুশি। দুপুরে আমার পছন্দ মত রান্না করেছেন।আমি যেটা ভালোবাসি সেটাই রেঁধেছেন। আলু পোস্ত, মুসুর ডাল, বেগুন ভাজা আর আমের চাটনি। কি তৃপ্তি করে খেলাম। খাওয়ার পর শাশুড়ি আমার পাশে এসে বললেন,
-এটা সংসার। এখানে এভাবেই যুদ্ধ করে থাকতে হয়। তরকারির কোনোটাতে ঝাল বেশি হবে, কোনোটাতে কম ঝালেও ভালো লাগে। তাই বলে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিলে হবে? ঝগড়া তো হবেই।ঝগড়া করো সংসারে থেকেই। সংসার থেকে বেরিয়ে গেলে যেখানেই যাও দুদিনের জন্য সেখানে ভালো লাগবে। কিন্তু তোমাকে কেউ সংসার দেবে না। মেয়েদের নিজের একটা সংসার লাগে। সেই সংসারটা তুমি এখানেই পাবে, আমি যেমনটা পেয়েছি আমার শাশুড়ির থেকে। বৌমাদের পছন্দের মানুষ শাশুড়ি কখনো হয় না। আর শাশুড়ির পছন্দের মানুষ বৌমা কখনো হবে না। খুব কম মানুষই আছে দুজনের পছন্দে দুজন আছে। এই লড়াই চলে আসছেই সেই কোন কাল থেকেই। কোথাও কম, কোথাও বেশি। তারপরেও থাকতে হবে, সংসার করতে হবে। ঘটি বাটি পাশাপাশি থাকলে ঠোকাঠুকি তো হবেই। তাই বলে বেরিয়ে যেও না। এটাই জীবন। টোনা টুনির সংসারে শাশুড়ির মত চড়ুই পাখি একটা লাগে।তবেই না সংসার? ভালো আর মন্দ দুই মিলেই জীবন।
তারপর থেকে তিরিশ বছর কাটিয়ে ফেলেছি।নিজের একটা সংসার হয়েছে। শাশুড়ির সাথে ঝগড়া করেছি। হয়তো দুদিন কথাও বলি নি। তবে সংসার ছেড়ে বেরিয়ে যাইনি। আজ পাঁচ বছর হলো শাশুড়ি নেই। ভীষণ মিস করি শাশুড়ি নামক প্রতিদ্বন্দ্বীকে। আজ খেলার মাঠ পুরো ফাঁকা।ভালো লাগে না এই ফাঁকা মাঠে গোল দিতে।জীবনটা ফুটবল খেলার মত। সংসার হল বড় মাঠ।প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে গোল দিয়ে কি মজা? অত বড়ো বাড়িটায় আমি একাই খেলছি। এ খেলাটা ঠিক জমছে না আর। কারণ জমানোর মানুষটাই তো নেই। মানুষটা ঝগড়া করত। শাসন করত।মাঝে মধ্যে রণ চণ্ডীর মূর্তি ধরে বাড়ি মাথায় করত।কিন্তু আমার অসুখ বিসুখ করুক, জ্বর সর্দি হোক, তুলসী পাতার রস, বাসক পাতার পাচক, জ্বরে মুখ খারাপ হয়ে গেলে পলতা পাতার বড়া, এগুলো মুখের কাছে ধরত ওই মানুষটাই। আমার জ্বর হলে মাঝ রাতে উঠে এসে দরজায় কড়া নেড়ে ছেলেকে বলত, মিটারটা দিয়ে দেখ। জ্বরটা আর আছে কিনা? আমার শরীর খারাপ দেখলে ছেলেকে বলত, রোজ রোজ কিসের অফিস। কামাই কর একদিন। তোর বৌ তুই না দেখলে কে দেখবে?
