শব্দ প্রকাশন
Nearby media companies
Calcutta Bara Bazar
Garden Reach Bangla Basti, KOLKATA
KOLKATA
KOLKATA
KOLKATA
Amherst Street, KOLKATA
KOLKATA
KOLKATA
Garia Station, KOLKATA
KOLKATA
Dhaka
Calcutta Bara Bazar
KOLKATA
Ramanath Majumder Street, KOLKATA
Ramanath Mazumdar Street, KOLKATA
সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নতুন নতুন বিষয়ে কাজ করা এবং দুষ্প্রাপ্য বইয়ের পুণর্মুদ্রণ করা
* আন্ডারকভার
বেশ কয়েকটা ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত শন হঠাৎ করেই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যায়। জীবনে যাকে চোখেও দেখেনি সেই কেলিকে দেখে তার বড্ড আপন বলে মনে হয়। ডিটেকটিভ জনসন এবং ইনস্পেকটর মার্স অদেখা ছায়ার মতো সঙ্গী হয় শনের। আচমকা শুরু হওয়া অসহ্য মাথার ব্যথাটা কয়েক মুহূর্তে সারিয়ে তোলেন ডঃ বার্ন। শন বেশ বুঝতে পারে এরা প্রত্যেকেই ছদ্মপরিচয়ের মুখোশ পরে আছে। আশেপাশে আরও কত যে অচেনা চরিত্র যাদের দেখে প্রতিমুহূর্ত শনের চেনা বলে মনে হয়। আবার কখনও তার নিজেকেই বড্ড অচেনা লাগে। সবকিছুই যেন বড়ো রহস্যময়!
* হায়নার নিশ্বাস
নারী-শরীরকে মূলধন করে পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যবসা প্রতিদিন তার জাল বিস্তার করে চলেছে। সেই সূত্র ধরে বাংলার গ্রামের মেয়ে তপতী পৌঁছে যায় সিঙ্গাপুর।মার্কিন নাবালিকা এরিকা পাচার হয়ে যায় মধ্যপ্রাচ্যে। ইউক্রেন থেকে কিয়ারা পৌঁছে যায় দক্ষিণ আমেরিকায়। পাচারের উদ্দেশে তার পেট কেটে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বহুমূল্য ড্রাগ। নারী পাচার এবং ড্রাগ মাফিয়ার টাকায় আর বিশ্ব-রাজনীতির ছত্রছায়ায় সারা পৃথিবীতে নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করে উগ্রপন্থা।
একাধিক দেশের সিক্রেট সার্ভিস অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ করে চলেছে এই সমস্ত কিছুকে প্রতিরোধ করতে। তবে গল্পের মতো বাস্তবেও কি হ্যাপি এন্ডিং হয়?
দুটি থ্রিলার একত্রে—
⦿ আন্ডারকভার
⦿ বিশ্বজিৎ সাহা
⦿ অলংকরণ : আশিষ ভট্টাচার্য
⦿ শব্দ প্রকাশন
⦿ মুদ্রিত মূল্য: ৩০০ টাকা
সম্প্রতি শব্দ প্রকাশন প্রকাশিত নতুন বই—
⦿ সিন্ধু সভ্যতার অগ্নিপূজা ও বৈদিক যজ্ঞ
দীপান ভট্টাচার্য
৪২৫/-
⦿ যুদ্ধ-কথা (প্রাচীন যুদ্ধের কৌশল ও মানচিত্র)
অভিনব রায়
৩০০/-
⦿ আন্ডারকভার
বিশ্বজিৎ সাহা
৩০০/-
পাওয়া যাচ্ছে আমাদের বিপণি এবং আমাদের ওয়েবসাইট-এ। এছাড়া কলেজ স্ট্রিট ও অন্যান্য সব ওয়েবসাইট-এ।
শব্দ প্রকাশন
স্টল নং ১১, ব্লক ২, সূর্য সেন স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার (দক্ষিণ), কলকাতা ১২
#প্রকাশিত
⭐ আন্ডারকভার ⭐
⦿ বিশ্বজিৎ সাহা
⦿ শব্দ প্রকাশন
⦿ মুদ্রিত মূল্য: ৩০০ টাকা
আজ আন্তর্জাতিক অনুবাদ দিবসে শব্দ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন স্বাদের কিছু অনুবাদ গ্রন্থের তালিকা। এর মধ্যে যেমন রয়েছে হারিয়ে যাওয়া অপরাধের বিবরণী, তেমনই রয়েছে অজানা শার্লক হোমসের কাহিনি, আবার তার পাশাপাশি রয়েছে ক্লাসিক অ্যাডভেঞ্চারের সটীক-সচিত্র অনুবাদ এবং বিশ্বসাহিত্যে স্বল্পালোচিত খলনায়ককেন্দ্রিক গল্পসংকলন। প্রতিটি বই-ই তাদের আলাদা স্বাদ পাঠকের কাছে পরিবেশন করে। আসন্ন কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা উপলক্ষেও আসবে নতুন অনুবাদ সিরিজ। সবিস্তারে জানানো হবে খুব শিগগিরই।
শব্দ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত চারটি ভিন্ন স্বাদের অনুবাদ গ্রন্থ—
চলন্ত ট্রেন থেকে কীভাবে উধাও হল ড্রাইভার?
ধনী বৃদ্ধাকে খুনের দায়ে গ্রেফতার হওয়া যুবককে বাঁচাতে এগিয়ে এল কোন রহস্যময়ী?
অজস্র বিজ্ঞাপনে জ্বলজ্বল করা মেয়েটি আসলে কে?
পাহাড়ের মাথায় ওই দুর্গটাকে কি শিবির করে তুলতে পারল জার্মান সেনা?
ইউরোপার সমুদ্রের গভীরে কার মুখোমুখি হল এক গুপ্তচর?
রাত নামলে ওই পুড়ে যাওয়া শহরটাতে ঠিক কী হয়?
রহস্য, রোমাঞ্চ, অলৌকিক, কল্পবিজ্ঞান- সম্ভব-অসম্ভবের সীমা মুছে দেওয়া নানা বিষয় নিয়ে রচিত দশটি অনূদিত গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে 'রহস্যময় ১০'-এর খেলাঘর। দেরি কেন? একহাত হয়ে যাক তাহলে!
বইয়ের নাম - রহস্যময় ১০
লেখক ও অনুবাদক - ঋজু গাঙ্গুলী
মুদ্রিতমূল্য - ২০০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা - ১৭৬
পেপারব্যাক
———————————————————
শার্লক হোমসের স্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডয়েল হোমসকে ছাড়াও বেশ কিছু রহস্যকাহিনি লিখেছিলেন। তার মধ্যে কিছু কাহিনির চরিত্রের মধ্যে শার্লক হোমসের ছায়া পরিলক্ষিত হয়। সেই কাহিনিগুলিকে কেউ কেউ 'দি আনঅফিশিয়াল শার্লক হোমস' বলে থাকেন। সেগুলির অনুবাদের সঙ্গে রইল আরও দু'টি হোমসকাহিনির অনুবাদ – যা সাধারণত কোনো শার্লক হোমস সমগ্রে সংকলিত হয় না। গল্পের পাশাপাশি সংকলিত হল দু'টি নাটকও— যেখানে মুখ্য চরিত্র শার্লক হোমস!
বইয়ের নাম - দি আনঅফিশিয়াল শার্লক হোমস
মূলরচনা-স্যার আর্থার কোনান ডয়েল
ভাষান্তর - দীপ্তজিৎ মিশ্র
মুদ্রিত মূল্য - ৩৫০টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা - ১৯২
পেপারব্যাক
———————————————————
খলনায়ক চরিত্ররা চিরকালই অবহেলিত, ঘৃণিত। কিন্তু সমাজের চোখে যারা খলনায়ক, তাদেরকেই নায়ক হিসেবে পেশ করলে কেমন হত? বিশ্বসাহিত্যে এর উদাহরণ প্রচুর। তার মধ্যে থেকেই নানা স্বাদের দশটি কাহিনি নিয়ে দুর্ধর্ষ দুশমন।
বইয়ের নাম-দুর্ধর্ষ দুশমন
মুখবন্ধ-সৈকত মুখোপাধ্যায়
অনুবাদক ও লেখক- দীপ্তজীৎ মিশ্র
মুদ্রিত মূল্য- ৩৫০টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা- ২১৬
হার্ডবাউন্ড
———————————————————
..সন ১৭৫১। বাবার মৃত্যুর পর শুভাকাঙ্খী মি. ক্যাম্বেলের পরামর্শে ডেভিড ব্যালফুর রওনা দেয় শ জমিদারবাড়ির উদ্দেশে। মনে আশা, বাপ-মা হারা হতভাগ্য জীবনে যদি একটু হাল ফেরে। কিন্তু ইষ্টদেবতা যে অন্য কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন ডেভিডের জন্য! ভাগ্যের চাকা ঘোরে ঠিকই, কিন্তু তার ইচ্ছানুসারে নয়। ঘটনাচক্রে ডেভিডের জীবন জড়িয়ে যায় রাজদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত অ্যালান স্টুয়ার্ট ব্রেকের সঙ্গে। এদিকে অ্যালানও ডেভিডের কাহিনি জানতে পেরে তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু কীভাবে হবে সেই অসাধ্য সাধন? ডেভিড ব্যালফুরের সেই বিচিত্র অভিযান নিয়েই স্কটল্যান্ডের পটভূমিকায় রবার্ট লুই স্টিভেনসনের ইতিহাসাশ্রয়ী উপন্যাস 'কিডন্যাপড'।
বইয়ের নাম - কিডন্যাপড
ভাষান্তর ও টীকা - দীপ্তিজিৎ মিশ্র
প্রচ্ছদ -সুমন সরকার
অলংকরণ - লুই রিড, তন্ময় বিশ্বাস
মুদ্রিত মূল্য - ৪৫০টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা - ২৭২
হার্ডবাউন্ড
———————————————————
পাওয়া যাচ্ছে আমাদের বিপণিতে—
শব্দ প্রকাশন
১১, সূর্য সেন স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার (দক্ষিণ), ব্লক ২, কলকাতা ৭০০০১২
এছাড়া কলেজ স্ট্রিটের অন্যান্য বিপণি এবং সব অনলাইন সাইটে।
"Wars maybe fought with weapons but they are won by men"
খ্রিস্টপূর্ব ১২৭৪ অব্দ থেকে ১০০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইতিহাসের গতিপথ বদলে দেওয়া কিছু বিখ্যাত যুদ্ধ ও যুদ্ধকৌশলের মানচিত্র-সহ বিশ্লেষণ নিয়ে শব্দ প্রকাশন থেকে আসছে #যুদ্ধকথা
বই : যুদ্ধ-কথা (প্রাচীন যুদ্ধের কৌশল ও মানচিত্র)
লেখক : অভিনব রায়
প্রকাশনায় : শব্দ প্রকাশন
মূল্য : ৩০০.০০
পাওয়া যাচ্ছে সর্বত্র—
সিক্রেট সার্ভিস, ইন্টেলিজেন্স— শব্দগুলো আজকাল সাধারণ মানুষের কাছেও বেশ পরিচিত। এখন প্রশ্ন হল, সত্যিই কি পরিচিত? যে ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ধরণের ঘটনাবলী এই শব্দগুলির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে বলে আমাদের ধারণা, বাস্তবে কি তেমনটাই হয়?