আজ এত গুলো বছর পরেও পুরো বাড়িটাই আমার নিজের, পুরো সংসারটাই আমার নিজের।কিন্তু মন খারাপের একরাশ দুঃখ বুকের মধ্যে জমেছে। যার থাকাটা মাঝে মধ্যে অস্বস্তি লাগত, তার না থাকাটা কিছুতেই স্বস্তি দিচ্ছে না। আমরা মেয়েরা বাবার বাড়িতে যতটা অধীনে থাকি, তার থেকে বেশি মুক্ত থাকি নিজের সংসারে। শাশুড়ি মারা যাওয়ার আগে আমার মা চলে গেল পরপারে। তারপরে একদিন শাশুড়িও মায়া কাটিয়ে চলে গেল। শাশুড়ির বেশ কিছু গয়না, মারা যাওয়ার বছর তিনেক আগে আমাকে দিয়ে গেল। বলল, এগুলো সব তোমার। এই সীতা হারটা শুধু দুলকিকে দিও। দুলকি মানে আমার একমাত্র মেয়ে। আমার মেয়েরও বিয়ের ঠিক হয়েছে।সামনের ফাল্গুনে ওর বিয়ে। সেদিন সীতা হারটা বের করতে গিয়ে শাশুড়ির কাপড় জামা রাখার যে বাক্সটা ছিল ওটা খুলেছিলাম। আমাকে দেওয়া গয়না গুলো ওতেই আছে। গয়নার বাক্স বের করতে বাক্সের এক কোণে সযত্নে রাখা একটি চিঠি। চিঠিটা লিখেছে আমার মা আমার শাশুড়িকে। তখন তো আর মোবাইল ছিল না।চিঠিটা পড়তে গিয়ে আবিষ্কার করলাম তিরিশ বছর আগের একটি সত্যকে। মনের মধ্যে যা ছিল আবছা এক লহমায় সব কিছু পরিষ্কার হয়ে গেল।
আমার মা লিখেছে,
প্রিয় দিদি,
মেয়ে আমার বাড়িতে পৌঁচেছে। তোমার কথা মত কাজ শুরু করে দিয়েছি। কথা দিচ্ছি এক মাসের মধ্যেই তোমার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে পারব।বুঝতেই তো পারছো মেয়ে আমার উড়নচণ্ডী। এই উড়নচণ্ডী মেয়েকে নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। তোমার কথা মতই আমি ওকে বলেছি ওই বাড়ি ছেড়ে চলে এসে এখানে থাক। যেমনটি বলেছো ঠিক তেমনটিই করছি সব। ভয় হয় খুব, ওই মেয়ে কি করে সংসার করবে। তবে তুমি যখন আছো চিন্তা নেই। শ্বশুরবাড়িটা মেয়েদের বড় সম্মানের জায়গা।আমি চাই ওর একটা নিজের সংসার হোক। আর যাই হোক বাপের বাড়িতে মেয়েরা দিনের পর দিন থাকলেও মেয়েদের সংসারটা কিন্তু ওখানে হয় না।
মনে পড়ে যাচ্ছিল সেই তিরিশ বছর আগে মায়ের কথা গুলো। মা যখন বলেছিল, সব ছেড়ে চলে আসতে, অবাক হলেও মায়ের ওই কথা গুলোর মধ্যে যে নিপুণ কৌশল ছিল, আমি সেদিন ধরতেই পারিনি। ধরতে পারিনি আমার বরের নিপুণ অভিনয়ও। ভেবেছিলাম মা আমাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।আমার ধারণাটাই ভুল ছিল। শ্বশুর বাড়ি থেকে যখন চলে এসেছিলাম তখন শাশুড়িমাকে দেখেছিলাম মুচকি মুচকি হাসতে, আবার শ্বশুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে যখন ফিরছিলাম তখন মায়ের মুখেও ছিল হাসি। চিঠি পড়তে পড়তে বুঝতে পারছিলাম হাসির কারণটাও। শাশুড়ি মায়ের বুদ্ধির তারিফ না করে থাকতে পারছিলাম না তখন। সত্যিই তো ওই কৌশল প্রযোগ না করলে এমন সুন্দর করে সংসারটাও যে হত না আমার।এই দুই মা আমাকে উপহার দিয়ে গেছে নিজের একটা সংসার। শুধু মনের মধ্যে রয়ে গেছে এই দুই মায়ের জন্য শূন্যতা, একটা আক্ষেপ, যদি আবার ফিরে পেতাম।
সিদ্ধান্ত নিলাম প"রকীয়া করবো।ভ্যাবলা ধরনের একটা কালো মেয়েকে নিয়ে আজীবন সংসার করার কোনো মানে হয় না।
প"রকীয়া করবো নাই বা কেন?আমি ফর্সা,সুঠাম শরীর,ভালো চাকরি।আমার বউ কেন গেঁয়ো ধরনের হবে?পরিবার কেন তাদের নিজেদের পছন্দ করা মেয়েকে আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিবে?