সারা পৃথিবী জুড়ে টেররিজম, হিউম্যান ট্র্যাফিকিং, অর্গান ট্র্যাফিকিং এবং নারকো-ট্র্যাফিকিং'এর একটা অজানা জগৎ বিগত কয়েক দশক ধরেই আমাদের পৃথিবীকে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে। ইদানীং তার সঙ্গে মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো এসে জুটেছে সাইবার টেররিজম। শোনা যায় বিভিন্ন দেশের সিক্রেট সার্ভিস এজেন্সিগুলো নাকি এই সবকিছুর বিরুদ্ধে ক্রমাগত লড়ে চলেছে। তবে সে সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান সৈকতের বালিতে ছড়িয়ে থাকা নুড়ির মতোই।
এই সমস্ত কিছুকে অবলম্বন করে বাস্তব, কল্পনা, তথ্য এবং সত্য-মিথ্যের মিশেলে লেখা দুটি থ্রিলার-সংকলন— আন্ডারকভার।
বই : আন্ডারকভার
লেখক : বিশ্বজিৎ সাহা
প্রচ্ছদ : সুমন সরকার
অলংকরণ : আশিস ভট্টাচার্য্য
প্রকাশনায় : শব্দ প্রকাশন
মুদ্রিত মূল্য : ৩০০.০০
আসছে খুব শীঘ্রই...
পাঠ-প্রতিক্রিয়া
লিখেছেন শ্রীপর্ণা ঘোষ
সিজার এবং রোমের কথা ও কাহিনি।
প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা বইমেলা ২০২৪ এ শব্দ প্রকাশন থেকে।
লেখক রজত পাল।
মুদ্রিত মূল্য : ৪০০/-
বইটা ডিসপ্লেতে দেখে ভেবেছিলাম সিজার নিয়ে আবার নতুন কী লেখা হয়েছে! বস্তুতঃ ছোটবেলা থেকে কম বেশি ইতিহাস পড়ে আর গুচ্ছের সিনেমা, ডকুমেন্টারি ইত্যাদি দেখে আমরা প্রায় সবাই মোটামুটি সিজারকে নিয়ে কিছু কিছু তথ্য জানি। এরপর তো আছেই সবেধন নীলমণি শেক্সপিয়ার! শেক্সপিয়ার এর বিখ্যাত জুলিয়াস সিজার নাটকের এক্সারপ্ট আজকাল ক্লাস সেভেন এইটের ছেলে মেয়েদেরও পড়ানো হয়, আমি সাহিত্যের ছাত্রী, পুরোটাই পড়েছি।
যাই হোক। এই বই শুধুমাত্র সিজারকে নিয়ে লেখা নয়। প্রচ্ছদ দেখে এটা ভাবলেও ভুল হবে যে এটা সিজার - ক্লিওপেট্রার রোমাঞ্চকর প্রেমকাহিনী।
এতে আছে প্রাচীন রোমের ভূগোল। প্রাচীন রোমের বিভিন্ন মিথ। কিভাবে একাধিক প্রদেশ ও সম্প্রদায়ের মধ্যে মারামারি হয়ে রোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা হলো, আছে তার বিবরণ।আচ্ছা কেউ কি জানে ভেস্টাল ভার্জিন কারা? আমিও জানতাম না। বারবার তুলনা টানা হয়েছে অ্যাস্টেরিক্স কমিকসের বিভিন্ন সংলাপের সাথে! তার সাথে আছে পুরোনো রোমের ম্যাপ।
রোমান সাম্রাজ্যের পত্তন রোমুলাস নামক একজনকে দিয়ে। তার জন্ম নিয়েও আছে রোমাঞ্চকর মিথ। পড়লে মোগলির কথা মনে পড়তে বাধ্য। তিনি প্রায় নিজের ক্ষমতায় (ক্ষমতা মানেই বীরত্ব নয়, নিয়েছিলেন ছল চাতুরীর আশ্রয়) রাজা হয়েছিলেন। রোমুলাসের প্রতিষ্ঠিত রাজতন্ত্র চারাগাছ থেকে মহীরুহে পরিণত হতে হতেই রোমে গনতন্ত্র/প্রজাতন্ত্র (আসলে সিনেটের শাসন) শুরু হয়।
এই গণতান্ত্রিক (!) সময়কালের একমেবাদ্বিতীয়ম নায়ক জুলিয়াস সিজার। কারণ তার রণনিপুণতাই হোক, বাগ্মীতাই হোক, ব্যক্তিগত charisma ই হোক, অসংখ্য নারীদের মন জয় করার ক্ষমতাই হোক বা অন্য কোনো এক্স-ফ্যাক্টর! জুলিয়াস সিজার কে আমরা এমনভাবে দেখিইনি যেভাবে এই বই তে দেখানো হয়েছে। কারণ এই বই কেবলমাত্র ইতিহাসের শুকনো বিবরণ নয়, এতে আছে কিছু অমোঘ দার্শনিক প্রশ্ন।
বইয়ের ছত্রে ছত্রে লেখক জানতে চান কেন সিজারকে হত্যা করা হলো? সত্যিই কি তিনি গনতন্ত্রের গলা টিপে একনায়ক হতে চেয়েছিলেন নাকি তার উজ্জ্বলতায় ঢাকা পড়ে গিয়েছিলেন আরও রথী মহারথীরা? ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা খুন করে সিজারকে? ব্রুটাস এর কি স্বার্থ ছিল? ক্ষমতা নাকি তার মায়ের অবৈধ প্রেমিকের উপর তীব্র প্রতিশোধস্পৃহা?এই প্রশ্নের উত্তরগুলো লেখক সযত্নে দিয়েছেন, জোর করে কিছু চাপিয়ে দেননি, মতামত দিয়েছেন, অনুসন্ধান করেছেন।
সিজার ক্লিওপেট্রার প্রেম ও খুব নিরপেক্ষভাবে আলোচনা করেছেন। এসেছে আরও একাধিক নারী পুরুষের প্রসঙ্গ, যারা সিজারের জীবনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে ছিলেন। এদের অনেক কেই আমরা ইতিহাসের আলোকে ভালরকম চিনি।
প্রচ্ছদে সিজারের নাম থাকলেও এটা সিজারের বই নয়। সেজন্যই পড়ে আনন্দ পেলাম।
__________________________________________________
অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, পাঠে থাকুন, শব্দে থাকুন...
পাঠকের কপিতে সই—
সদ্য প্রকাশিত 'সিন্ধু সভ্যতার অগ্নিপূজা ও বৈদিক যজ্ঞ' এবং 'যুদ্ধ-কথা' বইয়ের লেখকদ্বয়।
শব্দ প্রকাশন
স্টল নং ১১, ব্লক ২, সূর্য সেন স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার (দক্ষিণ), কলকাতা ১২
সিন্ধু সভ্যতা মানেই এক রহস্যময়, আলো-আঁধারি আবৃত অতীত। একশ বছর ধরে খনন করে উদ্ধার করে ফেলেছি এর কত নগর, গ্রাম- আমরা দেখে ফেলেছি তাঁদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, ঘরদোর অথচ তা-ও কত অজানা এই সভ্যতা। লিপির মতোই সিন্ধু সভ্যতার ধর্মও এক প্রহেলিকা। কিছু প্রত্নক্ষেত্রে আবিষ্কার হয়েছিল অগ্নিকুণ্ড আর তারপর থেকেই তাঁরা বৈদিক ঋষিদের পূর্বসূরি ছিলেন কিনা তাই নিয়ে তর্ক চলছে। লেখক সিন্ধু সভ্যতার প্রত্যেকটি প্রত্নক্ষেত্র অনুযায়ী অগ্নিকুণ্ডের বিবরণ দিয়েছেন এবং সেগুলির সঙ্গে বৈদিক যজ্ঞবেদিগুলির তুলনা করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ যজ্ঞগুলির একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা আছে বইতে আর তার সঙ্গে বিবরণ দেওয়া আছে যজ্ঞের ইটের, পাত্রের, বলি সমেত আহুতির বস্তুর। শেষে প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ দিয়ে হরপ্পার অগ্নি উপাসনার রহস্যভেদ করার প্রয়াস করেছেন লেখক। সিন্ধু সভ্যতার ধর্মের অগ্নি উপাসনা নিয়ে এই গবেষণাধর্মী বই পড়তে পড়তে মানস ভ্রমণ করতে পারবেন ভারতেতিহাসের প্রাচীনতম মানববসতির অলিগলিতে।
বই : সিন্ধু সভ্যতার অগ্নিপূজা ও বৈদিক যজ্ঞ : একটি তুলনামূলক আলোচনা
লেখক : দীপান ভট্টাচার্য
প্রকাশনায় : শব্দ প্রকাশন
মূদ্রিত মূল্য : ৪২৫.০০
পাওয়া যাচ্ছে সর্বত্র—
নতুন বই—
Available Now
১. সিন্ধু সভ্যতার অগ্নিপূজা ও বৈদিক যজ্ঞ: একটি তুলনামূলক আলোচনা
দীপান ভট্টাচার্য
৪২৫/-
২. যুদ্ধ-কথা: প্রাচীন যুদ্ধের কৌশল ও মানচিত্র
অভিনব রায়
৩০০/-
পাঠ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া লিখেছেন মানসী মণ্ডল
ভাদ্র মাস মানেই অগস্ত্যের মাস। সেই অগ্যস্তকে নিয়েই লেখা বই :
অগস্ত্য ও শাঁখা— ইতিহাস, পুরাণ আর বর্তমানের মিসিং লিংক
'গতকালই ঘরের গম ফুরিয়ে গিয়েছে। বাণিজ্যে যাওয়ার আগে পলিত যেটুকু কিনে দিয়ে গিয়েছিল তাতে ভালোভাবেই দুই চাঁদ অবধি চলে যাওয়ার কথা, কিন্তু দুই চাঁদ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও যে পলিত ফিরবে না তা উস্না কখনও ভাবেনি। এই হারিপা শহরে আসার পর থেকে তার কেমন যেন সব অচেনা লাগে। মেলুহার মধ্যে হলেও এখানকার আদবকায়দা, কথা বলার ঢং সবই তাদের বারাকে বসতির থেকে অনেকটাই আলাদা। সবে তিন মাস হল উস্না এখানে এসেছে পলিতের সঙ্গে, যদিও আসার ইচ্ছে তার ছিল না। পলিত হারিপার মানুষ হলেও তার নিয়মিত আসাযাওয়া লেগেই থাকত বারাকেতে। আর হবে নাই বা কেন, মেলুহাতে শঙ্খের কারবার করতে হলে তাকে বারাকেতে আসতেই হবে, নয়তো শঙ্খ সে পাবে কোথায়।.....'