মেয়েটা এতোটাই অসামাজিক যে বন্ধুদের সামনে আনতে নিজেরি লজ্জা লাগে।
অফিস কলিগ সিয়াম সাহেবের স্ত্রীকে দেখে আমি মন্ত্রমুগ্ধ।বউ হতে হয় এরকম।সিয়াম সাহেব একদিন অফিস শেষে বললেন
" বুঝলেন ভাই,স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হইছে।বাপের বাড়ি চলে গেছে।খাওয়াদাওয়ার হইছে সমস্যা "
ভদ্রতা রাখতে বললাম " আমার বাড়িতে চলুন।ডিনার করে যাবেন "।তিনি এক কথায় রাজি হয়ে গেলেন।চরম অস্বস্তিতে পড়ে গেলাম।
খাবার শেষ করে সিয়াম সাহেবের মুখে যেন প্রসংসার বন্যা বয়ে যাচ্ছে।তার কথার সারমর্ম এই যে তার জীবনে এতো ভালো মুরগীর মাংস তিনি কখনো খাননি।
খাওয়া শেষে তিনি বললেন " বুঝলেন ভাই,আপনার ভাবী,তাকে নিয়ে নতুন করে আর কি বলবো! সারাদিন পড়ে থাকে রুপ নিয়ে।আরে বেটি,সারাক্ষন রুপ নিয়ে পড়ে থাকবি জন্য বিয়ে করে আনছি নাকি? স্বামীর খোঁজখবর নিতে হবে না?তিন বছর জীবনে পানসে রান্না আর হোটেলের খাবার খেয়ে বেঁচে আছি।ভুলেও কখনো রান্নাঘরে যায় না।রান্নার সব আমিই করি "
মনে মনে ভাবলাম ওরকম সুন্দরী বউ থাকলে রান্না করতেও কষ্ট লাগে না।
এর কিছুদিন পর তীব্র জ্বরে পড়ে গেলাম।দিন রাত কোনদিক দিয়ে পার হয়ে যায় বুঝতেই পারিনা,এমন অবস্থা।স্ত্রী পাশে থেকে সেবা করলো।সারারাত কপালে জলপট্টি দিলো,ভেজা গামছায় গা মুছে দিলো।তার নিরলসভাবে সেবা করতে দেখে নিজেকে বড্ড সুখী মানুষ মনে হতে লাগলো।
সুস্থ হয়ে একরাতে খবর পেলাম সিয়াম ভাই তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন।স্ত্রী প"রকীয়া করতে গিয়ে ধরা পড়েছে।
রাতে স্ত্রীর দিকে ভালোভাবে তাকালাম।কেন জানিনা তাকে খুব মায়াবী লাগছে,ঠো'টের স্পর্শ পেতে খুব ইচ্ছে হলো।বুঝতেই পারলাম না কিভাবে হঠাৎ তার প্রেমে পড়ে গেলাম।
সেই যে হুট করে প্রেমে পড়ে গেলাম, সেই প্রেম দিনদিন বাড়তে লাগলো।এখন দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার।স্ত্রীকে সবসময় চোখে হারাই।
গল্প সময়
লেখক জয়ন্ত_কুমার_জয়
সামাজিক রোমান্টিক গল্প পেতে পেজটা ফলো করে রাখতে পারেন।
"বাপের হোটেলে আর কত দিন গিলবি! তোর থেকে ছোট ছেলে-মেয়েরা কাজ করে বাবা-মাকে সাহায্য করছে। পাশের বাড়ির অয়নের পা ধুয়ে জল খা, দেখ সকালে উঠে কেমন কাজে চলে গেছে..."
বাপের কথাগুলো এবার আর চুপচাপ হজম করতে পারে না রমেন। তাহলে এই মাখা ভাতগুলো হজম করবে কিভাবে! গলা দিয়ে ভাত নামতে চায়না, পেট ভর্তি খিদে তবু্ও কোন কথা না বলে ভাতের থালায় জল ঢেলে উঠে যায় সে। রমেন জানে বেকারদের গলা চড়িয়ে কথা বলতে নেই।
রমেনের মা পাশ থেকে বলে উঠে, "খাওয়ার সময় এমন কথা বলতে আছে নাকি! ছেলেটা না খেয়ে উঠে গেল।"
রমেনের বাবা স্ত্রী রমলার উপর ঝাঁঝিয়ে উঠে বলে, "উঠে যাক, অন্তত আমার অন্ন ধ্বংস হবে না। হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে আধ দামড়া ছেলেকে বসিয়ে খাওয়াতে পারব না আমি।"
রমলা কি বলবে ভেবে না পেয়ে চুপ করে বাঁশের খুটিটা ধরে দাঁড়িয়ে থাকে।
রমেন বাংলায় অনার্স সহ এম.এ পাশ, বি.এড ফার্স্টক্লাস। পড়াশোনায় মাছি গলার অবকাশ অবধি দেয়নি সে। মেধা তালিকাভুক্ত যোগ্য চাকরি প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত তার নিয়োগ হয়নি। বছরের পর বছর কেটে গেছে ধর্নায়। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য জুটিয়ে নিতে হয় কিছু না কিছু। প্রাইভেট টিউশন শুরু করে ছিল রমেন। কিছুটা হাত খরচ আসতো, বাবা-মায়ের কাছে হাত পাততে হতনা। কিন্তু মিটিং, মিছিল, ধর্নায় যোগ দিতে গিয়ে সেগুলোও হাত ছাড়া হয়ে যায়। এভাবেই কত বসন্ত হারিয়ে ফেলেছে সে তার জীবন থেকে। হারিয়ে ফেলেছে মহুয়াকেও। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তাদের বন্ধুত্ব। কলেজের ফার্স্ট ইয়ার থেকেই প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রপোজ করেছিল মহুয়াই, কারণ রমেন বরাবরই মুখচোরা স্বভাবের। রমেনের মনে পড়ে যায় কত স্মৃতি...
কয়েক বছর আগে মহুয়া কাঁদোকাঁদো মুখ করে বলেছিল, "বাড়ি থেকে সম্বন্ধ ঠিক করে ফেলেছে, এবার কিছু অন্তত কর!"
রমেন মাথা নিচু করে বলেছিল, "চাকরিতে নিয়োগ না হলে কিছু করার নেই। তুই বল কি করব!"
-"সরকারি চাকরির আশা এবার ছাড়, চল না দুজনে মিলে একটা স্টেশনে খাবারের দোকান দিই।"
-"তা হয় না, বাবা-মা, আত্মীয়-পরিজনেরা কি ভাববে! বলবে, এত পড়াশোনা করে শেষে কিনা খাবারের দোকান!"
-"তুই বসে থাক তোর সরকারি চাকরির আশায়, আমি চললাম, ফোন করবি না আর..."
-"তুইও বুঝলি না আমাকে, শুনে যা..."
না শোনেনি মহুয়া, কতবার সুযোগ দেবে রমেনকে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে রমেনকে অন্য কাজের জন্য বলেই যাচ্ছিল সে। ফেসবুকের মাধ্যমেই দেখেছে মহুয়ার বিয়ে হয়ে গেছে সে চেন্নাইতে থাকে, সুখেই আছে প্রোফাইল পিকচার দেখে বোঝে রমেন। মহুয়া সুখে থাক ভগবানের কাছে এই প্রার্থনা করে রমেন। সে এখন বোঝে বেকারদের লজ্জা থাকতে নেই, কোনও কাজের বাছবিচার করতে নেই, ভালোবাসতে নেই, স্বপ্ন দেখতে নেই।
কি করতো রমেন! এক বিবাহ যোগ্য বোন ঘাড়ের উপরে, তার বিয়ে না দিয়ে নিজে কি করে বিয়ে করে। টালির ঘর দীর্ঘদিনের পুরনো, বৃষ্টি হলেই জল পড়ে ঘরের মধ্যে, মেরামত করাতে হবে। বাবা-মায়ের বয়স বাড়ছে, কতদিন খেটে খাওয়াবে তারা! কাজেই মহুয়াকে বারণ করেনি সে। রমেন চায়নি মহুয়ার জীবনকে এই অভাব-অনটনের মধ্যে জড়িয়ে দিতে।
রমেন বাড়ি থেকে বেরিয়ে নদীর ধারে এসে বসে। নদীর পাড়টা তার খুব ভালোলাগে, কত নৌকা ভেসে যায়, জেলেরা মাছ ধরে। এখন মনে হয় পড়াশোনা না শিখে ছোট থেকেই যদি ওদের মতো মাছ ধরত তবে খেতে বসে অমন করে বকা খেতে হতো না আজ। খাওয়ার সময় বাবার বলা কথাগুলো মনে পড়তেই মনটা খারাপ হয়ে যায় রমেনের। ভাবে প্রলয়ের মতো আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে! রমেন বিড়বিড় করে বলে, "না না এভাবে এত সহজে পালিয়ে যাবনা, কোথাও চলে যাব, লড়াই করব।"
প্রলয়ের সাথে পরিচয় হয় কলকাতার ধর্না মঞ্চে। প্রলয় হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে। ওর বাবা-মা ছোটবেলায় মারা যাওয়ার পর বীরভূমের এক প্রত্যন্ত গ্রামে মামা বাড়িতে মানুষ হয়েছে সে। চাষের জমিতে হাড় ভাঙা খাটুনির পর নুন-ফ্যান খেয়ে সাথে মামির গালমন্দ খেয়ে বড়ো হয় সে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ম্যাথমেটিক্স অনার্স সহ এম.এস.সি ফার্স্টক্লাস ও বি.এড ফার্স্টক্লাস পাশ করে । যোগ্যতায় সে কোন অংশে কম ছিল না, তবু সে হেঁটেছিল মাইলের পর মাইল একটি চাকরির আশায়। ব্যাংক ঋণশোধের জন্য চাপ দিতে থাকে, চাকরি না হলে সে কোথায় পাবে টাকা! লাঞ্ছনা গঞ্জনা সহ্য করতে করতে একদিন সিলিং ফ্যানে গামছা বেঁধে ঝুলে পড়ে প্রলয়। এক লহমায় শেষ হয়ে যায় এক যুবকের অদম্য লড়াইয়ের কাহিনী। রমেন বোঝে বেকারদের অভিমান করতে নেই, জীবনের প্রতি কোন অভিযোগ করতে নেই।
রমেন পকেট থেকে মোবাইল বা'র করে সুমনকে ফোন করে। সুমন তার ছোটবেলার বন্ধু, উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করার পর পড়াশোনা ছেড়ে কলকাতায় চলে যায় সে, এখন সে ওখানে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করে।
-"হ্যালো সুমন, কেমন আছিস?"