একটা কাল্পনিক গল্পের শুরুর অংশ।
এরকম একটা গল্প দিয়েই শুরু এই আশ্চর্য বইখানা। কিন্তু না, গল্পের বই এটা নয়। এটা একটা ইতিহাসের বই যেটাকে আষ্টেপৃষ্টে, পরতে পরতে জড়িয়ে রেখেছে এই কাল্পনিক গল্পখানা। গল্প সে কোন সুদূরের, কোন পুরা কালের। আমরা তাকে চিনি কিন্তু ভারি আবছা আর অস্পষ্ট। । 'হারিপা' শব্দটা কেমন যেন চেনা চেনা ঠেকছে তাই না? ঠিক ধরেছেন, হরপ্পা শহর, যার কথা ইতিহাসের বইয়ে পড়েছি এ সেই হরপ্পা। এই শহরেই পলিতের বাড়ি, সে শাঁখার ব্যবসা করে। মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় হরপ্পাসভ্যতাকে বলা হত মেলুহা। এই শাঁখার ব্যবসা করতে পলিতকে যেতে হতো বারাকে । কারণ হারিপার সবচেয়ে কাছের সমুদ্রতীরের অঞ্চল ছিল 'বারাকে '।ছোট ছোট সব সম্মিলিত দ্বীপপুঞ্জ।বেট দ্বারকা, দ্বারকা, নাগেশ্বর। সেখানেই পাওয়া যেত শাঁখ। স্বাভাবিকভাবেই সমুদ্রতীরের অঞ্চলে শাঁখ থেকে অলঙ্কার তৈরি হতেই পারে। কিন্তু আমাদের আশ্চর্য হতে হয় হরপ্পাসভ্যতার পরিণত পর্যায়ের পাঁচ - ছয় হাজার বছর আগেই বৃহত্তর হরপ্পাসভ্যতার প্রথম পর্যায়ে মেহেরগড়ে সমাধি খনন করে অনেক অলঙ্কারের সন্ধান পাওয়া গেছে।এদের মধ্যে ছিল শাঁখের তৈরি গয়না। মেহেরগড়ের সবচেয়ে কাছের সমুদ্রতট ছিল মাকরানা উপকূল, দূরত্ব প্রায় পাঁচশো কিলোমিটার। এতদূর থেকে কীভাবে এল শাঁখা?
শাঁখা বললেই বাঙালি সধবা নারীর হাতদুখানি মনে পড়ে। শুধু বাঙালি নারীরা নন বাঙালি দেবীরাও তাঁদের হাতে শাঁখাকে স্থান দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার ক্ষীরগ্রামে মা যোগাদ্যা স্বয়ং বাঙালি কন্যে সেজে শাঁখারির হাত থেকে শাঁখা পরেন। এই নিয়ে কবি তরু দত্ত তাঁর বিখ্যাত কবিতা 'Jogadhya Uma' লেখেন।তবে এই শাঁখা শুধু বাঙালির নয় তামিলকাব্য মাদুরিকাঞ্চিতেও এক ডুবুরি জাতির উল্লেখ আছে যারা ডুব দিয়ে শাঁখা তুলে আনত। মধ্যপ্রদেশের নিমার জেলায় নর্মদা নদীর তীরে মহেশ্বর যা প্রাচীন নগরী মাহিষ্মতী সেখানে খনন করে শাঁখা পাওয়া গেছে। মহারাষ্ট্রের পৈথান যেখানে একসময় সাতবাহন সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। তখন এর নাম ছিল প্রতিষ্ঠান। সেখানে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে থেকে পাওয়া প্রত্ন বস্তুর মধ্যে অন্যতম হল শাঁখা। তামিলনাড়ুরও বেশ কিছু জায়গায় প্রত্নবস্তু হিসেবে শাঁখা পাওয়া গেছে। যদিও বর্তমানে দক্ষিণ ভারতে শাঁখার প্রচলন নেই কিন্তু একসময় যে প্রচলন ছিল প্রত্নবস্তুই তার প্রমাণ। সূদুর উত্তর- পশ্চিমে সুপ্রাচীন সিন্ধুসভ্যতা থেকে দাক্ষিণাত্য, দাক্ষিণাত্য থেকে বঙ্গদেশ সবখানেই গুরুত্বপূর্ণ অলঙ্কার ছিল শাঁখা। তাহলে এদের মধ্যে কি কোনো যোগসূত্র আছে? কী সেই যোগসূত্র?
আবার ফিরে আসি গল্পে। ".... বিপদের দিনে কাজে লাগবে বলেই হারিপায় নিয়ম আছে যে প্রত্যেককে একটি কলসে কিছুটা করে শস্য জমিয়ে রাখতে হয়, যে যেমন পারে। যেদিন পুরো চাঁদ ওঠে, সেই দিন মন্দিরে গিয়ে পুরোহিত রাজার খাজাঞ্চির কাছে নিজের বাড়ির মোহর দেখিয়ে শস্য ভর্তি সেই কুম্ভ দিয়ে আসতে হয়।... কলস ভর্তি শস্য নিয়ে গেলে তখন খাজাঞ্চির লোক প্রত্যেকের মোহর দেখে লিখে নেয় আর শস্য জমা হয়ে যায় শস্যাগারে। হারিপার সে শস্যাগার দেখার মতো, বিরাট ইটের চাতালের উপরে সরু রাস্তা যার এক এক দিকে ছয়খানা করে বিরাট ঘর।.... হারিপায় পলিতের মত প্রচুর মানুষ আছে, যাদের চাষের জমিজমা নেই আর ঘুরে ঘুরে বাণিজ্য করার নেশা লেগে গেলে তাদের দিয়ে জমি চষা, কাপড় বোনা কিংবা তামা গলানো যায় না। তাই এই কুম্ভের নিয়ম। "
কুম্ভ বা ঘড়ার চিহ্ন ছিল সিন্ধুসভ্যতার এক গুরুত্বপূর্ণ লিপি। যদিও এই বোবা সভ্যতার অনেক কিছুই আমাদের আকারে ইঙ্গিতে বুঝতে হয়েছে। সেখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে প্রত্নবস্তু, বিভিন্ন রঙের পোড়া মাটির পাত্র। মাটির পাত্রের রং বলে দেয় সে সিন্ধুসভ্যতার, না বৈদিক সভ্যতার না রামায়ণ বা মহাভারতের কালে। এইসব পোড়া মাটির পাত্রই প্রাচীন এইসব সভ্যতাকে চিনিয়েছে, কিন্তু কীভাবে?
সিন্ধুসভ্যতার লিপিগুলো শেষ হয়েছে এই কুম্ভচিহ্ন দিয়ে। এই চিহ্ন বারবার লিপিতে ঘুরে ফিরে এসেছে।যেটুকু জানা গেছে সিন্ধুসভ্যতার এক এক প্রশাসক বংশের নাম ছিল কুম্ভবংশ। এই কুম্ভবংশের সঙ্গেই যোগসূত্র ছিল অগস্ত্যের । আবার অগস্ত্যই সেই বিখ্যাত ঋষি যাঁর আদেশে বিন্ধ্যপর্বত মাথা ঝুঁকিয়ে ছিল।এই অগ্যস্ত মুনির নাম রামায়ণ, মহাভারত, স্কন্দপুরাণে উল্লেখ আছে।রামায়ণে আছে সুগ্রীব পরামর্শ দেন সীতাকে খুঁজতে যাওয়ার আগে অগস্ত্যের আশ্রমে গিয়ে তাঁর আশীর্বাদ নিতে। ওদিকে মহাভারতে আছে যযাতির পিতা নহুষকে অগস্ত্য সাপ হওয়ার শাপ দেন।
যযাতি ছিলেন যদু বংশ এবং কুরুবংশের পূর্বপুরুষ।
হচ্ছিল কথাটা সিন্ধুসভ্যতার চলে এল রামায়ণ, মহাভারত। আরো একটা তথ্য দিই, পশ্চিমবঙ্গে যেসব শাঁখারি আছেন তাঁদের উপাস্য দেবতা এই অগ্যস্ত ।
দাঁড়ান মশাই, সিন্ধুসভ্যতা, রামায়ণ, মহাভারত, স্কন্দপুরাণ আর বাঙালি, হয়ে গেল অগস্ত্য!
কেমন মাথাটা গুলিয়ে গেল তো?এ যেন অনেকটা সেই সুকুমার রায়ের 'হযবরল' গল্পের মত।
'বেড়ালটা খুশি হয়ে বলল, "হ্যাঁ, এ তো বোঝাই যাচ্ছে --চন্দ্রবিন্দুর ' চ', বেড়ালের তালব্য ' শ', রুমালের ' মা ' - হলো চশমা। কেমন, হলো তো?"
ওদিকে আবার দক্ষিণের সঙ্গম সাহিত্য বলছে অগস্ত্য বিন্ধ্যপর্বত পেরিয়ে দক্ষিণে এসেছিলেন দ্বারকা থেকে।তাঁর সঙ্গে তামিল দেশে এসেছিল আঠেরোজন। এরা নাকি আবার যদুবংশের। এরাই ভেলির রাজা নামে নামে খ্যাত। সঙ্গমসাহিত্য অনুসারে এই সব ভেলির রাজার পূর্বপুরুষের জন্ম কুম্ভ থেকে হয়েছিল। অর্থাৎ তাঁরা কুম্ভবংশ বা কুম্ভ গোষ্ঠীর মানুষ। ওদিকে যযাতির পুত্র যদুর বংশে জন্ম নেন কৃষ্ণ। এই লেখার শুরুতে যে বারাকে অঞ্চলের কথা বলা তার সঙ্গে কৃষ্ণের যোগসূত্র ছিল। কী সেই যোগসূত্র?
কেন অগস্ত্য এবং কৃষ্ণের পূর্বপুরুষ যদু বংশের মানুষরা চলে এলেন দ্বারকা ছেড়ে? পুরাণে অগস্ত্যের বিন্ধ্যপর্বত পেরোনো নিয়ে মজাদার কাহিনী আছে। ওদিকে সঙ্গমসাহিত্য বলছে সমস্ত দেবতারা মেরুপর্বতে চলে গেলে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষার জন্য অগস্ত্যকে দক্ষিণে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কারা এই দেবতারা? অগস্ত্যকেই বা চলে যেতে হল কেন? আবার এই অগস্ত্যই হয়ে উঠলেন বাঙালি শাঁখারিদের দেবতা। কীভাবে? ইতিহাস কী বলে?
ভাদ্র মাসের আকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র অগস্ত্য। শাঁখারিরা অগস্ত্যপুজো করেন ভাদ্রমাসেই। আবার ১লা ভাদ্র অগস্ত্যযাত্রা।
অগস্ত্য আর বাঙালি রমণীর শাঁখা যেন মিসিং লিংক যা জুড়ে দেয় সিন্ধুসভ্যতা, বৈদিক সভ্যতা এবং রামায়ণ - মহাভারতের কালকে।
সত্যিই এক আশ্চর্য বই এই 'সিন্ধু সভ্যতায় শাঁখা ও অগস্ত্যযাত্রা' ।লেখক দীপান ভট্টাচার্য তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে বিস্তারিতভাবে ব্যখ্যা করেছেন বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য। এ বই ভীষণ সহজ সরল করে লেখা যাতে পাঠককে কোথাও হোঁচট খেতে না হয় । যতরকমের তথ্য দেওয়া যায় তাঁর বক্তব্যকে সমর্থনে সব তিনি উত্থাপন করেছেন। কার্পণ্য করেননি এতটুকু। ভীষণরকম অধ্যবসায় আর অক্লান্ত পরিশ্রম এই বইটিকে মানুষের প্রিয় করে তুলবে। যাঁরা ইতিহাস ভালবাসেন না তাঁরাও ভালবাসবেন। আমরা ইতিহাস বইয়ে পড়েছিলাম সিন্ধুসভ্যতার কথা। কিন্তু কীভাবে এই সভ্যতা ধ্বংস হয়েছিল সেই নিয়ে কোনও সঠিক সিদ্ধান্ত জানতে পারিনি। বইয়ের পাতায় কিছু সম্ভাব্য কারণের তালিকা দেওয়া ছিল। এ প্রশ্ন মনে থেকেই গেছিল, আর তার উত্তর পেলাম এই বইয়ে। আবার এই বইটিকে অগস্ত্যপিডিয়া বললেও খুব একটা ভুল হবে না।
সবশেষে কয়েকটা ধাঁধা আর সেই কাল্পনিক গল্পের একটু অংশ দিয়ে শেষ করব। আচ্ছা, বলুন তো কৃষ্ণের শঙ্খের নাম কী?তিনি কীভাবে পেলেন এই শঙ্খ?বিষ্ণুর হাতেও থাকে এক শঙ্খ। দুটোই কি এক? শালগ্রাম শিলাতো স্বয়ং নারায়ণস্বরূপ ওদিকে আবার দ্বারকা শিলাও তাই।বিষ্ণু আর কৃষ্ণ কি একই?