-"ভালো আছি, তুই কেমন আছিস? এতদিন পর কি মনে করে!"
-"ভাই, খুব ভালো নেই রে, তুই আমাকে একটা কাজের সন্ধান দিবি!"
-"তুই আমাকে কেন লজ্জা দিচ্ছিস, তোর যোগ্যতার কাজ আমি কোথায় পাবো?"
-"আপাতত যেকোন কাজ হলেই হবে।"
-"তোকে আগেই বলেছিলাম সিকিউরিটি গার্ডের কাজের কথা, তুই তো করবি না বলেছিলি। এই কাজ ছাড়া আমার হাতে অন্য কোনো কাজ নেই।"
-"সিকিউরিটি গার্ডের কাজ হলেও করব।"
-"করবি তাহলে, তবে কাল সমস্ত ডকুমেন্টস নিয়ে চলে আয়, কয়েকদিন আমার ভাড়া বাড়িতে থাকবি। আমি স্যারের সাথে কথা বলে কালকেই তোর ইন্টারভিউ-র ব্যবস্থা করিয়ে দিচ্ছি। সব ঠিকঠাক থাকলে সোমবার থেকেই তুই কাজে জয়েন করতে পারবি। তারপর কম ভাড়া দেখে একটা ভাড়া বাড়ি খুঁজে নিবি।"
-"কাল নয়, আজই আমি বেরিয়ে পড়ছি বাড়ি থেকে, আমার পৌঁছাতে একটু রাত হবে, অসুবিধা নেই তো!"
-"কোন অসুবিধা নেই, তুই চলে আয়।"
রমেন চোরের মত পা টিপে টিপে বাড়ি ফিরে আসে। বাবা-মাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে বোনকে জিজ্ঞাসা করে, " তিথি, বাবা-মা কোথায় গেছে?"
তিথি উওর দেয়, "গোবিন্দ জ্যাঠার বাড়ি কীর্তন শুনতে গেছে, ফিরতে রাত হবে বলে গেছে।"
প্রয়োজনীয় জামা, কাপড়, কাগজপত্র গোছাতে গোছাতে রমেন তিথিকে বলে, "বোন আমি একটা কাজ পেয়েছি, আমাকে এক্ষুনি বেরোতে হবে। বাবাকে মাকে চিন্তা করতে বারণ করিস, আমি ফোন করে পরে সব জানাব।"
-"সকালে বকা খেয়ে সন্ধ্যের মধ্যে এমন কি কাজ পেয়েছিস শুনি!"
তিথির চোখের দিকে তাকাতে পারে না রমেন, পিঠে ব্যাগ নিয়ে সদর দরজার দিকে হাঁটতে হাঁটতে বলে, "ভালো কাজ রে বোন, মাসের শেষে নগদ টাকা, তোদের আর চিন্তা থাকবেন না রে..."
তিথি দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে তার দাদাকে, দুজনেরই চোখ দিয়ে নোনা জলের স্রোত বয়ে যায়।
তিথির চোখ মুছিয়ে দিয়ে রমেন বলে, "কাঁদিস নারে বোন, সব ঠিক হয়ে যাবে।"
ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে, গন্তব্য কলকাতা। জানালার ধারে বসে রমেন অংক কষতে থাকে, প্রথম মাসের মাইনে দিয়ে ঘরটা মেরামত করবে, মায়ের জন্য শাড়ি কিনবে, ময়লা শাড়িটা তাকে আর পরতে দেবেনা। বাবার জন্য একটা জামা আর লুঙ্গি কিনে দেবে, শত ছিদ্র জামাটা ফেলে দিতে বলবে। তারপর কয়েক মাসের টাকা জমিয়ে তিথির বিয়ে দেবে। তার কয়েক মাস পর বাবার ঋণ শোধ করবে। ঋণ বলতে, তাকে খাইয়ে, পড়িয়ে বড়ো করার মূল্য শোধ সে চুকিয়ে দেবে। তখন এভাবে তাকে আর ভাতের থালা ফেলে উঠে যেতে হবে না...