'পরের মরসুমে পলিত আসতেই সে আর থাকতে পারে নি, পলিতেরও যে ইচ্ছে ছিল প্রথম থেকেই তা সে জানতে পেরেছিল বিয়ের রাত্রে। দুজনের মনের ইচ্ছা জানতে পেরে উস্নার বাবা খবর পাঠিয়েছিল সমুদ্রদেবতার পুরোহিতের কাছে।... অনুষ্ঠানে সমুদ্রদেবতার মন্দিরে রাখা পঞ্চজনের পবিত্র বিরাট শঙ্খ বাজিয়ে যখন অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল তখন তো উস্নার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল।.... আজ সকালে উঠে, উস্না স্নান করে সে সমুদ্রদেবতার পুজো সেরে নিয়েছে। হারিপায় সমুদ্রদেবতার পুজো হয় না। এটা শিংওয়ালা দেবতার রাজ্য, কিন্তু উস্না আসার সময় একটা সমুদ্রদেবতার পাথর নিয়ে এসেছে বারাকে থেকে। বারাকের মানুষদের বিশ্বাস ঢেউয়ের ওপরে হাজারখানা ফণার মতো সমুদ্রদেবতার হাজারখানা মাথা। সহস্রশীর্ষ সেই সমুদ্রদেবতার হাজার হাজার চোখ ফুটে থাকে সেই পাথরে। '
লেখকমশাই যেভাবে সাজিয়েছেন তাঁর বইয়ের সূচি :
*শুরুর কথা
*সিন্ধু সভ্যতা ভ্রমণ
*সিন্ধু সভ্যতায় শাঁখা বানাবার পদ্ধতি
*সিন্ধুসভ্যতায় শাঁখার ব্যবহার
*বাংলার শাঁখার ইতিহাস ও ঐতিহ্য
*শাঁখারিদের দেবতা অগস্ত্যের সন্ধানে
*অগস্ত্যের রাজনৈতিক পরিচয়
*পুরাণ ও তার প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য
*দ্বারকার খনন ও নিষ্পত্তি
*দক্ষিণের আকাশে অগস্ত্য নক্ষত্রের উপস্থিতি
এছাড়া পরিশিষ্ট ও পরিভাষা তো আছেই।
সিন্ধুসভ্যতায় শাঁখা ও অগস্ত্যযাত্রা
লেখক: Dipan Bhattacharya
প্রকাশক : শব্দ প্রকাশন
মুদ্রিত মূল্য : ৫৫০ টাকা।
বই আলোচনাটি সায়ন্তন পাবলিকেশনের কারুকৃতি গণিত সংখ্যায় প্রকাশিত।
___________________________________________________
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন, পাঠে থাকুন...
শব্দ প্রকাশন
পরিবর্ধিত এবং পরিমার্জিত শব্দ সংস্করণ আসছে—
"সম্পূর্ণ গবেষণাধর্মী এই বই হরপ্পার অগ্নি উপাসনার মতো এক বিরল বিষয় নিয়ে। পুরদস্তুর প্রত্নতত্ত্বের বিষয় হলেও বইতে সমগ্র বিষয় একদম সকলের বোঝার মতো করে উপস্থাপিত করা হয়েছে। অজস্র ছবি, সারণী, ডায়াগ্রাম পাতায় পাতায় দেওয়া আছে যাতে বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হয়।"
—আনন্দবাজার পত্রিকা
বই : সিন্ধু সভ্যতার অগ্নিপূজা ও বৈদিক যজ্ঞ : একটি তুলনামূলক আলোচনা
লেখক : দীপান ভট্টাচার্য
প্রকাশনায় : শব্দ প্রকাশন
মূদ্রিত মূল্য : ৪২৫.০০
আমাদের প্রথম বই 'কলেজ স্ট্রিট কফি হাউস'-এর লেখক শ্রী মানস ভাণ্ডারীর আজ জন্মদিন। প্রকাশনার তরফ থেকে লেখককে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন, লেখায় থাকুন...