আগেও তো কতবার রমেনকে তার বাবা বকেছে, তখন এতটা খারাপ লাগেনি। আজ খাওয়া খোঁটা দিয়েছে এটাতেই বড্ড বেশি আঘাত পেয়েছে সে। এভাবে না বললে হয়তো সে আরও কয়েক বছর বাবার 'অন্ন ধ্বংস' করত।
বেকারের হতাশার, বেকারের লড়াইয়ের, বেকারের রক্তের, বেকারের ঘামের কোনও মূল্য নেই, মূল্য আছে অর্থের, ধন-সম্পদের।
ঝড়ের বেগে ট্রেন ছুটে চলে শহরের উদ্দেশ্যে, রমেনও এবার ছুটবে বুকে পাথর নিয়ে শুধুমাত্র টাকার পিছনে।
কৌশিক কর্মকার
সম্পর্ক
শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করা ও বাচ্চার জন্ম দেওয়ার জন্য মানুষ সংসার করে না।
সংসার একটা অভ্যেস, যা একসাথে থাকতে থাকতে গড়ে ওঠে, একে অপরের সাথে কথা বলতে বলতে, একে অপরকে সহ্য করতে করতে এই অভ্যেস গড়ে ওঠে।
সংসার মানে হলো একসাথে থাকতে থাকতে একে অপরের গায়ের গন্ধটা আত্মস্থ করে নেওয়া। সংসার মানে হলো মানুষটা মুখের সামনে এসে দাঁড়ালেই মানুষটার মনের ভেতর কি চলছে, সেটা বুঝে ফেলা।
সংসার মানে হলো বর অফিস থেকে ফিরলে এক গ্লাস জল রোজই মুখের সামনে তুলে ধরা।
সংসার মানে হলো ছেঁড়া বোতাম সেলাই করতে করতে নিজেদের ভেতর ভুল বোঝাবুঝি গুলো মাঝেমধ্যে সেলাই করে নেওয়া।
সংসার মানে হলো এডজাস্টমেন্ট, "তোমার আমার" থেকে আমাদের হয়ে ওঠা। সংসার মানে মাছের ঝোলে নুন বেশি হলেও চুপচাপ হাসিমুখে খেয়ে ফেলা, সংসার মানে হলো রোজই বিছানার উপর রাখা নিজের পার্টনারের ভেজা টাওয়ালটা মেলে দেওয়া।
সংসার মানে হলো বিয়ের ডেট, একে অপরের জন্মদিনের তারিখ ভুলে গেলেও মানিয়ে নেওয়া।
সংসার মানে গাঢ় নীল রং নিজের পছন্দ না হওয়া সত্ত্বেও পার্টনারের পছন্দ বলে একদিন নীল রঙের পাঞ্জাবিটা পরে ফেলা, আবার তেমনি শাড়ি পরতে একটুও ভালো না লাগলেও এক দুটো দিন নিজের পার্টনারের পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে একটা লাল টকটকে শাড়ি পরে পার্টনারের সামনে এসে দাঁড়ানো।
সংসার হলো একটা প্রতিজ্ঞা, যার ভেতর মান, অভিমান, রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ, ব্যথা সবই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে একে অপরের মুখের সামনে ভাতের থালা তুলে দেওয়ার প্রতিজ্ঞাটা একে অপরকে করতে হবে।
সংসার মানে হলো মাসের শেষে টাকাপয়সার হিসেব করতে করতে একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে বলা "আজ তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাবো, আজ আমায় একটু ঘুম পাড়িয়ে দাও"
সংসার মানে হলো মাঝরাতে বরকে ঘুম থেকে তুলে শিশির ভেজা রাস্তায় হাঁটতে যাওয়ার বায়না ধরা।
সংসার করা সহজ, কিন্তু একটা সংসারকে প্রতি মুহূর্তে যাপন করা সহজ নয়
সংসার মানে হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও একবার অন্তত ফোন করে জিজ্ঞেস করা "খেয়েছো"
সংসারে ওঠানামা, ভাঙাগড়া থাকবেই, কিন্তু হাঁপিয়ে গেলে চলবে না, একে অপরকে মানিয়ে নিতে হবে, একে অপরের সমস্যায় পাশে থাকতে হবে, একে অপরকে সাহস যোগাতে হবে
সংসারে কেউ কারোর থেকে ছোট বা বড় হয় না, দুজনেই দুজনের পরিপূরক হয়, তাই সংসার করতে গেলে একে অপরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা বড্ড জরুরি....
সংগৃহিত
https://youtu.be/pyCnYq-G_2Q?si=5iymkAJ86WuJ2IuD
👆 এই লিংকে আমাদের শর্ট ফিল্ম আছে, লাইক কমেন্ট ও subscribe করে পাশে থাকবেন ।
Sushruta films entertainment
চ্যানেলে
খুব নতুন দের দিয়ে কাজ ,পাশে থাকুন ভালো কিছু চেষ্টা করব।
স্বামী - স্ত্রী ফেসবুকে চ্যাট করছিলো।
একপর্যায়ে স্ত্রী "গুডনাইট" বলে বিদায় নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
স্বামী আরও বেশ কিছুক্ষন ফেসবুকে ওর পোস্টে হা হা রিয়েক্ট দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার আগ মুহূর্তে আবার স্ত্রীকে নক করলো।
কি করো??
অনেকক্ষন হয়ে গেলেও স্ত্রীর কোন রেসপন্স নেই।
স্বামী বি'র'ক্ত হয়ে পাশে থাকা স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে দেখলো স্ত্রী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
সেটা দেকে স্বামী আবার নক করলো
ওই, আছো??
বিজি নাকি??
অরেহ আজব মেসেজ সিন কর না কেনো??
তুমি কি অফলাইনে??
ঘুমিয়ে গেছো নাকি??
ধুর!!
আমিও ঘুমিয়ে গেলাম।
এসব লিখেই পাশে থাকা স্ত্রীকে ডাকতে শুরু করলো।
স্ত্রী ঘুমঘুম চোখে 'কি হয়েছে??
ডাকো কেনো??
বলে সাড়া দিলো।
স্বামী বললো,"একটু ফেসবুকে আসো তো!! জরুরি কথা আছে।
স্ত্রী ডাটা অন করে ফেসবুক মেসেঞ্জারে ডুকলো।
লিখলো আরেহ আমি তো ঘুমাচ্ছিলাম। তাই মেসেজের রিপ্লাই দিতে পারিনি।
কি ইমার্জেন্সি কথা বলবা??
বলো।
স্বামীও দ্রুত টাইপ করলো,"আমার না খুব শীত করছে , গায়ে কম্বলটা একটু দিয়ে দাও প্লীজ।" 😊
Collect...
https://youtu.be/pyCnYq-G_2Q?si=5iymkAJ86WuJ2IuD
👆 এই লিংকে আমাদের শর্ট ফিল্ম আছে, লাইক কমেন্ট ও subscribe করে পাশে থাকবেন ।
Sushruta films entertainment
চ্যানেলে
খুব নতুন দের দিয়ে কাজ ,পাশে থাকুন ভালো কিছু চেষ্টা করব।
আধুনিক জামাইকে লেখা আধুনিক শ্বশুরের একটি চিঠি -
জামাই ষষ্ঠীর আমন্ত্রণ:
আগামী ১২ ই জুন বুধবার জামাই ষষ্ঠীর দিন বেলা দ্বিপ্রহরে প্রচন্ড তাপদাহ মাথায় করে, কাঠফাটা রোদে ঘামিতে ঘামিতে আমাদের বাড়ীতে দ্বিপ্রহারিক আহার করিয়া বাধীত করিও।
খাদ্য তালিকা:
শুভ্র দেরাদুন চালের ভাত
কোলাঘাটের ইলিস মাছ ভাজা
লাউ চিংড়ি
ভেটকি পাতুরি
চিতল মাছের মুইঠা
কচি পাঁঠার কসা মাংস
কাঁচা আমের টক
গঙ্গারামপুরের দৈ
নকুরের সন্দেশ
সুরেশের রাবড়ী
বাঞ্ছারামের লেংচা
আইসক্রিম
বেনারসী পান
এই উপরোক্ত খাবারের ব্যবস্থা করার খুব ইচ্ছে ছিল, কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় লাগাতার গভীর রাত অবধি কাজ করায় তোমার শরীর ভাল যাইতেছে না। আর বাইরে যা দাবদাহ তাতে বাজারে যাইবার দুঃসাহস না করাটাই ভালো। আর তুমি নিশ্চয় চাইবে না যে বাজারে গিয়ে আমি আর গরমে রান্না করে তোমার শ্বাশুড়ী মা অসুস্থ হয়ে পড়েন ।
তাই সবদিক বিবেচনা করে তোমার শরীর ভাল না হওয়া অবধি এই আহারের ব্যবস্থা স্থগিত রাখা হল। তার পরিবর্তে---
শুভ্র গরম ভাত, আলু সেদ্ধ কাঁচা লঙ্কা ও সরিষার তেল সহযোগে পরিবেশন করা হবে। আমার মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারলাম এই আহারে তোমার খুব রুচি।
অবশ্য জানি তুমি বারবার বারণ করা সত্ত্বেও নিশ্চয়ই মিষ্টি দই, রাবড়ী,মাছ ও ফল ফলাদি নিয়ে আসবে ।
তোমার শাশুড়ীমার, বাঞ্ছারামের বেক‘ড রসোগোল্লা, নকুড়ের চকলেট সন্দেশ, পাবদা মাছ বড়ই পছন্দের। এখন তো আমের দাম খুবই কম।
মেয়ের মুখে শুনলাম, তুমি নাকি সন্ধ্যায় আমাদের বেড়াতে নিয়ে যাবে এবং খাওয়াবে ঠিক করেছো!