যুদ্ধ নামক প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস ও মৃত্যুর পাশাপাশি মানবসভ্যতার জন্য বয়ে নিয়ে এসেছে অগ্রগতি ও প্রকৃত উন্নয়নের বার্তা। যুদ্ধ যে এই মানবসভ্যতার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, এ কথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই।
আবার এই কথাটি এ প্রসঙ্গে অনস্বীকার্য যে, এই সময় থেকেই যুদ্ধ ও সাম্রাজ্যবিস্তারের এক অঙ্গাঙ্গী অংশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে যুদ্ধকৌশল। অর্থাৎ, যুদ্ধের ইতিহাসের শুরু থেকেই যে-কোনও যুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্রের ঝনঝনানির সঙ্গেই একই রকম গুরুত্ব পেয়েছে যুদ্ধকৌশল।
ইতিহাসের অন্দরে টহল দিতে দিতে এই গ্রন্থের বিভিন্ন অনুচ্ছেদে খ্রিস্টপূর্ব ১২৭৪ অব্দ থেকে ১০০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এমনই কিছু যুদ্ধ তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে, যেখানে ব্যক্তি-মানুষের বীরত্ব ও সাহসের চেয়েও প্রাধান্য পেয়েছে উন্নত সমরকৌশল। আর তার পাশাপাশি মাথা তুলেছেন কিছু সাহসী মানুষ, যাঁরা তাঁদের সময়কে উত্তীর্ণ করে সামগ্রিক এক বৌদ্ধিক উত্তরণের সামনে দাঁড় করিয়ে সরে গেছেন নতুন থেকে নতুনতর সমরাঙ্গনের খোঁজে।
সম্পূর্ণ সূচিপত্র—
"Wars maybe fought with weapons but they are won by men"
খ্রিস্টপূর্ব ১২৭৪ অব্দ থেকে ১০০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইতিহাসের গতিপথ বদলে দেওয়া কিছু বিখ্যাত যুদ্ধ ও যুদ্ধকৌশলের মানচিত্র-সহ বিশ্লেষণ নিয়ে শব্দ প্রকাশন থেকে আসছে #যুদ্ধকথা
বই : যুদ্ধ-কথা (প্রাচীন যুদ্ধের কৌশল ও মানচিত্র)
লেখক : অভিনব রায়
প্রচ্ছদ : সন্তু কর্মকার
প্রকাশনায় : শব্দ প্রকাশন
মূল্য : ৩০০.০০
খুব শীঘ্রই আসছে...
আসছে নতুন বই, হাজার বছরের যুদ্ধ কৌশল এবং যুদ্ধ পদ্ধতি নিয়ে— #যুদ্ধকথা (প্রাচীন যুদ্ধের কৌশল ও মানচিত্র)
পরিবর্ধিত এবং পরিমার্জিত সংস্করণ—
বই : সিন্ধু সভ্যতার অগ্নিপূজা ও বৈদিক যজ্ঞ: একটি তুলনামূলক আলোচনা
লেখক : দীপান ভট্টাচার্য
প্রচ্ছদ : সৌরভ মিত্র
প্রকাশনায় : শব্দ প্রকাশন
খুব শীঘ্রই আসছে...
#দ্বিতীয় মুদ্রণ Available Now
বই: সিন্ধু সভ্যতায় শাঁখা ও অগস্ত্যযাত্রা
লেখক: দীপান ভট্টাচার্য
প্রকাশনায় : শব্দ প্রকাশন
মুদ্রিত মূল্য : ৫৫০.০০
বইমেলা ২০২৪-এ প্রকাশিত শ্রী দীপান ভট্টাচার্যের 'সিন্ধু সভ্যতায় শাঁখা ও অগস্ত্যযাত্রা' বইটির প্রথম মুদ্রণ শেষ হল। খুব শীঘ্রই আসছে দ্বিতীয় মুদ্রণ।
লেখককে অভিনন্দন এবং সকল পাঠককে ধন্যবাদ।
শব্দ প্রকাশন
এবছরের মতো ইতি....
শারদ বই-পার্বণ ১৪৩১
সুস্থ সময় ফিরে আসুক...
ধন্যবাদ সকলকে
শব্দ প্রকাশন
শারদ বই-পার্বণ
আর মাত্র দুদিন (চলবে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত)
শব্দ প্রকাশন স্টল নং ৯
প্রতিদিন দুপুর ২ থেকে রাত্রি ৮টা
শারদ বই পার্বণ ১৪৩১
শব্দ প্রকাশন স্টল নং ৯
আর মাত্র ৩
শারদ বই-পার্বণ
শব্দ প্রকাশন স্টল নং ৯
চলবে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার পর্যন্ত
রোববারের শারদ বই-পার্বণ
শব্দ প্রকাশন স্টল নং ৯
শারদ বই পার্বণ, শব্দ প্রকাশন স্টল নং ৯
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে—
প্রতিদিন দুপুর ২ থেকে রাত্রি ৮টা
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Stall 11, Block 2, Surya Sen Street, College Square (South)
Kolkata
700012
Opening Hours
Monday | 12pm - 8pm |
Tuesday | 12pm - 8pm |
Wednesday | 12pm - 8pm |
Thursday | 12pm - 8pm |
Friday | 12pm - 8pm |
Saturday | 12pm - 8pm |
Kolkata, 700034
Publishing House Based in India © All Rights Reserved Golden Dreams Beauty of Moon A Beautiful Mind
Kolkata
Respect Those Friends Who Find Time For You In Their Busy Schedule. But Really Love Those Friends Wh
A P Nagar
Kolkata, 700150
A trustworthy Publication House of all kind of books with satisfying standard paper and printing qua
27/6 Ramkanto Mistry Lane, College Street
Kolkata, 700012
একটি বই প্রকাশনা স্টার্ট আপ। কলকাতা বইমেলা ২০২৪ স্টল নম্বর ৬১৮
100 A & B, Kabi Sukanta Sarani
Kolkata, 700085
We started our journey about 30 years ago with the dream of contributing to the educational field. We were a team of a few people with the bold label of Katha-O-Kahini.
Kolkata
Red Polka Publishing is looking to edit, publish and promote books and anthologies of various genres.
Flat-1, Danica, 37 Old Ballygunge 1st Lane
Kolkata, 700019
I sell lots of stuff—paints, food, cars...My client list includes Rabindranath Tagore and Satyajit Ray. Where can you find me?In a book called Heritage Retailers of Calcutta by Ash...
Kolkata
Quill Publishers & Media Services aim to make aspiring authors and professionals in diverse fields atmanirbhar (self-sufficient). We provide optimized content, social media managem...