শাশুড়ীমার ইকো পার্কে‘র “একান্তে” বা মনি স্কোয়ারের “ফ্রেম আন্ড গ্রীল“ খুবই পছন্দ। তুমি জোর করে আমাকেও নিয়ে যাও বলে না বলতে পারি না।
শুভেচ্ছান্তে
শ্বশুর মশাই।
——জামাই বাবাজীবনের উত্তর এখনও আসে নি। উত্তর এলে প্রকাশ করব।
🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣🤣
~সংগৃহীত
https://yt.openinapp.co/tot5p
👆 এই লিংকে আমাদের শর্ট ফিল্ম আছে, লাইক কমেন্ট ও subscribe করে পাশে থাকবেন ।
Sushruta films entertainment
চ্যানেলে
খুব নতুন দের দিয়ে কাজ ,পাশে থাকুন ভালো কিছু চেষ্টা করব।
#মেছেদা
#ভাইরাল
#খিরাই
#চার
#অনুগল্প
#গল্পঃ
#জামাইষষ্ঠী
একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মিনিমাম মাসিক খরচের তালিকা...
১। চাল ২৫ কেজি = ₹1,000/-
২। তেল ৪ লিটার = ₹600/-
৩। সবজি = ₹1,500/-
৪। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ = ₹3,000/-
৫। গ্যাস সিলিন্ডার = ₹1,200/-
৬। শ্যাম্পু, তেল, সাবান, ইত্যাদি = ₹400/-
৭। মুদি বাজার = ₹2,500/-
৮। বিদ্যুৎ বিল = ₹700/-
৯। মোবাইল খরচ = ₹700/-
১০। পরিবারের খরচ = ₹4,000/-
-------------------------------------------------
সর্বমোট = ₹15,600/-
সাথে বাচ্চাদের পড়াশুনা, চিকিৎসা খরচ, যাতায়াত, লোক-লৌকিকতা বাবদ খরচ, নিজের জন্য নির্দিষ্ট একটা খরচ সহ আরও অন্যান্য খরচ তো রয়েছেই।
অর্থাৎ, সুস্থ ভাবে জীবন কাটাতে সবমিলে মাসে অন্তত ₹25,000 - ₹28,000 টাকার দরকার!!!!!
কিন্তু,
যাদের বেতন ₹8,000/-
যাদের বেতন ₹10,000/-
যাদের বেতন ₹15,000/-
যাদের বেতন ₹20,000/-
কি করবে তারা...?
হঠাৎ করে আসা বিপদ অপদের খরচ বাদ দিলাম।।
দাবি আমাদের একটাই,
""নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমান""
আগে দেশ বাচাঁন, দেশের মানুষ বাচাঁন....!!""
এ দেশের মানুষ মেট্রোরেল, টানেল, ফ্লাইওভার চায়, কিন্তু তার আগে তারা দুই বেলা পেট ভরে দুটো ভাত খেয়ে সুস্থ ভাবে বাঁচে থাকতে চায়।
তবে না ঐ উন্নয়নের ফল ভোগ করবে!!!!!!!!!
মধ্যবিত্ত এবং নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সকল পণ্যের দাম কমানো উচিত। এটাই বর্তমান সময়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের আশা।
গরীব দের কথা একটু ভাবুন। আমাদের লাইক দিয়ে পাশে থাকবেন।
একমত হলে শেয়ার করুন ।
https://yt.openinapp.co/tot5p
👆 এই লিংকে আমাদের শর্ট ফিল্ম আছে, লাইক কমেন্ট ও subscribe করে পাশে থাকবেন ।
Sushruta films entertainment
চ্যানেলে
খুব নতুন দের দিয়ে কাজ ,পাশে থাকুন ভালো কিছু চেষ্টা করব।
#মেছেদা
#ভাইরাল
#খিরাই
#চার
#অনুগল্প
#গল্পঃ
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Address
Kolkata
721152
Kolkata
I Share Music with love ⚠️ All Music and Pictures/Artwork on this channel used for promotional reasons.
Behela
Kolkata, 700061
Hello friends.I am Subhadeep Das Welcome to my channel Exploring Subh.My purpose is to entertain you.
23/3A Mahendra Banerjee Road, Behala, Kolkata-700060
Kolkata, 700060
happy for all time ❤️ ভিডিও বানাতে আমার ভালো লাগে 🙂